audio is not clear what is Erhard saying could someone translate
i can'thear what ershad chacha is saying, can someone explain what he is saying?
Can you people Read Bangla??
বার ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক মুরতাদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিলেন ক্ষমতাসীন মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পতিত সামরিক স্বৈরাচার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। গতকাল শাহবাগিদের সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ইসলামের নামধারী তরুণ ব্লগাররা মুসলমান নয়। মুসলমান নামধারী এই তরুণদের ইসলাম ভালো না লাগলে তাদের উচিত ধর্মান্তরিত হওয়া এবং দেশত্যাগ করা। তারা যা বলছে এবং যা করছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের কথার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মধ্যরাতে টেলিভিশনের টকশোগুলোতে অনেকে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলছে। সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করার কথা বলছে। তাই এখন আমাদের চুপ করে থাকলে চলবে না। ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র আমরা মানব না। যারা ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলছে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম। ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করা হলে এবং সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়া হলে দেশে রক্তগঙ্গা বইবে।
গতকাল রাজধানীর গুলশানে হোটেল ইমানুয়েলে আয়োজিত আলেম ওলামাদের জাতীয় ওলামা পার্টিতে যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
এইচ এম এরশাদ বক্তব্যের একপর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, আজ ইসলাম বিপন্ন। ইনশাল্লাহ আমি ইসলাম রক্ষা করতে পারব। এজন্য আলেম ওলামাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সমবেত আলেম ওলামাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা এক কঠিন সময় অতিক্রম করছি। এমন একসময় আপনারা এখানে সমবেত হয়েছেন, যখন আমাদের প্রিয় ধর্ম ইসলাম ও মানবকুলের শিরোমণি আমাদের প্রাণপ্রিয় রাসুল (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি করা হচ্ছে। একদিকে দেশে বিরাজ করছে সর্বগ্রাসী সঙ্কট, সীমাহীন নৈরাজ্য ও রাজনৈতিক সহিংসতা; অন্যদিকে কিছু ফেসবুক ও ব্লগে সর্বশক্তিমান আল্লাহ এবং আমাদের নবীজী সম্পর্কে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়া হচ্ছে। ফলে প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাতে খোদার আরশ পর্যন্ত কেঁপে উঠছে। এক কথায় ইসলাম আজ বিপন্ন। তাই আজ দরকার মুসলিম জনতার ইস্পাতকঠিন ঐক্য ও দৃঢ়তা।
তিনি বলেন, আমি বিস্মিত ও লজ্জিত হই যখন দেখি আল্লাহ, রাসুল (সা.) ও পবিত্র কোরআন সম্পর্কে যারা কটূক্তি করেছে, তারা এদেশেরই সন্তান এবং মুসলমান নামধারী। কিন্তু যে ভাষায় তারা কোরআন ও নবী-রাসুল (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি করেছে, তারা ইহুদি-খ্রিস্টান বা অন্য কোনো ধর্মের অনুসারী সম্পর্কে এ ধরনের কথা বলেনি; বরং তারা রাসুল (সা.) ও পবিত্র কোরআন সম্পর্কে বিপুল প্রশংসা করেছেন। এখানে আমি কয়েকটি উদ্ধৃতি তুলে ধরছি প্রখ্যাত ব্রিটিশ দার্শনিক ও বুদ্ধিজীবী জর্জ বার্নার্ড শ আমাদের রাসুল (সা.) সম্পর্কে বলেছেন, আমি এ মানবশ্রেষ্ঠ মানুষ (রাসুল সা.) সম্পর্কে গভীরভাবে গবেষণা করেছি। আমার অভিমত হচ্ছে, তাঁকে বিশ্বমানবতার ত্রাণকর্তা হিসেবে অভিহিত করা উচিত। আমি বিশ্বাস করি, তাঁর মতন একজন মহান ব্যক্তি যদি গোটা আধুনিক পৃথিবীর সর্বময় নেতৃত্বের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন, তাহলে একমাত্র তিনি এই ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ এবং বিভক্ত পৃথিবীর সব সমস্যার সমাধান করতে পারতেন।
মাইকেল হার্ট নামক একজন খ্রিস্টান লেখক ও গবেষক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০০ মনীষীর জীবনীতে লিখেছেন, তাতে আমাদের প্রিয়নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে প্রথম স্থান দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন :
যে মহামানবের পদচারণায় পৃথিবী ধন্য হয়েছে, আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভালোবাসা, অন্তরের পবিত্রতা, আত্মার মহত্ত্ব, ধৈর্য, ক্ষমা, সততা, নম্রতা, বদান্যতা, মিতাচার, আমানতদারী, সুরুচিপূর্ণ মনোভাব, ন্যায়পরায়ণতা, উদারতা ও কঠোর কর্তব্যনিষ্ঠা ছিল যার চরিত্রের ভূষণ। যিনি ছিলেন একাধারে এতিম হিসেবে সবার স্নেহের পাত্র, স্বামী হিসেবে প্রেমময়, পিতা হিসেবে স্নেহের আধার, সঙ্গী হিসেবে বিশ্বস্ত, যিনি ছিলেন সফল ব্যবসায়ী, দূরদর্শী সংস্কারক, ন্যায়বিচারক।
আমাদের পবিত্র কোরআন সম্পর্কে বিশ্ববিজয়ী নেপোলিয়ান বলেছেন : আমি বিশ্বাস করি সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন পৃথিবীর সমস্ত দেশের জ্ঞানী ও শিক্ষিত মানুষকে কোরআনের নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ করে একটি সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যাবে। কারণ একমাত্র পবিত্র কোরআনের নীতিগুলোই সত্য যা মানবজাতিকে শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, পরিশেষে আমি দেশের বর্তমান সর্বনাশা পরিস্থিতি সম্পর্কে আমার সুস্পষ্ট অভিমত তুলে ধরতে চাই। এখনও সময় আছে রাজনৈতিক সংলাপ ও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হানাহানি সহিংসতা ও রক্তপাত বন্ধ করতে হবে। আমাদের ভুললে চলবে না যে আমরা একই দেশের নাগরিক। কোনো কোনো প্রশ্নে এমনকি মৌলিক প্রশ্নেও আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু ব্যক্তি বা দলের চেয়ে দেশ অনেক বড়। দেশে অমানিশার ঘোর অন্ধকার নেমে আসার আগেই আমাদের জাতীয় ঐক্য ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বর্তমান সঙ্কট থেকে আমাদের উত্তরণ ঘটাতে হবে। যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে শক্তি ও প্রয়োগের মাধ্যমে তার সমাধান হবে বলে আমি মনে করি না। আমাদের উপলব্ধি করতে হবে যে আমরা এখন পয়েন্ট অব নো রিটার্ন-এ এসে গেছি। এখন আমাদের সামনে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের দানব তার বিষাক্ত থাবা এবং আসুরিক চেহারা নিয়ে অপেক্ষা করছে। এজন্য সব ধরনের দূরত্ব অবসানকল্পে সরকারকে রাজনৈতিক সব দলের সঙ্গে অর্থবহ সংলাপ শুরু করতে হবে, যাতে করে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশে একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
জাতীয় ওলামা পার্টির আহ্বায়ক কস্ফারি মো. হাবিবুল্লাহ বেলালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই যোগদান সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদ, পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার। ওলামা পার্টিতে যোগদানকারী মাওলানাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা ড. আবদুল কাইয়ুম আল হাজারী, হাফেজ মাওলানা কফিল উদ্দিন জেহাদী, মাওলানা কস্ফারি আবদুল আজিজ সিরাজী, মুফতি মোস্তফা আল ফারাজি এবং প্রফেসর মাওলানা এম. এ. নুরুল আমীন।