মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নতুন করে হামলা শুরু: নেপথ্যে ইরানের যে বক্তব্য
সম্প্রতি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নতুন করে হামলা শুরু হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে সেখানে শত শত মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু মানবাধিকারের দাবিদার পশ্চিমা বিশ্ব এ বিষয়ে নিরব রয়েছে। অমুসলিম দেশে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর হত্যা-নির্যাতনের বিষয়ে জোরালো কোনো পদক্ষেপ এখনও চোখে পড়ছে না। যদিও পশ্চিমা দেশগুলো সংখ্যালঘু ইস্যুসহ নানা অজুহাতে মুসলিম দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করে থাকে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি প্রথম থেকেই রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর হত্যা-নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিবাদমুখর ছিলেন। সর্বোচ্চ নেতার আহ্বানে ইরান সরকার এ পর্যন্ত রোহিঙ্গা মুসলমানদের রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রতিনিধিদল পাঠিয়েও মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়েছে।
সর্বোচ্চ নেতার মিয়ানমার অঞ্চল বিষয়ক প্রতিনিধিও এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরপরও মিয়ানমার সরকারের মদদে রাখাইন রাজ্যে মুসলিম নিধন থেমে নেই। বতর্মান প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিষয়ে সর্বোচ্চ নেতার দৃষ্টিভঙ্গির দিকে আরেকবার নজর দেয়া যাক। সর্বোচ্চ নেতার দৃষ্টিভঙ্গির আলোকেই ইরানের এ সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এর আগে এক বক্তৃতায় বলেছেন-আপনারা আজই দেখুন, পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ মিয়ানমারে হাজার হাজার মুসলমান নিহত হচ্ছে এবং তাদের হত্যা করা হচ্ছে অজ্ঞতা ও বিদ্বেষের কারণে। এ ঘটনায় কোনো কোনো শক্তির রাজনৈতিক হাত থাকার কথা না উল্লেখ করেও যদি ধরে নিই যে, যেমনটি দাবি করা হচ্ছে, ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের কারণেই এই গণহত্যা ঘটছে, তা সত্ত্বেও মানবাধিকারের ভুয়া সমর্থকরা মুখ খুলছেন না।
অথচ এদেরই অন্তর নাকি জীব-জন্তু ও পশুর জন্য কাঁদে! অন্যদিকে যেসব দেশ তাদের অধীনতা থেকে মুক্ত বা স্বাধীনচেতা এবং তাদের ধামাধরা নয়, সেসব দেশে ক্ষুদ্রতম অজুহাতও দেখতে পেলে তারা তা শতগুণ বড় করে তুলে ধরে। অথচ মিয়ানমারে নিরপরাধ, নিরস্ত্র এবং অসহায় নারী, পুরুষ ও শিশুদের হত্যার ব্যাপারে তারা নিশ্চুপ হয়ে আছে। পশ্চিমা শক্তিগুলো অবশ্য এ ব্যাপারে সাফাইও গাইছে! এই হলো তাদের মানবাধিকারের অবস্থা! তাদের মানবাধিকার নৈতিকতা, খোদা ও আধ্যাত্মিকতাবিহীন। পশ্চিমাদের নৈতিকতা এবং মানবাধিকারের দাবি যে মিথ্যা বড়াই ছাড়া আর কিছুই নয়, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে মিয়ানমারের হাজার হাজার মুসলমানকে হত্যার বিষয়ে তাদের নীরবতার মধ্য দিয়ে।
তিনি আরও বলেছেন, ওরা বলছে, রোহিঙ্গা মুসলমানরা নাকি মিয়ানমারের নাগরিক নয়। ধরে নিলাম তা ঠিক, তাই বলে কি তাদেরকে অবশ্যই নিহত হতে হবে? অবশ্য, তাদের এ দাবি মিথ্যা কারণ, শত শত বছর ধরে তারা সেখানে বসবাস করে আসছে। এ ব্যাপারে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। পশ্চিমারা বিশেষ করে ইংরেজরা তাদের ঔপনিবেশিক শাসনামলে মিয়ানমারে এবং তার আশেপাশের দেশগুলোর জনগণের ওপর ঠিক এমন অবস্থায়ই চাপিয়ে দিয়েছিল। তারা সেখানকার জনগণের প্রাণ ওষ্ঠাগত করে তুলেছিল। ইংরেজরা যেখানেই পা রেখেছে সেখানেই দুর্নীতি বা আরাজকতার রাজত্ব কায়েম করেছে এবং বংশ নিধনযজ্ঞ চালিয়েছে। কুরআন যেমনটি বলে-এসব কাজ ছাড়া অন্য কিছু তারা করেনি।
সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে পবিত্র কুরআন ও ঐশী হেদায়াত থেকে উৎসারিত আধ্যাত্মিকতা-ভিত্তিক সভ্যতা গড়ে উঠেছে। অন্যদিকে, নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিকতা শূন্য জড়বাদী পশ্চিমা সভ্যতা মানুষকে শোষণ করছে। আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, নৈতিকতা ও মানবাধিকার সম্পর্কে পাশ্চাত্যের দাবিগুলো মিথ্যা; আর এর উজ্জ্বল প্রমাণ হল, মিয়ানমারে হাজার হাজার মুসলমান হত্যার বিষয়ে পশ্চিমা সমাজের নীরবতা।
http://janaojanabd.net/archives/18544
Brutal attacks on Rohingya
International pressure on Myanmar
Bangladesh will be pushed back to the time of human behavior
Rakhine burn
Myanmar over Rohingya brutal military assault Myanmar has been under pressure from the international community. The UN Security Council has been informal discussions. Discussion of the proposal at the United States strongly condemned the crackdown on Rohingya.
The violence in Rakhine State, Rohingyas border to prevent infiltration and US Coast Guard remains vigilant. Rohingyas pushed back when they tried to infiltrate treated humanely decided to Bangladesh. Prevent the recurrence of an event as well as the border between the two countries border the proposed liaison office opened, and security cooperation framework agreement between Bangladesh and Myanmar are being urged quick execution. However, Myanmar has not responded yet.
New York yugantarake a diplomatic source said on Monday, November 17, the UN Security Council held informal discussions of the atrocities carried out against the Rohingya. The United States took the initiative for talks. Myanmar was not invited to the talks. However, the strong presence of representatives of the majority of Rohingya in Rakhine state of Myanmar has expressed the opinion that the army is ultimately a violation of human rights.
The Malaysian delegation also expressed the opinion that the operation of civilian women and children are being shown on the extreme cruelty. UK strongly condemns the crackdown against the Rohingya. Also, New Zealand, Russia, Japan, France, Egypt and Senegal condemned the atrocities of the representatives present at the meeting. They are humanitarian aid workers access to Rakhine state to stop criticizing Myanmar urging the authorities to allow it to run. The meeting expressed concern over the extra-judicial killings during security operations in Rakhine state is.
Rohingyas in Myanmar's brutal behavior of the former UN Secretary-General Kofi Annan expressed concern. The UN refugee agency said in a statement about their concern over the state of Rakhine. The organization urged Myanmar to avoid cruelty. Besides, who fled the repression and persecution of defense to be recommended for those seeking to keep the border open.
Asked former Bangladesh Ambassador to Myanmar Major General (retd.) Anup Kumar Chakma yugantarake said Monday, "will not solve any problems through the adoption of the Rohingya in Bangladesh . Bangladesh has taken in the past few million Rohingyas. Myanmar did not take them back. Now again asking us to accept the Rohingyas. But the UNHCR is able to guarantee that it will take back the Rohingya in Burma? "
He added," It will not solve those issues in Myanmar. The international community must put pressure on Burma to Myanmar in order to solve the problem. In this case, the international community should be on relief, or any other means that setela to help Myanmar. The United States, the EU, the country can help the Islamic world. "
Said Anup Kumar Chakma, Bangladesh and Myanmar resolvable issue of the Rohingya. The good relations between the two countries, increase communication among people and do not see the issue as a whole saw khanidatabhabe can solve the problem.
He said that the term Rohingya of Myanmar's authorities have objected. If you do not own the Rohingya Muslims in Myanmar's citizens can be identified. In many cases, if the right of citizenship. Then gradually accepting their identity can claim.
The former ambassador said, "taking advantage of the Rohingyas suffer some vested quarters are in big trouble. Does not solve the problem. If the problem continues to grow in Myanmar, the Rohingya will suffer more. They will come to Bangladesh. From here, look for the opportunity to sbarthanbesira. Therefore, everyone must understand this issue. "
Meanwhile, the Foreign Ministry on Sunday to discuss the issue of Rohingya situations arising out of the Foreign Secretary. Shahidul Haque presided over an inter-ministerial meeting was held.The Ministry of Foreign Affairs, Ministry of Interior, Border Border Security Force, Coast, attended by representatives of various intelligence agencies.
Officials say the meeting is to review the overall situation of the Rohingya. Due to the government's call for the UN humanitarian aid agency UNHCR has been informed that the meeting was informed. However, the government's position on the issue of Rohingya are unchanged. The new entrance will not allow the Rohingyas in Bangladesh. Someone tried to infiltrate the country, he will be pushed back. However, when pushed back against them to be treated humanely.
The BGB said, the Rohingya boat while trying to infiltrate the border between them, getting them back abhuktadera khadyasamagrisaha is required. None of them are sick and their treatment.According to various reports, the Rohingya in Rakhine state to go back to the time gunships opened fire on them. Spreading panic is there, the Rohingya wants to attack again. As a result, there has been an inhuman situation.
Myanmar Myanmar border checkpoint attack on October 9, featuring nine Border Guard Police (BGP), and five soldiers were killed after a military security operation has been launched.Bangladesh immediately condemned the attack. The infiltration of the border so that attackers can not have been sealed. 69 Rohingyas were killed during the military crackdown in Myanmar Myanmar's army has claimed.
According to various sources, the death toll much higher. Launching campaign Rohingya houses were set on fire. As a result, large-scale intrusion of Rohingyas to Bangladesh fears. Border security has been strengthened existing circumstances. Rohingyas are putting pressure on the brutality of the international community. Prevailing circumstances in the country's administrative capital of Myanmar, with the next 3 and 4 November nepitote foreign secretary-level talks to be held in Bangladesh has been postponed.
The idea being, as a strategy to protect themselves from international pressure hurriedly Myanmar Muslim-majority Bangladesh foreign secretary-level talks with the strategy took hold. But Bangladesh thinks so little time to prepare for the meeting is not possible. Besides, the current situation is likely to get better results from the meeting.
Concerned that the country has come under pressure from Myanmar to try to shift the blame. As a result of the capital to protest against the killing of Rohingya militant Islamist groups as a protest campaign if he can run Myanmar. So in these circumstances, the advice is not to give any of the parties involved in the program.
http://www.jugantor.com/online/international/2016/11/22/31528/আন্তর্জাতিক-চাপে-মিয়ানমার
BANGLADESH ISLAMI CHHATRASHIBIR
4 hrs ·
মায়ানমার সরকার কর্তৃক রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াতে ইসলামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা
See translation
15 Comments
306 Shares