What's new

IS has grown root in Bangladesh, NBC reports

.
Not wanting to discuss 'conspiracy theories'. Yes, Hindu Bengalis opposed the attempt of Carzon to divide Bengal on religious lines, not to break it. Separatism on the lines of religion, ethnicity or language is something we Indians don't agree with, and consider as disastrous. Rest of your 'conspiracy theories' were proven false multiple times in this forum, do a search.
What i have stated is not conspiracy theory.Do you want to deny Swadeshi terrorist activities? Khudiram Basu? You oppose creation of a separate province where muslims are majority so that Hindu bhadralok oppression and exploitation of Bengali muslim remain perpetual? Right?

Separatism on the lines of religion, ethnicity or language is something we Indians don't agree with, and consider as disastrous.
False.You have created all most all of the current indian state boundary based on language,ethnicity.Have you forgot 1956 state reorganization act? But you could not stomach the creation of East Bengal and Assam province within India as it may threatend your privileged position and open the door for exploted masses in the East Bengal to achieve some educational and economic opportunity.

যারা ১৯০৫ সালে বঙ্গ মাতা অঙ্গ ছেঁদ বলে বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করেছিল । তারাই মাত্র ৪২ বছর পর ১৯৪৭ সালে পূর্ব বাংলার সাথে না থেকে নিজেদের হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি রক্ষার নামে ভারতের সাথে চলে যায়। এবং সারা জীবনের জন্য ভারতের অধীনে পরাধীনতাকে গ্রহণ করে।। আর সেই সাথে ১৯৪৬ সালে এই যাওয়ার জন্য কলকাতায় বিনা উসকানীতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে হাজার হাজার মুসলমানদের হত্যা করে আরও হত্যা করে বিহারের মুসলমানদের । এই হলো পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আসল চেহারা । এরা এখনও কারণে অকারণে বাংলাদেশের বিষয়ে নানান রকমের অপপ্রচার করে প্রতিদিন আর বাংলাদেশ বিষয়ে নাক গলায় । কিন্তু কোনো বাংলাদেশীই ভারতের সাধারণ একটা প্রদেশ পশ্চিমবঙ্গ কিংবা আসামে ব্যাপারে কোনো আগ্রহই দেখায় না ? সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের ও আসামের বিধান সভার নির্বাচন তার বড় প্রমাণ । আমার কথা হলো পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের লজ্জা হওয়া উচিত বাংলাদেশের ব্যাপারে নাকগলানোর আগে । এখন এতো পিরিত লাগলে ১৯৪৭ সালে আপনারা কেন বর্তমান বাংলাদেশের সাথে আসেননি??? নির্লজ্জ হওয়ার একটা সীমা থাকা চাই যেটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের নাই।



 
Last edited:
.
What i have stated is not conspiracy theory.Do you want to deny Swadeshi terrorist activities? Khudiram Basu? You oppose creation of a separate province where muslims are majority so that Hindu bhadralok oppression and exploitation of Bengali muslim remain perpetual? Right?

Khudiram Bose fought for freedom of all Indians from the British colonialists coming from far away land of Britain. Is Bangladeshi text books now teaching that he fought for a 'Hindu land'?

And I know the theory of "Muslim will be oppressed while living with people of other religions, hence they need a separate country", I just don't buy such excuses.

False.You have created all most all of the current indian state boundary based on language,ethnicity.Have you forgot 1956 state reorganization act? But you could not stomach the creation of East Bengal and Assam province within India as it may threatend your privileged position and open the door for exploted mass in the East Bengal some educational and economic opportunity.

Is that 'separatism'? We just retained the old state boundaries in a federal structure, but it's ONE COUNTRY. Check this forum only, how all of us speak as Indians.

যারা ১৯০৫ সালে বঙ্গ মাতা অঙ্গ ছেঁদ বলে বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করেছিল । তারাই মাত্র ৪২ বছর পর ১৯৪৭ সালে পূর্ব বাংলার সাথে না থেকে নিজেদের হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি রক্ষার নামে ভারতের সাথে চলে যায়। এবং সারা জীবনের জন্য ভারতের অধীনে পরাধীনতাকে গ্রহণ করে।। আর সেই সাথে ১৯৪৬ সালে এই যাওয়ার জন্য কলকাতায় বিনা উসকানীতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে হাজার হাজার মুসলমানদের হত্যা করে আরও হত্যা করে বিহারের মুসলমানদের । এই হলো পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আসল চেহারা । এরা এখনও কারণে অকারণে বাংলাদেশের বিষয়ে নানান রকমের অপপ্রচার করে প্রতিদিন আর বাংলাদেশ বিষয়ে নাক গলায় । কিন্তু কোনো বাংলাদেশীই ভারতের সাধারণ একটা প্রদেশ পশ্চিমবঙ্গ কিংবা আসামে ব্যাপারে কোনো আগ্রহই দেখায় না ? সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের ও আসামের বিধান সভার নির্বাচন তার বড় প্রমাণ । আমার কথা হলো পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের লজ্জা হওয়া উচিত বাংলাদেশের ব্যাপারে নাকগলানোর আগে । এখন এতো পিরিত লাগলে ১৯৪৭ সালে আপনারা কেন বর্তমান বাংলাদেশের সাথে আসেননি??? নির্লজ্জ হওয়ার একটা সীমা থাকা চাই যেটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের নাই।

Can't you understand one simple fact, that we are Indians first, then everything else? Why should we leave India? How difficult it is understand this simple fact? List all the freedom fighters from Bengal, you will realize that all fought for freedom of India, not Bengal only. My family had freedom fighters who fought for India.
 
.
ইতিহাসের দৃষ্টিতে বঙ্গভঙ্গ
ড. মুহাম্মদ সিদ্দিক
(পূর্ব প্রকাশের পর)

ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, 'বঙ্গ বিভাগ করার পেছনে প্রশাসনিক যে যুক্তিগুলো সিভিলিয়ানরা উল্লেখ করেছেন তা একেবারে যুক্তিহীন নয়।' (১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ ও পূর্ববঙ্গে প্রতিক্রিয়া, পৃষ্ঠা ১৪)। ড. মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ÔIt was primarily an administrative measure' (Government and Politics in Pakistan', P. 53)..

ড. এ এফ সালাউদ্দিন আহমেদ মন্তব্য করেন, ÔIn fact the creation of a new Muslim majority province consisting of East Bengal and Assam opened up a new horizon of hopes for many-sided developments for the newly Emerging Bengali Muslim middle class. (Bengali Nationalist and the Emergence of Bangladesh; An Introductory Outline, International Centre for Bengali Studies, 2000, P. 70).

বর্ণ হিন্দুদের যারা নতুন প্রদেশকে সমর্থন দেয় তার ভিতর ছিলেন কুরআনের বাংলা তরজমাকারী ভাই গিরিশ চন্দ্র সেন, তিনি লেখেন, 'আমি বাংলা বিভাগ নীতির বিপক্ষে নই, বরং সপক্ষে। আমার বিশ্বাস এর ফলে পশ্চাৎপদ, অনুন্নত ও নানাভাবে অভাবগ্রস্ত পূর্ব বাংলার বিশেষ কল্যাণ ও উন্নতি হবে। ঢাকা রাজধানী ও পূর্ববঙ্গের সীমান্তবর্তী বঙ্গোপসাগরের অদূরস্থ চট্টগ্রাম এবার বিশেষ বাণিজ্য স্থান হতে চললো; পূর্ব বাংলাবাসীদের অর্থাগমনের পথ মুক্ত হলো; এ দেশে রাজকীয় প্রধান প্রধান কার্যালয় স্থাপিত ও বাণিজ্যের প্রসার হবে; দেশের শ্রীপ্রবৃদ্ধি হবে; আসাম প্রদেশে ও পূর্ববঙ্গের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রে আবদ্ধ হয়ে বিশেষ উন্নতি লাভ করবে এটা ভেবে আমার আহ্লাদ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কথা ছেড়ে দেই। বাঙালিদের উন্নতির দর্শন অনেকের চক্ষুশুল হতে পারে। কলকাতা অঞ্চলে পূর্ব বাংলা নিবাসী কৃতবিদ্য লোকেরা যে কোনো অফিসে তাদের (কলকাতাবাসীদের) দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে সহজে প্রবেশ করতে পারে না। এখানকার (কলকাতার) কেরানিগিরি প্রভৃতি কাজ এখানকার লোকেরই একচেটিয়া হয়ে উঠেছে। (আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা-১১৯-১২০)।

ড. মুজাফফর আহমদ চৌধুরী লিখেছেন ঢাকা কেন্দ্রীক নতুন প্রদেশ গঠনের ওপর প্রতিক্রিয়ায়, ÔThe educated Hindus of Calcutta were influenced almost to madness. They claimed that Bengalies were a nation, and this dichotomy was unnatural and unjust. The Hindu intelligentsia of Calcutta felt that their motherland was insulted. The followers of the militant Hindu's were upset by the creation of a Muslim majority province'. (`Government and politics of Pakistan', P.53).

ড. চন্দ্রী প্রাসাদ সরকার লেখেন, ÔThe Muslim leaders of Bengal considered it a distinct breach of faith'. (The Bengali Muslims: A study in their Politicization (1912-1929)Õ, P. 19).

বিমলানন্দ শাসমল লিখেছেন, 'বাংলা ও ভারতের প্রবল হিন্দু জনমতের কাছে বঙ্গ ব্যবচ্ছেদ পরিত্যক্ত হওয়ায় মুসলমানদের মনে যে হতাশার সৃষ্টি হলো তারই ফলে মুসলিম লীগের জন্ম হয়।' (বিমলানন্দ শাসমল : 'স্বাধীনতার ফাঁকি') বঙ্গভঙ্গের সময়ই অবশ্য মুসলিম লীগের জন্ম হয় ১৯০৬ সালে ঢাকায়। নতুন এ দেশের বিলুপ্তিতে মুসলিম লীগ আরো শক্তিশালীই হতে লাগল, যা পূর্ণতা পেল ১৯৪৭ সালে এবার ইন্ডিয়া ভঙ্গের মাধ্যমে, সেই সঙ্গে আবার বঙ্গভঙ্গ।

চিত্তরঞ্জন দাস এবং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ১৯২২ সালের ডিসেম্বরে গঠন করে 'স্বরাজপার্টি' অসাম্প্রদায়িক ধারায়। এ উপলক্ষে ১৯২৩ সালে ১৫ ডিসেম্বরে স্বাক্ষরিত হয় 'বেঙ্গল প্যাক্ট'। তবে এরও পরিণতি হয় বঙ্গভঙ্গের মতো। অনেক বর্ণ হিন্দু নেতা সিআর দাস (চিত্তরঞ্জন দাস)-এর ক্রদ্ধ হয়। ক্ষিপ্ত হয় হিন্দু সন্ত্রাসবাদী বিপ্লবী দলগুলো। এমনকি গান্ধীপন্থী ড. প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষও জনসভায় বলেন, মুসলমানদের নিকট আত্মসমর্পণ করে আমরা তাদের একটার পর একটা দাবি বাড়িয়ে তুলতেই সাহায্য করছি। (বিমলানন্দ শাসমল : 'ভারত কি করে ভাগ হলো')।

ড. শীলা সেন মন্তব্য করেন :

ÔThe creation of the new province of Eastern Bengal and Assam not only created a new consciousness among Muslims but also stimulated a new hope in them because as a majority community in the new province they benefited most from the British administration. Its subsequent annulment shattered their hopes and aspirations. The first event fostered polilical consciousnes among them and the second further strengthened it', (`Muslim Politics in Bengal : 1937-1947)Õ P. 31)

ব্রিটিশ অধিকৃত উপমহাদেশে প্রথম দিকে কলকাতাকেন্দ্রিক প্রেসিডেন্সি প্রদেশ ছিল বিশাল। বাংলা ছাড়াও বিহার, উড়িষ্যা, ছোটনাগপুর, ভাগলপুর, বর্তমান উত্তর প্রদেশের কিছু অংশ, দিল্লীর সনি্নহিত কিছু অঞ্চল, টেনাসেরিস, আরাকান (১৮৫৫-৫৬), তখনকার আসামের ভিতরে কোনো না কোনো সময়ে ছিল।

কলকাতার বর্ণ হিন্দু বাবুদের সন্ত্রাসী আন্দোলনে ভীত হয়ে ব্রিটিশ ঢাকাকেন্দ্রিক নতুন প্রদেশ বাতিল করল। কিন্তু ইন্ডিয়ার রাজধানী নিয়ে গেল দিল্লীতে। আর বিহার উড়িষ্যাকে বাংলা থেকে বের করে আলাদা করা হলো।

ক্ষতি হলো কার? কলকাতার বর্ণ হিন্দুরাই এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। কলকাতা ইন্ডিয়ার রাজধানী থাকলে কলকাতার বাবুরা ইন্ডিয়ার সর্বত্র ছড়ি ঘুরাবার অব্যাহত সুযোগ পেতে থাকায় ঢাকা আলাদা প্রদেশের রাজধানী হলেও কলকাতা ও ঢাকার মাধ্যমে বাংলা ভাষা আসামের প্রান্তসীমা থেকে বিহার পর্যন্ত আরো দৃঢ় হতো। আসাম, উড়িয়া, মৈথিলী ইত্যাদি ভাষা তো বাংলা ভাষার অপভ্রংশ বলা যেতে পারে। এখনো তো হিন্দিভাষীদের অনেকগুলো প্রদেশ, যেমন বিহার, উত্তর প্রদেশ, ছত্রিশগড়, ঝাড়খ-, দিল্লী, হিমাচল, হরিয়ানা, উত্তরাখ-, মধ্য প্রদেশ। বাঙালির দুটো প্রদেশে কি অপরাধ হতো?

পরিশেষে ঢাকাকেন্দ্রিক জনগোষ্ঠী পাকিস্তান করে, স্বাধীন বাংলাদেশও করে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করল। কলকাতার ভবিষ্যৎ খতম। কলকাতা আর কখনই ইন্ডিয়ার কেন্দ্রীয় রাজধানী হবে না। কলকাতাতে এখন মূল ভাষা হিন্দি-উর্দু, বাংলা পিছুটান দিচ্ছে। ইন্ডিয়াতে বাংলা ভাষা কোনোদিনই রাষ্ট্রভাষা হবে না। কলকাতার বর্ণ হিন্দু বাবুরা প্রতিবেশী মুসলমান বাঙালিদের দূরে ঠেলে দিয়ে অবাঙালিদের হাতের পুতুলে পরিণত এখন। মুর্শিদাবাদের সূর্য আর একবার ডুবলো।

পশ্চিম বাংলার প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী ড. জয়া চ্যাটার্জির 'বেঙ্গল ডিভাইডেড হিন্দু কম্যুনালিজম এন্ড পার্টিশন ১৯৩২-১৯৪৭' পাঠে বাংলা অঞ্চলের এই ট্র্যাজেডির বিশ্লেষণ মিলবে। বইটি 'বাংলা ভাগ হলো; হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা ও দেশ-বিভাগ ১৯৩২-১৯৪৭' নামে ঢাকাতেই অনূদিত হয়ে প্রকাশিত হয়েছে। আমরা সামান্য উদ্ধৃতি দেব।

পশ্চিম বাংলার ড. জয়া চ্যাটার্জি লেখেন :

'উনিশ শ' পাঁচ সালে কার্জন বাংলা ভাগ করলেন। কিন্তু তার এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ফলে ছ'বছরের মধ্যে সরকার ঐ সিদ্ধান্ত বাতিল করতে বাধ্য হয়। বাস্তবিকপক্ষে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালনে সুনাম অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলা সেই আন্দোলনের নিকট ঋণী, যাতে প্রদেশ বিভাগের মতো 'মীমাংসিত বিষয়ও ওলটপালট হয়ে যায়। ভারতীয় রাজনীতিতে শুরু হলো আন্দোলনের নতুন কৌশল। (দেখুন, সুমিত সরকার, দি স্বদেশি মুভমেন্ট ইন বেঙ্গল, ১৯০৩-১৯০৮, নিউ দিল্লী, ১৯৭৩)। হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে ভয়াবহ দাঙ্গার ফলে ১৯৪৭ সালে বাংলা আবার ভাগ হয়। কিন্তু এ সময় প্রায় কারো কণ্ঠেই প্রতিবাদের ধ্বনি উচ্চারিত হলো না। বরং, দ্বিতীয়বার বাংলা ভাগ নিশ্চিত হওয়ার অব্যবহিত পূর্বে একটা সংঘবদ্ধ আন্দোলন পরিচালিত হলো_ যার লক্ষ্য ছিল ধর্মের ভিত্তিতে প্রদেশকে ভাগ করা। এই আন্দোলনে বাঙালি সমাজের সেই শ্রেণীর লোকেরাই নেতৃত্ব দেয়, যারা বাংলার প্রথম বিভাগের সময় থেকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে প্রাধান্য বিস্তার করে আসছিল। যাদের পরিচিত ছিল তথাকথিত ভদ্রলোক বা সম্মানিত লোক। মাত্র চলি্লশ বছরেরও কম সময়ের ব্যবধানে ভদ্রলোক রাজনীতি তার সূচনা বিন্দুতে এসে সমাপ্ত হলো_ তারা জাতীয়তাবাদী বিষয়সূচি থেকে সংকীর্ণ বা সীমাবদ্ধ বিষয়ের দিকে সরে গেল। ভদ্রলোক রাজনীতির এসব পরিবর্তনের ব্যাখ্যা ও জাতীয়তাবাদী থেকে সাম্প্রদায়িকতার ধারায় বাহ্যত তাদের স্থান বদলের বিশ্লেষণ এ গবেষণা গ্রন্থের মূল লক্ষ্য। ('বেঙ্গল ডিভাইডেড : হিন্দু কম্যুনালিজম এন্ড পার্টিশন ১৯৩২-১৯৪৭'-এর বাংলা অনুবাদের প্রথম পৃষ্ঠা)।

ড. জয়া চ্যাটার্জি পুরো বইটিতে বাংলা ও অবিভক্ত ইন্ডিয়াতে 'হিন্দু কম্যুনালিজম' (হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা)-এর বিশেষ বর্ণনা দিয়েছেন। বইটি অনুসন্ধিৎসু মানুষের জন্য অবশ্য পাঠ্য।

অতিচালাকি করতে গিয়ে কলকাতার বাবুরা হারিয়েছে আম ও ছালা দুইই। যে বাঙালিরা হতে পারত উপমহাদেশের 'কিংমেকার' তারা এখন ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানের পুতুল। কলকাতার বাবুরা যদি ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ থেকে উঠে আসা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো বিশেষ করে 'যুগান্তর' ও 'অনুশীলন'-এর কথা মতো না চলত, হিন্দু মৌলবাদী সংগঠন ও ব্যক্তির কথা না শুনত, উপমহাদেশের ইতিহাস হয়তো অন্য প্রকারের হতো। কলকাতার বর্ণ হিন্দুদের ভিতর থেকে আসা এক আধুনিক-বুদ্ধিজীবী ড. জয়া চ্যাটার্জি ইতিহাসের এই গতিপরিবর্তনের জন্য হিন্দু সাম্প্রদায়িকতাকে দায়ী করেছেন। বইটি পাঠের জন্য আমি সবাইকে পরামর্শ দিচ্ছি। (সমাপ্ত)

ড. মুহাম্মদ সিদ্দিক : ইতিহাসবিদ
 
.
অতিচালাকি করতে গিয়ে কলকাতার বাবুরা হারিয়েছে আম ও ছালা দুইই। যে বাঙালিরা হতে পারত উপমহাদেশের 'কিংমেকার' তারা এখন ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানের পুতুল

Laughable, you guys will remain sectarian.
 
.
Khudiram Bose fought for freedom of all Indians from the British colonialists coming from far away land of Britain. Is Bangladeshi text books now teaching that he fought for a 'Hindu land'?
Only a selfish Indian dadababu can project a terrorist who killed British woman and children in a terrorist attack a freedom fighter.Khudiram was a terrorist who have blood in his hand of innocent woman and children and he was working against muslims.

০৮

04fee3f4f9c4aeb36dbd86e42e5aba78

চেপে রাখা ইতিহাস- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।



আজ ২৫শে বৈশাখ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। আজ থেকে ১৫০ বছর পূর্বে তিনি জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। কবিগুরুর জন্ম এবং মৃত্যু দিন বাঙ্গালীরা ঘটা করে পালন করে আসছেন। তাই আজকের এইদিনে কবিগুরুর কিছু চাপা পড়া ইতিহাস নিয়ে আমার এই সংকলিত প্রবন্ধ।

আজকের বাংলাদেশ তথা পূর্ববাংলার মানুষ ধর্মীয়,সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক জাগরণের মূল উৎস হচ্ছে প্রতিবেশী বর্ণহিন্দুদের প্রবল আন্দোলনে পূর্ববাংলা ও আসামকে নিয়ে নতুন করে সৃষ্টি প্রদেশকে বাতিল করার সময় থেকে। যা ইতিহাসে বঙ্গ ভঙ্গ আন্দোলন নামে পরিচিত।

বিহার বাংলা এবং আসাম নিয়ে বঙ্গ প্রভিন্স ছিল। যা ছিল আয়তে বিশাল, ব্রিটিশদের জন্য প্রশাসনিক কার্যে নজরদারী করা বেশ কঠিন ছিল। তাছাড়া পূর্ব বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ছিল মুসলিম এবং তাঁদের জীবন যাপন ছিল ছিল অত্যন্ত মানবেতর। যদিও পূর্ববাংলা ছিল সমস্ত বাংলার কাচা মালের উৎস ভূমি কিন্তু এই সব মানুষদের উন্নতির জন্য কেউ কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। পূর্ব বাংলার সম্পদ দিয়ে বছরের পর বছর পশ্চিম বাংলার মানুষের উন্নতি ঘটলে পূর্ব বাংলার মানুষের কোন পরিবর্তন ঘটেনি।

ব্রিটিশরা তাঁদের প্রশাসনের সুবিধা এবং মানবেতর জীবন যাপনকারী পূর্ব বাংলার মানুষের উন্নতির জন্য বৃহৎ বাংলাকে ভাগ করেছিল। আর এই মহৎ কাজটি করেছিলেন ভারতের তৎকালীন বড়লাট লর্ড কার্জন। পূর্ব বাংলার মুসলিমগণ এই নতুন সৃষ্ট প্রদেশ হবার ফলে কিছুটা অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশ এবং উন্নতির মুখ দেখে ছিল।

এই নতুন প্রদেশ সৃষ্টির ফলে বর্ণহিন্দুদের যুগ যুগ ধরে ভোগ করে আসা কায়েমি স্বার্থে আঘাত করে তখন বর্ণ হিন্দুরা বঙ্গ মাতার অঙ্গচ্ছেদ অজুহাত খাঁড়া করে নতুন প্রদেশকে বাতিল করতে রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। নতুন প্রদেশ বাতিলের জন্য রসুনের শিকড়ের মত হিন্দু জমিদার, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক-সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীরা এক হয়ে যান। সেই সময় ভারতীয় কংগ্রেস শুরু করে স্বদেশী আন্দোলন। কংগ্রেসি নেতা বাল গঙ্গাধর তিলক হিন্দু জাতীয়তাবাদের জনক শিবাজীকে সীমাহীন ভাবে মহৎ বীর নায়ক বানানোর পিছনে ছিল সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের প্রাচীর গড়ে তোলার আয়োজন। শিবাজী ভারতের সকল হিন্দুর জাতীয় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ১৯০৪ সালে তিনি শিবাজী উৎসব চালু করেন। এর আগে তিনি ১৮৯৩ সালে পুনায় প্রতিষ্ঠা করেন “গো-রক্ষিণী সভা” আর এই সব আয়োজনের মাধ্যমে হিন্দু মুসলিমের মধ্যে তৈরি করেন সাম্প্রদায়িক হানাহানি। ব্রিটিশ সরকার ১৮৯৭ সালে এর জন্য তিলককে গ্রেফতার করেন। তখন অসাম্প্রদায়িক চেতনার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতের সাম্প্রদায়িকতার জনক তিলককে মুক্ত করতে রাস্তায় নেমে পড়েন। তিনি মুক্ত করার জন্য টাকা সংগ্রহের জন্য দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করতে দ্বিধা-বোধ করেনি। শুধু অর্থ ভিক্ষা করে ক্ষান্ত হননি তিনি তিলকের আবিষ্কৃত শিবাজীর প্রদর্শিত পথে ভারতের হিন্দুদের মুক্তি দেখতে পেয়েছিলেন বলে তিনিও শিবাজী বন্দনায় মেতে উঠেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘শিবাজী উৎসব' কবিতা লিখে এ আন্দোলনে শরীক হয়েছিলেন। তিনি লিখলেন:

সেদিন শুনিনি কথা
আজি মোরা তোমার আদেশ
শির পাতি লব,
কণ্ঠে কণ্ঠে বক্ষে বক্ষে
ভারতে মিলিবে সর্বশেষ ধ্যান-মন্ত্র তব।
ধ্বজা ধরি উড়াইব বৈরাগীর উত্তরী বসন
দরিদ্রের বল,
এক ধর্ম রাজ্য হবে এ ভারতে
এ মহাবচন করব সম্বল।
মারাঠির সাথে আজি হে বাঙ্গালী
এক কণ্ঠে বল ‘জয়তু শিবাজী।
মারাঠির সাথে আজি হে বাঙ্গালী,
এক কণ্ঠে বল ‘জয়তু শিবাজী’
মারাঠির সাথে আজি হে বাঙ্গালি,
এক সঙ্গে চলো মহোৎসবে সাজি।
আজি এক সভা তলে
ভারতের পশ্চিম পুরব দক্ষিণ ও বামে
একত্রে করুক ভোগ এক সাথে একটি গৌরব
এক পুণ্য নামে।—

‘শিবাজী-উৎসব’ নামক কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলতে চেয়েছেন যে,শিবাজী চেয়েছিলেন হিন্দুত্বের ভিত্তিতে ভারতজুড়ে এক ধর্ম রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করতে। কিন্তু বাঙালিরা সেটা বোঝেনি। না বুঝে করেছে ভুল। এই কবিতা আর তিলকের সাম্প্রদায়ীক আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথের মত ব্যক্তিত্ব শরীক হয়ে কবির কবিতা দিয়ে যে শিবাজী-ভক্ত সৃষ্টি করে ছিলেন তাতে লাভের লাভ হয়েছিল এই যে, গো-খাদক মুসলিমদের প্রতি হিন্দুরা বিদ্বেষী হয়ে পড়ে। কারন মুসলিমরা গরু খায় অথচ গরু তাঁদের উপাস্য। তাই গরু হত্যা করা মহা অপমান। তাই শুরু হয় হিন্দু মুসলিমের মধ্যে গরু রক্ষা নিয়ে মারা মারি। অথচ মুসলিমরা যতটুকু গো মাংস খায় তার চেয়ে বেশি ইংরেজরা খায় কিন্তু তার জন্য তাঁরা ইংরেজদের সাথে মারামারি হানাহানি করেনা বা বিবাদ বিদ্বেষ পোষণ করে না।

কাজী নজরুল মুসলিম ঘরে জন্ম নিয়েও যে ভাবে শেষ বয়সে মা আনন্দময়ীর গান রচনা করে হিন্দু মুসলিমের মধ্যে একটি মিলন আনার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু বিশ্ব কবির সমগ্র সাহিত্যের ভাণ্ডারে হাজার বার ‘আনন্দময়ী মা’র আগমন হলেও সে আকাশে একটি বার ঈদের চাঁদ কিংবা মোহররমের চাঁদ উঠেনি।

রবীন্দ্রনাথ তার বিচার, মাসী, বন্দীবীর, হোলীখেলা কবিতায় এবং সমস্যা, পুরাণ, দুরাশা ও কাবুলিওয়ালা গল্পে যে ভাবে মুসলিমদের চিত্র উপস্থাপন করেছেন তা পড়েও প্রাথমিক দিকে রবীন্দ্রনাথ মুসলিমদের প্রতি কী দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতেন তাও অনুমান করা যাবে।

প্রাথমিক দিকে রবীন্দ্রনাথের কেমন ছিল মুসলিমদের প্রতি ভালবাসা তার ‘রীতিমত নভেল’ নামক ছোটগল্পে পড়লে জানতে পারা যাবে।

“আল্লাহো আকবর শব্দে বনভূমি প্রতিধ্বনিত হয়ে উঠেছে। একদিকে তিন লক্ষ যবন সেনা অন্য দিকে তিন সহস্র আর্য সৈন্য। … পাঠক, বলিতে পার … কাহার বজ্রমন্ত্রিত ‘হর হর বোম বোম’ শব্দে তিন লক্ষ ম্লেচ্ছ কণ্ঠের ‘আল্লাহো আকবর’ ধ্বনি নিমগ্ন হয়ে গেলো। ইনিই সেই ললিতসিংহ। কাঞ্চীর সেনাপতি। ভারত-ইতিহাসের ধ্রুব নক্ষত্র।”

শুধু তাই নয় -‘দুরাশা’ গল্পের কাহিনীটি আরো স্পর্শকাতর। এখানে দেখানো হয়েছে, একজন মুসলিম নারীর হিন্দু ধর্ম তথা ব্রাহ্মণদের প্রতি কি দুর্নিবার আকর্ষণ এবং এই মুসলিম নারীর ব্রাহ্মণ হবার প্রাণান্তকর কোশেশের চিত্র।

সবেধন নীলমণি রবীন্দ্রনাথের শেষ জীবনে যখন নিজ হাতে লিখতে পারতেন না তখন শ্রুতি লিখন করে যে মুসলমানির গল্পটি তিনি লিখিয়েছিলেন সেই গল্পের নায়ক হবি খাঁর এই উদারতার কারণ হিসাবে হবি খাঁ'র মা যে হিন্দু অভিজাত রাজপুতিনী ছিলেন তা উল্লেখ করে গেছেন। তাই প্রমাণিত হয় যে মুসলিম একক ভাবে মহৎ হতে পারেনা।

মুসলমান সমাজের প্রতি রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায় ‘কণ্ঠরোধ’ (ভারতী, বৈশাখ-১৩০৫) নামক প্রবন্ধে। সিডিশন বিল পাস হওয়ার পূর্বদিনে কলকাতা টাউন হলে এই প্রবন্ধটি তিনি পাঠ করেন। এই প্রবন্ধে উগ্র সাম্প্রদায়িকতাবাদী যবন, ম্লেচ্ছ রবীন্দ্রনাথ একটি ক্ষুদ্র দৃষ্টান্ত দিতে গিয়ে বলেন-

“কিছুদিন হইল একদল ইতর শ্রেণীর অবিবেচক মুসলমান কলিকাতার রাজপথে লোষ্ট্র খন্ড হস্তে উপদ্রবের চেষ্টা করিয়াছিল। তাহার মধ্যে বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে- উপদ্রবের লক্ষ্যটা বিশেষরূপে ইংরেজদেরই প্রতি। তাহাদের শাস্তিও যথেষ্ট হইয়াছিল। প্রবাদ আছে- ইটটি মারিলেই পাটকেলটি খাইতে হয়; কিন্তু মূঢ়গণ (মুসলমান) ইটটি মারিয়া পাটকেলের অপেক্ষা অনেক শক্ত শক্ত জিনিস খাইয়াছিল। অপরাধ করিল, দণ্ড পাইল; কিন্তু ব্যাপারটি কি আজ পর্যন্ত স্পষ্ট বুঝা গেল না। এই নিম্নশ্রেণীর মুসলমানগণ সংবাদপত্র পড়েও না, সংবাদপত্রে লেখেও না। একটা ছোট বড়ো কাণ্ড – হইয়া গেল অথচ এই মূঢ় (মুসলমান) নির্বাক প্রজা সম্প্রদায়ের মনের কথা কিছুই বোঝা গেল না। ব্যাপারটি রহস্যাবৃত রহিল বলিয়াই সাধারণের নিকট তাহার একটা অযথা এবং কৃত্রিম গৌরব জন্মিল। কৌতূহলী কল্পনা হ্যারিসন রোডের প্রান্ত হইতে আরম্ভ করিয়া তুরস্কের অর্ধচন্দ্র শিখরী রাজপ্রাসাদ পর্যন্ত সম্ভব ও অসম্ভব অনুমানকে শাখা পল্লবায়িত করিয়া চলিল। ব্যাপারটি রহস্যাবৃত রহিল বলিয়াই আতঙ্ক চকিত ইংরেজি কাগজ কেহ বলিল, ইহা কংগ্রেসের সহিত যোগবদ্ধ রাষ্ট্র বিপ্লবের সূচনা; কেহ বলিল মুসলমানদের বস্তিগুলো একেবারে উড়াইয়া পুড়াইয়া দেয়া যাক, কেহ বলিল এমন নিদারুণ বিপৎপাতের সময় তুহিনাবৃত শৈলশিখরের উপর বড়লাট সাহেবের এতটা সুশীতল হইয়া বসিয়া থাকা উচিত হয় না।”

এই প্রবন্ধে উল্লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি শব্দ প্রয়োগ লক্ষ্য করলে মুসলমান সমাজের প্রতি রবীন্দ্রনাথের উগ্র সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির একটা সম্যক পরিচয় পাওয়া যায়।
বলা প্রয়োজন যে, রবীন্দ্রনাথের পরিবারের জমিদারী ছিল পূর্ববঙ্গের কুষ্টিয়া, শিলাইদহ, পাবনার শাহজাদপুর, রাজশাহী প্রভৃতি অঞ্চলে। আর এইসব অঞ্চল ছিল মুসলিম প্রধান। এই উন্নাসিক মানসিকতা ও বক্তব্য তার জমিদারীতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী মুসলিমদের প্রতি উগ্র সাম্প্রদায়িকতাবাদী যবন, ম্লেচ্ছ রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিভঙ্গির একটা উজ্জ্বল উদাহরণ।
‘প্রায়শ্চিত্ত’ নাটকে প্রতাপাদিত্যের উক্তি- খুন করাটা যেখানে ধর্ম, সেখানে না করাটাই পাপ। যে মুসলমান আমাদের ধর্ম নষ্ট করেছে তাদের যারা মিত্র তাদের বিনাশ না করাই অধর্ম।
এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথের মুসলিম বিদ্বেষ এবং বিরোধিতার অবস্থান চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়। এখানেও তিনি সাম্প্রদায়িক ভূমিকায় অবতীর্ণ। তার নাটকের এই বক্তব্য হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটায় এবং হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ভূমি তৈরি করে দেয়। তাই ঐতিহাসিকভাবে বলা হয়- বিশ শতকের প্রথম দশক থেকে শুরু হওয়া হিন্দু মুসলিম দাঙ্গার দায়ভার রবীন্দ্রনাথ কোনো ক্রমেই এড়াতে পারেন না।

মুসলিম জননেতা সৈয়দ নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী রবীন্দ্রনাথের মুসলিম বিদ্বেষমূলক লেখনী বন্ধ করার আহবান জানালে রবীন্দ্রনাথ জবাবে বললেন-

"মুসলমান বিদ্বেষ বলিয়া আমরা আমাদের জাতীয় সাহিত্য বিসর্জন দিতে পারি না। মুসলমানদের উচিত তাহারা নিজেদের সাহিত্য নিজেরাই সৃষ্টি করার।…." (এখানে লক্ষ্য করুন যে কবিকে আমরা আমাদের কবি বলে গর্ব করি এবং তাঁর সংকলিত গান আমার সোনার বাংলাকে আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা দিয়েছি সেই কবি কিন্তু এই পূর্ববাংলার মানুষকে কখনও বাঙ্গালী বলে স্বীকার করে নাই। আমাদেরকে মুসলিম বলেই চিহ্নিত করে গেছেন)

১৯০৫ সালের ২০ জুলাই নতুন প্রদেশ ঘোষণা দেয়া হয়। কার্যক্রম শুরু হয় ১৬ অক্টোবর থেকে। এ সময় বাংলাদেশে আমাদের প্রতিবেশী সমাজ সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের জন্ম দেয়। রবীন্দ্রনাথ এই সময় বঙ্গ মাতার অঙ্গচ্ছেদের দুঃখে ভারাক্রান্ত হয়ে গগন হরকরা নামক এক বাউলের করুন বিয়োগাত্মক সুরে রচিত “আমার মনের মানুষ যে রে কোথায় পাব তারে” গীতকে নকল করে “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি" গানটি রচনা করেন, এবং তখন বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের নেতা কর্মীদের উজ্জীবিত সঙ্গীত হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল।

বঙ্গভঙ্গ রোধের জন্য ১৯০৮ সালের ৩০ মে তারিখে কলিকাতার যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদকীয়তে সন্ত্রাসী আন্দোলন শুরুর জন্য আহবান জানানো হয়েছিল এভাবে-

মা জননী পিপাসার্ত হয়ে নিজ সন্তানদের জিজ্ঞাসা করছেন ‘রক্ত দে।' একমাত্র মানুষের রক্ত ও মস্তক ছাড়া মা-জননীর পিপাসা নির্বৃত্ত হবে না। (দেখুন: বঙ্গভঙ্গ থেকে বাংলাদেশ, পৃষ্ঠা-৩৪, আব্বাস আলী খান)
১৯১১ সালের ডিসেম্বর মাসে সম্রাট পঞ্চম জর্জ ও রাণী ভারতে আসেন। তাঁকে বিশাল সংবর্ধনা দেয়া হয়। সে উপলক্ষে ব্রিটিশ সম্রাটকে তেল মেরে রবীন্দ্রনাথ লিখেন-
জনগণ মন অধিনায়ক, জয় হে ভারত ভাগ্য বিধাতা
তব শুভ নামে জাগে, তব শুভ আশিষ মাগে
গাহে তব জয় গাঁথা।
জন গণ মঙ্গল দায়ক জয় হে ভারত ভাগ্য বিধাতা।

ব্রিটিশের প্রতি ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের আনুগত্য দেখে সম্রাট দিল্লীর দরবারেই বঙ্গভঙ্গ রদ বা বাতিল করার ঘোষণা দেন। মুসলমানরা ঘৃণাভরে সরকারের বিশ্বাস ভঙ্গের প্রতিবাদ জানায়। বঙ্গভঙ্গ রদের মধ্য দিয়েই সেদিন জন্ম নিয়েছে ভারত ভাগের ভ্রূণ এবং আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের ভ্রূণ।
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন প্রাচীন ভারতের বৈদিক ঋষি মন্ত্রে বিশ্বাসী। তিনি ভারতকে প্রাচীন আর্য ঋষিদের তপোবন হিসেবে ফিরিয়ে নিতে সচেষ্ট ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের শান্তি নিকেতনকে তাই প্রাচীন ভারতের ঋষিদের তপোবনের আদলে গড়ে তুলতে চেয়েছেন তিনি। রবীন্দ্র নাথের মহাভারতের কল্পনা ছিল এরূপ:
হেথায় আর্য, হেথায় অনার্য
হেথায় দ্রাবিড় চীন
শকহুনদল মোঘল পাঠান
একদেহে হলো লীন।…

আমাদের দেশের একশ্রেণীর সেক্যুলার প্রগতিশীল ভাবুক বুদ্ধিজীবী সংস্কৃত সেবী রয়েছেন, যারা সেক্যুলারিজমের আড়ালে রবীন্দ্রচর্চা করার কাজে ব্যস্ত। তাদের উদ্দেশ্য কিংবা মিশন হচ্ছে এ দেশের সংখ্যাগুরুর সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে বদলে ফেলে সেখানে কলকাতার বাবু সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা। তাদের ভাবভঙ্গিতে মনে হয় এ দেশকে ব্রাহ্মণ্যবাদী সাংস্কৃতিক বলয়ের আওতায় নিয়ে যাওয়াই তাদের একমাত্র দায়িত্ব। তারা প্রমাণ করার চেষ্টা করে থাকেন, রবীন্দ্রনাথ হচ্ছেন আমাদের জাতীয় মানসের আরাধ্য দেবতা। রবীন্দ্রনাথ আমাদের সকল কাজের প্রেরণার উৎস। এদের অনেকে রবীন্দ্রনাথকে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের প্রেরণা শক্তি হিসেবেও বিবেচনা করে থাকেন। জানতে ইচ্ছা করে রবীন্দ্রনাথ কি কোনদিন বিশাল ভারতের মধ্যে স্রেফ বাঙালীদের জন্য পৃথক কোন রাষ্ট্র চেয়েছেন? রবীন্দ্রনাথ কি কোনদিন রাষ্ট্রভাষা বাংলা চেয়েছেন? তিনি তো ভাষার প্রশ্নে আগাগোড়াই হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে ছিলেন।
রবীন্দ্রনাথকে বুঝতে হলে সাংবাদিক-সাহিত্যিক রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমদের কথা স্মরণ করা যেতে পারে। আবুল মনসুর আহমদের রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আরো সুস্পষ্ট অভিমত ছিল তা হচ্ছে:
..মেজরিটি মানুষের সাথে নাড়ির যোগ না থাকিলে কেউ জাতীয় কবি হইতে পারেন না। রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি হইয়াও বাংলার জাতীয় কবি নন। তিনি বাংলা জাতীয় কবি নন এই সহজ কারণে যে, বাংলায় কোন জাতি নাই। আছে শুধু হিন্দু-মুসলমান দুইটি সম্প্রদায়। তিনি বাংলার কৃষ্টিরও প্রতীক নন, এই সহজ কারণ যে, এখানে কোন জাতীয় কৃষ্টিই নাই। এখানে আছে দুইটি কৃষ্টি। একটা বাঙালী হিন্দু কৃষ্টি, অপরটি বাঙালী মুসলিম কৃষ্টি। ….(বিস্তারিত দেখুন : বাংলাদেশের কালচার)
১৯০৫ সালে নতুন প্রদেশ পূর্ব বাংলাকে বাতিল করতে ব্রিটিশ সরকারকে বাধ্য করতে যতো পথ অবলম্বন করা প্রয়োজন তখন বর্ণ হিন্দুরা করেছে। বাংলায় জ্বালায় পুড়াও হত্যা, ধ্বংস করার মত সন্ত্রাসী আন্দোলনের জন্মও তারাই তখন দিয়েছিল। ১৯৪৭ সালে ঐ বর্ণহিন্দুরা বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করে হিন্দুস্থানে যোগদান করেছিল স্রেফ মনস্তাত্ত্বিক কারণে, জাত্যাভিমানে, ম্লেচ্ছ মুসলমানদের ছোঁয়া থেকে বাঁচবার জন্য। দুঃখের বিষয়, আমাদের এই সময়ে এক শ্রেণীর সাহিত্যিক-সাংবাদিক বিভিন্ন সভা সেমিনার বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক, রেডিও টিভিতে আকারে ইঙ্গিতে এটাই বুঝতে চেষ্টা করে থাকেন যে, সীমানার অস্তিত্বের চেয়ে সাংস্কৃতিক ঐক্যই মূখ্য।

আগেই উল্লেখ্য করা হয়েছে যে, রবীন্দ্রনাথের পরিবারের জমিদারী ছিল পূর্ববঙ্গের কুষ্টিয়া, শিলাইদহ, পাবনার শাহজাদপুর, রাজশাহী প্রভৃতি অঞ্চলে। আর এইসব অঞ্চল ছিল মুসলিম প্রধান। মুসলিমরা চিরকাল চাষাভূষা থাকুক এই চিন্তা ভাবনায় রবীন্দ্রনাথ তার বিশাল জমিদারীতে একটি পাঠশালা প্রতিষ্ঠা করেছেন এমন কোন প্রমাণ নেই।
 
Last edited:
.
They are likely locally grown outfits taking inspiration from foreign terrorist groups. I am yet to see any foreigner among the ranks of the terrorist groups here.
 
.
@bluesky @Doyalbaba

Off topic
I have found out the cause why Muslim writers were fewer than Hindu Writers in the 19th century. It is not as if Hindus were enlightened. It looked that way because Muslims lost their places of Education.

In the Bengal region Muslim Education was entirety dependent on Waqf Properties.. Rich muslims used to donate properties for religious and educational purposes. These properties used to run independently and no tax was imposed on them. From Andalusia to Bengal Waqf institutes ran in this way under muslim sultans.. After 1794 many of these properties were lost to the Company and New Jaminders who had no obligation to keep those properties tax free. East Bengal had to suffer most... Many waqf properties were shut down as such and Bengali Muslims bred a generation of farmers without any proper education while Kolkata flourished as the new Jaminders collected tax from East Bengal but spent in the capital.

Farming required manpower. So Bengali Muslims increased exponentially and became Majority in East Bengal only 150 years ago.
 
.
Khudiram Bose fought for freedom of all Indians from the British colonialists coming from far away land of Britain. Is Bangladeshi text books now teaching that he fought for a 'Hindu land'?

And I know the theory of "Muslim will be oppressed while living with people of other religions, hence they need a separate country", I just don't buy such excuses.



Is that 'separatism'? We just retained the old state boundaries in a federal structure, but it's ONE COUNTRY. Check this forum only, how all of us speak as Indians.



Can't you understand one simple fact, that we are Indians first, then everything else? Why should we leave India? How difficult it is understand this simple fact? List all the freedom fighters from Bengal, you will realize that all fought for freedom of India, not Bengal only. My family had freedom fighters who fought for India.

1.@Rain Man, going through your posts will make people believe you are one of the paid posters that RAW/IB/DGS has planted in Forums or social media.
2. We are Bengalis. You appear a Hindu Bengali. I am a Muslim Bengali, and in BD we call ourselves Bangladeshi. Soon to be a Bengali will mean to be a Muslim.
3. If you are an Indian then you are retaining the colonial identity introduced by the British. The only realm that could boast of ruling over Kabul to Bengal and Deccan were the Moguls. Yes, in remote past when the demography and topography were quite different and limited, the Buddhists did have a large empire. But post 1947 we should have withdrawn into our historical entities. These are/were based on language, common experience, economy, socio-culture, logistics and political compulsion. But the adamant Hindu leadership played into the hands of the British (and their leader allowing himself to be seduced by Lady Mountbatten). Therefore this mess. And this slaughter. You are a Bengali; don't insult Bengalis by calling yourself Indian.How soon you forget what they did to Deshbandhu and Netaji!!
 
.
Only a selfish Indian dadababu can project a terrorist who killed British woman and children in a terrorist attack a freedom fighter.Khudiram was a terrorist who have blood in his hand of innocent woman and children and he was working against muslims.

০৮

04fee3f4f9c4aeb36dbd86e42e5aba78

চেপে রাখা ইতিহাস- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।



আজ ২৫শে বৈশাখ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। আজ থেকে ১৫০ বছর পূর্বে তিনি জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। কবিগুরুর জন্ম এবং মৃত্যু দিন বাঙ্গালীরা ঘটা করে পালন করে আসছেন। তাই আজকের এইদিনে কবিগুরুর কিছু চাপা পড়া ইতিহাস নিয়ে আমার এই সংকলিত প্রবন্ধ।

আজকের বাংলাদেশ তথা পূর্ববাংলার মানুষ ধর্মীয়,সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক জাগরণের মূল উৎস হচ্ছে প্রতিবেশী বর্ণহিন্দুদের প্রবল আন্দোলনে পূর্ববাংলা ও আসামকে নিয়ে নতুন করে সৃষ্টি প্রদেশকে বাতিল করার সময় থেকে। যা ইতিহাসে বঙ্গ ভঙ্গ আন্দোলন নামে পরিচিত।

বিহার বাংলা এবং আসাম নিয়ে বঙ্গ প্রভিন্স ছিল। যা ছিল আয়তে বিশাল, ব্রিটিশদের জন্য প্রশাসনিক কার্যে নজরদারী করা বেশ কঠিন ছিল। তাছাড়া পূর্ব বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ছিল মুসলিম এবং তাঁদের জীবন যাপন ছিল ছিল অত্যন্ত মানবেতর। যদিও পূর্ববাংলা ছিল সমস্ত বাংলার কাচা মালের উৎস ভূমি কিন্তু এই সব মানুষদের উন্নতির জন্য কেউ কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। পূর্ব বাংলার সম্পদ দিয়ে বছরের পর বছর পশ্চিম বাংলার মানুষের উন্নতি ঘটলে পূর্ব বাংলার মানুষের কোন পরিবর্তন ঘটেনি।

ব্রিটিশরা তাঁদের প্রশাসনের সুবিধা এবং মানবেতর জীবন যাপনকারী পূর্ব বাংলার মানুষের উন্নতির জন্য বৃহৎ বাংলাকে ভাগ করেছিল। আর এই মহৎ কাজটি করেছিলেন ভারতের তৎকালীন বড়লাট লর্ড কার্জন। পূর্ব বাংলার মুসলিমগণ এই নতুন সৃষ্ট প্রদেশ হবার ফলে কিছুটা অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশ এবং উন্নতির মুখ দেখে ছিল।

এই নতুন প্রদেশ সৃষ্টির ফলে বর্ণহিন্দুদের যুগ যুগ ধরে ভোগ করে আসা কায়েমি স্বার্থে আঘাত করে তখন বর্ণ হিন্দুরা বঙ্গ মাতার অঙ্গচ্ছেদ অজুহাত খাঁড়া করে নতুন প্রদেশকে বাতিল করতে রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। নতুন প্রদেশ বাতিলের জন্য রসুনের শিকড়ের মত হিন্দু জমিদার, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক-সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীরা এক হয়ে যান। সেই সময় ভারতীয় কংগ্রেস শুরু করে স্বদেশী আন্দোলন। কংগ্রেসি নেতা বাল গঙ্গাধর তিলক হিন্দু জাতীয়তাবাদের জনক শিবাজীকে সীমাহীন ভাবে মহৎ বীর নায়ক বানানোর পিছনে ছিল সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের প্রাচীর গড়ে তোলার আয়োজন। শিবাজী ভারতের সকল হিন্দুর জাতীয় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ১৯০৪ সালে তিনি শিবাজী উৎসব চালু করেন। এর আগে তিনি ১৮৯৩ সালে পুনায় প্রতিষ্ঠা করেন “গো-রক্ষিণী সভা” আর এই সব আয়োজনের মাধ্যমে হিন্দু মুসলিমের মধ্যে তৈরি করেন সাম্প্রদায়িক হানাহানি। ব্রিটিশ সরকার ১৮৯৭ সালে এর জন্য তিলককে গ্রেফতার করেন। তখন অসাম্প্রদায়িক চেতনার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতের সাম্প্রদায়িকতার জনক তিলককে মুক্ত করতে রাস্তায় নেমে পড়েন। তিনি মুক্ত করার জন্য টাকা সংগ্রহের জন্য দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করতে দ্বিধা-বোধ করেনি। শুধু অর্থ ভিক্ষা করে ক্ষান্ত হননি তিনি তিলকের আবিষ্কৃত শিবাজীর প্রদর্শিত পথে ভারতের হিন্দুদের মুক্তি দেখতে পেয়েছিলেন বলে তিনিও শিবাজী বন্দনায় মেতে উঠেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘শিবাজী উৎসব' কবিতা লিখে এ আন্দোলনে শরীক হয়েছিলেন। তিনি লিখলেন:

সেদিন শুনিনি কথা
আজি মোরা তোমার আদেশ
শির পাতি লব,
কণ্ঠে কণ্ঠে বক্ষে বক্ষে
ভারতে মিলিবে সর্বশেষ ধ্যান-মন্ত্র তব।
ধ্বজা ধরি উড়াইব বৈরাগীর উত্তরী বসন
দরিদ্রের বল,
এক ধর্ম রাজ্য হবে এ ভারতে
এ মহাবচন করব সম্বল।
মারাঠির সাথে আজি হে বাঙ্গালী
এক কণ্ঠে বল ‘জয়তু শিবাজী।
মারাঠির সাথে আজি হে বাঙ্গালী,
এক কণ্ঠে বল ‘জয়তু শিবাজী’
মারাঠির সাথে আজি হে বাঙ্গালি,
এক সঙ্গে চলো মহোৎসবে সাজি।
আজি এক সভা তলে
ভারতের পশ্চিম পুরব দক্ষিণ ও বামে
একত্রে করুক ভোগ এক সাথে একটি গৌরব
এক পুণ্য নামে।—

‘শিবাজী-উৎসব’ নামক কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলতে চেয়েছেন যে,শিবাজী চেয়েছিলেন হিন্দুত্বের ভিত্তিতে ভারতজুড়ে এক ধর্ম রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করতে। কিন্তু বাঙালিরা সেটা বোঝেনি। না বুঝে করেছে ভুল। এই কবিতা আর তিলকের সাম্প্রদায়ীক আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথের মত ব্যক্তিত্ব শরীক হয়ে কবির কবিতা দিয়ে যে শিবাজী-ভক্ত সৃষ্টি করে ছিলেন তাতে লাভের লাভ হয়েছিল এই যে, গো-খাদক মুসলিমদের প্রতি হিন্দুরা বিদ্বেষী হয়ে পড়ে। কারন মুসলিমরা গরু খায় অথচ গরু তাঁদের উপাস্য। তাই গরু হত্যা করা মহা অপমান। তাই শুরু হয় হিন্দু মুসলিমের মধ্যে গরু রক্ষা নিয়ে মারা মারি। অথচ মুসলিমরা যতটুকু গো মাংস খায় তার চেয়ে বেশি ইংরেজরা খায় কিন্তু তার জন্য তাঁরা ইংরেজদের সাথে মারামারি হানাহানি করেনা বা বিবাদ বিদ্বেষ পোষণ করে না।

কাজী নজরুল মুসলিম ঘরে জন্ম নিয়েও যে ভাবে শেষ বয়সে মা আনন্দময়ীর গান রচনা করে হিন্দু মুসলিমের মধ্যে একটি মিলন আনার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু বিশ্ব কবির সমগ্র সাহিত্যের ভাণ্ডারে হাজার বার ‘আনন্দময়ী মা’র আগমন হলেও সে আকাশে একটি বার ঈদের চাঁদ কিংবা মোহররমের চাঁদ উঠেনি।

রবীন্দ্রনাথ তার বিচার, মাসী, বন্দীবীর, হোলীখেলা কবিতায় এবং সমস্যা, পুরাণ, দুরাশা ও কাবুলিওয়ালা গল্পে যে ভাবে মুসলিমদের চিত্র উপস্থাপন করেছেন তা পড়েও প্রাথমিক দিকে রবীন্দ্রনাথ মুসলিমদের প্রতি কী দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতেন তাও অনুমান করা যাবে।

প্রাথমিক দিকে রবীন্দ্রনাথের কেমন ছিল মুসলিমদের প্রতি ভালবাসা তার ‘রীতিমত নভেল’ নামক ছোটগল্পে পড়লে জানতে পারা যাবে।

“আল্লাহো আকবর শব্দে বনভূমি প্রতিধ্বনিত হয়ে উঠেছে। একদিকে তিন লক্ষ যবন সেনা অন্য দিকে তিন সহস্র আর্য সৈন্য। … পাঠক, বলিতে পার … কাহার বজ্রমন্ত্রিত ‘হর হর বোম বোম’ শব্দে তিন লক্ষ ম্লেচ্ছ কণ্ঠের ‘আল্লাহো আকবর’ ধ্বনি নিমগ্ন হয়ে গেলো। ইনিই সেই ললিতসিংহ। কাঞ্চীর সেনাপতি। ভারত-ইতিহাসের ধ্রুব নক্ষত্র।”

শুধু তাই নয় -‘দুরাশা’ গল্পের কাহিনীটি আরো স্পর্শকাতর। এখানে দেখানো হয়েছে, একজন মুসলিম নারীর হিন্দু ধর্ম তথা ব্রাহ্মণদের প্রতি কি দুর্নিবার আকর্ষণ এবং এই মুসলিম নারীর ব্রাহ্মণ হবার প্রাণান্তকর কোশেশের চিত্র।

সবেধন নীলমণি রবীন্দ্রনাথের শেষ জীবনে যখন নিজ হাতে লিখতে পারতেন না তখন শ্রুতি লিখন করে যে মুসলমানির গল্পটি তিনি লিখিয়েছিলেন সেই গল্পের নায়ক হবি খাঁর এই উদারতার কারণ হিসাবে হবি খাঁ'র মা যে হিন্দু অভিজাত রাজপুতিনী ছিলেন তা উল্লেখ করে গেছেন। তাই প্রমাণিত হয় যে মুসলিম একক ভাবে মহৎ হতে পারেনা।

মুসলমান সমাজের প্রতি রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায় ‘কণ্ঠরোধ’ (ভারতী, বৈশাখ-১৩০৫) নামক প্রবন্ধে। সিডিশন বিল পাস হওয়ার পূর্বদিনে কলকাতা টাউন হলে এই প্রবন্ধটি তিনি পাঠ করেন। এই প্রবন্ধে উগ্র সাম্প্রদায়িকতাবাদী যবন, ম্লেচ্ছ রবীন্দ্রনাথ একটি ক্ষুদ্র দৃষ্টান্ত দিতে গিয়ে বলেন-

“কিছুদিন হইল একদল ইতর শ্রেণীর অবিবেচক মুসলমান কলিকাতার রাজপথে লোষ্ট্র খন্ড হস্তে উপদ্রবের চেষ্টা করিয়াছিল। তাহার মধ্যে বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে- উপদ্রবের লক্ষ্যটা বিশেষরূপে ইংরেজদেরই প্রতি। তাহাদের শাস্তিও যথেষ্ট হইয়াছিল। প্রবাদ আছে- ইটটি মারিলেই পাটকেলটি খাইতে হয়; কিন্তু মূঢ়গণ (মুসলমান) ইটটি মারিয়া পাটকেলের অপেক্ষা অনেক শক্ত শক্ত জিনিস খাইয়াছিল। অপরাধ করিল, দণ্ড পাইল; কিন্তু ব্যাপারটি কি আজ পর্যন্ত স্পষ্ট বুঝা গেল না। এই নিম্নশ্রেণীর মুসলমানগণ সংবাদপত্র পড়েও না, সংবাদপত্রে লেখেও না। একটা ছোট বড়ো কাণ্ড – হইয়া গেল অথচ এই মূঢ় (মুসলমান) নির্বাক প্রজা সম্প্রদায়ের মনের কথা কিছুই বোঝা গেল না। ব্যাপারটি রহস্যাবৃত রহিল বলিয়াই সাধারণের নিকট তাহার একটা অযথা এবং কৃত্রিম গৌরব জন্মিল। কৌতূহলী কল্পনা হ্যারিসন রোডের প্রান্ত হইতে আরম্ভ করিয়া তুরস্কের অর্ধচন্দ্র শিখরী রাজপ্রাসাদ পর্যন্ত সম্ভব ও অসম্ভব অনুমানকে শাখা পল্লবায়িত করিয়া চলিল। ব্যাপারটি রহস্যাবৃত রহিল বলিয়াই আতঙ্ক চকিত ইংরেজি কাগজ কেহ বলিল, ইহা কংগ্রেসের সহিত যোগবদ্ধ রাষ্ট্র বিপ্লবের সূচনা; কেহ বলিল মুসলমানদের বস্তিগুলো একেবারে উড়াইয়া পুড়াইয়া দেয়া যাক, কেহ বলিল এমন নিদারুণ বিপৎপাতের সময় তুহিনাবৃত শৈলশিখরের উপর বড়লাট সাহেবের এতটা সুশীতল হইয়া বসিয়া থাকা উচিত হয় না।”

এই প্রবন্ধে উল্লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি শব্দ প্রয়োগ লক্ষ্য করলে মুসলমান সমাজের প্রতি রবীন্দ্রনাথের উগ্র সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির একটা সম্যক পরিচয় পাওয়া যায়।
বলা প্রয়োজন যে, রবীন্দ্রনাথের পরিবারের জমিদারী ছিল পূর্ববঙ্গের কুষ্টিয়া, শিলাইদহ, পাবনার শাহজাদপুর, রাজশাহী প্রভৃতি অঞ্চলে। আর এইসব অঞ্চল ছিল মুসলিম প্রধান। এই উন্নাসিক মানসিকতা ও বক্তব্য তার জমিদারীতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী মুসলিমদের প্রতি উগ্র সাম্প্রদায়িকতাবাদী যবন, ম্লেচ্ছ রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিভঙ্গির একটা উজ্জ্বল উদাহরণ।
‘প্রায়শ্চিত্ত’ নাটকে প্রতাপাদিত্যের উক্তি- খুন করাটা যেখানে ধর্ম, সেখানে না করাটাই পাপ। যে মুসলমান আমাদের ধর্ম নষ্ট করেছে তাদের যারা মিত্র তাদের বিনাশ না করাই অধর্ম।
এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথের মুসলিম বিদ্বেষ এবং বিরোধিতার অবস্থান চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়। এখানেও তিনি সাম্প্রদায়িক ভূমিকায় অবতীর্ণ। তার নাটকের এই বক্তব্য হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটায় এবং হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ভূমি তৈরি করে দেয়। তাই ঐতিহাসিকভাবে বলা হয়- বিশ শতকের প্রথম দশক থেকে শুরু হওয়া হিন্দু মুসলিম দাঙ্গার দায়ভার রবীন্দ্রনাথ কোনো ক্রমেই এড়াতে পারেন না।

মুসলিম জননেতা সৈয়দ নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী রবীন্দ্রনাথের মুসলিম বিদ্বেষমূলক লেখনী বন্ধ করার আহবান জানালে রবীন্দ্রনাথ জবাবে বললেন-

"মুসলমান বিদ্বেষ বলিয়া আমরা আমাদের জাতীয় সাহিত্য বিসর্জন দিতে পারি না। মুসলমানদের উচিত তাহারা নিজেদের সাহিত্য নিজেরাই সৃষ্টি করার।…." (এখানে লক্ষ্য করুন যে কবিকে আমরা আমাদের কবি বলে গর্ব করি এবং তাঁর সংকলিত গান আমার সোনার বাংলাকে আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা দিয়েছি সেই কবি কিন্তু এই পূর্ববাংলার মানুষকে কখনও বাঙ্গালী বলে স্বীকার করে নাই। আমাদেরকে মুসলিম বলেই চিহ্নিত করে গেছেন)

১৯০৫ সালের ২০ জুলাই নতুন প্রদেশ ঘোষণা দেয়া হয়। কার্যক্রম শুরু হয় ১৬ অক্টোবর থেকে। এ সময় বাংলাদেশে আমাদের প্রতিবেশী সমাজ সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের জন্ম দেয়। রবীন্দ্রনাথ এই সময় বঙ্গ মাতার অঙ্গচ্ছেদের দুঃখে ভারাক্রান্ত হয়ে গগন হরকরা নামক এক বাউলের করুন বিয়োগাত্মক সুরে রচিত “আমার মনের মানুষ যে রে কোথায় পাব তারে” গীতকে নকল করে “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি" গানটি রচনা করেন, এবং তখন বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের নেতা কর্মীদের উজ্জীবিত সঙ্গীত হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল।

বঙ্গভঙ্গ রোধের জন্য ১৯০৮ সালের ৩০ মে তারিখে কলিকাতার যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদকীয়তে সন্ত্রাসী আন্দোলন শুরুর জন্য আহবান জানানো হয়েছিল এভাবে-

মা জননী পিপাসার্ত হয়ে নিজ সন্তানদের জিজ্ঞাসা করছেন ‘রক্ত দে।' একমাত্র মানুষের রক্ত ও মস্তক ছাড়া মা-জননীর পিপাসা নির্বৃত্ত হবে না। (দেখুন: বঙ্গভঙ্গ থেকে বাংলাদেশ, পৃষ্ঠা-৩৪, আব্বাস আলী খান)
১৯১১ সালের ডিসেম্বর মাসে সম্রাট পঞ্চম জর্জ ও রাণী ভারতে আসেন। তাঁকে বিশাল সংবর্ধনা দেয়া হয়। সে উপলক্ষে ব্রিটিশ সম্রাটকে তেল মেরে রবীন্দ্রনাথ লিখেন-
জনগণ মন অধিনায়ক, জয় হে ভারত ভাগ্য বিধাতা
তব শুভ নামে জাগে, তব শুভ আশিষ মাগে
গাহে তব জয় গাঁথা।
জন গণ মঙ্গল দায়ক জয় হে ভারত ভাগ্য বিধাতা।

ব্রিটিশের প্রতি ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের আনুগত্য দেখে সম্রাট দিল্লীর দরবারেই বঙ্গভঙ্গ রদ বা বাতিল করার ঘোষণা দেন। মুসলমানরা ঘৃণাভরে সরকারের বিশ্বাস ভঙ্গের প্রতিবাদ জানায়। বঙ্গভঙ্গ রদের মধ্য দিয়েই সেদিন জন্ম নিয়েছে ভারত ভাগের ভ্রূণ এবং আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের ভ্রূণ।
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন প্রাচীন ভারতের বৈদিক ঋষি মন্ত্রে বিশ্বাসী। তিনি ভারতকে প্রাচীন আর্য ঋষিদের তপোবন হিসেবে ফিরিয়ে নিতে সচেষ্ট ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের শান্তি নিকেতনকে তাই প্রাচীন ভারতের ঋষিদের তপোবনের আদলে গড়ে তুলতে চেয়েছেন তিনি। রবীন্দ্র নাথের মহাভারতের কল্পনা ছিল এরূপ:
হেথায় আর্য, হেথায় অনার্য
হেথায় দ্রাবিড় চীন
শকহুনদল মোঘল পাঠান
একদেহে হলো লীন।…

আমাদের দেশের একশ্রেণীর সেক্যুলার প্রগতিশীল ভাবুক বুদ্ধিজীবী সংস্কৃত সেবী রয়েছেন, যারা সেক্যুলারিজমের আড়ালে রবীন্দ্রচর্চা করার কাজে ব্যস্ত। তাদের উদ্দেশ্য কিংবা মিশন হচ্ছে এ দেশের সংখ্যাগুরুর সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে বদলে ফেলে সেখানে কলকাতার বাবু সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা। তাদের ভাবভঙ্গিতে মনে হয় এ দেশকে ব্রাহ্মণ্যবাদী সাংস্কৃতিক বলয়ের আওতায় নিয়ে যাওয়াই তাদের একমাত্র দায়িত্ব। তারা প্রমাণ করার চেষ্টা করে থাকেন, রবীন্দ্রনাথ হচ্ছেন আমাদের জাতীয় মানসের আরাধ্য দেবতা। রবীন্দ্রনাথ আমাদের সকল কাজের প্রেরণার উৎস। এদের অনেকে রবীন্দ্রনাথকে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের প্রেরণা শক্তি হিসেবেও বিবেচনা করে থাকেন। জানতে ইচ্ছা করে রবীন্দ্রনাথ কি কোনদিন বিশাল ভারতের মধ্যে স্রেফ বাঙালীদের জন্য পৃথক কোন রাষ্ট্র চেয়েছেন? রবীন্দ্রনাথ কি কোনদিন রাষ্ট্রভাষা বাংলা চেয়েছেন? তিনি তো ভাষার প্রশ্নে আগাগোড়াই হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে ছিলেন।
রবীন্দ্রনাথকে বুঝতে হলে সাংবাদিক-সাহিত্যিক রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমদের কথা স্মরণ করা যেতে পারে। আবুল মনসুর আহমদের রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আরো সুস্পষ্ট অভিমত ছিল তা হচ্ছে:
..মেজরিটি মানুষের সাথে নাড়ির যোগ না থাকিলে কেউ জাতীয় কবি হইতে পারেন না। রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি হইয়াও বাংলার জাতীয় কবি নন। তিনি বাংলা জাতীয় কবি নন এই সহজ কারণে যে, বাংলায় কোন জাতি নাই। আছে শুধু হিন্দু-মুসলমান দুইটি সম্প্রদায়। তিনি বাংলার কৃষ্টিরও প্রতীক নন, এই সহজ কারণ যে, এখানে কোন জাতীয় কৃষ্টিই নাই। এখানে আছে দুইটি কৃষ্টি। একটা বাঙালী হিন্দু কৃষ্টি, অপরটি বাঙালী মুসলিম কৃষ্টি। ….(বিস্তারিত দেখুন : বাংলাদেশের কালচার)
১৯০৫ সালে নতুন প্রদেশ পূর্ব বাংলাকে বাতিল করতে ব্রিটিশ সরকারকে বাধ্য করতে যতো পথ অবলম্বন করা প্রয়োজন তখন বর্ণ হিন্দুরা করেছে। বাংলায় জ্বালায় পুড়াও হত্যা, ধ্বংস করার মত সন্ত্রাসী আন্দোলনের জন্মও তারাই তখন দিয়েছিল। ১৯৪৭ সালে ঐ বর্ণহিন্দুরা বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করে হিন্দুস্থানে যোগদান করেছিল স্রেফ মনস্তাত্ত্বিক কারণে, জাত্যাভিমানে, ম্লেচ্ছ মুসলমানদের ছোঁয়া থেকে বাঁচবার জন্য। দুঃখের বিষয়, আমাদের এই সময়ে এক শ্রেণীর সাহিত্যিক-সাংবাদিক বিভিন্ন সভা সেমিনার বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক, রেডিও টিভিতে আকারে ইঙ্গিতে এটাই বুঝতে চেষ্টা করে থাকেন যে, সীমানার অস্তিত্বের চেয়ে সাংস্কৃতিক ঐক্যই মূখ্য।

আগেই উল্লেখ্য করা হয়েছে যে, রবীন্দ্রনাথের পরিবারের জমিদারী ছিল পূর্ববঙ্গের কুষ্টিয়া, শিলাইদহ, পাবনার শাহজাদপুর, রাজশাহী প্রভৃতি অঞ্চলে। আর এইসব অঞ্চল ছিল মুসলিম প্রধান। মুসলিমরা চিরকাল চাষাভূষা থাকুক এই চিন্তা ভাবনায় রবীন্দ্রনাথ তার বিশাল জমিদারীতে একটি পাঠশালা প্রতিষ্ঠা করেছেন এমন কোন প্রমাণ নেই।

Read about Khudiram Bose's real target, some other people became victims mistakenly. But his aim didn't have any religious colour.

For the Bengali articles you are posting, I have already said that radicalism will only rise in Bangladesh and Jamatis will have greater influence in future...you are only proving that point.

1.@Rain Man, going through your posts will make people believe you are one of the paid posters that RAW/IB/DGS has planted in Forums or social media.
2. We are Bengalis. You appear a Hindu Bengali. I am a Muslim Bengali, and in BD we call ourselves Bangladeshi. Soon to be a Bengali will mean to be a Muslim.
3. If you are an Indian then you are retaining the colonial identity introduced by the British. The only realm that could boast of ruling over Kabul to Bengal and Deccan were the Moguls. Yes, in remote past when the demography and topography were quite different and limited, the Buddhists did have a large empire. But post 1947 we should have withdrawn into our historical entities. These are/were based on language, common experience, economy, socio-culture, logistics and political compulsion. But the adamant Hindu leadership played into the hands of the British (and their leader allowing himself to be seduced by Lady Mountbatten). Therefore this mess. And this slaughter. You are a Bengali; don't insult Bengalis by calling yourself Indian.How soon you forget what they did to Deshbandhu and Netaji!!

1. RAW/IB has more important things to do than posting in internet forums.

2. Delusional.

3. Read history. India is far more ancient than British India.
 
.
For the Bengali articles you are posting, I have already said that radicalism will only rise in Bangladesh and Jamatis will have greater influence in future...you are only proving that point.
Truth hurt.isn't it? Current radicalization have nothing to do with pre-partition hindu-muslim animosity but mostly about current world politics where many muslim seeing the western world as an adversary.Many countries in the middle east Europe or other region who have no hindu-muslim things seeing ISIS sponsored attack.I have posted these article because many hindu bengali elite like yourself see partition event in a black and white frame where muslims are the only villain as they demanded separate homeland. So it was solely their fault for all the horrible things happened during and after partition.But history is not what you imagined to be and you have no moral right to judge anybody except yourself.
 
Last edited:
.
it is reasonable to think that he had his both hands in the 1946 Calcutta riots which stared the series of bloodbath during partition
No, it is UNREASONABLE to think Suhrawardy had any hands in the Calcutta riot of 1946. Read the "Unfinished Memoir" written by the then Muslim League student leader Shaikh Mujibur Rahman. He wrote the book when he was kept interned in many east Pakistan jails.

I have read the book, and I was quite surprised to read his account of that event. Suhrawardy had no hands. He and others tried to stop it, but could not for 3 days. Hindus started the riot on the 1st day of Direct Action Day and the Muslims came out to take revenge that continued for the next two days. Mujib was a part of a volunteer group to take Hindus from the Muslim-majority areas and vice versa. So, please do not blame Suhrawardy like all the Congress leaders of that timewho passionately blame him.
 
.
Current radicalization

An element of radicalism in Islam is almost as old as Islam itself, read about it with an open mind.....though this forum may not be the right place to discuss it.
 
.
An element of radicalism in Islam is almost as old as Islam itself, read about it with an open mind.....though this forum may not be the right place to discuss it.
Islamic radicalism is not responsible for the selfish and self serving attitude of Kolkata bhadralok class.They hated muslim for many things like not following indian originated religion,for eating beef or other jaat-paat related issues.They even avoided shadow of muslim as unholy and used to do purification rituals if accidentally contacted a shadow of muslim.Forget normal friendly interaction to make possible undivided Bengal or India.Why Bengali muslim who constituted majority in the province will accept domination of a class who even avoid the shadow of a muslim? I don't remember Al-Quida ot ISIS terrorist blowed up mandirs in pre-partition Bengal for the justification for anti-muslim attitude towards East Bengali muslim peasants.It was the caste hindu bengali bigotry not any other reason which is responsible for all the horrible acts during partition.Muslim radicals have done many atrocity in different times but they were not responsible for break down of relation in pre-partition times between Bengali Muslims and Hindus.
 
Last edited:
.
Islamic radicalism is not responsible for the selfish and self serving attitude of Kolkata bhadralok class.They hated muslim for many things like not following indian originated religion,for eating beef or other jaat-paat related issues.They even avoided shadow of muslim as unholy and used to do purification rituals if accidentally contacted a shadow of muslim.Forget normal friendly interaction to make possible undivided Bengal or India.Why Bengali muslim who constituted majority in the province will accept domination of a class who even avoid the shadow of a muslim? I don't remember Al-Quida ot ISIS terrorist blowed up mandirs in pre-partition Bengal for the justification for anti-muslim attitude towards East Bengali muslim peasants.It was the caste hindu bengali bigotry not any other reason which is responsible for all the horrible acts during partition.Muslim radicals have done many atrocity in different times but they were not responsible for break down of relation in pre-partition times between Bengali Muslims and Hindus.

Noticed how you have mentioned in past tense? We have largely got rid of the discrimination on the basis of religion and caste, the process of change started long before partition, how did you miss that!

Besides, don't you think the division, discrimination and suspicion on the basis of religion started due to the atrocities the Muslim rulers, barring a few, unleashed upon the followers of other religions in their quest for spreading Islam?

You know what is the biggest issue with Islam (at least in the form it is dominating) from a non-Islamic point of view? It's the idea that Islam is the only true religion and rest are wrong or false, the idea that followers of other religious groups or atheists are 'inferior' people, the idea that it is the duty of a Musalman to convert people and spread Islam by any means, including by sword. And that's where the problems start building.

Do you know about Hitler and Nazis? I think you do! Well, they thought Germans are the best race, German culture is best, German language is best, and all other people are inferior. Now, only 'thinking' is not such a problem, but if too many people start thinking on the same line, then it leads to action....and that happened in Hitler's Germany....and resulted in death of millions. That's how intolerance grows and consumes the intolerants and the people around.

I hope you understand.
 
Last edited:
.

Pakistan Affairs Latest Posts

Back
Top Bottom