What's new

Why neighbours dislike or suspect India

সমালোচনায় ‍যিনি ভারতকে খাঁড়া বাঁশ দিতে ও ভূল করেন না


Published on Jun 11, 2017
New Bangla Talk- show: সমালোচনায় ‍যিনি ভারতকে খাঁড়া বাঁশ দিতে ও ভূল করেন না
 
Part # 1
(Copied)
Indian Blue Print and the Mujib Nagar Government

ভারতীয় নীল নকশা এবং মুজিব নগর সরকার


আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীন taking full advantage of the internal divisions and struggle for power within the Awami League ক্ষমতার লড়াই এর পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করে ভারতীয় সরকার এবং গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’- Indian Intelligence Agency-RAW implemented the “Divide and Rule policy” ‘ডিভাইড এন্ড রুল’ নীতি প্রয়োগ করে প্রধানমন্ত্রী between the Prime Minister and the Commander in Chief of Bangladesh Armed Forces, lowering the dignity of both এবং সর্বাধিনায়ক দু’জনকেই হেয় করে তোলা হয়।
Suddenly, Mr. Tajuddin was made theতাজুদ্দিনের হঠাৎ করে Prime Minister of the Exiled Government প্রবাসী সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা আওয়ামী লীগের অনেকেই পছন্দ করেনি। তাদের মধ্যে ছিলেন যুব ও ছাত্রনেতাদের অনেকেই। অনেক সাংসদ এবং আওয়ামী লীগের নেতারাও এর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ বিরোধিতা করেছিলেন।
Many Awami Leagues did not like the creation of the expatriate government and Tajuddin being made as the Prime Minister. Many of them were young and student leaders including MP's and Awami League leaders also opposed these both, directly and indirectly.

Sheikh Fazlul Haque Moni, Sirajul Alam Khan, Shahjahan Siraj, Nure Alam Siddiqui and Abdul Kuddus Makhan, among others, opposed the move by Tajuddin. Mr. Abdur Rab Serniabat, Sheikh Abdul Aziz, Mansur Ali, Mr. Nazrul Islam and others were instrumental in helping them indirectly.

Regarding, accepting Mr Tajuddin's as the Prime Minister General Arora remarked, "The youths of the Awami League didn't like him." (General Arora's interview given to Nikhil Chakrabarty under the titled “Bangladesh's War Memorial”.)

In general, many young citizens thought that that Sheikh Mujib was not alive. In the absence of Mujibur Rahman, Mr.Tajuddin would not follow Mujib’s influence. If Sheikh Mujib was present, then all the youth and student leaders would have been able to establish their authority in the freedom struggle very easily. However, Tajuddin was viewing their contributions in an indifferent way and was replying to them with on a different tone.
শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান, শাহ্‌জাহান সিরাজ, নুরে আলম সিদ্দিকী এবং আব্দুল কুদ্দুস মাখন প্রমুখ যুব ও ছাত্রনেতারা সবাই প্রকাশ্যে তাজুদ্দিনের এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন। তাদের পরোক্ষভাবে মদদ যোগাচ্ছিলেন জনাব আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, শেখ আবদুল আজিজ, মনসুর আলী, জনাব নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
জনাব তাজুদ্দিনের প্রধানমন্ত্রীত্বের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে জেনারেল অরোরার মন্তব্য, “আওয়ামী লীগের যুবনেতারা তাকে পছন্দ করত না।” (বাংলাদেশের যুদ্ধের স্মৃতিচারন শিরোনামে নিখিল চক্রবর্ত্তীকে দেয়া জেনারেল অরোরার সাক্ষাৎকার।)

সাধারণভাবে যুবনেতাদের অনেকেই সেদিন ভেবেছিলেন শেখ মুজিব আর জীবিত নেই। মুজিবর রহমানের অবর্তমানে তাজুদ্দিন তাদের প্রভাবকে তেমন একটা মেনে চলবেন না। শেখ মুজিব কাছে থাকলে এ সমস্ত যুব এবং ছাত্রনেতারা স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের কর্তৃত্ব অতি সহজেই স্থাপন করতে সক্ষম হতেন। কিন্তু তাজুদ্দিন তাদের সাথে অন্য সুরে কথা বলছেন।

তাদের হাতে ক্রিয়াণক হয়ে সংগ্রামের সব নেতৃত্ব তাদের হাতে ছেড়ে দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। তাদের সংগ্রামী ভূমিকাকেও ছোট করে দেখছেন জনাব তাজুদ্দিন।

The P.M. was completely ignoring the opinion of the youths and student leaders in leading the Government. Tajuddin's cremation would not be the end, also due to Tajuddin being the Head of Government; their facilities were also being discontinued.

Tajuddin ignored the relatives of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, without giving them proper status as his relatives. Ignoring them was indirectly ignoring Sheikh Mujibur Rahman.

Therefore, at any cost Tajuddin must be removed as the Prime Minister, and pave the path to the youthsto retain power. According to this plan, some youths and student leaders led by Sheikh Moni and Sirajul Alam Khan met with Indian Prime Minister Mrs. Indira Gandhi and told her that she was the only trusted friend of Sheikh Mujibur Rahman.

তাজুদ্দিন সরকার পরিচালনায় যুব ও ছাত্রনেতাদের মতামত তিনি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে চলেছেন। তাজুদ্দিনের ধৃষ্টতার শেষ নেই। তিনি সরকার প্রধান থাকার কারণে তাদের সুযোগ-সুবিধাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আত্মীয়-স্বজনকেও যথাযথ মর্যাদা দান না করে তাদের উপেক্ষা করেছেন। তাদের উপেক্ষা করা, পরোক্ষভাবে শেখ মুজিবকেই উপেক্ষা করার সমতুল্য।

Mr. Tajuddin hands were been behind the arrest of Sheikh Mujib in the hands of the Pakistan army. Before his arrest, Sheikh Mujib ordered his followers to wage out the struggle for independence with the help of the Indian government.

Most of the Awami League and the provincial MPs who came from Bangladesh also had not supported Mr. Tajuddin. In this situation, Tajuddin had no right to remain as the Prime Minister. In support of their statement, they handed over a letter to Md. Abdur Rab, the brother-in-law of Mujibur Rahman, addressed to Ms. Indira Gandhi and the letter was presented by Sheikh Kamal, the eldest son of Sheikh Mujib.

They also informed Mrs. Gandhi that if Tajuddin continued as the Prime Minister of an independent Bangladesh, India's interests will be affected as Mr. Tajuddin would not implement Sheikh Mujib's ideology.

In this context, for the interest of the both the parties, they requested Mrs. Gandhi to arrange training for Mujib devotees from Bangladesh and their loyal youth under their leadership. They said that only by developing this kind of power could it be possible to maintain a meaningful relationship between Bangladesh and India, even after Independence. Otherwise, the Awami League government would soon become a victim of the intrigues of anti Indian’s elements from within itself.

Most of the Awami League and the provincial MPs who came from Bangladesh also had not supported Mr. Tajuddin. In this situation, Tajuddin had no right to remain as the Prime Minister. In support of their statement, they handed over a letter to Md. Abdur Rab, the brother-in-law of Mujibur Rahman, addressed to Ms. Indira Gandhi and the letter was presented by Sheikh Kamal, the eldest son of Sheikh Mujib.

They also informed Mrs. Gandhi that if Tajuddin continued as the Prime Minister of an independent Bangladesh, India's interests will be affected as Mr. Tajuddin would not implement Sheikh Mujib's ideology.
অতএব, যে কোন মূল্যে তাজুদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে অপসারন করতে হবে। মেতে উঠলেন তারা এক ক্ষমতা লাভের চকক্রান্তে। পরিকল্পনা অনুযায়ী শেখ মনি ও সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে কয়েকজন যুব ও ছাত্রনেতা দিল্লী গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে তাকে জানান যে তারা শেখ মুজিবর রহমানের অত্যন্ত বিশ্বাসভাজন।

পাক বাহিনীর হাতে শেখ মুজিবের গ্রেফতারের পেছনে জনাব তাজুদ্দিনের হাত রয়েছে। গ্রেফতারের আগে শেখ মুজিব তাদের সে কথা জানিয়ে তাদেরকে ভারত সরকারের সহায়তায় স্বাধীনতার সংগ্রাম পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়ে যান।

জনাব তাজুদ্দিনের উপর বাংলাদেশ থেকে আগত বেশিরভাগ আওয়ামী লীগ জাতীয় এবং প্রাদেশিক সাংসদদের সমর্থনও নেই। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীত্ব করার কোন অধিকার নেই তাজুদ্দিন সাহেবের। তাদের বক্তব্যের সমর্থনে তারা মুজিবর রহমানের ভগ্নিপতি জনাব আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের একটি চিঠি শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে প্রদান করেন এবং শেখ মুজিবের জেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালকে তার সম্মুখে উপস্থিত করেন।

তারা শ্রীমতি গান্ধীকে এ কথা বলেও হু্ঁশিয়ার করে দেন যে তাজুদ্দিন যদি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকেন তবে ভারতের স্বার্থও ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কারণ জনাব তাজুদ্দিন শেখ মুজিবের নীতি আদর্শ কিছুতেই বাস্তবায়িত করবেন না।

এই পরিপ্রেক্ষিতে দু’পক্ষের স্বার্থে তাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে আগত মুজিব ভক্ত এবং তাদের অনুগত তরুণদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করার জন্য তারা শ্রীমতি গান্ধীর কাছে আবেদন জানান। তারা বলেন, শুধুমাত্র এ ধরণের শক্তি গড়ে তোলার মাধ্যমেই স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ এবং বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের মধ্যে অর্থবহ সম্পর্ক বজিয়ে রাখা সম্ভব। তা না হলে অচিরেই ভারত বিদ্বেষীদের চক্রান্তের শিকারে পরিণত হবে আওয়ামী লীগ সরকার।

তাদের এ অনুরোধ সাগ্রহে গ্রহণ করেন শ্রীমতি গান্ধী। সুদূর প্রসারী নীল নকশার কথা চিন্তা করেই Divide and Rule নীতির প্রয়োগের জন্য BLF বিএলএফ পরবর্তিতে নাম বদলিয়ে মুজিব বাহিনীর সৃষ্টি করে সেকেন্ড ফ্রন্ট খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এভাবেই সৃষ্টি করা হয়েছিল বিএলএফ ওরফে মুজিব বাহিনী
Mrs. Gandhi took this request into high consideration, anticipating the far-reaching implications of the Indian blue print, thus, the BLF or Mujib Bahani was created, exclusively for the use of the “Divide and Rule” policy and the decision to open a second front was incorporated by creating the Mujib force. These were the factors behind raising the BLF, commonly known as “Mujib Bahini”.

When this decision was informed to theC in C, Mr. Osmani, in turn informed Mr. Tajuddin, the Prime Minister, Mr. Tajuddin, raised these issues with the Indian government in New Delhi and demanded to redress these issues. However, Mr. Haksar, Mr. D.P Dhar along with Ramnath Rao and General Oban of RAW and General Wan Singh kept silent and avoided Mr. Tajuddin.

Col. Osmani was informed about these new developments, and stated what Mr. Tajuddin said. later everyone concerned came to know the narration from Col. Osmani. In the next phase, Colonel Osmani tried his level best to bring Mujib Bahini under the control of Forces Headquarters of the expatriate Bangladesh government. However, all his efforts were futile. Colonel Osmani was forced to accept the Indian decision to create the BLF or Mujib Bahini.

এ তথ্যগুলোও জনাব ওসমানীকে জান, তিনি সেগুলো জনাব তাজুদ্দিনকে জানান। প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজুদ্দিন নাকি এ সমস্ত প্রশ্ন নিয়ে দিল্লীতে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং এর প্রতিবিধানের দাবি জানান। কিন্তু জনাব হাকসার, ডিপিধর, ‘র’ Ramnath Rao and General Oban of RAWএর রমানাথ রাও এবং জেনারেল ওবান সিং এ ব্যাপারে তাজুদ্দিনকে এড়িয়ে গিয়ে নিরব থাকেন।
ফিরে এসে কর্নেল ওসমানীকে সে কথাই বলেছিলেন জনাব তাজুদ্দিন। পরে কর্নেল ওসমানীর কাছ থেকে তার ব্যাখ্যা জানতে পারি। পরবর্তী পর্যায়ে মুজিব বাহিনীকে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের ফোর্সেস হেডকোয়টার্স এর নিয়ন্ত্রণে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন কর্নেল ওসমানী। কিন্তু তার কোন চেষ্টাই ফলপ্রসু হয়নি। নিতান্ত অপারগ হয়েই কর্নেল ওসমানীকে বিএলএফ তথা মুজিব বাহিনী সৃষ্টি করার ভারতীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হয়।

With the assistance of the Indian intelligence, F.F, Captain Jalil became aware of the secret contacts, which the Indians were maintaining with the other officers of the Eastern Command, located at Fort William.
The Indian government not only controlled the exile government along with the Liberation Army's headquarters but also regulated the freedom struggle and the political progress of Bangladesh; moreover, they were also trying to develop relations with powerful commanders.

Brilliantly, they crafted an incompatible tussle between Tajuddin's and the expatriate government and kept him under severe pressure, thus, forcing him to remain under the Indian control.
On the other hand, in the same manner the C in C of the Mujibnagar government and freedom fighter, Mr. Osmani, was also restricted to exercise his authority. Colonel Osmani was extremely humiliated for these reasons thus, Colonel Osmani was also side tracked. However, his position was firm and clear.

ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর সহায়তায় ক্যাপ্টেন জলিলের ফোর্ট উইলিয়ামের পূর্বাঞ্চলীয় হেডকোয়াটার্সের কর্মকর্তাদের সাথে গোপন যোগাযোগ থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে উঠল।
ভারতীয় সরকার শুধুমাত্র প্রবাসী সরকার এবং মুক্তি বাহিনীর সদর দপ্তরের মাধ্যমেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং রাজনৈতিক গতিধারাকে নিয়ন্ত্রণ করছিল তা নয়, তারা ক্ষমতাধর কমান্ডারদের সাথেও সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছিল।

অত্যন্ত চতুরতার সাথে তারা তাজুদ্দিনের প্রবাসী সরকারের মধ্যে অর্ন্তদ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে তাকেও দুর্বল করে চাপের মুখে রাখছিল যাতে তিনি তাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকতে বাধ্য হন।
অপরদিকে মুজিবনগর সরকার ও মুক্তিযোদ্ধের সর্বাধিনায়ক জনাব ওসমানীর মধ্যেও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে কর্নেল ওসমানীর ক্ষমতা সীমিত করে রাখা হচিছল একইভাবে। কর্নেল ওসমানীকে সাইড ট্র্যাক করে প্রবাসী সরকার ও ভারতীয় কর্তৃপক্ষের এ ধরণের কার্যকলাপে কর্নেল ওসমানী অতি যুক্তিসঙ্গত কারণেই ভীষণভাবে অপমানিত বোধ করছিলেন। তার বক্তব্য ছিল পরিষ্কার।
The Bengali nation was grateful for the fact that India had agreed to assist us in humanitarian causes according to their statement regarding Bangladesh's independence struggle, just as a good friend.
The glorious liberation struggle was the struggle of the eight crore Bengalis of East Bengal in their own freedom struggle.The FF’S had to organize their struggle in exchange for any kind of sacrifices; the FF’S also had to achieve their national independence, directly under the leadership and responsibilities under the command of the Liberation Army and the exiled Bangladesh government.

Mr. Osmani never compromised on these basic policy issues. There were a lot of debate with the leadership of the then exiled government on these matters. Anyways, most of the leaders of the Awami League and the Constituent Assembly did not support this policy.

While they were busy preparing their own inner power circles.The most bizarre thoughts that were working in almost all of the exiled AL Leaders. Not only were the political leaders but many bureaucrats and opportunist leadership of the freedom struggle was also reflective of the same thoughts. They believed that the as the liberation war has started, these high ups were struggling to protect, the millions of crores of rupees and wealth they had looted from almost all parts of East Pakistan, before fleeing, and stored those wealth in India, as a safe harbor.

ভারত বন্ধুরাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের বক্তব্য অনুযায়ী মানবিক কারণে সাহায্য দিতে সম্মত হয়েছে সেটার জন্য বাঙ্গালী জাতি কৃতজ্ঞ।
কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামটা পূর্ব বাংলার ৮ কোটি বাঙ্গালীর নিজস্ব সংগ্রাম। এ সংগ্রাম তাদেরই সংগঠিত করতে হবে। যে কোন ত্যাগের বিনিময়ে তাদেরকেই অর্জন করতে হবে জাতীয় স্বাধীনতা, সংগ্রামের নেতৃত্ব ও সব দায়িত্বও থাকতে হবে মুক্তিফৌজ কমান্ড ও প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের অধিনে।
জনাব ওসমানী নীতির এ প্রশ্নে কখনোই আপোষ করেননি। এ বিষয় নিয়ে তৎকালীন প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বের সাথে অনেক বির্তক হয়েছে তার। কিন্তু তার এ নীতির প্রতি সমর্থন দেননি আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতৃত্ব ও গণপরিষদ সদস্যরা।

তারা তখন নিজ নিজ ক্ষমতার বলয় তৈরি করতে ব্যস্ত। তাদের প্রায় সবার মাঝেই এক ধরণের উদ্ভট চিন্তা কাজ করছিল। শুধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই নয় অনেক আমলা এমনকি মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধাবাদী নেতৃত্বের মাঝেও সেই একই চিন্তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছিল। তাদের ধারণা ছিল মুক্তিযুদ্ধ যে কারণেই হোক শুরু হয়ে গেছে। প্রতিরোধ সংগ্রামকালে পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব অঞ্চল থেকে কোটি কোটি টাকা ও সম্পদ লুন্ঠন করে নিয়ে হিজরত করে চলে আসা হয়েছে নিরাপদ আশ্রয় ভারতে।
Even though, as a Freedom Fighter this was a shameful act to state that, many intellectuals and High ups, those who all had escaped from East Pakistan, also viewed the heroic liberation struggle of the freedom fighters in a negative light. They believed that the Bengali freedom fighters would never be able to liberate their country by defeating the Pakistani force.

They believed that, in order to defeat the Pakistan army, it was necessary that the Indian armed forces must get involved directly. Many of these leaders did not have the will or the ability to participate in a bloody lasting struggle. They were also unwilling to risk a lengthy fight and to not ready to suffer immense sacrifices. বলতে লজ্জা লাগলেও বলতে হচ্ছে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা অনেক বুদ্ধিজীবি ও হোমরা-চোমরা পদস্থ ব্যক্তিরাও মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ মুক্তি সংগ্রামকে দেখতেন অত্যন্ত নেতিবাচক দৃষ্টিতে। তারা মনে করতেন বাঙ্গালী মুক্তিযোদ্ধারা কখনই পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে দেশ স্বাধীন করতে সক্ষম হবে না।

Soon after ending their Indian ‘Hajj’, they would be exempted from their exiled life and would be redeemed and enjoy a real luxurious life with the looted black wealth/money, which would start very soon, through the direct intervention of the Indian forces, alone.

Once they had been able to endorse the stamps as “Indian Hajis”, they would be soon be able to return to their country, where was the barrier for them to from establishing their own rule? Therefore, the country must be liberated, as soon as possible. Accordingly, a section of these high ups had started immense lobbying with the various organs of the Indian government.

In the entire exiled governments, only two leaders firmly opposed these initiatives from the beginning. One of them was Colonel Osmani and the second person was Mr. Khandokar Mushtaq Ahmad. Apart from these two, most of the senior Political Leaders along with many of the bureaucrats' high profile citizens favoring Bangladesh's Independence, through the direct intervention of the Indian Army. Thereby, through a “Cesarean operation” subsequently, the premature birth of Bangladesh occurred.

However, most of the freedom fighters, and young officers from the bureaucracy and were against this idea of liberation, in this context, the youth's ideological conflict with those elders was increasing many folds, which was not to serve the interest of other Nation , nor at their mercy.

In order to defeat the Pakistan army, these top leaders felt that, it was necessary that the Indian Army Forces must directly be involved, as many of them did not have the will or ability to participate in a bloody lasting struggle. They were also unwilling to risk the war and to suffer and sacrifices.
Soon after their ' Indian Hajj' ended, these elderly leaders would be exempted for their exiled lives and would be redeemed and could lead a luxurious life style with the stolen black money.These goals could be achieved within a shortest period, through the direct intervention of the Indian forces, alone.

Once they had received the Hajj stamps from India, once they return to their country, there would be no the barrier’s from establishing their rules? Immediately these elements, for the country to be liberated, a section of them started lobbying heavily from various parts of the Indian government.
পাকিস্তান বাহিনীকে পরাজিত করতে সরাসরি ভারতীয় সেনা বাহিনীর হস-ক্ষেপ অবশ্যই অতি প্রয়োজনীয়। রক্তক্ষয়ী দীর্ঘস্থায়ী সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা অথবা যোগ্যতা তাদের অনেকেরই ছিল না। যুদ্ধের ঝুঁকি এবং কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করতেও তারা ছিলেন নারাজ।
এতে করেই তাড়াতাড়ি 'হজ্জ্ব' শেষ করে প্রবাসী জীবনের কষ্ট থেকে রেহাই পেয়ে দেশে ফিরে লুটপাটের কালো টাকার আয়েশী জীবন খুব তাড়াতাড়ি আবার শুরু করতে পারা যাবে একমাত্র ভারতীয় বাহিনীর প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের মাধ্যমেই।

ভারতে হজ্জ্ব করার স্ট্যাম্প যখন একবার নিতে সক্ষম হয়েছেন তারা তখন দেশে ফেরার পর তাদের রাজ কায়েম করার পথে বাধা কোথায়? তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশটাকে স্বাধীন করে দেবার জন্য তাদের একাংশ গোড়া থেকেই ভারত সরকারের বিভিন্ন মহলে জোর লবিং শুরু করে দিয়েছিলেন।

সমস্ত প্রবাসী সরকারের মধ্যে শুধুমাত্র দু’জন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এ ধরণের উদ্যোগের বিরোধিতা দৃঢ়তার সাথে করে গিয়েছিলেন। তাদের একজন হলেন কর্নেল ওসমানী এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন জনাব খন্দোকার মোশতাক আহমদ। এই দুইজন ছাড়া সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রায় সবাই এবং আমলাদের উচ্চপদস্থ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অনেকেই ভারতের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পক্ষপাতিত্ত্ব করছিলেন। পরবর্তিকালে সিজরিয়ন অপারেশন এর মাধ্যমে বাংলাদেশের Premature birth এর জন্য মূলতঃ এরাও দায়ী ছিলেন অনেকাংশে। কিন্তু বেশিরভাগ মুক্তিযোদ্ধা, আমলাতন্ত্রের তরুণ সদস্যরা এভাবে অপরের কৃপায় বাংলাদেশকে স্বাধীন করার উদ্যোগের ঘোর বিরোধী ছিলেন। এ নিয়ে প্রবীণদের সাথে তরুণদের দ্বন্দ্ব ক্রমশঃই বেড়ে উঠছিল প্রতিদিন।
Among all exiled governments officials, only two opposed these plans firmly with the beginning. One of them was Colonel Osmani and the second person was Mr. Khandokar Mushtaq Ahmad.
Apart from these two, most of the Senior Political Leaders including many bureaucrats' and high-profile influential figures were favoring Bangladesh's independence through the direct intervention of India. Subsequently, through a Cesarean Operation, significantly contributed for the premature birth of Bangladesh. However, most of the freedom fighters, young officers of the bureaucracy were t against the plan of liberating Bangladesh for serving the interest of others Nations. Thus, the youth FF's conflict with their seniors was increasing manifolds with every passing day.
 
. Part # 2 (Copied)

The so-called “Allied Forces” blanketed the freedom fighter valor, bravery and sacrifices and courage of the masses, trough a Dark Shadow.

তথাকথিত মিত্রবাহিনীর কালো ছায়ার আচ্ছাদনে ঢাকা পড়ে যায় মুক্তিফৌজ এবং জনগণের বীরগাঁথা, আত্মত্যাগ এবং সাহসিকতা

The joint command was created, however, the policy of by passing the command of the C in C, freedom fighter, Colonel Osmani were neglected in all matters.যৌথ কমান্ড স্থাপিত হলো কিন্তু মুক্তি ফৌজের সর্বাধিনায়ক কর্নেল ওসমানীকে সব ব্যাপারেই পাশ কাটিয়ে চলার নীতি গ্রহণ করা হয়।

In November, the intensity of the war increased greatly. The climax of the cross-border clashes was increasing in the border. The Indian government had already allowed the Indian army forces to enter into the territories of Bangladesh, if necessary, to counter the Pakistan Army.

The joint command of freedom fighters and Indian forces has been formed.

নভেম্বর মাসে যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি পায় ব্যাপকভাবে। বর্ডারে সম্মুখ সংঘর্ষের মাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ভারত সরকার ইতিমধ্যে ভারতীয় সেনা বাহিনীকে পাক বাহিনীর মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজনে বাংলাদেশের সীমানার ভিতরে প্রবেশ করার অনুমতি প্রদান করেছে।গঠন করা হয়েছে মুক্তিফৌজ ভারতীয় বাহিনীর যৌথ কমান্ড।

After formation of the Joint Command, C in C Colonel Osmani and his headquarters in the true sense were made completely ineffective. The Indian Commanders completely ignored Colonel Osmani and took complete responsibility for the formation of the Eastern Command under their direct control.

যৌথ কমান্ড গঠিত হবার পর ভারতীয় কমান্ডারদের প্রচন্ড প্রভাবে কর্নেল ওসমানী এবং তার হেডকোয়াটার্স প্রকৃত অর্থে অকেজো হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ আক্রমণের পরিকল্পনা এককভাবে ভারতীয় বাহিনীর ইর্ষ্টান কমান্ডই প্রণয়ন করার দায়িত্ব গ্রহণ করে কর্নেল ওসমানীকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করে।

President Yahya Khan finally beleived the actual war scenario and despatched Mr. Bhutto as his special envoy to China to garner support of the Chinise for Pakistan against any aggression by India.

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান যুদ্ধের আভাস পেয়ে জনাব ভুট্টোকে তার বিশেষ দূত হিসেবে চীনে পাঠালেন ভারতীয় যেকোন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে সমর্থন আদায় করার জন্য। কিন্তু পিকিংএ গণচীনের নেতৃবৃন্দ জনাব ভুট্টোকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, “পূর্ব পাকিস্তানে সৃষ্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করে পাকিস্তানের আভ্যন্তরীন ব্যাপারে ভারতীয় সামরিক হস্তক্ষেপকে গণচীন পাকিস্তানকে দ্বি-খন্ডিত করার হীন চক্রান্ত হিসাবেই দেখবে এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের সাথে যেকোন সামরিক সংঘাতে নীতিগতভাবে তারা পাকিস্তানের পক্ষেই থাকবে।”

In response, the leaders of the Chinese Communist Party clearly informed Mr. Bhutto, "By taking advantage of the political situation created in East Pakistan, Indian military intervention in Pakistan's internal affairs will be seen as a vicious plot to divide Pakistan into two different land masses, and in view of this, in principle, they would support Pakistan in any military conflict."

At the same time, the Chinese leaders advised Mr. Bhutto and the Pakistani military junta, to resolve the conflict as soon as possible, and to find a political solution to these delicate problems, according to the will of the people of East Pakistan.

The Chinese valuable advices were the only solution to maintain the territorial integrity of Pakistan under the then existing situation, which was: Only through a reasonable and acceptable political settlement. Applying force would never solve these problems.

Two aspects became crystal clear from the Chinese leader's remarks.

Firstly: On one hand, the masses had conveyed a reasonable advice to the rulers of Pakistan and presented them with an acceptable solution for the Bengali people, i.e., to resolve the political problems of East Pakistan.

Secondly: If the Pakistani junta failed to resolve these grave issues relating to East Pakistan, they warned the friendly Government of Pakistan that the naked ambition and interference of the Indians would spread their sphere of influence, in the Subcontinent.

প্রথমত: গণচীন একদিকে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক সমস্যার নিরসনের জন্য পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠিকে বাঙ্গালীদের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সমাধান পেশ করার যুক্তিসঙ্গত পরামর্শ দেন।

দ্বিতীয়ত: পূর্ব পাকিস্তানের সমস্যার কোন সমাধান করতে ব্যর্থ হলে সেই সুযোগে উপমহাদেশে ভারতীয় সমপ্রসারনবাদের নগ্ন থাবা বিস্তার করার চক্রান্তের ব্যাপারেও তারা বন্ধুরাষ্ট্র পাকিস্তানকে হুঁশিয়ার করে দেন।

However, after returning home, Mr. Bhutto’s gravely misinterpreted the friendly and rational advice of Chinese leaders, and conyeyed a different view to President Yahya Khan and the Military Junta. Mr. Bhutto stated that, "China will help Pakistan in the overall military conflict with India," he added that, if required, China will not hesitate to fight against the Indian’s. He further stated that this was the outcome of his exclusive meeting with the Chinese leaders.

On the other hand, the Indian government realized that the people of the country were in favor of a political solution to Bangladesh. In addition to the newly-concluded Russian-India Friendship Agreement, the Indian government was also convinced that the prospects of China being directly involved in the Indo-Pakistani War were highly unlikely.

পক্ষান্তরে ভারতীয় সরকার বুঝতে পেরেছিল গণচীন বাংলাদেশের ব্যাপারে একটি রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে। তাছাড়া সদ্য সমাপ্ত রুশ-ভারত মৈত্রী চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে পাক-ভারত যুদ্ধে গণচীনের প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পরার সম্ভাবনা খুবই কম বলেও ধারণা পোষণ করছিল ভারত সরকার।

মাধ্যমে তারা পাকিস্তানের সামরিক জান্তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যথাশীঘ্র সম্ভব পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ইচ্ছানুযায়ী বর্তমান সমস্যার একটি রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার জন্য। তাদের Considered Opinion ছিল বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র একটি যুক্তিসঙ্গত এবং গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক সমাধানের মাধ্যমেই পাকিস্তানের অখন্ডতা বজায়ে রাখা সম্ভব। বল প্রয়োগ করে এই সমস্যার সমাধান কখনও সম্ভব হবে না। চীনা নেতৃবৃন্দের উক্তি থেকে দু’টো বিষয় পরিষ্কার হয়ে উঠে।

কিন্তু দেশে ফিরে জনাব ভুট্টো প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও সামরিক জান্তার কাছে চীনা নেতৃবৃন্দের বন্ধুসুলভ এবং যুক্তিসম্পন্ন অভিমতের অপব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, “ভারতের সাথে সামরিক সংঘর্ষে চীন পাকিস্তানকে সার্বিকভাবে সাহায্য করবে। প্রয়োজনে গণচীন প্রত্যক্ষভাবে পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধও করতে দ্বিধাবোধ করবে না এ ধরণের আভাসই নাকি তিনি পেয়েছিলেন চীনা নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে একান্ত বৈঠকে

If the United States or China decides to take any counter action due to Geo-strategic reasons, their arch enemy, the U.S.S R would definitely decide to position itself with the India's side, and would not sit silently due to the recent 'Friendship Agreement' concluded with India, the response would have resulted in the “Third World War”. Neither the U.S.A nor the P.R.C would be willing to shoulder the responsibility for starting the 3rd WW scenario; was of a great doubt.

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা গণচীন যদি Geo-Strategic কারণে কোন পদক্ষেপ নেবার চেষ্টা করে তবে তাদের পরম শত্রু সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিক্রিয়ায় ‘মৈত্রী চুক্তির’ আচ্ছাদনে নিশ্চুপ বসে না থেকে ভারতের পক্ষ নেবে নিশ্চিতভাবে ফলে বেধে যাবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। বর্তমানে বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে একটা বিশ্বযুদ্ধ শুরু করার দায়-দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে নিতে চাইবে কিনা যুক্তরাষ্ট্র অথবা গণচীন সে বিষয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।



সবচেয়ে বড় কথা পূর্ব পাকিস্তানের ৮কোটি জনগণ আজ পাকিস্তানের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে। মুক্তি বাহিনীর দেশব্যাপী প্রচন্ড তৎপরতায় পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থিত পাক বাহিনীর অবস্থান সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত এবং যেকোন যুদ্ধের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাক্টর সৈনিকদের মনোবলও সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। খান সেনারা সার্বিকভাবে শুধু দুর্বল হয়ে পড়েছিল তাই নয়; তাদের Strategic Locations, Line Of Communication, Defensive Positions, Supply Points, Re-Enforcement Capabilities, Battle Tactics, Logistic Support Line এ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় বিষয়ে সব খবরা-খবরই এখন রয়েছে ভারতীয় বাহিনীর নখদর্পনে।
এসব খবর সংগ্রহ করা হয়েছে মুক্তি বাহিনীর ইনটেলিজেন্স ইউনিট এবং সেক্টরগুলোর নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে।

There was considerable logic behind the Indian views. Under these prevailing circumstances, East Pakistan could easily be liberated by the Indians and they could install a government of their choice.

After in depth analysis, the Government of India decided to declare a fully fledged war. The Indian government decided to launch a military aggression after completing all necessary preparations for the war.

এ ধরণের চিন্তা-ভাবনার পেছনে যথেষ্ট যুক্তি ছিল। এ অবস্থায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করে সেখানে তাদের পছন্দের সরকার কায়েম করতে পারা যাবে সহজেই।

এ ধরণের বিশ্লেষনের পরই যুদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ভারত সরকার। যুদ্ধের জন্য অতি প্রয়োজনীয় আনুসাঙ্গিক সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেই সামরিক আগ্রাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত সরকার।

এবারের যুদ্ধের প্রেক্ষাপট অতীতের পাক-ভারত যুদ্ধের প্রেক্ষাপট থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। বর্তমান অবস্থায় বিশ্ব জনমত সামরিক জান্তার শ্বেতসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশীদের স্বাধীনতার পক্ষে। মানবাধিকার এবং শরনার্থীর প্রশ্নে সারা বিশ্বের সহানুভূতিও ভারতের পক্ষে।

The war of 1971 was quite different from the earlier-Pakistan-India wars. During those days the world public opinion was against of the Pakistani military junta and in favor for the independence of the Bangladeshis. India also gained significant global sympathy for human rights plight and abuses of refugee’s crisis played a significant role in galvanizing the world opinion in favor of India.

The biggest factor was that the eight crore people of East Pakistan were firmly opposed to the dictatorship of Pakistan.

The Pakistani Army became morally shattered, out stretched and undermanned. Their Strategic Locations, Line of Communication, Defensive Positions, Supply Points, Re-Enforcement Capabilities, Battle Tactics, Logistic Support Line confidential and important news were made known to their Indian enemies.

These intelligence reports were collected by the Intelligence Unit of the Liberation Army and the Sectors Commanders, themselves.

বাংলাদেশের আপামর জনসাধারনের বিরোধিতার মুখে পূর্ব পাকিস্তানে পশ্চিমাদের জবরদখল আজ অযৌক্তিক হয়ে পড়েছে। শত্রুপক্ষের অবস্থা বর্তমানে totally untenable. প্রয়োজন শুধু সুযোগমত আক্রমণের ধাক্কা তাহলেই কেল্লা ফতে হবে।

In the face of stiff resistance from the common people of, the East, West’s occupation of East Pakistan had become totally untenable. The only requirement was to launch an attack at the appropriate time and the fort would crumble.

The opportunity came. On 3rd December, at 5:45 pm, Pakistan Air Force launched pre-emptive strikes suddenly on the strategic targets in many targets in India. Simintiniously Air strikes was carried out at Shinagar, Actitipur, Pathankot, Uttlai, Jodhpur, Ambala and Agra Airports.

During that same time, Mrs. Indira Gandhi was delivering a speech at a public meeting in Kolkata. After receiving the news of air strikes, she decided at that moment to strike back The Indians had counter attacked Pakistan, during that public meeting. Before returning to Delhi from Calcutta that evening, Mrs. Gandhi ordered General Aurora, the GOC (General Officer Commanding) of the Eastern to launch a full-scale military offensive in East Pakistan.

Three autonomous Army corps was placed under General Aurora. 2nd,33rd and the 4th Corps. There was also a 'Communication Zone Headquarter', a mobile army unit. Apart from this, additional medium Armed Regiment and a Light Armed Regiment were placed under his command.

The Commander of this Corps was Lt. Gen. T.N.Raina Headquarters: Krishnanagar. Under this corps, an additional middle artillery regiment and one engineer's bridging unit were attached, under command.

33 Corps Commander was Lt. Gen M.L.Thapa. Headquarter at Shiliguri. Under these Corps an additional light armored regiment, a medium artillery regiment and an engineer's bridging unit were allotted.

Commander of the 101 Communications was initially replaced by Lt.Gen.Gill later replaced by Lt.Gen.Nagra. Headquarters was located at Guwahati Headquarters of the 4th Corps of this formation was in Agartala. The Corps commander was Lt.Gen. Sagat Singh Under this Corps, an extra Medium Artillery regiment and two light-armored regiments were attached

In total, the Indian Army had more than five lakhs troops (5, 00,000) in the Eastern region. General Aurora had more than enough recourses at his disposal. During that period there was no requirement to deploy such a huge force to fight against Pakistani Army in Eastern Wing.

This huge Force was organized also against the People Republic of China to counter any Chinese military’s offensive actions.

সুযোগ এসে গেল। ৩রা ডিসেম্বর বিকেল ৫:৪৫ মিনিটে আকস্মিকভাবে Pakistan Air Force Pre-Emptive Stick করে বসলো ভারতের বিভিন্ন জায়গায় স্ট্রাটেজিক টার্গেটগুলোর উপর। একইসাথে আঘাত হানা হল শীণগর, অভিন্তিপুর, পাঠানকোট, উত্তরলাই, যোধপুর, আম্বালা এবং আগ্রা বিমান ঘাটির উপর।

ঠিক সেই সময়ে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী কোলকাতায় এক জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। বিমান হামলার খবর তাকে দেয়ামাত্র তিনি মুহুর্তে সিদ্ধান্ত নিয়ে ঐ জনসভাতেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক পাল্টা আক্রমণের ঘোষণা দিলেন। কোলকাতা থেকে সেদিন সন্ধ্যায় দিল্লী ফেরার আগেই ইর্ষ্টান কমান্ডের এঙঈ GOC (General Officer Commanding) Genarel Arora -কে দিল্লীর সেনাসদর থেকে হুকুম দেয়া হল পূর্ব পাকিস্তানে সর্বাত্মক হামলা চালাবার জন্য।

জেনারেল অরোরার অধিনে দেয়া হল ৩টি স্বয়ংসম্পূর্ণ আর্মি কোর। ২য়, ৩৩শ এবং ৪র্থ কোর। এছাড়াও দেয়া হল ‘কম্যুনিকেশন জোন হেডকোয়াটার্স’ আরো একটি ভ্রাম্যমান আর্মি ইউনিট। এছাড়া ২য় কোরের অধিনে দেয়া হয়েছিল অতিরিক্ত একটি মিডিয়াম আর্মাড রেজিমেন্ট এবং একটি লাইট আর্মাড রেজিমেন্ট।

এই কোরের কমান্ডার ছিলেন Lt. Gen T.N.Raina হেডকোয়াটার্স কৃষ্ণনগর। এই কোরের অধিনে দেয়া হয়েছিল অতিরিক্ত আরো একটি মিডিয়াম আর্টিলারী রেজিমেন্ট ও একটি ইঞ্জিনিয়ারস এর ব্রিজিং ইউনিট।



৩৩ কোরের কমান্ডার ছিলেন Lt. Gen M.L.Thapa. হেডকোয়াটার্স শিলিগুরী। এই কোরের অধিনে দেয়া হয়েছিল অতিরিক্ত একটি লাইট আর্মাড রেজিমেন্ট, একটি মিডিয়াম আর্টিলারী রেজিমেন্ট এবং একটি ইঞ্জিনিয়ারস এর ব্রিজিং ইউনিট।


১০১ কম্যুনিকেশন জোনের কমান্ডার ছিলেন প্রথমদিকে Lt.Gen.Gill পরে Lt.Gen.Nagra -কে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। হেডকোয়াটার্স গৌহাটি। এই ফর্মেশনের ৪র্থ কোরের হেডকোয়াটার্স ছিল আগরতলায়। কোর কমান্ডার ছিলেন Lt.Gen. Sagat Singh. এই কোরের অধিনে অতিরিক্তভাবে দেয়া হয় একটি মিডিয়াম আর্টিলারী রেজিমেন্ট এবং দু’টো লাইট আর্মাড রেজিমেন্ট।

সব মিলিয়ে পূর্ব রনাঙ্গনে ভারতীয় সৈন্যসংখ্যা ছিল ৫ লক্ষেরও বেশি। তার সাথে ছিল পর্যাপ্ত পরিমাণের রণসম্ভার। সেই সময় পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থিত প্রায় ১ লক্ষ খানসেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য এ ধরণের বিশাল বাহিনী মোতায়ন করার প্রয়োজন ছিল না।

এই বিশাল সৈন্য সমাবেশ ঘটানো হয়েছিল গণচীনের তরফ থেকে যদি কোন সামরিক পদক্ষেপ নেয়া হয় তার মোকাবেলা করার লক্ষ্যেই।

Thus, with adequate Air and Naval Coverage and assisted with about 200,000 Freedom Fighters, this huge Indian forces attacked the Eastern wing, from all sectors at the same time. In all these sectors, the freedom fighters were blowing up bridges, creating obstacles for the Pakistani and assisting the Indian Army to use the main routes for their advancing forces.

Due to the bridge heads created, it was possible for the Indian allied forces to easily move towards Dhaka by penetrating the enemy's defense.

C in C, of the Bangladesh forces, Colonel Osmani was completely ignored and kept in the dark during this important phase of the war.

Indian Army strategy was to break the enemy line of defense as quickly as possible, cut off the path of their withdrawal, split them into small parts, and compel the fall of Dhaka and force the Pakistani Army to surrender.

In East Pakistan, their army was forced to surrender within 12-days. As, in this front the massive Indian Army 6-7 times stronger and was immensely aided by the Freedom Fighters. The non-cooperation of the people of Bangladesh and the courageous guerrilla activities of the freedom fighters completely destroyed the war effort and morale of the Pakistan army. Among other reasons, this was the main reason for which the Pakistan Army was forced to surrender after a humiliating defeat in very brief war.

Thus, on December 16, 1971, Bangladesh achieved independence as a result of surrender of the Pakistani Armed Forces.

যাই হোক, প্রয়োজনীয় Air ও Naval Cover এবং প্রায় দুই লক্ষ মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বিশাল ভারতীয় বাহিনী একই সময়ে সব সেক্টর থেকে আক্রমণ চালালো। সব সেক্টরেই ভারতীয় বাহিনীর অগ্রসর হওয়ার জন্য রাস্তা করে ব্রিজহেড তৈরী করে দিচ্ছিল মুক্তিবাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধারাই।

ঐ সমস্ত ব্রিজহেড তৈরী করা সম্ভব হয়েছিল বলেই অতি সহজেই শত্রুপক্ষের ডিফেন্স ভেদ করে ঢাকা অভিমুখে তরিৎ গতিতে এগিয়ে যেতে পেরেছিল ভারতীয় মিত্র বাহিনী।

যুদ্ধের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে কর্নেল ওসমানীকে সম্পূর্ণরূপে পাশ কাটিয়ে চলেছিল ভারতীয় সেনাকমান্ড। ভারতীয় সেনা বাহিনীর স্ট্রাটেজি ছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শত্রুপক্ষের ডিফেন্স লাইন ভেদ করে তাদের Withdrawal এর পথ Cut Off করে তাদেরকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করে পরাজিত করে ঢাকা অবরোধ করা এবং পাক বাহিনীকে সারেন্ডার করতে বাধ্য করা।

বাংলাদেশে অবস্থিত পাক বাহিনী তাদের চেয়ে সংখ্যায় ৬-৭গুন বড় ভারতীয় বাহিনী এবং মুক্তিফৌজের প্রচন্ড আক্রমণের মুখে মাত্র ১২ দিনের যুদ্ধে অতি করুণ অবস্থায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশের জনগণের অসহযোগিতা এবং মুক্তি বাহিনীর দুঃসাহসিক গেরিলা তৎপরতা পাক বাহিনীর যুদ্ধস্পৃহা এবং মনোবল একদম নষ্ট করে দিয়েছিল। অন্য সব কারণের মধ্যে এটাই ছিল প্রধান কারণ যার জন্য পাকবাহিনীকে অতি অল্পসময়ের যুদ্ধে শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করে নিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল।

এভাবেই ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণের ফলে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ।
 
The India Doctrine
Pinaki Bhattacharya

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পরে ভারতীয় বাহিনী সদ্য স্বাধীন দেশে সর্বব্যাপী এবং নজিরবিহীন লুটপাট চালায়। এই লুটপাট বিদেশীদেরকেও বিহ্বল করে। ১৯৭২ এর ২১ শে জানুয়ারী গার্ডিয়ানে মার্টিন উলাকোট রিপোর্ট করেন মিল ফ্যাক্টরির মেশিনাদি যন্ত্রাংশ পর্যন্ত লুটপাট করে ভারতীয় সেনারা। পাকিস্তানি বাহিনীর অস্ত্রশস্ত্র ছাড়াও খাদ্যশস্য, পাট, সুতা, যানবাহন, এমনকি সমুদ্রগামী জাহাজ, কারখানার মেশিনপত্র, যন্ত্রাংশ পর্যন্ত লুট করে। এই লুটের সম্পদের পরিমাণ ছিলো সবমিলিয়ে সেইসময়ের হিসাবে ২.২ বিলিয়ন ডলার।

১৯৭৭ সালের জুলাই মাসে ইংল্যান্ডের আইডি এস বুলেটিনের (ভলিউম ৯, ১ নং) এর ১২ পৃষ্ঠায় প্রদত্ত রেফারেন্স থেকে জানা যায় ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পনের পর ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের অন্তত চারটি ডিভিশনের অস্ত্রশস্ত্র, ভারী কামান, গোলাবারুদ, যানবাহন ও অন্যান্য সরঞ্জাম ভারতে নিয়ে যায়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিবাদ করলে টোকেন হিসেবে অল্প কিছু পুরোনো অস্ত্র ফেরত দেয়া হয়।

এই ভারতীয় বাহিনী এতই নির্লজ্জ ছিলো যে এতো কিছু নিয়ে যাবার পরেও ব্রিগেডিয়ার র‍্যাঙ্কের অফিসার ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফ্রিজ, আসবাবপত্র, ক্রোকারিজ ট্রাকে ভর্তি করে ভারতে পাচার করে। একজনকে ভারতীয় বাহিনী এই লুটের অপরাধে কোর্ট মার্শালও করে তাঁর নাম ব্রিগেডিয়ার মিশ্র। অস্ত্র, খাদ্য, যানবাহন, জাহাজ, কারখানার মেশিন লুটে অবশ্য পেশাদার ভারতীয় বাহিনীর আত্মশ্লাঘায় লাগেনা। কিন্তু ক্রোকারিজ লুট করে নিয়ে যাওয়ায় দাদাদের একেবারে প্রেস্টিজ পাংচার হয়ে গেছে।

20525508_1638018522878021_7479814425470155508_n.jpg
 
Guns now enter the country in parcels
Customs-Intelligence4-690x450.jpg

In the past four years, BGB has seized 237 pistols, 26 revolvers, 152 guns, 5,159 rounds of bullets, 196 magazines, 60 bombs, three grenades, 47 crude bombs, 36kg of explosives and 69kg of gunpowder during smuggling CIID
In the first five months of this year, Border Guard Bangladesh (BGB) seized 19 pistols, a revolver, and 26 different types of guns
The government has expressed concern about the recent trend of using courier services to ship illegal firearms from Myanmar and other countries into Bangladesh, sources in the security forces have revealed.

In the first five months of this year, Border Guard Bangladesh (BGB) seized 19 pistols, a revolver, and 26 different types of guns.

Moreover in the past four years, BGB has seized 237 pistols, 26 revolvers, 152 guns, 5,159 rounds of bullets, 196 magazines, 60 bombs, three grenades, 47 crude bombs, 36kg of explosives and 69kg of gunpowder during smuggling.

Many of these illegal firearms and explosives were recovered from parcels sent using one of the country’s 50 licensed courier services.

“We ship thousands of parcels every day and it is very difficult to properly check each and every package individually,” Courier Services Association of Bangladesh Chairman Hafizur Rahman Pulok told the Dhaka Tribune.

He said they could check the parcels if the government provided them with scanners. “It will be easier for us to monitor then (but) scanners are costly and not all courier companies can afford them.”

“If the government provides scanners, it can then cancel licences of courier services or take legal action if any of the companies ship illegal goods. Otherwise, it will be very difficult to monitor the parcels.”

Intelligence agencies expressed their concerns about the matter in a recent meeting on combating money laundering at the Bangladesh Bank. They fear militants may take advantage of the situation and send firearms and explosives to different parts of the country without a hitch.

On June 30, for example, law enforcers arresting suspected firearms dealer Munirul Islam Chowdhury Mukul from Kutubdia in Cox’s Bazar recovered 19 firearms and 621 bullets from his possession.

RAB and BGB say most of these firearms come from Myanmar and are shipped to various places within Bangladesh.

Sources in the intelligence agencies said there were at least 119 points along the border through which firearms are smuggled. Majority of the shipments enter Bangladesh through border points in Chapainawabganj, Benapole, Satkhira, Comilla and Brahmanbaria.

Home Minister Asaduzzaman Khan Kamal recently directed the authorities concerned to install sophisticated surveillance devices at the border and to be on the alert against the shipping of small firearms through courier services.

However, police headquarters Assistant Inspector General (media) Sahely Ferdous told the Dhaka Tribune that police cannot always check the covered vans for legal reasons. “But we check them thoroughly if we have specific information,” she added.

Abdul Halim, the managing director of licensed arms trader Smith and Anvil Limited, told the Dhaka Tribune that it was “simply impossible” for a licensed trader to send firearms via courier.

“We have to take the government’s permission to import firearms. Government authorities concerned check our shipment,” he said.

The Bangladesh Financial Intelligence Unit (BFIU) – which analyses suspicious transaction reports, information related to money laundering and terror financing – is arranging an inter-ministerial meeting on the matter. It says a coordinated effort is needed to stop illegal shipment of small arms and gunpowder.

http://www.dhakatribune.com/bangladesh/crime/2017/08/05/guns-enter-country-using-courier-services/
 
India needs to update its view on South Asia
SAM Staff, August 17, 2017
Global-Times-Logo-Final.jpg


Chinese Vice Premier Wang Yang held talks with his Nepali counterpart Bijay Kumar Gachhadar on Tuesday. The two sides agreed to make joint efforts to further advance pragmatic cooperation between China and Nepal and signed crucial agreements.

Western media has reported on the achievements of Wang’s visit, but they have also noted India’s anxiety. The Chinese edition of the Financial Times ran an article saying that Nepal’s closeness with China makes India nervous.

New Delhi’s concerns about South Asian countries developing ties with other major powers are distorted, as its understanding of South Asia no longer fits with the new era. After the withdrawal of British colonists, India became the dominant power of the region. During the Cold War era, major powers were engaged in rivalries in other regions and had no time for India’s regional hegemony.

But as the world is globalizing, South Asian countries are reviving. India’s outdated mentality of controlling those small countries and suppressing their sovereignty cannot last.

Economic and social development is the core interest of all countries, and expanding foreign exchanges is the precondition for development. The overwhelming significance of geopolitics in international relations has been diluted. Most of the time, it is not the primary concern of inter-state relations. India’s neighboring small countries develop ties with China out of goodwill and Beijing does not target any third party. But India’s old-fashioned mind-set sees these non-political relations through a geopolitical lens.

India does not allow Bhutan to establish diplomatic ties with the five permanent members of the UN Security Council. This arbitrary act has no logic at all on the world stage. Neither Bhutan nor Nepal is willing to accept such abnormal controls by India.

India should abandon its Cold War and regional hegemonic mentalities so it can see a great number of opportunities from a rapidly developing China instead of viewing China as a threat. And it would not feel a sense of crisis simply because China is building a road along the border and therefore send troops to trespass on Chinese territory and obstruct Chinese construction.

India is so narrow-minded that it believes a road along the border can determine the strategic posture between China and India.

India views the small South Asian countries as its backyard, which proves that it lacks global vision. Even the US would not intervene when Latin American countries developed ties with the outside world. Russia didn’t oppose the global diplomacy of former Soviet republics.

India should reflect on its attitude toward small South Asian countries and the outside world. It should be open-minded rather than viewing the world as full of dangers and challenges.

No major power is interested in making India its enemy or playing zero-sum geopolitical games with it.The small countries in the southern Himalayas have the right to develop friendly ties with China and India at the same time and it will not jeopardize the interests of either side.
http://southasianmonitor.com/2017/08/17/india-needs-update-view-south-asia/
 
‘এক ঝুড়িতে সব ডিম না রাখা’: ‘র’ এর কৌশলের সেকাল-একাল
23/03/2017মূলধারা বাংলাদেশ
upload_2017-8-18_19-57-5.gif

‘২০০১ এ আওয়ামী লীগকে হারাতে জোট বেঁধেছিল র-আমেরিকা’।১ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের মাধ্যমে জাতি জানতে পারল বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা।এতদিন এই ধরনের অভিযোগ কেবল ডানপন্থী ও ধর্মীয় মতাদর্শিক দলগুলো থেকে শোনা যেত। আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে আসার কারণে এই দাবীর বিশ্বাসযোগ্যতা অস্বীকার করার সুযোগ আর থাকছেনা। এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী দাবী করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের খুনের নেপথ্যেও রয়েছে ‘র’।২

উপরোক্ত মন্তব্য ও পাল্টা মন্তব্যের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে এই পর্যন্ত দুটো আর্টিকেল লিখেছেন ভারতীয় সাংবাদিক সুবীর ভৌমিক।সাংবাদিকদের মাঝে ধারণা প্রচলিত আছে যে সুবীর নিজেও র’অপারেটিভ হিসেবে ভূমিকা পালন করেন। সুবীরের একটি আর্টিকেলে বলার চেষ্টা করেছেন যে, র’ কে যেভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে আসলে তা নয়, বিশেষ করে জিয়া হত্যার ব্যাপারে, তাঁর বক্তব্য হচ্ছে রাজনৈতিক হত্যা ‘র’ এর স্টাইল নয়। এরপর তিনি র’ এর অপারেশনের স্টাইল বর্ণনা করেছেন। আরেকটি আর্টিকেলে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে তিনি আভাস দিতে চেয়েছেন যে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে র’ ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে এবং দুটো প্রধান দলের সাথেই রয়েছে তাঁদের যোগাযোগ।

সুবীর ভৌমিকের আর্টিকেল থেকে জানা গেল ভারত কখনো ‘এক ঝুড়িতে সব ডিম না রাখার’ কৌশলে বিশ্বাসী না। আসলে এটাই দক্ষ কূটনীতির লক্ষণ। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে চিরস্থায়ী বন্ধুত্ব বা শত্রুতা বলতে কিছু নেই, আছে চিরস্থায়ী স্বার্থ। ভারত সেই নীতিই মেনে চলে। যাকে দিয়ে সেই স্বার্থ বেশি আদায় হবে, স্বার্থ বেশি রক্ষা হবে, অথবা স্বার্থ অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকির সম্মুখীন হবে তাঁকেই প্রাধান্য দিতে চায় ভারত।


1.jpg


পাঠকদের এখানে মনে করিয়ে দেয়া দরকার যে, ১৯৭৫ সালে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যার পর ভারতের মন্তব্য ছিল ‘It’s an internal matter’।৩ ইত্তেফাক জানায় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার সময় সেন আগস্ট হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পরেই রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদের সাথে হাসি মুখে সাক্ষাৎকার করে বলেন ‘ঢাকা-দিল্লী মৈত্রী ও সহযোগিতা অক্ষুণ্ণ থাকিবে‘।৪অর্থাৎ, বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সাথে সাথে খাপ খাইয়ে নিয়ে নিজের দেশের স্বার্থকে যথা সম্ভব রক্ষা করে চলা দক্ষ কূটনীতির কাজ।ভারত এটাই করে আসছে। সেজন্য তাঁরা এই পক্ষ-ঐ পক্ষ সব পক্ষেই কাজ করে। সুবীর ভৌমিকের সাম্প্রতিক লেখায় সেটাই উঠে এসেছে।

2.jpg


ইতিহাস আমাদের জানায় যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও ভারত এই কৌশল নেয় মুজিব বাহিনী তৈরির মাধ্যমে। মুজিব বাহিনী স্বাধীনতার ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত একটি অধ্যায়। এই বিষয়ে যুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের অন্যতম উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম জানাচ্ছেন;

”ভারতের ২টি স্থানে মুজিব বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। জেনারেল উবান এই প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন। আজ পর্যন্ত আমি বুঝে উঠতে পারছি না মুজিব বাহিনী নামে এই আলাদা বাহিনীর কোন প্রয়োজন ছিল কি না। তবে যদ্দুর জেনেছি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা “র”-এর সাথে শেখ মনির লবি ছিল। তাকে বুঝানো হয় যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব সে সময় নেতৃত্ব দিতে অসমর্থ হবে। অথবা এই নেতৃত্ব কোন প্রকার আপোষ করতে পারে। তাকে আরো বুঝানো হয়, যে যুব শক্তি স্বাধীনতার উন্মেষ ঘটিয়েছে, তারাই কেবলমাত্র সঠিক নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে। প্রয়োজনে এই নেতৃত্ব আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারবে। তাছাড়া বাংলাদেশ স্বাধীন হলে নব্যশক্তি চীন বা নকশাল পন্থীদের স্বাধীন ও সার্বভৌম সরকার প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করবে। পরে আরো জেনেছি, ভারত সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয় যার অর্থ হলোঃ ‘এক বাক্সে সকল ডিম না রাখা’।”৫

অর্থাৎ, স্বাধীন হওয়ার আগেই আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সন্দেহের বীজ রোপিত হয়।স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই বীজই জাতীয় দ্বিধাবিভক্তির সূত্রপাত করে,যা থেকে আমরা আজও বের হতে পারিনি। ভারতের জন্য এখানে হারানোর কিছু নেই।নিজের মধ্যে ভাতৃঘাতি সংঘাত করে আমাদের জাতীয় যুবশক্তির অপচয় ঘটেছে, খুন হয়েছে শত শত মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশী প্রাণ।

এই এক বাক্সে সকল ডিম না রাখার ভারতীয় কৌশল আবার প্রয়োগ হয় ২০০১ সালের নির্বাচনে। যার ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যে মিলে। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য কতটা সঠিক সেটা বিবেচনা সাপেক্ষ। প্রধান দুই দলের মধ্যে মৌলিক কোন তফাত না থাকলেও সাম্প্রতিক ইতিহাস বলে বাংলাদেশীরা প্রত্যেক ৫ বছর অন্তর নতুন আশায় বিপরীত দলকে নির্বাচিত করে। সেক্ষেত্রে বহিঃশক্তির প্রভাব ২০০১ সালে সত্যিকার অর্থে কতটা ছিল সেই প্রশ্ন পাঠকের বিবেচনার জন্য জমা থাকল। শেখ হাসিনার ‘র’ বিষোদগারের নেপথ্যে কারণ খুঁজতে গিয়ে সুবীর ভৌমিক লিখেন;

হাসিনা কখনো বিএনপির প্রতি বন্ধুত্ব প্রতিষ্ঠাকারী ভারতের তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রজেশ মিশ্র এবং ‘র’ কর্মকর্তাদের ক্ষমা করেননি। আওয়ামী লীগ এখনো মিশ্রের ‘এক ঝুড়িতে সব ডিম না রাখার’ কথাটি মনে রেখেছে। মিশ্র কথাটি বলেছিলেন ২০০১ সালে বিএনপির জয়ের পর খালেদা জিয়াকে অভিনন্দন জানাতে ঢাকা ছুটে গিয়ে। মিশ্র ব্যক্তিগত ইগোর কারণে শেখ হাসিনাকে ‘ঠিক করতে’ বিএনপি’র সাথে র’কে দিয়ে সম্পর্ক তৈরি করেন।৬

মি. ভৌমিকের মতে ‘এক ঝুড়িতে সব ডিম রাখবো না’ মানে আওয়ামী লীগের সাথে ভালো সম্পর্ক আছে কিন্তু অন্য দলের সাথেও ভালো সম্পর্ক তৈরি করে ভারত। আর এ কারণেই স্বাভাবিকভাবে বিএনপি’র সাথে একটি যোগাযোগ গড়ে উঠে তৎকালীন বিজেপি সরকারের। এক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা রাখে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর তৎকালীন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।৭ বিবিসি বাংলা জানায়;

‘অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, ‘র’-এর অতীত কর্মকাণ্ডের সমালোচনার মাধ্যমে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে দেখাতে চান যে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপিও অতীতে ভারতের সহায়তা নিয়েছিল।’৮

এর মাধ্যমে বিএনপি’র ভারত বিরোধী ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং একই সাথে র’কে অতীত ভূমিকার ব্যাপারে শাসিয়ে দেয়াও প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল মনে করেন;

“শেখ হাসিনার সাথে ভারতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এতোই ভালো সম্পর্ক যে ‘র’ একটু সমালোচনা করলে ওনার কিছুই আসে যায় না । এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা আত্মবিশ্বাসী। ওনার ভালো করেই জানা আছে, ভারতের কাছে কখনোই আওয়ামী লীগের তুলনায় অন্য কোন অধিকতর বিকল্প নাই।”৯

অর্থাৎ, র’ ভারতের জাতীয় স্বার্থে দুই পক্ষকেই ব্যবহার করে, সুযোগ বুঝে দুই পক্ষেরই আপন প্রমাণ করে। হয়ত এক পক্ষকে একটু বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। প্রশ্ন জাগতে পারে র’ কিভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার। সেই বিষয়েও আমাদের জানাতে চেয়েছেন র’ অপারেটিভ সুবীর ভৌমিক।তিনি লিখেন;

Every intelligence agency has a style…The RAW believes in winning over or managing foreign leaders, getting them to become friends of India and its preferred way of dealing with a hostile foreign leader is either to discredit and defame him (this psyop is RAW’s specialty…) and to pull the rug from its feet by encouraging coalitions that can lead to electoral defeat…. it is true the RAW knows better than Chinese intelligence….how to manipulate elections. The Chinese know much about many things but not elections for obvious reasons. ১০

অর্থাৎ, র’ জাতীয় নেতাদেরকে জয় করতে চেষ্টা করে, তাঁদেরকে ভারতের বন্ধু বানাতে চেষ্টা করে।সেটা সম্ভব না হলে সেই নেতার সম্মানহানি বা তাঁর নামে কলঙ্ক ছড়াতে চেষ্টা করে। এই ধরণের মনস্তাত্ত্বিক অপারেশনে রয়েছে র’ এর দক্ষতা।এবং কোন দলের শক্তিকে ক্ষয় করতে নির্বাচনে পরাজয়ের লক্ষ্যে জোট গঠনে উদ্বুদ্ধ করে। এটা সত্য যে, র’ চীনা গোয়েন্দা সংস্থার চেয়ে ভাল জানে কিভাবে নির্বাচনকে সুনিপুণভাবে প্রভাবিত করা যায়।চীনারা হয়ত অনেক বিষয়েই বেশি জানে কিন্তু অবশ্যই নির্বাচনের বিষয়ে নয়।

উপরোক্ত মন্তব্যের মাধ্যমে সুবীর ভৌমিক আবারো ভারতীয়দের সেই পুরাতন টোপ ফেলেছেন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের জন্যে।সব ঠিকঠাক থাকলে হয়ত ২০১৯ সালে বাংলাদেশে পরবর্তী নির্বাচন হবে।সুবীর রাজনৈতিক দলগুলোকে র’ এর নির্বাচন সংক্রান্ত দক্ষতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে যেই বার্তা দিতে চেয়েছেন সেটা হচ্ছে এই-রাজনৈতিক দলগুলো যাতে জয়ী হতে ভারতের ধারস্থ হয়।নিজেদের অভ্যাসসুলভ প্রতিযোগিতায় হয়ত তাঁরা এখন তাই করবে। কিন্তু ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা ভিন্ন।

চীন আমাদের এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের জন্য বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে।তাঁর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ দুটো সাবমেরিন পেয়েছে।আর তাই দিল্লি এই অঞ্চলে নিজেদের হেজিমনি আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে ভীত।মালদ্বীপ দিল্লির আয়ত্বের বাহিরে।কলম্বো অর্থনৈতিক কারণে চীন মুখি হচ্ছে, যদিও শ্রীলংকায় বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় আনতে দিল্লি বড় ধরণের ভূমিকা পালন করেছিল। নেপালে চীনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বাড়ছে।ভুটানের মত ছোট দেশও নিজেদের অবস্থানে সমতা আনতে চাচ্ছে।এই অবস্থায় মোদী প্রশাসন কোন ভাবেই বাংলাদেশকে তাঁদের করায়ত্তের বাহিরে যেতে দিতে পারেনা।সেজন্যই তাঁরা ভারতীয় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আসন্ন নিরাপত্তা চুক্তি করতে সচেষ্ট ১১

ভারতের আভ্যন্তরীণ অবস্থা এতটাই নড়েবড়ে যে, অন্য দেশকে কার্যকরভাবে প্রভাব বিস্তার করার নৈতিক, রাজনৈতিক ও আর্থিক অবকাঠামোগত শক্তি কোনটাই নেই।সেজন্য তাদের ভরসা হচ্ছে সর্বদা তৃতীয় পন্থা।সেটা হচ্ছে, punching beyond weights, অনেকটা সুপার-পাওয়ার ধরণের শক্তি দেখানো।দেখানোর চেষ্টা করে যে তারা যাঁদের চায় তাঁরাই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে। নেপালে তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। শ্রীলংকায় কিছুটা সফল হয়েছে দাবী করা হলেও এখন পরিস্থিতি ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে। যদিও এমন বার্তার মাধ্যমে গত কয়েক বছরে র’ সাফল্যের সাথে রাজনীতিকে বিভিন্ন কৌশলে (দুই পক্ষে কাজ করে)অফিস, প্রেস ক্লাব, টক শো এবং নেতাদের ড্রইং রুমের টেবিলে সীমাবদ্ধ করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।

কিন্তু বাংলাদেশের গত ৭০ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস বলে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের জয়-পরাজয় নির্ধারণ হবার আগে ফলাফল নির্ধারণ হয় সবার আগে রাজনীতির মাঠে । মাঠে যারা জয়ী হয়, নির্বাচনেও তাঁরা জয়ী হয়েছে। জয়ী হবার পর সকল বহিঃশক্তি অভিনন্দন জানিয়ে কাজ করতে এগিয়ে আসে।এর ব্যতিক্রম হলে নোতুন ইতিহাস রচিত হবে।

নোটঃ

১) ২০০১ এ আ. লীগকে হারাতে জোট বেঁধেছিল র-আমেরিকা: হাসিনা, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, ১১ মার্চ, ২০১৭

(২)Dhaka Tribune, Rizvi: RAW was behind Zia’s death, March 16, 2017, http://www.dhakatribune.com/bangladesh/politics/2017/03/16/rizvi-raw-behind-zias-death/

৩) The Bangladesh Times, August 17, 1975

৪) ইত্তেফাক, ২১ আগষ্ট, ১৯৭৫

৫) ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম এর সাক্ষাৎকার, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র, সম্পাদক: হাসান হাফিজুর রহমান, ১৫তম খণ্ড

৬) সুবীর ভৌমিক, শেখ হাসিনার ‘র’ বিষোদগারের নেপথ্যে, South Asian Monitor, ১৬ মার্চ ২০১৭, http://bn.southasianmonitor.com/2017/03/16/5426

৭)প্রাগুক্ত

৮) বিবিসি বাংলা, হঠাৎ করে শেখ হাসিনা কেন ‘র’-এর সমালোচনায় মুখর, ২২ মার্চ, ২০১৭, ঢাকা http://www.bbc.com/bengali/news-39355724

৯) প্রাগুক্ত

১০) Subir Bhaumik, The ghosts of RAW, bdnews24, 17th Mar 2017, http://opinion.bdnews24.com/2017/03/17/the-ghosts-of-raw/

১১) Farah Masum, Will Pranab dispel differences between Modi and Hasina? South Asian Monitor, March 20, 2017

প্রাসঙ্গিক পোষ্টঃ

বাহাত্তরের বাংলাদেশঃ জাতীয় দ্বিধাবিভক্তির খোঁজে

মুজিব বাহিনীতে ভাঙ্গন ও জাতীয় রাজিনীতিতে প্রভাব

স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রঃ মুক্তিলাভের কাঠামোগত ধারণা

স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রঃসামরিক অভ্যুত্থান বা বিদেশী উদ্ধারকর্তার মাধ্যমে মুক্তি সম্ভব নয় কেন?

স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রঃ সমঝোতার বিপদ

স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রঃ মুক্তিলাভে সমঝোতা নয় রাজনৈতিক অভ্যুত্থান

জাসদের উত্থান, বেহাত বিপ্লব ও পতনের ইতিহাস
http://www.muldharabd.com/?p=2233
 
indians be like "we are innocent all our neighbors are bad" that includes hindu nepal,Atheist China,Bangladesh who we once fought together with side by side and many many more.
 
12118637_1032644706798852_7853999389224684499_n.png

মূলধারা বাংলাদেশ
Sylhet came but Karimgong went to India
সিলেট আসল বাংলাদেশে কিন্তু করিমগঞ্জ চলে গেল ভারতে!


১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগ করে পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত হলেও প্রশ্ন ওঠে আসামের অংশ সিলেটের ভাগ্যে কী হবে। সিদ্ধান্ত হলো গণভোট অনুষ্ঠানের। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৪৭ সালের ৬ ও ৭ই জুলাই সিলেটে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে মোট ভোটার ছিল ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৮১৫ জন। ভোট দিয়েছিল ৭৭ শতাংশ মানুষ। ২৩৯ টি ভোটকেন্দ্রে বড় কোনো ঝামেলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছিল বলেই জানা যায়। ১৯৪৭ সালের ভারত স্বাধীনতা আইনের ধারা ৩ অনুযায়ী সিলেটে গণভোট সংক্রান্ত কার্যক্রমের বৈধতা দেয়া হয়েছে।

"কংগ্রেসের মার্কা ছিল ঘর আর মুসলীম লীগের ছিল কুড়াল। হিন্দুদের মধ্যে নমোশূদ্ররা ছিল মুসলীম লীগের পক্ষে। আলেমদের একদল ছিল কংগ্রেসি। হুসেইন আহমেদ মাদানী উনি আর ওনার একটা গ্রুপ ছিল কংগ্রেসি।"

"পাকিস্তানের পক্ষে পড়লো ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৯ ভোট আর ভারতে যোগদানের পক্ষে পড়লো ১ লাখ ৮৪ হাজার ৪১ ভোট। মুসলীম লীগ ৫৫ হাজার ৫শ ৭৮ ভোট বেশি। এজন্য সিলেটিরা গর্ব অনুভব করতো যে আমরা বাই চয়েস পাকিস্তানে আসছি।"

গণভোটের রায় না মেনে মানচিত্রে দাগ কেটে করিমগঞ্জের কিছু অংশ ভারতকে দিয়ে দেয়ায় সিলেটের মানুষের কাছেও চির বিতর্কিত হয়ে যায় র‍্যাডক্লিফ লাইন। দেশভাগের সময় ৫ম শ্রেণীর ছাত্র জকিগঞ্জের মোহাম্মদ নুরউদ্দীনের মনে রয়েছে সেই ভোটের কথা। মোহাম্মদ নূরউদ্দীন তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছিলেন করিমগঞ্জের প্রাথমিক স্কুলে। ভোটে করিমগঞ্জের মানুষও আসাম ছাড়ার রায় দিলেও করিমগঞ্জের কিছু অংশ র‍্যাডক্লিফ লাইনে ভারতের আসামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

"আমরা বাইরাইয়া মিছিল দিছি করিমগঞ্জে। মসজিদ যেখানে ছিল সেখানে স্লোগান নাই। এইভাবে করছি। ভোটে আমরা করিমগঞ্জকেও পাইছি। এই যে সাড়ে তিন থানা গেল সবটা পাইছি। কিন্তু আমাদের নেতাদের অভাবেই কংগ্রেস বড়লাটের লগে মিল করিয়া নিয়া গেছে।"

কুশিয়ারা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে নূরউদ্দীন বলেন, তার নানা বাড়ী, ভগ্নীপতিসহ অনেক আত্মীয়ের বাড়ী পড়ে যায় করিমগঞ্জে আর তারা থাকেন পূর্ব বাংলায় বর্তমান জকিগঞ্জ এলাকায়। "আত্মীয়স্বজন সবাই থাইকা গেছে। ইন্ডিয়ায় থাকছে। এখনো আছে। আমরার যাওয়া আসা নাই। তারাও আসে না।"

(বিবিসি বাংলা, সাতচল্লিশে সিলেট কীভাবে পাকিস্তানের অংশ হল?, ১৭ অগাস্ট ২০১৭, http://www.bbc.com/bengali/news-40963034)
 
Reflection of 1975 Army Coup
ফিরে দেখা ৭৫ এর সেনা অভ্যুত্থান'

resize.php

Sun, August 2017

মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান (অব.):

ණ☛ কেন দেখতে চাই তার কারণ আছে। বলবো আমার মতো করে। যে ভাবে আমি একজন ক্যাপ্টেন হিসাবে দেখেছি সেই সময়ের সেনা অভ্যুত্থানকে। চাকরিতে জুনিয়র অফিসার ছিলাম ঠিকই তবে আমরাই যেমন স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে যুদ্ধ দেখেছি, যুদ্ধ করেছি। তেমনি জুনিয়র হয়েও সব কাজ আনজাম দিয়েছি সদ্য স্বাধীন দেশের দেশ ও সেনাবাহিনী পুনর্গঠনে। তাই বর্তমানের একজন ক্যাপ্টেন এবং আমাদের মাঝে তফাৎ ছিল এবং আছে। কারণ আমরা প্রথমে যুদ্ধ করেছি তার পরে সেনাবাহিনীর অফিসার হয়েছি যা সামরিক ইতিহাসের বিরল ঘটনার মধ্যে একটি। প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কারণ আলোচনায় অনেক স্পর্শকাতর বিষয় আসবে যা নিয়ে আলোচনা করতেই হবে। আলোচনার সময় আমি বস্তুনিষ্ঠ থেকে নির্মোহ দৃষ্টাকোনে সব বিষয় তুলে আনার চেষ্টা করবো। এতে যার যে স্থান আমি তাঁকে তাই দেবো। অতিরঞ্জনে যাবোনা বা পক্ষপাতিত্ব করে নিজের বা সতীর্থের ঢোল বাজাবোনা। যা আমি নিজে দেখেছি বুঝেছি সত্য বলে জেনেছি তাই বলবো। অতএব আমার আলোচনা কারো মনোক্ষুন্যের কারণ হলে নিজ গুণে ক্ষমা করে দেবেন। এই ভেবে ভূল ভ্রান্তি লোভ লালসায় পড়ে যে যা করেছে তার জন্য আমরা কেউ দায়ী নই। যে আদা খেয়েছে সে ঝাল বুঝবে। আমরা ক্ষমা করলে বা না করলে ইতিহাস বসে থাকবেনা। যার যা পাওনা জীবিত কিংবা মৃত ইতিহাস তাকে তা-ই দেবে আমি চাই বা না চাই পছন্দ করি না করি।

ණ☛ একটা কথা আমি অকপটে স্বীকার করি আমার দেখা অন্যের দেখার মতো নাও হতে পারে। আমি এও মনেকরি আমার ইউনিটে যা যা ঘটেছিল ৭৫ এ সেনা বিদ্রোহ ও জাসদ নিয়ন্ত্রিত বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার দ্বারা তা অন্য সব ইউনিটে একই ভাবে ঘটে থাকবে এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। কারণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সবটাই তখন কম বেশি একই ফোবিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছিল। কাজেই কেউ যদি ৭৫ সালের অনেক পরে নিজে বই লিখে নিজের এবং সতীর্থের ঢোল বাজান বা একটি গোষ্ঠীর উপরে সব দোষ চাপিয়ে তাদের হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করেন তাহলে সে বিষয়ের নিরসন কল্পে সত্য ইতিহাস তুলে ধরা সবার দায়িত্বের মতো আমারও দায়িত্ব বলে মনেকরি। এই তাড়না থেকেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। যদিও আমার কাছে এবিষয়ে আমার সামরিক চাকরির দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও ধারনা ছাড়া অন্য কোনও দালিলিক প্রমান নাই।

ණ☛ ৭৫ এর সেনা বিদ্রোহ যখন সংঘটিত হয় তখন আমি পাবনার পাকশিস্হ রুপপুর ডাকবাংলোতে অবস্থান করে উওর বঙ্গের দুর্ভিক্ষাবস্তার অবসান কল্পে ফুড মুভমেন্টের কাজে নিয়োজিত ছিলাম। সকালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সিপাহী জহির তার রেডিও নিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে আমার কাছে এসে ঢাকায় সেনা বিদ্রোহে বংগবন্ধুর স্বপরিবারে নিহত হওয়ার খবর দেয়। রেডিওতে মেজর ডালিমের স্বকন্ঠে ঘোষনা শুনে নিশ্চিত হই। পরে যা ঘটেছিল তার উপরে আমার একটি লেখা ইতিমধ্যে ফেসবুকে লিখেছি আপনাদের অনেকে তা পড়ে থাকবেন। তার পরে আমি দীর্ঘ সময় সেনাবাহিনীতে চাকুরীর সুবাদে ৭৫ এর সেনা অভ্যুত্থানের বিষয়ে যা দেখেছি শুনেছি তার হিসাব মেলাবার চেষ্টা করেছি। কতক মিলেছে কতক মিলেনি। তারই মাঝে সেনাবাহিনীতে অবলোকন করেছি মৌলিক দুটি পরিবর্তনঃ

১। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের শাসন ভার ছিল বংগবন্ধুর উপরে এবং সেনাবাহিনীর কমান্ড ছিল মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের হাতে।

২। প্রথমে বংগবন্ধু সেনা বিদ্রোহে নিহত হলেন। জেনারেল জিয়া উর রহমান সেনাবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব নিলেন। জেনারেল জিয়া সেনাবাহিনী প্রধান হলে রিপেটরিয়েট অফিসার কর্ণেল এরশাদ দিল্লিতে তার এনডিসি কোর্স অসমাপ্ত রেখে জেনারেল জিয়ার ডাকে দেশে ফিরে একই বছরে দুটি প্রোমোশন পেয়ে সেনাবাহিনী প্রধান হলেন। আমারা শুনে আসছি এবং এখনও শুনি জেনারেল শওকত ও জেনারেল মঞ্জুরের মধ্যে রেশারেশির কারণে জেনারেল জিয়া জেনারেল এরশাদের মতো একজন বশংবদকে বাধ্য হয়ে সেনাবাহিনী প্রধান করেন।

ණ☛ কিন্তু এটা ভুললেতো চলবেনা জেনারেল এরশাদের জন্ম ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলায় যেখানে এখনো তাঁর জ্ঞ্যাতিগোষ্ঠি এবং আত্মীয় স্বজন আছেন। বংগবন্ধু সেনা বিদ্রোহে নিহত হবার পরে জেনারেল এরশাদ তড়িঘড়ি করে ভারতের দিল্লিতে তাঁর এনডিসি কোর্স অসমাপ্ত রেখে দেশে ফিরে ডাবল প্রোমোশন পেয়ে সেনাবাহিনী প্রধান হলেন এটা কি শুধু শওকত ও মঞ্জুরের রেশারেশির কারণে! এতো সরলিকরন বোধকরি ঠিক নয়।

ණ☛ এর পরে চট্টগ্রামে সেনা অফিসার বিদ্রোহে নিহত হলেন প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়া উর রহমান। নিহত হলেন জেনারেল মঞ্জুর। ১৩ জন খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে ফাঁসিতে ঝোলানো হলো। ১০০ জনের মতো মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে চাকুরীচ্যুত করা হলো। মজার বিষয় হলো জেনারেল মঞ্জুরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্টাফ অফিসার ছিলেন অনেক রিপেটরিয়েট অফিসার তাদের প্রেসিডেন্ট জিয়া হত্যার সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হবার পরেও এদের কাউকে কোনো প্রকার শাস্তি দেওয়া হয়নাই।

ණ☛ এতে সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হয় পাকিস্তান ফেরৎ কিছু সিনিয়র সামরিক অফিসার বংগবন্ধু এবং মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের উৎখাত ও নির্মল করে দেশের শাসন ভার এবং সামরিক বাহিনীর কমান্ড ছলে বলে কৌশলে করায়ত্ব করার মিশন নিয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন।

ණ☛ বংগবন্ধু এবং জেনারেল জিয়া হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের শাসন ভার এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমান্ড রিপেটরিয়েট অফিসারদের হাতে চলে যায়। যার মাধ্যমে এই অসম্ভব সম্ভব হলো তিনি হলেন ভারতে জন্ম গ্রহনকারী এবং দিল্লিতে এনডিসি কোর্স অসমাপ্ত রেখে দেশে ফেরা ১বছরে জেনারেল জিয়া কতৃক ডাবল পদোন্নতি পাওয়া রিপেটরিয়েট অফিসার সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ।

দেশ স্বাধীনের ৫ বছরের মধ্যে ভোজবাজির মতো সব উলটপালট হয়ে গেলো। এখন কেউ যদি বলেন ঘটনা পরম্পরায় এসব সংঘটিত হয়েছিলো। এখানে কোনো ষঢ়যন্ত্র ছিলো না। তাহলে ঘটনার পৃষ্ঠে যে কথাগুলো ভেষে ওঠে তাহলোঃ

১। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির চার পাশে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের সমাবেশ ঘটার কথা ছিলো। কিন্তু আমরা দেখলাম বংগবন্ধুর সামরিক সচিব এবং এডিসি সবাই রিপেটরিয়েট অফিসার। কেন? কার পরামর্শে এই সব রিপেটরিয়েট পাকিস্তান ফেরৎ অফিসারদের বংগবন্ধুর চারপাশে নিয়োজিত করা হয়েছিল? এটা কি বংগবন্ধুকে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে তাঁর কান ভারি করে ক্ষেপিয়ে তোলার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছিল? এর প্রমাণ আমরা পাই যখন মেজর শরিফুল হক ডালিম এবং তাঁর স্ত্রী নিম্মি গাজি গোলাম মোস্তফার দ্বারা অপহৃত হয়ে ৩২ নম্বরে বংগবন্ধুর সামনে নীত হলে মেজর ডালিম নিজে এবং তাঁর স্ত্রীর নিগৃহিত হবার ঘটনা বংগবন্ধুর সকাশে ব্যাক্ত করেন। বংগবন্ধু যথাবিহিত বিচারের আশ্বাস দেন। কিন্তু ফলাফল দাঁড়ালো বংগবন্ধু বিচারের পরিবর্তে মেজর ডালিমকে চাকরিচ্যুত করলেন। এতে কি প্রমাণিত হয়না কে বা কারা আড়ালে থেকে দেশী বিদেশী একটি সুগভীর ষঢ়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একদিকে বংগবন্ধুকে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের রিরুদ্ধে যেমন ক্ষেপিয়ে তোলা হচ্ছিল অন্যদিকে তেমনি মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদেরকেও বংগবন্ধুর বিরুদ্ধে বিতশ্রদ্ধ করে তোলার কাজ খুব সন্তপর্ণে এগিয়ে চলছিল।

২। কেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স ডিজিএফআই প্রধান ছিলেন ব্রিগেডিয়ার রউফ একজন রিপেটরিয়েট অফিসার? দেশের গোয়েন্দা তথ্য ভান্ডার কেন রিপেটরিয়েট অফিসারদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল? কার পরামর্শে এটা সম্ভব হয়েছিল? সম্ভবতঃ ডিজিএফআই প্রধান ব্রিগেডিয়ার রউফ ৩২নম্বরে বংগবন্ধুর বাড়িতে সেনা হামলার খবর ১৫ই আগষ্ট তারিখে রাত ২টা হতে ২.৩০ মিনিটের দিকে জানতে পারেন। যতদুর জানা যায় ব্রিগেডিয়ার রউফ এই মহা রাষ্ট্রীয় দুর্যোগের খবর কাউকে না জানিয়ে চেপে যান। যদি তিনি এই সংবাদ সেনাবাহিনী প্রধানকে তৎখনাত অবহিত করতেন তাহলে বংগবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের জীবন রক্ষা করা যেতো। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করলাম সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল শফিউল্যাহ বংগবন্ধু আক্রান্ত হয়েছেন এই সংবাদ পেলেন ভার ৪.৩০ মিনিট হতে ৫.৩০ মিনিটের দিকে যখন তার করার তেমন কিছুই ছিলনা। অর্থাৎ সেনাবাহিনী প্রধানকে বিতর্কিত করা হলো একটা সুন্দর পুর্ব পরিকল্পিত ষঢ়যন্ত্রের মাধ্যমে। ব্যর্থতার সব দোষ মাথায় নিয়ে সেনাবাহিনী প্রধান বিতর্কিত হলেন আর পিছনের ষঢ়যন্ত্রের মুল কুশীলবরা আড়ালেই থেকে গেলেন।

৩। সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের ভারও ছিল সম্ভবতঃ একজন রিপেটরিয়েট অফিসার কর্ণেল সালাহ উদ্দীনের হাতে। সেনানিবাস থেকে ট্যাংক বহর গভীর রাতে শহরের দিকে যাচ্ছে এই সংবাদ ডিরেক্টর মিলিটারী ইন্টেলিজেন্স (ডিএমআই ), ডিজিএফআই, ডাইরেক্টর মিলিটারী অপারেশন্স (ডিএমও), ডাইরেক্টর মিলিটারী ট্রেইনিং (ডিএমটি) জানবেননা এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? ঐসময় ট্যাংক মুভমেন্টের বিষয়টি অতীব স্পর্শকাতর হিসাবে বিবেচিত হতো। কোথাও ট্যাংক মুভ করাতে হলে উপরে বর্ণিত গুরুত্বপূর্ণ সব অফিসারদের তা অবহিত করার এবং সম্ভবতঃ ক্ষেত্র বিশেষে লিখিত আদেশ নেওয়ার নিয়ম ছিল এমন ধারনা আমি পোষন করি। কিন্তু কেউ কিছু জানলেননা ঢাকা সেনানিবাস থেকে ট্যাংক বহর কিভাবে ঢাকা শহরে গেলো? এটা বিশ্বাস করা যায়না। বিশ্বাস যোগ্য নয়।

ණ☛ ৭৫ সালে সম্ভবতঃ বংগবন্ধুর নির্দেশ ছিল ঢাকা থেকে ট্যাংক গুলোকে ইউনিটসহ বগুড়া সেনানিবাসে স্থানান্তরিত করার। কিন্তু তা করা হয় নাই। কেন ট্যাংক গুলোকে বগুড়ায় স্থানান্তরিত করা হয় নাই এই প্রশ্ন আমরা ৭৫সালে লেঃ কর্ণেল মোমেনকে করেছিলাম যশোর সেনানীবাসে অবস্থিত কম্বাইন্ড আর্মি স্কুলে (COMBAS) যখন তিনি সেখানে আসেন অতিথি বক্তা হিসাবে আমাদের অফিসার্স ওয়েপন কোর্সকে (OW) এ্যাডরেস করার জন্য।

ණ☛ কর্ণেল মোমেন বংগবন্ধু যখন নিহত হন তখন ঢাকা সেনানিবাসসহ ফার্স্ট ল্যান্সার ব্যটালিয়নের (ট্যাংক রেজিমেন্টের) কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। এই ফার্স্ট ল্যান্সার ব্যটালিয়নের সবাই ট্যাংকসহ ৩২নম্বরে আক্রমন চালায় মেজর ফারুকের নেতৃত্বে। ঐসময় কর্ণেল মোমেন ছুটিতে ছিলেন। প্রশ্ন নিশ্চয়ই হয় যখন বংগবন্ধু নিহত হলেন তখন কর্ণেল মোমেন ছুটিতে কেন? যেমন জেনারেল জিয়ার সাথে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এরশাদের চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু কোনো এক অব্যক্ত কারণে জেনারেল এরশাদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সাথে চট্টগ্রামে গেলেননা। ঠিক ঐসময়ে চট্টগ্রামে জেনারেল জিয়া নিহত হলেন। এটা কি কাকতালীয় ঘটনা হতে পারে? তার পরের ঘটনাতো তা বলেনা । যাইহোক কম্বাসে আমাদের প্রশ্নের উওর দিতে ব্যার্থ হয়ে কর্ণেল মোমেন তিক্তবিরক্ত হয়ে কেন ট্যাংকগুলোকে বগুড়াতে নেওয়া হয়নাই এর উওরে ইংরেজিতে যা বলেছিলেন " If aunte had balls". তাঁর এই উওর আমার জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মনে থাকবে।

৪। ১৫ই আগষ্টে বিডিআর প্রধান ছিলেন জেনারেল খলিল যিনি নিজে একজন রিপেটরিয়েট অফিসার ছিলেন। তিনি পিলখানার সব দরজা বন্ধ করে বসেছিলেন। বংগবন্ধুকে রক্ষা করতে স্বসৈন্যে এগিয়ে আসেননি। এদিকে রক্ষীবাহিনীর প্রধান এ এন এম নূরুজ্জামানকেও আমরা দেখি বংগবন্ধুর নিহত হবার সময় তিনি বিদেশে সরকারী কাজে অবস্থান করছেন। জেনারেল মঈনুল হোসেন চৌধুরী তাঁর লেখা এক জেনারেলের ''নীরব সাক্ষ্য'' বই এ উদ্ধৃত করেছেন। তিনি যখন থাইল্যান্ডে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করছিলেন তখন একটি প্রতিবেশী দেশের কুটনীতিকরা এ এন এম নূরুজ্জামানের খোঁজ খবর জানতে চেয়ে তাঁকে প্রায়শ বিব্রত করতেন।

ණ☛ এইসব কেন'র উওর খুঁজলে যা প্রতিভাত হয় তাহলো একটা দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে রিপেটরিয়েশনের শুরু থেকে জট পাকাতে থাকে যার শেষ, পরিনতির বলি হন বংগবন্ধু নিজে, জেনারেল জিয়া, জেনারেল মঞ্জুর, ১৩জন খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অফিসার। চাকুরীচ্যুত করা হয় শত শত মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে। অবশেষে দেশের শাসন ভার ও সেনাবাহিনীর কমান্ড করায়ত্ব করেন অমুক্তিযোদ্ধা ভারতে জন্ম গ্রহনকারী পাকিস্তান ফেরৎ জেনারেল এরশাদ। জেনারেল শওকত ও জেনারেল মঞ্জুরের মধ্যেকার রেশারেশী সৃষ্টির পিছনেও সম্ভবতঃ ষড়যন্ত্র ছিলো। উদ্দেশ্য জেনারেল জিয়াকে দুর্বল করে তাঁর হত্যার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। যেমন বংগবন্ধুর ক্ষেত্রেও হয়েছিল। প্রথমে তাঁকে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়। একই সঙ্গে বংগবন্ধুর বিরুদ্ধে অতিব নিষ্ঠুর ভাবে চালানো হয় অপপ্রচার। ধীরে ধীরে বংগবন্ধুকে হত্যার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। এই অতীব চাতুর্যপূর্ণ ষড়যন্ত্রের শিকারের পরিনত হয়ে একদল মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের আমরা বংগবন্ধু এবং জেনারেল জিয়াকে হত্যা করতে দেখি। এর মানে এই নয় যে আমি খুনি মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের পক্ষে সহানুভূতি প্রকাশ করছি। তারা দেশ ও জাতির কলঙ্ক। চরম শাস্তিই তাদের প্রাপ্য।

ණ☛ এটা ঠিক হাতির দাঁতের মতো। হাতির মুখের সামনে বেরিয়ে থাকা যে দাঁত দুটা কে আমরা দেখি তা দিয়ে হাতি ভারি বস্তু উৎখাত ও অপসারণের জন্য ব্যাবহার করে। ষড়যন্ত্রকারীরা মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের হাতির বেরিয়ে থাকা দাঁতের মতো বংগবন্ধু ও জেনারেল জিয়াকে উৎখাতের কাজে ব্যবহার করে নিজেরা হাতির চোয়ালের দাঁতের মতো আড়ালে থেকে গেছে। এবারে দেখতে চেষ্টা করবো বংগবন্ধু এবং জেনারেল জিয়াকে কি ষঢ়যন্ত্রের দ্বারা প্রভাবিত করা সম্ভব ছিল?

১। বংগবন্ধু বাংলাদেশের স্থপতি অবিসংবাদিত নেতা। হিমালয় সামান তাঁর ব্যক্তিত্ব। একই সাথে তিনি ছিলেন জনদরদী এবং কোমল হৃদয়ের মানুষ। তিনি মানুষকে ভালোবাসতেন বিশ্বাস করতেন মনের কথা খুলে বলতেন আপন মনে করে। শত্রু মিত্র নির্বিশেষে তিনি সবাইকে আপন করে বুকে জড়িয়ে ধরতেন। তাঁর এই সরলতার পূর্ণ সুযোগ দেশী বিদেশী স্বার্থান্বেষী মহল অশুভ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে কার্পণ্য করেনাই। আমি বলবো তিনি সরল বিশ্বাস আর মানুষকে ভালোবাসার বলি হয়েছেন। আমি এখনও মনেকরি তিনি যদি বংগভবনে থাকতেন তাহলে হয়তো এতো সহজে তাঁকে পরিবারসহ নিহত করা সম্ভব ছিল না।

২। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের একজন চৌকষ অফিসার ছিলেন জেনারেল জিয়া। চলনে বলনে বংগবন্ধুর সম্পূর্ণ উল্টা। তাঁকে কেন ষড়যন্ত্রের কাছে বলি হতে হলো? তিনিতো ষড়যন্ত্র উৎখাতের কাজই করতেন সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার হিসেবে। আমার মনে হয় তিনি সেনা বিদ্রোহ দমনে এবং কর্ণেল তাহের গংদের ষঢড়যন্ত্রের চাপে তদুপরি জেনারেল শওকত এবং জেনারেল মঞ্জুর তাঁর প্রতি বৈরী থাকার ফলে ক্ষমতা সংহত করতে তিনি জেনারেল এরশাদের উপরে নির্ভরশীল হয়ে তাঁকে সেনাবাহিনী প্রধান করে দেশের মধ্যে পাকিস্তান প্রত্যাগত সামরিক অফিসার ও সৈনিকদের আস্থা আর্জনের চেষ্টা করেন।

ණ☛ এই জন্যই ব্রিগেডিয়ার ফিরোজ সালাহ উদ্দীন এর মতো মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বাংলাদেশে অবস্থান করে পাকিস্তান আর্মির সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিবহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়া ও পাকিস্তান বাহিনীর সাথে আত্মসমর্পণকারীকে জেনারেল জিয়া সামরিক সচিব করেন। পরে রিপেটরিয়েট অফিসার জেনারেল সাদেকুর রহমান চৌধুরী প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সামরিক সচিব হন।

ණ☛ প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়া অনেক অমুক্তিযোদ্ধা সামরিক বাহিনীর অফিসার যাদের অনেকে পাকিস্তানের হয়ে যুদ্ধকরে পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে ঢাকাতে আত্মসমর্পণ করেন তাদের প্রায় সবাইকে পুলিশে চাকরি দেন। তিনি তাঁর রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য এটা করেছিলেন আমার ধারনা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে চট্টগ্রামে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেনা অফিসার বিদ্রোহে নিহত হন।

ණ☛ একটি মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন বংগবন্ধু এবং প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউর রহমানের ষড়যন্ত্রের শিকারে পরিনত হয়ে এমন করুণ মৃত্যু কি অবধারিত ছিল? হয়তো ছিল হয়তো ছিল না। আমর পক্ষে এটা বলা সম্ভব নয়। তবে ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্যই যখন হয় ছলে বলে কৌশলে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা, সেনাবাহিনীর কমান্ড করায়ত্ব করা এবং তাতে যখন দেশী বিদেশী স্বার্থান্বেষী মহল যোগ দেয় তখন কে কত উদার মানবিক এবং অবিসংবাদিত নেতা সেটা মুখ্য বিষয় আর থাকেনা। আমরা বংগবন্ধুকে ভালোবাসি শ্রদ্ধা করি আমরা জেনারেল জিয়াকে পছন্দ করি কিন্তু শেষ রক্ষাতো করতে পারিনি। এই দায় আমাদের সবাইকে সমভাবে বহন করতে হবে।

ණ☛ পরিশেষে আমার অনুরোধ সবার প্রতি, আমার এই লেখাকে স্থুলগোষ্ঠী স্বার্থের উপরে উঠে মূল্যায়ন করার জন্য। সবার নিজস্ব মতামত আছে থাকবে। এই লেখাতে আমার দেয়া মতামত সবার পছন্দ হবে তাও না। আমি আমার মতো করে ঐতিহাসিক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছি ভুল হলে খামতি আমার। তবে এই বর্ণনায় আমার বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা এবং আন্তরিকতার যে কোনও অভাব নাই তা নিশ্চিত করে বলতে পারি।

লেখক: কলামিস্ট ও প্রাক্তন মহাপরিচালক বিডিআর

http://newsorgan24.com/detail/27394
 
India wants to take over Bangladesh: Delhi University Professor
বাংলাদেশ দখল করতে চান দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক!

155049Capture-660x330.jpg

ভারত
বাংলাদেশ দখল করতে চান দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক!

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহকারী অধ্যাপক ফেসবুকে ঘোষণা দিয়েছেন, ভারতকে বাংলাদেশ দখল করতে হবে। Tamal Dasgupta তমাল দাসগুপ্ত নামের ওই উগ্র হিন্দুর ফেসবুক স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হল-

“আমি ফেসবুকে পাবলিক পোস্ট দিয়ে ঘোষণা করেছিলাম, বাংলাদেশ দখল করা দরকার, বেশ কয়েক বছর আগে। পশ্চিমবাংলায় বাংলাদেশি এজেন্টদের অনেকেই আশায় আশায় ছিলেন, সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর যেমন হার্ভার্ডের চাকরিটা গেছল, আমারও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিটা যদি এইবার যায়। স্বামী আসলে গেস্ট ফ্যাকাল্টি ছিলেন, সেটা অবিশ্যি এরা জানতেন না

ঘাড়ের পাশে একটা ইসলামিক টাইম behind our back is an Islamic Time Bomb বোম্ব নিয়ে বেঁচে থাকা যায় নাকি! বাংলাদেশ অবশ্যই দখল করতে হবে। Banga Bhumi movement needs to be revived once again ওই বঙ্গভূমি আন্দোলনটাকে আবার রিভাইভ করা দরকার।

http://monitorbd.news/2017/08/28/বাংলাদেশ-দখল-করতে-চান-দিল/
 

Pakistan Defence Latest Posts

Back
Top Bottom