What's new

Alarming decrease in Hindu population in Bangladesh

CaPtAiN_pLaNeT

SENIOR MEMBER
Joined
May 10, 2010
Messages
7,685
Reaction score
0
Alarming decrease in Hindu population in Bangladesh


Alarming decrease in Hindu population in Bangladesh :: Weekly Blitz

by Salah Uddin Shoaib Choudhury
September 22, 2012


In past ten years, in comparing to the growth of the total population in Bangladesh, there is an alarming decrease of Hindu population in the country. According to statistics available with the government sources, the proportionate decrease in Hindu population is around nine hundred thousand. The statistics show almost elimination of Hindu population in fifteen districts in the country. Most of the Hindu families in those districts were forced to leave the country. In 2001, the total number of Hindu population in Bangladesh was 116.83 million, while the population was expected to be 132 million in 2011. But the latest statistics available with the government shows the total number of Hindu population at 123 million, which is nine hundred thousand less than the expected rate of growth. Currently 8.5 percent of the total population of Bangladesh is Hindus, while in 2001, it was 9.2 percent. The proportion of Christian, Buddhist and other religious minority population did not see any decline in the past. Currently the total number of Muslim population in Bangladesh is 90.4 percent. The district-wise statistics of population sees "huge decline" or "almost elimination" of Hindu population in fifteen districts, though the statistics terms the decline of Hindu population as "missing population".

Rise of Islamists as well as greed of forceful occupation of Hindu properties has compelled hundreds of Hindu families in migrating to other countries, while Islamic Missionaries engaged in converting Hindus are also liable for such decrease in Hindu population in Bangladesh. Currently more than three hundred Islamic charitable organizations are actively engaged in patronizing and funding converting Hindus into Islam. At the same time, one of the reasons behind decrease in Hindu population is lesser rate of total fertility rate. Hindus in Bangladesh started migrating to various countries, including neighboring India since the partition of British India in 1947. Muslim influential figures in various parts of Bangladesh, irrespective of their political identities have been continuing to force hundreds Hindu families in selling their properties at unbelievably cheaper price and migrate mostly to India in order to skip numerous forms of repressive actions. If any Hindu tried to protect their ancestral property and resist undue pressure of the Muslims, either their houses were set on fire or female members of those families were forcefully abducted as well as gang-raped. In most cases, law enforcing agencies, instead of standing in protecting the Hindu families, tried to defend the perpetrators, simply because of their political identity or social status. Whichever party came in power in Bangladesh, repression on Hindus never stopped, as it has become a type of social disease within the Muslim population of Bangladesh in applying repressive actions on the Hindus and other religious minority groups, thus finally compelling them in leaving the country by selling their properties only at a token price.

Secretary General of Bangladesh National Hindu Grand Alliance, advocate Gobinda Chandra Pramanik said, "Hindu girls are becoming victim of abduction and rape on an increased frequency. That is why, most of the Hindu families in Bangladesh either send their girl children to various educational institutions in India or get them married at tinder age simply to save their religious and social dignity."

He said, "Though some of the Hindu rights groups are falsely claiming that the forceful migration of Hindu families had decreased since Bangladesh Awami League came in power, the reality is actually just the opposite. Even during this present government, which came in power in 2009, there had been numerous attacks on Hindu families and temples in the country as well as alarming rise in the forceful abduction and religious conversion of Hindu girls and boys throughout the country."

Citing example of Gopalganj district in Bangladesh, which is considered to be the exclusive vote bank of Bangladesh Awami League and safe heaven for the Hindus, Gobinda Chandra Pramanik said, "In 2001, the total Hindu population at Gopalganj district was 371,000, while now it has gone down below fifty thousand. This statistics will prove the fact of repression on Hindu population even in the district, which is wrongly considered as 'safe heaven' for the Hindus in Bangladesh."

He said, "The burden of 'Enemy Property Act', which later was changed into 'Vested Property Act' has already caused hundreds and thousands of Hindu families in leaving Bangladesh either by selling their properties at token price or simply abandoning their ancestral properties into the grips of the greedy Muslim influential figures belonging to Bangladesh Awami League, Bangladesh Nationalist Party, Bangladesh Jamaat-e-Islami and Jatiyo Party. Though a large proportion of the Hindu populations consider Bangladesh Awami League as their own party and almost as guardians of protecting the rights of Hindus, in the past, very unfortunately, Awami League never kept its promises in protecting the Hindus."

Seeking anonymity, a Hindu community leader in Gopalganj district said, "Bangladesh Awami League though proclaims to be a party totally committed to protecting rights of Hindus and religious minorities in Bangladesh, unfortunately their political behavior is no different than any other political party in Bangladesh. No Hindu has ever been placed into top most posts in the Central Committee or district level committees of Bangladesh Awami League. Though it is very unfortunate, but this is the ground reality."
Related Topics: Op-Ed and Editorial


==============================================================

১০ বছরে ৯ লাখ হিন্দু কমেছে


http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-09-22/news/291536

শিশির মোড়ল | তারিখ: ২২-০৯-২০১২

৪৭ মন্তব্যপ্রিন্ট
ShareThis


2012-09-21-18-54-49-505cb7f9107a7-untitled-1.jpg



« আগের সংবাদ

সূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো
২০০১ ও ২০১১ সালের শুমারির জেলাভিত্তিক তথ্য পাশাপাশি রাখলে দেখা যায়, ১৫টি জেলায় হিন্দু জনসংখ্যা কমে গেছে। বিবিএসের কর্মকর্তারা বলেছেন, এসব জেলার হিন্দুরা দেশের অন্য কোনো জেলায় চলে গেছে, পরিসংখ্যান তা বলছে না। অর্থাৎ, অন্য জেলায়ও হিন্দু জনসংখ্যা বাড়েনি। কর্মকর্তারা এদের বলছেন, ‘মিসিং পপুলেশন’ বা ‘হারিয়ে যাওয়া মানুষ’।
বরিশাল বিভাগের কোনো জেলাতেই হিন্দুদের সংখ্যা বাড়েনি। বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা—এই ছয়টি জেলায় ২০০১ সালের আদমশুমারিতে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল আট লাখ ১৬ হাজার ৫১ জন। ২০১১ সালের শুমারিতে সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৬২ হাজার ৪৭৯ জনে।
খুলনা বিভাগের বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা—পাশাপাশি এই তিন জেলায় হিন্দুদের সংখ্যা আগের চেয়ে কমেছে। বিভাগের নড়াইল ও কুষ্টিয়া জেলার প্রবণতা একই। ঢাকা বিভাগের মধ্যে এ তালিকায় আছে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলা। অন্যদিকে রাজশাহী বিভাগের পাবনা জেলায়ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল রেখে হিন্দু বাড়েনি।
স্বাধীনতার আগের দুটি ও পরের পাঁচটি শুমারির তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মোট জনসংখ্যার তুলনায় হিন্দুদের সংখ্যা ও হার কমেছে। মুসলমানদের সংখ্যা ও হার সব সময়ই বেড়েছে। বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর হার মোটামুটি একই ছিল বা আছে।
প্রবীণ রাজনীতিক ও গণঐক কমিটির আহ্বায়ক পঙ্কজ ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, সাম্প্রদায়িক আবহ তৈরি করে সম্প্রীতি নষ্ট করায় এমনটা ঘটছে। জামায়াতের মতো শক্তিগুলো পরিকল্পিত ও নিয়মিতভাবে নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ, কুড়িগ্রামের চিরিরবন্দরে ধর্মীয় জিগির তুলে মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা লক্ষ করা গেছে। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের পাশে কেউ দাঁড়াচ্ছে না, তাদের আশ্বস্ত করছে না। নীরবে তাই দেশত্যাগ হচ্ছেই।
কেন কমছে: একাধিক শুমারির প্রতিবেদনে হিন্দু জনগোষ্ঠীর মধ্যে মোট প্রজনন হার (টোটাল ফার্টিলিটি রেট—টিএফআর) তুলনামূলকভাবে কম বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু এর পক্ষে কোনো তথ্য পরিসংখ্যান ব্যুরোর কাছে চেয়ে পাওয়া যায়নি।
তবে গোপালগঞ্জ, বরিশাল, ভোলার বিভিন্ন গ্রামে কথা বলে জানা গেছে, হিন্দুদের সংখ্যা কমে যাওয়ার বড় কারণ দেশত্যাগ। কয়েকটি জেলার লোকজন বলেছেন, ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগের সময় থেকে এই ভূখণ্ড ছেড়ে যাওয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের একটা স্বাভাবিক প্রবণতা। কেউ বলেছেন, মূল কারণ শত্রু সম্পত্তি আইন। বলেছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের চাপ ও নির্যাতনে পড়তে হয় হিন্দুদের। অন্যদিকে ভারতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দিলে তার আঁচও লাগে এ দেশের হিন্দুদের গায়ে।
‘বুক বেঁধে দাঁড়াবার সংস্কৃতি কমে গেছে’—এমন মন্তব্য করেছেন ড. আনিসুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ইমেরিটাস অধ্যাপক বলেন, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার অভাববোধ বাস্তব ও অনুমিত। সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে কিছু লোক নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে কিছু নেতা বা রাজনৈতিক দল সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে স্থানীয় পর্যায়ে সেই প্রতিশ্রুতি পালিত হয় না, কর্মী পাওয়া যায় না।
আতঙ্ক আছে চাঁদশী-ইল্লা-ধানডোবায়: বরিশাল জেলার গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা থেকে বেশ কিছু হিন্দু পরিবার ২০০১ সালের পর এলাকা থেকে চলে গেছে।
ধানডোবা গ্রামে গিয়ে জানা যায়, মনোজ বৈদ্য তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে ২০০১ সালের নির্বাচনের দুই দিন পর বাড়ি ছেড়ে চলে যান। আর ফিরে আসেননি। মনোজের প্রতিবেশী সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই নির্বাচনের পরদিনই বিএনপির কর্মীরা গ্রামের হিন্দু ও খ্রিষ্টানবাড়িতে আক্রমণ ও লুটপাট করেন। তাঁরা মনোজের বাড়ি থেকে গরু, ধান নিয়ে যান। পানের বরজ নষ্ট করেন।
ইল্লা গ্রামের কালীপদ দফাদার, সুবল দফাদার, মন্টু দফাদার, জয়দেব নন্দীর পরিবারও দেশ ছেড়ে চলে যায় ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সন্ত্রাসের কারণে। একই কারণে সুতারবাড়ি গ্রামের আদিত্য নাগ ও সুবল দে পরিবার নিয়ে দেশ ছেড়েছেন।
৩ নম্বর চাঁদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণকান্ত দে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর নিজের পরিবার, আত্মীয়, প্রতিবেশীসহ অনেক পরিবারে আক্রমণ, লুটপাট ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল। ওই ইউনিয়ন থেকে কোনো পরিবার এলাকা ছেড়ে যায়নি। তবে অনেক পরিবারের অংশবিশেষ দেশে থাকে না। তিনি বলেন, ‘ধরেন, কোনো পরিবারে পাঁচ ভাই আছে, তাদের দুই ভাই দেশে থাকে না।’
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ বলেন, সম্মান রক্ষায় অনেক বাবা-মা অল্প বয়সে মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছেন, অথবা ভারতে রেখে স্কুলে বা কলেজে পড়াচ্ছেন। তবে তিনি দাবি করেন, দেশত্যাগের প্রবণতা কমেছে। শত্রু সম্পত্তি (অর্পিত সম্পত্তি) নিয়ে সরকারের উদ্যোগ পুরোপুরি সফল না হলেও সংখ্যালঘুরা আশা করছে, সম্পত্তি আর হাতছাড়া হবে না বা হাতছাড়া সম্পত্তি ফেরত পাবে। এখন বড় বড় শহরে হিন্দুরা বাড়ি করছে, ফ্ল্যাট কিনছে।
ভোলার পরিস্থিতি: বিবিএস পরিসংখ্যান বলছে, ভোলা জেলায় ২০০১ সালে হিন্দু ছিল ৭২ হাজার ২৭৫ জন। সর্বশেষ শুমারিতে দেখা যাচ্ছে, জনসংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজার ১৬২ জনে।
ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের নলগোড়া গ্রামের সাধু সিংয়ের বাড়িতে ছিল ছয়টি পরিবার। পরিবারের প্রধান ছিলেন লক্ষ্মী নারায়ণ সিং। লক্ষ্মী নারায়ণ ১৯৯২ সালের পরে জমিজমা বিক্রি করে চলে যান। ওই গ্রামের লোকজন প্রথম আলোকে বলেছেন, ১৯৯২ সালের পর থেকে হিন্দু পরিবারগুলো চলে যেতে শুরু করে। ওই সময় বাররি মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে ভারতে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল, তাতে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের শিকার হয় এই গ্রামের মানুষ।
২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের পরও অনেক পরিবার চলে গেছে। গ্রাম ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৯২ সালের পর থেকে সুতারবাড়ির চারটি, ডাক্তারবাড়ির ১০, মাঝের সিংবাড়ির ছয়, রাস কমল হাওলাদার বাড়ির সাত, লক্ষ্মীকান্ত হাওলাদার বাড়ির তিন, তীর্থবাস হাওলাদার বাড়ির সাত, পরেশ হাওলাদার বাড়ির সাত, তেলীবাড়ির তিন, রাধেশ্যাম সুতারবাড়ির তিন, মন্টু হাওলাদার বাড়ির এক এবং রাড়ি বাড়ির সব কটি পরিবারসহ গ্রামের ৭৫টি বাড়ির দুই শতাধিক পরিবার চলে গেছে।
উপজেলার নলগোড়া, লেজপাতা ও চরগুমানী—এই তিনটি গ্রাম ছিল হিন্দু-অধ্যুষিত। স্বাধীনতার সময় এই গ্রামে চার শতাধিক বাড়ি ছিল। এই গ্রামগুলোর ১৭২টি বাড়ির কয়েক শ পরিবার চলে গেছে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের মুলাইপত্তন গ্রামে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত এক হাজারের বেশি হিন্দু পরিবার ছিল। বর্তমানে সেখানে আছে ৪৪টি পরিবার।
লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে চারটি গ্রাম ছিল হিন্দু-অধ্যুষিত। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত এই ইউনিয়নে চার হাজার ৬০০ হিন্দু ভোট ছিল। ইউনিয়নের অন্নদাপ্রসাদ গ্রামের যাত্রামণি লস্কর বলেন, ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদের ঘটনা ও ২০০১ সালে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে গ্রামগুলোর অধিকাংশ হিন্দু পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে যায়। স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রের দেওয়া তথ্যে বলা হচ্ছে, বর্তমানে ইউনয়নে হিন্দু ভোটারের সংখ্যা ৬০০।
গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগের একক প্রাধান্য। সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, দলটির সঙ্গে সংখ্যালঘুদের সুসম্পর্ক আছে। স্বাধীনতার পর জেলায় সাম্প্রদায়িক সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনাও উল্লেখ করার মতো নয়। তার পরও এই জেলা থেকে নিয়মিতভাবে হিন্দুরা চলে যাচ্ছে। ২০০১ সালে এই জেলায় হিন্দু ছিল তিন লাখ ৭১ হাজার ৬২৯ জন। ১০ বছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৪ জনে।
জেলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রবীণ সাংবাদিক প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘শত্রু সম্পত্তির’ নির্যাতন চেপে আছে প্রায় ৫০ বছর ধরে। এরপর বড় আঘাত আসে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করার মধ্য দিয়ে। এসব ব্যাপারে আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি।
একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেছেন, উপযুক্ত হওয়ার পরও জেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের পদ ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা পায় না। সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের সংসদে হিন্দু শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ পদ সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস)। ছোট গোপালগঞ্জ শহরে বড় দলের নেতারা সংখ্যালঘুদের বাড়ি-সম্পত্তি দখল করে দিব্যি বসবাস করছেন। এসব দৃশ্য দেখে নিরাপদ বোধ করে না হিন্দুরা।
গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি সম্পর্কে কাজল দেবনাথের মন্তব্য, ‘প্রদীপের নিচে অন্ধকার।’
উদ্যোগ নেই: দেশত্যাগ বন্ধের উদ্যোগ এসব এলাকা ঘুরে দেখা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোপালগঞ্জ জেলার একজন চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘নিরাপদে জমি-বাড়ি যেন বিক্রি করতে পারে, সে ব্যাপারে কিছুটা সাহায্য করার চেষ্টা করি। থেকে যেতে বলতে পারি না।’
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদ্যাপন পরিষদ মাঝেমধ্যে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে সভা ও সেমিনার করে। এসব সভা-সেমিনারে দেশ না ছাড়ার, নির্যাতনের প্রতিবাদ করার কথা বলা হয়। কাজল দেবনাথের দাবি, এতে কাজ হচ্ছে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন নেয়ামতউল্লাহ (ভোলা প্রতিনিধি), সুব্রত সাহা (গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি) ও জহুরুল ইসলাম (গৌরনদী, বরিশাল প্রতিনিধি)]
 
Can anyone clarify this please about the so called torture on hindus. I lived in Dhaka for years but never seen any torture or abuse towards the hindus. This seems to me hugely exaggerated explanation. Regarding land grab it happens to both muslim and hindus. Lastly is there any updated data about the number of hindu conversion to Islam as the article claimed!!!
 
Alarming decrease in hindu population

In 2001, the total number of Hindu population in Bangladesh was 11.683 million, while the population was expected to be 13.2 million in 2011. But the latest statistics available with the government shows the total number of Hindu population at 12.3 million, which is nine hundred thousand less than the expected rate of growth

Decrease in the hindu population and decrease in the expected rate of growth is two different things altogether.
 
so captain, do you feel happy or sad about the story? (if true)
 
so captain, do you feel happy or sad about the story? (if true)

Lol... why should I feel sad or happy about that!!! After all it is people`s choice. I do not believe the mass scale persecution on hindu story. Land grabbing, taking over house issue also. But I am not saying it that it does not happen but not in a large scale. Most of the hindus those who migrated to India mostly based on false hope by their relatives in India or some other agent which prompted them to sell their property and go to India or to exchange it with the west bengal`s muslim. But this milk and honey story is false that they discovered soon after entering to India. Now they are poorest of the poor. But it is true that some persecution happened but that is isolated event mostly for money and land not based on religion. For example on of my aunt`s parents have big property in Pantha Path but as all of her brothers and sisters live abroad a group of people have made some fake document of the land and now trying to take over it. As my aunt is the only one living in Bangladesh she is helpless and has no clue what to do. She filed a case and it is going on for years now.

Below is a video of demolition of a house of hindu by awami league activists in Norail...

 
Last edited by a moderator:
Such situations are not good for any country. It paints bad image of any nation. I think more introspection is needed before we question minorities of other nations.

Decrease in expected rate also signifies similar situation. May be people need to read a lot about Population Dynamics, growth rate too. The expected rate is dependent on original rate, death rate, immigration, emigration, economic condition, etc. The expected growth rate of a population depends on many variables being function of important factors.

Look at Logistic growth rate of population and variables involved on Google and then present your reasons.
 
so captain, do you feel happy or sad about the story? (if true)

Do not get sudden excitement by a falsified population figures given in the first paragraph. When corrected you will see that the rate of increase of Hindu population is much slower than the Muslim population. The total Hindu number has not decreased that much. Refer to the short table given in the article. Consider 1951 base period when the total BD population was only 40 million of which Hindu population constituted 22.0%. It means Hindu poplation then numbered 8.8 million.

In every census since 1881 one can see Muslim population increased faster than the Hindus. So, if today the Hindu population is at 8.5 million, it can be said that the Hindus took less number of children than the Muslims. So, for the progressive minded Hindus they have almost reached a stage whereby their population has stabilized at this figure. I would not say there was no Hindu migration during this 60 years. However, it was not substantial. It is because there is no religious persecution in Bangladesh.
 
Do not get sudden excitement by a falsified population figures given in the first paragraph. When corrected you will see that the rate of increase of Hindu population is much slower than the Muslim population. The total Hindu number has not decreased that much. Refer to the short table given in the article. Consider 1951 base period when the total BD population was only 40 million of which Hindu population constituted 22.0%. It means Hindu poplation then numbered 8.8 million.

In every census since 1881 one can see Muslim population increased faster than the Hindus. So, if today the Hindu population is at 8.5 million, it can be said that the Hindus took less number of children than the Muslims. So, for the progressive minded Hindus they have almost reached a stage whereby their population has stabilized at this figure. I would not say there was no Hindu migration during this 60 years. However, it was not substantial. It is because there is no religious persecution in Bangladesh.

Now hindu population is around 13 million. The problem is reduction in number. I believe it is mostly due to faulty counting. Or not perticipating by the hindus in the census. There are issues of conversion and migration as well. But definitely some went to India it is a fact.
 
But this milk and honey story is false that they discovered soon after entering to India. Now they are poorest of the poor.

Still richer than you bangladeshis who even grabbing the land and property of your hindu neighbours still remained basket case of asia for most part of existence.
 
Alarming decrease in Hindu population in Bangladesh


Alarming decrease in Hindu population in Bangladesh :: Weekly Blitz


by Salah Uddin Shoaib Choudhury
September 22, 2012


In past ten years, in comparing to the growth of the total population in Bangladesh, there is an alarming decrease of Hindu population in the country. According to statistics available with the government sources, the proportionate decrease in Hindu population is around nine hundred thousand. The statistics show almost elimination of Hindu population in fifteen districts in the country. Most of the Hindu families in those districts were forced to leave the country. In 2001, the total number of Hindu population in Bangladesh was 116.83 million, while the population was expected to be 132 million in 2011. But the latest statistics available with the government shows the total number of Hindu population at 123 million, which is nine hundred thousand less than the expected rate of growth. Currently 8.5 percent of the total population of Bangladesh is Hindus, while in 2001, it was 9.2 percent. The proportion of Christian, Buddhist and other religious minority population did not see any decline in the past. Currently the total number of Muslim population in Bangladesh is 90.4 percent. The district-wise statistics of population sees "huge decline" or "almost elimination" of Hindu population in fifteen districts, though the statistics terms the decline of Hindu population as "missing population".

Rise of Islamists as well as greed of forceful occupation of Hindu properties has compelled hundreds of Hindu families in migrating to other countries, while Islamic Missionaries engaged in converting Hindus are also liable for such decrease in Hindu population in Bangladesh. Currently more than three hundred Islamic charitable organizations are actively engaged in patronizing and funding converting Hindus into Islam. At the same time, one of the reasons behind decrease in Hindu population is lesser rate of total fertility rate. Hindus in Bangladesh started migrating to various countries, including neighboring India since the partition of British India in 1947. Muslim influential figures in various parts of Bangladesh, irrespective of their political identities have been continuing to force hundreds Hindu families in selling their properties at unbelievably cheaper price and migrate mostly to India in order to skip numerous forms of repressive actions. If any Hindu tried to protect their ancestral property and resist undue pressure of the Muslims, either their houses were set on fire or female members of those families were forcefully abducted as well as gang-raped. In most cases, law enforcing agencies, instead of standing in protecting the Hindu families, tried to defend the perpetrators, simply because of their political identity or social status. Whichever party came in power in Bangladesh, repression on Hindus never stopped, as it has become a type of social disease within the Muslim population of Bangladesh in applying repressive actions on the Hindus and other religious minority groups, thus finally compelling them in leaving the country by selling their properties only at a token price.

Secretary General of Bangladesh National Hindu Grand Alliance, advocate Gobinda Chandra Pramanik said, "Hindu girls are becoming victim of abduction and rape on an increased frequency. That is why, most of the Hindu families in Bangladesh either send their girl children to various educational institutions in India or get them married at tinder age simply to save their religious and social dignity."

He said, "Though some of the Hindu rights groups are falsely claiming that the forceful migration of Hindu families had decreased since Bangladesh Awami League came in power, the reality is actually just the opposite. Even during this present government, which came in power in 2009, there had been numerous attacks on Hindu families and temples in the country as well as alarming rise in the forceful abduction and religious conversion of Hindu girls and boys throughout the country."

Citing example of Gopalganj district in Bangladesh, which is considered to be the exclusive vote bank of Bangladesh Awami League and safe heaven for the Hindus, Gobinda Chandra Pramanik said, "In 2001, the total Hindu population at Gopalganj district was 371,000, while now it has gone down below fifty thousand. This statistics will prove the fact of repression on Hindu population even in the district, which is wrongly considered as 'safe heaven' for the Hindus in Bangladesh."

He said, "The burden of 'Enemy Property Act', which later was changed into 'Vested Property Act' has already caused hundreds and thousands of Hindu families in leaving Bangladesh either by selling their properties at token price or simply abandoning their ancestral properties into the grips of the greedy Muslim influential figures belonging to Bangladesh Awami League, Bangladesh Nationalist Party, Bangladesh Jamaat-e-Islami and Jatiyo Party. Though a large proportion of the Hindu populations consider Bangladesh Awami League as their own party and almost as guardians of protecting the rights of Hindus, in the past, very unfortunately, Awami League never kept its promises in protecting the Hindus."

Seeking anonymity, a Hindu community leader in Gopalganj district said, "Bangladesh Awami League though proclaims to be a party totally committed to protecting rights of Hindus and religious minorities in Bangladesh, unfortunately their political behavior is no different than any other political party in Bangladesh. No Hindu has ever been placed into top most posts in the Central Committee or district level committees of Bangladesh Awami League. Though it is very unfortunate, but this is the ground reality."
Related Topics: Op-Ed and Editorial


==============================================================

১০ বছরে ৯ লাখ হিন্দু কমেছে


?? ???? ? ??? ?????? ????? - ????? ???

শিশির মোড়ল | তারিখ: ২২-০৯-২০১২

৪৭ মন্তব্যপ্রিন্ট
ShareThis


2012-09-21-18-54-49-505cb7f9107a7-untitled-1.jpg



« আগের সংবাদ

সূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো
২০০১ ও ২০১১ সালের শুমারির জেলাভিত্তিক তথ্য পাশাপাশি রাখলে দেখা যায়, ১৫টি জেলায় হিন্দু জনসংখ্যা কমে গেছে। বিবিএসের কর্মকর্তারা বলেছেন, এসব জেলার হিন্দুরা দেশের অন্য কোনো জেলায় চলে গেছে, পরিসংখ্যান তা বলছে না। অর্থাৎ, অন্য জেলায়ও হিন্দু জনসংখ্যা বাড়েনি। কর্মকর্তারা এদের বলছেন, ‘মিসিং পপুলেশন’ বা ‘হারিয়ে যাওয়া মানুষ’।
বরিশাল বিভাগের কোনো জেলাতেই হিন্দুদের সংখ্যা বাড়েনি। বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা—এই ছয়টি জেলায় ২০০১ সালের আদমশুমারিতে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল আট লাখ ১৬ হাজার ৫১ জন। ২০১১ সালের শুমারিতে সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৬২ হাজার ৪৭৯ জনে।
খুলনা বিভাগের বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা—পাশাপাশি এই তিন জেলায় হিন্দুদের সংখ্যা আগের চেয়ে কমেছে। বিভাগের নড়াইল ও কুষ্টিয়া জেলার প্রবণতা একই। ঢাকা বিভাগের মধ্যে এ তালিকায় আছে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলা। অন্যদিকে রাজশাহী বিভাগের পাবনা জেলায়ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল রেখে হিন্দু বাড়েনি।
স্বাধীনতার আগের দুটি ও পরের পাঁচটি শুমারির তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মোট জনসংখ্যার তুলনায় হিন্দুদের সংখ্যা ও হার কমেছে। মুসলমানদের সংখ্যা ও হার সব সময়ই বেড়েছে। বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর হার মোটামুটি একই ছিল বা আছে।
প্রবীণ রাজনীতিক ও গণঐক কমিটির আহ্বায়ক পঙ্কজ ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, সাম্প্রদায়িক আবহ তৈরি করে সম্প্রীতি নষ্ট করায় এমনটা ঘটছে। জামায়াতের মতো শক্তিগুলো পরিকল্পিত ও নিয়মিতভাবে নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ, কুড়িগ্রামের চিরিরবন্দরে ধর্মীয় জিগির তুলে মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা লক্ষ করা গেছে। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের পাশে কেউ দাঁড়াচ্ছে না, তাদের আশ্বস্ত করছে না। নীরবে তাই দেশত্যাগ হচ্ছেই।
কেন কমছে: একাধিক শুমারির প্রতিবেদনে হিন্দু জনগোষ্ঠীর মধ্যে মোট প্রজনন হার (টোটাল ফার্টিলিটি রেট—টিএফআর) তুলনামূলকভাবে কম বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু এর পক্ষে কোনো তথ্য পরিসংখ্যান ব্যুরোর কাছে চেয়ে পাওয়া যায়নি।
তবে গোপালগঞ্জ, বরিশাল, ভোলার বিভিন্ন গ্রামে কথা বলে জানা গেছে, হিন্দুদের সংখ্যা কমে যাওয়ার বড় কারণ দেশত্যাগ। কয়েকটি জেলার লোকজন বলেছেন, ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগের সময় থেকে এই ভূখণ্ড ছেড়ে যাওয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের একটা স্বাভাবিক প্রবণতা। কেউ বলেছেন, মূল কারণ শত্রু সম্পত্তি আইন। বলেছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের চাপ ও নির্যাতনে পড়তে হয় হিন্দুদের। অন্যদিকে ভারতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দিলে তার আঁচও লাগে এ দেশের হিন্দুদের গায়ে।
‘বুক বেঁধে দাঁড়াবার সংস্কৃতি কমে গেছে’—এমন মন্তব্য করেছেন ড. আনিসুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ইমেরিটাস অধ্যাপক বলেন, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার অভাববোধ বাস্তব ও অনুমিত। সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে কিছু লোক নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে কিছু নেতা বা রাজনৈতিক দল সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে স্থানীয় পর্যায়ে সেই প্রতিশ্রুতি পালিত হয় না, কর্মী পাওয়া যায় না।
আতঙ্ক আছে চাঁদশী-ইল্লা-ধানডোবায়: বরিশাল জেলার গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা থেকে বেশ কিছু হিন্দু পরিবার ২০০১ সালের পর এলাকা থেকে চলে গেছে।
ধানডোবা গ্রামে গিয়ে জানা যায়, মনোজ বৈদ্য তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে ২০০১ সালের নির্বাচনের দুই দিন পর বাড়ি ছেড়ে চলে যান। আর ফিরে আসেননি। মনোজের প্রতিবেশী সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই নির্বাচনের পরদিনই বিএনপির কর্মীরা গ্রামের হিন্দু ও খ্রিষ্টানবাড়িতে আক্রমণ ও লুটপাট করেন। তাঁরা মনোজের বাড়ি থেকে গরু, ধান নিয়ে যান। পানের বরজ নষ্ট করেন।
ইল্লা গ্রামের কালীপদ দফাদার, সুবল দফাদার, মন্টু দফাদার, জয়দেব নন্দীর পরিবারও দেশ ছেড়ে চলে যায় ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সন্ত্রাসের কারণে। একই কারণে সুতারবাড়ি গ্রামের আদিত্য নাগ ও সুবল দে পরিবার নিয়ে দেশ ছেড়েছেন।
৩ নম্বর চাঁদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণকান্ত দে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর নিজের পরিবার, আত্মীয়, প্রতিবেশীসহ অনেক পরিবারে আক্রমণ, লুটপাট ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল। ওই ইউনিয়ন থেকে কোনো পরিবার এলাকা ছেড়ে যায়নি। তবে অনেক পরিবারের অংশবিশেষ দেশে থাকে না। তিনি বলেন, ‘ধরেন, কোনো পরিবারে পাঁচ ভাই আছে, তাদের দুই ভাই দেশে থাকে না।’
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ বলেন, সম্মান রক্ষায় অনেক বাবা-মা অল্প বয়সে মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছেন, অথবা ভারতে রেখে স্কুলে বা কলেজে পড়াচ্ছেন। তবে তিনি দাবি করেন, দেশত্যাগের প্রবণতা কমেছে। শত্রু সম্পত্তি (অর্পিত সম্পত্তি) নিয়ে সরকারের উদ্যোগ পুরোপুরি সফল না হলেও সংখ্যালঘুরা আশা করছে, সম্পত্তি আর হাতছাড়া হবে না বা হাতছাড়া সম্পত্তি ফেরত পাবে। এখন বড় বড় শহরে হিন্দুরা বাড়ি করছে, ফ্ল্যাট কিনছে।
ভোলার পরিস্থিতি: বিবিএস পরিসংখ্যান বলছে, ভোলা জেলায় ২০০১ সালে হিন্দু ছিল ৭২ হাজার ২৭৫ জন। সর্বশেষ শুমারিতে দেখা যাচ্ছে, জনসংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজার ১৬২ জনে।
ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের নলগোড়া গ্রামের সাধু সিংয়ের বাড়িতে ছিল ছয়টি পরিবার। পরিবারের প্রধান ছিলেন লক্ষ্মী নারায়ণ সিং। লক্ষ্মী নারায়ণ ১৯৯২ সালের পরে জমিজমা বিক্রি করে চলে যান। ওই গ্রামের লোকজন প্রথম আলোকে বলেছেন, ১৯৯২ সালের পর থেকে হিন্দু পরিবারগুলো চলে যেতে শুরু করে। ওই সময় বাররি মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে ভারতে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল, তাতে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের শিকার হয় এই গ্রামের মানুষ।
২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের পরও অনেক পরিবার চলে গেছে। গ্রাম ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৯২ সালের পর থেকে সুতারবাড়ির চারটি, ডাক্তারবাড়ির ১০, মাঝের সিংবাড়ির ছয়, রাস কমল হাওলাদার বাড়ির সাত, লক্ষ্মীকান্ত হাওলাদার বাড়ির তিন, তীর্থবাস হাওলাদার বাড়ির সাত, পরেশ হাওলাদার বাড়ির সাত, তেলীবাড়ির তিন, রাধেশ্যাম সুতারবাড়ির তিন, মন্টু হাওলাদার বাড়ির এক এবং রাড়ি বাড়ির সব কটি পরিবারসহ গ্রামের ৭৫টি বাড়ির দুই শতাধিক পরিবার চলে গেছে।
উপজেলার নলগোড়া, লেজপাতা ও চরগুমানী—এই তিনটি গ্রাম ছিল হিন্দু-অধ্যুষিত। স্বাধীনতার সময় এই গ্রামে চার শতাধিক বাড়ি ছিল। এই গ্রামগুলোর ১৭২টি বাড়ির কয়েক শ পরিবার চলে গেছে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের মুলাইপত্তন গ্রামে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত এক হাজারের বেশি হিন্দু পরিবার ছিল। বর্তমানে সেখানে আছে ৪৪টি পরিবার।
লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে চারটি গ্রাম ছিল হিন্দু-অধ্যুষিত। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত এই ইউনিয়নে চার হাজার ৬০০ হিন্দু ভোট ছিল। ইউনিয়নের অন্নদাপ্রসাদ গ্রামের যাত্রামণি লস্কর বলেন, ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদের ঘটনা ও ২০০১ সালে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে গ্রামগুলোর অধিকাংশ হিন্দু পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে যায়। স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রের দেওয়া তথ্যে বলা হচ্ছে, বর্তমানে ইউনয়নে হিন্দু ভোটারের সংখ্যা ৬০০।
গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগের একক প্রাধান্য। সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, দলটির সঙ্গে সংখ্যালঘুদের সুসম্পর্ক আছে। স্বাধীনতার পর জেলায় সাম্প্রদায়িক সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনাও উল্লেখ করার মতো নয়। তার পরও এই জেলা থেকে নিয়মিতভাবে হিন্দুরা চলে যাচ্ছে। ২০০১ সালে এই জেলায় হিন্দু ছিল তিন লাখ ৭১ হাজার ৬২৯ জন। ১০ বছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৪ জনে।
জেলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রবীণ সাংবাদিক প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘শত্রু সম্পত্তির’ নির্যাতন চেপে আছে প্রায় ৫০ বছর ধরে। এরপর বড় আঘাত আসে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করার মধ্য দিয়ে। এসব ব্যাপারে আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি।
একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেছেন, উপযুক্ত হওয়ার পরও জেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের পদ ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা পায় না। সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের সংসদে হিন্দু শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ পদ সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস)। ছোট গোপালগঞ্জ শহরে বড় দলের নেতারা সংখ্যালঘুদের বাড়ি-সম্পত্তি দখল করে দিব্যি বসবাস করছেন। এসব দৃশ্য দেখে নিরাপদ বোধ করে না হিন্দুরা।
গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি সম্পর্কে কাজল দেবনাথের মন্তব্য, ‘প্রদীপের নিচে অন্ধকার।’
উদ্যোগ নেই: দেশত্যাগ বন্ধের উদ্যোগ এসব এলাকা ঘুরে দেখা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোপালগঞ্জ জেলার একজন চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘নিরাপদে জমি-বাড়ি যেন বিক্রি করতে পারে, সে ব্যাপারে কিছুটা সাহায্য করার চেষ্টা করি। থেকে যেতে বলতে পারি না।’
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদ্যাপন পরিষদ মাঝেমধ্যে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে সভা ও সেমিনার করে। এসব সভা-সেমিনারে দেশ না ছাড়ার, নির্যাতনের প্রতিবাদ করার কথা বলা হয়। কাজল দেবনাথের দাবি, এতে কাজ হচ্ছে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন নেয়ামতউল্লাহ (ভোলা প্রতিনিধি), সুব্রত সাহা (গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি) ও জহুরুল ইসলাম (গৌরনদী, বরিশাল প্রতিনিধি)]

What does this to do with Bangladesh Military?? This is a military forum, I thought..
 
Have the Hindus of Bangladesh stopped breeding?
 
Still richer than you bangladeshis who even grabbing the land and property of your hindu neighbours still remained basket case of asia for most part of existence.

Your country`s 44% malnourished children is telling a different story... :lol:... I am tiered now... dnt force me to reveal the real face of India again.
 
Have the Hindus of Bangladesh stopped breeding?

They breed little less, conversion to islam and some migration to India caused the decrease but the number seems unreliable.

What does this to do with Bangladesh Military?? This is a military forum, I thought..

Yes military forum + Bangladeshi affairs + Foreign relation... these are topics tobe discussed here due to lack of military news.
 

Latest posts

Pakistan Defence Latest Posts

Back
Top Bottom