What's new

Crippling Corruption by Awami League regime

সালমান এফ রহমান এবার ফেঁসেই যাচ্ছেন ?
screenshot-hideme.be-2017-07-07-12-20-14.png

সালমান এফ রহমান এবার ফেঁসেই যাচ্ছেন ?
staff reporter
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি উন্নয়নবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবার ফেঁসেই যাচ্ছেন। বিলম্বে হলেও সোনালী ব্যাংকের কঠোর অবস্থানের কারণে জিএমজি এয়ারলাইন্সের খেলাপি ঋণের ২৬৬ কোটি টাকা দিতেই হচ্ছে। না হলে আইনি ব্যবস্থায় যাবে ব্যাংকটি।
ব্যাংক সূত্রে বৃহস্পতিবার এমন আভাস পাওয়া যায়। সম্প্রতি সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৫২৩তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিদ্ধান্তের বিষয়টি ইতিমধ্যে জিএমজিকে জানানো হয়েছে। এর আগে ২৯ মার্চ সব সুদ মওকুফ চেয়ে ঋণটি পুনঃতফসিলের জন্য চিঠি দেয় জিএমজি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তা বোর্ডসভায় গৃহীত হয়নি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ যুগান্তরকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি ঋণ পুনঃতফসিল ও সুদ মওকুফের আবেদন করেছিল। কিন্তু পরিচালনা পর্ষদ তা অনুমোদন করেনি। আইনি ব্যবস্থা নিতে বলেছে।’
সোনালী ব্যাংকের পরিচালক সাবেরা আক্তারী জামালের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে ব্যাংকের নির্ভরযোগ্য সূত্র বলেছে, মামলার প্রস্তুতি চলছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে মামলা হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ যুগান্তরকে বলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী যদি কেউ খেলাপি বা খেলাপি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কিংবা মালিক হন, তবে তিনি কোনো ব্যাংকের পরিচালক বা চেয়ারম্যান হতে পারবেন না। এছাড়া উনি তো পুরনো খেলাপি। তার প্রশ্ন- একটি খেলাপি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান কীভাবে একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে থাকেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিষয়টি দেখা উচিত।
এ ব্যাপারে সালমান এফ রহমানের বক্তব্য নেয়ার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি। পরবর্তীকালে তাকে ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হলেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, আওয়ামীপন্থী ব্যবসায়ী বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান বর্তমানে আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি মামলার অন্যতম আসামি। এছাড়া এই জিএমজি কোম্পানির শেয়ার বাজারে বিক্রি করে তিনি ৩শ’ কোটি টাকা নিয়ে আটকে রেখেছেন। অথচ বিনিয়োগকারীদের টাকা পরিশোধ করছেন না।

সূত্র জানায়, ১৯৯৮ সালে জিএমজি এয়ারলাইন্স সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় ঋণের জন্য আবেদন করে। এ জন্য ধানমণ্ডির ২ নম্বর সড়কের ১৭ নম্বর প্লটে (নতুন) ১ বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমি ও তার ওপরের ভবনসহ সব স্থাপনা ব্যাংকের কাছে বন্ধক রাখা হয়। এ জমির মালিক বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সোহেল এফ রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। ওই বছরেই জিএমজিকে সাড়ে ৪ কোটি টাকা ওভার ড্রাফট ঋণ সুবিধা প্রদান করে সোনালী ব্যাংক। পরে ধীরে ধীরে সুদসহ ঋণ দাঁড়ায় ২৬৬ কোটি ১০ লাখ টাকা।

২০১২ সালে জিএমজির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে ওই ঋণ খেলাপি হয়ে পড়ে। এ সময় ঋণটি পুনঃতফসিল করে সোনালী ব্যাংক। এরপর আবারও খেলাপি হয়ে পড়লে ব্যাংকটি ঋণ পরিশোধের জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা চালায়। এজন্য কয়েক দফায় চিঠি, উকিল নোটিশ, আলোচনা সবই করা হয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে। অবশেষে অর্থ আদায়ে অর্থঋণ আদালত আইন-২০১৩ এর আশ্রয় নেয় ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে আইনের ১২(৩) ধারা অনুযায়ী বন্ধকি জমি নিলামে তুলতে গত বছরের ১২ জুলাই নিলাম দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেয় সোনালী ব্যাংক। বর্তমানে ওই জমিতে বেক্সিমকো গ্রুপের কার্যালয় এবং তাদের ফ্যাশন ব্র্যান্ড ইয়ালোর শোরুম রয়েছে।

তবে শেষ মুহূর্তে জিএমজি রিট দায়ের করলে নিলাম স্থগিত হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়ার ওই রিটটি তাদের পক্ষে নিষ্পত্তি (ভ্যাকেট) করে সোনালী ব্যাংক। এরপরই ঋণটি পুনঃতফসিলের চেষ্টা শুরু করেছে জিএমজি।

অর্থঋণ আদালত আইন-২০১৩-এর ১২(৩) ধারা অনুযায়ী কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিবাদীর কাছ থেকে কোনো স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রেখে, আস্থাবর সম্পত্তি দায়বদ্ধ রেখে ঋণ প্রদান করলে এবং বন্ধক প্রদান বা দায়বদ্ধ রাখার সময় সম্পত্তি বিক্রির ক্ষমতা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করলে তা বিক্রি না করে, বিক্রির চেষ্টা করে ব্যর্থ না হয়ে, সমন্বয় না করে অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের করা যাবে না।

ব্যাংকের নথিতে জিএমজির চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, পিতা-ফজলুর রহমান, মাতা-সৈয়দা ফাতিনা রহমান। ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাহাব সাত্তার, পিতা-আজিজ এইচ এ সাত্তার, মাতা-ভাজিহা আজিজ সাত্তার। পরিচালক ওসমান কায়সার চৌধুরী, পিতা-সাবের আহমেদ চৌধুরী, মাতা-হোসনে আরা বেগম।

জিএমজি ছিল ২০১০ সালে শেয়ারবাজার ধসের আগে অন্যতম আলোচিত একটি কোম্পানি। দীর্ঘদিনের লোকসানি এ কোম্পানিকে কারসাজির মাধ্যমে লাভজনক দেখিয়ে প্রথমে প্লেসমেন্টে শেয়ার বিক্রি করা হয়। এরপর প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে শেয়ারবাজার ধসের পর সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও জিএমজির কারসাজির বিষয়টি উঠে আসে। কমিটির প্রতিবেদনে সালমান এফ রহমানের বিষয়ে সতর্ক থাকতেও বলা হয়েছিল। ১৯৯৬-এর শেয়ারবাজার কেলেংকারিতেও তার নাম রয়েছে।

জানা যায়, সালমান এফ রহমান জিএমজির চেয়ারম্যান। খেলাপি এ প্রতিষ্ঠানের বেক্সিমকো গ্রুপের শেয়ারের পরিমাণ ৪৮ শতাংশ। জিএমজি এয়ারলাইন্স ২৯ মার্চ সোনালী ব্যাংকের কাছে ঋণটি পুনঃতফসিলের আবেদন করে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ চিঠি দেয় জিএমজি। ওই আবেদনে জিএমজি সব সুদ মওকুফ চায়। ৮ বছরে ৩২ কিস্তিতে আসল ঋণ পরিশোধের সুযোগ চায় জিএমজি। এ সময় তারা অগ্রিম (ডাউনপেমেন্ট) সাড়ে ১৬ কোটি টাকা জমাও দেয়।
এ প্রস্তাব ৫ জুন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় উত্থাপন করা হলে তা সর্বোসম্মতভাবে নাকচ হয়ে যায়। ঋণ আদায়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত দেয় পরিচালনা পর্ষদ।

এদিকে শুধু মুদ্রাবাজারে নয়, পুঁজিবাজারেও সংকট সৃষ্টি করেছে জিএমজি। আর্থিক প্রতিবেদন জালিয়াতি করে শেয়ারবাজার থেকে নেয়া ৩শ’ কোটি টাকা ৭ বছরেও ফেরত দেয়নি কোম্পানিটি। ২০০৯ সালে প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করে এই টাকা নেয়া হয়। পরে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে কোম্পানিকে বাজারে তালিকাভুক্ত করেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কিন্তু টাকা আর ফেরত পায়নি সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

জানা গেছে, আইপিওর (প্রাথমিক শেয়ার) আগে মূলধন বাড়াতে নির্দিষ্ট কিছু বিনিয়োগকারীর কাছে শেয়ার বিক্রি করতে পারে কোম্পানি। শেয়ারবাজারের পরিভাষায় একে প্রাইভেট প্লেসমেন্ট বলা হয়। কিন্তু কোম্পানিটি শেষ পর্যন্ত বাজারে তালিকাভুক্তির সুযোগ না পেলে প্লেসমেন্টের টাকা ফেরত দিতে হয়। একই সঙ্গে যতদিন টাকা আটকে রাখা হল, বিনিয়োগকারীদের তার লভ্যাংশ দিতে হয়।

সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করে জিএমজি। এতে ১০ টাকার প্রতিটি শেয়ার ৪০ টাকা প্রিমিয়ামসহ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা নেয়া হয়। এ প্রক্রিয়ায় বাজার থেকে ৩০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জিএমজি এয়ারলাইন্স।
পরের বছর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী পরিবহন শুরু করে। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত টানা ৭ বছর প্রতিষ্ঠানটি লোকসানি ছিল। এ সময়ে মোট লোকসানের পরিমাণ ৪২ কোটি টাকা। ২০০৬ এবং ২০০৭ সালে ১ কোটি টাকা মুনাফা দেখায়। কিন্তু ২০১০ সালে অলৌকিকভাবে বেড়ে যায় প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা। ওই বছরের প্রথম ৯ মাসে প্রতিষ্ঠানটি ৭৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা মুনাফা দেখায়।

শেয়ারবাজারে কারসাজি নিয়ে গঠিত খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ২০০৮ সালের স্থিতিপত্রে হঠাৎ করে ৩৩ কোটি টাকার পুনর্মূল্যায়ন উদ্বৃত্ত দেখানো হয়। এর ব্যাখ্যায় জিএমজি বলেছে, তাদের দুটি বিমানের সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে। তবে বিমান দুটি বেশ পুরনো। স্বাভাবিক নিয়মে পুরনো বিমানের সম্পদের দাম আরও কমার কথা। কিন্তু আলাদিনের জাদুর চেরাগের মতো দাম বাড়িয়ে দেখিয়েছে জিএমজি। এভাবে ১৬৬ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ প্রতিষ্ঠানটি প্রিমিয়ামসহ আরও ৩০০ কোটি টাকা সংগ্রহের আবেদন করে।
http://rtnews24.net/bishesh/64202

Masud Ahmed
This criminal committed plenty of crimes with the assistance of Sk.Hasina,premier. So no way he has to pay this time and face the music. If Sk.Hasina keeps on doing him favor,she will be damaging her image so badly ! Dorbesh was responsible in creating worst grave situation in stock exchange trade ! And according to Ibrahim Khaled's (Ex.Deputy Governor of Bangladesh Bank) report Salman F Rahman was found and proved major guilty.
So Sk.Hasisna must give a second thought about him throw Salman out of the party for the sake of party's image and reputation !
 
From the Editor-in-Chief: When corruption is endemic . . .
Enayetullah Khan
Thursday, July 6th, 2017
Prime Minister Sheikh Hasina has warned government officials against corruption, which is just as well. At a meeting of secretaries of the various ministries on Sunday, she issued as many as thirteen directives aimed at preventing corruption and making it possible for the government to go ahead with implementing its development programmes. The warning to the bureaucrats, let it be noted, was timely and appropriate.

But now we must also observe the bigger picture, which is that corruption is a cancer which affects not only government officials but other sectors of society as well. Many have been the tales in the past of politicians enriching themselves through a blatant misuse of power, to a point where they have amassed huge property for themselves where earlier they had hardly any such resources of their own. Add to that the corruption which pervades even the teaching sector, where bribery in order to come by promotions or satisfactory transfers is not uncommon.

And in these past many years, there have been reports of the gross irregularities which occur in the case of appointments to the police force.
There are other areas of corruption as well, such as the tendency on the part of a section of doctors to ignore their responsibilities in government hospitals and instead focus on what is essentially more lucrative private practice. In the matter of tenders, one hardly needs to be reminded of the gross criminality which has infested the system. Again, when student leaders are seen to become owners of vast property, despite having no jobs or resources, perfectly legitimate questions arise about the venality which corrodes the socio-political system in the country.

Corruption, in other words, has historically been a wide-ranging act in our part of the world. The difference between the past and now, however, is that the extent to which corruption has become endemic in our society is something we did not experience in earlier times. The relevant authorities as well as society itself were always ready to pounce on instances of corruption. That situation has changed. And that can only mean that we in Bangladesh are today in grave need of a powerful, concentrated effort towards rolling back corruption. That campaign must come from those who practice politics and exercise power.

http://www.dhakacourier.com.bd/from-the-editor-in-chief-when-corruption-is-endemic/
 
4 times in 5 years BNP lead Bangladesh to No.1 in corrption - yet BNP Jamaat lackeys being the shameless dogs they are, dare to post about corruption :lol:

You would all do fit to work as prostitutes...like them, you have no shame.
 
প্রকাশ : ০৫ জুলাই, ২০১৭ ১৭:৫৯:৪৫ অঅ-অ+
printer_icon.png

মালিবাগ-মগবাজার ফ্লাইওভার: পদে পদে দুর্নীতি-অনিয়ম
Malibagh -Magbazar Flyover: Corruption and irregularity in Every Step.
1450796223_141955.jpg

শীর্ষ কাগজের সৌজন্যে: মালিবাগ-মগবাজার ফ্লাইওভারের শুরুই হয়েছে নানারকমের অনিয়ম-দুর্নীতির মধ্য দিয়ে এবং সেই ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে যদিও মন্ত্রী-সচিবসহ মন্ত্রণালয়, অধিদফতরের শীর্ষ পদগুলোতে পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু, এখানে দুর্নীতির প্রবণতা কমেনি, বরং বেড়েছে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।

শুরুতে এই ফ্লাইওভার প্রকল্পের যে নকশা তৈরি করা হয়েছিলো তাতে ত্রুটি ছিলো, একথা বলা হচ্ছে। তবে সেই ত্রুটি কেন বা কীভাবে হলো, কারা এরজন্য দায়ী এ ব্যাপারে কোনো জবাবদিহীতা করা হয়নি। নকশা তৈরিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাদের কাছে চিঠি দিয়েও কোনো জবাব চাওয়া হয়নি। এমনকি দেখা যাচ্ছে, সেই ত্রুটিপূর্ণ নকশায়ই ফ্লাইওভার নির্মাণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা রহস্যজনক। কেন ত্রুটিপূর্ণ নকশায় ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ শুরু করা হলো এব্যাপারেও কোনো জবাব নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এদিকে ফ্লাইওভার নির্মাণের ঠিকাদার নিয়োগে তো হয়েছে আরো বড় রকমের অনিয়ম। শীর্ষকাগজের গত ২০তম এবং ২১তম সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে ঠিকাদার নিয়োগের ওইসব অনিয়মের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অবাক ব্যাপার হলো, নকশা পর্যালোচনা এবং নির্মাণ কাজ তদারকির জন্য যে পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাতেও ব্যাপক দুর্নীতি-জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।

এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চেষ্টা করা হয়েছিলো শীর্ষকাগজের পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে বেশ ক’বার। মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ ব্যক্তিরা কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি। ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে, সকল দুর্নীতিকেই জায়েজ করে দেয়া হয়েছে। এমনকি যথাযথ যুক্তি ছাড়াই দফায় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, অর্থব্যয় বাড়ানো হয়েছে লাগামহীনভাবে। শুধু তাই নয়, এতো অর্থব্যয়, সময়ব্যয় ও জনভোগান্তির পরও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, এই ফ্লাইওভার প্রকল্প থেকে প্রয়োজনীয় উপযোগিতা আদৌ পাওয়া যাবে কিনা? ত্রুটিপূর্ণ ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে নির্মাণ কার্যক্রম চালানোর কারণেই এ প্রশ্নটি সামনে এসে যাচ্ছে। যা এক ধরনের বিপর্যয়কর পরিস্থিতিই বটে।

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এরজন্য অন্যতম দায়ী অস্ট্রেলীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান স্মেক এবং মন্ত্রণালয় ও এলজিইডি কর্মকর্তারা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতার কারণেই দফায় দফায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়েছে। এর সুযোগ নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা এলজিইডি এবং মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে যোগসাজশে দফায় দফায় সময় ও ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে। তারপরও কাঙ্খিত মান অনুযায়ী ফ্লাইওভার নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

সূত্রমতে, স্মেককে মালিবাগ-মগবাজার ফ্লাইওভারের পরামর্শক নিয়োগে নানারকমের জাল-জালিয়াতি ও দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছিলো। নকশা পর্যালোচনা এবং নির্মাণ কাজ তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো এ প্রতিষ্ঠানটিকে। শুরুতে অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্মেক স্থানীয় তিনটি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে জয়েন্ট স্টক কোম্পানি গঠন করে টেন্ডারে অংশ নেয়। কিন্তু, যে ক্রাইটেরিয়া ও যেসব শর্তে এ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটিকে প্রথম গ্রহণযোগ্য দরদাতা বিবেচনা করা হয়েছিলো এবং কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিলো, কার্যাদেশ পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি তা চরমভাবে লঙ্ঘন করে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের হয়ে দায়িত্ব পালনের জন্য যেসব বিশেষজ্ঞ এ প্রকল্পে কাজ করার কথা টেন্ডারে উল্লেখ করা হয়েছিলো তা পরে পরিবর্তন করা হয়। জানা গেছে, বিশেষজ্ঞ পরিবর্তনের বিষয়টি দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি নাকচও করে দিয়েছিলো। তারপরও এলজিইডির তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান পিপিআর লঙ্ঘন করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে নিজে নিজেই এটি অনুমোদন করেন। এমনকি তখন এতে যথাযথ কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ মন্ত্রণালয়েরও অনুমোদন নেওয়া হয়নি। যা ডিটেইল প্রজেক্ট প্ল্যান (ডিপিপি) এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুল (পিপিআর) এর চরম লঙ্ঘন।

সূত্র বলছে, ২০১২ সালের ১২ জুন থেকে ১৭ মাসের জন্য অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক স্মেক (এসএমইসি) ইন্টারন্যাশনাল এবং দেশিয় এসিই কনসালট্যান্ট লিমিটেড, এসএআরএম কনসালট্যান্ট লিমিটেড ও ক্রান্তি অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড নামক যৌথ পরামর্শক সংস্থার সঙ্গে ১৩ কোটি ৭ লাখ টাকার চুক্তি করে এলজিইডি। চুক্তির পর পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুল (পিপিআর) লঙ্ঘন করে ডেপুটি টিম লিডার (ডিটিএল) ও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার পরিবর্তন করে পরামর্শক সংস্থাটি। উল্লেখ্য, পরামর্শক সংস্থা নিয়োগের ক্ষেত্রে দুই খাম বিশিষ্ট দরপত্রে টেকনিক্যাল অফারই প্রধান বিবেচ্য বিষয় হয়ে থাকে। টেকনিক্যাল অফার মূল্যায়নে নম্বর বেশি থাকে এবং বিশেষ করে এর ভিত্তিতেই গ্রহণযোগ্য দরদাতা বিবেচিত হয়। টেকনিক্যাল লোকবল অর্থাৎ কোন কোন বিশেষজ্ঞ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কাজ করবেন তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার ওপর নম্বর দেওয়া হয়। গ্রহণযোগ্য দরদাতা নির্বাচনের জন্য এসব ক্ষেত্রে এটাই প্রধান নিয়ামক হিসেবে বিবেচিত হয়। টেকনিক্যাল লোকবল পরিবর্তন করা হলে প্রকল্পের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। এ কারণেই টেন্ডার গৃহীত হওয়ার পর টেকনিক্যাল লোকবল পরিবর্তন করার সুযোগ থাকে না। কখনো পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের টেকনিক্যাল লোকবল পরিবর্তনের অপরিহার্যতা দেখা দিলে সেক্ষেত্রে নিয়ম হলো, টেন্ডার জমা দেওয়ার সময় যার নাম উল্লেখ করা হয়েছিলো পরবর্তী অর্থাৎ নতুন ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা তার সমান অথবা তারচেয়ে বেশি থাকতে হবে। পূর্বের ব্যক্তির চেয়ে কম হলে তা কোনো ক্রমেই গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। ব্যক্তি পরিবর্তনের এই পুরো বিষয়টি মূল্যায়ন করবে পূর্বের মূল্যায়ন কমিটি, যে কমিটি ইতিপূর্বে টেন্ডার মূল্যায়ন করেছিলো। মূল্যায়ন কমিটির মূল্যায়নে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হওয়ার পর তাতে যথাযথ কর্তৃপক্ষেরও অনুমোদন নিতে হবে। এক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বলতে শুধুমাত্র তাদেরই বোঝায়, ইতিপূর্বে টেন্ডার বা কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় যেসব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিলো। এটাই হলো পিপিআর-এর শর্ত। পিপিআর ২০০৮ এর ১১৯ (৫) ধারায় এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে, প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (কী-পারসনাল) পরিবর্তন করা যাবে না। পরিবর্তন অত্যাবশ্যকীয় হলে তা পুনরায় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) কর্তৃক মূল্যায়ন করতে হবে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে। অথচ এসব নিয়ম না মেনেই মালিবাগ-মগবাজার ফ্লাইওভার প্রকল্পে বিধি বহির্ভূতভাবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ‘কী-পারসন’দের পরিবর্তন করা হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, মালিবাগ-মগবাজার ফ্লাইওভারে স্মেকের সঙ্গে সম্পাদিত মূল চুক্তিতে ডিটিএল (ডেপুটি টিম লিডার) ছিলেন আব্দুল মান্নান। তার পরিবর্তে ফরিদ আহমেদকে নেওয়া হয়েছে। এবং ষ্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন জাপানের ড. হিদো ম্যাতসুসিমা। তার পরিবর্তে রবার্ট জে আ্যাবেসকে নেওয়া হয়েছে। অথচ প্রতিমাসে ২০ লাখ টাকা বেতন গ্রহণকারী এই নতুন ইঞ্জিনিয়ার রবার্ট জে অ্যাবেস এ সংক্রান্ত কোনো ডিজাইনই তৈরি করতে পারেন না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পিপিআর অনুযায়ী পিইসির পুনঃমূল্যায়ন হলে নিয়োগপ্রাপ্ত পরামর্শক সংস্থা স্মেক কাজের অযোগ্য হয়ে যেত। চুক্তির শর্তেই তা বলা আছে। এক্ষেত্রে কাজ পেতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডিপিএম-এআইএ জেবি নামে প্রতিষ্ঠানটি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেত। এতে রাষ্ট্রের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা সাশ্রয়ও হতো।

অপরদিকে ষ্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার রবার্ট জে আ্যাবেস অদক্ষ হওয়ায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)কে পরবর্তীতে চার কোটি টাকা চুক্তিতে ডিজাইন কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিতে হয়েছে। কিন্তু ডিপিপিতে ওই প্রকল্পের জন্য কেবলমাত্র একটি পরামর্শক সংস্থা নিয়োগের শর্ত রয়েছে। ডিজাইন মূল্যায়ন এবং কাজ তদারক করার দায়িত্ব ওই একটি সংস্থারই থাকার কথা। সেই অনুযায়ীই স্মেককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে ফ্লাইওভারটির ডিজাইন তৈরি বাবদ পাঁচ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান স্মেক-এর কাজ ছিলো সেই ডিজাইন মূল্যায়ন এবং তদারক করা। অথচ ডিপিপি লঙ্ঘন করে স্মেক-এর বাইরে অতিরিক্ত পরামর্শক হিসেবে বুয়েটকে নিয়োগ দেওয়া হয় ডিজাইন মূল্যায়নের জন্য। যেহেতু স্মেক-এর নিয়োজিত ইঞ্জিনিয়ার ডিজাইন মূল্যায়ন করতে পারছিলো না সে কারণেই এটি করতে হয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারের অতিরিক্ত আরো চার কোটি টাকা খরচ হয়েছিলো। অর্থাৎ সব মিলিয়ে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ বাবদ সরকারের প্রায় ৯ কোটি টাকা গচ্ছা গেছে শুদুর্নীতিবাজদের সরকারি অর্থ আত্মসাত প্রবণতার কারণে। শুধু তাই নয়, পরামর্শক নিয়োগে এমন দুর্নীতির কারণে পুরো ফ্লাইওভারটিই ত্রুটিপূর্ণভাবে নির্মিত হচ্ছে। নির্মাণ কাজে অতিরিক্ত সময় এবং শ’ শ’ কোটি টাকা ব্যয় তো বেড়েছেই।

(সাপ্তাহিক শীর্ষ কাগজে ২২মে,২০১৭ তারিখে প্রকাশিত)
http://www.sheershanews.net/2017/07/05/141955

প্রকাশ : ০৪ জুলাই, ২০১৭ ১০:৩৩:০৯ অঅ-অ+
printer_icon.png



জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের লালমাটিয়া ফ্ল্যাট প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি
Massive Corruption in Lalmatia Flat Project
10_141804.jpg

শীর্ষ কাগজের সৌজন্যে: ‘১৩২ ফ্ল্যাট প্রকল্প’ নামে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ রাজধানীর লালমাটিয়ায় যে প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে তাতে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। ফ্ল্যাট বরাদ্দ, গ্যারেজ বরাদ্দ, সরকারি অর্থ ব্যবহারসহ কোনো কিছুতেই নিয়ম-নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে, নীতিমালা অনুসরণ না করে ‘যাকে খুশি তাকে’ ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বেশক’টি ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রেই এমন হয়েছে। এমনকি গ্যারেজ বরাদ্দেও স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জমির মূল্য নির্ধারণে প্লট গ্রহীতাদেরকে অযৌক্তিকভাবে ছাড় দেয়ার কারণে এই প্রকল্পে সরকারের বড় অংকের আর্থিক ক্ষতি হতে যাচ্ছে। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান খন্দকার আক্তারুজ্জামান অনেকটা বেপরোয়াভাবেই এসব দুর্নীতি-অপকর্ম করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের মূল ডিপিপিতে ফ্ল্যাটের প্রতি বর্গফুটের মূল্য ধরা হয়েছিলো ৫,৫০০/- টাকা। অথচ প্রসপেক্টাসে চেয়ারম্যান খন্দকার আক্তারুজ্জামান প্রতি বর্গফুটের মূল্য ঘোষণা করেন ৪,৫০০/- টাকা, ডিপিপি’র বাইরে যা তিনি পারেন না। পরবর্তীতে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে সংশোধিত ডিপিপি-তে মূল্য নির্ধারণ করেন বর্গফুট ৫,২০০/- টাকা।

উল্লেখ্য, শুরুতে ১৩২টি ফ্ল্যাট নির্মাণের প্রকল্প তৈরি করা হলেও এই প্রকল্পে বর্তমানে ১৫৩টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদনের আগেই অতিরিক্ত এই ২১টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ১২টি ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয়ে যায়। বাকি ৯টি ফ্ল্যাট বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চেয়ে ফাইল পাঠানো হয়েছিলো।

কিন্তু ইতিমধ্যে শীর্ষকাগজে এ সংক্রান্ত অনিয়মের খবর ছাপা হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মহলে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। ফলে এই ৯টি ফ্ল্যাট বরাদ্দ না দিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল ফেরত পাঠানো হয়। বলা হয়, নিয়মানুযায়ী গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এ ফ্ল্যাটগুলো বরাদ্দ দিতে হবে। সেই অনুযায়ী গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ৭টি ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয়। দু’টি ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয় বিজ্ঞপ্তির বাইরে মন্ত্রীর ইচ্ছায়, যদিও মন্ত্রীর কোটা আগেই শেষ হয়ে গেছে। তবে এখন সমস্যা দেখা দিয়েছে, বিজ্ঞপ্তি জারি করা ছাড়াই ইতিমধ্যে যে ১২টি ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সেগুলো নিয়ে। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এই ১২টি ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার আক্তারুজ্জামান নিজের পছন্দের ব্যক্তিদেরকে এই ফ্ল্যাটগুলো বরাদ্দ দিয়েছেন।

ফ্ল্যাট বরাদ্দের নীতিমালা হলো, একটি ফ্ল্যাট অতিরিক্ত বরাদ্দ দিতে হলেও গণবিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। নীতিমালা অনুযায়ী, গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা ছাড়া কোনো ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া যাবে না। কিন্তু, নীতিমালার তোয়াক্কা না করে চেয়ারম্যান খন্দকার আক্তারুজ্জামান এই ফ্ল্যাটগুলো বরাদ্দ দিয়েছেন। দ্বিতীয় দফায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাবার সময় বড় অংকের অর্থ তার খরচ হয়েছে। সেই অর্থ তিনি এই ফ্ল্যাটগুলো বরাদ্দ দিয়ে উসুল করেছেন।

অন্যদিকে গ্যারেজ বরাদ্দেও বড় ধরনের অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। ভবনের মধ্যে গ্যারেজ আছে ৯৩টি, আর ভবনের বাইরে শেডে ৬০টি। যারা ভবনের ভেতরে গ্যারেজ পাচ্ছেন, এক্ষেত্রে প্রতিটি গ্যারেজের জন্য মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকা। অন্যদিকে ভবনের বাইরে গ্যারেজ শেডে যারা গ্যারেজ পাচ্ছেন তাদেরকে প্রতি গ্যারেজের জন্য দিতে হবে ৭ লাখ টাকার বেশি। একে এক অদ্ভূত নিয়ম বলে আখ্যায়িত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এক্ষেত্রেও চেয়ারম্যান খন্দকার আক্তারুজ্জামান চরম স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়েছেন। যদিও নিয়ম অনুযায়ী, ভবনের মধ্যে যারা গ্যারেজ পাবেন তাদেরই বেশি মূল্য ধরা উচিত। অথচ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সম্পূর্ণ উল্টো ও খেয়ালখুশিমতো। কিছু ফ্ল্যাট ক্রেতার সঙ্গে যোগসাজশে চেয়ারম্যান এমন উল্টো নিয়ম চালু করেছেন।

জানা গেছে, এই ‘১৩২ ফ্ল্যাট প্রকল্প’র অধীনে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মোট জমি ব্যবহার হচ্ছে ৪.২০ একর। অথচ প্রকল্পের হিসাবে আনা হয়েছে ২.৬৪ একর। যা সম্পূর্ণ অবৈধ। এখানে ১.৫৬ একর জমি অবৈধভাবে ছাড় দেয়া হয়েছে। সরকারি হিসেবে একর প্রতি ৮ কোটি টাকা মূল্য হিসেবে এক্ষেত্রে সরকারের ১২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা নীট ক্ষতি হচ্ছে। জমির বাজার মূল্য অনুযায়ী এই ক্ষতির পরিমাণ একশ’ কোটি টাকারও বেশি। কিছু ফ্ল্যাট ক্রেতার সঙ্গে যোগসাজশে সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার আক্তারুজ্জামান এই অপকর্মটি করছেন।

ফ্ল্যাট প্রকল্পের ক্ষেত্রে ভবন নির্মাণে ব্যবহৃত জমির সঙ্গে রাস্তা, পার্ক এবং অন্যান্য খালি জায়গাসহ পুরো জমির মূল্য প্রকল্পের খরচের মধ্যে হিসাব করতে হবে। তারপরই প্লট বা ফ্ল্যাটের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। এর কারণ, এগুলো সবই ব্যবহৃত হবে ভবনে ব্যবহারকারীদের কাজে। রাজউক, এমনকি জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অন্য সবক’টি ফ্ল্যাট প্রকল্পের ক্ষেত্রে এই নীতি অনুসরণ করা হয়েছে। অথচ শুধুমাত্র লালমাটিয়ার প্রকল্পে এ নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে। এতে শুধুমাত্র ভবনে ব্যবহৃত জমির মূল্যকেই নির্মাণ খরচের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে সরকারের বড় অংকের আর্থিক ক্ষতি হতে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, ইতিপূর্বের হিসাব অনুযায়ী আরো বেশি ক্ষতির অংক দাঁড়িয়েছিলো। তখন গ্যারেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। ফ্ল্যাটের সঙ্গে গ্যারেজ ফ্রি দেয়া হচ্ছিলো। শীর্ষকাগজে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট মহলে এ নিয়ে তোলপাড় হয়। মন্ত্রণালয় এবং সরকারের উপরের মহল থেকে চেয়ারম্যানের উপর চাপ পড়ে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে দুদকের মামলার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। ফলে গ্যারেজের মূল্য নির্ধারণ করে ক্ষতির পরিমাণ কমানো হয়। কিন্তু, এখন গ্যারেজ বরাদ্দ নিয়েও ব্যাপক বৈষম্য দেখা দেয়ায় সম্পূর্ণ প্রকল্পটি প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুরুতে সরকারের নিয়ম অনুযায়ীই রাস্তাসহ মোট জমি হিসাবে আনা হয়েছিলো। মোট জমির মূল্য হিসাবে এনে ফ্ল্যাটের মূল্য নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্বাহি প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় এবং মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু, পরে সেই হিসাবকে বাদ দিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা শুধু ভবনের কাঠামোর জমি হিসাবে আনেন। এতে জমির পরিমাণ দাঁড়ায় ২.৬৪ বিঘা। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যই এ দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন।

(সাপ্তাহিক শীর্ষ কাগজে ১২জুন,২০১৭ তারিখে প্রকাশিত)
http://www.sheershanews.net/2017/07/04/141804
 
Political activists, contractors pocketing money
Published: 00:59, Jul 12,2017

Political cadres in collaboration with contractors are making money illegally from an Asian Development Bank funded $ 40 million project for laying the water supply pipeline for DWASA’s zone 6 in the capital.
The new pipeline from Eskaton to Mugda and Secretariat to Maradia aims at reducing system loss by 30 per cent and supplying water at high pressure to end consumers’ dependence on pumping water from the supply line.
Though consumers are supposed to get connected to the new pipeline free of cost, political cadres and contractors are charging each of them Tk 700 for the purpose.

The consumers living at Banasree, Meradia, Madartek and other localities told New Age that they were being forced to pay for the accessories and 10 metres of pipeline up to the household reservoir though they are supposed get all this free of cost. The allocation set aside for providing the free connections and accessories are being pocketed by the cadres and the contractors, alleged officials and the consumers.

Under the project DWASA set aside Tk 9,600 or $120 for extending free connection and accessories to each of the 50,000 households. The joint venture of China Railway First Group Company Ltd, RFL Construction Limited and Falgu Sandhani Limited, the main contractors, appointed political cadres as area sub-contractors for laying 348 km of pipelines and extending water supply connections. The project is a component of the Dhaka Environmentally Sustainable Water Supply Project jointly funded by ADB, Agence Française De Développement, European Investment Bank and Bangladesh government. A consumer from Madartek said ruling Awami League activist Humayun and Amir compelled him to pay Tk 700 to extend the water supply connection.

He said that he had to pay an additional amount of Tk 8,000 to buy precast chamber, floating valve, slow lock and pipes and other accessories.
He said that brochures distributed by DWASA through an NGO said that the consumers would get the connections together with the accessories free of cost.
Dhaka South City Corporation’s councilor for Ward-3 Maqsud Hossain Mohsin said simultaneous digging of all the roads and lanes for laying the pipelines cut off Meradia from the rest of the capital.
He said that the residents found it impossible to leave or return to their homes even on foot. He said that this happened as the contractors skipped horizontal piling as the contract required them to do. He said that the DSCC suspended DWASA’s pipeline laying at a number of areas after the manual diggings snapped the power and gas supply lines as well as telephone connections.

He said that DWASA even did not dare to keep watch on what was happening to its key project for the capital just because RFL enjoys powerful backing. Complaints from DSCC, BTCL, DPDC and Titas Gas Transmission and Distribution Company drew zero response from DWASA, said the affected utility officials.

BTCL demanded Tk 46 crore as compensation for damaging its underground optical fibre network for which 1,600 telephones got disconnected, BTCL press officer Mir Mohammad Morshed told New Age in his written reply.
Dhaka Wasa’s project director Md Mahmudul Islam dismissed the complaints as ‘exaggerations’.

RFL Construction Limited executive director and coordinator of the joint venture Jafar Ullah, said he never heard complaints from any consumer that they had to pay to contractors to get connections or buy the accessories.

http://www.newagebd.net/article/19583/political-activists-contractors-pocketing-money
 
Rental power sponsors bag king’s ransom as ‘incentives’
Govt disburses Tk 392.26b as ‘capacity payment’, continues dependence on costly ‘quick’ solutions beyond tenures

M Azizur Rahman


Owners of rental-and quick-rental power plants bagged over Tk 392.26 billion as 'incentives' from the government over the past decade sans generating electricity, said officials.

The money was exacted by the private power sponsors in the form of 'capacity payment' stipulated in the contacts made with them when the government opted for a quick-fix solution to a nagging power crisis in the country.

This amount is over 41.82 per cent of the total payments worth Tk 937.89 billion that the state-owned Bangladesh Power Development Board (BPDB) disbursed to all power producers against electricity purchase between July 2008 and December 2016, they added. The remaining Tk 545.63 billion of the total was paid to all the power-plant owners as energy payments during the period under consideration.

Capacity payment is a sort of penalty, which the BPDB is bound to pay to the owners of rental-and quick-rental power plants if the government fails to purchase a certain portion of electricity readily available with them.

As per the power-purchase agreements, this penalty is calculated on the basis of 40 per cent plant factor of the oil-fired rental-and quick- rental power plants on average, a senior official of the state-run power board told the FE.

There are, however, allegations that a section of unscrupulous power entrepreneurs are capitalising on the 'loopholes' in the contracts, leaving the government to count the cost.

Some of the plants are failing to generate electricity in line with their commitments because of old and outdated equipment and generators of their plants but are shifting the blame for their failure on to the government to realise capacity payments, industry-insiders said.

The rental and quick-rental power plants are also consuming more oil than specified in the contracts, they added.

The BPDB has to pay around Tk 3.36 million per day to a 50- megawatt (MW) oil-fired rental or quick-rental power plant as 'capacity payment' in case of the former's failure to purchase electricity,

Sources said the board had to pay around Tk 12.80 billion to privately-owned power-plant sponsors during the fiscal year (FY) 2007-08, which was 54.23 per cent of the total payments worth Tk 23.64 billion made to all power producers.

During FY'09, the BPDB had to pay around Tk 15.06 billion to these plant sponsors, which was 48.84 per cent of the total payments amounting to Tk 30.83 billion made by the BPDB to all the power producers.

Total capacity payments by the BPDB to privately-owned oil-fired power-plant sponsors during FY'10 amounted to around Tk 17.90 billion, which was 50.35 per cent of the total payments worth Tk 35.55 billion from BPDB to all power producers against electricity purchase.

The payment was around Tk 29.73 billion to the private oil-fired power- plant sponsors during FY '11. The amount was 38.27 per cent of the total payments worth Tk 77.67 billion made by the BPDB to all power producers for electricity purchase.

During FY'12, the board had to pay around Tk 50.01 billion to these power sponsors, which accounted for 40.64 per cent of the total Tk 123.04 billion paid to all power producers in electric bill.

Its total capacity payments to the sponsors during FY'13 were around Tk 54.90 billion or 38.96 per cent of the total payments worth Tk 140.90 billion given to all the power producers against electricity purchase.

Around Tk 47.14 billion had to be paid to these power sponsors during FY '14. It was 33.16 per cent of the total power-purchase payments worth Tk 142.13 billion.

The FY'15 bill was around Tk 82.43 billion or 55.29 per cent of the total Tk 149.06.

Total capacity payments during FY'16 were around Tk 53.76 billion or 38.35 per cent of the total Tk 140.17 billion paid by the BPDB to all the power producers against electricity purchase.

The capacity payments were around Tk 28.48 billion during the first six months of FY '17, until December 2016. It accounted for 38.04 cent of the total power-purchase bill worth Tk 74.86 billion during this period.

The government had launched a drive to install under private sector a significant number of oil-fired rental-and quick-rental power plants from 2009, as a 'short-term' solution to a nagging countrywide electricity crisis.

The government also awarded private-sector sponsors several gas-fired power plants to be set up on rental basis.

Most of these power plants were awarded on the basis of unsolicited offers under the Speedy Supply of Power and Energy (Special Provision) Act 2010. The law has a provision of immunity to those involved with the quick-fix remedies.

The government also allowed the private entrepreneurs duty-free import of furnace oil to run their power plants with 9.0 per cent service charge along with import costs as an incentive, said a senior official of Power Division under the Ministry of Power, Energy and Mineral Resources.

Alongside the rental power plants the government also had a plan to install a number of big peaking power plants as 'mid-term' and 'long-term' measures.

The Power Division also then had planned to retire the rental-and quick-rental power plants after expiry of their initial tenures and bring down the electricity tariffs as well, he added.

But, instead of retiring 'expensive' rental-and quick-rental power plants, the government continued extending their tenures and installed more such plants with the capacity-payment provision intact in the order, the official said.

For a lack of monitoring and supervision from the government, the mid-term power plants 'failed' to come up, he said.

As a consequence, the electricity tariffs for retail-level consumers were hiked seven times-almost doubling it from previous rates-instead of reducing that as per government's initial plan.

Furthermore, the government recently moved to award afresh over a dozen oil-fired power plants to private sector under the special law that skips tendering, keeping the provisions of capacity payment, and 9.0 per cent service charge.

Currently, the country has a total of 43 oil-fired power plants, of which 34 with a total generation capacity of 2567 megawatts (MW) are furnace oil-fired and the remaining nine with a total capacity of 846MWs are diesel-based plants.

"The government is keeping intact the way of making hefty money by a section of 'unscrupulous' power entrepreneurs by relying heavily on rental-and quick-rental power plants for electricity generation," energy adviser of the Consumers' Association of Bangladesh (CAB) Prof M Shamsul Alam told the FE Tuesday.

He said the initial plan of the government to install such oil-fired power plants as a 'short-term' solution and retire them after initial expiry deadlines and subsequent reduction in tariffs was a 'pro-people' decision.

But continued extension of the 'expensive' rental-and quick-rental power plants with capacity-payment provisions went the way of dishonest businesspeople, he added.

Electricity tariffs continued to rise over the past several years as an outcome of the government's 'wrong' policy, said the CAB adviser, adding: "It is not at all an ideal policy".

Apart from furnace oil-fired power plants, the government is also continuing with high-cost diesel-run rental power plants, which he said is raising electricity-generation costs further.

Former director-general of the state-run Power Cell BD Rahmatullah said the government's mid-term plan to build large low-cost power plants "failed due to 'intentional' negligence of the sponsors most of whom also own rental-and quick-rental power plants".

He termed the government's dependence on expensive oil-fired rental power plants a 'total failure'.

"A powerful syndicate is active in the country to keep it continued," he alleged.

Although this government is completing two consecutive tenures in power, it is still in 'crisis-management' mood for power sector, said Prof Ijaz Hossain of Bangladesh University of Engineering and Technology (BUET).

"It's a total failure," he said.

The engineering professor feels that the government should have implemented at least several big power-plant projects in the meantime.
http://www.thefinancialexpress-bd.c...er-sponsors-bag-king’s-ransom-as-‘incentives’
 
ব্যাংকের টাকা মেরে বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন- LOOTING BANKS MONEY AND LIVING A LUXURIOUS LIFE ABROAD
1-1-660x330.jpeg

ব্যাংকের টাকা মেরে বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন

‘ব্যাংকের অর্থ মেরে বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা। তারা গ্রাহকদের আমানতের অর্থ নানা কৌশলে বিদেশে পাচার করে সেখানে সেকেন্ড হোম গড়ে তুলছে। কানাডা, সিঙ্গাপুর, ইউএসএ, মালয়েশিয়া এবং সুইজারল্যান্ডে অট্টালিকায় বিলাসী জীবন যাপন করছে। অথচ গৃহঋণের এই অর্থ দেশে থাকলে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকা এগিয়ে যেত।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত ‘হোমলোন অব ব্যাংকস: ট্রেন্ড অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে ব্যাংকিং খাতের বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী বলেন, গৃহঋণের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে। সেগুলোর সমাধান প্রয়োজন। ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে যেসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে- তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, এটা সত্য যে মানুষের মাথা গোজার ঠাঁই হচ্ছে ঘর। সুতরাং এই খাতে ঋণের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। তবে এই ঋণ হতে হবে স্বল্পসুদের। এই ঋণ যাতে গ্রামের মানুষ পায়- তারও ব্যবস্থা করতে হবে।

বৈঠকে বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলী বলেন, এসব অসাধু আবাসন ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকে আবার ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট তৈরি করে বিক্রি করেছে; কিন্তু তার রেজিস্ট্রেশন দেয়নি। এর কারণ হচ্ছে, তারা লোন পরিশোধ করছে না। তাই ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন দিতে পারছে না। তাই গ্রাহকরা ফ্ল্যাট কিনেও রেজিস্ট্রেশন পাচ্ছেন না। এখানে সরকারের দেখার বিষয় রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি, এখানে অনেক প্রকল্প পড়ে আছে; কিন্তু বিক্রি হচ্ছে না। এখানে চাহিদা বাড়ছে না। এক্ষেত্রে রেগুলেটরের ভূমিকা পালন করতে হবে। ঋণ দিয়ে ফ্ল্যাট বিক্রি বাড়াতে হবে। বিভিন্ন ধরনের ইনসেনটিভ দিতে হবে।

ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঋণের ব্যাপারে তিনি বলেন, ব্যাংকের উঁচু স্তরের কর্মকর্তারা ২-৩ শতাংশ সুদে ঋণ নিচ্ছে; অথচ নিচের স্তরের কর্মকর্তারা ঋণ পায় না। ব্যাংকের বড় কর্মকর্তারা এই বৈষম্য বাড়াচ্ছেন- এটা বন্ধ করতে হবে।

পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ফ্ল্যাট বা বাড়ি রেজিস্ট্রেশন কারার সময় ব্যাংকের কাছে মর্টগেজ আছে কি না- তা শতভাগ নিশ্চিত হতে হবে। অনেক ব্যবসায়ী এবং বাড়ির মালিক ব্যাংক ঋণ নিলেও তা সাইনবোর্ডে উল্লেখ করেন না। এছাড়া গৃহঋণে প্রভিশন ২ শতাংশের জায়গায় ১ শতাংশ হলে ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে আরও উৎসাহ বোধ করবে।

বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, মানুষ গৃহ নির্মাণে যাতে সহজে ঋণ পায়- সে বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। সহজ শর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে মধ্যবিত্তের মাথাগোজার ঠাঁই হয়।

তিনি বলেন, গৃহঋণের নানা দিক বিশ্লেষণ করে নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। আশা করা হচ্ছে, এই নীতিমালা প্রণয়ণ হলে গ্রাহকরা সহজে ঋণ পাবেন।

বৈঠকে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে তারা বলেন, গৃহঋণের ৮৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ পায় শহরের মানুষ। সেখানে গ্রামের মানুষ ঋণ পেয়েছে সাড়ে ১৬ শতাংশ। আবার ঋণের অধিকাংশ অর্থই বাড়ি নির্মাণের পেছেনে ব্যয় হয়।

এতে আরও বলা হয়েছে, অন্যান্য সব ঋণের চেয়ে গৃহঋণে খেলাপি সবচেয়ে কম। ২০০৬ সালে ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণের রেশিও ছিল ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। তখন গৃহঋণে খেলাপি ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ২০১৬ সালে খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। কিন্তু গৃহঋণে তা মাত্র ৩ দশমিক ১২ শতাংশ।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের প্রফেসর এবং ডিরেক্টর মহিউদ্দিন সিদ্দিক; সহযোগী প্রফেসর মো. আলমগীর এবং ড. মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
http://rtnews24.net/desh/69241
 
Guys guys, guys guys
I have a very good suggestion for you.

Andolon ta Eid er porei koren.


4 times in 5 years BNP lead Bangladesh to No.1 in corrption - yet BNP Jamaat lackeys being the shameless dogs they are, dare to post about corruption :lol:

You would all do fit to work as prostitutes...like them, you have no shame.
Hoes are good. They do their work and earn money. Unlike these hypocrites who complain about corruption of the ruling party despite knowing that the party they support is even more corrupt.
 
BB may dissolve NRB board
Rampant irregularities irks central bank

Business Report

Bangladesh Bank may dissolve the board of NRB Commercial Bank, set up only four years back and remove its and managing director Dewan Mujibur Rahman for gross loan irregularities and breaking banking laws.

The action is being taken in the light of the recommendations of the Banking Regulation & Policy Department of the central bank which submitted a review report to a the central bank standing committee which was formed to look into the irregularities inside NRBC Bank including fake loans and false directors.

Earlier the High Court has also asked the central bank to take action against them in dismissing a writ petition by the Managing Director and Chairman to over-rule the central bank allegations.
The report by Banking regulation committee found the flagrant irregularities and suggested dissolution of the board and removal of the top executives as per the banking laws.

Earlier the central bank was dissatisfied with the explanations given by NRBC Bank Chairman Farasath Ali and its CEO Rahman against the show-cause notices it had served on 10 counts of wrongdoings, including signature forgery, interference of outsiders in the board and lending corruption.
It said replies from Ali and Rahman contained many wrong information with the intent of misguiding the authorities, said a central bank official. So the Banking Regulation & Policy Department of the central bank in its report to the standing committee of the BB recommended their removal and bring drastic change in the bank to protest depositors interest.

The standing committee will now ask the board members and the top executive to appear in hearing before recommending their removal to the BB governor, sources in the central bank said.
It is clear that the board of directors has failed to uphold the banking companies act to protect the interest of the depositors and the public, said the show-case notice sent to Ali in March. The other notice, sent to Rahman, said he had failed to discharge his responsibilities properly.
All the irregularities were inter-linked and took place with the involvement of the board and the management. As the MD, Rahman never informed the BB about the irregularities, the notice said.
After being slapped with the show-cause notices, both the chairman and the MD had
filed writs with the High Court. The court, however, dismissed the petitions on March 28 and also ordered the BB to take action as per procedure.

In 2006, the central bank dissolved the board of Oriental Bank, now ICB Islamic Bank Ltd, for corruption and mismanagement.

http://www.weeklyholiday.net/Homepage/Pages/UserHome.aspx?ID=7&date=0#Tid=14435

Rice from govt. depots entering black market

Police and Rab held 12 trucks in port city
Business Report

busi01.jpg

When the country is facing food shortage and the government is importing rice on emergency basis, hoarders and black marketers are out to exploit the situation by stealing food grains from government food depots and silos. Twelve trucks were seized last week in port city and many more may be on run.

It appears that government appointed food distributors are selling delivery vouchers to black marketers and making hefty profit without reaching food grains to local dealers. . On the other hand, hoarders and black marketers are helping to create artificial supply shortage in the market by retaining supply for few days and then claiming high price from retailers selling rice in the market.
Police and Rab seized as many as 3,096 tones of rice in seven trucks in the port city in Wednesday while being smuggled out of government depots packed in jute sacks bearing the insignia of the Directorate General of Food.

The directorate officials, however, claimed the rice seized from seven trucks was not theirs, then the big question is why they are packed in bags having seal of the Department on the bags.
Meanwhile, a Chittagong court on Thursday sent the manager of the Halisahar central storage depot (CSD) to jail from where the rice was allegedly stolen, along with four truckers in connection with the incident.

In another development, Rapid Action Battalion-7 seized another truck loaded with
13.5 tones of rice loaded with 270 sacks from the city. The vehicle was left abandoned in Akbar Shah area.
The question remains: who owns the rice packed in sacks inscribed with the words
“For Directorate General of Food”? Officials of the food directorate inspected all 126 government food depots in Chittagong and found their rice stock intact.

Mahbubur Rahman, regional food comptroller of the directorate, said they found 2,104 tones of rice and 2,799 tones of wheat in the warehouses which matched their records in the ledger.
Rab-7 officials said a total of 3,096 sacks of rice were seized from the seven trucks on from Halisahar and City Gate areas. The Rab picked up CSD Manager Pranayan Chakma and four truckers during the drive.
According to Rab-7 Assistant Director Mimtanur Rahman, all the sacks bore the seal of the Directorate General of Food.
http://www.weeklyholiday.net/Homepage/Pages/UserHome.aspx?ID=7&date=0#Tid=14435

corruption-index-26012017081503-1000x0.jpg
 
“ ব্যাংক চুরি আর দূর্নীতর টাকাই নৌকা এখন ভর্তি ‘‘সরকারি দলকে ভরে দিল বিরোধীদল !!!Public Parliament.

Published on Jul 9, 2017
“Governance in Financial Sector‘‘
Bangladesh University of Business and Technology
Assa University Bangladesh

 
Bangladesh Central Bank heist and role of Sajeeb Wajed Joy [“PM” Hasina's son]

Ruling (Awami League) regime in Bangladesh never published the investigation report of Bangladesh Central bank looting in 2016. But intelligence agency investigated the matter revealed that “heist” was a pre-planned act of looting. Intelligence findings also revealed how ruling “PM” Hasina’s son Sajeeb Wajed Joy was mastermind behind the Bangladesh central bank looting and how indian company was used to clean traces of looting activities from Bangladesh Central bank computer systems.

1) SWIFT code of Bangladesh central bank was known to “PM” Hasina’s son Sajeeb Wajed Joy - this is highly suspicious why “PM” Hasina’s son had access to Bangladesh national reserve.

2) According to investigation this was not a “heist” BUT was a pre-planned looting of Bangladesh national reserve using supplied SWIFT code.

3) According to investigation, “PM” Hasina’s son Sajeeb Wajed Joy, indian origin Rakesh Astana and 3 other planned Bangladesh central bank heist in Virginia, USA.

4) “PM” Hasina’s son Sajeeb Wajed Joy kept Rakesh Astana stand by for post fund looting clean up.

5) When $100 million “heist” from Bangladesh central bank, governor directly informed “PM” Hasina.

6) “PM” Hasina told Bangladesh central bank governor to keep quiet and take direction from “PM” Hasina’s son Sajeeb Wajed Joy. “PM” Hasina was not even surprised in her reaction, as if this was expected.

7) “PM” Hasina’s son Sajeeb Wajed Joy threatened Bangladesh central bank governor to maintain complete silence (not to inform Finance minister or anyone else) and to appoint indian company headed by Rakesh Astana for cleanup traces of looting activities.

8) After “PM” Hasina’s son Sajeeb Wajed Joy threat to Bangladesh central bank governor, there had been multiple activities to hide the looting, commanded by “PM” Hasina’s son Sajeeb Wajed Joy.

9) “PM” Hasina and her son Sajeeb Wajed Joy used almost $25 million (200 core taka) of tax payer money to hide the Bangladesh bank looting. But Philippine newspaper publishing the report exposed the Bangladesh Central bank looting with supplied SWIFT code.

10) According to investigation, in order to delete all traces of Bangladesh central bank looting, “PM” Hasina’s son Sajeeb Wajed Joy appointed his accomplice, indian origin Rakesh Astana and his company. Later investigation agency found that Rakesh Astana took control of servers and other systems by ILLEGALL means and his indian team deleted all logs and traces of looting activities from Bangladesh Central Bank computer systems.


Report in Bangla:
রাকেশ আস্তানাকে ব্যাংকের সাইবার সিকিউরিটির দায়িত্ব দেয়া হয় জয়ের ইচ্ছায় : পরিকল্পিতভাবেই আলামত নষ্ট

325234_1.jpg
25 Jul, 2017

বিশেষ রিপোর্ট

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ফান্ডের ৮১০ কোটি টাকা লোপাট হয়ে যায় ২০১৬ সালের পাঁচ ফেব্রুয়ারী। সকালে অফিস এসেই সংবাদটি শুনেন বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন তৎকালীন গভর্নর ডক্টর আতিউর রহমান। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, সুইফট কোডের মাধ্যমে এই টাকা লুটে নেয়া হয়। অত্যন্ত গোপনীয় এই কোড নাম্বার ছিল হাতে গোনা কয়েকজনের কাছে।


শেখ হাসিনার তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে এই কোড নাম্বার জানতেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ফলে ডক্টর আতিয়ার রিজার্ভ লুটের ঘটনা অর্থমন্ত্রী আবুল মালকে না জানিয়ে প্রথমেই জানান শেখ হাসিনাকে। শেখ হাসিনা সঙ্গে সঙ্গে ডক্টর আতিউরকে ডেকে নেন তার দপ্তরে। ডক্টর আতিউর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে গিয়ে অবাক হন। শেখ হাসিনা এ নিয়ে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। বরং আতিয়ারকে বলেন এ নিয়ে চুপ থাকতে এমনকি অর্থমন্ত্রীকে না জানানোর জন্যও বলেন। এই ঘটনার সঙ্গে যেহেতু সরাসরি তথ্যপ্রযুক্তির বিষয় জড়িত এই যুক্তি দেখিয়ে এ ব্যাপারে জয়ের নির্দেশনা মতো কাজ করার জন্য শেখ হাসিনা আদেশ দেন ডক্টর আতিয়ারকে। এরপরই শুরু হয় এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা। আতিয়ার শেখ হাসিনার অফিস থেকে বেরিয়ে এসে যোগাযোগ করেন জয়ের সঙ্গে। জয় সরাসরি এই ঘটনা নিয়ে উচ্চবাচ্য না করার জন্য ডক্টর আতিয়ারকে সতর্ক করে দেন। এরপরই গভর্নর আতিয়ার সিগন্যাল পেয়ে যায় যে করেই হোক এ ঘটনাকে ধামা চাপা দিয়ে রাখতে হবে। এ কারণে অর্থমন্ত্রী আবুল মালও প্রথমে রিজার্ভ চুরির ঘটনা জানতে পারেননি। ডক্টর আতিয়ারের জবানিতে এসব কথা রয়েছে একটি বিশেষ গোয়েন্দা বাহিনীর অভ্যন্তরীণ গোপনীয় রিপোর্টে। রাষ্ট্রীয় চাঞ্চ্যল্যকর ঘটনাগুলোর রিপোর্ট এভাবেই নিজেদের উদ্যোগে ওই বিশেষ সংস্থাটি তৈরী করে রাখে।

গোয়েন্দা সূত্রটির মতে, এই ঘটনা ধামা চাপা দেয়ার জন্য দেশে বিদেশে কয়েকটি জায়গায় খরচ করা হয় প্রায় ১শ ৯১ কোটি টাকা। ফলে রিজার্ভ লুটের ঘটনা প্রায় ধামাচাপা পড়ে গিয়েছিলো কিন্তু একটি পদ্ধতিগত ভুলের কারণে টাকাগুলো মাঝপথে আটকা পড়ে ফিলিপাইনে। আর মাত্র দুদিন সময় পেলে এই টাকা সম্পূর্ণ হজম করে ফেলা যেত। কিন্তু ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারী ফিলিপাইনের দ্যা এনকোয়েরার পত্রিকা এবং একটি টেলিভিশনে বাংলাদেশ ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাটি প্রকাশ হয়ে পড়ে। ফলে শেখ হাসিনার ইচ্ছানুযায়ী ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে রাখার জন্য সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রানান্তকর প্রচেষ্টা নস্যাৎ হয়ে যায়।

সূত্রমতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের দশ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা সাইবার হ্যাকিং ছিলোনা। এটি ছিল সুইপ্ট কোড ব্যবহার করে ঠান্ডা মাথায় ডিজিটাল উপায়ে ব্যাংক ডাকাতি। তবে যাতে কেউ বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার সিস্টেমে এই সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রমান কখনো বের করতে না পারে এই কারণে সজীব ওয়াজেদ জয় আমেরিকা থেকে তার বন্ধু ভারতীয় নাগরিক রাকেশ আস্তানাকে ডেকে আনেন। বিশেষ গোয়েন্দা সূত্রটির দাবি, ২০১৬ সালের পাঁচ ফেব্রুয়ারী রিজার্ভ ফান্ডের ৮১০ কোটি টাকা ব্যাংকার দু’একজন কর্মকর্তার গোচরীভূত না হলেও রাকেশ আস্তানাকে আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা হয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার সিকিউরিটি সিস্টেম আপগ্রেডের নামে আলামত নষ্ট করে ফেলার জন্য। সিআইডি’র একজন তদন্তকারী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকল্পে রাকেশ আসতানার যোগদানের কথা ছিলো ২০১৬ সালের এপ্রিলে। কিন্তু তাকে জরুরিভিত্তিতে ডেকে আনা হয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অন্ধকারে তাকে সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব দেয়া হয়।সূত্রমতে, সজীব ওয়াজেদ জয়ের উপস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় বসে রিজার্ভ লুটের পরিকল্পনা করা হয়। সে বৈঠকে জয়ের সঙ্গে রাকেশ আস্তানাসহ আরও কমপক্ষে তিনজন ছিলেন বলে একটি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।

এর প্রমান পরেও যায় সিআইডির তদন্ত রিপোর্টেও। জানা যায়, বাংলাদেশী কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে আমেরিকা থেকে ডেকে আনার পর রাকেশ আস্তানা ঢাকায় এসে প্রথমেই তড়িঘড়ি করে সাইবার সিস্টেম সিকিউরিটি চেকের নামে সুইফট সিস্টেম -সংশ্লিষ্ট ৩১টি কম্পিউটারের তথাকথিত ফরেনসিক পরীক্ষা চালান। এতো বড় লুটের ঘটনার পর একজন ভারতীয় নাগরিককে ডেকে আনা হলেও সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয় বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে।

ভারতীয় নাগরিক রাকেশ আস্তানা সিকিউরিটি চেকের নামে যেসব কম্পিউটার নাড়াচাড়া করেছিলেন পরবর্তীতে সিআইডি কর্মকর্তারা দেখতে পান, সব কম্পিউটারের লগই মুছে ফেলা হয়েছে। সিআইডি’র এক কর্মকর্তা জানান যে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে ১৩টি সার্ভার ও প্রায় দুই ডজন পরিত্যাক্ত কমপিউটার রাখা দেখতে পান। পরিত্যক্ত কমপিউটারগুলো ভাইরাসে আক্রান্ত।

জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এসব কম্পিউটার কোনোরকমের লিখিত আদেশ ছাড়াই রাকেশ আস্তানা নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। শেখ হাসিনা এবং জয়ের ভয়ে অনেকের মনে প্রশ্নের সৃষ্টি হলেও কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি। ফলে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ভারতীয় নাগরিক রাকেশ আস্তানার উপস্থিতির রহস্য জানতে শেখ হাসিনা। সজীব ওয়াজেদ জয় এবং আতিয়ার রহমানকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ফান্ডের ৮১০ কোটি টাকা ডাকাতির ঘটনায় ইতোমধ্যে তৈরী করা সিআইডির প্রতিবেদনে প্রতিবেদনে প্রমাণিত রিজার্ভ চুরির আলামত নষ্টের চেষ্টা যে হয়েছিল। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশিত হয় বণিক বার্তা নামের একটি দৈনিকে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কম্পিউটার অন্যত্র স্থানান্তর বা কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের লিখিত আদেশের প্রয়োজন হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে জানান, লিখিত কোনো আদেশ ছাড়াই বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্তত ৩০টি কম্পিউটার ওয়ার্ল্ড ইনফরমেটিকস সাইবার সিকিউরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকেশ আস্তানার জিম্মায় দেয়া হয়েছিল সে সময়। যদিও লিখিত আদেশ ছাড়া তার জিম্মায় কম্পিউটার দিতে চাননি কর্মকর্তারা। পরে গভর্নরের টেলিফোনিক নির্দেশে কম্পিউটার হস্তান্তর করেন তারা। অথচ তখনো গভর্নর সচিবালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারাও কম্পিউটার জব্দ করার কারণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষাকারী ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে জানতেন না।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আগে এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে অন্য কাউকে সম্পৃক্ত করা আইনসিদ্ধ হয়নি বলে মনে করছেন তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, যেকোনো অপরাধ সংঘটিত হলে প্রথমে ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যতক্ষণ না তাদের সার্বিক আলামত সংগ্রহ শেষ হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত অপরাধ সংঘটিত হওয়ার স্থানটি থাকবে তাদের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় এ নিয়ম মানা হয়নি। পুরো ঘটনাটি চাপা রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্কালীন গভর্নরের নির্দেশে ভারত থেকে আসা রাকেশ আস্তানার হাতে ছেড়ে দেয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ সব কম্পিউটার। বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্তকাজ চালাচ্ছে সিআইডি।

জানতে চাইলে সিআইডির মুখপাত্র ও অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) মোল্যা নজরুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, শুধু রাকেশ আস্তানাকেই নয়, রিজার্ভ চুরির সঙ্গে জড়িত সব সন্দেহভাজনকে সামনে রেখেই তদন্তকাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। বিষয়টি তদস্তাধীন হওয়ায় এর বেশি মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তাসহ সিআইডির একাধিক কর্মকর্তা রাকেশ আস্তানার সঙ্গে দেখা করতে গত বছরের শেষদিকে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সরাসরি সাক্ষাত্ না হলেও ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে তার সঙ্গে কথা হয় কর্মকর্তাদের। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বণিক বার্তাকে বলেন, ভিডিও কনফারেন্সে রাকেশ আস্তানা রিজার্ভ চুরির ফরেনসিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত কিছু বিষয় সম্পর্কে কথা বলেন। এ ঘটনার সঙ্গে এক্সটারনাল টিমের পাশাপাশি ইন্টারনাল টিমও কাজ করেছে বলে তিনি জানান।

সাইবার ঝুঁকি মোকাবেলায় সরকার বাংলাদেশ কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (বিডিসার্ট) ও বাংলাদেশ ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (বিজিডি ই-গভ সিআইআরটি) গঠন করলেও রাকেশ আস্তানাকে দায়িত্ব দেয়ার আগে তাদেরকেও পাশ কাটানো হয়েছে।

আইসিটি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, ঘটনা ঘটার পর পরই যদি তাদের জানানো হতো, সেক্ষেত্রে তারা বিদেশী যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে ফরেনসিক তদন্ত করতে পারতেন। তাছাড়া বিটিআরসির অধীনে থাকা বাংলাদেশ সাইবার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের সহায়তা নিয়েও ওই তদন্ত করা যেত।

দীর্ঘ ৪৩ দিন পর রিজার্ভ চুরির ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে ওই মামলার সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে সিআইডি।

সে সময়ই এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে রাকেশ আস্তানাকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। সে সময় বলা হয়, তিনি বিশ্বব্যাংকের সাবেক আইটি-বিষয়ক পরিচালক। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইটি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। সংবাদ সম্মেলনে রিজার্ভ চুরি তদন্তের অগ্রগতি প্রসঙ্গে রাকেশ আস্তানা বলেছিলেন, আমরা এখন তদন্তের মাঝপথে আছি। এ ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব লোক, নাকি বাইরের লোক জড়িত ইত্যাদি বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত যেসব নমুনা (সাইন) পাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, বাইরে থেকে (এক্সটারনাল) এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তদন্ত মাঝপথে থাকায় এর বেশি কিছু আর বলা সম্ভব হচ্ছে না। এর পর এক মাস, দুমাস করে বছর পেরিয়ে গেলেও অপরাধীদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানাতে পারেননি মোটা অংকের পারিশ্রমিক চুক্তিতে আসা রাকেশ আস্তানা।

কমপিউটার হ্যাকাররা ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরি করে নেয়ার পর এই ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে অন্ধকারে রেখে সমস্যাটি অভ্যন্তরিকভাবে সমাধানের জন্য ভারতীয় নাগরিক রাকেশ আসতানা’র মালিকানাধিন প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ার্ল্ড ইনফরমিক্স সাইবার সিকিউরিটি’কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। তদন্তকারীরা সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছেন।

সিআইডি’র মুখপাত্র মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় রাকেশ আসতানাসহ সংশ্লিষ্ট সবাই সন্দেহভাজন।

সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান যে, ২০১৬ সালের মার্চের প্রথম সপ্তাহে বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়ে পড়লে বাংলাদেশ ব্যাংকের একদল কর্মকর্তা রাকেশ আসতানাকে নিয়ে আগারগাওয়ে তাদের অফিসে আসেন।

ওই কর্মকর্তা জানান যে, চুরির ঘটনা ঘটার প্রায় এক মাসের মধ্যে সংবাদ মাধ্যমে তা প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত ‘বাংলাদেশ সাইবার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম’ (বিসিআইআরটি)’র কারো কাছে সাহায্যের জন্য অনুরোধ জানানো হয়নি।আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান যে, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে তারা একটি ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করার পরও তাদেরকে চুরির বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

কর্মকর্তা জানান, সরকারের কোন আইটি টিম সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হলে পুলিশ তৎক্ষণাত ইন্টারপোল বা যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই’র সহায়তা চাইতে পারতো। প্রতিষ্ঠান দুটি অবশ্য পরবর্তীতে সহায়তা দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক, সিআইডি ও আইসিটি বিভাগের একটি তদন্ত দল ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যায় এবং রাকেস আসতানার সঙ্গে কথা বলে। তখন আসতানা রিজার্ভ চুরির জন্য ব্যাংকের দুর্বল সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দায়ী করেন।

সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, তারা তদন্ত শুরুর আগ পর্যন্ত রাকেস ওই সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করেন এবং যেসব কর্মকর্তা এই অবহেলার জন্য দায়ী ছিলেন তাদের কাউকেই ডিউটি থেকে বিরত রাখা হয়নি।

সিআইডি’র মুখপাত্র মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় শুধু রাকেশ আসতানা নয়, সংশ্লিষ্ট সবাই সন্দেহভাজন।

ইতোপূর্বে রয়টার্সের এক রিপোর্টে বলা হয় যে তদন্তকারিরা দায়িত্বে অবহেলা ও অসতর্কতার জন্য কেন্দ্রিয় ব্যাংকের পাঁচজন কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করেছেন। তবে, সরকার ওই তদন্ত রিপোর্ট এখনো জনসম্মুখে প্রকাশ করেনি।

http://www.newsonbd.net/newsdetail/detail/200/325234

Qamrul Islam
হাসিনার ছেলে জয় যে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ফান্ডের ৮১০ কোটি টাকা ডাকাতি করেছিল__সে কথাটি প্রথম প্রকাশ করেছিলাম আমি। এমনকি এটাও বলেছিলাম, জয় তার আর্লিংটনের বাড়ির নিকট প্রতিবেশী ভারতীয় নাগরিক রাকেশ আস্তানাকে তড়িঘড়ি করে ডেকে এনে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ দেয়, এবং ব্যাংকের কম্পিউটার ও সার্ভারের লগ মুছে ফেলে চুরির আলামত গায়েব করে দেয়।
............এতদিন পরে আমার সে তথ্য সত্য প্রমানিত হলো।
কেউ ছাড়া পাবে না। সব চোরের বিচার হবে, ইনশাআল্লাহ।
www.facebook.com/photo.php?fbid=1126715130693325
www.facebook.com/groups/support.bnp.network/permalink/594283140720027/

20258189_1593924697305697_812769623775236248_n.jpg


Qamrul Islam
9 March 2016 · Edited · Maal says Bangladesh Bank is innocent !!
একি দশা বাংলার? ৫ ফেব্রুয়ারীতে বাংলাদেশ রিজার্ভের ৮০০ কোটি টাকা চুরি গেলো, অর্থমন্ত্রী জানে না এক মাস! বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে হ্যাক হয়েছে, আর যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যাংক বলছে হ্যাকড হয় নাই, নিয়ম মেনেই টাকা সরিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের যথাযথ কতৃপক্ষ!! এখনও তদন্ত শেষ হয় নাই, অথচ হাসিনার মাল মন্ত্রী বলে দিলো- বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো দোষ নাই!!! সে ক্যামনে জানলো বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দোষ? তবে কি এ ঘটনার সাথে আরও বড় কেউ জড়িত? নইলে এত তাড়াতাড়ি নির্দোষ বলে ক্যামতে, মাল মন্ত্রী? কাকে বাঁচাতে চাইছে সে? আর কেউ নয়, নিশ্চয় এর সাথে নিশ্চয় হাসিনা ও তার পুত্র জড়িত। না হলে এত তাড়াতাড়ি ধোয়া মোছার চেষ্টা কেনো? আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের চোরারা বলছে, তদন্তের স্বার্থেই নাকি এতদিন অর্থমন্ত্রীকে জানানো হয়নি চুরির খবরটা! তার মানে, রিজার্ভ লুটের প্রমানাদি গায়েব করার জন্য গত একমাস ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে লুটেরা কর্মকর্তারা। মনে কি আছে, শেখ কামালের বাংলাদেশ ব্যাংক লুট করার কথা? পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল, অথচ এতদিন পরে আওয়ামীরা বলে, ওসব কিছু না!

অথচ ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব আমেরিকার বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিচ্ছে মাল? আমি বলি, একটা বালও ছিড়তে পারবে না ওদের, হুদাহুদি এটর্নীর ফিসটাই জ্বল্লা যাবে। যারা জানেন না, তারা শুনুন, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব আমেরিকাকে বলা হয় বিশ্বের এক নম্বর শক্তিশালি প্রতিষ্ঠান, এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়েও শক্তিশালি। এটা একটা বেসরকারি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান! তারা নিজেরা ডলার ছাপায় এবং দাম ঠিক করে, পরে আমেরিকান ট্রেজারী সেটা বন্ডের মাধ্যমে কিনে নিয়ে সারা দুনিয়ায় ছড়ি ঘুরায়। মার্কিন সরকার এর বিনিময়ে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংককে সুদ প্রদান করে। অর্থাৎ প্রতিটি ডলার হচ্ছে একটি সুদ যুক্ত ঋণ। আমেরিকার সরকারকে প্রদত্ত এই সুদযুক্ত ঋণ অর্থাৎ ডলার আমেরিকার সরকার এবং অন্যান্য ব্যাংকের মাধ্যমে পৌঁছায় আমেরিকার জনগণের কাছে এবং সারা বিশ্বের কাছে। এভাবে ফেডারেল রিজার্ভের কাছে আমেরিকার সরকার ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং তা পরিশোধ করে জনগণের উপর ট্যাক্স বসিয়ে। এরকম ধারণা প্রচলিত আছে যে, আমেরিকার কংগ্রেস সদস্য এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্টেরও নাকি সাধ্য নেই ফেডারেল রিজার্ভের ভেতর প্রবেশ করার - এর কর্তাব্যক্তিদের অনুমতি ছাড়া।

বলা হয়ে থাকে, সারা পৃথিবীতে আহরিত বা ব্যবহার যোগ্য যত সোনা আছে তার চার ভাগের এক ভাগ সোনার মালিক এই ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব আমেরিকা। তাদের কাছে ১০ হাজার ব্যাগ সোনা আছে, তাই তাদের কাগজের এত দাম! দুনিয়ার তেল বিক্রির আয়ের একটা অংশ বাধ্যতামূলকভাবে ওখানে রাখতে হয়। দুনিয়ার সব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের একটা অংশও থাকে ওখানে। এখন বুঝুন দশা।

তো ওই ফেডারেল বাংক অব আমেরিকা, যারা বলছে তাদের সিষ্টেমস ঠিক আছে, কোনো হ্যাক নাই, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে নাকি হাসিনার মাল! ওরে রাবিশ, ওখানে কি সুরেন্দ্র আর মানিক বসা আছে কোর্টে? কারে কি বুঝাস?

...............বাংলার মানুষ শুনে রাখো। রিজার্ভের টাকা স্রেফ লুট করেছে হাসিনা ও তার লোকজন। এর সাথে মালুরাও জড়িত। এখানে হ্যাক ফ্যাক সব ভুয়া কথা। দেশ যদি বাঁচাইতে চাও, তবে দা বল্লম নিয়ে নামো, সব সাফ করো। কাঙালের কথা কিন্তু বাসী হইলে ফলে।

Qamrul Islam বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লুট হলো। কনসার্ন অর্থ মন্ত্রী জানে না এত বড় খবরটা এক মাস যাবৎ!! ৭ মার্চ সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী বলেছেন, পত্রিকার মাধ্যমে আমি বিষয়টি জেনেছি। আমার জানা মতে, সরকারের কোনো মহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়নি।

রিজার্ভ চুরি RESERVE LOOTING
Rakesh Astana Missing- CID Unable to Solve Mystry.
রাকেশ আস্তানার উপস্থিতির রহস্য ভাঙতে পারছে না সিআইডি
অন্য গণমাধ্যমের খবর
24 July,2017.
অনলাইন ডেস্ক | ২৪ জুলাই ২০১৭, সোমবার | সর্বশেষ আপডেট: ২:৫৬
75505_rakesh.jpg

রিজার্ভ চুরির ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আগেই সুইফট-সংশ্লিষ্ট ৩১টি কম্পিউটারের ফরেনসিক পরীক্ষা চালান ভারতীয় নাগরিক রাকেশ আস্তানা। পরে ওইসব কম্পিউটার পরীক্ষা করে সিআইডি কর্মকর্তারা দেখতে পান, সব কম্পিউটারের লগই মুছে ফেলা হয়েছে। আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এসব কম্পিউটার হস্তগতও করা হয় লিখিত কোনো আদেশ ছাড়াই। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ভারতীয় নাগরিক রাকেশ আস্তানার উপস্থিতির বিষয়টি এখনো রহস্য হয়েই আছে তদন্তকারী সংস্থার কাছে। সোমবার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক বণিক বার্তা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তবে এর মধ্য দিয়ে রিজার্ভ চুরির আলামত নষ্টের চেষ্টা যে হয়েছিল, সে বিষয়ে মোটামুটি নিশ্চিত তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি।

বণিক বার্তার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কম্পিউটার অন্যত্র স্থানান্তর বা কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের লিখিত আদেশের প্রয়োজন হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে জানান, লিখিত কোনো আদেশ ছাড়াই বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্তত ৩০টি কম্পিউটার ওয়ার্ল্ড ইনফরমেটিকস সাইবার সিকিউরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকেশ আস্তানার জিম্মায় দেয়া হয়েছিল সে সময়। যদিও লিখিত আদেশ ছাড়া তার জিম্মায় কম্পিউটার দিতে চাননি কর্মকর্তারা। পরে গভর্নরের টেলিফোনিক নির্দেশে কম্পিউটার হস্তান্তর করেন তারা। অথচ তখনো গভর্নর সচিবালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারাও কম্পিউটার জব্দ করার কারণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষাকারী ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে জানতেন না।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আগে এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে অন্য কাউকে সম্পৃক্ত করা আইনসিদ্ধ হয়নি বলে মনে করছেন তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, যেকোনো অপরাধ সংঘটিত হলে প্রথমে ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যতক্ষণ না তাদের সার্বিক আলামত সংগ্রহ শেষ হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত অপরাধ সংঘটিত হওয়ার স্থানটি থাকবে তাদের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় এ নিয়ম মানা হয়নি। পুরো ঘটনাটি চাপা রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্কালীন গভর্নরের নির্দেশে ভারত থেকে আসা রাকেশ আস্তানার হাতে ছেড়ে দেয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ সব কম্পিউটার। বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্তকাজ চালাচ্ছে সিআইডি।

জানতে চাইলে সিআইডির মুখপাত্র ও অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) মোল্যা নজরুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, শুধু রাকেশ আস্তানাকেই নয়, রিজার্ভ চুরির সঙ্গে জড়িত সব সন্দেহভাজনকে সামনে রেখেই তদন্তকাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। বিষয়টি তদস্তাধীন হওয়ায় এর বেশি মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তাসহ সিআইডির একাধিক কর্মকর্তা রাকেশ আস্তানার সঙ্গে দেখা করতে গত বছরের শেষদিকে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সরাসরি সাক্ষাত্ না হলেও ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে তার সঙ্গে কথা হয় কর্মকর্তাদের। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বণিক বার্তাকে বলেন, ভিডিও কনফারেন্সে রাকেশ আস্তানা রিজার্ভ চুরির ফরেনসিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত কিছু বিষয় সম্পর্কে কথা বলেন। এ ঘটনার সঙ্গে এক্সটারনাল টিমের পাশাপাশি ইন্টারনাল টিমও কাজ করেছে বলে তিনি জানান।
সাইবার ঝুঁকি মোকাবেলায় সরকার বাংলাদেশ কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (বিডিসার্ট) ও বাংলাদেশ ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (বিজিডি ই-গভ সিআইআরটি) গঠন করলেও রাকেশ আস্তানাকে দায়িত্ব দেয়ার আগে তাদেরকেও পাশ কাটানো হয়েছে।

আইসিটি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, ঘটনা ঘটার পর পরই যদি তাদের জানানো হতো, সেক্ষেত্রে তারা বিদেশী যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে ফরেনসিক তদন্ত করতে পারতেন। তাছাড়া বিটিআরসির অধীনে থাকা বাংলাদেশ সাইবার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের সহায়তা নিয়েও ওই তদন্ত করা যেত।
একটি সূত্র বণিক বার্তাকে জানায়, রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে। এর তিনদিন পর ৪ কোটি টাকার চুক্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্কালীন গভর্নরের নির্দেশে আনা হয় রাকেশ আস্তানাকে। তার পর দীর্ঘ ৪৩ দিন পর রিজার্ভ চুরির ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে ওই মামলার সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে সিআইডি।

সে সময়ই এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে রাকেশ আস্তানাকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। সে সময় বলা হয়, তিনি বিশ্বব্যাংকের সাবেক আইটি-বিষয়ক পরিচালক। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইটি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। সংবাদ সম্মেলনে রিজার্ভ চুরি তদন্তের অগ্রগতি প্রসঙ্গে রাকেশ আস্তানা বলেছিলেন, আমরা এখন তদন্তের মাঝপথে আছি। এ ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব লোক, নাকি বাইরের লোক জড়িত ইত্যাদি বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত যেসব নমুনা (সাইন) পাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, বাইরে থেকে (এক্সটারনাল) এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তদন্ত মাঝপথে থাকায় এর বেশি কিছু আর বলা সম্ভব হচ্ছে না। এর পর এক মাস, দুমাস করে বছর পেরিয়ে গেলেও অপরাধীদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানাতে পারেননি মোটা অংকের পারিশ্রমিক চুক্তিতে আসা রাকেশ আস্তানা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্তাধীন বিষয় হওয়ায় এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=75505
 
The India Doctrine
জানেন কি !
গত ৭ বছরে দেশ থেকে লুটপাটের পরিমান ৬লক্ষ ৮২ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা !!
যা দিয়ে করা যেতো নিজস্ব খরচে ২৫ টি পদ্মা সেতু!ঘোষণা করা যেতো ৩ বছরের অর্থ বাজেট !
বাংলাদেশকে করা যেতো একটি উচ্চ আয়ের দেশ !
৩০ লক্ষ পরিবারকে দেয়া যেতো প্রায় ২০ লক্ষ টাকা করে যা দিয়ে সেসব পরিবার হয়ে যেতো উচ্চ আয়ের পরিবার !
আগেই জানিয়ে রাখি পদ্মা সেতুর খরচ ধরা হয়েছে - ২৫হাজার কোটি টাকা ।

এবার আসুন জেনে নেই এর কিছু অংশ কিভাবে লুট করা হয় -
- বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হয় ৭৩৬০ কোটি টাকা । ক্ষমতাসীনদের ইশারায় এই চুরি করা হয়েছে যা ইতিমধ্যেই প্রমানিত।

- তিন ব্যাংকের এটিএম থেকে চুরি হয় ২০ লক্ষ টাকা ।

- বানিজ্যিক ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করা হয়েছে ১লক্ষ ৮হাজার কোটি টাকা। যার মুনাফা প্রতি মাসেই ব্যাংক থেকে গ্রাহকদের দেওয়া হচ্ছে ।

- বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৫ সাল পর্যন্ত ব্যাংকি খাতের অবলোপনকৃত ঋণের পরিমান ৩৮ হাজার কোটি টাকা, যা কখনোই আদায় করা সম্ভব না ।

- বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণের পরিমান ৫৪ হাজার কোটি টাকা যা থেকে একদিনও কোন সুদ আসেনা । যা সংগ্রহ করতে প্রতিনিয়ত ব্যাংক কে সুদ দিতে হচ্ছে ।

- রাষ্ট্রায়ত্ত বানিজ্যিক ব্যাংকের ঋণের পরিমান ৬৭ হাজার কোটি টাকা ।

- ২০০৯/১০ এ শেয়ার বাজার কেলেংকারিতে জালিয়াতি হয়েছিলো প্রায় ৪১হাজার ৩৮৩ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা ।

- ডকুমেন্ট কারসাজি, মিথ্যা ঘোষণা, দলীল জালিয়াতি সম্পত্তির বর্ধিত মুল্যের জালিয়াতি মোট ৬ টি ব্যাংকে এর পরিমান প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ।

- হলমার্ক জালিয়াতি ৩ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা ।

- এমএলএম প্রতিষ্ঠান (ডেস্টিনি , যুবক ইত্যাদি ) জালিয়াতির পরিমান প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ।

- সম্প্রতি অগ্রণী ব্যাংক ও সোনালি ব্যাংক থেকে ঋনের নামে লুট হয় প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।

- মাত্র ২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ভারত হাতিয়ে নেয় প্রায় কয়েক কোটি টাকা।

এ ছাড়াও আরও অনেকবার বিভিন্ন খাতে প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা লুট হয়ে যায় বাংলাদেশ থেকে যার হিসাব আজ ও পাওয়া যায়নি ।

উন্নয়নের নামে ১০ গুনের বেশী খরচ নির্ধারন করে ক্ষমতাসীনরা প্রতিনিয়ত হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

মাত্র একটা দুর্নীতির কারনে পাকিস্তানের আদালত সে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে অযোগ্য ঘোষনা করলো, যদি আমাদের বিচার বিভাগও স্বাধীন হত তবে সীমাহীন দুর্নীতির কারনে আমাদের ক্ষমতাসীনদেরকে কয়েকশো বার ফাঁসিতে ঝুলতে হতো।

এতো এতো টাকা লুট হয়ে যাবার পর ও আমরা আছি বিনোদন নিয়ে ব্যাস্ত । এভাবে আবেগ নিয়ে জড়িয়ে থাকলে একদিন হয়তো এই সম্পূর্ণ দেশটি লুট হয়ে যাবে কিন্তু আমরা টের পাবনা । আর যদিও টের পাই তখন হয়তো আর আমাদের কিছুই করার থাকবেনা ।

এবার তো অন্তত অলসতার ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠুন !!


তথ্য সংগ্রহ - অনলাইন ।


2.jpg


রাজস্ব আয়ে ৫ বছর: অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এনবিআরের তথ্যের মিল নেই
৪৭ হাজার কোটি টাকার গরমিল

https://goo.gl/CxetB3

৪৭ হাজার কোটি টাকা কিছুই না- মাল মুহিত
#আমার_মার্কা_নৌকা
#Bangladesh #SheikhHasina #JoyBangla#AwamiLeague
 

Attachments

  • loting.jpg
    loting.jpg
    118.9 KB · Views: 21
Qamrul Islam
New Sector for Looting: Solar Power
লুটপাটের নতুন সেক্টর: সৌর বিদ্যুৎ!


জাতীয় সঞ্চালন লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি, এমন অঞ্চলে এরই মধ্যে বসেছে প্রায় ৪৫ লাখ সোলার হোম সিস্টেম। যদিও বিকল্প উৎস থেকে এ বিদ্যুৎ পেতে গ্রাহককে পরিশোধ করতে হচ্ছে উচ্চমূল্য। এ মূল্য পার্শ্ববর্তী দেশ, এমনকি এশিয়ার মধ্যেও সর্বোচ্চ। আর উচ্চমূল্যে সোলার সিস্টেম বিক্রির কারণে অতিরিক্ত মুনাফা করছে এ ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসাহিত করতে কাজ করছে সরকারি সংস্থা সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (স্রেডা)। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে প্রতি কিলোওয়াট ক্ষমতার একটি সৌর প্যানেল স্থাপনে ব্যাটারিসহ ব্যয় হয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি ওয়াটের দাম পড়ে ১২০ টাকা। কিন্তু বাজার ঘুরে দেখা যায়, এ দামের তিন-চার গুণ মূল্যে প্যানেল বিক্রি হচ্ছে। সোলার পাওয়ার অ্যান্ড ইলেকট্রিক ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হোম সিস্টেমসহ প্রতি ওয়াটের দাম রাখা হচ্ছে ৩৭৫ টাকা। স্রেডার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রতি মাসে ৬৫ হাজারের বেশি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন হচ্ছে, যা প্রতি বছর গড়ে ৫৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। সোলার মডিউলের মাধ্যমে বিতরণ ও অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান বড় অংকের মুনাফা করলেও বাড়তি দাম এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে প্রান্তিক গ্রাহকদের ওপর। এমন একজন গ্রাহক গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হিয়াতপুর গ্রামের বাসিন্দা মোশারফ হোসেন রাসেল। ২০১০ সালে একটি বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে ৮৫ ওয়াটের একটি সোলার প্যানেল নেন তিনি। দুই কিস্তিতে ওই প্যানেলের বিপরীতে তাকে পরিশোধ করতে হয় ৪১ হাজার ৫০০ টাকা। অর্থাৎ ওই প্যানেল কিনতে ওয়াটপ্রতি তাকে খরচ করতে হয়েছে ৪৮৮ টাকা।

যদিও এর চেয়ে অনেকে কম দামে সোলার হোম সিস্টেম কিনতে পারছেন এশিয়ার অন্যান্য দেশের গ্রাহকরা। ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালিসিসসহ (আইইইএফএ) আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, ভারতে ২৫০ ওয়াটের একটি সোলার হোম সিস্টেম বিক্রি হয় ৮ হাজার ৫১৪ রুপিতে। এ হিসাবে প্রতি ওয়াটের দাম পড়ে ৩৪ রুপি বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৪১ টাকা। পাকিস্তানে ৪৫০ ওয়াটের সিস্টেম স্থাপনে ব্যয় হয় ৫৩ হাজার রুপি। এ হিসাবে প্রতি ওয়াটের দাম দাঁড়ায় ১১৭ রুপি, বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ ৯০ টাকা। এছাড়া থাইল্যান্ডে দেড় হাজার ওয়াটের একটি সোলার প্যানেলের জন্য গ্রাহককে ব্যয় করতে হয় ৫৬ হাজার বাথ, ওয়াটপ্রতি যার দাম পড়ে ৩৮ বাথ বা ৮৬ টাকা।

ইউএইতে খরচ: ২.৪ সেন্ট/ইউনিট
চিলিতে খরচ: ২.৯ সেন্ট/ইউনিট
ভারতে খরচ: ৪.৪ সেন্ট/ইউনিট
বাংলাদেশে খরচ: ২.৪ সেন্ট/ইউনিট

দামের তুলনামূলক এ চিত্রই বলছে, বাংলাদেশে সৌর প্যানেলের সরকার ঘোষিত দামই এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে জনগনের পকেট ফাকা করছে। এসব অপকর্মের সাথে সরকারের লোকজন যে জড়িত আছে, তা বলাই বাহুল্য।
20507120_1599166783448155_8400097461307206620_o.jpg

নীল মাধব সোলার প্যনেলের সবচেয়ে ভালোটা হল amorphous প্যনেল, এটার বর্তমান বাজার দর ওয়াট প্রতি ৭০ 70 cents সেন্ট এর মতো, বাংলাদেশে যা দেয়া হয় সবচেয়ে নিন্মমানে lowest quality ফটোভোল্টিক প্যনেল এটার বাজার দর বর্তমানে ৪৫ 45 centsসেন্টের মতো, হাসিনা আর তার সিন্ডিকেট মিলে নতুন নতুন খাত বের করছে আর চুষে খাচ্ছে দেশের মানুষকে, খাক, শালার মানুষ রাস্তায় নামবানা, ৭৪ এর মতো যখন পেটে টান পড়বে তখন ঠিকই নামবা ।
 
Rights at stake, corruption rampant: SC
Executive trying to cripple judiciary
M Moneruzzaman | Published: 00:05, Aug 03,2017 | Updated: 00:28, Aug 03,2017

The Appellate Division in its 799-page verdict on the 16th Amendment, released on Tuesday, said in the observations that human rights in the country were at stake, corruption was rampant and Parliament -- dysfunctional.

The verdict, upheld the High Court judgement which struck down the 16th Amendment that restored Parliament’s power to remove Supreme Court judges.

The apex court also said in the observations that crores of people were deprived of basic health care, crimes are increasing, acute mismanagement marked the administration, the life became utterly insecure, the law enforcing agencies were unable to tackle the situation.

The court said that the combined result of all this, is a crippled society, a society where good man does not dream of good things at all; but the bad man is all the more restless to grab a few more of bounty.
In such a situation, the executive branch became arrogant and uncontrolled and the bureaucracy will never opt for efficiency, the court said.

The court said, instead of strengthening the judiciary, the executive branch is now trying to cripple it and if it happens, there could be disastrous consequences.
The court said, ‘Even after forty-six years of independence, we have not been able to institutionalize any public institutions.

‘There are no checks and balances, there is no watchdog mechanism at work, thus the people in the position are being indulged into abuse of power and showing audacity of freehand exercise of power.
‘The state power, which is another dimension of political power, is becoming a monopoly of a few now-a-days and this suicidal tendency of concentration of power is increasing.’

The court said that greed for power, just like plague, once set in motion will try to devour everything.
‘Needless to say, this was not at all the aims and vision of our liberation struggle. Our Forefathers fought to establish a democratic state, not to produce any power-monster,’ the court said.
The court said that after independence, those unholy alliances of power-mongers twice reduced the country to a banana Republic, where people were seen as commodity which can be bluffed and compromised at any unworthy cost to legalize their illegitimate exercise of power.
‘Politics is no longer free, it is now highly commercial and money is in the driving seat which controls the course of action and its destination,’ the court said.

The court said that now power, not merit, tends to control all public institutions of the country.
The court said that irony of the history is that with the unflinching determination and indomitable spirit, we were able to free a country from the clutches of a military superpower but we have been measurably defeated by ourselves in that very free country.

The court said that before assuming the powers the members of Parliament should have considered as to whether they are capable of dealing with such responsibility.

‘This is what we call ‘institutional virtuosity’ by itself is not enough without ‘individual virtuosity’ and we have to strive for that if we really want to build the Bangabandhu’s dream of ‘Sonar Bangla’,’ the court said.
http://www.newagebd.net/article/21082/rights-at-stake-corruption-rampant-sc
 
রিজার্ভ চুরি ‘চাপা’ দেওয়া হলো?
Looting of BB Reserve Hidden?
326841_1.jpg

02 Aug, 2017

গোলাম মোর্তোজা

অন্য আর দশটি ঘটনার মতো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরির ঘটনাও ‘চাপা’ দিয়ে দেওয়া হলো? বলা হবে, তদন্ত চলাকালীন একথা বলা যায় না। হ্যাঁ, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত কবে শেষ হবে তা নিশ্চিত নয়। তবে আশা করতেই পারি যে, তদন্ত থেকে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে। দেশের মানুষ প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবেন। তারপরও চাপা দেওয়ার প্রসঙ্গ আসছে কেন? কারণ ড. ফরাসউদ্দিন এবং অধ্যাপক কায়কোবাদের নেতৃত্বে যে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল, তারা নির্দিষ্ট সময়ে রিপোর্ট দিয়েছেন। কয়েকবার ঘোষণা দিয়েও তা প্রকাশ করা হয়নি। সিআইডির তদন্তের সময় বাড়ানো হচ্ছে বারবার। পরিণতি নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত কিছুদিনে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গণমাধ্যম প্রকাশ করেছে। তার প্রেক্ষিতে ‘চাপা’ দেওয়ার প্রসঙ্গ নিয়ে কিছু কথা।

১. বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার রিজার্ভ চুরি হয়েছিল। এক মাস পর মার্চ মাসের প্রথম দিকে ফিলিপাইনের একটি পত্রিকা বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির সংবাদটি প্রকাশ করে। সেই সূত্র ধরে দেশের পত্রিকায় রিজার্ভ চুরির বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশিত হয় ৭ মার্চ। সংবাদ প্রকাশের পর বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ চুরির বিষয়টি স্বীকার করে। এক মাসেরও বেশি সময় বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ চুরির বিষয়টি গোপন রাখে। এসব তথ্য পাঠকের জানা। তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমানের একক সিদ্ধান্তে রিজার্ভ চুরির বিষয়টি গোপন রাখা হয়। গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে ফিলিপাইন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে কিছু তথ্য জানার সুযোগ হয়। ড. আতিউরের রিজার্ভ চুরি পরবর্তী তৎপরতা নিয়ে গুরুতর সন্দেহ তৈরি হয়। সেই তথ্যভিত্তিক সন্দেহ নিয়ে টেলিভিশনের টকশোতে বিস্তারিত কথা বলি। অত্যন্ত অ-গুরুত্বপূর্ণ একটি সেমিনারে যোগ দেওয়ার জন্যে ড. আতিউর রহমান দিল্লি চলে যান। দিল্লি যাওয়ার আগে ভোরবেলা, রাতের টকশো বিষয়ে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যান যে, ‘আমি অসত্য তথ্য দিয়ে কথা বলেছি। কিছুই না জেনে কথা বলেছি। বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্যে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উচিত’- ইত্যাদি অভিযোগ করে তিনি দিল্লি চলে যান। ক্ষমতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে তখন তিনি ক্ষমতাবান। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ জানতে চাইলেন, অসত্য বলেছি কি না? যেহেতু অসত্য বলিনি, তথ্যের ভিত্তিতে বলেছি, পরবর্তী কয়েকদিনে তার অনেক কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলো, ফলে ক্ষমতাবানের সুপারিশ অনুযায়ী বড় কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি।

২. রাকেশ আস্তানা নামক যে ব্যক্তিকে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে ড. আতিউর রহমান এনেছিলেন, তাকে নিয়ে তার কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালিতে কর্মরত বাংলাদেশি প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের দু’একজন তথ্য দিয়ে বলেছিলেন, রাকেশ আস্তানা সন্দেহজনক ব্যক্তি। সেকথা টকশোতে বলেছিলাম। ঘটনার এতদিন পর এসে জানা গেলো, রিজার্ভ চুরির ৩ দিন পর ৪ কোটি টাকার চুক্তিতে আমেরিকা থেকে রাকেশ আস্তানাকে নিয়ে আসা হয়। সংবাদটি বিস্তারিত প্রকাশ করেছে বণিকবার্তা। রাকেশ আস্তানাকে আনা এবং চুরির পুরো বিষয়টি গোপন রাখা হয় ড. আতিউর রহমানের সিদ্ধান্তে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩১টি কম্পিউটার সুইফট সংশ্লিষ্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কম্পিউটারগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা হস্তান্তর করতে হলে লিখিত আদেশের প্রয়োজন হয়। কোনও লিখিত আদেশ ছাড়া এই কম্পিউটারগুলো রাকেশ আস্তানার কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা হস্তান্তরের আগে লিখিত আদেশ চান। লিখিত আদেশ না দিয়ে তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান টেলিফোনে মৌখিক আদেশ দিয়ে কম্পিউটারগুলো হস্তান্তরে বাধ্য করেন।

কম্পিউটারগুলো নিজের হেফাজতে নিয়ে রাকেশ আস্তানা সমস্ত লগ মুছে ফেলেন। আগে ব্যবহার করার সকল তথ্য মুছে ফেলার তথ্য সিআইডির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। কেন লিখিত আদেশ ছাড়া রাকেশ আস্তানার কাছে কম্পিউটারগুলো হস্তান্তর করা হলো? কেন আতিউর রহমান গোপনে তাকে বিশাল অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দিলেন? কেন রাকেশ আস্তানা লগ মুছে ফেললেন?

এই পর্যায়ে এসে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের ধারণা হচ্ছে, রিজার্ভ চুরির পুরো বিষয়টি চাপা দেওয়ার জন্যে ড. আতিউর রহমানের ইচ্ছে অনুযায়ী রাকেশ আস্তানা লগ মুছে ফেলেছেন। যাতে চুরির প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা না যায়।

৩. গভর্নর পদ থেকে ড. আতিউর রহমান পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু ‘চাপা’ দেওয়ার নীতি অব্যাহত আছে। ড. ফরাস উদ্দিনের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করা না হলেও কিছু তথ্য জানা গেছে। তদন্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৭ জন কর্মকর্তা এবং ৩টি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে। জানা গেছে এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ২ জন কর্মকর্তা সরাসরি রিজার্ভ চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর।

রাকেশ আস্তানার প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ার্ল্ড ইনফরমেটিকস সাইবার সিকিউরিটি’র সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে তদন্তে।

শুরুতে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রীর সদিচ্ছা দৃশ্যমান ছিল। রিপোর্ট হাতে পেয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। তারপর বলেছিলেন ঈদের পর প্রকাশ করা হবে। সুনির্দিষ্ট দিনও বলেছিলেন একবার। কিন্তু রিপোর্ট আর প্রকাশ করা হয়নি। প্রকাশ যে হবে, সেই সম্ভাবনাও এখন আর দেখা যাচ্ছে না।

৪. আমরা ‘উন্নয়ন’র কথা বলি। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলি। বাস্তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই না। একটি ঘটনা দিয়ে আরেকটি ঘটনা ‘চাপা’ দেই। কে কাকে কেন বাঁচাতে চান, তা সুনির্দিষ্টভাবে পরিষ্কার হয় না। একটা বিভ্রান্তির ধূম্রজালে আটকে থাকেন জনগণ। এতে সন্দেহের পরিধি বৃদ্ধি পায়।

লেখক: সম্পাদক, সাপ্তাহিক
http://www.newsonbd.net/newsdetail/detail/112/326841
 
Back
Top Bottom