What's new

Conspiracies-Fears prevailing every where, what really is about to occur?

Qamrul Islam
14 hrs ·
"Interim Government" proposal conveyed by Indian High Commissioner to Obaidul Kader
‘সহায়ক সরকার’-এর প্রস্তাব নিয়ে শ্রিংলা গিয়েছিলেন ওবায়দুলের কাছে?
Thu, Oct 26, 2017

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিএনপির দাবী ‘সহায়ক সরকার’ ইস্যু নিয়ে দূতিয়ালিতে নেমেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। গতকাল বুধবার সেতু ভবনে আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রি ওবায়দুল কাদেরর সঙ্গে এ নিয়ে সাক্ষাৎ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত শ্রিংলা সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ‘সহায়ক সরকার’ গঠনের আহবান জানান। এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন সংবিধানের আওতায় অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আগে সংবিধান সংশোধনের কোনো সম্ভাবনা নেই। বিএনপি আগামী নির্বাচনে টুথার্ড মেজরিটি নিয়ে ক্ষমতায় আসুক, এবং সংবিধান সংশোধন করুক।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, গণতন্ত্রের প্রশ্নে বিএনপির সঙ্গে একমত আওয়ামী লীগ। সংসদ ভেঙে দিয়ে সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে কোনো বিদেশী শক্তির ওপর ভরসা না করে রাজপথে সমাধান খুঁজতে চাইছে বিএনপি। বিএনপি নেতাদের এ কথার সঙ্গে একমত আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন: বিএনপি যদি এ কথা বলে থাকে; তাহলে বিএনপির সঙ্গে আমরা পুরোপুরি একমত! আমাদের গণতন্ত্র আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। বাইরের কোন শক্তি এসে আমাদেরকে গণতন্ত্র দিতে পারবে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরের পরে মূলত দুটি বিষয় নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রিংলা কাজ করছেন। সহায়ক সরকার গঠন, এবং বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে মেয়াদপুর্তির আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠান। যদিও ঢাকার সরকারপন্থী কিছু কিছু মিডিয়া প্রচার করছে, সুষমা সুষ্ঠু নির্বাচনে রাজী হলেও সহায়ক সরকার বিষয়ে একমত হননি। কিন্তু এসকল খবর অসত্য এবং বানোয়াট। সুত্রটি জানায়, হাইকমিশনার ‘সহায়ক সরকার’এর প্রস্তাব না দিলে ওবায়দুল কাদের এ নিয়ে কথা বলার কথা নয়। অন্যদিকে একই দিনে আওয়ামীলীগের অন্যতম নীতিনির্ধারক মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, কেয়ারটেকার নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ নাই।

safe_image.php

সহায়ক সরকার’-এর প্রস্তাব নিয়ে শ্রিংলা গিয়ে
এখানে দেখুন
BDPOLITICO.COM
 
.
Rumors everywhere,153 MP's Illegal as per CJ's Verdict of 22 August 2017
সর্বত্রই গুজব, ২২ আগস্টের রায়ে ১৫৩ এমপি অবৈধ!

23376164_1990648121183646_214256242611360676_n-660x330.jpg

THIKANA,New York,10 November 2017
সর্বত্র গুজব সিনহার ২২ আগস্টের রায়ে ১৫৩ এমপি অবৈধ!!

সর্বত্রই গুজব, ২২ আগস্টের রায়ে ১৫৩ এমপি অবৈধ!
Related Articles

Chief Justice Sinha to resign?
প্রধান বিচারপতি সিনহা পদত্যাগ করেছেন?

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা একটি a challenging verdict চাঞ্চল্যকর রায় দিয়েছেন বলে বিভিন্ন দিক থেকে Rumors are everywhere গুজব শোনা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, that on 22 August CJ convened a Court at his residence, where a verdict was pronunced ২২ আগস্ট প্রধান বিচারপতি তার বাসভবনে আদালত বসিয়ে একটি রায় দিয়েছেন। বলা হয়েছে, তিনি যে আপিল বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে রায় দিয়েছেন, সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, where he stated that the verdict will be annonced publicly, only after its implimentation এই রায় কার্যকর ও বাস্তবায়নের আগে প্রকাশ করা হবে না।

As the Country could face chaos and indiscipline দেশে বিশৃঙ্খলা হতে পারে এমন আশঙ্কা করা হয়েছে। ওই রায়ে 153 MP's were decleared as illegal ১৫৩ জন এমপিকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়েছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে রায়টি কার্যকর করার জন্য বলা হয়েছে।
সেখানে বর্তমান সরকারের অধীনে নয়, and the next elections will be held under a caretaker administration after dissolution of the present parliment and introduction of the caretaker system বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে আগামী দিনের নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার-পদ্ধতি ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে।


তবে ওই রায়ের ব্যাপারে এখনো the government is silent on this issue সরকারের কেউ মুখ খুলছেন না। কেউ কেউ মনে করছেন, আওয়ামী লীগের সাজানো বাগান তছনছ করে দিয়েছেন ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। those MP's who all were decleared as MP's without contesting any elections তিনি বর্তমান সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ১৫৩ জন সংসদ সদস্যকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন। ওই পদ্ধতিতে নির্বাচিত হওয়াকে অবৈধ ঘোষণা করে এক রায় দিয়েছেন বলে বিভিন্ন মহল থেকে খবর আসছে। আর এই রায় বিশেষভাবে দেওয়া হয়েছে এমন খবরও আসছে।

১ আগস্ট in August after the 16th ammendment was rejected by the Supreme Court ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া রায়ের পর সরকার তাকে ইমপিচমেন্ট করতে যাচ্ছে ও এ জন্য রাষ্ট্রপতি জরুরি সংসদ অধিবেশন ডেকেছেন the CJ ensured that he could not be impeached এমন খবর পেয়ে তিনিও নিজেকে যাতে সরকার ইমপিচমেন্ট করতে না পারে, সেই ব্যবস্থাও নেন। সংসদে যাতে এমপিরা কোনো ধরনের ব্যবস্থা প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারেন ও বিচারপতিদের বিরুদ্ধে এমপিরা ব্যবস্থা নিতে না পারেন, সেই জন্য ১৫৩ সংসদ সদস্যকে অবৈধ ঘোষণা করেন। শোনা যাচ্ছে, ওই রায় বাস্তবায়ন করার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছিল। ওই রায় প্রকাশ করা হয়নি দেশে বিশৃঙ্খলা হবে এমন আশঙ্কায়। ওই রায় কার্যকর করার ব্যাপারে কোর্ট আদেশ দিয়েছেন।

আর রায় কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্টদের সময় দেওয়া হয়েছে। রায় যাতে কার্যকর করার আগে প্রকাশ করা না হয়, এ জন্য একটি নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়। this verdict has made the government worried এই রায়ের বিষয়টি সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছে। সেই সঙ্গে রায় কার্যকর করার ব্যাপারে সরকার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। জানা গেছে, এখন ওই রায় বাতিলের নানা চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সিনহা কোনোভাবেই তাতে সম্মত ছিলেন না। এ কারণেই সিনহাকে আজকের পরিণতি বরণ করতে হয়েছে। তার ছুটি শেষ হবে ৯ নভেম্বর। তবে এর আগে তিনি দেশে ফিরতে পারবেন কি না তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

he can only return back to the country after reaching a compromise formula with the government কারণ তিনি সরকারের সঙ্গে আপস ও সমঝোতা করলেই তার ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে, আর না হলে তিনি দেশে ফিরতে পারবেন না। তিনি দেশে ফেরার পর ১২ নভেম্বর থেকে আদালতে ফিরে যেতে চান ও নিজের পদে দায়িত্ব নিতে চান এমনটাই শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সেটি তাকে দেওয়া হবে এমন কোনো আভাস মেলেনি।

আরও গুজব আসছে, প্রধান বিচারপতি দেশে ফেরার আগেই এ ব্যাপারে সরকার যা করার করতে চাইছে। এ অবস্থায় ৫ নভেম্বর রাতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতিগণ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছেন। দেখা করে তারা সুপ্রিম কোর্টের সামগ্রিক কার্যক্রমের অগ্রগতি ও বিচার বিভাগের বিভিন্ন অবস্থা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি সিনহা দেশে ফিরে আসার পর তার ব্যাপারে কী করা হবে, সেই বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।

কারণ তার ব্যাপারে সরকারের মনোভাব নেতিবাচক। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। তিনি যাতে দায়িত্ব নিতে না পারেন, সেটা ছাড়া তারা এর কোনো বিকল্প ভাবছেন না। যদিও এখনো এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রী, আইনসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের তরফ থেকে কথা বলা হয়নি। তবে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে 11 specific charges have been framed against CJ Sinha ১১টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এর আগে সবাইকে জানানো হয়েছে। এতে করে সিনহার ব্যাপারে পুরোপুরি নেতিবাচক মনোভাব যাতে সবার মধ্যে তৈরি হয়, সেই চেষ্টা করা হয়েছে।
under these circumstances CJ Sinha just cannot return back to the country is confirmed এ অবস্থায় তিনি তার পদে ফিরতে পারছেন না, এমনটাই নিশ্চিত।

এই অবস্থায় under these circmstances, finally if the 153 MP's are decleared as legal through a verdict শেষ পর্যন্ত সিনহা যদি ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে যে রায় দিয়েছেন, ওই রায় বাতিল করলেই কেবল তা সম্ভব হবে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, it was learnt that the CJ will not willing to reach any understanding on these isses সিনহা সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের সমঝোতায় যেতে রাজি নন।

তার মতে, ১৫৩ জন যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, সেই নির্বাচিত ব্যক্তিরা অবৈধভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের সরানো হবে এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে রায়ে যে রকম নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, the government must abide by the verdict as prounced earlier সেভাবে কাজ করা হবে। তিনি এর বাইরে সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতা করতে রাজি নন। তাতে তার যা-ই হোক না কেন, তিনি নিজেকে নিয়ে ও তার he is not interested to return back to his job চাকরিতে ফিরে যাওয়ার জন্য উদ্গ্রীব নন। তবে তিনি তার কাজগুলো যাতে বাস্তবায়ন করা হয় এবং এ ব্যাপারে তার যারা সহকর্মী ছিলেন, তারা ঐক্যবদ্ধ থাকেন সেটাই চাইছেন।

এদিকে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৪৭টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। Under these conditions if the 153 MP's are illegal, then the BAL government will be only be left with 105 elected MP's,which is not sufficient or possible to run the parliment এর বাইরে ১৫৩ আসনে এর আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হন।

যে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে 129 from BAL,20 from JP আওয়ামী লীগের ১২৯ জন, জাতীয় পার্টির ২০ জন, জাতীয় পার্টি জেপির ১ জন এবং জাসদ থেকে ৩ জনসহ মোট ১৫৩ জন রয়েছেন। এরপর বাকি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ সব মিলিয়ে ২৩৪, জাতীয় পার্টি ৩৪, ওয়ার্কার্স পার্টি ৬, জাসদ ৫, তরিকত ফেডারেশন ২, জাতীয় পার্টি জেপি ২, বিএনএফ ১, স্বতন্ত্র ১৬ জন।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যারা নির্বাচিত হয়েছেন,
এর মধ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ অনেক ডাকসাইটে ও প্রভাবশালী মন্ত্রী ও এমপিরা রয়েছেন। রায় কার্যকর করলে ওই সব মন্ত্রী আর সংসদ সদস্য থাকতে পারবেন না।

সেই সঙ্গে সরকার গঠন করার জন্য যে ৩০০ আসনের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্য সরকারি দলের থাকতে হবে, সেটাও থাকবে না। কারণ ১২৯ জন যারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন তাদের বাদ দিলে আওয়ামী লীগের হাতে থাকে কেবল ১০৫ জন সংসদ সদস্য। এই ১০৫ জন দিয়ে সংসদ চলবে না। ফলে সরকার গঠন করার জন্য যে যোগ্যতা, সেটাই থাকবে না আওয়ামী লীগের। এ কারণে ১৫৩ জনকে বাদ দিলে বাকিরা থেকেও সরকার রাখতে পারবেন না। the parliment has to be dissolved, as there will be no other alternatives সেই ক্ষেত্রে সরকার ভেঙে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

তবে যেটি হতে পারে, সেটি হলো বর্তমান সরকার তাদের পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়ে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে পারে। নাম যেটাই দিক না কেন, ওই সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে নতুন করে। সে জন্য ওই সরকার তেমন কোনো সময় পাবে না। কারণ সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে। সেই হিসাবে যেদিনই রায় কার্যকর করা হবে, সেই রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে নতুন সরকারের হাতে দায়িত্ব দিতে হবে। আর ওই সরকারের অধীনে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন হতে হবে।

সে ক্ষেত্রে ২০১৯ সালে যে আওয়ামী লীগ নির্বাচন করার কথা এত দিন ধরে বলে আসছিল, সেটা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। ২০১৮ সালের প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে হবে।
THE CONSTITUTION OF BANGLADESH
সংবিধানের চতুর্থ ভাগে নির্বাহী বিভাগের EXECUTIVE BRANCH, PM,CABINET ২য় পরিচ্ছেদে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার বিষয়ে বলা হয়েছে :
৫৬। (১) একজন প্রধানমন্ত্রী থাকিবেন এবং প্রধানমন্ত্রী যেরূপ নির্ধারণ করিবেন, সেইরূপ অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকিবেন।
(২) প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদিগকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দান করিবেন; তবে শর্ত থাকে যে, তাঁহাদের সংখ্যার অন্যূন নয়-দশমাংশ সংসদ সদস্যগণের মধ্য হইতে নিযুক্ত হইবেন এবং অনধিক এক-দশমাংশ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে মনোনীত হইতে পারিবেন।
(৩) যে সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন বলিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হইবেন, রাষ্ট্রপতি তাঁহাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করিবেন।
(৪) সংসদ ভাঙিয়া যাওয়া এবং সংসদ সদস্যদের অব্যবহিত পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্যবর্তীকালে এই অনুচ্ছেদের
(২) বা (৩) দফার অধীন নিয়োগদানের প্রয়োজন দেখা দিলে সংসদ ভাঙিয়া যাইবার অব্যবহিত পূর্বে যাঁহারা সংসদ সদস্য ছিলেন, এই দফার উদ্দেশ্য সাধনকল্পে তাঁহারা সদস্যরূপে বহাল রহিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।

সংবিধানের পঞ্চম ভাগে আইনসভা LEGISLATIVE বিষয়ে ১ম পরিচ্ছেদ সংসদ বিষয়ে বলা হয়েছে, সংসদ-প্রতিষ্ঠা
৬৫। (১) ‘জাতীয় সংসদ’ নামে বাংলাদেশের একটি সংসদ থাকিবে এবং এই সংবিধানের বিধানাবলী সাপেক্ষে প্রজাতন্ত্রের আইনপ্রণয়ন-ক্ষমতা সংসদের ওপর ন্যস্ত হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, সংসদের আইন দ্বারা যে কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন বা আইনগত কার্যকরতাসম্পন্ন অন্যান্য চুক্তিপত্র প্রণয়নের ক্ষমতার্পণ হইতে এই দফার কোনো কিছুই সংসদকে নিবৃত্ত করিবে না।
(২) একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাসমূহ হইতে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচিত তিন শত সদস্য লইয়া এবং এই অনুচ্ছেদের
(৩) দফার কার্যকরতাকালে উক্ত দফায় বর্ণিত সদস্যদিগকে লইয়া সংসদ গঠিত হইবে; সদস্যগণ সংসদ সদস্য বলিয়া অভিহিত হইবেন।
১(৩) সংবিধান (চতুর্দশ সংশোধন) আইন, ২০০৪ প্রবর্তনকালে বিদ্যমান সংসদের অব্যবহিত পরবর্তী সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে শুরু করিয়া দশ বৎসরকাল অতিবাহিত হইবার অব্যবহিত পরবর্তীকালে সংসদ ভাঙিয়া না যাওয়া পর্যন্ত
(১) [পঞ্চাশটি আসন] কেবল মহিলা সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকিবে এবং তাঁহারা আইনানুযায়ী পূর্বোক্ত সদস্যদের দ্বারা সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির ভিত্তিতে একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হইবেন। তবে শর্ত থাকে যে, এই দফার কোনো কিছুই এই অনুচ্ছেদের
(২) দফার অধীন কোনো আসনে কোনো মহিলার নির্বাচন নিবৃত্ত করিবে না]
৩ [(৩ক) সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ প্রবর্তনকালে বিদ্যমান সংসদের অবশিষ্ট মেয়াদে এই অনুচ্ছেদের
(২) দফায় বর্ণিত প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত তিন শত সদস্য এবং
(৩) দফায় বর্ণিত পঞ্চাশ মহিলা সদস্য লইয়া সংসদ গঠিত হইবে।]
(৪) রাজধানীতে সংসদের আসন থাকিবে।

চতুর্থ ভাগ এর নির্বাহী বিভাগের ২য় পরিচ্ছেদ PM AND CABINET TENURE প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ সম্পর্কে বলা হয়েছে ৫৭।
(১) প্রধানমন্ত্রীর পদ শূন্য হইবে, যদি
(ক) তিনি কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন; অথবা
(খ) তিনি সংসদ সদস্য না থাকেন।
(২) সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন হারাইলে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করিবেন কিংবা সংসদ ভাঙিয়া দিবার জন্য লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শদান করিবেন এবং তিনি অনুরূপ পরামর্শদান করিলে রাষ্ট্রপতি, অন্য কোনো সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন নহেন এই মর্মে সন্তুষ্ট হইলে, সংসদ ভাঙিয়া দিবেন।
(৩) প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্বীয় পদে বহাল থাকিতে এই অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই অযোগ্য করিবে না। জানা গেছে, সংবিধানের যে বিধান আছে, সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন হারাইলে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করিবেন কিংবা সংসদ ভাঙিয়া দিবার জন্য লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শদান করিবেন এবং তিনি অনুরূপ পরামর্শদান করিলে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভাঙিয়া দিবেন। শেষ পর্যন্ত ওই রায় কার্যকর করতে হলে তখন দেখা যাবে সংসদে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠর সমর্থন থাকবে না। আর তা না থাকলে বিকল্প সরকার গঠন করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

সূত্র জানায়, সিনহা এই ধরনের একটি রায় দিতে পারেন এমন খবর সরকারের কাছে আগেই ছিল। আর এ কারণে তাদের মধ্যে উদ্বেগও ছিল। তবে সরকার মনে করেছিল, এ ব্যাপারে সব ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে, যাতে করে তিনি ওই ধরনের রায় দিতে পারবেন না। the government was aware of thisearlier, however, beleived that such verdict was not possible by the appeleate division and was beyond thier imigination কিন্তু তিনি আপিল বিভাগকে নিয়ে এমন রায় দিতে পারেন এটা তাদের কল্পনার বাইরে ছিল।

তাই এই ধরনের একটি ঘটনা সরকারকে বিপাকে ফেলে দিয়েছে। এদিকে হঠাৎ করেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে সরকার ও আওয়ামী লীগের জন্য কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে। তারা যাকে মনে করেছিলেন প্রধান বিচারপতি হিসেবে সিনহা হবেন তাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত। তিনিই যে বেঁকে বসবেন এবং এমন পর্যায়ে যাবে সেটা আগে ভাগে জানতে পারেননি। তবে আইনমন্ত্রী ও আইনসচিব দুজন এক মতে চললেও তারা দুজনের কেউই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারেননি। এ কারণে তাদের বিরোধ সব সব সময়ই।

তিনজনের দ্বন্দ্বের কারণেও সরকারকে বিপাকে পড়তে হয়েছে। সরকারের একটি অংশ প্রধান বিচারপতির বিরোধিতা করে আসছে। এদিকে জানা গেছে, আগামী ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে জুডিশিয়াল কনফারেন্স। ওই কনফারেন্সে রাষ্ট্রপতিকে প্রধান অতিথি হওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ও অনুরোধ জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ওই অনুষ্ঠানে যাবেন কি না তা এখনো নিশ্চিত হয়নি।

প্রধান বিচারপতি যখন ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেন ও বাতিল করে দেন, তখনই তিনি জানতেন যে তার জন্য কঠিন সময় আসছে। তাকে ইমপিচমেন্ট করা হতে পারে, এমন খবরও জানতেন। এমনকি তাকে ইমপিচমেন্ট করার জন্য সংবিধানেও সংশোধনী আনা হতে পারে। সেসব দিক বিবেচনা করেই তিনি কাজ করেছেন। এখন তাকে ইমপিচমেন্ট করতে হলে ও সংবিধানে সংশোধনী আনতে হলে সেটা সম্ভব হবে না।

কারণ ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেওয়ার কারণে এখন ওইসব সংসদ সদস্যকে দিয়ে সরকার সংসদে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না। তাকে বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই সরকারের হাতে।

কিছু করতে হলে কেবল তার ব্যাপারে Supreme Judicial Council is only legal body empowered to take any actions against the CJ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছেই ফাইল পাঠানো যাবে। সেখান থেকেও তাকে সরানো সম্ভব হবে না। কারণ তিন মাসও তার মেয়াদ নেই। ৩১ জানুয়ারি তার মেয়াদ শেষ হবে। তিনি ওইদিন বিদায় নেবেন।

এছাড়া কোনো বিচারপতিও চান না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কিংবা অভিসংশন করুক। এ কারণে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া রায় আপিল বিভাগ সর্বসম্মতভাবেই দেন। রায়ের পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে নানা আলোচনা ও বিতর্ক, সমালোচনা হচ্ছে সেই ব্যাপারে সব বিচারপতি এক নন। কিন্তু সংসদ সদস্যরা তাদের অভিসংশন করবেন সেটা চাইছেন না।

জানা গেছে, প্রধান বিচারপতির ছুটি শেষ হবে আর দুই দিন পর। CJ's leave will be over in two days সেই হিসেবে তাকে হয় ছুটির মেয়াদ বাড়াতে হবে। আর না হয় দেশে ফিরতে হবে। তবে তিনি ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য এখনো আবেদন করেছেন বলে জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন না করলে তার বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে ছুটিতে থাকা ও অনিয়মের কারণে রাষ্ট্রপতি ব্যবস্থা নিতে পারেন। যদিও প্রধান বিচারপতি নিজেই নিজের ছুটি নিতে পারেন। কেবল তিনি রাষ্ট্রপতিকে তার ছুটিতে যাওয়ার বিষয়টি অবহিত করবেন। এখন তার পরিবর্তে অপর একজন বিচারপতি দায়িত্বে থাকার কারণে তিনি না জানালে সমস্যা হবে কি না, এটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও তিন দিন।

Weekly Thikana, New York, USA সাপ্তাহিক ঠিকানা, নিউ ইয়র্ক যুক্তরাষ্ট্র

http://monitorbd.news/2017/11/10/সর্বত্রই-গুজব-২২-আগস্টের/
 
Last edited:
.
01:17 PM, November 11, 2017 / LAST MODIFIED: 02:25 PM, November 11, 2017
SK Sinha resigns from chief justice post, says president’s press secretary
cj-1.jpg

Chief Justice Surendra Kumar Sinha has resigned, Joynal Abedin, press secretary to the president says. Star file photo
Star Online Report
Chief Justice Surendra Kumar Sinha has resigned from his office, Joynal Abedin, press secretary to the president, said today.
Read More: 11 'charges' against CJ
Now abroad, Justice Sinha sent the resignation letter to Bangabhaban, the official residence of President Abdul Hamid, this morning, press secretary Joynal Abedin told The Daily Star in the afternoon.
chief_justice_leave_confusion-wb.jpg

Reason behind his resignation could not be known yet as the press secretary could not give details of the contents in the letter or through whom it was sent.
Also read: 16th Amendment Hearing: Chief justice, AG trade heated words

Read: GOVT CRITICAL
Justice Sinha on health grounds went on leave from October 3, which expired yesterday.

While talking to The Daily Star around 1:00pm today, Law Minister Anisul Huq said he was yet to talk to the president over the issue.

Attorney General Mahbubey Alam told the correspondent that there is no provision of dismissing the resignation letter.

Until the president accepts the resignation, Justice SK Sinha will remain the chief justice, the AG said.

And if the president accepts the resignation, a new CJ will be appointed, he added.

Seeking anonymity, a close aide to the CJ told the correspondent yesterday that Justice Sinha left Singapore yesterday for Canada to see his ailing daughter. Sinha flew to Singapore from Australia for treatment on November 6.

The aide, however, could not say whether the CJ informed the government or the Supreme Court authorities about the date of his return.

Contacted, Attorney General Mahbubey Alam said he did not know whether the CJ extended his leave or where he is staying now.

According to a gazette notification issued by the law ministry on October 12, Justice Md Abdul Wahhab Miah, the most senior judge of the Appellate Division of the Supreme Court after Justice Sinha, will carry out the duties of the CJ till November 10 or until Sinha rejoins office.

Amid backlash from the ruling quarters over the SC verdict on the 16th amendment to the constitution, Sinha left for Australia on October 13 night, months before his retirement on January 31 next year.

The SC scrapped the amendment that empowered parliament to remove SC judges for incapacity or misconduct.

Before leaving the country, Sinha said he was not sick, contradicting the government claim that he went on leave on health grounds.

On October 14, a day after Sinha left for Australia, the SC said Sinha is facing 11 charges, including money laundering and corruption.
On the same day, the attorney general said Sinha's rejoining the office of the CJ after his return from abroad is “a far cry.”
http://www.thedailystar.net/politics/chief-justice-cj-surendra-kumar-sinha-resigns-1489639
 
.
"Did Not Resign"Government to be Illegal by December
“পদত্যাগ করিনি” ডিসেম্বরে অবৈধ হয়ে যাচ্ছে সরকার: সিনহা
November 29, 2017
wp-1511960555639-663708699.jpg

গত ১০ নভেম্বর শেখ হাসিনা সরকার সাড়ম্বরে ঘোষণা করে, প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ দূতাবাসে পদত্যাগ করেছেন। পরের দিন বঙ্গভবনের প্রেস সচিবের সূত্রের বরাতে গণমা্ধ্যমে প্রকাশ করে, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিচারপতি সিনহার পদত্যাগপত্র গ্রহন করেছেন।

এরপরে পার হয়ে গেছে তিন সপ্তাহ, কিন্তু প্রধান বিচারপতির পদত্যাগপত্র গ্রহনের অফিসিয়াল কোনো ঘোষণা আসেনি। প্রধান বিচারপতির পদ শূণ্য ঘোষণা করা হয়নি। নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের কোনো প্রকৃয়া গ্রহন করেননি রাষ্ট্রপতি।

মোট কথা, বিষয়টি নিয়ে জনগন অন্ধকারে আছে। অবৈধ ঘোষিত সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করে দেশের মানুষকে ঘোলাপানি খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন।

তবে সরকারের নিরবতা পরিস্কার জানান দিচ্ছে, প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার কথিত পদত্যাগপত্র কার্যকর হয়নি। অর্থাৎ বিচারপতি সিনহা এখনও যথারীতি দেশের প্রধান বিচারপতি পদে বহাল আছেন। তবে সরকার সৃষ্ট জোর জুলুমের পরিস্থিতির কারনে তিনি দেশে ফিরতে পারছেন না বা দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।

এহেন অবস্থায় কানাডায় কন্যার কাছে অবস্থানরত প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়, এবং তাঁর ঘনিষ্ট একটি মাধ্যম থেকে জানা গেছে, সিনহা সাহেব জানিয়েছেন- তিনি পদত্যাগ করেননি।

পদত্যাগ করতে হলে রাষ্ট্রপতির সম্মুখে উপস্থিত হয়ে নিজ হস্তে লিখিত পত্র জমা দিতে হয়, অথবা দেশে এসে বিধিবদ্ধ পদ্ধতিতে পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ করলেই তা আইনসিদ্ধ হবে।

এছাড়া অন্য কোনো বাঁকা পথে পদত্যাগ সংক্রান্ত কোনো নাটক সৃষ্টি করা হলে, তা অবৈধ ও বাতিলযোগ্য হবে। বিচারপতি সিনহা এখনও দেশে ফিরতে চান, এবং তিনি চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন।

উল্লেখ্য, গত ১ আগস্ট আপিল বিভাগের ঘোষিত একটি পূর্নাঙ্গ লিখিত রায়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল ঘোষণার পর থেকে বর্তমান বিনাভোটের সরকার বিচারপতি সিনহার উপরে রুষ্ট হয়ে তাঁকে অপমান অপদস্ত করে, এমনকি সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করতে চাপ প্রয়োগ করেন।

সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে সেনাবাহিনীর এক অতিউৎসাহী মেজর জেনারেল আকবর বিচারপতি সিনহার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে এক মাসের ছুটির কাগজে সাক্ষর নেন। এরপরে বিচারপতি সিনহাকে দু’সপ্তাহ কৌশলে গৃহবন্দী রেখে নানাবিধ কৌশল অবলম্বন করে অবশেষে সিনহাকে অষ্ট্রেলিয়া পাঠিয়ে দেয় সরকার।

যাবার কালে সিনহা সাহেব মিডিয়াকে বলে যান, তিনি পালিয়ে যাচ্ছেন না, বরং আবার ফিরে আসবেন। এর আগে বিচারপতি সিনহার দুই ঘনিষ্ট স্বজন এবং এক পারিবারিক বন্ধুকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা আটক করে তাদেরকে অত্যাচার ও চাপ দিয়ে সিনহার দুর্নীতির প্রমানাদি তৈরী করা হয়।

সম্মিলিত চাপ ও চাতুরতার কৌশল প্রয়োগ করে বিচারপতি সিনহাকে দেশের বাইরে চলে যেতে বাধ্য করে সরকার। জবরদস্তির ছুটি শেষে ১০ নভেম্বর তিনি দেশে ফিরতে চাইলে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসকে বাংলাদেশ সরকার থেকে জানানো হয়, সিনহাকে নিয়ে কোনো বিমান বাংলাদেশে নামতে দেয়া হবে না।

বাধ্য হয়ে সিনহার দেশে ফেরা আটকে যায়। অন্যদিকে সেনা গোয়েন্দা সংস্থার লোকের সিনহার ভাই ও তার স্ত্রীর ভাইকে আটকে রেখে তাদেরকে ক্রস ফায়ারে হত্যা করার চাপ দিয়ে সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত গোয়েন্দা সংস্থার সিনিয়র অফিসাররা সিনহার কাছ থেকে পদত্যাগপত্র নেয়ার কথা ঘোষণা করে।

তবে বিচারপতি সিনহা ভালো করেই জানেন, এভাবে পদত্যাগ করার কোনো সুযোগ নাই। তাছাড়া আপিল বিভাগে ঘোষিত ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পরে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ সংক্রান্ত সাংবিধানিক উপবিধি ৯৬(৪) এখন আর বহাল নাই। ফলে প্রধান বিচারপতির সিনহার পদত্যাগ করার আইনগত সুযোগ আপাতত নাই। এসব কারনে সরকারের কথিত পদত্যাগপত্রের গল্পটি বেকারে পরিণত হয়।

তাছাড়া, সরকার যেভাবে ভেবেছিল সিনহাকে অপসারনের পরে নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা যাবে, সেটিও সম্ভব হচ্ছে না। পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসাবে যিনি আসার কথা আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, তিনি আওয়ামী বান্ধব নন। ফলে বিপদ আরও বাড়বে বই কমবে না।

তাই নতু প্রধান বিচাপতি নিয়োগ করতে চান না সরকার। বরং ভারপ্রাপ্ত দিয়ে কোনোমতে ঠেকা কাজ চালানোর পথে চলছে সরকার ও রাষ্ট্রপতি। ষোড়শ সংশোধনীর রায় খুব দ্রুত রিভিউ করার কথা আগে বলা করা হলেও এখন এটর্নি জেনারেল বলছেন ভিন্ন কথা- নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ না করা পর্যন্ত রিভিউ করে লাভ হবে না।

এছাড়াও বিচারপতি সিনহার হাতে রয়েছে বেশ কয়েশ’ মামলার রায় লোর কাজ। সব কিছু মিলিয়ে বিচারপতি সিনহাকে আরও অনেকদিন অ্যাকটিভ দেখা যাবে। আর সে কারনেই সরকার সিনহার ইস্যুকে আপাতত ঢিলেমি দিয়ে সময় পার করার পথে হাটছে।

আগামী ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ সিনহার স্বাভাবিক অবসরের তারিখ। তবে ষোড়শ সংশোধনীর রায় প্রকাশ হওয়ার পরে অবসরের তারিখটি আমৃত্যুও গণনা করা যেতে পারে। এসব কারনে সিনহার ইস্যুটি একটি অসমাপ্ত ছোটগল্পে রূপ নিয়েছে। এর ভবিষ্যত কি হবে, তার জন্য আরও দু’মাস অপেক্ষা করতে হবে।

তবে সিনহার ভবিষ্যত নির্ভর করছে খুটির জোর ভারতের উপর। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের বাড়িতে গিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার অনিন্দ্র ব্যানার্জী। বিষয়টি অনেকের নজর কেড়েছে।

ইতোমধ্যে দেশবাসী অবহিত আছেন যে, বিচারপতি সিনহা এবং আপীল বিভাগের সকল বিচারপতিদের দেয়া আরেকটি রায়ে (২২ আগস্ট ২০১৭ তারিখের) বর্তমান সংসদের ১৫৪ এমপিকে অবৈধ ঘোষণা করেছে।

রায়টি প্রকাশের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা (গ্যাগ অর্ডার) দিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এটি কার্যকর হলে বর্তমান সংসদের সাথে সরকারও অবৈধ হয়ে যাবে।

রাষ্ট্রপতি ঐ রায়টি কার্যকর না করলেও আগামী মাসে (ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে) গ্যাগ অর্ডার আপনা আপনি উঠে যাবে। ফলে সংসদ ও সরকার অবৈধ হয়ে যাবে। নতুন সংকটে পড়বে দেশ।
bdpolitico

http://www.bdnetwork24.com/2017/11/29/17077/
 
. .
Back
Top Bottom