কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আগুন পুড়িয়ে মানুষ মারার নেপথ্যে যারা ছিল !
আখতার মাহমুদ
চৌদ্দগ্রামের যে জায়গায় বাসটি পোড়ানো হয়েছে সে জায়গাটির নাম মিয়াবাজার । এর আশেপাশেই ঢাকা চিটাগাং মহাসড়কের পাশে হোটেল হাইওয়ে ইন। এই ঘটনার পেছনে জড়িতদের মূল পরিচয় আমাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। ঘটনার দুদিন আগ থেকেই যৌথ বাহিনী ও তাদের রাজাকারতুল্য ( পাকবাহিনীর অনুকরনে ) লীগ বাহিনী মিলে বিরোধী দলের সকল নেতাকর্মীকে এলাকা ছাড়া করে। এই ঘটনার সাক্ষী এলাকার আপামর জন সাধারন । এমতাবস্থায় অন্য কোন এলাকা থেকে বিএনপি জামায়াতের কর্মীরা এসে এই জায়গায় ১১০ কিলো বেগে চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা ছুড়ে সাত জন যাত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে মারতে পারবে তা বিশ্বাস করা কষ্টকর।
ঘটনার আগের দিন রাতে হোটেল হাইওয়ে ইনে কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের নেতৃত্বে একটি গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই ওমর ফারুক হলেন বিজিবির মহাপরিচালক জেনারেল আজিজের খালাত ভাই। বিজিবির এই শীর্ষ অফিসার আবার শীর্ষ সন্ত্রাশী জোসেফ ও হারেসের আপন ভাই। এই বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বিজিবির সেক্টর কম্যান্ডার কর্ণেল শাহরিয়ার, বিজিবির গোয়েন্দা শাখার প্রধান কর্ণেল সেলিম ( মীরপুরের গডফাদার ও আওয়ামী এমপি কামাল মজুমদারের মেয়ে জামাই), চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি, বিওপির কম্যান্ডার এবং রেলমন্ত্রীর এপিএস জসীম এবং পি.এ.মোশাররফ।
এখানে উল্লেখ্য, কর্ণেল শাহরিয়ার ও কর্ণেল সেলিম একদিন আগ থেকেই ঘটনার সন্নিকটে শিবের বাজার ক্যাম্পে অবস্থান করছিলেন।
কর্ণেল শাহরিয়ার সেনাবাহিনীতে স্বীকৃত নাস্তিক হিসাবে সুপরিচিত। বর্তমান সরকারের প্রথম দিকে সহকারী সামরিক সচিব হিসাবে নিয়োগ দিয়েছিলেন।
এই মিটিংএ জোসেফ বাহিনীর তিন চার জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এই মিটিং থেকেই তাদেরকে বাসের উপর আক্রমনের দায়িত্বটি বুঝিয়ে দেয়া হয়। পুরো ঘটনাটি ঢাকা থেকে পরিচালনা করেন ঐ গোয়েন্দা সংস্থার রাজনৈতিক শাখার( আইএবি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তাবরিজ শামস এবং তার স্টাফ অফিসার লেঃ কর্ণেল মকসুরুল। কিছুদিন পূর্বে বিএনপি নেতা রিয়াজ রহমানের উপর আক্রমনটিও এই লেঃ কর্ণেল মকসুরুলের নেতৃত্বে পরিচালনা করা হয়েছিল।
দক্ষতা ও যোগ্যতায় পিছিয়ে থাকা কিছু অফিসারকে আশাতীত পদোন্নতি দিয়ে কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে। এখন সরকারের যে কোন জঘন্য পরিকল্পনা নিজের গরজেই এরা করে দেয়।
দেশের মানুষের সবচেয়ে বড় আস্থার জায়গা দেশের দেশপ্রেমিক সামরিক বাহিনীকে পুরাপুরি খুনী ও ক্রিমিনাল বাহিনীতে পরিণত করে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। এমনকি কিলিং মিশনে এরা এখন ভাড়া খাটে।নারায়নগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় লুঙ্গি মায়ার মেয়ের জামাই লেঃ কর্ণেল তারেকের কাহিনী জাতিকে পুরোদমে বাকরুদ্ধ ও স্তম্ভিত করে দিয়েছে। র্যাবের এডিজি কর্ণেল জিয়া নৃশংসতার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে।
সূত্র:
http://goo.gl/34KJKk