What's new

Elections 2019.

Qamrul Islam

মীর্জা সাহেব।
.........যদি তাই হয়ে থাকে, তবে বসে আছেন কেনো, সবাইকে নিয়ে জোরে সোরে দাবীটা করুন। রাজপথে নামুন। সুপ্রীম কোর্ট কিন্তু ঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছে। এই রায়ে এত কথা বলার ছিল না। বিচারকরা ইচ্ছে করেই বলেছে। দীর্ঘদিন ধরে জনগন যা কিছু ভাবছে, তা উঠে এসেছে এতে। এখন বাকী কাজ আপনাদের।
ষোড়শ সংশোধনীর মামলার ৭৯৯ পাতার রায়ের ভিতরে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ সর্বসম্মতভাবে যেসব কথা বলেছে, তাতে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরনের পথ বাতলে দেয়া আছে:

- আগামী দু’টি নির্বাচন কেয়ারটেকারের অধীনে হওয়া,
- বিচার বিভাগকে রাজনৈতিকায়ন না করা,
- অদূরদর্শী রাজনীতিকীকরণ রোগ সংক্রমন বন্ধ করা,
- সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহন করার তাগিদ,
- সংসদ কার্যকর করা, ইত্যাদি।

........আদালত তাদের ঐতিহাসিক রায়ে যা বলার বলে দিয়েছেন। এখন বাকীটুকু করবেন আপনারা। পরের ধাপে কেয়ারটেকার বাতিলের রায়টি রিভিউর ব্যবস্থা করুন। কেয়ারটেকার পূনর্বহালের দাবীতে কয়েকটা ঘরোয়া মিটিং ও সেমিনার করুন। তারপর সবাইকে নিয়ে নামুন রাজপথ। আর এসব করতে ব্যর্থ হলে যা দরকার, করবে সেনাবাহিনী।

20622097_1602457293119104_5988179973073493902_n.jpg

Tajwar Abrar Omar Army der kotha bad deen vai!!
Qamrul Islam ওটাই আসল পয়েন্ট। বোঝো নাই।
Shah Nawaz মীরজা সাহেবরা চায় ভারত ও পশ্চিমারা এসে ওনাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিক,ভদ্রলোক মানুষ উনি,রাজপথে হাঙ্গামা করতে ইচ্ছুকনা ভদ্রলোকরা।জনগনকেই নীজ উদ্যোগে রাজপথে নামতে হবে তারপর ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাতে হবে।ক্ষমতায় বসেই ওনারা জাতীকে উদ্ধার করবে।
Lima Khan রায়ে উল্লিখিত কোরআনের আয়াতটির অর্থ হলো - ‘হে ইমানদারগণ, আল্লাহকে সাক্ষী রেখে ন্যায়বিচারের ওপর অটল থাক, যদিও এটা তোমাদের, তোমাদের বাবা-মায়ের এবং আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে যায়; হোক ধনী অথবা গরিব- সবাই আল্লাহর মুখাপেক্ষী। যদি ন্যায়বিচার অস্বীকার করো অথবা ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করো, তবে জেনে রাখ আল্লাহ তোমাদের সব কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত।’
Seraj Khan বিচারক রায় দিয়েছেন।
পুনরোদ্ধারের জন্য তীব্র আন্দোলন করা উচিত সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলো কে।
এইটা উপযুক্ত সময়




Qamrul Islam
দোয়া করি - বাকী কয়টা দিনেও যেনো তোমরা সুস্থ না হও। অসুস্থই থাকো, খেলটা শেষ হওয়া অবধি!
20479718_1602468086451358_9184764317281562044_n.jpg
 
.
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট, ২০১৭ ০৩:৩৪ অপরাহ্ন

Attorney General states that he is very sick,can not attend Chief Justice's meeting
‘আমি খুব অসুস্থ, প্রধান বিচারপতির বৈঠকে যেতে পারছি না’
1501752830.jpg

শীর্ষনিউজ, ঢাকা: নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আজ বৈঠক হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি খুব অসুস্থ। বিষয়টি সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জানিয়েছি। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠকে যেতে পারছি না।’

এর আগে গত ৩০ জুলাই নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেটের খসড়া গ্রহণ না করে প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সমাধান করতে বিষয়টি নিয়ে আসুন আমরা বৈঠকে বসি।

৩০ জুলাই দুপুর ২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত যেকোনো সময় বৈঠক হতে পারে বলে জানান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ওই বৈঠকে আপিল বিভাগের সব বিচারপতি উপস্থিত থাকবেন। একইসঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং এ বিষয়ে কোনো বিশেষজ্ঞকে উপস্থিত করতে পারবে বলে জানান প্রধান বিচারপতি।

পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈঠক হবে। কিন্তু আইনমন্ত্রী অসুস্থ হওয়ার কারণে বৈঠক হচ্ছে না।

গত বছরের ৭ নভেম্বর বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে প্রণয়ন করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিন্ম আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।

শীর্ষনিউজ/এইচএস
http://www.sheershanews24.com/offic...-অসুস্থ-প্রধান-বিচারপতির-বৈঠকে-যেতে-পারছি-না’

নয়া মেরুকরণের পথে রাজনীতি
New Polarization in Politics.

327194_1.jpg

04 Aug, 2017

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নয়া মেরুকরণের পথে হাঁটতে শুরু করেছে দেশের রাজনীতি। ভোটের মাঠে সুবিধা নিশ্চিত করতে কে কোন পথে হাঁটবে, এ চলার পথে কে কাকে পাশে টানবে, পাশে পাবে- এ নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। স্বভাবত রাজনীতির পালে নানামুখী হাওয়া বইছে। জানান দিচ্ছে নতুন মেরুকরণের স্পষ্ট আভাস। আর নানা সমীকরণের হিসাব-নিকাশ থেকেই শুরু হয়েছে ছোট ছোট দলগুলোর জোট গঠনের উদ্যোগ।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের বাইরে নিজেদের শক্তির জানান দিতেই মূলত শুরু হয়েছে বাকি রাজনৈতিক দলগুলোর এ ধরনের প্রস্তুতি। সবার উদ্দেশ্য, ক্ষমতা ভাগাভাগির দরকষাকষিতে ভোটের আগে শক্তিশালী তৃতীয় জোট গঠন।

এজন্য পর্দার আড়ালে এবং কখনও প্রকাশ্যে চলছে দফায় দফায় বৈঠক। পরিস্থিতি বলে দিচ্ছে, সম্ভাব্য এ তৃতীয় জোটের সবাই যেন কোনো এক মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায়। বিষয়টিকে এভাবেই বিশ্লেষণ করতে চান রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাসক দল আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে তাদের শরিকদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে আরও মনোযোগী হয়েছে। একই সঙ্গে সমমনা আরও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে কাছে টানারও উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ।

মাঠের বিরোধী দল বিএনপি তার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে। এ দুই বড় দলের বাইরে ইতিমধ্যে ৫৮টি রাজনৈতিক দল নিয়ে নতুন একটি জোট গঠন করে নিজেদের শক্তি জানান দেয়ার চেষ্টা করছে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি।

সূত্র জানায়, বসে নেই অন্যরাও। বিভেদ ভুলে এক মঞ্চে এসেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এবং গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার শরিক সাতটি রাজনৈতিক দল। বাম বিকল্প শক্তি গড়ে তোলার পাশাপাশি আপাতত তারা ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইভাবে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথাও মাথায় রেখে কৌশল নির্ধারণ করছে বাম ঘরানাভুক্ত এ দলগুলো।

আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির বাইরে তৃতীয় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্য পৃথক একটি জোট গঠনের প্রক্রিয়া অনেকদিন ধরেই অব্যাহত রেখেছেন বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, গণফোরাম সভাপতি বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এবং নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। জোট করে ভোটের মাঠে নামার প্রস্তুতি চলছে ইসলামী দলগুলোর ভেতরেও।

ইতিমধ্যে ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি ইসলামী দল তাদের সমমনা দলগুলোকে নিয়ে আলাদা জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে তারাও অনেকদূর এগিয়ে গেছেন। ইসলামী দলগুলোরও লক্ষ্য জোট করে ভোটের রাজনীতিতে দরকষাকষির সুযোগ নেয়া।

রাজনীতিতে এ নয়া মেরুকরণের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের শত ফুল ফুটছে, ভালো তো। জোট হবে, নয়া মেরুকরণ হবে- এটাই রাজনীতির নিয়ম। এটা হতে থাক, অসুবিধা কি? নির্বাচনকে সামনে রেখে যা হচ্ছে তা ভালো দিক। তবে শেষ পর্যন্ত এ মেরুকরণ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগে নতুন নতুন জোট তৈরি হবে, এটাই স্বাভাবিক। এটাই রাজনীতির সৌন্দর্য। নির্বাচনের আগে গ্রুপিং হবে, নতুন নতুন জোট তৈরি হবে। এসব জোট কৌশলগত, আদর্শগত নয়।’

আওয়ামী লীগের মতো বিএনপিও বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের পক্ষে এবং সরকারের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যে কোনো রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাবে বিএনপি। বৃহস্পতিবার দলের যৌথসভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

আরেকটি নতুন রাজনৈতিক জোট গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, ‘আমরা এখনও মনে করি, এই অবৈধ, অনৈতিক ও নির্যাতনকারী-জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান গ্রহণ করবে অবশ্যই তাদেরকে আমরা স্বাগত জানাব।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ড. তারেক শামসুর রেহমানের মতে, এসব ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, নয়া মেরুকরণের পথে হাঁটতে শুরু করেছে দেশের রাজনীতি।

এ প্রসঙ্গে তিনি বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, যে যাই বলুক, দেশের বড় দল মূলত আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি। এর বাইরে জাতীয় পার্টি ভোটের এবং ক্ষমতার রাজনীতিতে এখনও বড় ফ্যাক্টর। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল আছে, বিএনপির নেতৃত্বে আছে ২০ দলীয় জোট। জাতীয় পার্টির নেতৃত্বেও সম্প্রতি একটি নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এদের বাইরে আরও অনেকেই জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এটি অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক।

তবে তারা রাজনীতিতে এবং ভোটের ময়দানে কতটা প্রভাব ফেলতে পারবেন, তা দেখার জন্য আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির বাইরে তৃতীয় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্য অনেকদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে বিকল্পধারা বাংলাদেশ, গণফোরাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও নাগরিক ঐক্য। এসব দলের শীর্ষ নেতারা এ ইস্যুতে নানা দফায় বৈঠক করেছেন।

সর্বশেষ বুধবার রাতে অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর (বি. চৌধুরী) বারিধারার বাসভবন মায়াবীতে দলগুলোর শীর্ষ নেতারা বৈঠক করেন। এতে চমক হিসেবে দেখা যায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে। তার উপস্থিতি বৈঠকের গুরুত্ব বহুলাংশে বাড়িয়ে দেয়।

বৈঠকে নয়া জোট গঠন প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য মাহমুদুর রহমান মান্নাকে সমন্বয়ক করে একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয়। প্রতি সপ্তাহে একটি করে বৈঠক করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।

সূত্র জানায়, বি. চৌধুরী এবং জিএম কাদের ছাড়াও বৈঠকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব এবং তার স্ত্রী তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, স্থায়ী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, বিকল্পধারা বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাহী বি. চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ১৩ জুলাই রাতে আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসায় একইভাবে বৈঠকে মিলিত হন তারা। পুলিশি বাধার মুখে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে অবশ্য জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে কেউ ছিলেন না। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী উপস্থিত থাকলেও পরে পুলিশের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে বেরিয়ে যান।

জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে বি. চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি খুবই নাজুক। এ অবস্থার অবসান জরুরি। নানা সময়ে আমরা এ অবস্থায় আমাদের করণীয় নিয়ে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা মনে করি, গণতন্ত্রমনা দেশপ্রেমিক সবাইকেই এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর আগেও আমরা একাধিকবার বৈঠকে বসেছি। যারা দেশ নিয়ে ভাবেন, দেশের কথা চিন্তা করেন, তারা সবাই একসঙ্গে বসেছিলাম। ভবিষ্যতেও আমরা আলোচনায় বসব।’

নতুন জোট গঠন করতে যাচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বি. চৌধুরী বলেন, ‘জোট গঠনের বিষয়টি পরে দেখা যাবে। আপাতত আমরা মনে করি, যে যার অবস্থান থেকে দেশের জন্য কিছু করাটা জরুরি।’

এ প্রসঙ্গে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা একটি ভয়াবহ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সুশাসন নেই। জানমালের নিরাপত্তা নেই। ভোটের অধিকার নেই। গণতন্ত্র নেই। ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। এ অবস্থায় আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না। আমাদের কিছু একটা করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মতের ভিন্নতা আছে, দলগুলোর নিজস্ব লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আছে। কিন্তু জাতীয় ইস্যুতে আমাদের এক হতে হবে। এক মঞ্চে আসতে হবে।’

সূত্র জানায়, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং নাগরিক ঐক্যের শীর্ষ নেতারা চান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সামনে রেখে রাজনীতিতে একটি নয়া মেরুকরণের জন্ম দিতে। নিজের সীমাবদ্ধতা এবং সাংগঠনিক দুর্বলতা মাথায় রেখে তারা তাদের জোটের পুরোভাগে জাতীয় পার্টিকে চান।

এর অংশ হিসেবেই জিএম কাদেরকে বুধবার রাতে বি. চৌধুরীর বাসায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। বৈঠকে যে আলোচনা হয়েছে বৃহস্পতিবার তা পার্টির চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন জিএম কাদের। এর আগে ২০১৪ সালে একবার একান্তে বৈঠক করেন সাবেক দুই রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং বি. চৌধুরী।

জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে জিএম কাদের বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, ‘বি. চৌধুরী, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ সমমনা কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতারা অনেকদিন ধরেই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির বাইরে তৃতীয় একটি শক্তিশালী জোট গঠনের কথা ভাবছেন। তারা কথাবার্তাও চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাই আমি ছিলাম। তাদের কথা শুনেছি। আমিও কিছু মতামত দিয়েছি। তবে এসব মতামত আমার একান্তই ব্যক্তিগত। কারণ জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে ইতিমধ্যে একটি জোট গঠিত হয়েছে। তাই এ বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেয়ার তা পার্টি চেয়ারম্যান নেবেন।’
http://www.newsonbd.net/newsdetail/detail/200/327194
 
.
Shamsul Alam
Supreme Court's Historic Judgement
সুপ্রীম কোর্টের এ রায় ঐতিহাসিক।

বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধানের সূত্র বলে দেয়া আছে এই রায়ে। বাংলাদেশের ধংস হওয়া গণতন্ত্র, দুবৃত্তায়িত রাজনীতি, সর্বত্র দলীয়করন ও দুর্নীতি, রুগ্ন সংসদ, অপশাসন নিয়ে যুগান্তকারী মতামত দিয়েছেন সুপ্রীম কোর্ট। এমনকি এই প্রথম বারের মত অফিসিয়ালি প্রকাশ করা হয় যে, আগামী ২টি সংসদ নির্বাচন কেয়ারটেকারের অধীনে করার বিষয়ে মতামত দিয়েছিল আপীল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার লেখা এ রায় আপীল বিভাগের সব বিচারপতিরা একমত পোষণ করেছেন। আশা করা যায় এ রায় থেকে সংকট নিরসনে সমাধান বেরিয়ে আসবে।

==================
এ নিয়ে যুগান্তরের পুরো রিপোর্টটি:

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায়
নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র বিকশিত হবে না
সংসদ শিশু অবস্থায় রয়ে গেছে * অদূরদর্শী রাজনীতিকীকরণ রোগ সংক্রমিত হয়েছে * ৭০ অনুচ্ছেদের জন্য দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে সংসদ সদস্যদের প্রশ্ন তোলার স্বাধীনতা নেই
.................................
‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বাধীনভাবে নিরপেক্ষ না হয় তাহলে গণতন্ত্র বিকশিত হতে পারে না। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া গ্রহণযোগ্য সংসদও প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। তাই আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং সংসদ শিশু অবস্থায় রয়ে গেছে। জনগণ এ দুটি প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থা অর্পণ করতে পারছে না। এ দুটি প্রতিষ্ঠান যদি জনগণের আস্থা এবং শদ্ধা অর্জনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ থেকে বিরত থাকে তাহলে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়।

মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে দলের বাইরে একজন সংসদ সদস্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। সেখানে বিচারক অপসারণের বিষয়ে তারা কী করে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে মত দেবেন। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো সংসদ সদস্য নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে তার সংসদ সদস্যপদ থাকবে না। এতে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, ৭০ অনুচ্ছেদ সংসদের স্থায়িত্ব ও দলের সদস্যদের মধ্যে শৃঙ্খলা ধরে রাখার জন্য একটা ব্যবস্থামাত্র। রায়ে বিচারপতিদের জন্য ৩৯ দফা আচরণ বিধিমালাও করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এসব আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ করলে গুরুতর অসদাচরণের শামিল হবে বলে আপিল বিভাগের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

৭৯৯ পৃষ্ঠার রায়ে বলা হয়েছে, আপিল বিভাগ মনে করেন, আদালত ও পার্লামেন্টের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও সংহতি থাকা উচিত। আদালত বা বিচারকরা সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে মর্যাদাহানিকর মন্তব্য করতে পারেন না। সংসদ সদস্যদের নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের কিছু পর্যবেক্ষণ বাদ দেয়া হয়েছে। বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধানে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। ওই অনুচ্ছেদ সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে এ রায়ে মতামত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। রায়ে এক-এগারোর সরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল, ৭০ অনুচ্ছেদ, রাজনীতি, নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা, বিচারকদের আচরণবিধি, অসদাচরণের কারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনসহ নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির স্বাক্ষরের পর মঙ্গলবার এ রায় প্রকাশ করা হয়। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের মূল রায়টি লিখেছেন প্রধান বিচারপতি। এই রায়ের সঙ্গে একমত পোষণ করে তাতে স্বাক্ষর করে নিজস্ব অভিমত দিয়েছেন বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মো. ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার। বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা অবসরে যাওয়ায় তার পক্ষে রায়ে স্বাক্ষর করেছেন বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ৩৯৪ পৃষ্ঠার রায় লেখেন। রায়ে তিনি লিখেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা যে ঐক্য গড়েছিলাম, তা শত্রুরা নস্যাৎ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। এখন একটি মুক্ত, স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশে আমরা বাস করি। অথচ আজ ঔদ্ধত্য এবং অজ্ঞতাকে আমরা প্রশ্রয় দিয়ে চলছি। কোনো একজন ব্যক্তি দ্বারা কোনো একটি দেশ বা জাতি তৈরি হয়নি। আমরা যদি সত্যিই জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় বাঁচতে চাই, তাহলে আমিত্বর আসক্তি এবং আত্মঘাতী উচ্চাভিলাষ থেকে আমাদের মুক্ত থাকতে হবে। এই আমিত্ব হল কেবল এক ব্যক্তি বা একজন মানুষ সবকিছুই করতে পারেন এমন ভাবনা।’

‘অদূরদর্শী রাজনীতিকীকরণ’কে একটি রোগ উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, আমাদের মধ্যে একটি রোগ সংক্রমিত হয়েছে, যার নাম ‘অদূরদর্শী রাজনীতিকীকরণ’। এটা একটা ভাইরাস এবং দুর্ভাগ্যবশত আমাদের সংস্কৃতিকে তা এমন বিস্তৃতভাবে সংক্রমিত করেছে যে, আমাদের নীতিনির্ধারকরা এমন একটি ভবিষ্যৎ দেখতে বা কল্পনা করতেও পারছেন না যে ভবিষ্যতের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পুরো জাতি, কোনো একজন ব্যক্তি নন। এ বাজে রোগের কারণে নীতিনির্ধারকরা সবকিছু ব্যক্তিকরণ করে ফেলেছেন। রায়ে তিনি বলেন, দেশে সেনাসমর্থিত কেয়ারটেকার সরকার আমরা দেখেছি। এটা ঘটেছিল তখনকার ক্ষমতাসীন দলের অদূরদর্শিতা ও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে তাদের অনাগ্রহতার কারণে।

এক-এগারো সম্পর্কে প্রধান বিচারপতি লিখেছেন, ‘দুই বছরের জরুরি অবস্থার নামে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। আর সেটা ঘটেছিল সেই সময়ের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের দূরদর্শিতার অভাব এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে তাদের অনীহার কারণে।’ ত্রয়োদশ সংশোধনীর বিষয়ে প্রধান বিচারপতি লিখেছেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে আপিল বিভাগ মত দিয়েছিলেন যে, দুটি সংসদীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে। তবে শর্ত হল, বিলুপ্ত হওয়া ৫৮(ক) অনুচ্ছেদের ৩ ও ৪ দফা অনুযায়ী সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কিংবা আপিল বিভাগের সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে প্রধান উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা যাবে না। প্রধান বিচারপতির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রাজনীতিকীকরণ হতে পারে, এদিকটি মাথায় রেখে আদালত উল্লিখিত নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

হাইকোর্টের রায়ের একটি অংশ তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি লিখেছেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা এটা দেখাচ্ছে যে, সংসদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের ফৌজদারি অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। তারা দেওয়ানি মামলাগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত। কিন্তু ষোড়শ সংশোধনীর কারণে সংসদ সদস্যরা বিচারকদের কার্যত বসে (কর্তৃত্ব অর্থে) পরিণত হয়েছেন, যা উচ্চ আদালতের বিচারকদের স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনে হুমকি সৃষ্টি করেছে। সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী সংসদের ৭০ শতাংশ সদস্য ব্যবসায়ী। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং মুরাদ রেজা (অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল) এ তথ্যের বিষয়ে আপত্তি করেননি। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখতে পাই, আইন প্রণয়নসংক্রান্ত সংসদীয় বিতর্কে তারা কম আগ্রহী। এর পরিণাম হল, আজকের দিনে সংসদে পাস করা বেশিরভাগ আইন ‘ত্রুটিযুক্ত’। অসম্পূর্ণ এবং ‘নীচুমানের’ আইন প্রণয়নে তাদের দায়িত্ব উত্তমরূপে পালনের চেয়ে সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদের অপসারণের প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হতে তারা বেশি আগ্রহী হয়ে পড়েছেন। বিচারকদের অসদাচরণ বা অসামর্থ্যরে বিচার করা আইনপ্রণেতাদের কাজ নয়।

সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব নয় একজন বিচারকের অসদাচরণ ও অযোগ্যতার বিচার করা। হাইকোর্টের দেয়া এসব অভিমত অপ্রত্যাশিত। এটা আমরা গ্রহণ করতে পারি না। আদালত সংসদ সদস্যদের নিয়ে এ জাতীয় মন্তব্য করতে পারেন না। সংসদ সদস্যদের বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগের উল্লিখিত পর্যবেক্ষণ সম্পূর্ণরূপে অবাঞ্ছিত এবং আমরা কোনোভাবেই এ দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করি না। সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো আদালত বা বিচারকদের এ রকম অবমাননাকর মন্তব্য করা উচিত নয়। আদালত এবং সংসদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতি থাকা দরকার। একইভাবে সংসদেরও উচিত নয় সুপ্রিমকোর্টের কোনো পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য বা কটাক্ষ করা।’

নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি রায়ে বলেছেন, এ আদালত লক্ষ করেছে, জাতীয় নির্বাচনে যে হেরে যায়, তারাই নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বিরোধী দলে যে যায়, সে সংসদে সহযোগিতা করে না। দশম সংসদ নির্বাচনে একটি বড় রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। সুপ্রিমকোর্টের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সব ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা। সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়াই নির্বাচন কমিশনের শূন্যপদগুলো স্বয়ংক্রিয়ভবে পূরণ হবে। কিন্তু পরবর্তী সরকারগুলোর কেউ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

প্রধান বিচারপতি লিখেছেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বাধীনভাবে নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে গণতন্ত্র বিকশিত হতে পারে না। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া গ্রহণযোগ্য সংসদও প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। তাই আমাদের নির্বাচনপ্রক্রিয়া এবং সংসদ শিশু অবস্থায় রয়ে গেছে। জনগণ এ দুটি প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থা অর্পণ করতে পারছে না। এ দুটি প্রতিষ্ঠান যদি জনগণের আস্থা ও শ্রদ্ধা অর্জনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ থেকে বিরত থাকে, তাহলে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।

রায়ে বলা হয়েছে, ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো সংসদ সদস্য নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে তার সংসদ সদস্যপদ থাকবে না। এতে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, ৭০ অনুচ্ছেদ সংসদের স্থায়িত্ব ও দলের সদস্যদের মধ্যে শৃঙ্খলা ধরে রাখার জন্য একটা ব্যবস্থা মাত্র। একজন সংসদ সদস্য যদি দরকষাকষির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বা সন্দেহ হয় যে তিনি দরকষাকষির সঙ্গে যুক্ত, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান সংবিধানে নেই। এ অবস্থায় তারা বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা কিভাবে নিতে চান? দল যদি কোনো ভুল সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনা দেয় তার বিরুদ্ধে ভোট বা মতামত দেয়ার সুযোগ সংসদ সদস্যদের নেই। তারা দলের নীতিনির্ধারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হন। ৭০ অনুচ্ছেদ বলবৎ থাকাবস্থায় বিচারক অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে গেলে একজন বিচারককে দলীয় নীতিনির্ধারকের করুণা অনুযায়ী চলতে হবে। বিচারক অপসারণ ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে গেলে তার প্রভাব বিচার বিভাগে পড়বে।

রায়ে বলা হয়, দীর্ঘদিন সুপ্রিম জুডিশিয়াল ব্যবস্থা না থাকায় প্রধান বিচারপতির প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় কেউ কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারবে না যে আমাদের আদালতে একজন বিচারপতি কারনান (ভারতের বিচারপতি) নেই। যদি কোনো বিচারক তার বিভাগের প্রধানের প্রতি দায়বদ্ধ না থাকেন তবে ওই বিভাগ অকার্যকর হয়ে পড়তে বাধ্য। এ কারণে হাইকোর্ট যথাযথভাবেই এ সংশোধনীকে (১৬তম) সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করেছেন। রায়ে বলা হয়, ‘৭ অনুচ্ছেদ সংবিধানের শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত করেছে। এতে সুপ্রিমকোর্ট শুধুই রাষ্ট্রের একটি স্বাধীন অঙ্গ নয়, সংবিধানের অভিভাবকও বটে। সংবিধানই কোনো আইনকে সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণার এখতিয়ার সুপ্রিমকোর্টকে দিয়েছে।

‘উচ্চ আদালত ও নিন্ম আদালতের শৃঙ্খলার বিষয়ে দেশে কোনো বিধান নেই, যা বিচার বিভাগের জন্য আত্মঘাতী। এক্ষেত্রে অ্যাটর্নি জেনারেলের অভিমত হল নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষই ব্যবস্থা নিতে পারবে। দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তার কাছ থেকে এ জাতীয় মন্তব্য আদালত প্রত্যাশা করেনি। তার এ যুক্তি নির্বাহী বিভাগের বক্তব্যের প্রতিফলন।

রায়ে বলা হয়, ‘সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে সংবিধান সংশোধন করার ক্ষমতা জাতীয় সংসদকে দেয়া হয়েছে। তবে সে ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পঞ্চম সংশোধনী মামলায় এ আদালত মেনে নিয়েছে যে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ব্যবস্থা অনেক স্বচ্ছ ও স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য রক্ষাকবচ, যা ৯৬ অনুচ্ছেদে সন্নিবেশিত হয়েছে। সেখানে বিচারকদের আচরণবিধি সম্পর্কে কিছু বলা নেই বলে যেটা বলা হচ্ছে সেটা সত্য নয়। বিচারকদের আচরণবিধি ছিল বলেই বিচারপতি সৈয়দ শাহিদুর রহমান সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে অপসারিত হয়েছেন।’

রায়ে বলা হয়েছে, ‘যদি কাউকে বিশ্বাসই করতে হয় তবে বিচারকদের কর (সামওয়ান মাস্ট বি ট্রাস্টেড, লেট ইট বি দ্য জাজেস)।’ সংবিধানের ৫ম ও ৮ম সংশোধনী অনুসারে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের অনুমোদন দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট। এ কাউন্সিল এখন সংবিধানেরও অংশ হয়ে গেছে, কারণ সর্বোচ্চ আদালতের রায় সাংবিধানিকভাবেই চূড়ান্ত।

বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল আরও কার্যকর করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।’

বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী লেখেন- ‘সংসদের মনে রাখা উচিত আইন প্রণয়ন বা আইন সংশোধনের ক্ষমতা সংবিধান দ্বারা সীমাবদ্ধ।’

বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের সংবিধানে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেয়া হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীতে এ ক্ষমতা সংসদের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে প্রেসিডেন্টকে দেয়া হয়েছিল। ১৯৭৮ সালে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান এক সামরিক ফরমানে বিচারপতিদের অপসারণে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাতিল করেন। এ সময় বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা দেয়া হয় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে। প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের দুই সিনিয়র বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। এ কাউন্সিলের বিধি অনুয়ায়ী কমিটির শীর্ষস্থানীয় সদস্যদের স্বচ্ছ বলে বিবেচনা করে সুপ্রিমকোর্ট।
 
.
Reality of a Parliament election with Parliament in force
Ikteder Ahmed, August 5, 2017
bd_parliament.jpg

The parliament is one of the most important constitutional organizations. Members of parliament from the same standing take part in the lawmaking process and running of the government. There has been specific direction in the constitution as to the time of holding the general election of members of parliament and also about the qualifications and disqualifications to participate in the election. The date of the election is determined and the persons eligible to participate in the election engage in contest.

As to the matter of holding the general election of members of parliament, Article 123(3) (a) (b) of the 1972 constitution successively provided that (3) a general election of the members of parliament shall be held — (a) in the case of a dissolution by reason of the expiration of its term, within the period of ninety days preceding such dissolution; and (b) in the case of a dissolution otherwise than by reason of such expiration, within ninety days after such dissolution. Subsequently in 1996 through 13th amendment to the constitution by bringing in amendment to article 123(3) (a) provision was made that — a general election of members of parliament shall be held within ninety days after parliament is dissolved, whether by reason of the expiration of its term or otherwise than by reason of such expiration.

Subsequent to1972, till holding of the 7th general election of members of parliament, no necessity arose to hold the general election of members of parliament following provisions laid down in article 123(3) (a) of the original constitution of 1972. The first parliament was constituted with the members of national and provincial assembly through election held under the martial law framework of Pakistan and after independence this parliament was named constituent assembly. This parliament was dissolved after enactment of the constitution. The second, third, fourth, fifth and sixth parliaments were dissolved prior to completion of the term.

By the fifteenth amendment of the constitution in the matter of holding general election of members of parliament the provisions as laid down in article 123(3) (a) and (b) of the original 1972 constitution have been reintroduced. As to the matter of qualifications and disqualifications for participating in the general election of members of parliament article 66 of the original constitution of 1972 provided that (1) he must be a citizen of Bangladesh and must have attained the age of twenty-five years. Alongside that, it has been said that (2) a person shall be disqualified for election as, or for being, a member of parliament who (a) is declared by a competent court to be of unsound mind; (b) is an undischarged insolvent;(c) acquires the citizenship of, or affirms or acknowledges allegiance to, a foreign state; (d) has been on conviction for a criminal offence involving moral turpitude, sentenced to imprisonment for a term of not less than two years, unless a period of five years has elapsed since his release; (e) has been on conviction for any offence under Bangladesh Collaborator (Special Tribunal) Order, 1972; or (f) is disqualified for such election by or under any law.

Subsequently by the Second Proclamation Order No IV of 1978 Sub-clause (dd) and Clause (2A) were inserted in Article 66. By the sub-clause (dd) it has been determined that if a person in addition to disqualifications discussed in article 66 holds any office of profit in the service of the Republic other than an office which is declared by law not to disqualify its holders in that case he shall not be qualified for election as, or for being a member of parliament.

In Clause (2A) of Article 66 it has been stated that for the purposes of this article a person shall not be deemed to hold an office of profit in the service of the Republic by reason only that he is a President, Prime Minister, Speaker, Deputy Speaker, Minister, Minister of State or Deputy Minister.

Evidently by inserting Sub-clause (dd) a person has been declared disqualified to participate in the election while holding office of profit in the service of the Republic and alongside to that by inserting clause (2A) certain office holder such as President, Prime Minister, Speaker, Deputy Speaker, Minister, Minister of State or Deputy Minister have been exempted from disqualification. The literal meaning of this matter is that the above office holders in spite of holding office of profit for the purposes of this article shall not be deemed to hold an office of profit in the service of the Republic. It means these office holders have been made qualified to participate in the general election of members of parliament or any election of members of parliament while being in the office.

The explanation of office of profit in the service of the republic has neither been given in the constitution nor in any other law. In general sense, the office of profit in the service of the republic means such office holders who receive pay and allowances or honorarium from the state exchequer. In this sense, all public servants are deemed to have hold office of profit in the service of the Republic. As per definition given in the Penal Code, Prevention of Corruption Act, 1947, The Criminal Law Amendment Act, 1958 and Anti Corruption Act, 2004 Mayor and Commissioners of City Corporation, Chairman and Commissioners of Municipality and Chairman and Members of the Union Parishad are public servants. Members of parliament like that of public servants of the Republic receive pay and allowances from state exchequer while being holding the post. In that regard the post of a member of parliament is an office of profit in the service of the Republic. In Article 66 of the constitution in the covering of member of parliament although certain office holders have been made qualified to participate in the general election of members of parliament but a member of parliament solely as being member of parliament has not been brought within the scope of said qualification.

In the present tenth parliament, those whose standing is only as member of parliament, obviously would be considered disqualified to participate in the election if election is arranged as per provisions laid down in article 123(3) (a) of the constitution. In this respect if they are to be made qualified to participate in the election then certainly there is need of bringing amendment in article 66(2A) by including them along with other office holders.

In no democratic country of the world is an election arranged keeping the parliament in force. In the United Kingdom as well as other democratic countries the King or Queen or the President after dissolution of parliament requests the immediate past cabinet to perform the daily routine work for maintaining continuity.

If the election is arranged keeping the parliament in force the complicacies which will arise are, firstly — if the existing member of parliament fails to win in the election then it would be seen at the same time there are two members of parliament from the same constituency; secondly — many have anticipation as to whether the ruling party would peacefully handover power if they fail to secure majority to form government; thirdly — if the defeated ruling party refuses to accept the result of election then how it would be resolved; fourthly — if the President would have been elected by the ruling party for political view-point in any controversial situation to what extent it would be possible on his part to take stand against the ruling party; fifthly — there is no the guarantee that the Election Commission appointed by the ruling party would discharge its functions neutrally; sixthly — how the fairness and neutrality of different service chiefs and secretaries to the government along with Deputy Commissioners, Superintendents of Police and Thana Nirbahi Officers would be ensured and seventhly — the members of cabinet who would participate in the election in the context of our country how their fairness and neutrality would be ensured.

Until the aforesaid complicacies are resolved, if an arrangement is made to hold the election keeping the parliament in force, it would not make way for participation of all in the election. It would seize the right of the existing members of parliament to participate in the general election of members of parliament.


The writer is a former Judge & former Registrar, Supreme Court. Email: iktederahmed@yahoo.com
http://southasianmonitor.com/2017/08/05/reality-parliament-election-parliament-force/
 
.
হঠাৎ এরশাদের ভারত সফর নির্বাচনে নতুন চমক বিএনপিতে যোগ দেয়ার আনাগুনা ?
After returning from India, Ershad suddenly decides to join BNP.
Will never never happen. Ershad will not join BNP alliance group. He is more distrusted and hated by the BNP top leaders. Every one knows about his flipflop character. He may be maneuvering AL to accept him as a candidate for the next President of the Republic, or better a mutually accepted all party candidate.

I wonder how a Tamil, submissively living under the same country where they have been addressed as dark monsters and victims of blatant racism throughout history
Do not you think, your post is full of racial hatred? How can you talk about complexion of other group of people when you yourself and most of our countrymen are very dark skinned and ugly. Even a white man refrains from talking like the way some of the BD people talk. I request all to concentrate on the subject of a topic and not on the skin of others. মাটির পাতিলের তলা কয়লারে কয় কালা।
 
Last edited:
. .
সরাসরি..উত্তাল রাজপথ..হাসিনার পদত্যাগের আহবান..নেত্রকোনায় বিএনপি-আঃলীগ সংঘর্ষ চলছে..দিনের তাজা খবর
Published on Aug 4, 2017
 
.
Qamrul Islam
_Y91QzmaslR.png

বয়সের কারনে মাল মুহিতের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না--এমন তত্ত্ব কোথায় পেলেন মনজিল মোরশেদ। মাল মন্ত্রিগিরি করতে পারবে, দুনিয়ার সব আকামের সাথী হবে, কিন্তু মামলা করা যাবে না ক্যান? মনজিল যদি মনে করেন ’বয়স বেশী হলে নো মামলা’, তবে মালের বয়সী বুড়ারা যদি ধর্ষন করে, তাহলে কি বিচার করবেন না?

মনজিল তো সবসময় হাম্বা সরকারের দালালী করেন, এবারেও করুন, সমস্যা নাই। কিন্তু উচ্চ আদালত কি সুয়োমোটো ধরতে পারেন না মাল মুহিতকে? মুহিতের বক্তব্যের ভিডিও অনলাইনে আছে। মুহিতকে ধরতে কোনো সমস্যা হবে না। আজ যদি মুহিতকে ছাড়া হয়, তবে এরপর থেকে বুড়াদের দিয়েই সকাল বিকাল সুপ্রীম কোর্টের প্যান্ট টেনে খোলাখুলি চলতেই থাকবে।

muhit.jpg


আমরা তো কেউ কই নাই যে, দেশটা পাকিস্তান। কিন্তু আপনি কেনো কইতাছেন পাকিস্তানের ঘটনা ঘটবে! সত্যই কি নেওয়াজের মত পতন হবে আপনাদের? কি ঘটতেছে ভিত্রে, একটু কইবেন? কে কই যাইতাছেন আপনারা...কে জেলে...কে বাইরে...আর কে নিখোঁজ?
20604711_1603375769693923_481071256758599277_n.jpg


09:16 PM, August 04, 2017 / LAST MODIFIED: 09:21 PM, August 04, 2017
Muhith for 16th amendment, says it will come again
muhith_0-web.jpg

Finance Minister AMA Muhith. File photo
Star Online Report

Finance Minister AMA Muhith today expressed resentment over scrapping of the 16th constitutional amendment by the higher court.

He said the amendment that empowered parliament to impeach judges, will be passed in parliament again.

“Yes, we will pass the constitutional [16th] amendment in parliament again and we will do it continuously,” he told reporters after a programme at Sylhet Medical College.

“Let’s see how far judiciary can go. I think judiciary’s position is untenable. Will they interfere on people’s representatives? We appoint them,” he said.

The senior minister even commented that the 16th amendment will be passed in the House if the court scraps it again.
http://www.thedailystar.net/politic...dment-of-constitution-will-come-again-1443652

12:43 PM, August 05, 2017 / LAST MODIFIED: 02:34 PM, August 05, 2017
Finance minister’s remark on 16th amendment a contempt of court: BNP
BNP%20logo.jpg

Star Online Report

BNP today slammed Finance Minister AMA Muhith for his yesterday’s remark that the 16th amendment of constitution will be passed in the parliament every time it will be scrapped by the High Court.

The finance minister’s statement is clearly a contempt of court and contrary to the rule of law, BNP Senior Joint General Secretary Ruhul Kabir Rizvi told journalists at a press briefing at the party's Nayapaltan office this morning.

Read more: Muhith resents scrapping of 16th amendment

The finance minister made the remark while talking to reporters after a programme at Sylhet Medical College yesterday.

The BNP leader also criticised the government for the irregularities in hajj flight management by Biman Bangladesh Airlines, accusing the Ministries of Aviation and Religious Affairs of failure to ensure proper regulations and management of hajj flights and the well being of the hajj pilgrims.


So far 19 hajj flights were cancelled in 12 days, while 40 thousand hajjis were still uncertain about whether they would be able to make the pilgrimage, Rizvi said.

Also, in response to ruling Awami League general Secretary Obaidul Quader’s comment that the BNP leaders should resign from “top to bottom”, the BNP leader said the ruling party leaders are worried of their eminent downfall after a reign of terribly poor governance, corruption, killings, abductions, enforced disappearances, repression of women and children, and terrorism across the country, and such comments are made by the AL leaders out of despair.

He also condemned detention and torture of the party’s leaders and activists by police and ruling party cadres across the country.

http://www.thedailystar.net/politic...sh-constitution-contempt-of-court-bnp-1443973
 
Last edited:
.
12:43 PM, August 05, 2017 / LAST MODIFIED: 02:34 PM, August 05, 2017
Finance minister’s remark on 16th amendment a contempt of court: BNP
I fully agree that the statement by Mal Muhith, the finance minister, is indeed a contempt of court. He and his AL colleagues want a continuous recurrence of 16th amendment in the Parliament in order to kill the court system that wants to re-establish democracy in the country.

I hail Justice Sinha for upholding the authority of court in the face of bullying by the Parliament members of the ruling clique. Sinha is a very strong personality in the country and a force who is fighting against the non-democratic hooligan elements of AL and other parties. He will remain the standard-bearer for the conscience of the country in the foreseeable future. People will fondly remember him same as Justice Shahabuddin.
 
Last edited:
. .
Do not you think, your post is full of racial hatred? How can you talk about complexion of other group of people when you yourself and most of our countrymen are very dark skinned and ugly. Even a white man refrains from talking like the way some of the BD people talk. I request all to concentrate on the subject of a topic and not on the skin of others. মাটির পাতিলের তলা কয়লারে কয় কালা।

Try to read the full post and understand the context before posting this stupid blabbering. I wasn't being racist rather ridiculing that idiot Tamil as he was calling others 'meek weaklings' while his own community is a victim of blatant racism in their own country and yet doing nothing to free themselves from this racism.
 
.
Dialogue must concentrate on election time government
Faruque Ahmed

The New Chief Election Commissioner (CEC) K M Nurul Huda is scheduled to hold dialogue with the representatives of the media on August 16 and 17 after similar exchange of views with the members of the civil society early this month. It is a part of his preparatory footwork to hold the next parliamentary election scheduled for early 2019.

His purpose is to listen to ideas and suggestions on how the next election can be held free and fair with inclusive participation of all political parties should be appreciated. This did not happen on the eve of the last parliamentary elections which has apparently led to the creation of an unprecedented political crisis in the country. It is generally believed that one-sided, partisan election may create such a situation again and if the CEC can remove such a risk, so much the better.

CEC’s meeting with civil society members
Meanwhile, suggestions came from 35 participating members of the civil society out of a list of 59 in the first meeting were all known to the Election Commission from their previous exercises. Quite a few invitees did not attend the meeting thinking that such a dialogue is meaningless when the CEC has no power to ensure level playing field for all political parties taking part in elections.

The meeting with media representatives is also likely to be one sided; those closer to the government will give government-friendly suggestions while the independent, dissenting media groups may like to keep themselves away. It is, indeed, an unfortunate divide across the nation.

Looking closely at the CEC, it seems he cannot be squarely blamed either. In fact he appears helpless to create the environment for a free fair election even though he claims that he wants to be helpful. He does not seem to have the power or the will to play the role of an independent CEC and create a congenial environment for free election as he was selected by the ruling party allegedly with a motive and is constantly under pressure from the government to tow the line.

Nonetheless, holding such a dialogue has a demonstrative effect in our political culture. Many believe election time government is the core issue and holding a free and fair election and participation of the opposition political parties largely depends on its resolution.

It is said that in the fitness of things, the CEC should have held such dialogue with the political parties soon after taking over his office to understand their side of the story and also to establish a kind of rapport with them. After all, they are also major stakeholders in the election. The delay has naturally created a psychological distance between them.

Experts’ viewpoints
Legal experts say, the scrapping of the caretaker government is the main impediment to holding a free and fair election while keeping the incumbent government in power. The direction for a solution for election time government should come from the Supreme Court which had earlier scrapped the caretaker government system in a controversial, one vote majority judgment allegedly for its being an unelected government.

However, noted jurist Barrister Mainul Hossein made an interesting point on this divided judgment. He said: “The much controversial and divided judgment of the Supreme Court by a single majority vote declaring the provisions for an unelected caretaker government unconstitutional is the real issue. Those who dissented with the majority judgment did it so forcefully. One of them Mr Justice Muhammad Imman Ali was forthright to say an election matter is political and should be left for Parliament to decide.”

Hossein pointed out: “The caretaker government provision was added to the Constitution not by a martial law government but unanimously by all the parties in the parliament under the leadership of the present Awami League government. However, the present AL government was too pleased with the judgment and hurriedly amended the Constitution in line with it. Hussein said, “it is not unusual for the judges to err and the judges should be ready to correct the mistake if such an error can be established. Judges of the highest court everywhere follow this principle. This judgment of the Supreme Court must not remain as a flawed judgment that is making free and fair election impossible. Re-examination of their Lordships’ judgment has become essential in public interest of holding free and fair election.”

Meanwhile, the main opposition BNP has branded the EC’s election roadmap as eyewash like the work of the high powered search committee to find a credible candidate for the post of the CEC. They said, the formation of a high powered selection committee sounded almost real but the selection was predetermined.

Inner conflicts became clear
Every one joining the dialogue, however, gave one common suggestion to the CEC to establish people’s confidence in the electoral system which was already severely damaged in the past elections. People will watch whether the CEC will work as a government loyalist or try to assert to hold the polls free and fair. Some participants in the dialogue have suggested that the CEC to take necessary steps to deploy army in election duty during the polls to remove fear of voters, candidates and election officials.
So the nature and functions of the poll time government is the core issue where they must concentrate their efforts to find an agreeable solution. There may be many more such dialogues but it must not divert attention from the real issue in public life.

Political scientist Dr Dilara Chowdhury called for deployment of the army to maintain law and order along with police like the one took place in 2008 election. She said the idea of a free and fair election under the current polls-time government is absurd with keeping the cabinet and parliament functional so that power can’t slip from the ruling party’s hands. “Can we imagine 300 people running against 300 lawmakers from power? It is impossible,” she said.

However, former ambassador Waliur Rahman was strongly opposed the idea saying there was no need for deployment of army and more importantly, they “do not want to come”. He also opposed the idea of dissolving parliament during election and said ‘whatever you want to do must be done within the constitution keeping the government in power’.

The dialogue therefore, also made clear the inner conflict of making election free and fair. The fact that the government is not willing to let go its control over election procedures to ensure its return to power has reflected by the pro-establishment dialogue participants.

Avoidance of responsibility
Meanwhile, the nature and functions of a poll time government is the core problem and all concerned should try to find a solution which was once unified but at present has become the most contentious issue following its annulment. There may be many more meetings and dialogues between the CEC and the political parties of all hues, but it should not be allowed to undermine and divert attention from the real issue in public life.

Besides, in a recent remark made by the CEC has attracted attention of all political parties and the civil society members. He said that his responsibility to ensure election environment lies only after announcing the election schedule. It refers to the question that if the government does not allow the opposition parties to participate in indoor and outdoor meetings to project election-related campaign, who can ensure a peaceful environment for holding election. This of course, is an electoral issue and the CEC can’t afford to avoid taking note of it and make attempt to rectify it. This is his job.

http://www.weeklyholiday.net/Homepage/Pages/UserHome.aspx
 
.
UK minister for fair polls in Bangladesh
SAM Staff, August 10, 2017
IMG_20170808_163659.jpg

British Minister Lord Tariq Ahmad. Photo: Courtesy BDNews24
British Minister Lord Tariq Ahmad today reiterated the UK’s expectations of free, fair and inclusive upcoming parliamentary elections in Bangladesh.

“Number one, please participate and secondly let’s have a free, fair and transparent election, because those are foundations for ensuring sustainable democracy for the long term,” he said.

Lord Ahmad of Wimbledon, minister of state at the Foreign and Commonwealth Office and minister for the commonwealth and the United Nations, left Bangladesh today after a two-day visit.

As the first UK Minister to visit the country following June’s election, Lord Ahmad called on Prime Minister Sheikh Hasina and met State Minister for Foreign Affairs Shahriar Alam.

He reaffirmed UK’s commitment to deepening ties and co-operation with Bangladesh across a wide range of issues including trade, development, migration, and the shared challenge of combating terrorism and extremism.

Lord Ahmad is a British businessman, appointed Minister of State for the Commonwealth and United Nations at the Foreign and Commonwealth Office on 13 June, 2017.

SOURCE THE DAILY STAR
http://southasianmonitor.com/2017/08/10/uk-minister-fair-polls-bangladesh/
 
.
So BNP will not boycott this time? They trust EC enough now? What's changed from before to today?
 
.
Reality of a parliament election with parliament in force
Ikteder Ahmed, August 5, 2017
bd_parliament.jpg

The parliament is one of the most important constitutional organizations. Members of parliament from the same standing take part in the lawmaking process and running of the government. There has been specific direction in the constitution as to the time of holding the general election of members of parliament and also about the qualifications and disqualifications to participate in the election. The date of the election is determined and the persons eligible to participate in the election engage in contest.

As to the matter of holding the general election of members of parliament, Article 123(3) (a) (b) of the 1972 constitution successively provided that (3) a general election of the members of parliament shall be held — (a) in the case of a dissolution by reason of the expiration of its term, within the period of ninety days preceding such dissolution; and (b) in the case of a dissolution otherwise than by reason of such expiration, within ninety days after such dissolution. Subsequently in 1996 through 13th amendment to the constitution by bringing in amendment to article 123(3) (a) provision was made that — a general election of members of parliament shall be held within ninety days after parliament is dissolved, whether by reason of the expiration of its term or otherwise than by reason of such expiration.

Subsequent to1972, till holding of the 7th general election of members of parliament, no necessity arose to hold the general election of members of parliament following provisions laid down in article 123(3) (a) of the original constitution of 1972. The first parliament was constituted with the members of national and provincial assembly through election held under the martial law framework of Pakistan and after independence this parliament was named constituent assembly. This parliament was dissolved after enactment of the constitution. The second, third, fourth, fifth and sixth parliaments were dissolved prior to completion of the term.

By the fifteenth amendment of the constitution in the matter of holding general election of members of parliament the provisions as laid down in article 123(3) (a) and (b) of the original 1972 constitution have been reintroduced. As to the matter of qualifications and disqualifications for participating in the general election of members of parliament article 66 of the original constitution of 1972 provided that (1) he must be a citizen of Bangladesh and must have attained the age of twenty-five years. Alongside that, it has been said that (2) a person shall be disqualified for election as, or for being, a member of parliament who (a) is declared by a competent court to be of unsound mind; (b) is an undischarged insolvent;(c) acquires the citizenship of, or affirms or acknowledges allegiance to, a foreign state; (d) has been on conviction for a criminal offence involving moral turpitude, sentenced to imprisonment for a term of not less than two years, unless a period of five years has elapsed since his release; (e) has been on conviction for any offence under Bangladesh Collaborator (Special Tribunal) Order, 1972; or (f) is disqualified for such election by or under any law.

Subsequently by the Second Proclamation Order No IV of 1978 Sub-clause (dd) and Clause (2A) were inserted in Article 66. By the sub-clause (dd) it has been determined that if a person in addition to disqualifications discussed in article 66 holds any office of profit in the service of the Republic other than an office which is declared by law not to disqualify its holders in that case he shall not be qualified for election as, or for being a member of parliament.

In Clause (2A) of Article 66 it has been stated that for the purposes of this article a person shall not be deemed to hold an office of profit in the service of the Republic by reason only that he is a President, Prime Minister, Speaker, Deputy Speaker, Minister, Minister of State or Deputy Minister.

Evidently by inserting Sub-clause (dd) a person has been declared disqualified to participate in the election while holding office of profit in the service of the Republic and alongside to that by inserting clause (2A) certain office holder such as President, Prime Minister, Speaker, Deputy Speaker, Minister, Minister of State or Deputy Minister have been exempted from disqualification. The literal meaning of this matter is that the above office holders in spite of holding office of profit for the purposes of this article shall not be deemed to hold an office of profit in the service of the Republic. It means these office holders have been made qualified to participate in the general election of members of parliament or any election of members of parliament while being in the office.

The explanation of office of profit in the service of the republic has neither been given in the constitution nor in any other law. In general sense, the office of profit in the service of the republic means such office holders who receive pay and allowances or honorarium from the state exchequer. In this sense, all public servants are deemed to have hold office of profit in the service of the Republic. As per definition given in the Penal Code, Prevention of Corruption Act, 1947, The Criminal Law Amendment Act, 1958 and Anti Corruption Act, 2004 Mayor and Commissioners of City Corporation, Chairman and Commissioners of Municipality and Chairman and Members of the Union Parishad are public servants. Members of parliament like that of public servants of the Republic receive pay and allowances from state exchequer while being holding the post. In that regard the post of a member of parliament is an office of profit in the service of the Republic. In Article 66 of the constitution in the covering of member of parliament although certain office holders have been made qualified to participate in the general election of members of parliament but a member of parliament solely as being member of parliament has not been brought within the scope of said qualification.

In the present tenth parliament, those whose standing is only as member of parliament, obviously would be considered disqualified to participate in the election if election is arranged as per provisions laid down in article 123(3) (a) of the constitution. In this respect if they are to be made qualified to participate in the election then certainly there is need of bringing amendment in article 66(2A) by including them along with other office holders.

In no democratic country of the world is an election arranged keeping the parliament in force. In the United Kingdom as well as other democratic countries the King or Queen or the President after dissolution of parliament requests the immediate past cabinet to perform the daily routine work for maintaining continuity.

If the election is arranged keeping the parliament in force the complicacies which will arise are, firstly — if the existing member of parliament fails to win in the election then it would be seen at the same time there are two members of parliament from the same constituency; secondly — many have anticipation as to whether the ruling party would peacefully handover power if they fail to secure majority to form government; thirdly — if the defeated ruling party refuses to accept the result of election then how it would be resolved; fourthly — if the President would have been elected by the ruling party for political view-point in any controversial situation to what extent it would be possible on his part to take stand against the ruling party; fifthly — there is no the guarantee that the Election Commission appointed by the ruling party would discharge its functions neutrally; sixthly — how the fairness and neutrality of different service chiefs and secretaries to the government along with Deputy Commissioners, Superintendents of Police and Thana Nirbahi Officers would be ensured and seventhly — the members of cabinet who would participate in the election in the context of our country how their fairness and neutrality would be ensured.

Until the aforesaid complicacies are resolved, if an arrangement is made to hold the election keeping the parliament in force, it would not make way for participation of all in the election. It would seize the right of the existing members of parliament to participate in the general election of members of parliament.


The writer is a former Judge & former Registrar, Supreme Court. Email: iktederahmed@yahoo.com
http://southasianmonitor.com/2017/08/05/reality-parliament-election-parliament-force/
 
.

Latest posts

Back
Top Bottom