Maira La
SENIOR MEMBER
- Joined
- Mar 5, 2010
- Messages
- 4,936
- Reaction score
- 1
- Country
- Location
২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুর*্যা কেনার চুক্তি হয়নি
ভারতের একতরফা শর্তে বাংলাদেশের না
রাহীদ এজাজ | তারিখ: ১১-০৯-২০১১
ভারতের একতরফা শর্তের কারণে বিদ্যুর*্যা কেনার চুক্তি হলো না। ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুর*্যা কিনতে হলে দাম নির্ধারণসহ সবকিছুই ঠিক করে দেবে ভারত। দর-কষাকষির কোনো সুযোগ না থাকায় চুক্তিটি সই করেনি বাংলাদেশ।
মনমোহন সিংয়ের সফরে এই চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। এ জন্য কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় একটি বিদ্যুর*্যা উপকেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু করার কথা ছিল সফরের সময়। মনমোহন সিংয়ের খসড়া সফরসূচিতে প্রথম দিন অর্থার*্যা ৬ সেপ্টেম্বর দুই দেশের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতার বৈঠকের আগে ঢাকায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উপকেন্দ্রের নির্মাণকাজ উদ্বোধনের কথা ছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুর*্যা ও জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, চুক্তিটি সই না হওয়ায় ২০১৩ সালের পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদ্যুর*্যা সরবরাহ পিছিয়ে যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভিমত, ভারতের প্রস্তাব মেনে নিয়ে কোনো রকম পরিবর্তন ছাড়াই চুক্তিতে সই করা দেশের জন্য সঠিক হতো না।
জানতে চাইলে বিদ্যুর*্যা বিভাগের সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, চুক্তির যে খসড়াটি রয়েছে, সেটি আমরা আবার পর্যালোচনা করছি।
সূত্র জানায়, ভারত ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবসে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুর*্যা কেনার চুক্তির বিষয়ে মতামত চেয়ে একটি খসড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। খসড়াটি পর্যালোচনা শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মত দেয়, বিদ্যুতের দামসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারত একতরফাভাবে সব বিষয় নির্ধারণ করেছে। এই অবস্থায় চুক্তিটি সই করার সুযোগ নেই।
ভারত থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুর*্যা কেনার চুক্তি শীর্ষক ২৩ পৃষ্ঠার খসড়াটি ২৯টি ধারাসংবলিত। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুর*্যা উর*্যাপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশন (এনটিপিসি থেকে বিদ্যুর*্যা কিনবে বাংলাদেশ বিদ্যুর*্যা উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি। আর বিদ্যুর*্যা বিপণনের কাজটি করবে এনটিপিসি বিদ্যুর*্যা ব্যাপার নিগম লিমিটেড (এনভিভিএন। এ চুক্তিতে বলা হয়েছে, কন্ট্রাকটেড ক্যাপাসিটির আওতায় ভারত থেকে বাংলাদেশ ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুর*্যা কিনবে। অর্থার*্যা ভারতের নির্ধারিত শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ বিদ্যুর*্যা কিনবে। চুক্তিবদ্ধ থাকায় বাংলাদেশ বিদ্যুর*্যা না কিনলেও অর্থ পরিশোধ করে যেতে হবে। আবার বিদ্যুর*্যা সরবরাহ বিঘ্নিত হলেও টাকা দিতে বাধ্য থাকবে বাংলাদেশ।
প্রতি ঘণ্টায় প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দামের ব্যাপারে খসড়া চুক্তিতে বলা হয়েছে, ভারত কোনো আলোচনা ছাড়াই বিদ্যুতের দাম ঠিক করবে। আর বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করবে ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুর*্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশন (সিইআরসি। ফলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারগুলোর কাছে যে দামে বিদ্যুর*্যা বিক্রি করে, সেই দামে বাংলাদেশের কাছে বিক্রির কোনো নিশ্চয়তা নেই। যদিও ভারত সব সময় বলে আসছে, রাজ্য সরকারগুলোকে যে দামে বিদ্যুর*্যা দেওয়া হয়, সেই দামে বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুর*্যা বিক্রি করা হবে। এনটিপিসি প্রতি ঘণ্টায় প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুর*্যা বাংলাদেশি মুদ্রায় চার থেকে সাড়ে পাঁচ টাকায় বিক্রি করে।
চুক্তির খসড়া অনুযায়ী, পিক কিংবা অফ-পিক আওয়ার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও ভারতের হাতেই থাকবে। খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, চুক্তিটি হবে ২৫ বছর মেয়াদি। অর্থার*্যা এর আগে এটি পর্যালোচনা করার সুযোগ থাকবে না।
বাংলাদেশ চুক্তিটির বেশ কিছু ধারা পরিবর্তন করতে চায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিইআরসি এ বিষয়ে সুপারিশ দিয়েছে। সুপারিশে বলা আছে, খসড়ায় বাংলাদেশের দায়দায়িত্ব ও করণীয় উল্লেখ করা হলেও বলা হয়নি এনভিভিএনের দায়িত্ব। আর এনটিপিসির পক্ষে এনভিভিএন যেহেতু বিপণনের কাজটি করবে, এ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করে চুক্তিতে উল্লেখ করতে হবে। বিদ্যুতের দামের ব্যাপারে অবশ্যই প্রাক-আলোচনা হতে হবে। এটি একতরফাভাবে নির্ধারণ করা চলবে না।
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিভিন্ন কারণে বিদ্যুর*্যা সরবরাহ বিঘ্নিত হতে পারে। কিন্তু সরবরাহ বিঘ্নিত হলেও বাংলাদেশকে টাকা দেওয়ার বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে। এটা হতে পারে না। সরবরাহ বন্ধ থাকলে মূল্য পরিশোধের বিষয়টিও হতে হবে আলোচনা সাপেক্ষে। এ ছাড়া বিদ্যুর*্যা সরবরাহের ক্ষেত্রে পিক ও অফ-পিক আওয়ার কখন হবে সেটিও ঠিক হতে হবে দুই পক্ষের আলোচনায়।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বিদ্যুর*্যা উপকেন্দ্র হলেও সরবরাহ লাইনটি হবে সীমান্ত থেকে ৮৫ কিলোমিটার ভেতরে। তাই সরবরাহ কেমন হচ্ছে তা যাচাইয়ের সুযোগও থাকবে না। এ তথ্য জানিয়ে ওই কর্তকর্তা আরও বলেন, বিভিন্ন স্তরে মিটার স্থাপনের মাধ্যমে সরবরাহ কতটা হচ্ছে তা পরিমাপেরও সুযোগ থাকা প্রয়োজন। এ ছাড়া ২৫ বছরের চুক্তিতে প্রতি পাঁচ বছর পরপর পর্যালোচনার প্রস্তাব বাংলাদেশ থেকে দেওয়া হয়েছে।
Source: Prothom Alo
-----------------------------------------------------------------------------------
Can someone help me find an English version of this news report? Thanks!
ভারতের একতরফা শর্তে বাংলাদেশের না
রাহীদ এজাজ | তারিখ: ১১-০৯-২০১১
ভারতের একতরফা শর্তের কারণে বিদ্যুর*্যা কেনার চুক্তি হলো না। ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুর*্যা কিনতে হলে দাম নির্ধারণসহ সবকিছুই ঠিক করে দেবে ভারত। দর-কষাকষির কোনো সুযোগ না থাকায় চুক্তিটি সই করেনি বাংলাদেশ।
মনমোহন সিংয়ের সফরে এই চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। এ জন্য কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় একটি বিদ্যুর*্যা উপকেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু করার কথা ছিল সফরের সময়। মনমোহন সিংয়ের খসড়া সফরসূচিতে প্রথম দিন অর্থার*্যা ৬ সেপ্টেম্বর দুই দেশের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতার বৈঠকের আগে ঢাকায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উপকেন্দ্রের নির্মাণকাজ উদ্বোধনের কথা ছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুর*্যা ও জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, চুক্তিটি সই না হওয়ায় ২০১৩ সালের পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদ্যুর*্যা সরবরাহ পিছিয়ে যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভিমত, ভারতের প্রস্তাব মেনে নিয়ে কোনো রকম পরিবর্তন ছাড়াই চুক্তিতে সই করা দেশের জন্য সঠিক হতো না।
জানতে চাইলে বিদ্যুর*্যা বিভাগের সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, চুক্তির যে খসড়াটি রয়েছে, সেটি আমরা আবার পর্যালোচনা করছি।
সূত্র জানায়, ভারত ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবসে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুর*্যা কেনার চুক্তির বিষয়ে মতামত চেয়ে একটি খসড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। খসড়াটি পর্যালোচনা শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মত দেয়, বিদ্যুতের দামসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারত একতরফাভাবে সব বিষয় নির্ধারণ করেছে। এই অবস্থায় চুক্তিটি সই করার সুযোগ নেই।
ভারত থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুর*্যা কেনার চুক্তি শীর্ষক ২৩ পৃষ্ঠার খসড়াটি ২৯টি ধারাসংবলিত। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুর*্যা উর*্যাপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশন (এনটিপিসি থেকে বিদ্যুর*্যা কিনবে বাংলাদেশ বিদ্যুর*্যা উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি। আর বিদ্যুর*্যা বিপণনের কাজটি করবে এনটিপিসি বিদ্যুর*্যা ব্যাপার নিগম লিমিটেড (এনভিভিএন। এ চুক্তিতে বলা হয়েছে, কন্ট্রাকটেড ক্যাপাসিটির আওতায় ভারত থেকে বাংলাদেশ ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুর*্যা কিনবে। অর্থার*্যা ভারতের নির্ধারিত শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ বিদ্যুর*্যা কিনবে। চুক্তিবদ্ধ থাকায় বাংলাদেশ বিদ্যুর*্যা না কিনলেও অর্থ পরিশোধ করে যেতে হবে। আবার বিদ্যুর*্যা সরবরাহ বিঘ্নিত হলেও টাকা দিতে বাধ্য থাকবে বাংলাদেশ।
প্রতি ঘণ্টায় প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দামের ব্যাপারে খসড়া চুক্তিতে বলা হয়েছে, ভারত কোনো আলোচনা ছাড়াই বিদ্যুতের দাম ঠিক করবে। আর বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করবে ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুর*্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশন (সিইআরসি। ফলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারগুলোর কাছে যে দামে বিদ্যুর*্যা বিক্রি করে, সেই দামে বাংলাদেশের কাছে বিক্রির কোনো নিশ্চয়তা নেই। যদিও ভারত সব সময় বলে আসছে, রাজ্য সরকারগুলোকে যে দামে বিদ্যুর*্যা দেওয়া হয়, সেই দামে বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুর*্যা বিক্রি করা হবে। এনটিপিসি প্রতি ঘণ্টায় প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুর*্যা বাংলাদেশি মুদ্রায় চার থেকে সাড়ে পাঁচ টাকায় বিক্রি করে।
চুক্তির খসড়া অনুযায়ী, পিক কিংবা অফ-পিক আওয়ার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও ভারতের হাতেই থাকবে। খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, চুক্তিটি হবে ২৫ বছর মেয়াদি। অর্থার*্যা এর আগে এটি পর্যালোচনা করার সুযোগ থাকবে না।
বাংলাদেশ চুক্তিটির বেশ কিছু ধারা পরিবর্তন করতে চায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিইআরসি এ বিষয়ে সুপারিশ দিয়েছে। সুপারিশে বলা আছে, খসড়ায় বাংলাদেশের দায়দায়িত্ব ও করণীয় উল্লেখ করা হলেও বলা হয়নি এনভিভিএনের দায়িত্ব। আর এনটিপিসির পক্ষে এনভিভিএন যেহেতু বিপণনের কাজটি করবে, এ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করে চুক্তিতে উল্লেখ করতে হবে। বিদ্যুতের দামের ব্যাপারে অবশ্যই প্রাক-আলোচনা হতে হবে। এটি একতরফাভাবে নির্ধারণ করা চলবে না।
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিভিন্ন কারণে বিদ্যুর*্যা সরবরাহ বিঘ্নিত হতে পারে। কিন্তু সরবরাহ বিঘ্নিত হলেও বাংলাদেশকে টাকা দেওয়ার বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে। এটা হতে পারে না। সরবরাহ বন্ধ থাকলে মূল্য পরিশোধের বিষয়টিও হতে হবে আলোচনা সাপেক্ষে। এ ছাড়া বিদ্যুর*্যা সরবরাহের ক্ষেত্রে পিক ও অফ-পিক আওয়ার কখন হবে সেটিও ঠিক হতে হবে দুই পক্ষের আলোচনায়।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বিদ্যুর*্যা উপকেন্দ্র হলেও সরবরাহ লাইনটি হবে সীমান্ত থেকে ৮৫ কিলোমিটার ভেতরে। তাই সরবরাহ কেমন হচ্ছে তা যাচাইয়ের সুযোগও থাকবে না। এ তথ্য জানিয়ে ওই কর্তকর্তা আরও বলেন, বিভিন্ন স্তরে মিটার স্থাপনের মাধ্যমে সরবরাহ কতটা হচ্ছে তা পরিমাপেরও সুযোগ থাকা প্রয়োজন। এ ছাড়া ২৫ বছরের চুক্তিতে প্রতি পাঁচ বছর পরপর পর্যালোচনার প্রস্তাব বাংলাদেশ থেকে দেওয়া হয়েছে।
Source: Prothom Alo
-----------------------------------------------------------------------------------
Can someone help me find an English version of this news report? Thanks!