What's new

Bangladesh Army

Defence Technology of Bangladesh-DTB
·
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এয়ারডিফেন্স ব্রিগেডের জন্য রাশিয়া থেকে অজানাসংখ্যক SA-24/ Igla-S MANPAD কেনা হয়েছে/হচ্ছে এবং তা নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা।

এটি বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা MANPAD সিস্টেম। এর ইফেক্টিভ রেঞ্জ ৬ 6 km range কিমি
20046305_1415527375202358_3899950753016912881_n.jpg


Defence Technology of Bangladesh-DTB
20139738_1415529458535483_4527694827562786646_n.jpg
 
Defence Technology of Bangladesh-DTB
·
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এয়ারডিফেন্স ব্রিগেডের জন্য রাশিয়া থেকে অজানাসংখ্যক SA-24/ Igla-S MANPAD কেনা হয়েছে/হচ্ছে এবং তা নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা।

এটি বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা MANPAD সিস্টেম। এর ইফেক্টিভ রেঞ্জ ৬ 6 km range কিমি
20046305_1415527375202358_3899950753016912881_n.jpg


Defence Technology of Bangladesh-DTB
20139738_1415529458535483_4527694827562786646_n.jpg
So this soldeirs will be equipped to the same level of Myanmar's stealth frigate:lol:

So this soldeirs will be equipped to the same level of Myanmar's stealth frigate:lol:
#soldier
 
Defence Technology of Bangladesh-DTB
·
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এয়ারডিফেন্স ব্রিগেডের জন্য রাশিয়া থেকে অজানাসংখ্যক SA-24/ Igla-S MANPAD কেনা হয়েছে/হচ্ছে এবং তা নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা।

এটি বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা MANPAD সিস্টেম। এর ইফেক্টিভ রেঞ্জ ৬ 6 km range কিমি
20046305_1415527375202358_3899950753016912881_n.jpg


Defence Technology of Bangladesh-DTB
20139738_1415529458535483_4527694827562786646_n.jpg

igla S Sa24 ohhhh that is the deadly MANPADS as far as i know
 
Defence Technology of Bangladesh-DTB
Female members of Bangladesh Ansar... The largest para-military force of Bangladesh and probably in the World. Strength 61 lack's. বাংলাদেশ আনসারের জনবল ৬১ লাখ
20258060_1420037428084686_545726669142696250_n.jpg


.
I believe, these LCTs will be built to navigate in the shallow waters, as well. Any information?
These vessels are meant for upgrading the REB Riverine capabilities, REB was severely unequipped all these years

Defence Technology of Bangladesh
সরকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বর্তমান বাহিনীর সঙ্গে আগামী ৪ বছরে আরও ৯৭টি ইউনিট যোগ করবে।


UNDER THREE CANTONMENTSতিনটি ক্যান্টনমেন্টের অধীনে এই ইউনিটগুলোর পত্তন করা হবে। এরই সমান্তরালে সংগঠিত করা হবে 1 X INFANTRY BRIGADEএকটি পদাতিক ব্রিগেড। এছাড়া 66 DIVISION WILL BE EQUIPPED ৬৬টি পদাতিক ব্যাটালিয়নকে সজ্জিত করা হবে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র আর গোলাবারুদে।

এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষ 53 X UNIT HQ ৫৩টি ইউনিট হেডকোয়ার্টার্স গঠন করেছে যার মধ্যে আছে 2 X ARTILLERY BRIGADES ২টি আর্টিলারি (গোলন্দাজ) ব্রিগেড, 4 X INFANTRY BRIGADES চারটি ইনফ্যান্ট্রি (পদাতিক) ব্রিগেড ও 1 X COMPOSITE BRIGADE একটি কম্পোজিট (মিশ্র বা যৌগিক) ব্রিগেড
20106511_1417767361645026_3262717575676872165_n.jpg
 
Last edited:
সরকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বর্তমান বাহিনীর সঙ্গে আগামী ৪ বছরে আরও ৯৭টি ইউনিট যোগ করবে।
Any knowledge, 97 units mean how many Brigades or how many troops? Ill-versed in military affairs, Unit seems to me a vague term.
 
Any knowledge, 97 units mean how many Brigades or how many troops? Ill-versed in military affairs, Unit seems to me a vague term.
AN INDEPENDENT UNIT COULD COMPRISE OF A COMPANY STRENGTH OR A BATTALION. THE NEWS IS TO SCANTY TO REACH ANY CONCLUSIVE FIGURE.
 
AN INDEPENDENT UNIT COULD COMPRISE OF A COMPANY STRENGTH OR A BATTALION. THE NEWS IS TO SCANTY TO REACH ANY CONCLUSIVE FIGURE.
Lets take an example of Sylhet cantonment.
These are the units. Depending on the role, a unit could be a brigade, regiment, or Battalion.

  • 17th Artillery Brigade
  • 306th Infantry Brigade
  • 11 Infantry Brigade
  • 52th Infantry Brigade
  • 32nd Bangladesh Infantry Regiment
  • 33rd Bangladesh Infantry Regiment
  • 18th Field Regiment Artillery
  • 21st Engineers Battalion
  • 91st Field Ambulance Unit
  • 17th Military Police Unit
  • 38th Supply and Transport Battalion
  • 508th Division Ordnance Company(DOC)
  • 598th Field Intelligence Unit(FIU)
  • 8th Signals Battalion
  • 22nd Field Regiment Artillery
  • 61st East Bengal Regiment(EBR)
 
@ TopCat
32 BIR
33 BIR
61 EBR
= 2 X BIR +1 X EBR=only 3 Regiments, or a brigade strength, OUT OF 10 Authorized Infantry Regiments/Motorized UNITS as per TO& E.

22nd Field Regiment Artillery and 18th Field Regiment Artillery= 2 Regiments of Artillery Units, MINIMUM REQUIREMENT ARE 3 x Medium + 1 x heavy Regiments, plus 120 mm Mortars + SPH+ MLRS + Locating Units, comprises an Artillery Brigade. MOREOVER,NO LIGHT ARMORED EQUIPMENT'S.
21st Engineers Battalion
8th Signals Battalion
A little over a Brigade level strength due to Signals+ Engineers + S & T, rest are ALL Company level/Detachments only of supporting units.:-)
:-):-)
 
Last edited:
Anyway, it is very difficult to count the troop strength when it is just an Unit, whereby a company, a battalion, a Brigade level numbers are almost clear because every country has an almost fixed number of troops in them.
 
Bangladesh Army Anti-Tank Missile Inventory | How Many ATGM Army BD Have

বাংলাদেশে তৈরি কি কি অস্ত্র ব্যবহার করে সেনাবাহিনী

 
মূলধারা বাংলাদেশ
ভারতকে বুঝা-৭ঃ ভারত-বাংলাদেশ সেনাবাহিনী'র 'সম্প্রীতি' ও সংকট


দেশরক্ষায় নিয়োজিত প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরতদের প্রধানত দুটো মনস্তাত্ত্বিক বিষয় তাড়িয়ে বেড়ায়। এক. স্বদেশপ্রেম এবং দুই. শত্রুর প্রতি ঘৃণা। এই দুটো বিষয়ে একজন সৈনিককে বছরের পর বছর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে। সৈন্যরা কেন শত্রুকে খুনের ব্যাপারে একটুও বিচলিত হয়না? কারণ এই দুইটি বিষয়।সে মনে করে আমি আমার দেশকে রক্ষা করছি এবং সেটা করতে শত্রুকে শেষ করতেই হবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে শত্রু মিত্রু নির্ধারনটা কে করে এবং কিভাবে করে? আন্তর্জাতিকভাবে সিদ্ধ নিয়ম হচ্ছে আন্তর্জাতিক সীমান্তকে বেইস ধরেই সেটা নির্ধারন হয়।ভারত সেভাবেই বাংলাদেশকে শত্রু রাষ্ট্র মনে করে ডকট্রিন তৈরি করেছে। (১) বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই এই নিয়ম মেনে সৈনিকেরা প্রশিক্ষিত হয়ে আসছিল। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে এক অভাবনীয় ঘটনা ঘটে গেছে আমাদের প্রতিরক্ষাবাহিনীতে।

২০১৪ সালে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় ‘ইন্ডিয়া নট এনিমি ইন বাংলা ওয়ারগেম’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। (২) সেখানে বলা হয়, ‘‘বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রথমবারের মতো তার প্রশিক্ষণে পরিবর্তন এনেছে। তিনদিক থেকে ঘিরে রাখা ভারতকে হুমকি বলে মনে করতো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সামরিক প্রশিক্ষণে তাই ভারতের হুমকির বিষয়টি মাথায় থাকা অস্বাভাবিক নয়।সেনাবাহিনী মনে করছে, এখন ভারত আর কোনো হুমকি নয়। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা যে যুদ্ধখেলায় (ওয়ারগেম) অংশ নিয়েছেন তাতে ভারত সীমান্তকে হুমকি (ওয়ারফ্রন্ট) বলে বিবেচনা করা হয়নি।

যুদ্ধখেলা সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এতে তাদের যুদ্ধের মতবাদ (ডকট্রিন) এবং কৌশল শেখানো হয়। যুদ্ধ খেলায় শত্রুর নাম প্রকাশ করা হয় না। তবে আন্তর্জাতিক সীমান্তের অবস্থান এবং সামরিক বাহিনীর সংখ্যার (ফোর্স লেভেল) ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয় প্রতিপক্ষ কে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করছে। তাই এই যুদ্ধ খেলায় ভারতকে নিশানা করার নীতিতে সংশোধন ভারতের একটি অন্যতম লক্ষ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালে বাংলাদেশে দ্বিপাক্ষিক সফরকালে ভারতের সেনাপ্রধান বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে অনুরোধ করে বলেছিলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে যুদ্ধ খেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের পরিবর্তে তাদের নিজেদের সীমান্তকে নির্ধারণ করতে বলেছি এবং সৈন্য সংখ্যায় পরিবর্তন আনতে বলেছি, যাতে কাকতালীয়ভাবে তা ভারতকে লক্ষ্যবস্তু না বানায়।’ এই আহ্বানের দু’বছর পর প্রতিরক্ষা বিভাগের নেতৃত্ব এবং স্টাফ কলেজ, যারা নির্বাচিত ঊর্ধ্বতন নেতাদের প্রশিক্ষণ দেয়, এই পরিবর্তন এনেছে। বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী গঠনের পর এই প্রথম এ ঘটনা ঘটলো।

একজন সিনিয়র কর্মকর্তা (ভারতের) বলেন, ‘আপনার সব মতবাদ (ডকট্রিন) এবং যুদ্ধের হালচাল যদি ভারতকে লক্ষ্য করে হয়, তবে তা প্রতিবেশীকে কিভাবে দেখা হয় তার ওপরে একটি মনস্তাত্ত্বিক বাধা তৈরি করে।’ এক সপ্তাহ ধরে চলা জানুয়ারি ২০১৪ সালের ঐ প্রশিক্ষণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তকে ‘শত্রু’ বিবেচনা করা হয়নি।‘তারা নিজেদের সীমান্তের নকশার ওপর যুদ্ধ খেলায় অংশ নেয় এবং সৈন্য সংখ্যাও অপরিবর্তিত রাখা হয়।’ একজন ভারতীয় সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কী, এখন সোনালি সময় পার করছি আমরা।’''

এখন তাহলে কিভাবে প্রশিক্ষণ হয়? প্রশিক্ষণটা ডামি শত্রুকে কেন্দ্র করে। এখন কল্পনা করতে শেখানো হয় (উদারহন) ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের শত্রু গাজীপুর,কুমিল্লার শত্রু ময়মনসিং বা সিলেট।অর্থাৎ, সৈনিকদের মনস্তত্বে প্রকৃত শত্রুর অনুপস্থিত করে প্যারাডাইম সিফট করে দেয়া হয়েছে খুব সুক্ষভাবে। এর স্থলে নিজেদের মধ্যেই শত্রু (খেলার ছলে) খোঁজার প্রশিক্ষণ সৈনিকদের মধ্যে কনফিউশান তৈরির আশংকা থাকে।

বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন একটি স্বীকৃত বিষয়। আমেরিকা-বাংলাদেশ, চীন-ভারত, চীন-পাকিস্তান ইত্যাদি দেশগুলোর মধ্যে এই ধরণের প্রশিক্ষণ, অনুশীলন হয়। ভারত-বাংলাদেশের সেনাদের মধ্যেও এটা হতে পারে। কিন্তু কোন দেশ যদি আরেক দেশকে বলে দেয় কে তাঁদের বন্ধু বা কেন তাঁদের শত্রু নয়,তাহলে এই বাহিনী দিয়ে নিজের দেশের লোক মারা ছাড়া আর কি হবে?(৩) ২০১০ সাল থেকে প্রত্যেক বছর ভারত-বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পর্যায়ে 'সম্প্রীতি' প্রশিক্ষণ হয়ে আসছে।

এসবের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোকে এমন ভাবে তৈরি করার আশংকা হচ্ছে,তারা অন্য সব দেশের জন্য ভাঁড়ায় খাটবে (ইউ এন মিশন) কিন্তু খাটবে না নিজের দেশের জন্য। বাংলাদেশের মানুষের ট্রেক্সের টাকায় প্রশিক্ষিত হয়ে অন্যদেশের মানুষের জীবন রক্ষায় তাঁরা নিয়োজিত থাকবে। কিন্তু নিজের দেশের জন্য, এমনকি নিজের জীবন রক্ষার্থেও তাঁরা দেশের ভেতরে কোন কার্যকর ভূমিকা নিতে পারবে বলে মনে হয়না। (৪)

এরই মধ্যে বিভিন্ন ব্যবসায়, দেশের বৃহৎ বৃহৎ কনস্ট্রাকশন প্রজেক্টগুলোর দায়িত্ব তাঁদের দিয়ে বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে সৈনিকদের মূল যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সেখানে নিষ্ক্রিয় করে ফেলার আশংকা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশে খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে সিমেন্ট বিক্রি, সেতু তৈরি, হোটেল ব্যবসা, ট্যাক্সি সার্ভিস এমনকি ব্যাংক পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা রয়েছে৷ (৫) বাংলাদেশী নাগরিকদের এই প্রশ্ন এখন উঠছে, সেনাবাহিনী দিয়ে যদি ব্যবসাই করা হবে তাহলে দেশরক্ষার দায়িত্ব কে পালন করবে?
নোটঃ
(১) দেখুন, ভারতের কাছে বাংলাদেশ শত্রু রাষ্ট্র
https://www.facebook.com/muldharabd/photos/a.1034347426628580.1073741828.1030910963638893/1457363727660279/?type=3
(২) The New Indian Express, India not ‘Enemy’ in Bangla Wargames, 10th February 2014, http://www.newindianexpress.com/…/India-not-Enemy-in-Bangla…
(৩) নারায়নগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনে সেনা সদস্যদের ফাঁসির রায় হয়েছে। দেখুন বিস্তারিত; চ্যানেল আই অনলাইন, সাত খুন মামলায় ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ, ১৬ জানুয়ারী ২০১৭
(৪) উপরের নির্দেশের অভাবে সেনা অফিসারদের খুন হওয়ার উজ্জ্বল প্রমাণ বিডিআর হত্যাযজ্ঞ।এই বিষয়ে বিস্তারিত দেখুন; নয়া উপনিবেশের প্রশ্ন; (৫) আরাফাতুল ইসলাম, সামরিক বাহিনী কি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রূপ নিচ্ছে?, DW বাংলা, 04.01.2016 https://goo.gl/eKGRi7
প্রাসঙ্গিক পোষ্টঃ
আগের পর্ব- ভারতকে বুঝা-৬ঃ মানচিত্রের মাধ্যমে পরের পর্বঃ ভারতকে বুঝা-৮ঃ ক্রিটিকাল পর্যালোচনায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক
 
Last edited:
Defence Technology of Bangladesh-DTB

2666.png
♦তুরস্ক বাংলাদেশ সামরিক সম্পর্ক
2666.png


বাংলাদেশ এবং তুরস্ক দুই মুসলিম দেশ।স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের তৎকালীন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৮০ সালে তুরস্ক সফর করেন।তখন থেকেই এই দুই দেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ক শুরু হয়।
১৯৮৬ সালে তৎকালীন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী তুরগুত উযাল বাংলাদেশ সফর করেন।

হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ সরকারের আমলেই তুরস্কের সাথে বাংলাদেশ সামরিক সম্পর্ক স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহন করে।১৯৮৯-৯০ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বৈমানিকদের তুরস্কে প্রশিক্ষনের জন্য প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পাইলটদের আধুনিক এবং যুগোপযোগী প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করার প্রয়োজন ছিলো।কিন্তু দেশে সেই সময় বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার জন্য কিছু পাইলটকে তুরস্কে পাঠানো হয়।প্রথমে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পাইলটেরা তুরস্কে Advance Jet Training এ অংশ নেয়ার জন্য যেত।সেখানে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত Cessna T-37 Tweet জেট প্রশিক্ষন বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা লাভ করেন।

১৯৯৪-৯৫ সালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১২ টি Cessna T-37 Tweet বিমান ক্রয় করে।

এর পর আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসে এবং ১৯৯৬-৯৭ সালে বিমানবাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক এবং যুগোপযোগী ১ স্কোয়াড্রন যুদ্ধবিমান ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয়।সেইসময় বিমানবাহিনীর প্রথম পছন্দ ছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত F-16 Block 15 মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর কিছু পাইলট তুরস্ক থেকে F-16 বিমান চালানোর ট্রেনিং নেন বলে শোনা যায়।এছাড়া সেই সাথে কয়েকজন F-4 Fantom এবং F-5 Tiger II বিমানও চালিয়েছিলেন বলে শোনা যায়।কিন্তু এর সত্যতা জানা যায় নি।পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র F-16 বিক্রি করেনি যার ফলে পরে রাশিয়া থেকে MiG-29 কেনা হয়।

২০০৩ সালে বিএনপি সরকার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য সাবমেরিন কেনার পরিকল্পনা নেয়। সেই লক্ষ্যে নৌবাহিনীর অনেক সদস্য তুরস্ক থেকে সাবমেরিন ট্রেনিং পায়।

এরপর ২০১২-১৩ সালে সেনাবাহিনীর জন্য তুরস্ক থেকে অত্যাধুনিক Otokar Cobra APC এবং এপিসি সিমুলেটর ক্রয় করে।বর্তমানে সেনাবাহিনীর জন্য বিপুল সংখ্যক Otocar KAYA II MRAP তুরস্ক থেকে কেনা হয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সবচেয়ে গোপন কমান্ডো টিম ODD71 কেও তুরস্কয় ট্রেনিং দিয়েছে বলে জানা যায়।

ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-তুরস্ক সামরিক শক্তি আরো শক্তিশালী হবে বলে আমরা আশা করি।
 
মূলধারা বাংলাদেশ
ভারতকে বুঝা-৭ঃ ভারত-বাংলাদেশ সেনাবাহিনী'র 'সম্প্রীতি' ও সংকট


দেশরক্ষায় নিয়োজিত প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরতদের প্রধানত দুটো মনস্তাত্ত্বিক বিষয় তাড়িয়ে বেড়ায়। এক. স্বদেশপ্রেম এবং দুই. শত্রুর প্রতি ঘৃণা। এই দুটো বিষয়ে একজন সৈনিককে বছরের পর বছর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে। সৈন্যরা কেন শত্রুকে খুনের ব্যাপারে একটুও বিচলিত হয়না? কারণ এই দুইটি বিষয়।সে মনে করে আমি আমার দেশকে রক্ষা করছি এবং সেটা করতে শত্রুকে শেষ করতেই হবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে শত্রু মিত্রু নির্ধারনটা কে করে এবং কিভাবে করে? আন্তর্জাতিকভাবে সিদ্ধ নিয়ম হচ্ছে আন্তর্জাতিক সীমান্তকে বেইস ধরেই সেটা নির্ধারন হয়।ভারত সেভাবেই বাংলাদেশকে শত্রু রাষ্ট্র মনে করে ডকট্রিন তৈরি করেছে। (১) বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই এই নিয়ম মেনে সৈনিকেরা প্রশিক্ষিত হয়ে আসছিল। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে এক অভাবনীয় ঘটনা ঘটে গেছে আমাদের প্রতিরক্ষাবাহিনীতে।

২০১৪ সালে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় ‘ইন্ডিয়া নট এনিমি ইন বাংলা ওয়ারগেম’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। (২) সেখানে বলা হয়, ‘‘বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রথমবারের মতো তার প্রশিক্ষণে পরিবর্তন এনেছে। তিনদিক থেকে ঘিরে রাখা ভারতকে হুমকি বলে মনে করতো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সামরিক প্রশিক্ষণে তাই ভারতের হুমকির বিষয়টি মাথায় থাকা অস্বাভাবিক নয়।সেনাবাহিনী মনে করছে, এখন ভারত আর কোনো হুমকি নয়। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা যে যুদ্ধখেলায় (ওয়ারগেম) অংশ নিয়েছেন তাতে ভারত সীমান্তকে হুমকি (ওয়ারফ্রন্ট) বলে বিবেচনা করা হয়নি।

যুদ্ধখেলা সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এতে তাদের যুদ্ধের মতবাদ (ডকট্রিন) এবং কৌশল শেখানো হয়। যুদ্ধ খেলায় শত্রুর নাম প্রকাশ করা হয় না। তবে আন্তর্জাতিক সীমান্তের অবস্থান এবং সামরিক বাহিনীর সংখ্যার (ফোর্স লেভেল) ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয় প্রতিপক্ষ কে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করছে। তাই এই যুদ্ধ খেলায় ভারতকে নিশানা করার নীতিতে সংশোধন ভারতের একটি অন্যতম লক্ষ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালে বাংলাদেশে দ্বিপাক্ষিক সফরকালে ভারতের সেনাপ্রধান বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে অনুরোধ করে বলেছিলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে যুদ্ধ খেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের পরিবর্তে তাদের নিজেদের সীমান্তকে নির্ধারণ করতে বলেছি এবং সৈন্য সংখ্যায় পরিবর্তন আনতে বলেছি, যাতে কাকতালীয়ভাবে তা ভারতকে লক্ষ্যবস্তু না বানায়।’ এই আহ্বানের দু’বছর পর প্রতিরক্ষা বিভাগের নেতৃত্ব এবং স্টাফ কলেজ, যারা নির্বাচিত ঊর্ধ্বতন নেতাদের প্রশিক্ষণ দেয়, এই পরিবর্তন এনেছে। বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী গঠনের পর এই প্রথম এ ঘটনা ঘটলো।

একজন সিনিয়র কর্মকর্তা (ভারতের) বলেন, ‘আপনার সব মতবাদ (ডকট্রিন) এবং যুদ্ধের হালচাল যদি ভারতকে লক্ষ্য করে হয়, তবে তা প্রতিবেশীকে কিভাবে দেখা হয় তার ওপরে একটি মনস্তাত্ত্বিক বাধা তৈরি করে।’ এক সপ্তাহ ধরে চলা জানুয়ারি ২০১৪ সালের ঐ প্রশিক্ষণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তকে ‘শত্রু’ বিবেচনা করা হয়নি।‘তারা নিজেদের সীমান্তের নকশার ওপর যুদ্ধ খেলায় অংশ নেয় এবং সৈন্য সংখ্যাও অপরিবর্তিত রাখা হয়।’ একজন ভারতীয় সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কী, এখন সোনালি সময় পার করছি আমরা।’''

এখন তাহলে কিভাবে প্রশিক্ষণ হয়? প্রশিক্ষণটা ডামি শত্রুকে কেন্দ্র করে। এখন কল্পনা করতে শেখানো হয় (উদারহন) ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের শত্রু গাজীপুর,কুমিল্লার শত্রু ময়মনসিং বা সিলেট।অর্থাৎ, সৈনিকদের মনস্তত্বে প্রকৃত শত্রুর অনুপস্থিত করে প্যারাডাইম সিফট করে দেয়া হয়েছে খুব সুক্ষভাবে। এর স্থলে নিজেদের মধ্যেই শত্রু (খেলার ছলে) খোঁজার প্রশিক্ষণ সৈনিকদের মধ্যে কনফিউশান তৈরির আশংকা থাকে।

বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন একটি স্বীকৃত বিষয়। আমেরিকা-বাংলাদেশ, চীন-ভারত, চীন-পাকিস্তান ইত্যাদি দেশগুলোর মধ্যে এই ধরণের প্রশিক্ষণ, অনুশীলন হয়। ভারত-বাংলাদেশের সেনাদের মধ্যেও এটা হতে পারে। কিন্তু কোন দেশ যদি আরেক দেশকে বলে দেয় কে তাঁদের বন্ধু বা কেন তাঁদের শত্রু নয়,তাহলে এই বাহিনী দিয়ে নিজের দেশের লোক মারা ছাড়া আর কি হবে?(৩) ২০১০ সাল থেকে প্রত্যেক বছর ভারত-বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পর্যায়ে 'সম্প্রীতি' প্রশিক্ষণ হয়ে আসছে।

এসবের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোকে এমন ভাবে তৈরি করার আশংকা হচ্ছে,তারা অন্য সব দেশের জন্য ভাঁড়ায় খাটবে (ইউ এন মিশন) কিন্তু খাটবে না নিজের দেশের জন্য। বাংলাদেশের মানুষের ট্রেক্সের টাকায় প্রশিক্ষিত হয়ে অন্যদেশের মানুষের জীবন রক্ষায় তাঁরা নিয়োজিত থাকবে। কিন্তু নিজের দেশের জন্য, এমনকি নিজের জীবন রক্ষার্থেও তাঁরা দেশের ভেতরে কোন কার্যকর ভূমিকা নিতে পারবে বলে মনে হয়না। (৪)

এরই মধ্যে বিভিন্ন ব্যবসায়, দেশের বৃহৎ বৃহৎ কনস্ট্রাকশন প্রজেক্টগুলোর দায়িত্ব তাঁদের দিয়ে বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে সৈনিকদের মূল যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সেখানে নিষ্ক্রিয় করে ফেলার আশংকা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশে খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে সিমেন্ট বিক্রি, সেতু তৈরি, হোটেল ব্যবসা, ট্যাক্সি সার্ভিস এমনকি ব্যাংক পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা রয়েছে৷ (৫) বাংলাদেশী নাগরিকদের এই প্রশ্ন এখন উঠছে, সেনাবাহিনী দিয়ে যদি ব্যবসাই করা হবে তাহলে দেশরক্ষার দায়িত্ব কে পালন করবে?
নোটঃ
(১) দেখুন, ভারতের কাছে বাংলাদেশ শত্রু রাষ্ট্র
https://www.facebook.com/muldharabd/photos/a.1034347426628580.1073741828.1030910963638893/1457363727660279/?type=3
(২) The New Indian Express, India not ‘Enemy’ in Bangla Wargames, 10th February 2014, http://www.newindianexpress.com/…/India-not-Enemy-in-Bangla…
(৩) নারায়নগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনে সেনা সদস্যদের ফাঁসির রায় হয়েছে। দেখুন বিস্তারিত; চ্যানেল আই অনলাইন, সাত খুন মামলায় ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ, ১৬ জানুয়ারী ২০১৭
(৪) উপরের নির্দেশের অভাবে সেনা অফিসারদের খুন হওয়ার উজ্জ্বল প্রমাণ বিডিআর হত্যাযজ্ঞ।এই বিষয়ে বিস্তারিত দেখুন; নয়া উপনিবেশের প্রশ্ন; (৫) আরাফাতুল ইসলাম, সামরিক বাহিনী কি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রূপ নিচ্ছে?, DW বাংলা, 04.01.2016 https://goo.gl/eKGRi7
প্রাসঙ্গিক পোষ্টঃ
আগের পর্ব- ভারতকে বুঝা-৬ঃ মানচিত্রের মাধ্যমে পরের পর্বঃ ভারতকে বুঝা-৮ঃ ক্রিটিকাল পর্যালোচনায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক
Can you translate this for me.
 

Country Latest Posts

Back
Top Bottom