China Focus: Xi launches Belt and Road forum to map out new global vision
Source: Xinhua| 2017-05-14 16:04:32|Editor: Hou Qiang
Chinese President
Xi Jinping delivers a keynote speech at the opening ceremony of the Belt and Road Forum (BRF) for International Cooperation in Beijing, capital of China, May 14, 2017. (Xinhua/Wang Ye)
BEIJING, May 14 (Xinhua) -- World leaders gathered in Beijing Sunday for the opening of the Belt and Road Forum for International Cooperation, to embrace a Chinese solution to stimulate global growth and promote prosperity for all.
Addressing the opening of the most prestigious international gathering China has ever launched, President
Xi Jinping said the Belt and Road Initiative is "a project of the century" that will benefit people across the world.
A total of 29 foreign heads of state and government leaders attended the forum, including
Russian President Vladimir
Putin.
Other delegates include officials, entrepreneurs, financiers and journalists from over 130 countries, and representatives of key international organizations, such as UN Secretary-General Antonio Guterres, World Bank President Jim Yong Kim, and Managing Director of the International Monetary Fund Christine Lagarde.
The two-day forum, which also features a round-table summit of global leaders on Monday, is one of the highest-level assemblies in today's world.
At its center is Xi's grand plan to better combine the rapidly expanding Chinese economy with the development of Asia, Europe, Africa and beyond.
Named after the historic Silk Road, the Belt and Road Initiative was proposed by Xi in 2013 to chart out new territories for international cooperation.
"Spanning thousands of miles and years, the ancient silk routes embody the spirit of peace and cooperation, openness and inclusiveness, mutual learning and mutual benefit," Xi told an audience of more than 1,500.
"The Silk Road spirit has become a great heritage of human civilization," he said.
By linking countries and regions that account for about 60 percent of the world's population and 30 percent of global
GDP, the initiative is a perfect example of China sharing its own wisdom and solutions for global growth and governance.
"The pursuit of this initiative is based on extensive consultation and its benefits will be shared by us all," Xi said.
All countries, from either Asia, Europe, Africa or the Americas, can be international cooperation partners of the Belt and Road Initiative, he said.
Xi noted that the humankind has reached an age of great progress, great transformation and profound changes, while the world is fraught with challenges.
Global growth requires new drivers, development needs to be more inclusive and balanced, and the gap between the rich and the poor needs to be narrowed.
Hotspots in some regions are causing instability and terrorism is rampant. Deficit in peace, development and governance poses a daunting challenge to mankind. "This is the issue that has always been on my mind," he said.
With the Belt and Road Initiative, China wants to turn the legends of the ancient Silk Road into a modern story of inclusive growth and cross-continental cooperation.
"The Belt and Road Initiative is rooted in a shared vision for global development," UN Secretary-General Antonio Guterres said at the forum's opening.
"Running through Asia, Europe and Africa and extended to the whole world, it is far-reaching in geography and in ambition," he said.
Earlier this week,
White House spokesperson Sean Spicer said the
United States will continue to work with China under the Belt and Road Initiative. "It's a major trade initiative," he said.
Over the next two days, world leaders will immerse themselves in the early fruits of the initiative: over 40 countries and international organizations have signed agreements with China on Belt and Road cooperation; total trade between China and other Belt and Road countries has exceeded 3 trillion U.S. dollars between 2014 and 2016; and Chinese investment in these countries has surpassed 50 billion dollars.
Chinese companies have set up 56 economic cooperation zones in over 20 countries, generating some 1.1 billion dollars of tax revenue and 180,000 local jobs.
A multi-dimensional infrastructure network is taking shape, one that is underpinned by economic corridors, featuring land-sea-air transportation routes and information expressway, and supported by major railway, port and pipeline projects.
But more importantly, the leaders will also work to identify future cooperation areas, and seek ways to advance policy coordination, facilities connectivity, unimpeded trade, financial integration, and people-to-people exchanges between nations.
At Sunday's forum, Xi proposed that the Belt and Road should be built into a road of peace, prosperity, opening up as well as innovation, and one that connects different civilizations.
He announced that China will contribute an additional 100 billion yuan (about 14.5 billion U.S. dollars) to the Silk Road Fund to scale up financing support for the Belt and Road Initiative.
To provide more funding for Belt and Road cooperation, China will also encourage financial institutions to conduct overseas RMB fund business with an estimated amount of about 300 billion yuan.
Special lending schemes worth 380 billion yuan equivalent will be set up to support cooperation on infrastructure, industrial capacity and financing, in addition to assistance worth 60 billion yuan for developing countries and international organizations participating in the initiative to improve people's well-being over the next three years.
"The forum shows the world how far China has come towards its dream of national rejuvenation," said Zheng Yongnian, director of the East Asian Institute at the National University of Singapore.
"It has once again put China on center stage," he said.
বিচ্ছিন্ন ভারত, বাকি এশিয়া যোগ দিলো চীনের ওবিওআর উদ্যোগে
পি কে বালাচন্দ্রন, মে ১৫, ২০১৭
ওবিওআর-সংশ্লিষ্ট এমওইউ স্বাক্ষরের পর নেপালের পররাষ্ট্র সচিব এসডি বৈরাগি ও চীনের রাষ্ট্রদূত ইউ হং
‘সার্বভৌমত্বের’ প্রশ্ন তুলে চীনের বহু কোটি ডলার ব্যয়ে একাধিক মহাদেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের ‘এক অঞ্চল এক সড়ক’ (ওবিওআর) প্রকল্পের অংশীদার হওয়ার আমন্ত্রণ থেকে দূরে সরে থেকে ভারত নিজেকে বাকি এশিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। এমনকি দক্ষিণ এশিয়ায় যেসব নিকট প্রতিবেশীর ওপর একচেটিয়া প্রভাব রয়েছে বলে দিল্লি দাবি করে সেসব দেশও তার সঙ্গে নেই।
ভারতের ‘সামন্ত রাজ্য’ ভুটান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সব কটি দেশ বেইজিংয়ের উপকণ্ঠ ইয়াংকুই লাকে’তে ১৪-১৫ মে অনুষ্ঠিত ওবিওআর সম্মেলনে অংশ নেয়।
ওবিওআর-এ ২০১৪ সালে যোগ দেয় মালদ্বীপ। বাংলাদেশ এর সঙ্গে চুক্তি সই করে ২০১৬ সালে। ২০১০ সালে হামবানতোতা বন্দর নির্মাণ শুরু হওয়ার পর শ্রীলংকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওবিওআর-এর অংশে পরিণত হয়। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) নির্মাণের কারণে পাকিস্তানও তাই। আর এ মাসেই চীনের সঙ্গে ওবিওআর কাঠামোগত চুক্তি সই করেছে নেপাল।
এমনকি জাপান, ভিয়েতনামের মতো যেসব দেশ চীনের আধিপত্যবাদি প্রবণতা নিয়ে অভিযোগ করে আসছে তারা উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সম্মেলনে পাঠিয়েছে। চীন-বিরোধী ট্রাম্প প্রশাসনও উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠায়। এতে নেতৃত্ব দেন হোয়াইট হাউজের উপদেষ্টা ম্যাট পটিনজার। নেপাল থেকে গিয়েছেন উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী কৃষ্ণ বাহাদুর মহররা। আর প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমসিঙ্ঘে ও কৌশলগত উন্নয়নমন্ত্রী মালিক সামারাবিক্রমা বৈঠকে শ্রীলংকার প্রতিনিধিত্ব করেন।
দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্বের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে চীন অনেক দিন থেকেই পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের সার্বভৌমত্বের মতো রাজনৈতিক ইস্যুগুলো একপাশে সরিয়ে রেখে ওবিওআর-এ যোগ দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে।
সম্প্রতি নেপালের কাঠমান্ডু পোস্ট পত্রিকায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘সাউথ, সাউথ ইস্ট এশিয়ান এন্ড ওশানিক স্টাডিজ ইন্সটিটিউট’র পরিচালক প্রফেসর হু শিশেং বলেছে, ওবিওআর-এ যোগ দিতে ভারতের কোন অসুবিধা থাকা উচিত নয়। কারণ, তারা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল (বিবিআইএন) উদ্যোগ ও বে-অব-বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকনমিক কোঅপারেশন (বিমসেটক)’র মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কানেকটিভিটি গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় যোগ দিয়েছে।
ওবিওআর সম্মেলনে এসেছেন রানিল বিক্রমসিঙ্ঘে
প্রফেসর হু বলেন, নয়াদিল্লি মানুক আর না মানুক ভারত স্বাভাবিকভাবেই ওবিওআর উদ্যোগের অংশে পরিণত হবে।
তবে, চীনা বিশেষজ্ঞের আশঙ্কা যে পাকিস্তান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার বাকি দেশগুলোকে ওবিওআর-র যোগ না দেয়ার ব্যাপারে ভারত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আর ভারতের চাপ বা ‘উপদ্রব’ সামাল দেয়ার ক্ষমতা এসব দেশের নেই।
গত ২৫ এপ্রিল শ্রীলংকার সঙ্গে ভারত যে বিস্তৃত পরিসরে এমওইউ সই করেছে সেগুলো এই চাপ কৌশলের অংশ হতে পারে। এমওইউ’তে উল্লেখিত প্রতিটি প্রকল্প বেধে দেয়া সময়সীমার মধ্যে শেষ করা হবে। এগুলোর আওতায় সড়ক, রেলপথ, বন্দর উন্নয়ন, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং শিল্প ও অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠার কথা রয়েছে।
বিশ্বের ৬৮টি দেশে চীনের ওবিওআর ঠিক এই জিনিসগুলোরই প্রস্তাব করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৪ মে বেইজিংয়ের সম্মেলনে ২৮টি দেশ অংশ নেয়।
তবে, ২৫ এপ্রিল এমওইউ সই এবং ১১-১২ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শ্রীলংকা সফর সত্ত্বেও ওবিওআর সম্মেলনে যোগদান করেন প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমসিঙ্ঘে।
নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি সফরের পর ভারত ক্ষুব্ধ হবে এমন আশঙ্কা এক পাশে ঠেলে দিয়ে বাংলাদেশও সম্মেলনে একটি প্রতিনিধি দল পাঠায়।
দক্ষিণ এশিয়ার এসব দেশ তাদের অবকাঠামো ও সেবা জোরদারের জন্য চীনের আর্থিক, শিল্পসংশ্লিষ্ট ও প্রযুক্তি সম্পদকে কাজে লাগাতে আগ্রহী। কিন্তু এমন এক অঞ্চলের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ভারত ওই উদ্যোগের বাইরে যে অঞ্চলের ওপর ১৯৪৭ সালের আগ পর্যন্ত তার কোন নিয়ন্ত্রণ ছিলো না।
ওবিওআর বিরোধিতায় ভারতের একটি কারণ হলো ‘সিপিইসি’ গিলগিট-বাল্টিস্তান অঞ্চলের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে। এই অঞ্চলটি কাশ্মিরের অংশ এবং ১৯৪৭ সালে তা পাকিস্তান অধিকার করে। ভারতের আশঙ্কা ওবিওআর সফল হলে তার প্রতিবেশী দেশগুলো অর্থনৈতিক সহায়তা, বিনিয়োগ ও নিরাপত্তার জন্য দিল্লিকে উপেক্ষা করে চীনের দিকে তাকিয়ে থাকবে। তখন দক্ষিণ এশিয়ায় তার আধিপত্যের অবসান ঘটতে পারে।
কিন্তু, ভারত বুঝতে পারছে না যে অনেক অভিন্ন বৈশিষ্ট্য, সাংস্কৃতিক ঐক্য, সংহতি ও অভিন্ন ইতিহাস থাকার পরও দক্ষিণ এশিয়ার কোন প্রতিবেশীর সঙ্গেই তার সম্পর্ক খুব একটা ভালো নেই। ভারতকে সম্প্রসারণবাদি, অন্যের বিষয়ে নাক গলানো ও দাম্ভিক বলে মনে করা হয়। এমনকি দেশটি যেসব প্রকল্পকে সবার মঙ্গলের জন্য নেয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করে সেগুলোকেও সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা হয়।
তাছাড়া, ক্ষিপ্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের এই যুগে যখন প্রতিটি দেশ তার অর্থনীতি ও অবকাঠামো উন্নয়নের চিন্তায় ব্যস্ত, হন্যে হয়ে আর্থিক সহায়তা ও কারিগরি বিশেষজ্ঞজ্ঞান খুঁজছে, তখন চীন এগুলো দিতে পারছে, ভারত কিন্তু পারছে না। সংখ্যা ও মান দু’দিক দিয়েই অবকাঠামোর ক্ষেত্রে ভারতের নিজেরই ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। আর, অর্থনীতির ক্ষেত্রে চীনের চেয়ে অন্তত ১৩ বছর পেছনে ভারত — নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লিও জাওহি সম্প্রতি এ মন্তব্য করেছেন।
ওবিওআর সম্মেলনে এমওইউ সই দেখছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও তার চীনা প্রতিপক্স লি কেকুইং
ওবিওআর-এর সহায়তা বাড়িয়ে দিয়েছে চীন
চীন ওবিওআর-এ বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে বলে সিনহুয়ার এক খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রকল্পে আরো ১৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করবে দেশটি। ওবিওআর-এর বিভিন্ন প্রকল্পে চায়না ডেভলপমেন্ট ব্যাংক ও চায়না এক্সিম ব্যাংক ৫৫.১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে। তারা দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা প্রকল্পগুলোতে ১ বিলিয়ন ডলার; ওবিওআর প্রকল্পে জড়িত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ১ বিলিয়ন ডলার দেবে। এছাড়া জরুরি খাদ্যত্রাণের জন্য ২৯০ মিলিয়ন ডলার ও সামাজিক-সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর জন্য ৮.৭ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে।
২০১৩ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই ওবিওআর ধারণা প্রকাশ করেন। একবিংশ শতকের মেরিটাইম সিল্ক রোড ও প্রাচীন সিল্ক রোড অর্থনৈতিক অঞ্চলের সমন্বয়ে এই ওবিওআর উদ্যোগ। এই ধারণার পেছনে নিশ্চিতভাবে রাজনৈতিক ও কৌশলগত প্রভাব বিস্তারের চিন্তাটি চীনের মনে থাকবে। নিজ দেশে সব উন্নয়ন কার্য শেষ হওয়ার পর যে অতিরিক্ত শিল্পোৎপাদন হবে তার জন্য বাজার সৃষ্টি জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই বিশ্বের বিভিন্ন অংশের যেসব দেশ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানে নিজের অতিরিক্ত সামর্থ্য কাজে লাগাতে চাচ্ছে চীন। স্পষ্টতই এটা পরস্পরের জন্য অধিকতর সুফল বয়ে আনবে।
ভারতকেও চীনের প্রয়োজন
সম্প্রতি দি ওয়্যার ম্যাগাজিনের এক নিবন্ধে ভারতীয় সাংবাদিক প্রেম শঙ্কর জা বলেন, ভারত যোগ দিলেই কেবল ওবিওআর একটি লাভজনক উদ্যোগে পরিণত হবে। এশিয়ার অন্য সুফলভোগিরা না পারলেও কেবল ভারতই বড় বড় প্রকল্প ও বিপুল সংখ্যক ঠিকাদারি দিতে পারে। সম্ভবত ব্যাপক ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা কেবল ভারতেরই রয়েছে। অন্যদেশগুলোতে চীনের অনেক প্রকল্পই (শ্রীলংকার মতো) অকার্যকর সম্পদে পরিণত হতে পারে।
আর এ কারণেই এই প্রকল্পে ভারতকে নিতে চীন অব্যাহতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যায়। কিন্তু ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদি ও নয়াদিল্লির ক্ষমতাসীন মহল তাতে কোনরকম কর্ণপাত করেনি।
ঝা বলেন, “নিজের নাক কেটে চীনের যাত্রা ভঙ্গ করেছেন মোদি।”
মোদি দূরে থাকলেও কেউ বসে নেই
মোদি দূরে সরে থাকলেও পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও নেপাল ওবিওআর থেকে সুবিধা লাভের জন্য এগিয়ে গেছে। ইন্দুস রিভার ক্যাসকেড (আআরসি)-এর অংশে পাঁচটি বড় জলাধার নির্মাণের জন্য পাকিস্তান সবেমাত্র চীনের সঙ্গে এমওইউ সই করেছে। এসব জলাধার থেকে ৪০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। নিকট ভবিষ্যতে ২,২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে আইআরসি’র। আইআরসি’র এমওইউ’তে ৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। এটা সিপিইসি’র ৫০ বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত। কাশ্মিরের বিতর্কিত গিলগিট-বাল্টিস্তান অঞ্চলকে উদ্দেশ্য করেই যে এই এমওইউ স্বাক্ষর করা হয়েছে তা সবাই জানে।
বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুত কেন্দ্র, কর্নফুলি নদীর তলদেশ দিয়ে মাল্টি-লেন টানেল, পদ্মাসেতু ও ছয়টি জাহাজ সংগ্রহের মতো মেগাপ্রজেক্টগুলো ছাড়াও সম্প্রতি আরো ২৭টি চুক্তি করেছে। মালদ্বীপ তার রাজধানীর বিমানবন্দরের আরো উন্নয়নের জন্য চীনের তাহবিল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। এই বিমানবন্দর প্রথম নির্মাণ করে ভারতের একটি কোম্পানি।
ভারতের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষরের তিন সপ্তাহের মধ্যে গত শনিবার চীনের সঙ্গে একটি ব্যাপকভিত্তিক কাঠামোগত চুক্তি করে শ্রীলংকা। “আউটলাইন অব মিডিয়াম এন্ড লং-টার্ম ডেভলপমেন্ট প্লান ফর ইনভেস্টমেন্ট, ইকনমিক এন্ড টেকনলজিকাল কোঅপারেশন” শীর্ষক এই চুক্তিতে বহুসংখ্যক অগ্রাধিকার খাতের জন্য স্বচ্ছ আইনি ভিত্তি, প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশ ও অনুকূল বিনিয়োগ পরিস্থিতি তৈরির কথা বলা হয়েছে। এসব খাতের মধ্যে কৃষি, নির্মাণ, পরিবহন অবকাঠামো, গণপূর্ত, জ¦ালানি, বিদ্যুৎ, তথ্য যোগাযোগ, পর্যটন ও নগর নির্মাণ রয়েছে। আগামীতে গ্রহণ করা হবে এমন অনেকগুলো প্রকল্পের তালিকা রয়েছে এই এমওইউ’তে। এগুলো বর্তমানে চলমান ১.৪ বিলিয়ন ডলারের কলম্বো পোর্ট সিটি প্রকল্প ও ১.৪ বিলিয়ন ডলারের হামবানতোতা বন্দর উন্নয়ন ও শিল্প প্রকল্পের অতিরিক্ত।