Riyad
FULL MEMBER
- Joined
- Jul 30, 2015
- Messages
- 1,525
- Reaction score
- -5
- Country
- Location
কক্সবাজারে আটক তিন পাকিস্তানিকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
৯ মে, ২০১৮ ০২:০২
শেয়ারমন্তব্য()প্রিন্ট
ছবি: কালের কণ্ঠ
অ- অ অ+
কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে গত সোমবার সন্ধ্যায় আটক করা তিন পাকিস্তানি নাগরিককে গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তিন পাকিস্তানিকে কক্সবাজারে দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা মারকাজুল মুসলেমিন নামের একটি এনজিও’র প্রতিষ্ঠাতা মুফতি রিয়াজ উদ্দিন খান নামের এক ব্যক্তিসহ আটক ৫ জনকেও জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল কক্সবাজারে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
কক্সবাজার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে তাদের আটক করা হয়। তারা এদিন রাজধানী ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে কক্সবাজার আসেন। তাদের গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আটক পাকিস্তানিরা হচ্ছেন- মোহাম্মদ আরশাদ (৫০), আসাদ-উর-রশিদ (২৭) ও শহীদ হাফিজ (৪৫)। তাদের মধ্যে প্রথম দু’জন বর্তমানে হংকংয়ে নাগরিকত্ব নিয়েছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে বিদেশি নাগরিকদের বিশেষ সেবায় নিয়োজিত পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান-‘আটক পাকিস্তানি এই তিন নাগরিক পাকিস্তান থেকে সরাসরি ঢাকায় না এসে প্রথমে হংকংয়ে যান। ওখান থেকে তারা গত রবিবার ঢাকায় পৌঁছেন। এরপর তারা এক মাসের ট্যুারিস্ট ভিসা সংগ্রহ করেন। সোমবারই তারা ঢাকা থেকে কক্সবাজার চলে আসেন।’
এক মাসের ট্যুরিস্ট ভিসা সংগ্রহকারী এ তিন পাকিস্তানি কক্সবাজার বিমানবন্দরে পুলিশের হাতে আটকের পর রাজধানী ঢাকায় অবস্থানকারি ক্ষমতাসীন দলীয় লোকজনের সঙ্গে উঠাবসা রয়েছে এমন একজন ব্যক্তি কক্সবাজারে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই ব্যক্তি পাকিস্তানি নাগরিককে ছাড়িয়ে নিতে তদবির করতেও কক্সবাজারে সংবাদকর্মীদের পরামর্শ দেন।
পুলিশ জানায়, প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিভিন্ন রকমের বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়। তারা বলে কক্সবাজারে আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে। বাস্তবে এরকম সঠিক ঠিকানা পুলিশকে জানাতে পারেনি। পরে পুলিশকে জানানো হয় তারা রোহিঙ্গা শিবির দেখতে এসেছেন। তাদের কথাবার্তা সন্দেহ জনক হওয়ায় তাদেরকে ক্যাম্পের দিকে যেতে দেয়নি পুলিশ।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. এ কে এম ইকবাল হোসেন জানান, আটক পাকিস্তানিদের গতকাল সকালেই কক্সবাজার থেকে ঢাকায় নভোএয়ার বিমানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরে সোমবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানি তিন নাগরিককে বহন করার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে হাজির হন মুফতি রিয়াজ উদ্দিন খাঁন নামের একজন মাওলানা। পুলিশ সেই অ্যাম্বুলেন্সসহ মুফতি ও অপর ৪ জনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে।
খুলনার খানজাহান আলী থানার শিরোমনি এলাকার খান মতিয়ার রহমানের পুত্র মুফতি রিয়াজ উদ্দিন খাঁন মার্কাজ-উল-মুসলেমিন নামের একটি এনজিওর প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশি মুফতি রিয়াজ উদ্দিন খাঁন নামের মাওলানা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাকিস্তানিদের রাখাসহ তাদের দেখভাল করার জন্য সফরসঙ্গী হিসেবে ঠিক করা হয়। কিন্তু পুলিশের গোয়েন্দা তৎপরতার কারণে তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
অভিযোগ উঠেছে যে, কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে প্রায়শ রোহিঙ্গাদের মাঝে নগদ টাকা বিলি করে পাকিস্তানি নাগরিকগণ। শিবিরের কিছু রোহিঙ্গা নেতাদের (রোহিঙ্গা মাঝি) হাত করে এসব পাকিস্তানি নাগরিক রোহিঙ্গা যুবকদের হাতে নগদ টাকা তুলে দিয়ে তাদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে কাজ করছে। গোয়েন্দা কর্মীরা জানিয়েছেন, তারা পাকিস্তানি নাগরিকদের গোপনে এবং নানা ছলছাতুরির মাধ্যমে রোহিঙ্গা শিবিরে আসা-যাওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।
http://www.kalerkantho.com/online/country-news/2018/05/09/634152
Translation from online.
Three Pakistani nationals arrested on Monday evening from Cox's Bazar Airport were sent to Dhaka on Tuesday morning. Police have released five people detained along with a person named Mufti Riaz Uddin Khan, a NGO named Murakajul Muslimin, who is in charge of taking care of three Pakistanis in Cox's Bazar, after being interrogated yesterday in Cox's Bazar.
Cox's Bazar police sources said they were arrested from Cox's Bazar airport on Monday evening. They came to Cox's Bazar from Bangladesh capital on Wednesday. Their detective police custody was thoroughly interrogated.
Pakistanis arrested from Cox's Bazar airport - Mohammad Arshad (50), Asad-ur-Rashid (27) and Shahid Hafeez (45). The first two of them now have citizenship in Hong Kong.
Police inspector Monirul Islam, who was specially commissioned by foreign nationals at Cox's Bazar Airport, said, 'The three Pakistani Pakistani nationals did not go to Dhaka directly from Pakistan and went to Hong Kong first. From there they reached Dhaka on Sunday. They then collected a month's tourist visa. On Monday, they came to Dhaka from Cox's Bazar.
After being arrested by the police at the Cox's Bazar airport, a tourist of one month's tourist visa, a person with a standing political party in Dhaka, contacted the media in Cox's Bazar. The person advised the press workers in Cox's Bazar to lobby to recover the Pakistani nationals.
Police said they provided various confusing information in the first interrogation. They say there are relatives in Cox's Bazar. In reality, this kind of proper address could not be reported to the police. Later, the police were informed that they came to see the Rohingya camp. Police did not allow them to go to the camp because they were skeptical about their conversation.
Cox's Bazar Police Super AKM Iqbal Hossain said that the detained Pakistanis were sent to Cox's Bazar on NovoAir Airways in Dhaka on Wednesday morning. Mufti Riaz Uddin Khan, a Maulana, came out with an ambulance to carry three Pakistani nationals on Cox's Bazar Airport on Monday evening. The police interrogated Mufti and other 4 people including the ambulance after detaining them.
Mufti Riaz Uddin Khan, the son of Khan Motiar Rahman of Shiromani area of Khanjanahan Ali than Khulna, founder of a NGO named Markaz-ul-Muslemin. Bangladeshi Mufti Riaz Uddin Khan, who was kept in the Maolana Rohingya camp named as Pakistan's tourists, was chosen as traveling companion. But due to the police intelligence efforts, their efforts failed.
It is alleged that Pakistani citizens by distributing cash in Rohingya often in Kutupalong Rohingya camps. By handing some Rohingya Rohingya leaders (Rohingya Majhi) to the camp, these Pakistani citizens have been working to fulfill their misdeeds by raising cash in hand at Rohingya youths. Intelligence officials said they are investigating the incident of going to the Rohingya camp by the Pakistani nationals secretly and through various tricks.
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
৯ মে, ২০১৮ ০২:০২
শেয়ারমন্তব্য()প্রিন্ট
ছবি: কালের কণ্ঠ
অ- অ অ+
কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে গত সোমবার সন্ধ্যায় আটক করা তিন পাকিস্তানি নাগরিককে গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তিন পাকিস্তানিকে কক্সবাজারে দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা মারকাজুল মুসলেমিন নামের একটি এনজিও’র প্রতিষ্ঠাতা মুফতি রিয়াজ উদ্দিন খান নামের এক ব্যক্তিসহ আটক ৫ জনকেও জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল কক্সবাজারে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
কক্সবাজার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে তাদের আটক করা হয়। তারা এদিন রাজধানী ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে কক্সবাজার আসেন। তাদের গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আটক পাকিস্তানিরা হচ্ছেন- মোহাম্মদ আরশাদ (৫০), আসাদ-উর-রশিদ (২৭) ও শহীদ হাফিজ (৪৫)। তাদের মধ্যে প্রথম দু’জন বর্তমানে হংকংয়ে নাগরিকত্ব নিয়েছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে বিদেশি নাগরিকদের বিশেষ সেবায় নিয়োজিত পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান-‘আটক পাকিস্তানি এই তিন নাগরিক পাকিস্তান থেকে সরাসরি ঢাকায় না এসে প্রথমে হংকংয়ে যান। ওখান থেকে তারা গত রবিবার ঢাকায় পৌঁছেন। এরপর তারা এক মাসের ট্যুারিস্ট ভিসা সংগ্রহ করেন। সোমবারই তারা ঢাকা থেকে কক্সবাজার চলে আসেন।’
এক মাসের ট্যুরিস্ট ভিসা সংগ্রহকারী এ তিন পাকিস্তানি কক্সবাজার বিমানবন্দরে পুলিশের হাতে আটকের পর রাজধানী ঢাকায় অবস্থানকারি ক্ষমতাসীন দলীয় লোকজনের সঙ্গে উঠাবসা রয়েছে এমন একজন ব্যক্তি কক্সবাজারে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই ব্যক্তি পাকিস্তানি নাগরিককে ছাড়িয়ে নিতে তদবির করতেও কক্সবাজারে সংবাদকর্মীদের পরামর্শ দেন।
পুলিশ জানায়, প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিভিন্ন রকমের বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়। তারা বলে কক্সবাজারে আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে। বাস্তবে এরকম সঠিক ঠিকানা পুলিশকে জানাতে পারেনি। পরে পুলিশকে জানানো হয় তারা রোহিঙ্গা শিবির দেখতে এসেছেন। তাদের কথাবার্তা সন্দেহ জনক হওয়ায় তাদেরকে ক্যাম্পের দিকে যেতে দেয়নি পুলিশ।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. এ কে এম ইকবাল হোসেন জানান, আটক পাকিস্তানিদের গতকাল সকালেই কক্সবাজার থেকে ঢাকায় নভোএয়ার বিমানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরে সোমবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানি তিন নাগরিককে বহন করার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে হাজির হন মুফতি রিয়াজ উদ্দিন খাঁন নামের একজন মাওলানা। পুলিশ সেই অ্যাম্বুলেন্সসহ মুফতি ও অপর ৪ জনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে।
খুলনার খানজাহান আলী থানার শিরোমনি এলাকার খান মতিয়ার রহমানের পুত্র মুফতি রিয়াজ উদ্দিন খাঁন মার্কাজ-উল-মুসলেমিন নামের একটি এনজিওর প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশি মুফতি রিয়াজ উদ্দিন খাঁন নামের মাওলানা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাকিস্তানিদের রাখাসহ তাদের দেখভাল করার জন্য সফরসঙ্গী হিসেবে ঠিক করা হয়। কিন্তু পুলিশের গোয়েন্দা তৎপরতার কারণে তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
অভিযোগ উঠেছে যে, কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে প্রায়শ রোহিঙ্গাদের মাঝে নগদ টাকা বিলি করে পাকিস্তানি নাগরিকগণ। শিবিরের কিছু রোহিঙ্গা নেতাদের (রোহিঙ্গা মাঝি) হাত করে এসব পাকিস্তানি নাগরিক রোহিঙ্গা যুবকদের হাতে নগদ টাকা তুলে দিয়ে তাদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে কাজ করছে। গোয়েন্দা কর্মীরা জানিয়েছেন, তারা পাকিস্তানি নাগরিকদের গোপনে এবং নানা ছলছাতুরির মাধ্যমে রোহিঙ্গা শিবিরে আসা-যাওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।
http://www.kalerkantho.com/online/country-news/2018/05/09/634152
Translation from online.
Three Pakistani nationals arrested on Monday evening from Cox's Bazar Airport were sent to Dhaka on Tuesday morning. Police have released five people detained along with a person named Mufti Riaz Uddin Khan, a NGO named Murakajul Muslimin, who is in charge of taking care of three Pakistanis in Cox's Bazar, after being interrogated yesterday in Cox's Bazar.
Cox's Bazar police sources said they were arrested from Cox's Bazar airport on Monday evening. They came to Cox's Bazar from Bangladesh capital on Wednesday. Their detective police custody was thoroughly interrogated.
Pakistanis arrested from Cox's Bazar airport - Mohammad Arshad (50), Asad-ur-Rashid (27) and Shahid Hafeez (45). The first two of them now have citizenship in Hong Kong.
Police inspector Monirul Islam, who was specially commissioned by foreign nationals at Cox's Bazar Airport, said, 'The three Pakistani Pakistani nationals did not go to Dhaka directly from Pakistan and went to Hong Kong first. From there they reached Dhaka on Sunday. They then collected a month's tourist visa. On Monday, they came to Dhaka from Cox's Bazar.
After being arrested by the police at the Cox's Bazar airport, a tourist of one month's tourist visa, a person with a standing political party in Dhaka, contacted the media in Cox's Bazar. The person advised the press workers in Cox's Bazar to lobby to recover the Pakistani nationals.
Police said they provided various confusing information in the first interrogation. They say there are relatives in Cox's Bazar. In reality, this kind of proper address could not be reported to the police. Later, the police were informed that they came to see the Rohingya camp. Police did not allow them to go to the camp because they were skeptical about their conversation.
Cox's Bazar Police Super AKM Iqbal Hossain said that the detained Pakistanis were sent to Cox's Bazar on NovoAir Airways in Dhaka on Wednesday morning. Mufti Riaz Uddin Khan, a Maulana, came out with an ambulance to carry three Pakistani nationals on Cox's Bazar Airport on Monday evening. The police interrogated Mufti and other 4 people including the ambulance after detaining them.
Mufti Riaz Uddin Khan, the son of Khan Motiar Rahman of Shiromani area of Khanjanahan Ali than Khulna, founder of a NGO named Markaz-ul-Muslemin. Bangladeshi Mufti Riaz Uddin Khan, who was kept in the Maolana Rohingya camp named as Pakistan's tourists, was chosen as traveling companion. But due to the police intelligence efforts, their efforts failed.
It is alleged that Pakistani citizens by distributing cash in Rohingya often in Kutupalong Rohingya camps. By handing some Rohingya Rohingya leaders (Rohingya Majhi) to the camp, these Pakistani citizens have been working to fulfill their misdeeds by raising cash in hand at Rohingya youths. Intelligence officials said they are investigating the incident of going to the Rohingya camp by the Pakistani nationals secretly and through various tricks.