Shorisrip
FULL MEMBER
![](/styles/default/xenforo/ranks/Lieutenant.jpg)
- Joined
- Aug 16, 2016
- Messages
- 551
- Reaction score
- 0
- Country
- Location
will be updated once English version comes out. Joy Bangla!
‘বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ পাঠাবে পশ্চিমবঙ্গ’
কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি রোহিঙ্গাদের জন্যে খাবার নিয়ে আসেন। সেই খাবার পেতে ভিড় জমায় অনেকই। ছবি: আনিসুর রহমান
কলকাতা প্রতিনিধি
রোহিঙ্গাদের সাহায্য করতে বাংলাদেশে ত্রাণ পাঠাতে চান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকার যেভাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে বিশ্ববাসীর ঐক্যবদ্ধ হয়ে এখনই এর প্রতিবাদ করা উচিৎ। রোহিঙ্গাদের নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নীতিরও নিন্দা করেন তিনি।
১১ সেপ্টেম্বর সোমবার কলকাতায় রোহিঙ্গাদের উপর সামরিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচীতে হাজার হাজার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে সমবেত হয়েছিলেন কলকাতার সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বও।
মিছিলের আয়োজক পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন হলেও তৃণমূল কংগ্রেস, বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস এই প্রতিবাদ মিছিলের সমর্থন জানায়। বাম-কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব মিছিলে হাঁটলেও তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধিকে এই মিছিলে পাওয়া যায়নি। প্রতিবাদ সমাবেশে পশ্চিমবঙ্গের আরও কয়েকটি সংখ্যালঘু সংগঠন যুক্ত হয়েছিল।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রানী রাসমনি অ্যাভিনিউ থেকে মিছিল শুরু হয়ে বালিগঞ্জ মিয়ানমার উপদূতাবাসে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশ মিছিলের মুখ ঘুরিয়ে দেয়। মিছিল পূর্ববর্তী প্রতিবাদ সমাবেশের বক্তারা অবিলম্বে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধের দাবি এবং বিশ্ব নেতৃত্বকে মানবিক সংকট নিরসনে আহ্বান জানান।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটির সংখ্যালঘুদের অন্যতম বৃহত্তম সংগঠন জমিয়তে উলেমা হিন্দের রাজ্য প্রধান প্রতিমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, “এই মানবিক সংকটের প্রতিবাদে আমরাও পথে নামবো। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর ব্যবস্থা করবো।”
পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “নরেন্দ্র মোদি যদি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুশ ব্যাক নীতিতে অবিচল থাকেন তা হলে তাকেও মানুষ পুশ ব্যাক করবে।”
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “রোহিঙ্গা মানবিক সংকট, রাজনৈতিক ইস্যু নয়। ভগবান বুদ্ধদেবের অহিংস নীতিতে বিশ্বাসী কোনও দেশের সরকার কিভাবে রোহিঙ্গাদের উপর এই নির্যাতন করছে- তা ভেবে অবাক লাগছে। যারা মিয়ানমার ছেড়ে পালিয়ে আসছেন তারা তো মাংস-পোলাও খেতে আসছেন না। প্রাণ বাঁচতেই পালিয়ে আছেন। তাদের সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার।”
ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা তাহা সিদ্দিকি মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে বলেন, “ইচ্ছা করলে আমরা (প্রতিবাদকারীরা) মিয়ানমার দূতাবাসের দুটো ইট খুলে নিয়ে আসতে পারি।”
প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আয়োজনকারীর সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সম্পাদক কামরুজ্জামান বলেন, ভারতের মানুষ মানবিকতার নীতিতে বিশ্বাস রাখেন, মানুষের নীতিতে বিশ্বাস রাখেন। নরেন্দ্র মোদি আপনি দয়া করে আপনার গরু-নীতি এই দেশে চালাবেন না।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দশ জনের একটি প্রতিনিধি দল কলকাতার মিয়ানমার উপদূতাবাসে গিয়ে তাদের প্রতিবাদপত্র তুলে দিয়ে আসেন।
source: http://www.thedailystar.net/bangla/...োহিঙ্গাদের-জন্য-ত্রাণ-পাঠাবে-পশ্চিমবঙ্গ-83788
‘বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ পাঠাবে পশ্চিমবঙ্গ’
![rohingya_aid-1.jpg](/proxy.php?image=http%3A%2F%2Fwww.thedailystar.net%2Fbangla%2Fsites%2Fdefault%2Ffiles%2Fstyles%2Fvery_big_1%2Fpublic%2Ffeature%2Fimages%2Frohingya_aid-1.jpg%3Fitok%3D7m0241Hv&hash=36048252f6109696605c674ad3c4c564)
কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি রোহিঙ্গাদের জন্যে খাবার নিয়ে আসেন। সেই খাবার পেতে ভিড় জমায় অনেকই। ছবি: আনিসুর রহমান
কলকাতা প্রতিনিধি
রোহিঙ্গাদের সাহায্য করতে বাংলাদেশে ত্রাণ পাঠাতে চান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকার যেভাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে বিশ্ববাসীর ঐক্যবদ্ধ হয়ে এখনই এর প্রতিবাদ করা উচিৎ। রোহিঙ্গাদের নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নীতিরও নিন্দা করেন তিনি।
১১ সেপ্টেম্বর সোমবার কলকাতায় রোহিঙ্গাদের উপর সামরিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচীতে হাজার হাজার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে সমবেত হয়েছিলেন কলকাতার সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বও।
মিছিলের আয়োজক পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন হলেও তৃণমূল কংগ্রেস, বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস এই প্রতিবাদ মিছিলের সমর্থন জানায়। বাম-কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব মিছিলে হাঁটলেও তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধিকে এই মিছিলে পাওয়া যায়নি। প্রতিবাদ সমাবেশে পশ্চিমবঙ্গের আরও কয়েকটি সংখ্যালঘু সংগঠন যুক্ত হয়েছিল।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রানী রাসমনি অ্যাভিনিউ থেকে মিছিল শুরু হয়ে বালিগঞ্জ মিয়ানমার উপদূতাবাসে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশ মিছিলের মুখ ঘুরিয়ে দেয়। মিছিল পূর্ববর্তী প্রতিবাদ সমাবেশের বক্তারা অবিলম্বে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধের দাবি এবং বিশ্ব নেতৃত্বকে মানবিক সংকট নিরসনে আহ্বান জানান।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটির সংখ্যালঘুদের অন্যতম বৃহত্তম সংগঠন জমিয়তে উলেমা হিন্দের রাজ্য প্রধান প্রতিমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, “এই মানবিক সংকটের প্রতিবাদে আমরাও পথে নামবো। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর ব্যবস্থা করবো।”
পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “নরেন্দ্র মোদি যদি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুশ ব্যাক নীতিতে অবিচল থাকেন তা হলে তাকেও মানুষ পুশ ব্যাক করবে।”
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “রোহিঙ্গা মানবিক সংকট, রাজনৈতিক ইস্যু নয়। ভগবান বুদ্ধদেবের অহিংস নীতিতে বিশ্বাসী কোনও দেশের সরকার কিভাবে রোহিঙ্গাদের উপর এই নির্যাতন করছে- তা ভেবে অবাক লাগছে। যারা মিয়ানমার ছেড়ে পালিয়ে আসছেন তারা তো মাংস-পোলাও খেতে আসছেন না। প্রাণ বাঁচতেই পালিয়ে আছেন। তাদের সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার।”
ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা তাহা সিদ্দিকি মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে বলেন, “ইচ্ছা করলে আমরা (প্রতিবাদকারীরা) মিয়ানমার দূতাবাসের দুটো ইট খুলে নিয়ে আসতে পারি।”
প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আয়োজনকারীর সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সম্পাদক কামরুজ্জামান বলেন, ভারতের মানুষ মানবিকতার নীতিতে বিশ্বাস রাখেন, মানুষের নীতিতে বিশ্বাস রাখেন। নরেন্দ্র মোদি আপনি দয়া করে আপনার গরু-নীতি এই দেশে চালাবেন না।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দশ জনের একটি প্রতিনিধি দল কলকাতার মিয়ানমার উপদূতাবাসে গিয়ে তাদের প্রতিবাদপত্র তুলে দিয়ে আসেন।
source: http://www.thedailystar.net/bangla/...োহিঙ্গাদের-জন্য-ত্রাণ-পাঠাবে-পশ্চিমবঙ্গ-83788