What's new

Recognizing india is enemy - is the biggest accomplishment for Bangladeshis

কলকাতা বাংলাদেশের না হওয়ায় হতাশ ছিলেন বঙ্গবন্ধু

ইংরেজদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের সময় ভারতভাগের পটভূমি আর ঘটনাবলীর বর্ণনা আর বিশ্লেষণ করে বিস্তারিত লিখেছেন তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। পরবর্তী সময়ে যিনি হয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি। শেখ মুজিব সক্রিয় ছিলেন তখনকার পাকিস্তান আন্দোলনে – একবারে ভেতরে থেকে দেখেছেন নানা ঘটনাবলী। সেগুলো উঠে এসেছে বঙ্গবন্ধুর নিজ লেখাতেই। কলকাতা পূর্ব পাকিস্তানের অংশ না হওয়ায় ওই সময়ের তরুণ নেতা শেখ মুজিবের মনে গভীর হতাশা তৈরি হয়েছিল।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪০’র দশকের মাঝামাঝি ব্রিটেনের তখনকার প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল ভারতবর্ষে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন। সেটির নাম ছিল ক্রিপস মিশন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি।

যুদ্ধের পর ক্লিমেন্ট অ্যাটলি যখন লেবার পার্টির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তিনি ১৯৪৬ সালের ১৫ই মার্চ ভারতবর্ষে কেবিনেট মিশন পাঠানোর ঘোষণা দেন। সে কেবিনেট মিশনে তিনজন মন্ত্রী থাকবেন, তারা ভারতবর্ষে এসে বিভিন্ন দলের সঙ্গে পরামর্শ করে ভারতবর্ষকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাধীনতা দেয়া যায়, সে চেষ্টা করবেন।

কিন্তু তখনকার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কথায় মুসলমানদের পাকিস্তান দাবির কথা তো উল্লেখ নাই-ই, বরং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দাবিকে তিনি কটাক্ষ করেছিলেন।

অ্যাটলির বক্তব্য নিয়ে কংগ্রেস সন্তোষ প্রকাশ করলেও মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ সে বক্তৃতার তীব্র সমালোচনা করেন।

কেবিনেট মিশন ২৩শে মার্চ ভারতবর্ষে এসে পৌঁছাল। তারা ভারতবর্ষে এসে যেসব বিবৃতি দিয়েছিল, সেগুলো মুসলমানদের বিচলিত করে তোলে।

তখন শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুসলিম লীগের তরুণ রাজনৈতিক নেতারা দলবলে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কাছে যেতেন। সোহরাওয়ার্দী তখন পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং মুসলিম লীগের সিনিয়র নেতা।

শেখ মুজিবুর রহমানসহ অপেক্ষাকৃত তরুণরা সোহরাওয়ার্দীর কাছে জানতে চাইতেন, কী হবে? সে সময় সোহরাওয়ার্দী শান্তভাবে উত্তর দিতেন, ‘ভয়ের কোনো কারণ নাই, পাকিস্তান দাবি ওদের মানতেই হবে।’

শেখ মুজিবুর রহমান তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইতে বিষয়টি এভাবেই বর্ণনা করেছেন।

১৯৪৬ সালের ৭, ৮, ৯ই এপ্রিল মুসলিম লীগ নেতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ দিল্লিতে সমগ্র ভারতবর্ষের মুসলিম লীগপন্থী কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের কনভেনশন ডাকেন।

তখন সমগ্র ভারতবর্ষে ১১টি প্রদেশ ছিল। এরমধ্যে চারটি ছিল মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ। এই চারটির মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেই এককভাবে মুসলিম লীগ সরকার গঠন করেছিল।

মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর আহ্বানে দিল্লি যাওয়ার জন্য হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করতে বললেন। ট্রেনের নাম দেয়া হল ‘পূর্ব পাকিস্তান স্পেশাল’। কলকাতার হাওড়া থেকে ছাড়বে সে ট্রেন।

শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১০-১৫ জন ছাত্রকর্মী বাংলাদেশ থেকে সে কনভেনশনে যোগ দেবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পুরো ট্রেনটিকে মুসলিম লীগের পতাকা ও ফুল দিয়ে সাজানো হল।

বাংলাদেশে মুসলিম লীগের জয়ে সমস্ত ভারতবর্ষের মুসলমানদের মধ্যে বিরাট আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল।

‘নারায়ে তকবির’, ‘মুসলিম লীগ জিন্দাবাদ’, ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’, ‘মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ জিন্দাবাদ’, ‘শহীদ সোহরাওয়ার্দী জিন্দাবাদ’ ধ্বনির মধ্যে ট্রেন ছেড়ে দিল।

কলকাতা থেকে দিল্লি পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশনে হাজার-হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে দেখার জন্য। তারা ‘শহীদ সোহরাওয়ার্দী জিন্দাবাদ’ এবং ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ শ্লোগান দিতে থাকে।

এজন্য প্রায় আট ঘণ্টা দেরিতে ট্রেনটি দিল্লি পৌঁছাল।

এরপর আরও নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত হয়।

মুসলিম লীগ নেতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করলেন, ১৯৪৬ সালের ১৬ই আগস্ট ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে’ বা ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস’ পালন করা হবে। দিনটি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য তিনি বিবৃতি দিয়েছিলেন।

জিন্নাহ ব্রিটিশ সরকার ও কেবিনেট মিশনকে দেখাতে চেয়েছিলেন যে ভারতবর্ষের ১০ কোটি মুসলমান পাকিস্তান দাবি আদায় করতে বদ্ধপরিকর।

কংগ্রেস ও হিন্দু মহাসভার নেতারা এই ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস’ তাদের বিরুদ্ধে ঘোষণা করা হয়েছে বলে বিবৃতি দিতে শুরু করলেন।

শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীদের বলা হল দিনটি সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য।

‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস’ শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যরা প্রস্তুতি নিলেন।

শেখ মুজিবুর রহমান তার আত্মজীবনীতে সেটি বর্ণনা করেছেন এভাবে, ‘হাশিম সাহেব আমাদের নিয়ে সভা করলেন। আমাদের বললেন, তোমাদের মহল্লায় যেতে হবে, হিন্দু মহল্লায়ও তোমরা যাবে। তোমরা বলবে, আমাদের এই সংগ্রাম হিন্দুদের বিরুদ্ধে নয়, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে, আসুন আমরা জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে দিনটা পালন করি।’

‘আমরা গাড়িতে মাইক লাগিয়ে বের হয়ে পড়লাম। হিন্দু মহল্লায় ও মুসলমান মহল্লার সামনে প্রোপাগান্ডা শুরু করলাম। অন্য কোনো কথা নাই, ‘পাকিস্তান’ আমাদের দাবি। এই দাবি হিন্দুর বিরুদ্ধে নয়, ব্রিটিশের বিরুদ্ধে।’

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তখন বাংলার প্রধানমন্ত্রী। দিনটি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য তিনিও বলে দিলেন। সোহরাওয়ার্দী ১৬ই আগস্ট সরকারি ছুটি ঘোষণা করলেন। এতে কংগ্রেস ও হিন্দু মহাসভা আরও ক্ষেপে গেল।

১৬ই আগস্ট কলকাতার গড়ের মাঠে সভা হবে। সব এলাকা থেকে শোভাযাত্রা করে জনসাধারণ আসবে। কলকাতার মুসলমান ছাত্ররা ইসলামিয়া কলেজে সকাল দশটায় জড়ো হবার কথা। শেখ মুজিবুর রহমানকে ভার দেয়া হল ইসলামিয়া কলেজে থাকতে এবং সকাল সাতটায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম লীগের পতাকা উত্তোলন করতে।

সকালে তিনি ও নূরউদ্দিন সাইকেলে করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে সেখানে পতাকা উত্তোলন করলেন। কিন্তু কেউ তাদের বাধা দিল না।

এরপর তারা আবার ইসলামিয়া কলেজে ফিরে আসেন। কিছুক্ষণ পরেই তারা দেখেন, কয়েকজন ছাত্র রক্তাক্ত দেহে ইসলামিয়া কলেজে এসে পৌঁছেছে। কারও পিঠে ছুরির আঘাত, কারো মাথা ফেটে গেছে।

এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য শেখ মুজিবুর রহমান মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না। আর এই অবস্থায় বিভিন্ন জায়গা থেকে মুসলমানদের ওপর হিন্দুদের আক্রমণের খবর আসছে।

ওই পরিস্থিতির বর্ণনায় শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন, ‘আমাদের কাছে খবর এলো, ওয়েলিংটন স্কোয়ারের মসজিদে আক্রমণ হয়েছে। ইসলামিয়া কলেজের দিকে হিন্দুরা এগিয়ে আসছে। … আমরা চল্লিশ পঞ্চাশ জন ছাত্র প্রায় খালি হাতেই ধর্মতলার মোড় পর্যন্ত গেলাম।’

‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা কাকে বলে এ ধারণাও আমার ভালো ছিলনা। দেখি শতশত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক মসজিদ আক্রমণ করছে। মৌলভী সাহেব পালিয়ে আসছেন আমাদের দিকে। তার পিছে ছুটে আসছে একদল লোক লাঠি তলোয়াড় হাতে।’

পাশেই মুসলমানদের কয়েকটা দোকান ছিল। কয়েক জন লোক কিছু লাঠি নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়াল। আমাদের মধ্য থেকে কয়েকজন ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ দিতে শুরু করলো। দেখতে দেখতে অনেক লোক জমা হয়ে গেল। হিন্দুরা আমাদের সামনা-সামনি এসে পড়েছে।

‘বাধা দেয়া ছাড়া উপায় নেই। ইট পাটকেল যে যা পেল তাই নিয়ে আক্রমণের মোকাবেলা করে গেল। আমরা সব মিলে দেড়শত লোকের বেশি হব না। কে যেন পেছন থেকে এসে আত্মরক্ষার জন্য আমাদের কয়েকখানা লাঠি দিল। এর পূর্বে শুধু ইট দিয়ে মারামারি চলছিল।

‘এর মধ্য একটা বিরাট শোভাযাত্রা এসে পৌঁছাল। এদের কয়েক জায়গায় বাধা দিয়েছে, রুখতে পারে নাই। তাদের সকলের হাতেই লাঠি। এরা এসে আমাদের সঙ্গে যোগদান করল। কয়েক মিনিটের জন্য হিন্দুরা ফিরে গেল, আমরাও ফিরে গেলাম।’

সমগ্র কলকাতায় তখন মারামারি চলছে।

শেখ মুজিবের বর্ণনা অনুযায়ী, মুসলমানরা মোটেই সে দাঙ্গার জন্য প্রস্তুত ছিল না। সে দাঙ্গার সময় তিনি ও তার সহকর্মীরা মিলে কিছু হিন্দু পরিবারকেও রক্ষা করেছিলেন।

শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন, ১৬ই আগস্ট মুসলমানরা ভীষণভাবে মারা খেয়েছে এবং পরের দুই দিন মুসলমানরা হিন্দুদের ভীষণভাবে মেরেছে।

কলকাতার দাঙ্গা বন্ধ না হতেই আবার দাঙ্গা শুরু হল নোয়াখালীতে। মুসলমানরা সেখানে হিন্দুদের বাড়িঘর লুট করলো এবং আগুন ধরিয়ে দিল। ঢাকায় তো দাঙ্গা লেগেই আছে।

এর প্রতিক্রিয়ায় বিহারে শুরু হলো ভয়াবহ দাঙ্গা। বিহার প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় ‘মুসলমানদের ওপর প্লান করে’ আক্রমণ হয়েছিল।

দাঙ্গা শুরুর তিনদিন পরেই শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহকর্মীরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পাটনায় গিয়েছিলেন।

নানা অস্থিরতা, চড়াই-উতরাই ও আলোচনার পর ১৯৪৭ সালের জুন মাসে ভারতবর্ষ ভাগ করার ঘোষণা এলো। কংগ্রেস ভারত ভাগ করতে রাজি হয়েছে এই জন্য যে বাংলা ও পাঞ্জাব ভাগ হবে।

আসামের সিলেট জেলা ছাড়া আর কিছুই পাকিস্তানে আসবে না। কলকাতা ও তার আশপাশের জেলাগুলো ভারতের অন্তর্ভুক্ত হবে। মাওলানা আকরম খাঁ এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য মুসলিম লীগ নেতারা এর তীব্র প্রতিবাদ করলেন।

ভারতবর্ষ ভাগের এই ফর্মুলা নিয়ে শেখ মুজিব নিজেও বেশ হতাশ হয়েছিলেন। এ বিষয়টি তার আত্মজীবনীতেও ফুটে উঠে।

শেখ মুজিব লিখেছেন, ‘কংগ্রেস ও হিন্দু মহাসভা নেতারা বাংলাদেশ ভাগ করতে হবে বলে জনমত সৃষ্টি করতে শুরু করলো। আমরাও বাংলাদেশ ভাগ হতে দেব না, এর জন্য সভা করতে শুরু করলাম। আমরা কর্মীরা কি জানতাম যে কেন্দ্রীয় কংগ্রেস ও কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগ মেনে নিয়েছে এ ভাগের ফর্মুলা? বাংলাদেশ যে ভাগ হবে, বাংলাদেশের নেতারা তা জানতেন না।’

এই অঞ্চলের নেতাদের ধারণা ছিল সমগ্র বাংলা ও আসাম পাকিস্তানে আসবে।

কিন্তু শেখ মুজিবসহ অন্যরা জানতে পারলেন, আসামের একটি জেলা, যেটি বর্তমানে সিলেট, পাকিস্তানের আওতায় আসবে যদি তারা সেটা গণভোটে জিততে পারে।

শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন, ‘গোপনে গোপনে কলকাতার মুসলমানরা প্রস্তুত ছিল, যা হয় হবে, কলকাতা ছাড়া যাবে না। শহীদ সাহেবের (হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী) পক্ষ থেকে বাংলা সরকারের অর্থমন্ত্রী জনাব মোহাম্মদ আলী ঘোষণা করেছিলেন, কলকাতা আমাদের রাজধানী থাকবে। দিল্লি বসে অনেক পূর্বেই যে কলকাতাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে একথা তো আমরা জানতামও না, বুঝতামও না।’

এ সময় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশিম মুসলিম লীগের তরফ থেকে এবং শরৎ বসু ও কিরণ শংকর রায় কংগ্রেসের তরফ থেকে এক আলোচনা সভা করেন। তাদের আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় যে, বাংলাদেশ ভাগ না করে অন্য কোনো পন্থা অবলম্বন করা যায় কিনা? বাংলাদেশের কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ নেতারা একটা ফর্মুলা ঠিক করেন।

ওই ফর্মুলায় বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ হবে স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্র। জনসাধারণের ভোটে একটা গণপরিষদ হবে।

শেখ মুজিবের বর্ণনা অনুযায়ী, ওই গণপরিষদ ঠিক করবে বাংলাদেশ হিন্দুস্তান না পাকিস্তানে যোগদান করবে, নাকি স্বাধীন থাকবে। গণপরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে সেটি নির্ধারিত হবার বিষয়টি ফর্মুলায় উল্লেখ করা হয়েছিল।

এ ফর্মুলা নিয়ে শরৎ বসু গান্ধীর সঙ্গে এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর সঙ্গে দেখা করতে যান।

শরৎ বসুকে উদ্ধৃত করে শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন, এ ফর্মুলা নিয়ে জিন্নাহর কোনো আপত্তি ছিলনা, যদি কংগ্রেস রাজি হয়।

অন্যদিকে ব্রিটিশ সরকার বলে দিয়েছিল, কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ একমত না হলে তারা নতুন কোনো ফর্মুলা মানতে পারবে না।

ওই ফর্মুলা নিয়ে শরৎ বসু কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে অপমানিত হয়ে ফেরত এসেছিলেন বলে উল্লেখ করেন শেখ মুজিবুর রহমান।

কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল বলেছিলেন, ‘শরৎ বাবু পাগলামি ছাড়েন, কলকাতা আমাদের চাই।’

কলকাতা পূর্ব পাকিস্তানের অংশ না হওয়ায় গভীর হতাশা তৈরি হয়েছিল শেখ মুজিবের মনে। এজন্য তিনি তখনকার মুসলিম লীগ নেতৃত্বের একটি অংশকে দায়ী করেন।

শেখ মুজিব লিখেছেন, পাকিস্তান সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গেই ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছিল।

বিশেষ করে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যাতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন, সেজন্য তার বিরুদ্ধে এক ধরণের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন শেখ মুজিবুর রহমান।

সোহরাওয়ার্দীকে সরিয়ে খাজা নাজিমউদ্দিনকে ক্ষমতায় বসানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল।

শেখ মুজিবের বর্ণনা ছিল এ রকম, ‘বাংলাদেশ ভাগ হলেও আমরা যতটুকু পাই, তাতেই সিন্ধু, পাঞ্জাব, সীমান্ত প্রদেশ ও বেলুচিস্তানের মিলিত লোকসংখ্যার চেয়ে পূর্ব পাকিস্তানের লোকসংখ্যা বেশি। সোহরাওয়ার্দীর ব্যক্তিত্ব, অসাধারণ রাজনৈতিক জ্ঞান, বিচক্ষণতা ও কর্মক্ষমতা অনেককেই বিচলিত করে তুলেছিল। কারণ, ভবিষ্যতে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চাইবেন এবং বাধা দেয়ার ক্ষমতা কারও থাকবে না।’

এক পর্যায়ে খাজা নাজিমুদ্দিন নেতা নির্বাচিত হলেন। নেতা হয়ে তিনি ঘোষণা করেন যে ঢাকা রাজধানী হবে। নাজিমুদ্দিন দলবলসহ তখন ঢাকায় চলে আসেন।

নাজিমুদ্দিনের ঢাকায় চলে আসার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার উপর থেকে পাকিস্তানের দাবি আর থাকল না বলে উল্লেখ করেন শেখ মুজিব।

লর্ড মাউন্টব্যাটেনের বই ‘মিশন উইথ মাউন্টব্যাটেন’ উদ্ধৃত করে শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন, ইংরেজরা তখনো ঠিক করে নাই কলকাতা পাকিস্তানে আসবে, না হিন্দুস্তানে থাকবে। আর যদি কোনো উপায় না থাকে তবে একে ‘ফ্রি শহর’ করা যায় কিনা? কারণ, কলকাতার হিন্দু মুসলমান লড়বার জন্য প্রস্তুত। যে কোনো সময় দাঙ্গাহাঙ্গামা ভীষণ রূপ নিতে পারে। কলকাতা হিন্দুস্তানে পড়লেও শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত পাকিস্তানে আসার সম্ভাবনা ছিল। হিন্দুরা কলকাতা পাবার জন্য আরও অনেক কিছু ছেড়ে দিতে বাধ্য হত।

শেখ মুজিব লিখেছেন, যখন গোলমালের কোনো সম্ভাবনা থাকল না, তখন লর্ড মাউন্টব্যাটেন সে সুযোগে যশোর জেলায় সংখ্যাগুরু মুসলমান অধ্যুষিত বনগাঁ জংশন অঞ্চল কেটে দিলেন। নদীয়ায় মুসলমান বেশি ছিল। কিন্তু তারপরেও কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট জংশন ভারতকে দেয়া হল।

তিনি আরও লিখেছেন, মুর্শিদাবাদে মুসলমান বেশি হলেও সেটা ভারতের অংশে দেয়া হল। মালদহ জেলায় মুসলমান ও হিন্দু সমান হওয়ায় তার আধা অংশ কেটে দেয়া হল। দিনাজপুরে মুসলমান বেশি ছিল। বালুরঘাট মহকুমা কেটে দেয়া হল, যাতে জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং ভারতের অংশ হয়।

শেখ মুজিব মনে করেন, এ জায়গাগুলো কিছুতেই পাকিস্তানে না এসে পারতো না।

তার আশা ভঙ্গের বর্ণনা করে শেখ মুজিব লিখেছেন, ‘যে কলকাতা পূর্ব বাংলার টাকায় গড়ে উঠেছিল, সেই কলকাতা আমরা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিলাম। কেন্দ্রীয় লীগের কিছু কিছু লোক কলকাতা ভারতে চলে যাক এটা চেয়েছিল বলে আমার মনে হয়। অথবা পূর্বেই গোপনে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। সোহরাওয়ার্দী নেতা হলে তাদের অসুবিধা হত, তাই তারা পিছনের দরজা দিয়ে কাজ হাসিল করতে চাইল। কলকাতা পাকিস্তানে থাকলে পাকিস্তানের রাজধানী কলকাতায় করতে বাধ্য হত, কারণ পূর্ব বাংলার লোকেরা দাবি করত পাকিস্তানের জনসংখ্যায়ও তারা বেশি, আর শহর হিসেবে তদানীন্তন ভারত বর্ষের শ্রেষ্ঠ শহর কলকাতা।’

কলকাতা ‘হাতছাড়া’ হওয়ার কারণে শেখ মুজিবুর রহমান তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘নেতারা যদি নেতৃত্ব দিতে ভুল করে, জনগণকে তার খেসারত দিতে হয়।’

(বিবিসি’র অবলম্বনে তৈরি এ লেখাটিতে ব্যবহৃত শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্য তার লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বই থেকে নেয়া হয়েছে)
 
Well, since at least 1900s members of my family have served in the military. I think there has been slacking off in the last two generations because other opportunities came up but the respect for the military is there. 100%. Rock on. And I think that is common in Pakistan. Soldiering is a honourable profession.

And seriously why are Banglas against a country, India that nurse maided their birth? That is a enigma to me.

Bangladeshis are independent because they wanted it. they are too many to be denied their rights
India's help was incidental. I would say India's help shortened the agony of a long war.

this is what sadly India lacks in most of regions, aggressiveness , Fighting Spirit, Martial-ness.

unlike gujarat my former state have strong martial tradition thanks to Rajputs, Mer and Maldhari communities(total 70%). my own Brahmin family since migrating to this land have worked in the Rajput Courts and Armies as general to fight and defend our kingdoms. but since '47 all the former army-men of those kings and other castes have left their family tradition and started living off on their family jagir(landlord) as zamindaar doing nothing but staying ideal all the day. you know why ? because unlike other countries, majority of Indians dont Respect Army. they consider us watchmen not Warriors or protectors. our military was used to make government houses in peace time because people used to think that our soldiers are leeching off money from the nation. also, have you seen the quality of the food they serve to our Military-men who are fighting for our nation in kashmir ? when one guy complained on fb government first caged him and later fired him from the job. can you fight people like these ? no-wonder 2/3 of my family is in UK and US.

some still do, and i am very greatful of those who are so selfless that they can die for the people who view them as watchmen. even some from my own community are in army still today. on average Brahmins are now 3.5% of total population of India (shrunk from 5%) but still we contribute 15% to the Indian Military.

with combat aircraft and precision guided weapons large standing armies are a thing of the past
 
If you continue hijacking this thread with non topic discussion, one can expect indian forum to have the same fate.
If MODs don't take action that will count as their approval of violation.

go on, if you can.

since you are a new guy here i am giving you free pass this time. you seriously dont want me to go back to my old days.
 
Operations against the Kaderia Bahini.
'কাদেরিয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে আমার অভিযান'

resize.php

Tue, August 15
মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান (অব.):

ණ☛ এতোদিন পরে যা লিখছি তার বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে কোন অতিরঞ্জন নাই। তবে এর সময়কাল এবং খুঁটিনাটি বিষয়ে স্মৃতি বিভ্রম থাকা অসম্ভব নয়। তার পরেও স্মৃতিশক্তর উপরে নির্ভর করে লিখছি কারণ এই যৎসামান্য ঘটনা বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ যার গুরুত্ব অপরিসীম একটি সদ্য স্বাধীন দেশের সেনাবাহিনীর জন্য।

ණ☛ ১৯৭৫ সাল। বংগবন্ধু নিহত হবার পরে জানব কাদের সিদ্দিকী বংগবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে ভারতে চলে যান। ভারতের সহায়তায় তিনি কাদেরিয়া বাহিনীকে পুনর্গঠিত করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন। এতে সেনাবাহিনীর অনেকেই হতাহত হন। ১৯৭৫ সালের সম্ভবতঃ নভেম্বর মাসের শেষের দিকের ঘটনা। তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনা সদর দফতরে ডাইরেক্টর মিলিটারী অপারেশন ছিলেন কর্ণেল এম এ মালেক। কর্ণেল এম এ মালেক সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলে কাদেরিয়া বাহিনীকে মোকাবেলা করার জন্য সম্ভবতঃ ৪৩ লংকোর্সের ক্যাপ্টেন মাহবুবের নেতৃত্বে ইনফ্যান্ট্রি ও আর্টিলারি সমন্বয়ে গঠিত একটি কম্পোজিট ফোর্স প্রেরন করেন।

ණ☛ আমি তখন পাবনার রেসিডেন্সিয়াল মডেলে স্কুল যা বর্তমানে পাবনা ক্যাডেট কলেজ ক্যাম্প করে আমার কোম্পানি নিয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নিয়োজিত ছিলাম। এর পুর্বে বংগবন্ধু নিহত হবার সময় আমি রুপপুর ডাকবাংলোতে ক্যাম্প করে নর্থবেঙ্গলের দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা করতে পাকশিতে ফুড মুভমেন্টের কাজ করছিলাম। আমাদের ১০ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট তখন বগুড়াতে অস্থায়ী সদর দপ্তর স্থাপন করে অবস্থান করছিল। ১০ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন লেঃ কর্ণেল নওয়াজেশ আলী (চট্টগ্রামে জিয়া হত্যায় ফাঁসিতে নিহত)। সময়টা ১৯৭৫ সালের সম্ভবতঃ নভেম্বর মাসের শেষদিক হবে। আমি ব্যাটালিয়ন সদর থেকে আদেশ পেলাম আমাকে সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলে ফোর্স নিয়ে যেতে হবে কাদেরিয়া বাহিনীর দ্বারা ঘেরাও হয়ে থাকা ক্যাপ্টেন মাহবুবের কম্পোজিট ফোর্সকে একটি সার্চ এন্ড রেস্ক্যু অপারেশনের মাধ্যমে উদ্ধার করার জন্য। আমাকে আরো জানানো হলো ক্যাপ্টেন মাহবুব সম্ভবতঃ কাদেরিয়া বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন এবং তার ফোর্সের সবাই যে যার মতো ইউনিফর্ম খুলে চরের গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে।

ණ☛ এ্যায়ার ফোর্সের সম্ভবতঃ একটি এম আই ১৭ হেলিকপ্টার আসছে আমাকে এবং আমার ফোর্সকে গোলাবারুদসহ সিরাজগঞ্জে নিয়ে যাবার জন্য। নির্দেশ দেওয়া হলো আমি হেলিকপ্টারে করে সিরাজগঞ্জের সম্ভবতঃ সার্কিটহাউজ মাঠের হেলিপেডে নেমে ব্রহ্মপুত্র নদী পার হয়ে সিরাজগঞ্জের চরে গিয়ে এই অপারেশন করবো।

ණ☛ আমি তৈরী হলাম ফোর্স নিয়ে। অপারেশন এরিয়ার সামরিক ম্যাপের কোওর্ডিনেট আমাকে দেওয়া হলো যাতে আমার অপারেশন এলাকা চিহ্নিত করতে এবং যেতে কোনো অসুবিধা না হয়। আমি হেভি ওয়েপনের মধ্যে জিএফ (গ্রেনেড ফায়ারিং) রাইফেল, লাইট মেশিনগান এবং সম্ভবতঃ ৪০ এম এম রকেট লঞ্চার নিলাম। প্রত্যেক সৈনিকে এক্সট্রা এ্যামুনিশন ও এক্সট্রা গ্রেনেড দিলাম যাতে দীর্ঘ সময় অপারেশন পরিচালনা করতে পারি। সাথে যোগাযোগের জন্য ওয়ার্লেসসেট। বেলা ১0/১১ টার দিকে হেলিকপ্টার এলে আমার নেতৃত্বে এক প্লাটুন ফোর্স নিয়ে যাত্রা করলাম। হেলিকপ্টার আকাশে উড়লো। আমাকে একটি চিন্তা আচ্ছন্ন করলো যেখানে একজন ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে একটি কম্পোজিট ফোর্স ছিন্নভিন্ন শুধু হয়নাই ফোর্স কমান্ডর নিজে নিহত সেখানে আমার এই এক প্লাটুন ফোর্স কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে আমি কাদেরিয়া বাহিনীকে যুদ্ধে পরাজিত করে হতভাগ্য সৈনিকদের উদ্ধার করবো!

ණ☛ আমি কেবলই ভাবছি আমাকে এমন কিছু করতে হবে যাতে আমি আমার এই সামান্য ফোর্স দিয়েই যেন শত্রু বাহিনীকে চরম ভাবে পরাজিত করতে পারি। তানাহলে আমাকেও ক্যাপ্টেন মাহবুবের ভাগ্য বরন করতে হবে এবং আমার ফোর্সের কেউ জীবন নিয়ে ফিরতে পারবেনা। কারণ কাদেরিয়া বাহিনী ঐ এলাকায় সুবিধাজনক অবস্থানে আছে।

ණ☛ সিরাজগঞ্জ শহর নজরে এলো। পাইলট হেলিকপ্টার নিয়ে নীচে হেলিপেডে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমন সময় আমি এক চরম দুঃসাহসিক অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়ে বসলাম। আমি হেডফোনে পাইলটকে অপারেশন এলাকার ম্যাপ কোওর্ডিনেট দিয়ে বললাম আপনি সোজা অপারেশন এলাকায় চলে যান। ওখানে পরিস্থিতি দেখে আপনাকে আমি পরবর্তী নির্দেশ দিবো। এটা শুনে পাইলট আমাকে বলল এটা সম্ভব নয়। কারণ অপারেশন এলাকায় কাদেরিয়া বাহিনী হেলিকপ্টারে গুলিকরে হেলিকপ্টার ভূপাতিত করলে তখন কি হবে? আমি বললাম তখন আপনি চেষ্টা করবেন গুলিবিদ্ধ হেলিকপ্টারকে কোনমতে সিরাজগঞ্জে নিয়ে আসতে। মরলে সবাই একসাথে মরবো। কিন্তু কেউ বলবেনা আমরা যুদ্ধে পরাজিত হয়েছি। যুদ্ধে পরাজিত হয়ে মরার চেয়ে হেলিকপ্টার ক্র্যাশকরে মরা অনেক ভালো। যাইহোক অনেক বাকবিতন্ডার পরে হেলিকপ্টার সামনে এগুতে থাকলো। আমি অপারেশন এলাকা দেখতে পাচ্ছি। জনমানব শুন্য। হেলিকপ্টার একটি গ্রামের উপরে যখন হোভার করছে হঠাৎ দেখি কিছু লোক দৌড়ে উত্তর দাকে পালিয়ে যাচ্ছে। দেখলাম এরা কাদেরিয়া বাহিনীর লোক।

ණ☛ হঠাৎই হেলিকপ্টার তাদের মাথার উপরে দেখে হতচকিত হয়ে দিকবিদিক ছুটে পালাচ্ছে। কাদেরিয়া বাহিনীর লোকেরা চিন্তাও করতে পারেনি যে আমরা হেলিকপ্টারে করে তাদের মাথার উপরে যাবো। এমন দুঃসাহসিক পদক্ষেপ আমরা নেবো তারা ভাবেনাই। আমি সৈনিকদের প্রস্তুত হতে বললাম। পাইলটকে বললাম কাদেরিয়া বাহিনীর লোকদের চেজ করার জন্য যাতে আমরা তাদের হেলিকপ্টার থেকে গুলিকরে মারতে পারি।

ණ☛ কিন্তু পাইলট জানালো হেলিকপ্টারের ফুয়েল কমে গেছে এখনই ল্যান্ড না করলে আমরা হেলিকপ্টার নিয়ে সিরাজগঞ্জে ফিরতে পারবোনা রিফুয়েলিং এর জন্য। আমার আফসোস হচ্ছিল হেলিকপ্টারে জ্বালানি থাকলে আমরা কাদেরিয়া বাহিনীর সবকটাকে গুলি করে মেরে ফেলতে পারতাম।

ණ☛ হেলিকপ্টার ল্যান্ড করলে আমরা হেলিকপ্টার থেকে ডিসমাউন্ট করে দ্রুত ফায়ার এন্ড মুভ করে সামনে এগুতে থাকলাম। যতদূর পারলাম আমরা কাদেরিয়া বাহিনীর পিছু ধাওয়া করে ঐ এলাকা কাদেরিয়া বাহিনী শুন্য করে ফেললাম। বিকেল ৪টার মধ্যে আমরা এদিক ওদিকে আত্মগোপনে থাকা জেসিও এবং সৈনিকদের গ্রামের জনগনের সাহায্যে উদ্ধার করি। অনেক খো়ঁজাখুঁজি করেও আমরা ক্যাপ্টেন মাহবুবের লাশ উদ্ধার করতে পারেনি। গ্রামবাসীদেরও কেউ তার লাশের কোনো হদিস দিতে পারে নাই।

ණ☛ পরে হেলিকপ্টারে গাদাগাদি করে সিরাজগঞ্জে এসে হেলিকপ্টার থেকে নেমে রিফুয়েলিং করে আমার প্লাটুনের সৈনিকদের বাইরোডে পাবনা পাঠিয়ে দিয়ে উদ্ধারকৃত জিসিও এবং সৈনিকদের নিয়ে হেলিকপ্টারে সম্ভবতঃ রাজশাহী চলে আসি ব্যটালিয়নের অস্থায়ী লোকেশনে। পরে আহত সৈনিকদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এই অপারেশনে আমার প্লাটুনের কোনো ক্ষয় ক্ষতি হয়নি। কেবল কিছু গোলাবারুদ খরচ হয়েছিল মাত্র।

লেখক: কলামিস্ট ও প্রাক্তন মহাপরিচালক বিডিআর।
http://newsorgan24.com/detail/27242
Please note that post August 1971, India once again opened their Borders for the miscreants, armed and harbored then with a vision to topple and restore and form a pro Indian Government. Read the book titled "Amar Fashi Chai" "I Want to be Hanged", written by late Motiur Rahman Rentu, revealing all misdeeds of the P.M.and Indian hidden agendas.
 
weren't those men Razakars who got executed for colaboration with Pakistani army ?
Correct, Razakers or not, were never even identified nor confirmed. Extra judicial cold blooded murders in broad daylight before the public, based only on hearsay, bayoneted to death, at the Dhaka Stadium, during the Arms surrender ceremony, of Kaderi Bahini before BB,well after our liberation war had ended.
 
Correct, Razakers or not, were never even identified or confirmed. Extra judicial cold blooded murders in broad daylight before the public, based only on hearsay, at the Dhaka Stadium, during the Arms surrender of Kaderi Bahini before BB,well after our liberation war had ended.

I was under the impression the reprisals were limited in number
 
I was under the impression the reprisals were limited in number
I just DO NOT want intend to get dragged in this delicate subject, as I witnessed to much, only in sorrow and pain, as few of my close friends were directly involved. Lets close these chapters and revert back to the thread.:-):-):-)
 
I just DO NOT want intend to get dragged in this delicate subject, as I witnessed to much, only in sorrow and pain, as few of my close friends were directly involved. Lets close these chapters and revert back to the thread.:-):-):-)

Given the brutality of the war some excesses were to be expected
IMO Bangladeshis were gracious to offer citizenship to the Biharis
 
India is fast becoming one of the big enemy of Muslims/Islam. Not just Bangladeshis. India is like the Zionist of Asia. Infact Hindutva ideology and philosophy is like that of Zionism. Plz note not all every single hindus are bad and follow hindutva methodology (there are good hindus in Bangladesh peacefully and hardworking), it's the hindutvas from India, alone that are extremists hindus who are trying to follow the Yahdu Zinoism!
 
its a bad idea to have enemy on both sides, you need to be friend with either India or myanmar.
 
Defence Technology of Bangladesh-DTB
UPDF insurgents Clash with Army in Khagrachori of CHT
খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর সাথে UPDF সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয়েছে।


গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী অপারেশন পরিচালনা করতে গেলে সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর উপর গুলি বর্ষণ করলে সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি ছুড়ে।পরে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।ঘটনাস্থল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত একটি Colt AR-15 Assult Rifle, একটি ফ্রান্সে নির্মিত পিস্তল এবং বেশ কিছু গুলি উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

20915216_1449546531800442_651593838452044130_n.jpg
 

Country Latest Posts

Back
Top Bottom