The India Doctrine
যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে ভারত-চীন পিছিয়ে আসতে রাজি নয় কেউই
Chickens Neckচিকেন’স নেক বা মুরগির গলা নামে পরিচিত Siliguri Corridor শিলিগুড়ি করিডোরের কিছু দূরে চীনা ও ভারতীয় সামরিক বাহিনী তাদের গোলযোগপূর্ণ সীমান্তের স্ব স্ব এলাকায় অবস্থান করছে। যুদ্ধ বাধার আশংকায় দু’ পারমাণবিক শক্তি পরিখা খনন করে সসুসজ্জিত করছে নিজেদের । এ থেকে মনে হচ্ছে দু’দেশই যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে এবং কেউই পিছাতে রাজি নয়।
বেইজিং ও নয়া দিল্লী উভয়েই এ বিরোধকে হিমালয়ে প্রাধান্য বিস্তারে ঠেলাঠেলির খেলা হিসেবেই দেখছে। দু’দেশের মধ্যে বহুকাল ধরেই গোলযোগ চলে আছে যার সর্বশেষ প্রকাশ ঘটে ১৯৬২ সালের যুদ্ধে যখন কোনো দেশই পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হয়নি।
এখন একটি চীনা নির্মাণ প্রকল্প একটি সড়ক নির্মাণ করতে চাইছে যা দিয়ে ৪০ টন মালবাহী যান চলাচল করতে পারবে। এ সড়কটি ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ চলাচল পথের প্রতি হুমকি এবং ভারতকে তার মিত্র ভুটান থেকে বিচ্ছিন্ন করার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়, এ নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে চীন যখন বিতর্কিত সীমান্ত অঞ্চলে তার সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে তখন ভারতীয় সৈন্যরা নিজেদের পরিখায় সজ্জিত করছে।
পোস্ট বলে, নতুন বাংকার নির্মাণ করা হচ্ছে, আগাম চীনা হামলা ঠেকাতে মাইন পাতা হচ্ছে, কৌশলগত স্থানে মেশিন গান বসানো হচ্ছে এবং সৈন্যরা দিনে কমপক্ষে দু’বার যুদ্ধ মহড়া দিচ্ছে।
ভারত ও ভুটান উভয়েই এশিয়া জুড়ে বিশাল অবকাঠামো প্রকল্প ভিত্তিক ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড কর্মসূচির বিরোধিতা করেছে এবং চীন এখন দু’ দেশের দৃঢ়তা পরীক্ষা করতে চায় বলে মনে হচ্ছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার উপপ্রধান হিসেবে অবসরে যাওয়ার আগে উত্তরপূর্বাঞ্চলে একটি ডিভিশনের কমান্ডার থাকা মেজর জেনারেল গগনজিৎ সিং সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেন, তারা ভুটানকে দেখানোর চেষ্টা করছে যে কে হিমালয়ে যুদ্ধ ডেকে আনে। সুতরাাং আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা ভুটানের আঞ্চলিক অখন্ডতা রক্ষা করতে সক্ষম। তিনি বলেন, আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে আমরা ভুটানকে রক্ষা করতে পারি। আর সে কারণেই আমরা চৃুম্বি উপত্যকায় বর্তমান ভূখন্ড ও কৌশলগত সুবিধা না হারাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
৯,৮০০ ফুট উচ্চতায় ভারতীয় সৈন্যরা অবস্থান নিয়ে বসে আছে এবং নিচে চীনাদের দিকে নজর রাখছে যারা রাস্তা তৈরি করার চেষ্টা করছে।
সিং বলেন, চীনাদেরকে থামানো আমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমরা যদি ব্যর্থ হই তাহলে তারা শিলিগুড়ি করিডোরের দিকে এগোবে এবং আমাদের উত্তরপূর্ব অঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে।
এদিকে সংখ্যাগত দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠতর সেনাবাহিনীর অধিকারী চীন ঘোষণা করেছে যে তারা যে কোনো মূল্যে সীমান্ত রক্ষা করবে এবং তাদের দৃঢ়সংকল্পের ব্যাপারে ভারতের কোনো ভুল ধারণা করা উচিত নয়।
চীন যেখানে তার এ পদক্ষেপকে প্রাধান্য বিস্তার এবং প্রধান নির্মাণ প্রকল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে তখন ভারত একে দেখছে তার জাতীয় অখন্ডতার প্রতি হুমকি হিসেবে। তবে কোনো পক্ষই মারাত্মক যুদ্ধ শুরুর ব্যাপারে আগ্রহী নয়।
উইলসনস সেন্টারের এশিয়া প্রোগ্রামের পরিচালক মাইকো কুগেলম্যান এ যুদ্ধের ব্যাপারে দি সাইফার ব্রিফকে বলেন, চীন ও ভারতের মধ্যকার এক বড় যুদ্ধ ব্যাপক অর্থনৈতিক কূটনীতি থেকে অর্জিত তাদের সকল সাফল্য নস্যাৎ করে দিতে এবং তা দু’ দেশের স্বার্থের বিরাট ক্ষতি করতে পারে।
আশার কথা যে প্রায় তিনশ’ কোটি জনসংখ্যা ও পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী দু’টি দেশ যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার আগে আসন্ন ব্রিকস ( ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা) সম্মেলনে মুখরক্ষার জন্য বিরোধ অবসানে উভয়েই একটি পথ খুঁজতে পারে।
https://www.dailyinqilab.com/article/89204/
Western powers instigating Sino-Indian confrontation!
SAM Report, July 26, 2017
More than five weeks into the border standoff between China and India, some countries other than the two directly involved are trying to step in, a China’s state-run newspaper hints at.
An article carried by the
Washington Examiner on 24 July highlighted the China threat and extolled the US-Indian relationship. It suggested the US provide support for India’s efforts to deter and counter China, and rally the world against China.
The article reads: “America should offer clear support to India as it confronts China. India-US relations offer special value in our shared ability to deter and counter growing Chinese aggression. But with China now threatening US military personnel elsewhere, we should also recognize that the stakes are growing. When one considers the nuclear dimensions at play, the risks are great. Correspondingly, both India and the US are much stronger standing together. Only by doing so can we deter Chinese imperialism.”
The Chinese media also accuses other Western Powers of poking their nose into the bilateral affairs.
Australian Foreign Minister Julie Bishop said during a recent visit to India that the China-India standoff incident is a long-term dispute and territorial disputes should be resolved peacefully, and Australia would not like to see an escalation.
On the contrary, China’s foreign ministry spokesperson Lu Kang noted on 24 July that what’s happening in Doklam is not a territorial dispute, since that part of the boundary has been long defined.
Consequently, question was raised by Chinese media over intention of the Australian Foreign Minister.
The
Global Times said, “Apparently Bishop intends to blur the nature of the face-off and shows disguised support for India.”
Coming down heavily on the US hawks, the newspaper said, “The US seems to be everywhere when conflicts come up and it seldom takes an impartial posture to help address the problems. Yet partiality is likely to lead to war. There are certain forces in the West that are instigating a military clash between China and India, from which they can seek strategic benefits at no cost to themselves. Washington applied this scheme in the South China Sea disputes.”
The US magazine suggested that “the US should not sit idle here [in China-India border standoff]. We must support our ally and rally the world in diplomatic condemnation of China’s threats.”
But the China newspaper urges India to draw a lesson from the lingering hurt due to the border war between China and India, noting that there were the invisible hands of the US and the Soviet Union behind it.
“China, the world’s second-largest economy, is a close neighbor of India. Thus fighting a war with China will only cost India’s opportunities of economic domestic development and its beneficial external environment,” the newspaper said.
“In fact, neither China nor India wants a war. China has addressed most of its boundary issues with its neighbors through negotiations.
“So far, the Donald Trump administration has paid little attention to US-Indian ties, and their divergences over issues like trade and immigration remain.
The
Global Times pointed out that the Americans may think they can copy their South China Sea trick. But the US gets nothing from the maritime disputes.
Likewise, Washington won’t get any benefits from the escalation of the Sino-Indian confrontation. China won’t give up safeguarding its territory because of US interference.
http://southasianmonitor.com/2017/07/26/western-powers-instigating-sino-indian-confrontation/