What's new

Quader Mollah gets life term for war crimes (killing 400 people)

India is the only way to get out from Bangladesh for him.

He might use India and goto other countries. Would not stay in India. The GoI would be hounding after him were he to stay.

India owes a debt of gratitude to BD for shutting down and arresting lot of anti-Indian insurgents in BD. The extradition treaty is being signed, i doubt Bangladeshi fugitives would choose India to stay.
 
Correction: Bangladeshi* :-)

As far as I know, his native tongue is bangla.

All of them are Bangalis........Biharis just got right to vote......they haven't joint mainstream politics yet.

Jamat has rejected the verdict

SURPRISE!!:meeting:

400 killings and life imprisonment after 41 years? Weird.

BTW why do you guys actually believe bachchu is in India? It looks like a nice deleberate lie spread by jamati propaganda machine. Why would he go to India, I mean this defies logic.

Its like saying Bin Laden was hiding in Texas.

Bin laden, dawood, bachchu - they all go to the same hotel.

We know that he fled through the border.....if he goes to Burma they'll butcher him for being a Muslim.....the other two options are India or Bay of Bengal.......India seems credible enough!

400 killings and life imprisonment after 41 years? Weird.

BTW why do you guys actually believe bachchu is in India? It looks like a nice deleberate lie spread by jamati propaganda machine. Why would he go to India, I mean this defies logic.

Its like saying Bin Laden was hiding in Texas.

Bin laden, dawood, bachchu - they all go to the same hotel.

We know that he fled through the border.....if he goes to Burma they'll butcher him for being a Muslim.....the other two options are India or Bay of Bengal.......India seems credible enough!

400 killings and life imprisonment after 41 years? Weird.

BTW why do you guys actually believe bachchu is in India? It looks like a nice deleberate lie spread by jamati propaganda machine. Why would he go to India, I mean this defies logic.

Its like saying Bin Laden was hiding in Texas.

Bin laden, dawood, bachchu - they all go to the same hotel.

We know that he fled through the border.....if he goes to Burma they'll butcher him for being a Muslim.....the other two options are India or Bay of Bengal.......India seems credible enough!
 
Flash Back

রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী সাহেরা কাদের মোল্লার পক্ষে সাক্ষ্য দিলেন

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী ও শহীদ টুনটুনি ওরফে পল্লবের ভাবি মোছাম্মদ সাহেরা (৬০)। আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেয়া জবানবন্দীতে সাহেরা বলেন, আক্তার গুন্ডা ও বিহারীরা নওয়াবপুর থেকে পল্লবকে ধরে নিয়ে মিরপুরের মুসলিম বাজারের পাশে ঈদগাহ মাঠে নিয়ে হত্যা করে। পল্লব হত্যার বিষয়ে কাদের মোল্লার নাম কখনো শুনেননি, আক্তার গুন্ডার নাম শুনেছেন বলে সাক্ষী উল্লেখ করেন। সাক্ষী বলেন, পল্লব হত্যার ঘটনার ব্যাপারে তিনি কারো কাছে জবানবন্দী দেয়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক খান ও মনোয়ারা বেগমের সাথে এ বিষয়ে তার কথাবার্তা হয়নি।

সাক্ষী প্রথমে জবানবন্দী দেন। এর পর প্র্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী সাক্ষীকে জেরা করেন। জেরায় সাক্ষী বলেন, ট্রাইব্যুনাল থেকে স্বাক্ষী দেয়ার জন্য আমি কোনো সমন বা নোটিস পাইনি। কাদের মোল্লা সাহেবের ছেলে ৩/৪ দিন আগে আমার কাছে গিয়েছে তার বাবার পক্ষে স্বাক্ষী দেয়ার জন্য। আজকে কাদের মোল্লা সাহেবের ছেলেই আমাকে নিয়ে এসেছে। আমার দুই ছেলে এক মেয়ে। বড় সন্তান ছেলে তার নাম ফারুক। আমি হাতের কাজ করি (সেলাইয়ের কাজ)। আমি লেখা পড়া জানি না। মিরপুর জল্লাদখানা পাম্প হাউজের নাসিব উদ্দিনকে আমি চিনি। আমি অনুমান এক বছর আগে জল্লাদখানায় গিয়েছি, নাসিরের সঙ্গে কথা-বার্তা হয়েছিল। এটা সত্য নয় যে, জল্লাদখানায় নাসির উদ্দিনের উপস্থিতিতে আব্দুর রাজ্জাক খান এবং মনোয়ারা বেগম এই দুই জন তদন্ত কর্মকর্তার সংগে কথা বার্তা হয়েছে।

আমার স্বামীর বড় ভাই সেকেন্দার ১৯৭১ সালে বিবাহিত ছিলেন না। আমার ভাসুর এবং দেবররা স্বাধীনতার পরে বিয়ে করেন। ভাসুর সেকেন্দার এবং দেবরের স্ত্রী এবং ছেলে মেয়েরা জীবিত আছেন, আমার দেবর টুনটুনি ওরফে পল্লব আমাকে শ্রদ্ধা করত। আমি তাকে ¯েœহ করতাম। নাকট করতো শুনি নাই। তবে সে একটি সিনেমা করেছিল বলে শুনেছি।

এটা সত্য যে, শেষ রাতের তারা নামে সে একটি সিনেমা করেছিল। সে আমাকে সিনেমাটি দেখতে বলেছিল। কিন্তু আমি তা দেখতে যাই নাই। ১৯৬৮ সালে আমার বিয়ে হয়। আমার যখন বিয়ে হয়েছিল তখনই টুনটুনি বিয়ে করার যোগ্য ছিল। টুনটুনি দেখতে সুন্দর ছিল। সেই জন্য সবাই তাকে পল্লব বলে ডাকতো। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আমি ভোটার হয় নাই। ভোটাভুটির কথা শুনেছি। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কথা আমি শুনেছি কিন্তু আমি দেখি নাই। আমি শুনেছি বঙ্গবন্ধুর ভাষনের পর টুনটুনি কলেজ মাঠে বন্ধুদের প্যারেড করতো। শেখ কামালের সংগে টুনটুনির ভাল সম্পর্ক ছিল কিনা আমি জানি না। শেখ কামাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বড় ছেলে। টুনটুনি লেখাপড়া করতো, সে বাইরে কি করছে না করছে আমি জানি না। এটা সত্য নয় যে, টুনটুনি কখন শেখ কামালের সাথে কথা বলতে যেত এবং কি কথা বলতো, তা আমার কাছে এসে গল্প করতো।

জেরায় সাক্ষী আরো বলেন, আক্তার গুন্ডার নাম প্রথম আমি আমার শাশুড়ির কাছ থেকে শুনেছি। সাত্তার গুন্ডা ও মিরপুরের বিহারিরা আমার দেবর টুনটুনির বিরুদ্ধে খুব খ্যাপা ছিল। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে আক্তার গুন্ডা ও বিহারীদের ভয়ে আমরা পরিবার-পরিজনসহ সাভারে গিয়ে আশ্রয় নেই। টুনটুনি তখন সামাদের সংগে যায় নাই পরে গিয়েছে, আমরা সাভার যাওয়ার ৪/৫ দিন পর টুনটুনি সেখানে যায়। সাভারে আমার শাশুড়িসহ আমরা সবাই ছিলাম, শ্বশুর ছিলেন না। টুনটুনি আমার শাশুড়ির কাছে এবং আমার কাছে বলতো সে মুক্তিযুদ্ধে যাবে। আমি এটা শুনেছি যে, আমার দেবর টুনটুনিকে মুসলিম বাজার ঈদগা মাঠে এনে তার আঙুল কেটে গাছে ঝুলিয়ে মেরে ফেলে, (পরে বলেন) টুনটুনিকে গাছে ঝুলিয়েছে শুনিনি, তবে তাকে আঙ্গুল কেটেছে, চোখ উঠিয়ে ফেলেছে একথা শুনেছি। একথা গুলো আমি আমার শাশুড়ির কাছ থেকে শুনেছি, অন্য লোকের কাছ থেকেও শুনেছি। আমার শাশুড়ি জীবিত নেই। আমি কাদের মোল্লা ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতা ছিলেন তা শুনিনি, আমি জীবনেও কাদের মোল্লার নাম শুনিনি। আক্তার গুন্ডা কাদের মোল্লার এক নম্বর সহচর ছিলেন একথা আমি শুনিনি। আমি ইহা শুনিনি যে, আমার দেবর টুনটুনি ওরফে পল্লব যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিল সে কারণে কাদের মোল্লা সাহেবের নির্দেশে হত্যা করার লিষ্টে তার নাম রাখা হয়েছিল। আমি শুনিনি যে, কাদের মোল্লার নির্দেশে আক্তার গুন্ডা, হাক্কা গুন্ডা, নেহাল ও অন্য বিহারীরা আমার দেবর পল্লবকে নবাবপুর থেকে ধরে এনেছিল কি না। আক্তার গুন্ডা ছাড়া আমি আর কারো নাম জানতাম না, কারণ তখন আমার গৃহবধূ ছিল। আমি এটা শুনিনি যে, কাদের মোল্লার নির্দেশে আক্তার গুন্ডা আমার দেবর টুনটুনিকে আঙুল কেটে গুলি করে হত্যা করেছিল।

সূত্র: নয়া দিগন্ত
 
অনেক চেষ্টা করেও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা দেখাতে পারলেননা কাদের মোল্লা আল বদর নেতা । । ট্রাইব্যুনালের প্রশ্নের পর প্রশ্ন। লা জবাব প্রসিকিউশন।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে যে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালে তাতে তার বিরুদ্ধে মিরপুরে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগে সহায়তার সাতটি বড় বড় অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রত্যেকটি অভিযোগে তাকে একজন আল বদর নেতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আজ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের কাছে জানতে চেয়েছেন তিনি যে আল বদর নেতা এটা আপনারা কোথায় পেলেন। এর পক্ষে কোন ডকুমেন্ট আছে কি-না। থাকলে আমাদের তা দেখান। কিন্তু প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী অনেক চেষ্টা করেও আল বদর থাকার পক্ষে কোন ডকুমেন্ট দেখাতে পারলেননা আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে মহাবিব্রতকর অবস্থায় পড়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

আজ কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে চার্জ শুনানীতে অংশ নেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী। এসময় ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির তাকে প্রশ্ন করেন, আপনি আইনের সেকশন কেন পড়ছেন। যা বললেন তাতে তো পুরো কনফিউশনে পড়ে গেলাম। আব্দুল কাদের মোল্লাকে আল বদর নেতা হিসেবে উল্লেখ করলেন চার্জশিটে। উনি আল বদর নেতা এটা কোথায় পেলেন। এ বিষয়ে কোথায় উল্লেখ আছে তা আমাদের দেখান। তিনি কোন মাপের নেতা ছিলেন তা বলেন।

এরপর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক প্রশ্ন করেন, আব্দুল কাদের মোল্লা যে আল বদর নেতা ছিলেন এ বিষয়ে কোন ডকুমেন্ট আছে?

জবাবে প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী ২০০৭ সালে ভোরের কাগজে প্রকাশিত একটি খবর পড়ে শোনাতে শুরু করেন। খবরটির হেডলাইন ছিল “রাজাকারের একাত্তরনামা: খুন ধর্ষন, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের হোতা জল্লাদ কাদের মোল্লা।” মিরপুরে কাদের মোল্লার নেতৃত্বে পাক বাহিনী এবং বিহারীরা হাজার হাজার লোক হত্যা করা হয়েছে। আব্দুল কাদের মোল্লা মিরপুরে জল্লাদ কসাই নামে পরিচিত ছিলেন এসব পড়ে শোনাতে লাগলেন মোহাম্মদ আলী। তখন বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির আবারো তাকে প্রশ্ন করেন, তিনি যে আল বদর নেতা ছিলেন তা এখানে আপনি কোথায় পেলেন? ওনার নাম কোথায় আছে? ডকুমেন্ট দিয়ে প্রমান করুন।
এরপর মোহাম্মদ আলী নথীপত্র খুঁজতে থাকেন। বেশ কিছুক্ষন খোঁজখুজির পরও না পাওয়ায় ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, অস্থির হওয়ার দরকার নেই। এক্সাইটেড হওয়ার দরকার নেই। আপনি অভিযোগে বলেছেন আব্দুল কাদের মোল্লা আল বদর নেতা ছিলেন। সেটা আপনি কোথায় পেয়েছেন এটা বলেন। তার নাম কোন বইতে আছে কি-না বা কোন তালিকায় আছে তা দেখান। কোন ডকুমেন্ট আছে কি-না?

কিন্তু অনেক্ষন খোঁজাখুজির পরও আল বদর নেতা হিসেবে আব্দুল কাদের মোল্লার নাম বের করতে না পারায় বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির বলেন, ঠিকমত বই পড়ে ধীরে সুস্থে জানান।
এ পর্যায়ে অপর বিচারপতি একেএকম জহির আহমেদ বলেন, আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যে সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে তার সবকয়টিতে উল্লেখ করা হয়েছে তিনি আল বদর নেতা । আমাদের প্রশ্ন হল এটা কোথায় পেলেন। রেজাল্ট জানান।

প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উল্লেখ করেন তার অধিকাংশ অভিযোগের পক্ষে ভোরের কাগজে প্রকাশিত খবরকে রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করেন। আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ২, ৩, ৪ নম্বর অভিযোগসহ আরো একটি অভিযোগের পক্ষে ভোরের কাগজের একটি খবরকে রেফারেন্স হিসেবে দেখান। তখন বিচারপতি জহির আহমেদ তাকে প্রশ্ন করেন চারটি অভিযোগের পক্ষে ঐ একটাই ভোরের কাগজ মাত্র? আর কোন এভিডেন্স নেই?

এসময় পেছন থেকে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুসহ অন্য আরেকজন প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে বলেন, আপনি সময় নেন। সময় চান আদালতের কাছে।

এরপর বিচারপতি নিজামুল হক মোহাম্মদ আলীকে বলেন, আপনি কাল আসবেন। অপর বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির বলেন, তিনি আদৌ কোন আল বদর নেতা ছিলেন কি-না তা নিশ্চিত হোন।
বিষয়শ্রেণী: বিবিধ
 
Raza-kar Quader Mollah who is also known as Kosai Mollah for killing of people behind Niazi during 1971 war.

601019_409715632450097_1989677341_n.jpg

@ A very rare picture !!!! Thanks. But the question is, does taking picture with General Niazi means he was a killer(Koshai)? He might be Islamic Student Leader. It was not only Kader Mullah rather 75 million people of the then East Pakistani people collaborated with the Pakistani Army ???? Does it mean all to be tried ?

@ Many, many Islamic politicians, collaborators, Razakars, Al-Badr, Al-Sams were killed prima facie before during and after the Liberation War. Many were tried and finally were given general amnesty. Only few were in jail in 1975 when Mujib was killed. These people were released once Collaborator Act was annulled.

@ So after so many year this trial is farse, politically motivated and has no value in the society in the true sense. It hardly matter if all the so called accused are even given death penalty and hanged. But these Islamic force ( jammat-e-islami) will remain in Bangladesh, may be in another name.
 
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিলেন কাজের বুয়া \ ‘৭১ সালে বয়স ছিল ৫ বছর

কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছেন কাজের বুয়া নুর জাহান নামের এক মহিলা। গতকাল রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে এই সাক্ষীর বয়স ছিল ভোটার লিস্টের জন্মতারিখ অনুযায়ী ৫ বছর। যদিও ট্রাইব্যুনালে তিনি জবানবন্দীতে জানিয়েছেন ৭১ সালে তার বয়স ছিল ১৩ বছর। যুদ্ধে তার স্বামীকে হত্যা করে পাকিস্তানী বাহিনী।
জেরা

প্রশ্ন : আপনার বাবা মা জীবিত আছেন?

উত্তর : না, মারা গেছেন।

প্রশ্ন : আপনারা কয় ভাই বোন?

উত্তর : দুই ভাই তিন বোন।

প্রশ্ন : আপনাদের গ্রামে ৫টি মহল্লার মধ্যে খালপাড় মহল্লা আছে?

উত্তর : হ্যাঁ আছে। সেখানেই আমার বাড়ি।

প্রশ্ন : ভাই বোনদের মধ্যে বড় কে?

উত্তর : আমিই সবার বড়।

প্রশ্ন : ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে কোন দলকে ভোট দিয়েছেন?

উত্তর : আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছি।

প্রশ্ন : ঢাকাতে আপনি কোন মহল্লায় থেকে ভোট দিয়েছেন।

উত্তর : পরীবাগ থাকি। অনেক বছর আগে থেকেই।

প্রশ্ন : আপনি কি কাজ করেন?

উত্তর : আমি বাসাবাড়িতে ঝি-এর কাজ করি।

প্রশ্ন : কার বাসায় আপনি ঝি-এর কাজ করেন, মালিকের নাম কি?

উত্তর : ইঞ্জিনিয়ার সাধন দাস। ঠিকানা তাদুরী টাওয়ার, এ-১, পরীবাগ।

প্রশ্ন : আপনার স্বামী কি করেন?

উত্তর : স্বামী নেই।

প্রশ্ন : আপনার কয়টি বিয়ে হয়েছে?

উত্তর : ৩টি বিয়ে হয়েছে। বর্তমানে কোন স্বামী নেই।

প্রশ্ন : আপনার দ্বিতীয় স্বামীর নাম কি?

উত্তর : লাট মিয়া, তিনি সাপের কামড়ে মারা যান।

প্রশ্ন : আপনার তৃতীয় স্বামীর নাম কি?

উত্তর : নুরুল ইসলাম, বাড়ি ছিল নোয়াখালী।

প্রশ্ন : ঘাটারচরে খালপাড়ে এখন কত লোক বাস করে?

উত্তর : হাজার তিনেক হবে আনুমানিক।

প্রশ্ন : বাপ চাচাদের মধ্যে কে কে আছেন?

উত্তর : কেউ জীবিত নেই।

প্রশ্ন : আপনার সন্তান কয়টি?

উত্তর : তিন ঘরে তিন সন্তান। প্রথম সন্তান মেয়ে বাকি দুজন ছেলে। মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। ছেলেরা আমার মায়ের সাথেই থাকে।

প্রশ্ন : ছেলেরা কি করে?

উত্তর : দুই ছেলেই লালমাটিয়া উদ্দীপন স্কুলে চাকরি করে।

প্রশ্ন : গ্রামের বাড়িতে ভোটার লিস্টে আপনার নাম আছে?

উত্তর : আমি ঢাকাতেই ভোট দিয়েছি, পরে বলেন গ্রামের লিস্টে নাম আছে কি না জানি না।

প্রশ্ন : মজিদ পালোয়ানের বাড়ি কোথায়?

উত্তর : হিন্দুপাড়ার পাশে ওর বাড়ি।

প্রশ্ন : কোন দিকে কত দূর?

উত্তর : উত্তর পশ্চিম কোনায় কত দূরে বলতে পারবো না। হেঁটে যেতে ১০/১৫ মিনিট লাগে।

প্রশ্ন : আপনার ও মজিদ পালোয়ানের বাড়ির মাঝখানে বহু বাড়ি ঘর আছে কি?

উত্তর : হ্যাঁ।

প্রশ্ন : মজিদ পালোয়ান আপনাকে এই মামলার সম্পর্কে কিছু বলেননি?

উত্তর : বলেছে। আমার স্বামীর হত্যাকান্ড নিয়ে বলেছে।

প্রশ্ন : এই মামলা বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা কিছু বলেছে?

উত্তর : হ্যাঁ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তবে কত তারিখে মনে নেই।

প্রশ্ন : তদন্ত কর্মকর্তা আপনাকে কোথায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে?

উত্তর : বেইলী রোডে অফিসে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

প্রশ্ন : কত দিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে?

উত্তর : একদিন।

প্রশ্ন : আপনার বয়স ১৩ বছর ছিলো এটা বলেননি?

উত্তর : বলেছি। সব কথা বলেছি।

প্রশ্ন : বছরে কতবার গ্রামের বাড়িতে যান?

উত্তর : প্রতি মাসে ২/৩ বার গ্রামের বাড়িতে যাই।

প্রশ্ন : ঘটনার সময়ে আপনার গর্ভে সন্তান ছিল একথা তদন্তে কর্মকর্তার কাছে বলেননি।

উত্তর : সত্য নয়। বলেছি।

প্রশ্ন : ঘটনার সময় আপনার বর্ণনা মতে কাদের মোল্লার ছোট চুল এবং দাড়ি ছিল না একথা তদন্ত কর্মকর্তার কাছে বলেননি?

উত্তর : সত্য নয়। বলেছি।

প্রশ্ন : আপনার শ্বশুর লুদ্দু মিয়ার সন্তান কয়জন?

উত্তর : দুই ছেলে দুই মেয়ে। তাদের ঘরেও সন্তানরা জীবিত আছে।

প্রশ্ন : আপনার জন্মতারিখ ০৩/০৬/১৯৭৬ তারিখে।

উত্তর : আমি এটা জানি না।

প্রশ্ন : জন্মতারিখ বলতে পারবেন?

উত্তর : না বলতে পারবো না।

প্রশ্ন : আপনার স্বামী লাট মিয়া ও নুরুল ইসলাম কত তারিখে মারা গেছেন বলতে পারবেন কি?

উত্তর : না বলতে পারবো না।

প্রশ্ন : তদন্ত কর্মকর্তা আপনার বয়স সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল?

উত্তর : হ্যাঁ করেছিল।

প্রশ্ন : ঘটনার স্থান তদন্ত কর্মকর্তাকে দেখিয়েছেন কি?

উত্তর : না, দেখাইনি।

প্রশ্ন : স্বামীকে হত্যার অভিযোগ ৪০ বছরে কোন মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেছেন কি?

উত্তর : না, করিনি।

প্রশ্ন : কোর্টে এসে সাক্ষী দিতে হবে এমন কোন সমন পেয়েছেন?

উত্তর : না। কোন কাগজপত্র পাইনি।

প্রশ্ন : ঘটনার সময়ে আপনার জন্ম হয়নি?

উত্তর : সত্য নয়।

প্রশ্ন : আপনার জন্মতারিখ অনুযায়ী এখন বয়স ৫৫ বছর নয়।

উত্তর : সত্য নয়।

প্রশ্ন : এই মামলায় আপনি একজন শিখানো সাক্ষী।

উত্তর : সত্য নয়।
বিষয়শ্রেণী: বিবিধ
 
:rofl:Life in prison. He will be out within a month if BNP comes to power. The appellate division will let him walk and discharge him free and an innocent man. Then he will not ever be charged again due to double jeopardy. This verdict is as good as a free man.

This verdict also proves that Awami League is backing down, they are afraid of Jamaat and the country exploding.
 
আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সাক্ষী সৈয়দ শহীদুল হক মামাকে দিনব্যাপী জেরা করা হয়। জেরায় তিনি স্বীকার করেন জবানবন্দীতে তিনি কাদের মোল্লা সম্পর্কিত যে ক’টি নৃশংস ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন তার সবই লোকমুখে শোনা। তিনি নিজে কোনোটিরই প্রত্যক্ষদর্শী নন।
গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ সাক্ষীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ইকরামুল হক।
জেরা (সংক্ষিপ্ত)
প্রশ্ন : ১৯৬২ সালে আপনি হামিদুর রহমান কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন? (জবানবন্দিতে সাক্ষী তার জন্ম ১৯৫৩ সালের ১ অক্টোবর বলে উল্লেখ করেন। অর্থাৎ ১৯৬২ সালে তার বয়স ৯ বছর।)
উত্তর : হ্যাঁ করেছি।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে আপনি কি মিরপুরে নিজ বাসায় ছিলেন?
উত্তর : আমি বলেছি জবানবন্দিতে। (জাবনবন্দিতে তিনি বলেন, অপারেশন সার্চ লাইট শুরু হওয়ার পর ওই রাতে তিনি শাহ আলীর মাজারের পাশে একটি কাব ঘরে লুকিয়েছিলেন।)
প্রশ্ন : আপনি বলেছেন, গাবতলীতে বিউটি সিনেমা হলের কাছে আপানারা একবার মিছিল নিয়ে গেলে মুসলিম লীগ নেতা এস এ খালেক ও মোনায়েম খানের ছেলে খসরুর নেতৃত্বে ওই মিছিলে হামলা হয় এবং আপনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে কি কেউ হতাহত হয়েছিল?
উত্তর : তখন ভয়ে সবই দিগি¦দিক ছোটাছুটি করে পালিয়ে যাই। কেউ নিহত বা আহত হয়েছে কি না জানি না।
প্রশ্ন : কত তারিখে এ ঘটনা ঘটে?
উত্তর : ১৯৬৯ সালের ঘটনা, তারিখটা মনে নেই।
প্রশ্ন : মিরপুরে খান আবদুল কাইয়ুম খানের একটি সভার কথা উল্লেখ করেছেন জবানবন্দিতে। এটি কত তারিখে হয়?
উত্তর : ১৯৬৯ সালে, তবে কত তারিখে মনে নেই।
প্রশ্ন : কাইয়ুম খানের সভায় হামলার জন্য আপনার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। ওই মামলার নম্বর কত?
উত্তর : মামলার নম্বর মনে নেই।
প্রশ্ন : ১৯৭০ সালের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে মোহাম্মদপুর-মিরপুর এলাকা থেকে আঞ্জুমানে মোহাজেরিনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট দেওয়ান বারাসাত বেঁচে আছেন কি না?
উত্তর : আল্লাহ জানেন, আমি জানি না।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সকালে আপনি মিরপুরে কাব ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন যে, পাক সেনারা ঘরে ঘরে আগুন দিয়েছে?
উত্তর : ওই দিন সকালে বের হয়ে দেখি নিরস্ত্র বাঙালির ঘরে ঘরে আগুন জ্বলছে। এসব কাজে পাক সেনারা এবং এ মামলার আসামি কাদের মোল্লাসহ জামায়াতে ইসলামীর লোকেরা সশরীরে উপস্থিত ছিলেন।
প্রশ্ন : কাব ঘর থেকে বের হয়ে আপনি কি আপনার বাড়িতে গিয়েছিলেন?
উত্তর : রাস্তায় বের হয়ে কিছু দূর আগানোর পর তাড়া খাই। বাড়ি যাওয়ার কথা চিন্তাও করি নাই। দৌড়ে তুরাগ নদীর দিকে যাই এবং সাঁতরিয়ে নদী পার হই। সেখানে সাভার উপজেলার বনগাঁ যাই।
প্রশ্ন : বনগাঁয়ে আপনি কত দিন ছিলেন?
উত্তর : আনুমানিক সপ্তাহখানেক।
প্রশ্ন : যে বাড়িতে ছিলেন, সে বাড়িওয়ালার নাম কী?
উত্তর : নাম জানি না।
প্রশ্ন : সেখান থেকে আপনি কোথায় গেলেন?
উত্তর : নৌকা করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হই। সাথে বড় ভাই, বাবা, নানী ও ফুফাতো ভাই ছিলেন। আমি রায়ের বাজার নেমে যাই।
প্রশ্ন : রায়ের বাজার থেকে আপনি নাজিরা বাজার খালার বাসায় যান। সেখানে কত দিন ছিলেন?
উত্তর : সপ্তাহ দুয়েক হবে। এরপর গোপীবাগে যাই এবং সেখানে কয়েক দিন থাকার পর ভারতের উদ্দেশে রওনা হই।
প্রশ্ন : ভারতে কবে প্রবেশ করলেন?
উত্তর : কবে প্রবেশ করি তা মনে নেই।
প্রশ্ন : ভারতের আগরতলায় গিয়ে প্রথমে কোথায় রিপোর্ট করেন?
উত্তর : আগরতলা ট্রানজিট ক্যাম্পে। সেখানে ৮-১০ দিন অবস্থান করি। এর পর খবর পেলাম মেলাঘরে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হচ্ছে। ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে নিজ উদ্যোগে সেখানে যাই।
প্রশ্ন : মেলাঘরে যাওয়ার পর কারা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে?
উত্তর : মেলাঘরে যাওয়ার পর মেজর খালেদ মোশাররফ ও মেজর হায়দার সেখানে থাকা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। সেখানে এক মাস প্রশিক্ষণ নেই। প্রশিক্ষণের পর ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর প্লাটুনের কমান্ডার নিযুক্ত হই। আমাদের নির্দেশ দেয়া হয়- অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে।
প্রশ্ন : বাংলাদেশে কখন প্রবেশ করেন?
উত্তর : অক্টোবর মাসের শেষের দিকে। ভারতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩৯-৪০ জন এবং স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা আমাদের সাথে ছিলেন এ সময়।
প্রশ্ন : ঢাকায় এসে আপনারা প্রথমে কোন এলাকায় অবস্থান নেন?
উত্তর : মোহাম্মদপুর এলাকার বসিলা, আটি ইত্যাদি এলাকায় থেকে আমরা অপারেশন চালাতে থাকি।
প্রশ্ন : অক্টোবরে প্রবেশ করেন ঢাকায়। অপারেশন করেন ১৬ ডিসেম্বর। এ পর্যন্ত আপনারা কোথায় অবস্থান নেন?
উত্তর : মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেই। ১৬ ডিসেম্বর যখন পাক সেনারা আত্মসমর্পণ করে তখন আমরা বসিলায় ছিলাম এবং অপারেশনের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আনুমানিক ১৫০-২০০ জন অবস্থান করছিলাম। ওই দিন সন্ধ্যায় মেজর হায়দারের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়। আমাদের বলা হয়েছিল শত্রু যেখানেই থাকবে সেখানেই আঘাত হানতে হবে।
প্রশ্ন : ১৬ ডিসেম্বর কখন গ্রাফিকস আর্টস ইনস্টিটিউটে হামলা করেন?
উত্তর : আনুমানিক বিকেল পাঁচটায়। সেখানে ঘণ্টাখানেক প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। এর পর পাক সেনারা ও তাদের দোসররা রণে ভঙ্গ দিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের একটি অংশ মোহাম্মদপুরে এবং অন্য একটি অংশ মিরপুরে আত্মগোপন করে। ইনস্টিটিউটের ভেতরে প্রবেশ করে পাক সেনাদের পরিত্যক্ত অস্ত্র ও পোশাক পাই।
প্রশ্ন : গ্রাফিকস আর্টস ইনস্টিটিউটে কতজন পাক সেনার লাশ পান?
উত্তর : সেখানে কোনো পাক সেনার লাশ পাইনি।
প্রশ্ন : গ্রাফিকস আর্টস ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পটি কি ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ছিল?
উত্তর : এটিসহ মোহাম্মদপুর ও মিরপুর বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্প ছিল।
প্রশ্ন : বাংলা কলেজে লাশ দেখলেন কবে?
উত্তর : সম্ভবত ১৭ ডিসেম্বর বাংলা কলেজে প্রবেশ করে অসংখ্য লাশ বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকতে দেখি।
প্রশ্ন : জবানবন্দীতে আপনি বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ মিরপুরে কবি মেহেরুন্নেসা, তার ভাই ও মাকে পাকিস্তানি সেনারা ও তাদের দোসররা হত্যা করে এবং তাদের লাশ টুকরা টুকরা করা হয়। এ ঘটনা কি আপনি নিজ চোখে দেখেছেন?
উত্তর : জনতার কাফেলা থেকে এ ঘটনার বর্ণনা শুনেছি। নিজ চোখে দেখিনি।
প্রশ্ন : জবানবন্দীতে আপনি আরো বলেন, ২৯ মার্চ বাংলা কলেজের ছাত্র পল্লবকে ঢাকার ঠাটারিবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সম্ভবত ৫ এপ্রিল নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এসব হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেন কাদের মোল্লা ও তার সহযোগী ড. টি আলী, হাক্কা গুণ্ডা, আখতার গুণ্ডা, নেহাল, হাসিব হাশমি, আব্বাস চেয়ারম্যান, কানা হাফেজসহ অনেকে। এ ঘটনা কার কাছ থেকে শুনেছেন?
উত্তর : এ ঘটনা জনতার কাফেলা থেকে শুনেছি। নিজ চোখে দেখিনি।
প্রশ্ন : এসব ঘটনা কি কোনো পরিচিত জনের কাছ থেকে শুনেছেন?
উত্তর : জনতার কাফেলা, মিরপুরের পরিচিত ও অপরিচিত মানুষের কাছে শুনেছি।
প্রশ্ন : আপনি বলেছেন, ১৬ ডিসেম্বর মোহাম্মদপুর গ্রাফিকস আর্টস ইনস্টিটিউটে আপনার বাহিনী নিয়ে অপারেশন শুরু করেন এবং সে জায়গা শত্রুমুক্ত করেন। সেখানে যুদ্ধ শেষ করে আপনারা মিরপুরকে মুক্ত করতে যান এবং ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি মিরপুর মুক্ত করেন। ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আপনি কতবার মিরপুর গেছেন?
উত্তর : অসংখ্যবার।
এ পর্যায়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী অসুস্থবোধ করলে আদালত গতকালের মতো মুলতবি ঘোষণা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার আবার এই সাক্ষীকে জেরা করা হবে।
 
নাম আবদুল কাদের মোল্লা, বাবার নাম মো: সানাউল্লাহ মোল্লা। জন্ম তারিখ ২ ডিসেম্বর ১৯৪৮। জন্মস্থান জরিপের ডাংগি, ইউনিয়ন চরবিষ্ণুপুর, থানা ও উপজেলা সদরপুর, জেলা ফরিদপুর। বর্তমান স্থায়ী ঠিকানা গ্রাম আমিরাবাদ, ইউপি ভাষানচর, থানা ও উপজেলা সদরপুর, জেলা ফরিদপুর। কাদের মোল্লা ১৯৫৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষা বৃত্তি পান। তিনি ১৯৬৪ সালে আমিরাবাদ ফজলুল হক ইনস্টিটিউশন থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি পাস করেন। ১৯৬৬ সালে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। একই কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে বিএসসি পাস করেন। এরপর প্রায় এক বছর চার মাস বাইশরশি শিবসুন্দরী অ্যাকাডেমিতে শিক্ষকতা করেন। তিনি ১৯৬৯ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে এমএসসি কাসে ভর্তি হন এবং ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।

১৯৭৪ সালে কাদের মোল্লা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর (ইনস্টিটিট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ) এ ডিপ্লোমা ইন এডুকেশনে (সোস্যাল সাইন্স) ভর্তি হন। ১৯৭৫ সালে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন পাস করেন। কাদের মোল্লা অষ্টম শ্রেণীতে পড়াকালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেন। এরপর ডিগ্রি প্রথম বর্ষে পড়াশোনার সময় ইসলামি ছাত্রসঙ্ঘে যোগ দেন। তিনি ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি ইসলামী ফাউন্ডেশনে চাকরি করেন। এরপর বিডিআর সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উদয়ন বিদ্যালয়ে ১৯৭৪-৭৫ সালে শিক্ষকতা করেন। তিনি ১৯৮২-৮৪ পর্যন্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দু’বার নির্বাচিত সহসভাপতি ছিলেন। ১৯৮৩ সালে ঢাকা মহানগর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক নিয়োজিত হন। ১৯৮৭ সালে তিনি ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমির নির্বাচিত হন।

How the hell he studied in Dhaka in 1974 after killing 400 people??:blink: ...
 
জেরায় লাটভাই///‘অর্ধশত মামলার আসামী লাটভাই গ্রেফতার’ শিরোনামে খবর প্রকাশ হতে পারে

১০/৯/২০১২
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের নবম সাী আমির হোসেন মোল্লা ওরফে লাট মিয়ার চতুর্থ দিনের মতো জেরা করা হয়েছে। জেরাকালে সাীকে ইশারা-ইঙ্গিতে সহযোগিতা করার কারণে ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউর মোহাম্মদ আলীকে সতর্ক করে দিয়েছেন। প্রসিকিউর মোহাম্মদ আলী জেরাকালে বার বার সাীকে ইশারা ইঙ্গিত দিচ্ছেলেন। আজ জেরা শেষে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পরবর্তী জেরার দিন ধার্য করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল-২ এ কাদের মোল্লার আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার সাক্ষীকে জেরা করেন।

জেরা:
প্রশ্ন : একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরের পরে ভারতীয় সেনাবাহিনী মিরপুরে অবস্থান নেয়।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ৩০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে ভারতীয় বাহিনীর কাছ থেকে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী মিরপুরের কর্তৃত্ব বুঝে নেয়।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ৩১ জানুয়ারি যখন মিরপুর মুক্ত হয় তখন ভারতীয় মিত্র বাহিনী মিরপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ছিল না।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : আলুবদি গ্রামের আব্দুল বারেক যিনি ২৪ এপ্রিল ১৯৭১ সালে ঘটনার প্রত্যদর্শী তাকে চেনেন?
উত্তর : তাকে চিনি না। তিনি প্রত্যদর্শী কি না তাও জানি না।
প্রশ্ন : আলুবদী গ্রামে বীরঙ্গনা মোসা. লাইলীকে চেনেন?
উত্তর : আমি চিনি।
প্রশ্ন : আলবদী গ্রামের কালু মোল্লা, মনসুর আলী দেওয়ান, ওহাব আলী দেওয়ান, বদু বেপারী, বারেক মাদবর, রহমান বেপারী এদের চেনেন?
উত্তর : এদের আমি চিনতাম।
প্রশ্ন : আলবদী গ্রামের উত্তর পাড়ার কিতাব আলী ও চুনু বেপারীকে চেনেন?
উত্তর : চিনতাম।
প্রশ্ন : মোহাম্মদ আব্দুল হাই পিতার নাম হাজী মোঃ নাঈম উদ্দিনকে চেনেন?
উত্তর : চিনতাম।
প্রশ্ন : জবানবন্দীতে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়ে তোলার কথা কাল্পনিক মিথ্যা ও বানোয়াট?
উত্তর : প্রশ্নই আসে না, অসত্য।
প্রশ্ন : স্থানীয় বাসিন্দা কামাল উদ্দিন ওরফে কালাচাঁদকে চেনেন?
উত্তর : চিনি।
প্রশ্ন : স্থানীয় বাসিন্দা আলী আসগরকে চেনেন?
উত্তর : চিনি না।
প্রশ্ন : ২৪ এপ্রিল ঘটনার যে কথা বলেছেন তার প্রত্যদর্শী ছিলেন হাজী আব্দুল করিম। তাকে চেনেন?
উত্তর : চিনি না।
প্রশ্ন : ২১ জন আত্মীয় মারা গেছে। প্রথম বলেছেন খালু রুস্তম বেপারীর কথা। তার কয় সন্তান?
উত্তর : দু'ছেলে আনামত বেপারী ও নিলামত বেপারী।
প্রশ্ন : আলুবদি গ্রামের কিতাব আলীকে চেনেন?
উত্তর : চিনি না।
প্রশ্ন : মামাত ভাই ছুনুকে চেনেন?
উত্তর : ঘটনার সময় নিঃসন্তান ছিল।
প্রশ্ন : চাচা মোখলেছুর রহমানের কয় ছেলে ছিল?
উত্তর : এক ছেলে ঘটনার সময় ১২/১৩ বছর বয়স ছিল।
প্রশ্ন : ভাবী ইয়াসমিন বানুর কয় সন্তান ছিল?
উত্তর : নিঃসন্তান অবস্থায় নিহত হন।
প্রশ্ন : ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন এডভোকেট জহির উদ্দিন। নির্বাচনী এলাকার সীমানা বলতে পারবেন।
উত্তর : উত্তরে ধৌর কামারপাড়া (হরিরামপুর ইউনিয়ন) দেিণ রায়েরবাজার ঝিগাঁতলা পর্যন্ত ছিল।
প্রশ্ন : তখন মিরপুর মোহাম্মদপুর কোন নির্বাচনী এলাকা ছিল?
উত্তর : একই নির্বাচনী এলাকা।
প্রশ্ন : ওই সময় জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কতোজন প্রার্থী মনোনয়ন দেন?
উত্তর : কে কোন পরিষদের প্রার্থী ছিলো বলতে পারবো না। সম্ভবত ড. মোশাররফ এমপি প্রার্থী ছিলেন।
প্রশ্ন : এডভোকেট জহির উদ্দিন বাঙ্গালি না অবাঙ্গালি ছিলেন?
উত্তর : অবাঙ্গালি ছিলেন।
প্রশ্ন : জহির উদ্দিন মিরপুরে বিহারীদের এলাকায় বসবাস করতেন?
উত্তর : আমি জানি না।
প্রশ্ন : ১৯৭০ সালে জহির উদ্দিন সাহেব নির্বাচনী প্রচারণায় আপনাদের গ্রামে গিয়েছিলেন?
উত্তর : গিয়েছিলেন এবং বক্তব্য রেখেছিলেন।
প্রশ্ন : জহির উদ্দিনের পে প্রচারণার সময় কে কে থাকতো?
উত্তর : অনেক বাঙ্গালি অংশগ্রহণ করেছিল। তাদের মধ্যে রশিদ মোল্লা ও দুলা মিয়া বেঁচে আছে।
প্রশ্ন : ১৯৭০ সালে মিরপুর এলাকায় বিহারীরা ভোটার সংখ্যায় বেশি ছিল।
উত্তর : এটা সত্য নয়।
প্রশ্ন : যেহেতু বিহারীরা বেশি ছিল তাই বঙ্গবন্ধু অবাঙ্গালি এডভোকেট জহির উদ্দিনকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন।
উত্তর : এটা সত্য নয়।

লাট মিয়ার জেরার বাকি অংশ

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে নবম সাক্ষী মোঃ আমির হোসেন মোল্লা ওরফে লাট মিয়াকে বুধবার (৫/৯/১২) দ্বিতীয় দিনের মতো জেরা করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট আবদুস সোবহান তরফদার সাক্ষীকে জেরা করেন।

জেরা:
প্রশ্ন: আনবিক শক্তি কমিশন গৃহনির্মান সমবায় সমিতির দুয়ারী পাড়া প্রজেক্টের ৭৫ নং প্লট নিয়ে ঢাকার প্রথম সহকারী জজ অঅদালতে মামলা হয়েছিল ওই মামলায় আপনি বিবাদী হিসেবে আছেন?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: ২০১০ সালের ২০ অক্টোবর তারিখে এ বিষয়ে একটি নিষেধাজ্ঞা আদেশ হয়?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: পরে ২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর আপনার বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় জিডি হয়?
উত্তর: জানা নেই।
প্রশ্ন: গত ৫ মার্চ জমির নির্মান কাজ বন্ধের হুমকির অভিযোগে ৬ মার্চ আপনার বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় জিডি করা হয়?
উত্তর: জানা নেই।
প্রশ্ন: গত ৬ মার্চ আপনার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলার অভিযোগে চার্জশিট দেয়া হয়?
উত্তর: মামলা হয়েছে, চার্জশিট দেয়া হয়েছে কিনা জানি না।
প্রশ্ন: একটি বাড়ির ছবি দেখিয়ে, ওই বাড়ির নাম ফলকে আছে আমির হোসেন মোল্লা, ওই বাড়ি দুয়ারি পাড়ায় এবং অধিগ্রহণ করা সম্পত্তি কি না।
উত্তর: ওই বাড়িটি পুনর্বাসন প্লটে, আমরা বরাদ্দ পায়নি।
প্রশ্ন: মিরপুরে জন্দি নামে একটি জায়গা আছে এবং ’৭১ সালের ২৪ এপ্রিল পাক বাহিনী ওই স্থান থেকে আপনাদের গ্রামে গোলা বর্ষণ করত?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: এই মামলার আসামী কোথায় লেখাপড়া করতেন জানেন?
উত্তর: না।
প্রশ্ন: ’৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ’৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি মিরপুরের বিহারী এলাকা ভারতীয় বাহিনীর বিহার রেজিমেন্টের অধীনে ছিল?
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন: আপনি কত নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধ ছিলেন?
উত্তর: ২ নং সেক্টরে।
প্রশ্ন: ওই সময় কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মান্নানকে চেনেন?
উত্তর: না।
প্রশ্ন: কমান্ডার হেলাল মোরশেদকে চেনেন?
উত্তর: ’৭১ এ চিনতাম না, এখন চিনি।
প্রশ্ন: ’৭২ সালেল ৩০ জানুয়ারি মিরপুর-১২ এর পানির টেঙ্কির কাছে কমান্ডার হেলাল মোরশেদ অবস্থান নেন?
উত্তর: জানি না।
প্রশ্ন: দ্বিতীয় ১০নং প্লাটুনের কমান্ডার ছিলেন চাঁন মিয়া।
উত্তর: জানি না।

জেরায় সেই আলোচিত লাটভাই বললেন কতবার জেলে গেছি বলতে পারবনা


২০০১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় একটি খবর প্রকাশিত হয়। খবরটির শিরোনাম ছিল ‘অবশেষে গ্রেফতার হল সেই লাট ভাই মোল্লা বাহিনীর প্রধান আমির হোসেন মোল্লা।’
প্রকাশিত খবরে লাটভাই সম্পর্কে বলা হয় “এলাকায় লাটভাই হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত, কুখ্যাত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদকদ্রব্য ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং বিশাল সরকারি সম্পত্তি দখলকারী মোল্লা বাহিনীর প্রধান আমির হোসেন মোল্লা।
এই লাটভাই গত ২৭ আগস্ট জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল ২ এ জবানবন্দী প্রদান করেন। গতকাল ২ সেপ্টম্বর তার জেরা হয়। জেরায় তাকে প্রশ্ন করা হয় ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর আপনি বাড়িঘর লুট করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন?
জবাবে প্রথমে তিনি হ্যাঁ বলেন। পরে বলেন, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এসময় বিচারক মো. শাহিনুর ইসলাম বলেন, আপনি হ্যাঁ বলেছেন। আগে শুনেন তারপর উত্তর দেন।
এরপর তাকে প্রশ্ন করা হয় এই গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে পুজি করে আপনি মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়েছেন যে, আপনি যুদ্ধ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন?
উত্তরে সত্য নয় বলে জবাব দেন তিনি।
গতকাল তিনি জেরায় স্বীকার করেন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এএফএম আলী আসগরের জমি দখল করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত ১৫ মে নিম্ন আদালতে আত্মসমার্পণ করেন। এ বিষয়ে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। বিচারপতির প্লট আত্মসাতের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তির কারণে আমির হোসেন মোল্লা জামিন হয়নি। এছাড়া বিচারপতি এএফএম আলী আসগরের জমিতে মাটি ভরাট করার সময় সাক্ষী আমির হোসেন মোল্লা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন আসামী পক্ষের এ প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন এটা সত্য নয়। গতকাল ২ সেপ্টম্বর ট্রাইব্যুরাল-২ এ কাদের মোল্লার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সোবহান তরফদার সাক্ষীকে জেরা করেন।

লাটভাইর জেরা :
প্রশ্ন: আপনি কতবার জেলে গেছেন?
উত্তর: কতবার জেলে গিয়েছি হিসেব করে বলতে পারব না।
প্রশ্ন: আপনি অন্যের জমি বা প্লট জোর জবরদস্তী করে দখল করার কারণে একাধিকবার জেলে গিয়েছেন?
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন: দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় ২০০১ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত ‘অবশেষে গ্রেফতার হল সেই লাট ভাই মোল্লা বাহিনীর প্রধান আমির হোসেন মোল্লা।’ এ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: পত্রিকার ওই সংবাদের সাথে আপনার ছবি আছে?
উত্তর: হ্যাঁ, আমার ছবি আছে।
প্রশ্ন: এই সংবাদ মিথ্যা বা বানোয়াট দাবি করে পত্রিকায় কোন প্রতিবাদ দিয়েছেন?
উত্তর: না। সংবাদ প্রকাশের পর বহুদিন হয়েছে। প্রতিবাদ দেয়ার প্রয়োজন মনে করিনি।
প্রশ্ন: ২০০১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সংবাদে বলা হয়েছে, আপনি এলাকায় লাটভাই হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত, কুখ্যাত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদকদ্রব্য ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং বিশাল সরকারি সম্পত্তি দখলকারী মোল্লা বাহিনীর প্রধান আমির হোসেন মোল্লা।
উত্তর: পত্রিকায় এই রিপোর্ট আছে আমি শিকার করছি।
প্রশ্ন: ১৯৭১ সালেল ১৮ ডিসেম্বর আপনি বাড়িঘর লুট করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন?
উত্তর: হ্যাঁ। পরে বলেন, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এসময় বিচারক মো. শাহিনুর ইসলাম বলেন, আপনি হ্যাঁ বলেছেন। আগে শুনেন তারপর উত্তের দেন।
প্রশ্ন: দৈনিক ইনকিলাবের ১৪ ডিসেম্বর ২০০১ এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়িতে লুটপাট করতে যেয়ে আপনি গুলিবিদ্ধ হন?
উত্তর: এই বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
প্রশ্ন: এই গুলিবিদ্ধ হওয়াকে পুঁজি করে আপনি মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকের নিয়েছেন যে আপনি যুদ্ধ করতে যেয়ে গুলিবিদ্ধ হন?
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন: অবৈধভাবে প্লট দখল করে আপনি এখন কোটিপতি হয়েছেন?
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন: বিচারপতি এএফএম আলী আসগারের নাম শুনেছেন?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: মিরপুরের দুয়ারীপাড়ায় বিচারপতি এএফএম আলী আসগরের একটি প্লট দখল করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত ১৫ মে আপনি আদালতে আত্মসমর্পন করেন?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তির কারণে আপনার জামিন হয়নি?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: বিচারপতি এএফএম আলী আসগরের জামিতে মাটি ভরাট করার সময় আপনি ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন?
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন: যে মামলায় আপনাকে জেলে পাঠানো হয় তার বাদি ছিলেন মনিরুজ্জামান?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: আপনি যে ব্যবসা করেন আপনার ছেলেরাও একই ব্যবসা করে?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: চাঁদাবাজ, মানুষের সম্পত্তি দখল, সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসা ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায় আপনার ও আপনার ছেলেদের পেশা?
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন: আগ্নেয় অস্ত্র রাখার অভিযোগে দায়ের করা অস্ত্রমামলায় আপনি আসামী হিসেবে হাজতে ছিলেন?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: কতদিন জেলে ছিলেন?
উত্তর: এক মাস।
প্রশ্ন: পুলিশ আপনাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে?
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন: ওয়াকফ অফিসের সামনে পুলিশ আপনাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করে?
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন: ১৯৭২ থেকে ’৯৬ সাল পর্যন্ত যখন যে দল ক্ষমতায় আসে আপনি সে দলে যোগ দেন?
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন: আপনি সরকারি প্লট গ্রহণ করার জন্য আসামির বিপক্ষে সরকার পক্ষে সাক্ষী দিতে এসছেন?
উত্তর: সত্য নয়।
প্রশ্ন: আপনাকে এলাকার লোক হোসেন মোল্লা বলে ডাকে?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: আপনাকে এলাকায় লাট ভাই বলেও ডাকা হয়?
উত্তর: সত্য না।
প্রশ্ন: আপনি অপনার এলাকার মোল্লা বাহিনীর প্রধান?
উত্তর: সত্য নয়।


লাট মিয়ার জেরা শেষ


13/9/2012
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের নবম সাী আমির হোসেন মোল্লা ওরফে লাট মিয়ার জেরা শেষ হয়েছে। আজ ট্রাইব্যুনাল-২ এ কাদের মোল্লার আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার সাক্ষীকে জেরা করেন।

জেরায় সাী আমির হোসেন মোল্লা ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে যে মামলা করেছিলেন তার কপি আদালতে প্রদর্শন করেন। ওই মামলার উদ্বৃতি দিয়ে আসামী পক্ষেল আইনজীবী বলেন, ’৭১ সালে ঘটনার সময় ওই মামলার বাদি আমির হোসেন মোল্লা ও তার পরিবার বিলের কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে আত্মরক্ষা করেছিলেন। যা ওই মামলার নথিতে আছে। জবাবে আমির হোসেন মোল্লা বলেন, মামলার আরজিতে উকিল সাহেব কি লিখেছেন আমি বলতে পারব না। তবে এই কেসের প্রতি পাতায় আমার স্বাক্ষর আছে।
জেরায় আইনজীবী প্রশ্ন করেন, ২৪ এপ্রিল আপনার বর্ণিত ঘটনার দিন আপনারা ডোবায় কচুরি পানায় লুকিয়ে ছিলেন। জবাবে সাক্ষী বলেন, সত্য নয়। আমিও আমার বাবা গ্রামের পশ্চিম উত্তর দিকে কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে ছিলাম।

জেরা:
প্রশ্ন : ২৩ বা ২৪ মার্চ আপনি বাড়ি ছেড়ে পরিবার নিয়ে কোথাও যাননি।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ২৪ এপ্রিলের পর গ্রামে ছিলেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ওইদিন আপনি পরিবার নিয়ে ডোবায় কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে ছিলেন।
উত্তর : এটা সত্য নয়। (নিজে বলেন, আমি ও আমার পিতা আলুবদী গ্রামের পশ্চিম, উত্তর কোণায় যে কচুরিপানা ছিল সেখান থেকে ঘটনা দেখি)।
প্রশ্ন : কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে থাকার কথা বানোয়াট?
উত্তর : এটা সত্য নয় যে এই কথা বানোয়াট।
প্রশ্ন : কচুরিপানার নিচ থেকে কোনো ঘটনা দেখেননি, এটা বানোয়াট।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : এ ঘটনার সময় বাদি ও তার পরিবার কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে থেকে আত্মরা করেন।
উত্তর : নালিশী মামলায় এ কথা লেখা আছে। উকিল সাহেব কি লিখেছেন আমি বলতে পারবো না। এই নালিশী মামলার দরখাস্তের সকল পাতায় আমার স্বার আছে।
প্রশ্ন : ২৫ মার্চের পরে বাদি, পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে কোথায় যাবেন, কি করবেন এ চিন্তায় দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে বাড়িতে সতর্ক অবস্থান করতে থাকেন- এ কথা নালিশী আবেদনে লেখা আছে। সেখানে আপনার স্বারও আছে।
উত্তর : উকিল সাহেব দরখাস্ত কি লিখেছেন তা তিনি জানেন। আমি বলতে পারবো না।
প্রশ্ন : সত্য গোপন করে মিথ্যা বলেছেন?
উত্তর : এটা সত্য নয়, যা বলেছি সত্য বলেছি।
প্রশ্ন : ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মিরপুর ভারতের বিহার রেজিমেন্টের দখলে ছিল। তারা মিরপুর-১২ নম্বর সেকশন ঘেরাও করে রেখে নিরীহ এলাকাবাসীর নিরাপত্তার জন্য।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ২৭ জানুয়ারি ভারতীয় মিত্র বাহিনীর কাছে থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ মিরপুরের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নেয়।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : দালাল আইনে কোনো আদালত গঠন হয়েছিল কি না?
উত্তর : আমার জানা নেই।
প্রশ্ন : আকতার গুণ্ডাকে চিনতেন?
উত্তর : চিনতাম।
প্রশ্ন : এই আকতার গুণ্ডার আদালতে সাজা হয়েছিল কি না?
উত্তর : বলতে পারবো না।
প্রশ্ন : জেলে ছিল?
উত্তর : ৩১ জানুয়ারির পর জেলে ছিল।
প্রশ্ন : সাজা খেটে জেল থেকে বের হয়ে পাকিস্তানে চলে যান।
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : ৩১ জানুয়ারি ১৯৭২ সালের পর মিরপুর থেকে অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দেড়মাস সময় লেগেছিল কি না?
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : জবানবন্দীতে বলেছেন ছাত্র সংঘের নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা ৭০/৮০ জন লোককে নিয়ে পাকিস্তান রার জন্য বিহারীদের ট্রেনিং দিতেন এটা বানোয়াট ও মিথ্যা।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : জবানবন্দীতে যে সকল অভিযোগ এনেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক।
উত্তর : এটা সত্য নয়।
 
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে শুনানির প্রসঙ্গ টেনে ট্রাইব্যুনাল বলেন, কবি মেহেরুননিসাকে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযোগের পক্ষে শুধু শাহরিয়ার কবিরের লেখা একটি বই নথিপত্রের সাক্ষ্য হিসেবে দেওয়া আছে। অভিযোগ প্রমাণিত হবে কি হবে না, সেটা অন্য বিষয়, কিন্তু কবি মেহেরুননিসার বিষয়ে একাত্তরে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকায় হাজার হাজার লেখা পাওয়া যাবে।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, মেহেরুননিসার বিষয়ে বাহাত্তর সালে প্রকাশিত বেগম, ললনা, দৈনিক আজাদ, দৈনিক ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন পত্রিকায় অসংখ্য লেখা রয়েছে। খেলাঘরে গেলেও তাঁর সম্পর্কে প্রচুর তথ্য পাবেন। অথচ রাষ্ট্রপক্ষ মাত্র একটা বই এনেছে।
গত বুধবার কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোহাম্মদ আলী বলেছিলেন, কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে এক থেকে চার নম্বর অভিযোগের সাক্ষ্য হিসেবে ভোরের কাগজ-এ প্রকাশিত সংবাদ ও শাহরিয়ার কবিরের লেখা একটি বই আছে। কিন্তু কোনো ব্যক্তির মৌখিক সাক্ষ্য নেই।
ওই সময় ট্রাইব্যুনাল বলেছিলেন, সাক্ষী তো অবশ্যই আছে, কিন্তু আপনারা আনতে পারেননি। শাহরিয়ার কবিরকে কেউ একজন ঘটনাটি বলেছেন। যে লোক তাঁকে ঘটনাটি বলেছেন, তিনি তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে বলতে পারবেন না? আপনারা কী করেছেন? বই পেয়ে মনে করেছেন, সব পেয়ে গেছি? তারপর সেখান থেকে ঘরে বসে লিখে এনেছেন?
ট্রাইব্যুনাল আরও বলেন, ট্রাইব্যুনালের আইন ও বিধিতে কৌঁসুলিদের তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া আছে, তদন্তের উপাদান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। কিন্তু তা করেননি। তদন্ত প্রতিবেদনে যা পেয়েছেন, হুবহু তা তুলে দিয়েছেন।

- দৈনিক প্রথম আলো

সাংবাদিক আবু তালেবকে হত্যা করে বিহারীরা/// কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে দশম সাক্ষী।

১৭/৯/২০১২
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ১০ সাী সৈয়দ আবদুল কাইয়ুম জবানবন্দী দিয়েছেন আজ ট্রাইব্যুনাল-২ এ ।
জবানবন্দী (সংক্ষিপ্ত): ’৭১ সালে সাংবাদিক ও আইনজীবী খন্দকার আবু তালেব আমাকে খুব স্নেহ করতেন। ’৭১ সালের ২৩ মার্চ তালেব সাহেবের বাসায় রাত ১২টা পর্যন্ত টেলিভিশন দেখি। টেলিভিশন সম্প্রচার বন্ধের সময় আমরা অপেক্ষা করছিলাম পাকিস্তানের পতাকা না বাংলাদেশের পতাকা দেখানো হবে। বন্ধের সময় দেখলাম পাকিস্তানের পতাকাই দেখানো হয়। তারপর বাসায় গিয়ে শুয়ে পড়ি। রাত ১টা ৩৫ মিনিটের সময় শুনতে পাই বাইরর কিছু লোক আমার ঘরের জানালা ভাংছে এবং আমাকে মারার কথা বলছে। ভয়ে আমি বাসার পেছন দিক থেকে প্রাচির টপকে ড্রেনের মধ্যদিয়ে তালেব সাহেবের বাসার দিকে যেতে শুরু করি। তখন তিন থেকে চারজন লোক আমাকে আটক করে। তারা আমার হাতে ও ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করে। আমার চিৎকার শুনে মুল্লা নামের একজন লম্বা লোক ঘর থেকে বেরিয়ে আসলে আক্রমণকারীরা চলে যায়। এরপর তালেব সাহেব ও তার লোকজন এসে প্রথমে আমাকে তার বাসায় নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর আমার এক সহকর্মী ফারুক আহমেদের সহায়তায় আমি নিজবাড়ি নাসিরনগর থানার নাসিরপুর গ্রামে যাই।

এরপর ’৭১ সালের জুন মাসে ফারুক আমাদের বাড়িতে আসে। তার কাছে আমি শুনলাম খন্দকার আবু তালেবকে অবাঙ্গালী আক্তার গুন্ডা মিরপুর ১০ নম্বরে জল্লাদ খানায় নিয়ে হত্যা করেছিল।

’৭২ সালের ৩ জানুয়ারি ঢাকায় এসে আবার স্কুলের কার্যক্রম শুরু করি। একদিন তালেব সাহেবের ড্রাইভার নিজামের সাথে আমার দেখা হলে নিজামও একই কথা বলে। হালিম নামে ইত্তেফাকের একজন অবাঙ্গালী হিসাব রক্ষক ছিল। হালিম তালেব সাহেবকে নিজ বাড়িতে আনছিলেন। কিন্তু হালিম তালেবকে বাড়িতে না পৌছিয়ে বিহারীদের হাতে তুলে দেয়। বিহারীরা জল্লাদ খানায় নিয়ে তাকে হত্যা করে।

জবানবন্দীর শেষ পর্যায়ে প্রসিকিউটরের এক প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন, ঘটনার সময় কাদের মোল্লা তরুণ ছিল দাঁড়ি ছিল না। ৪০ বছর আগের ঘটনা স্পষ্ট মনে নেই।

জবানবন্দী শেষ হলে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর আসামী পক্ষের জেরার দিন ধার্য করা হয়।



প্রসিকিউশনের অতিরিক্ত তিনজন সাক্ষীর তালিকায় সৈয়দ আবদুল কাইয়ুমের নাম না থাকায় বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের দৃষ্ট আকর্ষণ করেন কাদের মোল্লার আইনজীবীরা। তারা বলেন, প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী যে তিনজন অতিরিক্ত সাক্ষীর বিষয়ে আদালতের অনুমতি নিয়েছেন তাদের নাম শুরুতে উল্লেখ করা আছে এবং তিনি মৌখিকভাবেও আমাদের তিনজনের নাম জানিয়েছেন। কিন্তু ওই তিনজনের বাইরে এই সাক্ষী হাজির করা হয়েছে। এ বিষয়ে আসামী পক্ষ অবহিত নয়। এসময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, আমরা আদেশে উল্লেখ করেছি তিনজন অতিরিক্ত সাক্ষীর। প্রসিকিউশনের আবেদনে ক্রটি আছে। এরপর প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে ট্রাইব্যুনাল বলেন সাতজনের নাম দিয়েছেন, যার মধ্যে তিন জনের বিষয়ে আবেদন করেছেন। এগুলো কখনো করবেন না। এরপর ট্রাইব্যুনাল আদেশ দিয়ে সৈয়দ আবদুল কাইয়ুমের সাক্ষ্য গ্রহণের অনুমতি দেন।
 
Some one accused of killing 400 people at the age of 23 who later goes on to achieve a 1st class from DU and then not a single criminal case filed on him in the last 41 years! Neither was he indicted among the 37000 people under the collaborator act of 74 but now after 41 years he is suppose to go punishment for killing 400 people ?
 
We didnt get our judgement. Very much frustrated over this. The sentiment I had for the gov. is totally washed away.

@bangal members: Is he non-bangla speaking Muslims (commonly known as Bihari Muslim, but they are not Bihari Muslim rather East Paksiatni Muslim.)

He was urdu speaking bangali. Bloody scum. He leaded blood sucking punjabi people from west pakistan and muslim people who fled from bihar due to riot there.
 
আবারো প্রমাণিত হইল এই দেশ অবিচারের দেশ। এই দেশে বিচার নামক যেই জিনিসটা মানুষের নাকের ডগায় ঝুলায় রাখা আছে তা শুধু ক্ষমতাসীনদের প্রতিহিংসা-প্রতিষোধ আর সাধারন মানুষের সিম্প্যাথি কামানোর পায়তারা ছাড়া কিছুই না। এই দেশে অবিচার হইছে '৫২ তে, অবিচার হইছে '৭১ এ আবার অবিচার হইল আজকে। নাইলে মোল্লা সাহেবের মতো একজন পাক-সাফ ঈমানদার মুমিন বান্দা'র বিরুদ্ধে এই ধরণের অন্যায় শাস্তি আরোপ করা কোনো চাট্টিখানি কথা!
কী বললি? কাদের মোল্লা রাজাকার? হত্যা-খুন-রাহাজানি-ধর্ষণে তার হাত ছিল একাত্তরে? আবার বল দেখি কী বললি! তোর জিব যদি টাইনে ছিঁড়ে না আনছি!! আরে মূর্খ আবাল! তোর বাপ মরছে তো কি হইছে? তোর বোনের ইজ্জত গেছে তো কি হইছে? তোর ভাইরে বেয়নেট দিয়ে গুতায় জানোয়ারের মতো মারছে তো কী হইছে? তোরা তো জানোয়ারই। তোরা কী ভাবছিস? তোদের সব আবদার সবসময় মাইনা নেয়া হইছে? এত্তো সহজ! কয়েকটা বেশ্যা ফকিন্নির ইজ্জত গেলে আর রাস্তার পাশে দুই-চারটা কুত্তা মরলেই যদি যুদ্ধ হইত আর ওই দেখে যদি তোদের সব চুল-চামড়ার আবদার মাইনা নেয়া হইত তাইলে আর দুনিয়া টিকত না।
শালা, ফকিন্নির বাচ্চারা!!! খাইতে পাস না আবার আইছে মায়ের ভাষা-বাপের বাসা আর বোনের সম্ভ্রম নিয়া কথা কইতে। তোদের সাত জন্মের ভাগ্য যে তোদের ভাই মোল্লা সাহেবের মতো লোকেদের হাতে মরতে পারছে আর তোর বনের সাথে তেনারা শুইছে। হারামজাদা বেজাতের গুষ্টী।
বকলম মূর্খ! দুই কলম লিখতে শিখাই আসছে যুদ্ধাপরাধী নিয়া কথা কইতে। বাড়িত গিয়া মায়ের আচঁলের তলায় ঘুমায় থাক যতদিন না আবার মোল্লা সাহেবের মতো কোনো মহাপ্রাণ আইসা তোরে আর তোর মারে উদ্ধার করে।

&#2478;&#2507;&#2482;&#2509;&#2482;&#2494; &#2488;&#2494;&#2489;&#2503;&#2476;&#2503;&#2480; &#2437;&#2476;&#2495;&#2482;&#2478;&#2509;&#2476;&#2503; &#2472;&#2495;&#2435;&#2486;&#2480;&#2509;&#2468; &#2478;&#2497;&#2453;&#2509;&#2468;&#2495; &#2458;&#2494;&#2439;&#2404; &#2486;&#2497;&#2471;&#2497; &#2468;&#2494;&#2439; &#2472;&#2494;, &#2468;&#2494;&#2453;&#2503; &#2438;&#2476;&#2494;&#2480;&#2507; &#2447;&#2453;&#2494;&#2468;&#2509;&#2468;&#2480;&#2503;&#2480; &#2478;&#2468;&#2507; &#2478;&#2494;&#2472;&#2497;&#2487;&#2503;&#2480; &#2488;&#2503;&#2476;&#2494; &#2453;&#2480;&#2503; &#2447;&#2439; "&#2474;&#2498;&#2480;&#2509;&#2476;-&#2474;&#2494;&#2453;&#2495;&#2488;&#2509;&#2468;&#2494;&#2472;&#2503;&#2480;" &#2460;&#2462;&#2509;&#2460;&#2494;&#2482; &#2470;&#2498;&#2480; &#2453;&#2480;&#2494;&#2480; &#2438;&#2480; &#2438;&#2478;&#2494;&#2480; &#2478;&#2468;&#2507; &#2475;&#2453;&#2495;&#2472;&#2509;&#2472;&#2495;&#2480; &#2476;&#2494;&#2458;&#2509;&#2458;&#2494;&#2470;&#2503;&#2480; &#2441;&#2474;&#2480; &#2468;&#2494;&#2480; &#2470;&#2527;&#2494; &#2476;&#2480;&#2509;&#2487;&#2467; &#2453;&#2480;&#2494;&#2480; &#2488;&#2497;&#2479;&#2507;&#2455; &#2470;&#2495;&#2468;&#2503; &#2489;&#2476;&#2503;&#2404; >_<
 

Back
Top Bottom