New Secret Intelligence Agency, “Intelligence Analysis Division” (IAD) Formed in Bangladesh.
Special Representative. Tailored as per Indian intelligence agency, “Research and Analysis Wing” (RAW), Bangladesh also has recently formed a new intelligence agency named as, “Intelligence Analysis Division” (IAD). Although India constitutes "RAW" to safeguard their interests at home and abroad, "IAD" has been formed in the same style of "RAW", however, with the mission to protect Sheikh Hasina and her personal interests.
Accordingly to the skeptics of other intelligence agencies of the country's, most of the new recruitment agencies in the country "IAD" are employed from a particular region of the country and belongs to a special religion and community. Every officer of the police force recruited in this organization is a former leader of Bangladesh Students League (BCL) and well-versed in terrorism and abduction procedure. The new spy agency "IAD" recruited new members amongst those who all earlier were successfully able to carry out kidnapping
and killing in different times. Already 42 such officers selected from "IAD", received two weeks' special training from a neighboring country
বিশেষ প্রতিনিধি।।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ এন্ড এনালাইসিস উইং “র” এর আদলে বাংলাদেশে গঠন করা হয়েছে “ইন্টেলিজেন্স এনালাইসিস ডিভিশন (আইএডি)। তবে ভারত দেশে-বিদেশে তাদের স্বার্থ রক্ষায় “র” গঠন করলেও “র” এর আদলে “আইএডি” গঠন করা হয়েছে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষায়, এমনটাই মনে করছেন দেশের অন্য গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা। সূত্রমতে, দেশে নতুন গুপ্তচর সংস্থা “আইএডি” তে নিয়োগ পাওয়া অধিকাংশই দেশের একটি বিশেষ অঞ্চল এবং বিশেষ ধর্ম ও জনগোষ্ঠীর। এই সংস্থায় নিয়োগ পাওয়া পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি কর্মকর্তা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং খুন সন্ত্রাসে পারদর্শী।
বিভিন্ন সময়ে যারা দক্ষতার সঙ্গে গুম খুন অপহরণ করতে পেরেছে তাদেরকে এই নতুন গুপ্তচর সংস্থা “আইএডি”তেআনা হয়েছে। এরইমধ্যে পার্শবর্তী দেশ থেকে “আইএডি”র বাছাই করা ৪২ জন কর্মকর্তাকে দুই সপ্তাহের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
Under the direct supervision of Sheikh Hasina and the Dhaka Metropolitan Police - DMP Commissioner Asaduzzaman Miah, IAD have been working actively round the clock, since the last few months. According to a detective official, apparently IAD is under DMP commissioner Asaduzzaman Miah, however the control of this spy agency's outlet is somewhere else. The members of this organization have been given enormous powers and facilities. Maximum logistic support and financial support. Their work is to collect information on foreign diplomats, specific individuals, organizations, political parties and various religious groups and collect relevant information and undertake counter-intelligence measures related to working in Dhaka. Keep an eye on selected individual and organizations, secretly, with the aim to create panic among the voters and to abduct and forceful disappearance, for creating a favorable political climate for Sheikh Hasina and Awami League.
শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ- ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়ার
পরিকল্পনায় গত কয়েকমাস থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করেছে “আইএডি”র সদস্যরা। একধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তার মতে, দৃশ্যত: ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া থাকলেও এই গুপ্তচর সংস্থার নাটাই অন্যখানে। এই সংস্থার সদস্যদের দেয়া হয়েছে বিপুল ক্ষমতা ও সুযোগ সুবিধা। সর্বোচ্চ লজিস্টক সাপোর্ট এবং আর্থিক সহায়তা। এদের কাজ হলো, ঢাকায় কর্মরত বৈদেশিক কূটনীতিক, নির্দিষ্ট ব্যক্তি, সংস্থা, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন ধর্মীয় দল এবং কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কিত নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা। ব্যাক্তি ও সংস্থা কিংবা সংগঠনের বিরুদ্ধে গোপনে নজরদারি বা খবরদারি করা। ভোটারদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করা এবং শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের স্বার্থে গুম খুন অপহরণ কিংবা প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা।
During the last few months’ performance of IAD, Sheikh Hasina is pleased, however, other intelligence agencies are dissatisfied. Many of the law enforcer’s views these excess of IAD's activities as against the people of the Country. According to secret report other from a special intelligence agency states, that due to such anti people activities of IAD, "meanwhile, the law enforcement officers are held responsible for these activities.
আইএডি’র গত কয়েকমাসের কার্যক্রমে শেখ হাসিনা খুশি হলেও অসন্তোষ বিরাজ করছে অন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেকেই আইএডি’র কাজের ধরণকে নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি বলে মনে করছেন। একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার নিজেদের মধ্যকার একটি গোপন রিপোর্টে বলা হয় “নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে আইএডি’র কার্যক্রমের দায় পড়ছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর উপর”
Meanwhile, at least two intelligence officials stated that the "IAD" was created as; Sheikh Hasina was displeased and does not believe in few of the activities of other intelligence agencies. During the past year, at least two detailed reports on the political situation of the country, were handed over to Sheikh Hasina, by two different intelligence agencies These reports were not welcoming news for the Awami League or Sheikh Hasina. Both the reports stated that there is no possibility for Awami League to be re elected and return to power during the forthcoming elections, moreover, it was not possible for the law enforcing agencies to assist Sheikh Hasina to cling on/retain her powers, nor can they be held responsible.
এদিকে “আইএডি ” গঠন সম্পর্কে কমপক্ষে দু’জন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলছেন, গোয়েন্দা সংস্থার কিছু কার্যক্রমে শেখ হাসিনা আস্থা রাখতে পারছেন না। কারণ গত এক বছরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর কমপক্ষে দু’টি বিস্তারিত রিপোর্ট শেখ হাসিনাকে দিয়েছে দু’টি গোয়েন্দা সংস্থা। একটি রিপোর্টেও আওয়ামীলীগের জন্য সুখবর ছিলোনা। দু’টো রিপোর্টেই বলা হয়েছে, কোনোভাবেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবেনা। এমনকি আগামী নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব নেবেনা।
Names of many police officers were mentioned in the intelligence reports and that numerous RABs and police officers were reluctant to take participate in the abductions process. The Intelligence reports also mentioned that, numerous RABs and Police officers, fearing for the safety and security of their and members of the family and their future, have been reluctant to undertake torture and assault cases for abduction of citizens.
গোয়েন্দা রিপোর্টে অনেক পুলিশ কর্মকর্তার নামোল্লেখ করে বলা হয়, গুম খুন অপহরণে অংশ নিতে অনেক র্যাব কিংবা পুলিশ কর্মকর্তা অনীহা প্রকাশ করছেন। এমনকি অনেক র্যাব কিংবা পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের পরিবার থেকেও ভবিষ্যতে তাদের সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবে নাগরিকদের উপর গুম খুন অপহরণ নির্যাতন ও হামলা মামলা না করার জন্য বলা হয়েছে বলেও গোয়েন্দা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।
Under these circumstances, Sheikh Hasina had to create a new intelligence agency for her own interests, who would work directly for her interests, without obliging to the rule of law the state. However, intelligence analysts fear that for the purpose that Sheikh Hasina constituted "IAD", could backfire, and be just the reverse..
এই পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা নিজের স্বার্থে একটি গোয়েন্দা সংস্থা গঠন করেছেন যারা রাষ্ট্রীয় আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে সরাসরি তার স্বার্থেই কাজ করবে। তবে গোয়েন্দা বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ হাসিনা যে উদ্দেশ্য নিয়ে “আইএডি” গঠন করেছেন এটি তার জন্য শেষ পর্যন্ত হিতে বিপরীত হতে পারে।
The reason being, National and military civil intelligence Agencies, of the country perceives that, "IAD's activities are against the interests of the country. Even rumors are rife amongst the intelligence communities that, "IAD" is functioning as the “B Team” of "RAW", and their agenda is among the country's intelligence agencies. Conflicts between powers and authority of state intelligence agencies are becoming increasingly apparent. As a result, till the end, Sheikh Hasina may be able to achieve the interests of the IAD, as perceived by these agencies.
কারণ দেশে জাতীয় এবং সামরিক বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোই “আইএডি’র জর্জক্রমকে দেশের স্বার্থবিরোধী বলে মনে করছে। এমনকি “র” এর বি টিম হিসেবে “আইএডি” কাজ করছে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে এমন কানাঘুষাও রয়েছে। ক্ষমতা ও কতৃত্ব নিয়ে রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্বও ক্রমশঃই প্রকট হয়ে উঠছে। ফলে শেষ পর্যন্ত আইএডি দিয়ে শেখ হাসিনা স্বার্থ হাসিল করতে পারবেন বলেই মনে করেন গোয়েন্দারা।
The recent incident relating to the eminent columnist & social thinker Farhad Mazhar, has created a new discomfort among the intelligence agencies, as to why he was kidnapped, to serve whose interest, by which intelligence agency of the country.
সম্প্রতি কলামিষ্ট সমাজ চিন্তক ফরহাদ মজহারকে দেশের কোন গোয়েন্দা সংস্থা, কার স্বার্থে, কেন অপহরণ করেছিল এ নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে নতুন করে অস্বস্তির সৃষ্টি হয়েছে।
On Monday (July 3rd), in the Capital of Dhaka, he was abducted and rescued in the noon of the same day from Noapara in Jessore. Even, the Home Minister Asaduzzaman Khan stated to Dainik Prothom Alo on Tuesday (July 4th) that the kidnapping of Farhad Mazhar , "It is not a minor issue. He was not only with his family on Monday, due to the enthusiastic law enforcers and army officers on this issue. If someone had crossed the border or used to go over it, we wonder how grave the situation could be. "
সোমবার (৩রা জুলাই) ভোরে রাজধানী ঢাকা থেকে অপহৃত হয়ে একইদিন রাত সাড়ে এগারোটায় যশোরের নোয়াপাড়া থেকে উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে এখনো নানামহলে চলছে আলোচনা সমালোচনা। খোদ ব্যাংক ডাকাত সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দৈনিক প্রথম আলোর কাছে ফরহাদ মজহারের অপহরণ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা কোনো ছোট বিষয় নয়। গত সোমবার শুধু তাঁর পরিবার নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ অনেকেই বিষয়টি নিয়ে উদ্গ্রীব ছিলেন। যদি কেউ তাঁকে সীমান্ত পার করে দিতেন বা তিনি ওপার চলে যেতেন, তবে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হতো, তা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে”।
The Home Minister's statement proves that it is possible to transport a citizen across the border from this country, proving the RAW; the Indian intelligence agency is active within the country. It is also proven that Sheikh Hasina's spy agency created from a particular region and on special religions criteria, is not working to protect its own interests. Moreover, the intelligence agencies of the country have expressed their concern to the home minister about the procedure of illegally abducting and transporting accross the border.
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ কথায় প্রমাণিত হয় দেশ থেকে কোনো নাগরিককে সীমান্ত পার করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব, প্রমাণিত হয় দেশে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা “র” তৎপর। প্রমাণিত হয় একটি বিশেষ অঞ্চলের এবং বিশেষ ধর্ম ও জনগোষ্ঠী দিয়ে তৈরী শেখ হাসিনার গুপ্তচর সংস্থা নিজ দেশের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছেনা। এ কারণে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোই নয় খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও দেশের নাগরিকদের সীমান্ত পার করে নিয়ে যাওয়া সম্পর্কে উদ্বেল প্রকাশ করেছেন।
Meanwhile, control over intelligence agencies by Sheikh Hasina’s administration are comparatively decreasing as the national elections approaches. Many of Sheikh Hasina's plans are being leaked that "Awami League will not be able to come to power in the next election".
এদিকে জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই শেখ হাসিনার প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ তুলনামূলকভাবে কমে এসেছে। ফাঁস হয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার অনেক পরিকল্পনা। “আওয়ামীলীগ আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনোভাবেই ক্ষমতায় আসতে পারবেনা”শেখ হাসিনার ব্যাংক ডাকাত সরকারের জন্য বিব্রতকর এইসব রিপোর্ট বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে জানাজানি হয়ে গেলে পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার বাধ্য হয়ে একটি চিঠি ইস্যু করে।
The leaked reports being known by various detective agencies and law enforcement agencies embarrassed the Government, thus, forcing the same to issue an official letter. On May 15, 2017, Cabinet Division Secretary Mohammad Shafiul Alam on his own official letter pad, issued a letter addressed to all Intelligence Agencies, Secretaries and Secretaries of his own department, Ministries, Departments and other Directorates were cautioned and the guidance letter instructed that ,
‘আপনার মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ও আওতাধীন দফতর/সংস্থায় উল্লিখিত বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে যেকোনো গোয়েন্দা সংস্থার গোপনীয় প্রতিবেদন অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণে আপনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি।
"Your ministry and department and agencies, as stated in this subject mentioned, should realize the importance of this intelligence confidential report and should be extremely cautious and careful and implement appropriate procedures. Your personal intervention and incentives are expected.
চলতি বছরের ১৫ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম তার নিজস্ব প্যাডে সকল সচিব এবং গোয়েন্দা বিভাগের প্মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য দফতরগুলোকে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে,
চিঠি পাঠানোর কথা স্বীকার করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘এই চিঠিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সচিবদের মাধ্যমে দফতরগুলোকে এ বিষয়ে সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে
“র” এর আদলে শেখ হাসিনার নতুন গুপ্তচর সংস্থা “আইএডি”
- ৫ জুলাই ২০১৭
বিশেষ প্রতিনিধি।।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ এন্ড এনালাইসিস উইং “র” এর আদলে বাংলাদেশে গঠন করা হয়েছে “ইন্টেলিজেন্স এনালাইসিস ডিভিশন (আইএডি)। তবে ভারত দেশে-বিদেশে তাদের স্বার্থ রক্ষায় “র” গঠন করলেও “র” এর আদলে “আইএডি” গঠন করা হয়েছে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষায়, এমনটাই মনে করছেন দেশের অন্য গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা। সূত্রমতে, দেশে নতুন গুপ্তচর সংস্থা “আইএডি” তে নিয়োগ পাওয়া অধিকাংশই দেশের একটি বিশেষ অঞ্চল এবং বিশেষ ধর্ম ও জনগোষ্ঠীর। এই সংস্থায় নিয়োগ পাওয়া পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি কর্মকর্তা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং খুন সন্ত্রাসে পারদর্শী।
বিভিন্ন সময়ে যারা দক্ষতার সঙ্গে গুম খুন অপহরণ করতে পেরেছে তাদেরকে এই নতুন গুপ্তচর সংস্থা “আইএডি”তেআনা হয়েছে। এরইমধ্যে পার্শবর্তী দেশ থেকে “আইএডি”র বাছাই করা ৪২ জন কর্মকর্তাকে দুই সপ্তাহের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ- ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়ার
পরিকল্পনায় গত কয়েকমাস থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করেছে “আইএডি”র সদস্যরা। একধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তার মতে, দৃশ্যত: ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া থাকলেও এই গুপ্তচর সংস্থার নাটাই অন্যখানে। এই সংস্থার সদস্যদের দেয়া হয়েছে বিপুল ক্ষমতা ও সুযোগ সুবিধা। সর্বোচ্চ লজিস্টক সাপোর্ট এবং আর্থিক সহায়তা। এদের কাজ হলো, ঢাকায় কর্মরত বৈদেশিক কূটনীতিক, নির্দিষ্ট ব্যক্তি, সংস্থা, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন ধর্মীয় দল এবং কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কিত নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা। ব্যাক্তি ও সংস্থা কিংবা সংগঠনের বিরুদ্ধে গোপনে নজরদারি বা খবরদারি করা। ভোটারদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করা এবং শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের স্বার্থে গুম খুন অপহরণ কিংবা প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা।
আইএডি’র গত কয়েকমাসের কার্যক্রমে শেখ হাসিনা খুশি হলেও অসন্তোষ বিরাজ করছে অন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেকেই আইএডি’র কাজের ধরণকে নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি বলে মনে করছেন। একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার নিজেদের মধ্যকার একটি গোপন রিপোর্টে বলা হয় “নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে আইএডি’র কার্যক্রমের দায় পড়ছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর উপর”। এদিকে “আইএডি ” গঠন সম্পর্কে কমপক্ষে দু’জন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলছেন, গোয়েন্দা সংস্থার কিছু কার্যক্রমে শেখ হাসিনা আস্থা রাখতে পারছেন না। কারণ গত এক বছরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর কমপক্ষে দু’টি বিস্তারিত রিপোর্ট শেখ হাসিনাকে দিয়েছে দু’টি গোয়েন্দা সংস্থা। একটি রিপোর্টেও আওয়ামীলীগের জন্য সুখবর ছিলোনা। দু’টো রিপোর্টেই বলা হয়েছে, কোনোভাবেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবেনা। এমনকি আগামী নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব নেবেনা। গোয়েন্দা রিপোর্টে অনেক পুলিশ কর্মকর্তার নামোল্লেখ করে বলা হয়, গুম খুন অপহরণে অংশ নিতে অনেক র্যাব কিংবা পুলিশ কর্মকর্তা অনীহা প্রকাশ করছেন। এমনকি অনেক র্যাব কিংবা পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের পরিবার থেকেও ভবিষ্যতে তাদের সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবে নাগরিকদের উপর গুম খুন অপহরণ নির্যাতন ও হামলা মামলা না করার জন্য বলা হয়েছে বলেও গোয়েন্দা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।
এই পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা নিজের স্বার্থে একটি গোয়েন্দা সংস্থা গঠন করেছেন যারা রাষ্ট্রীয় আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে সরাসরি তার স্বার্থেই কাজ করবে। তবে গোয়েন্দা বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ হাসিনা যে উদ্দেশ্য নিয়ে “আইএডি” গঠন করেছেন এটি তার জন্য শেষ পর্যন্ত হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ দেশে জাতীয় এবং সামরিক বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোই “আইএডি’র জর্জক্রমকে দেশের স্বার্থবিরোধী বলে মনে করছে। এমনকি “র” এর বি টিম হিসেবে “আইএডি” কাজ করছে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে এমন কানাঘুষাও রয়েছে। ক্ষমতা ও কতৃত্ব নিয়ে রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্বও ক্রমশঃই প্রকট হয়ে উঠছে। ফলে শেষ পর্যন্ত আইএডি দিয়ে শেখ হাসিনা স্বার্থ হাসিল করতে পারবেন বলেই মনে করেন গোয়েন্দারা।
সম্প্রতি কলামিষ্ট সমাজ চিন্তক ফরহাদ মজহারকে দেশের কোন গোয়েন্দা সংস্থা, কার স্বার্থে, কেন অপহরণ করেছিল এ নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে নতুন করে অস্বস্তির সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (৩রা জুলাই) ভোরে রাজধানী ঢাকা থেকে অপহৃত হয়ে একইদিন রাত সাড়ে এগারোটায় যশোরের নোয়াপাড়া থেকে উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে এখনো নানামহলে চলছে আলোচনা সমালোচনা। খোদ ব্যাংক ডাকাত সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দৈনিক প্রথম আলোর কাছে ফরহাদ মজহারের অপহরণ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা কোনো ছোট বিষয় নয়। গত সোমবার শুধু তাঁর পরিবার নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ অনেকেই বিষয়টি নিয়ে উদ্গ্রীব ছিলেন। যদি কেউ তাঁকে সীমান্ত পার করে দিতেন বা তিনি ওপার চলে যেতেন, তবে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হতো, তা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে”। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ কথায় প্রমাণিত হয় দেশ থেকে কোনো নাগরিককে সীমান্ত পার করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব, প্রমাণিত হয় দেশে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা “র” তৎপর। প্রমাণিত হয় একটি বিশেষ অঞ্চলের এবং বিশেষ ধর্ম ও জনগোষ্ঠী দিয়ে তৈরী শেখ হাসিনার গুপ্তচর সংস্থা নিজ দেশের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছেনা। এ কারণে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোই নয় খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও দেশের নাগরিকদের সীমান্ত পার করে নিয়ে যাওয়া সম্পর্কে উদ্বেল প্রকাশ করেছেন।
এদিকে জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই শেখ হাসিনার প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ তুলনামূলকভাবে কমে এসেছে। ফাঁস হয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার অনেক পরিকল্পনা। “আওয়ামীলীগ আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনোভাবেই ক্ষমতায় আসতে পারবেনা” শেখ হাসিনার ব্যাংক ডাকাত সরকারের জন্য বিব্রতকর এইসব রিপোর্ট বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে জানাজানি হয়ে গেলে পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার বাধ্য হয়ে একটি চিঠি ইস্যু করে। চলতি বছরের ১৫ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম তার নিজস্ব প্যাডে সকল সচিব এবং গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানদের কাছে এই চিঠি পাঠান।
সচিবদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, ডাইরেক্টর জেনারেল অব ফোর্সেস ইনটেলিজেন্স (ডিজিএফআই), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থাসহ (এনএসআই) অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কার্যে নিয়োজিত থেকে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে থাকে।
গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক সরবরাহকৃত তথ্য দেশ পরিচালনায় নীতি- নির্ধারণী পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সকল অতিগোপনীয় তথ্য সিলগালাকৃত খামে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করা হয়, যাতে উক্তরূপ তথ্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ ব্যতিরেকে অন্য কারো কাছে প্রকাশিত না হয়।’
বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বেসামরিক প্রশাসনের সম্পর্কের অবনতির বিবরণ দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের স্বাক্ষর করা ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি মহাপরিচালক, ডিজিএফআই কর্তৃক প্রেরিত আধা-সরকারি পত্র মারফত জানা যায় যে, গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের গোপনীয়তা অনেক সময় রক্ষিত হচ্ছে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের বরাতসূত্র উল্লেখ করা হয়, এমনকি উক্তরূপ প্রতিবেদনের ছায়ালিপিও কার্যার্থে সরবরাহ করা হয়, যা অনাকাঙ্ক্ষিতত।’
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের কাজের ফলে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের সম্পর্কের অবনতি ঘটছে এবং মাঠপর্যায়ে গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।’
মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য দফতরগুলোকে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনার মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ও আওতাধীন দফতর/সংস্থায় উল্লিখিত বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে যেকোনো গোয়েন্দা সংস্থার গোপনীয় প্রতিবেদন অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণে আপনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি।’
চিঠি পাঠানোর কথা স্বীকার করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘এই চিঠিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সচিবদের মাধ্যমে দফতরগুলোকে এ বিষয়ে সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে।’
http://dailybdtimes.com/2017/07/05/র-এর-আদলে-শেখ-হাসিনার-নতুন/