What's new

News from Bangladesh-Updates and Discussion

ভোট হবে সংসদ ভেঙে!
bb3d711a79e8c2085af97ad17092c68a-586501d4dc306-660x330.jpg

ভোট হবে সংসদ ভেঙে!
চলমান দশম সংসদ ভেঙে দিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরিসহ সব ধরনের জটিলতা এড়াতে সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্তের দিকে যেতে পারে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপকালে এমন আভাস পাওয়া গেছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করে জানা গেছে, দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আন্তরিক। দলটি সরকারের সঙ্গে যেকোনও পর্যায়ে ‘সমাঝোতা’য় পৌঁছে নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। আর বিএনপিকে বাইরে রেখে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খানিকটা ‘চাপে’ থাকা আওয়ামী লীগও দলটির ব্যাপারে কিছুটা নমনীয়। ক্ষমতাসীন দলটির নীতিগত অবস্থান সংবিধানের মধ্যে থেকে যতটুকু সম্ভব, ছাড় দিয়ে সব দলের অংশ নেওয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠানের।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সংবিধানের মধ্য থেকে যেসব ছাড় দেওয়ার সুযোগ রয়েছে, তার মধ্যে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের। এতে সরকারের ওপর প্রভাব খুব একটা না পড়লেও নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। তারা বলেন, নির্বাচনির আইন অনুযায়ী প্রার্থীদের নির্বাচনি মাঠে সমান সুযোগ পাওয়ার কথা থাকলেও চলমান সংসদ সদস্যরা অলিখিতভাবে কিছুটা হলেও বেশি সুযোগ পাবেন। বিশেষ করে পুরো সংসদের সময় ধরে প্রকোটল দিয়ে আসা প্রশাসনের লোকজনের ওই রানিং এমপিদে প্রতি ঝোঁক একটু বেশি থাকবে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হবেন। যা লেভেল প্লেইং ফিল্ডের ওপর খানিকটা বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সংসদে ভেঙে দেওয়ার প্রশ্ন এলেও তা হয়তো সহসা হবে না। সংসদের মেয়াদের পূর্তির পূর্ববর্তী নব্বই দিনের সামান্য আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বা তার কিছু আগে হতে পারে। এক্ষেত্রে ভেঙে দেওয়ার দিন থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরের তৃতীয় কিংবা শেষ সপ্তাহে ভোট হতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ মে খসড়া রোডম্যাপ ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছিলেন, ‘সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অবশ্য গত ১৬ জুলাই তিনি বলেছিলেন, ভোট কবে হবে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। সংসদ যদি ডিজল্‌ভ না হয়, তাহলে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের নব্বইদিনের মধ্যে ভোট হবে। আর প্রধানমন্ত্রী যদি আজই রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভেঙে দিতে বলেন, তাহলে আগামী কাল থেকেই ভোটের দিন গণনা শুরু হবে এবং কাল থেকে নব্বই দিনের মধ্যে আমাদের ভোট করতে হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চাইলে সংসদ ভেঙে দিয়ে ভোট হতে পারে। তিনি যদি রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার অনুরোধ করেন, তাহলে সংসদ ভেঙে এখন থেকে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। তবে প্রধানমন্ত্রী এটা চাইবেন কিনা, সেটা তার ব্যাপার।’

এক প্রশ্নের জবাবে সরকার দলের এমপি ড. রাজ্জাক বলেন, ‘সংসদে ভেঙে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিএনপি যদি শর্ত দেয়, তাহলে সেটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে যাই হোক, সংবিধানের মধ্যেই হতে হবে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগে নেই।’

সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ‘সংবিধানে সংসদ ভেঙে ভোট অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চাইলে এটা করতে পারেন। তবে এর প্রয়োজন হবে বলে মনে করি না।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা চাই, সব দলের অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন। সংসদ ভেঙে ভোট হলেই বিএনপি আসবে, সেটা মনে করি না। তবে, এটা হলে নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরির পথ সহজ হবে।’ তিনি বলেন, ‘আইনে যতই থাকুক না কেন, পদে থেকে যারা কেউ নির্বাচন করবেন, আর পদের বাইরে থেকে যারা নির্বাচন করবেন, তাদের সবার জন্য সুযোগ একই হবে না। এ ক্ষেত্রে সংসদ ভেঙে ভোট হলে অবশ্য একটা ভালো ফল পাওয়া যাবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘সংসদ ভেঙে ভোট হবে। এ ধরনের কোনও তথ্য ইসির কাছে নেই। তবে সংবিধানে এই প্রভিশনের কথা আছে। সেই হিসেবে প্রধানমন্ত্রী চাইলে এটা হতে পারে। আর সিইসি যে কথা বলেছেন, তিনি সংবিধানের প্রভিশনের কথাই বলেছেন। সুনির্দিষ্ট করে সংসদ ভেঙে দিয়ে ভোটের কথা বলেননি। আপনাদের কাছে ভেঙে দেওয়ার কথাটা শুনতে একটু বেশি ‘এমফেসিস’ মনে হয়েছে।’’

প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দশম সংসদ সময় বিএনপির অংশ নেওয়ার স্বার্থে পরবর্তী সময়ে সংসদ ভেঙে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আপনাদের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ট্রেন মিস হয়ে গেছে। আপনারা অবরোধের নামে মানুষ পোড়ানো, গাছ কাটা, বাসে আগুন, গাড়ি ভাঙচুর, হরতাল বন্ধ করেন। তাহলে এই নির্বাচনের পরে অলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসতে পারলে তবে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন দেব। সংবিধান মেতাবেক এই নির্বাচন হবে। এজন্য বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে হবে।’

http://rtnews24.net/politics/69598
 
.
Hidden Agenda behinds Khaleda's U.K Visit?
খালেদা জিয়ার লন্ডন মিশনের অন্তরালে কী?

8a11f05ecdbf20930e44d6d9e17075d1-596ef4764bc65-650x330.jpg

তারেক রহমান
খালেদা জিয়ার লন্ডন মিশনের অন্তরালে কী?
Related Articles

বিলাত ফেরত সহায়ক সরকার

কাজী সিরাজ

শিডিউল ঘোষণার আগে একাদশ সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক বাগযুদ্ধ বেশ জমে উঠেছে এবং মানুষ তা উপভোগ করছে। প্রধান দুই পক্ষ যেভাবে কথাবার্তা বলছেন, তাতে যদি তারা অটল থাকেন তাহলে একটি অংশগ্রহণমূলক ও সর্বজনগ্রাহ্য নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় ঘনীভূত হতে থাকবে। কিন্তু ক্ষমতাসীন লীগ সরকার কি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনের মতো আরেকটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের ঝুঁকি নিতে পারে? আবার সরকারি দলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ও মাঠের প্রকৃত বিরোধী দল বিএনপিও কী গত নির্বাচনের মতো আগামী নির্বাচনও বর্জন করার সর্বনাশা পক্ষে পা দিতে পারে? প্রধান দুই দলের কেউই বিগত নির্বাচনে যে ভুল করেছে, আবারও সে ভুল করবে বলে মনে হয় না। এটা সবারই জানা যে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ৩০০ সরাসরি আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে কোনো নির্বাচন-ভোটাভুটিই হয়নি। অথচ বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৫(২) অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে যে, ‘একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাসমূহ হইতে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচিত তিনশত সদস্য লইয়া এবং এই অনুচ্ছেদের (৩) দফার কার্যকরতাকালে উক্ত দফায় বর্ণিত সদস্যদিগকে (সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য) লইয়া সংসদ গঠিত হইবে; সদস্যগণ সংসদ-সদস্য বলিয়া অভিহিত হইবেন।

’ কিন্তু আমরা দেখলাম, ১৫৩ আসনে কোনো নির্বাচনই হয়নি।
অত্যাশ্চর্য এক ‘সমঝোতার গণতন্ত্র’ দেখলাম আমরা, দেখলো দেশবাসী। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসনগুলো সমঝোতার মাধ্যমে ভাগাভাগি করে নেওয়া হয়। এমনও বলা হয়েছিল, বিএনপি সমঝোতায় এলে তাদেরও কিছু আসন ছেড়ে দেওয়া হতো। ভাগ্যিস বিএনপি সম্মত হয়নি, তাহলে তো ৩০০ আসনে সবাই বিনাভোটে ‘অটো’ এমপি হয়ে যেতেন। ব্যবস্থাটি অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশে ইহজিন্দেগিতে আর নির্বাচন হতো না এবং বাংলাদেশ বিশ্বে ‘সমঝোতার ভোটবিহীন সংসদের’ রোল মডেল হয়ে যেত। বলা হয়েছে (অবশ্যই ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে) নির্বাচনে আসা না আসা যে কোনো দলের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। কেউ নির্বাচনে না এলে তো জোর করে আনা যায় না। তাছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে সংবিধানে কোনো বাধা নেই।

এর আগেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেকের নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড আছে। কিন্তু কত? ৩০০ আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৫১ আসনের বেশি কবে বিনাভোটে ‘নির্বাচিত’ হয়েছেন? শাসক লীগ এক্ষেত্রে একটি ‘বিশ্বরেকর্ড’ করে ফেলেছে, যে রেকর্ড কেউ কখনো ভঙ্গ করতে পারবে না। নির্বাচন ছাড়াই যে ১৫৩টি আসন ভাগাভাগি করে নেওয়া হলো, ‘আমরা আর আমাদের মামুদের’ মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমেই যদি আপসে তা করা হতো তাহলেও সংবিধানের ৬৫(২) অনুচ্ছেদ মানা হয়েছে বলে দাবি করা যেত। সে ধৈর্যও ছিল না ক্ষমতাসীনদের। নির্বাচনটি যদি সম্পন্ন করা না যেত তাহলে সাংবিধানিক শাসনের ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতো বলে আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেন সরকারি দলের লোকেরা, মন্ত্রী-মিনিস্টাররা। কিন্তু নির্বাচন বর্জনকারীদের নির্বাচনে আনার দুটি সুযোগ তো ছিল; ১. নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ও নির্বাচনের তারিখ কিছুটা পিছিয়ে দিয়ে বর্জনকারীদের ফিরে আসার সুযোগ দেওয়া, অন্তত দুই সপ্তাহ সময় নির্বাচন কমিশনের হাতে ছিল, ২. সংবিধান নির্দেশিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন সবাইকে নিয়ে করা না গেলে করণীয় সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা চাওয়া। টাঙ্গাইলে লতিফ সিদ্দিকীর শূন্য আসনে সংবিধান নির্দেশিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে না পেরে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা প্রার্থনা করা হয়েছিল এবং আদালতের নির্দেশে সেই উপ-নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে ঘোষিত তারিখের প্রায় এক বছর পর। গোটা সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি তো ছিল আরও গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু কায়েমি স্বার্থে সে ব্যাপারে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়নি। চাইলে সেই নির্বাচনও অংশগ্রহণমূলক করার একটা আলোর সন্ধান হয়তো পাওয়া যেত। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে শুদ্ধ করার সুযোগ নেই। তবে তা থেকে প্রধান দুই পক্ষেরই শিক্ষা নেওয়ার আছে। গত বছর অক্টোবর মাসে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি কৌতুক করে বা কথার ছলে বলেছিলেন যে, ‘আগামী নির্বাচনটি প্রশ্নবিদ্ধ হোক তা আমি চাই না? নিশ্চয়ই না। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন’ তাকে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতা দিয়েছে, কিন্তু একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ ও সেই সংসদের নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে, গণতান্ত্রিক বিশ্বে তাকে তেমন গৌরবদীপ্ত ও মহিমান্বিত করছে না। ওই নির্বাচনের পর পৃথিবীর সব রাষ্ট্রই বাংলাদেশের সঙ্গে রাষ্ট্রে-রাষ্ট্রে সম্পর্ক বজায় রাখছে সরকারের লোকজন মনের সুখে এ কথা প্রচার করছেন। তারা কি জানেন না, সামরিক সরকারের আমলেও বিশ্ব এমন রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক (স্টেট টু স্টেট) বজায় রাখে। কিন্তু সে সম্পর্ক যদি আন্তরিক হৃদ্যিক ও কার্যকর লেনদেনভিত্তিক অর্থাৎ উন্নয়নে, অগ্রগতিতে অংশগ্রহণমূলক না হয়, তাহলে ওপরে ওপরে রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক, রাষ্ট্রীয় বা সরকারি সফর আমাদের মতো দেশের কল্যাণে আসে না। প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই তা উপলব্ধি করেছেন গত সাড়ে তিন বছরে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে বিশ্বে তিনি নিজের মাথা উঁচু করে চলতে চান, বাংলাদেশকেও গৌরবদীপ্ত করতে চান বলেই আগামী নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হোক তা চান না। গত নির্বাচন থেকে এটা তার শিক্ষা বলেই মনে হয়। আগামী নির্বাচনও যদি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো প্রশ্নবিদ্ধ হয় তাহলে পরিস্থিতি বদলে যাওয়ার আশঙ্কা অমূলক নয়। ৬৮ বছরের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ তাতে তার ঐতিহ্য ও গৌরব হারাতে পারে। গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হতে পারে বাংলাদেশ। সে ঝুঁকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ কি নেবে? মাঝখানে কোনো ‘বিরতি’ ছাড়াই টানা প্রায় সাড়ে আট বছরের লীগ শাসনে দল, অঙ্গ দল, সহযোগী দলসহ নানা ধরনের স্বীকৃত-অস্বীকৃত ‘আওয়ামী দোকানের’ ক্যাডার-কর্মীরা অবাধ্য-নিয়ন্ত্রণহীন যে সব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে প্রায় প্রতিদিনই মিডিয়ায় খবর আসছে তাদের দুর্বিনীত আচরণে জনগণ যেভাবে ক্ষুব্ধ, আরেকটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এলে এসব ‘আবর্জনার’ স্তূপে তলিয়ে যাবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নেতারা, বিশেষ করে কেরিয়ার রাজনীতিবিদরা যে তা উপলব্ধি করছেন বোঝা যায় দলের সাধারণ সম্পাদক ও আপাদমস্তক একজন রাজনীতিবিদ ওবায়দুল কাদেরের বক্তৃতা-বিবৃতিতে। কাজেই যেনতেনভাবে আগামী নির্বাচন সেরে নেওয়ার কোনো প্রয়াস আওয়ামী লীগের জন্য হবে আত্মঘাতী।

বিএনপিরও কি একাদশ সংসদ নির্বাচন যে কোনো ছুতোয়, অজুহাতে বর্জন করার কোনো সুযোগ আছে? মনে হয় নেই। দশম সংসদ নির্বাচন তারা বর্জন করেছিল নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে। উল্লেখ্য, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বাম জোট ও জামায়াতে ইসলামীর যুগপৎ আপসহীন রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে। বিএনপি তখন এর ঘোর বিরোধী ছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, শিশু ও পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। শেখ হাসিনা সত্যি সত্যিই ‘ঝাঁকুনি দিয়ে’ বুঝিয়ে দিয়েছিলেন শিশু ও পাগল ছাড়াও নিরপেক্ষ মানুষ হয়। ২০১৩ সালে সংসদে বাতিল করা হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিধান।

সরকার তার সুবিধার জন্যই যে তা করেছে এটা সবাই বোঝে যদিও উচ্চ আদালতের নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সংসদের অনুমোদন সাপেক্ষে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় যে আরও দুটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন করা যায় বলে উচ্চ আদালত একই রায়ে উল্লেখ করেছেন তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বিএনপিও আওয়ামী লীগের মতো রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে ব্যবস্থাটি ফিরিয়ে আনতে পারেনি। বিএনপি ভঙ্গুর সংগঠন ও নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে নির্বাচনহীন পার্লামেন্ট, ভোটারবিহীন নির্বাচন রোধ করতে পারেনি। তারপরও আন্তর্জাতিক চাপ দেশের জনমতের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় অবস্থান থেকে সরে এসে নির্বাচনকালে সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্ত্রণালয় অফার করেছিলেন বিএনপিকে।

রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তখন জামায়াতে ইসলামীর প্রবল চাপ ও প্রতিরোধের কারণে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের অধিকাংশ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে নমনীয় হলেও অনুকূল সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। এ মহল এমনও বলে যে, শেষ মুহূর্তে জামায়াতের মতামত অগ্রাহ্য করে বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তখন ৩০০ আসনে মনোনয়ন ঠিক করা ও জমা দেওয়ার সময় ছিল না। তদবিরও নাকি করেছিলেন অন্য দলের এক নেত্রীর মাধ্যমে। কিন্তু ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেছে। নানা মাধ্যমে সরকার প্রায় নিশ্চিত হয় যে, বিএনপি নির্বাচনে এলে তা এনিবডির গেইম’ হয়ে যাবে। তাই সরকার কোনো ঝুঁকিতে যায়নি। ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও জিয়াউদ্দিন বাবলুর মাধ্যমে রওশন এরশাদকে ম্যানেজ করে তাদের নিয়ে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাতেই শেষ পর্যন্ত অটল থাকে। বিএনপি ও ২০-দলীয় জোট নির্বাচন হতে দেবে না বলেছিল। কিন্তু ১৪৭ সিটের নির্বাচনও ঠেকাতে পারেনি। সেই নির্বাচন বর্জনের খেসারত বিএনপি এখনো দিয়ে যাচ্ছে। সর্বদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ায় ভুল সিদ্ধান্তের পর আবারও তারা ভুল করে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের ব্যর্থ অবরোধ কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে। ওই তিন মাসের সব তাণ্ডবের দায় এখন বিএনপির কাঁধে।

হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মামলা। অনেকে জেলে। পুলিশের মার খেয়ে অনেকে পঙ্গুপ্রায়। দলের অধিকাংশ জেলা কমিটি কার্যত নেই। আহ্বায়ক কমিটি আর সাংগঠনিক কমিটি দিয়ে দায়সারা কাজ চলছে। উপজেলা, থানার অবস্থা আরও খারাপ। দলের নেতৃত্ব ও কমিটি বেচাকেনার পাইকারি হাটে এসে যার যেমন খুশি নেতৃত্ব ও কমিটি বাগিয়ে নেয়। দলের কোনো কর্মসূচি অধিকাংশ জেলা ও থানায় বাস্তবায়িত হয় না। কোথাও কোথাও গ্রুপিং এত প্রকট যে, কেউ কারও মুখ দেখে না, কর্মসূচি পালন করে পৃথকভাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও অভিযোগের অন্ত নেই।

বেগম জিয়ার ঘোষিত কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়ে কেউ সে দায়িত্ব পালন করেননি, পথে নামেননি, পালিয়ে বেড়িয়েছেন। কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগও আছে যে, সরকারি দলের প্রভাবশালী কোনো বন্ধুর বাড়িতে ঘুমিয়েছেন। কর্মীমহলেও এসব প্রচার আছে। এমতাবস্থায় এবারও যদি বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে তাহলে বিপর্যস্ত সংগঠন অস্তিত্বের সংকটে পড়ে যাবে। বিপদগ্রস্ত নেতা-কর্মীরা আর কত ধকল সইবে? তারা বাঁচার জন্য নিরাপদ আশ্রয় খুঁজবে। বিপুল সমর্থক গোষ্ঠীও কতকাল দলের ভুলের জন্য সাফার করবে। মুসলিম লীগেরও একসময় বিপুল সমর্থক ছিল। এমনও বলা হতো মুসলিম লীগের বিরোধিতা করলে বউ তালাক হয়ে যাবে। সেই মুসলিম লীগকে এখন বাতি দিয়েও খুঁজতে হয়। কাজেই তেমন করুণ পরিণতির দিকে দলটি ধাবিত না হোক শুভানুধ্যায়ীরা এখনো তা চায়। ধারণা করা যায় বিএনপি এবার ভুল করবে না।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে? নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচন সামনে রেখে একটা রোডম্যাপ দিয়েছে। এ নিয়ে প্রধান দুই দলে বাদানুবাদ হচ্ছে— রোড আগে না ম্যাপ আগে? বাংলাদেশে নির্বাচন নতুন হচ্ছে না। দশটি নির্বাচন তো হয়েছে। রোড না থাকলে এতগুলো নির্বাচন হলো কী করে? নতুন রোড করার জন্য আগে ম্যাপ লাগে পরে রোড হয়। রোড থাকতে সঠিক পথচিহ্ন এঁকে দেওয়ার জন্য নকশা বা ম্যাপ পরেই হয়। এক্ষেত্রে ম্যাপ পরে। আবার রোডে সঠিক নির্দেশনায় গন্তব্যে পৌঁছার জন্যই তো ম্যাপ বা নকশা আঁকা হয়। নতুন কোনো রোড তৈরির তো কোনো প্রয়োজন নেই। রোড তো আছেই। আসলে এসব অহেতুক বিতর্ক। নির্বাচনের আগে এমন অনেক বিতর্কেরই হেতু খুঁজে পাওয়া যাবে না।

আসলে এসব পথনকশা নির্বাচনের মূল কোনো বিষয় নয়। মূল বিষয় একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে নিবিড় বোঝাপড়া বা রাজনৈতিক সমঝোতা। অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে মূল বাধা দুটি— ১. নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থ ও ২. সবার জন্য সমান সুযোগের ব্যবস্থা। প্রথম বাধা অপসারণ হলে অন্য কোনো বাধাই বড় হয়ে দেখা দেবে না। নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের মন্ত্রী-মিনিস্টার ও নেতা-নেত্রীরা অনড় অবস্থানে থাকলেও তা পরিবর্তন হতে পারে না তা নয়। তারা সংবিধানের কথা বলছেন, বলছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন লীগ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। গণতান্ত্রিক দুনিয়ার এটাই নিয়ম। কিন্তু আমাদের দেশের পরিস্থিতি সংসদীয় গণতন্ত্রের অনুসারী দেশের উদাহরণ দিয়ে লাভ নেই। নির্বাচনে সীমাহীন কারচুপি, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারি ও কমিশন কর্মকর্তাদের ভোট জালিয়াতিতে অংশগ্রহণ, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ভোটকেন্দ্র দখল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষপাতিত্ব ও আরও নানা অনিয়ম কালো টাকার ও পেশিশক্তির ব্যবহার আমাদের দেশের মতো মাত্রাতিরিক্ত কোথাও নেই। তাই নির্বাচনকালীন একটি সর্বজনগ্রাহ্য সরকার জরুরি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই প্রতিনিধিমূলক একটি স্বল্পকালীন সরকার হতে পারে। সংবিধানের বাইরে যেতে হলে সংসদে এখনই সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। আবার সমঝোতার মাধ্যমেও তেমন একটি সরকার গঠিত হতে পারে যা নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনে সবাই মিলে অনুমোদন করে দেবেন। এটা নব্বইর ঐতিহাসিক নির্বাচনে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দলীয় সরকার গঠন ও নির্বাচন শেষে তার প্রধান বিচারপতি পদে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে এ ধরনের রাজনৈতিক সমঝোতা হয়েছিল সময় ও পরিস্থিতির দাবিতে। বিএনপি শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবে না বলে এসেছে এতদিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ছেড়ে এখন তারা সহায়ক সরকারের কথা বলছে।

বেগম জিয়া লন্ডন থেকে ফিরেই সেই সরকারের রূপরেখা দেবেন বলে বলা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। কী তাতে থাকতে পারে তার একটা আভাস পাওয়া গেছে গত ২১ জুলাই দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যে। তিনি বলেছেন, সরকারের ক্ষমতা না কমিয়ে নির্বাচন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। সমাধানের একটা সূত্র এখানে পাওয়া যায়। এখানে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখেই নির্বাচনকালীন সীমিত ক্ষমতার স্বল্পকালীন একটা সরকার প্রধান বিরোধী দলকে নিয়ে গঠনের ইঙ্গিতময় প্রস্তাব আছে। সেরকম একটি সরকার গঠনের লক্ষ্যে সংসদে সিদ্ধান্ত হতে পারে অথবা আগামী সংসদের প্রথম অধিবেশনে ব্যবস্থাটি অনুমোদন করে দেওয়া হবে বলে লীগ-বিএনপির মধ্যে একটি ‘হোলি’ রাজনৈতিক সমঝোতা হতে পারে একানব্বইর পঞ্চম সংসদ নির্বাচনের সময়ের মতো। এটা এখনকার সময়-কালের অমোঘ দাবি। উভয়ের মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতাটাই আসল। সমঝোতা হয়ে গেলে নির্বাচন কমিশনের সব কর্মসূচিই তরতর করে এগিয়ে যাবে। দুই পক্ষেরই খোলা মন নিয়ে পারস্পরিক ছাড় দেওয়া-নেওয়ার ব্যাপারে মানসিক প্রস্তুতি থাকতে হবে। বিএনপিকে বুঝতে হবে ক্ষমতাসীন দল কতটুকু ছাড়তে পারে, আবার সরকারপক্ষকেও বিবেচনা করতে হবে বিএনপির ওপর কতটা চাপ দেওয়া যাবে। উভয়পক্ষ সমস্যাগুলো জানেন, বোঝেন এবং সমাধানের পথও তারা চেনেন। প্রয়োজন পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস। এখন যেসব বাকবিতণ্ডা হচ্ছে তা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্বাচনপূর্ব তৎপরতারই অংশ।

অনেক কথাই শোনা যাবে যা অর্থহীন। যেমন অর্থহীন একটি কথা বলেছেন একজন মন্ত্রী। তিনি গত ২১ জুলাই এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘জেলের ভয়ে বেগম জিয়া লন্ডনে পালিয়েছেন’ (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২২.০৭.২০১৭)। বেগম জিয়ার লন্ডন মিশন সরকারি মহলে বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলেই মনে হয়, কেউ কেউ তিনি আর ফিরবেন না বলেও মন্তব্য করেছেন। জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কৌশল ছাড়া এসব আর কিছু নয়। বেগম জিয়া চিকিৎসা, দলের ভবিষ্যৎ কর্ণধারের সঙ্গে রাজনৈতিক-সাংগঠনিক ও মনোনয়ন সংক্রান্ত পরামর্শ ছাড়াও আরেকটা উদ্দেশ্য নিয়ে লন্ডন গেছেন। সে মিশন কূটনৈতিক। সম্ভবত ভারতের সঙ্গে একটা বোঝাপড়া করে আসতে চান তিনি। তারেক রহমান এর কিছুটা এগিয়ে রেখেছেন বলে বিভিন্ন সূত্র বলছে। সরকারের আতঙ্কটা এখানেই বলে মনে হয়। বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র্রের সঙ্গে ভারতও যদি সমমত পোষণ করে তাহলে তা বাংলাদেশে একটি ভালো নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে অবশ্যই সহায়ক হবে। বেগম জিয়া সে কূটনৈতিক চেষ্টা করতেই পারেন। হয়তো এটাই তার লন্ডন সফরের অন্তরালের কথা। তিনি নিশ্চয়ই চাইবেন বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার জন্য এবার যাতে কোনো ‘সুজাতা সিং’ বাংলাদেশে না আসেন। এতে দোষের কী আছে? ভারতের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় ও ঐতিহাসিক। তাদের এতে ভয় পাওয়ার কী আছে?

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

http://monitorbd.news/2017/07/22/খালেদা-জিয়ার-লন্ডন-মিশনে/
 
.
12:00 AM, March 08, 2017 / LAST MODIFIED: 03:03 AM, March 08, 2017
Jatiya Party to float new alliance soon
ershad_21.jpg

JP chief HM Ershad Photo: Star File
Rashidul Hasan
With the next general election due in less than two years, Jatiya Party is going to form a new political alliance, party insiders said.
JP chief HM Ershad is likely to announce formation of the 15-party combine next week.
As part of finalising the process of floating the new alliance, the JP chairman in the last few days had a series of meetings with leaders of different political parties, including a faction of Islami Oikya Jote (Nejami) that left the BNP-led 20-party alliance last year.
According to JP sources, all the 15 political parties to be included in the proposed alliance are not registered with the Election Commission.

The proposed components of the alliance are Labour Party, Amjanata Party, Gonotantrik National Awami Party, Awami Party, Bangladesh National Democratic Party, Bangladesh Gonotantrik Andolon, Islami Democratic Party, Krishak Sramik Party, United Muslim League, Gono Adhikar Party, Tafsil Federation, Jatiya Hindu League, Socheton Hindu Party, Bangladesh Peoples Democratic Party and Islami Gono Andolon.
Ershad yesterday met with leaders of the 15 parties at his Banani office to finalise the formation of the alliance.
Wishing not to be named, a JP presidium member said they were trying to convince some other political parties, particularly those members of the BNP-led 20-party alliance who are registered with the EC.
The JP was also making attempts to include in the proposed alliance some factions of political parties, including National Peoples Party, National Democratic Party and Muslim League, who left the 20-party alliance on different grounds, added the leader.
Another JP central leader said the party chief's move to form the new alliance was aimed at creating political pressure on BNP as a political strategy.
“We know there is not a single leader in the components of the proposed 15-party alliance who has a minimum prospect of winning a parliamentary seat in the next national election,” added the leader close to Ershad.
He said formation of the new alliance would enable the JP to have a presence in media. “People would talk on the issue and that would be our political gain.”

The JP had moved to form an electoral alliance before the January 5, 2014 parliamentary election. The move was later cancelled following announcements by the 20-party alliance and most other political parties that they would boycott the polls.
http://www.thedailystar.net/politic...m_medium=newsurl&utm_term=all&utm_content=all

Ershad says his new alliance won’t be anti-government.

JaPa is considered as the opposition in parliament, though some leaders of the party are Cabinet members
Former military dictator and Jatiya Party Chairman HM Ershad has announced that he will form a grand alliance of 30 political parties.

“The government of Sheikh Hasina has been working for the development of the country. Though we have different political ideologies, we are on the same page regarding development,” Ershad said at the party’s Bhola district council on Bangla School ground Friday.

“We have the same aim – the development of Bangladesh and its countrymen. So, we will work together to lead the country towards prosperity.

“Creating a new alliance does not mean it will be against the government,” said Ershad, now a special envoy to the prime minister.

“Once upon a time, Jatiya Party was a strong political party like the Awami League. We want to make it strong again,” the JaPa chairman said.

“I want to see my party in power before I die.”

His party is considered as the opposition in parliament, though some of his party colleagues are also members of the Cabinet.

After a Presidium meeting on March 24, Ershad said that the JaPa would form an alliance with two small political fronts. Party sources say the alliance may comprise some religion-based parties including Islami Oikya Jote, Bangladesh Khelafat Majlish and Nizam-e-Islam Bangladesh, and some other small parties.

Ershad had introduced state religion in the constitution in 1988, and in 2013 he actively supported the 13-point movement spearheaded by Qawmi madrasa-based radical Islamist platform Hefazat-e-Islam despite being the key ally of the 14-party alliance.

He took blessings of Hefazat chief Ahmad Shah Shafi, who campaigns for Shariah law in the country, during a visit to Hefazat’s Hathazari madrasa in Chittagong before the January 5, 2014 elections.

Regarding BNP’s politics, Ershad Friday said: “They tortured and burned people to death. We do not want such a party in the power. Rather we will support the government which will work for development and stand beside people.”

He also lauded senior Awami League leader Tofail Ahmed, also the commerce minister, for the development activities in Bhola.

JaPa Secretary General ABM Ruhul Amin Hawlader said: “Today’s rally has proved that people of Bhola have not cheated with HM Ershad, though some politicians did.”

With JaPa district unit Convenor Kefayetullah Nazib in the chair, the programme was also addressed among others by State Minister for Local Government, Rural Development and Cooperatives Mashiur Rahman Ranga.

Ershad announces 58-party alliance
  • Manik Miazee
  • Published at 12:16 PM May 07, 2017
  • Last updated at 02:42 PM May 07, 2017

File Photo: HM Ershad
Only two parties of the alliance are registered
Jatiya Party (JaPa) has announced a new alliance named- United National Alliance- along with 57 other political parties.

Party chairperson HM Ershad made the announcement at National Press Club in Dhaka on Sunday morning.

However, only JaPa and Bangladesh Islamic Front are registered among the parties of the alliance.

Wasn't he president of Bangladesh during the 1980s ?
 
. . . .
From Iraq to Burma: These recipes show that Bengalis aren’t alone in their devotion to hilsa

https://scroll.in/magazine/847216/f...al&utm_source=twitter.com&utm_campaign=buffer


65775-etwoaepwpy-1502797969.jpg




Bengali’s beloved Ilish is all set to earn its Geographical Indication tag as a product unique to Bangladesh. According to reports and data from World Fish, an international, nonprofit research organisation that harnesses the potential of fisheries and aquaculture, Bangladesh accounts for 65% of the world’s hilsa supply, followed by India and Myanmar. Nonetheless, the love for hilsa is not restricted to Bengalis – much as they would like to believe so.

Most Bengalis grow up on tales of hilsa or ilish: there is the wicked petni, or the ghost of an unmarried Bangali woman, who followed a man across rambling fields late evening to snatch the hilsa from his bag, there are pompous reminisces of fish market bargains, heated debates around the superiority of hilsa from Bangladesh’s Padma river compared to that from the Ganga, near-lyrical eulogies to the silver beauty of the fish. Recently, conversations have shifted to a concern for the dwindling hilsa population, thanks to years of intemperate consumption and irresponsible fishing.

Bengalis might like to believe that the only hilsa worth eating is found in the Padma or in the Ganga, but the herring is found in the rivers of several countries, including Iraq and Iran in West Asia, and Malaysia, Indonesia, Vietnam and Cambodia in the East. In many of these places, hilsa is praised and eaten in myriad avatars.

Following fish

Photo credit: Bhapailish/via Facebook.com
The mantra to cooking hilsa for many Bengalis is to keep it simple. Mustard oil is mandatory, the use of strong ingredients like onions and garlic sacrilege and experiments and innovations strictly prohibited. Years ago, when an adventurous chef made a hilsa dish with muddled strawberries, an uncle remarked: “No wonder the fish is near extinction.”

But in Malaysia, the hilsa is called Terubuk, and Betty Saw’s book, Best of Malaysian Cooking, recommends cooking it with soya bean sprouts, ground anchovies, turmeric leaves and fermented Durian. In her book For My Children…What I Cooked For You, Malay cookbook author B Bot has archived a unique recipe – salted fish cooked with a paste of dried chilies, galangal, turmeric and shallots along with pineapples and coconut cream. A rather expensive rendition of the dish, she writes, replaces the ordinary salted fish with the salt-cured roe of hilsa.

Terubuk. Photo credit: uyunnailaa/via Instagram
In China, Zhengjiang, on the southern banks of the great river Yangtze, is famous for its seasonal catch of hilsa herrings that go by the name Shi Yu. Shi Yu means time fish, named after its by-the-clock migration up the Yangtze every year. Eleventh century Chinese premier and poet of the Song dynasty Wang Anshi wrote in praise of the Shi Yu: “Served with bamboo shoots, tender and delicate Shi Yu tastes better than milk.”

In his essay The Hilsa Herring of Zhengjiang in Late Spring Zhao Heng also mentions a recipe for steamed Shi Yu, stuffed with bamboo shoot and bacon slices, studded with dried winter mushrooms, that calls for a minimum of spices and a dash of Shaoxing wine.

There is an old Burmese saying – when you select a fish to eat, choose a hilsa, when you select a wife, choose a teenager. It is best to ignore the second part, but the Burmese do turn out quite a few unique dishes with the hilsa.

“In Myanmar the hilsa which is mostly from the Irrawaddy, is not cooked in mustard oil,” said Chanda Dutt, who runs Kolkata’s only Burmese specialty restaurant, Chanda’s Khaukswey. Dutt was born and raised in Taunggyi, in Myanmar’s Shan state. She recalled early morning breakfasts of steaming hot rice and fried hilsa roe, cooked in a spicy gravy made with ngapi chet (fermented fish paste) and tomatoes, which she would relish at a neighbour’s home.


A typical Burmese meal: rice with a mè hnat (stewed beef), chinyay hin (hot & sour soup), ngapi yay-jo (thin pickled fish sauce) and to za ya (raw or scalded vegetables to go with it). Photo credit: Wagaung/Wikimedia Commons [Licensed under CC BY 3.0]
“They would also make a hot and spicy soup with ilish bones, including the head, and vegetables like aubergine, wilted greens and pumpkin, flavoured with garlic, fish sauce and green chilies,” added Dutt.

One of the finest samples of Burmese culinary ingenuity is a traditional dish in which the hilsa is marinated overnight with vinegar, soy and fish sauce and slow-cooked the next day with garlic, ginger, chilies and other ingredients including shrimp paste, for several hours on a bed of lemon grass stalks, until the hilsa bones are tender enough to melt in the mouth. “An uncle visiting from Burma once prepared the dish with fresh Padma Ilish in my Kolkata kitchen,” Dutt recalled.

Local variations
In India, hilsa is found in the Narmada, Tapti, Mahanadi, Krishna and Godavari. Known as Pulasa in Andhra Pradesh, it is a much sought after delicacy in the region – an old adage justifies the selling of one’s nuptials just so one can eat the Pulasa.

“Its dwindling population in the Godavari adds to its exoticism and price tag,” said Srinivas Velidanda, a partner at the popular Andhra restaurant Coringa in Bengaluru. “The price can go up to Rs 9,000 per kilogram. A treasured dish in the Godavari districts is the Pulasa Pulusu, a piquant, slow-cooked curry with a distinct tang from tamarind. Recipes, of course, vary – some call for a smidgen of jaggery, others a splash of mango pickle oil, and there are those that include whole okra cooked with the fish.”

The Parsis know the hilsa as bhing. “An iconic dish is the bhoojelo bhing,” said archaeologist and caterer Kurush F Dalal who runs Katy’s Kitchen, a popular catering business started by his mother, the legendary Katy Dalal. The bhing is cleaned, gutted, laced and stuffed with a mix of fresh coriander, mint, chilies and other spices, wrapped in soft muslin cloth, which is then smeared with sticky, riverine clay and roasted on fire.

In Parsi Food and Drinks and Customs, BJ Maneckshaw writes about a particular rendition of the dish in which the bhing, stuffed with spicy chutney-like marinade made with fresh coriander, grated coconut, sesame and poppy seeds, tamarind extract and a few other spices, is then stuffed with roe or prawns – before being wrapped in banana leaves, followed by muslin and finally caked in clay or wet sand, covered with hot charcoal to cook, unhurried.

Sadly, such elaborate dishes are now rarely made.


I Love My Motherland Sindh/via Facebook.com
The bhoojelo bhing is similar to the Sindhi rendition of a roasted hilsa called Wadi di palla. The dish is traditionally cooked in pits dug in the sand – a recipe perhaps born in the deserts of the Sindh region, in Pakistan. “The whole palla [hilsa] is stuffed with a mix of onion, ginger-garlic, chilies and fresh coriander muddled into a paste,” said blogger Alka Keswani, who runs the food blog Sindhi Rasoi. The stuffed fish is wrapped with uncooked rotis and roasted in a pit. “Of course now people cook it in an oven,” added Keswani. “Besides, there’s the iconic kok palla – palla fillets laced with a spice masala, with chopped onions, tomatoes, chilies and fresh coriander.”

Among Sindhis, the palla also enjoys major cultural and religious significance. “Our patron saint Lord Jhulelal is seen riding the palla,” said Keswani, “Among Hindu Sindhis, it is considered auspicious to eat palla during Maha Shivaratri.” Several legends and folklore exist about the palla in Sindhi culture. “We have grown up on tales of how the palla swims up the Indus to the shrine of Zinda Pir in Sukkur, Pakistan, to pay homage to the great saint. It is only then that the fish gets its signature taste and silver gleam,” Keswani recalled.

Comparable to caviar
In most cultures, it is the roe of the hilsa that is more sought after than the fish itself. Parsis, for instance, love bhing roe: “In its simplest form, the roe is first steamed wrapped in muslin, anointed with spices typical to Parsi kitchens and fried. Or, we make the gharab nu achaar, which is pickled roe.” said Dalal. The whole roe of the bhing is pickled in sarko – barrel matured sugar-cane vinegar which no Parsi kitchen is complete without. Pickling spices like turmeric, roasted cumin, garlic and sometimes, cinnamon are added too.

The hilsa roe has been compared to caviar and the Sindhis love it too. A treasured dish is the aani ji bhaaji, a curry made with fried roe or aani. Surprisingly, what is served as aani ji bhaaji in a Sindhi household is often a vegetarian dish, made with chickpea flour dumplings slow cooked with onions, tomatoes and spices.

The besan ji aani is a classic case of culinary jugaad, perhaps for the benefit of Sindhis who have embraced vegetarianism. “Unlike in the past when palla roe was easily available in the bazaars of Sindh, often for free, today the palla roe, and the fish are hard to get,” said Keswani. So the dumplings perked up with spices, are given a grainy texture akin to fish roe with the addition of poppy seeds and shaped like roe too.

 
.
US: Bangladesh made some progress in arresting attackers of bloggers
Citing religious minority groups, the report also says that Bangladesh government did not adequately protect the minorities from attacks
The United States says Bangladesh has made some progress in arresting the attackers of bloggers last year when extremists mainly targeted religious minorities and individuals who engaged in activities deemed atheistic.

“The government made some progress in arresting and indicting attackers of bloggers from previous years, although top officials continued to blame writers for offending religious sentiments,” the State Department said in its annual international religious freedom report for the year 2016 on Tuesday.

“According to religious minority groups, the government continued to discriminate against them in property disputes and did not adequately protect them from attacks,” the Congressional mandated report said.

Secretary of State Rex Tillerson released the report that said Bangladesh did not adjudicate any of the more than one million pending restitution cases involving land seized from Hindus declared to be enemies of the state before the country’s independence.

The State Department noted that terrorist organisations claimed responsibility for a significant number of attacks against multiple religious minorities, particularly Hindus. At least 24 people were killed in these attacks on Hindu, Christian, Buddhist, and other minority communities.

“Terrorist groups also targeted religious converts, Shia, and individuals who engaged in activities deemed atheistic,” it said.

On July 1, five militants attacked an upscale restaurant in Dhaka, targeting mostly non-Muslims. Twenty-two people were killed, including two police officers.

Individuals and groups continued to threaten bloggers and other individuals for “offending Islam” while attackers, claiming affiliation with al-Qaeda, killed a blogger on April 6, the report said.

The State Department said in meetings with government officials and in public statements, the US ambassador and other embassy representatives spoke out against acts of violence in the name of religion and encouraged the government to uphold the rights of minority religious groups and to foster a climate of diversity and tolerance.

“The embassy publicly condemned the attacks against members of religious minorities and called on the government to bring those responsible to justice,” it said.

Religious minority communities such as Hindus and Christians reported the government continued to displace them, by force if necessary, because of land ownership disputes that disproportionately affected them, the report said.

According to religious associations, such disputes continued to occur in areas near new roads or industrial development zones, where land prices had recently increased.
http://www.dhakatribune.com/banglad...h-made-progress-arresting-attackers-bloggers/
 
. . .
Bangladesh is missing from here for good cause:

View attachment 420043
Thank you for posting this graph.It is really heart warming to know that, Bangladesh is not among the top 10 countries which will contribute most to the world population up to 2050 although it is currently 8th largest in population.It is a real testament of the success of our family planning program.20 years ago, our population was growing at 2.2 percent per year, now it has slowed down to 1.1 percent.30 years from now, population growth rate will become zero.With a stabilized population, 7 percent economic growth will translate a lot faster per capita income growth.

On a second note, entire world need to invest in the development of Africa urgently.Both in economic and social development.We no longer afford to a under developed Africa any more.Otherwise a catastrophic humanitarian disaster will rip apart Africa and drag down the entire world.
 
.
Thank you for posting this graph.It is really heart warming to know that, Bangladesh is not among the top 10 countries which will contribute most to the world population up to 2050 although it is currently 8th largest in population.It is a real testament of the success of our family planning program.20 years ago, our population was growing at 2.2 percent per year, now it has slowed down to 1.1 percent.30 years from now, population growth rate will become zero.With a stabilized population, 7 percent economic growth will translate a lot faster per capita income growth.

On a second note, entire world need to invest in the development of Africa urgently.Both in economic and social development.We no longer afford to a under developed Africa any more.Otherwise a catastrophic humanitarian disaster will rip apart Africa and drag down the entire world.

BD is climbing the social ladder at a faster pace. Remarkable.
 
.
EU envoy considers EBA regime 'safe for BD'
Dhaka needs to implement 27 int'l conventions to get GSP+ benefit
The European Union (EU) has made it clear that Bangladesh will continue to enjoy duty-free-quota-free access to the European market under Everything But Arms (EBA) regime saying the EBA is 'safe' for Bangladesh, reports UNB.

"I can tell you today EBA regime is safe (for Bangladesh)," outgoing European Union (EU) Ambassador in Dhaka Pierre Mayaudon told the news agency in an interview at his office on Monday.

He said they are in a 'trajectory' where Bangladesh government, supported by the private sector, has showed 'clear, concrete and time-bound' willingness to align itself with the international labour conventions.

Earlier, the International Labour Organisation (ILO) called on Bangladesh to address four issues -- full alignment of respectively, the EPZ draft law, the Bangladesh Labour Act, with the UN core Labour Convention modalities -- for establishing trade unions and the right of trade unions to operate freely.

There have been speculations that the EU will suspend trade privileges -- Generalised Scheme of Preferences (GSP) -- that Bangladesh enjoys under the EBA.

Bangladesh earned $18.68 billion from its exports to EU in 2015-16, which was 54.57 per cent of the total receipts for the fiscal year. Of the $18.68 billion, $17.15 billion came from apparel shipments.


Asked about the GSP+ benefit for Bangladesh, Ambassador Mayaudon said Bangladesh, once it becomes a middle-income country, will have to apply for the GSP+ regime.

"Access to GSP+ isn't an automatic process. But in practical terms, GSP+ is almost as generous as the GSP (under EBA). There'll be little difference in Bangladesh economy in terms of access to the EU market," he said.

It, according to the European Commission (Trade), must have ratified the 27 GSP+ relevant international conventions on human- and labour rights, environmental protection and good governance to avail GSP+ benefit.

"Bangladesh today isn't very far from that. Most of these (27) conventions are already signed and ratified (by Bangladesh)," Ambassador Mayaudon said, adding that the attention, at that time, will be on proper implementation of these conventions.

The country must not have formulated reservations which are prohibited by these conventions and the monitoring bodies under those conventions must not have identified any serious failure to effectively implement them, according to the European Commission. Ambassador Mayaudon, however, said Bangladesh will not lose the GSP benefit under the EBA the day it becomes a middle-income country, but it will enjoy the duty-free-quote-free benefit for there years during the transition period.

On Bangladesh's US$ 50 billion export target by 2021, the Ambassador said, "It's good and necessary to have an ambitious target."

http://www.thefinancialexpress-bd.com/2017/08/23/80567/EU-envoy-considers-EBA-regime-'safe-for-BD'
 
.
US warns its citizens of ‘continuing threats’ in Bangladesh
The United States has warned its citizens of ‘continuing threats’ from terrorist groups in Bangladesh and the risk of travelling to that country.

In a latest travel advisory, the Department of State warned US citizens of continuing threats from terrorist groups in Bangladesh and to consider the risks of travel to and throughout the country.

However, the Department updated its travel warning to reflect the change in the US Embassy in Dhaka’s status to “partially accompanied,” effective August 24.

This allows all adult family members of US government personnel to remain in or return to Dhaka.

Previously, only adult family members employed by the US government were permitted to remain or return to Dhaka.

Minor dependents are still prohibited from residing in Dhaka.

The US Embassy remains open and will provide all consular services, it said.

“While Bangladeshi security forces continue to identify and counter terrorist elements, the Islamic State of Iraq and ash Sham (ISIS) and al-Qaeda in the Indian Subcontinent (AQIS) persist in their efforts to plot and/or carry out terrorist attacks throughout the country,” the travel advisory said.

In March, two suicide bombing attempts occurred at Dhaka’s Hazrat Shahjalal International Airport and an explosion in the city of Sylhet killed seven people.

These incidents were the first notable attacks since July 1, 2016, when terrorists killed more than 20 people, including one US citizen, in a restaurant frequented by foreigners in Dhaka’s diplomatic enclave.

Similarly, in October 2016, ISIS threatened to target “expats, tourists, diplomats, garment buyers, missionaries, and sports teams” in the most “secured zones” in Bangladesh.

Recurring threats and periodic terrorist activities have prompted the Embassy to require US government personnel in Bangladesh to live, work, and travel under strict security guidelines, the travel advisory said.

US government officials and their adult family members are not permitted to travel on foot, motorcycle, bicycle, rickshaw, or other uncovered means on public thoroughfares and sidewalks in Bangladesh.

In addition, US government officials and their family members remain severely restricted in their ability to visit public establishments and places, or to attend large gatherings in Bangladesh.
http://indianexpress.com/article/wo...-of-continuing-threats-in-bangladesh-4812727/
 
.
Defending the ‘liberal’ in liberal democracies
Amal Karim | Published: 00:05, Aug 28,2017 | Updated: 23:29, Aug 27,2017
IN EVERYDAY parlance, words like ‘democracy’ and ‘liberalism’ are often used without giving much thought to their nuanced definitions.

In more sophisticated discourse, we might sometimes hear the word ‘democracy’ qualified by ‘liberal’, to indicate a particular variant of democracy. Is this an attempt to make the liberal underpinnings of democracy more explicit or does this imply that democracies do not have to necessarily be liberal and that there are alternatives?
In other words, is it possible to have a durable democracy that is not also liberal? The treatment of this question relies heavily upon how we understand the terms ‘liberal’ and ‘democracy.’
So, first I will review the two terms critical to this question: liberalism and democracy.
Then I will explain how a robust liberal tradition is a necessity for a democracy to be successful and how ‘illiberal democracy’ is a misleading term.

Liberalism and democracy are essentially two-sides of the same coin. If we want to have a stable and durable democracy, we also have to have the traditions and institutions that guarantee the autonomy of the individual; similarly, to have a fully realised form of liberalism, democracy is the most desirable form of government for citizens to express their political will and confer legitimacy on their chosen government.

‘Liberalism’ is a term that packages a host of concepts together into a single word. Most famously advanced by nineteenth-century European political philosophers like John Locke and John Stuart Mill, classical liberalism is at its core a tradition that prioritises the individual over the broader community or the state.
In the liberal tradition, the individual enjoys a great deal of autonomy and personal freedom from the state or ruler’s interference or intimidation.
Practically, advocates of liberalism want to ensure a set of civil liberties that ensure that every citizen is considered the political equal of those in power.

The basic civil liberties that are protected under liberalism include freedom of belief, opinion, discussion, speech, publication, broadcast, assembly, demonstration, petition, and freedom from intimidation or undue interference in citizens’ personal lives. In addition, liberalism is intimately tied with the right to own and manage personal property such that historically, ‘the systematic protection of property rights transformed societies. It meant that the complex web of feudal customs and privileges — all of which were obstacles to using property efficiently — could be eliminated.’

The tenets of liberalism and the liberal promise to respect civil liberties and property rights can be institutionalised in several political ways. Civil liberties are often protected in documents such as the American Bill of Rights, human rights charters, written constitutions, or even in an unwritten constitution such as that of Great Britain.

Furthermore, a politically liberal society is characterised by a strong sense of the rule of law and a separation of powers in government. This point goes back to the idea that the individual enjoys freedom from arbitrary treatment by the state and that all citizens have a dignity that cannot be legitimately infringed upon by the state; instead, both ordinary citizens and people in positions of governmental power are subject to the overarching authority of the law.

Similarly, the individual can rely upon the checks provided by one branch of government to prevent an overzealous exercise of power by another branch. In spite of this Fareed Zakaria also argues, ‘this bundle of freedoms — what might be termed as ‘constitutional liberalism’ — has nothing intrinsically to do with democracy and the two have not always gone together, even in the west.’ He points out that there have been many regimes throughout history that have been elected through democratic means, but have by no means been liberal such as Hitler’s Nazi regime that was democratically elected into power.

Defining ‘democracy’ is the next critical step, but this is a rather complicated matter. Scholars generally define democracy in two general methods: a thin definition and a thick definition. The thin definition relies on a procedural understanding of democracy.
This is to say that if citizens of a country are able to choose and replace their leaders in free and fair elections, then we have the minimal procedural basis for a democracy.
In a democracy, there is an institutionalised electoral mechanism that allows citizens to have a say in who governs and what policies they enact; citizens also have the ability to replace the governing body with another party if they are unhappy about government performance.

In addition, it is generally understood that in a democracy there is no discrimination in determining who is allowed to vote – there should be universal suffrage for all adult citizens who meet basic competency requirements. Furthermore, opposition and dissent against the ruling power must be tolerated. That is to say, the electoral arena has to be open to any group that follows constitutional rules and wishes to run for office.

The thick definition of democracy is recognition that the electoral mechanism alone is not sufficient to ensure a strong democracy. This definition supplements the procedural definition by adding elements and requirements that we would recognise as similar or even identical to the bundle of freedoms in the liberal tradition, so much so that the thick definition is essentially a description of a ‘liberal democracy’.
These supplements include the existence of an independent judiciary, strong rule of law, protection of civil liberties, due process of law, legal equality, and institutional checks on power, among others. Zakaria distinguishes the process of determining who will rule (procedural) from the goals government and society broadly pursue (constitutional liberalism).

Larry Diamond makes a similar distinction, ‘Genuine competition to determine who rules does not ensure high levels of freedom, equality transparency, social justice or other liberal values.
Electoral democracy helps to make these other values more achievable, but it does not by any means ensure them.’
However, arguing that society needs to be liberal in order to fulfil the definition of a ‘liberal democracy’ is a circular argument. Therefore, I will proceed using a thinner, proceduralist definition of democracy to prove that democracy must be liberal in order to remain democratic.

Robert Dahl argues that we need three guarantees for citizens to be able to make their preferences known to the government and government to be responsive to these preferences. This is a rephrasing of the procedural definition – that citizens in a democracy must have the ability to choose their government and that government is subject to the will of the majority (in most cases).

Dahl states that citizens have to be able to formulate their preferences, to signify their preferences, and that these preferences have to be weighted equally in the conduct of the government. Note that in these opportunities, there is no mention of civil liberties or rule of law – it is simply a description of the necessary procedural dimensions of democracy.

However when we step back a step further, we see that in practicality the proper manifestation of these opportunities relies upon a set of preconditions and a particular political/social climate. For the first opportunity, citizens who seek to formulate their preferences have to be able to form and join organisations, enjoy freedom of expression, the right to vote, and have access to alternative sources of information.

Then in order to signify their preferences, citizens must have the ability to run for public office and participate in free and fair elections, in addition to the previously mentioned guarantees.
While Dahl chooses not to elaborate on the necessity of these perquisites, it is not difficult to see the connection.

For example, without a liberal institution like a free press, the electorate will remain uninformed about government abuses of power. Or if the right to assemble is not respected, government dissenters will face obstacles in their mission to organise into a cohesive opposition.

If citizens live in constant fear that they could be whisked away from their families on a politically motivated charge and be at the mercy of a compromised judiciary system we cannot expect a robust and genuine arena for electoral competition. Lastly, if there is no guarantee of peoples’ freedom to associate, we cannot expect a civil society that acts as intermediary bodies between the state and the individual.

Thus Zakaria’s term ‘illiberal democracy’ is misleading in important ways. It implies that a state can be democratic and illiberal when in fact a state’s illiberalness voids its ability to function fully as a democracy, even in its most minimal definition.

For example, Venezuela’s Hugo Chavez was democratically elected into power and continued to enjoy the supposed support of a majority of the population.
However, he also curbed individual freedoms and gained a stranglehold on the press. So even if he ostensibly functioned as a democratic leader, Chavez was denying citizens the ability to openly and meaningfully formulate and signify their preferences.

What is more, ‘illiberal’ regimes such as Chavez’s are not bound by the package of liberties and checks on power that liberalism entails. Procedure without effect is just an empty gesture.
Liberalism provides the framework within which a successful democratic state operates. Without the limiting bounds of the liberal tradition, an otherwise textbook-defined democracy can descend into a completely autocratic state and ceases to be democratic at all.

Then the other side of this argument is that democracy is the logical and inevitable political expression of liberalism. To an avowedly liberal society, democracy represents a political system where equality and competition for power is intrinsic to its success. People who enjoy freedom in their personal lives will want the ability to exercise their freedoms in the political sphere and make the government responsive to their actions.

Thomas Carothers offers a useful analysis of a concrete example – situations where liberalism and democracy have not quite lined up. He writes of the many countries that made a ‘transition’ to democracy during what Huntington termed the third-wave and became mired in a ‘gray zone’ that is neither fully autocratic nor completely democratic.

These countries are usually procedurally democratic but are not entirely liberal and often feature dominant-party politics. In these countries, the line between the state and the ruling party is blurred, the arena for opposition is limited, and elections can just barely be considered free and fair.

The ‘ruling group [is] able to keep political opposition on the ropes while permitting enough political openness to alleviate pressure from the public.’ This type of system is procedurally democratic but illiberal because the prospect that any other party, group, or movement can gain power is so minimal that elections and opposition are rendered futile. Again, procedure without effect or prospect is meaningless.

Larry Diamond’s The Spirit of Democracy advances the argument that democracy requires more than just the procedural minimal of elections. Any judge will agree that while the letter of the law is critical, equally important is the spirit of the law.

When considering democracy and democratic governments, elections seem to fulfil the literal, procedural, ‘letter of the law,’ but the spirit of the democracy is in fact liberalism. Democracy and liberalism may have only recently become intertwined in practice, but theoretically, democracy and liberalism are two-sides of the same coin.

A democracy that is not also liberal is not in fact a democracy. Without the guarantees of individual freedoms found in constitutional liberalism and institutionalised checks on power, citizens’ ability to make their preferences known are hindered, throwing the entire democratic project into jeopardy.
http://www.newagebd.net/article/22898/defending-the-liberal-in-liberal-democracies
 
.

Country Latest Posts

Back
Top Bottom