No still here idiot. Obviously you lack any intelligence or ability so you just have to put down stupid remarks.
ভারতের গোলামির চেয়ে আজাদির লড়াই শ্রেয় : আফজাল-পত্নী
নয়া দিগন্ত অনলাইন - ১৩ জুলাই ২০১৬
ভারতের ‘গোলামি’ করতে চায় না কাশ্মীরের তরুণ প্রজন্ম! তাই পড়াশোনা করে ভারতের জন্য কাজ করার চেয়ে ‘আজাদ কাশ্মীরে’র জন্য লড়াইকেই তারা শ্রেয় মনে করছেন বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন আফজাল গুরুর স্ত্রী তাবাসসুম গুরুর।
হিজবুল মুজাহিদিন নেতা বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তাল কাশ্মীর। চলছে পুলিশের উপর আক্রমণ। এই বিক্ষোভে ‘অন্যায়’ দেখছেন না আফজল-পত্নী। মঙ্গলবার বারামুলার আজাদগঞ্জ থেকে ফোনে তিনি পশ্চিমবঙ্গভিত্তিক ‘এবেলা’কে বলেন, ‘‘বিক্ষোভকারীরা তো স্বাধীনতার লড়াই করছে। এরা কাশ্মীরকে আজাদ দেখতে চায়। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং সেনাকে এরা ঘৃণা করে।’’
তাই বুরহানের মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে পাক-প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভারত-নিন্দায় তাবাসসুম ‘তুষ্ট’। এমনকি, কথিত পাকিস্তানের মদতে সীমান্তে অনুপ্রবেশ এবং তাদের গুলিতে সাধারণ মানুষের প্রাণহানিকেও গুরুত্ব দিতে চান না তিনি।
আফজাল-পত্নীর সাফ কথা, যেখানেই মুসলিমরা ‘অত্যাচারিত’ হচ্ছেন, সেখানেই তাদের পাশে মুসলিম ভাইদের দাঁড়ানো উচিত। তাবাসসুমের কথায়, ‘‘এই উপত্যকায় ঈদ নেই। কবরখানায় জায়গা নেই। এমন কোনো বাড়ি নেই যেখানে একজনও শহিদ নেই।’’
কিন্তু জঙ্গিদের গুলিতে তো নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছেন! জবাব এড়িয়ে তাবাসসুম বলেন, ‘‘মুসলিমদের বাঁচাতেই তো পাশের দেশ থেকে তারা আসছেন।’’ তিনি বলে চলেন, কাশ্মীরের ‘হাকিকত’ অশান্তিই! উপত্যকার বাচ্চারাও জানে, কার্ফু জারি হবে, সেনা-পুলিশকে লক্ষ্য করে কিছু মানুষ ইট-পাটকেল ছুড়বে। গুলিতে পরিচিতের প্রাণ যাবে। এই বাস্তব দেখেই বড় হচ্ছে যে শিশু, তার কাছে স্বাধীনতার চেয়ে বড় আর কিছুই নেই বলে তার ধারণা।
কিন্তু এই অন্ধকার থেকে এই প্রজন্মকে বার করে আনার চেষ্টাও তো হচ্ছে। ভারত সরকার প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’টি করে আসন কাশ্মীরি পড়ুয়াদের জন্য সংরক্ষণ করছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও এদিনই উপত্যকার অভিভাবকদের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, ‘‘আমিও সন্তানের মা। আপনারাও। ছেলেদের সামলান।’’
কিন্তু এক কিশোর-পুত্রের মা তাবাসসুমের মতে, পড়াশোনা করে তো ভারত সরকারেরই ‘গোলামি’ করতে হবে! তার চেয়ে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখানোই শ্রেয়।
বিক্ষোভে তো ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান উঠছে। পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হলেই কি কাশ্মীরের ‘দুঃখকষ্ট’ ঘুচে যাবে? তাবাসসুমের উত্তর, ‘‘কাশ্মীর কোথায় যাবে, সেটা কাশ্মীরের মানুষই ঠিক করবেন। আজ হোক, দশ বছর পরে হোক বা ৫০ বছর পরে— কাশ্মীর স্বাধীন হোক, এটাই চাই।’’
উল্লেখ্য, ভারতীয় পার্লামেন্টে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর অভিযোগে আফজাল গুরুকে ফাসি দেয়া হয়েছে। তবে অরুন্ধতীসহ ভারতের মানবাধিকার এবং উদার গণতান্ত্রিক লোকজন বলছেন, আফজালকে অন্যায়ভাবে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। তার বিচারকাজ নিরপেক্ষভাবে হয়নি।