asad71
PROFESSIONAL
- Joined
- May 24, 2011
- Messages
- 6,863
- Reaction score
- 4
- Country
- Location
The report says Joi likes to get the Rangpur seat vacated by mom Hasina. But there is a constitutionalbar onholdersof dualnationality. Mom is a magician.She can always get round laws and rules.
জয় এমপি হতে চান, বাধা সংবিধান
09 Jan, 2014
রংপুর-৬ আসন ছেড়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তিনি গোপালগঞ্জ-৩ এর হয়ে শপথ নেবেন। আর শূন্য হয়ে যাওয়া আসনের উপনির্বাচনে শেখ হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় অংশ নিবেন এমন কথা শুনা যাচ্ছে। রংপুরবাসীও এটা চাচ্ছে।
কিন্তু জয়ের জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে প্রধান বাধা সংবিধান। দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে কেউ সংসদ নির্বাচন করতে পারেন না। জয় বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিক। সে হিসেবে, রংপুরবাসী চাইলেও এবং জয়ের প্রবল ইচ্ছে থাকলেও তিনি প্রার্থী হতে পারছেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী তানিয়া আমির বাংলামেইলকে বলেন, আমার জানা মতে ডুয়েল সিটিজেনরা (দ্বৈত নাগরিক) জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তবে এ বিষয়টি নিয়ে আদালতে একবার মামলা হয়েছে। কিন্তু পরে আর সে মামলার কোনো অগ্রগতি হয়নি। দ্বৈত নাগরিক নির্বাচনে অংশ নিতে সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারাটি পরিবর্তন করতে হবে।
একই কথা বলেছেন অ্যাডভোকেট এলিনা খান। তিনি বলেন, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী দ্বৈত নাগরিকরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। দ্বৈত নাগরিক হলে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার যোগ্যতা থাকে না।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়ালেও এ বিষয়টি স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে। ম্যানুয়ালের ৭ম অধ্যায়ের ধারা ২/২ এর (গ)তে বলা আছে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন।
নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে গত ৩ জানুয়ারি মায়ের পক্ষ থেকে রংপুর-৬(পীরগঞ্জ) জনসভা করেন জয়। একই দিন তিনি জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলালীগ, ছাত্রলীগের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ বৈঠকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি স্থানীয় নেতাদের জানান।গতবার এ আসনে উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে এমপি হয়েছিলেন আবুল কালাম আজাদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক খালিদ মাহমুদ চৌধুরি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোনো আসনটি ছেড়ে দিবেন এটা তার বিষয়। যদি তিনি রংপুরের আসটি ছেড়ে দেন তাহলে রংপুরবাসী জয়কে এমপি হিসেবে দেখতে চায়।
গত ৩১ ডিসেম্বর রংপুরে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, নির্বাচনের পর জয়কে রংপুরে পাঠিয়ে দিব। আপনাদের এলাকার সন্তান আপনাদের সেবা করবে। আপনাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে জয়। জয় সব সময় আপনাদের নিয়ে ভাবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই কথার মধ্যে জয়ের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় নেতারা।
পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহারুল হক বাবলু বাংলামেইলকে বলেন, এলাকার জনগণ চাই জয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। আমরা আশা করি জয় আমাদেরকে ফিরিয়ে দিবেন না।
জয়ের নির্বাচনে অংশগ্রহণ উপলক্ষে সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
গত ৩ জানুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জে এক নির্বাচনী পথসভায়র এক ঘরোয়া বৈঠকে জয় জানান, উপনির্বাচন নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিলে ভেবে দেখবেন বলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের আশ্বাস দেন।
প্রায় দেড় ঘণ্টা চলা ওই বৈঠকে সবার মতামত গুরুত্ব সহকারে শোনেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এসময় ভেন্ডাবাড়ী থানাসহ পীরগঞ্জের সার্বিক উন্নয়নের দাবি উত্থাপন করা হয় জয়ের কাছে। সেখানে উপনির্বাচনে জয়কে প্রার্থী করারও জোরালো দাবি ওঠে। এ সময় নেতাকর্মীদের দাবির মুখে জয় বলেন, আমি নির্বাচনে না গেলেও পীরগঞ্জের অভিভাবক হয়ে কাজ করব।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে ২৬ ডিসেম্বর রংপুর আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেয়া হয় সজীব ওয়াজেদ জয়কে। একই দিন তার সদস্যপদ চূড়ান্ত করেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ।
উৎসঃ বাংলামেইল২৪
http://www.bdtomorro...etail/200/61767
জয় এমপি হতে চান, বাধা সংবিধান
09 Jan, 2014
রংপুর-৬ আসন ছেড়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তিনি গোপালগঞ্জ-৩ এর হয়ে শপথ নেবেন। আর শূন্য হয়ে যাওয়া আসনের উপনির্বাচনে শেখ হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় অংশ নিবেন এমন কথা শুনা যাচ্ছে। রংপুরবাসীও এটা চাচ্ছে।
কিন্তু জয়ের জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে প্রধান বাধা সংবিধান। দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে কেউ সংসদ নির্বাচন করতে পারেন না। জয় বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিক। সে হিসেবে, রংপুরবাসী চাইলেও এবং জয়ের প্রবল ইচ্ছে থাকলেও তিনি প্রার্থী হতে পারছেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী তানিয়া আমির বাংলামেইলকে বলেন, আমার জানা মতে ডুয়েল সিটিজেনরা (দ্বৈত নাগরিক) জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তবে এ বিষয়টি নিয়ে আদালতে একবার মামলা হয়েছে। কিন্তু পরে আর সে মামলার কোনো অগ্রগতি হয়নি। দ্বৈত নাগরিক নির্বাচনে অংশ নিতে সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারাটি পরিবর্তন করতে হবে।
একই কথা বলেছেন অ্যাডভোকেট এলিনা খান। তিনি বলেন, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী দ্বৈত নাগরিকরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। দ্বৈত নাগরিক হলে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার যোগ্যতা থাকে না।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়ালেও এ বিষয়টি স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে। ম্যানুয়ালের ৭ম অধ্যায়ের ধারা ২/২ এর (গ)তে বলা আছে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন।
নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে গত ৩ জানুয়ারি মায়ের পক্ষ থেকে রংপুর-৬(পীরগঞ্জ) জনসভা করেন জয়। একই দিন তিনি জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলালীগ, ছাত্রলীগের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ বৈঠকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি স্থানীয় নেতাদের জানান।গতবার এ আসনে উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে এমপি হয়েছিলেন আবুল কালাম আজাদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক খালিদ মাহমুদ চৌধুরি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোনো আসনটি ছেড়ে দিবেন এটা তার বিষয়। যদি তিনি রংপুরের আসটি ছেড়ে দেন তাহলে রংপুরবাসী জয়কে এমপি হিসেবে দেখতে চায়।
গত ৩১ ডিসেম্বর রংপুরে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, নির্বাচনের পর জয়কে রংপুরে পাঠিয়ে দিব। আপনাদের এলাকার সন্তান আপনাদের সেবা করবে। আপনাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে জয়। জয় সব সময় আপনাদের নিয়ে ভাবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই কথার মধ্যে জয়ের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় নেতারা।
পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহারুল হক বাবলু বাংলামেইলকে বলেন, এলাকার জনগণ চাই জয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। আমরা আশা করি জয় আমাদেরকে ফিরিয়ে দিবেন না।
জয়ের নির্বাচনে অংশগ্রহণ উপলক্ষে সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
গত ৩ জানুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জে এক নির্বাচনী পথসভায়র এক ঘরোয়া বৈঠকে জয় জানান, উপনির্বাচন নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিলে ভেবে দেখবেন বলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের আশ্বাস দেন।
প্রায় দেড় ঘণ্টা চলা ওই বৈঠকে সবার মতামত গুরুত্ব সহকারে শোনেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এসময় ভেন্ডাবাড়ী থানাসহ পীরগঞ্জের সার্বিক উন্নয়নের দাবি উত্থাপন করা হয় জয়ের কাছে। সেখানে উপনির্বাচনে জয়কে প্রার্থী করারও জোরালো দাবি ওঠে। এ সময় নেতাকর্মীদের দাবির মুখে জয় বলেন, আমি নির্বাচনে না গেলেও পীরগঞ্জের অভিভাবক হয়ে কাজ করব।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে ২৬ ডিসেম্বর রংপুর আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেয়া হয় সজীব ওয়াজেদ জয়কে। একই দিন তার সদস্যপদ চূড়ান্ত করেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ।
উৎসঃ বাংলামেইল২৪
http://www.bdtomorro...etail/200/61767