What's new

Status
Not open for further replies.

Md Akmal

SENIOR MEMBER
Joined
Sep 22, 2010
Messages
2,114
Reaction score
1
Country
Bangladesh
Location
Bangladesh
মো হা ম্ম দ জ য় না ল আ বে দী ন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সিলেটসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লংমার্চ-পরবর্তী মহাসমাবেশে বাংলাদেশের সার্বিক স্বার্থ তথা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার উদ্দেশে যুদ্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। খালেদা জিয়া কেন, যেকোনো দেশপ্রেমিকের বিবেচনায় দেশ ও দেশের স্বার্থ যদি বিপন্ন বলে প্রতীয়মান হয়, তবে এমন আহ্বান জানানোর অধিকার তার রয়েছে। দেশপ্রেম কিংবা দেশের অস্তিত্বের জন্য আতংকিত হওয়া কোনো ব্যক্তি-বিশেষের এমনকি সরকারের একক এখতিয়ারাধীন নয়। দেশের প্রতিটি নাগরিকেরই এ ব্যাপারে উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা জানানোর অধিকার রয়েছে। এতে সংসদ বা আদালত অবমাননার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। সংসদ কিংবা আদালত মানুষের মুখে তালা লাগানোর অধিকার রাখে না। বেগম খালেদা জিয়া দেশ, ধর্ম, সংসদ বা আদালতের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেননি। সুতরাং দেশের জন্য আরেকটি যুদ্ধের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে খালেদা জিয়া কীভাবে দেশদ্রোহী হলেন কিংবা সংসদ ও আদালত অবমাননা করলেন তা বোধগম্য নয়। এ ধরনের যুদ্ধ ঘোষণা, মানে সশস্ত্র লড়াই নয়; জনগণকে সচেতন করা বড়জোর গণআন্দোলনের জন্য জনমত তৈরির একটি পন্থা বিশেষ। বেশি দিনের কথা নয়, ’৯০-পরবর্তী পত্রিকা খুঁজলেই আওয়ামী নেতাদের এমন বহু হুঙ্কার দেখা যাবে যারা বলেছিলেন : দেশ রাজাকারদের দখলে, আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ শুরু করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনেনি।
ওই সময়ে কোনো রাজাকার ক্ষমতায় ছিল না। সে সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন ছিল না, বরং সুসংহত ছিল। তথাপি তারা আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কাছে তারা ছাড়া, আরও স্পষ্ট করে বলতে হয়, ভারতের দাদাগিরি ও আওয়ামী লীগের ভারত-ঘেষা নীতির বিরোধীরা রাজাকার। এমন সংজ্ঞার আওতায় মেজর জলিল রাজাকার, স্বাধীনতার ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়া রাজাকার, আমার মতো যতো মুক্তিযোদ্ধা ভারতের খপ্পর থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে চায়—তারা সবাই রাজাকার। স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির কাছ থেকে ভারত যেসব ছাড় চাচ্ছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে :
১. সড়ক, নৌপথ, রেলপথ, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর তথা পুরো দেশ ভারতীয় ভূখণ্ডের মতো যথেচ্ছ ব্যবহারের সুযোগ দেয়া;
২. পরিপূর্ণভাবে গ্রাস না হওয়া পর্যন্ত কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশী ভূখণ্ড ভারতকে ছেড়ে দেয়া;
৩. বিভিন্ন পন্থায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুর্বল ও ভারত-নির্ভর করা;
৪. বিজিবি ও বিএসএফ’র যৌথ সীমান্ত পাহারার নামে সীমান্তে ভারতীয় কর্তৃত্ব মেনে নেয়া;
৫. সীমান্ত হামলাসহ সর্ববিধ আগ্রাসনের কার্যকর প্রতিবাদ না করা;
৬. পররাষ্ট্রনীতিকে ভারতকেন্দ্রিক করা;
৭. আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য অধিকার আদায়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সাহায্য কামনা না করা;
৮. আসামসহ অন্যান্য অঞ্চলের স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতের হাতে তুলে দেয়া;
৯. ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ প্রভৃতির আবরণে বাংলাদেশকে ভারত-নির্ভর করা;
১০. ভারতের পানি আগ্রাসনসহ সর্ববিধ অন্যায় আবদার ও আচরণকে নীরবে মেনে নেয়া;
১১. সর্বক্ষেত্রে শত্রুর মতো আচরণ করার পরেও ভারতকে বন্ধু হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া;
১২. বিনাবাক্য ব্যয়ে অভ্যন্তরীণ নীতিতে ভারতীয় এজেন্ডা ও নীল-নকশা মেনে নেয়া ও বাস্তবায়ন করা।
এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো দেশপ্রেমিক উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা। বেগম জিয়ার দেশরক্ষার জন্য যুদ্ধ করার আহ্বান তো অকারণে আসেনি। বিএনপির বিরুদ্ধে নানাবিধ প্রচারণা এবং এর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক মামলাসহ নানাবিধ চক্রান্তের কারণে বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতা সত্ত্বেও সংগত কারণ আছে বলেই তো খালেদা জিয়ার লংমার্চে জনতার এমন ঢল নামে। দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি, সর্বোপরি মানুষের মন-মানসিকতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, মানুষ যেন একটি আহ্বানের অপেক্ষায় আছে। এদেশের মানুষ আর যা-ই হোক বাংলাদেশকে কারও ছায়ারাষ্ট্রে পরিণত হতে দেবে না।
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উপহার অবশ্যই দেশের ভূখণ্ড কিংবা নদ-নদী, রাস্তা-ঘাট, বন্দর, ভারতের হাতে তুলে দেয়া নয়। স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি পরিচয়দানকারী বর্তমান সরকারপ্রধান কোন বিবেচনায় এগুলো ভারতের হাতে তুলে দিচ্ছেন— এতে বাংলাদেশের কী লাভালাভ হবে, দেশের ভবিষ্যত্ কোন দিকে যাবে, এ বিষয়ে কোন কথাই শোনা যাচ্ছে না। দেশের জনগণ সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে কী ভাববে, এসবের প্রতি দেশের মানুষের কোনো সমর্থন আছে কি না, সরকার প্রধান তারও ধার ধারেন না বলেই মনে হয়। তার সরকার যা করছে, জনগণ তেমনটি করার জন্য তাকে ও তার দলকে ভোট দিয়েছে—এমনটি মনে করারও কোনো সুযোগ নেই।
১৯৭২ সালের নৌ-প্রটোকল চুক্তির মাধ্যমে কীভাবে আমাদের দেশের ভেতর দিয়ে বিনা পয়সায় ভারতীয় যানবাহন চলার অধিকার পেল তা কারোরই বোধগম্য নয়। ১৯৭২ সালের চুক্তি ২০১১ সালে এসে কীভাবে বাস্তবায়িত হয়? যদি ওই চুক্তিই যথার্থ হতো, তাহলে শেখ মুজিব কিংবা পরবর্তী সরকারগুলো সে সুযোগ কেন দেয়নি? আর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্ট দিলে বাংলাদেশ বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা আয় করতে পারবে, বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়ার পর্যায়ে চলে যাবে ইত্যাদি মায়াবী প্রতিশ্রুতি ও তথ্য কেন তত্কালীন মন্ত্রী তোফায়েল এবং তার সতীর্থ ভারতপ্রেমিকরা জাতির সামনে উপস্থাপন করছিলেন? এমনকি সেপ্টেম্বর মাসে মনমোহন সিং বাংলাদেশে সফর শেষে ঢাকার অনেকগুলো পত্রিকার শিরোনাম ছিল এরকম : ‘তিস্তা পানি চুক্তি হয়নি বলে ট্রানজিট চুক্তিও হয়নি’; ‘মনমোহনের সফর ব্যর্থ’; ‘খালি হাতে মনমোহন সিং দেশে ফেরত গেলেন।’ অথচ পরীক্ষামূলক ট্রানজিট চালু করে কোনো চুক্তি ছাড়াই এখন ভারত পুরোপুরি করিডোর সুবিধা ভোগ করছে একেবারে বিনে পয়সায়, একেবারে স্বাধীনভাবে। এসবের পেছনে কী রহস্য লুকিয়ে আছে? শেখ হাসিনা সরকার কিছু না পেয়ে ভারতকে সব কিছু দিয়ে দিচ্ছেন কেন?
ভারত এখন বাংলাদেশের নদ-নদী, রাস্তা-ঘাট, রেল-সড়ক, বন্দর এমনভাবে ব্যবহার করছে, যেন এটা ভারতেরই অংশ। শেখ হাসিনা-মনমোহন কী ধরনের চুক্তি করলেন, ওই চুক্তিতে কী বর্ণিত রয়েছে, তা জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হয়নি। বাংলাদেশের মানুষ এ ধরনের চুক্তি মেনে নেবে না, হয়তো তেমন আশংকার কারণেই তা গোপন রাখা হয়েছে। অথবা ওই চুক্তিটি এমনও হতে পারে যাতে ভারতীয় সৈন্য যেকোনো অজুহাতে (প্রণব মুখার্জির ভাষায় শেখ হাসিনাকে উদ্ধারের নামে হলেও) বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগসহ বাংলাদেশের অস্তিত্ব-বিরোধী ধারা রয়েছে। কোন দায়বদ্ধতার কারণে ভারতের হাতে বারবার অপমানিত হয়েও বাংলাদেশ কোনো বলিষ্ঠ অবস্থানে না গিয়ে নমনীয় আচরণ করছে? ভারতকে খুশি করতে গিয়ে শেখ হাসিনা সরকার কেমন ন্যক্কারজনকভাবে বাংলাদেশের ক্ষতি করেছে, তা ভারতীয় পত্র-পত্রিকায়ও এসেছে। আসাম বিধান সভায় প্রদত্ত আসামের স্বাস্থ্য ও শিক্ষাবিষয়ক মন্ত্রী হেমন্ত শর্মার বক্তব্যকে কলকাতার ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’ এভাবে উদ্ধৃত করেছে : ‘মাত্র ১৯৩ একর জমি দেয়ার বিনিময়ে আসাম ১,২৯৫ একর জমি পেয়েছে। ... আসামকে জমি দিয়ে আসামবাসীর জন্যই বিপদে পড়লেন শেখ হাসিনা। ... চুক্তির পুরো তথ্য প্রকাশ করা বা বিধান সভায় আলোচনা করা শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের শামিল।’ হাসিনা-মনমোহন সিং চুক্তি বাংলাদেশের জন্য কেমন বিপজ্জনক আসামের মন্ত্রীর উপরোক্ত মন্তব্য থেকে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। আর শেখ হাসিনার ব্যাপারে আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গাগৈ ৯ সেপ্টেম্বর (২০১১) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন যে, শেখ হাসিনার প্রতি ভারত ও আসাম সরকার চির কৃতজ্ঞ। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, এমন কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মূল কারণ শেখ হাসিনা সরকার ভারতের চাহিদামত কাজ করেছেন। আমার প্রতিপক্ষ কখন আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হবে কিংবা আমার প্রশংসা করবে— যখন আমি আমার ক্ষতি করে প্রতিপক্ষের উপকার করব। শেখ হাসিনা তা-ই করেছেন বলে তার স্বাক্ষরিত চুক্তি জাতীয় সংসদ তথা বাংলাদেশের জনগণকে জানাননি, এমন ধারণা করা অসঙ্গত হবে কি? তরুণ গাগৈ বা তার মন্ত্রীর ভাষ্যে অন্তত তা-ই প্রমাণিত হয়।
সিলেটের সীমান্তবাসী জনগণ তাদের ভূমি ভারতের হাতে তুলে দেয়ার বিরুদ্ধে যে অবিরাম আন্দোলন চালাচ্ছেন তা প্রমাণ করে শেখ হাসিনা মূলত ভারতের স্বার্থে কাজ করছেন, যে কারণে ভারত ও আসাম সরকার শেখ হাসিনার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকার ঘোষণা দিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের আরেকটি আত্মঘাতী পদক্ষেপ হলো তথাকথিত ট্রানজিটের নামে ভারতকে করিডোর দেয়া। ভারতকে করিডোর দেয়ার নামে এর আগে দেশবাসী তথাকথিত এশিয়ান হাইওয়ে, ট্রান্সএশিয়ান রেলওয়ে প্রভৃতির তোড়জোড় শুনেছেন। এশিয়ার অন্য কোনো দেশে এ দুটো বিষয় নিয়ে এমন প্রচারণা শোনা যায়নি। কারণ ওইসব অঞ্চলের দেশগুলোর পাশে ভারত নামক কোনো আগ্রাসী দেশ নেই এবং সেসব দেশে বিদেশ-নির্ভর রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী নেই। মহাজোট সরকারের নামে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ভারত করিডোর প্রাপ্তিতে নিশ্চিত হওয়ার কারণে এশিয়ান হাইওয়ের মাধ্যমে পূর্বে জাপান আর উত্তর-পশ্চিমে ইউরোপে রেলগাড়ি বা মটরগাড়িযোগে যাওয়ার কল্পকাহিনী আর শোনা যায় না। অথচ ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার কোনো সুযোগই নেই। কারণ ট্রানজিট সাধারণত ভূমিবেষ্টিত দেশকে দেয়া হয় পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মাধ্যমে সমুদ্রের সঙ্গে সংযোগ সৃষ্টির জন্য। অন্যদিকে ট্রানজিট কমপক্ষে তিনটি দেশের ভূখণ্ড স্পর্শ করে। ভারতের ক্ষেত্রে এ দুটো শর্তের একটিও নেই। ভারতের একাংশ থেকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতেরই অন্যাংশে যাওয়ার সুযোগ কোনভাবেই ট্রানজিট নয়—এটা সুস্পষ্ট করিডোর। করিডোর বলা হলে ভারত বাংলাদেশকে মাশুল দিতে বাধ্য থাকবে। মাশুল যাতে দিতে না হয় তাই ভারত এবং ভারতমুখী শেখ হাসিনা সরকার এবং ভারত-নির্ভর রাজনীতিক-বুদ্ধিজীবী ও বিক্রি হয়ে যাওয়া উপদেষ্টা নামক ব্রোকাররা (দালাল) বলছে, ভারতকে নাকি ট্রানজিট দেয়া হয়েছে, যা বাস্তবতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এরা আমাদের দেশের জনগণকে অশিক্ষিত ও বোকা মনে করে। তাই এরা প্রভুদেশকে বিনা খরচে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহারের সুযোগ দেয়ার জন্য করিডোরকে ট্রানজিট বলছে। এদেরই এক ‘অতিথি পাখি’ বলেছেন, ট্রানজিটের জন্য মাশুল চাইলে আমরা নাকি ‘অসভ্য’ হয়ে যাব।
অতিথি পাখিসহ ভারত-নির্ভরদের প্রতি ইঙ্গিত করে ভারতীয় নাগরিক সুনীতা পাল একটি ভারতীয় পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়েছেন, যাতে বলা হয়েছে : ‘এ প্রথমবারের মতো ভারতীয় রাজনীতিকরা বাংলাদেশী নীতি-নির্ধারকদের সস্তাতম রাজনৈতিক বেশ্যাপনার স্বাদ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা সবকিছু ত্যাগ করতে চায়।’ (‘...for the first time, Indian politicians are going to taste the cheapest political ****** in Bangladeshi policymakers. They want to sacrifice everything just for the sake of remaining in power.’).
সুনীতা পাল এরপর লিখেছেন, ‘ভারত বাংলাদেশকে ভৌগোলিকভাবে গ্রাস করে আরেকটি সিকিম বানানোর প্রত্যাশী নয়। বরং ভারত বাংলাদেশকে নেপালের মতো একটি ছায়ারাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, যেখানে বিনা বাক্যব্যয়ে ভারতীয় এজেন্ডা গৃহীত আর বাস্তবায়িত হবে।’ (India does not aspire to transform Bangladesh into another Sikkim by annexing it geographically. Rather, India wants to turn Bangladesh into a subservient state like Nepal, where Indian agendas will be accepted and implemented without uttering a single word.)
এর কারণ ব্যাখ্যা করে সুনীতা বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার অনেক যুগ পরে ভারতীয় নীতি-নির্ধারকরা মিসেস শেখ হাসিনা ওয়াজেদের নেতৃত্বাধীন সরকারের মাধ্যমে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছেন, যিনি যেকোনো কিছুর বিনিময়ে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চান। অনেকেই বলছেন, ঢাকার শাসকরা এখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিতেও প্রস্তুত, যেহেতু ভারত সরকারকে সন্তুষ্ট করতে অনেক জাতীয় স্বার্থ বন্ধক রাখা হয়েছে।’ (After many decades of the independence of Bangladesh, Indian policymakers have got the right opportunity with the current government led by Mrs. Sheikh Hasina Wazed, who is willing to ensure to be in power till 2025 at the cost of ‘anything’. Many say, rulers in Dhaka are now ready to compromise independence and sovereignty of Bangladesh as well even get many of the national interests ‘screwed’ just to make sure, Indian government in delighted.)
ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদাম্বরম ও সাহারা খাতুনের মধ্যে ভারতীয় বিএসএফ ও বাংলাদেশের বিজেবি’র সীমান্তে যৌথ পাহারার ব্যবস্থা-সংবলিত বাংলাদেশের স্বার্থঘাতী সমঝোতা স্মারক প্রসঙ্গে সুনীতা পাল বলেন, এর অধীনে ‘বাংলাদেশের সন্ত্রাসী ঘাঁটির অস্তিত্ব সম্পর্কিত গোয়েন্দা-তথ্য পূর্বাহ্নে অভিহিত না করেই ভারত বাংলাদেশের জলে-অন্তরীক্ষে, রাস্তাঘাটে আঘাত করার বৈধ অধিকার পেয়েছে।’
‘এছাড়াও দিল্লি বাংলাদেশের ভেতরে যেকোনো সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার, জিজ্ঞাসাবাদ, এমনকি যে কোনো সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে ভারতে স্থানান্তর/হস্তান্তর করার বৈধ মর্যাদাও অর্জন করেছে। মনে করা হচ্ছে যে, আওয়ামী লীগ ভারতীয় সহযোগিতায় তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এ ধারাকে ব্যবহার করবে।’ (Under this MOU, India gets legal right to strike Bangladeshi land through air, water or road ways, even without ‘leaking advance intelligence report on existence of such terrorist bases within Bangladesh’.
Delhi also gets the legal status to arrest, interrogate and even repatriate any suspected terrorist inside Bangladesh. It is well understood that, Awami League will greatly use this provision with Indian help in cracking their political opponents and political enemies inside the country.)
এমন পরিস্থিতিতে দেশের সব মানুষেরই উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা। খালেদা জিয়াকে যুদ্ধের আহ্বান জানানোর পরিবেশ কারা তৈরি করেছে? দেশের সচেতন নাগরিকরা মনে করেন ভারতের অনুকূলে দেশঘাতী যেসব ছাড় দেয়া হয়েছে, সেগুলো বন্ধ না করে উল্টো দেশঘাতী তত্পরতায় উদ্বিগ্নদের ঘায়েল করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। দেশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বা গোপনে কাজ করলে বা চক্রান্ত করলে দেশদ্রোহিতা হয়, কিন্তু দেশরক্ষার জন্য আহ্বান জানালে কীভাবে কোন সংজ্ঞায় তা দেশদ্রোহিতার আওতায় পড়ে তা বোধগম্য নয়।
যারা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদকে অবমাননার যুক্তি দেখান তাদের কাছে প্রশ্ন : ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি করা হয়েছে তা সংসদে আলোচনা কিংবা উত্থাপন না করে সরাসরি স্বাক্ষরিত হওয়ায় কি জাতীয় সংসদের প্রতি কোন ধরনের অবজ্ঞা দেখানো হয়নি? জাতীয় সংসদের গুরুত্ব কি ভূলুণ্ঠিত হয়নি? সংসদ সদস্যরা কি একবারও জানতে চেয়েছেন ভারতকে করিডোরসহ যেসব সুবিধা দেয়া হয়েছে তার বিনিময়ে বাংলাদেশ ভারত থেকে কি পেয়েছে? একটি দেশের ক’টি স্থান দিয়ে ট্রানজিট দেয়া যায়? জাতীয় সংসদের কোনো সদস্য কি এসব প্রশ্ন জাতীয় সংসদে কোনো দিন উত্থাপন করেছেন? এটা কি শুধু বিরোধী দলের দায়িত্ব? সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা কি কেবল হাত তুলে স্পিকারকে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ জয়যুক্ত হয়েছে বলার সুযোগ দেয়ার জন্য সংসদে যান? তারা কি দলীয় আনুগত্যের দোহাই দিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থরক্ষার জন্য নীরব থাকছেন না? কিন্তু যেইমাত্র দেশরক্ষার জন্য মৌখিক যুদ্ধের আহ্বান জানানো হলো তখনই সংসদ সদস্যদের মনে পড়েছে এতে সংসদকে নাকি অবমাননা করা হয়েছে। আওয়ায়ী লীগ ক্ষমতার বাইরে থাকাকালীন বহুবার বহুভাবে প্রকাশ্যে বলেছিল, দেশে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে। খালেদা জিয়া সঙ্গত কারণে আওয়ামী নেতাদের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেছেন। দেশের স্বার্থ-সার্বভৌমত্ব স্বাধীনতা সুনীতা পালের ভাষায় ভারতের হাতে তুলে দিয়ে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার কোনো কুিসত উদ্যোগ ওই সময়কার কোনো সরকার নেয়নি। দেশের সার্বিক গোপনীয়তা, কৌশলগত স্বার্থ তথা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সত্যিই হুমকির মুখে ছিল না।
সরকার সুনীতা পালের ভাষায় বিনা বাক্য ব্যয়ে ভারতের সব নীতি-কৌশল পূরণ করছে, এসবের সুদূরপ্রসারী পরিণতি কি হবে, তা নিয়ে সামান্যতম ভাবনা আছে বলে মনে হয় না। ভারতীয় নাগরিক বর্তমান সরকারের ভারতপ্রেম দেখেই যদি বলতে পারেন ‘Rulers in Dhaka are now ready to compromise independence and sovereignty of Bangladesh’, তাহলে খালেদা জিয়াকে দেশরক্ষার আহ্বানের জন্য ধন্যবাদ জানানো উচিত। আমরা তো সিকিম-ভুটান-নেপাল হওয়ার জন্য ত্রিশ লাখ মানুষকে কোরবানি দিইনি। যদি দেশ কোনোভাবে সিকিম-ভুটান-নেপালের অবস্থানে চলে যায়, তাহলে সেখান থেকে দেশকে উদ্ধার করা যেকোনো দেশপ্রেমিকের দায়িত্ব নয় কি? স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তির দাবিদার আওয়ামী লীগই তো সবার আগে সে দায়িত্ব পালন করার কথা। তারা সে দায়িত্ব পালন না করলে অবশ্যই অন্য কেউ তা করতে এগিয়ে আসবেন, এটাই স্বাভাবিক। কারও ধমক বা রক্তচক্ষুর ভয়ে ভীত হওয়ার কোনো সুযোগ মোটেই নেই। মিথ্যা মামলা জেল-জুলুম, প্রকাশ্য বা গুপ্ত হত্যার ভয় দেখিয়ে দেশের জনগণকে সব সময়ের জন্য দাবিয়ে রাখা যাবে না। অন্তত ইতিহাস তা-ই বলে। ইতিহাসই সবার কর্মকাণ্ডের সঠিক হিসাব লিখে রাখবে। ইতিহাস চক্রান্ত, মিথ্যা মামলা, প্রকাশ্য বা গুপ্তহত্যার তোয়াক্কা করে না। ইতিহাস সব সময়ই সিরাজউদ্দৌলা-মীরমদন-মোহনলালদের পক্ষে। বিভীষণ, মীরজাফর, জগতশেট, উমিচাঁদ, রায়দুর্লভ, রাজবল্লভ, লেনদুপ দর্জি, ফারুক আবদুল্লাহদের পক্ষে নয়। আমাদের ভবিষ্যত্ বংশধরদের জন্য একটি কার্যকর, শক্তিশালী, সার্বভৌম স্বদেশ নিশ্চিত করতে ধমক আর রক্তচক্ষুর বিপরীতে অবস্থান নিতে হবে। আর এর নাম যদি আরেকটি যুদ্ধ হয়, তাহলেও।
লেখক : আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশী সাংবাদিক ও গবেষক
[email protected]
 
দেশরক্ষার জন্য যুদ্ধের ডাক ও দেশদ্রোহিতা. :enjoy:
 
কি ঘৃণিত এই?
 
কি ঘৃণিত এই?

He is actually trying to say দেশদ্রোহিত. :D
 
নীরব করান...................
 
两个教授的孟加拉语言
 
নীরব করান...................

@ Woo! So many Bengalees in Karachi and Lahore !!!!!

@ Are all these are fake Bangalee or naturalisation ????
 
কিন্দ্লি পোস্ট ইন ইন্তের্নাতীয়নাল লান্গুয়াগে !!!!
 
@ Woo! So many Bengalees in Karachi and Lahore !!!!!

@ Are all these are fake Bangalee or naturalisation ????

There are around 2 million Bengalis in Karachi alone. Most are immigrants/illegals and some are locals.
 
There are around 2 million Bengalis in Karachi alone. Most are immigrants/illegals and some are locals.

@ So you can also join this war declared by Begum Khaleda Zia or you are enjoying ?????
 
There are around 2 million Bengalis in Karachi alone. Most are immigrants/illegals and some are locals.

So one seventh of karachis population is bengali?? Didnt know that
 
Status
Not open for further replies.
Back
Top Bottom