asad71
PROFESSIONAL
- Joined
- May 24, 2011
- Messages
- 6,863
- Reaction score
- 4
- Country
- Location
যুদ্ধজাহাজ রপ্তানি করবে বাংলাদেশ
কাজী সোহাগ | ৫ এপ্রিল ২০১৪, শনিবার, ১০:৫৮
যুদ্ধজাহাজ রপ্তানি করবে বাংলাদেশ। নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তৈরি হবে এসব জাহাজ। তালিকায় রয়েছে অত্যাধুনিক পেট্রল ক্রাফট। মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে এরই মধ্যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বিশেষ করে কাতার, বাহরাইন ও কুয়েতে। আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে এসব দেশকে দেয়া প্রস্তাবনায় যুদ্ধজাহাজ তৈরীর সক্ষমতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি নিজেদের তৈরী জাহাজের নমুনাও পাঠানো হয়েছে। খুলনা শিপইয়ার্ড থেকে নির্র্মাণ করা হবে অত্যাধুনিক এসব যুদ্ধজাহাজ। নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে এসব তথ্য জানান। মূলত অস্ত্রের আমদানি কমাচ্ছে বাংলাদেশ। উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে দেশেই উন্নতমানের অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরির। এরই মধ্যে রাইফেল, ক্ষুদ্রাস্ত্র কার্তুজ, গ্রেনেড, আর্টিলারি শেল, লাইট মেশিনগান, সিগন্যাল পিস্তল তৈরিতে সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ আগে সমপূর্ণ আমদানিনির্ভর ছিল। এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। চাহিদা অনুযায়ী এসব অস্ত্রের নির্মাণ ক্ষেত্রবিশেষে দ্বিগুণ করা হয়েছে। এতে হাজার হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিদেশ থেকে অস্ত্র আমদানিতে নানা রকম বাধা রয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিবন্ধকতাও উল্লেখ করার মতো। পাশাপাশি উচ্চহারের সুদ ও নানা শর্তের মুখোমুখি হতে হয়। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কোন কোন দেশের কাছে অস্ত্র আমদানিতে জবাবদিহির বিষয়টিও থাকে। নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, যুদ্ধজাহাজ রপ্তানি বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের অর্জন। অতীতে অস্ত্র ও জাহাজ আমদানিতে বিপুল পরিমাণে অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। এবার জাহাজ রপ্তানির মাধ্যমে অস্ত্র ব্যয় কমবে। উল্টো আমরাও বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবো। এর আগে বাংলাদেশ নিজেদের জন্য ৫টি পেট্রল ক্রাফট তৈরি করে। এসব জাহাজ ৫০ দশমিক ৪ মিটার লম্বা এবং ২৫৫ টন ওজনের আধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত। ২০ নট গতির জাহাজে বহন করা যাবে ২টি ৩৭ এম এম এবং ২টি ২০ এম এম অত্যাধুনিক অস্ত্র, যা স্থল ও বিমানে আঘাত হানতে সক্ষম। ২০১২ সালের ৮ই অক্টোবর প্রথম পেট্রল ক্রাফটটি নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে নৌবাহিনী পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডেও দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক যুদ্ধসরঞ্জাম। শিগগিরই এখান থেকেও রপ্তানিযোগ্য অস্ত্র তৈরির উদ্যোগ নেবে নৌবাহিনী। গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি এ বাহিনীতে যোগ হয়েছে হারবার পেট্রল বোট (এইচপিবি)। ১৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫ দশমিক ২১ মিটার প্রস্থের এ বোট মেরিন গ্রেড অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি, যা ২৫ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে সক্ষম। সংশ্লিষ্টরা জানান, আধুনিক ও উন্নতমানের সরঞ্জাম দ্বারা সজ্জিত বোট নৌপথে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়াও দেশের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে সংঘটিত অপরাধ দমনের পাশাপাশি দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ বিতরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। বোট দু’টির নির্মাণ ব্যয়, বিদেশ থেকে আমদানি খরচের চেয়ে কম। ভবিষ্যতে এ ধরনের বোট বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা সম্ভব। ১৯৮৪ হতে ১৯৯৯ পর্যন্ত ক্রমাগতভাবে ১৫ বছর এ ডকইয়ার্ডকে বিপুল লোকসানের কারণে রগ্্ণ শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ অবস্থায় নৌবাহিনী ১৯৯৯ সালে নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডের দায়িত্বভার গ্রহণ করে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি দেশীয় বিভিন্ন সংস্থার জন্য নৌযান নির্মাণ করছে। নৌবাহিনীর দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও কর্মকর্তা কর্মচারীর নিরলস পরিশ্রমের ফলে প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র বিজয় করে বাংলাদেশের জলসীমার বিস্তৃতি ঘটেছে। তাই নৌবাহিনীকে বিশেষভাবে শক্তিশালী করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী গঠনে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে চীন থেকে দু’টি অব দ্য সেলফ সাবমেরিন ও দু’টি ফ্রিগেট কেনা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি ইউএসসিজি কাটার ডালাস (ডব্লিউএইচইসি-৭১৬) শিপ সংগ্রহের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে দু’টি মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট (এমপিএ) কিনতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, নৌবাহিনী অবকাঠামো নির্মাণের চেয়ে আধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষণের ওপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করে। অফিসার ও নাবিকদের দক্ষতা বাড়াতে প্রতি বছর নিয়মিতভাবে বিভিন্ন কোর্স, মহড়া এবং প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হচ্ছে। এ ছাড়া আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র সামগ্রী চালনা ও প্রশিক্ষণের জন্য কর্মকর্তা ও নাবিকদের নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তা ছাড়া দেশের অভ্যন্তরে অন্যান্য সংস্থায় এবং বিদেশেও প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হচ্ছে।
Source: http://mzamin.com/de...MTc5MTU=&s=Mw==
Unfortunately I do not have the time to translate this into English. In short BD is going to build modern patrol craft for export. The report says formal proposals have been sent to Qatar,Bahrain and Kuwait. But insiders say Qatar deal is already through.
কাজী সোহাগ | ৫ এপ্রিল ২০১৪, শনিবার, ১০:৫৮
যুদ্ধজাহাজ রপ্তানি করবে বাংলাদেশ। নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তৈরি হবে এসব জাহাজ। তালিকায় রয়েছে অত্যাধুনিক পেট্রল ক্রাফট। মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে এরই মধ্যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বিশেষ করে কাতার, বাহরাইন ও কুয়েতে। আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে এসব দেশকে দেয়া প্রস্তাবনায় যুদ্ধজাহাজ তৈরীর সক্ষমতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি নিজেদের তৈরী জাহাজের নমুনাও পাঠানো হয়েছে। খুলনা শিপইয়ার্ড থেকে নির্র্মাণ করা হবে অত্যাধুনিক এসব যুদ্ধজাহাজ। নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে এসব তথ্য জানান। মূলত অস্ত্রের আমদানি কমাচ্ছে বাংলাদেশ। উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে দেশেই উন্নতমানের অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরির। এরই মধ্যে রাইফেল, ক্ষুদ্রাস্ত্র কার্তুজ, গ্রেনেড, আর্টিলারি শেল, লাইট মেশিনগান, সিগন্যাল পিস্তল তৈরিতে সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ আগে সমপূর্ণ আমদানিনির্ভর ছিল। এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। চাহিদা অনুযায়ী এসব অস্ত্রের নির্মাণ ক্ষেত্রবিশেষে দ্বিগুণ করা হয়েছে। এতে হাজার হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিদেশ থেকে অস্ত্র আমদানিতে নানা রকম বাধা রয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিবন্ধকতাও উল্লেখ করার মতো। পাশাপাশি উচ্চহারের সুদ ও নানা শর্তের মুখোমুখি হতে হয়। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কোন কোন দেশের কাছে অস্ত্র আমদানিতে জবাবদিহির বিষয়টিও থাকে। নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, যুদ্ধজাহাজ রপ্তানি বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের অর্জন। অতীতে অস্ত্র ও জাহাজ আমদানিতে বিপুল পরিমাণে অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। এবার জাহাজ রপ্তানির মাধ্যমে অস্ত্র ব্যয় কমবে। উল্টো আমরাও বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবো। এর আগে বাংলাদেশ নিজেদের জন্য ৫টি পেট্রল ক্রাফট তৈরি করে। এসব জাহাজ ৫০ দশমিক ৪ মিটার লম্বা এবং ২৫৫ টন ওজনের আধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত। ২০ নট গতির জাহাজে বহন করা যাবে ২টি ৩৭ এম এম এবং ২টি ২০ এম এম অত্যাধুনিক অস্ত্র, যা স্থল ও বিমানে আঘাত হানতে সক্ষম। ২০১২ সালের ৮ই অক্টোবর প্রথম পেট্রল ক্রাফটটি নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে নৌবাহিনী পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডেও দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক যুদ্ধসরঞ্জাম। শিগগিরই এখান থেকেও রপ্তানিযোগ্য অস্ত্র তৈরির উদ্যোগ নেবে নৌবাহিনী। গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি এ বাহিনীতে যোগ হয়েছে হারবার পেট্রল বোট (এইচপিবি)। ১৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫ দশমিক ২১ মিটার প্রস্থের এ বোট মেরিন গ্রেড অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি, যা ২৫ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে সক্ষম। সংশ্লিষ্টরা জানান, আধুনিক ও উন্নতমানের সরঞ্জাম দ্বারা সজ্জিত বোট নৌপথে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়াও দেশের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে সংঘটিত অপরাধ দমনের পাশাপাশি দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ বিতরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। বোট দু’টির নির্মাণ ব্যয়, বিদেশ থেকে আমদানি খরচের চেয়ে কম। ভবিষ্যতে এ ধরনের বোট বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা সম্ভব। ১৯৮৪ হতে ১৯৯৯ পর্যন্ত ক্রমাগতভাবে ১৫ বছর এ ডকইয়ার্ডকে বিপুল লোকসানের কারণে রগ্্ণ শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ অবস্থায় নৌবাহিনী ১৯৯৯ সালে নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডের দায়িত্বভার গ্রহণ করে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি দেশীয় বিভিন্ন সংস্থার জন্য নৌযান নির্মাণ করছে। নৌবাহিনীর দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও কর্মকর্তা কর্মচারীর নিরলস পরিশ্রমের ফলে প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র বিজয় করে বাংলাদেশের জলসীমার বিস্তৃতি ঘটেছে। তাই নৌবাহিনীকে বিশেষভাবে শক্তিশালী করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী গঠনে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে চীন থেকে দু’টি অব দ্য সেলফ সাবমেরিন ও দু’টি ফ্রিগেট কেনা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি ইউএসসিজি কাটার ডালাস (ডব্লিউএইচইসি-৭১৬) শিপ সংগ্রহের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে দু’টি মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট (এমপিএ) কিনতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, নৌবাহিনী অবকাঠামো নির্মাণের চেয়ে আধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষণের ওপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করে। অফিসার ও নাবিকদের দক্ষতা বাড়াতে প্রতি বছর নিয়মিতভাবে বিভিন্ন কোর্স, মহড়া এবং প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হচ্ছে। এ ছাড়া আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র সামগ্রী চালনা ও প্রশিক্ষণের জন্য কর্মকর্তা ও নাবিকদের নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তা ছাড়া দেশের অভ্যন্তরে অন্যান্য সংস্থায় এবং বিদেশেও প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হচ্ছে।
Source: http://mzamin.com/de...MTc5MTU=&s=Mw==
Unfortunately I do not have the time to translate this into English. In short BD is going to build modern patrol craft for export. The report says formal proposals have been sent to Qatar,Bahrain and Kuwait. But insiders say Qatar deal is already through.
Last edited: