Banglar Bir
SENIOR MEMBER
- Joined
- Mar 19, 2006
- Messages
- 7,805
- Reaction score
- -3
- Country
- Location
মিয়ানমারে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে ভারতের কূটনৈতিক তৎপরতা
Indian Hectic Diplomatic lobbying to stop imposition of Sanctions on Myanmar
13 Sep, 2017
নিউ ইয়র্কে আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যেকোনও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ঠেকানোর লক্ষ্যে পর্দার অন্তরালে জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে ভারত।পাশাপাশি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্রোত সামলাতে বাংলাদেশকে সাহায্য করার ব্যাপারেও এ তৎপরতা চালাচ্ছে দেশটি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, রোহিঙ্গা সংকট ভারতকে এক নজিরবিহীন ‘ডিপ্লোম্যাটিক ডিলেমা’র (কূটনৈতিক দ্বিধা) মধ্যে ফেলে দিয়েছে ।কারণ, এই সংকটকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার প্রায় মুখোমুখি অবস্থানে চলে এসেছে। অথচ এই দুই প্রতিবেশীর সঙ্গেই ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুব ভাল। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রেখে ভারত কিভাবে রোহিঙ্গা প্রশ্নে নিজেদের ভূমিকা রাখতে পারে, এখন তা চূড়ান্ত করার চেষ্টা চলছে। এ ক্ষেত্রে ভারতের লক্ষ্য হলো- এমন একটা ফর্মুলা প্রস্তাব করা, যা মিয়ানমার ও বাংলাদেশ উভয় দেশেরই স্বার্থরক্ষা করে এবং দু’পক্ষের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়।
কূটনৈতিক মহলে ভারতের এমন প্রচেষ্টায় বিভিন্ন দিকের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনে যে বিতর্ক শুরু হবে, সেখানে ওআইসি (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ) ভুক্ত বিভিন্ন দেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হতে পারে। এমনকি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও প্রস্তাব আসতে পারে। সেক্ষেত্রে ভারত সর্বশক্তি দিয়ে সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করবে।
নিরাপত্তা পরিষদে এ ধরনের কোনও প্রস্তাব যদি ওঠে, আর চীন তাতে ভেটো দেবে এটাও ভারতের একরকম জানাই আছে। কিন্তু ভারত মিয়ানমারকে একটা স্পষ্ট বার্তা দিতে চায় যে, রোহিঙ্গা প্রশ্নে তারা বরাবরের মতোই পুরোপুরি মিয়ানমারের পাশে আছে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ওআইসি দেশগুলো কতটা কঠোর অবস্থান নিতে চায়, সেটা আঁচ করতে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর ইতোমধ্যেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
এছাড়া, রোহিঙ্গা সংকটকে ঘিরে নরেন্দ্র মোদির নীরবতায় বাংলাদেশে যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি হয়েছে, সে বিষয়েও ভারত অবহিত। দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী দু’দিন আগেই এ ব্যাপারে তাদের (বাংলাদেশের) উদ্বেগের কথা ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্করকে জানিয়ে দিয়েছেন। এরপরই নতুন করে একটি বিবৃতিতে রাখাইন স্টেট থেকে শরণার্থীদের ঢল নামার বিষয়ে ভারত উদ্বেগ ব্যক্ত করে। কিন্তু ওই বিবৃতিতেও রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি ভারত।
এই পরিস্থিতিতে ভারত চাইছে, লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সামলানোর বিষয়ে বাংলাদেশ যাতে সব ধরনের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পায়, তা নিশ্চিত করা। এই সাহায্য শুধু আর্থিক সহায়তা বা ত্রাণসামগ্রী দিয়েই নয়, পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো যাতে কিছু কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়, ভারত সেই দাবিও তুলতে পারে।
দিল্লিতে সাউথ ব্লকের একটি সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, ‘সিরিয়া-ইরাকের শরণার্থীদের যদি ইউরোপের সব দেশ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে আশ্রয় দিতে পারে, এমনকি তারা কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রেও যেতে পারেন, তাহলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্ষেত্রেও তা করতে অসুবিধা কোথায়?’
অথচ, এক্ষেত্রে সমস্যা হলো, ভারত নিজেই ঘোষণা করেছে- এ দেশে বসবাসকারী চল্লিশ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে চায়। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু পার্লামেন্টের ভেতরে ও বাইরে জানিয়ে দিয়েছেন, এই রোহিঙ্গারা অবৈধ অভিবাসী। ফলে তাদের ভারতে থাকার কোনও অধিকার নেই।
তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারত সেই নীতি আপাতত স্থগিত রাখার কথা বিবেচনা করতে পারে।
অন্যদিকে, এ বছর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মোদি যাচ্ছেন না । তার পরিবর্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সুষমা স্বরাজের ব্যক্তিগত সমীকরণ অত্যন্ত মধুর। ভারত আশা করছে, স্বরাজ শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত আলোচনায় রোহিঙ্গা প্রশ্নে ভারতের বাধ্যবাধকতার দিকটি তাকে বোঝাতে পারবেন ।
তবে এই কূটনৈতিক ভারসাম্য বিধানের পরিকল্পনা করা যত সহজ, বিষয়টি বাস্তবে করে দেখানো যে তার চেয়ে অনেক কঠিন , ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তা বিলক্ষণ জানেন।
উল্লেখ্য, সংঘাতপূর্ণ রাখাইন থেকে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৭০ হাজার মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এরই মধ্যেই মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ এনে দেশটিতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
রাখাইনে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় নতুন করে আগুন দেয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। সোমবার দক্ষিণাঞ্চলীয় মংডুর কয়েকটি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের বরাতে রয়টার্স জানান। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বেসামরিক লোকজনকে হত্যার পাশাপাশি তাদের ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে বলে জানায় রোহিঙ্গারা।
মার্কিন যুক্তরাষ্টের হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারা হাকাবি জানান, রাখাইনে অব্যাহত সংঘাতের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। সেখানকার বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশটির সরকারের উচিত দ্রুত রাখাইন কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা উচিত।
এর মধ্যেই জোরালো হচ্ছে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির নোবেল প্রত্যাহারের দাবি। এই দাবিতে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ‘চেইঞ্জ ডট ওআরজি’ নামের একটি ওয়েবসাইটে পিটিশনে চার লাখের বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেছে।
তথ্যসূত্র : বাংলা ট্রিবিউন ও ইনডিপেনডেন্ট টিভি
During the forthcoming United Nations General Assembly meeting in New York scheduled for next week, India has started strong diplomatic efforts, behind the scenes, to prevent any International Sanctions Resolution against Myanmar. Besides, the country is also TRYING to help Bangladesh to handle the flow of Rohingya refugees.
A top-level source from the External Ministry of India stated that, the Rohingya crisis has put India in an unprecedented "diplomatic dilemma." Because of this crisis, Bangladesh and Myanmar have been in almost confrontational position. However, India's maintains strong bilateral relations with these two neighbors.
In this situation, India could maintain its role in the Rohingya question by maintaining her good relations with the two countries, which is what they are now i trying to finalize. In this case, India's goal is to make a acceptable formula that protects the interest of both the countries of Myanmar and Bangladesh and is agreable to both the States.
There is a glimpse of different aspects of India's efforts in diplomatic circles. During the debate at the UN General Assembly (UNGA) session beginning on September 19, numerous countries, including members of the OIC (Organization of Islamic Countries), could raise their voice and concern, against Myanmar's Rohingya repression. Even a proposal for international sanctions against Myanmar could be adopted. In this case, India will oppose the proposal, within her power.
If there is any such proposal put forth in the Security Council, China could veto the same, India also will state her position, on this issue. However, India wants to convey a clear message to Myanmar that the Indians are completely beside Myanmar on the Rohingya issue, as always. Indian Foreign Minister MJ Akbar has already been in touch with others, to realize how tough OIC countries position would be against Myanmar.
Besides, India also been informed about the intense anger and frustration that Narendra Modi's silence surrounding the Genocide or the Rohingya crisis. Bangladesh Ambassador to Delhi Syed Moazzem Ali told India's Foreign Secretary S. Jaishankar about the deep concern of Bangladesh (Bangladesh) about this was two days ago. Subsequently, in a fresh statement, India expressed her concern about the induction of refugees from the Rakhine State.However, in this statement, India has retained her ambiguity about the Genocide on Rohingyas and the crisis,itself
Under these prevailing circumstances, India wants to ensure that Bangladesh receives all types of International Cooperation in dealing with millions of Rohingya refugees. This assistance, is meant not only in terms of financial assistance or relief, but that the Western world should provide shelter to some of these Rohingya refugees, India could also place her demand for this.
According to the source in South Block in Delhi, "If all the European countries could provide limited shelter to the Syrian-Iraq refugees,and they were also eligible to seek refuge in Canada and the United States,in this case, for the Rohingya refugees why would it be difficult for to do so?"
However, the main problem lies in the fact, that India herself has declared that -India will deport more than forty thousand Rohingyas refugees, people living in india, and that they were to return back to Myanmar. Minister of State for Home Kiran Rijiju has said that both, within and outside the parliament that the Rohingyas are illegal immigrants. As a result, they have no right to stay in India.
However, in the changed circumstances, India may consider delaying the policy for the time being.
On the other hand, Modi is not going to this year's General Assembly session. Instead, Foreign Minister Sushma Swaraj will represent India. Sushma Swaraj's personal equation with Bangladesh Prime Minister Sheikh Hasina is very sweet. India is hoping to convince Swaraj of India's obligation on Rohingya issue in private negotiations with Sheikh Hasina.
It is as rather difficult in maintaining this delicate diplomatic balance, in reality, it is much more complex and harder ask,and the External Ministry officials are aware of these new challenges. India understands these very well.
It is to be noted that, during the conflict in Rakhine, 3,70,000 people have fled to Bangladesh, so far. Meanwhile, the White House has called for the establishment of the rule of law in the country by allegations of failing to protect civilians against the Myanmar government.
A video has been published in the Rakhine Rohingya area. On Monday, some houses in Maungdaw have been burned, Reuters told refugees fleeing refugees. Myanmar's army is burning civilians as well as killing their civilians, said Rohingya, according to Rohingya.
United States White House spokesman Sarah Hakabie said that the United States is deeply concerned about the continuing conflict in Rakhine. "We urge Myanmar security forces to show respect for the law". In addition to ensuring the safety of civilians there, the government should implement the recommendations of the Rakhine Commission quickly.
Meanwhile, demanding for withdrawal of Myanmar State Councilor Aung San Suu Kyi's Nobel, more than 400,000 people have signed a petition on this website, United States based 'Change.org ORG'.
References: The Bengali Tribune and Independent TV
http://www.newsofbd.net/newsdetail/detail/200/334815
Indian Hectic Diplomatic lobbying to stop imposition of Sanctions on Myanmar
13 Sep, 2017
নিউ ইয়র্কে আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যেকোনও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ঠেকানোর লক্ষ্যে পর্দার অন্তরালে জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে ভারত।পাশাপাশি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্রোত সামলাতে বাংলাদেশকে সাহায্য করার ব্যাপারেও এ তৎপরতা চালাচ্ছে দেশটি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, রোহিঙ্গা সংকট ভারতকে এক নজিরবিহীন ‘ডিপ্লোম্যাটিক ডিলেমা’র (কূটনৈতিক দ্বিধা) মধ্যে ফেলে দিয়েছে ।কারণ, এই সংকটকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার প্রায় মুখোমুখি অবস্থানে চলে এসেছে। অথচ এই দুই প্রতিবেশীর সঙ্গেই ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুব ভাল। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রেখে ভারত কিভাবে রোহিঙ্গা প্রশ্নে নিজেদের ভূমিকা রাখতে পারে, এখন তা চূড়ান্ত করার চেষ্টা চলছে। এ ক্ষেত্রে ভারতের লক্ষ্য হলো- এমন একটা ফর্মুলা প্রস্তাব করা, যা মিয়ানমার ও বাংলাদেশ উভয় দেশেরই স্বার্থরক্ষা করে এবং দু’পক্ষের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়।
কূটনৈতিক মহলে ভারতের এমন প্রচেষ্টায় বিভিন্ন দিকের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনে যে বিতর্ক শুরু হবে, সেখানে ওআইসি (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ) ভুক্ত বিভিন্ন দেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হতে পারে। এমনকি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও প্রস্তাব আসতে পারে। সেক্ষেত্রে ভারত সর্বশক্তি দিয়ে সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করবে।
নিরাপত্তা পরিষদে এ ধরনের কোনও প্রস্তাব যদি ওঠে, আর চীন তাতে ভেটো দেবে এটাও ভারতের একরকম জানাই আছে। কিন্তু ভারত মিয়ানমারকে একটা স্পষ্ট বার্তা দিতে চায় যে, রোহিঙ্গা প্রশ্নে তারা বরাবরের মতোই পুরোপুরি মিয়ানমারের পাশে আছে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ওআইসি দেশগুলো কতটা কঠোর অবস্থান নিতে চায়, সেটা আঁচ করতে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর ইতোমধ্যেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
এছাড়া, রোহিঙ্গা সংকটকে ঘিরে নরেন্দ্র মোদির নীরবতায় বাংলাদেশে যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি হয়েছে, সে বিষয়েও ভারত অবহিত। দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী দু’দিন আগেই এ ব্যাপারে তাদের (বাংলাদেশের) উদ্বেগের কথা ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্করকে জানিয়ে দিয়েছেন। এরপরই নতুন করে একটি বিবৃতিতে রাখাইন স্টেট থেকে শরণার্থীদের ঢল নামার বিষয়ে ভারত উদ্বেগ ব্যক্ত করে। কিন্তু ওই বিবৃতিতেও রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি ভারত।
এই পরিস্থিতিতে ভারত চাইছে, লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সামলানোর বিষয়ে বাংলাদেশ যাতে সব ধরনের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পায়, তা নিশ্চিত করা। এই সাহায্য শুধু আর্থিক সহায়তা বা ত্রাণসামগ্রী দিয়েই নয়, পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো যাতে কিছু কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়, ভারত সেই দাবিও তুলতে পারে।
দিল্লিতে সাউথ ব্লকের একটি সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, ‘সিরিয়া-ইরাকের শরণার্থীদের যদি ইউরোপের সব দেশ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে আশ্রয় দিতে পারে, এমনকি তারা কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রেও যেতে পারেন, তাহলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্ষেত্রেও তা করতে অসুবিধা কোথায়?’
অথচ, এক্ষেত্রে সমস্যা হলো, ভারত নিজেই ঘোষণা করেছে- এ দেশে বসবাসকারী চল্লিশ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে চায়। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু পার্লামেন্টের ভেতরে ও বাইরে জানিয়ে দিয়েছেন, এই রোহিঙ্গারা অবৈধ অভিবাসী। ফলে তাদের ভারতে থাকার কোনও অধিকার নেই।
তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারত সেই নীতি আপাতত স্থগিত রাখার কথা বিবেচনা করতে পারে।
অন্যদিকে, এ বছর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মোদি যাচ্ছেন না । তার পরিবর্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সুষমা স্বরাজের ব্যক্তিগত সমীকরণ অত্যন্ত মধুর। ভারত আশা করছে, স্বরাজ শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত আলোচনায় রোহিঙ্গা প্রশ্নে ভারতের বাধ্যবাধকতার দিকটি তাকে বোঝাতে পারবেন ।
তবে এই কূটনৈতিক ভারসাম্য বিধানের পরিকল্পনা করা যত সহজ, বিষয়টি বাস্তবে করে দেখানো যে তার চেয়ে অনেক কঠিন , ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তা বিলক্ষণ জানেন।
উল্লেখ্য, সংঘাতপূর্ণ রাখাইন থেকে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৭০ হাজার মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এরই মধ্যেই মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ এনে দেশটিতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
রাখাইনে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় নতুন করে আগুন দেয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। সোমবার দক্ষিণাঞ্চলীয় মংডুর কয়েকটি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের বরাতে রয়টার্স জানান। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বেসামরিক লোকজনকে হত্যার পাশাপাশি তাদের ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে বলে জানায় রোহিঙ্গারা।
মার্কিন যুক্তরাষ্টের হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারা হাকাবি জানান, রাখাইনে অব্যাহত সংঘাতের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। সেখানকার বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশটির সরকারের উচিত দ্রুত রাখাইন কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা উচিত।
এর মধ্যেই জোরালো হচ্ছে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির নোবেল প্রত্যাহারের দাবি। এই দাবিতে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ‘চেইঞ্জ ডট ওআরজি’ নামের একটি ওয়েবসাইটে পিটিশনে চার লাখের বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেছে।
তথ্যসূত্র : বাংলা ট্রিবিউন ও ইনডিপেনডেন্ট টিভি
During the forthcoming United Nations General Assembly meeting in New York scheduled for next week, India has started strong diplomatic efforts, behind the scenes, to prevent any International Sanctions Resolution against Myanmar. Besides, the country is also TRYING to help Bangladesh to handle the flow of Rohingya refugees.
A top-level source from the External Ministry of India stated that, the Rohingya crisis has put India in an unprecedented "diplomatic dilemma." Because of this crisis, Bangladesh and Myanmar have been in almost confrontational position. However, India's maintains strong bilateral relations with these two neighbors.
In this situation, India could maintain its role in the Rohingya question by maintaining her good relations with the two countries, which is what they are now i trying to finalize. In this case, India's goal is to make a acceptable formula that protects the interest of both the countries of Myanmar and Bangladesh and is agreable to both the States.
There is a glimpse of different aspects of India's efforts in diplomatic circles. During the debate at the UN General Assembly (UNGA) session beginning on September 19, numerous countries, including members of the OIC (Organization of Islamic Countries), could raise their voice and concern, against Myanmar's Rohingya repression. Even a proposal for international sanctions against Myanmar could be adopted. In this case, India will oppose the proposal, within her power.
If there is any such proposal put forth in the Security Council, China could veto the same, India also will state her position, on this issue. However, India wants to convey a clear message to Myanmar that the Indians are completely beside Myanmar on the Rohingya issue, as always. Indian Foreign Minister MJ Akbar has already been in touch with others, to realize how tough OIC countries position would be against Myanmar.
Besides, India also been informed about the intense anger and frustration that Narendra Modi's silence surrounding the Genocide or the Rohingya crisis. Bangladesh Ambassador to Delhi Syed Moazzem Ali told India's Foreign Secretary S. Jaishankar about the deep concern of Bangladesh (Bangladesh) about this was two days ago. Subsequently, in a fresh statement, India expressed her concern about the induction of refugees from the Rakhine State.However, in this statement, India has retained her ambiguity about the Genocide on Rohingyas and the crisis,itself
Under these prevailing circumstances, India wants to ensure that Bangladesh receives all types of International Cooperation in dealing with millions of Rohingya refugees. This assistance, is meant not only in terms of financial assistance or relief, but that the Western world should provide shelter to some of these Rohingya refugees, India could also place her demand for this.
According to the source in South Block in Delhi, "If all the European countries could provide limited shelter to the Syrian-Iraq refugees,and they were also eligible to seek refuge in Canada and the United States,in this case, for the Rohingya refugees why would it be difficult for to do so?"
However, the main problem lies in the fact, that India herself has declared that -India will deport more than forty thousand Rohingyas refugees, people living in india, and that they were to return back to Myanmar. Minister of State for Home Kiran Rijiju has said that both, within and outside the parliament that the Rohingyas are illegal immigrants. As a result, they have no right to stay in India.
However, in the changed circumstances, India may consider delaying the policy for the time being.
On the other hand, Modi is not going to this year's General Assembly session. Instead, Foreign Minister Sushma Swaraj will represent India. Sushma Swaraj's personal equation with Bangladesh Prime Minister Sheikh Hasina is very sweet. India is hoping to convince Swaraj of India's obligation on Rohingya issue in private negotiations with Sheikh Hasina.
It is as rather difficult in maintaining this delicate diplomatic balance, in reality, it is much more complex and harder ask,and the External Ministry officials are aware of these new challenges. India understands these very well.
It is to be noted that, during the conflict in Rakhine, 3,70,000 people have fled to Bangladesh, so far. Meanwhile, the White House has called for the establishment of the rule of law in the country by allegations of failing to protect civilians against the Myanmar government.
A video has been published in the Rakhine Rohingya area. On Monday, some houses in Maungdaw have been burned, Reuters told refugees fleeing refugees. Myanmar's army is burning civilians as well as killing their civilians, said Rohingya, according to Rohingya.
United States White House spokesman Sarah Hakabie said that the United States is deeply concerned about the continuing conflict in Rakhine. "We urge Myanmar security forces to show respect for the law". In addition to ensuring the safety of civilians there, the government should implement the recommendations of the Rakhine Commission quickly.
Meanwhile, demanding for withdrawal of Myanmar State Councilor Aung San Suu Kyi's Nobel, more than 400,000 people have signed a petition on this website, United States based 'Change.org ORG'.
References: The Bengali Tribune and Independent TV
http://www.newsofbd.net/newsdetail/detail/200/334815