Riyad
FULL MEMBER
- Joined
- Jul 30, 2015
- Messages
- 1,525
- Reaction score
- -5
- Country
- Location
It also made news in Kolkata. There is only Hilsa fish in BD market now. Everywhere from fish market to roadside of every area only Hilsa and Hilsa. Local name is Ilish. The price has also come down to all time low.
First report is from Kolkata, Bangla. Second report is from Bangladesh.
বাংলাদেশের বড় ইলিশ যে দামে বিকোচ্ছে, তা ভাবতেও পারবে না কলকাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ২১:৫৪:৪০
ঢাকা শহরের মাছবাজার এখন ইলিশে ভরপুর। নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে, সে কারণেই বাজারে আমদানি বাড়ায় আগের তুলনায় দাম এখন অনেক কম। দাম কমায় ইলিশের ক্রেতাও বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। সারা বছর আগুনদামের ইলিশ এখন মধ্যবিত্তের নাগালে। তাঁরা কিনছেনও মহা আনন্দে।
রাজধানী ঢাকার বেশ কয়েকটি মাছের বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে, প্রতি জোড়া ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে চোদ্দশো (বড়), ৬০০ থেকে ৮০০ (মাঝারি) এবং ছোট সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়।
ঢাকার সবচেয়ে বড় মাছের বাজার কারওয়ান বাজারের কয়েক জন ইলিশ বিক্রেতা জানালেন, বছরের এই সময়টাতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যায়, কারণ এখন ইলিশের ভরা মরসুম। বর্ষার কারণে জালে ইলিশ ধরা পড়ছে। এ কারণেই বাজারে ইলিশের আমদানি বেড়েছে। দামও আগের চেয়ে কমেছে। গত কয়েক বছর প্রজনন মরসুমে কড়াকড়ি ভাবে ইলিশ ধরা বন্ধ রাখা, জাটকা (ছোট ইলিশ) ধরার ক্ষেত্রে কঠোর আইনের ফলে ইলিশের সংখ্যা বেড়েছে— এমনটাই সবার ধারণা।
তবে ক্রেতার মুখে ভিন্ন কথা। কারওয়ান বাজার ইলিশ মাছ কিনতে আসা কয়েক জন ক্রেতা জানালেন, মাঝারি আকারের দু’টি ইলিশ ১ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছেন তাঁরা। তাঁদের কথায়, ‘‘ইলিশ বাড়ছে, কিন্তু দাম তো সেই অনুপাতে কমেনি। ছোট দু’টি ইলিশের দাম পড়ছে হাজার টাকা! অথচ ভরা মরসুমে এই আকারের দু’টি ইলিশের দাম ৫০০ টাকা হওয়ার কথা!’’
http://www.anandabazar.com/banglade...ngladeshi-market-price-reduced-dgtl-1.474775#
'ইলিশ মাছ কোনদিন এমন সস্তা ছিলনা'
আকবর হোসেন বিবিসি বাংলা, ঢাকা
ঢাকার বাজার থেকে কোন মধ্যবিত্ত পরিবারের দুই দিনে ১২টি ইলিশ মাছ কেনার ঘটনা ইদানীংকালে খুবই বিরল।
কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে ঢাকার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় যেভাবে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে সেটি অনেকের জন্যই বেশ অভাবনীয়। অনেকে একসাথে কয়েক হালি ইলিশ মাছ কিনছেন।
এভাবে ইলিশ মাছ কেনার কারণ কম দাম। ঢাকার গ্রিন রোডের বাসিন্দা মুন্নি আক্তার সকালে বাজার করতে এসে চারটি ইলিশ মাছ কিনেছেন। গতকালও তিনি কিনেছিলেন আটটি ইলিশ মাছ।
বাংলাদেশের মানুষের খাবারের তালিকায় ইলিশ মাছ সম্প্রতি দুর্লভ হয়ে উঠেছিল। অনেকটা দুষ্প্রাপ্য হওয়ায় চড়া দাম হয়েছিল ইলিশের। সে কারণে দুষ্প্রাপ্য এই মাছ মধ্যবিত্তের নাগালের অনেকটা বাইরে চলে গিয়েছিল।
তবে ঢাকার বাজারে ইলিশের প্রচুর সরবরাহ এবং তুলনামূলক কম দাম অনেকেই হতবাক করছে। খাবারের পাত থেকে অনেকটা হারিয়ে যাওয়া ইলিশ আবার ফিরে এসেছে।
ইলিশ মাছ কিনতে ভিড় করছেন অনেকেই।
ঢাকার বাসিন্দা আমির হোসেন জানালেন, ইলিশের এ দাম তার কাছে কল্পনার মতোই মনে হচ্ছে।
মি: হোসেন বলেন, " একটা ইলিশ মাছের দাম ছিল ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। এখন তো এক হালি কিনতেছি ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকায়। ইলিশ মাছ কোনদিন এমন সস্তা ছিলনা। এবারই সবচেয়ে বেশি সস্তা।"
বাজারে রুই ,কাতল, পাঙ্গাশ - নানা ধরনের মাছ থাকলেও সেদিকে ক্রেতাদের নজর যাচ্ছে খুবই কম। বেশিরভাগ ক্রেতার দৃষ্টি ইলিশ মাছের দিকে।
মাছ বিক্রেতা রুহুল আমিন বলছিলেন, ইলিশের দাম এতটা নেমে আসবে সেটি তিনি ভাবতেও পারেননি।
মি: আমিনের বর্ণনায়, " এটা তো স্বপ্ন। ভাবতেই পারি নাই। স্বপ্নে দেখতাছে আর বাস্তবে খাইতাছে। এ রকম আর কি! "
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের ইলিশ মাছ বিষয়ে গবেষক ড: আনিসুর রহমান জানালেন, প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় বাজারে এর দামও কমে এসেছে।
মা ইলিশ এবং জাটকা রক্ষার জন্য বছরের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইলিশের উৎপাদন ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানালেন ড: রহমান।
তিনি বলেন, "একটি ইলিশ একবারে গড়ে দশ থেকে বারো লক্ষ ডিম ছাড়ে। ভেবে দেখুন এটা কত বড় একটা বিষয়।"
ড: রহমান জানান মা ইলিশ যাতে ডিম ছাড়তে পারে সেজন্য প্রতিবছর অক্টোবর-নভেম্বর মাসে প্রায় তিন সপ্তাহ দেশের সাত হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে।
এ জায়গাগুলো হচ্ছে, ভোলার তজুমুদ্দিন, চট্টগ্রামের গন্ডামারা, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া এবং পটুয়াখালীর কিছু এলাকা।
তিনি জানালেন, ডিম ছাড়ার পর সে ইলিশ যাতে বড় হতে পারে সেজন্য প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিল মাসে দেশের পাঁচটি এলাকায় জাটকা বা ছোট ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
যে জায়গাগুলোতে জাটকা ধরা নিষিদ্ধ সেগুলো হচ্ছে - লক্ষ্মীপুর, ভোলা, নোয়াখালী, চাঁদপুর এবং পটুয়াখালীর বিস্তীর্ণ এলাকা।
এ ধারা অব্যাহত থাকলে ইলিশের উৎপাদন আরো বাড়বে বলে মনে করেন ড: রহমান।
তিনি জানিয়েছেন, যে সময়টিতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে সে সময়টিতে জেলেরা যাতে বিকল্প কর্মসংস্থান করতে পারে সেজন্য সরকার প্রকল্প চালু করেছে।
http://www.bbc.com/bengali/news-37431709
First report is from Kolkata, Bangla. Second report is from Bangladesh.
বাংলাদেশের বড় ইলিশ যে দামে বিকোচ্ছে, তা ভাবতেও পারবে না কলকাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ২১:৫৪:৪০
ঢাকা শহরের মাছবাজার এখন ইলিশে ভরপুর। নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে, সে কারণেই বাজারে আমদানি বাড়ায় আগের তুলনায় দাম এখন অনেক কম। দাম কমায় ইলিশের ক্রেতাও বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। সারা বছর আগুনদামের ইলিশ এখন মধ্যবিত্তের নাগালে। তাঁরা কিনছেনও মহা আনন্দে।
রাজধানী ঢাকার বেশ কয়েকটি মাছের বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে, প্রতি জোড়া ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে চোদ্দশো (বড়), ৬০০ থেকে ৮০০ (মাঝারি) এবং ছোট সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়।
ঢাকার সবচেয়ে বড় মাছের বাজার কারওয়ান বাজারের কয়েক জন ইলিশ বিক্রেতা জানালেন, বছরের এই সময়টাতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যায়, কারণ এখন ইলিশের ভরা মরসুম। বর্ষার কারণে জালে ইলিশ ধরা পড়ছে। এ কারণেই বাজারে ইলিশের আমদানি বেড়েছে। দামও আগের চেয়ে কমেছে। গত কয়েক বছর প্রজনন মরসুমে কড়াকড়ি ভাবে ইলিশ ধরা বন্ধ রাখা, জাটকা (ছোট ইলিশ) ধরার ক্ষেত্রে কঠোর আইনের ফলে ইলিশের সংখ্যা বেড়েছে— এমনটাই সবার ধারণা।
তবে ক্রেতার মুখে ভিন্ন কথা। কারওয়ান বাজার ইলিশ মাছ কিনতে আসা কয়েক জন ক্রেতা জানালেন, মাঝারি আকারের দু’টি ইলিশ ১ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছেন তাঁরা। তাঁদের কথায়, ‘‘ইলিশ বাড়ছে, কিন্তু দাম তো সেই অনুপাতে কমেনি। ছোট দু’টি ইলিশের দাম পড়ছে হাজার টাকা! অথচ ভরা মরসুমে এই আকারের দু’টি ইলিশের দাম ৫০০ টাকা হওয়ার কথা!’’
http://www.anandabazar.com/banglade...ngladeshi-market-price-reduced-dgtl-1.474775#
'ইলিশ মাছ কোনদিন এমন সস্তা ছিলনা'
আকবর হোসেন বিবিসি বাংলা, ঢাকা
- ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
ঢাকার বাজার থেকে কোন মধ্যবিত্ত পরিবারের দুই দিনে ১২টি ইলিশ মাছ কেনার ঘটনা ইদানীংকালে খুবই বিরল।
কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে ঢাকার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় যেভাবে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে সেটি অনেকের জন্যই বেশ অভাবনীয়। অনেকে একসাথে কয়েক হালি ইলিশ মাছ কিনছেন।
এভাবে ইলিশ মাছ কেনার কারণ কম দাম। ঢাকার গ্রিন রোডের বাসিন্দা মুন্নি আক্তার সকালে বাজার করতে এসে চারটি ইলিশ মাছ কিনেছেন। গতকালও তিনি কিনেছিলেন আটটি ইলিশ মাছ।
বাংলাদেশের মানুষের খাবারের তালিকায় ইলিশ মাছ সম্প্রতি দুর্লভ হয়ে উঠেছিল। অনেকটা দুষ্প্রাপ্য হওয়ায় চড়া দাম হয়েছিল ইলিশের। সে কারণে দুষ্প্রাপ্য এই মাছ মধ্যবিত্তের নাগালের অনেকটা বাইরে চলে গিয়েছিল।
তবে ঢাকার বাজারে ইলিশের প্রচুর সরবরাহ এবং তুলনামূলক কম দাম অনেকেই হতবাক করছে। খাবারের পাত থেকে অনেকটা হারিয়ে যাওয়া ইলিশ আবার ফিরে এসেছে।
ইলিশ মাছ কিনতে ভিড় করছেন অনেকেই।
ঢাকার বাসিন্দা আমির হোসেন জানালেন, ইলিশের এ দাম তার কাছে কল্পনার মতোই মনে হচ্ছে।
মি: হোসেন বলেন, " একটা ইলিশ মাছের দাম ছিল ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। এখন তো এক হালি কিনতেছি ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকায়। ইলিশ মাছ কোনদিন এমন সস্তা ছিলনা। এবারই সবচেয়ে বেশি সস্তা।"
বাজারে রুই ,কাতল, পাঙ্গাশ - নানা ধরনের মাছ থাকলেও সেদিকে ক্রেতাদের নজর যাচ্ছে খুবই কম। বেশিরভাগ ক্রেতার দৃষ্টি ইলিশ মাছের দিকে।
মাছ বিক্রেতা রুহুল আমিন বলছিলেন, ইলিশের দাম এতটা নেমে আসবে সেটি তিনি ভাবতেও পারেননি।
মি: আমিনের বর্ণনায়, " এটা তো স্বপ্ন। ভাবতেই পারি নাই। স্বপ্নে দেখতাছে আর বাস্তবে খাইতাছে। এ রকম আর কি! "
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের ইলিশ মাছ বিষয়ে গবেষক ড: আনিসুর রহমান জানালেন, প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় বাজারে এর দামও কমে এসেছে।
মা ইলিশ এবং জাটকা রক্ষার জন্য বছরের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইলিশের উৎপাদন ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানালেন ড: রহমান।
তিনি বলেন, "একটি ইলিশ একবারে গড়ে দশ থেকে বারো লক্ষ ডিম ছাড়ে। ভেবে দেখুন এটা কত বড় একটা বিষয়।"
ড: রহমান জানান মা ইলিশ যাতে ডিম ছাড়তে পারে সেজন্য প্রতিবছর অক্টোবর-নভেম্বর মাসে প্রায় তিন সপ্তাহ দেশের সাত হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে।
এ জায়গাগুলো হচ্ছে, ভোলার তজুমুদ্দিন, চট্টগ্রামের গন্ডামারা, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া এবং পটুয়াখালীর কিছু এলাকা।
তিনি জানালেন, ডিম ছাড়ার পর সে ইলিশ যাতে বড় হতে পারে সেজন্য প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিল মাসে দেশের পাঁচটি এলাকায় জাটকা বা ছোট ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
যে জায়গাগুলোতে জাটকা ধরা নিষিদ্ধ সেগুলো হচ্ছে - লক্ষ্মীপুর, ভোলা, নোয়াখালী, চাঁদপুর এবং পটুয়াখালীর বিস্তীর্ণ এলাকা।
এ ধারা অব্যাহত থাকলে ইলিশের উৎপাদন আরো বাড়বে বলে মনে করেন ড: রহমান।
তিনি জানিয়েছেন, যে সময়টিতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে সে সময়টিতে জেলেরা যাতে বিকল্প কর্মসংস্থান করতে পারে সেজন্য সরকার প্রকল্প চালু করেছে।
http://www.bbc.com/bengali/news-37431709