Bangladesh War-Crime Tribunal Bogs Down
Government Under Fire for Alleged Interference in Process Intended to Heal War-Crime Rifts
Bangladesh War-Crime Tribunal Bogs Down - WSJ.com
I.E. Since I'm not a subscriber, Bengali version as following is my only reach...
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন : যুদ্ধাপরাধ বিচারের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে : আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ কামনা, আইসিসিতে যাওয়ার পরামর্শ
ডেস্ক রিপোর্ট
বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পুনঃনিশ্চিত করতে হবে, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে যুদ্ধাপরাধ মামলার বিচারকাজ পরিচালনা করা হচ্ছে।
ট্রাইব্যুনালের পদত্যাগী বিচারপতি নিজামুল হক ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি (ঘাদানিক
-এর তাত্ত্বিক নেতা বেলজিয়াম প্রবাসী আহমেদ জিয়া-উদ্দিনের মধ্যকার কথোপকথনের ওপর প্রকাশিত এক রিপোর্টে এসব মন্তব্য করা হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ ওয়ার-ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল বগস ডাউন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের অচলাবস্থা শিরোনামে প্রকাশিত এক দীর্ঘ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই কথোপকথনের পর এই বিতর্ক দেখা দিয়েছে যে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল কোনো দেশ নিরপেক্ষভাবে যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে পারে কিনা অথবা তাদের আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি
যাওয়া উচিত কিনা।
২৫ লাখেরও বেশি প্রচার সংখ্যার ওই দৈনিকটির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নিয়ে বাংলাদেশ সরকার বিরোধী দল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে রয়েছে। ট্রাইব্যুনালকে নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তাতে বিচার প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিচার পথচ্যুত হতে পারে এবং রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হতে পারে।
ট্রাইব্যুনালের প্রথম মামলা তথা জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার রায় চলতি মাসে হওয়ার কথা থাকলেও হস্তক্ষেপের অভিযোগের পর এখন এই মামলাটি নিয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার ওয়াদা করেছিল তারা আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ সম্পন্ন করবে। কিন্তু বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করেছে, বিচারপ্রক্রিয়াকে সরকার রাজনীতিকীকরণ করেছে। যে জ ১০ জনের বিচার হচ্ছে, তাদের প্রায় সবাই বিএনপির মিত্র ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল জামায়াতের নেতা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বুধবার আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে আমরা কারও বিচার করছি না। আমরা গণহত্যার জন্য তাদের বিচার করছি। এটা সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি মডেল হবে।
ট্রাইব্যুনাল পক্ষপাতদুষ্ট বলে সরকার বিরোধীদের অভিযোগের ভিত্তি হলো যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক ও বেলজিয়াম প্রবাসী আইনজীবী আহমেদ জিয়াউদ্দিনের মধ্যকার দীর্ঘ কথোপকথন। গত আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে অনুষ্ঠিত ছয়টি কথোপকথনের অনুলিপি পর্যালোচনা করে দেখেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল । তাদের কেউই এই কথোপকথনের নির্ভুলতা নিয়ে মন্তব্য করেননি। তাদের মন্তব্য নেয়ার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ওই চাঞ্চল্যকর কথোপকথনের ওপর ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে অনেক তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে সেসব অংশ এখানে প্রকাশ করা সম্ভব হলো না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ১০ জনের বিচার নতুন করে শুরুর জন্য তাদের আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন। আগামী সপ্তাহে এ ব্যাপারে আদেশ হতে পারে।
বিএনপি নেতা ও বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধা শমসের মবিন চৌধুরী ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, ওই কথোপকথনে এটা প্রমাণিত যে, ওই যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্বাধীন নয় এবং তা ভেঙে দেয়া উচিত। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনেকে ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু তাদের বিচার হচ্ছে না। এটা হচ্ছে একটা রাজনৈতিক বিচার।
ওই কথোপকথনে এই বিতর্ক দেখা দিয়েছে, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল কোনো দেশ নিরপেক্ষভাবে যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে পারে কিনা অথবা তাদের আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি
যাওয়া উচিত কিনা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কম্বোডিয়ায় গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে খেমারুজদের হাতে লাখ লাখ লোক নিহত হলেও জাতিসংঘ সমর্থিত ট্রাইব্যুনাল বছরের পর বছর ধরে বিচার চালিয়ে মাত্র এক জনকে শাস্তি দিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো সেখানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছিল।
বাংলাদেশ সরকার দেখাতে চেয়েছিল তারা আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিচার করতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ স্টিফেন র্যাপ বলেছেন, তিনি যেসব সুপারিশ করেছিলেন তাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। তিনি যেসব সুপারিশ করেছিলেন তার মধ্যে একটি ছিল সাক্ষীদের সুরক্ষা। তবে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছেন, র্যাপের সমালোচনা সঠিক নয় এবং সাক্ষীরা প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পাচ্ছেন।
(এখানে স্মরণ করা যেতে পারে যে, বরেণ্য আলেম মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে আসায় গত ৫ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে সুখরঞ্জন বালীকে অপহরণ করেছে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী। তার ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানা যায়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউইয়র্ক-ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মাওলানা সাঈদীর বিচার ফের শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে। এতে আরও বলা হয়, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত সপ্তাহে ওই কথোপকথন প্রকাশের ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ওই কথোপকথন প্রকাশের পর আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান গ্রেফতারের আশঙ্কা নিয়ে গত সাতদিন নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।
???? ??????? ????????? ????????? : ?????????? ??????? ?????????????? ???? ???????? ?????? ????? : ??????????? ????????? ?????, ???????? ?????? ???????