What's new

How India, Pakistan and Bangladesh were formed

বাংলা ভাগে ভাষা ও সাহিত্যের রাজনীতি পর্ব ৭
08/05/2016 মূলধারা বাংলাদেশ
Nurul-Kabir1.jpg

লিখেছেনঃ নুরুল কবির, সম্পাদক নিউ এইজ

আগের পর্বঃ পর্ব ১, পর্ব ২ পর্ব ৩ পর্ব ৪ পর্ব ৫ পর্ব ৬

হিন্দু রাজনৈতিক পুনঃর্জাগরণের ভাষাতাত্ত্বিক সাহিত্যিক সক্রিয়তা

যখন রাজা রামমোহন রায়ের ‘ব্রাহ্মবাদ’ এবং তত্ত্ববোধিনী গ্রুপের সহযোগী সাহিত্যনির্ভর বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকান্ড হিন্দুদের খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ ঠেকাতে বেশ ভালভাবে সফল এবং একই সাথে বাংলা আধুনিক গদ্যের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হল, তখন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের (১৮৩৮-১৮৯৪) সাহিত্যকর্ম একদিকে বাংলায় হিন্দু পূনঃর্জাগরণে রাজনৈতিক আন্দোলন জাগিয়ে তুললো এবং অন্যদিকে, বাংলা গদ্যের উন্নয়নে একটি গুণগত পরিবর্তন নিয়ে এল।

বাংলা গদ্যের উন্নয়নে ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা যেখানে শেষ করে গিয়েছিলেন, বঙ্কিমচন্দ্র সেখান থেকেই শুরু করলেন। সুকুমার সেন যথাযোগ্যভাবেই বলেছেন, ‘বিদ্যাসাগরের পথ ধরেই বঙ্কিম তার বাংলা গদ্যের উন্নয়নের যাত্রা শুরু করেন।’ যার অর্থ দাঁড়ায় অন্যান্য বিষয়াদির সাথে প্রচুর তৎসম বা সংস্কৃত শব্দ, যুক্ত শব্দ এবং সংস্কৃত ব্যাকরণরীতির ব্যবহার করেছেন বঙ্কিমচন্দ্রও। [সুকুমার সেন, বাঙলা সাহিত্যে গদ্য, আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা, ১৯৯৮, পৃষ্ঠা ৭৭]

ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে তার দীর্ঘ সময়ের সাধনায় বঙ্কিম নিজস্ব একটি ধারা তৈরি করতে সক্ষম হন। তার এই ধারায় তিনি তৎসম (সংস্কৃত শব্দ) ও তদভব (সংস্কৃত থেকে উৎসারিত শব্দ) শব্দের ব্যবহার এবং কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকার মৌখিক ভাষায় কমে যাওয়া যৌগিক শব্দ ও বাক্যের ব্যবহারে ভারসাম্য আনেন। [সুকুমার সেন, প্রগুক্ত, পৃষ্ঠা ১০৯]

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নয়নের ধারায় বঙ্কিমের অন্যতম অবদান হচ্ছে ইংরেজি ‘ফ্যাশনে’ সফলভাবে বাংলা উপন্যাস লেখা। তিনি বাংলাকে, বিশেষ করে বাংলা গদ্যরীতিকে বিশেষ একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা এবং রবীন্দ্রনাথের মধ্যকার সময়ে বাংলা গদ্যের ইতিহাসে বঙ্কিম হচ্ছেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্য ব্যক্তিত্ব। ১৯৩৬ সালে ঠাকুর কাব্যিক ভাষায় বঙ্কিমের প্রশংসা করে সঠিকভাবেই বলেছিলেন,

‘বাংলা ভাষায় পৃথিবীতে যতদিন থাকবে তিনিও (বঙ্কিম) ততদিন বেঁচে থাকবেন। কারণ তার কর্মে ভবিষ্যত যুগের সাহিত্যের জন্য মৌলিক উপাদান বিদ্যমান ছিল। তিনি একই সাথে অন্ধকার রাতের মধ্যে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় মশাল ধরিয়ে দিয়েছিলেন, আবার ভাষার পরিবর্তন মেনে না নেয়ার অযোগ্যতাটিও দূর করেছিলেন’ [রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রসমগ্র, ভলিউম ১৮, পাঠক সমাবেশ, ঢাকা, ২০১২, পৃষ্ঠা]।

ঠাকুর ১৯৩৬ সালে তার ‘বঙ্কিমচন্দ্র’ কবিতাটি লিখেন। উপরে উদ্ধৃতিটি সেই কবিতার কয়েকটি লাইনের ভাবানুবাদ। বঙ্কিমের প্রশংসায় কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬), যিনি বিদ্রোহী কবি হিসেবে সমধিক খ্যাতিমান, একটি প্রবন্ধে লিখেছিলেন,

‘রবীন্দ্রনাথ যদি আমাদের ভারতবর্ষের আকাশে দুর্ভাগ্যের অন্ধকারের মধ্যে সূর্য হয়ে আভির্ভূত হয়ে থাকেন, তাহলে বঙ্কিম হচ্ছেন ভোরের আলোক রেখা’ [কাজী নজরুল ইসলাম, বঙ্কিমচন্দ্র, নজরুল রচনাবলী, ভলিউম ১১, নজরুল জন্মশতবার্ষিকী সংকলন, বাংলা একাডেমি, ২০১২, ২৯১]।

আহমদ ছফা বলেছেন যে, ‘বঙ্কিম হচ্ছেন বাঙলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের একজন। তার হাত ধরেই বাংলা গদ্য একটি পরিণত রূপ লাভ করে এবং বিভিন্ন ধরনের মানবীয় আবেগ-অনুভূতিকে ধারণ করার মতো গতিশীল ও প্রাঞ্জল হয়ে ওঠে। [আহমদ ছফা, বাংলার সাহিত্যদর্শ, মোর্শেদ সাইফুল হাসান সংকলন, ‘আহমদ ছফা: নির্বাচিত প্রবন্ধ’, মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা ২০০২, পৃষ্ঠা ৮৪]

বঙ্কিমের ভাষাতাত্ত্বিক ও সাহিত্যকর্ম শুধু বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে উন্নয়নে কাজে আসেনি বরং, সাধারণভাবে ভারতের রাজনীতি এবং বিশেষভাবে বাঙলার রাজনীতির অনাগত ভবিষ্যতের গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে এই সাহিত্যিক এবং রাজনৈতিক উন্নতির দার্শনিক ভিত্তি (Philosophical Direction) ছিল সাম্প্রদায়িক, যা এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টিতে সহায়তা করে। বঙ্কিমের সাহিত্যিক এবং রাজনৈতিক প্রভাব এখনো ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে চলেছে।

এ ক্ষেত্রে এটি বলাই যায় যে, বঙ্কিম একই সাথে সম্মানিত ছিলেন এবং কাজগুলো আদর্শিক ছিল। ২০ শতাব্দীর শুরুর দিকে বাঙলার ‘উপনিবেশবিরোধী হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী আন্দোলন’ এর সাথে জড়িতদের কাছে তিনি যেমন প্রেরণা ছিলেন, তেমনি বর্তমানেও উত্তর ভারতীয় হিন্দু মৌলবাদী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কাছে সমানভাবে সম্মানিত।

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আধুনিকিকরণ প্রক্রিয়ায় বঙ্কিম এটা বুঝতে পারেন যে, চিন্তা এবং অনুভূতিকে স্পষ্ট এবং জঠিলতাহীনভাবে প্রকাশ করা খুবই জরুরি। আবার সেটা ‘স্পষ্ট এবং সম্পূর্ণভাবে’ বাংলায় প্রকাশের জন্য শব্দভান্ডার বৃদ্ধির বিষয়টিও অনুধাবন করেন। ফলে তিনি বিভিন্ন বিদেশী ভাষা থেকে উদারভাবে শব্দ গ্রহণের ‘পক্ষে’ ছিলেন। তার বিখ্যাত প্রবন্ধ ‘বাঙলা ভাষা’তে ১৮৭৮ সালে বঙ্কিম লিখেছেন, ‘যা বলতে হবে স্পষ্টভাবে এবং সম্পূর্ণভাবে বলতে হবে। স্পষ্ট ও সম্পূর্ণভাবে বলার সুবিধার্থে ইংরেজি, ফার্সি, আরবী, সংস্কৃত, রাস্টিক, সিলভান যে কোনো ভাষার শব্দকে গ্রহণ করুন যদি সেগুলো অশালীন না হয়। [বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায়, বাঙলা ভাষা: লিখিবার ভাষা, বঙ্কিম রচনাবলী: সাহিত্য সমগ্র, প্রথম তুলি-কালাম সংকলন, তুলি-কালাম, কলকাতা, ১৯৮৬, পৃষ্ঠা ৩৭৩]
%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0.jpg

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের (১৮৩৮-১৮৯৪)
এখানে বঙ্কিম যেভাবে ‘যে কোনো ভাষার শব্দ’ গ্রহণের কথা বলেছেন তাতে তাকে উদার মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এমন ছিলেন না। সংস্কৃতের প্রতি তার সবিশেষ পছন্দ ছিল। একই প্রবন্ধে বঙ্কিম লিখেছেন, ‘বাংলা এখনো একটি অনুন্নত ভাষা। ফলে এখন অন্য ভাষা থেকে শব্দ ধার করার প্রয়োজন রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সর্বদা শব্দ দিয়ে সহায়তা করা সংস্কৃত থেকেই ধার নেয়া উচিত। প্রথমত, সংস্কৃত হচ্ছে ‘শব্দ ধার দেয়া’র মতো সবচেয়ে সমৃদ্ধ ভাষা, যেটি যে কাউকে তার চাওয়া মতো যে কোনো ধরনের শব্দ ধার দিতে পারে। দ্বিতীয়ত, সংস্কৃত শব্দমালার সাথেই বাংলাকে বেশি মানায়, কারণ এর (বাংলার) মেরুদন্ড, শিরা-উপশিরা সংস্কৃত দিয়েই তৈরি।’ [প্রগুক্ত, পৃষ্ঠা ৩৭২]। এখানে এটা বলে রাখা প্রাসঙ্গিক যে, ভাষাবিদরা, এমনকি বাঙালী ভাষাবিদরাও বাংলা ভাষার উৎপত্তির (Philological root ) ইতিহাসের ব্যাপারে একমত নন।

শেষের উদ্ধৃতিটিতে বিদেশী ভাষা থেকে শব্দ নেয়ার বিরোধীতা করা বঙ্কিমের যে রূপ দেখা যাচ্ছে তা আরো স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে তৎকালীন মুসলিম সাহিত্যিকদের মধ্যে সবেচেয় বেশি সংস্কৃত প্রভাবিত লেখক মীর মশাররফ হোসেনে ভাষাগত ব্যবহারের ব্যাপারে বঙ্কিমের একটি প্রশংসা থেকে। ১৮৭৩ সালে মীর মশাররফ হোসেন প্রকাশিত জমিদার দর্পন বইটির গদ্যরীতির প্রশংসা করে বঙ্কিম লিখেছেন,

‘এতে মুসলমানি বাংলার কোন ছাপ নেই। এবং এই মুসলিম লেখকের বাংলা ভাষা অনেক হিন্দু লেখকের ভাষার চেয়ে বেশি বিশুদ্ধ।’ [সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর লেখা ‘বাঙালীর জাতীয়তাবাদ’ বইয়ে বঙ্কিমের এই বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে। ইউপিএল, ঢাকা, ২০০০, পৃষ্ঠা ২৮]।

এখানে উল্লেখযোগ্য যে, তৎকালীন মুসলিম গদ্য লেখকরা মুসলিম সমাজের সাধারণ্যে শত শত বছর ধরে বহুল ব্যবহৃত আরবী-ফার্সি শব্দাবলীকে তাদের সাহিত্যে বেশ ব্যবহার করতেন। কিন্তু বঙ্কিমের কাছে এই ধরনের ‘মুসলমানি’ কোনো কিছুর অস্তিত্ব না থাকা বাংলা ভাষাটি ‘বেশি বিশুদ্ধ’ । বুঝাই যাচ্ছে, ভাষাবিজ্ঞানের মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকে শব্দ ও ভাষার ‘বিশুদ্ধতা’ ও ‘অশুদ্ধতা’র ধারণাটি যে পুরোপুরি ত্রুটিপূর্ণ, তা বঙ্কিম মনে করতেন না।

বাঙালী ভাষাতত্ত্ববিদ শ্যামাচরণ গঙ্গপাধ্যায়/গাঙ্গুলী ১৮৮৭ সালে তার এক প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘বিশুদ্ধতার ধারণাটি মারাত্মকভাবে অপরিপক্ক এটি মূলত এক ধরনের সংকীর্ণতা থেকে উৎসারিত। বিভিন্ন জাতির মানুষের মধ্যে অবাধে চলাফেরা-মেলামেশা হওয়ার ফলে লেনদেনের (ভাষাগত) বিষয় অবশ্যই থাকবে। যখন মানুষ তাদের রক্তকেই ‘বিশুদ্ধ’ রাখতে পারে না, তখন ভাষাকে ‘বিশুদ্ধ’ রাখার চিন্তা করার চেয়ে অদ্ভুত কিছু কি আছে? মানুষের কোনো ভাষাই কখনো পুরোপুরি বিশুদ্ধ ছিল না। দীর্ঘ মেয়াদে বিদেশী বিষয়াদির আগমন ভাষাকে সমৃদ্ধ করে।… ফলে মানুষের ভাষা অবশ্যই মিশ্রিত, অবিশুদ্ধ, বহুপক্ষীয় হবেই। ‘গরীব’ বা ‘দাগ’ এর মতো শব্দগুলোকে তাদের বিদেশী সম্পৃক্ততার কারণে বই থেকে বাদ দেয়া হবে সবচেয়ে অযৌক্তিক কাজ। বর্তমানে ব্যবহৃত আরবী এবং ফার্সি মূলের শব্দগুলো আমরা যারা বাঙালী হিন্দু তাদেরকে বাঙালী মুসলমানদের সাথে, সারা ভারতের মুসলমানদের সাথে এমনকি আরবও পারস্যের মানুষদের সাথেও সম্পর্কযুক্ত করছে। শুধু সংস্কৃত ভাষায় কথা বলা আমাদের পূর্বপুরুষদের একটু ‘নিকটবর্তী’ হওয়ার আশায়আমাদের দেশের একটি বিশাল সংখ্যক মানুষের সাথে, যাদের আমাদের ‘সহবাহসও হয়েছে’ এমন প্রতিবেশীদের সাথে আমাদের সম্পর্কের সুতোটি নষ্ট করে দেয়া কি খুব বুদ্ধিমত্তার কাজ হবে? [শ্যামাচরণ গঙ্গপাধ্যায়, ‘বেঙ্গলী স্পোকেন এন্ড রিটেন’, ই. লেথব্রিজ কলকাতা রিভিউ, ভলিউম এলএক্সভি, একাডেমি পত্রিকা, তৃতীয় ইস্যু, পশ্চিম বাংলা একাডেমি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, কলকাতা, মে ১৯৯৯, পৃষ্ঠা ২২-২৩]

এখনো বহু মানুষ তাদের মৃত পূর্বপুরুষদের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য নিজেদের দেশে বেঁচে থাকা সহ-নাগরিকদের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। শ্যামচরণ গঙ্গপাধ্যায় এ বিষয়ে হিন্দুদের আচরণের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন:

‘মৃত পূর্বপুরুষদের সাথে সম্পর্ক (আত্মিক) তৈরির চেয়ে বেঁচে থাকা আশপাশে মানুষের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধিই মানুষের সুখ শান্তি বৃদ্ধিতে বেশি ভূমিকা রাখার কথা। কিন্তু অনেক সময় মানুষ এসব বিষয় বিবেচনায় যুক্তির চেয়ে আবেগকে বেশি প্রাধান্য দেয়। বাঙালী হিন্দুরা যে অনুভূতির দ্বারা তাড়িত হয়ে সংস্কৃতের দিকে ঝুঁকে তা বুঝা খুবই সহজ। ভারতের গৌরবময় দিনগুলির সাথে সংস্কৃত জড়িত। আর আরবী ও ফার্সির প্রভাবের দিনগুলি হচ্ছে এর (ভারতের) পরাজয়, অপমান ও শিকলবদ্ধ হওয়ার দিন। ফলে স্ফুটনোন্মুখ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হিন্দুরা স্বাভাবিকভাবেই আরবী-ফার্সি শব্দকে তাদের দাসত্বেও শিকল হিসেবে মনে করে সেগুলোকে পরিহার করে চলে’ [প্রাগুক্ত পৃষ্ঠা ২৩]।

শ্যামচরণ গঙ্গপাধ্যায়ের বলিষ্ঠ ভাষাতাত্ত্বিক যুক্তির ব্যাপারে বঙ্কিম সচেতন ছিলেন। কিন্তু তার ‘স্ফুটনোন্মুখ দেশপ্রেম’ তাকে শুধু আরবী-ফার্সি থেকে আগত ‘মুসলমানি’ শব্দ গ্রহণ থেকে বিরতই রাখেনি, বরং বেঙ্গলের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় এখানকার হিন্দুদের থেকে মুসলমানদেরকে বিচ্ছিন্ন করার বিনিময়ে হলেও হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিকে জাগিয়ে তোলার পেছনে তার মেধাকে খরচ করতে প্রেরণা জুগিয়েছে। [বঙ্কিম নিজে শ্যামচরণের যুক্তির ব্যাপারে সচেতন ছিলেন এটা বঙ্কিমের বিখ্যাত ‘বাঙালা ভাষা’ প্রবন্ধে শ্যামচরণকে উদ্ধৃত করা থেকে স্পষ্ট হয়। দেখুন, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায়, ভাঙালা ভাষা, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৩৭১]।

বঙ্কিমের হিন্দুত্ব-প্রভাবিত গদ্য বেশ ফল দিতে শুরু করে। বিশেষ করে তার তথা কথিত ঐতিহাসিক উপন্যাস বেঙ্গলকে ধর্মীয় দিক থেকে ভাগ করতে সবচেয়ে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছে। বঙ্কিম তার আধুনিক উপন্যাসের সাহিত্যিক রূপকে ব্যবহার করে মুসলমানদের বাদ দিয়ে একটি হিন্দুত্ববাদী ভারত রাষ্ট্র গঠনে তার রাজনৈতিক ও দার্শনিক চিন্তাকে তুলে ধরেন। এটা করতে গিয়ে ভারতে মুসলমানদের শাসনকে ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে ভীতিকরভাবে উপস্থাপন করতে হয়েছে। একই সাথে ব্রিটিশ উপনিবেশকদের নানা নিপীড়নকে এড়িয়ে গিয়ে তাদের মহিমান্বিত করে তুলো এবং এখানকার মুসলমানদেরকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে খারাপভাবে চিত্রিত করতে হয়েছে। তিনি তার কথিত ‘ইতিহাসনির্ভর’ উপন্যাস যেমন, আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী, সিতারাম এবং রাজ সিঙ্গা’য় এর সবই করেছেন।

উল্লিখিত উপন্যাসগুলোর মাধ্যমে ভারতে একটি হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রের ‘চেতনাপুরুষে’ পরিণত হন বঙ্কিম। তার আনন্দমঠ হিন্দুত্ববাদী আন্দোলনের রাজনৈতিক ইশতেহারে হিসেবে গৃহিত হয়। বঙ্কিম যে হিন্দু রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাতে মুসলমানদের কোন সম্মানজনক অবস্থান ছিল না বললেই চলে।

‘আনন্দমঠ’কে অষ্টাদশ শতাব্দীর তৃতীয়াংশে বাঙলার উপনিবেশবিরোধী কৃষকসমাজের বিদ্রোহের ইতিহাসের ওপর নির্ভর করে লেখা উপন্যাস বলে দাবি করা হয়ে থাকে। ইংরেজদের উপনিবেশিক শাসনামলে ভারতে বহু সংখ্যক কৃষক বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৭৬৩ থেকে ১৮০০ সালের মাঝামাঝি সময়ে বাঙলা এবং বিহারে কলকাতাভিত্তিক ব্রিটিশ প্রশাসকদের বিরুদ্ধে যে ক’টি বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে সেগুলো ইতিহাসে সন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ বলে খ্যাত। বঙ্কিম তার আনন্দমঠ এইসব বিদ্রোহকে উপজীব্য করে রচনা করেন, যেগুলোর আয়োজনে এবং অংশগ্রহণে হিন্দু সন্যাসী ও মুসলমান ফকির উভয়পক্ষ ছিল।

কিন্তু উপন্যাসে এসব বিদ্রোহ থেকে মুসলমান ফকিরদের অংশগ্রহণ ও ত্যাগকে বাদ দিয়ে শুধু হিন্দু সন্যাসীদের একক আন্দোলন হিসেবে দেখিয়েই ক্ষ্যান্ত হননি বঙ্কিম, বরং এগুলোকে তিনি ‘প্রধানত বাঙলার নিপীড়ক মুসলিম শাসকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম’ হিসেবে দেখিয়েছেন। ইতিহাস বলছে, ফকির ও সন্যাসীদের বিদ্রোহের সময়ে মুসলমানরা বাঙলা শাসন করছিল না। এমনকি বঙ্কিমও তার উপন্যাসের দুই জায়গায় ওয়ারেন হেস্টিংসকে তৎকালীন ভারতের গভর্নর জেনারেল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। [বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায়, উপন্যাস সমগ্র, খান ব্রাদার্স এন্ড কো., ঢাকা, ২০১৩, পৃষ্ঠা ৭৬১, এবং ৭৮৫। ওয়ারেন হেস্টিংস বাঙলার প্রথম গর্ভনর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৭৭২ সাল থেকে ১৭৮৫ সাল পর্যন্ত।

‘শত্রুসেনা’, যারা আনন্দমঠের বিদ্রোহী বা সন্তানদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এসেছিল তাদেরকে উপন্যাসে ‘তৈলাঙ্গি, মুসলিম, হিন্দুস্তানী এবং ইউরোপিয়ান’ এসব পরিচয়ে তুলে ধরা হয়েছে, যাদের নেতৃত্বে ছিলেন থমাস নামের এক আইরিশ ক্যাপ্টেন। [প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৭৭৭] কিন্তু এই ‘শত্রুসেনা’দের বিরুদ্ধে যখন হিন্দু বিদ্রোহীরা পাল্টা লড়াই করতে নামে তখন তাদের স্লোগান ছিল ‘মার মার নেড়ে মার।’ (নেড়ে বলতে মুসলমানদেরকে বুঝানো হতো) [প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৭৭২]।

বঙ্কিম তার আনন্দমঠ’সহ সবগুলো ‘ইতিহাসনির্ভর’ উপন্যাসে মুসলমানদের পরিচয়ের ক্ষেত্রে নানা কটুক্তিমূলক শব্দ যেমন- নেড়ে, যবন, ম্লেচ্ছ- ইত্যাদি ব্যবহার করেছেন। পাশাপাশি মুসলিমদেরকে হত্যা করার সময় অনেক হিন্দু বিদ্রোহীকে পাওয়া গেছে যারা খুব আগ্রহভরে অন্যজনকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘ভাই, এমন দিন কি আসবে না যখন আমরা মসজিদের ধ্বংসস্তুপের ওপর রাধামাধবের মন্দির নির্মাণ করতে পারবো?’ [প্রাগুক্ত]

এসবের মধ্যে হিন্দু বিদ্রোহীদের এক নেতা ভবনানন্দকে দেখা যায় তিনি ‘শত্রুসেনা’দের ইউরোপিয়ান ক্যাপ্টেন থমাসের দিকে এগিয়ে গিয়ে বলছেন, ‘মি. ক্যাপ্টেন, আমরা আপনাকে হত্যা করবো না। ইংরেজরা আমাদের শত্রু নয়। আপনি এখানে কেন মুসলমানদের সাহায্য করতে এসেছেন? আসুন, আপনাকে আমরা জীবনের নিশ্চয়তা দিচ্ছি। শুধু কিছু সময় আপনি যুদ্ধবন্দী হিসেবে থাকবেন। ইংরেজরা বিজয়ী হোক। আমরা আপনাদের বন্ধু। [প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৭৭৬]।

[উৎসঃ নুরুল কবির এর লেখা Colonialism, politics of language and partition of Bengal, ৩৫ পর্বের ধারাবাহিক অনুবাদ।লেখক এই সিরিজটি তার সম্পাদিত ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজ পত্রিকায় ২০১৩ সালে প্রকাশ করেন। প্রথম ১১ পর্বে তিনি বাংলা ভাগের রাজনৈতিক কারণগুলো আলোচনা করেছেন।সেই ১১ পর্ব নিয়ে মূলধারা বাংলাদেশ একটি ই-বই প্রকাশ করেছে। সেই বই এবং পর্ব আকারে লেখা পেতে লিংকে ক্লিক করুন ]


পরের পর্ব-পর্ব ৮

প্রাসঙ্গিক পোষ্টঃ

বঙ্কিম সাহিত্যে মুসলিম বিরোধী সাম্প্রদায়িকতা

মুসলমান বাংলা লিখিতে জানে নামহাকবি কায়কোবাদ এর সে সময়ের অভিজ্ঞতা

ঢাকার প্রমিত বাংলায় কলকাতা কেন্দ্রিক উপনিবেশের প্রভাব

সাম্প্রদায়িকতাঃমুক্ত নন রবীন্দ্রনাথও

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাম্প্রদায়িক চেহারা
http://www.muldharabd.com/?p=816

২০১৭ সাল-৩৩ তম সপ্তাহঃ মুক্তি ও শোকের আগষ্ট, ঘটনাবহুল ৪৭ এবং ৭৫

মূলধারা বাংলাদেশ· SUNDAY, 20 AUGUST 2017

হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা ও কুখ্যাত কোলকাতা হত্যাযজ্ঞ
কলকাতা দাঙ্গার দায়ভারঃ মুসলিম লীগের কোন প্রস্তুতিই ছিলনা
কলকাতা দাঙ্গার প্রতিক্রিয়াঃ নোয়াখালী দাঙ্গা ও কলকাতা কেন্দ্রিক প্রোপ্যাগান্ডা মিশন
পূর্ব বাংলার টাকায় গড়ে উঠা কলকাতা আমরা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিলাম-শেখ মুজিবুর রহমান
১৯০ বছরের গোলামী থেকে মুক্তির দিন আজান দিয়ে স্বাগত জানিয়েছিল পূর্ববাংলার অধিবাসীরা
শিশুরাষ্ট্র হিসেবে পূর্ববঙ্গের যাত্রা শুরু
'আর পাকিস্তানে যেতে চাই না': বিহার থেকে আসা উর্দুভাষীদের অবস্থা
সিলেট আসল বাংলাদেশে কিন্তু করিমগঞ্জ চলে গেল ভারতে!
দেশভাগে উদ্বাস্তু বিহারিদের কথা বলা হয় না
Partiton 1947: Indian Muslims become second class citizen: Kuldip Nayar
আগষ্ট ১৯৭৫
বঙ্গবন্ধুর মত জনপ্রিয় নেতার এমন পরিণতি কেন হলো?
আওয়ামীলীগের একটা অংশ পরিবর্তন চাচ্ছিলো, এবং ১৫ আগস্টের ঘটনায় অনেকেই খুশি হয়েছে-মহিউদ্দিন আহমদ
চাটুকার ও সুযোগসন্ধানীদের ক্ষপ্পরে পড়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান
মুজিব পুজার সুত্রপাত
১৫ আগষ্টের প্রেক্ষাপট: দেশের পরিস্থিতি যা ছিল
আগষ্ট হত্যাকান্ড ও 'এক বাক্সে সকল ডিম না রাখার' ভারতীয় নীতি
আমরা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক পতন চেয়েছি ও রক্তাত্ব বিরোধিতা করেছি-জাসদ
'শেখ মুজিবের লাশটা বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়া উচিত ছিল'-কর্ণেল তাহের !
'ইতিহাস শেখ সাহেবরে স্টেটসম্যান অইবার সুযোগ দিছিল, তিনি পারলেন না'-অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক
বিবিধ
ষোড়শ সংশোধনী বাংলাদেশকে 'আওয়ামী লীগের প্রজাতন্ত্রে' পরিণত করতে চেয়েছিল-বদরুদ্দিন উমর
খিলাফত আন্দোলন থেকেই বাঙ্গালী মুসলমানের রাজনৈতিক নেতাদের উঠে আসা
'ইতিহাস শেখ সাহেবরে স্টেটসম্যান অইবার সুযোগ দিছিল, তিনি পারলেন না'-অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক
প্রাসঙ্গিক আগের সপ্তাহের পোষ্টের লিংকঃ
২০১৭ সাল-৩২ তম সপ্তাহঃ ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতা ও দেশভাগ
 
.
12:00 AM, August 25, 2017 / LAST MODIFIED: 05:06 AM, August 25, 2017
Dhaka University and the partitioning of Bengal
dhaka_university_and_the_partitioning_of_bengal1.jpg

Dhaka University Central Building in the 1940's. This later became Dhaka Medical College Hospital.
Fakrul Alam

A recent and a very good historian of Bengal, Nitish Sengupta has observed that [in the mid-19th century] 'Nowhere else in the subcontinent were Muslims as worse off in Bengal, just as, paradoxically, few other communities derived as much benefit from British rule as the Bengali Hindus'. (Land of Two Rivers: A History of Bengal, 2011). William Hunter, in Indian Musalmans (1871), had observed a Muslim demographic explosion in Bengal. He had found out that they constituted a majority in East Bengal; he was one of the first Englishman to realise that a new policy had to be framed for them in post-mutiny India, one that could have some element of appeasement at its core.

Meanwhile, the Aligarh movement led by Sir Sayid Ahmad was beginning to make its impact felt in India, although initially very few Muslims of Bengal caught on to its implications. At the same time there was another great intellectual awakening in 19th century Bengal that is sometimes called the Bengal renaissance, but this too had little or no impact on Bengali Muslims till the very end of the 19th century.

The 1881 census revealed how pertinent Hunter's observation was: 'in 28 Bengali-speaking districts of undivided Bengal Presidency the Muslims numbered significantly more than the Hindus and… in Rajshahi, Dhaka and Chittagong divisions, they formed two-thirds of the population' (Sengupta, 281). This had obvious implications for the future of Bengal and was the first indicator of the way the road would divide for Bengalis soon.

In education, the Wahabi movement, Muslim grievances, British suspicions and Muslim resentment after the Wahabi movement—all led to Muslims in Bengal shying away from western education and isolating themselves from higher studies.

If Muslims in India were hostile to British rule for political causes as well as the revival of fundamentalist notions of Islam in the nineteenth century, the British perception of Muslim had for a long time been that of subjects prone to discontent. Muslims had thus largely withdrawn from what was happening in colonial Bengal politically and culturally.

" To put it bluntly, DU is the result of all the developments that led to the partition of Bengal in 1905 and its annulment in 1911. It was conceived to focus on Indian Bengali Muslim needs for tertiary education.

On the other hand, Hindu bhadraloks kept looking down on the Muslims of Bengal whose resentment kept growing. They would soon be wary of some of the developments that would lead to the first partition of Bengal and then to the creation of the University of Dhaka.

Hunter's Education Commission report of 1884 and another committee appointed by the governor of Bengal in 1885, unsurprisingly, emphasised the backwardness of Bengali Muslims in the province. The Commission recommended modifications in the state system of education to help attract Muslims and make them loyal public servants. Hunter was also for reforming madrasa education and opening up model schools. However, there was no thought of university education for Muslims in him.

It could be argued though that such British ideas of special measures to attract Muslims to education were part of the British forging ahead with their 'divide and rule' policy. Some of the Bengali Muslim leaders at one point begin to note, however, that people from their community were in fact doing poorly in education and employment. Soon Muslim leaders began to accept the necessity of education for their people, although even the progressive among them felt that in education what should be stressed was Arabic and Persian as well as English education.

Not much changed for a while—the state of primary and secondary education for Muslim Bengalis continued to be poor while tertiary education was almost non-existent for them at the turn of the century. Consequently, nowhere else in the subcontinent were the Muslims as downtrodden, socially, economically and politically, as in Bengal.

For a long time, Muslim Bengali leaders were not ready to take any major initiative to change the situation. An exception was Nawab Abdul Latif—a promoter of western education and a man who argued for intellectual development for the modernising world and against retreat from mainstream education. He thus founded the Muhammadan Literary Society in Calcutta in 1863. Latif was also against an exclusively madrasa system and stressed an English-oriented system of education that would run parallel to the madrasa one.

At around this time, the British began to actively pursue a policy of promoting Muslims to curb the influence of the bhadraloks and minimise dependence on them as much as they could. This policy would ultimately lead to the partition of Bengal.
curzon_hall_of_dhaka_university_in_1950_0.jpg

Curzon Hall of Dhaka University in 1950.
The partitioning of Bengal in 1905

The partition of Bengal was, in fact, initiated by Curzon as part of a 'divide and rule policy'. Partition took place eventually on January 11, 1905 and for this purpose he toured Bengal 'to block the influence of the anti-British Hindu elite' (Sengupta, 289) and to appeal to Muslims inclined towards separation. The demographic fact was that in Bengal there were 18 million Muslims and 12 million Hindus in 1905.

Muslims in Bengal were soon in support of partition since it created a kind of an awakening amidst Muslims and gave them a sense of empowerment. Sengupta observes: 'paradoxically, while Calcutta was fasting and mourning the partition with a hartal, many Muslims in Dhaka were celebrating the partition with prayers of thanksgiving' (Sengupta, 296).

Hindus in general saw partition with suspicion and were resentful—it was to them clearly an example of British policy aimed at separating the two groups, and they saw this policy being applied in full force by Mr Fuller in East Bengal. The Hindu response was the Swadeshi Movement and terrorist agitation. Amongst the Muslim leaders, Nawab Salimullah and Nawab Ali Chowdhury were 'in favour of continuance of the partition' as 'necessary for the protection of the interests of the Muslims' (ibid, 291). Muslim leaders in the Indian Congress, however, had opposed the idea of separation and the Muslim League—though first initiated in Dhaka—eventually veered away from Bengal, and seemed to be led by UP Muslim interests. But under Nawab Salimullah's leadership, 'the number of Muslims supporting the partition' in East Bengal 'grew' (ibid, 309). The British government gave active support—even financial measures—to support his leadership. Most Muslims in Bengal had become dismayed by increasing Hindu rituals and symbolism associated with the anti-partition movement.
muhammadan_educational_conference_0.jpg

The All India Muhammadan Educational Conference, at Dhaka (1906), which led to the foundation of the Muslim League, on December 30, 1906.
Annulment

In the end, the British government gave in to the Hindu Bengali campaign. The annulment of the partition of Bengal was announced by King George V at a durbar in Delhi on December 12, 1911. Obviously, the British Government had lost its appetite for enforcing its policy in Bengal because of the continued agitation. A decision was now taken to reunite the two wings and move the capital to Delhi.

The annulment of partition was a cause of celebration for Hindus but upsetting for Nawab Salimullah and his followers; it had Muslim leaders divided over the issue. According to Sengupta, Muslims in East Bengal were 'somewhat upset, although many of them welcomed the return of Calcutta as the provincial capital' (ibid, 326). Fazlul Huq, a protégée of the Nawab, was also initially bitter about the annulment. However, they would part ways by the end of the decade.

Dhaka University as a 'splendid compensation' for the annulment of Partition

" DU had developed from 1921 to 1947 in an atmosphere of remarkable communal harmony. The only disruption of the harmony occurred in the 1940s where the pre-partition riots occurring elsewhere in the subcontinent impacted the university's students on a few occasions.

All these events provide the context for the birth of the University of Dhaka. To put it bluntly, DU is the result of all the developments that led to the partition of Bengal in 1905 and its annulment in 1911. It was conceived to focus on Indian Bengali Muslim needs for tertiary education. Even if partition was to be annulled it would give their community the stimulus it needed to finally move towards gaining their rightful position in the administration of colonial East Bengal. As the Calcutta University Commission report revealed: 'The chief determining factor in the decision of the Government to make Dacca the seat of a University was doubtless the desire to accede to the demand for further facilities for the Muslim population who formed a vast majority in Eastern Bengal' (M A Rahim, History of the Dhaka University, 1). The Commission had noted that during the years of the first partition, there was noticeable improvement in education amidst the Muslims of the short-lived province.

In M A Rahim's History of the University of Dhaka (1981), we learn that among the reasons Muslim leaders were upset after the annulment of partition was their feeling that the 1911 decision would retard the 'material and education development' of their community that they felt had taken place in the years when they were able to reap the fruits of partition. When the Viceroy Lord Hardinge visited Dhaka on January 31, 1912 a delegation of Muslims of East Bengal that included Sir Nawab Salimullah, Nawab Syed Nawab Ali Choudhury, and A K Fazlul Haq had 'expressed their fears' that 'the modification of the partition of Bengal' could 'retard the educational progress of the community' (Rahim, 4). It was this delegation that first articulated the demand for the establishment of DU. To quote Rahim, 'As compensation for the annulment of the partition as well as protest against the general antipathy of the [sic] Calcutta University towards the Muslims, the deputation pressed [sic] a vigorous demand for a University of Dhaka' (ibid, 5). Hardinge, for his part, said that he would recommend this measure to the Secretary of State of the Government of India since he too believed that education would be 'true salvation' for the Muslims of the region.
madhur_canteen_0.jpg

Madhur Canteen—The Jalsaghar buildings in 1904. Photo: Fritz Kapp
Accordingly, 'on February 2, 1912, a communiqué was published stating the decision of the Government of India to recommend the constitution of a University of Dhaka' (ibid, 5). This was followed up by a letter sent to the Government of Bengal to come up with a scheme for setting up the university which, in turn, led to the formation of the Nathan Commission to come up with such a scheme.

Not surprisingly, some of the Hindu leaders of Calcutta opposed this decision in print and through speech-making. We learn from Rahim that they sent a delegation to the Viceroy on February 16, 1912 to convey their fears that 'the creation of a separate University of Dhaka would be in the nature of “an internal partition of Bengal”' (ibid, 5). This view is clear evidence of the way the formation of DU was so closely linked to the situation created by the partition of 1905 amidst people of both communities, or to put it somewhat differently, the people of East Bengal. To some extent their fears would be realised in that at least a few of the Muslim Bengalis who would strive for the second partition of the region would be DU graduates.

Hardinge disagreed with the contention of these Hindu leaders though and stated his intention to recommend to the Secretary of State the formation of DU. He stressed by way of a concession that he would suggest that the university be secular in orientation and not a 'Muhammadan' one (ibid, 6). However, in his 1922 Convocation, Lord Lytton stressed the main reason for the existence of the university: 'the University of Dhaka was a way of making up to the Muslims of East Bengal for the annulment of the partition of Bengal' (ibid, 1). He pointed out that the Nathan Commission had explicitly decided that they were designing the institution as 'a splendid Imperial compensation' for the loss of partition.

Lord Lytton ended his speech with a prophecy: 'this University is Dhaka's greatest possession, and will do more than anything else to increase and spread the fame of Dhaka beyond the limits of Bengal or even of India itself.' Prophetic words ended, even though one may now be inclined to doubt that the university is Dhaka's greatest possession and surely it is fair to say that its fame is now limited to the region, even if that! Lord Lytton's hope was that that DU would soon become 'the chief centre of Muhammadan learning' in India and would devote special attention to higher Islamic studies' (Choudhury, 26); arguably, this has to an extent been realised, one could add.
a_poem_written_by_rabindranath_tagore_0.jpg

A poem written by Rabindranath Tagore for a magazine of Jagannath Hall.
This reminds one that the Calcutta University Commission had recorded the view of someone from the Muslim community of the region who had expressed that a university set up there should be one where the community 'would have a voice in its guidance and there would be a faculty of Islamic Studies' (Rahim, 2). It was no doubt in response to this demand that in a letter dispatched on April 4, 1912 the Government of India invited the Government of Bengal to come up with a scheme of a university that would have a 'Faculty of Islamic Studies' to reflect the special needs of the people of East Bengal (ibid, 10). It is pertinent to point out here that DU had Arabic and Islamic Studies and Persian and Urdu among its 12 original subjects, reflecting the Islamic bias of the university at its inception. It can be pointed out too that now the university has a department of Islamic Studies, of Islamic History and Culture, as well as departments of Arabic, Persian and Urdu, that is to say, 4 out of 16 departments of the Arts Faculty. This is surely evidence on how the first and the second partition determined the academic orientation of the university in a definite way.

DU from its beginnings to the Second Partition of Bengal

Once DU was operational, it swiftly established a reputation of excellence as a new kind of university that combined residential as well as teaching facilities and tutorial supervision of students in the manner of its Oxbridge models. For some time at least, DU seemed set to fulfill the hope implicit in Lord Lytton's inaugural convocation speech that it would be Dhaka's greatest claim to fame in the wider world. Another hope was that 'the Dacca trained student' would prove to be a 'superior man' (ibid,55). His hope was that such a man would be 'a type that shall be conspicuous both in learning and in politics' (Choudhury, 43). We remember that although he wanted it to be a centre of Islamic studies, he also wanted it to be secular.

In the years since Lytton delivered his convocation speech, the university appeared to fulfill all three of the Viceroy's hopes for a while. It became reputed for the quality of its teaching and research; the study of Islamic history and culture flourished and a secular strain was clearly evident, one reason being the curriculum and teaching but the other that Hindu students—constituting a majority till 1947, lived side by side with Muslim ones on or off campus. As a result of the second development, some of its graduates took the lead in making their part of the world a site for cultivating Islamic values and affiliating themselves with political developments in the rest of India that would soon favour the 'two nation theory' and the partition of India and the second partition of Bengal in 1947. Other Muslim Bengali graduates of the university though, came out of the university inculcated with secular values and proud of their Bengali, as well as Muslim heritage. These were the people who would ultimately become associated with Bengali linguistic nationalism, and I am thinking here of my teachers such as Professor Kabir Chowdhury and Professor Khan Sarwar Murshed at this point, who studied in DU in the years leading to the second partition of Bengal but were leaders in the movement for Bangladesh.
rabindranath_tagore_2.jpg

Rabindranath Tagore visiting University of Dhaka during 1926. On the right Professor R C Majumder, famous Indian historian and DU teacher.

At this point I am reminded of the 1942 convocation address delivered by the Diwan of Mysore, Mirza M Ismail, where he reminded graduates that those who conceived this institution had wanted it to be a 'synthesis of all that is good in the East and the West' (Serajul Islam Choudhury, 388). Gesturing to the beautiful ambience in which they were all present for the convocation, Ismail suggested that they inculcate the modernising impulses that had been transmitted to them at this site to society at large. Ismail was thus gesturing at the secularising, modernising impulse that many DU graduates would inculcate. This impulse would lead them to eventually oppose the Pakistani state bent on minimising the Bengali side of their people by claiming that it was important to embrace only the Islamic side and even learn Urdu in the process. Clearly, my teachers were products of the secular and liberal tendency and not the Islamising one. Here we can recall an earlier convocation speech, one delivered by G H Langley in 1926 where he emphasised how Salimullah Muslim Hall had been set up alongside Jagannath Hall, 'so that its students can come into contact with Hindu students and compete with them in Hindu rivalry' (Choudhury, 1988). We can also go back at this point to the words of Chancellor Francis Johnson, who is 1931 had stressed that though Salimullah Muslim Hall was built to meet the demands of Muslim students it was created as a dormitory where they could get a 'liberal education' and have the occasion to have 'free intercourse' with students living in Jagannath Hall (Choudhury, 183).

What I am suggesting here, then, is that two distinct strains developed in Dhaka University graduates in the third and fourth decades of the twentieth century. One would lead to the demand for the state of Pakistan, where Muslim Bengalis of the region would bind themselves to Muslims in the western areas of the subcontinent. These graduates would play an active role in creating and upholding an Islamic state. Another strain would lead to secular intellectuals dedicated to upholding the Bengali side of their culture at any cost. These are the people who would take up leadership roles in opposing the Pakistan regime and creating Bangladesh.

One final point should be made before I conclude. DU had developed from 1921 to 1947 in an atmosphere of remarkable communal harmony. The only disruption of the harmony occurred in the 1940s where the pre-partition riots occurring elsewhere in the subcontinent impacted the university's students on a few occasions. It was for this reason that in the last convocation speech delivered before partition by Professor Mahmood Hasan, the Vice-Chancellor of the university, could say that with the exception of the 'mean communal bickering' that had resulted in the death of a Muslim student earlier that decade, the university had been the site of 'a remarkable re-awakening among the Muslims of Bengal', one that had been welcomed by liberal Hindus of the region as well as the Muslims themselves. This is the glorious tradition of the University of Dhaka that has dominated its graduates/alumni for generations now!

Fakrul Alam has just retired from the University of Dhaka and is Consulting Editor of The Daily Star.
 
.
ভারত-ভাগের নাটকীয় ঘটনাবলী, তরুণ শেখ মুজিবুর রহমানের বয়ানে
১৪ অগাস্ট ২০১৭
_97322518_mujib3.jpg

ছবির কপিরাইট AWAMI LEAGUE
Image caption বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান
ইংরেজদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের সময় ভারত-ভাগের পটভূমি আর ঘটনাবলীর বর্ণনা আর বিশ্লেষণ করে বিস্তারিত লিখেছেন তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। পরবর্তী সময়ে যিনি হয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি, সেই শেখ মুজিব সক্রিয় ছিলেন তখনকার পাকিস্তান আন্দোলনে - একবারে ভেতরে থেকে দেখেছেন নানা ঘটনাবলী। সেগুলো উঠে এসেছে তাঁর বয়ানেই, আর এ নিয়ে বিবিসি বাংলার বিশেষ প্রতিবেদন:

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪০'র দশকের মাঝামাঝি ব্রিটেনের তখনকার প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল ভারতবর্ষে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন। সেটির নাম ছিল ক্রিপস মিশন। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি।

যুদ্ধের পর ক্লিমেন্ট অ্যাটলি যখন লেবার পার্টির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তিনি ১৯৪৬ সালের ১৫ই মার্চ ভারতবর্ষে কেবিনেট মিশন পাঠানোর ঘোষণা দেন। সে কেবিনেট মিশনে তিনজন মন্ত্রী থাকবেন, তাঁরা ভারতবর্ষে এসে বিভিন্ন দলের সাথে পরামর্শ করে ভারতবর্ষকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাধীনতা দেয়া যায়, সে চেষ্টা করবেন।

কিন্তু তখনকার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কথায় মুসলমানদের পাকিস্তান দাবির কথা তো উল্লেখ নাই-ই, বরং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দাবিকে তিনি কটাক্ষ করেছিলেন।

মি: অ্যাটলির বক্তব্য নিয়ে কংগ্রেস সন্তোষ প্রকাশ করলেও মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ সে বক্তৃতার তীব্র সমালোচনা করেন।

কেবিনেট মিশন ২৩শে মার্চ ভারতবর্ষে এসে পৌঁছাল। তাঁরা ভারতবর্ষে এসে যেসব বিবৃতি দিয়েছিল, সেগুলো মুসলমানদের বিচলিত করে তোলে।

তখন শেখ মুজিবুর রহমান সহ মুসলিম লীগের তরুণ রাজনৈতিক নেতারা দলবলে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কাছে যেতেন। মি. সোহরাওয়ার্দী তখন পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং মুসলিম লীগের সিনিয়র নেতা।

শেখ মুজিবুর রহমান সহ অপেক্ষাকৃত তরুণরা মি. সোহরাওয়ার্দীর কাছে জানতে চাইতেন, কী হবে? সে সময় মি. সোহরাওয়ার্দী শান্তভাবে উত্তর দিতেন, "ভয়ের কোন কারণ নাই, পাকিস্তান দাবী ওদের মানতেই হবে।"

শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' বইতে বিষয়টি এভাবেই বর্ণনা করেছেন।
_97322520_mujib1.jpg

ছবির কপিরাইট AWAMI LEAGUE
Image captionতরুণ শেখ মুজিবুর রহমান
১৯৪৬ সালের ৭, ৮, ৯ই এপ্রিল মুসলিম লীগ নেতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ দিল্লিতে সমগ্র ভারতবর্ষের মুসলিম লীগ-পন্থী কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের কনভেনশন ডাকেন।

তখন সমগ্র ভারতবর্ষে ১১টি প্রদেশ ছিল। এরমধ্যে চারটি ছিল মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ। এই চারটির মধ্যে একমাত্র বাংলায় এককভাবে মুসলিম লীগ সরকার গঠন করেছিল।

মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর আহবানে দিল্লি যাওয়ার জন্য হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করতে বললেন। ট্রেনের নাম দেয়া হলো 'পূর্ব পাকিস্তান স্পেশাল'। কলকাতার হাওড়া থেকে ছাড়বে সে ট্রেন।

শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১০-১৫ জন ছাত্রকর্মী বাংলা থেকে সে কনভেনশনে যোগ দেবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পুরো ট্রেনটিকে মুসলিম লীগের পতাকা ও ফুল দিয়ে সাজানো হলো।

বাংলায় মুসলিম লীগের জয়ে সমস্ত ভারতবর্ষের মুসলমানদের মধ্যে বিরাট আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল।

'নারায়ে তকবির', 'মুসলিম লীগ জিন্দাবাদ', 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ', 'মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ জিন্দাবাদ', 'শহীদ সোহরাওয়ার্দী জিন্দাবাদ' ধ্বনির মধ্যে ট্রেন ছেড়ে দিল।

কলকাতা থেকে দিল্লি পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশনে হাজার-হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে দেখার জন্য। তারা 'শহীদ সোহরাওয়ার্দী জিন্দাবাদ' এবং 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' শ্লোগান দিতে থাকে।
_97322522_mujib_suhrawardy.jpg

ছবির কপিরাইট AWAMI LEAGUE
Image captionভারত-ভাগের আগে থেকেই শেখ মুজিব সহ অনেক তরুণ নেতার আদর্শ ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
এজন্য প্রায় আট ঘণ্টা দেরিতে ট্রেনটি দিল্লি পৌঁছাল।

এরপর আরো নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত হয়।

মুসলিম লীগ নেতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করলেন, ১৯৪৬ সালের ১৬ই অগাস্ট 'ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে' বা 'প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস' পালন করা হবে। দিনটি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য তিনি বিবৃতি দিয়েছিলেন।

মি. জিন্নাহ ব্রিটিশ সরকার ও কেবিনেট মিশনকে দেখাতে চেয়েছিলেন যে ভারতবর্ষের ১০ কোটি মুসলমান পাকিস্তান দাবি আদায় করতে বদ্ধপরিকর।

কংগ্রেস ও হিন্দু মহাসভার নেতারা এই 'প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস' তাদের বিরুদ্ধে ঘোষণা করা হয়েছে বলে বিবৃতি দিতে শুরু করলেন।

শেখ মুজিবুর রহমান সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীদের বলা হলো দিনটি সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য।

'প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস' শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য শেখ মুজিবুর রহমান সহ অন্যরা প্রস্তুতি নিলেন।

শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর আত্মজীবনীতে সেটি বর্ণনা করেছেন এভাবে, "হাশিম সাহেব আমাদের নিয়ে সভা করলেন। আমাদের বললেন, তোমাদের মহল্লায় যেতে হবে, হিন্দু মহল্লায়ও তোমরা যাবে। তোমরা বলবে, আমাদের এই সংগ্রাম হিন্দুদের বিরুদ্ধে নয়, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে, আসুন আমরা জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে দিনটা পালন করি।

"আমরা গাড়িতে মাইক লাগিয়ে বের হয়ে পড়লাম। হিন্দু মহল্লায় ও মুসলমান মহল্লার সামনে প্রোপাগান্ডা শুরু করলাম। অন্য কোন কথা নাই, 'পাকিস্তান' আমাদের দাবী। এই দাবী হিন্দুর বিরুদ্ধে নয়, ব্রিটিশের বিরুদ্ধে।"
_97322524_gettyimages-2643679.jpg

ছবির কপিরাইট KEYSTONE/GETTY IMAGES
Image caption হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা পরিস্থিতিতে কলকাতার রাস্তায় টহল দিচ্ছে ব্রিটিশ সৈন্য
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তখন বাংলার প্রধানমন্ত্রী। দিনটি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য তিনিও বলে দিলেন। মি. সোহরাওয়ার্দী ১৬ই অগাস্ট সরকারি ছুটি ঘোষণা করলেন। এতে কংগ্রেস ও হিন্দু মহাসভা আরো ক্ষেপে গেল।

১৬ই অগাস্ট কলকাতার গড়ের মাঠে সভা হবে। সব এলাকা থেকে শোভাযাত্রা করে জনসাধারণ আসবে। কলকাতার মুসলমান ছাত্ররা ইসলামিয়া কলেজে সকাল দশটায় জড়ো হবার কথা। শেখ মুজিবুর রহমানকে ভার দেয়া হলো ইসলামিয়া কলেজে থাকতে এবং সকাল সাতটায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম লীগের পতাকা উত্তোলন করতে।

সকালে তিনি ও নূরউদ্দিন সাইকেলে করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে সেখানে পতাকা উত্তোলন করলেন। কিন্তু কেউ তাদের বাধা দিল না।

এরপর তাঁরা আবার ইসলামিয়া কলেজে ফিরে আসেন। কিছুক্ষণ পরেই তাঁরা দেখেন, কয়েকজন ছাত্র রক্তাক্ত দেহে ইসলামিয়া কলেজে এসে পৌঁছেছে। কারও পিঠে ছুরির আঘাত, কারো মাথা ফেটে গেছে।

এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য শেখ মুজিবুর রহমান মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না। আর এই অবস্থায় বিভিন্ন জায়গা থেকে মুসলমানদের উপর হিন্দুদের আক্রমণের খবর আসছে।

ঐ পরিস্থিতির বর্ণনায় শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন, "আমাদের কাছে খবর এলো, ওয়েলিংটন স্কোয়ারের মসজিদে আক্রমণ হয়েছে। ইসলামিয়া কলেজের দিকে হিন্দুরা এগিয়ে আসছে। ... আমরা চল্লিশ পঞ্চাশ জন ছাত্র প্রায় খালি হাতেই ধর্মতলার মোড় পর্যন্ত গেলাম।

"সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা কাকে বলে এ ধারণাও আমার ভালো ছিলনা। দেখি শতশত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক মসজিদ আক্রমণ করছে। মৌলভী সাহেব পালিয়ে আসছেন আমাদের দিকে। তাঁর পিছে ছুটে আসছে একদল লোক লাঠি তলোয়ার হাতে।"

_97322526_gettyimages-2664007.jpg

ছবির কপিরাইট KEYSTONE/GETTY IMAGES
Image caption দেশভাগের আগে ভারতের যেসব শহরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিল কলকাতা তার একটি
"পাশেই মুসলমানদের কয়েকটা দোকান ছিল। কয়েক জন লোক কিছু লাঠি নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়াল। আমাদের মধ্য থেকে কয়েকজন 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' দিতে শুরু করলো। দেখতে দেখতে অনেক লোক জমা হয়ে গেল। হিন্দুরা আমাদের সামনা-সামনি এসে পড়েছে।

"বাধা দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। ইঁট পাটকেল যে যা পেল তাই নিয়ে আক্রমণের মোকাবেলা করে গেল। আমরা সব মিলে দেড়শত লোকের বেশি হব না। কে যেন পিছন থেকে এসে আত্মরক্ষার জন্য আমাদের কয়েকখানা লাঠি দিল। এর পূর্বে শুধু ইঁট দিয়ে মারামারি চলছিল।

"এর মধ্যে একটা বিরাট শোভাযাত্রা এসে পৌঁছাল। এদের কয়েক জায়গায় বাধা দিয়েছে, রুখতে পারে নাই। তাদের সকলের হাতেই লাঠি। এরা এসে আমাদের সাথে যোগদান করল। কয়েক মিনিটের জন্য হিন্দুরা ফিরে গেল, আমরাও ফিরে গেলাম।"

সমগ্র কলকাতায় তখন মারামারি চলছে।

শেখ মুজিবের বর্ণনা অনুযায়ী, মুসলমানরা মোটেই সে দাঙ্গার জন্য প্রস্তুত ছিল না। সে দাঙ্গার সময় তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা মিলে কিছু হিন্দু পরিবারকেও রক্ষা করেছিলেন।

শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন, ১৬ই অগাস্ট মুসলমানরা ভীষণভাবে মার খেয়েছে এবং পরের দুই দিন মুসলমানরা হিন্দুদের ভীষণভাবে মেরেছে।

_97322938_gettyimages-3312078.jpg

ছবির কপিরাইট KEYSTONE/GETTY IMAGES
Image captionকলকাতার দাঙ্গায় অন্তত ২,০০০ জন নিহত হয়েছিলেন বলে মনে করা হয়
কলকাতার দাঙ্গা বন্ধ না হতেই আবার দাঙ্গা শুরু হলো নোয়াখালীতে। মুসলমানরা সেখানে হিন্দুদের বাড়িঘর লুট করলো এবং আগুন ধরিয়ে দিল। ঢাকায় তো দাঙ্গা লেগেই আছে।

এর প্রতিক্রিয়ায় বিহারে শুরু হলো ভয়াবহ দাঙ্গা। বিহার প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় 'মুসলমানদের উপর প্লান করে' আক্রমণ হয়েছিল।

দাঙ্গা শুরুর তিনদিন পরেই শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সহকর্মীরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পাটনায় গিয়েছিলেন।

নানা অস্থিরতা, চড়াই-উতরাই ও আলোচনার পর ১৯৪৭ সালের জুন মাসে ভারতবর্ষ ভাগ করার ঘোষণা এলো। কংগ্রেস ভারত ভাগ করতে রাজি হয়েছে এই জন্য যে বাংলা ও পাঞ্জাব ভাগ হবে।

আসামের সিলেট জেলা ছাড়া আর কিছুই পাকিস্তানে আসবে না। কলকাতা ও তার আশপাশের জেলাগুলি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হবে। মাওলানা আকরম খাঁ এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য মুসলিম লীগ নেতারা এর তীব্র প্রতিবাদ করলেন।

ভারতবর্ষ ভাগের এই ফর্মুলা নিয়ে শেখ মুজিব নিজেও বেশ হতাশ হয়েছিলেন। এ বিষয়টি তার আত্মজীবনীতেও ফুটে উঠে।

শেখ মুজিব লিখেছেন, "কংগ্রেস ও হিন্দু মহাসভা নেতারা বাংলাদেশ ভাগ করতে হবে বলে জনমত সৃষ্টি করতে শুরু করলো। আমরাও বাংলাদেশ ভাগ হতে দেব না, এর জন্য সভা করতে শুরু করলাম। আমরা কর্মীরা কি জানতাম যে কেন্দ্রীয় কংগ্রেস ও কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগ মেনে নিয়েছে এ ভাগের ফর্মুলা? বাংলাদেশ যে ভাগ হবে, বাংলাদেশের নেতারা তা জানতেন না।"

এই অঞ্চলের নেতাদের ধারণা ছিল সমগ্র বাংলা ও আসাম পাকিস্তানে আসবে।

_97322940_gettyimages-2667868.jpg

ছবির কপিরাইট KEYSTONE/GETTY IMAGES
Image captionকংগ্রেস আর মুসলিম লীগের নেতাদের পাশে বসিয়ে লর্ড মাউন্টব্যাটেন তাঁর ভারত ভাগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন
কিন্তু শেখ মুজিব সহ অন্যরা জানতে পারলেন, আসামের একটি জেলা, যেটি বর্তমানে সিলেট, পাকিস্তানের আওতায় আসবে যদি তারা সেটা গণভোটে জিততে পারে।

শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন, "গোপনে গোপনে কলকাতার মুসলমানরা প্রস্তুত ছিল, যা হয় হবে, কলকাতা ছাড়া যাবে না। শহীদ সাহেবের (হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী) পক্ষ থেকে বাংলা সরকারের অর্থমন্ত্রী জনাব মোহাম্মদ আলী ঘোষণা করেছিলেন, কলকাতা আমাদের রাজধানী থাকবে। দিল্লি বসে অনেক পূর্বেই যে কলকাতাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে একথা তো আমরা জানতামও না, বুঝতামও না।"

এ সময় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশিম মুসলিম লীগের তরফ থেকে এবং শরৎ বসু ও কিরণ শংকর রায় কংগ্রেসের তরফ থেকে এক আলোচনা সভা করেন। তাঁদের আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় যে, বাংলাদেশ ভাগ না করে অন্য কোন পন্থা অবলম্বন করা যায় কি-না? বাংলাদেশের কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ নেতারা একটা ফর্মুলা ঠিক করেন।

ঐ ফর্মুলায় বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ হবে স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্র। জনসাধারণের ভোটে একটা গণপরিষদ হবে। শেখ মুজিবের বর্ণনা অনুযায়ী, ঐ গণপরিষদ ঠিক করবে বাংলাদেশ হিন্দুস্তান না পাকিস্তানে যোগদান করবে, নাকি স্বাধীন থাকবে। গণপরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে সেটি নির্ধারিত হবার বিষয়টি ফর্মুলায় উল্লেখ করা হয়েছিল।

এ ফর্মুলা নিয়ে শরৎ বসু গান্ধীর সাথে এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর সাথে দেখা করতে যান।

শরৎ বসুকে উদ্ধৃত করে শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন, এ ফর্মুলা নিয়ে মি. জিন্নাহর কোন আপত্তি ছিলনা, যদি কংগ্রেস রাজি হয়।

_97322942_gettyimages-3336428.jpg

ছবির কপিরাইট KEYSTONE/GETTY IMAGES
Image captionভারতের ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন তাঁর ভারত-ভাগের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছেন
অন্যদিকে ব্রিটিশ সরকার বলে দিয়েছিল, কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ একমত না হলে তারা নতুন কোন ফর্মুলা মানতে পারবে না।

ঐ ফর্মুলা নিয়ে শরৎ বসু কংগ্রেস নেতাদের সাথে দেখা করতে গিয়ে অপমানিত হয়ে ফেরত এসেছিলেন বলে উল্লেখ করেন শেখ মুজিবুর রহমান।

কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল বলেছিলেন, "শরৎ বাবু পাগলামি ছাড়েন, কলকাতা আমাদের চাই।"

কলকাতা পূর্ব পাকিস্তানের অংশ না হওয়ায় গভীর হতাশা তৈরি হয়েছিল শেখ মুজিবের মনে। এজন্য তিনি তখনকার মুসলিম লীগ নেতৃত্বের একটি অংশকে দায়ী করেন।

শেখ মুজিব লিখেছেন, পাকিস্তান সৃষ্টির সাথে সাথেই ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছিল।

বিশেষ করে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যাতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন, সেজন্য তাঁর বিরুদ্ধ এক ধরণের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন শেখ মুজিবুর রহমান।

মি. সোহরাওয়ার্দীকে সরিয়ে খাজা নাজিমউদ্দিনকে ক্ষমতায় বসানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল।

কিন্তু কেন এ ষড়যন্ত্র হয়েছিল?
_97322944_gettyimages-3270196.jpg

ছবির কপিরাইট DOUGLAS MILLER/GETTY IMAGES
Image captionশেখ মুজিবুর রহমান
শেখ মুজিবের বর্ণনা ছিল এ রকম, "বাংলাদেশ ভাগ হলেও আমরা যতটুকু পাই, তাতেই সিন্ধু, পাঞ্জাব, সীমান্ত প্রদেশ ও বেলুচিস্তানের মিলিত লোকসংখ্যার চেয়ে পূর্ব পাকিস্তানের লোকসংখ্যা বেশী। সোহরাওয়ার্দীর ব্যক্তিত্ব, অসাধারণ রাজনৈতিক জ্ঞান, বিচক্ষণতা ও কর্মক্ষমতা অনেককেই বিচলিত করে তুলেছিল। কারণ, ভবিষ্যতে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চাইবেন এবং বাধা দেওয়ার ক্ষমতা কারও থাকবে না।"

এক পর্যায়ে খাজা নাজিমুদ্দিন নেতা নির্বাচিত হলেন। নেতা হয়ে তিনি ঘোষণা করেন যে ঢাকা রাজধানী হবে। মি. নাজিমুদ্দিন দলবলসহ তখন ঢাকায় চলে আসেন।

মি. নাজিমুদ্দিনের ঢাকায় চলে আসার সাথে সাথে কলকাতার উপর থেকে পাকিস্তানের দাবি আর থাকল না বলে উল্লেখ করেন শেখ মুজিব।

লর্ড মাউন্টব্যাটেনের বই 'মিশন উইথ মাউন্টব্যাটেন' উদ্ধৃত করে শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন, "ইংরেজরা তখনো ঠিক করে নাই কলকাতা পাকিস্তানে আসবে, না হিন্দুস্তানে থাকবে। আর যদি কোন উপায় না থাকে তবে একে 'ফ্রি শহর' করা যায় কি-না? কারণ, কলকাতার হিন্দু মুসলমান লড়বার জন্য প্রস্তুত। যে কোন সময় দাঙ্গাহাঙ্গামা ভীষণ রূপ নিতে পারে। কলকাতা হিন্দুস্তানে পড়লেও শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত পাকিস্তানে আসার সম্ভাবনা ছিল। হিন্দুরা কলকাতা পাবার জন্য আরো অনেক কিছু ছেড়ে দিতে বাধ্য হত।"

শেখ মুজিব লিখেছেন, যখন গোলমালের কোন সম্ভাবনা থাকল না, তখন লর্ড মাউন্টব্যাটেন সে সুযোগে যশোর জেলায় সংখ্যাগুরু মুসলমান অধ্যুষিত বনগাঁ জংশন অঞ্চল কেটে দিলেন। নদীয়ায় মুসলমান বেশি ছিল। কিন্তু তারপরেও কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট জংশন ভারতকে দেয়া হলো।

_97322946_gettyimages-815196560.jpg

ছবির কপিরাইট SAMUEL BOURNE/GETTY IMAGES
Image captionকলকাতা পাকিস্তানের অংশ না হওয়াতে হতাশ হয়েছিলেন শেখ মুজিব
তিনি আরও লিখেছেন, মুর্শিদাবাদে মুসলমান বেশি হলেও সেটা ভারতের অংশে দেয়া হলো। মালদহ জেলায় মুসলমান ও হিন্দু সমান হওয়ায় তার আধা অংশ কেটে দেয়া হলো। দিনাজপুরে মুসলমান বেশি ছিল। বালুরঘাট মহকুমা কেটে দেয়া হলো, যাতে জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং ভারতের অংশ হয়।

শেখ মুজিব মনে করেন, এ জায়গাগুলো কিছুতেই পাকিস্তানে না এসে পারতো না।

তাঁর আশা ভঙ্গের বর্ণনা করে শেখ মুজিব লিখেছেন, "যে কলকাতা পূর্ব বাংলার টাকায় গড়ে উঠেছিল, সেই কলকাতা আমরা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিলাম। কেন্দ্রীয় লীগের কিছু কিছু লোক কলকাতা ভারতে চলে যাক এটা চেয়েছিল বলে আমার মনে হয়। অথবা পূর্বেই গোপনে রাজী হয়ে গিয়েছিলেন।

"সোহরাওয়ার্দী নেতা হলে তাদের অসুবিধা হত, তাই তারা পিছনের দরজা দিয়ে কাজ হাসিল করতে চাইল। কলকাতা পাকিস্তানে থাকলে পাকিস্তানের রাজধানী কলকাতায় করতে বাধ্য হত, কারণ পূর্ব বাংলার লোকেরা দাবী করত পাকিস্তানের জনসংখ্যায়ও তারা বেশী, আর শহর হিসেবে তদানীন্তন ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ শহর কলকাতা।"

কলকাতা 'হাতছাড়া' হওয়ার কারণে শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, "নেতারা যদি নেতৃত্ব দিতে ভুল করে, জনগণকে তার খেসারত দিতে হয়।"

{এই লেখাটির পুরো অংশ শেখ মুজিবুর রহমানের 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' বই থেকে নেয়া হয়েছে।
}
_97323589_gettyimages-2674297.jpg

ছবির কপিরাইট KEYSTONE/GETTY IMAGES
Image captionভারতকে ভেঙ্গে দুটো দেশ গঠনের আগে সংঘটিত দাঙ্গায় অনেক শহরে বহু মানুষ প্রাণ হারায়
বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন:


'আমি আর পাকিস্তানে যেতে চাই না'

একই গানে ভারত ও পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত

ভারতবর্ষের পুরনো চিত্র
http://www.bbc.com/bengali/news-40923212
 
.
12:00 AM, August 25, 2017 / LAST MODIFIED: 05:11 AM, August 25, 2017
Ghosts of 1947

why-are-the-likes-of-bhashani-figures-of-great-ambivalence-and-discomfort-today.png

Why are the likes of Bhashani and Abul Hashim figures of great ambivalence and discomfort today? Photo: Courtesy
Dina M Siddiqi

Bangladesh stands out in postcolonial South Asia for its strikingly anomalous relationship to what neighbours consider to be the foundational event in the region's modern history—the 1947 partition of British India. Official acknowledgement—celebratory or otherwise—is notable for its absence. Unofficial spaces are hardly more forthcoming.
In the weeks leading up to the 50th anniversary of the Indian and Pakistani independence, I was struck by the seeming irrelevance of a moment that in other national contexts appeared to be profoundly meaningful.
BBC World and CNN International, cable channels available to audiences here, devoted extensive coverage to related events. In contrast, Bangladeshi media outlets exhibited a muted interest or ignored the anniversary altogether. Two decades later, things have changed somewhat. This special issue is testament to that. Still, significant silences persist, and extend to the realm of scholarship and popular culture. Public recognition of 1947 in collective memory and in institutional sites continues to be subdued at best.

" It is my contention that 1947 does not merit remembrance, let alone celebration, because to address it directly would be to unsettle a carefully constructed teleology of Bengali nationhood. That is, the unconscious erasure of partition is an attempt to gloss over the incongruous, to banish memories, desires and narratives that sit awkwardly with an ostensibly unifying national story.

What accounts for this apparent indifference? Most obviously, the country's relationship to the 1947 partition is mediated by the events of 1971 so that—arguably—the significance of the latter overwhelms any attention to the former. By this logic, the partition may well have lost relevance for contemporary Bangladeshi reality. This is an inadequate explanation. It does not shed light, for instance, on the curious neglect or outright erasure of partition that marks nationalist narratives and historiography.

Of course, the events of 1975 irreversibly changed the set of associations with August 15. It is probably not incidental that this was the date that Sheikh Mujibur Rahman was gunned down in a military coup.
The symbolism of eliminating the official 'Father of the Nation,' one who embodied the aspirations of the secular Bengali intelligentsia, on that particular date surely did not escape his killers. The timing of this brutal act may well have signified to the killers the smashing of a specific social order, one premised on the aspirations of Independence in 1947. We will never know for sure, but the irrevocable shift in meaning ensured that August 15 could never be a day of celebration in Bangladesh. Or so it seemed.

When the Awami League finally returned to power in 1996, the Prime Minister Sheikh Hasina declared it a day of official mourning, a national holiday. In an extraordinary and some would say spiteful gesture, the BNP's Khaleda Zia, upon coming to power several years later, began to celebrate her official birthday on that date. By decree, the meaning of the 15th changed overnight. From a day of national mourning, it was reduced to a mocking spectacle of coerced official celebrations marked by elaborate public rituals of cake cutting and congratulatory messages. This overt move to re-signify the meaning of August 15 was reversed after Sheikh Hasina's return to power.

Clearly, preoccupation with August 15 in Bangladesh occupies a distinctive field of signification, fundamentally unrelated to discourses of partition/independence elsewhere. There is more to the story, however.

Haunted by History
It is my contention that 1947 does not merit remembrance, let alone celebration, because to address it directly would be to unsettle a carefully constructed teleology of Bengali nationhood. That is, the unconscious erasure of partition is an attempt to gloss over the incongruous, to banish memories, desires and narratives that sit awkwardly with an ostensibly unifying national story. In other words, it is the need for an active forgetting of certain fractious histories that renders the historiography of Bangladesh askew of the rest of the subcontinent.
Within this normative nationalist framework (even with competing versions), 1947 cannot constitute true independence. Rather it denotes one more moment in the continuing history of (Muslim) Bengal's colonial domination, marking the transfer of power from the British to the West Pakistanis. Thus, historians of Bangladesh routinely refer to the double cloak of colonialism. The official timeline of the nation nods to 1905, and moves on to 1952 (the inauguration of the language movement) as a foundational moment.

But why sidestep partition? What is it that must not be remembered? And what is missed or papered over in the process? Arguably, the singularity of Bengali nationalism cannot but disavow 1947 because from a Bangladeshi national perspective, partition's twin is not Independence but (East) Pakistan. Here in lies the problem. Much of the ambivalence around nationhood and identity in Bangladesh, I suggest, can be traced to ambiguities in the meaning of Pakistan for Bengal's Muslims when it was created. It was in this context that the 1971 war disrupted, displaced and reconstituted older meanings of partition, and so of Pakistan. After the fact, the only official meaning of Pakistan that endured is as an essentially/exclusively Muslim place.

Consequently, the memory of East Pakistan occupies an uncomfortable space, one that must be disappeared in critical ways. Put differently, it is the irresolution of the Muslim question, and so of the question of what national culture looks like, that haunts the national project. Here it is worth recalling Irfan Ahmed's provocative proposition that partition was not a solution to but an escape from 'the Muslim question.' If the creation of Pakistan cast out and amplified the question, the emergence of Bangladesh provided only temporary reprieve.

" What would it mean to decolonise the study of partition in present day Bangladesh? One way would be to address directly the many submerged meanings of partition beyond the rhetoric of loss, horror and dismemberment.

Thus, no version of the national story can accommodate, for instance, the Bengali-speaking (Muslim and namasudra) peasantry's enthusiasm for Pakistan as documented by Ahmed Kamal, Taj Hashmi and others. Nor can it absorb more complicated interpretations of the so-called double cloak of colonialism. For instance, some Bangladeshis refer to 1947 as the first independence, meaning that Bengal's subaltern classes (again, Muslim and non-Muslim) had to first separate from upper caste Hindu domination, before they could be truly independent (Gautam Ghosh, personal communication).

Here we see how nationalist desire for narrative permanence and fixity of territory and identity invariably comes into tension with the contingencies and complexities of identity/border making in practice. The conventional Hindu versus Muslim storyline simply does not stand up to scrutiny. Yet readings of partition, even when they are critical, tend to share certain assumptions with the two-nation theory. Hindus and Muslims are understood to represent pre-constituted and separate communities, for whom religion is foundational to identity. Class, caste, region and other distinctions are subordinated or deemed irrelevant.

In contrast, the ideological moorings of Bangladesh's nationalism are grounded in assumptions of a priori secular Bengali subjectivity, one that refuses religious distinctions. By extension, 'the Bengali' is conceptually pitted against 'the Muslim,' thereby reproducing a standard explanation for partition. Conventional historiography is trapped: histories of communal tension and class fractions are difficult to accommodate within the existing terms of debate.

The subsequent muting of 1947, its excision forom official memory, cannot but haunt the national project. The periodic emergence of partition's ghosts, I contend, is a central feature of Bengali/Bangladeshi nationalism. Especially at moments of crisis, the 'ghosts' of other submerged histories escape through cracks in the story of nationalism. Invisible but contentious histories—whether it is of the Bengali-speaking peasantry who turned to census operations to be classified as namasudras, or non-Bengali urban proletariat displaced by the 1946 Bihar riots—continue to shape community and nation-making practices.

Reading the history of 1971 without taking into account 1947 does not simply produce incomplete histories; such a move obscures the historically constitutive processes through which categories of (national) Self and Other are produced and normalised, and the dynamics that allow for the privileging of some narrative accounts and simultaneous displacement of others. Put differently, the inability of Bangladeshi nationalist historiography to come to terms with partition/Pakistan ensures the return of the 'Muslim question.'
the-events-of-1975-irreversibly-changed-the-set-of-associations-with-august-15-in-bangladesh.png

The events of 1975 irreversibly changed the set of associations with August 15 in Bangladesh. Photo: Star
Decolonising narratives of nostalgia
Although predominantly focused on the Punjab border, and on the experiences of refugees from East Bengal to West Bengal, the Indo-Pakistani model of loss and nostalgia dominates emerging research on partition in East Bengal (with notable exceptions). Curiously, the experience of Muslim-Bengalis compelled to or who 'opted' to relocate from West to East Bengal has yet to be documented systematically. It is telling that the numerous accounts of such experience, scattered in novels and political memoirs, are rarely articulated in terms of loss/nostalgia or forced displacement.

What would it mean to decolonise the study of partition in present day Bangladesh? One way would be to address directly the many submerged meanings of partition beyond the rhetoric of loss, horror and dismemberment. It would be to ask what the stakes are in recalling that for the (predominantly but not exclusively Muslim) peasantry, the new nation represented not so much a homeland for the region's Muslims as the possibility for a new start through the dismantling of economic oppression and religious/social discrimination.

It would be to document but also go beyond the many informal stories in circulation of families divided across multiple national borders, and the pain and absurdities this entailed, to confront questions of class, inequality and property relations.

The 1947 partition provided affluent Muslims in East Bengal with an unprecedented opportunity to reconfigure socio-economic relations in a landscape previously dominated by upper caste Hindus. It has been suggested that the large-scale appropriation of Hindu land by Muslims that took place at the time encourages contemporary silence around partition. This is not an unreasonable line of thought except that it assumes all 'Hindus' have identical interests.
A decolonised partition narrative would ask how and why the caste question was erased from mainstream accounts of 1947, and to what end (Chatterji; Sen). It would also take on board striking silences such as that around Jogendranath Mandal's role in Babasaheb Ambedkar's election to the Constituent Assembly from the Bengal Province in 1946. By extension, we would have to ask why the 'Land of Eternal Eid' descended so rapidly into a realm of hostility and expropriation for non-Muslims. Why did Mandal, Pakistan's first law minister, resign in such despair?

Finally, a decolonial analysis calls for vigilance against the inherited (from colonial and some Indian nationalist thought) animosity toward Islam and Muslim political leaders of the time. Despite evidence to the contrary, why are leaders like Suhrawardy 'mis-remembered' in public culture especially since he was able to imagine a United Bengal in which Bengaliness did not preclude being Muslim (Bhattacharjee)? Why are the likes of Bhashani and Abul Hashim figures of great ambivalence and discomfort today?

Decolonising our imaginations begins with denationalising the writing of history; we must turn our attention to questions of framing and narrative structure, of why partition stories are told the way they are, in order to unmask the workings of power. The task then is to dismantle the oppositions and taken for granted narratives (partition as the result of religious animosity engineered from the top or the putative tendencies of Muslims toward separatism) through which we have come to understand our histories and our possible futures.

Dr Dina M Siddiqi divides her time between New York and Bangladesh, where she is Professor of Anthropology at BRAC University. She is currently a fellow at the Center for the Study of Social Difference (CSSD) , Columbia University, New York.

References

Irfan Ahmad 'Modernity and Its Outcast: The Why and How of India's Partition.' South Asia: Journal of South Asian Studies. 2012.

Dharitri Bhattacharjee 'Mis-remembering History: Huseyn Shaheed Suhrawardy's United Bengal Plan That Could Have Changed the Course of Indian History.' The Wire 15/8/2017

Joya Chatterji The Spoils of Partition: Bengal and India 1947-1967. 2007

Dwaipayan Sen 'Caste Politics and Partition in South Asian History.' History Compass, 2012.

Dina Siddiqi 'Left Behind by the Nation: 'Stranded Pakistanis' in Bangladesh. Sites, 2013.

http://www.thedailystar.net/star-weekend/ghosts-1947-1452604
 
.
মূলধারা বাংলাদেশ
দেশভাগের অর্জন নিয়ে আনিসুজ্জামান.
আজাদী আন্দোলনের বৈষয়িক অর্জন

বিবিসির সাথে দেয়া সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন দেশভাগ বাঙালী মুসলমানের বৈষয়িক উন্নয়ন ঘটিয়েছে। আর ঠিক এই কারণেই ওনার মা চেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে পূর্ববঙ্গে অভিবাসী হতে। তিনি এটাও বলেন যে এই বৈষয়িক উন্নয়ন নিন্মবর্গের হিন্দুদেরও হয়েছে। বর্ণ হিন্দুদের চলে যাওয়ায় তাঁরা এই সুযোগ পেয়েছে। তবে তিনি মনে করেন দ্বি-জাতিতত্ব সঠিক ছিল না।(১) দেশভাগে রিফিউজিদের দুর্ভোগ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি এটা বলেন। দ্বি-জাতিতত্ব ভুল কি সঠিক সেটা আদর্শগত প্রশ্ন, অন্য জায়গায় আলাপ করেছি, আরো করব। এই লেখায় আমরা বৈষয়িক ফলাফল (End) দিয়ে কার্যাদিসাধনের উপায়- উছিলাকে (Means) বুঝতে চেষ্টা করি।

৪৭ সালের আজাদীর ফলে বাংলাদেশ হয়েছে। একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাগরিকেরা দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পরতে পেরেছে। সারা দুনিয়ায় ইমিগ্রেন্ট বা অভিবাসী হিসেবে কর্মরত মানুষদের মধ্যে বাংলাদেশ ৫ম। জাতিসংঘের ২০১৬ সালের একটি প্রতিবেদন মতে ৭ মিলিয়ন বা ৭০ লক্ষ বাংলাদেশী মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং আমেরিকায় কাজ করছে।(২) পিউ রিসার্চের মতে এই সংখ্যা ৭.২ মিলিয়ন।(৩) ভারত অভিবাসী মানুষের সংখ্যায় বিশ্বে প্রথম, যাদের রয়েছে ১৬ মিলিয়ন নাগরিক বিভিন্ন দেশে। কিন্তু ভারতের সাইজ আমাদের তুলনায় অন্তত ২০গুন বড় হবে, মানুষের সংখ্যাও অনেক বেশি।

যেখানে আজাদীর আগে চাকুরী বাকরিতে পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের অবস্থা ছিল করুণ,সেখানে আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের উপস্থিতি সর্বত্র। তুলনার জন্য বলতে হয়, আপনি যদি ইউরোপ বা আমেরিকার বড় শহরগুলোতে যান, দুই একজন পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসী খুঁজে দেখার চেষ্টা করবেন। আমার এক বন্ধু লন্ডনে থাকেন গত একযুগ ধরে। সে বলল সব মিলিয়ে ৪-৫ জন পশ্চিমবঙ্গবাসীর সাথে দেখা হয়েছে কিনা সন্দেহ।

ঔপনিবেশিক বাংলার সামাজিক স্তরবিন্যাস তুলে ধরতে গিয়ে আবুল মনসুর আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলার জমিদাররা ছিল হিন্দু আর প্রজারা ছিল মুসলিম, ঋণদাতারা ছিল হিন্দু আর গ্রহীতারা ছিল মুসলিম, ডাক্তাররা ছিল হিন্দু আর রোগীরা ছিল মুসলিম, বিচারকরা হিন্দু আর অভিযুক্তরা মুসলিম, খেলোয়াড়রা ছিল হিন্দু আর দর্শকরা মুসলিম, কারারক্ষীরা হিন্দু আর কারাবন্দীরা মুসলিম, এমন আরো অনেক’।(৪) আজাদী আন্দোলন আমাদেরকে কেবল ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকেই মুক্ত করেনি, করেছে উপরোক্ত বর্ণহিন্দুর আধিপত্যবাদী উপনিবেশ থেকেও। আরো অনেক ইন্ডিকেটর দিয়ে একই রকম উপসংহারে আসা সম্ভব। এখানে আরো দেখা নেয়া দরকার বিভাগকালে পূর্ববঙ্গের অবস্থা কতটা করুণ ছিল।(৫)

নোটঃ

(১) অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সাক্ষাতকার, বিবিসি বাংলা, প্রবাহ অনুষ্ঠান, ১৭ই অগাস্ট ২০১৭, https://www.youtube.com/watch?v=QYRWiU8q_cI

(২) United Nations, International Migration Report 2015 Highlights, Department of Economic and Social Affairs, New York, 2016, http://www.un.org/…/migrationreport/docs/MigrationReport201…

(৩) Dhaka Tribune, BD migration up by 36%, December 18, 2016, http://www.dhakatribune.com/bangladesh/…/18/bd-migration-36/

(৪) উদৃত, নুরুল কবির, উপনিবেশবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও বাংলা ভাগ (পর্ব-১১), http://www.muldharabd.com/?p=456

(৫) দেখুন; শুন্য থেকে পূর্ববঙ্গের জীর্ণ যাত্রা, দেউলিয়া হবার উপক্রম হয়েছিল http://www.muldharabd.com/?p=2064


20954106_1637954779601172_4459144663079448331_n.jpg

মূলধারা বাংলাদেশ
20 August at 15:16 ·
‘টু মহাত্মা গান্ধি, প্লিজ অ্যাকসেপ্ট পাকিস্তান’-আনিসুজ্জামান

''...আমার জ্ঞান হতে হতে দেখি, বাড়ির সকলে পাকিস্তান চান, মুসলিম লীগকে সমর্থন করেন এবং জিন্নাহকে নেতা মানেন।আশপাশেও এই ভাবটাই প্রবল ছিল। ইন্তু মিয়াদের বাড়িতে যখন হুমায়ুন কবির আসতেন, তখন দূর থেকে তাঁকে দেখতে পেলে কেউ না কেউ সখেদে বলতেন, এতো বড়ো প্রতিভা বাঙালি মুসলমানের মধ্যে নেই, কিন্তু আফসোস এই যে, তিনি কংগ্ৰেসি। মওলানা আবুল কালাম আজাদের ছবি দেখতাম কাগজে। তাঁর সম্পর্কেও বলা হতো যে, ইসলাম-বিষয়ে জবরদস্ত পণ্ডিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি যে কংগ্রেসের বড়ো নেতা, এটা খুবই শোচনীয় ব্যাপার। আব্বা একটু বিষন্নচিত্তেই জানিয়েছিলেন যে, কংগ্রেসি হওয়ার ফলে কলকাতার মুসলমানেরা গড়ের মাঠে ঈদের জামাতে মওলানা আজাদকে ইমামতি করতে বাধা দিয়েছিল এবং তার ফলে ঈদের সময়ে তিনি আর কলকাতায় আসতেন না।

... এই আবহাওয়ায় আমিও পাকিস্তানের খুদে সমর্থক হয়ে উঠেছিলাম। স্কুলে টিফিনের জন্যে যে-পয়সা পেতাম, হঠাৎ করে একটা সিগারেটের টিনে তা জমাতে আরম্ভ করলাম। উদ্দেশ্য ; জিন্নাহ ফান্ডে দান করা। কিন্তু টিফিনের পয়সা জমে এক টাকা হতেই বেশ সময় লেগে যেতো। আমি যাতে হতাশ না হয়ে পড়ি, তার জন্য বড়োরা মাঝে মাঝে সিকি, আধুলি, এমনকি রুপোর একটা টাকাও দান করতেন আমাকে । আমরা লক্ষ্য ছিল ৫০ টাকা সংগ্ৰহ করা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৩৭ টাকা যখন জমলো, তখন আমার এই স্বাদেশিক প্রয়াসে ক্লান্ত বাড়ির সকলে বললেন, এবারে টাকাটা যেন পাঠিয়ে দিই।

জিন্নাহর ঠিকানা সবারই জানা ছিল, অতএব একদিন বড়োদের সাহায্য নিয়ে নিজ হাতে মনি অর্ডার ফরম পূরণ করে মি. এম এ জিন্নাহ্, মালাবার হিলস, বম্বে, এই ঠিকানায় টাকা পাঠিয়ে দেওয়া গেলো। নিচের কুপনে গুরুজনদের কেউ লিখে দিয়েছিলেন ; জিন্নাহ ফান্ডের জন্যে টিফিনের পয়সা জমিয়ে সংগৃহীত এক স্কুল-বালকের চাঁদা। আমার পাঠানো টাকা পেয়ে জিন্নাহ কতোটা খুশি হবেন, এটা ছিল আমার ভাববার ও কল্পনা করবার বিষয়। শেষ পর্যন্ত একদিন মনি অর্ডারের রসিদ ফিরে এলো ফাতেমা জিন্নাহর স্বাক্ষর বহন করে। আশা ছিল, জিন্নাহ্ স্বহস্তে আমার অর্ঘ্য গ্ৰহণ করবেন, সুতরাং একটু হতাশ হলাম বই কি! তবে নিজেকে এই বলে সাস্তুনা দিলাম যে, মনি অর্ডার পিয়ন যখন তাঁর বাড়িতে গেছে, তখন হয়তো তিনি বাইরে ছিলেন। আর যাই হোক, তাঁর নিকটতম জনের হাতেই টাকাটা পড়েছে এবং তিনি নিশ্চয় জিন্নাহর কাছে আমার আত্মত্যাগের কথা সোৎসাহে জানিয়েছেন।

কিন্তু সাঁইত্রিশ টাকা আর পাকিস্তানের আবির্ভাব কতো ত্বরান্বিত করবে! স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করে স্থির হলো, সকলে ভিন্ন ভিন্নভাবে গান্ধির কাছে পাকিস্তান দাবি মেনে নেওয়ার আহবান জানিয়ে একটা রাজনৈতিক অভিযান চালাবো। গান্ধির ঠিকানা আমাদের জানা ছিল না, তবে ভরসা ছিল পোস্ট অফিসের লোকেরা তা জানবে। চিঠি পাঠাবার পয়সা ছিল না, কিন্তু মনি অর্ডার কুপন বিনা টিকিটে চলে আসতে দেখেছি। অতএব, স্কুলের টিফিন পিরিয়ডে বালিগঞ্জ পোস্ট অফিসে গিয়ে মনি অর্ডার ফরম চেয়ে নিয়ে, তার কুপনে বার্তা পাঠানো হলো: ‘টু মহাত্মা গান্ধি, প্লিজ অ্যাকসেপ্ট পাকিস্তান’। কেউ হয়তো লিখলো : ‘গান্ধি মিটু জিন্নাহ'। তারপরে কুপানটা ডাকবাক্সে ফেলে স্কুলে ফিরে আসা। এই অভিযান কয়েকদিন চলেছিল।''

(আনিসুজ্জামান, কাল নিরবধি, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, ২০০৩, পৃ.৭৫-৭৬)

আনিসুজ্জামানের জীবনী পড়তে গিয়ে এই অংশে এসে হাসতে হাসতে শেষ
1f61b.png
:P ভাবলাম পাঠকের সাথেও শেয়ার করা যাক মজা।
1f603.png
:D
 
.
70 years of Partition: States of being divided
70-years-artition.png

Why this special issue on Partition?
The reason for Star Weekend's special issue on the Partition, the idea for which originated from a suggestion by Professor Ali Riaz of Illinois State University (one of our regular columnists) to commemorate the 70th anniversary, is to revive our interest in the history of Partition. In popular memory, the Partition is mostly, and justly, remembered for the tragedy that it represents, and not for the failure—of heritage, commonality, and a thousand years of living side by side—of the politics of the day. Why did one stream of events become so inexorable that it overwhelmed all others and turned neighbours into killers?

In this special issue, commemorating the 70th anniversary of the Partition, we bring together a set of writers from Bangladesh, India, and Pakistan, who in their respective fields—from academics to arts—have contributed to a deeper understanding of the fateful events of Partition and its continued repercussions. We have also included oral histories, collected by the 1947 Partition Archive, of individuals who witnessed and survived events pre- and post-1947. These articles seek to see the Partition from new perspectives, with a specific focus on the erstwhile East Bengal.

Mahfuz Anam
Editor and Publisher
The Daily Star

READ THE FULL EDITOR'S NOTE >>
Cover art: Anisuzzaman Sohel, Leap Across Time 1, pen, acrylic and graffiti on paper

Note: Throughout the magazine, Partition has been spelled both with an uppercase and with a lowercase 'p' in order to accommodate the preferences of the respective authors of each article.

IN THIS ISSUE
Top Bottom
migration1.jpg

STAR WEEKEND
Uprooted and divided
"It took me a long time to realise that my family and I, like every other citizen of the current state of Bangladesh, were directly and indirectly a by-product of the Partition to the extent that even our daily struggles sometimes evolved around it," writes Meghna Guhathak
 
.
Book will tell story of Pakistan, Bangladesh through architecture
SAM Staff, July 15, 2017
pakistan-architecture-700.jpg

The National Parliament House, or Jatiya Sangsad Bhaban, in Dhaka, Bangladesh, was designed by American Louis Kahn. Image: WikiCommons.
An assistant professor in the University of Kansas School of Architecture & Design, the Bangladesh native has received a Mellon-Volkswagen Fellowship to complete the writing of a book on the history of architecture in the nascent state of Pakistan. The fellowship is funded jointly by the Andrew W. Mellon Foundation and the Volkswagen Foundation.

“I am looking at the history of post-colonial Pakistan; from 1947 to 1971,” Karim said. “This is a time that has special significance in world history. Pakistan was created as a utopia. East and West Pakistan were combined together under a theoretical understanding of Muslim nationalism, even though they were 1,000 miles apart and even though East Pakistan, which later became Bangladesh, had different languages and cultural practices.”

When, after almost a century of imperial rule, Britain divested itself of the Indian subcontinent in 1947, it gave rise to two independent and religiously homogenous nations: mostly Hindu India and the two halves of mostly Muslim Pakistan that lay on either side of it.

LAWRENCE — If it’s not quite a “secret history,” then Farhan Karim’s latest project is at least an overview of an overlooked phenomenon in an important region of the world.

When East Pakistan broke away in a 1971 liberation war to become Bangladesh, it sparked a secondary conflict between (West) Pakistan and India, the flashpoint of which was and remains the province of Kashmir.

“The bloody war was an embarrassing part of history for scholars who work in Pakistan and Bangladesh,” Karim said. “In scholarly discussions, there is a large gap. I’m an architectural historian, and that is an even much less discussed area.

“I am trying to understand through the lens of architectural history how this construction of a utopian Pakistan was structured through design, and, specifically, through state-sponsored architecture. The capital of Pakistan, Islamabad, was a completely new city, a la Brasilia in Brazil or Chandigarh in India. Groups of designers arrived at that site. They were excited, yet they had a plan. They were standing in the middle of nowhere and asked to build an entire city.”

At the same time, Karim said, Pakistanis had undertaken a “massive educational reform project.” The Brits had been kicked out, and yet Pakistan had not developed a native educational infrastructure. Thus, he said, “When Pakistan was in a total nation-building project, they did not have enough architects, so they partnered with the USA.”

“The United States became a Cold War ally to Pakistan. With grants from the United States Agency for International Development and the Ford Foundation, they went to Pakistan to build that infrastructure.”

Karim said consultants poured in from the United States, Greece, Turkey, Japan and Germany. Perhaps the most famous of them was the American Louis Kahn, who designed the National Parliament House for what was East Pakistan when he received the commission, but which later became Bangladesh. Kahn was invited to design the project in Dhaka by Pakistan’s then-leader, Ayub Khan.

“When it comes to architectural history, we understand Louis Kahn as a lone genius, creating his masterpiece, but he also had a good relationship with USAID,” Karim said. “His take on the Cold War intervention in South Asia needs to be discussed. When discussing architectural history, he saw himself as a representative of the United States, working in South Asia. When we look at how Louis Kahn saw himself, embedded in a larger sociopolitical context, a new story will appear before our eyes.”

Karim said he has been researching the subject for the past five years, poring over records in archives in the United States and Greece, among other places.

“I’ve been to 15 places in the last five years,” he said. “It’s an epic story that needs epic length to tell it.”

Karim has given his book the working title “Dreaming of a Nation.” The Volkswagen-Mellon Fellowship will give him nine to 10 months off from his teaching duties so he can complete his manuscript. He will travel to Berlin to work on the book at the ZMO (Zentrum Moderner Orient, or Center for Modern Oriental Studies) research institute there.

During his previous work, Karim said, “I realized how little we know about the contemporary design history of South Asia.” The book is his attempt to remedy that situation.

The University of Kansas is a major comprehensive research and teaching university. The university’s mission is to lift students and society by educating leaders, building healthy communities and making discoveries that change the world.

[With Special Permission from the KU News Service to Republish/Translate into Bengali for South Asian Monitor]
http://southasianmonitor.com/2017/07/15/book-will-tell-story-pakistan-bangladesh-architecture/
 
.
2:00 AM, August 25, 2017 / LAST MODIFIED: 05:20 AM, August 25, 2017
AFTER THE HOLOCAUST
Partition and Bangladeshi literature
after_the_holocaust.jpg

(L-R) Akhteruzzaman Elias, Syed Waliullah and Abul Fazl
Kaiser Haq

The Partition of the Indian subcontinent in 1947 has become indissolubly linked to horrific, haunting images of armed gangs or mobs attacking helpless groups of men, women and children trying to cross a border that had just been scratched on the map.

Literature registers the shock in works that make harrowing reading. Partition literature becomes a tragic sub-genre in the subcontinent. However, this image of Partition literature does not apply uniformly throughout the region. The massacre was centred on the Punjab. South India, mercifully, was spared the horrors. In the east the pattern of violence was quite different, and had a different sort of demographic and literary fallout. The holocaust in the Punjab left no Hindus or Sikhs west of the border and no Muslims to its east. In Bengal, instead of such wholesale demographic changes, there has been migration in spurts and trickles prompted by episodes of communal conflict.

Bangladesh is unique in that it has undergone the experience of partition three times; and each time it has been different from the other two. The first partition, which took place in 1905, and was repealed six years later, has mainly touched Calcutta-based writers. In 1947, Bengali Muslims wanted an undivided province to go to Pakistan, while Hindus favoured partition.

The Muslim peasantry identified a dual antagonist comprising the Hindu zamindars and British colonisers. The opposition was further complicated by a class dichotomy among Bengali Muslims, with Muslim zamindars and their other upper-class coreligionists labelling themselves superior (ashraf) as opposed to the inferior Muslim common people (atraf). Consequently, two kinds of Muslim political formations emerged, Fazlul Huq's Krishak Praja Party claiming to represent the peasantry; while the Muslim League was dominated by ashraf politicians, many from the zamindar class.

The internal dialectic of Muslim politics became a tussle between the two groups for the support of the Muslim masses, with the upper-class leaders happily falling back on the universalist message of Islam to paper over class differences. Similarly, there was a caste divide within the Hindu community, with some low-caste politicians demanding—unsuccessfully, as it turned out—a separate electorate.
hasan_azizul_huq-photo-teerath-kumar-majumder.png

Hasan Azizul Huq. Photo: Teerath Kumar Majumder
Unsurprisingly, as soon as Pakistan was put together it began to show strain at the seams, first over the question of what would be the state language, then over economic disparity between the two wings. The demand for democracy and autonomy led to the six-point movement led by Sheikh Mujibur Rahman, whose popularity earned him the affectionate sobriquet of Bangabandhu, and eventually led to the independence of Bangladesh.

The price of independence was the most harrowing bloodshed ever seen in the country. A point often missed in accounts of the independence war is the attempt by the Pakistan Army to replay on its own terms the Partition massacres that took place in 1947 in and around the Punjab. From 1947 to 1971 West Pakistan's ruling elite blamed the disaffection in East Pakistan on the province's Hindu population and their influence on Muslim Bengalis, whom they considered insufficiently Islamised. What the latter had failed to do in 1947, because they were 'bad'—Hinduised—Muslims, the Pakistan Army was brainwashed into attempting in 1971. The Partition has cast a shadow from which the subcontinent has not emerged. Its effects are a part of the day to day lives of millions. Geopolitically, the militancy and civil unrest in many parts of the region are a direct consequence of Partition.

Perhaps the earliest fictional treatment of Partition by a Bangladeshi writer was the short story, 'The Escape', written in English by Syed Waliullah (1922-1971) and included in the Pakistan PEN Miscellany (1950). The locale is unspecified but can be taken to be North India, though it could be on either side of the newly drawn border, and the action takes place on a train, an iconic emblem of hope and horror in that region. Except for the detail of a skull cap on someone's head there is nothing to indicate the religious affiliation of the passengers, thus lending the story greater universality. The same effect is produced by an anonymous corpse lying on a station platform. A moving piece, it uses expressionistic devices to evoke the horror of what was happening: a character described as a madman by another, and who leaps off the running train; a story that the narrator's interlocutor is not interested in listening to and remains unfinished.

" Nostalgia is a powerful theme in Partition-related fiction from West Bengal, but not in Bangladeshi works. And so, when Taslima Nasreen forays into this theme it is with a Hindu migrant to India who visits her old home in Fera (1993).

Another story of Waliullah's that subtly captures the inner turmoil wrought by Partition on those who had become uprooted is 'Ekti Tulsi Gachher Kahini'. It features a group of refugees from India who break into and occupy an abandoned Hindu home. One of them finds a tulsi plant in a bedraggled state on the grounds of the house and wants to pull it out as it is sacred to Hindus. Another refugee, who has caught a cold, points out its medicinal value in treating coughs and colds, and the plant is spared. Someone quietly tends the plant so that it begins to thrive again. One member of the group invokes the railway train, the iconic symbol of the deracination caused by Partition, as he imagines the housewife who used to look after the plant travelling to another country. Through the mediation of the plant the dispossessed owners of the house and its illegal occupants come to realise their common fate. It unites them even though the squatters are voluble in castigating Hindus for the wrongs they have done to Muslims. Niaz Zaman in The Divided Legacy, the only book-length study of Partition literature by a Bangladeshi critic, aptly comments: 'Both the groups are homeless refugees, both forced to vacate their homes for an uncertain future in an unknown place…Despite religious and political differences, Waliullah suggests, the human bond remains somewhere underneath.' The story ends with officials evicting the squatters from the house, which has been requisitioned by the government. The tulsi plant, with none to water it, begins to wither again. The implication is clear; the suffering brought on by Partition is to be blamed on the impersonal decisions of officials.
shongshoptok-shahidullah-kaiser.png

The first Bangladeshi novel dealing with Partition is Ranga Prabhat (1957) by Abul Fazl (1903-1983). Two novels, both Marxist in inspiration, focus on the anxieties and social tensions in the decades leading up to Partition, are Alauddin Al Azad's Kshudha O Asha (1964) Sardar Jainuddin's Anek Suryer Asha (1966). A much more ambitious novel is Shahidullah Kaiser's Shangshaptak (1965), which was also made into a highly successful television serial.

Shahidullah Kaiser (1927-1971) was not only Marxist-inspired; he was a card-carrying member of the Communist Party at a time when it was an underground organisation. The Communist Party of undivided India, though opposed to the dismemberment of the subcontinent, advised members to accept it as an inexorable historical reality and to carry on party activities in whichever country they happened to have their domicile. Kaiser therefore views Partition as a historical accident within the broad dialectical play of social forces and classes. His protagonist Zahed starts off as a committed Muslim League activist but turns later into a communist. The conflicts that led to partition give way to other conflicts, between West and East Pakistan, while the inherent class conflicts continue to impact on people's lives.

Abu Rushd's Nongor (1967), is the work of a West Bengali Muslim who chose to move to (East) Pakistan. It may be described as bourgeois realist fiction depicting the existential choices of a protagonist, Kamal, who is in many ways the author's persona.

Nostalgia is a powerful theme in Partition-related fiction from West Bengal, but not in Bangladeshi works. And so, when Taslima Nasreen forays into this theme it is with a Hindu migrant to India who visits her old home in Fera (1993). Her protagonist Kalyani comes back to Mymensingh only to be dismayed at the changes that have overtaken the place and the society.

Akhteruzzaman Elias (1943-1995) has produced a novel of epic proportions in Khoabnama(1997). Supriya Chaudhuri in her essay 'The Bengali Novel' describes it, with good reason, as 'possibly the greatest modern Bengali novel', a prose epic spanning a vast and diverse timeline and creating a distinctive kind of magic realism drawing on 'indigenous traditions of folk narrative, memory and legend, as on subaltern history.' The narrative opens with the fakir rebellion of the late eighteenth century, and follows the lives of later generations steeped in legends derived from that hoary age. Villagers bring up questions of sectarian differences of which the urban middle classes are hardly aware. Some characters affirm their identity as Muhammadi (that is, adherents of the Tariqa-e-Muhammadi, a Wahhabi-inspired sect). The ideological effort of the pro-Pakistan activists to paper over such crucial local differences is exposed as a ploy to ensure that leadership of the Muslims stays with a certain class. The problems of the tenancy system led to the Communist-led tebhagamovement around the time of Partition; this unsuccessful venture aimed to obtain two-thirds of the produce for the tenant farmers instead of the customary half.
niaz-zamam-photo-nymphea-publication.png

Niaz Zaman. Photo courtesy Nymphea Publication
Khoabnama received the Ananda Prize, the most prestigious literary award given in Kolkata, as did Agunpakhi by Hasan Azizul Huq (2006). Unlike Elias, Huq hails from West Bengal. He migrated to Pakistan in a most lackadaisical manner, as a brief interview reveals. In Burdwan, where his family came from, 'the Muslims of that area did not experience any real trouble,' he says. His sister's husband was an English teacher in a college in what had become East Pakistan. They asked him to live with them and study, so he went. After completing an MA at Rajshahi University he returned to Burdwan and took a job as a schoolteacher. After three months a visiting school inspector questioned his bona fide as an Indian, even though he had an Indian passport, so he came back to Rajshahi and settled there. He persuaded his parents to join him and his brother there, but his uncles and cousins stayed on in India even though they had supported the Pakistan movement. Agunpakhi is a first person account in the dialect of Burdwan of the life of a middle class Muslim woman who sees the organic community into which she had been born shatter under the impact of communal politics. But in the end she takes a stand and refuses to accompany her family to Pakistan.

I will end with a cursory look at the presence of Partition in the work of writers born after the event. A short story in English, Khademul Islam's 'An Ilish Story', published in the Bangladeshi journal Six Seasons Review, presents a scene in a middle class Bengali home in Dhaka in the aftermath of the independence war of 1971. The narrator has escaped with his family from Pakistan, where they would have been treated like prisoners. He watches his grandmother cut and dress a hilsa fish (ilish in Bengali). As she does so she narrates what she has seen and heard during the war. ‘”1971 was 1947 all over again”, she says, as she holds both ends of the fish with her hands and vigorously saws it back and forth across the blade .' The description of the cutting becomes increasingly gory as she narrates how in her native district a maulvi led an attack on a Hindu family in the neighborhood.

Mahmud Rahman's short story collection, ‘Killing the Water’ (2010), includes a few pieces that sketch in the Partition as an unavoidable backdrop. Tahmima Anam's debut novel, A Golden Age (2007), links up Partition with the 1971 war through the family of 'Rehana Ali of Calcutta'.

books_on_partition.jpg

It is an interesting facet of our current cultural climate that the younger generation is drawn to a critical examination of the trauma of Partition in order to see their historical situation in perspective. An anthology of graphic narratives issued in 2013, This Side That Side: Restorying Partition, curated by Vishwajyoti Ghosh, brings together the attempts of writers and artists from Pakistan, India and Bangladesh to deal with the existential spin-off of the event.

When the book was launched at the Dhaka Hay Festival in November, 2013, all seventy copies brought over sold out in record time; and so would have three times that number. Six of the twenty-eight stories are by Bangladeshis. Mahmud Rahman's 'Profit and Loss' is an autobiographical sketch moving from the Partition and the problems that came in its train to the 1971 war. Khademul Islam's 'The Exit Plan' narrates the adventure of escaping from Pakistan where he would have been incarcerated as an undesirable alien. M. Hasan's 'Making of a Poet', Syeda Farhana's 'Little Women,' and Sanjoy Chakraborty's 'An Afterlife', delve into facets of the identity crisis in our fractured subcontinent.

My own contribution, 'Border,' is a poem that tries to expose the existential consequences of having a shadow line scoring the region's map. It is based on an overland trip I made to India years back. In the poem the journey is prompted by desire, for where there is a boundary there is fascination with the other side: 'Let us say you dream of a woman/ and because she isn't anywhere around,' imagine her across the border.' After a mildly nightmarish journey to the border, the speaker 'instead of crossing over' lies 'dreaming/ of the woman, and the border: perfect knife that slices through the earth/ without the earth's knowing,/ severs and joins at the same instant.' The speaker cannot cross over because his desire, being based on fantasy, cannot be fulfilled. The border 'runs inconspicuously through modest households,/ creating wry humour—whole families/ eat under one flag, shit under another,/ humming a different national tune.' Refusing to accept one side or another, the speaker lies down on the border.

Last year Lexington Books, USA, published Revisiting India's Partition: New Essays on Memory, Culture, and Politics, edited by Amritjit Singh, Naini Iyer, and Rahul K Gairola; it includes two essays by Bangladeshis, Md Rezaul Haque (on 'The Case of Hasan Azizul Huq.) and myself ('Partition and the Bangladeshi Literary Response', from which the present piece is adapted.) The seventieth anniversary of Partition will witness the publication of an anthology, Looking Back: India's Partition Seventy Years On, edited by Debjani Sengupta, Tarun K. Saint and Rakshanda jalil, and published by Orient Black Swan; it includes a story in translation by Selina Hossain and one of my poems, 'Grishma, Barsha'.

Bangladesh's Partition literature deserves to be considered alongside similar works from other parts of the subcontinent. But more important than literary criticism is the task of transcending the conflicts that have given rise to the literature. Perhaps the most deleterious outcome of Partition has been the partitioning of the subcontinental mind. We have not only become an extended family of squabbling nations, we have grown to deny our civilisational unity. It is imperative that we make efforts to rediscover our commonality. This is true in every realm of experience, the cultural as well as the socio-economic and political. We cannot go back to the status quo ante, we cannot undo a tragedy, but we can try to go beyond towards a better order of things. Dealing critically with the cultural fallout of Partition is a necessary first step in that endeavour.
Kaiser Haq is a poet, translator, essayist, critic and academic.
http://www.thedailystar.net/star-weekend/after-the-holocaust-1452565

How Partition helped Muslims
Abdul Hannan
Published at 07:24 PM August 28, 2017
14-17-690x450.gif

A necessary divisionBIGSTOCK
Bengali Muslims would have been worse off had there been no Partition
The Partition that happened 70 years ago has generated much interest recently in the American and British press and television. Surprisingly, there has not been any significant discussion on the matter here — although Bengali Muslims played a vital role in the struggle for Indian independence.

The Partition of India and Pakistan was based on the two-nation theory that Muslims and Hindus are two distinct nations. It was the August 1946 Calcutta Hindu Muslim communal riots that I witnessed as a boy of 12 years of age, which precipitated the partition.

The struggles of Muslims
Nothing illustrates the condition of Muslims in pre-partition Muslim majority East Bengal better than the life sketch of my late father, born to a poor impoverished cultivator’s family. Muslims then were mostly a cultivator’s class deprived of economic opportunities of education, jobs, health care, hygiene, and housing.

Whatever social opportunities were available were confined to the Hindus and patronised by the British who believed in “divide and rule.” They constituted what was known as Hindu bhodrolok community of lawyers, doctors, teachers, writers, businessmen, and government officials.

The Muslims suffering from neglect, destitution, exclusion, and perpetual pain of debt were literally the hewers of wood and drawers of water for the Hindu landed gentry.

In our village, my father was the first Muslim who completed his graduate studies with distinction because of his sheer determination in overcoming daunting circumstances, mostly of financial distress. He walked 10 miles each day back and forth from his home to his school and college. He defrayed the expense of his education by engaging in private tuition of boys and girls.

Pressed by poverty, he abandoned hopes for higher studies; and in order to support my grandfather’s family of nine children, he looked for a job. But in those days, it was not easy for Muslims to find a job without influence. Muslims then were virtually in a state of social segregation and apartheid.

Forlorn and depressed, one day he showed up at a recruiting centre in police lines in our district town in Comilla. He was offered a job, at the lowest rung in the police department. He had no choice. Starvation was staring in the face of his family.

It was in 1927 that he accepted the job, and he languished for 20 years in subordinate positions as assistant sub-inspector of police, sub-inspector of police, and police inspector till Independence in August 1947, when he was promoted as deputy superintendent of police and moved from Calcutta to Dhaka — the provincial capital of East Bengal, later named East Pakistan.

I shudder to think of our fate in the absence of Partition

The discrimination
Dhaka in 1947, even after Partition, witnessed intermittent communal riots between Hindus and Muslims. Concerned about our security, my father sent me and my elder brother to Brahmanbaria, our sub-divisional hometown for admission in Annada High School, reputed for academic excellence.

The tough looking Hindu headmaster Binod Behari Dev, with a pugnacious mustache, said in a gruff voice that there was no seat vacant in his school, and advised us to seek admission in George High School or Edward High School. Later we discovered that his high school was exclusively for Hindus. My father was adamant.

We were finally admitted due to his insistent personal interest and the intervention of local authorities. In the evening, when I moved about in the town, I noticed that there was no sign of a Muslim presence in the society.

I had the same experience in 1951, when I moved for my college education to Faridpur, a district town where my father was posted. In Rajendra College, there was not a single Muslim professor in the faculty belt with the solitary exception of one who taught Urdu and Arabic. The names of all doctors, lawyers, and shops in the town bore distinctly Hindu names.

As a child, I imagined in my naivete that Hindus were a superior race and Muslims lacked merit and talent. Hence we were left out of the loop of privilege. It was only later when I grew up that I realised that the causes of backwardness of Muslims was discrimination and a lack of economic opportunities to them.

An unpleasant truth
Years later in 1980, when I was serving as a first secretary in our diplomatic mission in Calcutta, I went to see Annada Shankar Roy, a noted Bengali writer and a former formidable Indian civil service (ICS) officer, the administrative arm of the British Raj. He looked at my visiting card and said that it was unfortunate for him to remain alive to see a Bengali introducing himself as a diplomat of a foreign country.

I could not help but retort, pointing out the exploitation of Muslims by Hindus who treated Muslims most unfairly, as untouchables and outcasts. He looked at me with a grimace. It was clear he was not prepared for such a blunt unpleasant truth.

During the remaining nine years of his career after Partition, my father received two promotions as additional superintendent of police and superintendent of police in quick succession. After retirement, he built a house in Dhanmondi. He raised his children with the best education opportunities he could afford.

We have had the privilege and opportunity to spread out around the world and hold high-ranking jobs in the US and the UK.

Thus, we were no longer a downtrodden class of poor peasants steeped in the stranglehold of poverty, deprivation, and ignorance. By now, we have climbed the social ladder and transformed of our lives from rural folks to urban elite in the course of less than 15 years since Partition — even within the limits of disparity and discrimination under Pakistan colonial rule, it was nothing short of miracle.

Partition and its fruits
It is apparent that Partition helped the social mobility of Muslims of East Bengal. The success story of my father and our family, typical of many more similar Muslim families, would have remained a far cry, a distant mirage in the absence of Partition.

It is true that the aftermath of Partition left in its trail an enduring scar of dispossession, displacement, and blood of both communities. But it is equally true that it ushered in unprecedented opportunities for Muslims in East Bengal free from upper-class Hindu domination — sadly, this is often the missing narrative to many in the new generation in Bangladesh.

Some 37 million Muslims decided to stay back in India after Partition. The number has since swelled to 172 million. Indian Muslims are now being persecuted by Hindu lynch mobs on the rampage for eating or storing beef, harassed, and harried for marrying or dating Hindu girls, or are subjected to a campaign of conversion under BJP rule headed by Prime Minister Modi, far removed from Nehru’s secularism.
I shudder to think of our fate in the absence of Partition.
Abdul Hannan is a columnist and former diplomat
http://www.dhakatribune.com/opinion/op-ed/2017/08/28/partition-helped-muslims/
 
. .
Strange questions on 1947 partition
M. Serajul Islam

A new discussion is being floated in the country’s print media; that the Muslims of Bangladesh would have been better off today had the Muslim League and Mohammad Ali Jinnah not pushed for Pakistan as a separate homeland for the Muslims based upon the two-nation theory. In articles, certain individuals are selling this idea to coincide with the 70th year of the Partition of India.

The argument against Partition from the Muslim point of view is based upon numbers. These individuals argue that Muslims now in Bangladesh and Pakistan together with Muslims in India are 489 million at present against 956 million Hindus.

Therefore, they further argue that if India was not partitioned in 1947, the Muslims would have been able to achieve their social, economic and political interests better in a united India vis-à-vis the Hindus than in Pakistan and now in Bangladesh. They have also suggested that the lower caste Hindus in India who are not finding favour in the Hindu fundamentalism that is now raging in India because it is being led and dominated by the upper caste Hindus would also have joined the Muslims to fight the elitist Hindu fundamentalism in India.
What it really means
Such a line of thinking is so absurd that even the elitist Hindu fundamentalists now ruling India could not have succeeded in conjuring a better line for propagating Hindutva and their dream of Akhand Bharat. These individuals in Bangladesh, in reality, are supporting the BJP’s Akhand Bharat in denial about what the RSS and the Hindu Mahasabha, front organizations of the ruling BJP are saying in India; that in their Akhand Bharat, Muslims would have a place only if they returned voluntarily to Hinduism from which their forefathers had converted to Islam following the advent of Muslim rule in India nearly 1200 years ago. The RSS and the Hindu Mahasabha have coined a buzzword for this great return of Indian Muslims to Hinduism: Ghar Wapsi.

The demographic arguments that these anti-Partition writers are using could be attractive to those ignorant of history. The 489 million Muslims in a hypothetical united India today would, of course, be able to fight elitist Hindu fundamentalism much better than the 150 million Muslims in India today. Nevertheless, there are so many absurdities in this argument that it would be beneath the intelligence of one conversant with history to even try to expose it. Nevertheless, as the attempts by these people are a serious move to mislead many who are unaware of history, it is imperative to expose the gaping holes in this anti-partition discussion.

There are many leads from where the start could be made. Nevertheless, a good point would be from the Hindu fundamentalism that is raging in India today that is so intrinsically evil that the Muslims, unless they are in a deep stupor, should wake up to find out what these supporters of united India and critics of Indian partition are suggesting. The vision of India that the BJP led government has given through its front organizations is very unambiguous and clear; that there is no place there for anyone who is not a Hindu where Hindutva would be the guiding ideology of the country. The option of the Muslims in such a visionary India or Hindustan would be to convert back to Hinduism from where most of their ancestors had converted to Islam.
Reality debunks demography theory
A second point based upon which the suggestion of these supporters could be trashed would be by looking at the social and economic realities of the Muslims in India today. In 2005, the Indian Government, itself aware of the pitiable plight of the Muslims, had constituted the Sachar Committee. That Committee’s Report would be too lengthy to discuss here. But a reference on West Bengal would perhaps be worthwhile to trash the theory of a united India. The Committee found that Muslims in WB with 25% of state’s population had less than 5% representation in the government jobs and mostly as peons and chaprasis. The plight of the Muslims elsewhere in the country is perhaps worse as underlined by the appointment of the Sachar Committee itself.

India, of course, has progressed tremendously since Partition but the benefit of the progress has gone disproportionately to the Hindus. Strangely with the Sachar Committee Report before them, these Johnny come lately critics of the Partition are suggesting that by seeking and finding a separate homeland, they have forced themselves from benefitting from India’s march on the world stage! Strangely too, these individuals are also in denial that compared to the plight of the Indian Muslims that has largely been because of persecution of the majority Hindus, the Muslims in Bangladesh and Pakistan are so incredibly better. Notwithstanding its gap with India on the economic indicators of growth that is not as wide as these anti-Partition Bangladeshi writers suggest, its nuclear capability puts it at par on the world stage with India.

And the case of Bangladesh’s success as an independent and sovereign nation is so palpably evident from where the “Bangals” (a derogatory term coined by the Hindus of West Bengal for the impoverished Muslims of East Bengal) have come that one must seriously find out what is motivating these individuals to come at this stage and suggest that the people of Bangladesh would have been better off as Indians! These individuals are also in denial that two famous “Bangals” and how their vision has guided the “Bangals” to turn the tables on the West Bengal Hindus who audaciously called themselves the “Bhodrolokes”.
The two ‘Bangal’ visionaries
The first of these two visionaries were Sher-e-Bangla AKM Fazlul Huq who had joined the Muslim League in the late 1930s from his own party the Krisak Sramik Party. He then had moved the Pakistan Resolution in 1940 in Lahore aware that the fate of the Muslims would have been sealed for the worst in a united India led by the Congress. The other visionary for whom the Muslims of Bengal or the Bangals were able to reach the lofty heights they have reached today was the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman who as a student leader in Kolkata in the 1940s was very much with Sher-e-Bangla during the movement for Pakistan. In the 1950s and the 1960s, his vision encouraged him to lead the “Bangals” one step further, to an independent Bangladesh where their ability to grow and prosper would not have the British, the Hindus or the neo-colonialist Pakistanis to cause obstacles and hindrances.

Bangladesh, of course, has a long way to go yet. But the two great leaders and visionaries of Bangladesh, Sher-e-Bangla and Bangabandhu had seen where the destiny of their people lay and we are going there. It is on road to going there that we are finding the same obstacles in our path of realizing the potentials that two leaders had visualized; that the people of Bangladesh would be best off when they would be the master of their fate. The reason is again Hindu India that wanted the control of undivided India in 1947. At a time when these anti-partition writers are suggesting that Partition was bad for the Muslims, India has become a matter of grave concern for all its neighbours because of its well-expressed intent to dominate South Asia.
Lessons of 1911 annulment
India has a problem with all its neighbours today to add to the negative vibes from its blatant Hindu fundamentalism. It has barbed its borders with Bangladesh. And Bangladesh’s concessions to India on their critical security and land transit needs have not been reciprocated. The Teesta water sharing agreement that it was supposed to hand to Bangladesh in 2011 has now been forgotten. To go with those broken promises, India interfered in Bangladesh’s internal affairs during the 2014 elections negating the very reason why Bangladesh had fought the war for independence which was to live in a country where its people would be able to elect the government in a free and fair election. India ensured that less than 10% of the people would “vote” in that election so that it could bring the Awami League to power to continue to serve New Delhi’s interests.

There are of course other pertinent issues of Indian history under the British that should trash further even a prima facae consideration of the 1947 Partition not being good for Muslims as absurd and a bagful of tales being told with another bagful of malafide intents. These issues together with the infamous divide and rule of the deceitful British, the establishment of the Zamindari system through the Permanent Settlement in 1793 that allowed the Hindus to become the feudal lords in Bengal largely over the poor and impoverished Muslims and the Annulment of the 1905 Partition of Bengal through which the British had wanted to do some good for the Muslims of East Bengal perhaps as a result of a belated pang of conscience. Thanks to the Bhodrolokes, the Partition of Bengal was annulled in 2011 and with that any hope of the Muslims of Bengal ever living in a united Bengal forever.
Why question now?
Therefore, one has to wonder when India has so blatantly exposed its anti-Muslim face graphically and explicitly, why would Muslims in Bangladesh raise questions about the 1947 Partition as an event that harmed the Muslims when the benefits of that Partition followed by Bangladesh’s independence in 1971 are so graphically laid out before them compared to the pitiable plight of the Muslims in West Bengal in particular and India in general? And poor Mohammad Ali Jinnah who was the most non-communal political leader who made attempts to save India from being divided as late as March 1946 by accepting the Cabinet Mission Plan is being blamed for the Partition with the Muslim League’s Two Nation Theory in a complete distortion of history.

In fact, these individuals are perhaps suggesting without perhaps realizing that if Muslims of Bangladesh, Pakistan, and India were by some hypothetical means to be citizens in a united India, only then they would know what mistakes their forefathers had made in 1947! If they have such confidence in India, why would the Muslims need to come together? If the Muslims have to unite in a hypothetical united India, they would be underlining boldly the Two-Nation Theory all over again.

Postscript: Renowned historian Ayesha Jalal whose research into 1947 has dramatically rewritten a lot of the old tale of the Partition told by Indian and British historians has said in a recent interview to a Dhaka newspaper that in both Bengal and Punjab, the Muslims were against the Partition of their respective provinces based on religion.

The Hindus wanted to be a part of Hindu India by partitioning both and the British accepted which caused millions of deaths, underlying that the Hindus played the communal card in 1947 and not the Muslims. And how many of the brilliant Bangladesh Test cricketers would find a place in the Indian Test team where there is only one Muslim now if the Muslims of Bangladesh were to be a part of India?

The writer is a retired career Ambassador
http://www.weeklyholiday.net/Homepage/Pages/UserHome.aspx
 
. .
HYDERABAD GENOCIDE: HIDDEN FACTS BY INDIA ON HOW MUSLIMS WERE MASSACRED.
হায়দ্রাবাদ গণহত্যাঃ ভারতে মুসলিম নিধনের চেপে রাখা অধ্যায়
14/12/2015 মূলধারা বাংলাদেশ
nizam-ul-mulk.jpg

১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার সময় ৫০০ এর বেশি ছোট ছোট রাজ্য ছিল (যাদেরকে বলা হত প্রিন্সলি স্টেট)।তাদের একেক জনের সাথে বৃটিশের একেক শর্ত ছিল।বৃটিশরা সবাইকে এদের অধীনে নিয়ে এসেছিল কিন্তু বাংলার মত দখল করেনি। স্বাধীনতার সময় তাঁদের বলা হল; হয় ভারতে যোগ দাও, না হয় পাকিস্তানে অথবা নিজেরাই স্বাধীন থাক। হায়দ্রাবাদ, কাশ্মির,সিকিম সহ কিছু রাষ্ট্র নিজেরাই স্বাধীন থাকতে চেয়েছিল, হয়েছিলও কিছু দিনের জন্য।

ittefak.png


কিন্তু ভারত একে একে সবাইকেই বিভিন্ন অজুহাতে দখল করে নেয়।কারো ক্ষেত্রে বলা হল (যেমন হায়দ্রাবাদ) মুসলমান শাসক কর্তৃক নির্যাতিত হিন্দুদের বাঁচাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রবেশ করেছে। অথচ ২০০ বছরেরও বেশী সেখানে মুসলমান শাসক ছিল এবং রাজ্যটি ছিল সবদিক দিয়ে সমৃদ্ধ।কাশ্মিরের ক্ষেত্রে বলা হল কাশ্মিরের রাজার সাথে তাঁদের গোপন চুক্তি ছিল যেখানে দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতার কথা ছিল, যে চুক্তি আজ অবদি কেউ দেখেনি।
(আরো দেখুনঃ Indian Massacre of Kashmir Muslims in 1947)

এই ধরণের বিভিন্ন অজুহাতে ভারতীয় সেনা দেশগুলোতে প্রবেশ করেছিল, আর বের হয়নি।আমাদের দেশেও সংখ্যালঘু নির্যাতনের ধুয়া তোলা হচ্ছে ইদানিং।

এইসব রাষ্ট্র দখল করতে এবং দখল বজায় রাখতে ভারত কতটা নির্মম অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে, চালাচ্ছে সেটা অবর্ণনীয়।ভারত কাশ্মিরকে ভারতের অংশ দাবী করা সত্ত্বেও রেকর্ড মতে শুধু কাশ্মিরেই ৯০,০০০০ এর উপর মানুষ হত্যা করেছে, ধর্ষণ করেছে অগনিত।যারা রেকর্ড হয়নি তাদের কথাতো বাদ।’নিজের দেশের’ এত মানুষকেই যারা হত্যা করতে পারে তাঁরা অন্যদেশে কি করতে পারে সেটা সহজে অনুমেয়।

অন্যান্য আরো কারনের সাথে ভারতীয়দের ইতিহাসে এমন আধিপত্যবাদী মানসিকতার কথা ভেবেই হয়ত তৎকালীন পুর্ব-বংগের মুসলিম নেতারা ১২০০ মাইল দুরের অচেনা পাঞ্জাবী পাঠানের সাথে গেল (অন্যান্য কারণগুলো জানতে পড়তে পারেন নুরুল কবীরের লেখা ; বাঙ্গালী মুসলমান কেন হাজার মাইল দূরের পশ্চিম পাকিস্তানিদের সাথে গেল?) ।তারা হয়ত ভেবেছে পাঞ্জাবীরা আমাদের সাথে গাদ্দারী করলে তাদের থেকে বের হয়ে আসা যাবে।কিন্তু একবার ভারতের পেটে ঢুকে গেলে পরিণতি হত হয় কাশ্মির, আসাম, সিকিম অথবা হায়দ্রাবাদের। পড়ুন হায়দ্রাবাদের দখলে গনহত্যার কথা।

(সম্পাদক)

……………………………………

লিখেছেনঃ মোহাম্মদ সাজিদ করিম
Hydarabad-map.jpg


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ক্লান্ত ব্রিটেন সিদ্ধান্ত নিল তারা ভারত উপমহাদেশের শাসনভার ছেড়ে দেবে। সরাসরি ব্রিটিশ শাসিত প্রদেশগুলোর কেউ পাকিস্তানে গেল, আর কেউ ভারতের সঙ্গে রইল। এছাড়াও ভারতে অনেকগুলো রাজ্য ছিল যেগুলো ব্রিটিশদের দ্বারা নয় বরং অনেকটা স্বাধীন রাজা দ্বারা শাসিত হত( উদাহরণস্বরূপ কাশ্মীর, যা হিন্দু মহারাজা হরি সিং কর্তৃক শাসিত হত)।

এ সকল রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে ধনী ও শক্তিশালী ছিল হায়দ্রাবাদ রাজ্য। হায়দ্রাবাদের নিজস্ব সেনাবাহিনী, এয়ারলাইন্স, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ও মুদ্রা ছিল। ছিল অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগ ব্যাবস্থা। জনসংখ্যা ছিল দেড় কোটিরও বেশী আর আয়তন বাংলাদেশের দেড়গুণ। হায়দ্রাবাদের তৎকালীন নিযাম-উল-মুলক উসমান আলি খান ছিলেন সে সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি।

ভারত বিভাগের সময় ব্রিটিশ সরকার কাশ্মীর, হায়দ্রাবাদসহ সকল স্বাধীন রাজ্যকে তিনটির মধ্যে যে কোন একটি বেছে নিতে বলেছিল; হয় ভারতের সাথে একীভূত হওয়া, কিংবা পাকিস্তানের সাথে নতুবা দুটোর বাইরে স্বাধীন থাকা। নিযাম উসমান আলি খান শেষেরটি বেছে নিলেন। ভারতের কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ প্রমাদ গুনলো। ভারতের ঠিক মধ্যখানে একটি স্বাধীন মুসলিম শাসনাধীন রাজ্য তাদের কাছে দুঃস্বপ্নের মত মনে হল। শাসকের আসনে মুসলিমরা থাকলেও হায়দ্রাবাদের মোট জনসংখ্যার ৮৫% ছিল হিন্দু। হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতারা তাই হায়দ্রাবাদ দখল করতে মাঠে নেমে পড়লেন।

যুদ্ধ হল শুরু
উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদী দলগুলোর ইন্ধনে হায়দ্রাবাদের অভ্যন্তরে কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে মুসলিম জমিদার ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের গুপ্তহত্যা শুরু হয়। এক হিসাব মতে প্রায় দুই হাজার ব্যক্তি তাদের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। এ পরিস্থিতিতে নিযাম স্থানীয় যুবকদের নিয়ে গঠিত রাজাকারদের ( বাংলায় যার অর্থ হয় স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী) দায়িত্ব দেন হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধের। রাজাকারেরা কমিউনিস্টদের পাকড়াও অভিযান শুরু করে, অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। কমিউনিস্টরা সবাই ছিল হিন্দু, সুতরাং এ সুযোগকে কাজে লাগাল ভারত সরকার। বহুল প্রতীক্ষিত হায়দ্রাবাদ দখলের অজুহাত এখন তাদের হাতে; তারা প্রচার করলো উগ্র মুসলিম রাজাকারেরা পাইকারী হারে হিন্দুদের হত্যা করছে।
Nizam-of-Hyderabad.jpg

নিযাম-উল-মুলক উসমান আলি খান তার পরিষদের সাথে, ছবিটি ১৮৯৯ সালে নেয়া (সৌজন্যে বিবিসি)
১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ সালে ‘অপারেশন পোলো’ সাংকেতিক নামে ভারতীয় সেনাবাহিনী চারদিক থেকে হায়দ্রাবাদ আক্রমণ শুরু করে। বিশ্বের কেউ সেদিন হায়দ্রাবাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। লক্ষাধিক ভারতীয় সৈন্যের বিপরীতে হায়দ্রাবাদের ট্রেনিংপ্রাপ্ত প্রফেশনাল সৈন্যের সংখ্যা ছিল মাত্র ছয় হাজার, তাদের সাথে ছিল আর বিশ হাজার রাজাকার বাহিনী। এ অসম লড়াইয়ে চারদিন প্রতিরোধ করে অবশেষে পরাজয় মানে হায়দ্রাবাদ বাহিনী। ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে সিকান্দারাবাদে ভারতীয় মেজর জেনারেল জয়ন্ত নাথ চৌধুরীর নিকট আত্মসমর্পণ করেন হায়দ্রাবাদের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল সাইয়েদ আহমেদ এল এদরুস। স্বাধীনতা হারিয়ে হায়দ্রাবাদ ভারতের একটি প্রদেশে পরিণত হয়।

গণহত্যা
হায়দ্রাবাদ দখলের পরপরই গণহত্যার খবর আসতে থাকে। আবার ভারতজুড়ে মুসলিমদের গণঅসন্তোষের ভয়ে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু কংগ্রেসের সংসদ সদস্য পন্ডিত সুন্দরলালের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন যাতে হিন্দু-মুসলিম উভয় ধর্মেরই সদস্য ছিল।
sunderlal-report.jpg

সুন্দরলাল রিপোর্ট
এ কমিটি হায়দ্রাবাদ ঘুরে এসে তাদের রিপোর্ট জমা দেয় যা সুন্দরলাল রিপোর্ট নামে পরিচিত। নেহেরু থেকে শুরু করে মনমোহন পর্যন্ত, ভারত সরকার এ রিপোর্ট সম্পর্কে গোপনীয়তা বজায় রেখেছে। গণহত্যার বিষয়ে বহির্বিশ্ব ও ভারতের জনগণকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয়। সর্বশেষে ২০১৩ সালে দিল্লীর নেহেরু স্মৃতি জাদুঘরে এ রিপোর্ট জনসম্মুখে আসে। কমিটির মতে, খুব কম করে ধরলেও ২৭০০০ থেকে ৪০,০০০ মানুষ নিহত হয়েছিলেন। যদিও এ জি নুরানি ও অন্যান্য গবেষকদের মতে এ সংখ্যা দুই লাখ বা তার থেকেও বেশী। কমিটির রিপোর্টে দেখা যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাবাহিনী এ সকল গণহত্যায় সরাসরি জড়িত ছিল।

“বেশ কয়েক জায়গায়, সামরিক বাহিনীর সদস্যরা শহর ও গ্রাম থেকে মুসলিম পুরুষদের ধরে নিয়ে এনে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছে।”

সেনাবাহিনী মুসলিম পুরোপুরি নিরস্ত্র করলেও হিন্দুদের তো নিরস্ত্র করা হয়ইনি বরং সেনাবাহিনী উৎসাহিত করেছে আর কিছু ক্ষেত্রে বাধ্য করেছে স্থানীয় হিন্দুদের, মুসলিমদের বাড়িঘর ও দোকানপাট লুটপাট করার জন্য। সুন্দরলাল রিপোর্টের সাথে পেশ করা একটা গোপনীয় নোটে হিন্দুদের রক্তলোলুপ এই চরিত্রের এক জঘন্য নমুনা দেখা যায়।

“অনেক জায়গায় আমাদের দেখানো হয় কুয়া যেগুলো ছিল পচা লাশে ভরা। এ রকম এক ক্ষেত্রে আমরা ১১ টি লাশ দেখেছি যার মধ্যে ছিল একজন মহিলা যার ছোট শিশুটি তার স্তনের সাথে লেগেছিল।”

“দেখেছি ডোবা-নালার মধ্যে লাশ ছড়িয়ে আছে। বেশ কয়েক জায়গায় দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল ; আমরা গিয়ে দেখেছি পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া হাড় আর খুলি এখনও সেখানে পড়ে আছে।”

শুধু হত্যা আর লুটই নয়, অসংখ্য মুসলিম মহিলা সশস্ত্র হিন্দু মিলিশিয়াদের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। মুহাম্মাদ হায়দারের ভাষায়,

“ হাজার হাজার পরিবার ভেঙ্গে গিয়েছিল, শিশুরা তাদের পিতামাতার কাছ থেকে আর স্ত্রীরা তাদের স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন। মহিলা ও তরুণীদের ধাওয়া করা হত আর ধর্ষণ করা হত”।

যাদের সামর্থ্য ছিল তারা পাকিস্তানে হিজরত করেছিলেন। জাতিসঙ্ঘ ও মানবাধিকার তখন অন্ধ ছিল। বিশ্বের “সর্ববৃহৎ গনতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে” এ অপরাধের জন্য কাউকে শাস্তি পেতে হয়নি, কারো বিচার হয়নি বরং এর দৃশ্যায়ন আবার ঘটেছিল গুজরাটে।
“হায়দারাবাদ : একটি মুসলিম ট্র্যাজেডি” শীর্ষক এক প্রবন্ধে অধ্যাপক উইলফ্রেড ক্যান্টওয়েল স্মিথ প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য উল্লেখ করে লিখেছেন, “যুদ্ধ থেমে যাওয়ার পর মুসলমানরা (গণহারে) ব্যাপক আঘাত ও পাশবিক হামলার শিকার হয়। ধ্বংসযজ্ঞের পর যারা বেঁচে ছিলেন তারাও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিলেন। তাদের হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হয় এবং উচ্ছেদ করা হয় কয়েক লাখ মানুষকে। মুসলিম বাহিনীর সহযোগীদের কথিত সহিংসতার প্রতিশোধ নেওয়ার অজুহাত দেখিয়েই এইসব নারকীয় অভিযান চালানো হয়েছিল। (১৯৫০ সালে প্রকাশিত ‘দ্য মিডল-ইস্ট জার্নাল’, খণ্ড-৪)
[ হায়দারাবাদ পতন : এক গোপন সত্যের সন্ধানে, নূরুর রহমান, ১০ অক্টোবর ২০১৩, সাম্প্রতিক দেশকাল]

রেফারেন্স এবং প্রাসঙ্গিক পোস্টঃ
Pandit Sundarlal Committee Report on the Massacres in Hyderabad (1948)
Hyderabad 1948: India’s hidden massacre-BBC report
হায়দ্রাবাদ ১৯৪৮ : ভারতের গোপন গণহত্যা– যুগান্তর , ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩
একটি জাতির স্বাধীনতা খোয়ানোর কষ্টঃ লেন্দুপ দর্জি ও সিকিমের ভাগ্য
স্বাধীন ভারতে কেমন আছে সংখ্যালঘু মুসলিমরা?
স্বনির্ভর বাংলাদেশ নির্মাণে অবশ্যই ভারতের বিরোধিতা করতে হবে-আহমদ ছফা
The killing fields of Jammu: How Muslims become a minority in the region
http://www.muldharabd.com/?p=164
 
.
The symphony of our times
Dr Mizanur Rahman Shelley
Published: 00:05, Oct 30,2017
Updated: 23:32, Oct 29,2017
A tribute to MK Anwar
Dr.-Mizanur-Rahman-Shelley.jpg

THE sad demise of MK Anwar on the 24th October compels me to write this tribute to him. He was the deputy commissioner of the greater Dhaka district in 1968-69 and the cabinet minister of Bangladesh in 1991 to 1996 and 2001-2006.


Different episodes of the ‘Symphony of our Times’ record, that he was affectionately close to us, his charge as assistant commissioners under training in Dhaka during 1968-69. He, therefore, often emerges as a compelling figure in the story of our life. He appears in this installment also as a kind-hearted person who broke down in tears as he addressed his farewell meeting in the Dhaka Collectorate. Now that he is no more, his memory will continue to linger in our consciousness as long as we live.
The case of the unwilling emigrant
AN AMAZINGLY intriguing case came to my court a few weeks before I was posted out from Dhaka. A young man, Monindra Roy (not his real name) submitted a petition saying that his land had been illegally taken over by one Fazlul Haque (not his real name).
Monindra submitted that his inheritance of one bigha of agricultural land was wrongly categorised as ‘Enemy Property’.

Pakistan at its birth in 1947 was a new social project.

The sub-continent had been divided by the departing British colonialist on mainly religious ground. Mohammad Ali Jinnah, the founder of Pakistan propounded the two-nation theory which held that the Hindus and Muslims were two different nations.

Accordingly, the Muslim majority areas in the North-West and the East in the sub-continent were constituted as the new sovereign state of Pakistan.
The rest of the land with a majority of Hindu population formed the Indian Union.

From the beginning, despite sanguinary communal riots, India was avowedly secular.
Pakistan despite claiming to be a Muslim country started on a secular note.
At creation, Jinnah declared that in the new state of Pakistan ‘Hindus will cease be Hindus, Muslims will cease to be Muslims.

Not in the sense of religion because that is the personal faith of individuals, but in the sense of a citizen of the state. Many of Jinnah’s critics remarked, with these words Jinnah bade farewell to the two-nation theory.

Whatever that may be, apart from some tragic incidents of communal riots in India and Pakistan after 1947 the minorities in both the states continued to live with their rights.
The 1965 Indo-Pak war over the disputed territory of Kashmir ended an epoch. Properties of the minorities who left their respective countries were taken over by the state.
Thus the land and properties of the Hindus who left Pakistan for India were declared ‘Enemy property’ and became the charge of the state.

The government usually leased the land for a year or more to a suitable applicant who had no agricultural land and could pay the necessary fees. It was under this provision that Monindra lost his land as it was reported that he had left for India with his family in the early 1950.

Moindra did not deny that he had left for India
. Nevertheless, he petitioned that when during the early 1950s he travelled to India, he did not do it of his own volition.
At that time, he was only four years old and his parents took him to Kolkata by a flight of the then Orient Airways. As, at that age, he was incapable of making his own decision he was ‘dollies incapax.’ In 1969, he had become a major and on his own decision came back to his land of birth.

His argument was that he never gave up his citizenship; therefore, remained a Pakistani citizen.
His property declared Enemy property was thus rightfully his. His arguments could not be countered. Nevertheless, there were wheels within wheels.
Monindra’s opponents raised the issue that there was proof of his leaving the country.
Thus, his entry into Pakistan in 1969 through informal channels was illegal.

Under the provision of illegal entry into Pakistan Act, he needed to be evicted from the land at the border through which he entered into Pakistan. This also could not be done as he rightfully claimed to be a citizen of Pakistan. Another complication was caused by a certificate given to Manindra by a lawyer-magistrate of Narayanganj saying that ‘he never left East Pakistan’!
Evidently the magistrate must have issued the false certificate for special consideration.

I took into consideration all these conflicting documents and tried to take into cognizance of the facts.
I gave the judgment that Moindra’s petition be accepted and his land be returned to him. As to the magistrate of Narayanganj, I recommended that appropriate legal steps should be taken to punish him. Since within a few weeks I left Dhaka Collectorate to join my new station in Brahmanbaria, I lost track of the case of Monindra Roy but hoped that my decision would be upheld by the higher courts.
Emotional farewell
THE autumn of 1969 also saw the end of the tenure of M K Anwar as the deputy commissioner. He had served as the DC of greater Dhaka during a period of extraordinary human and natural tumults.
Among these were the mass uprisings in West Pakistan against the dictatorial rule of Field Marshal Ayub Khan and the mass upheaval for self assertion in political, economic and cultural term in East Pakistan.

The massive civil unrest throughout Pakistan eventually led to the imposition of martial law and the fall of the Ayub Regime on 25th March of 1969. During the same period, Dhaka was battered by the severe tornado. As a composed and firm administrator, M K Anwar faced these challenges, as far as his jurisdiction was concerned, with courage and competence.

His colleagues regarded him as a strong man and administrator. He was seen to be hard driving and harsh with his failing colleagues and subordinates. There was, however, a soft core within his hard exterior.
In normal dealings, he was polite and kind to us — his junior colleagues. His emotional self came to the forefront during his farewell. After his colleagues paid glowing tributes to him and his activities as the DC of Dhaka, he stood before the microphone and said one or two sentences in a voice choked with overwhelming emotion.

Then to the amazement of all, he broke down in uncontrolled tears. His successor Mohammad Ali, CSP and his contemporary tried to comfort and sooth him. M K Anwar did not speak after that and maintained silence that further endeared him to his colleagues and subordinates in the Dhaka Collectorate.
The new deputy commissioner
MOHAMMAD Ali, the new deputy commissioner took over his responsibilities in an easy and smooth transition. His simple and modest ways made him popular with his colleagues in no time. We the probationers received his kind and careful guidance.

He spared time to brief us about the responsibilities we would soon be shouldering as sub-divisional officers. Ali recollected his own experiences as a young sub-divisional officer and told us that candid courage and discrete self confidence would help us overcome serious challenges. His words were highly inspiring. Mohammad Ali hailed from the Brahmanbaria sub-division of the then greater Comilla district.

He told me that he would like to see me as the SDO Brahmanbaria — a station with a great heritage. He did not stop there but actually worked behind the scene in securing my posting in Brahmanbaria. Before long, my tenure in Dhaka district ended and I prepared myself to join my new station as sub-divisional officer Brahmanbaria in the late autumn of 1969.
To be continued.

Dr Mizanur Rahman Shelley, founder chairman of the Centre for Development Research, Bangladesh and editor of the quarterly Asian Affairs, is a former teacher of political science at Dhaka University (1964-1967), former member of the erstwhile Civil Service of Pakistan (1967-1980) and former non-partisan technocrat cabinet minister of Bangladesh (1990).
http://www.newagebd.net/article/27229/the-symphony-of-our-times
 
.
The killing fields of Jammu: How Muslims become a minority in the region
Saeed Naqvi, September 27, 2017
Kasmir-Jammu.jpg
Wikimedia Commons
What was the death toll in the killing fields of Jammu? There are no official figures, so one has to go by reports in the British press of that period. Horace Alexander’s article on 16 January 1948 in The Spectator is much quoted; he put the number killed at 200,000.
To quote a 10 August 1948 report published in The Times, London: “2,37,000 Muslims were systematically exterminated – unless they escaped to Pakistan along the border – by the forces of the Dogra State headed by the Maharaja in person and aided by Hindus and Sikhs. This happened in October 1947, five days before the Pathan invasion and nine days before the Maharaja’s accession to india.” Reportedly, as a result of the massacre/migration, Muslims who were a majority (61 per cent) in the Jammu region became a minority.

Mountbatten was in control in Delhi and had news of the genocide of Muslims in Jammu filtered out of the media. Sadly, there has been precious little discussion in India about this horrible phase of history.

Maharaja Hari Singh’s involvement, with the support of the RSS, is evident from a letter Jawaharlal Nehru wrote to Vallabhbhai Patel on 17 April 1949 (quoted in Frontline magazine):

In this (intelligence) report, among other things, a reference was made to a growing Hindu agitation in Jammu province for what is called a zonal plebiscite.
This idea is based on the belief that a plebiscite for the whole of Kashmir is bound to be lost and, therefore, let us save Jammu at least. You will perhaps remember that some proposal of this kind was put forward by the Maharaja some months back. It seems to me that this kind of propaganda is very harmful, indeed, for us.

Whatever may happen in the future, I do not think Jammu province is running away from us. If we want Jammu province by itself and are prepared to make a present of the rest of the State to Pakistan, I have no doubt we could clinch the issue in a few days. The prize we are fighting for is the valley of Kashmir. [This is what Nehru had dug in his heels for. The consequences are for all to see to this day.]

This propaganda for a zonal plebiscite is going on in Jammu, in Delhi and elsewhere. It is carried on by what is known as the Jammu Praja Parishad. Our intelligence officer reported that this Praja Parishad is financed by the Maharaja. Further, that the large sums collected for the Dharmarth Fund, which are controlled by the Maharaja, are being spent in propaganda for him.

The lid on these massacres was lifted by Ved Bhasin and a few journalists of that time. But like the collective silence over the pogrom in Hyderabad, the holocaust in Jammu has been a story hidden from public view by the machinations of the very people who covertly allowed the massacres to take place. These included many in the national leadership of the Congress party at the time. The events of Hyderabad and Jammu and Kashmir reveal the emergence in New Delhi of an establishment which was indifferent to Indian Muslims.

Consider the testimony of journalist Ved Bhasin. Here I am again quoting from his paper presented at the Jammu University in 2003.

Communal tension was building up in Jammu soon after the announcement of the Mountbatten plan with the Hindu Sabha, RSS and the Muslim Conference trying to incite communal passions. Tension increased with a large number of Hindus and Sikhs migrating to the State from Punjab and NWFP and even from areas now under Pakistan’s control. Trouble was brewing in Poonch, where a popular non-communal agitation was launched after the Maharaja’s administration took over the erstwhile jagir under its direct control and imposed some taxes. The mishandling of this agitation and use of brutal force by the Maharaja’s administration inflamed the passions, turning this non-communal struggle into a communal strife.

The Maharaja’s administration had not only asked all Muslims to surrender their arms but also demobilised a large number of Muslim soldiers in the Dogra army and the Muslim police officers, whose loyalty it suspected. The Maharaja’s visit to Bhimber was followed by large-scale killings.

Bhasin reports the large-scale killing of Muslims in Udhampur district, particularly in Udhampur proper, Chenani, Ramnagar and Reasi areas. Even in Bhaderwah (about 150 kilometres from Udhampur), a number of Muslims were victims of communal marauders. According to Bhasin, the RSS played a key role in these killings, aided by armed Sikh refugees “who even paraded the Jammu streets with their naked swords”. Some of those who led the riots in Udhampur and Bhaderwah later joined the National Conference and some even served as ministers.

There were reports of Muslims massacred in Chhamb, Deva Batala, Manawsar and other parts of Akhnoor, with several of them fleeing to the other side or moving to Jammu. In Kathua district too there was the large-scale killing of Muslims and reports of women being raped and abducted.

As for the attitude of the state, Bhasin alleges that instead of preventing these communal killings and fostering an atmosphere of peace, “the Maharaja’s administration helped and even armed the communal marauders”. He goes on to say that many Muslims living outside Muslim-dominated areas were brutally killed by the rioters who moved freely in vehicles with arms and ammunition even when the city was officially under curfew. “The curfew it appeared was meant only to check the movement of Muslims,” he says.

Terrible carnage took place later when the Muslims in Talab Khatikan area were asked to surrender.

They were shifted to the police lines at Jogi gate, where now Delhi Public School is situated. Instead of providing them security, the administration encouraged them to go to Pakistan for safety. The first batch of several thousands of these Muslims were loaded in about sixty lorries to take them to Sialkot. Unaware of what is going to happen to them these families boarded the buses.
The vehicles were escorted by troops.
But when they reached near Chattha on Jammu-Sialkot road, in the outskirts of the city, a large number of armed RSS men and Sikh refugees were positioned there.

They were pulled out of the vehicles and killed mercilessly with the soldiers either joining [in] or looking [on] as idle spectators. The news about the massacre was kept a closely guarded secret. next day another batch of these Muslim families were similarly boarded in the vehicles and met the same fate. [T]hose who somehow managed to escape the wrath of killers reached Sialkot to narrate their tale of woe…

The state administration denied it had any role in the massacres. It even feigned ignorance of any plans to change the demography of the Jammu region. But Bhasin differs:

Though polite, he warned me of dire consequences…he first warned me by saying that “I could have put you behind bars for your nefarious activities. But since you also happen to be a Khatri like me and are also related to me, i am simply giving you advice. It is not the time to form peace committees and work for peace but to defend Hindus and Sikhs from the Muslim communalists who are planning to kill them and destabilise the situation.

We have already formed a Hindu Sikh Defence Committee. You and your colleagues better support it.” Then he added, “We are imparting armed training to Hindu and Sikh boys in Rehari area. You and your colleagues should better join such training.” When i sent a colleague to the training camp the next day he found that some RSS youths and others were being given training in the use of .303 rifles by soldiers.

Another incident that I recall is about Mr. Mehr Chand Mahajan (the then prime minister) who told a delegation of Hindus who met him in the palace when he arrived in Jammu that now when the power is being transferred to the people they should demand parity. [One] of them associated with National Conference asked how can they demand parity when there is so much difference in population ratio. Pointing to the Ramnagarrakh below, where some bodies of Muslims were still lying he said “the population ratio too can change”.

Mahatma Gandhi did comment on the situation in Jammu on 25 December 1947 and his remarks have found mention in volume 90 of his Collected Works: “The Hindus and Sikhs of Jammu and those who had gone there from outside killed Muslims. The Maharaja of Kashmir is responsible for what is happening there…Muslim women have been dishonoured.”
Excerpts from the book Being the Other: The Muslim in India, Saeed Naqvi, Aleph Book Company
https://southasianmonitor.com/2017/09/27/killing-fields-jammu-muslims-become-minority-region/
 
.
The Hindu-Muslim divide and the 1947 partition of India
Published: 00:05, Nov 18,2017 | Updated: 22:53, Nov 17,2017
28569_193.gif

The history, as it is being researched and written in recent times, is conclusively establishing that India was divided in 1947 largely as the result of Hindu communalism that was encouraged in the first instance by the British policy of divide and rule and eventually accepted wholeheartedly by the Hindu,writes M Serajul Islam
I HAD been posted to the Bangladesh high commission in New Delhi from September 1983 to July i986. When I went to India, Indira Gandhi was the Indian prime minister. She was one of India’s most powerful prime ministers and had a personality that was magnetic. Her role in shaping the Bangladesh liberation war towards its successful end will forever give her a place in the hearts of Bangladeshis.
She was, however, also responsible for systematically weakening India’s democratic foundations.

There were things that I learnt about Indira Gandhi that I had not known before I was posted to New Delhi that had surprised me. One was told to me by Jaglul Ahmed Chowdhury, who was managing director of Bangladesh Sangbad Sangstha and during my Delhi posting, BSS correspondent there. Jaglul was among the first few journalists to arrive at the Safdarjang Airport where Sanjay Gandhi’s body lay after his death in the air crash near the airport. He had seen Indira Gandhi arrive there to see her dead son. She had shown little emotions.

Jaglul had told me that at the time of Indira Gandhi’s own death a year later by an assassin’s bullets that she was halfway through visiting 300 plus temples throughout India that year for the blessings of the Hindu gods and goddesses for her remaining son Rahul Gandhi. That had surprised me because as daughter of Pandit Jawaharlal Nehru I had thought that she was the quintessential secular politician.
The other thing about Indira Gandhi was what I had read in a speech that she had made a few months before her death in which she had questioned the interpretation of the Indian history by the historians that did not fit into the great impression that I had about her before I had arrived in New Delhi.

In that speech, she had said that historians were wrong about India’s colonial history being just 200 years of the British rule. She had stressed contemptuously that India’s colonial history was those 200 years and the many hundreds of years of the Muslim rule in India.

That speech and her temple visits for her son Rajiv Gandhi did not suggest that her secular credentials were deep enough; instead, that her belief in Hinduism was stronger and so was her dislike for Muslims. In fact, recent writings on India’s history have revealed that Pandit Nehru’s love for secularism was also not that deep as also his views about Muslims.


My three years in New Delhi nevertheless also made me realise that there was really little new in those views of both Indira Gandhi and her illustrious father, Pandit Nehru. Those views were also the same as those that majority of the Hindus of India, even the educated and sophisticated, claiming, in addition, to being secular, believed. That revealed an Indian mentality that should have seriously undermined India’s claim as a secular state.

Deep inside, most of them never accepted the Muslims as one of them.

That was, unfortunately, the mentality that was one of the major reasons for the Hindu-Muslim divide that had led to the partition of India in 1947. And the mentality that the Muslims were foreigners was put into the minds of the majority of the Hindus of India by the British through their infamous policy of ‘divide and rule’ that we will discuss later.

That, in fact, was the root of the Hindu-Muslim divide but in utter disregard for the truth, Indian historians and politicians together with the British historians to hide their role in dividing India, blamed the Muslims, the Muslim League and Pakistan’s creator Mohammad Ali Jinnah for the Hindu-Muslim conflict through the two-nation theory. In addition, they had also blamed them for the millions that had died during that partition.

Indira Gandhi’s interpretation of history was wrong for many reasons. For one, Islam and Islamic influence did not come to India through just the Muslim conquerors. Islam’s influences on India had come to the western coast of India a few hundred years before the Muslim conquests of northern India, through the Arab traders. The Charman Mosque in Kerala was built in 629 AD. Immigrant Arab and Persian trading communities had settled in Gujarat in the seventh century long before the Muslim conquests of India.

The most fundamental error in Indira Gandhi’s lumping the British colonisation with the Muslims and calling the latter also as colonisers was in the fact that the Muslim conquerors (except for Sultan Mohamad of Ghazni) who came from the west, from Central Asia through the treacherous mountain passes, unlike the Muslim traders who had come by the sea route, did not return to where they came from. Instead, they settled in India as immigrants and made India their country.

They married and had families, children and became assimilated in India like any other Indian, Hindu, Buddhist, et al. They did not repatriate even a little of India’s wealth to the countries they came from because they never went back!

The narrative of Hindu India that Muslims came from outside and, therefore, foreigners has also been applied selectively. The Hindus in India are not homogeneous, either racially or ethnically.

They have descended from the Dravidians and the Aryans. The latter migrated to India following the same treacherous mountains that the Muslim conquerors had followed many hundreds of years later. The Aryans, fortunately for them, adopted Hinduism as their religion.

They were also lucky because they were tall and fair and the Dravidians, who were short and dark and were the original inhabitants of India, not only accepted them to their religion but also gave to them the status of their highest caste, the Brahmins.

Thus, Hindu India granted to the earlier Aryans the highest caste and made them their own while they condemned the later Aryans as foreigners; the unfortunate distinction made on the fact that the later Aryans were Muslims, thus sowing the first seeds of the Hindu-Muslim divide or the two-nation theory that the British strengthened for successfully colonising India.

The narrative that Muslims are foreigners because they came to India through invasions and conquests is also erroneous on further analysis because not all Muslims in India in 1947 were the descendants of the Muslim conquerors.

In fact, the ancestors of many of the Indian Muslims at the time of the partition of India, in fact, the overwhelming majority, were converted to Islam from the lower castes of the Hindu caste system because of Islam’s practice of equality that allowed them to escape the inhuman tortures by the upper caste Hindus.

The fact that the ancestors of the majority of the pre-1947 Muslims of India were not foreigners underlined that the majority of Indian Hindus including leaders like Indira Gandhi had a problem with Islam/Muslims.

They did not care that the ancestors of many of the pre-1947 Muslims were no more or no less Indians than they themselves. To them, the fact that they were Muslims made them foreigners!

The Hindu narrative that Muslims were colonisers like the British was also unfortunate. In fact, it did the worst colonisers in history, the British, a great favour at the expense of the Muslims. The British were the looters and plunderers and not the Muslim conquerors.

In fact, among other things, the British colonisation of India was what had proved Karl Marx’s prediction that Great Britain was on the cusp of a communist revolution wrong.
Great Britain created the welfare state from the wealth looted out of India that in turn created a strong middle class that became a buffer between the bourgeoisie and the proletariat.
A part of the wealth looted from India also went to the proletariat that also blunted the class struggle.

Former Indian state minister for external affairs and now a Congress member of the Rajya Sabha Shashi Tharoor is an outspoken critic of both the issues raised in this article, thus far, namely that it has been unfair to treat the Muslims as foreigners and it has also been unfortunate not to hold Great Britain responsible for looting and plundering India’s wealth.

In a TV interview he gave in Melbourne recently where he had gone to participate in the Melbourne Writers’ Festivals, the former minister said emphatically: ‘The British came to one of the richest countries in the world when the GDP was almost 27% in the 17th century, 23% in the 18th.
But, over 200 years of exploitation, loot and destruction reduced India to a poster child for third world poverty.’

Shashi Tharoor was careful to make two things clear to his interviewer. First, he made it clear that the British had taken power from the Muslims whose leadership had made India the richest country in the world that had lured the British to its shores.
Second, that the Muslims were an integral part of India as much as the other religious groups in India, the Hindus, the Buddhists, the Christians, et al.
Finally, the British as the colonisers had looted and plundered one of the richest countries in the world and had turned it into one of the poorest when it had left in 1947.

Thus he said in the interview: ‘But when they left India in 1947, 90% of the population was living under below poverty level. The literacy rate was below 17% and growth rate from 1900 to 1947 was a meagre 0.001%.’ Shashi Tharoor also blamed the British for ‘systematically’ destroying India’s textiles that was ‘dominated mostly by the Muslims.’

Shashi Tharoor is among a group of intellectual-cum-politician in India together with historians that are talking, writing and exposing in recent times the old narrative by Indian historians, politicians, and intellectuals that had blamed the Indian Muslims for all its ills as untrue. They are forcefully debating the old narrative that had identified the Muslims as the villains with the 70th anniversary of the 1947 partition of India that coincided with the current year.

And the debate is centring on the blame hitherto placed on the Muslims, the Muslim League and Pakistan’s founder Mohammad Ali Jinnah squarely for the partition of India and with it, the human calamity that had followed in which millions had died.

A historian who has re-written pre-1947 history to correct the anti-Muslim bias has been Joya Chatterjee whose book Bengal Divided: Hindu Communalism 1932–1947 has shown through brilliant research that the Hindus of Bengal and not the Muslims had played the communal card to divide Bengal to ‘wrest power from the Muslim majority.’

In fact, the Hindus had demanded partition and separation in the Punjab too because the separate electorate granted by the British to the Muslims as a consequence of the 1935 act, their hold on political power in Bengal and the Punjab had gone for good.

In fact, before the Cabinet Mission Plan of 1946, in both the legislatures of Bengal and the Punjab, the Hindu legislators had voted for the partition to live separately from the Muslims while the Muslim legislators had voted to live together!
So much for the two-nation theory and the blame placed on the Muslims for it.

In fact, further examination to the revelations of historians like Joya Chatterjee bring out the evil mind of the British and their nefarious role as the colonisers of India. They had not really conquered India with their military might but got its control through treachery and deceit
.

Once in power, the British knew that the gold mine that had become theirs would not remain for long unless they did something mischievously genius. They came out with their infamous ‘divide and rule’ policy. They preferred the Hindus with what they had to offer, namely education, commerce, jobs, right over the land and allowed the Muslims to wither.

That helped embed in the Hindu mind that they were their saviours encouraging them to back the British wholeheartedly. The two-nation theory was, indeed, born in that historical collusion between the British colonisers and the majority Hindus that between them accepted the Muslims as the common enemy although as Shashi Tharoor has shown that at the time the British entered India, the Hindus and the Muslims were not in any situation of conflict with each other.

The British, however, allowed the majority Hindus to benefit from what they had to offer for the first 100 years of their rule. When they found that the divide was sufficiently strengthened, they turned their attention towards the Muslims. They did so not out of a change of heart for the Muslims, but for ensuring once they had left, India would not live in peace that is the truth about all the colonisers of history.

Thus, in 1905, they partitioned Bengal for allowing the majority Muslims of East Bengal some of the benefits of its rule, and later separate electorates for making them politically strong vis-à-vis the Hindus that only brought out into the open the anti-Muslim Hindu mentality that ironically they had helped establish in the first instance.

Thus as soon as the Muslims established the Muslim League in 1906 to unite themselves to benefit from belated British generosity, the Hindu Mahasabha came up in retaliation in 1909. The Hindu Mahasabha with the RSS was established to ensure that in a post-British India, the Hindus would be the ruling class and the Muslims as the subjects, a mentality that ironically the British had created through their policy of ‘divide and rule.’

The Congress established in 1885 with British support, followed a different line but with the same objective that India would remain under Hindu domination once the British left but it tried to follow that line in a civilised manner unlike the Mahasabha and the RSS that wanted to force the Muslims to a subordinate position forcefully.

That the Congress and the Hindu Mahasabha were one so far as the Muslims were concerned became clear the way the Congress had subverted the Cabinet Mission Plan of March 1946. That plan had envisioned a united India grouped under three federating units with the majority Muslims in the west and the east grouped under A and C and the overwhelming majority Hindus in the middle grouped under B.

The Congress had rejected the plan because it had proposed power-sharing between the Congress and the Muslim League in the centre and had also allowed the Muslims the upper hand in the groups where they had the majority. The Congress had demanded a united India where the Muslims would have no power in the centre. And the Hindus in both the west in the Punjab and in the east in Bengal did not want to live in any post-British India where the Muslims would enjoy any political influence at all.

Thus history, as it is being researched and written in recent times, is conclusively establishing that India was divided in 1947 largely as the result of Hindu communalism that was encouraged in the first instance by the British policy of divide and rule and eventually accepted wholeheartedly by the Hindus. The two-nation theory had been created long before the Muslim League was established for the sake of British colonisation of India at first and then for a Hindu rule in perpetuity over a post-British India with the Muslims as the subjects.

It has been perhaps a divine intervention of sorts that the Muslims in Group A and Group C of the Cabinet Mission Plan are now independent and sovereign nations and have successfully buried the two-nation theory that was intended to establish in a united post British India, a country where the Hindus as one part of that two-nation theory would dominate and the Muslims as the other part, remain as subjects.
Sadly, while the Muslims of Bangladesh and Pakistan enjoy their freedom and prosper, the Muslims in India continue to be the victims of the evil laid by the British through their policy of divide and rule.
M Serajul Islam is a former career ambassador.
http://www.newagebd.net/article/28569/the-hindu-muslim-divide-and-the-1947-partition-of-india
More about:
 
.

Pakistan Defence Latest Posts

Pakistan Affairs Latest Posts

Back
Top Bottom