প্রকাশ : ০৩ আগস্ট, ২০১৭ ০৩:৩৪ অপরাহ্ন
Attorney General states that he is very sick,can not attend Chief Justice's meeting
‘আমি খুব অসুস্থ, প্রধান বিচারপতির বৈঠকে যেতে পারছি না’
শীর্ষনিউজ, ঢাকা: নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আজ বৈঠক হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি খুব অসুস্থ। বিষয়টি সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জানিয়েছি। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠকে যেতে পারছি না।’
এর আগে গত ৩০ জুলাই নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেটের খসড়া গ্রহণ না করে প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সমাধান করতে বিষয়টি নিয়ে আসুন আমরা বৈঠকে বসি।
৩০ জুলাই দুপুর ২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত যেকোনো সময় বৈঠক হতে পারে বলে জানান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ওই বৈঠকে আপিল বিভাগের সব বিচারপতি উপস্থিত থাকবেন। একইসঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং এ বিষয়ে কোনো বিশেষজ্ঞকে উপস্থিত করতে পারবে বলে জানান প্রধান বিচারপতি।
পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈঠক হবে। কিন্তু আইনমন্ত্রী অসুস্থ হওয়ার কারণে বৈঠক হচ্ছে না।
গত বছরের ৭ নভেম্বর বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে প্রণয়ন করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিন্ম আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।
শীর্ষনিউজ/এইচএস
http://www.sheershanews24.com/offic...-অসুস্থ-প্রধান-বিচারপতির-বৈঠকে-যেতে-পারছি-না’
নয়া মেরুকরণের পথে রাজনীতি
New Polarization in Politics.
04 Aug, 2017
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নয়া মেরুকরণের পথে হাঁটতে শুরু করেছে দেশের রাজনীতি। ভোটের মাঠে সুবিধা নিশ্চিত করতে কে কোন পথে হাঁটবে, এ চলার পথে কে কাকে পাশে টানবে, পাশে পাবে- এ নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। স্বভাবত রাজনীতির পালে নানামুখী হাওয়া বইছে। জানান দিচ্ছে নতুন মেরুকরণের স্পষ্ট আভাস। আর নানা সমীকরণের হিসাব-নিকাশ থেকেই শুরু হয়েছে ছোট ছোট দলগুলোর জোট গঠনের উদ্যোগ।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের বাইরে নিজেদের শক্তির জানান দিতেই মূলত শুরু হয়েছে বাকি রাজনৈতিক দলগুলোর এ ধরনের প্রস্তুতি। সবার উদ্দেশ্য, ক্ষমতা ভাগাভাগির দরকষাকষিতে ভোটের আগে শক্তিশালী তৃতীয় জোট গঠন।
এজন্য পর্দার আড়ালে এবং কখনও প্রকাশ্যে চলছে দফায় দফায় বৈঠক। পরিস্থিতি বলে দিচ্ছে, সম্ভাব্য এ তৃতীয় জোটের সবাই যেন কোনো এক মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায়। বিষয়টিকে এভাবেই বিশ্লেষণ করতে চান রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাসক দল আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে তাদের শরিকদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে আরও মনোযোগী হয়েছে। একই সঙ্গে সমমনা আরও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে কাছে টানারও উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
মাঠের বিরোধী দল বিএনপি তার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে। এ দুই বড় দলের বাইরে ইতিমধ্যে ৫৮টি রাজনৈতিক দল নিয়ে নতুন একটি জোট গঠন করে নিজেদের শক্তি জানান দেয়ার চেষ্টা করছে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি।
সূত্র জানায়, বসে নেই অন্যরাও। বিভেদ ভুলে এক মঞ্চে এসেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এবং গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার শরিক সাতটি রাজনৈতিক দল। বাম বিকল্প শক্তি গড়ে তোলার পাশাপাশি আপাতত তারা ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইভাবে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথাও মাথায় রেখে কৌশল নির্ধারণ করছে বাম ঘরানাভুক্ত এ দলগুলো।
আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির বাইরে তৃতীয় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্য পৃথক একটি জোট গঠনের প্রক্রিয়া অনেকদিন ধরেই অব্যাহত রেখেছেন বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, গণফোরাম সভাপতি বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এবং নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। জোট করে ভোটের মাঠে নামার প্রস্তুতি চলছে ইসলামী দলগুলোর ভেতরেও।
ইতিমধ্যে ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি ইসলামী দল তাদের সমমনা দলগুলোকে নিয়ে আলাদা জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে তারাও অনেকদূর এগিয়ে গেছেন। ইসলামী দলগুলোরও লক্ষ্য জোট করে ভোটের রাজনীতিতে দরকষাকষির সুযোগ নেয়া।
রাজনীতিতে এ নয়া মেরুকরণের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের শত ফুল ফুটছে, ভালো তো। জোট হবে, নয়া মেরুকরণ হবে- এটাই রাজনীতির নিয়ম। এটা হতে থাক, অসুবিধা কি? নির্বাচনকে সামনে রেখে যা হচ্ছে তা ভালো দিক। তবে শেষ পর্যন্ত এ মেরুকরণ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগে নতুন নতুন জোট তৈরি হবে, এটাই স্বাভাবিক। এটাই রাজনীতির সৌন্দর্য। নির্বাচনের আগে গ্রুপিং হবে, নতুন নতুন জোট তৈরি হবে। এসব জোট কৌশলগত, আদর্শগত নয়।’
আওয়ামী লীগের মতো বিএনপিও বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের পক্ষে এবং সরকারের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যে কোনো রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাবে বিএনপি। বৃহস্পতিবার দলের যৌথসভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আরেকটি নতুন রাজনৈতিক জোট গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, ‘আমরা এখনও মনে করি, এই অবৈধ, অনৈতিক ও নির্যাতনকারী-জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান গ্রহণ করবে অবশ্যই তাদেরকে আমরা স্বাগত জানাব।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ড. তারেক শামসুর রেহমানের মতে, এসব ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, নয়া মেরুকরণের পথে হাঁটতে শুরু করেছে দেশের রাজনীতি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, যে যাই বলুক, দেশের বড় দল মূলত আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি। এর বাইরে জাতীয় পার্টি ভোটের এবং ক্ষমতার রাজনীতিতে এখনও বড় ফ্যাক্টর। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল আছে, বিএনপির নেতৃত্বে আছে ২০ দলীয় জোট। জাতীয় পার্টির নেতৃত্বেও সম্প্রতি একটি নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এদের বাইরে আরও অনেকেই জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এটি অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক।
তবে তারা রাজনীতিতে এবং ভোটের ময়দানে কতটা প্রভাব ফেলতে পারবেন, তা দেখার জন্য আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির বাইরে তৃতীয় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্য অনেকদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে বিকল্পধারা বাংলাদেশ, গণফোরাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও নাগরিক ঐক্য। এসব দলের শীর্ষ নেতারা এ ইস্যুতে নানা দফায় বৈঠক করেছেন।
সর্বশেষ বুধবার রাতে অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর (বি. চৌধুরী) বারিধারার বাসভবন মায়াবীতে দলগুলোর শীর্ষ নেতারা বৈঠক করেন। এতে চমক হিসেবে দেখা যায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে। তার উপস্থিতি বৈঠকের গুরুত্ব বহুলাংশে বাড়িয়ে দেয়।
বৈঠকে নয়া জোট গঠন প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য মাহমুদুর রহমান মান্নাকে সমন্বয়ক করে একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয়। প্রতি সপ্তাহে একটি করে বৈঠক করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।
সূত্র জানায়, বি. চৌধুরী এবং জিএম কাদের ছাড়াও বৈঠকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব এবং তার স্ত্রী তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, স্থায়ী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, বিকল্পধারা বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাহী বি. চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৩ জুলাই রাতে আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসায় একইভাবে বৈঠকে মিলিত হন তারা। পুলিশি বাধার মুখে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে অবশ্য জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে কেউ ছিলেন না। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী উপস্থিত থাকলেও পরে পুলিশের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে বেরিয়ে যান।
জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে বি. চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি খুবই নাজুক। এ অবস্থার অবসান জরুরি। নানা সময়ে আমরা এ অবস্থায় আমাদের করণীয় নিয়ে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা মনে করি, গণতন্ত্রমনা দেশপ্রেমিক সবাইকেই এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগেও আমরা একাধিকবার বৈঠকে বসেছি। যারা দেশ নিয়ে ভাবেন, দেশের কথা চিন্তা করেন, তারা সবাই একসঙ্গে বসেছিলাম। ভবিষ্যতেও আমরা আলোচনায় বসব।’
নতুন জোট গঠন করতে যাচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বি. চৌধুরী বলেন, ‘জোট গঠনের বিষয়টি পরে দেখা যাবে। আপাতত আমরা মনে করি, যে যার অবস্থান থেকে দেশের জন্য কিছু করাটা জরুরি।’
এ প্রসঙ্গে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা একটি ভয়াবহ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সুশাসন নেই। জানমালের নিরাপত্তা নেই। ভোটের অধিকার নেই। গণতন্ত্র নেই। ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। এ অবস্থায় আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না। আমাদের কিছু একটা করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মতের ভিন্নতা আছে, দলগুলোর নিজস্ব লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আছে। কিন্তু জাতীয় ইস্যুতে আমাদের এক হতে হবে। এক মঞ্চে আসতে হবে।’
সূত্র জানায়, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং নাগরিক ঐক্যের শীর্ষ নেতারা চান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সামনে রেখে রাজনীতিতে একটি নয়া মেরুকরণের জন্ম দিতে। নিজের সীমাবদ্ধতা এবং সাংগঠনিক দুর্বলতা মাথায় রেখে তারা তাদের জোটের পুরোভাগে জাতীয় পার্টিকে চান।
এর অংশ হিসেবেই জিএম কাদেরকে বুধবার রাতে বি. চৌধুরীর বাসায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। বৈঠকে যে আলোচনা হয়েছে বৃহস্পতিবার তা পার্টির চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন জিএম কাদের। এর আগে ২০১৪ সালে একবার একান্তে বৈঠক করেন সাবেক দুই রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং বি. চৌধুরী।
জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে জিএম কাদের বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, ‘বি. চৌধুরী, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ সমমনা কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতারা অনেকদিন ধরেই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির বাইরে তৃতীয় একটি শক্তিশালী জোট গঠনের কথা ভাবছেন। তারা কথাবার্তাও চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাই আমি ছিলাম। তাদের কথা শুনেছি। আমিও কিছু মতামত দিয়েছি। তবে এসব মতামত আমার একান্তই ব্যক্তিগত। কারণ জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে ইতিমধ্যে একটি জোট গঠিত হয়েছে। তাই এ বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেয়ার তা পার্টি চেয়ারম্যান নেবেন।’
http://www.newsonbd.net/newsdetail/detail/200/327194