What's new

Huge excitement in Bangladesh for PM Modi's visit!

.
11110870_903381783083120_5682801947410612012_n.jpg
 
. .
অবগুণ্ঠন উন্মোচন -আসিফ আরসালান

বন্দর ও ট্রানজিট ইত্যাদি দেয়া হলো : বিনিময়ে কি পেলো বাংলাদেশ?

এই লেখাটি লিখছি শুক্রবার ৫ জুন। ছাপা হলো ৮ জুন সোমবার। এর মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকায় আসবেন এবং চলেও যাবেন। মোদির সফরের সর্বশেষ সংবাদ এই কলামে পাঠক ভাইদের কাছে পৌঁছানোর জন্য গতকাল শনিবার বেলা ৪.০০টা পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম। কিন্তু দেখছি যে, বিকাল ৪.০০টা থেকে তাঁর আসল প্রোগ্রাম শুরু হচ্ছে। সুতরাং ইচ্ছা থাকলেও তাঁর সফরের আপডেট দেয়া গেলো না। তবে তাতে পাঠক ভাইয়েরা খুব একটা বঞ্চিত হবেন বলে মনে হয় না। কারণ যে ৩৬ ঘণ্টা তিনি ঢাকায় কাটাবেন তার একটি সংক্ষিপ্তসার পাওয়া গেছে। সেই বিস্তারিত আলোচনায় একটু পরে যাচ্ছি। তার আগে একই প্রসঙ্গে একটু ভিন্ন কথা।

যেভাবে এ সফরটি শুরু হওয়ার কথা ছিল সেটি সেভাবে হলো না। কথা ছিল, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন ৫টি রাজ্য বা প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরাও ঢাকায় আসবেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে চারজন মুখ্যমন্ত্রী এলেন না। এরা হলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা, আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লাল থানওয়ালা। একমাত্র এলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। কিন্তু তার সফরটিও কেমন খাপছাড়া ধরনের। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে আসেননি। এসেছেন একদিন আগে, ৫ জুন রাতে। এক বিমানে আসেননি। ঢাকায় এসে এক হোটেলে তারা থাকেননি। আগে থেকেই প্রোগ্রাম করা ছিল যে, নরেন্দ্র মোদির সফরসঙ্গীরা থাকবেন হোটেল সোনারগাঁয়ে। আসলে প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য সফরসঙ্গী সোনারগাঁয়েই ওঠেন। কিন্তু বেঁকে বসেন মমতা ব্যানার্জী। তিনি বললেন যে, তিনি অন্য কোনো হোটেলে থাকতে চান। সুতরাং তাকে তোলা হলো হোটেল র‌্যাডিসনে। আরো লক্ষ্য করার বিষয় হলো এই যে, মোদি এবং মমতা এক সাথে এক বিমানে দিল্লী ফিরে যাননি। মমতা গিয়েছেন একদিন আগে, অর্থাৎ ৬ জুন রাতে। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাচ্ছেন ৭ জুন।
আসলে মোদির সফরের ছন্দপতনের সূচনা হয় সপ্তাহখানেক আগে থেকেই। সপ্তাহখানেক আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ দিল্লীর জওহর লাল নেহেরু ভবনে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট ভাষায় বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন ঢাকা সফরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে না। তিনি বলেন যে, বাংলাদেশের সাথে এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে হলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে এই চুক্তিতে জড়িত করতে হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই চুক্তিতে এখনও সম্মতি দেননি। ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি এবং তার বাংলাদেশ কাউন্টার পার্ট তিস্তা চুক্তি নিয়ে রীতিমত যা করলো সেটা ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেয়ার শামিল। মমতা ব্যানার্জী বলেছেন যে, তিস্তার পানি নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের যে দুর্ভোগ সেটা তিনি ভালভাবে অবগত আছেন। তিনিও চান বাংলাদেশের মানুষ পানি পাক। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বঞ্চিত করে বাংলাদেশের মানুষকে পানি দেবেন কিভাবে।
কল্যাণ রুদ্র নামক পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম শীর্ষ পানি বিশেষজ্ঞকে দিয়ে মমতা ব্যানার্জী একটি কমিশন গঠন করেছিলেন। ওই কমিশন দেখবে যে, পশ্চিম বঙ্গের প্রয়োজন মিটিয়ে তারপর বাংলাদেশকে পানি দেয়া হবে। কল্যাণ রুদ্র রিপোর্ট দাখিল করেছেন। এখন পশ্চিমবঙ্গের কতখানি পানি প্রয়োজন সেটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এই পরীক্ষা নিরীক্ষার পর পশ্চিমবঙ্গের প্রয়োজনীয় পানি রেখে অবশিষ্ট পানি বাংলাদেশকে দেয়া হবে। ইতোমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে বলা হয়েছে ৯ লাখ একর জমির সেচ ব্যবস্থা রাখায় বাড়তি পানি বাংলাদেশকে দেয়া যাবে। এরপর বাংলাদেশের এক ফোঁটা তিস্তায় থাকবে কি না সন্দেহ। অথচ এ ধরনের নীতি আন্তর্জাতিক নদীর পানি বণ্টনের ক্ষেত্রে থাকে না।

মমতার জন্য আরেকটি সমস্যা রয়েছে। সেটি হলো, আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যে এলাকা দিয়ে তিস্তার পানি প্রবাহিত হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের পত্রপত্রিকার রিপোর্ট মোতাবেক, ঐ এলাকাটি কংগ্রেস প্রধান। এখন বাংলাদেশকে তিস্তার পানি দিলে ইলেকশনে পশ্চিম বাংলার ভোটারদের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। তাই ঐ নির্বাচন পর্যন্ত দেখতে চান মমতা ব্যানার্জী।

দুই
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলি, বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াত বিন্দুমাত্র সংকীর্ণতার পরিচয় দেয়নি। তারা বরং এবার যথেষ্ট উদারতার পরিচয় দিয়েছে। সকলেই মোদির বাংলাদেশ সফরকে খোশ আমদেদ জানিয়েছেন। সফরের ফলাফল কি হয় সেটি তিনি চলে গেলে বোঝা যাবে। কিন্তু যতক্ষণ তিনি এখানে আছেন ততক্ষণ বাংলাদেশীদের মধ্যে একটি ঐকমত্য সৃষ্টির চেষ্টা করেছে বিরোধী দল। কিন্তু শাসক দল সেই ঐক্য বিনষ্টের চেষ্টা করেছিল। বেগম খালেদা জিয়া এবং ২০ দল গত নির্বাচন করেনি সত্য, কিন্তু বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় দুটি রাজনৈতিক দলের একটি, এটি তো আর অস্বীকার করা যাবে না। সরকার মোদির সফরকালে নাম সর্বস্ব জাসদের হাসানুল হক ইনু এবং প্যাড সর্বস্ব রাজনৈতিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননের সাথেও নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেছেন। অথচ বাংলাদেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেত্রী খালেদার সাথে নরেন্দ্র মোদির বৈঠক যাতে না হয় সেজন্য প্রকাশ্যে এবং গোপনে তৎপরতা চালিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবলু হাসান মাহমুদ আলী গত শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করেছেন যে, বেগম জিয়ার সাথে মোদির কোনো বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবে এই ঘোষণায় জাতীয়তাবাদী এবং ইসলামী মহলে এক ধরনের অপমানবোধ কাজ করে। কিন্তু বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্য খ-ন করে দিল্লী থেকে অপরাহ্ণে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব মি. জয় শংকর স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, রোববার বিকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠকে মিলিত হবেন। দিল্লীর এই ঘোষণায় দুর্মুখদের মুখে ছাই পড়েছে।

তিন
নরেন্দ্র মোদির সফরকে বাংলাদেশের সব মহল স্বাগত জানিয়েছে। আমরাও তাকে জানাই খোশ আমদেদ। কিন্তু এই সফরকালে যেসব বিষয়ে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে সেখানে বাংলাদেশের জন্য কি করা হয়েছে? যাকিছুই হয়েছে সবকিছুই তো ভারতের স্বার্থে হয়েছে। আমরা এক এক করে কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি:
(১) সবচেয়ে বেশি করে যে বিষয়টি নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করা হচ্ছে সেটি হলো স্থল সীমান্ত চুক্তি বা ছিটমহল বিনিময় চুক্তি। এটা নিয়ে এতো হইচই বা উল্লাসের কি আছে? ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি এ সালেই তো এই চুক্তি বাস্তবায়িত হওয়ার কথা এবং অপদখলীয় ছিটমহলগুলো ন্যায্য মালিকদের দখলে যাওয়ার কথা। কারণ বাংলাদেশ চুক্তিটি ৭৪ সালেই র‌্যাক্টিফাই করে এবং বেরুবাড়ী তো সেই ৪১ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৭৪ সালেই ভারতকে দিয়েছে। আমাদের অর্থাৎ বাংলাদেশের যেসব ছিটমহল ৪১ বছর আগে পাওয়ার কথা সেগুলো আমরা পেলাম ৪১ বছর পর। শুধু কি আমরাই কয়েকটি ছিটমহল পাচ্ছি? ভারতও তো পাচ্ছে।

(২) এই সীমান্ত চুক্তিকে নরেন্দ্র মোদি বার্লিন প্রাচীরের পতনের সাথে তুলনা করেছেন। তা তিনি করতেই পারেন। তিনি বিষয়টিকে অনতিক্রম্য একটা বাধা হিসেবে বুঝাতেই এই তুলনাটা করেছেন। সীমান্ত চুক্তির মতো বার্লিন প্রাচীরও চারদশকের বেশি সময় পরে ভেঙ্গে দেয়া হয়। তবে সাধারণভাবে বার্লিন প্রাচীরের পতনের ফলে দুই জার্মানী অর্থাৎ দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র এক হয়ে গেছে। কিন্তু মোদির তুলনা দুই বাংলার এক হওয়ার প্রতি অবশ্যই নয়। কারণ কে জানে, কে কার মাঝে মিশে যাবে? দুই বাংলা এক হয়ে কি বৃহত্তর বঙ্গ হিসেবে ভারতের শোভা বর্ধন করবে? নাকি পশ্চিমবঙ্গ ভারত থেকে বেরিয়ে এসে বাংলাদেশের সাথে একাকার হয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বৃহত্তর বঙ্গ গঠন করবে? ১৯৪৭ সালে প-িত নেহেরু দুই বাংলার এক হওয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন।

(৩) ভারত বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান হয়। তখন সাবেক পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) কোনো সমুদ্র বন্দর ছিল না। এ জন্য পাকিস্তান সরকার ছয় মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি চায় ভারত সরকারের নিকট। পাকিস্তান সরকার আরও বলে যে, এই ছয় মাস সময়ের মধ্যে চট্টগ্রামে একটি বন্দর নির্মাণ করো হবে। তখন ভারত সরকারের তরফ থেকে বলা হয় যে, ছয় মাস কেন, ছয় ঘণ্টার জন্যও পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশকে কলকাতা বন্দর ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই ভারত চট্টগ্রাম বন্দর ও মংলা বন্দর ব্যবহার করার অনুমতি চেয়ে আসছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তার স্বার্থে এ পর্যন্ত তাকে এই অনুমতি দেয়া হয়নি। কিন্তু এবার মোদি বাংলাদেশে আসার আগেই এই অধিকার পেয়ে গেছে। গত বুধবার ‘ইরাবতী স্টার’ নামে ভারতের একটি ট্রান্সশিপমেন্ট জাহাজ ২৫০টি কন্টেনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। বৃহস্পতিবার তারা ৯২টি কন্টেনার খালাস করে বন্দর ত্যাগ করে। এখন আরেকটি ভারতীয় জাহাজ আসবে এবং মাল বোঝাই ঐ কন্টেনারগুলো ভারতের চেন্নাই, কোচিন ও নভোসেবা বন্দরে নিয়ে যাবে।

সেদিন ভারত ছয় ঘণ্টার জন্যও কলকাতা বন্দর ব্যবহার করতে দেয়নি। ভারত কাজটা কি ঠিক করেছিল? যদি ঠিক করে থাকে তাহলে আজ বাংলাদেশ ভারতকে স্থায়ীভাবে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে দিচ্ছে কেন?

ইরাবতী জাহাজটি হলোদিয়া বন্দরে যেতে পারলেও নিয়ম অনুযায়ী চেন্নাই, কোচিন ও নভোসেবা বন্দরে যেতে পারবে না। তাই চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ৯২টি কন্টেনার ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় অন্য একটি জাহাজে করে পণ্যগুলো সেখানে পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এক দেশের পণ্য আরেক দেশ ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে নেয়ার নাম ট্রান্সশিপমেন্ট। দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ভারতের বিভিন্ন বন্দরে পণ্য নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলে আসছিল দুই দেশেই। সম্প্রতি ভারতের লোকসভায় স্থল সীমান্ত বিল পাস হওয়ার সময়ও ভারতের একাধিক এমপি ভারতীয় পণ্য আনা নেয়ার ক্ষেত্রে ট্রানজিটের আওতায় চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দেয়ার জোর দাবি জানিয়েছিলেন। এর আগে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন বন্দরে সরাসরি পণ্য আনা নেয়া হলেও অন্য দেশ থেকে পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ভারতে যাওয়ার নজির এটাই প্রথম। ধারণা করা হচ্ছে, মোদির সফরকে সামনে রেখেই চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট করার সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

(৪) আগরতলা থেকে বাংলাদেশর ওপর দিয়ে কলকাতা এবং কলকাতা থেকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে আগরতলায় যাতায়াতের বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এটিও তো ভারতের স্বার্থেই করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকা শিলং গুয়াহাটি বাস সার্ভিসও চালু করা হয়েছে। এটিও ভারতের স্বার্থেই করা হয়েছে।
(৫) খুলনা-মংলা এবং কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলওয়ে সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। সেটিও কি ভারতের স্বার্থে নয়?

(৬) বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সন্ত্রাস প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা সহযোগিতা সম্পর্কে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটিতেও উপকৃত হবে ভারত। কারণ ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাতটি প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা রয়েছে। বাংলাদেশে এই ধরনের কোনো তৎপরতা নেই।

তালিকা আর দীর্ঘ করবো না। বাংলাদেশ এবারও সবকিছুই দিয়ে দিলো। বিনিময়ে কিছুই পেলো না। তিস্তার পানিও পেলো না। ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনও অমীমাংসিত থেকে গেলো। তিনবিঘা করিডোরের লিজ পেল না বাংলাদেশ, ট্রেড গ্যাপ নিয়ে কোনো কথা হয়নি, ইত্যাদি। এরই নাম কি সার্বভৌম সমতা?

Obviously an old cartoon, that's MMS in it.
cartoon old or new doesn't matter what is important is message new or old
 
.
STRATEGICALLY SPEAKING
India has achieved its strategic aim – have we?


Brig Gen Shahedul Anam Khan ndc, psc (Retd)
A very wise man had said, “To say nothing, especially when speaking, is half the art of diplomacy.” To that one might add -- to repeat the old words on a longstanding but pressing issue without committing anything is the full art of diplomacy. Never has one heard so little being said in so many words as was by the visiting Indian Prime Minister during the two occasions he had to address the people of Bangladesh during his short visit to our country.

There were deals galore, but of real substance only a few. Of the 22 deals and MOUs signed, the ones we were looking forward to very eagerly were the Teesta and the LBA.

Everybody in Bangladesh was ecstatic with the LBA which was long overdue and one can say with certainty that were the Awami League not in power, the LBA in its final form may have taken many more years to come our way. Equally true is the fact that had there not been a strong government in the centre, and without Mr. Modi's persuasive power with the other direct stake holders in India, the conclusion of the long outstanding issue would not have eventuated even now.

The Teesta deal, scuttled by Mamata's obduracy in 2011, continues to remain hostage to the politics of Paschim Banga in spite of what Mr. Modi would have us believe -- that river waters are not matter of politics. And when he said at the very fag end of the speech on June 6 that he was confident, “with the support of the state governments in India, we can reach a fair solution on Teesta and Feni Rivers”, he was only reaffirming our worry.

One had taken heart from the fact that Mamata would be a part of the Modi delegation. And although that was conditional on the Teesta not being on the agenda of talks, we were hoping that Mr. Modi might spring a surprise. Mamata's condition was met in full. The Bangladesh Prime Minister made no direct reference to Teesta, but only to the sharing of all the 54 common rivers. It is surprising that an issue whose framework for solution had been all but worked out in 2011 before the visit of the then Indian Prime Minister Mr. Manmohan Singh, and which did not happen due to the intransigence of one person, should merit only a passing reference in the comments of the two prime ministers. But then quite a few of our talk-show masters had warned us not to be so selective but be more open minded, suggesting that we should, for the time being, remain happy with the LBA and with the bright prospect that connectivity has in store for us.

Teesta will happen, as our Foreign Affairs Advisor and other optimists aver, when that might be is the question. But only Mamata, whose stunts we are not new to, has the key to the problem. “Our rivers should nurture our relationship, not become a source of discord” are very rhapsodic thoughts that Mr. Modi had expressed; and he wants us to have faith in him. Given the experience with LBA, we have to be optimist because, “It does not seem to be much use to be anything else.”

Connectivity is a euphemism for transit and transshipment. It will certainly help integrate the region, but for India the main compulsion was of surface links, shorter and less hazardous, with its northeast. And if Bangladesh is India-locked it cannot be lost upon India that the Indian northeast is Bangladesh-locked. India's foreign policy is driven by its national interest, as it should be, the most important adjunct of which is its national security. Without a prosperous and developed northeast, the simmering problems will continue to fester. And development can be enhanced by speedy movement of goods between the western and eastern parts of India. And that movement through Bangladesh remains the only shorter and cheaper option. The same logic applies to the use of the two ports of Bangladesh. An agreement in this regard was to have been signed in 2011 but for the aborted Teesta deal. But this time we have given the use of ports without Teesta.

Nobody can contest that India should be afforded these facilities, because a developed Seven Sisters will ultimately be to our benefit. The question is, these being our strategic assets, what economic advantage can we derive from allowing India the benefits of roads and port facilities, apart from the fact that it will reduce freight charges (for goods coming in to Bangladesh through ports, but most of the trade between the two countries occurs through land)?

Apart from the earnings from the use of our facilities, what is equally important is whether Bangladesh will be adequately compensated for the loss of its exports to the Indian northeast which will be caused by the transit and transshipment facility offered to India. Coastal shipping may boost bilateral trade but will it help offset the trade imbalance? Allowing use of our infrastructure is one way of offsetting our huge trade deficit with India, if appropriate charges are levied for the use of those facilities. Surely India can share a part of its savings that will accrue from avoiding the long and tortuous route that will be reduced to third of its present distance, between its western and eastern parts.

It is for the economic security of the northeast that India has sought and got what it had wanted from Bangladesh and thus achieved one of its strategic objectives. The question is, how much have we ensured that our long term economic and strategic interests are met?

What we have so far witnessed is India asserting its self-interest only in any bilateral negotiation. We hope that in future this approach will give way to the policy of enlightened self-interest in dealing with its neighbours.


The writer is Editor, Op-Ed and Defence & Strategic Affairs, The Daily Star.
 
.
STRATEGICALLY SPEAKING
India has achieved its strategic aim – have we?


Brig Gen Shahedul Anam Khan ndc, psc (Retd)
A very wise man had said, “To say nothing, especially when speaking, is half the art of diplomacy.” To that one might add -- to repeat the old words on a longstanding but pressing issue without committing anything is the full art of diplomacy. Never has one heard so little being said in so many words as was by the visiting Indian Prime Minister during the two occasions he had to address the people of Bangladesh during his short visit to our country.

There were deals galore, but of real substance only a few. Of the 22 deals and MOUs signed, the ones we were looking forward to very eagerly were the Teesta and the LBA.

Everybody in Bangladesh was ecstatic with the LBA which was long overdue and one can say with certainty that were the Awami League not in power, the LBA in its final form may have taken many more years to come our way. Equally true is the fact that had there not been a strong government in the centre, and without Mr. Modi's persuasive power with the other direct stake holders in India, the conclusion of the long outstanding issue would not have eventuated even now.

The Teesta deal, scuttled by Mamata's obduracy in 2011, continues to remain hostage to the politics of Paschim Banga in spite of what Mr. Modi would have us believe -- that river waters are not matter of politics. And when he said at the very fag end of the speech on June 6 that he was confident, “with the support of the state governments in India, we can reach a fair solution on Teesta and Feni Rivers”, he was only reaffirming our worry.

One had taken heart from the fact that Mamata would be a part of the Modi delegation. And although that was conditional on the Teesta not being on the agenda of talks, we were hoping that Mr. Modi might spring a surprise. Mamata's condition was met in full. The Bangladesh Prime Minister made no direct reference to Teesta, but only to the sharing of all the 54 common rivers. It is surprising that an issue whose framework for solution had been all but worked out in 2011 before the visit of the then Indian Prime Minister Mr. Manmohan Singh, and which did not happen due to the intransigence of one person, should merit only a passing reference in the comments of the two prime ministers. But then quite a few of our talk-show masters had warned us not to be so selective but be more open minded, suggesting that we should, for the time being, remain happy with the LBA and with the bright prospect that connectivity has in store for us.

Teesta will happen, as our Foreign Affairs Advisor and other optimists aver, when that might be is the question. But only Mamata, whose stunts we are not new to, has the key to the problem. “Our rivers should nurture our relationship, not become a source of discord” are very rhapsodic thoughts that Mr. Modi had expressed; and he wants us to have faith in him. Given the experience with LBA, we have to be optimist because, “It does not seem to be much use to be anything else.”

Connectivity is a euphemism for transit and transshipment. It will certainly help integrate the region, but for India the main compulsion was of surface links, shorter and less hazardous, with its northeast. And if Bangladesh is India-locked it cannot be lost upon India that the Indian northeast is Bangladesh-locked. India's foreign policy is driven by its national interest, as it should be, the most important adjunct of which is its national security. Without a prosperous and developed northeast, the simmering problems will continue to fester. And development can be enhanced by speedy movement of goods between the western and eastern parts of India. And that movement through Bangladesh remains the only shorter and cheaper option. The same logic applies to the use of the two ports of Bangladesh. An agreement in this regard was to have been signed in 2011 but for the aborted Teesta deal. But this time we have given the use of ports without Teesta.

Nobody can contest that India should be afforded these facilities, because a developed Seven Sisters will ultimately be to our benefit. The question is, these being our strategic assets, what economic advantage can we derive from allowing India the benefits of roads and port facilities, apart from the fact that it will reduce freight charges (for goods coming in to Bangladesh through ports, but most of the trade between the two countries occurs through land)?

Apart from the earnings from the use of our facilities, what is equally important is whether Bangladesh will be adequately compensated for the loss of its exports to the Indian northeast which will be caused by the transit and transshipment facility offered to India. Coastal shipping may boost bilateral trade but will it help offset the trade imbalance? Allowing use of our infrastructure is one way of offsetting our huge trade deficit with India, if appropriate charges are levied for the use of those facilities. Surely India can share a part of its savings that will accrue from avoiding the long and tortuous route that will be reduced to third of its present distance, between its western and eastern parts.

It is for the economic security of the northeast that India has sought and got what it had wanted from Bangladesh and thus achieved one of its strategic objectives. The question is, how much have we ensured that our long term economic and strategic interests are met?

What we have so far witnessed is India asserting its self-interest only in any bilateral negotiation. We hope that in future this approach will give way to the policy of enlightened self-interest in dealing with its neighbours.


The writer is Editor, Op-Ed and Defence & Strategic Affairs, The Daily Star.


Reasonable article. However while India has not yet delivered on the Teesta issue, it has take into consideration the sensitivities of Bangladesh on the Tipaimukh dam issue. Consequently that dam is unlikely to ever be built as proposed. Teesta too will follow, Mamata Bannerjee or not. As for BD charging adequately for transit, that is a matter for discussion and mutual understanding. Very unlikely though that it will offset the trade imbalance as the author suggests. Don't think that kind of volumes will add up, atleast in the near term. Far better to make arrangements on certification(i believe that is being done) and then push for higher exports.

Hopefully, some agreement will also be reached on easier visas for many Bangladeshis & a substantial if limited number of work visas be made available (best if restricted to outside the North East). More visas for tourists and students would probably be beneficial.


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
BNP's current policy towards India
Ruse or retrospection?


Mozammel H. Khan
After its failed violent movement to unseat the government in its demand for a fresh general election under a caretaker government, BNP's policy vis-à-vis India has caught many by surprise. In fact, the party followed a persistently anti-Indian policy since its inception. This was intensified with the assumption of leadership of the party by Khaleda Zia some three decades ago.

The apparent policy shift of the BNP was evidenced first when it thanked Prime Minister Modi, his government, and the leaders of the political parties that played a vital role in the passage of the Land Boundary Agreement (LBA) bill in the Indian parliament. In a similar note, BNP welcomed the upcoming maiden visit of Indian Prime Minister Narendra Modi who landed in Bangladesh on a two-day state trip on June 6. In a press briefing, BNP spokesperson Asaduzzaman Khan Ripon hoped that Modi's trip will bolster ties between the people of both countries.“We are not anti-India and have never been anti-Indian and will never be anti-Indian. BNP safeguards the interest of the country. This can never be termed anti-Indian.” BNP also promised it would never let Bangladesh territory to be used by Indian insurgents.

It is impossible to predict if BNP would be true to its words about its future policy toward India, but it is not difficult to recollect the past stances of BNP vis-à-vis issues between Bangladesh and its giant neighbour. Let us reflect back on a few issues where the party made its intransigent anti-India policy nakedly obvious. In 1997, the BNP chief in a policy statement declared, “Bangladesh supports the independence movement of seven Indian states”.

Following Prime Minister Sheikh Hasina's visit from January 10-13 in 2010, at the invitation of the Indian PM Dr. Manmohan Singh, to India where a 50-point communiqué was signed, the BNP chairperson even without knowing the contents of the joint communiqué, categorically blasted the PM, and went as far as accusing her of selling the country to India.

In her press conference, the BNP chief termed the joint statement as a communiqué of India and Awami League, disregarding the fact that she went to India as the PM of Bangladesh, not as the AL chief. The opposition leader also criticised what she termed as the prime minister's "indifference" to the Tipaimukh dam issue. She said that the joint statement released during the PM's visit suggested that she had “sold out the interests of the country to India” and given a “green signal” to carry forward the Tipaimukh dam project. In fact, nothing could be further than the truth. The PM in her own press briefing reiterated the Indian PM's assurance that India would do nothing to harm Bangladesh's interest. In fact, time has proven that the Indian PM has kept his words since Tipaimukh Dam has never been built and the Bangladesh PM was proven justified in trusting the verbal words of her Indian counterpart.

During the first tenure of Sheikh Hasina's AL government, the Ganges water sharing treaty and the Chittagong Hill Tracts peace treaty were signed. Both of these treaties were vehemently opposed by the BNP. For the CHT treaty, the BNP chief warned the nation that due to the treaty, Feni and districts in the further south would become a part of India and she led a long march to CHT, albeit with very little support from the people. The region still remains very much a part of Bangladesh. The treaty, in fact, boosted Bangladesh's image in the international arena and the PM was awarded the prestigious UNESCO peace award for her leadership in securing the peace deal.

Canadian Statesman, the late Pierre Trudeau, referring to Canada's relation with its giant neighbour, once said, "Living next to the United States is in some ways like sleeping with an elephant. No matter how friendly and even-tempered is the beast, one is affected by every twitch and grunt". In Bangladesh, we can very well echo Trudeau's sentiments in terms of our relation with India. No matter how devoted a patriot one is, it would be moronic not to consider the vastness and the military might of our neighbour. The best course of action open to us would be to use the diplomatic means to defuse the tension and settle disputes. This is the front where Bangladesh has the potential to match or even supersede the skills of her counterpart. The recent signing of the LBA by all political parties in both houses of the Indian parliament has proven once again the power of diplomacy and statesmanship.

The BNP chairperson's cancelling her scheduled meeting with the visiting Indian President in the pretext of hartal was the most indecorous act by a former PM to a visiting head of state, that too of a neighbouring country who played a crucial role in our Liberation War. Jingoism might win some instant votes, but it does not help to increase the flow by a single drop of water through the Ganges. It only inflicts miseries on the people and cripples the nation.

In view of the Indian PM's upcoming visit to Bangladesh, BNP has called upon Prime Minister Sheikh Hasina to discuss Bangladesh-India bilateral issues with party chief Khaleda Zia before Prime Minister Narendra Modi's visit to Bangladesh.“Based on the outcomes of the discussion with BNP's chief, the prime minister will tell her Indian counterpart that the demands which she placed are not of the ruling Awami League, but every party of the country endorsed those," BNP spokesperson Asaduzzaman Ripon told a press briefing.

Starting from lauding of the signing of the LBA (which the BNP once termed as the “treaty of slavery”) in the Indian parliament, welcoming Modi's visit and finally urging the PM to discuss the Bangladesh-India bilateral issues with the BNP chief before the Indian PM's visit, it sounded like the protocols exhibited by the parliamentary opposition of a perfect Westminster democracy. However, only the future will tell if the current policy shift of BNP towards India is a ruse or the outcome of sincere retrospection.

BNP's current policy towards India | The Daily Star
 
. .
Butcher Modi delivered his speech at Dhaka University in Hindi- as if BD had already become a part of India. Yet Awami Hindu wannabes pay no heed.
 
.
Full speech by Narendra Modi at Bangabandhu International Conference Center, University of Dhaka.



That was awesome. :D Modi rules.

i cant see any local people in there . its only excitement in ranks of hasina wajid ....


Watch his speech there in Dhaka university... Many people are not invited but insisted to visit Modi like BNP chief Zia.

I have seen videos here people were rushing to see him and shaking hand with him
 
. . . . .
Love is in the air...... Haseena Aunty should tie the knot with Modi Uncle!
 
.
Love is in the air...... Haseena Aunty should tie the knot with Modi Uncle!
Would be a marriage to last the ages ... Any time the relationship would start to get rocky, blame Pakistan for something ... and keep some pigeons and cows around the house to arrest, beat up and interrogate for being Pakistani spies and sowing discord in their marriage.
 
.
Back
Top Bottom