What's new

16th December 1971: From East Pakistan to Bangladesh

Real story of 1971 war by historical facts between pakistan and india by Hamid bashani
Published on Oct 16, 2015
Real story of 1971 war by historical facts between pakistan and india Hamid bashani
 
.
Dhaka war 1971
Published on May 12, 2012
Some glimpses of the shameful attitude of the nation as a whole and particularly of the armed forces of Pakistan during the December war of 1971. A fight that should have gone to the last man last round instead was given up at the behest of some fat and flabby generals who were at the time masquerading as the rulers of Pakistan.
 
.
Defence Technology of Bangladesh-DTB
DHC-3 Otter of Kilo Flight

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সর্বপ্রথম রুপান্তরিত যুদ্ধবিমান/গ্রাউন্ড এট্যাক বিমান।১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধকালে তৎকালীন ভারতীয় সরকার বাংলাদেশকে এরকম একটি বিমান উপহার হিসেবে প্রদান করে।

এগুলোকে পরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর সহায়তায় যুদ্ধবিমানে রুপান্তরিত করা হয়।এর ট্রাসের নিচে লাগানো হয় ২ টি রকেট পড যার প্রতিটি ৭ টি করে রকেট বহন করতো।বিমানের নিচের পাটাতন খুলে লাগানো হয়েছিলো ১০ পাউন্ড ওজনের ৬ টি ফ্রিফল বোমা।বিমানের দরজা খুলে সেখানে বসানো হয়েছিলো মেশিনগান যা একজন অপারেটর অপারেট করতে পারতেন।এই বিমান মুক্তিযুদ্ধকালে বেশ কয়েকটি সফল এয়ার স্ট্রাইক পরিচালনা করে।

এই বিমানের হাত ধরেই আজকের "বাংলাদেশ বিমানবাহিনী"
20664556_1439254589496303_3918238919499556083_n.jpg
 
.
Liberation War would have been much more Fierce had the Indian's NOT opened their Borders.
ভারত সীমান্ত খুলে না দিলে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ আরো তীব্রতর হতো
!

resize.php

Sat, August 12

মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান (অব.):
Major General A L M Fazlur Rahman(Retd)
ණ☛ যারা বলে ভারতের সাহায্য ছাড়া এবং ভারতের মাটিতে না গিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করতে পারতাম না। এই কথা যারা বলে তারা মুক্তিযুদ্ধের শেষ পরিনতি সম্বন্ধে সঠিক কথা বলেন না। তাই যদি হবে তাহলে কাদের সিদ্দিকী কি ভাবে টাঙ্গাইলের মাটিতে দাঁড়িয়ে ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ করলেন তাঁর বিশাল বাহিনী নিয়ে।

ණ☛ ভারত আমাদের জন্য তাদের সীমান্ত খুলে না দিলে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ যুদ্ধ আরো তীব্রতর হতো। ভারত তার প্রয়োজনে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলো। এটা এখন সবার কাছে পরিষ্কার।

ණ☛ আমরা কাদের সিদ্দিকীর মতো মধুপুরের জঙ্গল, সুন্দরবন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চল, গারোপাহাড়, সুনামগঞ্জ অঞ্চলের হাওর, দেশের খাল, বিল, নদী, চরাঞ্চল, সিলেটের চা বাগান, দেশের প্রতিটি শহর, বন্দর এবং প্রতিটি গ্রামকে প্রতিরোধ যুদ্ধের ঘাটতি হিসাবে গড়ে তুলতাম। দেশ স্বাধীন হতোই। এটাই ছিলো মহান মুক্তিযুদ্ধের অমোঘ পরিনতি।

লেখক: কলামিস্ট ও প্রাক্তন মহাপরিচালক বিডিআর।
http://newsorgan24.com/detail/27172
 
Last edited:
.
Why Do Bangladeshis Seem Indifferent to Partition?
17ahmed-inyt-articleLarge.jpg

  • The author’s grandparents sitting with some of their children, including his mother age 9, second from right, in the courtyard of their East Pakistan home in the early 1950s.
    COURTESY OF K. ANIS AHMED
    By K. ANIS AHMED
    AUGUST 16, 2017
DHAKA, Bangladesh — In 1948, a year after the partition of India, my maternal grandparents moved from Calcutta to Dhaka, crossing from West Bengal in India to East Bengal, or East Pakistan — now Bangladesh. There, they built a tin-shed house in the new neighborhood of Dhanmondi, known before only for its paddy fields (dhan). At the time, the area was so desolate that every night my grandfather would fire his double-barreled shotgun to ward off foxes and thieves.

Two years later, he built the first brick and concrete house in the area, which soon enough filled up with one- and two-story bungalows, each with its own lawn. His house looked no different from the others, but it harbored a surprising secret: He had built it with a foundation that could support seven stories. As far back as 1950, he had told my grandmother, “A day will come when you won’t be able to see anything but people in this city.” And indeed, while at some point other lovely houses in the neighborhood had to be torn down in order to be built back up taller, his children just added new floors.

When I was growing up, such stories struck me as nothing more than proof that my grandfather was eccentric and a visionary. But how we fashion our family history also reflects our collective memory. And when years later I began to examine, for a research project in comparative literature, why Bangladeshis relate to partition differently than do Indians and Pakistanis, I found clues to an answer right in my family lore.

17ahmed2-inyt-articleLarge.jpg

A portrait of the author’s grandparents, c. 1950.
COURTESY OF K. ANIS AHMED
Most Indians and Pakistanis look at partition as an enduring tragedy and with an overwhelming sense of sadness. The event is lamented for its tremendous violence and its deaths, and marks the loss of territory and homes. For Indians and Pakistanis, it also represents the abrupt truncating of a sense of self. British colonialism had hoped to unite regional groups from Afghanistan to the edge of Burma under a broader national, perhaps civilizational, “Indian” identity. The advent of a separate state for Pakistan announced that project’s defeat.

In contrast, Bangladeshis’ response to partition can seem to verge on indifference. For us, Aug. 15, the day of India’s independence in 1947, represents first and foremost the brutal murder many years later, in 1975, of our own founding father, Sheikh Mujibur Rahman. Our seminal historical event is the Liberation War of 1971, during which up to three million Bangladeshis may have been killed by the Pakistani Army and its local collaborators as they tried to crush the movement for independence.

Some argue that the enormity of that later war suborned the memory of the earlier split. This may be true, but it is not the entire story.

The Liberation War of Bangladesh is indeed the most momentous event for the people who were once East Bengalis, then East Pakistanis and now Bangladeshis: It conferred on us the pride of standing as an equal among the nations of the world. Other subnational groups in both India and Pakistan also chafed at the gross inequities committed by an imposing federated state. Yet only in Bangladesh did rebellion against such injustice and the idea of a distinct cultural identity — in this case, Bengali and secular — lead to a new nation.
https://mobile.nytimes.com/2017/08/...mwrsm=Facebook&referer=http://m.facebook.com/
 
.
We assisted Mukti Bahini to attain independence. It was great strategic victory for India and new life for Bangladeshis.
 
. . .
Thanks for finally admitting the real truth and reasons were also explained as the "Strategic victory for India.
We already admit it. We assisted Mukti Bahini and when war loomed on us, we entered in East Pakistan defeating Pakistani Army.
 
.
Thanks for finally admitting the real truth and reasons were also explained as the "Strategic victory for India.
After 25th March, 1971, any country's help both military and non military to Mukti Bahini was welcome including the Indian one.I don't think you have a Bangladeshi point of view regarding the 1971 war.Only a parson with Pakistani point of view will regard Indian help in 1971 with a contempt.Are you one of them?
 
.
.Only a parson with Pakistani point of view will regard Indian help in 1971 with a contempt.Are you one of them?
You haven't the faintest real facts about our Glorious war of Liberation. Asking if you were a FF would be absurd, were you even born in 1971?
 
.
মূলধারা বাংলাদেশ
আগষ্ট হত্যাকান্ড ও 'এক বাক্সে সকল ডিম না রাখার' ভারতীয় নীতি

১৯৭৫ সালে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যার পর ভারতের মন্তব্য ছিল ‘It’s an internal matter’। ইত্তেফাক জানায় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার সময় সেন আগস্ট হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পরেই রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদের সাথে হাসি মুখে সাক্ষাৎকার করে বলেন ‘ঢাকা-দিল্লী মৈত্রী ও সহযোগিতা অক্ষুণ্ণ থাকিবে‘। অর্থাৎ, বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সাথে সাথে খাপ খাইয়ে নিয়ে নিজের দেশের স্বার্থকে যথা সম্ভব রক্ষা করে চলা দক্ষ কূটনীতির কাজ। ভারত এটাই করে আসছে। সেজন্য তাঁরা এই পক্ষ-ঐ পক্ষ সব পক্ষেই কাজ করে।

ইতিহাস আমাদের জানায় যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও ভারত এই কৌশল নেয় মুজিব বাহিনী তৈরির মাধ্যমে। মুজিব বাহিনী স্বাধীনতার ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত একটি অধ্যায়। এই বিষয়ে যুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের অন্যতম উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম জানাচ্ছেন;

”ভারতের ২টি স্থানে মুজিব বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। জেনারেল উবান এই প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন। আজ পর্যন্ত আমি বুঝে উঠতে পারছি না মুজিব বাহিনী নামে এই আলাদা বাহিনীর কোন প্রয়োজন ছিল কি না। তবে যদ্দুর জেনেছি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা “র”-এর সাথে শেখ মনির লবি ছিল। তাকে বুঝানো হয় যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব সে সময় নেতৃত্ব দিতে অসমর্থ হবে। অথবা এই নেতৃত্ব কোন প্রকার আপোষ করতে পারে। তাকে আরো বুঝানো হয়, যে যুব শক্তি স্বাধীনতার উন্মেষ ঘটিয়েছে, তারাই কেবলমাত্র সঠিক নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে। প্রয়োজনে এই নেতৃত্ব আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারবে। তাছাড়া বাংলাদেশ স্বাধীন হলে নব্যশক্তি চীন বা নকশাল পন্থীদের স্বাধীন ও সার্বভৌম সরকার প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করবে। পরে আরো জেনেছি, ভারত সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয় যার অর্থ হলোঃ ‘এক বাক্সে সকল ডিম না রাখা’।”

অর্থাৎ, স্বাধীন হওয়ার আগেই আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সন্দেহের বীজ রোপিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই বীজই জাতীয় দ্বিধাবিভক্তির সূত্রপাত করে,যা থেকে আমরা আজও বের হতে পারিনি। ভারতের জন্য এখানে হারানোর কিছু নেই।নিজের মধ্যে ভাতৃঘাতি সংঘাত করে আমাদের জাতীয় যুবশক্তির অপচয় ঘটেছে, খুন হয়েছে শত শত মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশী প্রাণ।


(উদৃত, মূলধারা বাংলাদেশ, ‘এক ঝুড়িতে সব ডিম না রাখা’: ‘র’ এর কৌশলের সেকাল-একাল, ২৩ মার্চ ২০১৭, http://www.muldharabd.com/?p=2233)
 
.
আজ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট ল্যাফটেনেন্ট মতিউর রহমানের ৪৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭১ সালের এই দিনে মতিউর রহমান পাকিস্তান বিমানবাহিনীর একটি Lockheed T-33 বিমান ছিনতাই করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য আসছিলেন।কিন্তু পথিমধ্যে পাকিস্তানী পাইলট মিনহাজ রশিদের সাথে হাতাহাতি হওয়ায় বিমানের নিয়ন্ত্রন হারায় এবং ভারতে বিদ্ধস্ত হয়।

মতিউর রহমান স্যারকে নিয়ে একটি লেখা খুব ভালো লাগবে আপনাদের-

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের দাফন হয়েছিলো পাকিস্তান করাচির মাসরুর বেসের চতুর্থ শ্রেণীর কবরস্থানে।
কবরের সামনে লেখা ছিলো- 'ইধার শো রাহা হ্যায় এক গাদ্দার'। প্রায় ৩৫ বছর ওখানে ছিলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জানি এগুলো আজ সবাইকে তেমন ভাবে স্পর্শ করে না। আমরা এখন কুল ডুড। আমরা রাজাকার বন্দনা করে কোন এক আজব স্মার্টনেস ফ্রতিফলিত করতে চাই।

ডুড, দেশবিরোধীদের সাপোর্ট করা স্মার্টনেস না। সিনেপ্লেক্সে যখন জাতীয় সঙ্গীত হয় তখন ভাব নিয়া বইসা থাকা পার্ট না। কিংবা শ্রদ্ধা ভরে উঠে দাড়ানো কাউ কে দেখে কটু দৃষ্টি কিংবা হেলার দৃষ্টি দেয়াও স্মার্টনেস না। বীরশ্রেষ্ঠ দের ভুলে যাওয়া, তাদের অবদান অস্বীকার করা স্মার্টনেস না। বদর বাহিনীর কমান্ডারের জন্য মিন মিন করা স্মার্টনেস না।

টি-৩৩ বিমান উড়িয়ে নিয়া আসা বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান কে ধাওয়া করছিলো চারটি জঙ্গি বিমান। দ্যাট ওয়াজ এপিক। কুলনেস বুঝতে চাও ? হাবিবুর রহমান বীর বিক্রম পাকিস্তান নৌবাহিনীর দুই জাহাজ "এস.ইউ. ইঞ্জিনিয়ারস্ এল সি- ৩" এবং "এস টি রজার" ডুবায় দেয় চরে আটকাইয়া, দ্যাট ওয়াজ কুল ম্যান। তারপর হাবিব রে সবাই ডাকতো 'জাহাজমারা হাবিব।'
আরো কুলনেস এর গল্প লাগবে?

মেজর জেনেরেল খালেদ মোশাররফের নির্দেশনা ছিলো হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে বিদেশী সাংবাদিক ও অতিথিরা থাকাকালীন ঢাকা শহরের পরিস্থিতি যে শান্ত নয় এবং এখানে যুদ্ধ চলছে তা বোঝানোর জন্য শহরের আশে-পাশে কিছু গ্রেনেড ও গুলি ছুড়তে হবে; কিন্তু দু:সাহসী এই তরুণেরা ঢাকায় এসে ৯ জুন তারিখে সরাসরি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গ্রেনেড হামলা করেন ছিলো অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ ও অচিন্তনীয় কাজ। সন্ধ্যায় বিবিসির খবর থেকে খালেদ মোশাররফ এই অপারেশনের কথা জানতে পেরে বলেন, 'দিজ অল আর ক্র্যাক পিপল! বললাম, ঢাকার বাইরে বিস্ফোরণ ঘটাতে আর ওরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালেই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এসেছে।' তিনিই প্রথম এই দলটিকে "ক্র্যাক" আখ্যা দেন; যা থেকে পরবর্তীতে এই প্লাটুনটি "ক্র্যাক প্লাটুন" নামে পরিচিত হয়।

দ্যাট ওয়াজ ক্রাক ম্যান।
আজকের এই পার্টে তুমি কুল ডুড না ব্রো, তুমি একটা এসহোল। যে নিজের ইতিহাসে স্মার্টনেস পায় না।
শুভ জন্মদিন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান। মে বি আমি স্মার্ট না, কুল না। তবুও স্বাধীনতা যা তোমরা এনে দিয়েছো নিজের জীবন দিয়ে, নিরপেক্ষতার মোড়কে তা ব্যালেন্স করতে যাবো না কোনদিন। টি-৩৩ বিমান নিয়ে বাংলাদেশে ছুটে আসা যুদ্ধ করার জন্য, পিছনে ফাইটার জেট ধাওয়া করছে তা জেনেও.... আমাকে গর্বিত করে।
তোমার জন্য আজ কোন প্রথম পাতায় নিউজ পাইনি। কোন শোক মিছিল হয়নি। ভুলে গেছি সব আজ আমরা। তবুও 'ক্ষ্যাত' 'ইনট্রোভার্ট' এই সিডাটিভ এর ওয়ালে রাখলাম তোমাকে।
আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন।
আমিন

20915590_1448641938557568_2333719947173730504_n.jpg
 
.
2:00 AM, March 26, 2017 / LAST MODIFIED: 12:00 AM, March 26, 2017
THE TANGAIL LANDINGS A signal for victory
banga_bandhu.jpg

Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman and Kader Siddiqui
Dr. Nuran Nabi

I travelled to Tura, the capital of Meghalaya, three times during the war as a representative of Tangail Mukti Bahini to bring arms and ammunitions. Brigadier Sanat Singh was my contact and host. He arranged my meetings with Gen Gill and Brigadier Klair during my first and second visit in June and July, respectively. During my third visit, I had the honour to meet Lt. Gen. Aurora, the GOC of the Eastern Command of the Indian Army, at the office of Gen Gill in Tura on November 7th.

In the meeting, Gen Aurora indicated that Indian paratroopers could be dropped in Tangail by the end of November or early December. He asked me to return to Tangail as soon as possible and make arrangements to secure an area so that Indian paratroopers could land safely. He also disclosed that several officers of the Indian Army would come to the liberated zones in Tangail and stay with us. We would be responsible for their security.

At the end of the meeting, General Aurora warned me that under no circumstance, should I share this information with anyone other than Kader Siddiqui. He further mentioned that I was the first Bangladeshi person privy to the details of this top secret military operation. He reminded me repeatedly of the importance of this message and asked me to comply accordingly.

As we shook hands to say goodbye, General Aurora mentioned, “This is the Liberation War of your motherland. I am certain you will be able to make good on your promise to your country. I hope to see you in Tangail.”
I evaluated my meeting with Gen Aurora as a signal for our impending victory.

The guerrillas of Dhaka in 1971

Accordingly, an Indian officer crossed the border and arrived in Tangail. He was perhaps the first Indian Army officer to infiltrate more than one hundred miles into the Bangladesh free zone before the war started. I met him on 3 December in Baroiotol, a village on the Dhaleshwari River near Bhuapur. He introduced himself as Peter and we exchanged passwords. I came to know that he was a Captain in the Indian Army and that he was a Bengali from Kolkata. He had arrived in the free zone just a night earlier, escorted by five freedom fighters, three of whom were trained wireless set operators. His mission was to contact Kader (Tiger) Siddiqui and select the strategic locations for the landing of the Indian paratroopers. All relevant information was to be sent back to his controlling headquarter.

The next morning, Kader left to oversee the massive preparation for the impending attacks. On December 7, Peter and I left the boat and camped by the side of Nikrail School. Kader showed up in our camp. He formally put me in charge of communication regarding all subsequent attacks and placed one hundred fifty freedom fighters under my command. My job was to coordinate communication among the different companies, to maintain constant contact with Kader, and to help Peter in his work. Kader's presence and the news of India's recognition of Bangladesh created a feverish excitement amongst the people. After the evening prayers, thousands of people assembled at the school ground. Kader gave a passionate speech.
tangail_victory.jpg

Captain Peter was deeply impressed by the large turnout, and the support and enthusiasm of the population. We left Nikrail to move towards Ghatail. We reached West of Ghatail by early morning on December 9 and set up a temporary camp at the house of Abdul Halim Chowdhury. With Madhupur captured, the road for the Indian Army to move from Jamalpur to Tangail was clear and Captain Peter relayed this information to his command.

On the morning of December 10, Brigadier Kader Khan's troops, after their defeat at Jamalpur and Mymensingh, were fleeing towards Dhaka.

That afternoon (December 11), Peter received a coded message from his headquarters and burst into joy. He told me that the paratroopers would be landing shortly. I, then, sent a message to Kader which simply said, “They are coming,” alerting the commanders of the area.

At five in the afternoon, two Indian Air Force MiGs flew very low over Ghatail and Kalihati.

We did not know which dropping area they would choose as the MiGs circled a very wide area. Then we saw the cargo planes, flying above the circling MiGs. Suddenly, the two MiGs shot up towards the stratosphere as the cargo planes slowly descended. They were Indian Air Force transport planes, AN-12, C-119, and CD-3. The planes descended in waves. As they approached their lowest point of descent, they came to a slow hover.

It was as if they were floating in the air. Suddenly their bellies opened and parachutes began dropping.

The southeastern sky, as far as we could see, was covered with what looked like big balloons. On a sunny and breezy afternoon, the blue sky of Tangail was brilliantly recomposed with a spectacular view created by the paratroopers. For those who were lucky enough to watch, it was an unforgettable moment.

At eight in the evening, Kader stopped by our camp. He reassured Peter that the landing was successful and that the paratroopers had made contact with the Mukti Bahini. Kader told us that the highways connecting Madhupur, Gopalpur, Kalihati, and Sholakura were now all under the full control of the Mukti Bahini. The fleeing Pakistani soldiers had been attacked from various positions on the Tangail-Madhupur Highway. About twenty vehicles of the Pakistan Army had been destroyed and more than fifty soldiers had been killed. The Mukti Bahini had been able to capture a number of vehicles as well as a huge quantity of arms and explosives.

At five in the morning, Kader headed out with his troops to Tangail along the Mymensingh-Tangail Highway. Peter and I were also with him. We were welcomed at the liberated Kalihati headquarters by Commanders Nabi Newaz, Riaz, and Samad Gama. They reported that their forces were in full control of the Kalihati Police Station and that Tangail Highway was in our control as far south as Sholakura.

We then moved to Sholakura but were halted at the Sholakura Bridge by enemy fire. At this time, several volunteers arrived escorting a contingent of paratroopers. Behind the force of last night's gusty winds, these paratroopers drifted away from their targeted position and thus they could not join in the battle fought the previous night. Captain Peter was delighted to meet his colleagues, amongst whom was a young Captain.

Captain Peter then left us and joined up with the paratroopers and we resumed our advance to Phultala. Kader attacked Phultala with mortars and then sent about 300 fighters to take the village. By afternoon, the enemy fled and Phultala came under our control.

We learnt through radio contact that Brigadier Klair of the Indian Army was on his way to Tangail. I, with a team of freedom fighters, left for Pungli Bridge to meet the Indian paratroopers. As we walked on the road to Pungli Bridge, I came face to face with the bone-chilling scenes of last night's battle. Corpses of hundreds of enemy soldiers littered the road; the bodies sprawled from one side of the bridge to the other. We walked with care so as not to step on the dead. All around was a mass of twisted mangled bodies and body parts. Never in my life had I seen so much death in one place.

It was about three in the afternoon. When Brigadier Klair and Kader Siddiqui stepped down, five hundred freedom fighters and paratroopers received them with thundering applause.

Brigadier Klair came over to me and thanked me for the help and cooperation extended by the Mukti Bahini.

From the Indian officers I learnt that in the battle around Pungli Bridge, three hundred-seventy Pakistan soldiers were killed and more than one hundred injured. Six Indian paratroopers achieved martyrdom and 15 were injured. Over 600 Pakistani troops were taken prisoner.

After the meeting, Kader and Klair decided to move on to Tangail that same evening. Most of the town of Tangail was in the hands of the Mukti Bahini. However, a small contingent of Pakistani forces at the new Tangail town garrison had not yet surrendered though it was cut off from all sides. An attack was launched at four o'clock that evening with about 200 Freedom Fighters, supported by mortar and machine gun fire. Very soon, the enemy guns were silenced and the last remnants of resistance at Tangail ceased.

By that evening, the whole town stood liberated. By now, tens of thousands of people had begun assembling around the Awami League premises to see Kader and to celebrate our victory. Brigadier Klair then came over to join in the celebrations.

This for me was the last major action of the war. The Pakistan army was on the run and its eventual defeat was now simply a matter of time.

Reflecting on the War, I think Captain Peter's infiltration deep inside the enemy territory reveals a well thought out deception plan that has not been fully appreciated by analysts.

As Indian forces were not concentrated here, the Pakistani leadership presumed that no major attack was envisaged by the Indian Army through this sector and so an elderly Pakistani officer, Brigadier Kader Khan was left in charge. In my view, this was an intentional move by General Aurora to mislead the enemy into thinking that the Indian Army advance into Dhaka would take place through the Comilla border.

Meanwhile, on December 11th, General Jacob, the Chief of Staff of the Indian Army, arranged a press conference in Calcutta. He declared to the national and international press that the night before, Indian paratroopers had landed surrounding Dhaka city. He claimed that Dhaka was then a besieged city, waiting to fall any day.

On the insistence of reporters, General Jacob reluctantly disclosed that a division of joint forces had surrounded Dhaka city.

However, in reality, the division he referred to was actually only single battalion of paratroopers who had landed, not in Dhaka, but rather some seventy miles to the north, in Tangail district.

Pakistani command was distressed by this bluff. It created a tremendous amount of psychological pressure on General Niazi to surrender. The joint force strategy worked just as planned.

This Para drop at Tangail caught the Pakistani leadership on the wrong foot and hastened the end of the war. For Brigadier Khan, this was the second surrender of his military carrier. During our interrogation, we came to know that he had also surrendered to the Indian Army on the West Pakistan border during the India-Pakistan War of 1965.

The inclusion of the Tangail Mukti Bahini in the original war strategy to conquer Dhaka was an important historical event. One of the most significant components to this plan was the landing of a battalion of paratroopers in Tangail.

Arguably, I was the first person in Bangladesh to have had the privilege of knowing this vital secret plan.

I was lucky and honoured to be associated with such a clever war strategy. It was also a great testament to Kader as well as to the Tangail Mukti Bahini.

The writer is a Freedom Fighter and scientist.

Reprinted from Independence Day Special 2015
 
.
উনিশ শ’ একাত্তর -৭ 1971-Part 7
মতামত ডেস্ক
August 23, 2017
Screen-Shot-2017-08-04-at-10.51.20-AM-696x398.png

সাইদুল ইসলাম
ঢাকা
২৫ মার্চ সকাল সাড়ে আটটায় ব্রিগেডিয়ার মজুমদার জয়দেবপুরে রওয়ানা হবার সময় ক্যাপ্টেন আমীন আহমেদ চৌধুরীকে বললেন, “তোমার এখানে থাকার দরকার নেই। তুমি চট্টগ্রামে ফিরে যাও। আর কর্নেল চৌধুরিকে বল, লাল ফ্ল্যাগ উড়িয়ে দিতে।” আমীন কথাটা ঠিক মত বুঝতে পারলেন না। তিনি সকালে মজুমদারের সাথে দেখা করতে লেঃ কর্নেল মোহিতের বাসায় এসেছিলেন তাঁর মামার গাড়িতে চেপে। ইএমই কোরের অফিসার লেঃ কর্নেল মোহিতের বাড়ি সিলেট। মজুমদারের সাথে তাঁর পারিবারিক পর্যায়ের জানাশোনা। মিসেস মোহিত তাদের নাস্তা না খাইয়ে ছাড়লেন না। নাস্তার সময় খুব বেশি আলোচনা হয়নি। হঠাৎ করে লাল ফ্ল্যাগের কথায় একটু হকচকিয়ে গেলেন তিনি।

ষষ্ঠ পর্বটি পড়তে এই লিঙ্কে “উনিশ শ’ একাত্তর -৬” ক্লিক করুন।

পঞ্চম পর্বটি পড়তে এই লিঙ্কে “উনিশ শ’ একাত্তর -৫” ক্লিক করুন।

চতুর্থ পর্বটি পড়তে এই লিঙ্কে “উনিশ শ’ একাত্তর -৪” ক্লিক করুন।

তৃতীয় পর্বটি পড়তে এই লিঙ্কে “উনিশ শ’ একাত্তর -৩” ক্লিক করুন।

দ্বিতীয় পর্বটি পড়তে এই লিঙ্কে “উনিশ শ’ একাত্তর -২” ক্লিক করুন।

প্রথম পর্বটি পড়তে এই লিঙ্কে “উনিশ শ’ একাত্তর -১” ক্লিক করুন।

কাল হেলিকপ্টারে ওঠার সময় মনে হলো, কিউএমজি জেনারেল জাঞ্জুয়া, মজুমদারকে একটু ধাক্কা দিয়ে সিটে বসিয়ে দিলেন। সেই থেকে মজুমদারকে একটু বিচলিত লাগছিলো।

হেলিকপ্টার থেকে নামার পর প্রথমে মজুমদারের সাথে তাঁর কোর্সমেট জাহাঞ্জেব আরবাবের বাসায় উঠেছিলেন আমীন। বাসার ভেতরের লনে, তাঁবু খাটিয়ে অনেক বেসামরিক লোককে থাকতে দেখে একটা খটকা লেগেছিলো তার মনে। তিনি গুলশানে তাঁর মামার বাসায় চলে যেতে চেয়েছিলেন।

আরবাব বললেন, “বাচ্চু দ্য সিটি ইস নট সেইফ ফর ইউ”। শুনে, মজুমদার বললেন,
“ইজ দেয়ার এনিথিং ভেরি সিরিয়াস ইন দ্য সিটি?’
আরবাব উদ্ধত ভঙ্গিতে “নাথিং লাইক দ্যাট, গিভ মি টু কোম্পানি, আই উইল স্ট্রেইটেন এভরিথিং ইনক্লুডিং ইওর বঙ্গবন্ধু” বলতে বলতে অন্যদের সাথে হাত মেলাতে চলে গেলেন। মজুমদার আমীনকে ফিসফিসিয়ে বললেন, “দে কুড নেভার থিঙ্ক বিয়োন্ড দ্য রেসপন্সিবিলিটি অব এ কোম্পানি”।
23.png

২৫ মার্চ দুপুরে ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান কি নিয়ে জিয়া এই পথে ঘুরলেন
ততক্ষণে আমীনের মামা গাড়ি নিয়ে চলে আসায় তিনি চলে গিয়েছিলেন গুলশান। যাওয়ার পথে শুনেছেন, তাজউদ্দিন তাঁর আল্টিমেটাম জানিয়ে দিয়েছেন, “নাথিং লেস দ্যান এ কনফেডারেশন”।

চট্টগ্রামে কর্নেল চৌধুরিকেও তাই টেলিফোনে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। উপরন্তু রফিককে ‘আপাততঃ ধীরে চলো’র জন্যেও বার্তা পাঠিয়েছেন কর্নেল চৌধুরির মাধ্যমে। এর সাথে মজুমদারের সকালের আদেশটা মিলছে না। এসব ভাবতে ভাবতে তিনি তাঁর মামার গাড়িতেই পৌঁছালেন এয়ারফোর্সের মেডিক্যাল ইউনিটে। সেখান থেকে বলা হলো ২৭ তারিখে রিপোর্ট করতে। এরপর আমীন, তার মামা শাহ আলম চৌধুরির মতিঝিলের হক ম্যানসনের অফিস থেকে ফোন করলেন চট্টগ্রামে।

প্রথমে কোন বাঙালি অফিসারকে পাওয়া গেলোনা। তিনি মিসেস মজুমদারকে ফোন করে বললেন, “স্যার কর্নেল চৌধুরিকে একটা ম্যাসেজ দিতে বলেছেন”। মিসেস মজুমদার বুঝতে পারলেন না তাঁর কথা। আমীন বললেন, “ভাবী আমি যা বলছি হুবুহু তাই লিখে কর্নেল চৌধুরিকে পাঠান। খুবই জরুরী”।
তিনি লিখলেন, “লাল ফ্ল্যাগ উড়িয়ে দাও”।

একটু পরে আমীন, শহীদ নামের ক্যাপ্টেন এনামের এক আত্মীয়কে, ফোন করলেন। শহীদের কাছে জানা গেলো চট্টগ্রামের অবস্থা খারাপ। তিনি যদি ঢাকা থেক কোন মতে হাজীক্যাম্প পর্যন্ত আসতেও পারেন ক্যান্টনমেন্টে ঢুকতে হবে, পাহাড়ের গায়ে গায়ে ভেসপা চালিয়ে নতুন পাড়ার কাঁচা রাস্তা দিয়ে। কর্নেল চৌধুরির কাছে কমান্ডান্টের বার্তাটি পৌছালো কি না জানতে তিনি এবার তিনি ফোন করলেন ক্যাপ্টেন মোহসিনকে। মোহসিন মারশালল’ অফিসে স্টাফ অফিসার। সেখানে পাওয়া গেল কর্নেল চৌধুরীকেও, তিনি বললেন, “ষোল শহরের দিকে ওয়াগান ফেলে জনতা সেনানিবাসের সাথে শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে”।
“স্যার বস লাল ফ্ল্যাগ উড়িয়ে দিতে বলেছেন”।

“তাতো বুঝলাম! কিন্তু এসব কথা তিনি নিজে বললে ভালো হয়”। আমীন বললেন,
“তাঁকে দিয়ে বিকেল নাগাদ বলানো যাবে। উনি আগে জয়দেবপুর থেকে ফিরে আসুক”।
সাড়ে দশটার দিকে ক্যাপ্টেন আমিন ধানমন্ডিতে এলেন কর্নেল ওসমানীর সাথে দেখা করতে। বললেন, “স্যার গাড়ি নিয়ে এসেছি, আজই চট্টগ্রামে শিফট করতে হবে”। ওসমানী তাঁকে বসিয়ে রেখে বিভিন্ন যায়গায় যোগাযোগ করে তারপর বললেন, “President is going to announce something very important by 8’0 clock in the evening, or latest by tomorrow noon.”

চট্টগ্রাম
২৫ মার্চ সকাল এগারোটার দিকে ৮ বেঙ্গলের ক্যাপ্টেন চৌধুরি খালেকুজ্জামানকে পাঠানো হল বায়েজিদ বোস্তামী রেল ক্রসিংয়ে ব্যারিকেড সরানোর জন্যে। নতুন স্টেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার আনসারিকে আগের দিন ঢাকা থেকে পাঠানো হয়েছে যেকোন মূল্যে সোয়াত জাহাজ থেকে গোলাবারুদ আনলোড করার দায়িত্ব দিয়ে।

জেনারেলরা যখন মজুমদারের অফিসে তাকে কথাবার্তায় ব্যস্ত রেখেছিলেন, ততক্ষণে বেশিরভাগ বাঙালি অফিসারদের অলক্ষে আনসারি পোর্টে রওনা হয়েছিলেন। আনসারির ক্যারিয়ার প্রোফাইল খুব ভালো নয়। তার জুনিয়াররা একে একে জেনারেল হওয়া শুরু করলেও তিনি ওপরে উঠতে পারছিলেন না। সোয়াত জাহাজ খালি করাটা তাঁর জন্যে হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলসিরাত পার হবার পাথেয়। ২৪ তারিখ রাত থেকেই তিনি লেগে পড়েছিলেন সোয়াত জাহাজ খালি করার চেষ্টায়। চট্টগ্রামের বাঙালিরা যেহেতু বিহারি বাঙালি দাঙ্গার পর থেকেই পাঞ্জাবিদের সহ্য করতে পারছিলো না, তাই তিনি বালুচ ইউনিটকে এই কাজে না লাগিয়ে ৮ বেঙ্গলের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন এই কাজ।
24.jpg

লেঃ জেনারেল হামিদ খান, ভাইস চীফ পাকিস্তান আর্মি (মার্চ ১৯৭১)
৮ বেঙ্গলের অবাঙালি অধিনায়ক, লেঃ কর্নেল জাঞ্জুয়া উঠে পড়ে লেগেছেন সোয়াতের পেছনে। মেজর মীর শওকত আলীকে দেওয়া হয়েছে জাহাজ খালি করার সময় পাহারাদারির দায়িত্ব। এদিকে ষোলশহর রেল স্টেশন থেকে ৪০০ গজ পশ্চিমে নাসিরাবাদ রেল ক্রসিঙের উপর একটি মাল গাড়ি দাঁড় করিয়ে দিয়ে ক্যান্টনমেন্টে যাবার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় বাঙালিরা।

শুধু এখানেই নয় নাসিরাবাদ, ষোলশহর, আগ্রাবাদ সহ আরও অনেক জায়গায় বসানো হয়েছে ব্যরিকেড। ২৪ তারিখ রাত থেকে সে সব সরানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইবিআরসি আর ৮ বেঙ্গলকে। বাঙালি অফিসাররা পাঞ্জাবি অধিনায়কের আদেশে সেসব জায়গায় গেলেও ব্যরিকেড সরানোর ব্যাপারে খুব একটা গা লাগাতে দেখা যায়নি কাউকে।

অধিনায়কের আদেশে ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান ১০ জন সৈনিক নিয়ে নাসিরাবাদ রেল ক্রসিংয়ে পৌঁছালেও, তাঁর নিরাসক্ত ভাব দেখে সৈনিকরাও নিষ্ক্রিয় হয়ে রইলো। তিনি ব্যারিকেড না সরানোর অজুহাত খুঁজতে খুঁজতে দেখলেন বগিগুলো একটির সাথে আরেকটি এমনভাবে লাগানো যে সামনের বা পিছনেরটি না সরিয়ে রেল ক্রসিঙের উপরেরটি সরানো সম্ভব না। সৈনিকদের ট্রেনের ওপর নজর রাখতে বলে ব্যাটালিয়নে ফিরে গিয়ে বললেন, যন্ত্রপাতি আর কারিগরী জ্ঞান না থাকায় তাঁর পক্ষে এই ব্যরিকেড সরানো সম্ভব না। অধিনায়কের পছন্দ হলো না তাঁর কথা। তিনি বললেন, “ইউ হ্যাভ জাস্ট কাম ব্যাক উইথ এ লেইম এক্সকিউজ! ওকে ইউ ফল ব্যাক উইথ য়োর ট্রুপস লেট মি সেন্ড সামোয়ান এলস”। এর পর মেজর মীর শওকত আলীকে পাঠানো হল, ব্যারিকেড সরাতে।

খালেকুজ্জামান ফিরে এসে, কিছুক্ষণ পর উপ অধিনায়কের অফিসে গেলেন। জিয়া সেখানে একা একা কাজ করছিলেন। খালেকুজ্জামানকে দেখে একটু খুশিই হলেন মনে হয়। ইশারায় চেয়ার দেখিয়ে একটি মুচকি হাসি দিয়ে বললেন, “সো ইউ কেইম ব্যাক উইথ এ লেইম এক্সিউজ”! সে কথার উত্তর না দিয়ে খালেক পাল্টা জিজ্ঞেস করলেন, “স্যার, হোয়াট’স গোয়িং টু হ্যাপেন?” ফাইল থেকে চোখ না তুলেই জিয়া বললেন, “লেটস ওয়েট এন্ড সি”।
বেলা ১টার দিকে ফাইল বন্ধ করে উঠলেন তিনি। বললেন, “সিও বলেছেন গার্ড চেক করতে চলো দেখে আসি কোথায় কী করছে ওরা”।

খালেকুজ্জামানকে নিয়ে একটি জীপে করে সরাসরি ক্যান্টনমেন্টের দিকে রওনা দিলেন তিনি। বায়েজিদ বোস্তামি রোডে ঢোকার মুখে নাসিরাবাদ রেল ক্রসিঙের উপর থেকে মালগাড়ির বগিটা ততক্ষণে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। খালেকুজ্জামানের একটু অভিমান হলো মীর শওকত আলীর উপর, তিনি জিয়াকে বললেন,
“দেখেছেন স্যার, ‘মেজর শওকত ক্লিয়ার করে দিয়েছেন!”
জিয়া বললেন, “His father used to serve in the Railway, that experience might have helped”.

25.png

বঙ্গবন্ধুর বাড়ি
একটু দূরে কোকাকোলার সামনে লেফটেন্যান্ট শমসের মুবিনের সাথে দেখা হলো। তাঁর খোঁজ খবর নিয়ে আবার এগিয়ে চললো জীপ। ক্যান্টনমেন্ট থেকে একই পথে ফিরে এসে নিউমার্কেট, কোর্ট হিল, আন্দরকিল্লা, চকবাজার হয়ে তারা ফিরে এলেন নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকায়। পথে অসংখ্য ব্যারিকেড সরাতে হলো নিজেদেরই। দুই এক জায়গায় বাঙালিরা কাছে এগিয়ে উঁকি দিলো জীপে। তাদের দেখে বেরিকেড সরানোর কাজে হাতও লাগালো দুই এক জন। বলল, “আমাদের জীপ”।

কেউ কেউ জিজ্ঞেস করলো, কী হতে যাচ্ছে। জিয়া খুব একটা কথা বললেন না। চকবাজারে দেখা হলো ছাত্রনেতা মোহাম্মাদ হোসেনের সাথে, চিটাগং কলেজে খালেকুজ্জামানের সহপাঠি ছিলেন তিনি। জিয়ার সাথে পরিচিত হয়ে খুশি হলেন তিনি। বললেন,
“যদি ওরা আক্রমণ করে আমরা কী করবো? স্যার, আপনারা আমাদের সাথে আছেন তো?”
জিয়া কথা বলছিলেন কম। শুনতে চাচ্ছিলেন বেশি। মুচকি হেসে বললেন, “ওয়েট এন্ড সি”। খালেকুজ্জামান বললেন, “ বন্ধু সময় হলে দেখবা। তবে তোমরা রেডি থেকো”। সিরাজুদ্দৌলা রোডে দেখা হলো, ছাত্রনেতা হারূন খানের সাথে। তাঁর সাথেও পরিচয় ছিলো খালেকুজ্জামানের। তিনি এগিয়ে এলেন গাড়ির দিকে। বললেন,
“আমরা কিন্তু রাজপথে আছি”। খালেকুজ্জামান হাসতে হাসতে বললেন, “তাতো দেখতেই পাচ্ছি”।
হারূন জিয়াকে বললেন, “স্যার আপনারা আমাদের লোক” জিয়া শুধু মুচকি হেসে মাথা নাড়লেন।
নাসিরাবাদে নামার সময় জিয়া বললেন,
“কী মনে হলো”?
খালেকুজ্জামান বললেন, “মাথায় কিছুই আসছেনা”।


ঢাকা

২৫ শে মার্চ সকাল সাড়ে এগারো। লেঃ কর্ণেল জহির আলম চীফ অব স্টাফের ওয়েটিং রুমে বসে বার বার ঘড়ি দেখছিলেন। কিউএমজি তাঁকে ওয়েটিং রুমে বসতে বলে ভিতরে ঢুকেছেন অনেকক্ষণ আগে। সেনাপ্রধানের সাথে এর আগে দু’একবার দেখা হয়েছে তাঁর কিন্তু সেটা না হবার মত। হয়তো তিনি কোন ভিজিটে এসেছেন, সেখানে শ’খানেক অফিসারের মধ্যে জেড এ খানও ছিলেন।

তিনি সেনাপ্রধানকে কি বলবেন মনে মনে সে সব গুছিয়ে নিচ্ছিলেন। তার মধ্যেও ফাক ফোকর দিয়ে ঢুকে পড়ছিলো রাও ফরমান আলীর চিন্তা। গতকাল রাও ফরমান আলীর খানের সাথে তিনি যা করেছেন ভালো করে লক্ষ্য করলে সেটা ইন সাবঅর্ডিনেশনের পর্যায়ে পড়ে।

একেবারে কোর্ট মার্শাল যোগ্য অপরাধ। রাও যে কত খানি ক্ষেপে আছেন তা বোঝা গেছে আজ সকালের আচরণে। সময়মত হেলিকপ্টার পাওয়া গেলে তিনি এতক্ষণ থাকতেন কুমিল্লায়। কর্ণেল আকবর যখন রাওকে বললেন, স্যার, ঘন্টা খানেকের আগে হেলিকপ্টার পাওয়া যাবেনা, তখন তাঁর চেহারা হয়েছিলো দেখার মত। মনে হচ্ছিলো রাও জহিরকে দৃষ্টি দিয়ে ভষ্ম করে দেবেন।বাঁচতে হলে মিঠার সাথে দেখা করতেই হবে। তিনি নতুন গভর্ণর জেনারেল টিক্কা খানের অফিসে। জহির টিক্কা খানের অফিসের দরজার দিকে তাকিয়ে বসে রইলেন। রাও ফরমান আলী আর তার মধ্যের তিক্ততা দু’জনের মধ্যে পর্দার মত ঝুলে রইলো।

মিনিট পনর পর মিঠা বের হওয়ার সাথে সাথে প্রায় লাফিয়ে ঘর থেকে বেরুলেন জহির। তারপর মিঠা তাকে গাড়িতে উঠিয়ে সেনা প্রধানের কাছে নিয়ে এসেছেন তাও প্রায় ঘন্টাখানেক।
26.jpg

জেড এ খানের পরিকল্পনা।
অবশেষে ডাক এলো লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল হামিদ খানের কাছ থেকে। কার্যত তিনি সেনাপ্রধান হলেও তার অফিসিয়াল এপয়েন্টমেন্ট পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভাইস চীফ। দু’বছর আগে আইয়ুব খানকে সরিয়ে যেদিন ইয়াহিয়া মসনদে বসলেন সেই একইদিনে আব্দুল হামিদ খান নিয়োগ পেলেন ভাইস চীফ হিসেবে।ইয়াহিয়া একাধারে কমান্ডার ইন চীফ, সেনা প্রধান ও রাষ্ট্রপতি ।তিনি স্বেচ্ছায় সরে না দাঁড়ালে হামিদ সাহেবকে ভাইস হিসেবেই থাকতে হবে।
জহির এতক্ষণ সেনা প্রধানের সাথে কথা বলার জন্যে মনে মনে যে সব প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তেমন কাজে লাগলো না। সেনাপ্রধান প্রথমে তাঁকে আগ্রহ নিয়ে দেখলেন। সরাসরি দু’একটা কথাও বললেন। তারপর তিনি ভাব বাচ্য ধরলেন। বেশির ভাগ কথা হলো সেনা প্রধান আর কিউএমজির মধ্যে।

জহিরের মনে হলো, মিঠা আগেই হামিদ খানকে ব্রিফ করেছেন। গাড়িতে আসার পথে তিনি মিঠাকে অপারেশন প্ল্যানসহ যা যা বলেছিলেন দেখা গেলো, ভাইস চীফ তার অনেক কিছুই জানেন। একটু পর হামিদ বললেন, গো এন্ড মিট জেনারেল রাও ফরমান আলী, আস্ক হিম হোয়াট ইউ ওয়ান্ট। বাট ক্যাচ হিম এলাইভ।

জহির বুঝলেন শেষের বাক্যাটা মুজিবের জন্যে বলা। তিনি বেড়িয়ে যাবার সময় সেনাপ্রধান তাঁকে নাম ধরে ডাকলেন, জহির! রিমাইন্ডিং য়ু এগেইন, ইফ মুজিব গেটস কিল্ড, য়ু’ল বি হেল্ড রেস্পন্সিবল।

এবার রাও ফরমান আলী প্রায় নির্লিপ্ত আচরণ করলেন। জেড এ খান বললেন, স্যার ইউনইটেড ব্যাংকের দু’টি কার নিয়ে আমরা ২৩ তারিখে রেকি করে দেখেছি, কমপক্ষে তিন প্লাটুন ট্রুপস ছাড়া এই অপারেশন সফল হবে বলে মনে হয়না।

মুজিবের বাড়ির চারদিকের ক্রাউড কন্ট্রোল করা ছাড়াও ইম্পর্ট্যান্ট একটা ব্যাপার হচ্ছে ওনার বাসার পাশের জাপানি ডিপ্লোম্যাটের বাসায় সার্ভিলেন্স বসানো। যদি মুজিব দেয়াল টপকে ওই বাসায় ঢুকে যান, তাহলে অপারেশন ওখানেই শেষ। ওই দিকটায় স্পেশাল নজরদারি করতে হবে। রোড ব্লক, কর্ডন, সার্চ এসবের জন্যে লোক লাগবে। সো মিনিমাম রিকয়রমেন্ট ৩ প্লাটুন। সেই সাথে ৩টি ট্রুপ্স ক্যারিং ট্রান্সপোর্ট।

রাও বললেন, এগুলো কোন সমস্যা নয়। বাট হাউ আর ইউ গোয়িং টু এক্সিকিঊট দ্যা প্ল্যান?
জেড এ খান দেখলেন সেই একই প্রশ্ন। গতকালের ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছিলো এই প্রশ্ন দিয়েই। জহির আজ আর মাথা গরম করলেন না। বললেন, আমি একটা প্ল্যান করেছি, মে আই ডিস্কাস দ্যাট?
রাও কোন উত্তর দিলেন, ‘না’।

জহির বললেন, দু’টো রোডব্লক হবে, মিরপুর রোড দিয়ে ধানমন্ডিতে ঢোকার মুখে মানে ধানমন্ডি – মোহাম্মাদপুর রোডের মাথায় একটি, আর এই রোডেরই আরও সামনে গিয়ে সেকেন্ড টার্নিং-এ একটি। মুজিবের বাড়ি যারা কর্ডন করবে তারা জাপানি ডিপ্লোমাটের বাড়ির সাথে মুজিবের বাড়ির যে ওয়াল সেটার দিকে খেয়াল রাখবে। শেখ যেন দেয়াল টপকে এদিকে আসতে না পারে। আর এক প্লাটুন টর্চ নিয়ে বাড়ির উপর তলা নিচতলা ভালোভাবে সার্চ করবে।
এতক্ষণে মুখ খুললেন রাও, আর তোমরা এসেম্বল হচ্ছো কোথায়?

– স্যার, এয়ার ফিল্ডের আউটার পেরিমিটারে এমএনএ হোস্টেলের দিকে এয়ার পোর্টের যে গেট আছে তার কাছে।
– দেন?
– আমরা এখান থেকে ন্যাশনাল এসেম্বলির সামনে দিয়ে আইয়ুব গেইট- মোহাম্মাদপুর হয়ে ধানমন্ডি যাবো।
– সাউন্ডস অল রাইট।
– স্যার, আ’ল ব্রিফ মাই অফিসার্স অন মডেল আফটার ইভনিং মিল। য়ু’ল নট মুভ আউট বিফোর নাইন থার্টি।
রাও কোন কিছুর সাথে দ্বিমত করলেন না।

তথ্য সূত্রঃ
১। আমীন আহমেদ চৌধুরি; স্মৃতিচারণঃ অগ্নিঝরা মার্চ ১৯৭১ সালের সেই উত্তাল দিনগুলো
২। Mahmudur Rahman Chowdhury; The 25/26 March 1971 revolt in Chittagong
৩। চৌধুরি খালেকুজ্জামান; সামরিক জীবনের স্মৃতি
৪। ব্রিগেডিয়ার মাহামুদুর রহমান মজুমদারের সাথে মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া ও লেখকের আলাপচারিতা ১৯৯৯
৫। Time: Flames of Freedom
৬। ZA Khan; The Way it Was


চলবে…
সিবিএন২৪–এ প্রকাশিত লেখকের আরও লেখা পড়তে তাঁর এই নামের ওপর ক্লিক করুন, সাইদুল ইসলাম
 
.

Pakistan Affairs Latest Posts

Back
Top Bottom