What's new

March for Democracy Watch Thread

Case filed against Khaleda

jBP62sV.jpg


A defamation case has been filed against BNP Chair and Opposition Leader Khaleda Zia for threatening to change the name of Gopalganj district.

Awami League Jananetri Parishad President AB Siddiqui filed the case Tuesday. The hearing is to start at 11:00am.

Case filed against Khaleda | National | natunbarta.com | Top Online Newspaper in Bangladesh
 
Hey abdul it seems you guys will bent your backward to anyone and everyone to save your skin. Well safiqul, it looks like if the same Hindu entity obliges, you'd happily lick the not so sunny part of it! ;)

Jamaat seeks out India


Islam does not bar Muslim to hire servants from any religion neither barred muslim to
You can justify it all you want, but you know you and your kind are being hypocrites. Looking up to the same America for help, which you guys accuse of committing genocide against Muslims.

And as for you trying to prove that all Jamaatis are your average joes, you are not going to fool anyone with that, especially me.

0406_World_Bangladesh_full_600.jpg



bg212132e.jpg


Now you ll say that Hefazat I Islam is not the same as Jamaat, but I have had enough of your jokes for today.


Dude, Hefazatis are Kawmi Madrassa (traditional dewbandi) based organization where Jamaat has very small supoort base. Jamaat is more of university and Alia madrasa based organization with huge sum of money and power. Average Jamatis dont wear Tupis (cap) and have small trimmed beard.


Average Shibir activists

2012-11-15__front04.jpg


Jamat+Shibir+clash_280113-300x187.jpg
 
Islam does not bar Muslim to hire servants from any religion neither barred muslim to

You seem to have a servant fetish, probably something deep ingrained stirrers up every now and then!
 
Hating AL doesn't mean we hate Indians, we hate the government of India definitely, this blame shouldn't be upon the people of India. But when our people die in masses because of AL which is India backed (no one can doubt this) and you can take jokes out of RAW but it's the truth then obviously we will hate a certain government. This isn't a point scoring game anymore, 3-7 years ago it was the battle of the Begums but now we know what the ulterior motive is, AL is simply a means for India to control everything in Bangladesh.
 
I know that She was angry... She lost temper... It was stupid.... But you should understand the situation.... Her democratic rights were taken away... She was under house arrest... And the women she was talking to pushed her before....
she did lose temper and was absolutely right to do so. i still didn't hear anything misplaced. absolute class if you ask me. gazab from Allah should really fall on 'gopalganj' (most famous BAL electorate and figurative term for BAL establishment) for the bad-duas from alem-yateem people and from families of slain army officers and from mothers of slain young people in recent days
 
সেম সাইডঃ সুপ্রিমকোর্টে আওয়ামী জঙ্গিরা পিটিয়েছে এইচ টি ইমামের ভাতিজিকে |

It looks like this lady Simki Imam was a niece of H T Imam, AL adviser to Hasina, and possibly an informer, this article speculates, so this could be an incident of same side friendly fire. Nevertheless, these photos of incidents clearly exposes the barbarity of these Awami Dog League activists, getting support of their other dog friends in India. Bangladesh needs to be cleansed of these stray dogs sooner or later.

সেম সাইডঃ সুপ্রিমকোর্টে আওয়ামী জঙ্গিরা পিটিয়েছে এইচ টি ইমামের ভাতিজিকে


শেখ নিউজ রিপোর্টঃ ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী জঙ্গি গোষ্ঠীর সুপ্রিমকোর্ট তান্ডবে কিছুটা সেইম সাইড হয়ে গেছে। যেই নারী আইনজীবীর উপর আওয়ামী জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে, সেই নারী আইনজীবী তাদেরই পরিবারের সদস্য। চিনতে না পেরে আওয়ামী জঙ্গিরা ওই নারী আইনজীবীকে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করে। স্যোসাল মিডিয়া গুলোতে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় তাঁর শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায়ও আওয়ামী জঙ্গিদের হাত। তাঁকে চুল ধরে কিল ঘুষি দেয়া হয়। লাথি দিয়ে মাটিতে ফেলা হয়। তারপরও থেমে থাকেনি তারা। কয়েকজন মিলে লাথি এবং লাটি পেটা করতে থাকে। ওই নারী আইনজীবীর নাম সিমকি ইমাম। শেখ হাসিনার উপদেস্টা এইচ টি ইমামের ভাতিজি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিমকি ইমাম বিএনপি’র জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক নেতার ঘাড়ে সাওয়ার হয়ে দলের ভেতরে ঢুকেন। তাঁর মূল কাজ ছিল বিএনপির আইনজীবী নেতাদের গতিবিধি এবং নানা বিষয়ে এইচ টি ইমামকে অবহিত করা। মূলত এক রকম ইনফরমার হিসাবে কাজ করেন সিমকি। ওই আইনজীবী নেতাকের পুরো খরচ দিয়ে একবার লন্ডনও নিয়ে এসেছিলেন সিমকি। তখন উদ্দেশ্য ছিল তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেয়া। ভবিষ্যতে তারেক রহমানের ঘনিষ্ট হিসাবে তাঁকে কাজে লাগানো। ওই আইনজীবী নেতা সিমকি ইমামকে নিয়ে বেশ কয়েকবার দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়েছেন। তখন পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে সিমকি ইমাম নিম্ন আদালতে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের মামলা গুলোর সার্বক্ষণিক খোজ খবর রাখেন। অথচ ওই মহিলা আইনজীবী মামলা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের মামলার বিষয়ে নিম্ন আদালতে যারা খোজ খবর রাখেন তাদের কেউ পাত্তাও দেয় না। অথচ তারাই সব সময় খোঁজ খবর রেখে চলছেন। আর চেয়ারপার্সনের কাছে সিমকি ইমামকে নিয়ে বলা হয় তিনি মামলা দেখাশোনা করছেন। এনিয়ে ঢাকা বার-এ জুনিয়র আইনজীবীদের মধ্যে অনেক ক্ষোভ বিরাজমান রয়েছে। অনেকেই বলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের একজন নেতার ঘারে সাওয়ার হয়ে সিমকি ইমাম দলের গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত গুলো সহজে জানতে পারেন। আর সেগুলো পাচার করেন এইচ টি ইমামের কাছে। এজন্যই তাঁকে ওই আইনজীবী নেতার ঘনিষ্ট হিসাবে মেলামেশা করার জন্য নিয়োগ করা হয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। ২৯ ডিসেম্বর না চিনতে পেরে অনেকের সঙ্গে সিমকি ইমামকেও শারিরীক লাঞ্চিত করে আওয়ামী জঙ্গিরা।

is this is the condition of our BNP ? who was that leader he need to kick out of the party
immediately.:angry::angry: :angry::hitwall:
 
Last edited:
@kobiraaz bhai is it true that Simki Imam is HT Imam's niece and was a BAL informer inside BNP??
 
লোককথা
‘এক-এগারোর কুশীলবরা আবার সক্রিয়’
1/11 Conspirators are active again (there might be a coup by Army, at West's instruction, to bring back stability - Forhad Mazhar)
ফরহাদ মজহার

শেখ হাসিনা দারুণ! তাঁর দলের সন্ত্রাসীরা পুলিশের সহায়তায় যখন লাঠি হাতে প্রেস কাবে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও কিম্বা সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে পুলিশের প্রশ্রয়ে গেট ভেঙে ঢুকে আইনজীবীদের নির্দয় ভাবে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে, আর পেটাচ্ছে নারী আইনজীবীদেরÑ শেখ হাসিনা তখন বলছেন, ‘এক-এগারোর কুশীলবরা আবার সক্রিয়। এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী অসাংবিধানিক সরকারকে মতায় আনতে চান’। তখন তাঁকে বেশ গুরুগম্ভীর বুদ্ধিজীবীর মতোই মনে হচ্ছিল।
^ Sheikh Hasina is excellent. The terrorists in her party are entering Supreme Court and beating up protesting lawyers. In this situation, Hasina is predicting that 1/11 conspirators are active again and there might be a non-constitutional govt.

দারুণ যে খালেদা জিয়াকে কোন কর্মসূচিই পালন করতে হয় নি। তিনি ‘সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র’ রার জন্য অভিযাত্রার ডাক দিয়ে যে রাজনৈতিক ফল পাবার আশা করেছিলেন, তার চেয়ে দশ গুণ বেশি ফল পেয়ে গিয়েছেন মতাসীনদের কারণে। তিনি আন্দোলনের ধরন বদলাতে চেয়েছেন, কারণ ধর্মঘট ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে যে অনিবার্য সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছিল বারবার, সেই অবস্থা থেকে তিনি বেরিয়ে আসতে চেয়েছেন। খালেদা জিয়া যেখানে হরতাল বা অবরোধ-ধরনের কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন, সেখানে শেখ হাসিনা বিরোধী দলের চেয়েও আরো কড়া অবরোধ আরোপ করলেন। খালেদা জিয়ার কর্মসূচিতে কিছু কিছু গণপরিবহন নামত, রিকশা টেম্পো চলত, মানুষ হাঁটত। এবার হাঁটতেও বাধা দিয়েছে পুলিশ। দুর্দান্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়া তাঁর গণতন্ত্রের অভিযাত্রা চালিয়ে যাবেন, শেখ হাসিনার অবরোধও চলবে। শেখ হাসিনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ক্যাডাররা খুবই সফল। এতটাই সফল যে বেগম খালেদা জিয়া তাঁর বাসা থেকে বেরোতেই পারেন নি। তাঁকে পুলিশ গেটের বাইরে এক কদমও অগ্রসর হতে দেয় নি। শেখ হাসিনা যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, তুলনায় বাকশালী শেখ মুজিবুর রহমান শুকনা আমসত্ত্বের মতো প্রাচীন হয়ে গিয়েছেন।
^ This new March for Democracy was an excellent chess move by Khaleda Zia, it worked because instead of using opposition activist, the Bandh (strike and barricade to stop all transports) was enforced by security forces at instruction from Awami League.

ফলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিরোধী দলের কর্মসূচি ‘ব্যর্থ’ বললেও তাতে বিশেষ কিছুই আসে-যায় না। ব্যাপারটা কর্মসূচির সফলতা-ব্যর্থতার মামলা নয়। কর্মসূচি দেওয়া সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক ফল লাভের জন্য। সেই দিক থেকে খালেদা জিয়ার জয়ই হয়েছে। যদি খালেদা জিয়ার জয় হয়েছে সেই কূটতর্কে যেতে না চাই তাহলে এটা অনায়াসেই মেনে নেওয়া যায় যে, ২৯ তারিখের গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় মতাসীনদের নির্লজ্জ পরাজয় হয়েছে। আজ একই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। থাকুক। এই ফাঁকে আমরা এক-এগারোর কুশীলবদের কথা বলি।
^ So regardless of what nonsense Ashraf of Awami League spouts, actually Awami League has lost and Khaleda Zia has won this round.

শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এক-এগারোর কুশীলবরা আবার সক্রিয়। এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী অসাংবিধানিক সরকারকে মতায় আনতে চান’। কারেক্ট। কিন্তু তারা শুধু এখন সক্রিয় হয়ে উঠেছে তা নয়, তারা বরাবরই সক্রিয় ছিল। আমাদের মনে আছে এক-এগারোর সময় মতাসীন বিএনপির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সক্রিয়তার পাশাপাশি এখনকার কুশীলবরাই সক্রিয় ছিলেন। শেখ হাসিনাও এক-এগারোর সরকারকে স্বাগত জানিয়েছিলেন, এটা ভুলে গেলে চলবে না। এক-এগারোর কুশীলবরা দাবি করেছিলেন তাঁদের কারণেই সেনাসমর্থিত সরকার মতায় এসেছে। এই সফলতায় তাঁরা গর্ব প্রকাশ করেছিলেন। সন্দেহ নাই সেই কুশীলবরা বাংলাদেশে বহাল তবিয়তেই আছেন। তাঁরা তাঁদের সক্রিয়তা মোটেও কমান নি। এটাও শেখ হাসিনাকে ভুলে গেলে চলবে না যে এক-এগারোর কুশীলবদের সক্রিয়তার সাড়ে ষোল আনা সুফল ভোগ করেছেন তিনি নিজে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর জয় এক-এগারোর কুশীলবদের ভূমিকা ছাড়া কখনই সম্ভব হোত না।
^ Sheikh Hasina thinks that people involved with 1/11 Army takeover of 2007, are active again. At that time Hasina was the beneficiary of that takeover by Army, she became elected as the PM because of that takeover.

এক-এগারো সম্পর্কে সাধারণ অনুমান হচ্ছে, এটা একটা ষড়যন্ত্র। রাজনীতিতে সবসময় ষড়যন্ত্র থাকে, এই অর্থে যে কাউকে-না-কাউকে কিছু ঘটনা ঘটাতে হয়। কিন্তু ষড়যন্ত্র দিয়ে রাজনীতি বোঝা অসম্ভব। আসলে যখন রাজনীতির গতিপ্রক্রিয়া কেউ আর ব্যাখ্যা করতে পারে না তখন সেই রহস্যময় জায়গাটাকেই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে বুঝ দেবার শর্টকাট পথ গ্রহণ করা হয়। এক-এগারোকে বুঝতে হলে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে নয়, বুঝতে হবে বাস্তব অবস্থার বাস্তব বিশ্লেষণ দিয়েই।
^ 1/11 takeover by Army was no conspiracy, we must understand the cause and effect analysis behind this incident.

বাংলাদেশের রাজনীতির একটা সংস্কার দরকারÑ এর পে একটা জনমত আছে। সেই সংস্কার শুধু রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কার নয়, জনগণের দিক থেকে তাগিদটা খোদ রাষ্ট্রের সংস্কার, এমনকি সম্ভব হলে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর। এক-এগারোর কুশীলবদের বুঝতে হলে বুঝতে হবে তারা আসলে ঠিক রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক রূপান্তরে আগ্রহী নয়, এমনকি সংস্কারেও নয়। সংস্কার করতে হলেও বাংলাদেশের বাস্তবতায় নিদেনপে এমন এক গণমতা তৈয়ার করা দরকার, যা সংস্কার করতে সম। এটাও কম কঠিন বা র‌্যাডিক্যাল নয়। কিন্তু সে গণমতা তৈরিতে তারা রাজি নয়। ফলাফলে দাঁড়ায় আসলে তারা কোন রূপান্তর দূরে থাকুক সংস্কারেই আগ্রহী নয়।
^ 1/11 takeover instigators are not interested in govt.'s demcratic transformation and reform,


বরং তাদের মূল ল্য রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনা এবং তাদের দুর্নীতি ও কুকীর্তির বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করা দরকারি কাজ। ফলে যারা এ কাজ করেন তারা জনগণের পইে কাজ করেন। এক-এগারোর কুশীলবরাও এ কাজ করেন। কিন্তু একই কাজ করার পরেও এক-এগারোর কুশীলবদের আমরা চিনতে পারি যখন সুযোগ পেলেই তারা খোদ রাজনীতিরই নিরাকরণ ঘটাতে চায়। একে সাধারণত বিরাজনীতিকরণ বলা হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর কুকীর্তিতে বীতশ্রদ্ধ জনগণ রাজনৈতিক দল বাদ দিয়ে বা রাজনীতি বাদ দিয়ে যদি শান্তিতে থাকতে পারে, সে আশায় বিরাজনীতিকরণে আগ্রহী হয়ে ওঠে। এক-এগারোর কুশীলবদের রাজনীতিতে ভূমিকা পালনের শর্ত এভাবেই তৈরি হয়। এর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোই প্রধানত দায়ী।
^ 1/11 planners had a goal to depoliticize to reduce corruption and other bad deeds from public life and governance, so that the public could exhale a sigh of relief, tired from the corruption and bad governance.

এই দিক থেকে এক-এগারোর কুশীলবরা বাংলাদেশের একটি বিশেষ রাজনৈতিক চিন্তার প্রতিনিধি বটে। যারা এই চিন্তা ধারণ করেন তারা দলীয় রাজনীতিতে বিতৃষ্ণ, প্রধান দুই রাজনৈতিক জোটের অত্যাচার থেকে নিষ্কৃতি পাবার জন্য তারা প্রায়ই দিবাস্বপ্ন দেখেন। এই দিবাস্বপ্নের নাম তৃতীয় শক্তি। তাদের মনের গোপন বাসনা এই যে তাঁরাই হবেন সেই তৃতীয় শক্তি। কিন্তু বিদ্যমান দলগুলোর বাইরে তাদের নিজেদের কিছু করবার মতা নাই। মতার লড়াই কখনই খুব আরামের কাজ নয়, বাংলাদেশের মতো দেশে সেটা সহিংস রূপ নেয় বাস্তবতার কারণেই। কিন্তু যারা রাজনৈতিক সংস্কার চান তারা চান সেটা শান্তিপূর্ণ ও অহিংস হোক। দুই দলের মতার বাইরে জনগণের মতা বিকাশের পথ কঠিন ও বন্ধুর। এক-এগারোর কুশীলবরা কণ্টকাকীর্ণ ও কঠিন পথে যেতে নারাজ। ফলে তারা ঢোঁক গিলে বাস্তবিক কারণেই মেনে নেন যে তৃতীয় শক্তি আসলে ‘সেনাবাহিনী’। কারণ সশস্ত্র ও সহিংস রাজনৈতিক দলগুলোর বাইরে সশস্ত্র মতা হিসেবে একমাত্র সেনাবাহিনীকেই তারা বাস্তবে দেখতে পায়। আর আসলে এটাই বাস্তব পরিস্থিতি। তৃতীয় শক্তি হিসেবে এক-এগারোর কুশীলবরা মতাধর হয়ে সমাজে হাজির হবার একমাত্র সম্ভাবনা সেনাসমর্থন; এ ছাড়া তাদের বাসনা চরিতার্থ করা কঠিন। কিন্তু সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে যুক্ত করতে হলে আন্তর্জাতিক পরাশক্তির সমর্থন ছাড়া সম্ভব নয়। কাজেই এর ফলে সমাজের বিশেষ একটি শ্রেণি, সেনাবাহিনী ও পরাশক্তির একটা ত্রিভুজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আগেই বলেছি ওর পেছনে থাকে বিদ্যমান রাজনীতির সংস্কারের আকাক্সা। এতটুকুই মাত্র এর ইতিবাচক দিক। সেই আকাক্সার আর্থ-সামাজিক কারণ হিসেবে হাজির থাকে কিছু কিছু েেত্র অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির গতিশীল বিকাশের সম্ভাবনা। বিদ্যমান রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলগুলোর কুকীর্তির কারণে যে সম্ভাবনা নষ্ট হবার বিপদ তৈরি হয়। যেমন, বলা হয়, বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবার সম্ভাবনায় টইটম্বুর। কিন্তু সে সম্ভাবনা বানচাল হতে বসেছে রাজনৈতিক দলগুলোর কুশাসনের জন্য। কথাটা উড়িয়ে দেবার মতো নয়। সে কারণেই কুশাসনের জায়গায় আমরা প্রায়ই সুশাসনের কথা শুনি।
^ 1/11 planners in Bangladesh follow a certain train of political thought. They do not like partisan politics of the main two parties, but rather dream of a third force to get relief from the misrule of the main two parties. In Bangladesh politics is a dirty and violent affair. But 1/11 planners do not like that aspect of Bangladesh politics, they want a peaceful and violence free reform. So naturally they support the Armed force's involvement in the 3rd force. So without backing of Armed forces, it is impossible for the 3rd force to intervene. The desire of the 3rd force's to seek institutional reform is a positive factor. Since Bangladesh has a possibility to reach middle income level in the future, good governance is very important factor in that goal, so this resonates with the desire of the 3rd force to reform to achieve good governance.

এই বিপদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ‘দুর্নীতি’। রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে এক-এগারোর কুশীলবদের রাজনৈতিক প্রপাগান্ডায় সবচেয়ে প্রধান অস্ত্র ছিল দুর্নীতি। একে আমি উদ্ধৃতি চিহ্ন দিয়েছি। এ কারণে যে অর্থশাস্ত্র দুর্নীতি মাত্রই মন্দÑ এই নীতিবাদী বাচালতার কারবার করে না। দুর্নীতি ছাড়া পুঁজিতান্ত্রিক সম্পর্কের বিকাশ ও বিস্তার চিন্তাই করা যায় না। পুঁজিতন্ত্র চাই, কিন্তু দুর্নীতি চাই না, এটা তো হতে পারে না। প্রশ্ন হচ্ছে দুর্নীতির দ্বারা উপার্জিত অর্থ বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে যাচ্ছে, নাকি পাচার হয়ে যাচ্ছে দেশের বাইরে। নাকি সেই দুর্নীতি নির্লজ্জ ভাবে সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার যেমন।
^ Another aspect of the 1/11 phenomenon is "anti-corruption". In a capitalist society it is not expected that we can be totally corruption free. Rather, we have to look at if the corruption is used for capital formation and investment within the country, or if it is being siphoned off to off-shore safe havens.

বাংলাদেশের দুর্নীতিকে বুঝতে হলে এখানে পুঁজি গঠন এবং পুঁজিতান্ত্রিক সম্পর্ক গড়ে ওঠার বিশেষ ধরন বিচার করা দরকার। সেটা করতে হলে বহুপীয় ও দ্বিপীয় দাতা সংস্থাগুলোর ভূমিকা, কাঠামোগত সংস্কার, অবাধ বিনিয়োগ ও অবাধ বাজারব্যবস্থা, রফতানিমুখী উন্নয়ননীতিসহ আরো নানান দিক পর্যালোচনার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। বিচ্ছিন্ন বা বিপ্তি ভাবে নীতিবাদী কায়দায় ‘দুর্নীতি’র মূল্যায়ন বালখিল্যতা ছাড়া কিছুই নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের হাড় মাংস মজ্জা পানি করা যে পুঁজিতান্ত্রিক সম্পর্ক আমাদের চোখের সামনে গড়ে উঠেছে ও বিস্তার ঘটছে, সেই অসহনীয় ব্যবস্থার সুনির্দিষ্ট চরিত্র বোঝার দিকে মনোযোগ নিবিষ্ট করাই এ েেত্র আসল কাজ। অর্থাৎ দুর্নীতি থেকে মুক্তি পেতে হলে সংস্কার করতে হবে আসল জায়গায়। এর সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে গণমতা তৈরির কাজ। সেটা না করে এক-এগারোর কুশীলবরা দুর্নীতির চরিত্র বিচার করে শুধু জনগণের ‘উপলব্ধি’র মাত্রা দিয়ে। পুলিশ, প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, স্বাস্থ্যব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জনগণের উপলব্ধি দিয়ে দুর্নীতি পরিমাপ করা হয়। এখন রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্নীতির তথ্য প্রকাশিত হয়ে পড়ায় সেটা মুখ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। সেটা ভালো। এক-এগারোর কুশীলবদের রাজনীতি বুঝতে হলে বুঝতে হবে তারা রাজনীতি বা রাষ্ট্রব্যবস্থার মৌলিক সংস্কারে কিম্বা পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থার পর্যালোচনাতে মোটেও আগ্রহী নয়। তারা বরং বিদ্যমান ব্যবস্থায় জনগণের ােভ আশ্রয় করে তাকে ততট্কুুই প্রশমন করতে রাজি যতটুকু বিদ্যমান ব্যবস্থাকে সহনীয় করে তুলতে কাজে লাগে।
^ So corruption in Bangladesh must be understood in the correct context of capital formation and capitalist relationships. Factors that need to be considered are Mulitlateral and Bilateral Donor orgs, structural reform, freedom of investment, freedom of market, export oriented development plan and others. Without getting to the heart of capitalist system, just a drive of anti-corruption to placate people's popular feelings, is only going to be cosmetic and ineffective. Today, the increase of income by politicians are being discussed after disclosures before the upcoming (sham) election. That is a good thing, the public should be aware about corruption by politicians. But to understand 1/11 planners politics, we must understand that their reform is not about fundamental reform of the prevailing capitalist system, rather they are interested to reform it only so much, so that the prevailing capitalist system becomes acceptable and tolerable to the public.

রাজনীতিতে এক-এগারোর কুশীলবরা রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অনিশ্চিত ও সংঘাতপূর্ণ প্রক্রিয়া এড়িয়ে বাংলাদেশে ‘সুশাসন’ কায়েম করতে চায়। এই অর্থে যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েমের চেয়ে আন্তর্জাতিক পুঁজি এবং বহুজাতিক করপোরেশানের জন্য একটি স্থিতিশীল ও ঝামেলামুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করাই তাদের প্রধান ল্য। এ কারণেই ‘বিরাজনীতিকরণ’ (depoliticisation) কথাটা চালু হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে তথাকথিত ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের বিরোধের জায়গাটা হচ্ছে স্থিতিশীলতা বহাল রাখার েেত্র রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা। সেনাবাহিনীর ভূমিকার কথাটা এই স্থিতিশীলতা রার প্রয়োজনেই ওঠে। সেটা জনগণের স্বার্থ পাহারা দেবার জন্য নয়, আন্তর্জাতিক পুঁজি ও বহুজাতিক কম্পানিগুলোর বিনিয়োগ ও মুনাফা নিশ্চিত করবার জন্যই। অতএব বিরাজনীতিকরণ কথাটা বুঝতে হবে আরিক অর্থে নয়, বরং সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক অর্থে। বিরাজনীতিকরণেরও রাজনীতি আছে। বুঝতে হবে লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক শক্তি অর্জনের বিপরীতে বিদ্যমান ব্যবস্থার টিকিয়ে রাখবার রাজনীতি হিসেবে।
^ So, the politics of 1/11 planners is mainly about making the political party and political process less uncertain and less subject to friction and thus establish better governance. Rather than establishing democracy, their main goal is to stabilize and make the situation more trouble free in the interest of international capital and Multi National Corporations (MNCs). This is why the word depoliticization is used. Minus 2 formula is related to that. Their problem with the political parties is the failure of these political parties to maintain stability. Armed forces role is also to bring back this stability. This is not to protect people's interest, but to protect the investment and profit of international capital and MNCs. The the politics of this depoliticization must be understood in that context, to protect the status quo, even at the expense of gaining democratic rights of the people.


এ কারণে ‘সুশাসন’ বলাবাহুল্য গণতন্ত্র নয়, করপোরেট শাসন। গুড গভর্নেন্স। প্রথমেই এটা পরিষ্কার বুঝতে হবে। ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি পলাশীর যুদ্ধের পর ধীরে ধীরে এ দেশের ‘শাসনভার’ তাদের নিজেদের হাতে তুলে নেয়। সেটা ছিল ঔপনিবেশিক শাসন। সেটাও ছিল ইংরেজদের দিক থেকে সুশাসন। কিন্তু ঔপনিবেশিক শাসন আজ আর নাই, বা নৈতিক ভাবে বহাল রাখা অসম্ভব। সেই জায়গায় বহুজাতিক কোম্পানির স্বার্থে সুশাসন কায়েম জরুরি হয়ে পড়েছে।
^ So good governance, is not always related to democracy. Under East India Company, during colonial rule, from the perspective of the British, this was "good governance". Today we do not have colonial rule, but today's MNCs have taken the place of those earlier mercantile corps. (in a neo-colonial system?) and good governance is a must for them.

দ্বিতীয়ত ঔপনিবেশিকতা পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থা গড়ে উঠবার উঠতি সময়। এখন দুনিয়াজোড়া বিশ্ব পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম রয়েছে। আমরা সেই ব্যবস্থার প্রান্তে আছি, কেন্দ্রে নয়; আন্তর্জাতিক শ্রমবিভাগের যে অবস্থানে রয়েছি সেখানে আমাদের বেঁচে থাকবার একমাত্র পথ হচ্ছে সস্তা শ্রম বেচাÑ দেশের ভেতরে বা বাইরে। এমন এক শ্রম যার জীবসত্তার কোন মূল্য নাই। একে পুড়িয়ে মারা যায়, বিল্ডিং ভেঙে চাপা দিয়ে জ্যান্ত কবর দেওয়া যায়, মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমিতে সূর্যের দহনে দগ্ধ করা যায়, কিম্বা মালয়েশিয়ার রাবার বাগানে সাপের কামড়ে মরতে পাঠানো যায়, ইত্যাদি।
^ In todays global neo-colonial capitalist economic system, we are at the peripheri, not at the core. In international division of labor, our only way to make a living is to sell cheap labor, either within or outside the country. That labor may not value even our lives. We could die in fires (garment factory fires), or die in building collapse, or in middle-east we could die in sunstroke in the desert or in Rubber garden of Malaysia we could die of snake bite etc.

নিরন্তর পুঁজির পুঞ্জীভবন ও আত্মস্ফীতি ঘটছে, সেটা একটি বৈশ্বিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াকে অবাধ রাখতে বাজারব্যবস্থার ওপর রাষ্ট্রের কোন প্রকার হস্তপে বরদাশত করা হয় না। রাষ্ট্রকে এ কাজ করতে না দেওয়াও ‘সুশাসন’-এর অন্তর্গত। বিনিয়োগ ও উন্নয়নের একমাত্র এজেন্ট বা চালিকাশক্তি হচ্ছে বহুজাতিক করপোরেশান বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। এই প্রক্রিয়ায় রাজনীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে পুঁজির দৃশ্যমান আন্তর্জাতিক ধরন, যাকে আমরা সাধারণত বহুজাতিক করপোরেশান বলি। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কাজ হচ্ছে পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিরন্তর তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক অসাম্য, দারিদ্র্য ও সামাজিক অসন্তোষ সামাল দেওয়া। বাংলাদেশে সেনাসমর্থিত সরকার কায়েম করাই এক-এগারোর কুশীলবদের প্রধান কাজ ছিল না। তাদের কাজ ছিল পুঁজির অবাধ বিনিয়োগ ও মুনাফা কামাবার জন্য প্রয়োজনীয় ‘রাজনৈতিক’ স্থিতিশীলতা ও শান্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা। রাজনৈতিক দলগুলো ব্যর্থ হলে, বলা বাহুল্য, সবসময়ই স্থিতিশীলতার জন্য সুশীলসমাজ, সেনাবাহিনী ও পরাশাক্তির আঁতাত অনিবার্য ভাবেই গড়ে ওঠে। এখানে কোন ষড়যন্ত্রের দরকার পড়ে না।
^ Free market capital formation is a global process. To maintain this process, the state must not interfere with the market based system. To not let the state interfere in this process is also part of this so called "good governance". So for investment and development, the main driving force must be these private MNCs. So MNC's are really behind the 1/11 political process. The private development NGO's job is to balance the imbalance and inequity created by these private MNC's. So 1/11 takeover was not mainly about establishing a Army backed govt., rather it was to ensure the political stability necessary for the profit from the investments made by MNCs. If political parties fail to maintain this stability then naturally a triad is formed from:
1. Civil Society (behind 1/11 takeover)
2. Armed forces and
3. Great Powers

বাংলাদেশে আবার সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর এবার এই অবস্থা তৈরিতে প্রধান ভূমিকা নিয়েছেন শেখ হাসিনা। এটা পরিষ্কার। অবস্থাদৃষ্টে দেখা যাচ্ছে, এক-এগারোর কুশীলবরা সংবিধানের মধ্যে থেকে কিভাবে শেখ হাসিনাকে মোকাবিলা করা যায় তার ফর্মুলা বের করবার জন্য প্রাণান্ত হয়ে যাচ্ছেন। সে সম্ভাবনা খুবই ীণ। ফলে এক-এগারোর পরিস্থিতি তৈরি হলে অবাক হবার কিছু নাই। শেখ হাসিনার নাসিকা প্রখর। তিনি ধরে ফেলেছেন কিছু একটা পরিকল্পনা চলছে।
^ In Bangladesh, that situation like that of 1/11/2007 Army takeover has been created again. The main role behind creation of this scenario has been played by Sheikh Hasina, that much is clear. So Sheikh Hasina has great sense of smell, she has correctly sensed that some plan is afoot.

এবার এক-এগারোর ঘটনা ঘটলে জনগণের দিক থেকে হয়তো এই মুহূর্তে কোন ইতরবিশেষ বা তিবৃদ্ধি নাই। দেখা যাক কী হয়!!
If another 1/11 happens this time, public may be relieved just like before, lets see what happens.
farhadmazhar@hotmail.com
 
Being an AL supporter does not make you Bangladeshi period.....you cannot claim to be a citizen of a country whose sovereignty you do not recognize!
Well then you can file an affidavait in highest court of your country. I assume Supreme Court in Bangladesh is independent.
 
রাতের পর রাত
Night after night
চলমান আন্দোলনে স্বাধীনতা রক্ষার ঘোষণা -শফিক রেহমান
In the ongoing movement (Khaleda Zia) made a declaration to protect sovereignty of Bangladesh - Shafik Rehman

বছরের শেষ দিন। আগামীকাল নতুন বছরের প্রথম দিনে দৈনিক শুকতারা-তে ছাপতে হবে বিদায়ী বছরের বড় ঘটনাগুলোর সালতামামি। ছাপতে হবে আগামী বছরটি কেমন যাবে সে বিষয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী।
কিন্তু কোনো সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী যে করা সম্ভব নয় সেটা সম্পাদক শামীম জানে।
আগামী বছরে বাংলাদেশের শাসনক্ষমতা কার কাছে থাকবে?
শেখ হাসিনা? খালেদা জিয়া? অথবা তৃতীয় কোনো শক্তির কাছে?
আগামী বছরে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জীবন কেমন কাটবে?
কারো পক্ষেই কি এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব?
সকালেই চলে এসেছিল শামীম তার অফিসে।
প্ল্যান ছিল দুপুর নাগাদ সব বৃফিং শেষ করে বিকেল ছ’টায় অফিসেই সব স্টাফকে নিয়ে নিউ ইয়ার ইভ পার্টি করবে।
অন্যান্য বছরের মতো রাত বারোটার কিছু আগে নিউ ইয়ার ইভ পার্টি করা সম্ভব হবে না। ঢাকা মেট্রপলিটান পুলিশের হাই প্রোফাইল কর্মকর্তা বেনজীর আহমেদ অনুরোধ করেছেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে সবাই যেন সন্ধ্যা আটটার মধ্যেই যে যার ঘরে ফিরে যান।
কেন?
আটটার পরে কি ঢাকার পথে আরো পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবি নামবে? অথবা সশস্ত্র বাহিনী?
বেনজীরের এই নজিরবিহীন অনুরোধ মেনে চলার জন্য শামীম পত্রিকার স্কেলিটন স্টাফ বাদে অন্য সবাইকে সন্ধ্যার আগেই ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
থার্টি ফার্স্ট নাইটে নয়Ñ থার্টি ফার্স্ট ইভনিংয়ের পার্টির জন্য অর্ডার দিয়েছিল কুপার্সের কেক। কিন্তু কড়া নির্দেশ দিয়েছিল কোনো মোমবাতি যেন আনা না হয়। কেকের ওপর যেন একটাও মোম সেট না করা হয়।
নিউজ এডিটর মেরি জানতে চেয়েছিল, মোমবাতি কেন নিষিদ্ধ করা হবে?
মোমবাতি হচ্ছে নম্রতা, প্রেম ও শান্তির প্রতীক। বিশ্ব জুড়ে যুগযুগান্তরকাল ধরে এটাই আমরা দেখেছি। জেনেছি। কিন্তু ২০১৩-এর ফেব্রুয়ারিতে শাহবাগ জাগরণে মোমবাতিকে ব্যবহার করা হয়েছে উগ্রতা, অশান্তি ও ফাসির দাবির প্রতীক রূপে। ইতিহাস বিকৃতির এক্সপার্ট আওয়ামী লীগ এখন ওয়ার্ল্ড কালচার বিকৃতির কাজেও নেমেছে। সুতরাং আওয়ামী শাসন আমলে নিরাপদে থাকতে হলে নিউ ইয়ার, বার্থডে, বিয়ে, বিয়ে বার্ষিকীÑ এসব অনুষ্ঠানে আর মোমবাতি ব্যবহার না করাই উচিত হবে। শামীম বিরক্ত মুখে উত্তর দিয়েছিল। তুমি বছরের একটা সালতামামি লিখে রেখ। শামীম নির্দেশ দিয়েছিল।

চেয়ারে বসতেই রিসেপশন থেকে জানালো বিবিসি লন্ডন থেকে মিজ রানী সিং খোজ করছেন। তিনি ঢাকায় এসে ওয়াইডাবলিউসিএ-তে উঠেছেন। ফোন করতে অনুরোধ করেছেন।
শামীম তাকে চিনতো না।
সে তাকে মোবাইলে ফোন করল। প্রাথমিক সৌজন্য বিনিময়ের পর রানী সিং যা জানালেন, সংক্ষেপে তা হচ্ছে, বিবিসির পক্ষ থেকে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ইন্টারভিউ নিতে তিনি আগ্রহী। এ বিষয়ে লন্ডন থেকে তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা শমসের মবিন চৌধুরীর সঙ্গে আগেই আলাপ করে গত পরশুদিন ঢাকায় এসেছেন। গতকাল সন্ধ্যায় গুলশানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৃটিশ হাই কমিশনার রবার্ট গিবসনের প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী আলোচনার পর অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গিবসন বারিধারাতে তার নিজের বাড়িতে ফিরে গেলেও শমসের মবিন চৌধুরী যিনি শেরু নামেও পরিচিত, তিনি গুলশানে তার নিজের বাড়িতে ফিরতে পারেন নি। খালেদা জিয়ার বাড়ির বাইরে আসার পরপরই সরকারি বাহিনী তাকে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। আটকের ঠিক আগে তাকে ফোন করে শমসের মবিন জানিয়েছিলেন তার সর্বশেষ অবস্থান।

এখন কিভাবে ম্যাডাম জিয়ার ইন্টারভিউ নেওয়া সম্ভব? শমসের মবিন চৌধুরীকে আটক করার কোনো বৈধ কারণ দেখানো হয়েছিল কি? রানী সিং দু’টি প্রশ্ন করলেন।
বোধ হয় ইন্টারভিউ নেওয়া সম্ভব হবে না। ম্যাডাম জিয়া তার বাড়িতে একা। তার কোনো পার্সোনাল সাপোর্টিং স্টাফ নেই। এপয়েন্টমেন্ট সেক্রেটারি ছিলেন এডভোকেট শিমুল বিশ্বাস। তাকে বহুদিন আগেই পুলিশ ধরে নিয়ে জেলে পুরেছে। ম্যাডাম জিয়ার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করাও সম্ভব নয়। বাড়িতে গেলে পুলিশ অ্যারেস্ট করতে পারে। আপনাদেরই দেশের হাই কমিশনার যখন ম্যাডাম জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে চান তখন শমসের মবিন সরকারের কিয়ারেন্স নিয়ে তিনি, রিয়াজ রহমান ও সাবিহউদ্দিন আহমেদ আগেই ম্যাডামের বাড়িতে পৌছে ওই মিটিং সেটআপ করেন। পূর্ব অনুমতি নিয়ে ওই মিটিংয়ের পরেই শমসের মবিনকে গ্রেফতারের ফলে আবারও প্রমাণিত হলো হাসিনা সরকারকে অর্থাৎ হাসিনাকে বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করা যায় না। কারণ, হাসিনাই এখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশ আজ এক মিথ্যাবাদীর খপ্পরে। এই যে আপনি পূর্ব অনুমতি অর্থাৎ ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন, তারপরে আমার সঙ্গে কথা বলার দায়ে আপনাকে গ্রেফতার করা হলে অবাক হবার কিছু থাকবে না। এখানে আইনের শাসন নেই। বিচারব্যবস্থা দলীয়করণ হয়ে গিয়েছে। এক্সকিউজ মি। আমার অন্য মোবাইলটা বাজছে। একটু হোল্ড করুন। শামীম বলল।
অন্য ফোনটিতে কয়েক সেকেন্ড আলাপ করে শামীম ফিরে গেল প্রথম ফোনে।
মিজ সিং। ইউ হ্যাভ এ গুড নিউজ। এই মাত্র খবর পেলাম শমসের মবিনকে পুলিশ আপাতত ছেড়ে দিয়েছে। আপনি তাকেই ডিরেক্ট ফোন করতে পারেন। নাম্বারটা নিশ্চয়ই আছে। তবে ম্যাডামের সঙ্গে হাই কমিশনারকে দেখা করিয়ে দেওয়ার পর তিনি যে বিপদে পড়েছেন, তার পরে বিবিসির কাউকে দেখা করিয়ে দেয়াটা সম্ভব হয়তো হবে না। শামীম লাইন কেটে দিল। তারপর ইন্টারকমে মেরিকে আসতে বলল।
একটু পরেই শামীমের রুমে মেরি এল।

পরনে শাড়ি। হালকা গোলাপি জমিনে ছোট ছোট লাল জামদানি ডিজাইন। লাল ব্লাউজ। কপালে ছোট লাল টিপ।
হ্যাপি নিউ ইয়ার টু ইউ। চেয়ারে বসে হাত বাড়িয়ে মেরি বলল।
হ্যাপি নিউ ইয়ার। শামীম ওর হাত ধরে একটু ঝাকিয়ে বলল। কিন্তু হাতটা তখনই ছেড়ে দিল না। আস্তে আস্তে বলল, দেখো, সৈয়দ আশরাফের নজরে পড়ে যেও না। এই সময়ে গোলাপি শাড়ি না পরলেও পারতে।
নজরে পড়লে কি হবে? একটু মুচকি হেসে মেরি বলল। হাত ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করল না।
কিন্তু শামীম তার হাত গুটিয়ে নিল। তারপর বলল,
নজরে পড়লে এমপি শাম্মী আখতারের মতো আটকে রাখতে পারেন। অথবা এমপি রাশেদা বেগম হীরার মতো আটক করে পরে ছেড়েও দিতে পারেন। এখন তুঘলকি আমল চলছে। তাছাড়া কারো কারো বিশ্বাস, সৈয়দ আশরাফ অসুস্থ। গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাভিশনে মতিউর রহমান চৌধুরী উপস্থাপিত ফ্রন্ট লাইন টক শোতে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া গত রোববারে বিকেলে তার বাস ভবনের গেইটের ভেতরে দাড়িয়ে সাংবাদিকদের কাছে যখন কথা বলছিলেন তখন তিনি শাদা শাড়ি পরে ছিলেন। অথচ সৈয়দ আশরাফ বলেন, তিনি গোলাপি শাড়ি পরে ছিলেন। আমি আওয়ামী লীগের সমর্থক হয়েই বলছি সৈয়দ আশরাফ ভুল বলেছিলেন। সম্ভবত সৈয়দ আশরাফ অসুস্থ ছিলেন।
ওই অনুষ্ঠানে নিউ এইজ সম্পাদক নুরুল কবিরও ছিলেন। সৈয়দ আশরাফ যে দিনের বিশেষ সময়ে অসুস্থ থাকতে পারেন সেই বিষয়টির প্রতি ওই দুই বক্তার আলোচনায় ইংগিত করা হয়। শামীম হাসল।
এটা মাইনর ব্যাপার। মেজর ব্যাপারটি হচ্ছে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের কোনো প্রতিউত্তর এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনা দিতে পারেন নি। তিনি অসমর্থ হওয়ায় প্রতিউত্তর দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন সৈয়দ আশরাফ ও ডা. দীপু মনি। এতে বোঝা যায় সৈয়দ আশরাফ নন, আসলে খালেদার বাক্যবুলেটে হেভি ইনজিউরড বা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শেখ হাসিনা।
প্রথমত, তিনি ভাবতে পারেন নি প্রায় এক হাজার নারী পুরুষ গোপালিশ, অনেক শাদা পোশাকি পুলিশ এবং সেই বাড়ির সামনে মোতায়েন পাচটি বালুর ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারদের ছদ্মবেশে ভিনদেশি গোয়েন্দাদের প্রখর চোখ এড়িয়ে উদ্যমী ও সাহসী রিপোর্টার-ফটোগ্রাফাররা অন্য বাড়ির দেয়াল টপকে ম্যাডামের বাড়িতে ঢুকে পড়বে। তার ইন্টারভিউ নিতে পারবে এবং সেটা টিভিতে আপলোড করে দিতে পারবে। যার ফলে সারা বাংলাদেশ খালেদার অতি প্রতীক্ষিত তেজীয়ান একটি পারফরম্যান্স লাইভ দেখতে পারবে। বস্তুত ২৯ ডিসেম্বর নয়া পল্টনে বিএনপি হেড কোয়ার্টার্সের সামনে খালেদা পৌছাতে পারলে এবং সেখানে কোনো বক্তৃতা দিতে পারলেও তারচেয়ে অনেক বেশি এফেক্টিভ হয়েছে নিজের বাড়িতে গাড়িতে প্রায় এক ঘণ্টা বসে থাকার পরে অবরুদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশের পতাকা হাতে তার এই বিবৃতি। হাসিনা তনয় সজীব ওয়াজেদ জয় নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন সরকারি বাহিনীর সেদিনের এই দুর্বলতা। জয় কিছুদিন আগেই একটি ইনডিয়ান পত্রিকায় গর্ব করে বলেছিলেন, তার মা ও তাকে নিñিদ্র পাহারা দিচ্ছে বিশ্বস্ত বাহিনী। এ সব পাহারাই যে ভঙ্গুর সেটা প্রমাণিত হলো আরো একবার। মেরি বলল।
তাদের নিজেদের পাহারা আরো জোরালো করার জন্য আমেরিকাবাসী জয় এখন চেষ্টা করতে পারেন সিআইএ-র সঙ্গে যোগাযোগ করে নতুন কোনো ফোর্স আনতে। ফোন নাম্বার (১) (৭০৩) ৪৮২-০৬২৩ এবং ফ্যাক্স নাম্বার (১) (৭০৩) ১৪৮২-১৭। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলায় জয়ের মা কাজে লাগিয়েছিলেন এফবিআই-কে। তাতে লাভ হয়নি। তারেক রহমান ওই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন। এখন এফবিআই নয়Ñ জয়ের শেষ ভরসা হতে পারে সিআইএ। তারপর বলো। শামীম বলল।
খালেদার ওই বক্তব্যের পর কেন হাসিনা অসুস্থ হয়ে পড়েন তার দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, হাসিনা ভাবতে পারেন নি খালেদা তার স্বভাবসুলভ নম্রতা ও বিনয়ের বাধা কাটিয়ে কঠোর ও সরাসরি ভাষায় এত চোখা বক্তব্য রাখবেন। এজন্য কেউ কেউ খালেদার সমালোচনা করে বলেছেন, তার উচিত ছিল তার অতীত স্টাইলেই বলা। কিন্তু এই সমালোচনার বিপরীতে অনেকেই বলেছেন, ওই দিন খালেদার মুখের ভাষা এবং দেহের ভাষা উভয়ই ছিল সময়োচিত। এর আগে গুলশানে তার কার্যালয়ে মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বরের প্রেস কনফারেন্সে খালেদাকে দেখা গিয়েছিল হাস্যোজ্জ্বল চেহারায়। বিরোধী দলের কর্মসূচি ঘোষণায় লিখিত বিবৃতি পড়ার সময়ে তিনি তার সব আবেগ রেখেছিলেন নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু রোববার ২৯ ডিসেম্বরে অবরুদ্ধ অবস্থায় তাৎক্ষণিক প্রেস বিবৃতিতে খালেদা তার মনের অবরুদ্ধ কথাগুলোকে মুক্ত করে দেন। তিনি যা বলার তা রাখঢাক না করে, সাফ সাফ বলে দেন। আর এ সবই ছিল দেশবাসীর মনের কথা। তাই ওই বিবৃতির সময়ে দেশবাসী হয়েছে উদ্দীপ্ত, বিরোধী কর্মীরা হয়েছেন উজ্জীবিত এবং বিরোধী নেতারা হয়েছেন অনুপ্রাণিত। তারা বলেছেন, হ্যা, এমনটাই তো আমরা শুনতে চেয়েছিলাম।

এর আগে একাধিকবার শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন, খালেদা জিয়াকে মাঠে নামতে। খালেদা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সেদিন বিকেলে মাঠে নামেন। কিন্তু মাঠ ছিল ফাকা। মাঠ ছিল হাসিনাবিহীন। কিছুকাল আগে সংসদের তামাশা নির্বাচনে ১৫৩ জন এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবার পরে শেখ হাসিনা মন্তব্য করেছিলেন, ফাকা মাঠে গোল তো হবেই। রোববার বিকেলে খালেদা ফাকা মাঠে সরকারি দলের ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধে একটার পর একটা গোল করছেন। বেঞ্চে বসা দুই সাবস্টিটিউট, অসুস্থ সৈয়দ আশরাফ এবং মোটাসুস্থ (আওয়ামী ভাষায় ‘মোটাতাজা’ বলাই হয়তো সঙ্গত) দীপু মনি এখন খেলা শেষ হয়ে যাবার পর মাঠে নেমে গোল দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু সরি। টাইম ইজ ওভার।

খালেদা বলেন, সে (হাসিনা) না বলেছিল খালেদা জিয়া বের হোক রাস্তায়। আজকে আমি রাজপথে যেতে চাই। বাধা দেন কেন, কেন বাধা দেন? তার তো রাজপথে আসার কোনো সাহস নেই। চলেন দুনিয়ার সিকিউরিটি নিয়ে, আর মানুষ মারেন, মানুষ গুম করেন, মানুষ খুন করেন। মনে করছেন যে ভুলে যাবেন। সারা ওয়ার্ল্ড জেনে গেছে হাসিনা কতো মানুষ খুন করেছে, কতো মানুষ গুম করেছে। তার সাথে যুক্ত হয়েছে, পুলিশ বাহিনী, র‌্যাব বাহিনী।

দুই ফাকা মাঠের মধ্যে তফাৎটা এখানে ধরিয়ে দেন খালেদা। এই ভোটযুদ্ধ মাঠে বিরোধীরা যায়নি রাজনৈতিক কারণে Ñ ভীরুতার জন্য নয়। কিন্তু মল্লযুদ্ধ মাঠে হাসিনা যান নি ভীরুতার কারণে। হাসিনার এই ভীরুতা অতীতেও মানুষ দেখেছে। ওয়ান-ইলেভেনের পর দুইবার তিনি দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তখন খালেদাকে সৌদি আরবে পাঠানোর চেষ্টা করে শাসকরা ব্যর্থ হয়েছিল।
খালেদা জিয়া আরো বলেন, আর কতো মানুষ মারেন সেটাও দেখব। এর আগেও তো ক্ষমতায় থাকা কালে মেরেছেন। ... আপনারা আইনজীবীদের গ্রেফতার করছেন। সাংবাদিকদের প্রতি নির্যাতন চালাচ্ছেন। মা-বোনদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছেন। মহিলা পুলিশদের প্রতি তিনি বলেন, আপনাদের মহিলাদের প্রতি এতটুকু সম্মান নেই? দরদ নেই? আমরা অন্তত মহিলাদের সম্মানটুকু রক্ষা করি। সেটাও তো আপনারা করেননি। কি আচরণ করছেন?
এখানে খালেদা ধরিয়ে দিয়েছেন নারী পুলিশ বাহিনীর মধ্যেও ঠিক শেখ হাসিনার মতোই অপরের প্রতি সম্মানের অভাব আছে।

এরপরে খালেদা বলেন, অথচ আমাদের সময়ে ১৭৩ দিন আপনারা হরতাল করেছেন, অবরোধ করেছেন, নানারকম বিশৃঙ্খলা করেছেন, লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ খুন করেছেন অথচ একটি গুলিও চালাইনি আমরা। দেশের প্রতি, জনগণের প্রতি দরদ আছে আমাদের। মায়া আছে। সে জন্যই আমরা জনগণকে গুলি করে হত্যা করতে পারি না।
খালেদা তার অন্তঃস্থল থেকে এসব কথা বলেছেন। সাবেক আইজি কাইয়ুম জানিয়েছেন, ১৯৯৫-৯৬ এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগের আন্দোলন চলার সময়ে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তাকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন, ওই আন্দোলন দমনে একটা গুলিও যেন না চলে। তাই হয়েছিল।
শান্তি, প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মানবোধ এবং সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালনের প্রতি খালেদা জিয়ার নিষ্ঠা আবার ফুটে ওঠে এর পরের কিছু কথায়। পুলিশ বাহিনীর প্রতি তিনি বলেন, আপনাদের সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। আপনারা দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু আমি মনে করি আপনারা সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। সম্মানের সাথে আপনারা কাজ করতে পারেন। আমরাও কাজ করতে পারি। সেভাবেই আপনারা করেন। আপনাদের সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই, পুলিশ বাহিনী। কিন্তু এটা তো ঠিক নয় যে, আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেবেন না। এটা ঠিক নয়। ... ধাক্কাধাক্কি বন্ধ করেন। আমরা কেউ ধাক্কাধাক্কি করতে আসিনি। আমি বলছি আপনারা (পুলিশ) চাকরি করেন, করবেন। কিন্তু এ রকম গায়ের ওপরে উঠে পড়বেন না। দূরে থাকেন। আপনাদের জায়গা যেখানে সেখানে থাকুন। আপনাদের রাস্তায় থাকার কথা। বাড়ির মধ্যে এসে গেছেন কেন?

খালেদা জিয়ার এ কথায় বাংলাদেশের মুসলিম মধ্যবিত্ত সমাজের মূল্যবোধ প্রতিফলিত হয়েছে। এক্ষেত্রে শেখ হাসিনার মূল্যবোধের সঙ্গে যে তার হাজার মাইল তফাৎ আছে সেটা আবার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রশাসনে শেখ হাসিনার আঞ্চলিকতা সর্বজন নিন্দিত। খালেদা জিয়া সে বিষয়ে হাসিনাকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, দেশ কোথায়? গোপালি? গোপালগঞ্জ জেলার নামই বদলে যাবে। বুঝেছেন? গোপালগঞ্জ আর থাকবে না।
ভবিষ্যৎ খালেদা সরকার যে গোপালগঞ্জের নাম বদলে দেবে এমনটা তিনি বলেননি। নাম হয়তো সাধারণ মানুষই বদলে দিতে চাইবে এবং হয়তো খালেদাই সেটা রুখে দেবেন। কারণ ব্যক্তিগতভাবে নাম বদলে তিনি কোনো দিনই আগ্রহী ছিরেন না যেমনটা শেখ হাসিনা ছিলেন এবং আছেন। ভবিষ্যৎ হাসিনা সরকার হয়তো বাংলাদেশেরই নাম পালটে দেবে। গতকাল আনন্দ বাজার পত্রিকা তার সম্পাদকীয়র শেষ লাইনে লিখেছে, কোন পথে এগোয় মুজিবের দেশ, দেখতে আগ্রহী সকলেই।
মুজিবের দেশ?
একটু সংক্ষিপ্ত করলেই তো ওটা হয়ে যায় মুজিবদেশ।
ইনডিয়ান পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশকে মুজিবদেশে রূপান্তরিত করে ইনডিয়ার হাতে তুলে দিতে যে শেখ হাসিনা আগ্রহী সেটা এখন অনেকেই মনে করেন। হয়তো জানুয়ারি ২০১০-এ হাসিনা দিল্লিতে গিয়ে যে চুক্তি করে এসেছেন এবং যেটা বাংলাদেশে অপ্রকাশিত এবং সংসদে অনালোচিত সেখানে কোনো শর্তে এই ধরনের সম্ভাবনার ইংগিত আছে। হয়তো হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির শেষ মুহূর্তে মুজিবদেশ রক্ষার জন্য ইনডিয়ান সেনা হস্তক্ষেপের আবেদনের কোনো সুযোগ আছে। হয়তো ইনডিয়ান পররাষ্ট্র সচিব মিজ সুজাতা সিং ঢাকায় এসে সেই আশ্বাসই দিয়ে গিয়েছেন শেখ হাসিনাকে।

খালেদা জিয়া এরপর কয়েকটি বহুল আলোচিত প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, কতোগুলো আলেমকে হত্যা করেছেন? এতিমকে হত্যা করেছেন? কতোজন বিডিআর অফিসারকে হত্যা করেছেন? সেদিন কোথায় ছিল হাসিনা? এতগুলো অফিসারকে মারল, ৫৭ জন অফিসারকে হত্যা করল। সেদিন হাসিনার এই ফোর্স কোথায় ছিল? কেন সে ফোর্স পাঠায় নাই? আসলে তো সে নিজেই জড়িত ছিল ওই হত্যাকাণ্ডের সাথে।

লক্ষ্যণীয় যে শেখ হাসিনার দুই সাবস্টিটিউট এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি। কিন্তু সবাই জানেন, এসব প্রশ্ন এবং পারসেপশন বা ধারণা এখন সারা বাংলাদেশে উচ্চারিত হয়।

এর কিছু পরেই খালেদা সবচেয়ে দর্শনীয় গোলটি করেন। তিনি বলেন, হাসিনার বাহিনীতে আজকে তো অনেক আননোন ফেইস (অচেনা চেহারা) দেখা যায়, যাদেরকে চেনা যায় না তারা আসলেই বাংলাদেশী কিনা। বাংলাদেশে আজ ২৯ ডিসেম্বর কর্মসূচি ছিল আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য জন্য রোড মার্চ। (আপনারা) গণতন্ত্র চাইবেন না, দেশ রক্ষা করতেও চাইবেন না। গোলামি করবেন? দালালি করবেন? এই গোলামকে তো (ওরা) রাখবে না। লেন্দুপ দর্জির ইতিহাসটা পড়ে দেখেন। সে-ও কিন্তু টেকেনি বেশি দিন। তাকেও বিদায় নিতে হয়েছে। দালালি করে, দেশ বিক্রি করেও। কাজেই দেশ বিক্রি চলবে না হাসিনার। দেশ রক্ষা হবেই ইনশাআল্লাহ। দালালি বন্ধ করতে বলেন। আর হাসিনার দালালি করে কোনো লাভ হবে না। বাংলাদেশের মানুষের সাথে থাকেন। জনগণের সাথে থাকেন। দেশের মানুষের সাথে থাকেন। তবেই কাজে দেবে। দেশ বাচবে, মানুষ বাচবে। আজকে সবার দায়িত্ব হয়ে গিয়েছে দেশ বাচানো, মানুষ বাচানো।

এটাই খালেদা জিয়ার বটম লাইন কথা। শেষ কথা। আজকে সবার দায়িত্ব হয়ে গিয়েছে দেশ বাচানো, মানুষ বাচানো।
অনেকে বলেন, পুলিশ, সাংবাদিক, ফটোগ্রাফার পরিবেষ্টিত হয়ে অতি বিক্ষুব্ধ অবস্থায় লেন্দুপ দর্জির নামটি মনে করাটা ছিল বিস্ময়কর। কেউ কেউ বলেন, লেন্দুপ দর্জির নাম শুনে হতবাক হয়েছেন হাসিনা। তিনি জানতে চেয়েছেন লেন্দুপ দর্জি কে ছিলেন?
উত্তরটা সংক্ষেপে হচ্ছে : কাজী লেন্দুপ দর্জি খাংসারপা ছিলেন সিকিমের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সংক্ষেপে লেন্দুপ নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। ১৯০৪-এ তার জন্ম হয়েছিল সিকিমের সম্ভ্রান্ত বৌদ্ধ পরিবারে। কৈশোর ও যৌবনে তিনি ধর্মশিক্ষা নেওয়ার পরে একটি বৌদ্ধ মন্দিরের প্রধান লামা হন। ১৯৬২-তে তিনি রাজনৈতিক দল সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস-এর প্রেসিডেন্ট হন। তার স্ত্রী কাজিনি এলসা মারিয়া ছিলেন স্কটল্যান্ডের অভিজাত বংশ উদ্ভূত। তিনি এডিনবরা ইউনিভার্সিটিতে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন এবং তার স্বামীর প্রধান পরামর্শক ছিলেন। এক সময়ে তিনি একটি ফ্রেঞ্চ পত্রিকায় সাংবাদিক ছিলেন। লেন্দুপের বৌদ্ধ ধর্ম তিনিও গ্রহণ করেন। মিলিতভাবে তারা সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেসকে পরিচালনা করেন এবং তৃতীয় সাধারণ নির্বাচনে সুফল অর্জন করেন। ১৯৭৪-এ লেন্দুপ হন সিকিমের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। পরের বছর ১৯৭৫-এ সিকিম আনুষ্ঠানিক ও সাংবিধানিকভাবে যোগ দেয় ইনডিয়ার সঙ্গে। লেন্দুপ মুখ্যমন্ত্রী থাকলেও ১৯৭৯-তে তাকে বিদায় নিতে হয়। তার গড়া সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেসও বিলীন হয়ে যায় ইনডিয়ার ন্যাশনাল কংগ্রেসের মধ্যে। ২৮ জুলাই ২০০৭-এ পশ্চিম বাংলায় কালিমপং শহরে ১০২ বছর বয়সে লেন্দুপের মৃত্যু হয়।
সিকিমের জনসংখ্যা ছয় লক্ষের কিছু বেশি। এরা বৌদ্ধ অথবা হিন্দু ধর্মাবলম্বী। অর্থনৈতিকভাবে সিকিমের চাইতে বেশি গরিব রাজ্য ইনডিয়া রাষ্ট্রে আর মাত্র দুটি আছে।
বলা যায় লেন্দুপ দর্জির দুর্ভাগ্য এবং সিকিমের দুরবস্থা বিষয়ে খালেদা জিয়া নিশ্চয়ই ভালো জ্ঞান রাখেন। ২৯ ডিসেম্বরের বিকেলে অতি উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সিকিম এবং ইনডিয়ার নাম উচ্চারণ না করে তিনি সতর্কবাণী দিয়েছেন হাসিনা ও বাংলাদেশের পরিণতি কি হতে পারে।
তাই খালেদা জিয়া সেদিন তার বিবৃতি শেষ করতে পারতেন এটা বলে যে, আমার স্বামী জিয়াউর রহমান ২৫ মার্চ ১৯৭১-এ দিবাগত রাতে ২৬ মার্চ ভোরে ‘উই রিভোল্ট’ Ñ আমরা বিদ্রোহ করলাম এই ঘোষণা দিয়েছিলেন। তারপর ২৭ মার্চ ১৯৭১-এ তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর আজ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩-তে আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার ঘোষণা দিলাম।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৩
fb.com/ShafikRehmanPresents
Shafik Rehman Presents | Facebook


Shafik Rehman Presents | Facebook

Shafik Rehman describes similarity of current situation in Bangladesh to situation in 1971 war and predicts that the country is moving towards a similar uprising and civil war to remove this occupying Awami League govt. He cites two main reasons:

- perceived attack on Islam the religion of majority
- everyone is afraid of loosing independence and sovereignty of the country due to naked interference of neighbor country


He worked in BBC Bangla division in London.

1507625_550670938352632_1124386246_n.jpg
 
Last edited:
Back
Top Bottom