এমসি কলেজ হোস্টেলে আগুন : তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশে সিলেটের তিন মন্ত্রীর বিরোধ, আশকারা পেয়ে বেসামাল ছাত্রলীগ
সিলেট অফিস
সিলেটের শতবর্ষ প্রাচীন এমসি কলেজ ছাত্রাবাস পুড়ানোর ঘটনা রাজনৈতিক ছায়ায় ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। তিন মাসেরও বেশি সময় পার হলেও তিনটি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জনসম্মুখে আসেনি। সিলেটসহ গোটা দেশে এ ঘটনার বিচারের দাবি উঠলেও কোনো লাভ হয়নি। উল্টো অভিযুক্তরা দাপটের সঙ্গে স্ব-স্ব অবস্থানে বিরাজ করছে। সরকারের দায়িত্বশীলদের একাংশের কঠোর ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও অন্য অংশে রহস্যজনক নমনীয়তায় চাপা পড়ে যাচ্ছে ইস্যুটি। জড়িতদের রক্ষা করার জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে একটি চক্র। এতে সিলেটের সচেতন মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে দল মত নির্বিশেষে বিশাল জনসমর্থন এই ইস্যুর পেছনে থাকলেও স্থানীয় বিরোধী রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনগুলো তা সময়মত কাজে লাগাতে পারেনি নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে।
সূত্র জানায়, গত ৮ জুলাই ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষের জের ধরে ছাত্রাবাস পুড়ানোর পর ২৯ আগস্ট কলেজ খোলার প্রথমদিনই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন কলেজ কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটি। ২০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন অধ্যক্ষের কাছে জমা দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বহিরাগত ছাত্রলীগের মিছিল থেকে ছাত্রাবাসে আগুন দেয়া হয় বলে জানানো হয়। কিন্তু এত কিছুর পরও ছাত্রলীগকে বাঁচাতে দল ও প্রশাসনের ডিগবাজিতে তিনমাস চলে যায়। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ চক্রের ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠা ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ (যারা ছাত্রাবাস পুড়িয়েছে তারা একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে আসছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতিসহ নানা অপরাধ কর্মের সঙ্গে জড়িত এসব দুর্বৃত্তরা এখন বিশাল অর্থবিত্তের মালিক। ২০১০ সালে এ দুর্বৃত্তরা এমসি কলেজ সংলগ্ন সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেয়। এ অপকর্ম করার পর থেকে তাদের জামাই আদরে লালন পালন করা হচ্ছে। দুবছর থেকে সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেয়ার মতো জঘন্য অপকর্ম করার পরও দুর্বৃত্তদের সিলেট জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদ দেয়া হয়। এ দুর্বৃত্তরাই গত ৮ জুলাই সিলেট সরকারি এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের হিন্দু ব্লক ছাড়া বাকি ৫টি ব্লক আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার পর সিলেটের সর্বত্র প্রতিবাদের ঝড় উঠায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ছাত্রাবাসে আগুন দেয়ার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে এরই মধ্যে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে এ কমিটি। তবে, কমিটির প্রধান সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল আলম এরই মধ্যে বদলি হয়ে বরিশালের জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। আলাপকালে তিনি জানান, সিলেট ছাড়ার আগেই তিনি তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্টদের কাছে জমা দিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে, সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রাবাস পুড়ানোর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি স্থানান্তর করা হয়েছে। সিআইডি সিলেটের এএসপি রওশন আরা বেগমের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ২/৩ দিন আগে তারা মামলাটি পেয়েছেন। তবে এখনও মামলার ডকেট পাননি। ডকেটপ্রাপ্তির পর সিআইডির পরিদর্শক এনামুল হক দুটি মামলা তদন্ত করবেন বলে তিনি জানান।
এদিকে, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে নারকীয় ধ্বংসযঞ্জের সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তরা তাদের রাজনৈতিক গুরুদের কাজে লাগানোর পাশাপাশি মিডিয়ার সহায়তায় ঘটনার মোড় ঘুরাতে ব্যস্ত। এরই মধ্যে স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকৃত সত্যকে পাশ কাটিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে কিছু প্রতিবেদন; যাতে সুস্পষ্টভাবে এ ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্তদের রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী-শিক্ষামন্ত্রীর বিপরীতে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত : এমসি কলেজ ছাত্রাবাস পুড়ানোর ঘটনা নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের অভিমতের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি। মন্ত্রী পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ ওই দুই সদস্য এ ঘটনাকে জঘন্য হিসেবে বর্ণনা করলেও দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একে রাজনৈতিক স্যাবোটাজ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর পর পরিদর্শনের কয়েকদিন পর পুড়ে যাওয়া এমসি কলেজ ছাত্রাবাস পরিদর্শন করেন দফতরবিহীন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। পরিদর্শন শেষে এক প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি একটি রাজনৈতিক স্যাবোটাজ। এ ঘটনা জঙ্গিবাদ, উগ্র সাম্প্রদায়িক, বিদ্বেষমূলক ও প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির প্রতিক্রিয়া। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে শিবির ছাত্রলীগের মধ্যে ঘটনার সূত্রপাত হয়ে এত বড় ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে রাজনৈতিক ও আদর্শের লড়াই নিয়ে সংঘাতমূলক রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া বলে উল্লেখ করেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
একটি সূত্র জানায়, অর্থমন্ত্রী আবুল আবদুল মুহিত তদন্ত প্রতিবেদনে কোনরূপ সংযোজন-বিয়োজনের বিপক্ষে মত দিয়েছেন। একই অভিমত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও। কিন্তু, এ দুই মন্ত্রীর সেন্টিমেন্ট-এর বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিয়েছেন দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটিতে এমন কিছু ব্যক্তির নাম এসেছে যারা মন্ত্রী এবং মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতার খুবই কাছের লোক। সূত্র জানায়, সিলেটের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা এবং রিপোর্টটি সরকারি দলের অনুকূলে যেতে না পারে এমনকি আগামী জাতীয় নির্বাচনেও প্রভাব পড়তে পারে রিপোর্টের-এ কারণে এটি প্রকাশ করা হচ্ছে না।
???? ???? ???????? ???? : ????? ??????? ??????? ??????? ??? ???????? ?????, ?????? ???? ??????? ????????
সিলেট অফিস
সিলেটের শতবর্ষ প্রাচীন এমসি কলেজ ছাত্রাবাস পুড়ানোর ঘটনা রাজনৈতিক ছায়ায় ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। তিন মাসেরও বেশি সময় পার হলেও তিনটি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জনসম্মুখে আসেনি। সিলেটসহ গোটা দেশে এ ঘটনার বিচারের দাবি উঠলেও কোনো লাভ হয়নি। উল্টো অভিযুক্তরা দাপটের সঙ্গে স্ব-স্ব অবস্থানে বিরাজ করছে। সরকারের দায়িত্বশীলদের একাংশের কঠোর ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও অন্য অংশে রহস্যজনক নমনীয়তায় চাপা পড়ে যাচ্ছে ইস্যুটি। জড়িতদের রক্ষা করার জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে একটি চক্র। এতে সিলেটের সচেতন মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে দল মত নির্বিশেষে বিশাল জনসমর্থন এই ইস্যুর পেছনে থাকলেও স্থানীয় বিরোধী রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনগুলো তা সময়মত কাজে লাগাতে পারেনি নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে।
সূত্র জানায়, গত ৮ জুলাই ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষের জের ধরে ছাত্রাবাস পুড়ানোর পর ২৯ আগস্ট কলেজ খোলার প্রথমদিনই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন কলেজ কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটি। ২০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন অধ্যক্ষের কাছে জমা দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বহিরাগত ছাত্রলীগের মিছিল থেকে ছাত্রাবাসে আগুন দেয়া হয় বলে জানানো হয়। কিন্তু এত কিছুর পরও ছাত্রলীগকে বাঁচাতে দল ও প্রশাসনের ডিগবাজিতে তিনমাস চলে যায়। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ চক্রের ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠা ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ (যারা ছাত্রাবাস পুড়িয়েছে তারা একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে আসছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতিসহ নানা অপরাধ কর্মের সঙ্গে জড়িত এসব দুর্বৃত্তরা এখন বিশাল অর্থবিত্তের মালিক। ২০১০ সালে এ দুর্বৃত্তরা এমসি কলেজ সংলগ্ন সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেয়। এ অপকর্ম করার পর থেকে তাদের জামাই আদরে লালন পালন করা হচ্ছে। দুবছর থেকে সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেয়ার মতো জঘন্য অপকর্ম করার পরও দুর্বৃত্তদের সিলেট জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদ দেয়া হয়। এ দুর্বৃত্তরাই গত ৮ জুলাই সিলেট সরকারি এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের হিন্দু ব্লক ছাড়া বাকি ৫টি ব্লক আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার পর সিলেটের সর্বত্র প্রতিবাদের ঝড় উঠায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ছাত্রাবাসে আগুন দেয়ার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে এরই মধ্যে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে এ কমিটি। তবে, কমিটির প্রধান সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল আলম এরই মধ্যে বদলি হয়ে বরিশালের জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। আলাপকালে তিনি জানান, সিলেট ছাড়ার আগেই তিনি তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্টদের কাছে জমা দিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে, সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রাবাস পুড়ানোর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি স্থানান্তর করা হয়েছে। সিআইডি সিলেটের এএসপি রওশন আরা বেগমের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ২/৩ দিন আগে তারা মামলাটি পেয়েছেন। তবে এখনও মামলার ডকেট পাননি। ডকেটপ্রাপ্তির পর সিআইডির পরিদর্শক এনামুল হক দুটি মামলা তদন্ত করবেন বলে তিনি জানান।
এদিকে, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে নারকীয় ধ্বংসযঞ্জের সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তরা তাদের রাজনৈতিক গুরুদের কাজে লাগানোর পাশাপাশি মিডিয়ার সহায়তায় ঘটনার মোড় ঘুরাতে ব্যস্ত। এরই মধ্যে স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকৃত সত্যকে পাশ কাটিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে কিছু প্রতিবেদন; যাতে সুস্পষ্টভাবে এ ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্তদের রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী-শিক্ষামন্ত্রীর বিপরীতে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত : এমসি কলেজ ছাত্রাবাস পুড়ানোর ঘটনা নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের অভিমতের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি। মন্ত্রী পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ ওই দুই সদস্য এ ঘটনাকে জঘন্য হিসেবে বর্ণনা করলেও দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একে রাজনৈতিক স্যাবোটাজ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর পর পরিদর্শনের কয়েকদিন পর পুড়ে যাওয়া এমসি কলেজ ছাত্রাবাস পরিদর্শন করেন দফতরবিহীন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। পরিদর্শন শেষে এক প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি একটি রাজনৈতিক স্যাবোটাজ। এ ঘটনা জঙ্গিবাদ, উগ্র সাম্প্রদায়িক, বিদ্বেষমূলক ও প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির প্রতিক্রিয়া। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে শিবির ছাত্রলীগের মধ্যে ঘটনার সূত্রপাত হয়ে এত বড় ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে রাজনৈতিক ও আদর্শের লড়াই নিয়ে সংঘাতমূলক রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া বলে উল্লেখ করেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
একটি সূত্র জানায়, অর্থমন্ত্রী আবুল আবদুল মুহিত তদন্ত প্রতিবেদনে কোনরূপ সংযোজন-বিয়োজনের বিপক্ষে মত দিয়েছেন। একই অভিমত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও। কিন্তু, এ দুই মন্ত্রীর সেন্টিমেন্ট-এর বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিয়েছেন দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটিতে এমন কিছু ব্যক্তির নাম এসেছে যারা মন্ত্রী এবং মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতার খুবই কাছের লোক। সূত্র জানায়, সিলেটের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা এবং রিপোর্টটি সরকারি দলের অনুকূলে যেতে না পারে এমনকি আগামী জাতীয় নির্বাচনেও প্রভাব পড়তে পারে রিপোর্টের-এ কারণে এটি প্রকাশ করা হচ্ছে না।
???? ???? ???????? ???? : ????? ??????? ??????? ??????? ??? ???????? ?????, ?????? ???? ??????? ????????