What's new

Bangladesh Islamist groups demand removal of sculpture from High Court

Actually the sculpture is symbol of law, social order and justice of ancient Greek or roman pagan.
And if it is in front of supreme court or parliament that is a great dishonor to islam because that can give such message that we are accepting such law.
It is a great dishonor no doubt
Which law does Bangladesh follow now,
Western or Islamic sharia?
And which law would you personally prefer.
 
Previously the symbol was an even weighing scale resembling equal justice for all.
 
evil.jpg

malu.jpg
 
সুলতানা কামালরা জ্ঞানী না পাপী, না বদমাস, আল্লাহ মালুম: শামীম ওসমান
175998_1.jpg


নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের এক জ্ঞানী মহিলা সুলতানা কামাল। এরা জ্ঞানী, না পাপী, না বদমাস, আল্লাহ মালুম। তিনি নাকি বলেছেন, হাইকোর্টের সামনে মূর্তি না থাকলে বাংলাদেশে মসজিদ থাকবে না। আরেকজন আছে রফিউর রাব্বি। তিনি বলেছেন, বিসমিল্লাহ সংবিধানের সঙ্গে যুক্ত করা হবে জানলে নাকি মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা যুদ্ধে যুদ্ধ করতো না

শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার ভূইগড় ঈদগাহ মাঠ ও কবরস্থান সম্প্রসারণের ভরাট প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ‘রাজনীতিতে এতো নাটক, এতো নোংরামি, অনেকে নির্বাচন করার জন্য নাটক করে। তাই এখন এসব নোংরা রাজনীতি আর ভালো লাগে না। আমি এখান থেকে ফিরে যেতে পারব কিনা সেটাই জানি না।

তাই বাকি জীবনটা আল্লাহকে রাজি খুশি করতে মানুষের উন্নয়ন করে যেতে চাই। কিন্তু আমি আগামীতে নির্বাচন করবো কি করবো না জানি না। আর রাজনীতি করতে ভালো লাগে না।’ অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. নাজিম উদ্দিন আহমেদ, কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক চান, দফতর সম্পাদক সালাউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
http://amar-bangladeshonline.com/সুলতানা-কামালরা-জ্ঞানী-ন/#.WTO2cWjfrIU

Supreme_court_of_bangladesh.gif
 
দেবী থেমিসের মূর্তি না সরালে, আমরাই আন্দোলনে নামতাম: চারুকলা ইনস্টিটিউটে
pro_nisar.jpg

দেবী থেমিসের মূর্তি না সরালে, আমরাই আন্দোলনে নামতাম: চারুকলা ইনস্টিটিউটে
staff reporter 19 hours ago
সুপ্রিমকোর্টের সামনে থেকে সরিয়ে নেয়া মৃণাল হকের ভাস্কর্যটির কোনো শিল্পমূল্য ছিল না এবং হেফাজতের আন্দোলনে না সরালেও শিল্পী সমাজই এটা সরানোর আন্দোলনে নামতেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের ডীন নিসার হোসেন।

তিনি বলেন, ‘কোনো জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন বা ঐতিহ্য তুলে ধরতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে ভাস্কর্য শিল্প। যার উদাহরণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনের অপরাজেয় বাংলা। যেখানে শিল্পী সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ তুলে ধরেছেন মুক্তিযুদ্ধে আপামর মানুষের অংশগ্রহণ এবং নারীর অবদান। যা শিল্পের সব মানদণ্ডেও উত্তীর্ণ।’

আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয় সুপ্রিমকোর্টের মূল প্রবেশ পথে মৃণাল হকের তৈরি ভাস্কর্যকে নিয়ে। ন্যায় বিচারের প্রতীক দাবি করা হলেও একে মূর্তি আখ্যা দিয়ে অপসারণের আন্দোলনে সাফল্য পেয়েছে হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি ইসলামী সংগঠন। ভাস্কর্যটি সরিয়ে বসানো হয়েছে অ্যানেক্স ভবনের সামনে।

হেফাজতের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলবে: সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট

এবার শিল্পী সমাজের পক্ষ থেকেই প্রশ্ন উঠেছে ভাস্কর্যটির শিল্পমান নিয়ে। ইসলামী সংগঠনগুলোর আন্দোলনে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের সামনে থেকে মৃনাল হকের একটি ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়ার পরও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে এই ভাস্করের ডজনখানেক শিল্পকর্ম। এত কাজ কিভাবে পেলেন মৃণাল হক? এমন প্রশ্ন করেন নিসার হোসেন।

তিনি আরও বলেন, ভাস্কর্যের শৈল্পিক দিক সম্পর্কে ততো জানে না সাধারণ মানুষ। তবে তা যেন হয় স্থানীয় সংস্কৃতি, ধর্মীয় আচার ও সামগ্রিক জীবন দর্শনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সেই তাগিদ সংশ্লিষ্টদের। আর তা করতে হবে এসব শিল্পের স্রষ্টাদেরকেই।
http://somoy.net/belunm/56002
 
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সমাবেশে লোক নেই; বক্তারা নিজেরাই ক্ষুব্ধ
sommilto_Hefajot.jpg

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সমাবেশে লোক নেই; বক্তারা নিজেরাই ক্ষুব্ধ
staff reporter 20 hours ago

হেফাজতে ইসলামের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন, ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদ করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এক রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু এতে উপস্থিতি স্বল্পতায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী আশরাফুল আলম বলেন, ‘হেফাজতের কথা বলছেন? তারা তো দৃশ্যমান। তাদের কর্ম সবই পত্রিকায় আসে। এরা ছাড়া অনেক ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী এ চিন্তা ধারণ করে। এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের মধ্যে কারা এসব প্রতিবাদে আসছে না, তাদের বিষয়েও নজর রাখুন।

তিনি বলেন, এই ধরনের সমাবেশে এই পরিমাণ জনসমাগমে সবাই সন্তুষ্ট হতে পারেন, আমি না।
শনিবার (৩ জুন) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যানারে অনুষ্ঠিত হয় এ সমাবেশ। এতে দেশের শীর্ষ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে রামেন্দু মজুমদার বলেন, আজকাল তো কিছু বলা যায় না। জুজু হয়ে গেছে, কেউ কিছু বললে তা ধর্মের বিরুদ্ধে বলা হয়। এদের প্রতিহত করা না গেলে নিজেদের কবর আমরা নিজেরাই খুঁড়ব।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যুতে দেশের আলেম ওলামা ও সুশীল শ্রেণির মধ্যে একটি দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। যদিও আলেমরা তাদের বিরোধিতা করে কিছু বলেননি বা করেননি। নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে কিছু বিষয়ে সরকারে কাছে দাবি জানানোর পাশাপাশি আন্দোলন করেছেন। কিন্তু তারা এসব বিষয়ে সরকারকে কিছু না বলে আলেম ওলামাকে গালাগাল দিচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে নাট্যকার মামুনুর রশীদ আলেমদের তেতুল হুজুর বলেও গালি দেন। বক্তাগণ হেফাজত বা ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আন্দোলন বিষয়ে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা ও ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, এরা সব সময় জনবিচ্ছিন্ন ছিল। এদের সমাবেশে মানুষের সাপোর্ট নেই বললেই চলে। সুতরাং এদের কথা শোনাটাও বাতুলতা।

http://somoy.net/bam-dholay/55991
 
Monday, June 5, 2017 4:29 am
minus.png
normal.png
plus.png
print.jpg

আমার বিরুদ্ধে কথা বলার আগে তারা পদত্যাগ করতে পারতেন: শেখ হাসিনা
22.jpg


ঢাকা: হেফাজতে ইসলাম ও সুপ্রিম কোর্টের সামনে ভাস্কর্য ইস্যুতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে সমালোচনাকারীদের কড়া জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাস্তবতা বিবেচনা না করে অনেক মন্ত্রী তার বিরুদ্ধে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এ সময় তার পাশে বসে থাকা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ছাড়াও রাশেদ খান মেনন ও আসাদুজ্জামান নূরের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কথা বলার আগে তারা পদত্যাগ করতে পারতেন।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘যারা হেফাজতের সঙ্গে সরকার হাত মিলিয়েছে, চেতনা গেল গেল বলে গলা ফাটাচ্ছেন; ৫ মে রাতে যখন হেফাজত শাপলা চত্বর দখল করেছিল তখন তারা কোথায় ছিলেন? তারা কী চেতনাবোধ থেকে সেদিন রাস্তায় নেমে এসেছিলেন।

ভাবতে পারেন আর কয়েক ঘণ্টা হেফাজতের দখলে থাকলে দেশের কী অবস্থা হতো। সেদিন আমি নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা থেকে যা যা করণীয় তা করে হেফাজতমুক্ত করেছিলাম। সবার মধ্যে আতঙ্ক ছিল কী হবে কী হবে? পরদিন অনেক মন্ত্রিসভার সদস্য ভয়ে সচিবালয়মুখীও হননি।’

তিনি এও বলেন, ভুলে গেলে চলবে না আমি সবার প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা। আমি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছি। তার স্বপ্ন বাস্তাবায়নই আমার একমাত্র লক্ষ্য। রবিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান শেষে প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে দুই সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
http://amar-bangladeshonline.com/আমার-বিরুদ্ধে-কথা-বলার-আগ/#.WTUND2jfrIU

18838952_220054445177902_6984489609373255965_n.jpg


Court dismisses case against Khushi Kabir for allegedly ‘slandering’ PM
Tribune Desk
Khushi-Kabir-690x450.jpg

Dhaka Tribune
Dhaka Metropolitan Magistrate SM Masud Zaman dismissed the case on Sunday due to lack of “specific allegations” against the accused.
A Dhaka court has dismissed a defamation case filed against human rights activist Khushi Kabir for allegedly giving a slogan “slandering” Prime Minister Sheikh Hasina during a procession organised by Gonojagoron Moncho, reports Bangla Tribune.

Dhaka Metropolitan Magistrate SM Masud Zaman dismissed the case on Sunday due to lack of “specific allegations” against the accused.

Earlier on Sunday, Haji Badal, a social worker from Chawkbazar, filed the case with Dhaka Chief Metropolitan Magistrate Court under section 500 of the penal code on charges of defaming the prime minister.

Badal said: “I respect Prime Minister Sheikh Hasina as much as my mother. I am mortified by the offensive slogan given against her.”

Two cases were filed against Imran H Sarker, spokesperson of Gonojagoron Moncho, in Dhaka and Gazipur based on the same allegations.

Also Read: Imran H Sarker sued in Dhaka, Gazipur

On May 31, the court summoned Imran H and cultural activist Sanatan Ullash for the defamation case filed against them for alleged “derogatory remarks about the prime minister”.

According to the case statement, a torch procession led by Imran H and Sanatan, was brought out at Shahbagh on May 28 protesting the removal of the statue of Lady Justice from the Supreme Court premises.

In this procession, they allegedly chanted defamatory slogans against the prime minister which was published in the media.

Meanwhile, Gazipur Jubo League Joint Convener Sumon Ahmed Shanto Babu filed another defamation case against Imran H, Sanatan Ullash and Nasir Uddin with a Gazipur court.

The accused were asked to appear before Gazipur court on October 15.

http://www.dhakatribune.com/banglad...famation-case-against-khushi-kabir-dismissed/
 
শূকরের মাংস, মদ আর গাঁজা খেয়ে যারা ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেন, তারা বিকারগ্রস্ত
313692_1.jpeg

05 Jun, 2017

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মকে অস্বীকার করা নয়। শূকরের মাংস, মদ ও গাঁজা খেয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা যারা বলেন, তারা পারভারটেড (বিকৃত, বিকারগ্রস্ত)।’

রোববার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান শেষে প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে দুই সংগঠনের নেতা ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

মতবিনিময়কালে তিনি হেফাজতে ইসলাম ও কওমি মাদরাসা নিয়ে চলমান বিতর্ক বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেন।

তিনি বলেন, ‘কওমি মাদরাসায় লাখ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। এতদিন তাদের শিক্ষাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর কথা চিন্তা না করে আমি থাকতে পারি না। তাই তাদের কাছে ডেকে কথা বলেছি, ছয়টি শিক্ষাবোর্ড গঠন করে দিয়েছি। দেশকে শতভাগ শিক্ষিত করতে হলে তাদের বাদ দেয়া সম্ভব না।’

http://www.newsinbd.net/newsdetail/detail/200/313692

হেফাজত ও ভাস্কর্য ইস্যুতে অবস্থান পরিষ্কার করলেন প্রধানমন্ত্রী
PM-BG220170604233018.jpg

হেফাজত ও ভাস্কর্য ইস্যুতে অবস্থান পরিষ্কার করলেন প্রধানমন্ত্রী
staff reporter 14 hours ago

হেফাজতে ইসলাম ও সুপ্রিম কোর্টের সামনে ভাস্কর্য ইস্যুতে সরকার তথা নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হেফাজত প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। হেফাজত কিংবা অন্য যেকোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আদর্শে ভিন্নতা ও মতবিরোধ থাকলেও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী (দেশের অভিভাবক) হিসেবে যা ভালো মনে করেছি তাই করেছি।’

রোববার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান শেষে প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে দুই সংগঠনের নেতা ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘কওমি মাদরাসায় লাখ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। এতদিন তাদের শিক্ষাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর কথা চিন্তা না করে আমি থাকতে পারি না। তাই তাদের কাছে ডেকে কথা বলেছি, ছয়টি শিক্ষাবোর্ড গঠন করে দিয়েছি। দেশকে শতভাগ শিক্ষিত করতে হলে তাদের বাদ দেয়া সম্ভব না।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা হেফাজতের সঙ্গে সরকার হাত মিলিয়েছে, চেতনা গেল গেল বলে গলা ফাটাচ্ছেন; ৫ মে রাতে যখন হেফাজত শাপলা চত্বর দখল করেছিল তখন তারা কোথায় ছিলেন? তারা কী চেতনাবোধ থেকে সেদিন রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। ভাবতে পারেন আর কয়েক ঘণ্টা হেফাজতের দখলে থাকলে দেশের কী অবস্থা হতো। সেদিন আমি নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা থেকে যা যা করণীয় তা করে হেফাজতমুক্ত করেছিলাম। সবার মধ্যে আতঙ্ক ছিল কী হবে কী হবে? পরদিন অনেক মন্ত্রিসভার সদস্য ভয়ে সচিবালয়মুখীও হননি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হেফাজত ইসলামের মুসল্লিদের ভুল বুঝিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা চালিয়েছিল বিএনপি। ৫ মে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের এনে জড়ো করে সরকার পতনের অপচেষ্টা চালিয়েছিল। ওদের বলা হয়েছিল ২শ’ গরু জবাই করে তাদের বিরিয়ানি খাওয়ানো হবে। ছোট ছোট কোমলমতি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সারাদিন একটি রুটি আর কলা খাইয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছিল।’

তিনি জানান, ওই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ও বর্তমানে দেশের মানুষের উন্নয়ন বিশেষ করে গ্রামের মানুষের ভাগ্যন্নোয়নের স্বার্থে তিনি হেফাজত ইসলামের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ভুল ভাঙিয়ে ওদের শিক্ষার সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের প্রতি ভুল ধারণা নিয়ে ওরা জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলালে দেশের কী অবস্থা হবে তা কি কেউ ভেবে দেখেছেন। তারা এখন জঙ্গি দমনে সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বক্তৃতা-বিবৃতি দিচ্ছেন। এ উদ্যোগকে যারা সহজভাবে নিতে পারেন না তারা কী চান।’

তিনি বলেন, ’৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশটা ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে চলে গিয়েছিল। বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় সেই অবস্থা থেকে দেশকে উন্নত করে অন্তত ৭০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল ঠিক করা গেছে।’

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য অপসারণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় ঈদগাহ সংলগ্ন সুপ্রিম কোর্টের যে স্থানটিতে গ্রিক গড অব থেমিসের আদলের ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছিল সেই ভাস্কর্যের গায়ে শাড়ি পড়ানো হলো কেন? ভাস্কর্য স্থাপনের আগে বাইরে থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রবেশপথে দেশের মানচিত্র দেখা যেতো। ওইটি স্থাপনের পর সেটি ঢেকে যায়। তাছাড়া জাতীয় ঈদগাহের সামনে নামাজের সময় এটি দেখা গেলে দৃষ্টিকটু লাগতো। তাই ওটি সরানো হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাস্কর্য সরানোর ফলে অনেকে ধর্মনিরপেক্ষতার দোহাই দিয়ে ধর্ম গেল গেল বলে চিৎকার করছেন। আন্দোলন করছেন। কেউ কেউ ভাস্কর্য সরালে মসজিদও সরাতে হবে এমন কথাও বলছেন।’

তিনি বলেন, ‘যাদের তিনি জিরো থেকে হিরো বানিয়েছিলেন তারা এখন আন্দোলন করছেন। তারা কী ভুলে গেছেন শাহবাগে তাদের যখন হেফাজতিরা তাড়া করেছিল তখন তাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাঁচিয়েছিল।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মকে অস্বীকার করা নয়। শূকরের মাংস, মদ ও গাঁজা খেয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা যারা বলেন, তারা পারভারটেড।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি অনেক অপমান সহ্য করেছেন। এখন যারা এর বিরোধীতা করছেন আর যারা পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তিনি দু’পক্ষের কারও পক্ষে থাকবেন না। তারা আগে মারামারি ও মল্লযুদ্ধ করে শক্তির পরীক্ষা করুক। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও এ ব্যাপারে দু’পক্ষ মুখোমুখি হলে কিছু করতে মানা করেছেন। দু’পক্ষের শক্তির পরীক্ষায় যারা আহত হবেন তাদের চিকিৎসা দেবেন।

বাস্তবতা বিবেচনা না করে অনেক মন্ত্রী তার বিরুদ্ধে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এ সময় তার পাশে বসে থাকা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ছাড়াও রাশেদ খান মেনন ও আসাদুজ্জামান নূরের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কথা বলার আগে তারা পদত্যাগ করতে পারতেন।
http://somoy.net/poriksar/56221
 
Sultana Kamal Chakraborty is hindu extremist ideological leader, just like Abū Bakr al-Baghdadi is leadr of ISIS. She hides behind HR label. She should have been kicked out of country long time age.
 
Police provide security for Sultana Kamal
WEB_Sultana-Kamal_Nashirul-Islam_Edited_02.06.2017-690x450.jpg

File photo of Sultana KamalNashirul Islam/Dhaka Tribune

The rights activist drew the ire of Hefazat-e-islam with her hypothetical arguments made on a TV talk show with the platform's leader Mufti Shakawat Hossain

Police are providing security for the rights activist Sultana Kamal after the radical Islamist group Hefazat-e-Islam publicly threatened her with violence.

Dhaka Metropolitan Police (DMP) Ramna Division and the Detective Branch (DB) have taken joint measures for her safety.

Also Read- Hefazat demands arrest of Sultana Kamal within 24 hours

DB South deputy commissioner (acting) Md Shahidullah told the Bangla Tribune on Monday: “Since something like this has happened, we have discussed with Ramna Division officials and talked to Sultana Kamal.

“We asked her if she has seen anything suspicious and requested her to contact us if needed.”

Also Read- What Sultana Kamal said in the talk show

Police said Ramna Division and DB South held a meeting on the matter and Dhanmondi police were instructed to ensure her safety.

Police then contacted her and informed her of the measures taken. She was also asked to contact the police immediately if needed.

A DMP source said DB officials had met the rights activist and asked her about her daily movements. They had assured her of providing security.

Also Read- Sultana Kamal: They don’t understand reason

Dhanmondi police station Officer-in-Charge Md Abdul Latif told the Bangla Tribune: “We are providing security to her. We are taking this matter seriously.”

She argued with a Hefazat representative that if the group’s position was that no religious edifice should be put in the court premises, by the same argument the mosque that is inside the premises should not be there either.

Also Read- Hefazat demands a public apology from Sultana Kamal

In follow-up to this show, Hefazat’s Vice-President Junayed Al-Habib claimed Sultana Kamal had said “if the statue is not in the country then mosques should not be in the country” and demanded her arrest within 24 hours.

They also threatened her with violence and said she would share the same fate as the exiled author Taslima Nasrin.
http://www.dhakatribune.com/bangladesh/dhaka/2017/06/05/police-security-sultana-kamal/
 
০১:০৩ অপরাহ্ন, জুন ০৬, ২০১৭ / সর্বশেষ সংশোধিত: ০২:১১ অপরাহ্ন, জুন ০৬, ২০১৭
হেফাজত ইস্যুতে সরকারের সমালোচনাকারী তিন মন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত?
hasina-shafi.jpg


শাখাওয়াত লিটন
হেফাজতের সাথে সরকারের সাম্প্রতিক “সুসম্পর্ক” নিয়ে তিন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু এবং আসাদুজ্জামান নূর কিছু দিন আগে প্রকাশ্যে সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী রবিবার এক ইফতার পার্টিতে মন্ত্রীদের সমালোচনার জবাব দিলেন। তিনি বললেন, বাস্তবতা বিবেচনা না করে অনেক মন্ত্রী তার বিরুদ্ধে বক্তব্য বিবৃতি দিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মেনন, ইনু ও নূরের নাম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার বিরুদ্ধে কথা বলার আগে তারা পদত্যাগ করতে পারতেন।”

প্রধান্মন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী সরকারের বা সরকার প্রধানের কোনো পদক্ষেপের সমালোচনা করার আগে তিন মন্ত্রীর কি পদত্যাগ করা উচিত ছিল? কিন্তু তাদের কেউই তা করেননি। তাহলে প্রশ্ন ওঠে, সেটা না করায় তারা কি নিয়মের বরখেলাপ করেছেন? তারা কি মন্ত্রীসভায় থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন? এখন কি তাদের পদত্যাগ করা উচিত?

দুনিয়া জুড়ে সংসদীয় গণতন্ত্র কীভাবে কাজ করে সেটা সংক্ষেপে আলোচনা করলে প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া যাবে।

সংসদীয় গণতন্ত্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হল সমষ্টিগত দায়বদ্ধতা। মানে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে কোনো ইস্যুতে একজন মন্ত্রী বিরোধিতা করতেই পারেন; তুমুল বিতর্কও করতে পারেন। কিন্তু ওই বিষয়ে একবার সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে কোনো মন্ত্রী প্রকাশ্যে সেটার সমালোচনা করতে পারেন না। মন্ত্রিসভার বৈঠকে উক্ত ইস্যুতে সমালোচনায় মুখর মন্ত্রীকেও প্রকাশ্যে ওই সিদ্ধান্তের পক্ষেই দাঁড়াতে হয়। তাই বলা হয়, মন্ত্রিসভার সদস্যরা এক সাথে ভাসে; এক সাথে ডোবে। এটাই বিধান।

এমন বিধানের পেছনে যুক্তি বেশ শক্ত। বিধানটির ফলে জনগণের কাছে সব সময় এই বার্তা যায় যে মন্ত্রিসভা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। শক্তিশালী সরকারের জন্য মন্ত্রিসভার ঐক্যবদ্ধতা অপরিহার্য। মন্ত্রিসভার সদস্যদের ভেতর যদি ঐকমত্য না থাকে, এবং সেই অনৈক্যের কথা মন্ত্রীরাই যদি প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন তাহলে সরকার জনগণের চোখে দুর্বল হয়ে পড়ে। একটি দুর্বল সরকার সুশাসন উপহার দিতে পারে না, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না।

অনেকের মনে হতে পারে যে, এমন বিধানের কারণে তাহলে মন্ত্রীরা কি শৃঙ্খলিত? মন্ত্রিসভার অন্যায় অযৌক্তিক সব সিদ্ধান্তকেও মুখ বুজে মেনে নিতে হবে? না, একজন মন্ত্রীর মুক্তির পথ অবশ্যই আছে। কোনো সিদ্ধান্ত সমর্থন করতে না পারলে তিনি পদত্যাগ করবেন। পদত্যাগ করলেই তিনি ওই বিধানের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত। পদত্যাগ করেই তিনি ওই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রকাশ্য প্রশ্ন তুলতে পারেন; সংসদের ভেতরে বাইরে ওই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করতে পারবেন। এমন ঘটনার অনেক নজির পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যে; ওয়েস্টমিনিস্টার মডেল অব পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসির জন্মভূমিতে। আরও অনেক গণতান্ত্রিক দেশে এমন ঘটনার নজির আছে।

আমরাও ওয়েস্টমিনিস্টার মডেল অব পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি অনুসরণ করি। আমাদের সংবিধানেও মন্ত্রিসভার সমষ্টিগত দায়বদ্ধতার বিধান আছে। তাহলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভার তিন জন মন্ত্রী সম্পর্কে যা বলেছেন তা কি যথার্থ?

সমষ্টিগত দায়বদ্ধতার বিধান আলোচনায় দেখা যাচ্ছে তিন মন্ত্রী ওই বিধানের বরখেলাপ করেননি। কেননা, হেফাজতের সাথে সম্প্রতি সরকারের কথিত “সুসম্পর্ক’ তথা প্রধানমন্ত্রীর সাথে হেফাজত নেতাদের বৈঠক, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাকে সরকারের স্বীকৃতি দান, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে লেডি জাস্টিসের ভাস্কর্য অপসারণে হেফাজতের দাবির প্রতি সরকার প্রধানের সায়- এসব নিয়ে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত তো দুরের কথা আগে কোনো আলোচনা হয়েছে বলে জানা যায় না।

যদি মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হতো; আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হতো এবং তিন মন্ত্রী যদি উক্ত সিদ্ধান্তকে সমর্থন না করে প্রকাশ্যে সমালোচনা করতেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সমষ্টিগত দায়বদ্ধতার বিধান ভঙ্গের অভিযোগ তোলা যেত। মন্ত্রিসভার কোনো সিদ্ধান্তের প্রকাশ্য সমালোচনার আগে তাদের উচিত হতো পদত্যাগ করা। এমনকি সমালোচনা করার পর পদত্যাগ না করলে তাদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেত। কিন্তু হেফাজত নেতাদের সাথে বৈঠক বা কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার স্বীকৃতি দান বিষয়ে মন্ত্রিসভায় যেহেতু কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি-তাই তিন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমষ্টিগত দায়বদ্ধতার বিধান ভঙ্গের কোনো অভিযোগ তোলা যায় না এবং তাদেরকে পদত্যাগ করার কথা বলাও যুক্তিযুক্ত মনে হয় না।

অধিকন্তু, সমালোচনাকারী তিন মন্ত্রীর দুজন পৃথক দলের এবং একজন প্রধানমন্ত্রীর দলের। যে দুই জন পৃথক দলের তাদের দলীয় স্বকীয়তা ও রাজনীতির স্বার্থে তারা হেফাজতের সাথে সরকারের সাম্প্রতিক “সুসম্পর্কের” সমালোচনা করেছেন বলে ধারণা করা যায়। প্রধানমন্ত্রীর দলের দলীয় শৃঙ্খলা ওই দুজন মন্ত্রীর জন্য প্রযোজ্য নয়।

অবশ্য প্রধানমন্ত্রী চাইলে যে কাউকে যখন-তখন তার মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন; কেননা একজন মন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব ততক্ষণ যতক্ষণ তিনি তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে সন্তুষ্ট রাখতে পারবেন। তেমনি মন্ত্রী হবার যোগ্য এমন কাউকে তিনি যখন-তখন তার মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। তাই তিনি চাইলে যেকোনো সময় যে তিন জন মন্ত্রী তার সরকারের সমালোচনা করেছেন তাদের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিয়ে নতুন কাউকে নিতে পারেন। তিনি এখন পর্যন্ত সেটা করেননি; বরং তাদের সমালোচনা সয়ে গেছেন; তারাও মন্ত্রিসভায় টিকে আছেন।

তবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অর্থবহ। ভবিষ্যতে মন্ত্রিসভার কোনো সদস্য সরকারের কোনো কাজের সমালোচনা করার আগে দশবার ভেবে নিবেন। মুক্ত মনে আলোচনা-সমালোচনা ছাড়া গণতন্ত্র বিকশিত হয়?
http://www.thedailystar.net/bangla/...লোচনাকারী-তিন-মন্ত্রীর-পদত্যাগ-করা-উচিত-81292
 
নাস্তিক নিয়া সাগর পাড়ি দিবেন কেমনে
jamunanews24_com_firuz.jpg

নাস্তিক নিয়া সাগর পাড়ি দিবেন কেমনে

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেছেন, আস্তিক, নাস্তিক, বামপন্থি-চরমপন্থি সবাইকে নৌকায় তুলেছেন। এতো পরিমাণ উঠেছে যে, নৌকা এখন ডুবো ডুবো অবস্থা। এই আস্তিক-নাস্তিক নিয়া সাগর পাড়ি দিবেন কেমনে?

জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার দুপুরে সম্পূরক বাজেটের ওপর বক্তৃতায় জাতীয় পার্টির এই প্রেসিডিয়াম সদস্য এসব কথা বলেন।ঢাকা-৬ আসন থেকে নির্বাচিত এই এমপি বলেন, ৭০ সালের নৌকা আর এখনকার নৌকা এক না। ভোট দেন দেখবেন, এই আস্তিক-নাস্তিক আর হাইব্রিড আওয়ামী লীগারদের সঙ্গে ত্যাগী আওয়ামী লীগারদের দূরত্ব বেড়ে গেছে।

কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘খরচ তো হয়েই গেছে টাকা। এখন আইসেন সংসদে, কেন? এই টাকা হচ্ছে জনগণের টাকা। জনগণের ট্যাক্সের টাকা। খরচ কইরা আইসেন আমাদের বৈধতা দেন। আমাদের বৈধতা তো দিতেই হবে। কারণ সরকারি দল হা-না ভোটে জিতে যাবে। বৈধতা হয়েই গেল। এটা অনৈতিক অসাংবিধানিক।’

বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছোট বেলায় পুতুলকে মানুষ ভেবে খেলি। আর একটু বড় হলে মানুষকে পুতুল ভেবে খেলি। মাননীয় অর্থমন্ত্রী। দেশের সমস্ত জনগণকে মনে করেছেন পুতুল। পুতুলের যেমন বাকশক্তি নাই। এই দেশের ১৬ কোটি মানুষও বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছে, তাদের কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে।’

‘কালকে একজন হুইপ বললেন দ্রব্যমূল্য যা বেড়েছে তাতেও মানুষ খুশি। এ কথা শুনলে মানুষ হাসে। আপনি তো আলো বাতাস সবকিছু ফ্রি পান। আপনারা বুঝতে পারবেন না। মানুষের ইনকাম বাড়ে নাই। রাজপথে ইফতারি খেয়ে রোজা ভাঙতে হয়। সেজন্য তাদের ব্যথার কথা বুঝবেন না। জনগণের টাকা ভাঙলেন, সংসদের কাছে আইছেন বৈধতা নিতে।’

ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী এই টাকা খরচ করার পেছনে ‍যুক্তি দেখান। মন্ত্রীরা বিরাট বিরাট বহর নিয়ে বিদেশে যান। এমন এমন মন্ত্রী আছেন বছরের ৯ মাস বিদেশ থাকেন। কারণ কোথাও কোনো জবাবদিহি নাই।’

ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময় তিনি (আবুল মাল আবদুল মুহিত) ২টি বাজেট দিয়েছেন। খুব ভালো বাজেট দিয়েছেন। ৫ হাজার ৮শ’ কোটি টাকার বাজেট। এ বাজেট দিয়েই আমরা ৪৬০টি উপজেলা করেছিলাম, জেলা পরিষদ করেছিলাম।’

অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকে আমানত রাখবেন আবগারি শুল্ক বসিয়েছেন। আগে সুদ থেকে টাকা কাটা হতো এখন কাটবেন আসল থেকে। ভোটের আগে বাজেট.. ভোট যে কী পরিমাণ নষ্ট হয়েছে রাস্তায় না গেলে বুঝবেন না।’

তিনি বলেন, ‘সরকারে গেলে ‍দুই ধরনের লোকের অভাব হয় না। একটি হলো তেল দেওয়া আরেকটি হলো বাঁশ দেওয়া। ব্যাংক লুট যারা করেছে তাদের বিচার না করে জনগণকে..। জনগণকে পুতুল ভাববেন না।’
http://somoy.net/nastik-niya/56506
 
Sultana Kamal Chakraborty is hindu extremist ideological leader, just like Abū Bakr al-Baghdadi is leadr of ISIS. She hides behind HR label. She should have been kicked out of country long time age.

Article revealed some of the background of this hindu extremist ideological leader. Sultana Kamal Chakraborty was educated in hindu temple in her early age. She is daughter of Sufia Kamal who also had been famous for anti Islam stance.


কে এই সুলতানা কামাল চক্রবর্তী ?

314082_1.jpg
07 Jun, 2017

টুডে ডেস্ক

সুলতানা কামাল এদেশে একজন পরিচিত মুখ। মানুষ তাকে একজন মানবাধিকারকর্মী হিসেবে জানে। তিনি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টা ছিলেন। তার আরেকটি পরিচয় হল তিনি কবি সুফিয়া কামালের মেয়ে। সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত গ্রিক দেবীর মূতির পক্ষে অবস্থান নেয়ার পর তিনি নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। সুলতানা কামাল যে বংশগতভাবেই ইসলাম বিদ্বেষী এটা হয়তো অনেকেরই জানা নেই।


বেগম রোকেয়ার পর কবি সুফিয়া কামালকে নারী জাগরণের কবি বলা হয়। তবে আমরা জানি সুফিয়া কামাল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি ছিলেন চরম ইসলাম বিদ্বেষী একজন নারী। তার লেখনি, বক্তৃতা, বিবৃতি, কবিতা ও সাহিত্যের মাধ্যমে তিনি মুসলিম নারী সমাজকে ইসলামের গন্ডি থেকে বের করে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে গেছেন।

১৯৯৯ সালের নভেম্বর মাসে মৃত্যুর আগে কবি সুফিয়া কামাল ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, একজন নারী যখন বোরকা পরে রাস্তায় বের হয়, তখন একজন পুরুষ তাকে আক্রমণ করতে আসলেও সে প্রতিরোধ করতে পারে না। আর একজন নারী যখন বোরকা ছাড়া রাস্তায় বের হবে, তখন কেউ আক্রমণ করতে আসলেও সে প্রতিরোধ করতে পারবে। সুফিয়া কামালের মৃত্যুর পর আরও একাধিকবার তার মৃত্যুবার্ষিকীতে ভয়েস অব আমেরিকা এই সাক্ষাৎকারটি পুনঃপ্রচার করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুসলিম পরিবারের সন্তান হলেও সুফিয়া কামালের মেয়ে সুলতানা কামাল তার জীবনে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেছেন হিন্দুদের মন্দিরে। লীলা নাগের নারীশিক্ষা মন্দিরে ভর্তি হয়ে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকার আজিমপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

জানা গেছে, লীলা নাগের ওই মন্দির থেকেই তিনি হিন্দুদের আদর্শ, আচার-আচরণ, সংস্কৃতি, জীবন-যাপনসহ সব কিছু লব্ধ করে আসেন। মুসলিম পরিবারের সন্তান হলেও ইসলামি শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় হুকুম-আহকামের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না। তিনি হিন্দু ধর্মই চর্চা করতেন। এর ফলে, শিক্ষা জীবন শেষে তিনি স্বেচ্ছায় সিলেটের শ্রী সুপ্রিয় চক্রবর্তী নামে এক হিন্দুকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে তার নামের সঙ্গে যুক্ত হয় সুলতানা কামাল চক্রবর্তী। এছাড়া তার মেয়েকেও বিয়ে দিয়েছেন একজন খ্রিস্টানের সাথে।

এদিকে, সুলতানা কামাল একজন মানবাধিকারকর্মী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেও মানুষের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষায় তার ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে দেখা যাচ্ছে তিনি হিন্দু আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অধিকার রক্ষায়ই বেশি সোচ্চার ভুমিকা পালন করে থাকেন। বিরোধী দলের মানবাধিকার নিয়ে তিনি সব সময়ই নিরব ভুমিকা পালন করে আসছেন।

বর্তমান সরকারের বিগত সাড়ে ৮ বছরে বিএনপি-জামায়াতের শত শত নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছে। র‌্যাব-পুলিশ তাদেরকে দিনের বেলায় আটক করে রাতে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। পরের দিন বলা হতো বন্দুক যুদ্ধে মারা গেছে। বিশেষ করে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, সালাহ উদ্দিন আহমদ, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, জামায়াত নেতাদের ছেলে সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আমান আযমী ও ব্যারিস্টার মীর কাসেম বিন আরমান গুম হওয়ার পরও সুলতানা কামালরা এনিয়ে কোনো কথা বলেননি। এসব কারণে সাধারণ মানুষ মনে করে, সুলতানা কামাল এদেশের মানুষের অধিকার রক্ষায় নয়, আওয়ামী লীগ ও হিন্দুদের অধিকার রক্ষায় তিনি কাজ করছেন।

এমনকি পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়েও রয়েছে তার প্রশ্নবিদ্ধ ভুমিকা। সম্প্রতি তার সাঙ্গপাঙ্গসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম সফরে গেলে উত্তেজিত জনতা কর্তৃক তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে।

বিশিষ্টজনেরা বলছেন, সুলতানা কামাল স্বামী হল হিন্দু, মেয়ের জামাই খ্রিস্টান, তিনি প্রাথমিক শিক্ষাও গ্রহণ করেছেন মন্দিরে, তিনি হিন্দুদের মূর্তির পক্ষে সাফাই গাইবেন এটাই স্বাভাবিক। ইসলাম ও মুসলমানদের পক্ষে তার কাছ থেকে কোনো বক্তব্য আশা করাও ঠিক না।

http://www.newsinbd.net/newsdetail/detail/200/314082
 

Pakistan Affairs Latest Posts

Back
Top Bottom