What's new

Bangladesh Army under R&AW control

৫বছর পূর্ণ করার পরিকল্পনাঃ হত্যা, গুম ও পয়জনিং করে বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করা শুরু |

৫বছর পূর্ণ করার পরিকল্পনাঃ হত্যা, গুম ও পয়জনিং করে বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করা শুরু
Plan to complete 5 year term (of Hasina's new govt.): killing, elimination and poisoning will be the way to remove the opposition




শেখনিউজ রিপোর্টঃ বাংলাদেশী জাতিসত্বার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা নিয়ে ‘র’ এগুচ্ছে । আর নিজেদের অস্তিত্ব ও দখলদারিত্ব বহাল রাখতে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ‘র’ হাতে জিম্মি হয়ে পড়া শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বদ্ধপরিকর। জনগোষ্ঠী নয়, দেশের মাটি আর ভারতীয় চানক্যদের বন্ধুত্ব বহাল রাখার কোন বিকল্প আর তাদের সামনে নেই। এর সাথে বিএনপি’র অনেক নেতা-নেত্রীও গোপনে তাদের সহায়তা করে যাচ্ছে ইচ্ছা । আপাততঃ সেনাবাহিনীকে পঙ্গু করা এবং বিরোধী নেতাদের মেরে ফেলা, না হয় পঙ্গু করে দেয়াই শুধু নয়, কারাগারের ভেতরেও হত্যাকাণ্ড চালানোর পরিকল্পনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, ‘র’ শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছে যে, আওয়ামী লীগ যদি আগামী ৬ মাস রাজনীতির মাঠে টিকে থাকতে পারে তবে তারা আন্তর্জাতিক মহলসহ সব কিছুই তাদের জন্য অনুকুলে এনে দিতে সক্ষম হবে। এজন্য অবশ্য শেখ হাসিনার কাছে তারা কিছু গোপন পরিকল্পনা হস্তান্তর করেছে। তারই প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা তড়িঘড়ি করে একটি সংসদ বহাল থাকতেও নতুন একটি সংসদের সকলের শপথ গ্রহন সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করেছেন। তিনি নিজের অস্তিত্বের জন্য সংবিধান কেন কোন কিছুই আর আমলে নিচ্ছেন না। আর দুটো সংসদ বহাল থাকতেই মন্ত্রিসভাও বানিয়ে ফেলেছেন। উন্মাদ এই মহিলার নতুন প্রতিহিংসা শুরু হচ্ছে খুব শীঘ্রই।

শপথের পর পরই শেখ হাসিনা তার সংসদ সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি সবাইকে জানিয়েছেন ৫ বছরের ৫ দিন আগেও তিনি ক্ষমতা ছাড়বেন না। নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে এমপিদের যে কোন মুল্যে ৬ মাসের মধ্যে নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বিরোধীদের বিরুদ্ধে যে কোন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে কার্পণ্য করতে নিষেধ করেছেন। এর পর তিনি স্বতন্ত্র সদস্যদের সাথেও আলাদা বৈঠক করে বলেছেন যে তাদের দলে নেয়া হবে না, তবে তারা সকল সহায়তা পাবে। নিজেদের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন হলে সরাসরি তাকে ফোন করার অনুমতি দিয়েছেন তিনি।

এদিকে বিভিন্ন দেশীয় আন্তর্জাতিক মহল থেকেই জানা যাচ্ছে যে আগামী ৩-৬ মাসের মধ্যেই বাংলাদেশে চলমান অন্যায়ের সুরাহা হবে। এই বার্তাকে নিজের অনুকূলে নিয়ে সময় পার করার জন্য শেখ হাসিনা তার দলকেই সংলাপের বা আলোচনার নাটক শুরু করতে বলেছেন। এমনকি প্রয়োজনে তত্বাবধায়ক ইস্যুতেও তারা বিএনপি বা বিদেশীদের সাথে কথা বলবে। কিন্তু তারা কোন সমঝোতার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে না। আর এজন্য বিরোধী দলকে দায়ী করা হবে। ইতিমধ্যেই সাবিহ উদ্দিন, শমশের মবিন গংরা তাদের কাছে দেয়া ‘র’ এর এজেন্ডা নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এমনকি নির্বাচনের রাতেও জাতীয় পার্টির ব্যরিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং বিএনপির সাবিহউদ্দিন একই রমণীর সাথে রাত্রিযাপন করেছেন বলে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে।


‘র’ এর পরিকল্পনায় জেলখানায় বন্দী নেতাদের হত্যার একটি নীল নকশা করা হয়েছে। এরমধ্যে কারাগারে আটক ভয়ংকর সন্ত্রাসীদের দ্বারা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে হত্যার একটি পরিকল্পনা রয়েছে। এটি রাখা হয়েছে ৭৫ এর জেলহত্যার পাল্টা ইতিহাস বানানোর জন্য। আরও একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ আগেই শুরু হয়েছে। নেতাদের ইতিমধ্যেই খাবার ও চিকিৎসার নামে বিভিন্নভাবে পয়জনিং করা শুরু হয়েছে। এতে ধীরে ধীরে নেতাদের জীবনী শক্তি ধংস হয়ে যাচ্ছে। যাদের পয়সনিং করা হচ্ছে তাদের এক এক পর্যায়ে কারাগারের বাইরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে বা কাউকে কাউকে মুক্তি দেয়া হবে। কিন্তু কেউই আর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবেন না, এই পরিকল্পনা নিয়েই এই পয়সনিং এর কাজটি করা হচ্ছে। এর পয়জনিং এর তালিকায় থাকা সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে ইতিমধ্যেইঅসুস্থ করে ফেলা হয়েছে। বর্ষীয়ান নেতা এমকে আনোয়ার, মউদুদ আহমেদকেও অনেকখানি অসুস্থ থাকতে দেখা গেছে। হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে বিশ্বস্ততা বজায় রাখতে হিন্দু সম্প্রদায়ের চিকিৎসক নিয়োগ অব্যাহত রয়েছে। আন্তর্জাতিক কোন নিরপেক্ষ সংস্থা ভারতের সংশ্রব ছাড়া এ বিষয়ে রাসায়নিক পরীক্ষা করলেই বিষয়টি উদ্ঘাটিত হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের নিরাপত্তা নিয়েও গোয়েন্দা সূত্র সংশয় প্রকাশ করেছে। নিরাপত্তাহীন বেগম খালেদা জিয়ার জীবনের উপর হামলা করে সন্ত্রাসী ও তার নিজ দলের লোকদের উপর দায় চাপিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া একের পর এক ইস্যু তৈরি করে পুরনো ইস্যু চাপা দেয়ার মত কাজ করা হবে।

অব্যাহতভাবে নিরস্ত্র বিক্ষুব্ধ জনগণের উপর সরাসরি গুলি চালানো র‍্যাব,বিজিবি ও পুলিশের সদস্যদের অনেকের মধ্যে অনুশোচনা চলছে বলে আভ্যন্তরীণ গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন। এরা কিসের জন্য কার লাভে গণহত্যার মত ভয়ঙ্কর অপরাধ ও পাপ করে চলছেন এই অনুশোচনায় দগ্ধ হচ্ছেন। এছাড়া তাদের পরিবার ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তাও যে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তা ভেবেও শংকিত হয়ে পড়েছেন।

এদিকে সেনাবাহিনীর প্রতিটি স্তরে ‘র’ অফিসারদের বাংলাদেশী সাজিয়ে পোস্টিং করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে। সুত্রের দেয়া তথ্য মোতাবেক সেনা সদরে ২ জন লে কর্নেল পদমর্যাদার অফিসার রয়েছে ভারতের। ১৩ জন রয়েছে ডিজিএফআই-তে, ২ জন রয়েছে অস্ত্রাগারে, ৪ জন রয়েছে টেলিকমে, ৩৭ জন রয়েছে বিজিবির সেক্টরগুলোতে ডিএডি হিসেবে। এর বাইরে র‍্যাব ও ডিবি পুলিশে এবং এসএসএফ-এ রয়েছে এই সকল ভারতীয় সেনা গোয়েন্দারা। এর বাইরে এন,এস,আই ও ডিজিএফআই-এর সেফ হাউজগুলোতে কয়েকটি ‘র’ এর অফিসের কথা জানা গেলেও তার পুরো সত্যতা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। নিজেদের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য ভারত মরিয়া হয়েই এই ভয়ঙ্কর খেলায় নেমেছে, যেখানে তাদের প্রতিটি সদস্য এক প্রকার অদৃশ্য জীবন সংশয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। যে কোন সময় সেনাবাহিনীর ভেতরেই এরা গুম হয়ে যেতে পারেন দেশপ্রেমিকদের দ্বারা। টিভি টকশোতে ইতিমধ্যেই ব্যরিস্টার মইনুল হোসেনসহ অনেকেই এ বিষয়ে তাদের আশংকার ও সন্দেহের কথা খোলামেলা বলেছেন।

দেশি-বিদেশী পলিটিক্যাল রিস্ক এনালিস্টদের মতে এখনি এসকল পরিকল্পনার বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত নেয়ার মত কোন পরিকল্পনা নেয়া না হলে বাংলাদেশী জাতিসত্বা ও এর নেতৃত্বের সংকট তৈরি হবে অচিরেই, যা ‘র’ এর পরিকল্পনার চূড়ান্ত লক্ষ্য।
 
Back
Top Bottom