syed1
FULL MEMBER
- Joined
- Mar 18, 2015
- Messages
- 149
- Reaction score
- 1
- Country
- Location
বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০১৬ ১১:৪৪ ঘণ্টা
নৌবাহিনীর প্রধান হচ্ছেন নিজাম উদ্দিন আহমেদ
আলম দিদার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বাংলামেইল২৪ডটকম
চট্টগ্রাম : বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ। আজ বা কালকের মধ্যে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারির সম্ভাবনা রয়েছে। নৌবাহিনীর প্রধান পদে দায়িত্ব নেয়ার সাথে সাথে তিনি রিয়ার অ্যাডমিরাল থেকে সরাসরি অ্যাডমিরাল র্যাংক ব্যাজ পরবেন।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি বর্তমান নৌবাহিনীর প্রধান ও বিমানবাহিনীর প্রধানের পদকে সেনাবাহিনীর জেনারেল র্যাংক সমান মর্যাদায় উন্নত করা হয়।
গত বছরের ৭ সপ্টেম্বর মন্ত্রিসভায় অষ্টম বেতন কাঠামো অনুমোদন দিয়ে তিন বাহিনীর প্রধানদের জন্য একই বেতন ও র্যাংক নির্ধারণ করে সশস্ত্র বাহিনীর নতুন বেতন কাঠামোও অনুমোদন করা হয়।
নিজাম উদ্দিন আহমেদর জন্ম ১৯৬০ সালে মাদারীপুর জেলায়। ১৯৭৯ সালের ৩০ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগদান করেন। তৎকালীন যুগোস্লাভিয়ার মার্শাল টিটো নেভাল একাডেমি থেকে স্নাতক পাস করার পর ১৯৮১ সালের ১ আগস্ট কমিশন লাভ করেন। একই সাথে তিনি জাতীয় ডিফেন্স কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ভারত, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকেও বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের জনক রিয়ার অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ বিশ্বের সব মহাদেশই ভ্রমণ করেছেন।
কর্মজীবনে রিযার অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ নেভি সদর দপ্তরে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির টিএএস স্কুলের পরির্দশক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের পরিচালক (অপারেশন) পদেও ছিলেন কর্মরত। কর্মজীবনে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য নিজাম উদ্দিন আহমেদকে আইএসএসবির ডেপুটি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
রিয়ার অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ কর্মজীবনে বাংলাদেশন নৌবাহিনীর টরাপেডো বোটস, মাইনসওয়েফারস, গান বোটস, ফ্রিগেটস ও অন্যান্য পেট্রোল বোটের কমান্ডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের এরিয়া কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশের হয়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনেও দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। রিয়ার অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিনকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ‘অসাধারণ সেবক পদক’ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রিয়ার অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর ঢাকার কেরানীগঞ্জে প্রথম ইনল্যান্ড পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করেন। তার দায়িত্বকালীনই গত দুই দশকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক অস্থির সময় পার করেছে।
তবে এ সময় একদিনের জন্যও বন্দরের কোনো অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ থাকেনি হরতাল, রাজনৈতিক অস্থিরতা কিংবা বন্দরের শ্রমিক আন্দোলনের জের ধরে। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে দেশের রপ্তানি চাহিদা অনুযায়ী বন্দরের সক্ষমতাকে শতভাগ ব্যবহারের জন্য নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নের পাশাপাশি পটুয়াখালীতে পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেন। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে যেটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে।
তার দায়িত্ব পালনকালেই চালু হয়েছে বহুল আলোচিত বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি)। নির্মাণ করা হচ্ছে ব্লাক টার্মিনাল ও বে-টার্মিনাল। এ ছাড়া বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারিদের জন্য সাড়ে ৩ হাজার ফ্ল্যাটের বহুতল ভবন। নির্মাণ করা হয়েছে নিলাম শেড, কার শেড ও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টসহ বিভিন্ন প্রকল্প।
নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতেৃত্বেই চট্টগ্রাম বন্দর কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে বিদায়ী বছর ২০১৫তে নতুন রেকর্ড গড়েছে। দেশের প্রধান এ সমুদ্রবন্দর গত এক বছরে ২০ লাখ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। যা বন্দরের ১২৮ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড।
নৌ বাহিনীর প্রাক্তন প্রধানরা হচ্ছেন :
নৌবাহিনীর প্রধান হচ্ছেন নিজাম উদ্দিন আহমেদ
আলম দিদার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বাংলামেইল২৪ডটকম
চট্টগ্রাম : বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ। আজ বা কালকের মধ্যে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারির সম্ভাবনা রয়েছে। নৌবাহিনীর প্রধান পদে দায়িত্ব নেয়ার সাথে সাথে তিনি রিয়ার অ্যাডমিরাল থেকে সরাসরি অ্যাডমিরাল র্যাংক ব্যাজ পরবেন।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি বর্তমান নৌবাহিনীর প্রধান ও বিমানবাহিনীর প্রধানের পদকে সেনাবাহিনীর জেনারেল র্যাংক সমান মর্যাদায় উন্নত করা হয়।
গত বছরের ৭ সপ্টেম্বর মন্ত্রিসভায় অষ্টম বেতন কাঠামো অনুমোদন দিয়ে তিন বাহিনীর প্রধানদের জন্য একই বেতন ও র্যাংক নির্ধারণ করে সশস্ত্র বাহিনীর নতুন বেতন কাঠামোও অনুমোদন করা হয়।
নিজাম উদ্দিন আহমেদর জন্ম ১৯৬০ সালে মাদারীপুর জেলায়। ১৯৭৯ সালের ৩০ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগদান করেন। তৎকালীন যুগোস্লাভিয়ার মার্শাল টিটো নেভাল একাডেমি থেকে স্নাতক পাস করার পর ১৯৮১ সালের ১ আগস্ট কমিশন লাভ করেন। একই সাথে তিনি জাতীয় ডিফেন্স কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ভারত, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকেও বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের জনক রিয়ার অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ বিশ্বের সব মহাদেশই ভ্রমণ করেছেন।
কর্মজীবনে রিযার অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ নেভি সদর দপ্তরে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির টিএএস স্কুলের পরির্দশক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের পরিচালক (অপারেশন) পদেও ছিলেন কর্মরত। কর্মজীবনে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য নিজাম উদ্দিন আহমেদকে আইএসএসবির ডেপুটি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
রিয়ার অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ কর্মজীবনে বাংলাদেশন নৌবাহিনীর টরাপেডো বোটস, মাইনসওয়েফারস, গান বোটস, ফ্রিগেটস ও অন্যান্য পেট্রোল বোটের কমান্ডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের এরিয়া কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশের হয়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনেও দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। রিয়ার অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিনকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ‘অসাধারণ সেবক পদক’ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রিয়ার অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর ঢাকার কেরানীগঞ্জে প্রথম ইনল্যান্ড পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করেন। তার দায়িত্বকালীনই গত দুই দশকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক অস্থির সময় পার করেছে।
তবে এ সময় একদিনের জন্যও বন্দরের কোনো অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ থাকেনি হরতাল, রাজনৈতিক অস্থিরতা কিংবা বন্দরের শ্রমিক আন্দোলনের জের ধরে। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে দেশের রপ্তানি চাহিদা অনুযায়ী বন্দরের সক্ষমতাকে শতভাগ ব্যবহারের জন্য নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নের পাশাপাশি পটুয়াখালীতে পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেন। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে যেটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে।
তার দায়িত্ব পালনকালেই চালু হয়েছে বহুল আলোচিত বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি)। নির্মাণ করা হচ্ছে ব্লাক টার্মিনাল ও বে-টার্মিনাল। এ ছাড়া বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারিদের জন্য সাড়ে ৩ হাজার ফ্ল্যাটের বহুতল ভবন। নির্মাণ করা হয়েছে নিলাম শেড, কার শেড ও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টসহ বিভিন্ন প্রকল্প।
নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতেৃত্বেই চট্টগ্রাম বন্দর কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে বিদায়ী বছর ২০১৫তে নতুন রেকর্ড গড়েছে। দেশের প্রধান এ সমুদ্রবন্দর গত এক বছরে ২০ লাখ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। যা বন্দরের ১২৮ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড।
নৌ বাহিনীর প্রাক্তন প্রধানরা হচ্ছেন :
- ক্যাপ্টেন নুরুল হক (৭ নভেম্বর ১৯৭৩ পর্যন্ত)
- কমোডর মোশাররফ হুসেইন খান (৭ নভেম্বর ১৯৭৩ - ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬)
- রিয়ার অ্যাডমিরাল মোশাররফ হুসেইন খান (২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ - ৩ নভেম্বর ১৯৭৯) - ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে জিয়াউর রহমান এবং এম জি তাওয়াব এর সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন
- রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান (৪ নভেম্বর ১৯৭৯ - ৬ আগস্ট ১৯৮৪)
- রিয়ার অ্যাডমিরাল সুলতান আহমেদ (৬ আগস্ট ১৯৮৪ - ১৪ আগস্ট ১৯৯০)
- রিয়ার অ্যাডমিরাল আমির আহম্মদ মুস্তাফা (১৫ আগস্ট ১৯৯০- ২ মে ১৯৯১)
- কমোডর মোহাম্মদ মোহাইমিনুল ইসলাম (৩ মে ১৯৯১ - ৩ জুন ১৯৯১)
- রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মোহাইমিনুল ইসলাম (৪ জুন ১৯৯১ - ৩ জুন ১৯৯৫)
- রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম (৪ জুন ১৯৯৫ - ৩ জুন ১৯৯৯)
- রিয়ার অ্যাডমিরাল আবু তাহের (৪ জুন ১৯৯৯ - ৩ জুন ২০০২)
- রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহ ইকবাল মুজতবা (৪ জুন ২০০২ - ৯ জানুয়ারি ২০০৫)
- রিয়ার অ্যাডমিরাল এম হাসান আলী খান (১০ জানুয়ারি ২০০৫ - ৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৭)
- রিয়ার অ্যাডমিরাল সরোয়ার জাহান নিজাম (১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ - ২৩ মে ২০০৭)
- ভাইস অ্যাডমিরাল সরোয়ার জাহান নিজাম (২৪ মে ২০০৭ - ২৮ জানুয়ারি ২০০৯)
- রিয়ার অ্যাডমিরাল জহির উদ্দিন আহমেদ (২৯ জানুয়ারি ২০০৯ - ৩ অক্টোবর ২০০৯)
- ভাইস অ্যাডমিরাল জহির উদ্দিন আহমেদ (৩ অক্টোবর ২০০৯ - ২৮ জানুয়ারি ২০১৩)
- অ্যাডমিরাল মুহাম্মদ ফরিদ হাবিব (২৯ জানুয়ারি ২০১৩ )