What's new

A 56000 Square Mile worth of Jail!

M_Saint

FULL MEMBER
Joined
Nov 11, 2008
Messages
1,866
Reaction score
0
Country
Bangladesh
Location
United States
Never conceived the idea of 'Prison State' at my young age but as 'A poetic justice', my beloved one has turned out to be one since OCT.28th 2006 with the death of humanity through Lathi-Baita. Terming opposition, disliked one as RAZAKAR; to kill fellow human being on broad day-light like snake and shut the sane but fear fool’s voice is only possible in an entity called Bangladesh. For the so-called independence of which, millions of carrots have been promised but none was delivered; one would think the cruelty of medieval era is over but the following examples would reflect that it was still prevalent at the most intense of same entity named BD. The following are 2 examples of torture and harassments on opposition out of thousands...

Exhibit-1
শিবিরের নেতা-কর্মীদের ওপর অমানসিক নির্যাতন চালানোর তীব্র নিন্দা
পুলিশের নৃশংস নির্যাতন অতীতে রক্ষী বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয় -মকবুল আহমদ
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় মাদরাসা কার্যক্রম সম্পাদক হাফেজ শাহীনুর রহমান, ঢাকা মহানগরী পশ্চিমের সভাপতি সাজ্জাদ হোসাইন ও সেক্রেটারি গোলাম কিবরিয়াসহ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩৮ জন নেতা-কর্মীর ওপর অমানসিক নির্যাতন চালানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমদ গতকাল রোববার বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, এ অবস্থায় পুলিশ তাদের রিমান্ডে নিয়ে আবারও তাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালাচ্ছে। পুলিশ তাদের হাত-পা-শরীর থেঁতলে দিয়েছে, অনেকের হাতের নখ উপরে ফেলেছে, অনেকের চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুলিশের এ ধরনের অত্যাচার-নির্যাতনের কোনো নজীর এ দেশের ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ ধরনের বর্বরোচিত অত্যাচার ও নির্যতান কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক সমাজে কল্পনাও করা যায় না। তিনি আরো বলেন, ছাত্রদের ওপর এ ধরনের অকথ্য নির্যাতন গণতন্ত্র ও আইনের শাসন এবং মানবাধিকারের পরিপন্থী। ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাদের ওপর পুলিশের এ ধরনের নৃশংস নির্যাতন অতীতে আওয়ামী বাকশালী সরকারের রক্ষী বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনের কথাই জাতিকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

মকবুল আহমদ বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ অপারেশন স্টিংয়ের নামে সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করতে ঘরে ঘরে হানা দিচ্ছে। পুলিশ বাসাবাড়ী, ছাত্রাবাস, হোস্টেল ও মেসে হানা দিয়ে তল্লাসীর নামে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। সরকারের এহেন অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার প্রতি তীব্র গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান। ইসলামী ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধ করে তাদের অবিলম্বে মুক্তি প্রদান করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান।

Exhibit-2
রিমান্ডে নেয়া ২০ পর্দানশীন নারীর সাথে অমানবিক আচরণ নির্যাতনের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থার ১৯ নেতা-কর্মী ও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কারাবন্দি আব্দুল কাদের মোল্লার স্ত্রী সানোয়ারা জাহানসহ ২০ জনকে দু'দিনের রিমান্ড শেষে আজ শুক্রবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হবে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার ওসি (তদন্ত) মশিউর রহমান এ তথ্য জানিয়ে দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, নতুন করে আর রিমান্ডের প্রার্থনা আদালতে করা হবে কি না এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এদিকে রিমান্ডে নেয়া ২০ পর্দানশীন নারীর সাথে রমনা থানার হাজতে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগে প্রকাশ। গত ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাদেরকে ৪৯৩, বড় মগবাজারস্থ সংগঠনের কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর তাদেরকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিযে আদালতে রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত দু'দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

জানা গেছে, কোন সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই গত ১৭ নবেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় ২০ নারীকে গ্রেফতার করে রমনা থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর কোন প্রকার অভিযোগ দাঁড় করাতে না পেরে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান রমনা থানার ওসি (তদন্ত) মশিউর রহমান। তার অতি উৎসাহ ভাবের ফলেই পরদিন ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ২০ নারীকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন উল্লেখ করে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত এ আবেদনের প্রেক্ষিতে দু'দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এরপর ২০ নারীকে রমনা থানা হাজতে এনে রাখা হয়।

জানা গেছে, রমনা থানায় দুটি হাজতখানা আছে। একটি নারীদের জন্য। দুটি হাজতখানার অবস্থাই খারাপ। পর্যাপ্ত আলো, বাতাস নেই। প্রথম দেখেই মনে হবে অন্ধকারের খুপড়ি ঘর। হাজতখানায় তাদেরকে এই শীতের মধ্যে অবর্ণনীয় অবস্থায় রাখা হয়। গাদাগাদি করে মেধাবী এসব শিক্ষার্থীকে থাকতে গিয়ে তারা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। এ অবস্থায় তাদের জন্য বরাদ্দকৃত খাবারও ঠিকমতো দেয়া হচ্ছে না। তাদের স্বজনরা দেখা-সাক্ষাৎ করতে গেলেও তা করতে দেয়া হচ্ছে না। গ্রেফতারকৃত ১৯ ছাত্রীর সবাই উচ্চ বিদ্যাপীঠের। তাদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ও মেডিকেলের ছাত্রীও আছে। পর্দানশীন এসব নারীর জন্য প্রয়োজনীয় বাথরুম সুবিধা নেই। ঠিকমতো অযু, গোসলের ব্যবস্থাও নেই। এ অবস্থায় তাদের নামায পড়তে সমস্যা হচ্ছে।


অভিযোগে প্রকাশ, দু'দিনের রিমান্ডে নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদের নামে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের ওপর পৃথক পৃথকভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। তাছাড়া তাদেরকে রাতের বেলায় ঘুমাতেও দেয়া হচ্ছে না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই মেধাবী এসব ছাত্রীদের সাথে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের ছাত্রী সংগঠনের নেতা-কর্মী হওয়ার কারণেই সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে আদালতের মানবিক মূল্যবোধ নিয়েও বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দৈনিক সংগ্রামকে জানান, তাদের দু'দিনের রিমান্ড শেষ। আজ শুক্রবার আদালতে পাঠানো হবে। নতুন করে আবার রিমান্ড চাওয়া হবে কি না এ প্রশ্নের জবাবে মশিউর সংগ্রামকে জানান, এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ২০ নারীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে এ অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, উনারা মহিলা মানুষ। কি নির্যাতন করা হবে? নির্যাতনের কোন কারণ নেই। ৫৪ ধারায় গ্রেফতারের পর কাউকে রিমান্ডে আনার আইনগত দিক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৫৪ ধারাও একটি ধারা। যেকোন ধারাতেই রিমান্ড চাওয়া যায় এবং আনা যায়। কারণ তাদেরকে সন্দেহজনক মনে হয়েছে। এজন্য জিজ্ঞাসাবাদ করতেই রিমান্ডে আনা হয়েছে। রিমান্ডে কি কি তথ্য পাওয়া গেছে এর উত্তর না দিয়েই মশিউর রহমান বলেন, তদন্তের স্বার্থে এসব বলা যাবে না।

To be continued..
 
.
Seating in comfy, we have the liberty to express our grudges against RAWAMY dalals whereas in BD, the real patriots/the finest sons are getting treatment of Jaheliahs.

Even in 'Wild Wild West', there were sort of parities/level playing fields of warring parties but that was completely absent in BD, where people's taxed run police, law enforcers became RAWAMY cadres. Question needs to be asked on why are 'Law Enforcers' so ruthless against their natives? There could only be a viable answer to this, they have been made hateful/indoctrinated by outsiders or their deshi dalals. Then who could be those outsiders? Then one needs to look at where Kashmir or Gaza is located IMO...




দেশব্যাপী শিবির-পুলিশ সংঘর্ষ : গুলি ভাংচুর আগুন : আহত তিন শতাধিক, গ্রেফতার দু’শ
স্টাফ রিপোর্টার



গতকাল রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ইসলামী ছাত্রশিবির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। শিবিরের মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়ে হামলা করলে সংঘর্ষ, গুলি, টিয়ারগ্যাস, যানবাহন ভাংচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ইয়াহইয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ঢাকাসহ সারাদেশে একযোগে বিক্ষোভ করে শিবির। বিক্ষোভকালে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও দিনাজপুরে বড় ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটে। রাজধানীর মতিঝিল, দৈনিক বাংলা, সচিবালয় ও তেজগাঁও এলাকায় শিবির-পুলিশ দফায় দফায় সংঘর্ষ, গুলি, ভাংচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রথমবারের মতো প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের সামনে গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় তিন সচিব ও অর্থমন্ত্রীর প্রটোকলের গাড়ি ভাংচুর হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অর্থমন্ত্রীর প্রটোকলের দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ। পুলিশ শিবির কর্মীদের ওপর টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ ছাড়াও গ্যাস গ্রেনেড ছোড়ে। সারাদেশে সংঘর্ষে ২১ পুলিশ সদস্য এবং শিবিরের তিন শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে কমপক্ষে দুই শতাধিক ব্যক্তিকে।
সংঘর্ষ চলাকালে শিবির কর্মীরা সচিবালয়ের সামনে তিন সচিব ও অর্থমন্ত্রীর প্রটোকল গাড়ি ভাংচুর করেছে—পুলিশ এমন দাবি করলেও শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সচিবালয় এলাকায় তারা ভাংচুর চালায়নি। ওই এলাকায় তাদের কোনো কর্মসূচি ছিল না বলে শিবির সূত্র জানায়। এছাড়াও সংঘর্ষ হয়েছে চট্টগ্রাম, রাজশাহীর বিনোদপুর, দিনাজপুর, রংপুর, লক্ষ্মীপুর, ফরিদপুর, ঠাকুরগাঁও, যশোর, জয়পুরহাট, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া খুলনা, সিলেটসহ দেশের প্রায় সব এলাকায় শিবির বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
এদিকে গতকাল শিবির-পুলিশ সংঘর্ষের পর শিবির দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ। দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে তিনি আহত এক পুলিশ সদস্যকে উদ্দেশ করে এ নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাজধানীতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মতিঝিল এলাকায় অনেকটা আকস্মিকভাবে শিবিরের এক বিরাট মিছিল বের হয়। বিপুল সংখ্যক তরুণ কর্মীর অংশগ্রহণে মিছিলটি মতিঝিলের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণের সময় পুলিশ অতর্কিতে বেপরোয়া হামলা চালায়। এ সময় শিবির কর্মীরাও পাল্টা প্রতিরোধের চেষ্টা করে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। মিছিলকারীদের দমনে চতুর্দিক থেকে পুলিশ মুহুর্মুহু ফাঁকা গুলি, টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও গ্যাস গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। শিবির কর্মীরাও এ সময় পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে শিবির কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন দিকে চলে য়ায়। পুলিশ জানায়, ছত্রভঙ্গ শিবির কর্মীদের একটি দল সচিবালয়ের দিকে চলে যায়। তারা জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে এগিয়ে গেলে পুলিশ প্রথমে কিছু বুঝে উঠতে পারেনি। এ সময় মিছিলকারীরা সচিবালয়ের পাশের রাস্তায় সচিবদের ব্যবহার করা তিনটি গাড়ি ভাংচুর করে। একই সময় অর্থমন্ত্রীর প্রটোকলে ব্যবহৃত গাড়ি ওই রাস্তায় যাওয়ার সময় ভাংচুর হয় এবং গাড়িতে থাকা পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশি হামলায় ছত্রভঙ্গ শিবির কর্মীরা ফেরর সময় ব্যাপক ভাংচুর করে বলে পুলিশ জানায়। এ সময় বিআরটিসির দোতলা বাস ও পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাংচুরের কবলে পড়ে। অগ্নিসংযোগ করা হয় অন্তত ৫টি গাড়িতে। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। সংঘর্ষ চলাকালে গোটা এলাকায় প্রায় দুই ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছোটাছুটি করতে থাকে আতঙ্কিত জনগণ। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও পথচারী ছাড়াও শতাধিক শিবির কর্মী আহত হয়েছে বলে শিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনাস্থল ও আশপাশ থেকে পুলিশ ৫৫ জনকে আটক করে। তবে আটকের সংখ্যা শতাধিক এবং আহতের সংখ্যা দুই শতাধিক বলে দাবি করেছে শিবির। এ ঘটনার পর থেকে নগরীতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সীমিতি হয়ে যায় সব ধরনের যান চলাচল। নগরীর বিভিন্ন স্থানে র্যাবসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সতর্ক অবস্থায় থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদ, বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে আটক নেতাদের মুক্তি এবং সম্প্রতি আটক শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ মো. ইয়াহইয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে গতকাল দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল শিবিরের। এর অংশ হিসেবে সকাল ১০টায় রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকা থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, সংগঠনের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আতিকুর রহমান, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও সাহিত্য সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাতের নেতৃত্বে মিছিলটি কিছুদূর এগোনোর পরপরই বিনা উস্কানিতে সামনে ও পেছন দিক থেকে পুলিশ অতর্কিত হামলা শুরু করে। এ সময় পুলিশ মুহুর্মুহু গুলি, রাবার বুলেট, টিয়ারশেল এবং গ্যাস গ্রেনেড ছুড়তে থাকে। ধাওয়া খেয়ে শিবির কর্মীরাও এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পাল্টা ধাওয়া দেয়ার চেষ্টা করে। তবে সাঁজোয়া যান নিয়ে পুলিশের কড়া অ্যাকশনের মুখে টিকতে না পেরে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা এ সময় মতিঝিল বকচত্বর ও আশপাশে ৫টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভাংচুর করা হয় বিআরটিসির দোতলা বাস, তিন সচিব ও পুলিশের দুটি গাড়িসহ বেশ কিছু যানবাহন।
সংঘর্ষের সময় সচিবালয়সহ মতিঝিল, দৈনিক বাংলা, গুলিস্তান ও আশপাশের এলাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে কঠোর নিরাপদ জোন হিসেবে পরিচিত সচিবালয়ের সামনে দিয়ে শিবির কর্মীদের মিছিল ও সচিবের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তারা অনেকটা হতবাক হয়ে যান। সংঘর্ষ চলাকালে প্রাণভয়ে সবাই দ্রুত সচিবালয়ের গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েন। শিবির কর্মীরা চলে যাওয়ার পর সতর্ক অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক করছিলেন বলে জানা গেছে।
অপরদিকে শিবির কর্মীদের ওপর পুলিশ ও র্যাবের অ্যাকশনও ছিল চোখে পড়ার মতো। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশের বেপরোয়া গুলি, টিয়ারশেল ও গ্রেনেডে আহত হন অফিসগামী অনেক সাধারণ মানুষসহ শিবিরের আড়াই শতাধিক নেতাকর্মী। বেশ কয়েকজন শিবির কর্মীকে ধরে পুলিশ রাস্তায় ফেলে নির্মমভাবে রাইফেলের বাঁট ও বুট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে। শিবির সন্দেহে তখন অনেক নিরীহ মানুষ পুলিশের হামলায় আহত হন। আটক শিবির কর্মীদের নির্মমভাবে পিটিয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। আটক করা হয় অন্তত ১০০ জনকে ।
এদিকে ডিএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর মতিঝিল, রমনা, লালবাগ ও তেজগাঁও এলাকায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা হঠাত্ পুলিশের ওপর আক্রমণ, যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা ১৫টি যানবাহন ভাংচুর ও তিনটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। জামায়াত-শিবিরের হামলায় ২১ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগকালে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৫৫ জন জামায়াত-শিবির কর্মীকে আটক করে। এদের মধ্যে পল্টন থানায় ২০ জন, মতিঝিল থানায় ৩৫ এবং শাহজাহানপুর থানায় ৭ জন আটকের কথা স্বীকার করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে শিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত জানান, পূর্ব নির্ধারিত শান্তিপূর্ণ মিছিলে সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে বেপরোয়া হামলা চালায় পুলিশ। এতে প্রমাণিত হয় সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। জনসমর্থন হারিয়ে তারা এই নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। গতকাল পুলিশের বর্বর হামলায় শতাধিক গুলিবিদ্ধসহ শিবিরের তিন শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে শিবির নেতা তারেকুল হাসানের মাথায়, আমিনুল ইসলামের চোখে, আমির হামজার গলায় এবং আবদুল মোমিনের শরীরে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবুও পুলিশি গ্রেফতারের ভয়ে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে তাদের চিকিত্সা চলছে। তবে সচিবালয় এলাকায় শিবিরের মিছিল ও ভাংচুরের বিষয়ের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস বন্ধ, বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল বাতিল, কেন্দ্রীয় নেতা ইয়াহইয়াসহ আটক নেতাদের মুক্তি না দিলে সর্বাত্মক আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ত্বরান্বিত করা হবে।
শিবির-পুলিশ সংঘর্ষের পর নগরজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাজোয়া যানসহ মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক র্যাব ও পুলিশ। প্রধান সড়কগুলোতে টহল দেয় তারা।
চট্টগ্রামে শিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষে ২ পুলিশ সদস্য আহত : চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রাম নগরীতে ইসলামী ছাত্রশিবির কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন কদমতলী বাস স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শিবিরের শতাধিক কর্মী ওই এলাকায় একটি ঝটিকা মিছিল বের করলে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টহল দল তাদের বাধা দেয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিবির কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
নগর পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আবদুল মান্নান জানান, ছাত্রশিবির কর্মীরা একটি ঝটিকা মিছিল বের করেছিল। তারা তড়িঘড়ি করে ৫ মিনিটের মধ্যে মিছিল শেষ করে। এ সময় কোতোয়ালি থানার একটি টহল দল মিছিলের দিকে গেলে তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে শিবির কর্মীরা। এতে ওই টহল দলের দু’জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি বলে তিনি জানান।
তবে শিবির সূত্র জানায়, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে বাধা দিয়েছে। এছাড়া কয়েকজন কর্মীর ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
এদিকে এ ঘটনায় কদমতলি এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। আশপাশের বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেখা দেয় তীব্র যানজট। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
বাঁশখালী রণক্ষেত্র : বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জামায়াত-পুলিশ সংঘর্ষে ১২ পুলিশসহ কমপক্ষে ৫২ জন আহত হয়েছে। আহতদের বাঁশখালী সদর হাসপাতাল, চকরিয়া হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চাম্বল বাজারে নিজামী সাঈদীর মুক্তি সংবলিত টাঙানো ব্যানার নামানোর জের ধরে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ উপজেলা জামায়াতের আমির চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলামসহ ১১ জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় চাম্ব্বল এলাকায় যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দুইশতাধিক পুলিশ ও র্যাব-৭ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে জামায়াতের আমিরকে আটকের প্রতিবাদে শেখেরখীল, পুঁইছড়ি, ছনুয়া ও চাম্বল থেকে কয়েক হাজার জামায়াত-শিবির সমর্থক কর্মী আগ্নেয়াস্ত্র , লাঠি, হকিস্টিক ও ইট পাটকেল হাতে নিয়ে পুলিশকে আক্রমণের জন্য এগিয়ে এলে জাম্বল বাজারে অবস্থানরত পুলিশ তাদের ধাওয়া করতে কমপক্ষে দুই শতাধিক টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চাম্ব্বল এলাকায় পুলিশ ও জামায়াত শিবির কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থানে থাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ওই সংঘর্ষের পর থেকে বাঁশখালী প্রধান সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। চাম্বল বাজারের তিন শতাধিক দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। বাঁশখালী উপজেলা জামায়াত আজ মঙ্গলবার আমিরকে গ্রেপফতারের প্রতিবাদে সকাল সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জামায়াত সমর্থক শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নামে নিজামী সাঈদীর মুক্তি সংবলিত বাজারে টাঙানো একটি ব্যানার পুলিশ নামাতে গেলেই জামায়াত শিবির সমর্থকরা পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়ে। পরে পুলিশ সংগঠিত হয়ে জামায়াত শিবির কর্মীদের ধাওয়া করে বেধড়ক মারধর করে ঘটনাকে আরও বড় ধরনের সংঘর্ষ বাধিয়ে দেয়। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ এ সময় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ব্যাপক গুলি ছোড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হওয়ায় বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।
খুলনা : খুলনা অফিস অফিস জানায়, অবৈধ যুদ্ধপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল ও অবিলম্বে গ্রেফতার সব শীর্ষ নেতার মুক্তির দাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগরী শাখার উদ্যোগে গতকাল সোমবার নগরীর গল্লামারি মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মহানগর সভাপতি মু. সাঈদুর রহমানের নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মহানগর সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মিম মিরাজ হোসাইন, নাজমুল হুসাইন নাঈম, মু. মহিউল ইসলাম মাহি, আহমেদ সাবিত, হাদিসুর রহমান, তারিকুর রহমান, একেএম তানজিল, আলী আজগর মো. তাসনীম, হুমায়ুন কবির, আবদুর রব, ওবায়দুর রহমান সোহাগ, আ. রাজ্জাক, ইমরান হুসাইন তুহিন, জিএম আসলাম, আবুবকর সিদ্দিক, মুজাহিদুল আলম, ইমরান হুসাইন, তানজিলুর রহমান মিনার, আবদুল্লাহ আল-মামুন, আবুল হোসেন প্রমুখ।
রাজশাহীতে সংঘর্ষ গুলি-ককটেল-টিয়ারশেল আহত ২৮ : রাজশাহী অফিস জানায়, বিতর্কিত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল এবং জামায়াত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে গতকাল সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে ছাত্রশিবির মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে। এ সময় ছাত্রশিবিরও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায়। এ সময় ৩ পুলিশ সদস্যসহ শিবিরের ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ছাত্রশিবিরের কয়েকশ’ নেতাকর্মী সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিনোদপুর বাজারের কয়েকটি পয়েন্টে অবস্থান নেয়। সকাল ১০টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে তারা বিনোদপুর বাজারের ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি বিনোদপুর বাজারের বিসমিল্লাহ টাওয়ারের সামনে পৌঁছলে পুলিশ মিছিলকে লক্ষ্য করে শিবিরকর্মীদের ওপর রাবার বুলেট, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং মিছিলের পেছনের অংশে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। পরে শিবিরকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। প্রথমপর্যায়ে পুলিশ পিছু হটলেও পরে পুলিশ সুসজ্জিত হয়ে শিবিরর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ অগণিত টিয়ারশেল, শটগানের গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের একপযার্েয় অতিরিক্ত র্যাব ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল রুহুল আমিন, মিলটন এবং সিরাজুল আহত হন। পুলিশের হামলায় ২৫ শিবির নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে শিবির দাবি করেছে। তবে আহত শিবির নেতাকর্মীদের নাম পাওয়া যায়নি। সংঘর্ষ চলাকালে কোনো শিবিরকর্মীকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে সকালে এ সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর, কাজলা তালাইমারী এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
রাবি ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া দাবি করেছেন, শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ হামলা চালিয়ে তাদের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত করেছে। এটা গণতান্ত্রিক দেশে খুবই ন্যক্কারজনক।
এ ব্যাপারে রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার এসএম মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, শিবির ক্যাডাররা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে আমাদের ৩ পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে। তিনি বলেন, এখন ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় শিবিরের বিরুদ্ধে মামলাও করা হবে বলে জানান তিনি।
রাজশাহী মহানগর জামায়াতের বিবৃতি : জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগর আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আতাউর রহমান বলেছেন, নির্যাতন চালিয়ে কোনো আন্দোলন দমানো যায় না। আমরা নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় কর্মসূূচি পালন করতে চাই। কিন্তু এক শ্রেণীর পুলিশ কর্মকর্তা সরকারকে খুশি করার জন্য আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি চালাচ্ছে। অথচ মিছিল মিটিং করা আমাদের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। আমরা সে সাংবিধানিক অধিকার পালনের জন্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়ে দরখাস্ত দিচ্ছি কিন্তু সরকার আমাদের অনুমতি দিচ্ছে না। তিনি বলেন, ৩০ জানুয়ারি জামায়াতে ইসলামী দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে আমরা রাজশাহীতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়ে দরখাস্ত দিয়েছি। তিনি গতকাল এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
দিনাজপুরে পুলিশের এসআইসহ আহত ১০ : দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরে ছাত্রশিবিরের সমাবেশে পুলিশের হামলা ও সংঘর্ষে পুলিশের এসআই মামুন ও শিবির নেতাকর্মীসহ ১০ জন আহত হয়েছে। পুলিশের পিকআপ ভাংচুর করা হয়েছে।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মো. ইয়াহইয়াকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে গতকাল সকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইসলামী ছাত্রশিবির শহরে মিছিল বের করে শহর প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে শহরের বুটিবাবুর মোড়ে সমাবেশের প্রাক্কালে পুলিশ অতর্কিতভাবে সমাবেশে হামলা চালায়। এ সময় শিবির ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ বেপরোয়া লাঠিচার্জে শিবিরের ৭ কর্মী আহত হয়। অপরদিকে শিবিরের ইট-পাটকেল নিক্ষেপে এসআই মামুনসহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ ঘটনার পর শহরে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার অফিসার্স ইনচার্জ আবদুল কাদের জিলানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসআই মামুন আহত হয়েছে বলে জানান। এদিকে ছাত্রশিবির দিনাজপুর শহর শাখার সভাপতি মতিউর রহমান জানান, বিনা উসকানিতে পুলিশ শিবিরের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ৭ শিবির নেতাকর্মীকে অমানবিক লাঠিচার্জ করে গুরুতর আহত করে। শিবির নেতা অবিলম্বে কেন্দ্রীয় নেতা ইয়াহইয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
ফরিদপুরে পুলিশসহ আহত ৫, আটক ১ : ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুরে গতকাল বেলা ১১টার দিকে ঝটিকা মিছিল বের করে ইসলামী ছাত্রশিবির। শহরের শরিয়তুল্লাহ বাজার থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে জনতা ব্যাংকের মোড়ে এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিবিরকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পুলিশসহ ৫ শিবিরকর্মী আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে দৈনিক সংগ্রামের সাংবাদিক আশরাফুল আলম দুলালকে আটক করে। তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পুলিশের ওপর হামলার পর জামায়াত অফিসে তল্লাশি চালায় পুলিশ। যদিও সেখান থেকে কাউকে আটক করতে পারেনি। এ ঘটনার পর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
রংপুরে শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল : রংপুর প্রতিনিধি জানান, অবৈধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল, প্রহসনের বিচার বন্ধ, গ্রেফতারকৃত জামায়াত ও শিবির নেতার মুক্তি ও সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রংপুর মহানগর ছাত্রশিবির। মহানগর সেক্রেটারি মো. আল-আমিন হাসানের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও রংপুর মহানগর সভাপতি মোস্তাক আহমদ, রংপুর মহানগরীর অর্থ সম্পাদক, অফিস সম্পাদক, প্রকাশনা সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, সমাজকল্যাণ সম্পাদক, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক মো. শাহীরাজ আলম, দফতর সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ, শিক্ষা সম্পাদক মো. আবদুর রাজ্জাক, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক মো. শামীম আলম, কারমাইকেল কলেজ সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা ট্রাইব্যুনালকে অবৈধ ঘোষণা করে তা বন্ধের আহ্বান জানান।
বরিশালে মিছিল : বরিশাল অফিস জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা ও মহানগর জামায়াত-শিবির। গতকাল সকালে নগরীর বগুড়া রোড এলাকায় এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচি সফল করতে সকাল থেকে নেতাকর্মী বগুড়া রোড অফসোনিন কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : অবৈধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তি দাবিতে সারাদেশের ন্যায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রশিবির। শিবিরের রামগঞ্জ পৌর শাখার সভাপতি হাফিজ আহম্মেদ মিরনের নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ১১টায় নুরপ্লাজা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলাবাগান মসজিদের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে শিবিরকর্মী সন্দেহে দুই কলেজছাত্রকে যুবলীগ কর্মীদের সহায়তায় আটক করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ। তারা হলো—রামগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্র পারভেজ আলম ও ফারুক হোসেন।
রায়পুরে শিবিরের মিছিল, ৫ নেতাকর্মীকে গণপিটুনি : রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি জানান, অবৈধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল ও কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তি দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল দুপুর ১টায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে শহরে ঝটিকা মিছিল হয়েছে। এ সময় সরকারি ডিগ্রি কলেজে শিবির নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে মিছিল করলে ৫ কর্মীকে গণপিটুনি দেয় ছাত্রলীগের উত্তেজিত নেতাকর্মীরা।
হামলায় রায়পুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের শিবির সেক্রেটারি মো. মোস্তফাসহ ৫ নেতাকর্মী আহত হয়। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন রয়েছে। আহতরা নিরাপত্তাজনিত কারণে স্থানীয়ভাবে চিকিত্সা নেয়। শিবিরের থানা উত্তর সভাপতি এমরান হোসেন পরান ৫ নেতাকর্মী আহত হওয়ার কথা স্বীকার করে এজন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন।
জেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ফয়েজ আহম্মদের নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন অর্থ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, রায়পুর শহর সভাপতি ফজলুল করিম, রায়পুর কলেজ সভাপতি আশরাফুল ইসলাম রাসেল, শহরের সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম উজ্জ্বল, হায়দরগঞ্জ সাথী শাখার সভাপতি ইমাম হোসাইন ও শিবিরের সাবেক শহর সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম সোহাগসহ শতাধিক নেতাকর্মী। মিছিলটি উপজেলা পরিষদ সড়ক থেকে শুরু হয়ে মিরগঞ্জ সড়কে গিয়ে শেষ হয়

?????????? ?????-????? ?????? : ???? ?????? ???? : ??? ??? ??????, ???????? ????
 
.
'Mnush Ain Kore, Ain Venghe Haff Saribar Jonnay', was a great philosophical quote of Tagore that couldn't be more true anywhere than present Bangladesh. Ever since oct.28th, 2006's mayhem; RAWAMYs ruthlessly politicized 'Law Enforcers' by appointing their own cadres (http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=103932), who in turn became uniformed terrorists and started to disappear opposition's leaders/activists after illegally arresting and then presenting them in court with the sign of unbearable tortures all over body.

গ্রেফতার করে অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়
শিবির নেতা ইয়াহইয়া আতিক ও আশুসহ ৫১ জন ৫ দিনের রিমান্ডে
রক্ষী বাহিনীর পৈশাচিকতাকেও হার মানিয়েছে -আইনজীবী


স্টাফ রিপোর্টার : শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ মো. ইয়াহইয়া, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান ও সমাজসেবা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান আশুসহ ৫১ নেতা-কর্মীকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এছাড়া গ্রেফতারের পর তাদের প্রত্যেকের ওপর চালানো হয়েছে অকথ্য নির্যাতন। তাদের আইনজীবী জানিয়েছেন, পুলিশী নির্যাতন রক্ষী বাহিনীর পৈশাচিকতাকেও হার মানিয়েছে।

শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ মো. ইয়াহিয়াকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। গত ২৬ জানুয়ারি মতিঝিল থানার ৯ (১১) ১২ নম্বর মামলায় ইয়াহইয়াকে ১০ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন মতিঝিল থানার এসআই মোবারক। ওইদিন রিমান্ড শুনানির জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র (সিডি) না থাকায় ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আরেফিন গতকাল মঙ্গলবার মামলার সিডিসহ শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন। গতকাল শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সহিদুল ইসলাম ইয়াহইয়ার ৫ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শুনানিতে শিবির নেতার আইনজীবীগণ বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি দিবাগত রাতে শিবির নেতা ইয়াহইয়া নিজ বাড়ি সিলেটে যাওয়ার পথে রাত ১২টা ৫ মিনিটে গ্রীনলাইন পরিবহনে আরামবাগ কাউন্টার থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি বাস থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এরপর তাকে ৩ দিন অবৈধভাবে আটকে রেখে ২৬ জানুয়ারি আদালতে হাজির করা হয়। তারা বলেন, গত ৫ নবেম্বরের ঘটনায় তাকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়েছে। তারা রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিন দেয়ার আবেদন জানিয়ে বলেন, এ মামলায় ৬৭ জন ইতিমধ্যে জামিনে রয়েছে। নতুন করে রিমান্ডে নেয়ার কিছু নেই।

শিবিরের ২ কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেফতার : এ দিকে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান ও সমাজসেবা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান আশুসহ তিন নেতাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। গত সোমবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে গতকাল তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

জানা যায়, গত সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ধানমন্ডি এলাকার এক বাসা থেকে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান ও সমাজসেবা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান আশুসহ তিন নেতাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

৫ দিন করে রিমান্ড : গতকাল দুপুরে তাদেরসহ ৩৪জনকে ২ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ডে আবেদন করে পুলিশ। গত সোমবার মতিঝিলে মিছিলের ঘটনায় মতিঝিল থানায় দায়ের করা দ্রুত বিচার আইনের মামলায় নং ৫২(১)১৩ ও দন্ডবিধির মামলা নং ৫৩(১)১৩ এ ৩৪ জনকে ৭ দিন করে রিমান্ডে আবেদন করে পুলিশ। এ ছাড়া ১৩ জনকে পল্টন থানায় দায়ের করা দ্রুত বিচার আইনের মামলা নং ৪২(১)১৩ এ ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। পৃথক ২ আদালতে তাদের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে গুরুতর অসুস্থ শাহ কামাল নামে এক শিবির কর্মীর রিমান্ড মঞ্জুর করে নি আদালত। এছাড়া শাহবাগ থানার দু'টি মামলায় ৩ জন ১ দিন ও অপর ১ জন ১ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

অকথ্য নির্যাতন : শিবির নেতৃবৃন্দর আইনজীবী এডভোকেট আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃত শিবিরের নেতা-কর্মীদের প্রত্যেককেই নিমর্মভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। অনেকের হাত পা ভেঙে দেয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে অনেকেই হেঁটে আদালতে উঠতে পারেনি। রিমান্ড শুনানি চলাকালে ৩ জন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তিনি বলেন, নির্যাতনের এমন কোন ধাপ নেই যা পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের ওপর প্রয়োগ করেনি। শীতের রাতে ঠান্ডা পানির মধ্যে অনেককে রেখে দেয়া হয়েছে। রাতের বেলা কাপড় ছাড়াই দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, পুলিশী নির্যাতন রক্ষি বাহিনীর পৈশাচিকতাকে হার মানিয়েছে।

শিবির নেতা-কর্মীদের পক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক ও এডভোকেট এসএম কামাল উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট শামসুল ইসলাম আকন্দ, এডভোকেট লুৎফর রহমান আজাদ, এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, এডভোকেট আশরাফুজ্জামান শাকিল, এডভোকেট আবুল কালাম জোয়ার্দার, এডভোকেট আজমত হোসেন, এডভোকেট রেজাউল করিম রেজাসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী।

'Mnush Ain Kore Ain Venghe Haff Saribar Jonnay', was a great philosophical quote of Tagore that couldn't be more true anywhere than present Bangladesh. Ever since oct.28th, 2006's mayhem; RAWAMYs ruthlessly politicized 'Law Enforcers' by appointing their own cadres (http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=103932), who in turn became uniformed terrorists and started to disappear opposition's leaders/activists after illegally arresting them and presenting them in court with the sign of unbearable tortures all over body.

গ্রেফতার করে অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়
শিবির নেতা ইয়াহইয়া আতিক ও আশুসহ ৫১ জন ৫ দিনের রিমান্ডে
রক্ষী বাহিনীর পৈশাচিকতাকেও হার মানিয়েছে -আইনজীবী


স্টাফ রিপোর্টার : শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ মো. ইয়াহইয়া, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান ও সমাজসেবা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান আশুসহ ৫১ নেতা-কর্মীকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এছাড়া গ্রেফতারের পর তাদের প্রত্যেকের ওপর চালানো হয়েছে অকথ্য নির্যাতন। তাদের আইনজীবী জানিয়েছেন, পুলিশী নির্যাতন রক্ষী বাহিনীর পৈশাচিকতাকেও হার মানিয়েছে।

শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ মো. ইয়াহিয়াকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। গত ২৬ জানুয়ারি মতিঝিল থানার ৯ (১১) ১২ নম্বর মামলায় ইয়াহইয়াকে ১০ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন মতিঝিল থানার এসআই মোবারক। ওইদিন রিমান্ড শুনানির জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র (সিডি) না থাকায় ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আরেফিন গতকাল মঙ্গলবার মামলার সিডিসহ শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন। গতকাল শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সহিদুল ইসলাম ইয়াহইয়ার ৫ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শুনানিতে শিবির নেতার আইনজীবীগণ বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি দিবাগত রাতে শিবির নেতা ইয়াহইয়া নিজ বাড়ি সিলেটে যাওয়ার পথে রাত ১২টা ৫ মিনিটে গ্রীনলাইন পরিবহনে আরামবাগ কাউন্টার থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি বাস থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এরপর তাকে ৩ দিন অবৈধভাবে আটকে রেখে ২৬ জানুয়ারি আদালতে হাজির করা হয়। তারা বলেন, গত ৫ নবেম্বরের ঘটনায় তাকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়েছে। তারা রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিন দেয়ার আবেদন জানিয়ে বলেন, এ মামলায় ৬৭ জন ইতিমধ্যে জামিনে রয়েছে। নতুন করে রিমান্ডে নেয়ার কিছু নেই।

শিবিরের ২ কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেফতার : এ দিকে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান ও সমাজসেবা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান আশুসহ তিন নেতাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। গত সোমবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে গতকাল তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

জানা যায়, গত সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ধানমন্ডি এলাকার এক বাসা থেকে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান ও সমাজসেবা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান আশুসহ তিন নেতাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

৫ দিন করে রিমান্ড : গতকাল দুপুরে তাদেরসহ ৩৪জনকে ২ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ডে আবেদন করে পুলিশ। গত সোমবার মতিঝিলে মিছিলের ঘটনায় মতিঝিল থানায় দায়ের করা দ্রুত বিচার আইনের মামলায় নং ৫২(১)১৩ ও দন্ডবিধির মামলা নং ৫৩(১)১৩ এ ৩৪ জনকে ৭ দিন করে রিমান্ডে আবেদন করে পুলিশ। এ ছাড়া ১৩ জনকে পল্টন থানায় দায়ের করা দ্রুত বিচার আইনের মামলা নং ৪২(১)১৩ এ ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। পৃথক ২ আদালতে তাদের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে গুরুতর অসুস্থ শাহ কামাল নামে এক শিবির কর্মীর রিমান্ড মঞ্জুর করে নি আদালত। এছাড়া শাহবাগ থানার দু'টি মামলায় ৩ জন ১ দিন ও অপর ১ জন ১ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

অকথ্য নির্যাতন : শিবির নেতৃবৃন্দর আইনজীবী এডভোকেট আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃত শিবিরের নেতা-কর্মীদের প্রত্যেককেই নিমর্মভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। অনেকের হাত পা ভেঙে দেয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে অনেকেই হেঁটে আদালতে উঠতে পারেনি। রিমান্ড শুনানি চলাকালে ৩ জন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তিনি বলেন, নির্যাতনের এমন কোন ধাপ নেই যা পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের ওপর প্রয়োগ করেনি। শীতের রাতে ঠান্ডা পানির মধ্যে অনেককে রেখে দেয়া হয়েছে। রাতের বেলা কাপড় ছাড়াই দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, পুলিশী নির্যাতন রক্ষি বাহিনীর পৈশাচিকতাকে হার মানিয়েছে।

শিবির নেতা-কর্মীদের পক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক ও এডভোকেট এসএম কামাল উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট শামসুল ইসলাম আকন্দ, এডভোকেট লুৎফর রহমান আজাদ, এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, এডভোকেট আশরাফুজ্জামান শাকিল, এডভোকেট আবুল কালাম জোয়ার্দার, এডভোকেট আজমত হোসেন, এডভোকেট রেজাউল করিম রেজাসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী।
 
.
I could not understand anything from anything.. but I saw words repeated "Rawamy" "Rawamy" "Rawamy" "Rawamy" :partay:
 
.
I could not understand anything from anything.. but I saw words repeated "Rawamy" "Rawamy" "Rawamy" "Rawamy" :partay:
Leave UR understanding up to RAWAMY because the message of the BDeshi threads/posts signify nothing more to U, the Bharati.
 
.
Leave UR understanding up to RAWAMY because the message of the BDeshi threads/posts signify nothing more to U, the Bharati.

At least translate the text so others can make their own decision.
 
.
Back
Top Bottom