করোনাভাইরাস রুখতে ‘গোমূত্র পার্টি’!
ট্রিবিউন ডেস্ক
ভারতীয় গরু। রয়টার্স।
চক্রপাণি মহারাজ বলেন, ‘আমরা গোমূত্র পার্টির আয়োজন করছি। সেখানে করোনাভাইরাস কী এবং কীভাবে গরু থেকে প্রাপ্ত জিনিসপত্র খেয়েই এই ভাইরাসমুক্ত থাকা যায়, সেসব প্রচার করা হবে’
কাল্পনিক নয়। ভারতে এমনই এক অভিনব পার্টির আয়োজন করছে হিন্দু মহাসভা। টি পার্টির অনুকরণে এই “গোমূত্র পার্টি”তে সত্যি সত্যিই থাকবে এমন মেনু। অভূতপূর্ব এই আয়োজনের খবর জানাচ্ছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।
বিশ্বজুড়ে যে করোনাভাইরাসের থাবা আটকাতে প্রতিষেধক তৈরির জন্য রাত-দিন এক করে ফেলছেন বিজ্ঞানী-গবেষকরা, সেখানে হিন্দু মহাসভার দাবি, করোনা রুখতে একমাত্র “মহৌষধি” গোমূত্র ও গোবর। মহাসভার সভাপতি চক্রপাণি মহারাজ জানিয়েছেন, দিল্লিতে যাতে করোনার প্রকোপ ব্যাপকহারে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্যই এই পার্টির আয়োজন।
চক্রপাণি মহারাজ একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘যেমন আমরা চা-চক্রের আয়োজন করি, তেমনই গোমূত্র পার্টির আয়োজন করছি। সেখানে করোনাভাইরাস কী এবং কীভাবে গরু থেকে প্রাপ্ত জিনিসপত্র খেয়েই এই ভাইরাসমুক্ত থাকা যায়— সেসব নিয়ে সচেতনতার প্রচার করা হবে।’’ পার্টিতে কী থাকবে? মহাসভার সভাপতি বলেন, ‘‘এমন কাউন্টার থাকবে, যেখান থেকে পার্টিতে আসা লোকজনকে গোমূত্র খাওয়ার জন্য দেওয়া হবে। পাশাপাশি আমরা গোবরের কেক বা ঘুঁটে, গোবর দিয়ে তৈরি আগরবাতিও রাখব। এগুলি খেলে বা ব্যবহার করলে ভাইরাস (করোনা) সঙ্গে সঙ্গে মারা যাবে।’’
সারাদেশের বিজ্ঞানীরা যেখানে কার্যত করোনা রুখতে প্রাণপাত করছেন, একমাত্র সাবধানতা বা সতর্কতা ছাড়া আর কোনও দাওয়াই নেই বলছেন, সেখানে গোমূত্র-গোবরের এমন “পথ্যি” যে অনেকেই বিশ্বাস করবেন না, তা বিলক্ষণ জানেন মহারাজ নিজেও। তাই বলেছেন, ‘‘জীব হত্যা মহাপাপ, এই বার্তা আমরা ছড়িয়ে দিতে চাই। করোনা ভাইরাস যে জীব হত্যার কারণেই ছড়িয়েছে, সেটা প্রচার করতে চাই। জানি, অনেকেই আমার কথা বিশ্বাস করবে না। কিন্তু ভারতে যেহেতু অধিকাংশই নিরামিষাশী, তাই এখানে এই ভাইরাস ছড়াবে না।’’
তবে “অভয়বাণী”ও শোনা গিয়েছে চক্রপাণি মহারাজের মুখে। তার “টোটকা”, ‘‘আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। গোমূত্র খান, আর নিরামিষভোজী হয়ে যান, তাহলেই পালাবে করোনা।’’
আর যারা নিরামিষাশী? তাদের নাকি চিন্তাই নেই। মহারাজ বলেছেন, ‘‘শাকাহারিদের দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। এতে (করোনা) তাদের সংক্রমণ হবে না। কিন্তু তবু, সাবধানতা হিসেবে তারাও গোমূত্র খাওয়া শুরু করতে পারেন।’’
ট্রিবিউন ডেস্ক
- প্রকাশিত ০৯:৪৪ সকাল মার্চ ৫, ২০২০
ভারতীয় গরু। রয়টার্স।
চক্রপাণি মহারাজ বলেন, ‘আমরা গোমূত্র পার্টির আয়োজন করছি। সেখানে করোনাভাইরাস কী এবং কীভাবে গরু থেকে প্রাপ্ত জিনিসপত্র খেয়েই এই ভাইরাসমুক্ত থাকা যায়, সেসব প্রচার করা হবে’
কাল্পনিক নয়। ভারতে এমনই এক অভিনব পার্টির আয়োজন করছে হিন্দু মহাসভা। টি পার্টির অনুকরণে এই “গোমূত্র পার্টি”তে সত্যি সত্যিই থাকবে এমন মেনু। অভূতপূর্ব এই আয়োজনের খবর জানাচ্ছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।
বিশ্বজুড়ে যে করোনাভাইরাসের থাবা আটকাতে প্রতিষেধক তৈরির জন্য রাত-দিন এক করে ফেলছেন বিজ্ঞানী-গবেষকরা, সেখানে হিন্দু মহাসভার দাবি, করোনা রুখতে একমাত্র “মহৌষধি” গোমূত্র ও গোবর। মহাসভার সভাপতি চক্রপাণি মহারাজ জানিয়েছেন, দিল্লিতে যাতে করোনার প্রকোপ ব্যাপকহারে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্যই এই পার্টির আয়োজন।
চক্রপাণি মহারাজ একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘যেমন আমরা চা-চক্রের আয়োজন করি, তেমনই গোমূত্র পার্টির আয়োজন করছি। সেখানে করোনাভাইরাস কী এবং কীভাবে গরু থেকে প্রাপ্ত জিনিসপত্র খেয়েই এই ভাইরাসমুক্ত থাকা যায়— সেসব নিয়ে সচেতনতার প্রচার করা হবে।’’ পার্টিতে কী থাকবে? মহাসভার সভাপতি বলেন, ‘‘এমন কাউন্টার থাকবে, যেখান থেকে পার্টিতে আসা লোকজনকে গোমূত্র খাওয়ার জন্য দেওয়া হবে। পাশাপাশি আমরা গোবরের কেক বা ঘুঁটে, গোবর দিয়ে তৈরি আগরবাতিও রাখব। এগুলি খেলে বা ব্যবহার করলে ভাইরাস (করোনা) সঙ্গে সঙ্গে মারা যাবে।’’
সারাদেশের বিজ্ঞানীরা যেখানে কার্যত করোনা রুখতে প্রাণপাত করছেন, একমাত্র সাবধানতা বা সতর্কতা ছাড়া আর কোনও দাওয়াই নেই বলছেন, সেখানে গোমূত্র-গোবরের এমন “পথ্যি” যে অনেকেই বিশ্বাস করবেন না, তা বিলক্ষণ জানেন মহারাজ নিজেও। তাই বলেছেন, ‘‘জীব হত্যা মহাপাপ, এই বার্তা আমরা ছড়িয়ে দিতে চাই। করোনা ভাইরাস যে জীব হত্যার কারণেই ছড়িয়েছে, সেটা প্রচার করতে চাই। জানি, অনেকেই আমার কথা বিশ্বাস করবে না। কিন্তু ভারতে যেহেতু অধিকাংশই নিরামিষাশী, তাই এখানে এই ভাইরাস ছড়াবে না।’’
তবে “অভয়বাণী”ও শোনা গিয়েছে চক্রপাণি মহারাজের মুখে। তার “টোটকা”, ‘‘আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। গোমূত্র খান, আর নিরামিষভোজী হয়ে যান, তাহলেই পালাবে করোনা।’’
আর যারা নিরামিষাশী? তাদের নাকি চিন্তাই নেই। মহারাজ বলেছেন, ‘‘শাকাহারিদের দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। এতে (করোনা) তাদের সংক্রমণ হবে না। কিন্তু তবু, সাবধানতা হিসেবে তারাও গোমূত্র খাওয়া শুরু করতে পারেন।’’