1500 crore taka looted by Awami League MPs
Awami League MP looted around 1500 crore taka by widrawing money for local development project with little or no work done in the projects. Awami League coalition partner has already complained about Awami League looting and name few MP came in TIB corruption report.
Report in Bangla:
আমব্রেলা প্রকল্পের দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়েছেন মহাজোটের এমপিরা
ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (এলজিইডি
চার হাজার ৬০০ কোটি টাকার আমব্রেলা প্রকল্পের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার কাজ না করে আত্মসাৎ করেছেন মহাজোটের এমপিরা। এ ঘটনায় মহাজোটের প্রধান শরিক দল জাতীয় পার্টির (এরশাদ
এমপিরা প্রধানমন্ত্রীসহ দলীয় প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এই প্রকল্পের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যে এক এমপির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করেছে। আর, এমপিদের নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত টিআইবির প্রতিবেদনে কারও কারও নাম এসেছে।
নির্বাচনী এলাকার জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে গ্রামীণ অবকাঠামোর কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন না হওয়ায় ইতিমধ্যে শতাধিক এমপির বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকার জনগণ।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর এমপিদের নিজ নিজ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে অগ্রাধিকারমূলক গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য থোক বরাদ্দ থেকে ১৫ কোটি টাকা প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পগুলো হলো: কাঁচা রাস্তা মেরামত, সড়ক ও হাটবাজার পাকাকরণ।
এ প্রকল্পের আওতায় সংরক্ষিত মহিলা আসন ছাড়া নির্বাচিত ২৮৭ জন এমপির নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য প্রথম দফায় ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পরে গত জুনে সংসদে ২০১১-১২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রস্তাব উত্থাপিত হওয়ার পর এমপিরা বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরপর সরকারদলীয় বেশির ভাগ এমপির নামে ১৫ কোটি টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়।
এলাকার জনগণ ও বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে, মহাজোটের অনেক এমপি এই বরাদ্দের টাকা পেয়ে এলজিইডির কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া প্রকল্পে দেখিয়ে ৯ থেকে ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আমব্রেলা প্রকল্পের অনেক ক্ষেত্রে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ না করে সরকারি অর্থ তুলে নিয়েছে।
যেসব এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের মধ্যে কুড়িগ্রাম-১ আসনের এ কে এম মোস্তাফিজার রহমান তার বরাদ্দের ১৫ কোটি টাকার মধ্যে চার থেকে পাঁচ কোটি টাকার কাজ করেছেন; বাকি টাকা ভুয়া প্রকল্পে দেখিয়ে তুলে নিয়েছেন। কুড়িগ্রাম-৪ আসনের জাকির হোসেন তিন-চার কোটি টাকার কাজ করে বরাদ্দের পুরো টাকা এলজিইডির কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন। এমপিদের নিয়ে টিআইবির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনেও এ বিষয়টি এসেছে।
এ বিষয়ে কথা হলে চিলমারী উপজেলার চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, ‘জাকির এমপি কোনো কাজ না করে সব টাকা তুলে নিছেন। এমপি যেসব প্রকল্প দেখিয়েছেন, তার কোনো কাজ করা হয়নি।’ তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবরও অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলজিইডির এক কর্মকর্তা নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, ‘এ প্রকল্পের বরাদ্দ পেয়ে এমপিরা মনে করেন এটা নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য সরকার দিয়েছে। সে জন্য তারা কাজ না করে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে টাকা তুলে নিচ্ছেন।’ তিনি আরও জানান, এ প্রকল্পে এমপিরা যে দুর্নীতি করেছেন, তার পরিমাণ প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।
নীলফামারী-১ আসনের জাফর ইকবাল সিদ্দিকি আমব্রেলা প্রকল্পের প্রায় ৭ কোটি টাকার কাজ করেছেন, আর বাকি টাকা তিনি তুরে নিযেছেন বলে স্থানীয় জনগণ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। নীলফামারী-৩ আসনের কাজী ফারুক কাদের, গাইবান্ধা-১ আসনের আব্দুল কাদের খানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করেছে।
গাইবান্ধা-২ আসনের মাহবুব আরা গিনি, চাঁপাইনবাগঞ্জ-৩ আসনের মোঃ আব্দুল ওদুদসহ অর্ধশতাধিক এমপি এ প্রকল্পের টাকা তুলে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
জয়পুরহাট-১ আসনের বিএনপিদলীয় সাংসদ মোজাহার আলী প্রধান অভিযোগ করে বলেন, বিরোধী দলের এমপিদের অনেক এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা ডিও লেটার দিয়ে থোক বরাদ্দের টাকা তুলছেন।
নাটোর-১ আসনের আবু তালহা নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, ‘এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ করতে হলে সরকারি দলের নেতাকমীদের ভাগ দিতে হয়। এ জন্য আমি আগেই তাদের কাজ দিয়ে আমার দায়িত্ব পার করেছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আগে এক কিলোমিটার রাস্তা পাকা করতে লাগত ২৫ লাখ টাকা, আর এখন লাগে ৫০ লাখ টাকা। সরকারের বরাদ্দকৃত ১৫ কোটি টাকার মধ্যে আমার আর অল্প কিছু টাকা রয়েছে।’
বগুড়া-৫ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান এ প্রকল্পের কাজ না করে প্রায় ১ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন বলে তার বিরুদ্ধে এলাকার সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ বিষযে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু আলম শহীদ খান কিছু অভিযোগ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেন।
প্রকল্পের পরিচালক (পিডি
ওয়াদুদ হোসেন নতুন বার্তা ডটকমকে জানান, আমব্রেলা প্রকল্পের জন্য চার হাজার ৬০০ কোটি টাকার বরাদ্দ ছিল। এর মধ্যে মাত্র ১২০০ কোটি টাকা বাকি ছিল; তাও এমপিদের প্রকল্পের বিপরীতে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ প্রকল্পের কাজ অনেক ভালো হয়েছে। প্রকল্পের কাজ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ দেখানো হয়েছে, তবে এর কাজ জুনের মধ্যে শেষ হবে।
???????? ????????? ??? ????? ???? ???? ????????? ???????? ?????? | national | natunbarta.com