What's new

Effort To Contain China FAILED: Bangladesh Strike Cuts down Abe’s Covert Naval Gambit

.
গুলশান হামলা ও তার সম্ভাব্য মোটিভ
Published On Saturday, July 23, 2016



maj-akhtar-1.jpg
মেজর মোঃ আখতারুজ্জামান (অব):
গত ১ জুলাই শুক্রবার রাত পৌনে ৯টায় একদল সন্ত্রাসীর ধামাকা আক্রমণে ঢাকার গুলশান লেকপাড়ে অভিজাত হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় ১ জন ভারতীয়, ৩ জন বাংলাদেশি, ৭ জন জাপানি ও ৯ জন ইতালীয়সহ ২০ জন নিরপরাধ মানুষ নিহত হয়। ১ জন বাংলাদেশি বাদে বাকি ১৯ জনকে অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয় বলে সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়। পুলিশের ভাষ্যমতে, ঘটনার ২০ মিনিটের মধ্যেই ২০ জনকে হত্যা করে ফেলা হয়। কিন্তু পুলিশের এ ভাষ্য অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। কারণ প্রথম আলোর ভাষ্যমতে, রাত পৌনে ৯টায় ‘আল্লাহু আকবর’ বলে অস্ত্রধারী সাতজন সন্ত্রাসী রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করে। রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশের একটি দল সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করে, তখন একটি বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলি শুরু হয়। তাতে দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৪০ জন আহত হয়। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী ২০ মিনিটের মধ্যে ২০ জনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে তথ্য প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি বলেই সবাই আলোচনা করছে। তবে এটা সত্য যে, রাত ১২টার আগেই প্রায় সবাইকে গলা কেটে হত্যা করেছে।

সবাই বলছে বা আলোচনা করছে এ বর্বর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল যে ছয়জন বাংলাদেশি তরুণ জঙ্গি তারা বিভিন্ন সময়ে নাকি গুম হয়ে গিয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট করে জানা যায়নি তারা কবে এবং কোথা থেকে গুম হয়েছিল। প্রায় সবাই বলার চেষ্টা করছে এ ছয়জন যুবক সবাই ইরাকের আইএসআইএসের সদস্য এবং তারাই নাকি ধারালো অস্ত্রে গুলশানে বিদেশিদের গলা কেটে হত্যা করেছে। অপরাধ বিজ্ঞান বলে, সব হত্যার একটি মোটিভ থাকে। তাই অনেকের প্রশ্ন, গুলশান হত্যার পেছনে আইএসআইএসের কী মোটিভ ছিল? আইএসআইএস বাংলাদেশের মাটিতে কেন ইতালি ও জাপানি নাগরিকদের হত্যা করবে? আইএসআইএসের বিরোধ মার্কিন বা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে। তারা হত্যা করলে মার্কিন বা ব্রিটিশ নাগরিকদের হত্যা করতে পারে কিন্তু সে হত্যার জন্য বাংলাদেশের মাটি কেন তারা ব্যবহার করবে? যদি বাংলাদেশের মাটিতেই বিদেশিদের হত্যা করে এ দেশে তাদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার প্রয়োজন ছিল তাহলে কাছেই তো আমেরিকান ক্লাব ছিল, সেখানে কেন তারা আক্রমণ করল না, এ প্রশ্নও জেগেছে অনেকের মনে।

আইএসআইএস যুদ্ধ করছে ইরাকে তাদের স্বতন্ত্র আবাসভূমির দাবিতে। মার্কিনিরা ইরাক দখলের পরে যখন ইরাককে দ্বিখণ্ডিত করতে চেয়েছিল তখন ইরাকের সুন্নি মুসলমানরা ইসলামিক স্টেট অব ইরাক ও লেবান্ত বা সিরিয়া নামে একটি আলাদা ভুখণ্ড দাবি করে সশস্ত্র যুদ্ধে নামে। লেবান্ত হলো ইরাক এবং সিরিয়ার মধ্যবর্তী একটি অঞ্চল, যারা বহুকাল ধরে স্বাধিকার দাবি করে আসছে। তারা এতদিন সাদ্দামের বিরুদ্ধে লড়েছিল এবং সিরিয়া তাদের পাশে ছিল। সাদ্দামের পতনের আগে মার্কিনিরা লেবান্ত আন্দোলনকারীদের উৎসাহ জুগিয়ে আসছিল। ১৯৯৯ সালে আইএসআইএস ইরাকের ওয়াহাবি সুন্নিদের নিয়ে গঠন করা হয়। সাইপ্রাস, প্যালেস্টাইন, ইসরায়েল, লেবানন ও সিরিয়াকে বলা হয় লেবান্ত অঞ্চল। ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে সিরিয়ার সঙ্গে লাগানো লেবান্ত নামে ইরাকের একটি প্রদেশ আছে, যে প্রদেশটি বহুদিন ধরে স্বাধীনতার দাবি করে আসছিল। মার্কিনি ও পশ্চিমা দেশগুলো সাদ্দামবিরোধী অবস্থানের কারণে লেবান্তর দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল। কিন্তু ৯ এপ্রিল ২০০৩ সালে সাদ্দামের পতনের পর থেকে আমেরিকানরা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে ফেলে। সাদ্দামের পতনের পরে আমেরিকানদের পৃষ্ঠপোষকতায় শিয়ারা সুন্নিদের রাজনীতি থেকে হটিয়ে বাগদাদের ক্ষমতা হস্তগত করে যা সুন্নিরা মেনে নেয়নি। ২০১৪ সাল পর্যন্ত মার্কিন ও শিয়া গোষ্ঠীর কোয়ালিশন সরকার ইরাকের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে। আইএসআইএস বাগদাদের মার্কিন শিয়া কোয়ালিশন সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ফলে আমেরিকানরা আইএসআইএসের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং বিপক্ষে অবস্থান নেয়। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরে শিয়া, সুন্নি এবং অন্যান্য জাতি ও উপজাতিদের নিয়ে সরকার গঠন করা হয় এবং আইএসআইএসের যুদ্ধ বন্ধ করানোর জন্য সবাই এখন চেষ্টা করছে।

আইএসআইএস ইরাকের সুন্নি মুসলমানদের একটি রাজনৈতিক দল, যারা ইরাকে সুন্নিদের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম করছে। তারা কেন এবং কী কারণে ৯০ ভাগ সুন্নি মুসলমানদের বাংলাদেশে বিদেশিদের হত্যা করবে? এটা কি আইএসআইএসের স্বার্থবিরোধী হয়ে যাচ্ছে না? কাজেই অনেকেই বলছে গুলশানের এ নির্মম হত্যার সঙ্গে আইএসআইএসের কোনো স্বার্থ নেই এবং তাদের কোনো মোটিভও নেই। সেই সঙ্গে অনেকে এ কথাও বলছে গুলশান হত্যার পেছনে কোনো রাজনৈতিক মোটিভও কাজ করেনি। কারণ এ নির্মম ঘটনার পরে দেশে বা বিদেশে কেউই সরকারকে বা কোনো রাজনৈতিক দলকে দোষারোপ করেনি। তাই অনেকের ধারণা, গুলশান হত্যার মোটিভ খুঁজতে হবে অন্য কোথাও।

গুলশানে সব নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গলা কেটে। অনেকে বলে থাকেন একটি মুরগি জবাই করার পরেও মুরগিটি অনেকক্ষণ শব্দ করে দাপাদাপি করে। অথচ ২০ মিনিটের মধ্যে ১৯ জন মানুষের গলা কেটে ফেলা হলো কেউ চিৎকার-চেঁচামেচি, দাপাদাপি করল না। সবাই নীরবে মরে গেল। ছয়টি অপরিপক্ব যুবকের সামনে নির্বিকার চিত্তে ১৯ জন মানুষ একে একে তাদের গলাটি বাড়িয়ে দিলেন তাদের জবাই করার জন্য! আর আইএসআইএস এ নবিস জঙ্গিরা আপন আনন্দে এ নিরীহ মানুষগুলোর কল্লা কেটে ফেলল! এরকম একটি চিত্র সবাইকে বিশ্বাস করতে বলা হচ্ছে আর সবাই তা বিশ্বাস করে নিল তাইবা ভাবা হচ্ছে কী করে? তাই অনেকে মনে করে গুলশান হত্যার শিকড় অনেক গভীরে। এটি কথিত ছয়টি যুবকের কল্পকথা নয়। নির্দ্বিধায় বলা যায়, এ গলা কাটা হত্যাযজ্ঞটি যারা করেছে তারা কোনো জঙ্গি বা সন্ত্রাসী নয়। তারা অবশ্যই পেশাজীবী ভাড়াটিয়া খুনি যাদের এ ধরনের হত্যার অনেক চর্চা এবং অভিজ্ঞতা আছে। যারা নীরবে, নিভৃতে, জনগণের চোখের আড়ালে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের চক্ষুকে ফাঁকি দিয়ে অতি দক্ষতায় মানুষ হত্যা করতে পারে। মার্শাল আর্ট বলে একটি যুদ্ধবিদ্যা আছে যাকে কুংফু, ক্যারাতে, জুডু ইত্যাদি বলা হয়, যেখানে বিনা অস্ত্রে যে কোনো অস্ত্রধারীর আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষা করার কৌশল শিখানো হয়। তেমনি আরেকটি আক্রমণাত্মক মার্শাল আর্ট হলো নিনজা। নিনজা ফাইটাররা গোপনে যুদ্ধ লাইনের পিছনে শত্রু বাহিনীর ছাউনিতে প্রবেশ করে অতি নীরবে যে কোনো মানুষকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে চলে আসতে পারে। হত্যার সময় এতটুকু শব্দ হবে না এবং যতক্ষণ পর্যন্ত নিনজা ফাইটাররা হত্যাকারীকে ছেড়ে না দেবে ততক্ষণ রক্তও বাইরে পড়বে না। পৃথিবীতে এরকম নিনজা প্রশিক্ষণ অনেক সেনাবাহিনীতে দেওয়া হয় এবং অনেক পেশাদার খুনিও নিনজা প্রশিক্ষণে পারদর্শী হয়ে থাকে। বিদগ্ধজনের অনুমান গুলশান হত্যায় উচ্চমানের নিনজা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভাড়াটিয়া খুনিরা এ নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নিরাপদে অতি গোপনীয়তায় সবার চক্ষুকে ফাঁকি দিয়ে অকুস্থলে সেনাবাহিনী যাওয়ার আগেই সটকে পড়েছে। অনেকের ধারণা কোনো সাধারণ জঙ্গি বা সন্ত্রাসীদের পক্ষে বিশেষ করে এরকম ছয় মাস পলাতক বড় লোকের আদুরে রোমান্টিক কথিত ছয় যুবকের পক্ষে এরকম দক্ষতায় ১৯ জন মানুষকে এত অল্প সময়ে এত সুচারুভাবে গলা কেটে হত্যা করা কখনই সম্ভব হবে না। মূল হত্যাকারীরা অবশ্যই পেশাধারী খুনি ছিল বলে অনেকেই মনে করেন। মূল খুনিরা নিরাপদে পালিয়ে গেছে তা অনেকেই বিশ্বাস করেন।

এখন খুঁজতে হবে গুলশান হত্যার মোটিভ কি এবং মোটিভটি জানা গেলেই খুনিকে বা খুনিদের শনাক্ত করা বা ধরা সহজ হবে বলে অনেকের বিশ্বাস। অনেকেই মনে করেন গুলশান হত্যার পেছনে কোনো রাজনৈতিক মোটিভ ছিল না। অনেকের ধারণা, এটি মূলত ব্যবসায়িক স্বার্থসংশ্লিষ্ট আর্থিক স্বার্থের সংঘাত। ঘটনার দুই দিন আগে সরকার জাপানের জাইকার সঙ্গে ১৫ হাজার কোটি টাকা করে ৪৫ হাজার কোটি টাকার তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এ চুক্তিগুলো আরও আগেই স্বাক্ষর করার কথা ছিল কিন্তু বিভিন্ন প্রতিযোগী কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের আপত্তির কারণে চুক্তিগুলোর স্বাক্ষর করা দেরি হচ্ছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে কানাঘুষা শোনা যাচ্ছিল। বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দুটি বড় দেশের বিভিন্ন কোম্পানি নাকি এ কাজগুলোর জন্য বিভিন্ন মহলে দেনদরবার করে আসতেছিল বলে জনশ্রুতি আছে। এ বিষয়গুলো আমলে নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে আরও অনুসন্ধিত্সু দৃষ্টি দেওয়া সমীচীন বলে অনেকের ধারণা। এ বিষয়টি পরিষ্কার হলে জাপানিদের হত্যার একটি মোটিভ বেরিয়ে আসতে পারে বলে অনেকে মনে করেন।
ইতালীয়দের কেন হত্যা করা হলো তার মোটিভটি বের করাও জরুরি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ভ্যালু এডেড গার্মেন্টে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ইতালিয়ান সুট ও ট্রাউজারের কদর এবং মূল্য সবচেয়ে বেশি। ইদানীং অনেক ইতালিয়ান বাংলাদেশে এসে সুট ও ট্রাউজার তৈরি করিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। এ কাজটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে গ্রহণযোগ্য নয় কিন্তু বেআইনিও নয়। তাছাড়া এতে বাংলাদেশের আর্থিক লাভবানের সুযোগও বেশি, তাই স্থানীয়ভাবে কোনো বাধাও দেওয়া হচ্ছিল না। কিন্তু এতে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক গোষ্ঠী সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। গুলশানে ইতালিয়ানদের হত্যার পেছনে এ ধরনের ব্যবসায়িক বা আর্থিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সংঘাত কাজ করেছে কিনা সেটিও সরকারের বিবেচনায় নেওয়া উচিত বলে অনেকে মনে করেন।

সম্পদ এবং সংঘাত চিরন্তন সহাবস্থান। বাংলাদেশ এখন মেগা প্রকল্পের যুগে প্রবেশ করছে। সরকার যদি সাবধান না হয়, নিজে যদি সম্পদ আহরণের অনৈতিক কার্যক্রমে নিরপেক্ষ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে মোকাবিলা করতে না পারে তাহলে আরও বড় সংঘাত দেখা দিতে পারে যখন সরকার নিজেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি দেবেন আবার তাদের কাছ থেকে ত্রাণ নেবেন এ দ্বিমুখী আচরণের ফলাফল একদিন ভালো না-ও হতে পারে বলে অনেকে সাবধান বাণী শোনাচ্ছেন। হয়তো এ মুহূর্তে খারাপ লাগবে কিন্তু সময় বড় নির্মম, সে কাউকে ক্ষমা করে না। অপরাধী অপরাধীই। অপরাধীর পক্ষ নেওয়া কখনই সঠিক রাজনীতি হতে পারে না। হালুয়া রুটি দিয়ে ভুখা-নাঙ্গা কাপুরুষ দুর্নীতিবাজদের কেনা যায় কিন্তু জনগণের হৃদয়ে স্থান পাওয়া যায় না।

আমরা কেউ অমরত্ব নিয়ে এ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করিনি কিন্তু আমাদের মৃত্যু অপঘাতে হোক, অসন্মানজনক হোক তা চরম শত্রুর জন্যও কোনো বিবেকবান মানুষ কামনা করে না। যে মৃত্যুকে ভয় পায় সে কাপুরুষ আবার যে মৃত্যুকে তোয়াক্কা করে না সে কপট ধুরন্ধর যা কোনো চরিত্রবান মানুষের পরিচয় হতে পারে না। আমাদের ভুলে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না যে আমরা আমৃত্যু কেউ দায়িত্ব নেইনি। আমাদের সব দায়িত্বকাল নির্দিষ্ট সময় দ্বারা আবদ্ধ।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য।

Maj Akhtaruzzaman, ex-MP feels same as OP and other members incl myself. This may not have been ISIS r Islamic militants. He points fingers at Japan.
 
.
গুলশান হামলা ও তার সম্ভাব্য মোটিভ
Published On Saturday, July 23, 2016



maj-akhtar-1.jpg
মেজর মোঃ আখতারুজ্জামান (অব):
গত ১ জুলাই শুক্রবার রাত পৌনে ৯টায় একদল সন্ত্রাসীর ধামাকা আক্রমণে ঢাকার গুলশান লেকপাড়ে অভিজাত হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় ১ জন ভারতীয়, ৩ জন বাংলাদেশি, ৭ জন জাপানি ও ৯ জন ইতালীয়সহ ২০ জন নিরপরাধ মানুষ নিহত হয়। ১ জন বাংলাদেশি বাদে বাকি ১৯ জনকে অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয় বলে সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়। পুলিশের ভাষ্যমতে, ঘটনার ২০ মিনিটের মধ্যেই ২০ জনকে হত্যা করে ফেলা হয়। কিন্তু পুলিশের এ ভাষ্য অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। কারণ প্রথম আলোর ভাষ্যমতে, রাত পৌনে ৯টায় ‘আল্লাহু আকবর’ বলে অস্ত্রধারী সাতজন সন্ত্রাসী রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করে। রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশের একটি দল সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করে, তখন একটি বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলি শুরু হয়। তাতে দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৪০ জন আহত হয়। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী ২০ মিনিটের মধ্যে ২০ জনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে তথ্য প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি বলেই সবাই আলোচনা করছে। তবে এটা সত্য যে, রাত ১২টার আগেই প্রায় সবাইকে গলা কেটে হত্যা করেছে।

সবাই বলছে বা আলোচনা করছে এ বর্বর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল যে ছয়জন বাংলাদেশি তরুণ জঙ্গি তারা বিভিন্ন সময়ে নাকি গুম হয়ে গিয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট করে জানা যায়নি তারা কবে এবং কোথা থেকে গুম হয়েছিল। প্রায় সবাই বলার চেষ্টা করছে এ ছয়জন যুবক সবাই ইরাকের আইএসআইএসের সদস্য এবং তারাই নাকি ধারালো অস্ত্রে গুলশানে বিদেশিদের গলা কেটে হত্যা করেছে। অপরাধ বিজ্ঞান বলে, সব হত্যার একটি মোটিভ থাকে। তাই অনেকের প্রশ্ন, গুলশান হত্যার পেছনে আইএসআইএসের কী মোটিভ ছিল? আইএসআইএস বাংলাদেশের মাটিতে কেন ইতালি ও জাপানি নাগরিকদের হত্যা করবে? আইএসআইএসের বিরোধ মার্কিন বা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে। তারা হত্যা করলে মার্কিন বা ব্রিটিশ নাগরিকদের হত্যা করতে পারে কিন্তু সে হত্যার জন্য বাংলাদেশের মাটি কেন তারা ব্যবহার করবে? যদি বাংলাদেশের মাটিতেই বিদেশিদের হত্যা করে এ দেশে তাদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার প্রয়োজন ছিল তাহলে কাছেই তো আমেরিকান ক্লাব ছিল, সেখানে কেন তারা আক্রমণ করল না, এ প্রশ্নও জেগেছে অনেকের মনে।

আইএসআইএস যুদ্ধ করছে ইরাকে তাদের স্বতন্ত্র আবাসভূমির দাবিতে। মার্কিনিরা ইরাক দখলের পরে যখন ইরাককে দ্বিখণ্ডিত করতে চেয়েছিল তখন ইরাকের সুন্নি মুসলমানরা ইসলামিক স্টেট অব ইরাক ও লেবান্ত বা সিরিয়া নামে একটি আলাদা ভুখণ্ড দাবি করে সশস্ত্র যুদ্ধে নামে। লেবান্ত হলো ইরাক এবং সিরিয়ার মধ্যবর্তী একটি অঞ্চল, যারা বহুকাল ধরে স্বাধিকার দাবি করে আসছে। তারা এতদিন সাদ্দামের বিরুদ্ধে লড়েছিল এবং সিরিয়া তাদের পাশে ছিল। সাদ্দামের পতনের আগে মার্কিনিরা লেবান্ত আন্দোলনকারীদের উৎসাহ জুগিয়ে আসছিল। ১৯৯৯ সালে আইএসআইএস ইরাকের ওয়াহাবি সুন্নিদের নিয়ে গঠন করা হয়। সাইপ্রাস, প্যালেস্টাইন, ইসরায়েল, লেবানন ও সিরিয়াকে বলা হয় লেবান্ত অঞ্চল। ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে সিরিয়ার সঙ্গে লাগানো লেবান্ত নামে ইরাকের একটি প্রদেশ আছে, যে প্রদেশটি বহুদিন ধরে স্বাধীনতার দাবি করে আসছিল। মার্কিনি ও পশ্চিমা দেশগুলো সাদ্দামবিরোধী অবস্থানের কারণে লেবান্তর দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল। কিন্তু ৯ এপ্রিল ২০০৩ সালে সাদ্দামের পতনের পর থেকে আমেরিকানরা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে ফেলে। সাদ্দামের পতনের পরে আমেরিকানদের পৃষ্ঠপোষকতায় শিয়ারা সুন্নিদের রাজনীতি থেকে হটিয়ে বাগদাদের ক্ষমতা হস্তগত করে যা সুন্নিরা মেনে নেয়নি। ২০১৪ সাল পর্যন্ত মার্কিন ও শিয়া গোষ্ঠীর কোয়ালিশন সরকার ইরাকের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে। আইএসআইএস বাগদাদের মার্কিন শিয়া কোয়ালিশন সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ফলে আমেরিকানরা আইএসআইএসের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং বিপক্ষে অবস্থান নেয়। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরে শিয়া, সুন্নি এবং অন্যান্য জাতি ও উপজাতিদের নিয়ে সরকার গঠন করা হয় এবং আইএসআইএসের যুদ্ধ বন্ধ করানোর জন্য সবাই এখন চেষ্টা করছে।

আইএসআইএস ইরাকের সুন্নি মুসলমানদের একটি রাজনৈতিক দল, যারা ইরাকে সুন্নিদের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম করছে। তারা কেন এবং কী কারণে ৯০ ভাগ সুন্নি মুসলমানদের বাংলাদেশে বিদেশিদের হত্যা করবে? এটা কি আইএসআইএসের স্বার্থবিরোধী হয়ে যাচ্ছে না? কাজেই অনেকেই বলছে গুলশানের এ নির্মম হত্যার সঙ্গে আইএসআইএসের কোনো স্বার্থ নেই এবং তাদের কোনো মোটিভও নেই। সেই সঙ্গে অনেকে এ কথাও বলছে গুলশান হত্যার পেছনে কোনো রাজনৈতিক মোটিভও কাজ করেনি। কারণ এ নির্মম ঘটনার পরে দেশে বা বিদেশে কেউই সরকারকে বা কোনো রাজনৈতিক দলকে দোষারোপ করেনি। তাই অনেকের ধারণা, গুলশান হত্যার মোটিভ খুঁজতে হবে অন্য কোথাও।

গুলশানে সব নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গলা কেটে। অনেকে বলে থাকেন একটি মুরগি জবাই করার পরেও মুরগিটি অনেকক্ষণ শব্দ করে দাপাদাপি করে। অথচ ২০ মিনিটের মধ্যে ১৯ জন মানুষের গলা কেটে ফেলা হলো কেউ চিৎকার-চেঁচামেচি, দাপাদাপি করল না। সবাই নীরবে মরে গেল। ছয়টি অপরিপক্ব যুবকের সামনে নির্বিকার চিত্তে ১৯ জন মানুষ একে একে তাদের গলাটি বাড়িয়ে দিলেন তাদের জবাই করার জন্য! আর আইএসআইএস এ নবিস জঙ্গিরা আপন আনন্দে এ নিরীহ মানুষগুলোর কল্লা কেটে ফেলল! এরকম একটি চিত্র সবাইকে বিশ্বাস করতে বলা হচ্ছে আর সবাই তা বিশ্বাস করে নিল তাইবা ভাবা হচ্ছে কী করে? তাই অনেকে মনে করে গুলশান হত্যার শিকড় অনেক গভীরে। এটি কথিত ছয়টি যুবকের কল্পকথা নয়। নির্দ্বিধায় বলা যায়, এ গলা কাটা হত্যাযজ্ঞটি যারা করেছে তারা কোনো জঙ্গি বা সন্ত্রাসী নয়। তারা অবশ্যই পেশাজীবী ভাড়াটিয়া খুনি যাদের এ ধরনের হত্যার অনেক চর্চা এবং অভিজ্ঞতা আছে। যারা নীরবে, নিভৃতে, জনগণের চোখের আড়ালে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের চক্ষুকে ফাঁকি দিয়ে অতি দক্ষতায় মানুষ হত্যা করতে পারে। মার্শাল আর্ট বলে একটি যুদ্ধবিদ্যা আছে যাকে কুংফু, ক্যারাতে, জুডু ইত্যাদি বলা হয়, যেখানে বিনা অস্ত্রে যে কোনো অস্ত্রধারীর আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষা করার কৌশল শিখানো হয়। তেমনি আরেকটি আক্রমণাত্মক মার্শাল আর্ট হলো নিনজা। নিনজা ফাইটাররা গোপনে যুদ্ধ লাইনের পিছনে শত্রু বাহিনীর ছাউনিতে প্রবেশ করে অতি নীরবে যে কোনো মানুষকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে চলে আসতে পারে। হত্যার সময় এতটুকু শব্দ হবে না এবং যতক্ষণ পর্যন্ত নিনজা ফাইটাররা হত্যাকারীকে ছেড়ে না দেবে ততক্ষণ রক্তও বাইরে পড়বে না। পৃথিবীতে এরকম নিনজা প্রশিক্ষণ অনেক সেনাবাহিনীতে দেওয়া হয় এবং অনেক পেশাদার খুনিও নিনজা প্রশিক্ষণে পারদর্শী হয়ে থাকে। বিদগ্ধজনের অনুমান গুলশান হত্যায় উচ্চমানের নিনজা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভাড়াটিয়া খুনিরা এ নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নিরাপদে অতি গোপনীয়তায় সবার চক্ষুকে ফাঁকি দিয়ে অকুস্থলে সেনাবাহিনী যাওয়ার আগেই সটকে পড়েছে। অনেকের ধারণা কোনো সাধারণ জঙ্গি বা সন্ত্রাসীদের পক্ষে বিশেষ করে এরকম ছয় মাস পলাতক বড় লোকের আদুরে রোমান্টিক কথিত ছয় যুবকের পক্ষে এরকম দক্ষতায় ১৯ জন মানুষকে এত অল্প সময়ে এত সুচারুভাবে গলা কেটে হত্যা করা কখনই সম্ভব হবে না। মূল হত্যাকারীরা অবশ্যই পেশাধারী খুনি ছিল বলে অনেকেই মনে করেন। মূল খুনিরা নিরাপদে পালিয়ে গেছে তা অনেকেই বিশ্বাস করেন।

এখন খুঁজতে হবে গুলশান হত্যার মোটিভ কি এবং মোটিভটি জানা গেলেই খুনিকে বা খুনিদের শনাক্ত করা বা ধরা সহজ হবে বলে অনেকের বিশ্বাস। অনেকেই মনে করেন গুলশান হত্যার পেছনে কোনো রাজনৈতিক মোটিভ ছিল না। অনেকের ধারণা, এটি মূলত ব্যবসায়িক স্বার্থসংশ্লিষ্ট আর্থিক স্বার্থের সংঘাত। ঘটনার দুই দিন আগে সরকার জাপানের জাইকার সঙ্গে ১৫ হাজার কোটি টাকা করে ৪৫ হাজার কোটি টাকার তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এ চুক্তিগুলো আরও আগেই স্বাক্ষর করার কথা ছিল কিন্তু বিভিন্ন প্রতিযোগী কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের আপত্তির কারণে চুক্তিগুলোর স্বাক্ষর করা দেরি হচ্ছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে কানাঘুষা শোনা যাচ্ছিল। বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দুটি বড় দেশের বিভিন্ন কোম্পানি নাকি এ কাজগুলোর জন্য বিভিন্ন মহলে দেনদরবার করে আসতেছিল বলে জনশ্রুতি আছে। এ বিষয়গুলো আমলে নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে আরও অনুসন্ধিত্সু দৃষ্টি দেওয়া সমীচীন বলে অনেকের ধারণা। এ বিষয়টি পরিষ্কার হলে জাপানিদের হত্যার একটি মোটিভ বেরিয়ে আসতে পারে বলে অনেকে মনে করেন।
ইতালীয়দের কেন হত্যা করা হলো তার মোটিভটি বের করাও জরুরি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ভ্যালু এডেড গার্মেন্টে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ইতালিয়ান সুট ও ট্রাউজারের কদর এবং মূল্য সবচেয়ে বেশি। ইদানীং অনেক ইতালিয়ান বাংলাদেশে এসে সুট ও ট্রাউজার তৈরি করিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। এ কাজটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে গ্রহণযোগ্য নয় কিন্তু বেআইনিও নয়। তাছাড়া এতে বাংলাদেশের আর্থিক লাভবানের সুযোগও বেশি, তাই স্থানীয়ভাবে কোনো বাধাও দেওয়া হচ্ছিল না। কিন্তু এতে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক গোষ্ঠী সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। গুলশানে ইতালিয়ানদের হত্যার পেছনে এ ধরনের ব্যবসায়িক বা আর্থিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সংঘাত কাজ করেছে কিনা সেটিও সরকারের বিবেচনায় নেওয়া উচিত বলে অনেকে মনে করেন।

সম্পদ এবং সংঘাত চিরন্তন সহাবস্থান। বাংলাদেশ এখন মেগা প্রকল্পের যুগে প্রবেশ করছে। সরকার যদি সাবধান না হয়, নিজে যদি সম্পদ আহরণের অনৈতিক কার্যক্রমে নিরপেক্ষ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে মোকাবিলা করতে না পারে তাহলে আরও বড় সংঘাত দেখা দিতে পারে যখন সরকার নিজেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি দেবেন আবার তাদের কাছ থেকে ত্রাণ নেবেন এ দ্বিমুখী আচরণের ফলাফল একদিন ভালো না-ও হতে পারে বলে অনেকে সাবধান বাণী শোনাচ্ছেন। হয়তো এ মুহূর্তে খারাপ লাগবে কিন্তু সময় বড় নির্মম, সে কাউকে ক্ষমা করে না। অপরাধী অপরাধীই। অপরাধীর পক্ষ নেওয়া কখনই সঠিক রাজনীতি হতে পারে না। হালুয়া রুটি দিয়ে ভুখা-নাঙ্গা কাপুরুষ দুর্নীতিবাজদের কেনা যায় কিন্তু জনগণের হৃদয়ে স্থান পাওয়া যায় না।

আমরা কেউ অমরত্ব নিয়ে এ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করিনি কিন্তু আমাদের মৃত্যু অপঘাতে হোক, অসন্মানজনক হোক তা চরম শত্রুর জন্যও কোনো বিবেকবান মানুষ কামনা করে না। যে মৃত্যুকে ভয় পায় সে কাপুরুষ আবার যে মৃত্যুকে তোয়াক্কা করে না সে কপট ধুরন্ধর যা কোনো চরিত্রবান মানুষের পরিচয় হতে পারে না। আমাদের ভুলে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না যে আমরা আমৃত্যু কেউ দায়িত্ব নেইনি। আমাদের সব দায়িত্বকাল নির্দিষ্ট সময় দ্বারা আবদ্ধ।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য।

Maj Akhtaruzzaman, ex-MP feels same as OP and other members incl myself. This may not have been ISIS r Islamic militants. He points fingers at Japan.

So Ninja warriors were involved in Gulshan attack...!! :lol:
 
. . .
So, Zakir Naik is clear now??

The conspiracy theories have not permeated to that level in Bangladesh society and esp their govt....


....yet. (Considering they blamed MOSSAD+BNP nexus for terrorism earlier)
 
.
গুলশান হামলা ও তার সম্ভাব্য মোটিভ
Published On Saturday, July 23, 2016



maj-akhtar-1.jpg
মেজর মোঃ আখতারুজ্জামান (অব):


সবাই বলছে বা আলোচনা করছে এ বর্বর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল যে ছয়জন বাংলাদেশি তরুণ জঙ্গি তারা বিভিন্ন সময়ে নাকি গুম হয়ে গিয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট করে জানা যায়নি তারা কবে এবং কোথা থেকে গুম হয়েছিল। প্রায় সবাই বলার চেষ্টা করছে এ ছয়জন যুবক সবাই ইরাকের আইএসআইএসের সদস্য এবং তারাই নাকি ধারালো অস্ত্রে গুলশানে বিদেশিদের গলা কেটে হত্যা করেছে। অপরাধ বিজ্ঞান বলে, সব হত্যার একটি মোটিভ থাকে। তাই অনেকের প্রশ্ন, গুলশান হত্যার পেছনে আইএসআইএসের কী মোটিভ ছিল? আইএসআইএস বাংলাদেশের মাটিতে কেন ইতালি ও জাপানি নাগরিকদের হত্যা করবে? আইএসআইএসের বিরোধ মার্কিন বা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে। তারা হত্যা করলে মার্কিন বা ব্রিটিশ নাগরিকদের হত্যা করতে পারে কিন্তু সে হত্যার জন্য বাংলাদেশের মাটি কেন তারা ব্যবহার করবে? যদি বাংলাদেশের মাটিতেই বিদেশিদের হত্যা করে এ দেশে তাদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার প্রয়োজন ছিল তাহলে কাছেই তো আমেরিকান ক্লাব ছিল, সেখানে কেন তারা আক্রমণ করল না, এ প্রশ্নও জেগেছে অনেকের মনে।

আইএসআইএস যুদ্ধ করছে ইরাকে তাদের স্বতন্ত্র আবাসভূমির দাবিতে। মার্কিনিরা ইরাক দখলের পরে যখন ইরাককে দ্বিখণ্ডিত করতে চেয়েছিল তখন ইরাকের সুন্নি মুসলমানরা ইসলামিক স্টেট অব ইরাক ও লেবান্ত বা সিরিয়া নামে একটি আলাদা ভুখণ্ড দাবি করে সশস্ত্র যুদ্ধে নামে। লেবান্ত হলো ইরাক এবং সিরিয়ার মধ্যবর্তী একটি অঞ্চল, যারা বহুকাল ধরে স্বাধিকার দাবি করে আসছে। তারা এতদিন সাদ্দামের বিরুদ্ধে লড়েছিল এবং সিরিয়া তাদের পাশে ছিল। সাদ্দামের পতনের আগে মার্কিনিরা লেবান্ত আন্দোলনকারীদের উৎসাহ জুগিয়ে আসছিল। ১৯৯৯ সালে আইএসআইএস ইরাকের ওয়াহাবি সুন্নিদের নিয়ে গঠন করা হয়। সাইপ্রাস, প্যালেস্টাইন, ইসরায়েল, লেবানন ও সিরিয়াকে বলা হয় লেবান্ত অঞ্চল। ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে সিরিয়ার সঙ্গে লাগানো লেবান্ত নামে ইরাকের একটি প্রদেশ আছে, যে প্রদেশটি বহুদিন ধরে স্বাধীনতার দাবি করে আসছিল। মার্কিনি ও পশ্চিমা দেশগুলো সাদ্দামবিরোধী অবস্থানের কারণে লেবান্তর দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল। কিন্তু ৯ এপ্রিল ২০০৩ সালে সাদ্দামের পতনের পর থেকে আমেরিকানরা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে ফেলে। সাদ্দামের পতনের পরে আমেরিকানদের পৃষ্ঠপোষকতায় শিয়ারা সুন্নিদের রাজনীতি থেকে হটিয়ে বাগদাদের ক্ষমতা হস্তগত করে যা সুন্নিরা মেনে নেয়নি। ২০১৪ সাল পর্যন্ত মার্কিন ও শিয়া গোষ্ঠীর কোয়ালিশন সরকার ইরাকের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে। আইএসআইএস বাগদাদের মার্কিন শিয়া কোয়ালিশন সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ফলে আমেরিকানরা আইএসআইএসের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং বিপক্ষে অবস্থান নেয়। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরে শিয়া, সুন্নি এবং অন্যান্য জাতি ও উপজাতিদের নিয়ে সরকার গঠন করা হয় এবং আইএসআইএসের যুদ্ধ বন্ধ করানোর জন্য সবাই এখন চেষ্টা করছে।

আইএসআইএস ইরাকের সুন্নি মুসলমানদের একটি রাজনৈতিক দল, যারা ইরাকে সুন্নিদের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম করছে। তারা কেন এবং কী কারণে ৯০ ভাগ সুন্নি মুসলমানদের বাংলাদেশে বিদেশিদের হত্যা করবে? এটা কি আইএসআইএসের স্বার্থবিরোধী হয়ে যাচ্ছে না? কাজেই অনেকেই বলছে গুলশানের এ নির্মম হত্যার সঙ্গে আইএসআইএসের কোনো স্বার্থ নেই এবং তাদের কোনো মোটিভও নেই। সেই সঙ্গে অনেকে এ কথাও বলছে গুলশান হত্যার পেছনে কোনো রাজনৈতিক মোটিভও কাজ করেনি। কারণ এ নির্মম ঘটনার পরে দেশে বা বিদেশে কেউই সরকারকে বা কোনো রাজনৈতিক দলকে দোষারোপ করেনি। তাই অনেকের ধারণা, গুলশান হত্যার মোটিভ খুঁজতে হবে অন্য কোথাও।

Let us ask IS(Not ISIS or ISIL...there is a reason why they changed their name....the "Major" doesn't seem to keep up with the news) why they did it....their motives were very clear...the want to establish Khilafah and BD has to become a part of that Khilafah....to do that they have to topple what they call the "tagut" government.....one way they are not going to do it is by killing sunni muslims in BD...thats why there targets were Kafirs...and killing Deshi Kafirs didn't send their message to the their target global audience...they knew killing foreigners would do the trick so they did it....it is a matter of shame how an officer would be stupid enough to not to know that IS wants a global Khilafah and not a exclusive land in Iraq and Syria. His argument falls apart when he shows his ignorance about the motive of IS itself.....I hope the military increase their standards and not produce people who cannot read proper news.
 
.
@asad71 wrote:

Maj Akhtaruzzaman, ex-MP feels same as OP and other members incl myself. This may not have been ISIS r Islamic militants. He points fingers at Japan.
Source: https://defence.pk/threads/effort-t...vert-naval-gambit.440258/page-3#ixzz4FO4ocNoH
https://defence.pk/threads/effort-t...vert-naval-gambit.440258/page-3#ixzz4FO4ocNoH
I personally met and talked with this Major Akhtaruzzaman in Dhaka. He seemed to me as a good person. But, he is quite a crazy type of person when he talks. As far as I remember he used to criticize BKZ and BNP when he was an MP elected from the BNP. Subsequently or as a consequence he had to leave BNP.

After many years in his effort to make a come back to BNP he wrote a gossip to please the BNP leadership. I request @asad71 not to send gossip news that is meant to derail the public opinion from the truth.
 
.
I request @asad71 not to send gossip news that is meant to derail the public opinion from the truth.

Your request will fall on deaf ears.

This asad guy has openly said the youth of Bangladesh are justified in acting in such terrorism as it is an "enlightened resistance" to "Indian and BAL hegemony".

Anything but the simple truth of the matter, this asad fellow tends to not like.....he prefers complicated conspiracy theories involving foreigners and hidden agendas of dada.....no matter how ridiculous or far fetched they sound.....even after they have been disproven.

He has packaged all this in his head as strongly as his own faith in his religion. You cannot change him....beyond age 30 people become much too stubborn in their thinking.....and this guy was a 1971 and even 1965 war veteran apparently....so he is well passed saving and requesting.
 
.
Your request will fall on deaf ears.

This asad guy has openly said the youth of Bangladesh are justified in acting in such terrorism as it is an "enlightened resistance" to "Indian and BAL hegemony".

Anything but the simple truth of the matter, this asad fellow tends to not like.....he prefers complicated conspiracy theories involving foreigners and hidden agendas of dada.....no matter how ridiculous or far fetched they sound.....even after they have been disproven.

This @asad71 the PDF military veteran should have sent a group of youth to a BAL branch office somewhere instead of sending a group to kill unarmed foreigners, who were our valued gusts of honor.
 
.
What is this? Another conspiracy theory?

Why am I even asking this, asad71 "the englightened resistance" supporter is here.
This is one of the corniest conspiracy theories I've heard in a long long time! And they're getting sillier by the day.

I'm outta here.
 
.
This @asad71 the PDF military veteran should have sent a group of youth to a BAL branch office somewhere instead of sending a group to kill unarmed foreigners, who were our valued gusts of honor.

Are you saying its justified to do so against BAL office people?

You know what bloodshed that will cause in response?

Come on don't suggest things that are bad for your country.

Violence begets violence.
 
.
Are you saying its justified to do so against BAL office people?

You know what bloodshed that will cause in response?

Come on don't suggest things that are bad for your country.

Violence begets violence.

That's why our BDR was paying back twice whenever the criminal BSF killed any BD citizen. That's why RAW had enacted Op Peelkhana Massacre.
 
.

Country Latest Posts

Back
Top Bottom