asad71
PROFESSIONAL
- Joined
- May 24, 2011
- Messages
- 6,863
- Reaction score
- 4
- Country
- Location
সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি একের পর এক ভারতীয় সেনাপ্রধান, রহস্য কি?
09 Jun, 2015
টুডে ডেস্ক
'বাংলাদেশ জয়' করে মাত্র বিদায় নিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার রেশ কাটতে না কাটতেই সংবাদপত্রে খবর বেরিয়েছে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে আসছেন ভারতের সেনাপ্রধান দলবীর সিং।
দৈনিক ইনকিলাবের খবরে প্রকাশ, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের পরপরই এবার আসছেন সে দেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল দলবীর সিং সোহাগ। আগামী ১৬ জুন (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ)’র সবচেয়ে বড়সর ও আলঙ্করিক অনুষ্ঠান প্রেসিডেন্ট কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৬ জুন সকাল সোয়া ৮টায় চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ)-এর ৭২তম লং কোর্স এবং ৪৩তম স্পেশাল কোর্স-এর ক্যাডেটদের কমিশন প্রদান উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করবেন ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল দলবীর সিং । জেনারেল সিং, পিভিএসএম, ইউওয়াইএসএম, এভিএসএম, ভিএসএম, এডিসি ১৯৫৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বর্তমানে ২৬তম ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান।”
এর আগে ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো তৎকালীন ভারতীয় ২৪তম সেনাপ্রধান জেনারেল ভিকে সিং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একই ধরেনর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সালাম গ্রহণ করেছিলেন। তখন এ নিয়ে বিতর্ক উঠলে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়েছিল যে, ভিকে সিং ৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহণ করা ভারতীয় অফিসারদের মধ্যে একজন। ফলে তাকে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কুচকাওয়াজে অতিথি হিসেবে এনে সালাম দিয়ে সন্মানিত করা যায়।
বিতর্কের প্রেক্ষিতে তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর (ISPR, Inter Services Public Relation বা আন্তঃবাহিনী গনসংযোগ অধিদপ্তর ) ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছিল, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতের সেনাপ্রধানকে এই বিরল সম্মাননা জানানো হচ্ছে। ’৭১ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর যেসব কর্মকর্তা সরাসরি বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে একমাত্র জেনারেল ভি কে সিংই চাকরিতে রয়েছেন। অন্যরা এরই মধ্যে অবসরে চলে গেছেন। তার মতো একজন ব্যক্তিত্ব বিএমএ-এর পাসিং আউট প্যারেডে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকলে নবীন অফিসারদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চারিত হবে বলেও মনে করে সেনাসদর। ”
সেনাসদর এ-ও জানায় যে, " বিএমএ-এর পাসিং আউট ব্যাচের ক্যাডেটগণ প্যারেডের দিন দেশমাতৃকার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রজাতন্ত্র, প্রজাতন্ত্রের সংবিধান ও জাতীয় পতাকার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেন।"
(সূত্র: আমাদের সময়/বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক , আইএসপিআর এর প্রেস রিলিজ )।
কিন্তু বর্তমান ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল দলবীর সিংয়ের একই ধরনের অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সফরে আসার যুক্তি কী? তিনি তো 'মুক্তিযোদ্ধা' নন! সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ভারত-ঘনিষ্টতা ও দেশটির প্রভাব বাড়াতেই সেদেশের সেনাকর্তাদের এভাবে দাওয়াত করে নিয়ে আসা হচ্ছে?
সেনাবাহিনীর মতো স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অনুষ্ঠানে পার্শ্ববর্তী দেশের একের পর এক সেনাপ্রধানকে ডেকে আনার কারণ কী? এভাবে কী সব ভারতীয় সেনাপ্রধানকেই ধারাবাহিকভাবে এনে স্যালুট দিতে হবে? এমন প্রশ্ন অনেকরেই ।
অবসরপ্রাপ্ত অনেক সামরিক কর্মকর্তার মতে, “বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়াসহ প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় চীনের সবচেয়ে বেশি অবদান থাকলেও সে দেশের কোনো সেনাপ্রধান এ পর্যন্ত পাসিং আউট প্যারেডে স্যালুট গ্রহণের আমন্ত্রণ পাননি।”
http://www.monitorbd...etail/31/133513
09 Jun, 2015
টুডে ডেস্ক
'বাংলাদেশ জয়' করে মাত্র বিদায় নিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার রেশ কাটতে না কাটতেই সংবাদপত্রে খবর বেরিয়েছে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে আসছেন ভারতের সেনাপ্রধান দলবীর সিং।
দৈনিক ইনকিলাবের খবরে প্রকাশ, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের পরপরই এবার আসছেন সে দেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল দলবীর সিং সোহাগ। আগামী ১৬ জুন (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ)’র সবচেয়ে বড়সর ও আলঙ্করিক অনুষ্ঠান প্রেসিডেন্ট কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৬ জুন সকাল সোয়া ৮টায় চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ)-এর ৭২তম লং কোর্স এবং ৪৩তম স্পেশাল কোর্স-এর ক্যাডেটদের কমিশন প্রদান উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করবেন ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল দলবীর সিং । জেনারেল সিং, পিভিএসএম, ইউওয়াইএসএম, এভিএসএম, ভিএসএম, এডিসি ১৯৫৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বর্তমানে ২৬তম ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান।”
এর আগে ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো তৎকালীন ভারতীয় ২৪তম সেনাপ্রধান জেনারেল ভিকে সিং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একই ধরেনর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সালাম গ্রহণ করেছিলেন। তখন এ নিয়ে বিতর্ক উঠলে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়েছিল যে, ভিকে সিং ৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহণ করা ভারতীয় অফিসারদের মধ্যে একজন। ফলে তাকে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কুচকাওয়াজে অতিথি হিসেবে এনে সালাম দিয়ে সন্মানিত করা যায়।
বিতর্কের প্রেক্ষিতে তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর (ISPR, Inter Services Public Relation বা আন্তঃবাহিনী গনসংযোগ অধিদপ্তর ) ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছিল, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতের সেনাপ্রধানকে এই বিরল সম্মাননা জানানো হচ্ছে। ’৭১ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর যেসব কর্মকর্তা সরাসরি বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে একমাত্র জেনারেল ভি কে সিংই চাকরিতে রয়েছেন। অন্যরা এরই মধ্যে অবসরে চলে গেছেন। তার মতো একজন ব্যক্তিত্ব বিএমএ-এর পাসিং আউট প্যারেডে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকলে নবীন অফিসারদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চারিত হবে বলেও মনে করে সেনাসদর। ”
সেনাসদর এ-ও জানায় যে, " বিএমএ-এর পাসিং আউট ব্যাচের ক্যাডেটগণ প্যারেডের দিন দেশমাতৃকার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রজাতন্ত্র, প্রজাতন্ত্রের সংবিধান ও জাতীয় পতাকার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেন।"
(সূত্র: আমাদের সময়/বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক , আইএসপিআর এর প্রেস রিলিজ )।
কিন্তু বর্তমান ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল দলবীর সিংয়ের একই ধরনের অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সফরে আসার যুক্তি কী? তিনি তো 'মুক্তিযোদ্ধা' নন! সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ভারত-ঘনিষ্টতা ও দেশটির প্রভাব বাড়াতেই সেদেশের সেনাকর্তাদের এভাবে দাওয়াত করে নিয়ে আসা হচ্ছে?
সেনাবাহিনীর মতো স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অনুষ্ঠানে পার্শ্ববর্তী দেশের একের পর এক সেনাপ্রধানকে ডেকে আনার কারণ কী? এভাবে কী সব ভারতীয় সেনাপ্রধানকেই ধারাবাহিকভাবে এনে স্যালুট দিতে হবে? এমন প্রশ্ন অনেকরেই ।
অবসরপ্রাপ্ত অনেক সামরিক কর্মকর্তার মতে, “বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়াসহ প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় চীনের সবচেয়ে বেশি অবদান থাকলেও সে দেশের কোনো সেনাপ্রধান এ পর্যন্ত পাসিং আউট প্যারেডে স্যালুট গ্রহণের আমন্ত্রণ পাননি।”
http://www.monitorbd...etail/31/133513