What's new

16th amendment illegal: SC

20727907_1611250445573122_2238702134128743593_n.jpg


20800082_1611610188870481_9097423284684809703_n.jpg


AL 2.jpg


Chief Justice Illegal: Industries Minister.
তুমি অবৈধ চিফ জাস্টিস

আমাদের সময়.কম
প্রকাশের সময় : 12/08/2017 -18:17
আপডেট সময় : 12/08/ 2017-19:19
sk-amu.jpg

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘পার্লামেন্ট যদি অবৈধ হয়, তোমার নিয়োগও অবৈধ। কারণ এ পার্লামেন্ট রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেছে। সে রাষ্ট্রপতি তোমাকে নিয়োগ দিয়েছে। তোমার নিয়োগ অবৈধ, তুমি অবৈধ চিফ জাস্টিস।’

শনিবার দুপুরে ঝালকাঠিতে আন্তর্জাতিক যুব দিবসের আলোচনা সভায় শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তান একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এটা তারা মেনে নিতে পারে না। তাই সর্বশক্তি দিয়ে তারা সব সময় চেষ্টা করছে শেখ হাসিনার প্রাণনাশ করার, বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পথকে রুদ্ধ করার।’

প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ১৯৫৪ সালে তৎকালীন প্রভাবশালী মুসলিম লীগ সরকারকে পরাজিত করে ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ এককভাবে ক্ষমতার অধিকারী ছিল সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে। আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আওয়ামী লীগের মাত্র ১৩ জন সদস্য নিয়ে কেন্দ্রে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। মনে রাখতে হবে এ দেশ স্বাধীন না হলেও আওয়ামী লীগ এ দেশে মাথা তুলে থাকত। আমরা পার্লামেন্টের সদস্য থাকতাম। ১৯৭০-এর নির্বাচন থেকে আমরা পার্লামেন্টের সদস্য। কিন্তু তোমার মতো ছিঁচকে উকিল এ দেশের চিফ জাস্টিস হতে পারত না। এটা স্মরণ রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুর অবদানের কারণেই আজ তোমার মতো ছিঁচকে উকিল এ দেশে চিফ জাস্টিসের মর্যাদা পেয়েছ।’

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমান, পৌরসভার মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ। পরে শিল্পমন্ত্রী যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৪৩ জনকে ঋণের ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। এনটিভি
http://www.amadershomoy.biz/unicode/2017/08/12/297204.htm#.WY-4h1HhrIU
 
.
ruling awami league using bully and crude gun power of its terrorist cadres inside law enforcement threatening Chief Justice (CJ) and Supreme Court authority. In the street, from sheikh Hasina to every other awami bully puppet threatening Supreme Court of Bangladesh and its Chief Justice but at dead of night awami league sent Obadul Kader, a known thug, to convey awami threat to CJ over a diner. Awami cheer leaders may find this as political brilliance but it is destroying justice system in Bangladesh and destroying one of the last pillar of Bangladesh independence.

  • By tailoring constitution for one party Awami rule, fundamental of Bangladesh constitution is destroyed.
  • By killing 58 Bangladesh army officers, core aspiration of Bangladesh defense force was destroyed by ruling awami league.
  • sheikh mujib daughter and grandson took control of Bangladesh Central bank reserve SWIFT code and looted 100 million and failed looting another $900 million.
  • Supreme Court of Bangladesh and Chief Justice is under awami league attack.
That brings the question WHEN remains of Bangladesh independence will be destroyed and seized by ruling awami league?
 
Last edited:
.
খাদ্যমন্ত্রী শপথ ভঙ্গ করেছেনঃ সুপ্রিমকোর্ট
August 12, 2017
kamrul.jpg

Food Minister violates his Oath: Supreme Court
মন্ত্রী পদে থেকে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে শপথ ভঙ্গের কাজ করেছেন বলে মনে করছেন বিশিষ্ট আইনজীবীরা। তাদের মতে, মন্ত্রীর বক্তব্যে দৈন্যতাই ফুটে উঠেছে। এ ধরনের ব্যক্তিরা কিভাবে মন্ত্রী পদে বহাল থাকে- সে প্রশ্নও তুলেছেন তারা। এ ধরনের অভিযোগেই গত বছর খাদ্যমন্ত্রীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। রায়ে আপিল বিভাগ বলেছিলেন, তিনি (খাদ্যমন্ত্রী) শপথ ভঙ্গ করেছেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের জিল্লুর রহমান মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ করে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘তার (প্রধান বিচারপতি) যদি সামান্যতম জ্ঞান থাকে, সামান্যতম বুঝ থাকে, তাহলে তার স্বেচ্ছায় চলে যাওয়া উচিত। তা না হলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবেন। এখন আর চোখ বুজে থাকার কোনো সুযোগ নেই। আর কোনো রক্তচক্ষু সহ্য করব না। অবশ্যই আমরা তার অপসারণ চাই।’

প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে খাদ্যমন্ত্রীর এ বক্তব্য দিতে পারেন কিনা- জানতে চাইলে বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক যুগান্তরকে বলেন, ‘খাদ্যমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে নীতিনৈতিকতা ও শিষ্টাচারের দৈন্যতাই ফুটে উঠেছে। আমাদের দুর্ভাগ্য এ ধরনের ব্যক্তিরাই বছরের পর বছর মন্ত্রী পদে বহাল থাকেন।’ এই বক্তব্য দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী আদালত অবমাননা করেছেন কিনা জানতে চাইলে ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘যাদের নিজেদের আত্মসম্মান বোধ নাই, তাদের পক্ষে অন্যের মানসম্মানের বিষয়টা অনুধাবন করা অসম্ভব।’

প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের বক্তব্য প্রসঙ্গে সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ বলেন, ‘উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী যা বলছেন, তা আদালত অবমাননার চেয়েও বেশি। এটা অশালীন বক্তব্য। একজন মন্ত্রীর কাছে দেশের মানুষ এটা আশা করে না। মন্ত্রী হিসেবেও তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন। এর আগেও এই খাদ্যমন্ত্রী প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়ে আদালত অবমাননার দায়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন। এটা হয়তো তিনি ভুলে গেছেন। কারণ কামরুল ইসলাম প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন- তা একজন মন্ত্রী দিতে পারেন না।’

এ প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুূল হোসেন বলেন, ‘দেশে এখন ভদ্রতা, শিষ্টাচার এগুলো এখন নাই। এই নিয়ে চিন্তা করে লাভ নাই। নির্বাচন ছাড়া এই ধরনের একটা সরকারকে যে জাতি সহ্য করতে পারে, তাদের তো এগুলো সহ্য করতেই হবে। একজন মন্ত্রী প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে এ ধরনের কথা বলতে পারেন না। পাগলের দেশেও এটা হয় না। আমরা একটা অসভ্য ব্যবস্থার মধ্যে আছি।’

মন্ত্রীর বক্তব্যে শপথ ভঙ্গ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আইনকানুনের কথা নয়, এটা সভ্যতার কথা। প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে পৃথিবীর কোনো দেশের মন্ত্রী এই ধরনের কথা বলেন না। আমরাও চাই না, বারবার আদালত অবমাননার বিষয়টি সামনে আনা হোক। মন্ত্রীর বক্তব্য অশালীন।’

আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম বলেন, ‘সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর পূর্ণাঙ্গ রায়ের বিষয়ে আমরা শনিবার (আজ) বৈঠকে বসছি। সেখানে সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের অবস্থান জাতিকে জানাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে যা বলছেন, তা বিচ্ছিন্নভাবে বলা হচ্ছে। ব্যক্তি বিশেষের বক্তব্য নিয়ে এখন কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

বিশিষ্ট আইনজীবীদের এই মন্তব্য সম্পর্কে জানতে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, গত বছর এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতিকে সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে বাদ দিয়ে পুনরায় জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর আপিল শুনানি করাসহ তাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আদালত অবমাননা হয়েছে বলে মন্ত্রীকে অর্থদণ্ড দেয়া হয়। তিনি শপথভঙ্গ করেছেন বলেও রায়ে উল্লেখ করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাসহ পাঁচ বিচারপতি রায়ে বলেন, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম তাদের শপথভঙ্গ করেছেন। একই অভিযোগ আনা হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধেও। তার বক্তব্য নিয়েও একই রায় দেয়া হয়। ওই সময় আইন বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ রায়ের পরে আইনগতভাবে ওইদিন থেকেই খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম পদচ্যুত হয়েছেন। পাবলিক সার্ভেন্ট (ডিসমিসাল অন কনভিকশন) অর্ডিন্যান্স-১৯৮৫ অনুযায়ী আদালতের রায়ে সরকারি কোনো কর্মচারীর ১ হাজার টাকার বেশি জরিমানা হলে তারা আপনা-আপনিভাবে বরখাস্ত হয়েছেন বলে ধরে নেয়া হবে। ওই আইন অনুসারে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার সময় থেকেই খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বরখাস্ত হয়েছেন। আর সর্বোচ্চ আদালত বলছেন, তারা শপথ লংঘন করেছেন।
https://www.cnewsbd.com/2017/politics/29509/

Wont step in any trap. CJ
কারও ফাঁদেই পড়ব না: প্রধান বিচারপতি

August 11, 2017
sinha.jpg

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ‘সরকার বা বিরোধী দল, আমরা কারও ফাঁদে পড়ব না। রায় ঘোষণার পর রায়ের গঠনমূলক সমালোচনা যে-কেউ করতে পারেন।

গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। ’ ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের প্রসঙ্গে বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষাপটে গতকাল আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ের সমালোচনা করে বুধবার বক্তব্য দেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন সকালে আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, ‘রায় পূর্বধারণাপ্রসূত এবং বাংলাদেশ এখন বিচারকদের প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়েছে—আইন কমিশনের পক্ষ থেকে এমন বলা হয়েছে। আমরা বিচার বিভাগের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার জন্য আদালতের কাছে এসেছি। ’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ঠিক আছে। আপনারা সিনিয়র আইনজীবী। আপনারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য বলছেন। তবে রায় ঘোষণার পর গঠনমূলক সমালোচনা করা যায়। রায় হওয়ার পর আমরা গঠনমূলক সমালোচনা গ্রহণ করি। ’ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল বলেন, ‘সর্বোচ্চ বিচারালয়কে নিয়ে যেভাবে বলা হয়েছে, তা আদালত অবমাননাকর। ’ এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই বিচার বিভাগকে রক্ষা করতে হলে কোনো রাজনীতি আনবেন না। আমরা রায় দিয়ে দিয়েছি। বিচার বিভাগ কোনো রিজয়েন্ডারও দেবে না। ’ জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে বলছি। ’ এ সময় আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘সমিতির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো রেজল্যুশন আনা হয়নি। ’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা সচেতন, আমরা দেখছি। ’ এ সময় আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্যকে আদালত অবমাননাকর উল্লেখ করে এ বিষয়ে রুল জারির কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি অনুরোধ করব, আপনারা সংযত আচরণ করবেন, যা সবার জন্য মঙ্গল। সরকার বা বিরোধী দল—কারও ট্র্যাপে আমরা পড়ব না। আমরা সচেতন। সাতজন বিচারপতি চিন্তাভাবনা করে রায় দিয়েছি। রায় নিয়ে কেউ পলিটিকস করবেন না। ’ আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আদালতকে নিয়ে কুৎসা রটানো হয়েছে। ’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনারা সংযত আচরণ করবেন, যাতে কেউ ফায়দা লুটতে না পারে। আপনারা আরও সচেতন হবেন। ’ জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা আমাদের কাজ করছি। আইন কমিশনের চেয়ারম্যান দায়িত্বশীল পদে আছেন। তিনি এভাবে বলতে পারেন না। ’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘উই কনসার্ন। ’ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের ওই বক্তব্য অবমাননাকর। ’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘রায়ের গঠনমূলক সমালোচনা যে-কেউ করতে পারেন। এক দিন ইতিহাস বিচার করবে। ’
https://www.cnewsbd.com/2017/politics/29388/

সরাসরি..বিচারপতি সিনহাকে রাজাকার বললেন হাসিনা..সুপ্রিমকোর্টে বিএনপি-আঃলীগ হাতাহাতি..সকালের তাজা খবর
Published on Aug 10, 2017
 
.
06:32 PM, August 13, 2017 / LAST MODIFIED: 06:55 PM, August 13, 2017
14-party alliance wants 16th amendment verdict reconsidered
Star Online Report
Ruling Awami League-led 14-party alliance today demanded reconsideration of the Supreme Court’s verdict that scrapped 16th amendment to the constitution.

“We, the 14-party alliance, demand reconsideration of the verdict. We will deal with this politically and legally,” said 14-aprty spokesperson Mohammad Nasim.

After days of criticisms on the verdict, the ruling coalition came up with its formal reaction at a press briefing this evening at the Dhanmondi political office of Awami League President Sheikh Hasina.

READ MORE: Govt to seek review of verdict, expunjing CJ's remarks

“We also reject the Supreme Court’s observations on the parliament, Liberation War and Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman,” Nasim said in the press conference.

Alliance componenet Samyabadi Dal’s General Secretary Dilip Barua said the verdict demeaned the parliament. “The chief justice is paving way for conspiracy of BNP-Jamaat.”

Jatiya Samajtantrik Dal’s President Hasanul Haq Inu said: “Discussions and criticisms of the apex court’s verdict cannot be wrong or tantamount to contempt of court.”

READ MORE: Quader meets chief justice
Awami League’s Joint General Secretary Mahbubul Alam Hanif said: “The verdict has ripped people of their rights.” He, on behalf of his party, also rejected the verdict.

The Supreme Court’s dismissal of the 16th amendment to the constitution has been the topic of politicians since it had severely criticised the role of the incumbent government.

Ruling Awami League lawmakers are criticising the verdict and the chief justice who delivered it, whereas, opposition BNP is saying that it had exposed the misdeeds of the government.
http://www.thedailystar.net/politic...nt-verdict-review-politics-bangladesh-1448014

04:28 PM, August 13, 2017 / LAST MODIFIED: 05:47 PM, August 13, 2017
What CJ said?

surendra-kumar-sinha-web_0.jpg

Chief Justice Surendra Kumar Sinha. Photo: UNB

Star Online Report
Some ministers and leaders of the ruling party have been accusing Chief Justice Surendra Kumar Sinha of undermining Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman through some remarks in the 16th constitutional amendment case verdict.

Read from the verdict what the chief justice said.

"So far as the constitution of the People’s Republic of Bangladesh is concerned, I have already mentioned the historical background of our constitution and the preamble which aptly contains the reflection of the spirit of the national liberation struggle and the sacrifice of the lives of the people. In the preamble it is stated; ‘We, the people of Bangladesh, having proclaimed our independence …. through a historic struggle established independent, sovereign ….. which inspired our heroic people to dedicate themselves to and our brave martyrs to sacrifice lives in, the liberation struggle.’

In the preamble it also indicated the future principles of the State that ‘through a democratic process a socialist society, free from exploitation - a society in which the rule of law, fundamental human rights and freedom, equality and justice, political, economic and social dignity, will be secured for all citizens.’ (emphasis supplied) It was also declared to safeguard, protect and defend the constitution and maintain the supremacy as the embodiment of the will of the people of Bangladesh so that we may prosper in freedom.

This preamble is completely different from those of other countries. I mentioned earlier that there is a bit similarity as regards the independence of our county with USA. Though in the preamble we notice the expression ‘We the people’ in other constitutions as well, but the connotation and denotation of the word ‘We’ is not same in all documents.

of American independence was also achieved by sacrifice of lives, but in that preamble no such details have been mentioned as in ours. It simply mentioned “we, the people of the United States, in order to form a more perfect union, establish justice, insure, domestic tranquility, provide for the common defence, promote the general welfare, and secure the blessings of Liberty to ourselves and our Prosperity, do ordain and establish this Constitution for the United States of America.

The first word of the first sentence of the preamble of our constitution of the People’s Republic of Bangladesh is “WE”. The strength of a nation lies in this word and spirit of “WE”. This ‘weness’ is the key to nation building. A community remains a community unless all those who belong to the community can assimilate themselves in this mysterious chemistry of ‘weness’, the moment they are elevated to this stage they become a ‘nation’. And our Founding Fathers very rightfully understood, realized and recognised this quintessential element of nation building and this is why they wrote the first sentence of the constitution “We, the people of Bangladesh, having proclaimed our independence on the 26th day of March, 1971 and, through a historic struggle for national liberation, established the independent, sovereign People’s Republic of Bangladesh.”

These words mean that people are the source of all supreme power; People are the true achiever of the sovereignty and hence the constitution. The members of the Constituent Assembly were all people’s representatives. The preamble, therefore, indicates that the legal basis of our constitution is the people-the ultimate source of all power.

In the history of military no war was ever won with so small and meagre supply of arms, with so small numbers of trained fighters, as the people of Bangladesh did in 1971. We fought a ferocious military force equipped with all modern weaponry and trained personnel - we fought against them with courage and valour - what really gave us the advantage over them? Were it arms and weapon only? The answer is No. It was the stupendous courage of ‘We the people’ of this land - it was the readiness for supreme sacrifice if necessary and unsurmountable feeling of commonness for fellow people of this land that made us unconquerable by the Pakistani military power. And this unparalleled feeling for commonness has been rightly reflected in the very first word of our supreme social document - the constitution.

Our Founding Fathers keeping in mind of our struggle against the tyrannical rulers gave all powers of the Republic upon the people under article 7, which runs:

“7. (1) All powers in the Republic belong to the people, and their exercise on behalf of the people shall be effected only under, and by the authority of, this Constitution.

(2) This Constitution is, as the solemn expression of the will of the people, the supreme law of the Republic, and if any other law is inconsistent with this Constitution that other law shall, to the extent of the inconsistency, be void.”

Thus, if we carefully look into the philosophy of our political existence we unfailingly see that the citizens of our country are woven by a common thread called ‘we the people’. And the solemn expression of the will of the people is the supreme law of the Republic, i.e. the constitution. The triumph in 1971 was obvious because the feeling of ‘weness’ was unbreakable. There were numerous conspiracies to break this unity but the enemy utterly failed to inject even the slightest shred of doubt among us. Now that we are living in a free, independent and sovereign country, however, we are indulging into arrogance and ignorance which threaten the very precious tie and thread of ‘we’.

No nation - no country is made of or by one person. If we want to truly live up to the dream of Sonar Bangla as advocated by our father of the nation, we must keep ourselves free from this suicidal ambition and addiction of ‘I’ness. That only one person or one man did all this and etc. If we look at the example from USA’s town planning; they recognised the person who worked for their town planning. For abolition of slavery, Mary Todd, wife of 16th President Abraham Lincoln, got recognition. For the establishment of women rights there are other persons who got the recognition and they also remember with great acknowledgment of four Army Generals. But in our country a disease has infected us and the name of that disease is ‘myopic politicization’. This is a virus and unfortunately this has infected our political culture to such a length that many of our policy makers now are hardly able to see or envision a future meant for a nation, not for a person. Due to this rotting disease, they have personified each and everything. For their narrow and parochial party interest they have established a fake and ‘pseudo democracy’ taking the shameful unfair advantage of our constitution - a constitution written with the blood ink of our martyrs in 1971.

We must get rid of this obnoxious ‘our men’ doctrine and suicidal ‘I alone’ attitude. Not party allegiance or money but merit alone should be given the highest priority at all levels of national life and institution building. Person who is making tremendous sacrifice and humongous contribution for development and social progress must be recognised. And in doing so we must only see his or her contribution to this society not to his political colour or inclination. If we cannot get ourselves out of this narrow parochialism and cannot overcome the greed of party nepotisms, then this will be the biggest assault to the very foundation of our liberation war- and the rock solid idea of ‘We’ which brought us the long cherished independence and to immortalize this momentum, the word ‘we’ have been put in the very first sentence of our constitution as the very first word of this sagacious document.” [Page 48 to page 55 of the full text of Supreme Court judgement on 16th amendment to the constitution]
http://www.thedailystar.net/politic...6th-amendment-bangladesh-constitution-1447990
 
.
12:00 AM, August 14, 2017 / LAST MODIFIED: 12:16 AM, August 14, 2017
Govt mounting pressure on CJ
Says BNP
fakhrul_27_0.jpg

BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir. File photo

Staff Correspondent

The BNP yesterday alleged that the government was putting pressure on the chief justice over the Supreme Court verdict that scrapped the 16th amendment to the constitution.

The party also expressed concern over media reports that ruling Awami League General Secretary Obaidul Quader had a meeting with Chief Justice Surendra Kumar Sinha at the latter's residence on Saturday night.

"You [the government] are mounting pressure on the chief justice; you are saying publicly to change the verdict,” said Mirza Fakhrul Islam Alamgir, secretary general of the BNP.

Speaking at a milad mahfil organised by Jatiyatabadi Chhatra Dal at the party's Nayapaltan headquarters, the BNP leader said, “We don't know what the Supreme Court's Appellate Division will do and what the chief justice will do. People of Bangladesh will not accept your [government] unjust acts.”

Regarding media reports on Quader's meeting, Fakhrul said, “After the working committee meeting of the Awami League, Mr Quader went to the chief justice's house.”


Mentioning that AL leaders criticised the chief justice, he said, “We are sorry, ashamed and shocked … what sort of conspiracy is hatching again to destroy democracy?”

The BNP leader urged the government and the ruling party men not to put any pressure on the judiciary. “Come to the right path. Don't destroy the institutions of democracy.”

Fakhrul also called upon BNP leaders and activists to unite to put up strong resistance against the current “autocratic regime”.

In another programme, BNP Standing Committee Member Moudud Ahmed said the government has declared a war against the SC verdict on the 16th amendment to the constitution.

He also demanded resignation of Law Commission Chairman Justice ABM Khairul Haque, also a former chief justice, for his comments on the 16th amendment verdict.

“It is your [government] duty to ensure independence of the judiciary. But the way you are reacting; it seems that you have announced war against independence of the judiciary. But you would not be the winner and the consequences would be dreadful and would expedite your stepping down,” he said.

Addressing a discussion at the Jatiya Press Club yesterday, the former law minister also said it seemed that the AL leaders want to undermine the judiciary and its independence.

Criticising Justice Khairul, Moudud alleged that he was acting as a spokesperson for the government and he did the same when he was the chief justice.

He said Justice Khairul could not issue statement on the 16th amendment verdict, and his statement was a violation of his job's code of conduct.

http://www.thedailystar.net/backpage/govt-mounting-pressure-cj-1448248

সিনহা নাটক' ভারতের আরেকটি ফ্রন্ট !'
329101_1.jpg

13 Aug, 2017

'সিনহা নাটক' ভারতের আরেকটি ফ্রন্ট !

চিন্তাবিদ

সিনহার ব্যাপারটি নিয়ে অনেক চিন্তা করছি। এটার মূলে ‘আমি খাড়ায়া যামু, আপনে বসায়া দিবেন’ থাকলেও নাটকটা এবার আরেকটু গভীর মনে হচ্ছে।

প্রথমত আমার মনে হয়েছে আওয়ামীলীগের বদনাম করার জন্য সিনহাকে এত বেশী কিছু বলার দরকার ছিলনা। আর সিনহা এখন কয়েক পাতা আওয়ামী বদনাম করলেই বিএনপি তাকে বুকে টেনে নিবে এমনও না।আওয়ামীলীগকেও মনে হচ্ছে কিছুটা হাবুডুবু খাচ্ছে বিষয়টা নিয়ে (তাদের অসংলগ্ন কথাবার্তা, ব্যক্তি আক্রমণ পুরোটাই নাটক মনে হচ্ছেনা)। সুতরাং সিনহাকে সম্পূর্ণভাবে পল্টি খাওয়ানো হচ্ছে। আওয়ামী লীগের আমলে একমাত্র ভারত বা আমেরিকার জোর ছাড়া সিনহার মত লোকের এমন করার সাহস থাকার কথা না। বিভিন্নজনের সাথে আলাপের কিছু পয়েন্ট ও নিজস্ব কিছু মতামত নিচে উল্লেখ করলাম। আপনারাও কি ভাবছেন জানাতে পারেন।

১. সাধারণভাবে বিচার করলে সিনহাকে সামনে বসিয়ে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের নাটক করে সেটার গ্রহনযোগ্যতা তৈরী করা হতে পারে এটা অনেকেই বিশ্বাস করছেন। এছাড়াও অনেকে ভাবছেন, এই নাটকের মাধ্যমে সিনহার গ্রহনযোগ্যতা তৈরী করে বিএনপির জন্য চরম কোন রায়ের মাধ্যমে বিএনপিকে সম্পূর্ণভাবে শেষ করে দেয়ার চেষ্টা করা হতে পারে। দুই ক্ষেত্রেই নাটক আওয়ামীলীগের সাজানো। ভারতের মদদ আছে মাত্র।

২. আরেকটি অলটারনেটিভ হচ্ছে, আওয়ামীলীগের অজান্তেই ভারতের মদদে সিনহা এই কাজটি করেছে। (অপু উকিলের ডেসপারেটলি তাকে অহিন্দু বানানো, সেটার ইঙ্গিত দেয়)। এছাড়াও বলা হচ্ছে, এক ইংরেজী পত্রিকার সম্পাদক রায় লিখে দিয়েছে। সম্ভবত ডেইলি স্টারের মাহফুজ আনামকে ইঙ্গিত করা হচ্ছে। মাহফুজ আনাম ভারতের খাস লোক, এতে কোন সন্দেহ নাই। লীগের সাথে তার সম্পর্কের টানপোড়েন রয়েছে আগে থেকেই।

বাংলাদেশে ভারতবিরোধীতা এখন তুঙ্গে। আওয়ামীলীগ যতদিন থাকবে এটা বাড়তেই থাকবে। কোনমতে ভারতবিরোধী কোন সরকার দেশের আন্তর্কোন্দলের কারণে বাই চান্স ক্ষমতায় চলে আসলে ভারতের জন্য তা হবে ভয়াবহ। আওয়ামী লীগের অকার্যকারিতাও দেশে এখন সবচেয়ে বেশী। নিরপত্তা ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে পড়েছে, বিভিন্ন ব্যাংকগুলোতে দুর্নীতি করে অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে, মানুষের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ বিরাজ করছে। বাংলাদেশ অনেকটাই বয়লিং পয়েন্টে চলে গেছে, অনেকেই শুধু সুযোগের অপেক্ষা করছে। তাই ভারত চাইতে পারে সেই অবস্থায় না গিয়েই এধরনের নাটকের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের অলটারনেটিভ কিছু একটা কিন্তু তাদের জন্য ফেভারেবল সরকার বসাতে।

- সেটা আওয়ামী লীগকেই শাসানো হতে পারে, যে দেখ আমরা যেকোন মুহুর্তে তোমাদের অবস্থান দুর্বল করে দিতে পারি।

- আর্মিকে ক্ষমতায় আনতে পারে, পরিস্থিতি খুব বেশী খারাপ দেখিয়ে। আর্মির উপরের লেভেলে এখন সবই ভারতের বসানো লোক।

- কিংবা বিরোধী দলগুলার সাথেও একটা নেগোশিয়েশনে আসতে পারে। যেন বোঝানো যায়, দেখ আমরা আওয়ামীলীগকে চাপে রেখেছি, নির্বাচনে আস, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করব।

এগুলা আমার খাপছাড়া চিন্তা। কে জানে ভিতরে ভিতরে এই দেশের মীর জাফর আর বিদেশী শত্রুরা দেশকে কোন অতলে নিয়ে যাচ্ছে। বিরোধী দলগুলো ও এদেশের সচেতন দেশপ্রেমিকরা কি পারবে প্রকৃত সত্য অনুধাবন করতে ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে?
http://www.newsofbd.net/newsdetail/detail/49/329101
 
.
02:03 PM, August 14, 2017 / LAST MODIFIED: 05:25 PM, August 14, 2017
Quader meets president, conveys party stance on 16th amendment verdict
Star Online Report

Awami League General Secretary Obaidul Quader today met President Abdul Hamid at the latter’s official residence in Dhaka.

Quader went to Bangabhaban around 12noon and came out after one and half hour around 1:30pm. He briefed reporters after coming out of the meeting.

Read More: Govt to seek review

A little before Quader paid his visit, Chief Justice Surendra Kumar Sinha left Bangabhaban after exchanging Janmashtami greetings with the president.

“I did not know the chief justice would be there,” Quader told journalists.

“I conveyed our party’s stance on the Supreme Court’s verdict in the 16th amendment case to the president. I explained the party’s true stance on the verdict,” he added.

Quader said, “I have already talked to the prime minister over the issue and conveyed the outcome to the president as he is the custodian of the state and appoints chief justice.”

Responding to a query whether the government will go for review petition over the verdict, Quader said, “Talk with the chief justice has already been started and it will continue. I don’t want to make any comments in this regard before end of the talk.”

Awami League-led ruling coalition 14-party alliance yesterday voiced their protest over the 16th amendment verdict and said that they would deal with it legally and politically.

Quader has already met Chief Justice Surendra Kumar Sinha over this issue and has said that he would meet him again. The "discussions remained incomplete" - is what he said yesterday.

Political opposition BNP has sounded concern over Quader’s meeting and has accused him of pressurising the chief justice in the motive to bring changes to his verdict.

The Supreme Court’s dismissal of the 16th amendment to the constitution has been the topic of politicians since it had severely criticised the role of the incumbent government.

Ruling Awami League lawmakers are criticising the verdict and the chief justice who delivered it, whereas, opposition BNP is saying that it had exposed the misdeeds of the government.

http://www.thedailystar.net/politic...ul-quader-meets-president-bd-politics-1448446

The case for an independent judiciary
Raihan Sobhan
Published at 07:29 PM August 13, 2017
13-10-690x450.gif

An independent judiciary is necessary in averting misgovernanceBIGSTOCK
The Supreme Court’s decision is supported by the Constitution and the principles of rule of law
Since its inception, there have been 16 amendments made to the Constitution of Bangladesh.

In the last 47 years of our independence, five of these amendments have been declared void, unconstitutional, and undemocratic by the Supreme Court of the country and a part of the 8th Amendment was also declared void.

The 16th Amendment stipulates that the 4th amendment of 1975 is a violation of basic structure, which replaced the parliamentary system with a presidential form of government.

From this perspective, it is easy to presume that on August 1, the apex court not only scrapped the 16th amendment but also scrapped the 4th amendment.

In 1975, the removal of Supreme Court judges was in the hands of the president, but by the 16th amendment it was transferred to the parliament.

Here, parliament plays a prime factor in finding out the intention behind the scrapping of the 16th amendment.

Our parliament members are directly bound to their respective parties under Article 70, which confers an obligation on the members not to go against the mandate of the party they belong to.

Therefore, a decision taken by the party is to be regarded as the decision of any parliament member belonging to that party.

From this perspective, the parliament’s decision basically represents the decision of the majority of parliamentarians belonging to the ruling party.

That’s how we can safely say that, under the 16th Amendment, the impeachment process will be run by the party, not by the parliament.

Before this amendment, Article 96 included a provision for a Supreme Judicial Council, which would include the chief justice, to oversee the impeachment process. The amendment in question scrapped that provision.

The verdict
In July, the Supreme Court upheld the High Court’s decision that declared the 16th amendment illegal. In this remarkable judgment, the SC made many brilliant observations on various aspects of the existing situation of the country, including human rights violations, corruption, a dysfunctional parliament, health care, and the administrative system.

In the full text of the verdict, 39 directions have been given for the judges.

Regarding the country’s law enforcement, the verdict said that they are unable to tackle the situation and the combined result of all this is a crippled society.

It also describes our society as one where a good man cannot even dream of good things; instead, the bad guy is always on the lookout for crooked ways to make more money.

While commenting on the nature of the executive branch, the SC doubted the efficiency of an unrestrained executive and bureaucracy.

We want a society based on rule of law, where, not just development, but the independence of the judiciary will also be a major criterion in a functioning democracy

Here the court stressed the necessity of a watchdog mechanism and a system of checks and balances, without which people in positions of authority are able to indulge in abuse of power.

The full verdict also discusses the current, unfortunate state of the judiciary: “But judiciary too cannot survive long in this situation. Yet, no law has been formulated for selection and appointment of judges in the higher judiciary. There is no scope for imparting training to the judges of the higher judiciary. It is high time for formulating laws for the selection of the judges and their training so that they can be equipped to face the challenges of the 21st century.

“Instead of strengthening the judiciary, the executive is now trying to cripple it, and if that happens, there could be disastrous consequences.”

The Constitution promises an independent judiciary
If the past is any indication, the independence of the judiciary is more theoretical than practical, here in Bangladesh.

But Section 22 of the Constitution says that “the State shall ensure the separation of the judiciary from the executive organs of the State.”

An independent judiciary is not only a fundamental component of our Constitution, it is also the sine qua non of the rule of law.

In Anwar Hossain Chy v Bangladesh, it was expressly said that “the rule of law is a basic feature of the Bangladesh Constitution.” It was also mentioned in the 1959 Declaration of Delhi.

Yet, we frequently see attempts by the legislative and executive branches to minimise the autonomy of the judiciary, leading to frequent conflicts among the three organs of the state.

A provision of the Supreme Judicial Council states that when the chief justice wants to launch an investigation into a judge’s complaint, he cannot do so without the president’s permission.

The president is but a titular head of the state who is bound to listen to the prime minister before taking any action, according to Article 48(3) of our Constitution: “The president shall act in accordance with the advice of the prime minister.”

So, there is no direct role of the Supreme Judicial Council because it’s indirectly bound to the leader of the ruling party. Thus, it is still unclear how the independence of the judiciary has been ensured by this verdict.

In case of the lower judiciary, the independence is also a matter of contention. Posting, promotion, and transfer of the judges of subordinate judiciary are still in the hands of the law ministry.

We want a society based on rule of law, where, not just development, but the independence of the judiciary will also be a major criterion in a functioning democracy.

Raihan Sobhan is a freelance contributor.
http://www.dhakatribune.com/opinion/2017/08/13/case-independent-judiciary/
 
.
Don’t be rattled by CJ’s thoughts on 16th amendment: Quader
SAM Staff, August 15, 2017
kader.jpg

Awami League General Secretary Obaidul Quader has asked the people to not be rattled by Chief Justice Surendra Kumar Sinha’s observation in the top court verdict on the 16th constitutional amendment.

The Appellate Division, led by Justice Sinha, on Aug 1, published the full verdict upholding a High Court judgment that scrapped the 16th amendment.

The ruling Awami League passed the amendment in 2014 which allowed parliament to sack Supreme Court judges on grounds of incompetence and misconduct.

Quader quoted from Rabindranath Tagore’s poem and compared the “panic triggered by Chief Justice Sinha’s stance” to “temporary dark clouds.”

“The sun is universal, it will rise again,” said the road, transport and bridges minister while addressing a crowd at Dhaka’s Palashi during the celebration of Janmashtami on Monday.

Hindus in Bangladesh celebrated Janmashtami, the birth anniversary of Lord Sri Krishna, on the day.

The minister said he had met Justice Sinha and President Md Abdul Hamid to update them on Awami League’s position regarding the verdict.

“With permission from our President Sheikh Hasina, I have met Justice Sinha and informed him about our stance.

“Today I delivered the same statements to the president on the prime minister’s advice,” Quader said on Monday.

He, however, would not go into the outcomes of the two meetings.

In his observation in the verdict, Justice Sinha touched on such issues as the country’s political situation and independence of the Election Commission and the judiciary.

The ruling Awami League-led 14-Party alliance has described the verdict as ‘irrelevant, unacceptable and deliberate’.

On the other hand, its archrival BNP has hailed the appeals court’s verdict as ‘historic’.

The ruling party has criticised Justice Sinha for his observation in the verdict – “No nation – no country is made of or by one person.”

Ten days after the full verdict was published, Law Minister Anisul Huq appeared before the media and said the government would initiate measures to have ‘unacceptable’ parts of the top court verdict deleted.

Minister Quader went to Justice Sinha’s residence at Old Dhaka’s Hare Road on Saturday to “let him know about his party’s stance”.

He met President Hamid at the Bangabhaban on Monday. Justice Sinha exchanged greetings of Janmashtami with the president there and had left before Quader arrived.

The Awami League general secretary told reporters that he was not aware of Janmashtami celebrations being held at the Bangabhaban.

Later in the day, he inaugurated a rally of Janmashtami at Dhaka’s Palashi.

He asked the minority Hindus to consider themselves as “first-class citizens”.

SOURCE BDNEWS24.COM
http://southasianmonitor.com/2017/08/15/dont-rattled-cjs-thoughts-16th-amendment-quader/
 
.
How far will the executive-judiciary tussle go in Bangladesh?
Farah Masum, August 15, 2017
bangladesh-supreme-court.jpg

A year and a half before the scheduled elections, pre-poll tensions in Bangladesh have been overshadowed by the tussle which has ensued between the judiciary and the executive. The issue is being reported in the media partially, while certain matters remain behind the scenes. And speculations abound about where this issue will finally end up. The tensions between these two organs of state had been simmering from even before the judgement on the 16th amendment had been published. The judgement exacerbated the matter and things might worsen further in the coming days.

The latest development in this unfolding event is Awami League general secretary and road transport and bridges minister Obaidul Quader paying a visit to Chief Justice SK Sinha. Quader had dinner at the latter’s house and spent around two hours there. There has been no reliable report on what transpired between the two, but there has been a noticeable change in the activities of both sides since the meeting.

The prime minister was kept informed about the ruling party’s general secretary meeting with the chief justice, though it is not known if she was apprised about all that was discussed. The AL general secretary is generally considered to be close to both the prime minister and to the large neighbor India. However, to the apparent eye, the outcome of his discussions with the chief justice does not seem to bode well for the ruling party.

The 16th amendment had long been a bone of contention between the judiciary and the government. Ever since coming to power, the AL government has been trying to gain control over the judiciary to meet its political goals. As a part of this, certain amendments to the constitution were scrapped, including the 13th amendment which had provision for a caretaker government system. In political cases, leaders of the political opposition were deprived of the routine legal support from the upper courts. The trials of crimes against humanity were carried out, despite the legal procedures of these trials being questioned at an international level.

However, the judiciary took a firm stand when the interests of the judges were involved. It did not acquiesce to the issue of the parliament being vested with the power to impeach judges. Even Justice Khairul Huq who had scrapped the 5th amendment and reverted the constitution almost to its original form of 1972, excused the Supreme Judicial Council provision.

Almost all the judges appointed by the government were in consensus about handing over the power to impeach judges to the parliament, as laid down in the 16th amendment by the parliament unilaterally elected in 2014. So even though the judges of the Appellate Division were appointed during term of the present government, they were in unity about scrapping the 16th amendment. They have taken side with the chief justice, as opposed to the government, in supporting this judgement.

Before declaring this judgement, the chief justice has attended a tea with the president at Bangabhaban. No agreement was reached on reflecting the government’s stance in this judgement. After the judgement was passed, the ruling party general secretary had dinner with the chief justice, but no commitment was made to amend the judgement in any way.

Orders have been issued from the top level of government to launch an aggressive campaign against the judgement. Even level-headed ministers have been hotly castigating the sensitive institution of the judiciary. These attacks reflect the concern and the desperation of the government. Three or four more writ or review petitions related to public interests may also come forward in the manner of the writ against the 16th amendment. These may have a strong impact on the government.

If a case, in the meantime, is filed over Article 116 concerning the separation of the judiciary, then the control of the lower courts will be vested in the Supreme Court and the judge may be consensus about this as in the case of the 16th amendment. If the appointments, promotions, disciplinary action and other measures pertaining to the judges of the lower court is brought under control of the Supreme Court, the scope for the government to use them in political interests will be significantly curtailed. The government will be unwilling to relent in this matter.

The government is concerned about the case pertaining to scrapping the 13th amendment. The case hasn’t been reviewed by the Supreme Court as yet. If the Appellate Division gives its approval, it may come up for review. This has certain fundamental flaws. Firstly, this judgement had been passed on a 3-2 majority. Chief justice of the time Khairul Huq immediately retired after he passed this judgement. He signed the final written judgement of this case about over a year after his retirement. There is no provision in the Bangladesh constitution or the Supreme Court to sign a judgement when not under oath. So Khairul Huq’s judgement may be declared void. If that judgement is declared void, it will remain unsettled. A new bench will be formed to finalise the judgement. Also, in an unprecedented manner, after submitted the judgement, Khairul Huq had recalled it and made some changes and then submitted it again. This has been recorded in the Supreme Court. If the case comes under review, any decision may be taken.

ANOTHER POINT OF CONCERN IS THAT THE 15TH AMENDMENT MAY COME UNDER CHALLENGE. THIS MAY EVEN LEAD TO THE CARETAKER GOVERNMENT SYSTEM BEING REVIVED. THE GOVERNMENT’S CONCERN IS STEADILY MOUNTING.

The second significant aspect is that according to the Supreme Court rules, there can be nothing contradictory between the summary of the judgement declared in court and the written detailed judgement. In the summarized judgement, Khairul Huq had spoken of the caretaker government remaining for another two terms, but in the written judgement he left the matter up to the next parliament. Under the circumstances, the government is concerned about the outcome of this case’s review. There have even been recommendations to the head of government to make sure the head of the judiciary steps down before the end of his tenure in office.

Another point of concern is that the 15th amendment may come under challenge. This may even lead to the caretaker government system being revived. The government’s concern is steadily mounting.

It is now apparent that the distance between the government and the judiciary over the 16th amendment. If things proceed in this manner, there are apprehensions within the government of a Pakistan-style Panamagate which shook up the government there this year. These apprehensions have grown further due to the attitude of diplomatic missions of certain influential countries. The European Union has called for a halt to abductions, killings and other human rights violations, to stem the flow of illegal migrants from Bangladesh to Europe. The big neighbor is also eyeing the Bangladesh government with suspicion for its leaning towards Chinese investment a la Nepal and Sri Lanka. Delhi sources say by September it may change its Dhaka mission head with a more trusted individual in order to implement the central government’s political strategy.

The government may see several matters of consternation popping up in the days to come. Under these circumstances, the government is juggling between hard and soft strategies to confront or compromise with the judiciary, in order to iron out the tensions and conflict.
http://southasianmonitor.com/2017/08/15/far-will-executive-judiciary-tussle-go-bangladesh/
 
.
16th Amendment verdict: Does the government want a full review or parts of it expunged?
  • Udisa Islam
  • Published at 07:50 PM August 15, 2017
  • Last updated at 12:15 AM August 16, 2017
WEB_Supreme-Court_Annex-Building_Syed-Zakir-Hossain_Edited_15.08.2017-690x450.jpg

The Annex Building of the Bangladesh Supreme Court Syed Zakir Hossain/Dhaka Tribune
Ever since the full verdict came out on August 1, parts of the observations in the verdict have created a huge controversy
Ever since the top court released the full text of its verdict scrapping the 16th Amendment, the ruling Awami league and its lawyers have been discussing how they can get a part of the verdict ‘expunged’.

They have been discussing two options – to seek a review of the verdict or wait for the court to willingly ‘expunge’ parts of the verdict.

Law Minister Anisul Huq is for the court expunging parts of the verdict, but writ petitioner Manzill Murshid insists that it would not be possible without a review. However, former law minister Shafique Ahmed also said a ‘suo moto’ rule to expunge parts of the verdict is an option.

The government amended the constitution in 2014 to empower the parliament to remove top court judges for misconduct or incapacity. Two years later, the High Court declared the constitutional change illegal.

Also Read- 16th Amendment scrapped, parliament loses power to impeach SC judges

But the government challenged the verdict in the top court, which last month also upheld the High Court’s verdict.

Ever since the full verdict came out, parts of the observations in the verdict has created a huge controversy. At a media briefing, the law minister said: “the chief justice’s comments are unacceptable. We will take steps to expunge irrelevant remarks.”

“We are respectful of the court’s verdict although we have difference of opinion,” he said. “However, the reason for which the Appellate Division scrapped [the amendment] is not logical.”

The attorney general, on the other hand, has reportedly said that there will not be a review petition. “We are discussing what we can do now,” he said.

Also Read- Government unhappy with 16th Amendment verdict

Petitioner Murshid said: “The government has accepted the verdict. They have to go for a review if they want to expunge [parts of the verdict].”

After the law minister said the government had decided to take steps to seek removal of the chief justice’s “unacceptable” and “irrelevant” remarks, another question has emerged – was the government going to seek review of only the parts it felt ‘objectionable’ or would the review cover other issues of the 16th Amendment as well?

“We do not want to speak too much about it. I am clearly saying that we want removal. And we are still discussing the matter,” the law minister clarified.

Former law minister Shafique said a review has to be sought if the main objections are about observations of the verdict.

Also Read- Government looking for options to restore 16th Amendment

When asked if there are ways other than seeking a review, he said, “The court can expunge parts of the verdict through suo moto rule.”

Shafique met the Chief Justice, along with former Supreme Court Bar Association chief Yusuf Hossain Humayun and Awami League Presidium Member Abdul Matin Khasru. He replied in the negative when asked if they had discussed anything related to this matter.

Meanwhile, Attorney General Mahbubey Alam said they were yet to decide on seeking a review of the verdict. But he said they were reviewing some ‘unwelcome’ observations which they were planning to seek removal of.

Manzill Murshid insisted that the only way have the observations expunged was to seek a review.

Also Read- BNP: Scrapping 16th Amendment a victory for the people

“According to the rules, there are options to seek a review if there is any ‘remark’ in the verdict or for amending errors in the verdict, if there is any,” he said. “There are no other ways in the court’s system other than review.”

“The court will hear them and will take steps if it accepts the review. If it does not, then the court will deliver a verdict saying why the arguments by the review applicant were not accepted. We will also get a chance to have our say,” he explained.

Murshid said the government has apparently accepted the court’s decision stripping parliament of its power to remove top court judges, and is now emphasising on expunging it.

“People talking about this may be doing so for the sake of politics. It will be in the judiciary’s best interest if people do not politicise this since there is the option to talk about it in court. Anyone politicising the matter may have to face the music later,” he added.

This article was first published on Bangla Tribune
http://www.dhakatribune.com/bangladesh/court/2017/08/15/16-amendment-verdict-review-expunge/
 
.
PM’s meeting with president on 16th amendment worries nation: BNP
Staff Correspondent | Published: 14:21, Aug 17,2017
Bangladesh Nationalist Party secretary general Mirza Fakhrul Islam Alamgir on Thursday claimed that the prime minister Sheikh Hasina’s Wednesday’s meeting with president Abdul Hamid on Supreme Court verdict on 16th amendment has made the entire nation ‘worried’.

Addressing a discussion, Fakhrul came up with remarks referring to media report saying the prime minister along with the law minister and the attorney general met the president on Wednesday.

He said the subject of the meeting was the verdict on 16th amendment.

Fakhrul said they (ruling party) met the president taking stand against Supreme Court verdict that scrapped 16th amendment to the constitution.

The BNP secretary general said the way the government, openly spitting venom against Supreme Court, Appellate Division and the Chief Justice they (BNP) are ‘doubtful’ and ‘panicked’ whether there exists state, government and judiciary.

Abdus Salam Talukder Srmiti Sangsad organised the discussion at National Press Club to mark the 18th death anniversary of former BNP secretary general Abdus Salam Talukder.
http://www.newagebd.net/article/221...resident-on-16th-amendment-worries-nation-bnp

Flouting SC verdict is disrespecting constitution: Kamal Hossain
Staff Correspondent | Published: 00:05, Aug 17,2017 | Updated: 00:37, Aug 17,2017
22103_128.jpg

Gana Forum holds a discussion on ‘Bangabandhu for the poor’ at the National Press Club in Dhaka on Wednesday, marking the National Mourning Day. — New Age photo

Gana Forum president Dr Kamal Hossain said on Wednesday that flouting the verdict of Supreme Court was showing disrespect to the constitution.

Addressing a discussion marking the National Mourning Day at the National Press Club, the veteran jurist referred to the articles 111 and 112 of the constitution, which
stipulate that all must accept a Supreme Court verdict.

Without blaming the critics of SC’s observations in the verdict scrapping the 16th amendment to the constitution, Kamal came up with the remarks at the discussion titled ‘Bangabandhu for the poor’.
Dhaka city unit of Gana Forum arranged the discussion.

Kamal recalled that the country’s founding president Sheikh Mujibur Rahman’s politics had relied on the support of the poor and disadvantaged people and had led a people’s struggle for freedom from economic inequality and social deprivation. ‘Unfortunately, the ruling party and flag bearer of Mujib’s political ideology is doing otherwise,’ Kamal said.

Terming most of the ruling politicians as corrupt, Gana Forum leader Zaglul Hayder said that Mujib had warned the people against corruption as it shuttered people’s hope for equality and freedom.

Mostafa Mohsin presided over the event. Lawyer Subrata Chowdhury also addressed the discussion.
http://www.newagebd.net/article/221...t-is-disrespecting-constitution-kamal-hossain

Qamrul Islam

প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার চাকরি খেতে হলে রাষ্ট্রপতিকে কেস পাঠাতে হবে সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে। ৩ সদস্য বিশিষ্ট ঐ কাউন্সিলে থাকবেন বিচারপতি মোঃ আবদুল ওয়াহাব মিয়া, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, এবং বিচারপতি মুহাম্মদ ইমান আলী।

সমস্যা হলো, যদি ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের কোনো বিষয় নিয়ে আ’লীগ অভিযোগ তুলে, তবে এই তিনজনও একই অভিযোগে অভিযুক্ত হবে, তাহলে আর সেটা পার করতে পারবে না। আর যদি সিনহার বিরুদ্ধে কোনো বায়বীয় অভিযোগ আনে, তবে মাহমুদ হোসেনকে পরবর্তী চিফ করার লোভে দিয়ে পার করলেও ওয়াহাব মিয়া এবং ইমান আলী পার করবেন না। ফলে সুরেন্দ্র বাবুকে এত সহজে খেতে পারবে না রাষ্ট্রপতি হামিদ। তবে শেখ কামালের মত বন্দুক ধরলে ভিন্ন কথা! সেক্ষেত্র বুমোরাং হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
20841171_1615398391824994_4516336187687291280_n.jpg


Point of no return.jpg


রায়ে বঙ্গবন্ধুকে খাটো করা হয়নি, অন্ধ দালালরাই সমালোচনা করছে’
image-9634-1502638055-660x330.jpg

ড. কামাল হোসেন
‘রায়ে বঙ্গবন্ধুকে খাটো করা হয়নি, অন্ধ দালালরাই সমালোচনা করছে’

সংবিধান প্রণেতা, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ড. কামাল হোসেন মনে করেন, সংবিধানের ষোড়শ সংবিধানের রায় নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই। কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য অন্ধ দালালরাই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছে। রোববার বিকালে রাজধানীর মতিঝিলে নিজ চেম্বারে পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ষোড়শ সংশোধনী বাতিল নিয়ে আদালতপাড়া থেকে রাজনৈতিক অঙ্গন এখন দুই শিবিরে বিভক্ত। চলছে নানা বিতর্ক। আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। এর পরিণতি কি এবং শেষ কোথায়? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত রায় প্রকাশ হয়েছে। আমি দীর্ঘ এ রায়ের প্রতিটি পৃষ্ঠা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছি কয়েকবার। এটা নিয়ে কোনো বিভক্তির সুযোগ নেই। বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। এখানে মুখোমুখি হওয়ার কিছু নেই। এখানে পরিণতিরও কিছু দেখছি না।

বাহাত্তরের সংবিধানে আপনারাই বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে রেখেছিলেন। সেই সংবিধানের প্রণেতা হিসাবে আপনি কেন সেটা সংসদের হাতে না রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন? এ প্রশ্নের উত্তরে ড. কামাল হোসেন বলেন, আজকের প্রেক্ষাপট আর বাহাত্তরের প্রেক্ষাপট এক নয়। দুনিয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশও অনেকদূর এগিয়েছে। বর্তমান সংসদ এবং এমপিদের সঙ্গে বাহাত্তরের এমপিদের কোনো তুলনা হতে পারে না। বর্তমান কোনো সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে রায় গেলেই তারা সেই বিচারপতিকে অপসারণ করতে চাইতে পারেন এমনকি বিচারকরাও কোনো এমপির বিরুদ্ধে রায় দিতে চিন্তা করবে। এ অবস্থায় সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী যে বাতিল হয়েছে তা একটি বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত বলেই মনে করি।

সংসদ ও বিচার বিভাগের মধ্যে কেন বিরোধ হয়? আমাদের বিচার বিভাগ কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধানের ১১১, ১১২ অনুচ্ছেদ সর্বোচ্চ আদালতকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে, তারা বিচার-বিশ্লেষণ করে যে রায় দেবেন- তাই চূড়ান্ত। তাছাড়া সর্বোচ্চ আদালতের ৭ জন বিচারকই সর্বসম্মতভাবে এই রায় দিয়েছেন। তা নিয়ে বিতর্ক করা সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল। আমাদের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছেই বলেই এ রায় দিতে পেরেছে।

সংবিধান লঙ্ঘন করার পরিণতি কখনও ভালো হয় না বলে ড. কামাল হোসেন বলেন, যদি বুঝতাম যে কেউ ভিন্নমত পোষণ করেছেন, তাহলেও কথা ছিল। এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে যে সভা-সমাবেশ হচ্ছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত, সংবিধানের অবমাননা। এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, সর্বসম্মতিক্রমে রায় পেয়েছি। এ রায়ের মধ্যদিয়ে বিতর্কের অবসান হয়েছে। এ নিয়ে অহেতুক বিতর্ক করা মোটেও সমীচীন নয়।

তিনি বলেন, সমালোচনাকারীরা জাতীয় জাদুঘরে যেতে পারেন, গিয়ে দেখতে পারেন বঙ্গবন্ধু কি লিখে দিয়ে গেছেন? সংবিধানের ৭ম অনুচ্ছেদই হচ্ছে আমাদের রক্ষাকবচ, গাইডলাইন। এতে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ- কেবলই সংবিধানের অধীন এবং কর্তৃত্বে কার্যকর হবে। এরপরেও কেন আমরা বিতর্ক করছি বুঝতে পারি না। পক্ষে গেলে ঠিক আছে, বিপক্ষে গেলে মানি না- এই মনোভাবের অবসান হওয়া জরুরি।

ড. কামাল আরো বলেন, পুরো রায়টি পড়েছি। কোথাও বঙ্গবন্ধুকে খাটো করা হয়নি। তার কোনো অবমূল্যায়ন করা হয়নি। অপব্যাখ্যা দিয়ে বিষয়টিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে। সত্যিকার অর্থেই এটা দুঃখজনক। দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়েছে এমন ব্যাখ্যার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে এই সংবিধান বিশেষজ্ঞ বলেন, রায়ের মধ্যদিয়ে এটা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে, যদিও কেউ মানছেন, কেউ মানছেন না। না মানাটা সংবিধান পরিপন্থি, বলতে পারেন বরখেলাপ। সংবিধান মানলে ১১১ অনুচ্ছেদের প্রতি শ্রদ্ধা থাকলে সুপ্রিম কোর্টের দেয়া রায় নিয়ে বিতর্ক করার সুযোগ কোথায়? ১১২ অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানার অন্তর্ভুক্ত সকল নির্বাহী ও বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টকে সহায়তা করবেন।

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কি দেখছেন এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষই সুষ্ঠু গণতন্ত্র পেতে চায়। দেশের মানুষ যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেটি সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি অবশ্যই ভালো মনে করি। আশা করছি রাজনীতিতে সহমর্মিতার একটা পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ একটি ভোট হবে।

দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের বাইরে একটি বিকল্প রাজনৈতিক জোট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে? বিষয়টাকে কিভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ও সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলের জোট গঠন অন্যায় কিছু নয়। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে রয়েছে। এখানে বিকল্প জোট জনগণের আশা আকাঙ্খা পূরণে কাজ করবে বলেও আমি বিশ্বাস করি।


purboposhchimbd
http://monitorbd.news/2017/08/13/রায়ে-বঙ্গবন্ধুকে-খাটো-ক/
 
.
This was ruling awami league ploy to blackmail justice system but SC quashed that awami dream for now. It is worth mentioning that (AFIK), it was Ziaur Rahman who gave SC the authority to make decision about judges so that justice system can maintain its independence.

Awami league is very cunning and theif minded organization. Sina is Awami dalal so why Would he go against Awami's wa?

Either he sold himself to bigger customer or planning something evil.

BNP should be very careful and not be so excited.
 
.
20841738_1616235625074604_3462258568482014706_n.jpg


‘সংসদ ও বিচার বিভাগের লড়াই দেশে অবৈধ কারো ক্ষমতায় আসার লক্ষণ’
১৭ আগস্ট,২০১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
আরটিএনএন

ঢাকা: ‘সরকার, সংসদ ও বিচার বিভাগের মধ্যে যে লড়াই শুরু হয়েছে তা শুভ লক্ষণ নয়। এই লড়াই অবৈধ কোনো সরকারের ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপট তৈরি করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি আয়োজিত ‘ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়: অনাকাঙ্খিত বিতর্ক ও বাংলাদেশের রাজনীতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশঙ্কার কথা বলেন।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, যারা এই রায় পছন্দ করেন নাই তাদের উচিত সংসদে কথা বলা। বিচার বিভাগের বিপক্ষে লড়াই কখনো কাম্য নয়। অসাংবিধানিক সরকার আসলে কে দায়ী থাকবে?’

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সরকারের মন্ত্রীদের অবস্থান ও বক্তব্যে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘রায় নিয়ে সরকারপক্ষের সমালোচনা অনভিপ্রেত। রায় নিয়ে একের পর এক মন্ত্রীদের তুফানের বেগে দেয়া বক্তব্য আদালত অবমাননা কি না তা আদালতের বিবেচনার বিষয়। এটা ভবিষ্যতে আরো খারাপ কিছু হতে পারে।’


গোলটেবিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ। লিখিত মূল বক্তব্য দেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় দিয়ে বিচারকরা অন্ধকার এই দেশে সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন। কিসের বলে তারা এই আলো জ্বালিয়েছেন তা ভাবার বিষয়। সত্য কথায় শাসকদের মস্তিস্ক বিকৃত হয়। প্রধানমন্ত্রী এই রায় নিয়ে একটু একটু করে পিছাচ্ছেন কি না?

প্রধান বিচারপতিকে অপসারনের চেষ্টা ব্যর্থ: ইস্যু রায় নয়, পট পরিবর্তন আসন্ন
By Staff Reporter. Thu, Aug 17, 2017
8-17-2017-11-13-02-AM-10708062.jpg


প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে অপসারনের চেষ্টা করে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এখন উল্টো সরকার পতন অত্যাসন্ন হয়ে পড়েছে। পর্দার অন্তরালে চলছে নানা আয়োজন।

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর থেকে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। আগামী একাদশ নির্বাচন, নির্বাচনের রোডম্যাপ, নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ, নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থাসহ দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রায় সব ইস্যুই এখন চাপা পড়ে গেছে ষোড়শ সংশোধনীর বাতিলের রায়কে কেন্দ্র করে চলমান আলোচনা-সমালোচনায়। রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বধীন ২০ দলীয় জোটসহ ক্ষমতাসীন জোটের বাইরে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রধানেরা। আর এ রায়ে সংক্ষুব্ধ হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল।

যদিও ষোড়শ সংশোধনীর রায়কে কেন্দ্র করে সরকারের সঙ্গে প্রধান বিচারপতি তথা সুপ্রীম কোর্টের বিরোধ দৃশ্যমান, কিন্তু বাস্তবে এর কারন ভিন্ন। আর সেই ভিন্ন কারন রোধ করতেই প্রধান বিচারপতি সিনহাকে সরকার অপসারন করতে চায়। কারন তিনি বহাল থাকলে এ সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারছে না, এমন খবর চাউর হয়ে যাওয়ার পরেই সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। গতকাল বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে আপোষের শেষ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় সরকার। এমনকি রাষ্ট্রপতি নিজেও প্রধান বিচারপতিকে বঙ্গভবনে চায়ের দাওয়াতে ডেকে নিতে পারেননি। খবর রটেছিল, সেখানে গেলে বল প্রয়োগে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করানো হতো। এছাড়াও প্রধান বিচারপতি সিনহা হিন্দু এবং ভারতপন্থী হওয়ায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে দিয়ে দু’দফা অনুরোধ করে তােকে বাগে নিতে ব্যর্থ হয় সরকার। বিচারপতি সিনহা তার সিদ্ধান্তে অনড়, এবং তার সঙ্গে আছে গোটা সুপ্রীম কোর্ট।

গতকাল বিচারপতি সিনহাকে অপসারন করতে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা সন্ধ্যায় ছুটে যান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে বঙ্গভবনে। আইনমন্ত্রী, আ’লীগ সাধারন সম্পাদক, এবং এটর্নী জেনারেলকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কয়েক ঘন্টাব্যাপি সভা করেও কোনো কুল কিনারা করতে পারেনি। এর কারন আইনগত বাধা। ষোড়শ সংশোধনী বাতিল হয়ে যাওয়ার পরে বিচারপতি সিনহা নিজ থেকে পদত্যাগ না করলে তাকে অপসারনের একমাত্র পথ হচ্ছে সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ব্যবহার করা। সেখানে বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাঠালে আপীল বিভাগের তিন জন সিনিয়র বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল তা পরীক্ষা করে মতামত দিলেই কেবল রাষ্ট্রপতি ব্যবস্খা নিতে পারবেন, তার আগে নয়। বর্তমানে ঐ তিন বিচারপতি হলেন ওয়াহহাব মিয়া, সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, এবং ইমান আলী। এখানে মুশকিল হলো, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে প্রধান বিচারপতি সিনহার সাথে এরাও সাক্ষর করেছিলেন। যার ফলে এই রায় নিয়ে তাদের কাছেই কোনো অভিযোগ পাঠানো অর্থহীন। এসবের ফলাফল হলো বিচারপতি সিনহার অবস্থান অত্যন্ত শক্ত। তবে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের কারনে সরকার যেভাবে বিচার বিভাগের উপরে আক্রমন করেছে, তা ক্ষমতা খাটিয়ে রাষ্ট্রের একটি অঙ্গহানি করে দেয়ার সামিল। এমন ঘটনা বাংলাদেশে নজিরবিহীন। বিশেষজ্ঞরা এহেন অবস্থাকে সরকারের চরম বাড়াবাড়ি ও ক্ষমাহীন অপরাধ হিসাবে দেখছেন। ২০০৭ সালে পাকিস্তানে এ ধরনের কান্ড ঘটাতে গিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ।

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে যেহেতু একাধিক বার অপসারনের চেষ্টা করেছে বর্তমান ভোটবিহীন প্রশ্নবিদ্ধ সরকার, তার জবাবে প্রধান বিচারপতিও এই সরকারকে আর কোনো সুযোগ দেবেন না। এমনকি বিচার অঙ্গনে খবর ছড়িয়ে পড়েছে যে, আরেকটি রায় তৈরী করা আছে, কেবল ঘোষণা বাকী। আর এতে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিনাভোটের ১৫৪ জন সদস্যকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে। বিচারপতি সিনহার হাত দিয়েই এই রায় আসবে। তবে কোনো কারনে তার অসুবিধা হলে পরের জন অর্থাৎ বিচারপতি ওয়াহহাব মিয়া এই রায় ঘোষণা করবেন। এসব খবর সরকারও কম বেশী অবহিত, এবং তারা চেষ্টা করছে তা ঠেকিয়ে দেয়ার। তবে সুপ্রীম কোর্টের উপর শক্তি প্রয়োগ করা হলে সেনা শাসন চলে আসবে, এবং বর্তমান সরকারের মর্মান্তিক পতন হবে, সেটাও সরকার অবহিত।

ষোড়শ সংশোধনীর রায় একটি যুগান্তকারী রায়। ৭৯৯ পৃষ্ঠার এই রায়ে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের চলমান সংকটের নির্ভরযোগ্য বর্ণনা এবং তা থেকে উত্তরনের পথ বাৎলে দেয়া হয়েছে। মূলত দীর্ঘ দিন ধরে চলা এই অনিয়ম, দুঃশাসন, ও জনগনের দুঃখ দুর্দশা, দেশী বিদেশী বিশেষজ্ঞ মতামত সব কিছুই পর্যালোচনা করে এই বিশাল রায় লেখা হয়েছে, যার পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট বলা হয়েছে। জানা গেছে, এই রায়ের পাশাপাশি দেশীয় সংকট সমাধানের একটি বড় পরিকল্পনাও কাজ করছে, যার সাথে জড়িত আছে কতিপয় প্রভাবশালী রাষ্ট্র, জাতিসংঘ, এবং বিশেষজ্ঞরা। এ পরিকল্পনাটি রাষ্ট্ররক্ষা বাহিনীর সাথে সমন্বয়ের সাথে করা হচ্ছে। এতে বাংলাদেশে রাজনৈতিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, সুষ্ঠু নির্বাচন, ও আইনের শাসন পূনঃপ্রতিষ্ঠার একটি মহাপরিকল্পনা রয়েছে। সূত্র মতে, সরকারের বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করেই সঠিক পথেই আগাচ্ছে।

মিডিয়ার ভাষায়, একটি রায় নিয়ে সরকার ও বিচার বিভাগ মুখোমুখি, রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত। ভেতরের খবর- পটপরিবর্তন অত্যাসন্ন।


http://bdpolitico.com/-p365-117.htm
 
Last edited:
.
20841059_1616321991732634_6807085926335961720_n.jpg

Fears of a Constitutional Crisis
সাংবিধানিক সঙ্কটের শঙ্কা!
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০১৭

রায় নিয়ে রাজনীতি না করার প্রধান বিচারপতির আহ্বানের পরও আওয়ামী লীগ-বিএনপির কথাযুদ্ধে উত্তপ্ত রাজনীতি

ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে নীরব রাজনীতি সরব হয়ে ওঠেছে। রায়ের পর্যবেক্ষণের পক্ষে এবং বিপক্ষে অবস্থান নেয়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপির নেতাদের মধ্যে চলছে কথার লড়াই।

এক পক্ষ কথার কামাল ছুড়লে অন্যপক্ষ জবাব দিচ্ছেন কথার মিসাইল ছুড়ে। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা রায় নিয়ে রাজনীতি না করার অনুরোধ জানালেও রাজনীতি কার্যত গরম হয়ে গেছে।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক, পরবর্তীতে বঙ্গভবনে গিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে নালিশ; দু’দিন পর বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল ও ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকের বৈঠক গুঞ্জনে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
বিএনপি থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে- প্রধান বিচারপতির ওপর চাপ প্রয়োগ করে রায় পাল্টে নেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। সাংবিধানিক পদ প্রধান বিচারপতির ওপর চাপ প্রয়োগকে বিচার বিভাগের জন্য অশনি সঙ্কেত মনে করছেন দেশের সংবিধান বিশেষজ্ঞরা।
তাদের শঙ্কা- সর্বোচ্চ আদালতের একটি রায়কে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতি এবং প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে মন্ত্রীদের লাগামহীন কথাবার্তা দেশকে নতুন করে সঙ্কটে ফেলে দিতে পারে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ‘আদালত যতবার ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করবে, আমরা ততবার সংসদে বিল পাস করব। আমরা বিচারপতিদের চাকরি দেই। তারা সংসদের উপর পোদ্দারি করবে’ মন্তব্য, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ঘোষণা ‘আবার সংসদে আইন করা হবে’ এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে লাগামহীনভাবে ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথাবার্তায় কোনো কোনো আইনজীবী শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশে আবারো সাংবিধানিক সঙ্কট সৃষ্টি হতে পারে।

আদালতের রায় নিয়ে মন্তব্য করা উচিত নয় অভিমত দিয়ে তারা বলেন, এ ধরনের রাজনৈতিক বিতর্কের কারণে অতীতে সংবিধানিক সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।

প্রবীণ রাজনীতিক সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী গতকাল এই বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ‘রাষ্ট্রের ভেতর সরকার ও জাতীয় সংসদ জোট বেঁধে তৃতীয় অঙ্গ বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে যে লড়াই করছে, তা ভালো লক্ষণ নয়।


এ ধরনের পরিস্থিতি ভবিষ্যতে কোনো অবৈধ অসংবিধানিক সরকার আসার প্রেক্ষাপট রচনা করতে পারে। এই বিরোধের সুযোগে যদি কোনো অসাংবিধানিক সরকার গঠনের প্রচেষ্টা হয়, তার জন্য কে দায়ী হবে?’ ষোড়শ সংশোধনী বাতিল নিয়ে উত্তেজনা প্রসঙ্গে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায় ঐতিহাসিক।
সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত। রায়ের পর্যবেক্ষণে রাষ্ট্র, নির্বাচন, গণতন্ত্র নিয়েও কথা এসেছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে।

সংবিধান কাগজে-কলমে নয়, কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন দেখতে চাই। সংবিধানের অনেক বিধানই আছে, যেগুলোকে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে না, কিংবা কার্যকর করা হচ্ছে না।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সংবিধান দিয়ে বঙ্গবন্ধু হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট তৈরি করেছেন। সেই সুপ্রিম কোর্টের অনেক বিচারপতি বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করতে বিব্রতবোধ করেছেন। আমাদের মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধুকে লাহোরে মারতে পারেনি। আমাদের মধ্যে মীর জাফর রয়েছে। তাকে ঢাকায় মারা হয়েছে।

সর্বোচ্চ আদালতের একটি রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে দেশের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। রাজনৈতিক অঙ্গন ও আদালতপাড়া সর্বত্রই অস্থিরতা।


সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও বরেণ্য আইনজীবীরা রায়কে ঐতিহাসিক হিসেবে অবিহিত করছেন। তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি।
রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ায় আইন কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন মন্ত্রী প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করছেন। আইনমন্ত্রী রায়ের কিছু শব্দ এক্সপাঞ্জ করার প্রস্তাবের কথা বললেও আওয়ামী লীগপন্থী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা কার্যত মুখোমুখি অবস্থানে।

সর্বোচ্চ আদালতপাড়া গতকালও ছিল উত্তপ্ত। আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী হিসেবে পরিচিত বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ছিল মুখোমুখি অবস্থানে।


আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায়কে ‘পেনড্রাইভ জাজমেন্ট’ হিসেবে অবিহিত করছেন। তারা বলছেন, পেনড্রাইভ থেকে কোনো ল্যাপটপ থেকে এই রায়ের উৎপত্তি হয়েছে সেটা আমাদের জানা আছে।

একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক রায় লিখে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করছেন। অন্যদিকে বিএনপি আইনজীবীরা রায়কে যুগান্তকারী হিসেবে অবিহিত করেছেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের তৎপরতা রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল অবিহিত করে বলেছেন, রায় নিয়ে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ জাতিকে উদ্বিগ্ন করেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে শঙ্কিত।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে ব্যর্থ হয়ে বিএনপির রাজনীতি এখন বেপরোয়া ড্রাইভারের মতো হয়ে গেছে। তারা মন খারাপ করে যে কোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই সবাই সতর্ক থাকবেন, সজাগ থাকবেন। গত ১৫ আগস্ট ভোরে আরেকটা ১৫ আগস্ট, আরেকটা একুশে আগস্টের মতো জঙ্গিবাদী হত্যাযজ্ঞ ঘটানোর পরিকল্পনা পন্ড হওয়ায় বিএনপির মন খারাপ। শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল; ৫০০ লোক হত্যার পরিকল্পনা ছিল।

আদালতপাড়ায় রায়ের পক্ষে-বিপক্ষে সরকার সমর্থক ও বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। পৃথক পৃথভাবে সরকার সমর্থক ও বিএনপি আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।


সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ যে রায় দিয়েছে, তা বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন হয়েছে।
দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আরো মজবুত করবে। ভবিষ্যতে যখন দেশে আইনের শাসন ফিরে আসবে, তখন মানুষের আশা আকাক্সক্ষা পূরণ করা সম্ভব হবে। যারা এই এ রায়ের বিরুদ্ধে কথা বলছে, তারা রায় পড়লে দেখবে; যেসব বিকৃত বক্তব্য তারা তুলে ধরছেন তার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রায়ের বিরুদ্ধে কথা বলছে।

এই রায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে গণতন্ত্রেরও পক্ষে। সাবেক প্রধান বিচারপতি হয়েও এ বি এম খায়রুল হক কী করে বর্তমান প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেন। তিনি সরকারের মুখপত্র হিসেবে কাজ করছেন। তিনি আসলে সরকারের দালাল।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, এই রায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ রায় বা ঐতিহাসিক দলিল। সরকারের শেষ সময়ে ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে তাদের মাথাব্যথা শুরু হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন হলে সেখানে তাদের পরাজয় অবসম্ভাবী।
খায়রুল হক ত্রয়োদশ সংশোধনীর রায়ে অনেক অমূলক কথা বলেছেন। আপিল বিভাগের ফুলকোর্টে যে রায় দিয়ে ছিলেন ১৬ মাস পরে তা তিনি নিজে নিজে পরিবর্তন করেছেন।
একজন বিচারপতি বলেছেন এটা তার বিচারিক অসততা। জনগণ ও আইনজীবীরা ভোট দিয়েছেন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য। যারা এই রায়ের বিরুদ্ধে কথা বলছেন তাদেও বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে হবে।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, আপিল বিভাগের এই রায়ের পর বর্তমান সরকার অকার্যকর হয়ে পড়েছে। বর্তমান সংসদ বাতিল করে সরকারকে পদত্যাগ করে অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।

আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপিল বিভাগের রায় মানছেন না। মন্ত্রীরা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সমালোচনা করছেন। তাহলে জনগণ তা কি করে মানবে। আদালত অবমাননার দায়ে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের এমপি বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস বলেন, আজব যে রায় দেয়া হয়েছে, যে উক্তিগুলো দেয়া হয়েছে; আমি বলতে চাই- এটা হলো পেনড্রাইভ জাজমেন্ট।

তার মানে কোথা থেকে কোন পেনড্রাইভ থেকে কোন ল্যাপটপ থেকে এই রায়ের উৎপত্তি হয়েছে সেটা আমাদের জানা আছে। এই ষড়যন্ত্রের মুখোশ আমরা উন্মোচন করব।
সময় থাকতে আপনাদের (প্রধান বিচারপতি) যদি সম্মানবোধ থাকে তাহলে অবিলম্বে এই রায়ের অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো অপসারণ করবেন এবং এই রায় বাতিল করবেন।
সারাদেশব্যাপী এই আন্দোলন চলছে। ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের একটি জায়গায় যে উক্তি করা হয়েছে, তার একটি বক্তব্য আপনাদের সামনে তুলে ধরি। তাতে সংসদকে বলা হয়েছে- সংসদ নাকি ম্যাচিউরড না।

উদাহরণ দিয়ে বলব ওনারা কেমন ম্যাচিউরড। তিন বছরেও একজন যুদ্ধাপরাধী তার রায়ের কপি হাতে পায় নাই। এটা হলো তাদের ম্যাচিউরিটি।
প্রধান বিচারপতিও বলেছেন, ছয় মাসের মধ্যে রায় লিখে দিতে হবে। তাহলে একজন ভুক্তভোগি তার রায় পাওয়ার পরও ছয় মাস কী সুপ্রিম কোর্টের দুয়ারে ঘুরে বেড়াবে। এই হলো তাদের ম্যাচিউরিটি। তারা ম্যাচিউরিটি কথা বলে আজকে বিভিন্ন ক্লাবে সন্ধ্যার পর গেলে দেখা যায়, আমাদের এই জাজেরা তাদের বিভিন্ন কার্যকলাপে লিপ্ত।

আমরা এর নিন্দা জানাই এবং লজ্জার বিষয় হলো- এজলাসে না বসে তারা ঢাকা ক্লাবে ঘুরে বেড়ায়। আরো কি করে সেটা আমি এখানে প্রকাশ করতে চাই না। জনগণ সেটা জানে। সুতরাং এই হলো তাদের ম্যাচিউরিটি। তারা বলে কিনা সংসদ নাকি ম্যাচিউরড না।
আবদুল বাসেত মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের আইনজীবীরা একত্রিত হয়েছে ষোড়শ সংশোধনী রায়ের বিরুদ্ধে। এ রায়ে আইনি কথার চেয়ে রাজনীতির কথা বেশি বলা হয়েছে।
যে রায় আপনি (প্রধান বিচারপতি) দিয়েছেন এই রায়ের জনসাধারণের প্রত্যাশা প্রতিফলিত হয়নি। আমরা আশা করব, অনতিবিলম্বে এ রায়কে বাতিল করবেন।
আওয়ামী প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেন, রায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্ক যেভাবে কটুক্তি করা হয়েছে, সেটা কোনো দিন বাংলার মানুষ মেনে নেবে না।

এই বাংলাদেশ এককভাবে বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে এ দেশকে স্বাধীন করতে ৩০ লক্ষ লোক প্রাণ দিয়েছে। সেই বঙ্গবন্ধু ও সংসদকে নিয়ে যেভাবে কথা বলা হয়েছে, সেটা সত্যিই দুঃখজনক।

বাংলাদেশের সংসদ সবার উপরে। সংসদ নিয়ে এভাবে মন্তব্য করা অত্যন্ত অসৌজন্যমূলক। আমরা আইনজীবীরা এটা সহ্য করতে পারি না। অবিলম্বে এটা প্রত্যাহার করে নেয়া হোক।
ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে ৯৬ অনুচ্ছেদ বাতিল করেছেন। সংসদের হাতে বিচারক অপসারণ ক্ষমতা থাকবে না সেই রায় দিয়েছেন, কিন্তু সেই রায়ের সঙ্গে ৪০০ পাতার যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন সেটা আমরা মানি না, মানি না।

বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যে উক্তি করেছেন পরবর্তীতে তার প্রতি প্রেম ভালোবাসা দেখিয়েছেন সেটা পূরণ করা যাবে না, যাবে না। আজকে অনেকে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলছেন, তার প্রশংসায় পাগল হয়ে যাচ্ছেন, তাতে কিন্তু ওই অপরাধ ঢাকবে না, ঢাকবে না।
আমাদের দাবি, সংসদ নিয়ে এবং বঙ্গবন্ধু নিয়ে পর্যবেক্ষণে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা বাতিল করতেই হবে। এটা নিয়ে কোনো আপোষ নাই। না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে, চলবে।
https://www.dailyinqilab.com/article/92408/সাংবিধানিক-সঙ্কটের-শঙ্কা
 
.
সর্বসম্মতভাবে দেয়া রায়কে অপমান করা যায় না : বি চৌধুরী
329813_1.jpg

17 Aug, 2017

সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, বিচারের বিভাগের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখার ব্যাপারে সবাই কথা বলতে পারেন। সর্বসম্মতভাবে এ রায় দেয়া হয়েছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু অপমান করা যায় না। ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে যে ভাবে কথা হচ্ছে কা নিয়ে আমি অন্যরকম সংশয় করছি। তারা রাষ্ট্রের একটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কোটের সংগে যেভাবে লড়াইয়ের মতো পরিস্থিতিতে জড়িয়ে পড়ছেন- এটা অভিপ্রেত নয়, এটা অনঅভিপ্রেত। এবং এটা ভবিষ্যতে কোন চেহারা নিতে পারে কি-না তা সবাইকে ভাবতে হবে। রাষ্ট্রের ভেতর সরকার ও সংসদ দু-শক্তি জোট বেঁধে তৃতীয় যে শক্তি বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে এভাবে লড়ে যাওয়া ভালো লক্ষণ নয়। আমার সন্দেহ হচ্ছে এটার মাধ্যমে ভবিষ্যতে কোনো অবৈধ অসংবিধানিক সরকার আসার প্রেক্ষাপট রচনা করতে পারে কি-না-এ প্রশ্ন আসছে। এ সুযোগে যদি কোনো অসাংবিধানিক সরকার গঠনের প্রচেষ্টা এর থেকে বেরিয়ে আসে তার জন্য কে দায়ী হবে। এটাই চিন্তা। ভালো হবে বিচার বিভাগ যা বলেছে তা মাথা পেতে নেয়া-এটাই সরকারের জন্য ভালো হবে।

আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের ‘ভিআইপি লাউঞ্জে’ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র উদ্যোগে ‘ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় : অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক ও বাংলাদেশের রাজনীতি’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনায় ডা. একিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী একথা বলেন।


এতে সভাপতিত্ব করেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন। অন্যদের মধ্যে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
http://www.newsofbd.net/newsdetail/detail/41/329813
 
.
Indian Newspaper report: PM does not have the power to remove the Chief Justice.
ভারতীয় পত্রিকার প্রতিবেদন>> প্রধান বিচারপতিকে অপসারণের ক্ষমতা হাসিনা সরকারের নেই

sk-sinha-646x330.jpg

সুরেন্দ্র কুমার সিনহা
ভারতীয় পত্রিকার প্রতিবেদন>> প্রধান বিচারপতিকে অপসারণের ক্ষমতা হাসিনা সরকারের নেই
Related Articles

এবার সিনহার কাছে সংসদ ভেঙে দেয়ার রায় চায় বিএনপি

বাংলাদেশের সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে বাতিলের রায় নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার অপসারণ দাবি করলেও তাকে অপসারণের ক্ষমতা সরকারের নেই বলে জানিয়েছে ভারতের একটি পত্রিকা।

শুক্রবার উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক যুগশঙ্খের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন দল ও সরকার চাইলেও প্রধান বিচারপতিকে অপসারণ করতে পারবেনা। ইমপিচ বা অপসারণের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর নেই। কারণ গত ৩ জুলাই প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে হাইকোর্টের আপিল বিভাগ বাংলাদেশের সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে। এই রায়ের ফলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা হারিয়েছে সরকার।

যুগশঙ্খের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম হিন্দু প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার অপসারণ দাবি করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামি লিগ। দেশটির সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে বাতিলের রায় দেয়ায় প্রধান বিচারপতির ক্ষুব্ধ শাষকদলের নেতারা এ দাবি করছেন। এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সুরেন্দ্র কুমারের প্রতি অসন্তুষ্ট বলে সূত্রের খবর। শেখ হাসিনা সম্প্রতি জন্মাষ্টমী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতির নাম না উল্লেখ করে সমালোচনা করেছেন।

ওই অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেণ শিকদার বলেছেন, বাংলাদেশের সনাতনী সমাজ তার (এস কে সিনহা) তার সঙ্গে নেই। শেখ হাসিনা না হলে এস কে সিনহাও প্রধান বিচারপতি হতেন না। উনি (শেখ হাসিনা) আমাদের (হিন্দুদের) প্রধান বিচারপতি উপহার দিয়েছেন, আমরা কী দিয়েছি? বীরেণ শিকদার প্রধান বিচারপতির দিকে ঈঙ্গিত করে বলেন, ‘স্নেহ-ভালোবাসা পাবেন আর শ্রদ্ধা করবেন না; এটা তো হবে না।’

এরপরে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম আগস্টের মধ্যে প্রধান বিচারপতিকে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। নইলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দিয়েছেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রধান বিচারপতি বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার মত ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। আমরা তার অপসারণ চাই।

এদিকে গত কয়েনদিন ধরেই বাংলাদেশে সর্বত্র জল্পনা চলছে যে, প্রধান বিচারপতিকে অপসারণ করা হবে শিগগিরই। গত বুধবার রাতে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দুই মন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই জল্পনার ডালপালা গজাতে থাকে।

তবে ক্ষমতাসীন দল ও সরকার চাইলেও প্রধান বিচারপতিকে অপসারণ করতে পারবেনা। ইমপিচ বা অপসারণের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর নেই। কারণ গত ৩ জুলাই প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে হাইকোর্টের আপিল বিভাগ বাংলাদেশের সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে। এই রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি দেশের রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি, সুশাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। তাতে ‘বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ ও অবমূল্যায়ন’ করা হয়েছে অভিযোগ করে রায়ে সংক্ষুব্ধ হন সরকারি দলের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং ক্ষমতাসীন দল ও জোটের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। যদিও রায়ের পর থেকে এটিকে ‘ঐতিহাসিক’ রায় বলে আসছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি।

প্রসঙ্গত, সততা, নিষ্ঠা ও প্রজ্ঞার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে বিচারপতি এস কে সিনহাকে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের নেতৃত্ব দেন। অবসরের বয়স অনুযায়ী ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিচারপতি সিনহা প্রধান বিচারপতির পদে থাকবেন।

দৈনিক যুগশঙ্খের প্রতিবেদন
http://monitorbd.news/2017/08/18/ভারতীয়-পত্রিকার-প্রতিবেদ/
 
.

Pakistan Defence Latest Posts

Pakistan Affairs Latest Posts

Back
Top Bottom