Shonar Bangla Shoshan Keno? Why is the Golden Bengal a graveyard? | Shonar Bangla Shoshan Keno? Why is the Golden Bengal a graveyard?
Lots of details about country wide preparation for the "March for Democracy"
দেশের সকল সক্ষম নাগরিকের রয়েছে সে অংশগ্রহণের সুযোগ। মার্চ ফর ডেমোক্রেসি নিয়ে এমন কথাই বলেছেন ১৮দলের নেতারা। এমনকি কর্মসূচি ঘোষণার সময় খোদ বিরোধী নেতা খালেদা জিয়াই বলেছেন, অভিযাত্রা হবে নির্বাচনী প্রহসনকে ‘না’ বলতে, গণতন্ত্রকে ‘হ্যাঁ’ বলতে। সেখানে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, সারা দেশের দলমত, শ্রেণী-পেশা, ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে ‘সক্ষম নাগরিকদের। বিএনপির নীতিনির্ধারক ফোরামের এক নেতা জানান, চলমান সঙ্কটের বিষয়টি বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বন্ধু রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা সতর্ক পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। জাতিসংঘের উদ্যোগে আয়োজিত সংলাপটি ব্যর্থ হওয়ার পর দেশের হালনাগাদ পরিস্থিতি, সরকার ও বিরোধী দলের অবস্থান, দৃষ্টিভঙ্গি ও কৌশল, সাধারণ মানুষের অবস্থান বিশ্লেষণে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। প্রত্যেকেই নিজ নিজ দেশ ও সংস্থার কাছে প্রতিবেদন পাঠাচ্ছেন। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে আগামী দিনগুলোতে কাজ করতে নিজেদের অবস্থান ও করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। বিএনপির ওই নেতা জানান, ৫ই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে সকল আন্তর্জাতিক মহল। তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে তারা মার্চ ফর ডেমোক্রেসি পর্যবেক্ষণ করবেন। ২৯শে ডিসেম্বর মার্চ ফর ডেমোক্রেসি বিদেশী কূটনীতিকদের কাছে গণভোটের মতো। তারা দেখতে চায় ওইদিন দেশের মানুষ কি মনোভাব প্রকাশ করে। এ কর্মসূচিতে সরকারের দমন-পীড়ন ও বিরোধী দলের সাফল্য-ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের ব্যাপারে বন্ধু রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভবিষ্যৎ কৌশল ও করণীয়। এদিকে বিরোধী নেতা খালেদা জিয়ার ঘোষিত রাজধানীমুখী ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি ভণ্ডুল করতে সরকার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১৮দল নেতারা কর্মসূচির সাফল্য নিয়ে আশাপ্রকাশ করে বলেন, মার্চ ফর ডেমোক্রেসির মাধ্যমে দেশবাসী তাদের মতামত প্রকাশ করবে। সরকার বাধা দিয়ে উপস্থিতি বাধাগ্রস্ত করতে পারলেও জনমত পরীক্ষা ঠেকাতে পারবে না। কারণ বাধা দিলে সংঘাত সৃষ্টি হবে, মানুষের ক্ষোভ বাড়বে, যা অনিবার্যভাবেই সরকারের বিরুদ্ধে যাবে। তাই বিরোধী দলের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অগ্রযাত্রায় মানুষের ঢল নামানো। সরকার বাধা না দিলে জাতীয় পতাকা নিয়ে সমাবেশের বিশ্ব রেকর্ড হবে ২৯শে ডিসেম্বর। বাধা দিলে আরও প্রবল হবে বিক্ষোভ। ওদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দমন-পীড়ন, সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের হামলাসহ সরকারের নানা অসহযোগিতার মধ্যেও সারা দেশে চলছে কর্মসূচি সফল করার জোর প্রস্তুতি। তবে মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচি নিয়ে কোন প্রস্তুতি ও বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেনি ১৮ দল। জোটের প্রতিটি জেলা ইউনিট ও সাধারণ মানুষের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে প্রস্তুতি ও বাস্তবায়নের ভার। বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, কমিটি গঠন হলে নেতাদের মধ্যে প্রাধান্য তৈরি নিয়ে নানা অসন্তোষের জন্ম নেয়। সে জন্য জনতার কর্মসূচি বাস্তবায়নের ভার জনগণের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে সারা দেশে ১৮দলের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা সাংগঠনিক ইউনিট কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে।
^ Diplomatic corp (from UN and all other friendly countries) in Dhaka are eagerly awaiting this "March for Democracy" on Dec. 29, to gauage the mood of the people of Bangladesh, whether they support Hasina's sham election on Jan. 5 or reject it en mass.
এদিকে কর্মসূচি ঘোষণার পর দুইদিনে সারাদেশে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সহস্রাধিক বিরোধী নেতাকর্মীকে। দমন-নিপীড়ন ও নানামুখী প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও চলছে বিরোধী জোটের প্রস্তুতি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিরোধী নেতা খালেদা জিয়া মার্চ ডেমোক্রেসি কর্মসূচি ঘোষণার পরপরই রাজধানীতে জড়ো হচ্ছেন ১৮দল নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে দূরের জেলাগুলো আসা কয়েক লাখ নেতাকর্মী-সমর্থক বর্তমানে রাজধানীতে অবস্থান করছেন। প্রতিদিনই বাড়ছে সে সংখ্যা। বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থার তরফে জানার পরই দিশাহারা হয়ে মন্ত্রীরা উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া শুরু করেছেন। ১৮দল সূত্রে জানা গেছে, আজ ২৭শে ডিসেম্বর রাতের মধ্যেই দূরের জেলাগুলো থেকে বেশির ভাগ কর্মী-সমর্থক ঢাকায় চলে আসবেন। মার্চ ফর ডেমোক্রেসিকে সফল করতে সারা দেশে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চালাচ্ছে ১৮দল। গতকালও দিনভর চট্টগ্রামসহ অন্তত ২০ জেলায় প্রচারপত্র বিলি ও পোস্টারিং করেছে ১৮দল। এদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ব্যবস্থা নিতে ইসির প্রতি অনুরোধ জানালেও লাঠি দিয়ে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ প্রতিহতের আহ্বান জানিয়েছেন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বহিরাগত কাউকে দেখামাত্র পুলিশের হাতে সোপর্দ করতে আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকাবাসীকে। তবে যেখানে বাধা আসবে সেখানেই আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা হবে- বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সহসভাপতি এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, এই কর্মসূচিতে কোন ধরনের বাধা বা ষড়যন্ত্রকে বরদাশত করা হবে না। গণতন্ত্রের জন্য এই অভিযাত্রায় যেখানে বাধা আসবে আপনাদের সেখানেই আন্দোলন প্রতিরোধ করতে হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এক ভিডিওবার্তায় বলেছেন, কোন বাধাতেই কাজ হবে না। শান্তিপূর্ণভাবেই কর্মসূচি পালিত হবে। দেশনেত্রীর আহবান ইতিমধ্যে সারা দেশে পৌঁছে গেছে। সব শ্রেণী-পেশার মানুষ এখন ঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
^Hasina govt. has started arresting opposition workers and activists as soon as the program was announced. But several hundred thousand opposition activists have already arrived in Dhaka and more are arriving everyday. Hasina govt. is panic stricken at this evolving situation.
এদিকে ২৯শে ডিসেম্বরের গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণার পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্তত ৪০ জেলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় নাশকতায় ইন্ধনদাতা হিসেবে ২৩০০ জনের তালিকা করে নেমেছে গ্রেপ্তার অভিযানে। রাজধানীতে বুধবার রাত ১২টা থেকে শুরু করে গতকাল দুপুর পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানের নাম ছিল ‘ফ্রিডম অপারেশন কোড’। গতকাল রাজধানীতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, যশোর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাস্টার নুরুন্নবী, মনিরামপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবদল সম্পাদক নিস্তার ফারুক, খেদাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ওমর ফারুক, মেহেরপুরের মুজিবনগর বিএনপি নেতা সাবদার আলী, ময়মনসিংহের ত্রিশাল যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মতিন, কক্সবাজারে উখিয়া জামায়াতের সেক্রেটারি সুলতান আহমদ, বান্দরবান জেলা যুবদল সহসভাপতি আবু বক্কর, শ্রমিক দল সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ, ঠাকুরগাঁও জেলা শিবির সভাপতি শাহজাহান জুয়েল, বাগেরহাট পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি মোস্তাইন বিল্লাহসহ যশোরে ৫৫ জন, রাজশাহীতে ২৫ জন, সিরাজগঞ্জে ২৫ জন, ঝিনাইদহে ১৮ জন, চট্টগ্রামে ১৮ জন, চাঁদপুরে ১৮ জন, জয়পুরহাট ১৫ জন, দিনাজপুর ১০ জন, নোয়াখালীতে ১০ জন, ভোলায় ১০ জনসহ ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, মেহেরপুর, চাঁদপুর, সিরাজগঞ্জ, মাগুরা, বাগেরহাট, যশোর, ঠাকুরগাঁও, বান্দরবান, কক্সবাজারে বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া কর্মসূচি ঘোষণার পর দ্বিতীয় দিনের মতো বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন, রাজনৈতিক কার্যালয় ও নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে রেখেছে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। এ তিনটি ভবনে প্রবেশ করতে বাধা দেয়া হচ্ছে নেতাকর্মীদের। সেখানে অবস্থান করছেন গোয়েন্দা সংস্থার সাদা পোশাকধারী সদস্যরা।
^Many arrests of opposition workers/activists are ongoing in Dhaka and rest of the country. All BNP offices and Khaleda Zia's house in Gulshan is under siege by combined forces (Police, RAB and BGB).
‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ ভণ্ডুলের চেষ্টায় সরকার: ফখরুল
বিরোধী নেতা খালেদা জিয়ার ঘোষিত রাজধানীমুখী ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি ভণ্ডুল করতে সরকার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিরোধী নেতা ৫ই জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন বন্ধ করতে সারা দেশ থেকে সকল শ্রেণী-পেশার জনগণকে লাল-সবুজের পতাকা হাতে ঢাকায় আসার জন্য বলেছেন। এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকেই সরকারের মাথা বিগড়ে গেছে। ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’র সফলতা আঁচ করতে পেরেই সরকার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিটিকে যে কোন উপায়ে বাধাগ্রস্ত ও ভণ্ডুল করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, এরই অংশ হিসেবে কর্মসূচি ঘোষণার রাত থেকেই বিরোধী নেতার বাসভবন ও গুলশানস্থ রাজনৈতিক কার্যালয় অবরুদ্ধ এবং নেতা-কর্মীদেরকে সেখানে প্রবেশ ও প্রস্থানে বাধা প্রদানের পাশাপাশি সারাদেশে যৌথবাহিনী দিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করার এক মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে মরিয়া হয়ে উঠেছে। গত রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপি দলীয় সাংসদ শাম্মী আখতারসহ ৪ জন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজও বিরোধী নেতা বাসভবন ও গুলশানস্থ কার্যালয় অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার সব দিক থেকে ধরাশায়ী বলেই কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তারের নামে পর্যুদস্ত করার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু সরকারের এই অপচেষ্টা দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ কখনওই সফল হতে দেবে না। সরকারের উদ্দেশে মির্জা আলমগীর বলেন, অবিলম্বে সারাদেশে যৌথবাহিনী দিয়ে বিরোধী নেতা-কর্মীদেরকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধ করুন। জনগণের দাবি মেনে নিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে সমাধানের পথে আসুন। দেশকে সংহাত ও নৈরাজ্যের দিকে ধাবিত না করে শান্তির পথে আসুন, অন্যথায় জনগণ তাদের দাবি আদায়ে অতীতের মতোই ঐক্যবদ্ধভাবে গণদাবি মেনে নিতে আপনাদেরকে বাধ্য করবে।
^Hasina govt. in a panic mode trying their best to upset the plan for this "March for Democracy" on Dec. 29 and participation of Bangladesh mass people in it, with arresting opposition workers/activists, but none of this has stopped the massive plan for this peaceful march by the people of Bangladesh to celebrate and demand democracy in Bangladesh.