বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১১, ৮ পৌষ ১৪১৮
এই লোকটি গোলাম হয়েই রইল আযম হতে পারল না
মুনতাসীর মামুন
যে মওলানা, মওলানাসুলভ কাজ করে না তার নামের আগে মওলানা শব্দটি লেখা অনুচিত। কারণ যিনি এ শব্দ উচ্চারণ করবেন বা লিখবেন তিনি সেই ব্যক্তিটিকে সম্মান করছেন। আর নিজেকে খাটো করছেন। মানুষজনকে বিভ্রান্ত করার জন্যও তিনি অপরাধী। যিনি অধ্যাপক নন, তার নামের আগেও এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করা অনুচিত। অধ্যাপক গোলাম আযম। জামায়াতীদের লিডার, তাই তারা অধ্যাপক শব্দটি ব্যবহার করে তাকে মর্যাদাপূর্ণ করার জন্য। গোলাম আযম অল্প কয়েকদিন রংপুর কারমাইকেল কলেজে প্রভাষক হিসেবে পড়িয়েছেন মাত্র। অধ্যাপক ও প্রফেসর হওয়ার দীর্ঘ পথ পাড়ি দেননি। যিনি সারাজীবন ইসলামের নামে ব্যবসা করেছেন, দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছেন, পাকিস্তানী প্রভুদের হয়ে খুনখারাবি, ধর্ষণে সবরকম সহায়তা দিয়েছেন তিনি হয়ে গেলেন অধ্যাপক! আমাদের দেশের মানুষদের আর কী বলব!
গোলাম আযম রাজনৈতিক জীবন শুরম্নই করেন পাকিসত্মানী মানসিকতার গোলাম হিসাবে। দেশের জন্য আজ পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাল কাজ করেছেন এ বিষয়টি কেউ প্রমাণ করতে পারবেন না। ১৯৭১ সালে আজান দিয়ে যিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কতল করতে নেমেছিলেন, বলেছিলেন_ 'এ দেশের জনগণ সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারীদের কখনও ত্রাণকর্তা হিসেবে মনে করেন না। পূর্ব পাকিস্তানের দেশপ্রেমিক জনগণ সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারীদের কোন স্থানে দেখামাত্র খতম করে দেবে বলে তারা দৃঢ়আস্থা পোষণ করেন। এ বিবৃতি তিনি দেন ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল। এখানে 'দেশপ্রেমিক জনগণ' মানে গোলাম আযম গং বা রাজাকাররা আর 'অনুপ্রবেশকারী'রা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধারা_ যাঁরা দেশ স্বাধীনের লড়াইয়ে যুদ্ধ করছেন। এ গোলাম আযম এখন ঘোষণা করছেন_ 'রাজাকার আজকাল একটা গালি। আমাকেও এ গালি দেয়া হয়। কিন্তু আমি রাজাকার নই।' [যায়যায়দিন, ১৭.১২.২০১১] গোলাম আযম রাজাকার না হলে এ দেশে রাজকারের সংজ্ঞা কী হবে? তা হলে হারামজাদাকে হারামজাদা না বলে সাহেবজাদা বলতে হবে? যে আজীবন গোলামী করল পাকিদের, সে এখন আযমের মতো বলে, আমি রাজাকার নই। তারেক মাসুদের 'মুক্তির কথা'য় একটি সংলাপ আছে। এক গ্রামে এক রাজাকার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। সেই কৃষক বলছেন, হ্যা, আমাদের চোখে নগণ্য কৃষক এক অসামান্য কথা বলেছেন। তিনি বললেন, আমরা যদি একজন রাজাকারকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করি তা হলে তো আমরা 'কুত্তার লাহানই হইয়া গেলাম, কী কন?' আসলে নিতানত্ম সারমেয় শাবক না হলে আমরা গোলাম আযমকে এখনও অধ্যাপক গোলাম আযম হিসেবে সম্মান করি। তার বক্তব্য এককভাবে প্রচার করি। তাকে বাঁচিয়ে রাখি? সাংবাদিকরা বিজয় দিবসে হঠাৎ গোলাম আযমের সাৰাতকার গ্রহণ করেন।
সাংবাদিকরা এর পাশাপাশি যদি ১৯৭১ সালে গোলাম আযমের কর্মকা- বয়ান করতেন বা একজন মুক্তিযোদ্ধারও সাৰাতকার নিতেন তার সঙ্গে, তা হলেও একটা কথা ছিল। এ রকম অবিবেচনার কাজ কেন করা হলো? সংবাদপত্র পড়েই জেনেছি বিভিন্ন সেক্টরে জামায়াত প্রচুর টাকাপয়সা ঢালছে। বিজয়ের মাসে গোলাম আযম ঘোষণা করলেন তিনি রাজাকার নন এবং বাংলাদেশের খেতাবপ্রাপ্ত কোন মুক্তিযোদ্ধা একটি শব্দও উচ্চারণ করলেন না এবং দিব্যি গোলাম আযম হাসিমুখে বেরোচ্ছেন, কথা বলছেন। মাঝে মাঝে দুঃখ হয়, শালার কী দেশে জন্মালাম!
গোলাম আযমের ইতিহাস আমি বয়ান করব না। ১৯৭১ সাল পর্যনত্ম তিনি জামায়াত গড়ে তুলতে সহায়তা করেছেন, কোন নির্বাচনে জামায়াত জেতেনি। গোলাম আযমের তো প্রশ্নই ওঠে না। তার জীবনের একমাত্র কৃতিত্ব ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে খানসেনারা যে উপনির্বাচন করেছিল গোলাম আযম তাতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। গণহত্যা শুরম্ন হওয়ার পরপরই তিনি প্রথম চান্সে টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করে এসে শানত্মি কমিটি গঠন করেন। ১৯৭১ সালে শানত্মি কমিটির সদস্যদের লুটপাট ধর্ষণের কথা তো অজানা নয়। তা ছাড়া হত্যা ও হত্যা করতে কমিটির সহযোগিতার কথা এখন স্মৃতিতে জ্বলজ্বলে। তারপর রাজাকার বাহিনী ও রাজাকারদের সব সময় উজ্জীবিত করেছেন তিনি হত্যা ও লুটপাটে। ১৬ অক্টোবর তিনি বলেছিলেন, 'জামায়াতে ইসলামী গোটা দেশে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার জন্য নিরলসভাবে শানত্মি কমিটির মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে।' আর বাংলাদেশ ও রাজাকার সম্পর্কে তাঁর মনত্মব্য?
'কোন ভাল মুসলমানই তথাকথিত বাংলাদেশ আন্দোলনের সমর্থক হতে পারে না। পূর্ব পাকিসত্মানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিমর্ূল করার জন্য একমন ও দেশপ্রেমিক লোকেরা একত্রে কাজ করে যাচ্ছেন। রাজাকাররা খুবই ভাল কাজ করছেন।' ২ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে এ কথা বলেছিলেন তিনি। আমরা কেউ ভাল মুসলমান নই। ভাল মুসলমান হলো হত্যা লুট ধর্ষণের হুকুমদার গোলাম আযম!
বিজয় দিবসের প্রাক্কালে দেয়া ঐ সাৰাতকারে গোলাম আযম বলেন, তিনি ও তাঁর দল পাকিসত্মানের পৰে ছিলেন সেটার কারণ রাজনীতি। তিনি যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে যুক্ত নন এবং সে কারণে তিনি অনুতপ্ত নন। জামায়াতী নেতাদের এ একটি ভঙ্গি আছে, তারা বাংলাদেশ চাননি, এটি রাজনৈতিক ব্যাপার। তাতে দোষ কী। তাঁর ভাষায়, 'আমরা তখন স্বাধীনতার পৰে বা বিপৰে কোন অবস্থানই নিতে পারিনি। ভারতের সহায়তায় বিভক্ত পূর্ব পাকিসত্মান স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করতে পারবে না। আশঙ্কা করেই তখন আমরা মুক্তিযুদ্ধ সমর্থন করিনি। [দৈ. মানবজমিন, ১৫.১২.২০১১] গণহত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা যদি রাজনৈতিক প্রশ্ন হয়, তা হলে বলতে হবে ঐ অপরাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্যই তাঁর বিচার হতে হবে।
১৯৭১ সালে পাকিসত্মানের আজাদী দিবস উপলৰে পাকিসত্মানের এ গোলাম ঘোষণা করেছিলেন_ 'পাকিসত্মান টিকিয়া থাকিলে বাঙালী মুলমানের হক একদিন আদায় হইবে। আর যদি পাকিসত্মান না থাকে তবে বাঙালী মুসলমানের অসত্মিত্বই থাকিবে না। যাহারা এই কথাটি বুঝিতে চায় না তাহাদের উৎখাত করিতে হইবে।' অর্থাৎ বাংলাদেশের পৰে যাঁরা আছেন তাঁদের হত্যা করতে হবে। এরপরও এ লোকটি যুদ্ধাপরাধী নয়? এখনও গোলাম আযম একই সুরে বলেছেন_ 'ইসলামকে রৰা করতে হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রৰা করতে হবে। আর ইসলাম না থাকলে এ দেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য হয়ে যাবে। [সাপ্তাহিক]
বিজয় দিবসের প্রাক্কালে গোলাম আযমের ঔদ্ধত্য দেখাবার কারণ আছে। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে তাঁর বিরম্নদ্ধে ৫২টি অভিযোগ আনা হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি অভিযোগের শুনানি হবে। ট্রাইবু্যনাল সন্তুষ্ট হলে হয়ত তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। গোলাম আযম এ বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত। মিডিয়াকে যেভাবে হোক ম্যানেজ করে তাঁর বক্তব্য প্রচার করেছেন। ভাবটা এই, এক. তাঁর পেছনে এখনও দৈবশক্তি কাজ করছে অতএব সাবধান। তাঁর গায়ে হাত দিলে সরকার পাল্টে যাবে। আফ্রিকান ভুুডু আর কী! আমাদের নেতাদের অনেকে আবার তুকতাকে বিশ্বাসী। দুই. নতুন প্রজন্মকে বোঝানো, আমাকে রাজনৈতিক কারণে টানাহেঁচড়া করা হচ্ছে। আমি তো বৃদ্ধ, আমি কি কারও ৰতি করতে পারি!
মনে রাখা উচিত, এ লোকটি এককভাবে যত মুসলমান হত্যায় সহায়তায় করেছে পৃথিবীতে আর কোন মুসলমান এত মুসলমান হত্যায় সহায়তা করেনি। মাঝে মাঝে মনে হয়, আলস্নাহ্্র আরশ কি এতেও কেঁপে উঠল না। নাকি এটি সত্য যে, নেক লোক তাড়াতাড়ি প্রস্থান করে, বদ লোক বেঁচে থাকে মানুষকে বিভ্রানত্ম করার জন্য। যুদ্ধাপরাধী হিসাবে তার নামে চার্জশীট হওয়া উচিত ছিল সবার আগে। হয়নি দেখেই এ ঔদ্ধত্য। আওয়ামী লীগ বা বর্তমান সরকারও এর জন্য খানিকটা দায়ী। বাদী হিসাবে সরকারের প্রথম কাজ ছিল গোলাম আযমকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। না করানোর ফলে ধারণা হয়েছে আমজনতার, যে তার পিছে মহাশক্তি আছে। গোলাম যদি কোন অপরাধ নাই করে থাকে তা হলে ১৯৭১-৭৫ দেশে থাকেননি কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের একটি মসত্ম ভুল ছিল তাকে বাঁচিয়ে রাখা।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জেনারেল জিয়াউর রহমান গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে আনেন। এ কারণে তার মরণোত্তর বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয়। গোলাম আযম বলেছেন, "আমার মা আমার দেশে ফেরার সুযোগ চেয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কাছে আবেদন করেন। তার পরিপ্রেৰিতেই আমাকে দেশে ফেরার সুযোগ দেয়া হয়। পাকিসত্মানী পাসপোর্ট দেখিয়ে বাংলাদেশে আসি। এরপর একদফা সময় বাড়ানো হয়। পরে জানিয়ে দেয়া হয় আর সময় বাড়ানো হবে না। কিন্তু আমিও বলে দেই, আমি আর দেশ থেকে ফিরে যাব না। এরপর জিয়াউর রহমান আমাকে দেশে থাকার সুযোগ দেন। কিন্তু কোন বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই। আমাকে বলে দেয়া হয়, দেশে থাকুন কিন্তু সরকার কোন কাগজপত্র দেবে না।" [যাযাদিন]
বিএনপি যে গোলাম আযমকে সমর্থন করবে তা তো স্বাভাবিক।
দেশে ফিরে গোলাম আযম আমীর হিসাবে পাকিসত্মানের হয়ে জামায়াতকে সংগঠিত করেছেন। পাকিমনা বিএনপিকেও সহায়তা করেছেন। আমরা, রাজনৈতিক দল, সবাই তা সহ্য করেছি। জাতিকে, শহীদদের, এই রাষ্ট্রকে এভাবে আমরা অপমান করেছি। আমরা সবাই এর জন্য দায়ী। মানুষের বাচ্চা হলে আমরা এ জঘন্য অপরাধ করতাম না।
প্রেসক্লাবে জামায়াত এখন অনুষ্ঠান করে এবং বলে, তারা পুরনো ইতিহাস ভুলতে চান। আমাদের নয় তাদের। বর্তমান জামায়াত নেতা গোলাম পারওয়ার বলছেন, "অনেক দেশ যুদ্ধ করেছে, কিন্তু স্বাধীনতার পর তারা বিভক্ত হয়নি। প্রত্যেক জাতি আগে যা খারাপ কাজ হয়েছে তা ভুলে যায়।" তাদের খুনখারাবি আমাদের ভুলে যেতে হবে! তার ঔদ্ধত্য এমন যে বিজয় দিবসে এ কথা বলার পর বলছেন, যুদ্ধাপরাধী বিচারে ট্রাইবু্যনাল 'তথাকথিত'। আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনাদের যাওয়ার জায়গা আছে (ভারতে
। আমাদের নেই। আমাদের চারদিকে ভারত ও বঙ্গোপসাগর। আমাদের ইসলামী আদর্শ ও সেই বাসত্মবতার কারণে দেশকে ভালবাসি (ডেইলি স্টার, ১৬-১২-১১
। আওয়ামী লীগ হচ্ছে, গ-ারের মতো। কাতুকাতু দিলে সাত দিন পর হাসে। আজ ৩ বছর পর আওয়ামী নেতারা ঘোষণা করছেন, তারা ঢাকায় এখন মিছিল করবেন যুদ্ধাপরাধের বিরম্নদ্ধে। ৰমতা এত মদমত্ত করে দেয় এইসব লোকদের! আমাদের কপাল!
আজ বিএনপির মওদুদও বলছেন, বুদ্ধিজীবী হত্যায় পাকিসত্মানী হানাদার বাহিনীর চেয়ে তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার (গোলাম আযম
আলবদররা (নিজামী
বেশি সক্রিয় ছিল [ঐ ১৫.১২], অধ্যাপক এমাজউদ্দিনও বলছেন, "মানবতাবিরোধীদের বিচার চলছে, বিচারের দিকেই জাতি চেয়ে আছে।"
আমাদের নিষ্ক্রিয়তা, বোধহীনতা, লজ্জাহীনতার কারণে গোলাম আযমরা আজ বিজয় দিবসেও আমাদের নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করে। সাংবাদিকরা তার খবর ফলাও করে প্রচার করেন। ইকবাল সোবহানরা প্রেসক্লাবে কেন যান? যেদিন পারওয়ার বিজয় দিবসে সেখানে সভা করেন সেদিন একটা প্রতিবাদ তো করতে পারতেন!
সরকার গোলাম আযমের বিচার করতে পারবে কিনা জানি না। আমরা রাজনৈতিক নেতা নই, এখনও বিবেকের দংশন বোধ করি দেখে গোলাম আযমের বিচারের জন্য গণআদালত করেছিলাম আর সাধারণ মানুষ আমাদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। তাই এখনও ঐসব খুনীর কথা মনে করিয়ে দিই নিজেদের বিপদাপন্ন করে। গোলাম আযমের প্রতি আওয়ামী-বিএনপি দুর্বলতার কথা আমরা জানি, গোলাম আযমও জানেন। এ বৃদ্ধ এখনও ইসলামের নামে অনর্গল মিথ্যা বলে যাচ্ছেন, তাও আমরা সহ্য করেছি। তার বাসত্মব বিচার না হোক ইতিহাসের বিচার হয়ে গেছে। সাধারণের কাছে গোলাম আযম পরিচিত রাজাকার হিসাবে। সভ্যসমাজে তিনি বা তার পরিবার গ্রহণযোগ্য নয়, রাজাকারদের কাছে ছাড়া। বাংলাদেশে, দেশকে ভালবাসে এমন কোন মানুষ, তার সনত্মানের নাম গোলাম আযম রাখবে না। মীরজাফর নামটি যে কারণে কেউ রাখে না। অনেকে এফিডেভিট করে এ নাম বদলও করেছে। এ নাম মানুষকে গৌরবান্বিত করে না। কারণ এ লোকটি চিরদিন পাকিদের গোলাম হয়েই রইল, তাদের বা নিতান্ত মানুষদের, কারও আযম হতে পারল না।