What's new

Crisis of Bangladesh - After March For Democracy of Khaleda Zia

raihan_startech

FULL MEMBER

New Recruit

Joined
Jan 4, 2014
Messages
7
Reaction score
0
Country
Bangladesh
Location
Bangladesh
bangladesh-crisis.jpg

Crisis Bangladesh......After Declare the March For Democracy of Khaleda Zia ,many many Violence happen in Bangladesh, X Prime Minister Khaleda Zia are Blocked in own house by Police & 5 truck . None of Person , Foreigner does not meet Khaleda Zia , Perhaps Un till new govment will create , khaleda will blocked.

Bangladesh Army are not any comments or do of this situations . They are now work for nothing Position. They are silent. Tomorrow 5th January Election will held , but already maximum vote center are damaged by fire. BNP & Jamat not attend this election .

Tarique calls for poll boycott

Home > Politics > Tarique calls for poll boycott

Tarique calls for poll boycott
News Desk, bdnews24.com

Published: 2014-01-04 12:43:23.0 BdST Updated: 2014-01-04 13:14:48.0 BdST


  • Tarek.jpg


BNP chief Khaleda Zia's elder son Tarique Rahman has called for a boycott of the Jan 5 parliament polls in Bangladesh.

Tarek.jpg


He circulated his appeal through a video message posted on the website of a social media.

Tarique Rahman is BNP's Senior Vice Chairman and has been living in London since 2008.

He joined his mother in lambasting the government for trying to hold a 'farcical' election.

"The time has come for all of us to prevent and boycott the Jan 5 polls. Not for personal interest but for the sake of the country's existence," said Rahman.

He also said that the Leader of the Opposition and BNP chairperson have been put under house arrest, an allegation the government has denied persistently.

The allegation has surfaced since Khaleda failed to leave her Gulshan residence to attend a rally on Dec 29 as the police boxed her in.
 
cross posted:
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেয়া তারেক রহমানের পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য, নির্দেশনা ছাড়াই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ (ভিডিও ডানপাশে)


Saturday, 04 Jan 2014
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেয়া তারেক রহমানের পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য, নির্দেশনা ছাড়াই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ
Tarique Rahman's (Khaleda Zia's son) speech addressed to people of Bangladesh - without waiting for further instruction, please participate in the movement/uprising (to depose Hasina's illegal govt. and to stop this sham election)
2454.jpg


লন্ডন: দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন। লন্ডন সময় বিকেলে তিনি এই বার্তা রেকর্ড করেন। বাংলাদেশ সময় ভোরে এই ভিডিও বার্তাটি প্রথম প্রকাশ করা হয় নিউজ৫২.নেট তে। ভিডিও বার্তাটি রেকর্ড ও প্রচারের দায়িত্বে আছে যুক্তরাজ্য বিএনপি। বিএনপির এক সিনিয়র নেতা নিউজ৫২.নেট কে জানান, দেশ নিয়ে পার্শ্ববর্তি দেশের ষড়যন্ত্র ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। পুরো বিশ্ব একদিকে আর বাংলাদেশ পাশের একটি দেশ নিয়ে একলা চলো নীতিতে এগুচ্ছে। এমন এক সময় প্রবাসে থাকা বিএনপির এই নেতা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে এই ভিডিও বার্তাটি পাঠান।

নিউজ৫২.নেট’র লন্ডন অফিস জানায়,তারেক রহমান বর্তমান রাজনৈতিক গুমট অবস্থা, বিরোধীদলের নেতা কর্মীদের আইনশৃংখলা বাহিনী দিয়ে প্রকাশ্যে হত্যা,প্রধান বিরোধীদলের নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করা এবং নির্বাচন নামে আওয়ামী লীগের প্রতারণার খেলা বন্ধ সহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তারেক রহমানের বক্তব্যটি প্রকাশ করা হলো।

প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম।

আমাদের দেশ যখন আজ এক গভীর অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত, তখন 'আপনারা ভালো আছেন' এই প্রত্যাশা যেন নিছকই এক আনুষ্ঠানিকতা। মত প্রকাশে সরকারী হস্তক্ষেপ, হয়রানি, দমন-পীড়ন এবং জনমনে সর্বোপরি অশান্তি আজ এমন এক মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে যে, আমি আশংকা করি বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই হয়তো আজ আর আন্তরিকভাবে বলতে পারেন না যে - আমরা ভালো আছি।

প্রিয় দেশবাসী, নানান পালাবদল থাকলেও রাজনীতি হচ্ছে মৌলিক ভাবে মানুষ কেন্দ্রিক। আমি, আপনি, আপনারা - আমাদের সকলেরই রাজনৈতিক বিশ্বাস আছে। রাজনীতিতে আমরা হয়তো কেউ সরাসরি যুক্ত, বা কেউ কোন সংগঠন বা আদর্শকে সমর্থন করি। আমাদের সবারই নিজেদের মত করে রাজনৈতিক মতামত আছে। হতে পারে সেই মতামত গুলো ভিন্ন-ভিন্ন ও স্বতন্ত্র। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে আমাদের সবার মাঝে যে মিলটি রয়েছে, তা হচ্ছে - আমাদের চিন্তা ও চেতনায় রয়েছে এই দেশ, এই দেশের মানুষ। দেশের কল্যাণের উপায় নিয়ে আমাদের নিজেদের মাঝে ভিন্নমত থাকতেই পারে। কিন্তু দেশের অস্তিত্ব নিয়ে কোন ভিন্নমত থাকতে পারে না।

আজ অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি, চলমান রাজনীতিতে যেন দেশের এই অস্তিত্বকে ঘিরেই বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্বের যে সংজ্ঞা আমরা চিরকাল জেনেছি, ক্ষুদ্র একটি রাজনৈতিক জনসমষ্টি নিজেদের স্বার্থে আজ সেই সংজ্ঞাকে বদলে ফেলছে। প্রতিবেশি যে রাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্ক হতে পারে স্বাভাবিক, ভিত্তি হতে পারে পারষ্পরিক মঙ্গল ও সমঝোতা, সেই সম্পর্ককে ব্যাক্তিগত ও সংকীর্ণ স্বার্থে ব্যবহার করে সেই রাজনৈতিক জনসমষ্টি আজ জনমতকে বৃদ্ধাঙুলি দেখাচ্ছে। গণতন্ত্রের পালাবদলেই এক সময়ে আজকের এই জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়েছিল। ক্ষমতায় যাওয়ার সেই প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হলেও গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা সেই প্রক্রিয়াকে মেনে নিয়ে বিরোধী দলে গিয়েছিলাম। কিন্তু গত পাঁচ বছরে দেশের সম্পদের অভূতপূর্ব লুটপাট, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বর ন্যাক্কারজনক বিনাশ, আর রাজনৈতিক-বিরোধী ও সমালোচকদের নজিরবিহীন দমনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে, তাদের ক্ষমতা লাভের সেই প্রক্রিয়া প্রকৃতপক্ষেই কলংকজনক ছিল।

বাংলাদেশ জুড়ে আজ চলছে এক গভীর রাজনৈতিক সংকট। জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগের উপর বিক্ষুদ্ধ হয়ে আছে দেশের মানুষ। জনসমর্থন ও আত্মবিশ্বাস শূণ্যের কোঁটায় পৌছানো আওয়ামী লীগ সরকার গণমানুষের ইচ্ছাকে তাদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতা, রাজনৈতিক গুম-খুন, সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যা, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের গণহত্যা, আর দুর্নীতির স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সব অভিযোগের মুখে মানুষ প্রতিটি পদে-পদে এ সরকারের উপর অনাস্থার কথা জানিয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত স্থানীয় নির্বাচনগুলোয় প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও বিএনপি প্রার্থীদের ব্যাপক বিজয়ের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অবস্থান - দু’টোকেই দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

এর ফলে সৃষ্ট অচলাবস্থায় মানুষের মনে স্বাভাবিকভাবেই আজ কয়েকটি প্রশ্ন উঠে এসেছে। নির্বাচনকালীন যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিতে আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল, ৬ জন সাধারণ মানুষকে নিহত হতে হয়েছিল, সেই ব্যবস্থার প্রতি আজ তাদের কেন এত অনীহা? সেই ব্যবস্থা বিলুপ্ত করেই ক্ষান্ত না হয়ে কেন তারা একের পর এক গণহত্যা চালাচ্ছে; বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের গুম করছে; অকথ্য নির্যাতন-নিপীড়ন-গ্রেফতার চালাচ্ছে? পুরো দেশ যেন আজ একটি কারাগার, যেখানে জান-মালের নিরাপত্তা নেই; আছে কেবল ভীতি ও আতঙ্ক। নিরপেক্ষ নির্বাচনে অপমানজনক পরাজয় আর গণহত্যা-নৈরাজ্য-দুর্নীতি-অপশাসন সৃষ্টির দায়ে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর ভয় থেকেই কি শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের এই অবস্থান? দেশবাসীর চাওয়া-পাওয়া, তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, এসবের কি কোনই মূল্য নেই? আওয়ামী লীগ কি আবারও চূড়ান্তভাবে সেই বাকশালে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে; যেখানে ভিন্ন মত, ভিন্ন আদর্শ আর সমালোচনাকে রাষ্ট্রযন্ত্র দ্বারা হত্যা করা হত? বাকশালের পরিনতি সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিনত হওয়া এ দেশের জন্য, এ দেশের মানুষের জন্য, এমনকি আওয়ামী লীগের জন্যও তা ভালো ফল বয়ে আনেনি। আমাদের সবার রাজনীতি যেহেতু দেশের কল্যাণার্থেই হওয়া উচিত, তাই মানুষকে সাথে নিয়ে উজ্জ্বল সম্ভাবনার দিকে যাত্রা না করে কেন আমরা আবার সেই অরাজক অতীতে ফিরে যাব?

প্রিয় দেশবাসী
২০০৬ সালে সংবিধান অনুযায়ী বিচারপতি কে.এম. হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগ মেনে নেয়নি। অভিযোগ করা হয়েছিল যে বিচারপতি কে.এম. হাসান বিএনপিপন্থী। অথচ আজ যে শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হতে চাচ্ছেন, তিনি কেবল অনিরেপক্ষই নন, খোদ আওয়ামী লীগের প্রধান। কোন ভরসায়, কিসের ভিত্তিতে - বিএনপি বা অন্য যে কোনো দল শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবে? সংবিধান তো ঐশী বাণী নয় যে এটিকে পরিবর্তন করা যাবে না। দেশের প্রত্যেকটি মানুষের মত আমিও প্রশ্ন করতে চাই: সংবিধানের জন্য জনগণ, নাকি জনগণের জন্য সংবিধান? জনগনের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে এ পর্যন্ত ১৫ বার আমাদের সংবিধান সংশোধিত হয়েছে। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশের সংবিধানে যদি ৯৮ বার সংশোধন এসে থাকে, তাহলে জনগণের চাওয়া অনুযায়ী, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে, আমরা কেন ষোড়শ সংশোধনী করতে পারব না? নির্দলীয় সরকারের দাবি অসাংবিধানিক বলে সরকার এটিকে প্রত্যাখ্যান করছে। এটিই যদি তাদের যুক্তি হয়, তবে আমাদের সংবিধানের একটি সংশোধনও করা সম্ভব হত না। আমরা পড়ে থাকতাম সেই ১৯৭২ এর গণআকাংখা বিরোধী সংবিধানে। আওয়ামী লীগ যা বলছে, তা কোনো যুক্তির কথা নয়; বরং সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ আসনের আশির্বাদ নিয়ে দেশকে অভিশাপের দিকে ঠেলে দেওয়ার অপপ্রয়াস।

প্রিয় দেশবাসী
সরকার ১৮ দলীয় জোটসহ সকল বিরোধী দলকে বাইরে রেখে একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে। অথচ দেশে-বিদেশে নানা জরিপ, পর্যালোচনা ও গবেষণা থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ। বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় সরকার নির্বাচন, নৈমত্তিক নাগরিক অনুষ্ঠান, সংবিধান বিশেষজ্ঞদের আলোচনা, আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমের প্রতিবেদন, বহির্বিশ্বের কূটনীতিকদের ভাষ্য - সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে - সব দলের অংশগ্রহনের মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন এখন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এর উপরেই নির্ভর করছে আমাদের গণতন্ত্র চর্চার সর্ববৃহত অধিকারের তথা ভোট প্রদানের ভবিষ্যত।

অথচ এরই মাঝে সরকার পরিকল্পিত ভাবে একটি প্রহসনের নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। যেখানে অর্ধেকের বেশি আসনে ইতিমধ্যে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায়, কোনো প্রকার ভোট ছাড়াই, নির্বাচিত হয়ে গিয়েছেন ১৫০ জনেরও অধিক সরকার সমর্থিত প্রার্থী। বাকি যেসব আসন রয়েছে, সেখানেও নাম সর্বস্ব কিছু প্রার্থীতার কারণে জনগণ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন বলে গনমাধ্যমসমূহে প্রকাশ পেয়েছে। "জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস" - আমাদের সংবিধানের মূল ভিত্তি। আর সেই সংবিধানের দোহাই দিয়ে আওয়ামী লীগ আজ এমন একটি নির্বাচন করতে যাচ্ছে, যে নির্বাচনে একে তো কোন মানুষেরই ভোট দেওয়ার আগ্রহ নেই, উপরন্তু প্রার্থীহীনতার ফলে দেশের অর্ধেকেরও বেশি ভোটার চাইলেও ভোটাধিকার প্রয়োগ পারবেন না। ১৬ কোটি মানুষের এ দেশে আওয়ামী লীগকে মুক্তিকামী জনতা এমনভাবেই প্রত্যাখ্যান ও ধিক্কার জানালেন যে তারা শত চেষ্টা করেও একতরফা নির্বাচনে ৩০০টির এমনকি অর্ধেক আসনেও কোন প্রতিদ্বন্দ্বী দাঁড় করাতে পারল না। এ দেশের হতভাগ্য জনসাধারণকে ৫ বছর অন্তর ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে গণতন্ত্র অনুশীলনের একমাত্র সুযোগ থেকেও তারা বঞ্চিত করতে চাইছে। গণতন্ত্রের সহস্রাধিক বছরের ইতিহাসে, শতাধিক দেশের রাজনৈতিক পটভূমি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিশ্ব ইতিহাসে এমন প্রতারণামূলক নির্বাচন এর আগে কখনো ঘটেনি।

বাংলাদেশে আমরা যারা গণতন্ত্রের মূলনীতিতে বিশ্বাস করি, আজ সময় এসেছে আমাদের সবার এক হয়ে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিরোধ, প্রতিহত ও বর্জন করার। ব্যক্তি স্বার্থে নয়, দলীয় স্বার্থে নয়; এটি করতে হবে দেশের স্বার্থে, দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে, দেশের অস্তিত্বের স্বার্থে। শেখ হাসিনা বলেছিলেন যে তিনি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীত্ব নয়, শান্তি চান। আর সেই শান্তির পূর্বশর্ত দেশের মানুষের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে পাতানো নির্বাচনের খেলা বন্ধ করা। আমি আহবান জানাবো, আসুন, আমরা সূচনা করি আগামীর নতুন বাংলাদেশের। স্বভাবতই, বিশ্বের একটি উদীয়মান অর্থনীতি হিসেবে সম্ভাবনাময় ও সমৃদ্ধ আগামীতে পৌছানোর পূর্বশর্ত একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থা। যেখানে মানুষের অংশগ্রহণ থাকবে, গণতন্ত্রের সুষ্ঠু চর্চা থাকবে। বাংলাদেশের গত ৪২ বছরের ইতিহাসে প্রমাণ রয়েছে যে এ ভূখন্ডের মানুষ প্রকৃতপক্ষে শান্তিপ্রিয় এবং গণতন্ত্রমনা।

প্রিয় দেশবাসী, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তা উপলব্ধি করেছিলেন বলেই রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর গণতন্ত্র, উন্নয়ন, বহু মত ও পথের পরিবর্তে যখন একদলীয় বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল, তখন তিনি দেশে বহুদলীয় রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীতে আবারও স্বৈরাচার মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠলে বর্তমানে কার্যত গৃহবন্দী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমরা গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছি। দেশের জনগণ সেই গণতন্ত্রকে স্বাগত জানিয়েছে এবং দশকের পর দশক ধরে তা লালিত হচ্ছে প্রবল আবেগ ও অনুভুতির সংমিশ্রণে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় ঐক্যজোট দেশব্যাপী আন্দোলন করছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের। দেশবাসীকে সাথে নিয়ে গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে আমাদের যে আন্দোলন, তাতে অনেক নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। তাদের উৎসর্গের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য হলেও আমাদেরকে ঘরে-ঘরে, গ্রামে-গ্রামে, শহরে-শহরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আন্দোলনে শহীদ সকল ব্যক্তির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাদের পরিবার সমূহের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। কথা দিচ্ছি, তাদের আতœত্যাগকে আমরা বৃথা যেতে দেব না। ইনশাআল্লাহ, এ দেশে আবারো আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনব; নিশ্চিত করব উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি; বয়ে আনব আর্থিক ও সামাজিক অগ্রগতি।

আমি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা আমাদেরই মত দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করছেন। দেশের মানুষের মতামত ও তাদের বক্তব্য উপলব্ধি করা আপনাদের রাজনৈতিক স্বার্থেই একটি অবশ্যকরণীয়। ভেবে দেখুন, দেশের সার্বভৌমত্বকে বিসর্জন দিয়ে, পদে-পদে আমাদের প্রাণপ্রিয় ইসলাম ও ধর্মীয় সম্প্রীতিকে রক্তাক্ত করে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মত গণদাবীকে ধূলিস্যাৎ করে, এমন লজ্জাজনক নির্বাচন কি একটি তথাকথিত গণতান্ত্রিক দলকে মানায়? এই নির্বাচন দিয়ে মানুষের ঘৃণা-অভিশাপ ছাড়া আপনাদের আর কী অর্জন হবে? স্বাধীনতার স্বপক্ষের দাবীদার হিসেবে বর্তমান পরিস্থিতি -যেখানে আপনাদের সরকারের স্থায়ীত্ম নির্ভর করে অন্য এক রাষ্ট্রের নীতির উপর, যেখানে সরকার দেশবাসীর উপর পরাধীনতার শৃংখল চাপিয়ে দেয় - সেই রাজনীতি আপনারা কী করে মেনে নেন? এ কেমন রাজনৈতিক সমর্থন যা দেশের গভীর সংকটেও দলীয় আনুগত্যকে জাতীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে স্থান দিয়ে দেশের মানুষের উপর নৃশংসতা চালায়? ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে এর পরিণাম শুভ হয় না।

পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও প্রশাসন সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের মনে রাখতে হবে যে আপনারা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্মী। দেশের পরিস্থিতি, বা সরকারে থাকা দলের উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা যাই হোক, আপনারা দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যেতে পারেন না। আপনাদের চালক আপনাদের বিবেক, আর আপনাদের চাকুরিদাতা এই দেশের খেটে খাওয়া মানুষ - যাদের কষ্টার্জিত অর্থে আপনাদের সংস্থান হয়। এই মানুষদের উপর জুলুম-নির্যাতনে আপনাদের অনেকেরই অংশগ্রহণ রয়েছে। আপনাদের পরিবার-পরিজনরাই তা মেনে নিতে পারছেন না, আমি নিশ্চিত । রাজনৈতিক অচলাবস্থার শীঘ্রই নিরসন হবে। আজ যারা গণবিরোধী কাজ করতে আপনাদের প্রণোদনা দিচ্ছে, গণমানুষের চাপে যখন তাদের অবশ্যম্ভাবী পতন ঘটবে, তখন জনতার কাঠগড়ায় সেই সব অপরাধীদের পাশাপাশি যদি আপনাদেরও দাঁড়াতে হয়, তবে তা হবে অত্যন্ত লজ্জার ও কলংকের।

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যে পরিমাণ সেনা কর্মকর্তা আমরা হারাইনি, তার চেয়ে বেশি সংখ্যক সেনা কর্মকর্তাকে তাদের পরিবার পরিজনসহ হত্যা, নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করা হল আমাদের রাজধানীরই বুকে। জাতিসংঘের শাস্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ অবদান রাখা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের ভেতরে যেভাবে আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য প্রণোদিত অশান্তি ও রক্তপাতের শিকার হয়েছে, তা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ। এত প্রতিষ্ঠানের মাঝে বিডিআর আর সেনা বাহিনীকেই কেন আওয়ামী লীগের প্রথম ও প্রচন্ড ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হল, স্বাধীনতাকামী-সার্বভৌমত্বকামী বাংলাদেশিদের কাছে তা সহজে বোধগম্য।

কৃষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, পেশাজীবি, শিক্ষার্থী, শ্রমিক, গৃহিণী তথা সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের প্রতি আহবান জানিয়ে বলছি, দেশের রাজনীতিতে আজকের দু'টি পক্ষ বিএনপি বনাম আওয়ামী লীগ নয়, ১৮ দল বনাম মহাজোট নয়। দু'টি পক্ষ আজ গণতন্ত্র বনাম স্বৈরতন্ত্র, বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি বনাম অন্য দেশের পক্ষের শক্তি, গণমানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা বনাম ব্যাক্তি বিশেষের ক্ষমতার অভিলাষ। আমি বিশ্বাস করি, আপনারা প্রত্যেকে একেকজন রাজনীতি সচেতন নাগরিক। দেশকে নিয়ে আপনাদের চিন্তা-চেতনা আমাদের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। পরিস্থিতির বিচারে আজ কোন পক্ষটি আপনাদের অবলম্বন করা উচিত, তা আপনাদেরই সিদ্ধান্ত। যে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না বলে আপনারা সবাই বিশ্বাস করেন, সেই ব্যবস্থার পক্ষেই আমাদের এত সংগ্রাম। তাই এই সংগ্রাম আমাদের একার নয়, এটি আপনাদেরও সংগ্রাম। আমরা সবাই মিলে এই প্রহসনের নির্বাচন আর এই স্বৈরাচারী সরকারকে বয়কট ও প্রতিরোধ করব কিনা, তার উপর নির্ভর করছে স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব।

বিএনপি ও ১৮ দলের সর্বস্তরের নেতা, কর্মী ও সমর্থকের উদ্দেশ্যে বলছি - ইতিহাস ও রাজনীতির পালাবদল আমাদেরকে আজ এক অন্যরকম অবস্থানে নিয়ে এসেছে। সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী থেকে আজ আমরা পরিণত হয়েছি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সেনানীতে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার "দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও" শ্লোগানের মর্মার্থ আজ দেশবাসী পদে-পদে অনুভব করছে। উজ্জ্বল প্রভাতের পূর্বে রাত যেমন গভীর ও অন্ধকার হয়, তেমনি আমাদের উপর নেমে এসেছে অন্য দেশের তাবেদারীতে নিমজ্জিত জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগের গুম, খুন, হামলা, মামলা ও নির্যাতনের স্টীমরোলার। আজ আমাদের লড়াই কোন সাধারণ রাজনৈতিক কর্মকান্ড নয়। আজ আমাদের লড়াই একটি বন্দী জাতির মুক্তির জন্য এক অশুভ আশীর্বাদপুষ্ট স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে। সেই অশুভ তৎপরতাই একদিন আমাকে আপনাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে অনেক দূরে নিয়ে গিয়েছিল। আজও শারীরিক অসুস্থতার জন্য আমি সশরীরে আপনাদের মাঝে উপস্থিত নেই। তবে আমি প্রতিটি মুহুর্তে নিজেকে আপনাদের মাঝেই অনুভব করি। আপনাদের উপর আসা আঘাত, আপনাদের ত্যাগ, আপনাদের সংগ্রাম আমাকে সর্বদা আচ্ছন্ন করে রাখে। আপনাদের প্রতি আমি আহবান জানাই, এখন সর্বশক্তি দিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার সময়। আর নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা নয়। এখন থেকে লক্ষ্য একটাই - সকল ক্ষুদ্র বিভাজন ভুলে স্বৈরাচারী সরকার আর তার প্রহসনের নির্বাচনকে যেকোন মূল্যে প্রতিহত করতে হবে। আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী আর অন্ধ সমর্থক ছাড়া প্রতিটি বাংলাদেশি নারী ও পুরুষ আমাদের সাথে রয়েছেন। কেউ সশরীরে আছেন; আর বাকিদের সমর্থন, প্রেরণা ও দোয়া আমাদের সাথে আছে। দেশের মানুষ রাজনৈতিক সংকট থেকে মুক্তির কামনায় চেয়ে আছেন বিএনপির দিকে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের দিকে। এত জনসমর্থিত একটি আন্দোলনের সাফল্য ইনশাল্লাহ অনিবার্য। প্রয়োজন শুধু এই সংগ্রামকে - যা চলে আসছে আমাদের বিপুল ত্যাগ-তীতিক্ষা, বহু সহযোদ্ধা ও নিরপরাধ সাধারণ মানুষের প্রাণের মূল্যে - সেই সংগ্রামকে, এই দেশ ও জাতির স্বার্থে যেকোন মূল্যে অব্যাহত রাখা।

প্রিয় দেশবাসী
বাংলাদেশের রাজনীতি ও রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আজ সময়ের অন্যতম দাবী। সেই পরিবর্তনের মূল ভিত্তি হবে রাজনীতিতে জাতীয় ঐক্য ও আপনাদের নতুনধারার অংশগ্রহণ। আসুন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আজকের আন্দোলনকে সফল করে আমরা পরিবর্তনের সেই রাজনীতির পথকে প্রশস্ত করি।

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জিন্দাবাদ।
আল্লাহ হাফেজ।


খালেদা জিয়াকে তারেকের পরামর্শ

Friday, 03 Jan 2014
খালেদা জিয়াকে তারেকের পরামর্শ
Tarique's advice to Khaleda Zia
2447.jpg

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাম্প্রতিক ভূমিকায় প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। যেসব নেতা সরকারের সাথে আঁতাত করে সমঝোতার নাটক সাজিয়ে চলমান আন্দোলনের বুকে ছুরি মেরেছে তাদের ব্যাপারে এখনই সতর্ক হওয়ার জন্য তিনি দলের চেয়ারপারসন ও তার মা বেগম খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিয়েছেন। একই সাথে দলের ঢাকা মহানগর কমিটি, ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দলসহ অন্যান্য অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কমিটি দ্রুত পুনর্গঠনের কথাও বলেছেন।

দলের নেতাদের কার্মকান্ডের সার্বক্ষণিক তদারকির জন্যও তিনি গোপন কমিটি গঠন করেছেন। দেশে এবং দেশের বাইরে তার এই কমিটি কাজ শুরু করছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি তারেক রহমানের ক্ষোভের বিষয়টি সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত শমসের মবিন চৌধুরীর সাথে টেলিসংলাপে বেরিয়ে এসেছে।

তারেক রহমান মনে করেন, চলমান আন্দোলনকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সারাদেশে ব্যাপক চাঙ্গা করে তুললেও রাজধানীতে আন্দোলন গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় নেতারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে সব নেতাই আত্মগোপনে আছেন। দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের এভাবে আত্মগোপনে থাকা এবং গোপন স্থানে থেকে মিডিয়াতে ভিডিও বার্তা প্রেরণ কতটা হতাশার ও লজ্জাজনক তা বিএনপির আগামী দিনের কান্ডারি তারেক রহমান সুদূর প্রবাসে বসে মর্মে-মর্মে উপলব্ধি করছেন। অনেক নেতার কর্মকান্ডের বিএনপিকে আজ একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। দূর থেকে তিনি প্রতিনিয়ত সব বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে দলের অনেক নেতার প্রতি প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

সরকারের সাথে তলে তলে আঁতাত করে সমঝোতার নাটকের মাধ্যমে করা আন্দোলনের বুকে ছুঁরি মেরেছেন সে সব তথ্য এখন তারেক রহমানের হাতে। আন্দোলন থেকে দূরে থাকার জন্য অনেক নেতাই আজ তাদের বউ-বাচ্চা নিয়ে লন্ডন, আমেরিকা, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

দলীয় সূত্র জানায় তারেক রহমান বিদেশে বসে এসব নেতাদের বিষয়ে তার নিজস্ব স্পেশাল টিমের মাধ্যমে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। দেশের নেতারাও কে কি করছেন তিনি সর্বক্ষণ তারও খোঁজ রাখছেন। আগামী দিনে নেতাদের কর্মকান্ডের ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হবে। যারা আন্দোলন-সংগ্রামের সময় পালিয়ে বেড়াবেন পড়ে এসে দলের বড় পদ আগলে থাকবেন, মন্ত্রী হবেন এমপি হবেন এটা আর হবে না। দলের আন্দোলন-সংগ্রামে এখন যারা মাঠে আছেন তাদেরই মূল্যায়ন করা হবে।

বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা ৩৮৬ জন। এরমধ্যে চলমান আন্দোলনে গ্রেফতার হয়েছেন মাত্র ২২ জন। স্থায়ী কমিটির সদস্য ১৯ জন এর মধ্যে গ্রেফতার ৪ জন, অসুস্থ ২ জন। ভাইস চেয়ারম্যান ১৭ জন গ্রেফতার হয়েছেন ২ জন। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ৩৫ জন এর মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন ২ জন। দলের যুগ্ম মহাসচিব ৭ জন, গ্রেফতার হয়েছেন ২ জন।

সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক ৭ জনের মধ্যে এম. ইলিয়াস আলী গুম হয়েছেন এবং অন্য একজন গ্রেফতার হয়েছেন। সারাদেশে যখন সাধারণ কর্মীরা জীবনবাজি রেখে আন্দোলন করছেন, পুলিশের গুলিতে জীবন দিচ্ছেন সেখানে কেন্দ্রীয় নেতাদের এভাবে পালিয়ে থাকাটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তারেক রহমান।

দলীয় সূত্র মতে, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও গাজীপুরের মেয়র অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, দলের যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকতউল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরব, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ কাইয়ূম, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান এদের প্রত্যেকের কর্মকান্ডে তারেক রহমান দলের চেয়ারপারসন ও তার মা বেগম খালেদা জিয়ার কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সেই সাথে দলের ঢাকা মহানগর কমিটি, ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দলসহ অন্যান্য অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কমিটি দ্রুত পুনর্গঠনেরও পরামর্শ দিয়েছেন।
 
Last edited:
‘Polls will lead to civil war’

The BNP has warned that the country will face a civil war if the government holds the Jan 5 ‘one-sided’ elections.


Party Vice Chairman Osman Faruk issued the warning at a press conference held at his residence in the capital on Thursday, the second day of Opposition-enforced non-stop blockade.

He urged the government to ‘shun the path of staging one-sided’ elections.

Faruk convened the press conference at his Gulshan residence ‘as the party headquarters and Chairperson’s office are out of bounds’.

He said: “The people don’t have any interest in this farcical election. The international community has already expressed their lack of interest. Even then the Prime Minister is not relenting from her stubbornness. ”


The BNP leader said the ‘voter-less’ polls are pushing the country into a civil war.

“I would like to tell the Prime Minister that time is not over. Stop the Jan 5 polls and take measures to hold a fair election participated by all political parties.”

The BNP-led 18-Party Alliance is enforcing the non-stop blockade from Jan 1 to foil the polls.

20133710278305734_20.jpg
 
ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন

‘স্বৈরাচারের’ কলঙ্ক নিয়ে বিদায় নিচ্ছেন শেখ হাসিনা

বিশ্বখ্যাত বৃটিশ সাময়িকী ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ জানুয়ারির ‘প্রহসনের’ নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনা হয়তো বছর খানেক ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। এরপর ‘স্বৈরাচারের’ কলঙ্ক নিয়ে তাকে বিদায় নিতে হবে।

শুক্রবার ‘ইলেকটোরাল ফার্স ইন বাংলাদেশ, দ্য মাইনাস-ওয়ান সলিউশন (বাংলাদেশে নির্বাচনী প্রহসন, একজনের বিদায়ে সমাধান)’ শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব মন্তব্য করা হয়।

প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলো;
ঢাকার গুলশানে কূটনৈতিক এলাকার ৭৯নং রোড। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের হাল দেখার জন্য এখন এটা একটা ভালো জায়গা। এখানে একটি বাসার দুদিক আটকে রাখা হয়েছে ৫টি বালুভর্তি ট্রাক দিয়ে। রয়েছে অসংখ্য পুলিশের অবস্থান। বাসার অপর দিকটি রাশিয়ান দূতাবাসের উঁচু দেয়াল। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া গৃহবন্দি অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। তার সঙ্গে দেখা করতে আসা সমর্থকদের হয় গ্রেপ্তার করা হয়েছে অথবা আটক রাখা হয়েছে বা ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরেক দফা শপথ গ্রহণের আগ পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রাখার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আসন্ন সাধারণ নির্বাচন শুধুই নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। ৫ জানুয়ারি এ নির্বাচন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। কিন্তু এর ফলাফল কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই সবার জানা। খালেদা জিয়ার বিএনপি এবং তাদের অপর ১৭টি জোটভুক্ত দল নির্বাচন বর্জন করছে। আর নির্বাচন বর্জনে সুর মেলানোর জন্য সরকার জাতীয় পার্টির প্রধান এবং সাবেক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মাদ এরশাদকে হাসপাতালে আটক করে রেখেছে।

অন্যদিকে দেশের বৃহত্তম ইসলামপন্থি দল জামায়াতে ইসলামীকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ, তাদের গঠনতন্ত্র দেশটির সেক্যুলার সংবিধানের পরিপন্থি।

সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না। ৯ কোটি ২০ লাখ ভোটারের মধ্যে ৪ কোটি ৮৩ লাখ (প্রায় ৫৩ শতাংশ) ভোটারই ভোট দিতে পারবেন না। ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে নির্বাচন হবে মাত্র দুটি আসনে। যারা ভোট দিতে পারছেন তারাও হয় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী এবং অথবা তাদের সমর্থনপুষ্ট প্রার্থীদের মধ্যে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে পারবেন।

খালেদা জিয়া ২৯ ডিসেম্বর গণসমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন। ঢাকায় প্রবেশপথগুলো বন্ধ করে আর এক হাজারেরও বেশি বিরোধীদলীয় সমর্থক-কর্মীকে আটক করে পুলিশ তা বানচাল করে দেয়। কর্মসূচির দিন যেখানে সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল, বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে সংবাদকর্মীরা শুধু সতীর্থ সংবাদকর্মীদের ক্যামেরাবন্দি করার সুযোগ পেয়েছেন।

শহরের অন্যত্র বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা সুপ্রিমকোর্টের প্রধান ফটকের ভেতরে প্রতিবাদ করতে সমবেত হন যেখানে পুলিশ জলকামান আর সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরে লাঠিসোটা হাতে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা গেট ভেদ করে সুপ্রিমকোর্টের ভেতরে প্রবেশ করে বিরোধী সমর্থক আইনজীবীদের তাড়া করে এবং মারধর করে। নীরব দর্শকের মতো পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে।

লাঠিয়াল কর্মীরা রাস্তায় নেমে পড়ে বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে সামনা-সামনি টক্কর দেয়ার জন্য। কিন্তু কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সব মিলিয়ে ওইদিনের সহিংসতায় মারা গেছেন ২ জন।

২০১১ সালে আওয়ামী লীগ সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। অথচ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৯৯৬-এর ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বর্জন করেছিল আওয়ামী লীগ। এরপরই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা প্রণয়ন করা হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা দূর করে ২০১৪ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠান করাটা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কার্যকর হলেও সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৫ জনের মধ্যে ৪ জন বাংলাদেশি (প্রায় ৮০ শতাংশ) তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের বিপক্ষে।

এখন বিএনপির অবস্থা একেবারেই এলোমেলো। শেখ হাসিনা আর আওয়ামী লীগ তাদের নিজেদের পতন নিজেরাই ডেকে নিয়ে আনবে। তার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছু করণীয় নেই তাদের। গত কয়েক মাসে বিএনপি তাদের অবরোধ কর্মসূচি জোরদার করে। সপ্তাহে মাত্র একদিন বাদ রেখে বাকি সবদিন অবরোধ পালন করেছে তারা। তাদের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও সহিংসতা চালাচ্ছে। চলতি বছর রাজনৈতিক সহিংসতায় মারা গেছেন ৫ শতাধিক মানুষ। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এমন সহিংসতা আর হয়নি।

আওয়ামী লীগ বিএনপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেও এবার নির্বাচনী হলফনামায় দেখা যাচ্ছে যে, ২০০৮ সালের পর শেখ হাসিনার একজন ভাতিজার সম্পদ বেড়েছে ৩৩০ গুণ। নির্বাচন কমিশনকে ওই তথ্য প্রকাশ বন্ধে রাজি করাতে না পেরে শেখ হাসিনা তার আত্মীয় কারা তা জনসমক্ষে বলতে বাধ্য হন। এতে তার লোভী ভাজিতা ও চাচাতো ভাইদের আত্মীয়ের তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে।

ধারণা করছেন একচ্ছত্র শাসক (একনায়ক) হিসেবে শেখ হাসিনা এক বছরের বেশি টিকতে পারবেন না। তারই একজন উপদেষ্টার মতে, নতুন সরকার হবে স্বল্পমেয়াদী। একই সঙ্গে তিনি এও যোগ করেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া সরকারের অন্য কোনো উপায় নেই।

ঢাকায় এখন বিতর্ক চলছে কে হাসিনার পতন ঘটাবে। এটা হতে পারে অর্থনৈতিক অচলাবস্থা অথবা বিদ্রোহী সেনাবাহিনীর মাধ্যমে। অর্থনৈতিক অচলাবস্থার কারণে পতনে সময় লাগবে। অন্যদিকে সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক রক্ষা করছে এমন একজন কর্মকর্তা বলেন, সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা কম। সেনাবাহিনী ২০০৭ সালের মতো করে আর মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়ন করতে চায় না।

একজন সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা স্বীকার করেন, যখন হাসিনার পতন হবে তখন নির্বাচনে জিতবে বিএনপি। কিন্তু এর ফলে শেখ হাসিনার শাসনকাল স্বৈরাচারী শাসনকাল হিসেবে কলঙ্কিত হয়ে থাকবে।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, খালেদা জিয়া যেমন তার ছেলে তারেক রহমানকে উত্তরসূরি নির্বাচিত করেছেন, শেখ হাসিনা তাও করেননি।

আগামী ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার জন্য খালেদা জিয়াকে হয়তো বছর খানেকের মতো সময় অপেক্ষা করতে হবে। তবে ক্ষমতায় গিয়ে শেখ হাসিনার নিজ জেলা গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তনের হুমকি দিলেও খালেদা জিয়া জানেন যে, এখন যে (বালুর ) ট্রাক দিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, এক সময় সেই ট্রাকই হয়তো তার পারিবারিক শাসনকে রক্ষা করবে।
Sheikh_Hasina_Wajid.jpg
 
View attachment 12972

Crisis Bangladesh......After Declare the March For Democracy of Khaleda Zia ,many many Violence happen in Bangladesh, X Prime Minister Khaleda Zia are Blocked in own house by Police & 5 truck . None of Person , Foreigner does not meet Khaleda Zia , Perhaps Un till new govment will create , khaleda will blocked.

Bangladesh Army are not any comments or do of this situations . They are now work for nothing Position. They are silent. Tomorrow 5th January Election will held , but already maximum vote center are damaged by fire. BNP & Jamat not attend this election .

Tarique calls for poll boycott

Home > Politics > Tarique calls for poll boycott

Tarique calls for poll boycott
News Desk, bdnews24.com

Published: 2014-01-04 12:43:23.0 BdST Updated: 2014-01-04 13:14:48.0 BdST


  • Tarek.jpg

BNP chief Khaleda Zia's elder son Tarique Rahman has called for a boycott of the Jan 5 parliament polls in Bangladesh.

View attachment 12973

He circulated his appeal through a video message posted on the website of a social media.

Tarique Rahman is BNP's Senior Vice Chairman and has been living in London since 2008.

He joined his mother in lambasting the government for trying to hold a 'farcical' election.

"The time has come for all of us to prevent and boycott the Jan 5 polls. Not for personal interest but for the sake of the country's existence," said Rahman.

He also said that the Leader of the Opposition and BNP chairperson have been put under house arrest, an allegation the government has denied persistently.

The allegation has surfaced since Khaleda failed to leave her Gulshan residence to attend a rally on Dec 29 as the police boxed her in.


seems like that bitch hasina has gone mad with power.
hope stability and justice comes to bangladesh
 
Return of the Basket Case

Return of the Basket Case
On the eve of a fundamentally flawed election, Bangladesh teeters on the edge of the precipice.
bangladesh.jpg


Bangladesh rarely registers in the minds of most Americans, but U.S. policymakers would be well advised to devote some urgent attention to the country. As things stand now, general elections scheduled for Jan. 5 look virtually guaranteed to leave a trail of bitter division, wide-scale violence, and chaos in their wake. That's a surefire recipe for disaster -- especially in the world's third most populous Muslim-majority nation.

Born of civil war in 1971, Bangladesh's early history was plagued by cycles of political violence and heavy-handed military intervention. Secretary of State Henry Kissinger once derisively labeled it the "basket case" of South Asia. But while chronic instability continues to plague other poor countries, Bangladesh over the past 25 years has made remarkable progress in establishing civil government and democratic norms. One of the keys to its success was the creation of an institution known as the poll-time caretaker government -- a neutral cabinet of technocrats seated 90 days before national elections with the sole purpose of ensuring a free and fair ballot. Under this system, Bangladesh witnessed multiple democratic transitions over two decades, while turning itself into a center of low-cost global manufacturing where living standards have steadily risen, infant mortality has fallen, and the status of women has improved dramatically.

Now, however, that progress has been put at great peril.

Kissinger's basket case looks set to return.
Washington, the European Union, the United Nations, even China -- which almost never takes a position on the internal politics of other states.

Hasina has ignored the expressions of worry and refused to relinquish power to a neutral government to oversee the Jan. 5 elections. Instead, she formed an "all-party" election-time government in late November that is comprised mostly of members of her immediate past cabinet. AL losses in local elections since 2011 gave Hasina a strong incentive to retain control over the national ballot to ensure her party emerges victorious over more conservative and Islamist foes.

Fearing the AL will rig the 2014 vote, opposition parties have responded with huge protests. Ensuing clashes with security forces have triggered Bangladesh's worst pre-election turmoil in almost two decades, leaving more than 100 protesters dead and the main opposition party's leader under virtual house arrest. This past weekend, the government shut down transportation into Bangladesh's capital and arrested hundreds, including senior opposition leaders, as part of a wider coordinated effort to block an opposition rally from being held.

Further stoking tensions, the government has orchestrated war crimes trials against leaders of Bangladesh's main Islamist party and its allies for sins allegedly committed 40 years ago during the country's founding. Seven opposition leaders have been sentenced to death or executed as part of a campaign that international observers have criticized for lacking due process. During the 1971 war of independence, heinous crimes were committed against the Bangladeshi people. Local collaborators should stand trial as is appropriate for any war criminal throughout the world, but not by a kangaroo court that makes a mockery of the judicial system. The precedent set by the lack of internationally acceptable judicial process in these trials means there is no telling what will come next in the AL government's push against its political opponents.

The country's largest opposition party, the Bangladesh National Party (BNP), has announced that it will boycott the elections. It has also rejected participation in the all-party interim government under Hasina's control -- condemning it as a wholly inadequate substitute for a caretaker government, designed with the sole purpose of providing political cover for the AL's manipulation of the balloting.

Without the BNP's participation, the elections are almost certain to be viewed as a sham, lacking all legitimacy. Indeed, a survey of Bangladeshis had projected an overwhelming defeat for the AL if elections were held freely with all parties participating. Instead, Bangladesh has now been treated to the farce of 154 candidates already being officially certified as victors because they're running unopposed -- securing an AL majority in the 300-seat parliament even before a single vote has been cast. Not surprisingly, in their own vote of no confidence, both the United States and the European Union have declined to send election observers.

This is a slow-motion train wreck that everyone can see coming.
survey shows that almost 80 percent of the public supports elections administered by the non-political caretaker system, far more than the 28 percent who planned to vote for the AL that rejected the neutral poll-time government.

Time is running dangerously short. But aggressive diplomacy, led by Washington, still stands a chance of avoiding the worst-case outcome and helping Bangladesh's citizens salvage the legitimacy of a democratic process that they've struggled hard to achieve. Though success is by no means guaranteed, the alternative to trying appears grim, indeed. If ever there was a time to exhaust the capacity for preventive diplomacy, this is it. With so much of the rest of the Islamic world descending into turmoil, now is not the time to stand on the sidelines as one of the world's largest Muslim countries slips inexorably into chaos.

ROBERTO SCHMIDT/AFP/Getty Images
 
Probable State of Emergency: Anandabazar | Priyo News

Probable State of Emergency: Anandabazar
Submitted by Fabzee on Thu, 02/01/2014 - 1:24pm

Bangladesh Government may declare a state of emergency if the political situation worsens after the national election scheduled for 5 January 2014.

Anandabazar Patrika of India has expressed concern about the upcoming election of Bangladesh and also questioned the democratic practice in the country.

The general poll has become literary one sided as the main opposition party has denounced the election.

Some 153 candidates are elected unopposed in the polls among them 132 candidates are from the ruling Awami Leage. BNP has claimed that their chairperson, Khaleda Zia is under house arrest.

Due to the political turmoil, many of the international forces has raised question about the election that is coming.
Bangladesh has been capsized by strikes and blockades for the last two months.

Back in 2007, the military stepped in and installed a caretaker government to carry out political reforms and address corruption. But the emergency state didn't last and election was held in accordance with the rules of the constitute

শেখ হাসিনার জয় হবে ‘সম্পূর্ণ অবৈধ’: হিন্দুস্তান টাইমস

ব্যালট ও বক্স পুড়িয়ে দেয়ার নির্দেশনা খোদ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের!

অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে বাংলাদেশ

Thursday, 02 Jan 2014
অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে বাংলাদেশ
Bangladesh under sanctions
2354.jpg

Due to current govt. activity in Bangladesh, Middle-east, EU and USA are worried: Middle-east countries announce measure to withdraw fuel purchase subsidy: Manpower import will also be shunned by them.

বিশেষ সংবাদদাতা : জনদাবি ও আন্তর্জাতিক মতামতকে উপেক্ষা করে সরকার ‘একতরফা’ নির্বাচনের পথে হাঁটায় অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সরকারের কর্মকান্ডে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্য থেকে সরকারের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে, এভাবে চলতে থাকলে তারা জ্বালানি তেলের ওপর বাংলাদেশকে দেয়া সহায়তা প্রত্যাহার করবে। পাশাপাশি জনশক্তি আমদানির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।

জনশক্তি রপ্তানি ও উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মুসলিম রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশ থেকে কোন শ্রমিক নিচ্ছে না। আর আন্তর্জাতিক তৈরি পোশাকের বাজারেও পড়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতার কালো ছায়া। ইতোমধ্যেই গার্মেন্ট পণ্যের রপ্তানি আদেশ কমেছে আশঙ্কাজনকভাবে। সেইসাথে এদেশের প্রধান গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানির বাজারে হানা দিয়েছে পাকিস্তান। এই সুযোগে বাংলাদেশের বাজার দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে ভারত। সরকারের অনমনীয় মনোভাবের কারণে মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি তেল আমদানি সুবিধা ও জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেলে এবং আন্তর্জাতিক তৈরি পোশাকের বাজার ভারত ও পাকিস্তানে চলে গেলে দেশের লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। যার প্রভাবে দেশে ভয়াবহ আর্থসামাজিক বিপর্যয় নেমে আসবে।

বাংলাদেশ জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে সহায়তা পেয়ে থাকে সউদী আরব ও কুয়েত থেকে। বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, সউদী এরাবিয়ান ওয়েল কোম্পানি ও কিংডম অব সউদী এরাবিয়া এবং আবুধাবী ন্যাশনাল কোম্পানী থেকে বাংলাদেশ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে। আর কুয়েত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, মালয়েশিয়ার পেট্রোনাস ট্রেডিং কর্পোরেশন, ইউএই, চীন, ঈজিপ্ট, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়। দেশে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল ব্যবহার হয়।

অন্যদিকে, রেন্টাল ও কুইক রেন্টালগুলো চালু রাখার জন্যও জ্বালানি তেলের বড় একটি অংশ সরবরাহ করতে হচ্ছে। এতে করে দেশে প্রতিবছরই জ্বলানী তেলের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। এই চাহিদা মেটাতে সরকারকে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ব্যাংক থেকে গত বছর চড়া সুদে ঋণ পর্যন্ত নিতে হয়েছে। এবছর পরিস্থিতি আরও শোচনীয় বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে ইআরডি’র মধ্যপ্রাচ্য উইংয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, মূল্য পরিশোধ করতে না পারায় গত বছর বিপিসির জ্বালানি তেল আমদানি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আর এবার রাজনৈতিক অচলাবস্থার কবলে পড়ে কুয়েত ও সউদী আরব জ্বালানি তেলের ওপর দেয়া সুবিধা বন্ধ করে দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। একই ধরনের পূর্বাভাস দিয়েছে আইডিবি। এতে করে চলতি বোরো মৌসুমে জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে সরকারকে বড় ধরনের হোঁচটের মুখে পড়তে হবে। যার প্রভাব পড়বে কৃষি, বিদ্যুৎ ও শিল্পাঙ্গনে। আবাসিক ক্ষেত্রেও ভয়াবহ সঙ্কট নেমে আসবে। সরকার গত বছর আইডিবি থেকে চড়া সুদে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ ২২০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল।

এদিকে, সরকারের একগুঁয়েমি নীতির কারণে মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম দেশগুলো জনশক্তি আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিচ্ছে না। জনশক্তি উন্নয়ন ও রপ্তানি ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, সউদীতে প্রতি মাসে শুধু হাতেগোনা কিছু শ্রমিক যাচ্ছে। গত বছরের তুলনায় গেল বছর বিদেশে কর্মী নিয়োগ প্রায় তিন লাখ হ্রাস পেয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, বন্ধকৃত শ্রম বাজার পুনরুদ্ধারে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সরকারের ভ্রান্ত নীতি’র কারণে জনশক্তি রফতানিতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। জিটুজি’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের সরকারী উদ্যোগও ভেস্তে গেছে। বেসরকারী রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে মালয়েশিয়া কর্মী প্রেরণের সুযোগ দেয়া হয়নি। জিটুজিতে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়ায় বিএমইটি’র কল্যাণ তহবিলের কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হলে মাত্র ৬/৭শ’ কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠানো সম্ভব হয়েছে।

জানা যায়, সউদী আরবে বর্তমানে ১৫ লাখ শ্রমিক রয়েছে। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও কাজ করছে প্রায় ২০ লাখ শ্রমিক। মালয়েশিয়ায় রয়েছে প্রায় সাত লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক। সরকারের দুর্বল নীতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এসব শ্রমিকের ভবিষ্যত নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা। জানা যায়, কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো না থাকায় সউদী সরকার সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষে গত ৪ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশী প্রবাসী কর্মীদের ইকামা ট্রান্সফার বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসী কর্মীদের ইকামা ট্রান্সফার চালু রয়েছে। জেদ্দা থেকে প্রবাসী সাংবাদিক রুমী সাঈদ টেলিফোনে ইনকিলাবকে এ তথ্য জানান। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের শ্রম বাজার ধরে রাখতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

আন্তর্জাতিক শ্রম বাজার ক্রমেই বাংলাদেশের জন্য কঠিন হয়ে উঠায় রেমিটেন্স প্রবাহের গতি হ্রাস পেয়েছে। জানা যায়, অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছে ৬৭৫ কোটি ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬২ কোটি ডলার কম।

এদিকে, আন্তর্জাতিক তৈরি পোশাকের বাজারেও পড়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতার কালো প্রভাব। দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির কারণে দেশের রপ্তানিমুখী খাতগুলো যখন স্থবির হয়ে পড়ছে; তখন অদম্য গতিতে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিযোগী দেশগুলো। বাংলাদেশের প্রধান গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানির বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ইতোমধ্যেই হানা দিয়েছে পাকিস্তান। এই বাজার দখলে মরিয়া ভারতও। গত সপ্তাহে ইইউ সংসদ পাাকিস্তানের অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুুবিধা (জিএসপি) পাস করেছে। এতে করে চলতি মাস থেকে ইইউ বাজারে পাকিস্তান শুল্কমুক্ত সুবিধায় গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানির সুযোগ পাবে। ভারতও শিগগিরই ইইউ’র সঙ্গে জিএসপি চুক্তি করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে তিন দেশের মধ্যে বাংলাদেশ কেবল এই সুবিধা পেয়ে আসছে। সরকারের একরোখা মনোভাবের কারণে বাংলাদেশের এই বাজার ভারত ও পাকিস্তানে চলে গেলে এ দেশেআর্থ-সামাজিক খাতে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে।

এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে ক্রেতারা এ দেশে আসতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। তারা নতুন করে কোন অর্ডার দিতে চাচ্ছেন না। দেশীয় রপ্তানিকারকরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে মূলত ভারতের বাজারেই বেশি অর্ডার চলে যাচ্ছে। এ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়ার মত দেশও বাংলাদেশের বড় প্রতিযোগী হয়ে উঠছে। বিদেশ থেকে অর্ডার এনে পোশাক তৈরি করতে হলে বিজিএমইএ’র কাছ থেকে কাঁচামাল ব্যবহারের সনদ ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন (ইউডি) নিতে হয়। এ সনদটি নেওয়ার হার দেখে সাধারণত আগামী কয়েক মাসে পোশাক রপ্তানির একটি গতিধারা বোঝা যায়। ইউডির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পোশাক খাতে চলতি বছর ১০ মাসের পাঁচ মাসই রপ্তানি আদেশে নেতিবাচক ধারা ছিল। এই নেতিবাচক প্রভাবে বিস্মিত ও শঙ্কিত বিজিএমইএ নেতারা।
এ নিয়ে বিজিএমইএ’র সহসভাপতি রিয়াজ বিন মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে উঠছে ভারত ও ভিয়েতনাম। সেখানে বাংলাদেশের অর্ডার চলে যাচ্ছে। বড় আশঙ্কার কথা হলো, পাকিস্তান ইউরোপে জিএসপি সুবিধা পেয়ে গেছে। ভারত ইউরোপের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক অচলাবস্থা চলছে তাতে করে ভবিষ্যতে এ দেশের পোশাক খাতে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ রপ্তানি, শুঁটকি রপ্তানি, কাঁচা সবজি রপ্তানি, পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিসহ অন্যান্য রপ্তানিমুখি পণ্য বাজার দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সূত্র: ইনকিলাব
 
Last edited:
US disappointed on Bangladesh's situation | Dhaka Tribune

Created on January 3, 2014 at 11:54
US disappointed on Bangladesh's situation
Tribune Online Report

Reiterates the call for a constructive dialogue
The US has expressed disappointment as the major political parties of Bangladesh have not yet reached a consensus towards holding a free and fair election.

Marie Harf, deputy spokesperson of the US Department of State, made the remarks during a regular briefing in Washington.

“We’re disappointed that the major political parties have not yet reached a consensus on a way to hold free, fair, and credible elections. Obviously, that’s what we’re encouraging, and we will keep monitoring the situation and engaging as necessary,” she said.

Reiterating the call for a constructive dialogue, she said: “We believe it’s even more urgent than ever for the major parties to redouble their efforts to engage in constructive dialogue.

They need to find a way forward, to hold free and fair elections that are credible, and violence is not acceptable – never acceptable – because it subverts the democratic process.”

Asked about whether the US would recognise the election results where more than half of the seats remaining uncontested, the spokesperson said: “I don’t want to get ahead of what we’ll say in response to the election results.

As I have been clear, they have not taken steps to hold free, fair, and credible elections, so clearly that’s not a good sign. But I don’t want to prejudge the outcome or what we’ll say afterwards.

Replying a query on the house arrest of the leader of the opposition, she said: I don’t think that I do. I can check with our team and see – I don’t have anything on that. I’m happy to check with our folks.”
 
বিডিটুডে.নেট: অবৈধ ব্যবস্থায় অবৈধ নির্বাচন

ফরহাদ মজহার
farhadmazhar@hotmail.com
81_pht.jpg

অবৈধ ব্যবস্থায় অবৈধ নির্বাচন
An illegal election under illegal system

04 January 2014, Saturday

প্রথম আলোয় প্রকাশিত ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের লেখা ‘প্লিজ এ নির্বাচন করবেন না’ আজ সকালে আমার জন্য ছিল সবচেয়ে বিব্রতকর ও লজ্জাজনক পাঠ। তিনি চান না ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হোক। নির্বাচন না হলে তার আশা, সংবিধানের মধ্যে একটা সমাধানের পথ বের করা যাবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটা সমঝোতাও নাকি করা সম্ভব। যদিও সংবিধানের মধ্যে সমাধানের যে পরামর্শের ইঙ্গিত তিনি দিচ্ছেন, তা একদমই অনিশ্চিত এবং তার দাবি নির্বাচন স্থগিত রেখে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার ‘আইনগত ভিত্তি’ নাকি ‘খুঁজে পাওয়া যেতে পারে’। আদৌ কোনো আইনগত ভিত্তি আছে কিনা সে সম্পর্কে তিনি নিজেও নিশ্চিত নন। দ্বিতীয়ত, তিনি সংবিধান বা আইনের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক সম্বন্ধেও সজ্ঞান নন। যেমন- রাজনৈতিক সমঝোতা আগে নাকি সংবিধানের মধ্যে সমাধান চিহ্নিত বা নির্ণয় করা আগে? সাংবিধানিক সমস্যা সমাধান করেই কি তারপর রাজনৈতিক ‘সমঝোতা’র চেষ্টা চালাতে হবে? কোনটা? তাছাড়া ৫ জানুয়ারির নির্বাচন স্থগিত করা হলে রাজনৈতিক সমঝোতা হবে তার গ্যারান্টি কী? যদি রাজনৈতিক ‘সমঝোতা’ হয়েই যায়, তাহলে সংবিধান তো কোনো সমস্যাই নয়। প্রশ্নটা আসলে রাজনৈতিক, কিন্তু মাহফুজ আনাম এবং সুশীল সমাজ এখনও খামাখা সাংবিধানিক কূটচাল দিয়ে রাজনৈতিক সমস্যাকে ধোঁয়াশা করছেন। এতদিন তারা খেয়ে না খেয়ে বিরোধীদলীয় জোটের আন্দোলন-সংগ্রামের বিরোধিতা করেছেন নির্বিচারে। বিরোধী দলগুলোর ‘সহিংসতা ও তাণ্ডব’কেই বর্তমান সন্ত্রাস সংকুল রাজনীতির একমাত্র কারণ গণ্য করে আন্তর্জাতিক প্রচারণায় ব্যস্ত থেকেছেন, একই মাত্রায় দূরে থাকুক এমনকি একবারও ভয়াবহ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াননি। বরং ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থাকে রক্ষা করাই তারা কর্তব্য গণ্য করেছেন। আইন-শৃংখলা বাহিনী সরাসরি বিক্ষোভকারীদের বুক লক্ষ্য করে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যার জন্য গুলি চালিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা তার অপছন্দের রাজনীতি করে বলে তাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালালেও নীরব থেকেছেন। সমাজের বিশাল একটি অংশের রাজনীতি, মতাদর্শ এমনকি তাদের রাজনৈতিক কৌশলের তিনি নিন্দা করবেন এতে কোনো অসুবিধা নাই। উদার নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি বাংলাদেশের জন্য এখনও উপকারী। এ কথা আমি বারবারই বলি। কিন্তু সে রাজনীতি মাহফুজ আনাম ও সুশীল সমাজ করেননি। আমরা এখনও বহু আদর্শিক ও রাষ্ট্র গঠন সংক্রান্ত তর্ক কার্যকরভাবে সমাজে করতে পারিনি। যার ফলে আলাপ-আলোচনা, সমঝোতা বা গণতান্ত্রিক আচার-আচরণ চর্চার উপযুক্ত পরিবেশও গড়ে তুলতে পারিনি। কিন্তু উদার নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির পক্ষে না দাঁড়িয়ে মাহফুজ আনাম ও সুশীল সমাজ তথাকথিত সেকুলারিজমের নামে দাঁড়িয়েছেন ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থার পক্ষে। গণতন্ত্রের পক্ষে নয়।

বিএনপির অপরাধ তারা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ছাড়ছে না। হোক সে সমালোচনা, যদিও পার্লামেন্টারি রাজনীতিতে জোট বাঁধা আদর্শগত কারণে নয়, কৌশলগত কারণে হতেই পারে। এক সময় শেখ হাসিনা করেছেন, এখন বিএনপি করছে। তাছাড়া যে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ইসলাম ধর্মাবলম্বী, সেখানে নিশ্চয়ই সবাই আব্রাহাম লিংকন কিংবা কার্ল মার্কসের রাজনীতি করবেন না। বড় একটা অংশ ইসলামপন্থী রাজনীতিও করবে। কিন্তু সমাজের একটি বিশাল ও বৃহৎ অংশকে শুধু বিশ্বাস এবং রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্য ক্রমাগত পরিণত করা হয়েছে দানবে। হতে পারে তাদের বিশ্বাস ও রাজনীতি ভুল। তাদের রাজনৈতিকভাবে বিরোধিতা করার অধিকার তার অবশ্যই আছে। কিন্তু সেটা করতে হবে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার মেনে নিয়ে। তাদের সমাজ ও রাজনীতির অন্তর্গত গণ্য করে বাইরে রেখে নয়। উদার রাজনীতি ইনক্লুসিভ নীতি চর্চা করে, এক্সক্লুশান বা বাদ দেয়ার রাজনীতি নয়। এই বাদ দেয়া বা নির্মূলের রাজনীতি ভয়াবহ রাজনৈতিক বিপদ তৈরি করেছে। এ দেশের প্রতিটি মানুষেরই, সে যতই অপছন্দের হোক, তাদের নাগরিক ও মানবিক অধিকার আছে।

সমাজের বিশাল একটি অংশের মানবিক ও নাগরিক অধিকার যারা স্বীকার করে না, পরাশক্তি ও কর্পোরেট স্বার্থের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এবং সন্ত্রাসের সঙ্গে অনন্ত যুদ্ধের স্থানীয় বরকন্দাজ হয়ে তাদের যারা ‘নির্মূল’ করতে চায়- বিনিয়োগ ও মুনাফার স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য- আর যাই হোক তারা গণতন্ত্রের মিত্র নয়, গণতন্ত্রের দুশমন। এরা পাশ্চাত্যপন্থী হলেও পাশ্চাত্যের উদার রাজনীতির আদর্শও ধারণ করে না। জ্ঞানে বা অজ্ঞানে মাহফুজ আনাম এবং তার পত্রিকা এই অনুদার, অসহনশীল ও গণবিরোধী রাজনীতিই করেছেন। কারও বিশ্বাসের ধরন বা রাজনীতি মন্দ হতে পারে, কিন্তু তাদের যখন নাগরিক ও মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য ক্রমাগত ‘বর্বর ও দানব’ হিসেবে হাজির করা হয় আর রাষ্ট্র তাদের নির্বিচারে গুলি করে মারে, তখন সমাজে ও রাজনীতিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা সেই পর্যায়ে এসে পড়েছি। অনেকে বলছেন, গৃহযুদ্ধ আসন্ন। কিন্তু গৃহযুদ্ধের বাকি কী আছে?

শেখ হাসিনার প্রোপাগান্ডায় গলা ফুলিয়ে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক সংকটের জন্য একতরফা বিরোধী দল ও ইসলামপন্থী দলগুলোকে দায়ী করা ভুল রাজনীতি। কেউই ধোয়া তুলসী পাতা নয়, অবশ্যই সমালোচনা হবে এবং সে সমালোচনা কঠোর ও তীব্র হতেও কোনোই বাধা নেই। কিন্তু তর্কের জায়গা হচ্ছে- এ কাজ করতে গিয়ে একনায়কতন্ত্র ও চরম ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার পক্ষে যেন আমরা না দাঁড়াই। ইসলাম ও মুসলমান বিদ্বষের অসুখে যেন না ভুগি, যা আসলে বর্ণবাদ ছাড়া কিছুই নয়। বাংলাদেশে সুশীল রাজনীতি কিন্তু এই কুকর্মই করে। এখন যখন বোঝা যাচ্ছে শেখ হাসিনা ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করবেন এবং সেটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই রয়েছে, তখন সুশীল সমাজের ঘুম ভেঙেছে। শেখ হাসিনার কথার থাপ্পড় খেয়ে সুশীল সমাজ টের পাচ্ছে নির্বাচন হয়ে গেলে ভবিষ্যৎ সুশীলদের জন্যও অন্ধকার- তখন মাহফুজ আনাম নির্বাচন পেছানোর কথা বলছেন। খুব কি দেরি হয়ে যায়নি? আমরা কি ভয়াবহ রক্তপাত ও দক্ষিণ এশিয়ায় অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতার বৃত্তে প্রবেশ করছি না? এখন শেখ হাসিনার হাতে-পায়ে ধরে কি কোনো কাজ হবে? তাছাড়া পা যদি ধরতে হয় তো ধরা উচিত দিল্লির। মনমোহন সিং কি? না। দিল্লির পররাষ্ট্রনীতি স্থির করে সাউথ ব্লক, তাদের পররাষ্ট্র বিভাগ। হয়তো সুজাতা সিং কিছু কাজে আসতে পারেন।

এটা অনুমান করা যায়, মাহফুজ আনামের প্রস্তাব বাংলাদেশের কূটনৈতিক মহলেরই প্রস্তাব। এ প্রস্তাবে সংবিধানের মধ্যে সমাধানের অন্বেষণ বেহুদা বা ফালতু তর্ক। কিংবা পঞ্চদশ সংশোধনী সংবলিত বিদ্যমান সংবিধানের মধ্যে সমাধান অন্বেষণে বৃথা সময়ক্ষেপণ ছাড়া কিছু না।

আসলে ফালতু বলার আইনগত কারণও আছে। সংবিধানের যে ত্রয়োদশ সংশোধনী আনা হয়েছিল, সেটা আদালতের রায় অনুসারে ছিল বৈধ ক্ষমতার বাইরে বা আইনের ভাষায় ‘এখতিয়ারবহির্ভূত’ (ultra virus) সংশোধন। এ ধরনের সংশোধনী আনার কোনো এখতিয়ার জাতীয় সংসদের নেই। অতএব সংবিধানের সঙ্গে তা সঙ্গতিপূর্ণ নয়। কিন্তু তারপরও পূর্ণ রায় দেয়ার আগে সংক্ষিপ্ত রায় দেয়ার সময় যে যুক্তিতে আদালত দশম ও একাদশ সংসদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে বলেছিল, সেই রায় মাহফুজ আনাম ও সুশীল সমাজের আবার পাঠ করা দরকার। সেই যুক্তির আইনি ও রাজনৈতিক মর্মার্থ দুটোই আমাদের ভালোভাবে বোঝা দরকার। জাতীয় সংসদ আইন প্রণয়নের কর্তৃত্ব পাওয়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠানের বাইরে স্বাভাবিক, প্রাকৃতিক বা স্বতঃপ্রমাণিত বিধান হিসেবে আইনশাস্ত্র যেসব বিধি অলংঘনীয় গণ্য করে, সেই বিধানের কয়েকটি ল্যাটিন কথনে ইংরেজি অনুবাদসহ বিচারকরা পেশ করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ‘যা অন্য কোনোভাবে আইনসঙ্গত নয় কিন্তু প্রয়োজনে সেটাই আইনি বা বৈধ হয়ে যায়’ (Quod alias non est licitum Necessitas facit licitum)। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন জাতীয় সংসদের বৈধ কর্তৃত্ব অতিক্রম করেছে ঠিকই, কিন্তু যেহেতু বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, অতএব সেই ‘প্রয়োজনীয়তা’ই একে বৈধ করেছে। নিদেনপক্ষে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য।
দ্বিতীয় কথা, তারা বলেছেন, ‘জনগণের নিরাপত্তাই (কিংবা জনগণের স্বাস্থ্য, কল্যাণ, মঙ্গল ইত্যাদি) সর্বোচ্চ আইন’ (ংধষঁং ঢ়ড়ঢ়ঁষর ংঁঢ়ৎবসধ ষবী)। অর্থাৎ কোনো বিধান বাতিল বা বহাল রাখার ক্ষেত্রে অলংঘনীয় বিবেচনা হচ্ছে জনগণের নিরাপত্তা। তাদের তৃতীয় কথন রাষ্ট্র সংক্রান্ত। তারা বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ আইন’ ('Safety of the state is the supreme law')। অর্থাৎ রাষ্ট্রের নিরাপত্তার দিকটাও জাতীয় সংসদ কোনো আইন প্রণয়ন, বাতিল বা বহাল রাখার সময় ‘সর্বোচ্চ আইন’ হিসেবে মানতে হবে।

দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির অধীনে হবে কিনা তার সিদ্ধান্ত আদালত দেননি, সে সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় সংসদ। আদালত তার নিজের আর জাতীয় সংসদের এখতিয়ারের মধ্যে পার্থক্য বহাল রাখতে চেয়েছেন। কিন্তু সে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জাতীয় সংসদ কিভাবে নেবে তার ‘আইনি’ দিকও বাতলে দিয়েছেন আদালত। তা এমন এক আইন বা বিধান, যা লংঘন করার এখতিয়ার জাতীয় সংসদেরও নাই। কারণ বিধিবদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গঠিত হওয়ার আগে থেকেই জনগণ যে অধিকার ভোগ করে আসছে তা কোনো লিখিত সংবিধানে থাকতে হবে এমন কোনো কথা নাই। অন্যদিকে জাতীয় সংসদেরও সেই সব প্রাকৃতিক বিধি বা আইন লংঘন করার কোনো এখতিয়ার নাই। যেমন (১) রাজনৈতিক বাস্তবতা বা রাজনৈতিক প্রয়োজনীয়তা বিবেচনার করে নেয়া বিধান জাতীয় সংসদ বাতিল করতে পারে না; এই বিবেচনাতেই ত্রয়োদশ সংশোধনী গৃহীত হয়েছিল, সেই বাস্তবতা পুরাপুরি না থাকলেও নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বজায় রয়েছে বলে আদালত মনে করেছেন; (২) জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে জাতীয় সংসদে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। এবং একইভাবে (৩) রাষ্ট্রের নিরাপত্তাকেও সর্বোচ্চ আইনের মর্যাদা দিতে হবে। এগুলো ‘সর্বোচ্চ আইন’ কেন? বিধিবদ্ধ রাষ্ট্র গঠিত (juridical state) হওয়ার আগে থেকেই এ ধরনের অধিকার আইনি বিধান হিসেবে সমাজে হাজির থাকে। তারা বিধিবদ্ধ আইনি রূপ নিয়ে হাজির না থাকলেও স্বতঃসিদ্ধ অলংঘনীয় ‘আইন’ হিসেবেই বহাল থাকে। দার্শনিক ও আইনশাস্ত্রবিদরা একেই সাধারণত প্রাকৃতিকতা বা বাস্তবতার স্বাভাবিক নিয়ম (state of nature) কিংবা অনির্বন্ধিত বিধিবিধান (non juridical state) বলে নানান দিক থেকে নানান বিচার করেছেন (যেমন, দেখুন ইম্মেনুয়েল কান্টের উড়পঃৎরহব ড়ভ জরমযঃ বা এ ধরনের যে কোনো আলোচনা)।

আমরা আইনশাস্ত্রের তত্ত্ব নিয়ে দৈনিক পত্রিকার পাতা ভারি করব না। আমাদের যুক্তি হচ্ছে, ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে বাতিল হওয়ার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা পরিষ্কার প্রমাণ করছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়নি। সর্বোপরি জনগণ ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য অবিলম্বে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে ‘সর্বোচ্চ’ আইনের মর্যাদা দেয়া উচিত ছিল। কিন্তু জাতীয় সংসদ সে কাজ না করে আসলে ত্রয়োদশ সংশোধনীর রায় অনুসারে ‘অবৈধ’ কাজই করেছে। ডক্টর কামাল হোসেন কথাটা তুলেছিলেন, আমরা আশা করেছিলাম তিনি আদালতে যাবেন এবং তিনি কেন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করাকে ‘অবৈধ’ দাবি করেছেন সেটা নাগরিকদের কাছে পরিচ্ছন্ন করবেন। কিন্তু তিনি সেটা করলেন না।

সুশীল সমাজ বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থা বহাল রেখে নির্বাচন চায় কিন্তু গণতন্ত্র চায় না। নাগরিক ও মানবিক অধিকারেরও তারা বিরোধী। যদি গণতন্ত্র চাইতেন এবং নাগরিক ও মানবিক অধিকার তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হতো, তাহলে তারা সরাসরি পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে সংবিধানের সংস্কার বা রূপান্তরের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ জনমত গড়ে তোলার দিকেই মনোযোগ দিতেন। সর্বোপরি তারা বিভাজন আর বিভক্তির রাজনীতি করতেন না। একটি একক রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে বাংলাদেশের জনগণকে গঠন করার সমস্যা ও সংকট চিহ্নিত করা এবং তা মোচনের দিকেই মনোযোগ দিতেন।

কিন্তু এরপরও আমরা সুশীল সমাজের উৎকণ্ঠা ও বিদ্যমান সংকট সমাধানের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। যদিও আমরা দীর্ঘদিন থেকেই বলছি, নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতির সমস্যা সমাধান অসম্ভব। আশা করি সমাজের বৃহত্তর ছবি ধারণ করার চেষ্টা তারা করবেন, নিজেদের বদ্ধ ও সংকীর্ণ চিন্তা থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা ছাড়া যা সম্ভব নয়।
সর্বোপরি গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী সবাইকে একটি প্রশ্নে একমত হতে হবে। আদালতের রায় যেভাবে আমরা বুঝেছি তাতে পরিষ্কার, অবৈধ ব্যবস্থা বহাল রেখেই এ সরকার নির্বাচন করছে। অবৈধ নির্বাচনের অধীনে নির্বাচিত সরকার ‘অবৈধ’ সরকারই হবে, বৈধ সরকার নয়। সরকার যেভাবে নির্বাচন করছে তাকে কোনোভাবেই মেনে নেয়া যাবে না। আগামী নির্বাচন যখনই হোক, দশম সংসদেরই হবে।
এই দূরদৃষ্টিটুকু এখন দরকার।
(যুগান্তর, ০৪/০১/২০১৪)

  • Samiunnabi Hossain
    · University of Dhaka

    I always enjoyed your analysis, your article certainly helps understand our national issues,
    At the heart of our current crisis is Indian Agenda and fulfillment of the agenda is number one priority to India not Democracy.
    This India factor was probably not taken seriously by our civil society or they intentionally evaded it.
    Their narrow view of democracy as pointed out by Forhad Mazhar, prevented the civil society from taking a firm stand against
    gross human right violation at the hand of the current AL Government. The way the civil society and major portion our media acted simply
    encouraged the fascist government and their puppet master.Our ON going crises has made it clear that control of our Awami League is in the hand of Delhi,
    Awami league is incapable to act on its own wisdom.

    Reply · 1 · · 9 hours ago


  • Aowthad Ahmed Abid
    · Top Commenter · London, United Kingdom
    It is a positive statement for Bangladesh.
    Reply · 1 · · 10 hours ago


  • Mariam Ahmed
    · Top Commenter · Muslim Modern Academy, Dhaka Cantt.
    বর্তমান রাজনৈতিক সমস্যার সঠিক বিশ্লেষণ । এখন ভারতের দালাল এই সুশীল (কুশিল) দের থেকে বাঁচার উপায় কি ? উপায় আছে,নাকি? এই ভাবেই চলতে থাকবে ?
    Reply · · 4 hours ago


বিডিটুডে.নেট:ভারতের ‘সেক্যুলার বাংলাদেশ’ আকাঙক্ষা সঙ্কট প্রলম্বিত করছে

ভারতের ‘সেক্যুলার বাংলাদেশ’ আকাঙক্ষা সঙ্কট প্রলম্বিত করছে
India's desire for "secular Bangladesh" prolonging crisis - US State Dept.

61105_1.jpg
04 Jan, 2014

ভারতের ‘সেক্যুলার বাংলাদেশ’ আকাঙক্ষা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কটকে প্রলম্বিত করছে। বাংলাদেশের জন-আকাঙক্ষার বিরুদ্ধে গিয়ে পছন্দসই সেক্যুলার শক্তিকে অগণতান্ত্রিকভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভারতের পরোক্ষ সমর্থন (ট্যাসিট সাপোর্ট) বাংলাদেশকে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মনে করছে
যুক্তরাষ্ট্র।

India's tacit support to keep "secular forces" in power, in an undemocratic way, against the will of Bangladeshi people, is pushing Bangladesh towards a fascist rule, according to the US State Dept.

এর ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নিয়মিত কূটনীতিতে ছন্দপতন না ঘটলেও বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত স্বার্থ হারাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি বাংলাদেশের জনমতের নিকট অগ্রহণযোগ্য একটি সরকারের অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় থাকার সম্ভাবনায় শুধু যে বাংলাদেশের গত দুই দশকের গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক অর্জনই হুমকির মুখে পড়েছে তা নয়, বরং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চার সুযোগ সীমিতকরণ অব্যাহত থাকায় দেশটিতে উগ্রপন্থি ইসলামের উত্থানের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনাসহ এ অঞ্চলের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেও মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন কেন্দ্রিক রাজনৈতিক সঙ্কটে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা বিশেষ করে গত সপ্তাহে বিরোধীদলের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচিতে নজিরবিহীনভাবে সরকারের বাধা প্রদান বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া জানতে মানবজমিনের পক্ষ থেকে গত সপ্তাহের বিভিন্ন সময়ে মার্কিন কংগ্রেসের ‘সিনেট কমিটি অন ফরেন রিলেশনস’ ও ‘হাউস ফরেন এফেয়ার্স কমিটি’র উঁচু পর্যায়ের কয়েকটি সূত্র এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্রের কার্যালয়ে যোগাযোগ করে সর্বশেষ গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উপরোক্ত মনোভাব জানা যায়।
এদিকে ‘বাংলাদেশে যে কোনো মূল্যে সেক্যুলার শক্তিকে ক্ষমতায় রাখা না গেলে দেশটি উগ্রপন্থি ইসলামিস্টদের চারণক্ষেত্রে পরিণত হবে, কিংবা বাংলাদেশের বর্তমান সরকার পুনঃনির্ববাচিত না হলে ইসলাম ঘেঁষা মধ্য ডানপন্থি রাজনৈতিক দল বিএনপির হাত ধরে মূলত উগ্রপন্থি ইসলামিস্টরা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় চলে আসবে। এর ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আবারও সরব হবে এবং এ অঞ্চলে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে’ বলে ভারতের আশঙ্কাকে যুক্তরাষ্ট্র স্রেফ ‘অতিমাত্রিক’ (ওভারব্লৌন) বলে মনে করে। এ বিষয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের ইতিপূর্বে প্রদত্ত বেশ কয়েকটি বিবৃতির বরাত দিয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি উঁচু পর্যায়ের সূত্র এ প্রতিনিধিকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চার সুযোগ সঙ্কুচিত হলে উগ্রপন্থা মাথাছাড়া দিয়ে ওঠে। বাংলাদেশে মানুষের নিকট গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা গেলে উগ্রপন্থা নিরুৎসাহিত হবে। সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য উপায়ে নির্বাচনে কোন দল বিজয়ী হলো তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মাথাব্যথা নেই। তবে স্থিতিশীলতার স্বার্থেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জরুরি।’ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশে উগ্রবাদী ইসলামের সম্ভাব্য উত্থানের আশঙ্কা নিয়ে ভারতের মতো যুক্তরাষ্ট্রও উদ্বিগ্ন। কিন্তু কি উপায়ে এ সম্ভাব্য উত্থান দমন করা যাবে সে বিষয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। বাংলাদেশে মৌলবাদী ইসলাম ও জঙ্গিবাদ দমনে বর্তমান সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ভারত এ ক্ষেত্রে বর্তমান সেক্যুলার শক্তিকে আবারও ক্ষমতায় দেখতে চায়। এই উদ্দেশে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের চেয়ে সংবিধানের আওতায় নির্বাচনকেই প্রাধান্য দিচ্ছে ভারত। অপরদিকে নির্বাচনী ফলাফলের সম্ভাব্য পরিণতির চেয়ে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য নির্বাচনকেই প্রাধান্য দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কেননা বাংলাদেশের ইসলামপন্থি রাজনীতিকে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই ‘তুলনামূলক উদার’ বলে মনে করে এবং এখানে গণতন্ত্র সঙ্কুচিত হলে শেষ পর্যন্ত উগ্রপন্থা উৎসাহিত হবে বলে মনে করে দেশটি। এ ছাড়া লিবিয়া, তিউনিসিয়া ও মিশরের মতো উদার মুসলিম সমাজে যুক্তরাষ্ট্রের সামপ্রতিক অভিজ্ঞতা থেকেও স্টেট ডিপার্টমেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক নীতিনির্ধারকরা আরও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার সঙ্কুচিত হলে উদার মুসলিম সমাজগুলোতে উগ্রপন্থি ইসলাম সহজেই ভিত্তি গড়ে তুলে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, বাংলাদেশ বিষয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বরাবরের অবস্থান হলো, বাংলাদেশ একটি উদার মুসলিম গণতন্ত্র। ২০০৬ সালের ২৮শে অক্টোবর আওয়ামী লীগের লীগ বৈঠা আন্দোলনের পূর্ব পর্যন্তও জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ছিল, ‘এ দলগুলো গণতান্ত্রিক রাজনীতি করছে এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতির সুযোগ না থাকলে এরা সহিংসতার পথ বেছে নিতে পারে।’ অপরদিকে ভারতের ‘সেক্যুলার বাংলাদেশ’ আকাঙক্ষার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মতপার্থক্য নতুন নয়। এ বিষয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মতপার্থক্য সর্বপ্রথম প্রকাশ পায় ২০০৬ সালের ৬ই আগস্ট। ওইদিন নয়া দিল্লি সফররত দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিচার্ড বাউচারের সম্মানে প্রদত্ত লাঞ্চ বক্তৃতায় ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ই আহমেদ ‘সেক্যুলার বাংলাদেশ’-এর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে সেক্যুলার শক্তিকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে দেশটিতে ধর্মীয় জঙ্গিবাদের উত্থান দমন করা সম্ভব। একটি শক্তিশালী, স্থিতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ শুধু ভারতের জনগণের স্বার্থেই নয়, বরং এ অঞ্চলের সামগ্রিক নিরাপত্তার স্বার্থেই জরুরি। এরপর ওইদিনই অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশে সেক্যুলার ফোর্স শক্তিশালী করার মাধ্যমে দেশটিতে ধর্মীয় জঙ্গিবাদ দমনে ভারতের প্রস্তাব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাইলে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিচার্ড বাউচার বলেন, আমি মনে করে এটি (বাংলাদেশে ধর্মীয় জঙ্গিবাদের উত্থানের আশঙ্কা) একটি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-তাড়িত প্রচারণা (পলিটিক্যাল বাজওয়ার্ড)’... রিচার্ড বাউচার ওই সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে বাংলাদেশ উদারপন্থায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের মানুষ ভালো মুসলমান, ভালো গণতন্ত্রী। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মবিশ্বাস ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার প্রতি সমানভাবে শ্রদ্ধাশীল। আর এ দুটিই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি।’ মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে যে, বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উপরোক্ত অবস্থানে এখনও কোনো পরিবর্তন হয়নি। এদিকে বাংলাদেশে ধর্মীয় জঙ্গিবাদের উত্থান বিষয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও পেন্টাগনের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে এবং এ বিষয়ে পেন্টাগনের মতামত ভারতের অবস্থানের কাছাকাছি বলে বাংলাদেশের মিডিয়ার একটি অংশ সুকৌশলে প্রচারণা চালালেও বাস্তবে তা সত্য নয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে বাংলাদেশের ৫ই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের বিষয়টি গতকালও স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংযে স্থান পেয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ অবস্থান জানতে চাইলে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি মুখপাত্র ম্যারি হর্ফ আবারও যুক্তরাষ্ট্রের হতাশা ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গঠনমূলক সংলাপ এখন আগের চেয়ে আরও বেশি জরুরি। আগামী ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ম্যারি হার্ফ বলেন, এ বিষয়ে আমরা আগেই কোনো মন্তব্য করতে চাই না। ‘বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র দু’দিন বাকি থাকতে যুক্তরাষ্ট্র এখনও সংলাপের আহ্বান জানাচ্ছে’- এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র মূলত কি ধরনের বার্তা দিতে চাচ্ছে? -এমন প্রশ্নের জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক প্রধান মুখপাত্র মার্ক টম টেলিফোনে এ প্রতিনিধিকে বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল মানুষের নিকট গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানাতেই থাকবে।’ ধারণা করা যাচ্ছে, বাংলাদেশে আগামী ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পরও যুক্তরাষ্ট্র খুব দ্রুত সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান অব্যাহত রাখবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই ভারত একটি ‘সেক্যুলার বাংলাদেশ’ আকাঙক্ষা করে এসেছে। মুক্তিযুদ্ধকালীন বাস্তবতা আর ভারতের উৎসাহে বাংলাদেশের মূল সংবিধানেও ‘সেক্যুলারিজম’কে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়..., ধর্মনিরপেক্ষতা যখন বাংলাদেশ সংবিধানে সংযুক্ত করা হয় তখন ভারত নিজেও সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ছিল না... কিন্তু রাষ্ট্রকে সেক্যুলার করার নামে আবহমান কাল থেকে ধর্মীয় সমপ্রীতির পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত বর্তমান বাংলাদেশ ভূখণ্ডের সমাজ ও সংস্কৃতি থেকে ধর্মের চিরায়ত ভূমিকা সরকারি উদ্যোগে নিরপেক্ষ করার প্রচেষ্টা বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময়েই হোঁচট খায়... এর ফলে বাংলাদেশের সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে এ ধারণা বদ্ধমূল হতে থাকে যে আওয়ামীলীগ ও ভারত ইসলাম বিদ্বেষী এবং এভাবে বাংলাদেশে ভারত বিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পেতে শুরু করে সাধারণ মানুষের এই ভারত বিরোধী সেন্টিমেন্টকে পরে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করলেও বাংলাদেশের জনমানসের সঠিক পাঠ করে ভারত সম্পর্কে তাদের এই ভীতি দূর করার কোনো গঠনমূলক পদক্ষেপ ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কখনও লক্ষ্য করা যায়নি। উল্টো সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে অধিকতর শক্তিশালী ভারত ‘সেক্যুলার বাংলাদেশ’ বিষয়ক তার এতদিনের ‘আকাঙক্ষা’কে বর্তমানে তার ‘অধিকার’ বলে ভাবতে শুরু করেছে। আর এ অধিকার আদায়ে আঞ্চলিক শক্তি ভারত তার নিকটতম প্রতিবেশী বাংলাদেশে যে নীতি গ্রহণ করেছে তা মূলত বাংলাদেশের জনমানসকে আরও বেশি ভারত বিরোধী করে তুলছে। এ সত্য যত দ্রুত ভারত বুঝবে তত দ্রুতই তা বাংলাদেশ, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।
উৎসঃ মানবজমিন
 
Last edited:
It doesn't matter if voter participate in poll or not because Awami activist will do it for them. In a republic like Bangladesh it's not impossible.
 
Last edited by a moderator:
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের ইঙ্গিত, পদত্যাগ করতে পারেন হাসিনা!

বাংলাদেশে নির্বাচন কেন্দ্রিক ইস্যুতে বড় ধরনের কূটনীতিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় পড়তে যাচ্ছে ভারত। শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে ভারত কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে বিরোধী দলের দাবি মেনে নিতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ভারতকে এরকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন। রোববার ভারতের ইংরেজি দৈনিক ‘দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
কূটনীতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কতিপয় আলোচক ভারতীয় আলোচকদের এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে শেখ হাসিনা বিরোধী দলের দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করতে পারেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কোনো শূন্যস্থান রাখতে চাননি, যাতে তৃতীয় শক্তির ক্ষমতা দখলের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর নির্বাচন করার মাধ্যমে তিনি চেয়েছেন যাতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাও পূরণ হয়। শেখ হাসিনার কাছ থেকে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে তার দল আবারও নির্বাচন দিতে সম্মত হবে, যদি এই নির্বাচনের পর সংলাপে কোনো ফল পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, নির্বাচনের পর বাংলাদেশ যাতে বড় ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও নিন্দার মুখে না পড়ে, সেজন্য ভারতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এজন্য বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো ও বিভিন্ন ফোরামের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছে ভারত।

প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ছাড়াই রোববার বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ১৪৬টি আসনে। এরই মধ্যে শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছেন আবার ক্ষমতায় এলে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। কারণ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নির্বাচন নিয়ে গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্ন তুলেছেন। বিশ্ব মিডিয়া বাংলাদেশের নির্বাচনের কড়া সমালোচনা করেছে। ফলে নয়াদিল্লির ভয়, যুক্তরাষ্ট্রের মতো অনেক দেশ শেখ হাসিনার নতুন সরকারকে অনুমোদন না-ও করতে পারে, যা সরকারকে বিপাকে ফেলবে। ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া ঠিক একই পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন, যেখানে হাসিনা খালেদার অবস্থানে ছিলেন। তখন বড় কোনো শক্তি মারাত্মক উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। তবে সে সময় গণ-আন্দোলনে খালেদা সরকারের পতন হয়।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচকরা একাধিক বৈঠক করেছেন। এর একপর্যায়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতও ভারত সফর করেন। তবে দুই দেশের মতপার্থক্যের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জামায়াতে ইসলামী, যারা বিএনপির প্রধান মিত্র। সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জামায়াতের ব্যাপারে অনেক বেশি ইতিবাচক। এমনকি তারা এই বার্তাও বহন করেন যে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে একটি বৈধ ইসলামী দল হিসেবে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কিন্তু জামায়াতকে ভারত নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। কয়েক মাস ধরেই ভারতীয় আলোচকরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতা খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। একই সঙ্গে জামায়াতের কাছ থেকেও সরে আসতে বলেছিলেন। ভারতের প্রস্তাবে কখনই সম্মতি দেননি খালেদা জিয়া। এ অবস্থায় বাংলাদেশে নির্বাচন শেষে ভারত এখন বাংলাদেশ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক আঙ্গিনায় আলোচনা করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করবে, যে রাষ্ট্রটির হাতে রয়েছে চাবিকাঠি। এ ছাড়া কমনওয়েলথসহ অন্যান্য ফোরামেও আলোচনা করতে যাচ্ছে। ভারত বর্তমানে কমনওয়েলথ মিনিস্ট্রিয়াল অ্যাকশন গ্রুপরও সদস্য, যার ক্ষমতা রয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়ায় বাধা দিতে।

এদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। শত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও জনগণ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ২৪ জানুয়ারির মধ্যে এই নির্বাচন না হলে দেশ কোথায় যেত? দেশ সাংবিধানিক সংকটে পড়ত। এখন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে। বিএনপির দাবি, একদলীয় নির্বাচন জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বর্জন করেছেন, ঘৃণাভরে ভোট প্রত্যাখ্যান করেছেন। নির্বাচন হয়ে গেলেও বিরোধী জোটের কর্মসূচি বন্ধ হয়নি। অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচির সঙ্গে আজ সোমবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল যোগ করেছে তারা। এই নির্বাচনে ভোট দেননি প্রধান বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া ও দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দলের নেতা এরশাদ। কারণ, তাঁরা গৃহ বা হাসপাতালবন্দি। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে ভোট দেননি দেশের আরও অসংখ্য মানুষ। কারণ, তাঁরা বিবেকের কাছে বন্দি। সংসদ নির্বাচনের নামে পৃথিবীর ইতিহাসে অভূতপূর্ব এই নির্বাচনী তামাশা তবু নীরবে সহ্য করতে হয়েছে মানুষকে।

ভোট সহিংসতায় আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৪ জনসহ নিহত ২৪

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল রবিবার ও শনিবার মধ্যরাতের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ভোট কেন্দ্রে হামলা, সহিংসতা, ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪ জন আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। বাকিরা বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মী। নিহতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দিনাজপুর, নীলফামারী ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এসব জেলায় ৪ জন করে মোট ১২ জন মারা গেছেন। এছাড়া রংপুর ও ফেনীতে দুজন নিহত হয়। লালমনিরহাট, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, পিরোজপুর, নওগাঁ, নোয়াখালী ও গাইবান্ধায় ১ জন করে নিহত হয়।সহিংসতার ঘটনায় পাঁচ শতাধিক কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। কোথাও কোথাও সরকারি দলের প্রার্থীদের সমর্থকরা ভোট কেন্দ্র দখল করে নেন। এর প্রতিবাদে প্রায় ৫০ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। বর্জনকারীদের অধিকাংশই জাতীয় পার্টি-জেপি, জাসদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ আসনে জাতীয় পার্টি-জেপির ডা. ফরিদ আহমেদ ভোট দিতে গিয়ে দেখেন তার ভোট দেয়া হয়ে গেছে। প্রতিবাদে তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
দিনাজপুর:নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার তিনটি ঘটনায় দিনাজপুর-৫ (পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী) আসনে তিনজন এবং দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে একজন মারা গেছেন।

পার্বতীপুরের উত্তর শালন্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার পবন কুমার সরকার জানান, গতকাল ভোট শুরুর পর সকাল ৯টা থেকে দুর্বৃত্তরা ওই কেন্দ্রে হামলা চালায়। একের পর এক হামলা চালিয়ে দুর্বৃত্তরা কেন্দ্রে ঢুকে পড়ে। বেলা ১১টায় ওই কেন্দ্রে কর্মরত ওয়াহেদ আলী নামে এক আনসার সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে তারা। হামলায় প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশসহ ৩২ জন আহত হয়। প্রিজাইডিং অফিসার জানান, এ ঘটনার পর তারা আত্মরক্ষার্থে ভোট কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান। ফলে কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়।

পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জানান, উপজেলার ৮৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ২০টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।

অপরদিকে গতকাল দুপুরে পার্বতীপুর মন্মথপুর কোঅপারেটিভ হাইস্কুল কেন্দ্রে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা যৌথ বাহিনীর উপর হামলা করলে তারা পাল্টা গুলি করে। এতে পার্বতীপুর জাগপার যুগ্ম আহ্বায়ক রাইহান মাসুদ (২৪) মারা যান। মন্মথপুর ইউনিয়নের হয়বতপুর গ্রামের বৈষ্ণবপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে গতকাল বেলা ২টার দিকে বিএনপি কর্মী চুন্নুর (৩০) গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। তবে কার গুলিতে তিনি মারা গেছেন তা নিশ্চিত করা যায়নি।

এর আগে শনিবার রাতে দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে সদর উপজেলার নশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ১৮ দল ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হলে বাবুল (২৮) নামে এক বিএনপি কর্মী গুলিতে নিহত হয়।

নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনের নুরুল্ল্যাবাদ ইউনিয়নের রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গতকাল ভোটদানে বাধাদানকে কেন্দ্র করে যৌথ বাহিনীর সাথে ১৮ দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় যৌথ বাহিনী গুলি ছুঁড়লে ৮ জন আহত হন। এর মধ্যে বাবুল হোসেন (৩৫) নামে একজন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

রংপুর-৪ আসনে পীরগাছার মেকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দেউতি স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে রবিবার গভীর রাতে ভোটের সরঞ্জাম ছিনতাই, অগ্নিসংযোগ করতে গেলে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটে। এসময় পুলিশের গুলিতে শিবির কর্মী হাজিউজ্জামান (১৪) ও জামায়াত কর্মী মেরাজুল ইসলাম (৩৫) নিহত হয়। সংঘর্ষে ১০ প্রিজাইডিং অফিসারসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়।

মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ শিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের কাছে পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টাকালে ছাত্রদল নেতা কঙ্কন মিয়া (২৩) নিহত হয়েছে। আব্দুল হক মাস্টারের ছেলে কঙ্কন মিয়া কাঠাদিয়া-শিমুলিয়া ইউপি ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক। পুলিশ জানায়, কঙ্কন শিমুলিয়া ভোট কেন্দ্রে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করতে গেলে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে ধাওয়া করলে সে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। পরে পুকুর থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার সময় সে মারা যায়।

ফেনী: ফেনীর সোনাগাজীর উত্তর চরচান্দিয়া বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গতকাল সকালে ভোট চলাকালে ভোটবিরোধীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে বিএনপির ৩ কর্মী গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে জামশেদ আলমকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিত্সক তাকে মৃত ঘোষণা করে। অপর ২ জনকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুপুর ১২ টার দিকে শহীদ উল্লাহ মারা যান।

লালমনিরহাট: লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলা শ্রীরামপুর, বুড়িমারী, কুচলীবাড়ী ও জগতবেড় ইউনিয়নের ৫ টি ভোট কেন্দ্রে হামলা, অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী আসবাবপত্র পুড়ে যাওয়ায় ২ নং ভান্ডারদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ প্রায় ৩ ঘন্টা স্থগিত রাখে স্থানীয় প্রশাসন। পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ১ জন আনসার সদস্যসহ ৩ জন আহত হয়। শনিবারে বাউরা সফিরহাট বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফারুক হোসেন (৩০) রংপুরে চিকিত্সাধীন অবস্থায় রবিবার ভোরে নিহত হয়েছেন। এদিকে গতকাল সকালে ১৮ দলের নেতাকর্মীদের সাথে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের ওয়ার্ড সভাপতি মোবারক হোসেন নিহত হন।

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে রামগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে শিবিরকর্মীরা বেশ কয়েকটি ব্যালট বাক্স লুট করেছে। গতকাল দুপুরে পুলিশের গুলিতে চন্ডিপুর ইউনিয়নের মাছিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র এলাকায় রুবেল নামে এক শিবির কর্মী পুলিশের গুলিতে নিহতসহ আহত হয়েছে ২ শিবির কর্মী। জাল ভোট ও কেন্দ্র দখলের ফলে দফায় দফায় ভোট বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় প্রশাসন।

এই আসনের পানিওয়ালা উচ্চ বিদ্যালয়, কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিশ্চর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের কমলনগর উপজেলার পশ্চিম চরলরেন্স মহিলা দাখিল মাদ্রাসাসহ ৪টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।

সিলেট-৪ আসনের কোমপানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গতকাল পুলিশের সাথে বিএনপি ও জামায়াত কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শট গানের ২৪টি গুলি ও ১টি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এসময় একজন পোলিং এজেন্ট আহত হন।

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে ভোট গ্রহণ চলাকালে গতকাল দুপুরে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা চর নবীপুর ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে ২টি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে। এরপর তারা ভোট কেন্দ্রের ৫টি বুথ পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়ে তাদের হটিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে এই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়।

শেরপুর পৌর এলাকার দিঘারপাড় বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে প্রায় বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা, ব্যালট বাক্স ও বেশ কিছু ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় হামলাকারীদের আক্রমণে কর্তব্যরত এএসআই নূর আলম গুরুতর আহত হন। ওই দুই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বাতিল করা হয়েছে।

খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) ও খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী থানা) আসনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন স্থগিত ও বাতিলের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থী রাশিদা করিম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান খান খোকন।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক গোলযোগের মধ্যদিয়ে গতকাল ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী সহিংসতায় এক শিবির কর্মী নিহত ও আনসার সদস্যসহ অর্ধশতাধিক গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন। সাতকানিয়ায় ভোট কেন্দ্রে হামলা করে ব্যালট পেপার ছিনতাই ও প্রিজাইডিং অফিসারসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। সীতাকুণ্ডের রহমতনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের বিবস্ত্র করার পর ওই কেন্দ্রে আর ভোটারদের ভোট প্রদান করতে দেখা যায়নি।

বড় হাতিয়া ভবনীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করতে গিয়ে বিজিবির গুলিতে মিজানুর রহমান লালু (২২) নামে এক শিবির কর্মী নিহত হন। চুনতি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ককটেল বিস্ফোরণে হালিমা খাতুন নামে এক আনসার সদস্য আহত হয়। একই কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। কলাউজান খালাসীপাড়া কেন্দ্রে সোনা মিয়া (৫৬) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হয়। সাতকানিয়ায় দুপুর একটার দিকে শতাধিক দুর্বৃত্ত ঢেমশা বড়ুয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রবেশ করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এজেন্ট শামসুল ইসলাম, প্রিজাইডিং অফিসার মো. জামাল উদ্দিনসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় তারা ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনের সরঞ্জাম ছিনতাই এবং কেন্দ্রে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।

সীতাকুণ্ড উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সাথে ১৮ দলীয় জোট কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসনে ব্যাপক জাল ভোট আর কারচুপির মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ১১০টি কেন্দ্রের মধ্যে প্রায় সবকটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে নেতা-কর্মীরা ব্যাপকহারে জাল ভোট দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রাজশাহী: রাজশাহীর চারঘাটায় গতকাল বিকালে আওয়ামী লীগ ও ১৮ দলের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ছয় জন আহত হন।

বরগুনা-১ আসনের বিএনএফ সমর্থিত প্রার্থী মো. খলিলুর রহমান দুপুরে আমতলী এ, কে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরিদর্শনে গেলে তাকে লাঞ্ছিত করে নৌকা মার্কার সমর্থকরা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আমতলী বন্দর ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোরগ মার্কার এজেন্ট জুয়েল মৃধাকে নৌকার সমর্থকরা মারধর করে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কুমিল্লা: কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে সহিংসতায় ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। ১৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।

ব্রা?হ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থী ডা. ফরিদ আহমেদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেন যে তার ভোট আগেই দেয়া হয়ে গেছে এই কারণে তিনি নির্বাচন বর্জন করেন। পরে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানানোর পরেও প্রতিকার না পেয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।

নোয়াখালী: নোয়াখালীর হাতিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আমীরুল ইসলাম আমীর নির্বাচন বর্জন করেন। দুপুরে উপজেলা সদরের ওছখালী বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ ও আমার ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদান করা হচ্ছে। এ কারণে ভোট বর্জন করেছি।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হরতালকারীদের ধাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারানো ট্রাকের চাপায় সাইফুল ইসলাম (৩০) নামে একজন মারা যায়।

কুড়িগ্রাম-১ আসনে দুপুর ১টার দিকে নেওয়াশী ইউনিয়নের ঘরজেয়াটারী ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও ১৮ দল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৬ জন আহত হন।

ঘরজেয়াটারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে দু’পক্ষের সংঘর্ষে রোস্তম আলী (৫০), ইউপি সদস্য ফরিদা বেগম (৩০) ও আনোয়ার হোসেন (৩৮) আহত হয়। এর মধ্যে রোস্তম আলীর অবস্থা আশংকাজনক।

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় ৫টি ও কোটচাঁদপুর উপজেলায় ২টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। মহেশপুর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া, কোলা, রামচন্দ্রপুর, নওদাগা ভোট কেন্দ্র ও ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেওয়ায় এবং সামন্তা ভোট কেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ায় ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছেন প্রিজাইডিং অফিসার।

জামালপুর: জামালপুরে ৫টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনে ৫টি ভোট কেন্দ্রে ককটেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ, হামলা ভাংচুর ও সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ১০ জন।

বরিশাল-২ আসনের উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের কারফা ভোট কেন্দ্রের সন্নিকটে গতকাল দুপুরে দু’দল ভোটারের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। একইদিন বিকালে বরিশাল-৩ আসনের আগরপুর আলতাফ মেমোরিয়াল ভোট কেন্দ্রের সন্নিকটে জাতীয় পার্টির (এ) প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীর ৫ জন সমর্থক আহত হয়েছে।

বিকাল ৩টার দিকে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে বরিশাল-৩ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপুর সমর্থক বাদল মিয়ার নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে আহত করা হয় প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী টিপু সুলতানের ৫ জন সমর্থককে।

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার ৪টি আসনের ৪৬৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২০১ টি ভোট কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে গাইবান্ধা-০১ সুন্দরগঞ্জ আসনে ৪৭টি, গাইবান্ধা-০২ সদরে ১২টি, গাইবান্ধা-০৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের সাদুল্লাপুরে ২৫ টি ও পলাশবাড়ীতে ৫৩ টি এবং গাইবান্ধা-০৪ গোবিন্দগঞ্জে ৬৪ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা সম্ভব না হওয়ায় স্থগিত করা হয়েছে। এদিকে ভোট কেন্দ্রে সংঘর্ষে এক শিবির কর্মী নিহত, একজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিখোঁজ রয়েছেন ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। নিহত শাহাবুল ইসলাম তারা (২৮) উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ গ্রামের খিজির উদ্দিনের ছেলে।

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জে রবিবার ভোরে ৪০/৫০ জনের একদল দুর্বৃত্ত বানিয়াচঙ্গ উপজেলার রেদোয়ানা দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে প্রবেশ করে দায়িত্বরত পুলিশ আনসারকে মারধর করে। তারা ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেয়। এসময় সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার গোপাল দাশ, আনসার হাবিজুর রহমান, আবু তাহের আহত হন। ফলে ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়নি। আগের দিন রাতে একই উপজেলার তোপখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করা হলে ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স পুড়ে যায়। ফলে ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়নি।

গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে চৌধুরী পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪টি পেট্রোল বোমা বিস্ফোরিত হয়। এসময় পুলিশ গুলি ছুঁড়লে কমল (২৪) নামে এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হন। তাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় হবিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার লুট করতে গিয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জামায়াতের কর্মী জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) নিহত হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ওই আসনের ডিমলা উপজেলার খালিশা চাঁপানী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ব্যাপারীতলা আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে ওই ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া দুর্বৃত্ত কর্তৃক ভোট কেন্দ্রে হামলা, ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার কারণে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) ৯টি ভোট কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। দুপুরে ডিমলা নিজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নীচতলায় আগুন দেয়া হয়। ডিমলা উপজেলার ১০টি কেন্দ্রে জামায়াত শিবির হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে ওইসব কেন্দ্রের ঘর, ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেয়। এ সময় ১০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৭ জন আনসার সদস্য, ৮ পুলিশ সদস্যসহ ৪০ জন আহত হয়। ঐ ১০ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. মোজাম্মেল হোসেনের সমর্থকরা ঐ আসনে আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুর রহিম খান ও এসএম মনিরুল হকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সন্ধ্যায় মোরেলগঞ্জ পৌরসভার কৃষি ব্যাংক রোড ও কলেজ রোডে পৃথক এই হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলাকারীদের প্রহারে আব্দুর রহিম খানের গাড়িচালক মো: ইসাহাক (৪৫) ও তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী আল আমিন (৩০) সহ অন্তত ছয় জন আহত হয়েছেন। এ সময় আত্মরক্ষার্থে আব্দুর রহিম খানের ভাই আব্দুল হাই খান তার বৈধ বন্দুক দিয়ে অন্তত পনের রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়েন বলে জানা যায়।

পটুয়াখালী-১ (সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি) আসনে গতকাল ভোট গ্রহণ চলাকালে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার খাসেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১৩টি ককটেল উদ্ধার করেছে র্যাব ও পুলিশ। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে ঘোপখালী ভোট কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স ছিনতাই কালে পুলিশ দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করে। এছাড়া খাসের হাট ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের শেষ মুহূর্তে চারটি পটকা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টাকালে পুলিশ তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালালে তারা পালিয়ে যায়।

জরুরি অবস্থা জারির চিন্তাভাবনা/ State of emergency imposed thinking /
665003303001_3012831089001_201415112935866621-20.jpg


Bangla Version : বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের সর্বশেষ ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পর্যবেক্ষণ করবে সরকার। এই হরতাল কর্মসূচিতে সহিংসতা হলে এবং এরপর আবারো হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হলে জরুরি অবস্থা জারি করা হতে পারে। এ ব্যাপারে সরকারের শীর্ষ মহল নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রীরা গত কয়েকদিন ধরে বলে আসছিলেন, নির্বাচনের পর সরকার আরো কঠোর হবে। কঠোর হাতে দমন করবে বিরোধীদলকে। তারই প্রতিফলন ঘটতে যাচ্ছে জরুরি অবস্থা জারির প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে।

সূত্রমতে, জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করা হবে। তারপরও যদি বিরোধীদল কোনো কর্মসূচি ঘোষণা বা পরিচালনার চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে বিরোধীদলের নেতা-নেত্রীদের গণহারে গ্রেফতার করা হবে। দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির অবসান বা স্বাভাবিক করার অজুহাতে এ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

English Version : BNP - Jamaat -led 18- party government in the last 48 hours of the strike would be monitored . If this strikes violence program and then again when the emergency shutdown might be announced . Top sources say the government has agreed in principle to a reliable source .The Awami League leader - had to say netrira over the past few days , after the election, the government will be more stringent . Will clamp the opposition . State of emergency imposed in the preparation of recompense is going to happen .According to sources , the state of emergency imposed a ban on all political activities . Even if the opposition is trying to run a program or opposition leaders - leaders will be arrested en masse . Termination of the current unrest in the country has taken or plans to plea to normal .
 
Last edited:

গায়েবি ভোট, ফার্স্ট হয়ে গেলেন হাসিনা/


গায়েবি ভোট। শব্দটা পুরনো। আমরা ভুলেই গিয়েছিলাম। ১৭ বছর আগের কাহিনী মনে থাকবার কথা নয়। ৫ই জানুয়ারি ভোটে আবার শোনা গেল, ভোটের ইতিহাসে এটা নয়া এক অধ্যায়। নির্বাচন কমিশন লজ্জা পায়নি। শাসকরা উল্লসিত। তবুও তো ভোট হয়েছে। কলঙ্কিত হোক, তাতে কি যায়-আসে। ভোটাররা ভোট না দিলেও যখন ভোট হয় তখন এতো কসরত কেন? এমন ভোটই হয়ে গেল রোববার। গায়েবি ভোটে বোঝাই হয়ে গেল বাক্স। সকালে শূন্য, দুপুরে সামান্য, বিকেলে একদম বোঝাই। এমন বোঝাই হয়ে গেল- নৌকা ডুবে ডুবে ভাব। কোনমতে তীরে পৌঁছালো বটে। তবে নৌকার হাল নেই। আর চলবে না। নয়া নৌকা বানাতে হবে। শেখ হাসিনা হয়তো বলবেন, ভাল লোক নৌকায় ওঠেনি। তাই বলে তো খালি নৌকা চালিয়ে আনা যায় না। ভেজাল তো থাকবেই। খালি মাঠে গোল দেয়ার মতো আর কি? গোলপোস্ট যেখানে নেই সেখানে চারদিকেই মনে হয় গোলপোস্ট। একজন সহকর্মী বললেন, নির্বাচন কমিশন নাকি দিনভর তটস্থ ছিল। কারণ, তারা নাকি ভাল কিছু আশা করেছিল। সেটা আবার কি? কাজী রকিবউদ্দীনের চরিত্রের মধ্যেই ভাল কিছু নেই। বিএনপি’র জমানায় পর্দার আড়াল থেকে কলকাটি নাড়ানো হতো। আওয়ামী জমানায় রাখঢাক কিছু নেই। সব কিছুই প্রকাশ্য। কতভাগ মানুষ ভোট দিলেন- তা কিন্তু রাতে জানা গেল না। কারণ, চাপের মধ্যে রয়েছেন কাজী রকিব। আওয়ামী ইচ্ছা সেটা যেন ৪০-এর ওপরে হয়। সে রকম চেষ্টা চলছে রোববার দুপুর থেকে। রাতেও কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। কেন পারেনি? মিডিয়া সর্বনাশ করে দিয়েছে। সরকার বিরোধী কোন মিডিয়া নয়। হাল জমানায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত টিভিগুলো ভোটের চিত্র যা দেখিয়েছে তাতে দেশবাসী জেনে ফেলেছে ভোটের গোপন রহস্য। বিশ্ববাসীও ধরে ফেলেছে ভোটের যতসব চালাকি। নিরপেক্ষ ভাষ্যকাররা বলছেন, দশ থেকে পনের পার্সেন্ট ভোটারের উপস্থিতি দেখালেও বেশি বলা হবে। রাজধানীর বস্তিবাসীদের কি যে আনন্দ। তিন আসনে ভোট দিয়ে একেকজন হাজার টাকা কামিয়েছে। লাইনে দাঁড়ালেই পয়সা পেয়েছে। আসল কাজটা সেরে ফেলেছে ভোটের কারিগররা। আগে যেমনটা ঘটেনি এবার ঘটেছে। প্রিসাইডিং অফিসার নিজেই যেখানে সিল দিয়েছেন সেখানে ভোটের হিসাব মেলানো কঠিন নয়। পত্রিকায় ছবি দেখে প্রিসাইডিং অফিসার সাময়িক লজ্জা পেলেও তার জন্য প্রমোশন অপেক্ষা করছে। গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য এবার অমোচনীয় কালিরও দরকার হয়নি। প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্টরা নিখুঁতভাবে কাজটা সম্পন্ন করেছেন। কোন কোন অঞ্চলে নাকি রাতেই ভোটরঙ্গ মঞ্চস্থ হয়ে যায়। উপদেষ্টা এইচটি ইমাম খাঁটি কথা বলেছেন। এবারের ভোট নাকি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। উদাহরণ তো বটেই। ভোটে না দাঁড়িয়েও জেতা যায়। হাসপাতালে বসে এরশাদ হাসছেন। এটাও সম্ভব। সব সম্ভবের দেশে ১৫৩ জন যেখানে বিনা লড়াইয়ে জেতে যান সেখানে ভোটের হিসেব নিয়ে মন্তব্য না করাই ভাল। ভোটের ইতিহাসে নয়া ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন ৪১টি কেন্দ্রের সম্মানিত ভোটারেরা। তারা ভোট দিতে যাননি। এমন প্রতিবাদ থেকে শাসকরা বুঝতে পারছেন না তারা কি বার্তা দিয়েছে। স্যালুট জানাই তাদের। আসুন সবাই মিলে তারস্বরে বলিÑ জয় হোক ভোটের, গণতন্ত্রের। মিডিয়ার কি করার আছে? বসে বসে হিসেব মেলাবে। নাকি রেকর্ড রাখবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। একতরফাভাবে গায়েবি ভোটের দৌড়ে হাসিনা এগিয়ে থাকলেন। এরশাদ ছিলেন প্রথম। দ্বিতীয় খালেদা। এবার হাসিনা নয়া রেকর্ড তৈরি করে সবাইকে টেক্কা মারলেন। গায়ে লাগলো ময়লা। তিনিও তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী। খালেদা এখন আর সেটা দাবি করতে পারবেন না। এখন যদি কিছু হয়। অর্থাৎ সমঝোতা। যেহেতু তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন শেখ হাসিনা সেখানে সমঝোতা হতে আপত্তি কোথায়? আসলে কি তা হবে? বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। ভোটার বিহীন নির্বাচন করে যারা উল্লাস করছে তাদের কাছে এই প্রত্যাশা আসলে কতটুকু বাস্তবসম্মত! দেশ জ্বলছে। মানুষ মরছে। চারদিকে শুধু নাই আর নেই। ব্যবসা-বাণিজ্য পঙ্গু। দিনমজুরদের মুখের হাসি কেড়ে নেয়া হয়েছে। এবার যদি তারা ঘুরে দাঁড়ায়। আর আমজনতা! তারা মার খাবে দু’দলের। ভোটে না গিয়ে তারা অবশ্য প্রতিবাদ জানিয়েছে। কেউ কেউ বলেন নীরব। আসলে এটা ছিল সরব প্রতিবাদ। জনগণের সম্মিলিত প্রতিবাদ গণতন্ত্রের খোলসটাকে রক্ষা করেছে। শাসকরা যদি এখন এই খোলসটাকেও শেষ করে দিতে চান তাহলে যা হবার তাই হবে। গণতন্ত্র নির্বাসিত হবে। একনায়কতন্ত্রের কাছে বন্দি হবে দেশ। সে পথে হাঁটার জন্য বড্ড তাগিদ। ভোট শেষ হতে না হতেই পাশের বাড়ি থেকে পরামর্শ এসে গেছে, দুনিয়াকে নাকি তারা বোঝাবে দোহাই লাগে এই দেশটির বিরুদ্ধে অবরোধে শামিল হইও না। নির্বাচন কেমন হলো তা বিচার না করে জঙ্গিবাদ বিরোধী কাফেলায় শরিক হওয়াই এই মুহূর্তের জরুরি তাগিদ। মন্দ নয় তাদের এই পরামর্শ। এই পরামর্শ শুনলে শেখ হাসিনার কতটুকু লাভ হবে জানি না- তবে দেশের সমূহ ক্ষতি হবে। শাসককুল জানেন কিনা জানা নেই, তরুণ সমাজ কিন্তু ক্ষেপে রয়েছে। নতুন ভোটারদের প্রতিবাদ আরও কঠিন হতে পারে। সেদিকে হয়তো দেশটা যাচ্ছে। সনাতনী রাজনীতির ধারা থেকে দেশটা যে কোন সময় বেরিয়ে যেতে পারে। এই মন্তব্য প্রতিবেদন যখন লিখছি তখন একজন অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক ফোনে জানতে চাইলেন কি হচ্ছে। বললাম, জানি না। কি আর হবে আমাদের নিয়তি যা তাই তো হবে। এর বাইরে কি? তিনি হাসলেন।


Gayebi vote , he was First Minister /Gayebi vote . Old term . We went to men . 17 years ago, the story does not seem to stay . Was heard again on January 5 votes , voting history, it is one of the new section. Election Commission did not shame . Festive rulers . Yet he has voted . Rusted However , it can do - come . Even if voters do not vote when the vote so why not drill ? Sunday was a vote . Gayebi was driven by the box. Zero in the morning , at noon, a little , very laden afternoon . That was mean - the brainchild of drowning when their boat sank . The bread is paumchalo shore . However, there is at the helm of the boat . And do not do it . New boats will make . She would say , the boat did not work well . So I can not empty the boat to continue . I remain yours . What are the goals of the empty field ? Caradikei where there seems goalpost goalpost . A colleague said , had approached the Election Commission or the daytime . Because , they were expected to do something good . What is it again ? There are already some good ol ' rakibauddinera character . BNP was shaken during the kalakati from behind . AL during the rakhadhaka nothing . Everything is clear . Voting katabhaga people - did not know it , but at night . The pressure Consequently supplements . That party will be 40 - is over . She is trying way to Sunday . The Commission could decide to go out at night . Why not ? The media has to defeat . No media is not anti-government . Images that showed up to vote in the country during the licensed tibhigulo have learned the secret vote . For the world has cleverly yatasaba vote . Neutral commentators says , showed the presence of more than ten to fifteen parsenta voters will be asked . What's the joy in the slums of the capital . Three seats with votes of individual kamiyeche money . Damralei line was money . Karigarara vote has recovered the real thing . As has happened before now . Counting of votes the presiding officer has sealed itself is not very hard . Magazine cover temporary presiding officer , but the shame is waiting for her promotion . I did not need to protect democracy kalirao ineffaceable . Presiding officers , polling agents have faithfully carried out the work . Are there any areas that are staged in bhotaranga night . Adviser HT Imam speaks authentic . Or example in this year's vote . Examples anyway. Standing vote was won . Says, smiling , sitting in the hospital . Also possible. 153 people in all countries where you can go without a fight and wins best not to comment on the vote estimates . New History made voting history centers in 41 voters respected . They did not vote . They did not understand the message that governments have to protest . Salute them. Let 's get together and win the Ñ squall voting , democracy . What does the media do ? Sit estimated fair. Worrying about the future or keep records . She ran to the polls and stayed ahead unilaterally gayebi . Says the first . II Outdoor . Now all she had to create new records, closed his ace . Starts on dirt. He is the third time . She is no longer able to claim it . Now if there is anything . The negotiations . Became the third Prime Minister , there is no objection to be negotiating ? In fact , what would it be ? It is hard to believe . Profit is the voters who cheer them on how realistic these expectations actually ! Country lightening. They are people . There just are not around anymore . Business - trade lame. Qualifed has taken away smile . Now if they bounced . And amajanata ! They eat licking two groups. They are going to vote , however, has protested . Someone said Mum . In fact it was a loud protest . Kholasatake democracy protests have combined to protect the public . If you want to end this now kholasatakeo rulers that would be so . Democracy will be exiled . Entangled in the country 's dictatorship . He's way too crave for a walk . Vote is not going to be the last suggestion has come from next door , or the understanding of the world of sake Never be in this country joined the siege . Do not judge it by how the militancy in the party haoyai anti kaphelaya important reminder of this moment . These suggestions are not evil . How much will the Prime Minister do not know when we hear this advice - but will the loss . Sasakakula not know if you know , but young people are angry . New voters may be more difficult to protest . Going towards the land . From traditional country style of politics that can go out at any time . Report this comment write what he wanted to know the phone is a retired diplomat . I do not know . So that is what our destiny is . What 's out ? He smiles.
 
Back
Top Bottom