New Railway equipment for BR.
Meter Gauge DEMU (China)
BR flagship train Shuborna Express toward Dhaka. (Meter Gauge Chinese coach + Korean Loco )
Coverage of Indian LHB coach order from Bangladesh in Indian Media (largest ever at
RUPEES 370 CRORES)
Indonesian Coach order as well.
What amazes me is that the BR gandoos never even 'thought' about ToT while contemplating these humongous orders. These people don't deserve anything less than a summary full-labor jail term for the graft they committed..
By the way the Indian coaches cost BDT 1 million more (each) compared to Indonesian coaches. Also, since Indonesia is a fellow Muslim country we should buy from them in the future....
Local press comments about sub-par quality in Indian coaches....
এক মাস ধরে ওয়ার্কশপে ভারতের নতুন কোচ ইসমাইল আলী | ২০১৬-০৪-৩০ ইং
inShare
ভারত থেকে প্রথম চালানে ২০টি ব্রড গেজ যাত্রীবাহী কোচ দেশে পৌঁছে গত ২২ মার্চ। এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কোচগুলোর লোড টেস্ট (যাত্রী ধারণক্ষমতা পরীক্ষা) হয়নি। এজন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও সরবরাহ করেনি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভারতের রাইটস লিমিটেড। ফলে চালু করা যাচ্ছে না লাল-সবুজ কোচের নতুন ট্রেন।
দ্বিতীয় চালানে ৪ এপ্রিল দেশে আসে আরো ২০টি কোচ। একই অবস্থা সেগুলোরও। সবগুলো কোচই বসে আছে রেলওয়ের সৈয়দপুর ওয়ার্কশপে।
ভারত থেকে ১২০টি ব্রড গেজ কোচ কেনায় গত বছর জানুয়ারিতে চুক্তি করে রেলওয়ে। এর আওতায় প্রথম চালানে সরবরাহ করা ২০টি কোচের মধ্যে শোভন চেয়ার আটটি, এসি বার্থ ও এসি চেয়ার নয়টি এবং পাওয়ার কার ও গার্ড ব্রেক তিনটি। দ্বিতীয় চালানেও একই ধরনের নয়টি এসি, আটটি নন-এসি ও তিনটি পাওয়ার কার বগি আসে। দর্শনা স্থলবন্দর থেকে কোচগুলো দেশে প্রবেশের পর সরাসরি নেয়া হয় সৈয়দপুর ওয়ার্কশপে।
পরিকল্পনা অনুসারে, ২০ দিনের মধ্যে নতুন কোচগুলোর ট্রায়াল রান (পরীক্ষামূলক চলাচল) ও ধারণক্ষমতা পরীক্ষা সম্পন্ন করার কথা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) কোচগুলো দিয়ে ঢাকা-রাজশাহী ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু এখনো কোচগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়নি। ফলে কবে নাগাদ নতুন ব্রড গেজ কোচ চালু করা যাবে তা এখনো নিশ্চিত নয়।
সূত্র জানায়,
রাইটসের প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতেই সম্প্রতি প্রথম চালানের ২০টি কোচের ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়। এজন্য সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পর্যন্ত কোচগুলো চালানো হয়। তবে ১০০ কিলোমিটার গতিতে চালানোয় কোচগুলো থেকে প্রচণ্ড শব্দ হয়। যদিও এগুলোর ডিজাইন স্পিড ধরা হয়েছে ১২০ কিলোমিটার। এছাড়া লোড টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এখনো সরবরাহ করেনি রাইটস লিমিটেড। এতে লোড টেস্ট শুরু করা যাচ্ছে না।
যদিও
ইন্দোনেশিয়া থেকে ১০ এপ্রিল দেশে আসা ১৫টি কোচের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব ধরনের যন্ত্রপাতি পাঠিয়েছে দেশটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইনকা-পিটি ইন্ডাস্ট্রিজ। প্রথম চালানে ১৫টি মিটার গেজ কোচের মধ্যে রয়েছে ১১টি শোভন চেয়ার, দুটি চেয়ার কোচ, খাবারের গাড়ি ও গার্ডব্রেক, একটি পাওয়ার কার এবং একটি প্রথম শ্রেণীর কোচ। ট্রায়াল রান ও লোড টেস্ট শেষে সেগুলো এখন চলাচলের জন্য প্রস্তুত। শিগগিরই ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে নতুন বিরতিহীন ট্রেনের মাধ্যমে কোচগুলো চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
জানতে চাইলে
ভারতীয় ১২০ কোচ ক্রয় প্রকল্পের পরিচালক ও বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (পশ্চিমাঞ্চল) মো. ইফতেখার হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, প্রথমে কোচগুলোর লোড টেস্ট করায় সম্মত হয়নি রাইটস লিমিটেড। এজন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পরে কয়েক দফা অনুরোধের পর এগুলোর লোড টেস্টে সম্মত হয় তারা। এজন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি শিগগিরই বাংলাদেশে পাঠাবে ভারতীয় কোম্পানিটি। এর পর কোচগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন কোচ বা ইঞ্জিন কেনার পর সবসময়ই লোড টেস্ট শেষে সেগুলো গ্রহণ করা হয়। ভারতের ক্ষেত্রেও চুক্তিতে তা-ই ছিল। কিন্তু হঠাত্ তা করতে অসম্মতি জানায় তারা। এতে নতুন কোচ পড়ে থাকায় সৈয়দপুর ওয়ার্কশপে নিয়মিত মেরামত কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। কারণ ওয়ার্কশপে প্রচুর জায়গা দখল করে আছে নতুন কোচগুলো।
এদিকে ভারতের সরবরাহকৃত নতুন কোচের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
স্টেইনলেস স্টিলের বলা হলেও বাস্তবে এগুলো তুলনামূলক কম দামের ও নিম্নমানের বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। কেউ কেউ কোচগুলোকে স্টেইনলেস স্টিলের পরিবর্তে ভারতীয় স্টিলের বলছেন। এতে কোচগুলোর সর্বোচ্চ আয়ুষ্কাল ৮০ বছর ধরা হলেও কত বছর সেবা পাওয়া যাবে, তা নিয়ে সন্দিহান রেলওয়ের মেকানিক্যাল বিভাগের প্রকৌশলীরা।
তবে কোচের মান নিয়ে কোনো সংশয় নেই বলে মনে করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) মো. শামসুজ্জামান। তিনি বলেন, কোচগুলো স্টেইনলেস স্টিলের হওয়ায় গুণগত মান নিয়ে কোনো ধরনের সন্দেহের অবকাশ নেই। এছাড়া নির্মাণকালে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের অতিরিক্ত চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের নেতৃত্বে একটি টিম ভারতে এক মাস অবস্থান করে। তাদের তত্ত্বাবধানে কোচগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে সঠিকভাবে ও সঠিক মানের কোচই সরবরাহ করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে
রেলওয়ের অতিরিক্ত চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের (পশ্চিম) ফকির মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, কোচ নির্মাণকালে এক মাস ভারতে অবস্থান করলেও রাইটসের কারখানা থেকে অনেক দূরে ছিল হোটেল। এছাড়া সবসময় কারখানা পরিদর্শনের সুযোগও ছিল না। তবে কোচের মান নিয়ে কোনো সংশয় নেই বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ভারত থেকে
১২০টি ব্রড গেজ কোচ কেনায় ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৬২৪ কোটি টাকা। এতে কোচপ্রতি ব্যয় হচ্ছে গড়ে ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। আর
ইন্দোনেশিয়া থেকে ৫০টি ব্রড গেজ কোচ কেনায় কোচপ্রতি ব্যয় হয় গড়ে ৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। পাশাপাশি
ইন্দোনেশিয়া থেকে ১০০টি মিটার গেজ কোচও কেনা হচ্ছে। এতে গড়ে ব্যয় হচ্ছে কোচপ্রতি ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ১৫০টি কোচ কেনায় ব্যয় পড়বে ৫৬২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এগুলো কেনায় ২০১৪ সালের নভেম্বরে চুক্তি করা হয়।