What's new

3rd anniversary of BDR Mutiny & Suspected Indian activity .

azbaroj

FULL MEMBER
Joined
May 24, 2011
Messages
484
Reaction score
0
Country
Bangladesh
Location
Bangladesh
সবাই ভুলে গেছে আমরা ভুলিনাই


বিডিআর সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনা, বিশেষ করে পরিকল্পিতভাবে সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংস হত্যাকান্ডে দেশবাসী মর্মাহত ও বিক্ষুদ্ধ। আমরা এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত সকলের রূহের মাগফেরাত কামনা করি ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই। নিরস্ত্র সেনা কর্মকর্তাদ...ের নির্মমভাবে হত্যা করা, স্ত্রী ও সন্তানদের নির্যাতন ও হত্যা, গর্ভবতী মাকে খুন, লাশ পোড়ানো ও গণকবর তৈরী ইত্যাদি পৈশাচিক কর্মকান্ড নিঃসন্দেহে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। গত ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারী পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকান্ড নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক আলোচনা ও পর্যালোচনা হয়েছে। রহস্য উদঘাটনে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। পরবর্তীতে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বলে সরকারের মন্ত্রীদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি করা হয়। এরপর আবার সরকারের এক মন্ত্রীকে গঠিত কমিটিগুলোর সমন্বয়কারী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়, যার উদ্দেশ্য তদন্ত কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং সত্যকে আড়াল করা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমাদের অবশ্য স্মরণ আছে অতীতে কোন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে কখনোই প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হয়নি, হলেও দেশবাসী তা জানতে পারেনি। ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীরা সবসময় আড়ালেই থেকে গেছে। তবুও আমরা দাবি করব জঘন্য এ হত্যাযজ্ঞের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং মূল পরিকল্পনাকারীদের মুখোশও উম্মোচন করতে হবে।

আসুন আসল ঘটনার দিকে তাকাই :

ইতিমধ্যে সম্ভাব্য ষড়যন্ত্রকারীদের তালিকায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’, আইএসআই, বিএনপি- জামায়াত জোট, জেএমবি, ক্ষমতাসীন সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ইত্যাদি বহু নাম মিডিয়ায় এসেছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, জাতির এই চরম দুর্দিনেও আমরা ক্ষমতাসীন সরকারকে অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনের মত আচরণ করতে দেখছি। প্রধানমন্ত্রী এবং তার একনিষ্ঠ সমর্থকরা যেভাবে কোনরকম দলিল-প্রমাণ ছাড়াই আμমণাত্মক কথার মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিসমূহকে দায়ী করছে তাতে মনে হচ্ছে, সরকার প্রকৃত অপরাধীকে আড়াল করতে অথবা যেনতেনভাবে দায় মুক্ত হতে চায়।

সন্দেহের তালিকার শীর্ষে ভারত কেন?
বর্তমান সরকার ও তাদের ভারতপন্থী বুদ্ধিজীবীরা যুক্তি দিচ্ছেন - ভারত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করবে না, কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়; যারা বর্তমান সরকারকে হটাতে চায় তারাই এসব করেছে; এসবের পিছনে জঙ্গিরাও থাকতে পারে - তাদের এসব কথার কোন ভিত্তি নেই ।

প্রথমত : বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল করা ভারতের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ, যা আমরা ইতিপূর্বে আলোচনা করেছি। অতীতেও ভারত এই প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এর মাধ্যমে ভারতের ‘অখন্ড ভারত’ ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী আঞ্চলিক শক্তির মর্যাদা লাভের পথ সুগম হয়।
দ্বিতীয়ত: মুসলিমপ্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সবসময়ই ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যমে সবেচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমাদের সেনাবাহিনী। এখানেও লাভবান একমাত্র ভারত। যেসব মেধাবী সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে তাদের মত সেনা কর্মকর্তা তৈরী করতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন। উপরন্তু এই সেনা হত্যাকান্ডের মাধ্যমে বিডিআর ও সেনাবাহিনীর মধ্যে যে সন্দেহ এবং ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হবে, তার দীর্ঘ মেয়াদী সুবিধাও যাবে ভারতের পকেটে।

তৃতীয়ত: দেশের সীমান্ত অরক্ষিত হলে সবচেয়ে সুবিধা হবে ভারতের। ভারত এ সুযোগে অনেক পুশ ইন করবে, যার মধ্যে রয়েছে ফেনসিডিল, ইয়াবা, ভারতীয় মটর সাইকেল এবং কিছু মানুষ, যারা কোন ঘটনা ঘটাবার অপেক্ষায় থাকবে। অন্যদিকে বিডিআরের চেইন অব কমান্ড ধ্বংসের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিডিআরকে তার পূর্বের শক্তিশালী অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেও দীর্ঘ সময় প্রয়োজন।

ঘটনা-পরবর্তী ভারতীয় পঙতিμিয়া বিডিআর হেডকোর্য়াটারে ঘটে যাওয়া নারকীয় হত্যাযজ্ঞের পরপরই ভারতীয় রাষ্ট্র সংশি−ষ্ট ব্যক্তিবর্গের উক্তি থেকে শুরু করে, তাদের সামরিক বাহিনীর ব্যাপক প্রস্তুতি এবং সে দেশের ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতে প্রকাশিত খবরগুলো যে কোন ব্যক্তিকে উদ্বিগড়ব করার জন্য যথেষ্ট। নির্মম এ হত্যাযজ্ঞের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়গুলো যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে বিবেচনার দাবি
রাখে।

ভারত সরকারের পতিক্রিয়া !
ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্বের মনোভাব বলে দেয় যে তারা এই ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে:
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে পরিস্থিতি মোকাবিলায় যে কোন ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন এবং বিডিআরকে আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দেন।
“...এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে সব ধরণের সহায়তা দিতে ভারত প্রস্তুত। ... আমি তাদের উদ্দেশ্যে কঠোর সতর্কবাণী পাঠাতে চাই, যারা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারকে”।
দুর্বল করার চেষ্টা করছে, তারা যদি একাজ অব্যাহত রাখে, ভারত হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না, প্রয়োজনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে”। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী নয়া দিল্লি তে অনুষ্ঠিত কংগ্রেস নেতাদের বৈঠকে একথা বলেন, যা আউট লুক-এর একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়।
শেখ হাসিনার সরকারকে রক্ষা করার প্রয়োজন কেন ভারতের? অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় ২৫ ফেব্রুয়ারীর ঘটনার পর বিডিআর এর যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে তা ভারত শেখ হাসিনার মাধ্যমে করাতে চায়। এমনকি সম্ভব হলে তারা নিজেদের স্বার্থের অনুকূলে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সংস্কারও করতে চাইবে।

ভারতের সেনাবাহিনীর পতিক্রিয়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্যাপক প্রস্তুতি দেশবাসীকে উদ্বিগড়ব করেছে।
এই প্রস্তুতি সম্পর্কে মিডিয়ায় যা প্রকাশিত হয়েছে তা নিম্নে দেয়া হল:
ভারতের প্রখ্যাত ইংরেজী দৈনিক “Hindustan Times” এ গত ২ মার্চ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিদ্রোহের পরপরই বাংলাদেশে “IL-76/AN-32” বা মানবিক হস্তক্ষেপের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পুরোপুরি প্রস্তুত রাখা হয়েছিলো। পত্রিকাটি জানায় যে, বিদ্রোহের দিন ভারতের বিমান বাহিনী (আইএএফ) ওখ-৭৬ হেভি লিফ্*ট এবং অঘ-৩২ মিডিয়াম লিফ্*ট “ Aircraft “ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পূর্ণ সহায়তা দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলো। আসামের জোরহাটে অবস্থিত ভারতের সবচাইতে বড় বিমান ঘাটিকে এই সহায়তা মিশনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।
“”বিএসএফ এর একজন ডাইরেক্টর জেনারেলের উক্তি থেকেও ভারতের সামরিক প্রস'তি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। গত ৪ মার্চ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন,“বাংলাদেশে এই সঙ্কট (শুরু) হবার পর, আমরা ইন্দো-বাংলাদেশ সীমানে- কর্তব্যরত আমাদের সকল সৈন্যদল ও অফিসারদের সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থায়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছি।”
সংবাদ মাধ্যমে জানা যায় ঘটনার পরপরই সীমানে- ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বেনাপোলসহ বিভিনড়ব স'লবন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ সীমান- এলাকায় ভারি অস্ত্রশস্ত্রসহ বিপুলসংখ্যক বিএসএফ সদস্যের পাশাপাশি বিশেষ কমান্ডো বাহিনী “BLACKCAT” মোতায়েন করে। একই সাথে সমস- সীমান- জুড়ে রেডএলার্ট জারি করে।
ঙ ভারতের প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যায় ভারত সরকার মৈত্রী এক্সপ্রেসের নিরাপত্তার জন্য বিএসএফ-কে শানি-রক্ষী বাহিনী হিসাবে বাংলাদেশে পাঠানোরও প্রস্তাব দিয়েছে।
স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বিডিআর বাহিনীর অভ্যন্তরীণ এই বিদ্রোহকে ঘিরে ভারতের মতো একটি বিশাল রাষ্ট্রের এতো প্রস্তুতি কেন। আর যাই হোক এই বিদ্রোহ কোনভাবেই ভারতের জন্য নিরাপত্তা হুমকি ছিলো না। আর তাছাড়া যে বিদ্রোহের গুরুত্ব ও ভয়াবহতা (প্রধানমন্ত্রীর সংসদে প্রদত্ত ভাষ্য অনুযায়ী) _ প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন, যে জন্য তারা সেনা অফিসারদের রক্ষায় দ্রুত সামরিক অভিযানে না গিয়ে ৩৬ ঘন্টা যাবত হত্যাকারীদের সাথে একের পর এক বৈঠক করে ধীর স্থিরতার সাথে রাজনৈতিকভাবে সামরিক বিদ্রোহ দমন করলেন, সেই বিদ্রোহের গুরুত্ব বা ভয়াবহতা ভারত সরকারই বা কিভাবে বুঝে ফেললো ? এছাড়া এ দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যকার যে কোন বিদ্রোহ দমনে এ দেশীয় দক্ষ সেনাবাহিনীই যথেষ্ট, এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। তাহলে, ভারতের মিশন কী? বাংলাদেশের বর্তমান বন্ধু সরকারকে রক্ষা করা? বাংলাদেশের সরকারকে রক্ষা করবে ভারতীয় বাহিনী। কেন? আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী নেই? নাকি প্রধানমন্ত্রী তাদের বিশ্বাস করেন না?

ভারতের মিডিয়ার পতিক্রিয়া :

২৭ ফেব্রুয়ারীর পূর্ব পর্যন্ত এদেশের জনগণও পুরোপুরিভাবে তথাকথিত এই বিদ্রোহের আসল রূপ বুঝতে পারেনি। অথচ পুরো সময়ে ভারতীয় মিডিয়া ছিল অত্যন্ত তৎপর:

বিডিআর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ আরও ১১ জন সেনা কর্মকর্তার নিহত হবার সংবাদ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ন্ত্রিত চ্যানেল এনডিটিভিতেই সর্বপ্রম প্রচার করা হয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা যেখানে দুই দিনেও শাকিল আহমেদের মৃত্যু নিশ্চিত করতে পারেনি, সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ঘন ঘন বিডিআর হেডকোর্য়াটারে যাতায়াত করে হত্যাকারীদের সাথে দফায় দফায় দেনদরবার করেও যেখানে গণহত্যার খবর পায়নি, সেখানে সুদূর ভারতে বসে ভারতীয় মিডিয়া ১২ জন অফিসারের নিহত হবার বিষয়ে কি করে নিশ্চিত হলো? তাহলে কি তাদের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্টরা বিডিআর হেডকোর্য়াটারের ভেতরে অবস্থান করছিলো?

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর সাবেক শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা বি. রমন ২৭ ফেব্রুয়ারী
ভারতের বিখ্যাত ম্যাগাজিন আউটলুকে বলেন ভারতের প্রতি বিডিআর সদস্যদের বৈরী মনোভাব বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা।

ঘটনার পরপরই ভারতের প্রিন্ট মিডিয়ায় বিডিআরকে একটি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বাহিনী হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

আর আনন্দবাজার, টেলিগ্রাফ এর মত পত্রিকাগুলো বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে আক্রমন করে ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রচার করেছে। এমনকি বিডিআর-এর ঘটনায় জঙ্গী কানেকশন ভারতীয় মিডিয়াই প্রথম আবিষ্কার করে। পরবর্তীতে একই ধরণের কথা আমরা এদেশের মন্ত্রীদের মুখে শুনতে পাই।

সরকারের ভূমিকা:

ফেব্রুয়ারী ২৫-২৬

পরিস্থিতির বিশে−ষণ থেকে বুঝা যায় ঘটনার শুরু থেকেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার রহস্যজনক ভূমিকা পালন করেছে। এতো বড় ঘটনার পরিকল্পনা চলছিল আর সরকার তা জানে না, একথা মেনে নেয়া যায় না। তাছাড়া জাতীয় নিরাপত্তার সাথে অতি গুরুত্বপূর্ণ এই পরিস্থিতিতে কেন শুরুতেই অনভিজ্ঞ প্রতিনিধিদের পাঠানো হয়েছে যারা কতিপয় বিদ্রোহীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে? অথচ তারা সেনা সদস্য ও তাদের পরিবারের জান-মাল-ইজ্জতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনি। সেনাসদস্য ও তাদের পরিবারবর্গের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই সরকার কি উদ্দেশ্যে তড়িঘড়ি করে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলো? যে ঘোষণার সুযোগ নিয়ে তারা দেড় দিন ধরে লাশ গুম, ব্যাপক লুটতরাজ ও সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারবর্গের উপরনির্যাতন করেছে। ২৬ ফেব্রুয়ারী বিকালে বিডিআর সদর দপ্তরের আশেপাশের লোকজনকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে এবং বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিনড়ব করে প্রকৃতপক্ষে কি ঘাতকদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়নি? সাহারা খাতুন ২৫ ফেব্রুয়ারী অস্ত্র জমা নিলেন, তারপরও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বাইরে গেল কিভাবে? যেসব বিদেশী নাগরিক আইডিসহ ধরা পড়েছিল, তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হল কেন? বিমানে করে কারা পালালো? দেশবাসী ও সেনা কর্মকর্তারা এই
রকম অসংখ্য প্রশেড়বর উত্তর জানতে চায়। দেশবাসী ও সেনা কর্মকর্তাদের এই সব মৌলিক প্রশেড়বর উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি।

সেক্টর কমান্ডার লে. জে. মীর শওকত এক টকশোত বললেন, “সেনাবাহিনী আসতে পনেরমিনিট, বিদ্রোহ দমন করতে পাঁচ মিনিট...”। লে. জে. শওকত অনেকবার এর আগে সেনাবিদ্রোহ, বিমান বাহিনীর বিদ্রোহ দমন করেছেন। একই ধরণের কথা আরো অনেকেই বলেছেন।তাহলে আধা ঘন্টার সামরিক সমাধানের পরিবর্তে ৩৬ ঘন্টার তথাকথিত রাজনৈতিক সমাধানহলো কেন? এর আগে জনাবা সাহারা খাতুন ও নানক সাহেব কয়টি বিদ্রোহ দমন করেছেন?ধানমন্ডির এমপি তাপস সাহেব মিডিয়ায় বললেন, ‘চমক আছে’! কী চমক?
বাষট্টি সেনা
কর্মকর্তার লাশ?
নাকি সকল হত্যাকারীর পলায়ন!
এখানে আরো একটি প্রশড়ব থেকে যায়।প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন যে বিদ্রোহের সংবাদ জানার পর তিনি সেনাপ্রধানকে প্রশড়বকরে জেনেছেন সেনাবাহিনী আসতে দুই ঘন্টা লাগবে? কোনটা সত্য? আধা ঘন্টা না দুই ঘন্টা?রাজনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নাকি ‘গৃহযুদ্ধ’ ঠেকিয়েছেন। আসলে কি তাই?প্রধানমন্ত্রীর সাথে যে ১৪ জন মিটিং করেছিল, তারা সবাই কি গ্রেফতার হয়েছে? তাদের তালিকাকোথায়? অনেকে বলেছে সরকার দক্ষতার সাথে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। এর তুলনা করাযেতে পারে এভাবে - অপারেশন সাকসেস্* ফুল, কিন্তু রোগী মারা গিয়েছে। বাস্তবতা হলোবিদ্রোহ দমন করা যেত, দমন করা হয়নি। সেনা কর্মকর্তাদের বাঁচানো যেত, বাঁচানো হয়নি।

আমরা বীর সেনা কর্মকর্তা হারালাম, বিডিআরের চেইন অব কমান্ড ধ্বংস হলো, হত্যাকারীরাপালালো - এইসব কারণেই সরকারের ভূমিকা প্রশড়ববিদ্ধ।

ঘটনা পরবর্তী সরকারের ভূমিকাযে মন্ত্রী তথাকথিত বিদ্রোহীদের সাথে দর কষাকষি করেছে সে জাতির সামনে বলেছেন যে,বিডিআর সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া ঘটনার পিছনে একটি গভীর ষড়যন্ত্র ছিল এবং এই ষড়যন্ত্র বাস্ত
বায়নের জন্য লক্ষ-কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। তিনি সকল তদন্ত শুরু হবার আগেই এবংঘটনার দুই দিনের মাথায় প্রকাশ্য সমাবেশে এই বক্তব্য দিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশড়ব জাগেতবে কি তিনি আগে থেকেই ষড়যন্ত্রের বিষয়টি জানতেন। তার এই বক্তব্যের সূত্র ধরে এখনসরকার ক্রমাগতভাবে ষড়যন্ত্রের কথা বলে প্রকৃত দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে।প্রধানমন্ত্রী সংসদসহ ক্রমাগতভাবে বিডিআরের ঘটনায় বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন যা অসংলগড়বতায়পরিপূর্ণ এবং বাস্তব ঘটনার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এসবের উদ্দেশ্যই হচ্ছে জনগণকে বিভ্রান্তকরা। যেমন তিনি বলেছেন সরকারকে বিব্রত করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে অথচ জনগণেরকাছে পরিষ্কার যে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দূর্বল করার জন্যই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছেন যে,সকাল ১১টার মধ্যে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকান্ড ঘটানোহয়েছে। এটা জেনে প্রধানমন্ত্রী কিভাবে দু’দুবার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, আল-জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারেবলেন যে, বিডিআরের তথাকথিত বিদ্রোহের পিছনে বৈধ কারণ রয়েছে। যেভাবে তথাকথিতবিদ্রোহীরা প্রথম দিন টিভি ক্যামরার সামনে এসে তাদের দাবী দাওয়ার কথা বলে দেশবাসীকেবিভ্রান্ত করেছিল, একই ভাবে সজীব জয় দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।

ঘটনা তদন্তের জন্য এফবিআই ও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বাংলাদেশে এসেছে। অর্থাৎ আমেরিকা ওবৃটেন বাংলাদেশের ঘটনার তদন্ত করবে। অথচ এই মার্কিন-বৃটিশরা সারা বিশ্বে মুসলিম নিধনেব্যস্ত। শুধু তাই নয়, এরা সবাই সরকারকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেছে। উপরন্তু, এটাবিশ্বাসযোগ্য নয় যে এই বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই ঘটনার সাথে সংশি−ষ্ট ভারত ওভারতের এদেশীয় দোসরদের ভূমিকার দিকে আঙ্গুল নির্দেশ করতে পারে। সরকার মিডিয়াকে দায়িত্বশীল আচরণের কথা বলে এখন সত্য প্রকাশের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।প্রধানমন্ত্রীর সাথে সেনা কর্মকর্তাদের বৈঠকের একটি অংশ ইন্টারনেটের মাধ্যমে জনগণের কাছেপৌছে যাওয়ায় সরকার ঐ ওয়েব সাইটগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।
সরকার জনগণের দায়িত্ব নেয়ার কথা বলেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলকে দায়িত্বশীল হতে বলছে, অথচ তারা অন্যের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। আমরা দেখেছি সরকারেরস্তাবকেরা বাংলাদেশের মিডিয়ায় ভারতীয় মিডিয়ার বক্তব্য হুবহু তুলে ধরছে, জঙ্গিবাদকে দায়ীকরার চেষ্টা করছে, এমনকি সরকারের বয়স মাত্র পঞ্চাশ দিন ইত্যাদি বলে ঘটনার দায়দায়িত্বঅন্যের ঘাড়ে চাপানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে। তদন্ত কমিটির কোন রিপোর্ট প্রকাশ না হতেই সরকারের মন্ত্রীবর্গ ও মিডিয়া জঙ্গী গোষ্ঠীদেরকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা শুরু করেছে। আবারএকই মন্ত্রী পরবর্তীতে বলছে যে জঙ্গীরা ছাড়া অন্যান্য গোষ্ঠীও এই ঘটনার সাথে জড়িত।যেখানে ভারতে কিছু ঘটলেই ভারত সরকার পাশ্ববর্তী দেশের দিকে আঙ্গুলি নির্দেশ করে, সেখানেসরকার পরিকল্পনা করেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভেদ সৃষ্টি করছে।

বিশে−ষণের উপসংহারে এসে আমরা বলতে পারি যে এই তথাকথিত বিদ্রোহ একটি দীর্ঘমেয়াদীপরিকল্পনার অংশ, যার সাথে ভারত এবং সরকারের ভিতরে ও বাইরের ভারতীয় দোসরশক্তিসমূহ সংশি−ষ্ট। সেনাবাহিনীর মেধাবী কর্মকর্তাদের হত্যাযজ্ঞে লাভবান অন্য রাষ্ট্রও তাদের দোসররা। বিভিনড়ব দাবির আড়ালে বিডিআর এর চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে দেয়া হয়েছেএবং সেনাবাহিনীর কমান্ড থেকে বিডিআরকে বিচ্ছিনড়ব করার নীলনক্*শা বাসত্মবায়নের প্রচেষ্টাচালাচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা। এই দাবি বাস্তবায়িত হলে সামগ্রিকভাবে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাহুমকির মধ্যে পড়বে। দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় সেনা-বিডিআর এর যৌথ ভূমিকা অত্যনত্মগুরুত্বপূর্ণ। বলার অপেক্ষা রাখে না যে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী অথবা বাংলাদেশ রাইফেল্*সএর যে কোন দুর্বলতা অথবা এই দুই প্রতিরক্ষা বাহিনীর পারস্পরিক সম্পর্কের দুর্বলতার সবচেয়েবড় সুবিধাভোগী আমাদের শত্রু রাষ্ট্র ভারত।

বাংলাদেশ ছোট রাষ্ট্র নয়। অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে শক্তিশালী রাষ্ট্র হবার মতো অনেক।

উপাদান বাংলাদেশে বিদ্যমান। এদেশে রয়েছে:

১) ১৫ কোটি মানুষ, যার অধিকাংশ মুসলমান। নেতৃত্ব দুর্বল ও বিভক্ত হলেও বিশ্বাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে এই জাতি ঐক্যবদ্ধ।
২) ভৌগোলিক পরিবেশের (বিশেষত: নদীমাতৃক সবুজ সমতল ভূমি) কারণে কোন বহিঃশক্তি কখনো এই ভূমিকে বেশীদিন নিজের অধীনে রাখতে পারেনি। রাশিয়া আক্রমণ করে যেমন হিটলার চরম মাশুল দিয়েছিল, তেমনি এদেশের মাটি দখলে রাখতে যে কোন বিদেশী শক্তির চরম খেসারত দিতে হবে।
৩) বাংলাদেশ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ার কারণে এই দেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। অর্থাৎ ভারত ও চীনের মাঝে স্বাধীন বাংলাদেশের গুরুত্ব অনেক। আমরা দেখেছি যে এই কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সেনা ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
৪) অনেকেই ভারতের পেটের ভিতরে বাংলাদেশের অবস্থানকে বাংলাদেশের দুর্বলতা হিসেবে উল্লেখ করেন। কারো ঘরের অভ্যন্তরে অবস্থান কৌশলগত দিক থেকে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অন্যতম শক্তির উৎস।
৫) বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী শৃংখলাবদ্ধ, দক্ষ ও মেধাবী। আর সশস্ত্রবাহিনীর সাথে এদেশের জনগণের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। প্রতিরক্ষা নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি দেশের জন্য অন্যতম পুঁজি।

আমাদের করণীয় ও দেশবাসীর প্রতি আমরা বাংলাদেশ আহ্বান
জানাচ্ছি-

১. দেশবাসীকে সর্বাবস্থায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
২. সেনাবাহিনী-বিডিআরকে বিভক্ত ও দুর্বল করে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে হবে।
৩. সেনাবাহিনী, বিডিআরসহ সার্বিকভাবে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
৪ . সমাজের সচেতন অংশকে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের মানুষের সামনে রাষ্ট্রের শত্রু-মিত্রের ধারণা পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে হবে।
৬. নিষ্ক্রিয়তা ও রহস্যজনক ভূমিকার জন্য সরকারকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে হবে।
৭. এই তথাকথিত বিদ্রোহের সাথে জড়িত ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের বিচারের সম্মুখীন করার ব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে।
৮. দেশী-বিদেশী তদন্তের নামে সরকার যেন এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে না পারে

সেদিকে সকলকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
আসুন আমারা সকলে মিলে এর বিচার দাবি করি , যা চাওয়া ও পাওয়া আমদের মৌলিক অধিকার। প্রতিবাদ এ মুখর হওে উঠুক আমদের সেনা অফিসার দের হত্যাকাণ্ডের বিচার পাওয়ার দাবি।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা - সবাই ভুলে গেছে আমরা ভুলিনাই [BDR Pilkhana]
Log In | Facebook

Copied from Blue Band Call
 
.
ENGLISH?? THIS IS NOT BANGLADESHI FORUM!

P.S this was discussed many times

nothing new.....
 
.
Is it so hard to understand that articles should be posted in ENGLISH ?

replies are ok but original post == ENGLISH. Plz stick to that..
 
.

Pakistan Affairs Latest Posts

Back
Top Bottom