What's new

RAB extorted nearly million dollar and killed local council member

idune

ELITE MEMBER
Joined
Dec 14, 2008
Messages
13,663
Reaction score
-40
Country
Bangladesh
Location
United States
RAB extorted nearly million dollar and killed local council member

Nazrul Islam, Naranganj local council member who's body was recovered from Sittalakhya river was abducted and killed by RAB. Victim family in a press conference revealed that RAB commanding officer and two majors of Bangladesh army led abduction of Nazrul Islam and extorted nearly a million dollar from victim family with the promise that Nazrul Islam will be released.

BUT RAB not only killed Nazrul but also murdered 6 others and dumped their body in the river. It is important to note RAB as a force are commanded by army officers who often served in African countries where abduction and killing had been rife. This is alarming to see Bangladesh army officers serving in peace mission now importing abduction, killing and lawlessness into Bangladesh in the name of UN peace keeping mission.

US earlier refused to train RAB because of its role in abduction and killing of civilian. All human rights organization termed RAB as a rouge entity as it became india backed Awami League regime tool of repression and killing.

ছয় কোটি টাকা নিয়ে খুন করেছে র‌্যাব

75611_1.jpg
04 May, 2014 নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলামকে র‌্যাব তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় র‌্যাবের সিও এবং আরও দুই মেজর মিলে ছয় কোটি টাকা নিয়েছেন।

আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রাইফেল ক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান। তবে এই টাকা কার কাছ থেকে কীভাবে র‌্যাবের সিইও নিয়েছেন তার বিস্তারিত তিনি বলেননি। এ সময় নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সাংসদ শামীম ওসমান সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর ওই বক্তব্যের পুরো অডিও বার্তাটি প্রথম আলোর হাতে রয়েছে।

বিডিটুডে.নেট:ছয় কোটি টাকা নিয়ে খুন করেছে র‌্যাব
 
In a press conference victim family laid out how army officers serving under RAB extorted nearly million dollars and then killed victims. Victim family identified RAB [11] commanding officer Lt. col Tareq Syeed, Maj. Jahangir and Maj. Rana involved in brutal abduction and killings.


নজরুলের শ্বশুরের দাবি
ছয় কোটি টাকা নিয়ে খুন করেছে র‌্যাব
নুরুজ্জামান লাবু, নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরে | ৫ মে ২০১৪, সোমবার, ১০:২৩

নাসিক প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাত জনকে অপহরণ ও হত্যা ঘটনায় র‌্যাব ১১-এর তিন কর্মকর্তা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন নিহত নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম। গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রাইফেলস ক্লাবে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, নজরুল হত্যাকা-ের সঙ্গে র‌্যাব ১১-এর সিও লে. কর্নেল তারেক সাইদ, মেজর জাহাঙ্গীর ও মেজর রানা জড়িত। তারাই নজরুলসহ অন্যদের তুলে নিয়ে গিয়েছিল। ছয় কোটি টাকার বিনিময়ে তারা এই হত্যাকা- ঘটিয়েছে। শহীদুল ইসলাম বলেন, নজরুলকে যেখান থেকে তুলে নেয়া হয় সেখানে কয়েকজন বালু শ্রমিক কাজ করছিলেন। তারা সেখানে র‌্যাব-১১ লেখা দু’টি মাইক্রোবাস ও একটি জিপ দেখেছেন। তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই আমি এমপি শামীম ওসমানকে বিষয়টি জানাই। তিনি র‌্যাব সিও’র সঙ্গে দেখা করতে বলেন। তার কাছে গেলে তিনি আমাকে ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে নানারকম প্রশ্ন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি এই হত্যাকা-ের সঙ্গে শামীম ওসমান জড়িত বলে জানান। শহীদুল ইসলাম বলেন, আমার ছোট ভাই হাসমত আলী হাসুর সঙ্গে নুর হোসেনের সখ্য রয়েছে।

Daily Manab Zamin | ছয় কোটি টাকা নিয়ে খুন করেছে র‌্যাব
 
The Awami's have created a monster RAB and invited in the devil RAW, now the monster and devil are killing their own people. Poetic justice.
 
Now india backed Awami genocidal force RAB threatening victim family for disclosing nearly a million dollar extortion by commanding officer Lt. col Tareq Syeed, Maj. Jahangir and Maj. Rana.

নজরুলের শ্বশুরকে হুমকি
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে | ৬ মে ২০১৪, মঙ্গলবার, ১০:৪২

‘ছয় কোটি টাকা নিয়ে র‌্যাব সাত খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে’- এমন অভিযোগ তোলার পর টেলিফোনে এসএমএসের মাধ্যমে হুমকি আসছে বলে জানিয়েছেন নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম। তিনি মানবজমিনকে জানিয়েছেন নম্বর উঠেনি এমন ফোন থেকে আমাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে এ ঘটনা নিয়ে আর কোন আন্দোলন না করতে কিংবা বেশি কথা না বলতে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে পরিবারের আরও অনেককে হারাতে হবে বলে ভয় দেখানো হয়। নম্বর নেই এমন ফোন থেকে মেসেজ আসছে উল্লেখ করে শহীদুল ইসলাম বলেন, কারা পাঠাচ্ছে তাও বলতে পারছি না। এদিকে গতকাল তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। পুলিশ প্রহরায় সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে তিনি ঢাকার বারডেম হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাতে বাসায় ফিরেন।

Daily Manab Zamin | নজরুলের শ্বশুরকে হুমকি
 
Victim father in law describes how RAB and its Bangladesh Army deputed officers Lt. col Tareq Syeed, Maj. Jahangir and Maj. Rana extorted nearly a million dollars and then killed 7 people.

গুম, খুনের জন্য র‍্যাব কমান্ডার তারেক যেভাবে ছয় কোটি টাকা নিলো
75794_1.jpg
06 May, 2014 ‘ক্যাম্পে গিয়ে র‌্যাব-১১ অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেকের পা জড়িয়ে ধরে বলেছিলাম দুই কোটি টাকা দিব নজরুলকে ভিক্ষা দেন। কিন্তু তিনি আমাকে বললেন, আমার কাছে এসেছেন কেন? শামীম ওসমানের কাছে যান। সেই আপনার জামাইকে গুম করেছে। এরপর র‌্যাবের ক্যাম্পে ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে তিনি আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। আমাদের সবার মোবাইল ফোন কেড়ে নেন।’
সোমবার বিকালে যুগান্তরের কাছে কথাগুলো বলছিলেন অপহরণ ও খুনের শিকার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান। সিদ্ধিরগঞ্জের আবদুল আলীর পুল এলাকায় শহীদুল তার নিজের বাড়িতে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন।

বিডিটুডে.নেট:গুম, খুনের জন্য র‍্যাব কমান্ডার তারেক যেভাবে ছয় কোটি টাকা নিলো
 
Last edited:
On Sunday, slain councillor Nazrul Islam’s father-in-law Shahidul Islam in a press conference in Narayanganj Rifles Club alleged that the then commanding officer of RAB-11, Lieutenant Colonel Tareque Sayeed Muhammad and ‘Major Jahangir’ and Lieutenant Commander Masud Rana who were stationed there, had taken Tk 6 crore from prime suspect Noor Hossain for the abductions and killings.

Lieutenant Colonel Tareque, also son-in-law of the disaster management and relief minister, was attached to the log area in the army headquarters on May 1 after his immediate withdrawal from the RAB along with Major Arifur Rahman and Lieutenant Commander Masud Rana.

Since his joining RAB-11 as commanding officer on November 3, 2013, Lieutenant Colonel Tareque, who had earlier served President Guards Regiment, had drawn criticism from opposition Bangladesh Nationalist Party over the alleged incidents of enforced disappearance and encounters in Lakshmipur.

The government, however, awarded the officer, who has been serving the army since 1991, with the President Police Medal for his ‘outstanding contributions’ to maintaining law and order. Major Arifur Rahman also was attached to the log area.

JS panel wants action against RAB men if found guilty

-------------------------------------------------------------
Note: Anyone seen bdmil . com fanatics here lately? I suppose not.
 
Brutal description of how india backed and Awami League run Bangladesh Army officers killed 7 people.

পোস্টমর্টেমে রোমহর্ষক তথ্য
76073_1.jpg
08 May, 2014
নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ ৭ জনকে হত্যার আগে তাদের মাথায় আঘাত করে অচেতন করা হয়। এরপর গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর লাশ যাতে ভেসে না ওঠে এ জন্য পেট ফুটো করে দেয়া হয়েছিল। নিহতদের পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে এমনই তথ্য মিলেছে। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়। রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী অপহরণের রাতেই তাদের হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়া হয়। লাশ উদ্ধার থেকে হত্যাকা- সংঘটিত হয় ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা আগে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা সিভিল সার্জন দুলাল চন্দ্র চৌধুরীর কাছে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বোর্ডের প্রধান নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. আসাদুজ্জামান মিয়া। কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম ও ইব্রাহিমের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।

বিডিটুডে.নেট:পোস্টমর্টেমে রোমহর্ষক তথ্য
 
N’GANJ ABDUCTION, MURDER: No major progress in probe, protests on

May 9, 2014 1:44 am

Protests continued to rage in Narayanganj 11 days after the abduction and killing of seven people, including panel mayor Nazrul Islam, on April 27 as the police were yet to make any significant progress in the investigation.

Families of the victims and others, who have been staging protests in the city since the abduction, on Thursday demanded immediate arrest of the suspects, including the three Rapid Action Battalion officers from the army, who were retired on Tuesday.

State minister for home Asaduzzaman Khan, however, said that the RAB officers, suspected to have been involved in the killings after abduction of the seven people, would be arrested if there was enough evidence against them. He said that no suspects would be allowed to leave the country before the investigation was completed.‘Warrant for their [RAB members] arrest will be issued if their alleged involvement is proven in the investigation,’ the junior minister told reporters at the secretariat.

Nazrul’s brother Abdus Salam told a protest rally at Mouchak bus stand on the Dhaka-Chittagong highway that they demanded immediate arrest of the suspects, particularly the three former RAB officers, for a fair investigation.

He said that sending them into ‘retirement’ with all service benefits was no punishment, rather it was an ‘eyewash’.
Members of Narayanganj Bar Association observed a one-hour token hunger strike on the district judge’s court premises on the day demanding arrest of the killers.


On May 5, the then RAB 11 commanding officer lieutenant colonel Tareque Sayeed Muhammad, also son-in-law and nephew of the disaster management and relief minister Mofazzal Hossain Chowdhury Maya, along with major Arif Hossain were retired from the army and lieutenant commander Masud Rana was retired from the navy with all service benefits after it was
alleged that they had taken Tk 6 crore for the abduction and murder.

The bodies of Narayanganj panel mayor Nazrul Islam and four of his associates and lawyer Chandan Kumar Sarkar and his driver were found floating in the River Sitalakhya, on April 30 and May 1 after 15-20 people, who passed themselves off as RAB personnel, had abducted them on April 27 that had sent shockwaves through the nation and triggered protests.

Full Report
N’GANJ ABDUCTION, MURDER: No major progress in probe, protests on
 
Again india backed Awami League RAB abducted chairman of Benapol local council.

এবার বেনাপোল প্যানেল মেয়রকে অপহরন করল র‍্যাব !
76460_1.jpg
10 May, 2014
যশোরের বেনাপোল পৌরসভার প্যানেল মেয়র তারিকুল আলম ওরফে তুহিনের অপহরণের সঙ্গে র‌্যাবের কর্মকর্তারা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন তুহিনের স্ত্রী সালমা আক্তার। আজ শনিবার প্রথম আলোর কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি। তবে তাঁর অভিযোগ অস্বীকার করেছে র‌্যাব।

বিডিটুডে.নেট:এবার বেনাপোল প্যানেল মেয়রকে অপহরন করল র‍্যাব !
 
Again india backed Awami League RAB abducted chairman of Benapol local council.

এবার বেনাপোল প্যানেল মেয়রকে অপহরন করল র‍্যাব !
76460_1.jpg
10 May, 2014
যশোরের বেনাপোল পৌরসভার প্যানেল মেয়র তারিকুল আলম ওরফে তুহিনের অপহরণের সঙ্গে র‌্যাবের কর্মকর্তারা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন তুহিনের স্ত্রী সালমা আক্তার। আজ শনিবার প্রথম আলোর কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি। তবে তাঁর অভিযোগ অস্বীকার করেছে র‌্যাব।

বিডিটুডে.নেট:এবার বেনাপোল প্যানেল মেয়রকে অপহরন করল র‍্যাব !

Is this mayor from AL?
 
India backed Awami killing squad Bangladesh army and RAB. Maj. Gen Aziz who runs the BGB is brother of known terror don Joseph.

1017753_677994935621807_8680271012334101598_n.jpg


আওয়ামী কিলিং স্কোয়াডের দেশী কিছু সদস্যদের সম্বন্ধে জানুন ... এরাই ভারতীয় কিলিং গ্যাঙের পাশে মানুষ মেরে ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে এই ভারতের তাবেদারদের

মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ

DG_BGB: বিতর্কিত সেনা অফিসার বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ (বিএ-২৪২৪) ৮ লং কোর্সের কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার। তার জন্ম ১৯৬১ সালের ১ জানুয়ারি। মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ ২০০৫ সালে ৩০ আর্টিলারি রেজিমেন্টে থাকাকালে ২১ হাজার রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার কারনে শাস্তি প্রাপ্ত হন। কোর্ট অব ইঙ্কুয়ারি তার চাকুরী ডিসমিস করার জন্য সুপারিশ করে। শেখ হাসিনা সরকার মাত্র আড়াই বছরে তার আনুগত্যের উপহার হিসেবে তাকে ৩টি প্রমোশন দেয়।

তার এক ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফ এখন কারাগারে। অন্য ভাই হারিস গোয়েন্দা সূত্র মতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে কিলিং মিশনে অংশ নিচ্ছে। পাক বাহিনীর চেয়েও ভয়ংকর পদ্ধতিতে তিনি এখন রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের সমন্বয় করছেন। গত ৩০ নভেম্বর ২৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন (কমান্ডিং অফিসার লে কর্নেল মতিউর) র্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে সাতক্ষীরা নতুনহাটে কমপক্ষে ৫০ জন নিরস্ত্র নাগরিক হত্যা করা ও বাড়ী ঘর ধংস করার অপারেশন তিনি নিজে সমন্বয় করেন।

তিনি সীমান্ত খুলে রেখে বিজিবি সদস্যদের দেশব্যাপী মোতায়েন করেছেন যাতে সরকারী ও ‘র’ এর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিরোধীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও হত্যা করা সম্ভব হয়।

তিনি নিজে সেনাবাহিনী থেকে ৩০ জন অফিসারকে পছন্দ করে বিজিবিতে বদলির ব্যবস্থা করেছেন যাতে ‘র’ এর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক হয়। এদের মধ্যে ব্রি জেনারেল শামস (যশোর) , ব্রি জেনারেল আহমেদ আলী (চট্টগ্রাম), কর্নেল শেখ মনিরুজ্জামান (ময়মনসিংহ), কর্নেল শাহরিয়ার (কুমিল্লা), লে কর্নেল এমাদ (ফেনী), লে কর্নেল মতিউর (যশোর) অন্যতম। এরাই র্যাব ও পুলিশের সহায়তা নিয়ে বিরোধী দলের হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞে মূল অপারেশনের পরিকল্পনা করে। ইতিমধ্যেই লক্ষ্মীপুর, কোম্পানিগঞ্জ, নীলফামারী, চাঁদপুর, সাতক্ষীরা, সীতাকুণ্ড, কুমিল্লা, মিরেরসরাই শ অন্যান্য এলাকায় অপারেশন করে কমপক্ষে ১০০০ নাগরিক হত্যা করেছে।

কর্নেল জিয়াউল আহসান

col zia: কর্নেল জিয়াউল আহসান (বিএ-৪০৬০) পদাতিক অফিসার। জন্ম তারিখ ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি। গত ৫ বছর সে র্যাব এ চাকুরী করছে। বর্তমানে অতিঃ মহাপরিচালক। সে সরাসরি মেজর জেনারেল (অব) তারেক আহমেদ সিদ্দিকির সাথে যোগাযোগ রেখে কাজ করছে।

মাঠ পর্যায়ে জিয়া হল আসল সিরিয়াল কিলার। কমান্ডো হলেও চাকুরিতে তার ক্যারিয়ার খুবই নিম্নমানের। নিজে সে কমপক্ষে ৫ শাতাধিক নিরস্ত্র নাগরিক হত্যা করেছে। নিহতরা মূলত সরকারী দলের বিরোধিতার কারনে এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। তার তত্বাবধানে কমপক্ষে ১০০০ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানা যায়। এর মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা আমিনুল, বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী অন্যতম। ৫ মে শাপলা চত্বরের গণহত্যার অপারেশন ইনচার্জ ছিল এই কর্নেল জিয়া। টেলিভিশন সাক্ষাতকারে সে তা স্বীকার করেছে। এই গণহত্যার সফলতায় সে লে কর্নেল থেকে কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পায়।

গত এ মাসে সকল গণহত্যার সাথেই দেশব্যাপী সে সম্পৃক্ত ছিল। এজন্য তাকে র‌্যাবের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে বসান হয়। গত ২৫ নভেম্বর লাকসামের বিএনপি সভাপতি সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম হিরু, লাকসাম শহর বিএনপি সভাপতি হুমায়ুন কবির পারভেজকে মোবাইল ট্র্যাকিং করে ধরে র্যান ১১ এর সিও লে কর্নেল তারেক সাইদ মোহাম্মদ এর দ্বারা হত্যা করায়। তারেক হল আওয়ামী নেতা মফাজ্জল হোসেন মায়ার মেয়ের জামাই। শেখ সেলিম এর মেয়ের জামাই ববি হাজ্জাজ হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের পক্ষ নিলে ববিকে ধরে বিদেশ পাঠায় এই জিয়া।

জিয়ার চক্রান্তে কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাও চাকুরী হারায় যাদের বৃত্তান্ত পড়ে প্রকাশ করা হবে।

ব্রিগে জেনারেল মজিবুর

ব্রিগে জেনারেল মোঃ মজিবুর রহমান (বিএ-৩৪২১) সেনাবাহিনীর ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার। সে ১৮ লং কোর্সে কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার। সে ডিজিএফআই ও এনএসআই এ চাকুরীরত ছিলেন। এছাড়াও সম্প্রতি তিনি র্যাব এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজের ছাত্র মজিবর রহমান ছাত্র লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। ছাত্রলীগের সেই মুলমন্ত্রেই র্যাবে থাকাকালীন বহু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার সাথে জড়িত ছিলেন। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী ও শ্রমিক নেতা আমিনুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে জানা যায়। নরসিংদী বিএনপি এক নেতার হত্যাকাণ্ডে তাকে সহায়তা করেন র্যাব-১১ এর সাবেক সিও লে কর্নেল মস্তফা (বর্তমানে এন,এস,আই পরিচালক)।

লে কর্নেল কিসমত

লে কর্নেল কিসমত হায়াত (বিএ নম্বর ৪৪৯০) ২৭ বিএমএ লং কোর্সে কমিশন প্রাপ্ত সেনা অফিসার। ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের অফিসার হলেও সে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করতে পারেনি বলে জানা যায়। বর্তমানে র্যাব-১ এর সিও হিসেবে টঙ্গী, গাজীপুর, দক্ষিনখান, উত্তরখান, বারিধারা, বাড্ডাসহ ঢাকা থেকে কমপক্ষে ২৫০ জন নাগরিক হত্যা করেছে।

গত ৪ ডিসেম্বর বসুন্ধরা থেকে ৭ জনকে ধরে নিয়ে হত্যা করে সে। ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি সেক্রেটারি সাজেদুল ইসলাম সুমন তাদের অন্যতম। তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদল নেতা তারিকুল ইসলাম ঝনটুকে ৬ ডিসেম্বর ধরে নিয়ে হত্যা করে।

লে কর্নেল তারেক

লে কর্নেল তারেক সাইদ মোহাম্মদ (বিএ-৪১২৭) র্যাব-১১ এর সিও। তার পরিচয় হল আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর নেতা মফাজ্জল হোসেন মায়ার মেয়ের জামাই। সাইদ এর জন্ম তারিখ ১৯৭২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ততার কারনেই সে হিংস্র হয়ে ওঠে ধীরে ধীরে এবং কর্নেল জিয়ার বিস্বশ্ততা অর্জন করে সে।

গত ২৫ নভেম্বর লাকসামের বিএনপি সভাপতি সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম হিরু, লাকসাম শহর বিএনপি সভাপতি হুমায়ুন কবির পারভেজকে মোবাইল ট্র্যাকিং করে ধরে হত্যা করে সে। তারেক কুমিল্লা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন অপারেশনে জড়িত।

লে কর্নেল মতিউর

লে কর্নেল মতিউর রহমান (বিএ-৪৪৫৭) ২৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সিও। সে ২৭ বিএমএ লং কোর্সের কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার। সাতক্ষীরা ও যশোর হত্যাকাণ্ডে সে জড়িত। সাতক্ষীরা, নতুনহাট ও মনিরামপুর অপারেশনে সে কমপক্ষে ৭০ জন নিরস্ত্র জনতাকে হত্যা করেছে। ধংস করেছে বহু ঘরবাড়ী।

লে কর্নেল ইমরান

লে কর্নেল ইমরান ইবনে রউফ (বিএ-৪৬৬৪) র্যাব-১০ এর সিও। ২৯ বিএমএ লং কোর্সের কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার। সে গাজীপুরের আহসানউল্লাহ মাস্টারের মেয়ের জামাই এবং রাসেল এমপি’র ভগ্নিপতি। আওয়ামী পরিবারের সদস্য হিসেবে সে র্যাবকে ব্যবহার করে বহু বিরোধী দলের সমর্থক হত্যা করেছে বলে জানা গেছে।

সে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে ৭ জনকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। এ বিষয়ে চকবাজার থানায় নম্বর-১২৩৫ জিডি রয়েছে। নিহতদের মধ্যে কোতওয়ালি থানা ছাত্রদলের জয়েন্ট কনভেনর রায়হান সেন্টু, সোহেল, জহির, পারভেজ, সাব্বির, চঞ্চল অন্যতম।

মেজর জেনারেল মোঃ আকবর হোসেন

মেজর জেনারেল মোঃ আকবর হোসেন (বিএ-২৮৯০) ১৩ লং কোর্সে কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার এবং বর্তমানে ডিজিএফআই এর মহাপরিচালক। তার জন্ম তারিখ ১৯৬৫ সালের ১১ নভেম্বর। ‘র’ এর সাথে মূল সমন্বয়ের কাজটি তিনি করেন বলে জানা যায় এবং পুলিশ কমিশনার বেনজির, ডিজি, বিজিবি মে জেনারেল আজিজ ও এডিজি র্যাব কর্নেল জিয়ার সাথে নিয়মিত সমন্বয় বৈঠক করেন। আকবর নিজেই উদ্যোগ নিয়ে এরশাদকে জোর করে সিএমএইচ এ নিয়ে যান এমনকি প্রয়োজনে হত্যার হুমকি দেন বলে জানা গেছে।

লে কর্নেল মাকসুরুল হক

লে কর্নেল মাকসুরুল হক (বিএ-৩৫২৯) জি ১- স্পেশাল অপারেশন, আইবি, ডিজিএফআই হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জানা যায় সে সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রদল সভাপতি সালাহউদ্দিন টুকুর উপর হামলায় সে জড়িত বলে জানা যায়।

বেগম জিয়ার বাড়ী থেকে উচ্ছেদের সময় সে বেগম জিয়ার সাথে মারাত্মক দুর্ব্যবহার করে। ডঃ পিয়াস করিম ও ডঃ তুহিন মালিকের উপর হামলা তারই তত্বাবধানে হয়। জি-২ ৩৬ লং কোর্সের তাজুল ইসলামের সমন্বয়ে সেই অবরোধের সময় পেট্রোল বোমা চালু করে এবং বিরোধী দলের উপর চাপায়।
 
Sheikh Hasina's advisor HT Imam worked to remove one other accused from Interpol criminal list.

ইন্টারপোল থেকে নূরকে বাঁচাতে সুপারিশ করেন যারা
শামীমুল হক/সামন হোসেন | ১১ মে ২০১৪, রবিবার, ১:৩১ | মতামত: ১৭ টি
Share on facebook Share on twitter Share on email Share on print More Sharing Services 2
22904_f1.jpg
শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে ইন্টারপোলে তালিকাভুক্ত ছিল নূর হোসেন। তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড এলার্টও জারি করে। সে সময় তিনি ছিলেন ফেরার। পালিয়ে গিয়েছিলেন দেশের বাইরে। কিন্তু ইন্টারপোলের সন্ত্রাসী তালিকায় তাকে বেশি দিন থাকতে হয়নি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে আত্মগোপন থেকে সে বেরিয়ে আসেন প্রকাশ্যে। দখলে নেয় ফেলে যাওয়া রাজত্ব। আর সে সময় ইন্টারপোলের পরোয়ানা থেকে তাকে বাঁচিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, শামীম ওসমান ও আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত।
Daily Manab Zamin | ইন্টারপোল থেকে নূরকে বাঁচাতে সুপারিশ করেন যারা
 
Sheikh Hasina's advisor HT Imam worked to remove one other accused from Interpol criminal list.

ইন্টারপোল থেকে নূরকে বাঁচাতে সুপারিশ করেন যারা
শামীমুল হক/সামন হোসেন | ১১ মে ২০১৪, রবিবার, ১:৩১ | মতামত: ১৭ টি
Share on facebook Share on twitter Share on email Share on print More Sharing Services 2
22904_f1.jpg
শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে ইন্টারপোলে তালিকাভুক্ত ছিল নূর হোসেন। তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড এলার্টও জারি করে। সে সময় তিনি ছিলেন ফেরার। পালিয়ে গিয়েছিলেন দেশের বাইরে। কিন্তু ইন্টারপোলের সন্ত্রাসী তালিকায় তাকে বেশি দিন থাকতে হয়নি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে আত্মগোপন থেকে সে বেরিয়ে আসেন প্রকাশ্যে। দখলে নেয় ফেলে যাওয়া রাজত্ব। আর সে সময় ইন্টারপোলের পরোয়ানা থেকে তাকে বাঁচিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, শামীম ওসমান ও আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত।
Daily Manab Zamin | ইন্টারপোল থেকে নূরকে বাঁচাতে সুপারিশ করেন যারা
ইন্টারপোল থেকে নূরকে বাঁচাতে সুপারিশ করেন যারা

11 May, 2014



শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে ইন্টারপোলে তালিকাভুক্ত ছিল নূর হোসেন। তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড এলার্টও জারি করে। সে সময় তিনি ছিলেন ফেরার। পালিয়ে গিয়েছিলেন দেশের বাইরে। কিন্তু ইন্টারপোলের সন্ত্রাসী তালিকায় তাকে বেশি দিন থাকতে হয়নি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে আত্মগোপন থেকে সে বেরিয়ে আসেন প্রকাশ্যে। দখলে নেয় ফেলে যাওয়া রাজত্ব। আর সে সময় ইন্টারপোলের পরোয়ানা থেকে তাকে বাঁচিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, শামীম ওসমান ও আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। এইচ টি ইমাম এ সংক্রান্ত একটি চিঠি লেখেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে। ২০০৯ সালের ৮ই জুন স্বাক্ষরিত চিঠিতে এইচ টি ইমাম লেখেন, নূর হোসেন আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী নেতা, জনদরদি। সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০০৫ সালের ১৬ই এপ্রিল সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ করে। সে যাতে আইনের আশ্রয় নিতে না পারে সে জন্য তাকে ক্রসফায়ারে দেয়ার চেষ্টাও করা হয়। নূরকে আবার ক্রসফায়ারে দেয়ার পাঁয়তারা হচ্ছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। এ জন্য তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়। এমনকি নূর হোসেনকে সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়। এই চিঠির অনুলিপি দেয়া হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে। এর আগে নূর হোসেনের আবেদনে সেই সময়কার নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য হাসনাত কায়সার ও নারায়ণগঞ্জের আলোচিত নেতা বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমান সুপারিশ করেন।


এই চিঠির পরই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। তার বিরুদ্ধে উঠিয়ে নেয়া হয় ইন্টারপোলের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। পুলিশ সুপার বিশ্বাস আফজাল হোসেন তখন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আগে সন্ত্রাসীর তালিকায় নূর হোসেনের নাম ছিল। বর্তমানে তালিকায় তার নাম নেই। নূর হোসেন সব মামলায় জামিনে আছেন।


এরপর আর তাকে পায় কে? নিজের সন্ত্রাস সাম্রাজ্য গুছিয়ে নিতে বেশি সময় নিতে হয়নি তাকে। শিমরাইলে মাদক সাম্রাজ্য, ট্রাকস্ট্যান্ড ঘিরে চাঁদাবাজি, পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে চলাচলরত সব বাস থেকে চাঁদা আদায়, জমি দখল, মার্কেট দখল করে রাতারাতি বনে যায় অন্ধকার জগতের সম্রাট। সখ্য গড়ে তোলে সরকারের প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে। ডিসি, এসপিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে নেয় নিজের আয়ত্তে । আর তাই বিনা অনুমতিতে শিমরাইল ট্রাকস্ট্যান্ডে যাত্রার নামে জুয়া, মাদক সেবনের আখড়া চালাতে থাকে দিনের পর দিন। আর এ যাত্রার স্থান পাহারা দিতো পুলিশ। মাঝে মাঝে র‌্যাবের গাড়িও ঘুরে যেতো। নিজেকে আরও প্রভাবশালী বানাতে গিয়ে ধীরে ধীরে তার বাহিনীতে টেনে নিতো উঠতি সাহসী যুবকদের। ফলে সিদ্ধিরগঞ্জ জুড়ে তার প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়তে থাকে। সূত্র জানায়, গত দুই বছরে ১১টি অস্ত্রের লাইসেন্স পেলেও তার বাহিনীর অধীনে ছিল বহু অবৈধ অস্ত্র। নূর হোসেন বাহিনীর প্রত্যেক সদস্য অস্ত্র চালানোতে পারদর্শী। ৮০-এর দশকে নূর হোসেনের উত্থান হলেও তার প্রভাব বাড়তে থাকে ১৯৯৬ সালের পর। তখনই সন্ত্রাসী তকমা লেগে যায় তার ললাটে। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় সে। তখনই তাকে ধরিয়ে দিতে ইন্টারপোলের সাহায্য নেয় সরকার। ইন্টারপোল শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে সদস্য দেশগুলোতে নূর হোসেনের ব্যাপারে রেড এলার্ট জারি করে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর দেশে এসে ইন্টারপোলের তালিকা থেকে নিজের নাম বাদ দিতে উঠে পড়ে লাগে। সফলও হয়। তবে ২৩টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে কখনও হাতকড়া পরতে হয়নি নূর হোসেনকে।


২০০১ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে বিএনপি সমর্থিত চারদলীয় জোট। এর পরপরই নূর হোসেন তার বাহিনী নিয়ে পালিয়ে যায় ভারতে। একটি মামলার রায়ে অনুপস্থিত নূর হোসেনকে সাড়ে তিন বছরের কারাদ- দেয়া হয় সে সময়। ২০০৭ সালের ১২ই এপ্রিল আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল নূর হোসেনের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করে। ইন্টারপোলের ওয়েবপেইজে নূর হোসেন সম্পর্কে বলা হয়, সশস্ত্র অপরাধ, হত্যা ও অঙ্গহানিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সে যুক্ত।



উৎসঃ মানবজমিন

http://www.onbanglad...etail/200/76486

তিন কর্মকর্তাকে অন্তরীণ রাখা হয়নি, নূর হোসেন ত্রিপুরায়!

অবসরে পাঠানো র‌্যাবের তিন কর্মকর্তাকে লগ এরিয়ায় তাদের অন্তরীণ রাখার খবর সঠিক নয়। তাদের টেলিফোন কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না দেয়ার খবরও সঠিক নয়। সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিষয়টি জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সেনাবাহিনীর যে কোনো কর্মকর্তা ডেপুটেশনে অন্য কোথায় দায়িত্ব পালন শেষে ফিরে আসলে কিংবা অবসরোত্তর ছুটিতে গেলে (এলপিআর) তাকে লজিস্টিক এরিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। কারণ তাদের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধাদি এই বিভাগ থেকে নিশ্চিত করা হয়। এই কর্মকর্তারা যেহেতু অবসরে গেছেন সেহেতু তাদের এই বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। কারণ তাদের অবসরে পাঠানোর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে তারা অবসরকালীন যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্ত হবেন।

কিন্তু কিছু কিছু গণমাধ্যম তাদেরকে লগএরিয়ায় অন্তরীণ করা হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে। এদিকে ৭ খুনের ঘটনায় সেনা ও নৌবাহিনীর ৩ কর্মকর্তাকে যে কোনো সময় জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এই ৩ কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানোয় তারা আর সামরিক আইনের মধ্যে নেই। ফলে পুলিশ তদন্তে তাদের অপহরণ এবং খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পেলে গ্রেপ্তারে আইনত কোনো বাধা নেই।

সূত্রমতে, তাদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না গ্রেপ্তার না করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রীর সার্বক্ষণিক তদারকির কারণে কোনো রকম প্রভাব ছাড়া সুষ্ঠুভাবে তদন্ত হচ্ছে বলে সুত্র দাবি করে। বৃহস্পতিবার সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এদিকে নূর হোসেন এখনও গ্রেপ্তার না হওয়ায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন নূর হোসেনকে প্রশাসনে থাকা তার বিভিন্ন সময়ের অপকর্মের সহযোগীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখবে। কারণ সে গ্রেপ্তার হলে অনেকের থলের বিড়াল বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, অপহরণের পর মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ নদীতে ফেলে দিয়েই নূর হোসেন ২৮ এপ্রিল স্বপরিবারে ভারতের ত্রিপুরায় পালিয়ে গেছে। সূত্র আরো জানায়, ভারতে তার নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে। প্রতিমাসেই সে মোটা অঙ্কের টাকা ভারত পাঠাতো। কখনো কখনো বলত, রাজনৈতিক ডামাডোলে ক্ষমতার পরিবর্তন হলে নিরাপদ মাথা গোঁজার ঠাঁই রাখতে হয়। আর তার অন্যতম সহযোগী আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াছিন ঘটনার পরদিন সস্ত্রীক সিঙ্গাপুর পাড়ি জমিয়েছে। তবে নূর হোসেনের সীমান্ত পাড়ি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত নয় তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করছেন, সে দেশের কোথাও লুকিয়ে আছে। অবশ্যই ধরা পড়বে।

এদিকে কাউন্সিলর নজরুলসহ ৭ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অবসরে যাওয়া ৩ র‌্যাব কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারে প্রমাণের অপেক্ষায় রয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে তাদের অপরাধ সুনিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হলে তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হবে।

এই তিন কর্মকর্তা হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মাহমুদ ও মেজর (অব.) আরিফ হোসেন এবং নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) এমএম রানা।


http://www.onbanglad...etail/200/76399
 
India and Awami League installed party terrorists in army and RAB and bought off army officers.

 
Last edited:
Back
Top Bottom