মারমেইড ইকো রিসোর্ট
-------------------
চলুন ঘুরে আসি ''মারমেইড ইকো রিসোর্ট ''। বিদেশে নয়, বাংলাদেশেই।
মারমেইড ইকো রিসোর্ট-প্যাঁচার দ্বীপ : স্বপ্নিল সৌন্দর্যের এক আবাসভূমি কক্সবাজার এয়ারপোর্ট থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে রেযুখাল নদী। সেই নদীর তীরে জেলেদের এক ছোট্ট গ্রাম প্যাঁচার দ্বীপ। সে গ্রামের প্রায় সবাই মাছ শিকার করে জীবন চালায়।যেখানে একবেলা ভাত খাওয়ার সুযোগ পেত না তারা, সেখানে খেয়ে-পড়ে বাঁচতে পারছে এখন।কক্সবাজার এয়ারপোর্ট থেকে অটো রিক্সায় মাত্র ২০ মিনিটেই পৌঁছানো যায় সেখানে। সেই জায়গায় কাজ জোটে প্যাঁচার দ্বীপ গ্রামের দরিদ্র-বেকার মানুষের, কারণ এখানেই রয়েছে "মারমেইড ইকো রিসোর্ট" । বদল নান্দনিক এ মারমেইড রিসোর্টটি ইকো-ট্যুরিজমের এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ। বাংলাদেশের ব্যক্তিগত খাতে নির্মিত ইকো রিসোর্টের মধ্যে অন্যতম নাম মারমেইড রিসোর্ট। মূলত ইকো ট্যুরিজমের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রকৃতির কোনোরূপ সম্পদের বিনষ্ট না করে পরিবেশবান্ধবভাবে উপভোগ্য কোনো জায়গা তৈরি করা। এ বিষয়টিকে মাথায় রেখেই মারমেইড ইকো রিসোর্টটি যে নির্মাণ করা হয়েছে তা একবার ঘুরে এলেই অনুধাবন করা যায়। এ রিসোর্টটি তৈরি করার সময় পরিবেশের ভারসাম্যের প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখা হয়েছিল। থাকার ঘরগুলোর ছাদ-চালা বাঁশ ও ছন দিয়ে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন তা গাছপালাগুলোর উচ্চতাকে ছাড়িয়ে না যায়। আশপাশের নৈসর্গিক দৃশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সব জায়গায় মাটি এবং কাঠ রঙের ব্যবহার করা হয়েছে। অযত্নে বেড়ে ওঠা বুনো লতাগুল্মগুলোও যেন এই রিসোর্টের ভালোবাসার ধন। সেগুলো যেন স্বাভাবিক নিয়মে বেড়ে উঠতে পারে তা নিয়েও ভাবা হয় অনেক। বাংলোর জানালা ও দরজারগুলো বড় বড় যেন আগত অতিথিরা সুনির্মল বাতাস অথবা বৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পুরোপুরি উপভোগ করতে পারে। রাতে চোখ ধাঁধানো নিয়ন আলোর পরিবর্তে তাই খয়েরি ঠোঙার ভেতর মোমের আলো জ্বালিয়ে রাখা হয়। রিসোর্টটির পাশেই স্থানীয় মন্দির, মাছের বাজার এবং অন্যান্য দেশীয় কৃষ্টির নিদর্শন পাওয়া যায়। নেই জমকালো ভাব, আছে নিরিবিলি পরিবেশ ও নিরাপত্তা। আছে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বাছাইকৃত কর্মী, যাদের আন্তরিক ব্যবহার মুগ্ধ করবে সবাইকে। সেখানে বেড়াতে আসা এক পরিবারের মুখ থেকে শোনা যাক এ রিসোর্ট সম্পর্কেঃ “আমরা এই ইকো রিসোর্টে অন্যান্য পরিবারের সঙ্গে একটি আলাদা ভিলায় তিন রাত ছিলাম । যে আশা নিয়ে এসেছিলাম আমাদের সে আশা পূর্ণ হলো যেন। এখানকার ঘরগুলো নানারকম উপাদান দিয়ে বেশ সুন্দর করে সাজানো। খোলামেলা পরিবেশ কারণে ঘর থেকেই অনাবিল সমুদ্র দেখা যায়। বিদ্যুতের ব্যবস্থা রয়েছে, তবে তা শুধু সন্ধ্যার পর ব্যবহার করা হয়। এখানে খাবারের মান বেশ ভালো, দামেও সাশ্রয়ী। রয়েছে রিসোর্টের নিজস্ব অপূর্ব সুন্দর সৈকত। সবশেষে বলতে হয়, রিসোর্টটিতে কেমন যেন এক ভালোলাগা ভাব ছড়িয়ে আছে, যা ভাষায় প্রকাশ করে বোঝানো সম্ভব নয়, কেবল অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়েই তা অনুভব করা যায়।”
রুম এবং ভাড়া কত হতে পারেঃ
১
১ বেডরুমের ওয়াটার বাংলঃ ৩৫০০ থেকে শুরু ( হাই সিজন ডিসেম্বর - মার্চ ) , ২০০০ থেকে শুরু ( মিড সিজন এপ্রিল - অগাস্ট ) , ১৫০০ ( লো সিজন সেপ্টেম্বর - নভেম্বর )
২
ওয়ান বেডরুম লিভিং রুম ভিলাঃ ৬০০০ থেকে শুরু ( হাই সিজন ডিসেম্বর - মার্চ ) , ৪০০০ থেকে শুরু ( মিড সিজন এপ্রিল - অগাস্ট ) , ৩০০০ ( লো সিজন সেপ্টেম্বর - নভেম্বর )
৩
ওয়ান বেডরুম স্টুডিও ভিলাঃ ৬৫০০ থেকে শুরু ( হাই সিজন ডিসেম্বর - মার্চ ) , ৫০০০ থেকে শুরু ( মিড সিজন এপ্রিল - অগাস্ট ) , ৪০০০ ( লো সিজন সেপ্টেম্বর - নভেম্বর )
৪
দুই বেডরুম ভিলাঃ ৮০০০ থেকে শুরু ( হাই সিজন ডিসেম্বর - মার্চ ) , ৫০০০ থেকে শুরু ( মিড সিজন এপ্রিল - অগাস্ট ) , ৪২৫০ ( লো সিজন সেপ্টেম্বর - নভেম্বর )
৫
আশ্রাম ভিলাঃভিলার মধ্যে ভিলা (প্রাইভেট বিচ সহ
১০০০০ থেকে শুরু ( হাই সিজন ডিসেম্বর - মার্চ ) , ৭০০০ থেকে শুরু ( মিড সিজন এপ্রিল - অগাস্ট ) , ৫০০০ ( লো সিজন সেপ্টেম্বর - নভেম্বর )
***এছাড়াও নতুন সংযোজন আছেঃ ১
মিস মারমেইড বাংল(১০০০০
২
মারমেইড এন্ড হার সিস্টার ( ১০০০০
৩
মাড হাইজ (১০০০০/একদিন এক রাত ) , এগুলো সবই সি এবং হিল ভিউ ***
অন্যান্য সুযোগ সুবিধাঃ
১
ফিসিং - ৫০০-২০০০ প্রতি ঘণ্টা।
২
বারবিকিউ ।
৩
সারফিং - ৫০০/ ঘণ্টা , ১৫০০ / ঘণ্টা ( প্রশিক্ষক সহ )
৪
বিচ ভলিবল ।
৫
মরনিং বিচ ওয়াক ।
৬
গার্ডেন বারবিকিউ ।
যোগাযোগঃ
১
Reservations & Info +88 01841416464-9
২
Dhaka Office
2nd floor, house 33, road 11,
Baridhara Diplomatic Zone
Zip code: 1212,
Bangladesh
৩
Resort Address
Pechar Dwip,
Cox's Bazar
+880 01841416464-9
- MHJ ...