What's new

Bangladesh joined LNG era

monitor

ELITE MEMBER
Joined
Apr 24, 2007
Messages
8,570
Reaction score
7
Country
Bangladesh
Location
Bangladesh
সংবাদ >> জাতীয়
এলএনজি যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ


375668_1.jpg
24 Apr, 2018

এলএনজি যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। মঙ্গলবার দুপুরে ০.৬৫ মিলিয়ন টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) নিয়ে একটি কার্গো ভেসেল মহেশখালিতে নোঙর করেছে। এই কার্গো ভেসেল থেকে লাইটার জাহাজের মাধ্যমে এলএনজি যুক্ত হবে মূল টার্মিনালে।

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই গ্যাস যুক্ত করা সম্ভব হবে জাতীয় গ্রিডে। প্রাথমিকভাবে এই গ্যাস চট্টগ্রাম এলাকার শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সারকারখানা ও অর্থনৈতিক জোনগুলোতে দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে প্রাকৃতিক গ্যাসের সঙ্গে মিশ্রণ হয়ে সারা দেশে পৌঁছে যাবে এই গ্যাস।

পেট্রোবাংলা সূত্রে আরও জানা গেছে, টেস্টিং পর্যায়ে জাতীয় গ্রিডে ১০০ এমএমসিএফডি (মিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস যুক্ত করা হবে। আসতে আসতে চাহিদা অনুযায়ী এটি বাড়িয়ে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুটে নিয়ে যাওয়া হবে।

মঙ্গলবার কাতার থেকে যে কার্গো ভ্যাসেলটি মহেশখালিতে পৌঁছেছে। মহেশখালি থেকে প্রতিদিন ১০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হলে তা থেকে আগামী ২ মাস পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। আর প্রতিদিন ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করতে হলে প্রতি ৬ দিন অন্তর এ রকম একটি জাহাজ মহেশখালিতে নোঙর করাতে হবে। এই হিসাবে বছরে ৬০টি এ ধরনের কার্গো ভেসেল এলএনজি লাগবে।

জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মহেশখালির টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণের কাজ শেষ। এক্সিলারেটর এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইইবিএল) মাধ্যমে বাস্তবায়িত ভাসমান টার্মিনাল থেকে এই গ্যাস গরম করে প্রাকৃতিক গ্যাসে রূপান্তরিত করে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে। কাতার ছাড়াও ওমান, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেও জি-টু-জি ভিত্তিতে এবং স্পট মার্কেট থেকেও এলএনজি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

এক্সিলারেট এনার্জি ছাড়াও দেশীয় কোম্পানি সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে চলতি বছরের মধ্যে আরও ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে।

এছাড়া কুতুবদিয়া ও পায়রাতে আরও এক বা একাধিক স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, জাতীয় গ্রিডে এলএনজি যুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেট্রোবাংলার আওতাধীন গ্যাস বিতরণ কোম্পানির মধ্যে তিতাস, কর্ণফুলী, বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ২৩৯০টি নতুন শিল্পকারখানায় নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে। সরকার ধাপে ধাপে মে মাস থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে অনুমোদিত এই ২ হাজার ৩৯০টি শিল্পকারখানায় নতুন করে গ্যাস সংযোগ দেবে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, এই মুহূর্তে দেশীয় প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন ও আমদানিকৃত এলএনজি দিয়ে প্রাথমিকভাবে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাস সংযোগ করা হবে। ২০১৮ সালের চাহিদা মোতাবেক গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হলে দেশে প্রায় ১০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে এবং জিডিপি বৃদ্ধিতে সরাসরি ভূমিকা রাখবে।

পাশাপাশি সরকার ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন এবং মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় দেশের শিল্পায়ন ও বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ সব ক্ষেত্রে এ গ্যাস সরবরাহ নতুন মাত্রা যোগ করবে।

কক্সবাজারের মহেশখালিতে ৫০০ এমএমসিএফডি ধারণক্ষমতার দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল বা ফ্লোটিং স্টোরেজ রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) স্থাপন করা হয়েছে। এর একটি স্থাপন করেছে এক্সিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড (ইইবিএল) ও অন্যটি স্থাপন করবে সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি (প্রাইভেট)। এলএনজি আমদানিতে কাতারের রাশগ্যাস কোম্পানি এবং সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, আগামী মে মাস থেকে ইইবিএলের টার্মিনাল থেকে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭৫ এমটিপিএ এলএনজি আমদানি করে রি-গ্যাসিফিকেশনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর সামিটের টার্মিনাল থেকে চলতি বছর শেষে ৩ দশমিক ৭৫ এমটিপিএ এলএনজি রি-গ্যাসিফিকেশন করা সম্ভব হবে। অর্থাৎ আগামী বছর নাগাদ এ দুটি টার্মিনাল থেকে সাড়ে ৭ এমটিপিএ এলএনজি আমদানি করে তা রি-গ্যাসিফিকেশনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, এলএনজি আমদানি ও রি-গ্যাসিফিকেশনের জন্য রিভলবিং ফান্ড হিসেবে ৮৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে এলএনজির এলসিতে ৩ কোটি ডলার, ল্যাটেন্ট হিট ক্যাপচার সিস্টেমের (এলএইচসিএস) জন্য ১ কোটি ৪২ লাখ ডলার এবং এলএনজি আমদানি ও পরিচালনার জন্য রিভলবিং ফান্ড হিসেবে এসবিএলসিসহ প্রয়োজন হবে আরও ৮০ কোটি ডলার।

বিইআরসি (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) সূত্রে জানা গেছে, ভবিষ্যতের জ্বালানি নিরাপত্তায় ২০১৫ সালে গঠন করা হয় জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল। এখন পর্যন্ত এ তহবিলে জমা হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এটি একটি রিভলবিং ফান্ড হিসেবে পরিচালিত হবে। এ তহবিলের অর্থ থেকে অর্জিত সুদ ও সারচার্জ তহবিলে জমা হবে। তহবিল পরিচালনায় জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে।

আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, এলএনজিতে মিথেনের পরিমাণ ৮৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এছাড়া ইথেন ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ, প্রপেন ২ দশমিক ১৬ শতাংশ ও বিউটেন ১ দশমিক ১২ শতাংশ। আমদানিকৃত এলএনজি গ্যাসের মান নিশ্চিতকরণে তিনটি টিম কাজ করবে। এগুলো হলো ক্রেতা পেট্রোবাংলার পক্ষে একটি, বিক্রেতা রাশগ্যাসের পক্ষে একটি ও অন্যটি ক্রেতা-বিক্রেতার সমন্বয়ে একটি স্বাধীন কমিটি।

রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের একজন কর্মকর্তা জানান, মহেশখালিতে টার্মিনাল নির্মাণ এবং সেখান থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা পর্যন্ত ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ৯১ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সিটি গেট স্টেশন এবং আনোয়ারা থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পর্যন্ত ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের আরও ৩০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের কাজ। এসব অভৌকাঠামোর কাজ চলতি মাসের মধ্যে শেষ হবে।

প্রাকৃতিক গ্যাস সাধারণ চাপ ও তাপমাত্রায় গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে। শীতলীকরণ (রেফ্রিজারেশন) প্রযুক্তির মাধ্যমে তাপমাত্রা কমিয়ে মাইনাস ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনলে তা তরলে পরিণত হয়। এই তরল প্রাকৃতিক গ্যাসকেই বলা হয় এলএনজি। একটি জাহাজে দুই থেকে আড়াই হাজার মিলিয়ন বা ২০০ থেকে ২৫০ কোটি ঘনফুট এলএনজি আনা সম্ভব।

উৎসঃ jugantor


 
Last edited:
সংবাদ >> জাতীয়
এলএনজি যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ


375668_1.jpg
24 Apr, 2018

এলএনজি যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। মঙ্গলবার দুপুরে ০.৬৫ মিলিয়ন টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) নিয়ে একটি কার্গো ভেসেল মহেশখালিতে নোঙর করেছে। এই কার্গো ভেসেল থেকে লাইটার জাহাজের মাধ্যমে এলএনজি যুক্ত হবে মূল টার্মিনালে।

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই গ্যাস যুক্ত করা সম্ভব হবে জাতীয় গ্রিডে। প্রাথমিকভাবে এই গ্যাস চট্টগ্রাম এলাকার শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সারকারখানা ও অর্থনৈতিক জোনগুলোতে দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে প্রাকৃতিক গ্যাসের সঙ্গে মিশ্রণ হয়ে সারা দেশে পৌঁছে যাবে এই গ্যাস।

পেট্রোবাংলা সূত্রে আরও জানা গেছে, টেস্টিং পর্যায়ে জাতীয় গ্রিডে ১০০ এমএমসিএফডি (মিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস যুক্ত করা হবে। আসতে আসতে চাহিদা অনুযায়ী এটি বাড়িয়ে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুটে নিয়ে যাওয়া হবে।

মঙ্গলবার কাতার থেকে যে কার্গো ভ্যাসেলটি মহেশখালিতে পৌঁছেছে। মহেশখালি থেকে প্রতিদিন ১০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হলে তা থেকে আগামী ২ মাস পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। আর প্রতিদিন ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করতে হলে প্রতি ৬ দিন অন্তর এ রকম একটি জাহাজ মহেশখালিতে নোঙর করাতে হবে। এই হিসাবে বছরে ৬০টি এ ধরনের কার্গো ভেসেল এলএনজি লাগবে।

জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মহেশখালির টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণের কাজ শেষ। এক্সিলারেটর এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইইবিএল) মাধ্যমে বাস্তবায়িত ভাসমান টার্মিনাল থেকে এই গ্যাস গরম করে প্রাকৃতিক গ্যাসে রূপান্তরিত করে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে। কাতার ছাড়াও ওমান, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেও জি-টু-জি ভিত্তিতে এবং স্পট মার্কেট থেকেও এলএনজি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

এক্সিলারেট এনার্জি ছাড়াও দেশীয় কোম্পানি সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে চলতি বছরের মধ্যে আরও ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে।

এছাড়া কুতুবদিয়া ও পায়রাতে আরও এক বা একাধিক স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, জাতীয় গ্রিডে এলএনজি যুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেট্রোবাংলার আওতাধীন গ্যাস বিতরণ কোম্পানির মধ্যে তিতাস, কর্ণফুলী, বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ২৩৯০টি নতুন শিল্পকারখানায় নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে। সরকার ধাপে ধাপে মে মাস থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে অনুমোদিত এই ২ হাজার ৩৯০টি শিল্পকারখানায় নতুন করে গ্যাস সংযোগ দেবে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, এই মুহূর্তে দেশীয় প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন ও আমদানিকৃত এলএনজি দিয়ে প্রাথমিকভাবে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাস সংযোগ করা হবে। ২০১৮ সালের চাহিদা মোতাবেক গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হলে দেশে প্রায় ১০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে এবং জিডিপি বৃদ্ধিতে সরাসরি ভূমিকা রাখবে।

পাশাপাশি সরকার ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন এবং মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় দেশের শিল্পায়ন ও বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ সব ক্ষেত্রে এ গ্যাস সরবরাহ নতুন মাত্রা যোগ করবে।

কক্সবাজারের মহেশখালিতে ৫০০ এমএমসিএফডি ধারণক্ষমতার দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল বা ফ্লোটিং স্টোরেজ রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) স্থাপন করা হয়েছে। এর একটি স্থাপন করেছে এক্সিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড (ইইবিএল) ও অন্যটি স্থাপন করবে সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি (প্রাইভেট)। এলএনজি আমদানিতে কাতারের রাশগ্যাস কোম্পানি এবং সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, আগামী মে মাস থেকে ইইবিএলের টার্মিনাল থেকে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭৫ এমটিপিএ এলএনজি আমদানি করে রি-গ্যাসিফিকেশনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর সামিটের টার্মিনাল থেকে চলতি বছর শেষে ৩ দশমিক ৭৫ এমটিপিএ এলএনজি রি-গ্যাসিফিকেশন করা সম্ভব হবে। অর্থাৎ আগামী বছর নাগাদ এ দুটি টার্মিনাল থেকে সাড়ে ৭ এমটিপিএ এলএনজি আমদানি করে তা রি-গ্যাসিফিকেশনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, এলএনজি আমদানি ও রি-গ্যাসিফিকেশনের জন্য রিভলবিং ফান্ড হিসেবে ৮৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে এলএনজির এলসিতে ৩ কোটি ডলার, ল্যাটেন্ট হিট ক্যাপচার সিস্টেমের (এলএইচসিএস) জন্য ১ কোটি ৪২ লাখ ডলার এবং এলএনজি আমদানি ও পরিচালনার জন্য রিভলবিং ফান্ড হিসেবে এসবিএলসিসহ প্রয়োজন হবে আরও ৮০ কোটি ডলার।

বিইআরসি (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) সূত্রে জানা গেছে, ভবিষ্যতের জ্বালানি নিরাপত্তায় ২০১৫ সালে গঠন করা হয় জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল। এখন পর্যন্ত এ তহবিলে জমা হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এটি একটি রিভলবিং ফান্ড হিসেবে পরিচালিত হবে। এ তহবিলের অর্থ থেকে অর্জিত সুদ ও সারচার্জ তহবিলে জমা হবে। তহবিল পরিচালনায় জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে।

আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, এলএনজিতে মিথেনের পরিমাণ ৮৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এছাড়া ইথেন ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ, প্রপেন ২ দশমিক ১৬ শতাংশ ও বিউটেন ১ দশমিক ১২ শতাংশ। আমদানিকৃত এলএনজি গ্যাসের মান নিশ্চিতকরণে তিনটি টিম কাজ করবে। এগুলো হলো ক্রেতা পেট্রোবাংলার পক্ষে একটি, বিক্রেতা রাশগ্যাসের পক্ষে একটি ও অন্যটি ক্রেতা-বিক্রেতার সমন্বয়ে একটি স্বাধীন কমিটি।

রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের একজন কর্মকর্তা জানান, মহেশখালিতে টার্মিনাল নির্মাণ এবং সেখান থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা পর্যন্ত ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ৯১ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সিটি গেট স্টেশন এবং আনোয়ারা থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পর্যন্ত ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের আরও ৩০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের কাজ। এসব অভৌকাঠামোর কাজ চলতি মাসের মধ্যে শেষ হবে।

প্রাকৃতিক গ্যাস সাধারণ চাপ ও তাপমাত্রায় গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে। শীতলীকরণ (রেফ্রিজারেশন) প্রযুক্তির মাধ্যমে তাপমাত্রা কমিয়ে মাইনাস ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনলে তা তরলে পরিণত হয়। এই তরল প্রাকৃতিক গ্যাসকেই বলা হয় এলএনজি। একটি জাহাজে দুই থেকে আড়াই হাজার মিলিয়ন বা ২০০ থেকে ২৫০ কোটি ঘনফুট এলএনজি আনা সম্ভব।

উৎসঃ jugantor


The LNG ship is a very complex technology. But you should provide an English link.
 
Country enters LNG era

24 April, 2018 10:08 AM


http://lankabd.com/dse/stock-market/news/Country-enters-LNG-era-?storyId=59803

Bangladesh enters a new era in energy sector tomorrow as the first shipment of liquified natural gas (LNG) arrives at its shores.

A Floating Storage and Regasification Unit (FSRU) laden with 3,000 million cubic feet of LNG will arrive tomorrow. It can supply gas for six days at a rate of 500mmcfd, said an official of Petrobangla.

The FSRU of US-based Excelerate Energy would moor in Moheshkhali island in the Bay of Bengal, said Zanendra Nath Sarker, a joint secretary of the energy ministry. It will attach itself to an underseas structure called buoy so that it can supply gas to the mainland from 7.5km out.

The country's first LNG terminal will initially gasify the liquids and pump it into the 91km undersea pipeline linked with the grid in Anwara of Chittagong. The pipeline has already been set up by Gas Transmission Company Ltd.

Zanendra said Chittagong dwellers could be using imported gas within two weeks.

The import of LNG is part of the government's efforts to eliminate gas shortages and power outages and unlock the potential of the economy.

The imported gas will be supplied to the national grid after a 40km pipeline from Anwara to Sitakunda is ready for use, possibly in May.

The commissioning of this pipeline might be delayed. Md Quamruzzaman, managing director of Rupantarita Prakritik Gas Company Ltd, and a number of officials of Karnaphuli Gas Distribution Company Ltd, said the commissioning could be towards the end of May after dry runs.

Even if the first LNG supply goes to Chittagong, which now consumes 200mmcfd to 215mmcfd, the rest of the country will also be benefitted as gas now set aside for the port city would be freed for use elsewhere.

Bangladesh will buy LNG on its own from RasGas of Qatar under a government-to-government purchase agreement. Last year, Bangladesh signed a 15-year contract with RasGas, which would supply 2.5 million tonnes of LNG every year.

The LNG would be supplied at 12.65 percent of the three-month average price of Brent oil plus $0.50 constant per million British thermal units.

Bangladesh will be able to add another 500mmcfd if a second terminal is brought online. The facility is being developed by Summit Group, which has signed an agreement to charter one of Excelerate's FSRUs, and is expected to be online by the end of 2018 or in the first quarter of 2019.

Apart from Qatar, Bangladesh will also import LNG from Oman. A supply agreement with Oman Trading International has recently gained the government's approval.

For the first two months, the bills for the imports will be paid from the Tk 3,500-crore Gas Development Fund of the government. Later, the import will be paid from gas sales.

M Tamim, a professor of petroleum engineering department at Bangladesh University of Engineering and Technology, said there was no option for the government but to import LNG as the economy is gas-based.

He said the energy cost for energy-intensive industries would go up because of the blending of the $10 per thousand cubic metre LNG with the $3 per thousand cubic metre of local gas.

So, these industries should explore ways to increase efficiency in order to offset the energy price hike while the government could go for targeted subsidies so that the would-be-affected sectors could remain competitive, said Tamim.

Bangladesh is looking outside to alleviate its energy shortage largely caused by depleting domestic reserves and rising demand. Gas supply stands at about 2,700mmcfd against the demand for 3,300mmcfd.

The government in 2010 decided to import LNG. The import of 1,000mmcfd gas could help produce almost 5,000 megawatts of electricity, which is about half of what the country produces today.

Petrobangla estimates that the contribution of 1,000mmcfd gas to the economy would be equivalent to Tk 276,000 crore (about $34 billion). The gas would cost $3 billion and might ease the decades-long gas crisis.

As imported LNG is almost here, the issue of its impact on prices has come to the fore.

It has prompted gas suppliers to request Bangladesh Energy Regulatory Commission for fresh hikes in gas prices. They are seeking an average of 75 percent hike, from Tk 7.39 per cubic metre to Tk 12.95.

LNG might cost the country about Tk 30 per cubic metre.

The suppliers, however, are not asking for price hike of gas for cooking stoves and commercial consumers, only for industries, power stations, filling stations, fertiliser factories, and tea estates.

The commission last raised the gas prices by about 22 percent on an average in two phases, from March 1 and June 1 in 2017.

Speaking at a meeting at the Bangladesh Garments Manufacturers and Exporters Association in Dhaka, Tawfiq-e-Elahi Chowdhury, energy adviser to the prime minister, said the gas price would go up but the hike would be reasonable.

Mahbubul Alam, president of the Chittagong Chamber of Commerce and Industry, said the city was getting a supply of gas of 250mmcfd against the demand of 450-500mmcfd.

“As a result, most of the factories are not running in full capacity. Besides, expected investment has not taken place. We hope the gas crisis will go away after LNG becomes available,” he told The Daily Star yesterday.

The cost of gas production, without the supplementary duties and other charges, stands at Tk 4.3 per cubic metre. It becomes Tk 9.55 if all charges are included. The price would be Tk 14.64 per unit when LNG and local gas are blended, said an official, citing energy ministry calculations.

The average retail price of gas supplied by Petrobangla from domestic sources is Tk 7.39 per cubic metre. But when LNG is mixed with local gas, the price might be set to about Tk 13.

Excelerate will operate the terminal under a build-own-operate-transfer model and pass it to state-owned Petrobangla after 15 years.
 
Last edited:

Country Latest Posts

Back
Top Bottom