জেরায় লাটভাই///‘অর্ধশত মামলার আসামী লাটভাই গ্রেফতার’ শিরোনামে খবর প্রকাশ হতে পারে
১০/৯/২০১২
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের নবম সাী আমির হোসেন মোল্লা ওরফে লাট মিয়ার চতুর্থ দিনের মতো জেরা করা হয়েছে। জেরাকালে সাীকে ইশারা-ইঙ্গিতে সহযোগিতা করার কারণে ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউর মোহাম্মদ আলীকে সতর্ক করে দিয়েছেন। প্রসিকিউর মোহাম্মদ আলী জেরাকালে বার বার সাীকে ইশারা ইঙ্গিত দিচ্ছেলেন। আজ জেরা শেষে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পরবর্তী জেরার দিন ধার্য করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল-২ এ কাদের মোল্লার আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার সাক্ষীকে জেরা করেন।
জেরা:
প্রশ্ন : একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরের পরে ভারতীয় সেনাবাহিনী মিরপুরে অবস্থান নেয়।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ৩০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে ভারতীয় বাহিনীর কাছ থেকে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী মিরপুরের কর্তৃত্ব বুঝে নেয়।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ৩১ জানুয়ারি যখন মিরপুর মুক্ত হয় তখন ভারতীয় মিত্র বাহিনী মিরপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ছিল না।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : আলুবদি গ্রামের আব্দুল বারেক যিনি ২৪ এপ্রিল ১৯৭১ সালে ঘটনার প্রত্যদর্শী তাকে চেনেন?
উত্তর : তাকে চিনি না। তিনি প্রত্যদর্শী কি না তাও জানি না।
প্রশ্ন : আলুবদী গ্রামে বীরঙ্গনা মোসা. লাইলীকে চেনেন?
উত্তর : আমি চিনি।
প্রশ্ন : আলবদী গ্রামের কালু মোল্লা, মনসুর আলী দেওয়ান, ওহাব আলী দেওয়ান, বদু বেপারী, বারেক মাদবর, রহমান বেপারী এদের চেনেন?
উত্তর : এদের আমি চিনতাম।
প্রশ্ন : আলবদী গ্রামের উত্তর পাড়ার কিতাব আলী ও চুনু বেপারীকে চেনেন?
উত্তর : চিনতাম।
প্রশ্ন : মোহাম্মদ আব্দুল হাই পিতার নাম হাজী মোঃ নাঈম উদ্দিনকে চেনেন?
উত্তর : চিনতাম।
প্রশ্ন : জবানবন্দীতে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়ে তোলার কথা কাল্পনিক মিথ্যা ও বানোয়াট?
উত্তর : প্রশ্নই আসে না, অসত্য।
প্রশ্ন : স্থানীয় বাসিন্দা কামাল উদ্দিন ওরফে কালাচাঁদকে চেনেন?
উত্তর : চিনি।
প্রশ্ন : স্থানীয় বাসিন্দা আলী আসগরকে চেনেন?
উত্তর : চিনি না।
প্রশ্ন : ২৪ এপ্রিল ঘটনার যে কথা বলেছেন তার প্রত্যদর্শী ছিলেন হাজী আব্দুল করিম। তাকে চেনেন?
উত্তর : চিনি না।
প্রশ্ন : ২১ জন আত্মীয় মারা গেছে। প্রথম বলেছেন খালু রুস্তম বেপারীর কথা। তার কয় সন্তান?
উত্তর : দু'ছেলে আনামত বেপারী ও নিলামত বেপারী।
প্রশ্ন : আলুবদি গ্রামের কিতাব আলীকে চেনেন?
উত্তর : চিনি না।
প্রশ্ন : মামাত ভাই ছুনুকে চেনেন?
উত্তর : ঘটনার সময় নিঃসন্তান ছিল।
প্রশ্ন : চাচা মোখলেছুর রহমানের কয় ছেলে ছিল?
উত্তর : এক ছেলে ঘটনার সময় ১২/১৩ বছর বয়স ছিল।
প্রশ্ন : ভাবী ইয়াসমিন বানুর কয় সন্তান ছিল?
উত্তর : নিঃসন্তান অবস্থায় নিহত হন।
প্রশ্ন : ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন এডভোকেট জহির উদ্দিন। নির্বাচনী এলাকার সীমানা বলতে পারবেন।
উত্তর : উত্তরে ধৌর কামারপাড়া (হরিরামপুর ইউনিয়ন
দেিণ রায়েরবাজার ঝিগাঁতলা পর্যন্ত ছিল।
প্রশ্ন : তখন মিরপুর মোহাম্মদপুর কোন নির্বাচনী এলাকা ছিল?
উত্তর : একই নির্বাচনী এলাকা।
প্রশ্ন : ওই সময় জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কতোজন প্রার্থী মনোনয়ন দেন?
উত্তর : কে কোন পরিষদের প্রার্থী ছিলো বলতে পারবো না। সম্ভবত ড. মোশাররফ এমপি প্রার্থী ছিলেন।
প্রশ্ন : এডভোকেট জহির উদ্দিন বাঙ্গালি না অবাঙ্গালি ছিলেন?
উত্তর : অবাঙ্গালি ছিলেন।
প্রশ্ন : জহির উদ্দিন মিরপুরে বিহারীদের এলাকায় বসবাস করতেন?
উত্তর : আমি জানি না।
প্রশ্ন : ১৯৭০ সালে জহির উদ্দিন সাহেব নির্বাচনী প্রচারণায় আপনাদের গ্রামে গিয়েছিলেন?
উত্তর : গিয়েছিলেন এবং বক্তব্য রেখেছিলেন।
প্রশ্ন : জহির উদ্দিনের পে প্রচারণার সময় কে কে থাকতো?
উত্তর : অনেক বাঙ্গালি অংশগ্রহণ করেছিল। তাদের মধ্যে রশিদ মোল্লা ও দুলা মিয়া বেঁচে আছে।
প্রশ্ন : ১৯৭০ সালে মিরপুর এলাকায় বিহারীরা ভোটার সংখ্যায় বেশি ছিল।
উত্তর : এটা সত্য নয়।
প্রশ্ন : যেহেতু বিহারীরা বেশি ছিল তাই বঙ্গবন্ধু অবাঙ্গালি এডভোকেট জহির উদ্দিনকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন।
উত্তর : এটা সত্য নয়।
লাট মিয়ার জেরার বাকি অংশ
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে নবম সাক্ষী মোঃ আমির হোসেন মোল্লা ওরফে লাট মিয়াকে বুধবার (৫/৯/১২
দ্বিতীয় দিনের মতো জেরা করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট আবদুস সোবহান তরফদার সাক্ষীকে জেরা করেন।
জেরা:
প্রশ্ন: আনবিক শক্তি কমিশন গৃহনির্মান সমবায় সমিতির দুয়ারী পাড়া প্রজেক্টের ৭৫ নং প্লট নিয়ে ঢাকার প্রথম সহকারী জজ অঅদালতে মামলা হয়েছিল ওই মামলায় আপনি বিবাদী হিসেবে আছেন?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: ২০১০ সালের ২০ অক্টোবর তারিখে এ বিষয়ে একটি নিষেধাজ্ঞা আদেশ হয়?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: পরে ২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর আপনার বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় জিডি হয়?
উত্তর: জানা নেই।
প্রশ্ন: গত ৫ মার্চ জমির নির্মান কাজ বন্ধের হুমকির অভিযোগে ৬ মার্চ আপনার বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় জিডি করা হয়?
উত্তর: জানা নেই।
প্রশ্ন: গত ৬ মার্চ আপনার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলার অভিযোগে চার্জশিট দেয়া হয়?
উত্তর: মামলা হয়েছে, চার্জশিট দেয়া হয়েছে কিনা জানি না।
প্রশ্ন: একটি বাড়ির ছবি দেখিয়ে, ওই বাড়ির নাম ফলকে আছে আমির হোসেন মোল্লা, ওই বাড়ি দুয়ারি পাড়ায় এবং অধিগ্রহণ করা সম্পত্তি কি না।
উত্তর: ওই বাড়িটি পুনর্বাসন প্লটে, আমরা বরাদ্দ পায়নি।
প্রশ্ন: মিরপুরে জন্দি নামে একটি জায়গা আছে এবং ’৭১ সালের ২৪ এপ্রিল পাক বাহিনী ওই স্থান থেকে আপনাদের গ্রামে গোলা বর্ষণ করত?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: এই মামলার আসামী কোথায় লেখাপড়া করতেন জানেন?
উত্তর: না।
প্রশ্ন: ’৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ’৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি মিরপুরের বিহারী এলাকা ভারতীয় বাহিনীর বিহার রেজিমেন্টের অধীনে ছিল?
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন: আপনি কত নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধ ছিলেন?
উত্তর: ২ নং সেক্টরে।
প্রশ্ন: ওই সময় কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মান্নানকে চেনেন?
উত্তর: না।
প্রশ্ন: কমান্ডার হেলাল মোরশেদকে চেনেন?
উত্তর: ’৭১ এ চিনতাম না, এখন চিনি।
প্রশ্ন: ’৭২ সালেল ৩০ জানুয়ারি মিরপুর-১২ এর পানির টেঙ্কির কাছে কমান্ডার হেলাল মোরশেদ অবস্থান নেন?
উত্তর: জানি না।
প্রশ্ন: দ্বিতীয় ১০নং প্লাটুনের কমান্ডার ছিলেন চাঁন মিয়া।
উত্তর: জানি না।
জেরায় সেই আলোচিত লাটভাই বললেন কতবার জেলে গেছি বলতে পারবনা
২০০১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় একটি খবর প্রকাশিত হয়। খবরটির শিরোনাম ছিল ‘অবশেষে গ্রেফতার হল সেই লাট ভাই মোল্লা বাহিনীর প্রধান আমির হোসেন মোল্লা।’
প্রকাশিত খবরে লাটভাই সম্পর্কে বলা হয় “এলাকায় লাটভাই হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত, কুখ্যাত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদকদ্রব্য ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং বিশাল সরকারি সম্পত্তি দখলকারী মোল্লা বাহিনীর প্রধান আমির হোসেন মোল্লা।
এই লাটভাই গত ২৭ আগস্ট জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল ২ এ জবানবন্দী প্রদান করেন। গতকাল ২ সেপ্টম্বর তার জেরা হয়। জেরায় তাকে প্রশ্ন করা হয় ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর আপনি বাড়িঘর লুট করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন?
জবাবে প্রথমে তিনি হ্যাঁ বলেন। পরে বলেন, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এসময় বিচারক মো. শাহিনুর ইসলাম বলেন, আপনি হ্যাঁ বলেছেন। আগে শুনেন তারপর উত্তর দেন।
এরপর তাকে প্রশ্ন করা হয় এই গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে পুজি করে আপনি মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়েছেন যে, আপনি যুদ্ধ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন?
উত্তরে সত্য নয় বলে জবাব দেন তিনি।
গতকাল তিনি জেরায় স্বীকার করেন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এএফএম আলী আসগরের জমি দখল করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত ১৫ মে নিম্ন আদালতে আত্মসমার্পণ করেন। এ বিষয়ে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। বিচারপতির প্লট আত্মসাতের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তির কারণে আমির হোসেন মোল্লা জামিন হয়নি। এছাড়া বিচারপতি এএফএম আলী আসগরের জমিতে মাটি ভরাট করার সময় সাক্ষী আমির হোসেন মোল্লা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন আসামী পক্ষের এ প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন এটা সত্য নয়। গতকাল ২ সেপ্টম্বর ট্রাইব্যুরাল-২ এ কাদের মোল্লার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সোবহান তরফদার সাক্ষীকে জেরা করেন।
লাটভাইর জেরা :
প্রশ্ন: আপনি কতবার জেলে গেছেন?
উত্তর: কতবার জেলে গিয়েছি হিসেব করে বলতে পারব না।
প্রশ্ন: আপনি অন্যের জমি বা প্লট জোর জবরদস্তী করে দখল করার কারণে একাধিকবার জেলে গিয়েছেন?
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন: দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় ২০০১ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত ‘অবশেষে গ্রেফতার হল সেই লাট ভাই মোল্লা বাহিনীর প্রধান আমির হোসেন মোল্লা।’ এ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: পত্রিকার ওই সংবাদের সাথে আপনার ছবি আছে?
উত্তর: হ্যাঁ, আমার ছবি আছে।
প্রশ্ন: এই সংবাদ মিথ্যা বা বানোয়াট দাবি করে পত্রিকায় কোন প্রতিবাদ দিয়েছেন?
উত্তর: না। সংবাদ প্রকাশের পর বহুদিন হয়েছে। প্রতিবাদ দেয়ার প্রয়োজন মনে করিনি।
প্রশ্ন: ২০০১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সংবাদে বলা হয়েছে, আপনি এলাকায় লাটভাই হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত, কুখ্যাত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদকদ্রব্য ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং বিশাল সরকারি সম্পত্তি দখলকারী মোল্লা বাহিনীর প্রধান আমির হোসেন মোল্লা।
উত্তর: পত্রিকায় এই রিপোর্ট আছে আমি শিকার করছি।
প্রশ্ন: ১৯৭১ সালেল ১৮ ডিসেম্বর আপনি বাড়িঘর লুট করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন?
উত্তর: হ্যাঁ। পরে বলেন, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এসময় বিচারক মো. শাহিনুর ইসলাম বলেন, আপনি হ্যাঁ বলেছেন। আগে শুনেন তারপর উত্তের দেন।
প্রশ্ন: দৈনিক ইনকিলাবের ১৪ ডিসেম্বর ২০০১ এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়িতে লুটপাট করতে যেয়ে আপনি গুলিবিদ্ধ হন?
উত্তর: এই বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
প্রশ্ন: এই গুলিবিদ্ধ হওয়াকে পুঁজি করে আপনি মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকের নিয়েছেন যে আপনি যুদ্ধ করতে যেয়ে গুলিবিদ্ধ হন?
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন: অবৈধভাবে প্লট দখল করে আপনি এখন কোটিপতি হয়েছেন?
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন: বিচারপতি এএফএম আলী আসগারের নাম শুনেছেন?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: মিরপুরের দুয়ারীপাড়ায় বিচারপতি এএফএম আলী আসগরের একটি প্লট দখল করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত ১৫ মে আপনি আদালতে আত্মসমর্পন করেন?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তির কারণে আপনার জামিন হয়নি?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: বিচারপতি এএফএম আলী আসগরের জামিতে মাটি ভরাট করার সময় আপনি ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন?
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন: যে মামলায় আপনাকে জেলে পাঠানো হয় তার বাদি ছিলেন মনিরুজ্জামান?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: আপনি যে ব্যবসা করেন আপনার ছেলেরাও একই ব্যবসা করে?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: চাঁদাবাজ, মানুষের সম্পত্তি দখল, সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসা ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায় আপনার ও আপনার ছেলেদের পেশা?
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন: আগ্নেয় অস্ত্র রাখার অভিযোগে দায়ের করা অস্ত্রমামলায় আপনি আসামী হিসেবে হাজতে ছিলেন?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: কতদিন জেলে ছিলেন?
উত্তর: এক মাস।
প্রশ্ন: পুলিশ আপনাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে?
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন: ওয়াকফ অফিসের সামনে পুলিশ আপনাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করে?
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন: ১৯৭২ থেকে ’৯৬ সাল পর্যন্ত যখন যে দল ক্ষমতায় আসে আপনি সে দলে যোগ দেন?
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন: আপনি সরকারি প্লট গ্রহণ করার জন্য আসামির বিপক্ষে সরকার পক্ষে সাক্ষী দিতে এসছেন?
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন: আপনাকে এলাকার লোক হোসেন মোল্লা বলে ডাকে?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: আপনাকে এলাকায় লাট ভাই বলেও ডাকা হয়?
উত্তর: সত্য না।
প্রশ্ন: আপনি অপনার এলাকার মোল্লা বাহিনীর প্রধান?
উত্তর: সত্য নয়।
লাট মিয়ার জেরা শেষ
13/9/2012
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের নবম সাী আমির হোসেন মোল্লা ওরফে লাট মিয়ার জেরা শেষ হয়েছে। আজ ট্রাইব্যুনাল-২ এ কাদের মোল্লার আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার সাক্ষীকে জেরা করেন।
জেরায় সাী আমির হোসেন মোল্লা ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে যে মামলা করেছিলেন তার কপি আদালতে প্রদর্শন করেন। ওই মামলার উদ্বৃতি দিয়ে আসামী পক্ষেল আইনজীবী বলেন, ’৭১ সালে ঘটনার সময় ওই মামলার বাদি আমির হোসেন মোল্লা ও তার পরিবার বিলের কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে আত্মরক্ষা করেছিলেন। যা ওই মামলার নথিতে আছে। জবাবে আমির হোসেন মোল্লা বলেন, মামলার আরজিতে উকিল সাহেব কি লিখেছেন আমি বলতে পারব না। তবে এই কেসের প্রতি পাতায় আমার স্বাক্ষর আছে।
জেরায় আইনজীবী প্রশ্ন করেন, ২৪ এপ্রিল আপনার বর্ণিত ঘটনার দিন আপনারা ডোবায় কচুরি পানায় লুকিয়ে ছিলেন। জবাবে সাক্ষী বলেন, সত্য নয়। আমিও আমার বাবা গ্রামের পশ্চিম উত্তর দিকে কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে ছিলাম।
জেরা:
প্রশ্ন : ২৩ বা ২৪ মার্চ আপনি বাড়ি ছেড়ে পরিবার নিয়ে কোথাও যাননি।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ২৪ এপ্রিলের পর গ্রামে ছিলেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ওইদিন আপনি পরিবার নিয়ে ডোবায় কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে ছিলেন।
উত্তর : এটা সত্য নয়। (নিজে বলেন, আমি ও আমার পিতা আলুবদী গ্রামের পশ্চিম, উত্তর কোণায় যে কচুরিপানা ছিল সেখান থেকে ঘটনা দেখি
।
প্রশ্ন : কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে থাকার কথা বানোয়াট?
উত্তর : এটা সত্য নয় যে এই কথা বানোয়াট।
প্রশ্ন : কচুরিপানার নিচ থেকে কোনো ঘটনা দেখেননি, এটা বানোয়াট।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : এ ঘটনার সময় বাদি ও তার পরিবার কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে থেকে আত্মরা করেন।
উত্তর : নালিশী মামলায় এ কথা লেখা আছে। উকিল সাহেব কি লিখেছেন আমি বলতে পারবো না। এই নালিশী মামলার দরখাস্তের সকল পাতায় আমার স্বার আছে।
প্রশ্ন : ২৫ মার্চের পরে বাদি, পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে কোথায় যাবেন, কি করবেন এ চিন্তায় দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে বাড়িতে সতর্ক অবস্থান করতে থাকেন- এ কথা নালিশী আবেদনে লেখা আছে। সেখানে আপনার স্বারও আছে।
উত্তর : উকিল সাহেব দরখাস্ত কি লিখেছেন তা তিনি জানেন। আমি বলতে পারবো না।
প্রশ্ন : সত্য গোপন করে মিথ্যা বলেছেন?
উত্তর : এটা সত্য নয়, যা বলেছি সত্য বলেছি।
প্রশ্ন : ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মিরপুর ভারতের বিহার রেজিমেন্টের দখলে ছিল। তারা মিরপুর-১২ নম্বর সেকশন ঘেরাও করে রেখে নিরীহ এলাকাবাসীর নিরাপত্তার জন্য।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ২৭ জানুয়ারি ভারতীয় মিত্র বাহিনীর কাছে থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ মিরপুরের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নেয়।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : দালাল আইনে কোনো আদালত গঠন হয়েছিল কি না?
উত্তর : আমার জানা নেই।
প্রশ্ন : আকতার গুণ্ডাকে চিনতেন?
উত্তর : চিনতাম।
প্রশ্ন : এই আকতার গুণ্ডার আদালতে সাজা হয়েছিল কি না?
উত্তর : বলতে পারবো না।
প্রশ্ন : জেলে ছিল?
উত্তর : ৩১ জানুয়ারির পর জেলে ছিল।
প্রশ্ন : সাজা খেটে জেল থেকে বের হয়ে পাকিস্তানে চলে যান।
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : ৩১ জানুয়ারি ১৯৭২ সালের পর মিরপুর থেকে অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দেড়মাস সময় লেগেছিল কি না?
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : জবানবন্দীতে বলেছেন ছাত্র সংঘের নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা ৭০/৮০ জন লোককে নিয়ে পাকিস্তান রার জন্য বিহারীদের ট্রেনিং দিতেন এটা বানোয়াট ও মিথ্যা।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : জবানবন্দীতে যে সকল অভিযোগ এনেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক।
উত্তর : এটা সত্য নয়।