What's new

Bangladesh offers Myanmar military aid against Rohingya rebels

Banglar Bir

SENIOR MEMBER
Joined
Mar 19, 2006
Messages
7,805
Reaction score
-3
Country
United States
Location
United States
Bangladesh offers Myanmar military aid against Rohingya rebels
AFP | Published — Tuesday 29 August 2017

980216-653286398.jpg

Myanmar police sit on the roof of a truck as they provide protection for staff from the United Nations (UN) and International Non-Governmental Organizations (INGOs) after a visit to a conflict area, at a check point near the entrance of Maungdaw township in Myanmar's Rakhine State on August 28, 2017. Rohingya Muslims are once more fleeing in droves towards Bangladesh, trying to escape the latest surge in violence in Rakhine state between a shadowy militant group and Myanmar's military. (AFP)
RELATED ARTICLES
DHAKA: Bangladesh on Monday proposed joint military operations with Myanmar against Rohingya militants fighting in Rakhine state, where thousands of villagers have fled fresh violence in recent days, an official said.

An upsurge in fighting in Rakhine, an impoverished state neighboring Bangladesh, has been raging since Friday when Rohingya militants staged coordinated ambushes against Myanmar’s security forces.

More than 100 people, including around 80 militants, have been confirmed killed in the fightback, which has seen thousands of Rohingya villagers fleeing for Bangladesh.
More than 3,000 Rohingya have arrived in Bangladesh from Myanmar, where the stateless Muslim minority faces persecution, in the past three days, the UN refugee agency said Monday.

Bangladesh has said there are thousands more Rohingya massed on its border with Myanmar, where it has stepped up patrols and pushed back hundreds of civilians who have tried to enter.

In a meeting with Myanmar’s charge d’affaires in Dhaka, a top Bangladeshi Foreign Ministry official proposed joint military efforts against the militants along the border.
“We proposed that if Myanmar wished, the security forces of the two countries could conduct joint operations against the militants, any non-state actors or the Arakan Army along the Bangladesh-Myanmar border,” a Foreign Ministry official said on condition of anonymity, as he was not permitted to speak to the media.

The Arakan Rohingya Salvation Army (ARSA) is a militant group that claims it is fighting to protect the Muslim minority from abuses by Myanmar security forces and the majority-Buddhist Rakhine community.

There was no comment from the Myanmar diplomat.

At the weekend, as violence in Rakhine worsened, Bangladesh’s foreign minister summoned Myanmar’s charge’d affaires in Dhaka to express “serious concern” at the possibility of a fresh refugee influx.

There are already some 400,000 Rohingya refugees in Bangladesh in squalid camps near its border with Myanmar.

Bangladesh is waging a bloody crackdown on homegrown religious militancy and has vowed “zero tolerance” toward violent extremism, domestic or otherwise, on its soil.

Dhaka has repeatedly asked Myanmar to take back the Rohingya refugees and address the root causes of problem “through a comprehensive and inclusive approach.”
Despite decades of persecution, the Rohingya in Myanmar’s western Rakhine state largely eschewed violence.

But in October ARSA, a small and previously unknown militant group, staged a series of deadly attacks on security forces. Myanmar’s military responded with a massive security crackdown. Some 87,000 new refugees flooded into Bangladesh bringing with them harrowing stories of murder, rape and burned villages.

The UN believes the army’s response may amount to ethnic cleansing, allegations denied by the government of Aung San Suu Kyi and the army.

In recent months the day-to-day fighting died down, but civilians described being trapped between army “clearance operations” and an assassination campaign by the militants, who are murdering anyone suspected of collaboration.
Tags: BANGLADESH MYANMAR ROHINGYA
http://www.arabnews.com/node/1152026/world
 
then if Bangladesh do that BD become a legitimate target for the rebels

plus this fully shows who is who

sadly we are not act like a Muslim country any more
 
If it goes through, BD can become a more assertive power in Asia. The coming century is going to be about Asia so where BD will fit in the world order will be possible with their contribution to the world.
 
Me thinks that it is a BD trap for Myanmar.:D

By Myanmar agreeing to this, BD military gains access to Mynamar.

Smart, thinking :D

This way BD army gets to see the location and whereabouts well first hand, for the future lunch!

dont day dream there will a lot of dead on the side of BD military also if they engage

And these rebels gain enemies from both countries only making their situation worse.

not the fault of rebels when we are make and joins force with the killers
 
মূলধারা বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা ভাই ও বোনেরা-বাংলাদেশের কাছে কিছু আশা করে লাভ নাই
1f641.png


রোহিঙ্গা ভাই ও বোনেরা, আপনারা বাংলাদেশীদের কাছে আশ্রয় চাইতাছেন, কারন আপনাদের আর কোন উপায় নাই।
এই জাতিরাষ্ট্রময় দুনিয়ায় বাংলাদেশই ভৌগলিকভাবে আপনাদের সবচাইতে কাছের জাতিরাষ্ট্র। ফলে আপনারা সেখানেই আশ্রয় চাইবেন স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশীদের মতো একটি জাতির কাছে আপনারা তেমন কিছু পাবেন সেই আশা না করাই ভালো।

কারন বাংলাদেশীরা জাতি হিসাবে আপনাদের মতোই। জাতিগত বা ধর্মীয় মিলের কথা বলছি না। বাংলাদেশীরা আপনাদের মতোই দুনিয়ার বুকে ফকির ও নির্যাতিত একটি জাতি। তারাও রিফিউজি হয়ে জাতিরাষ্ট্র গঠন করেছিল। আপনারা বাংলাদেশে একটি রিফিউজি ক্যাম্পে আশ্রয় পাইলে জীবন বাঁচাইতে পারবেন হয়তো। কিন্তু এও ভুলে যাবেন না যে বাংলাদেশ হইল দুনিয়ার বুকে সবচাইতে বড় কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প, যা রিফিউজি ক্যাম্পের চাইতেও খারাপ।... সেইসাথে এও মনে রাখবেন যে বাংলাদেশীদের কাছে খুব বেশি কিছু আশা করে লাভ নাই। আমাদের সরকারতো বটেই, সাধারণ মানুষও নিজের দেশের কিছু মানুষকে রোহিঙ্গা বানাতে চায়। কাউকে বলে ভারতে চলে যেতে, কাউকে বলে পাকিস্তানে চলে যেতে। ফলে এদের কাছে বেশি কিছু আশা করবেন না।

আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির নাম জীবনে প্রথম শুনলাম, তাও আমি মনে করি আপনাদের উচিত তাদের লাইন অনুসরণ করা।

তারা সম্প্রতি ঘোষনা করেছে যে তারা একটি জাতিগত মুক্তিকামী গোষ্ঠি, রোহিঙ্গাদের জাতিগত অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই তাদের লক্ষ্য। তারা পরিস্কার ভাষায় বলেছে যে তারা জিহাদী নয়।

আমার মনে হয় তাদের লাইনই ঠিক আছে। আপাতত আপনারা জীবন বাঁচানোর জন্যে যা দরকারি তাই করেন। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির লাইন অনুসরণ করেন।

বাংলাদেশের জাতীয় নেতৃত্বের কাছে কিছু আশা করবেন না। তারা অতি কম ক্ষমতার অথচ স্বৈরাচারী একটি গোষ্ঠি, দুর্বলের উপর অত্যাচার করাই যাদের কাজ। কিন্তু বাংলাদেশের ভেতরে যারা নির্যাতিত জনগোষ্ঠি হিসাবে আপনাদের পক্ষে কাজ করবে তাদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন। তবে বাংলাদেশের বাইরে বেশি সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। কারন বাংলাদেশের ভেতরে আপনাদের সবচাইতে বড় বন্ধুটিও আসলে খুব বেশি কিছু করার ক্ষমতা রাখেন না।
(পারভেজ আলম, ফেইসবুক স্ট্যাটাস, ২৯ আগষ্ট ২০১৭,


বাংলাদেশ–মিয়ানমার
সীমান্তে যৌথ অভিযানের প্রস্তাব উদ্বেগজনক
Horrified at the Proposal for Joint Operation

আলী রীয়াজ
৩০ আগস্ট ২০১৭.
94c75652281950ce597ff8c0bcbeb5f4-59a5b88ae1cca.jpg

হাজার হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বাংলাদেশে আসছে শরণার্থী হিসেবেমিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি আর্মি (আরসা) দেশের সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান শুরুর পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী যে নিরাপত্তা অভিযান শুরু করেছে, তাতে সেখানে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সূচনা হয়েছে। এই পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া কেবল মিয়ানমারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। অতীতের মতোই তার প্রতিক্রিয়ার চাপ বাংলাদেশের ওপরে এসে পড়েছে—হাজার হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বাংলাদেশে আসছে শরণার্থী হিসেবে।

বাংলাদেশ এই শরণার্থীদের কেবল আশ্রয় দিতে অস্বীকার করেছে ও তাদের জোর করে ফেরত পাঠাচ্ছে তা-ই নয়, গত সোমবার বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারকে সীমান্ত এলাকায় যৌথ অভিযান চালানোর আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া এই প্রস্তাব উদ্বেগজনক। যদিও বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এই প্রস্তাব দিল তা নয়। গত বছরের আগস্ট মাসেও বাংলাদেশ এ ধরনের যৌথ অভিযানের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু এবারের দেওয়া এই প্রস্তাব আগের চেয়ে সুনির্দিষ্ট, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অনুবিভাগ) মঞ্জুরুল করীম খান চৌধুরীকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ‘এবার সুনির্দিষ্টভাবে ইসলামি জঙ্গি, আরাকান আর্মি এবং রাষ্ট্রবিরোধী অন্য যেকোনো শক্তির বিরুদ্ধে দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে (প্রথম আলো, ২৮ আগস্ট ২০১৭)।’ প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারকে দেওয়া বাংলাদেশের এই প্রস্তাব কেন উদ্বেগজনক সেটা বোঝার জন্য আমাদের লক্ষ করতে হবে গত বছরের আগস্টের চেয়ে এখনকার পরিস্থিতি কতটা ভিন্ন।

আমরা জানি গত শুক্রবার দেশের পশ্চিমাঞ্চলে কমপক্ষে ২৫টি পুলিশচৌকিতে আরসার সশস্ত্র সদস্যরা একযোগে হামলা চালালে সাম্প্রতিক এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। এসব হামলায় নিহত হওয়ার সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর; এর মধ্যে হামলাকারীরাও আছে। কিছু সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে, নিহত ব্যক্তির সংখ্যা আরও বেশি; বিশেষ করে গত শনিবার থেকে সেনা অভিযানের শিকার হয়েছে সাধারণ নাগরিকেরা। আরসার পক্ষ থেকে এক ভিডিও বার্তায় এই বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, সেনাবাহিনীকে ‘যুদ্ধের’ মোকাবিলা করতে হবে।

প্রকৃতপক্ষে গত বছরের অক্টোবর থেকেই দৃশ্যত সশস্ত্র হামলার ঘটনাবলির সূত্রপাত। ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের সীমান্তচৌকিতে হামলার পর সেখানে সেনা অভিযান শুরু হয়। সেই সময়েও হাজার হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে আশ্রয় নেয়। সেনা অভিযানের মাত্রা কয়েক মাস পরে হ্রাস পায়, কিন্তু মূল সমস্যা অর্থাৎ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া, তাদের মানবাধিকার নিশ্চিত করা এবং ওই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণের পথ উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায় না।

মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের অবস্থা এবং ক্ষোভ বুঝতে হলে তাদের নাগরিক হিসেবে অস্বীকৃতি দেওয়ার যে আইন ১৯৮২ সালে প্রণীত হয়েছে এবং নাগরিকত্ব নিরূপণের যে প্রক্রিয়া ১৯৮৩ সালে চালু করা হয়েছে, সেটা আমাদের স্মরণে রাখতে হবে, স্মরণে রাখতে হবে যে ২০১৫ সালে তৎকালীন সামরিক সরকার কর্তৃক ১৫টি বিদ্রোহী জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পাদিত শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের ঘটনা, যা থেকে রোহিঙ্গাদের বাদ দেওয়া হয়েছে (দেখুন, আমার লেখা নিবন্ধ ‘জাতিগত নিধন চলছে’, প্রথম আলো ৩ ডিসেম্বের ২০১৬)। এই পটভূমিকাতেই রোহিঙ্গাদের একাংশের মধ্যে সশস্ত্র পথ অবলম্বনের জোর তাগিদ তৈরি হয়। অতীতে যেসব রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী কার্যকর ছিল, তাদের যে আবেদন ছিল তা ছিল অত্যন্ত সীমিত। কিন্তু গত বছরগুলোতে নতুন যে সংগঠন তৈরি হয়েছে তার আবেদন আগের চেয়ে বেশি এবং গত কয়েক বছরে রোহিঙ্গাদের মধ্যে র‍্যাডিকালাইজেশনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়েছে।

এরই পাশাপাশি মিয়ানমার সরকার আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে রাখাইন রাজ্য সম্পর্কে নয় সদস্যের একটি উপদেষ্টা কমিশন নিয়োগ দেয়, ওই কমিশনের দায়িত্ব হয় রাখাইন রাজ্য বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি কিছু সুপারিশ মিয়ানমার সরকারকে দেওয়া। সিদ্ধান্ত হয় যত দ্রুত সম্ভব কমিশন তার সুপারিশ হাজির করবে। এই কমিশন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ও বাংলাদেশে শরণার্থীদের শিবিরগুলো সফর করে এবং সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে। ফলে রোহিঙ্গাদের বিষয়টি আন্তর্জাতিক বিবেচনায় কেবল ‘শরণার্থী সমস্যা’ হিসেবে না থেকে ‘রাজনৈতিক প্রশ্ন’ হিসেবে রূপ নিতে শুরু করে। এসব ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে গত বছরের ডিসেম্বরে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ’ (আইসিজি)-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের মধ্যে হারাকাহ আল-ইয়াকিন নামে যে নতুন সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনের উদ্ভব ঘটছে, তার সদস্যদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের সম্পর্ক স্থাপনের আশঙ্কা আছে, একধরনের সমর্থন তারা ইতিমধ্যেই লাভ করেছে (আইসিজি, মিয়ানমার: এ নিউ মুসলিম ইনসার্জেন্সি ইন রাখাইন স্টেট, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬)। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবসহ অন্যত্র প্রবাসী রোহিঙ্গাদের মধ্যে এই বিদ্রোহকে ধর্মীয় রূপ দেওয়ার চেষ্টা আছে। যদিও আইসিজি এবং অন্য অনেকেই এই নতুন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পরিচয় হিসেবে ধর্মীয় দিককে, অর্থাৎ মুসলিম পরিচিতিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন, আরসার পক্ষ থেকে এখন সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে তারা একটি ‘জাতীয়তাবাদী সংগঠন’, তাদের কোনো আন্তর্জাতিক অ্যাজেন্ডা নেই। তাদের দাবি অনুযায়ী, রোহিঙ্গার জাতীয়তাবাদী আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের সশস্ত্র পথ বেছে নেওয়ার বিকল্প ছিল না।

তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি গত এক বছরে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রশ্নটি আন্তর্জাতিকভাবে রাজনৈতিক প্রশ্নে পরিণত হয়েছে, জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের র‍্যাডিকালাইজেশন ঘটেছে এবং সম্ভবত প্রবাসী রোহিঙ্গাদের কোনো কোনো অংশ একে ধর্মীয় পরিচয়ের মোড়কে আনতে চাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের জন্য এই সংঘাতে যুক্ত হওয়ার পথ উন্মুক্ত করে দেবে। কোনো দেশে জাতীয়তাবাদী বা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সুযোগে উগ্রপন্থী এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের অনুপ্রবেশের উদাহরণ মোটেই বিরল নয়।

আরসার এই হামলার ঘটনা ঘটেছে ঠিক সেই সময়ে যখন আনান কমিশন তার প্রতিবেদন পেশ করেছে, যে প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা প্রশ্নকে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে মীমাংসা করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আরসা কেন এ সময়কেই হামলার জন্য বেছে নিল, সেই প্রশ্ন তোলাই যেতে পারে। কেননা এতে করে সেনাবাহিনীর পক্ষে নিরাপত্তা অভিযানের যুক্তি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে এবং সরকারের পক্ষে যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক সমাধানের প্রস্তাবকেই পেছনে ঠেলে দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে আমরা এ-ও বিবেচনায় রাখব যে আরসা সম্ভবত অনেক দিন ধরেই এ ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছিল এবং আনান কমিশনের প্রতিবেদন পেশ করার বিষয়টি কাকতালীয়ও হতে পারে।

এখানে এসেই বাংলাদেশের যৌথ অভিযানের প্রস্তাবের বিষয়, বিশেষ করে এর উদ্বেগজনক দিকটি আমাদের বিবেচনা করতে হবে। মিয়ানমার সরকার (বা তার ভেতরের যে অংশ) রোহিঙ্গা ইস্যুর রাজনৈতিক সমাধানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের এই প্রস্তাব তাদের নিঃসন্দেহে শক্তিশালী করবে, তাদের যুক্তি ও কার্যকলাপকে বৈধতা প্রদান করবে। রোহিঙ্গাদের সামরিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য মিয়ানমারের সমাজে উগ্রপন্থীরা যে দাবি করে থাকে, এ ধরনের প্রস্তাব তাতে প্রকারান্তরে সমর্থন জানাল। বাংলাদেশের প্রস্তাবের যে সুনির্দিষ্ট ভাষা আমরা সংবাদমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি তাতে প্রতীয়মান হয় যে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের এই বিদ্রোহকে ‘জাতীয়তাবাদী’ বিবেচনা না করে এককভাবে ‘ইসলামি জঙ্গি’ সমস্যা বলেই বিবেচনা করতে উৎসাহী।

এটি একার্থে বিস্ময়কর এই কারণে যে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সহিংস ও সশস্ত্র হয়ে ওঠার আশঙ্কার বিষয় বাংলাদেশের নীতিনির্ধারক এবং নাগরিকদের না বোঝার কোনো কারণ নেই। সে ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশের একধরনের জাতীয়তাবাদী বিদ্রোহের বিরুদ্ধে সামরিক অবস্থান নেওয়ার ফলে ওই বিদ্রোহীদের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে বৈরী সম্পর্ক স্থাপনের আশঙ্কাই তৈরি হলো
বলে আমার ধারণা। মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা বাংলাদেশকে সেভাবে বিবেচনা করলে তা কি বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক হবে? মিয়ানমার সরকার অতীতে বাংলাদেশের দেওয়া এ ধরনের প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি, কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন এবং বাংলাদেশ এখন এই অবস্থান নেওয়ার ফলে নিজেকে আরও বেশি ভালনারেবল করে ফেলল কি না, সেটাও বিবেচ্য।

যদি মিয়ানমার এই প্রস্তাবে সাড়া দেয়, তবে এই অভিযানের সূত্রে তাদের নিরাপত্তা বাহিনী কি বাংলাদেশে প্রবেশের অধিকার রাখবে? এ ধরনের নিরাপত্তা অভিযানের সীমানা কীভাবে নির্ধারিত হবে? এই সব প্রশ্ন অভিযান যদি হয়, তবে তার বিস্তারিত কৌশল, পদ্ধতি ও পদক্ষেপের সঙ্গে যুক্ত। আমরা সেই বিষয়ে ‘যখন প্রয়োজন দেখা দেবে’ তখন আলোচনা করব। কিন্তু এখন যেটা অবশ্যই আলোচনা করা দরকার তা হলো, এই প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এমন একটি পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছে বলেই মনে হতে পারে, যাদের পক্ষপাত রাজনৈতিক সমাধানের চেয়ে সামরিক সমাধানের দিকেই। বাংলাদেশের সীমান্তে সংঘাত, অব্যাহত শরণার্থীদের প্রবেশ, একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর উপস্থিতি অবশ্যই বাংলাদেশের নিরাপত্তার যখন হুমকি তৈরি করে; কিন্তু সংঘাতকে প্রলম্বিত করার মধ্য দিয়ে সেই হুমকি মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।

আনান কমিশনের প্রতিবেদনের পর অব্যাহত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সীমান্ত পার হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই সমস্যাকে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সমস্যায় রূপ দেওয়ার যে সুযোগ বাংলাদেশের জন্য তৈরি হয়েছে, বাংলাদেশ প্রত্যক্ষভাবে নিরাপত্তা অভিযানে যুক্ত হয়ে পড়লে সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে সক্ষম হবে না। ফলে বাংলাদেশের উচিত মিয়ানমারের সঙ্গে যৌথ নিরাপত্তা অভিযানের চেয়ে অন্যান্য দেশের সঙ্গে যৌথভাবে আনান কমিশনের আলোকে রাজনৈতিক সমাধানের জন্য মিয়ানমারের ওপরে চাপ সৃষ্টি করা।


আলী রীয়াজ: যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক।
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1307451/সীমান্তে-যৌথ-অভিযানের-প্রস্তাব-উদ্বেগজনক
 
Bangladesh's should adopt these Policies to resolve the Rohingyas Crisis
'রোহিঙ্গা সমস্যায় বাংলাদেশের করণীয়'

resize.php

Wed, August 2017
by Newsorgan24
Major General A L M Fazlur Rahman(Retd)
মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান (অব.):

ණ☛ রোহিঙ্গা সমস্যা নতুন নয়। এনিয়ে অনেক গুনিজন অনেক লেখালেখি ইতিমধ্যেই করেছেন। অনেক আলোচনা দেশে বিদেশের বিভিন্ন ফোরামে হয়েছে এবং হচ্ছে। কিন্তু কেন এই সমস্যা? কেন এই সমস্যার সমাধান হচ্ছেনা? এর অন্তর্নিহিত কারণ আমাদের অনেকের জানা নাই আমি মনেকরিনা। তার পরেও আমি মনেকরি এই সমস্যা নিয়ে গভীর আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের স্বার্থে এই রোহিঙ্গা সমস্যার মূলে পৌছে এর সমাধানের পথ বের করা অতীব জরুরী মনে করছি। কেন? তাই বলব।

ණ☛ আমি আমার পুর্বের কিছু লেখায় দেখবার চেষ্টা করেছিলাম বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জিওস্ট্রাটেজিক অবস্হানের মধ্যে একটা সাযূজ্য বা মিল আছে। পাকিস্তানের দক্ষিণে আরব ও ভারত মহাসাগর । বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গপসাগর । পাকিস্তানের পশ্চিমে শতভাগ মুসলমান অধ্যুষিত আফগানিস্তান। বাংলাদেশের পুর্ব সীমান্তে রোহিঙ্গা মুসলমান অধ্যুষিত মিয়ানমার।

ණ☛ আমরা জানি বর্তমানে ভারত ও চীনের মধ্যে একটি বৈশ্বিক টানাপোড়েন এবং টানাহেঁচড়া চলছে। ডোকলামে সৈন্য প্রত্যাহারের মধ্যদিয়ে আমি ভারতের পরাজয় অবলোকন করলাম। এর জের এবং চীন ভারতের টানাপোড়েনের সেন্টার অব গ্রাভেটি যে অন্য কোথাও শিফট করবে সেটা নিশ্চিত।

ණ☛ সে বিষয়ে আলোচনার আগে আমরা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কিছু আলোকপাত করতে চাই। অনেক বছর মিয়ানমার সামরিক শাসনে ছিল। মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর সরাসরি অংশগ্রহণ সেদেশের সংসদে বর্তমানে আছে। অং সান সু চি'র সরকারের পক্ষে সংবিধানে এই মুহুর্তে পরিবর্তন এনে সামরিক বাহিনীর প্রভাব কমানো সম্ভব নয়। বরং সামরিক বাহিনী নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সূচি সরকারকে অকার্যকর প্রমাণ করে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসতে। এটা করতে গিয়ে সামরিক বাহিনী চালের গুটি হিসাবে ব্যবহার করছে রোহিঙ্গা মুসলমানদের।

ණ☛কারণে অকারণে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপরে হত্যা এবং নির্যাতন চালিয়ে তাদের ঠেলে দোয়া হচ্ছে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে। যাতে বাংলাদেশের সাথে একটি বৈরী ভাব অব্যাহত রেখে অভ্যন্তরীণ ভাবে মিয়ানমারের রাজনীতিতে সেদেশের সেনাবাহিনীকে অপরিহার্য ভাবে প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ করে রাখা।

ණ☛ আমার ভাবতে ইচ্ছে হয় আন্তর্জাতিক ভাবে মিয়ানমার সেনাবাহিনী চায় রোহিঙ্গা সমস্যার জঙ্গিকরন হোক। রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনকে হয়তোবা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় বিদেশী কোনো শক্তি মদদ দিচ্ছে অর্থ এবং অস্ত্র দিয়ে যাতে তারা দেশের ভিতরে সীমীত আকারে সেনাবাহিনী ও সীমান্ত পুলিশের উপরে আক্রমন করে একটি অস্হিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে সমস্ত রোহিঙ্গা সমস্যার জঙ্গিকরন করে তাতে মুসলিমপ্রধান বাংলাদেশকে টেনে এনে উপমহাদেশের পুর্বাঞ্চলে আর একটি আফগানিস্তানের সৃষ্টি করতে।

এতে ভারত কৌশলগত ভাবে ভালাভবান হবে কারণঃ

১। অস্হিতিশীল মিয়ানমার চীনের জন্য আর এক আফগানিস্তান হয়ে আবির্ভূত হবে।

২। রোহিঙ্গা জঙ্গী সমস্যার সাথে বাংলাদেশকে জড়িত করতে পরলে বাংলাদেশের অবস্থান হবে আফগানিস্তানের পাশে পাকিস্তানের মতো।

ණ☛পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশেও জঙ্গীবাদের উত্থান হবে ফলে চীনের সাথে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপের ধারনা অংকুরে বিনষ্ট হয়ে যাবে। এটা হলে বাংলাদেশের মিডিল কিংডম হওয়ার ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়বে।

এখন দেখব এই অবস্থায় বাংলাদেশের করণীয় কি? বাংলাদেশের প্রথম করণীয় হবেঃ

১। অতি সত্তর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি কার্যকরী এংগেজমেন্টে গিয়ে আরাকানে যাতে কোনোভাবে জঙ্গীবাদের উত্থান না ঘটে সেবিষয়ে একসাথে ও যৌথ কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহনের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করা।

২। সরকারি পর্যায়ে মিয়ানমারের সাথে জঙ্গীবাদের উত্থান নিরসন কল্পে বাংলাদেশের একটি চুক্তিতে উপনিষদে হওয়া।

৩। একই সাথে রোহিঙ্গা মুসলমানরা আরাকানে তাদের ঘরবাড়িতে ফিরে গিয়ে যাতে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে তাদের জীবনমানের উন্নয়ন সাধন করতে পারে তার জন্য মিয়ানমার সরকারের সাথে কার্যকরী এংগেজমেন্টে নিয়োজিত হওয়া।

ණ☛ আমরা এই অঞ্চলে শান্তি চাই। এই মুহুর্তে যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। শান্তির সোপানে আরোহনের সব কৌশলগত পদক্ষেপ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীকে যৌথভাবে দ্রুততার সাথে গ্রহন করতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিয়ানমার সরকার ও সেদেশের সামরিক বাহিনীর সাথে কার্যকরী ভাবে এংগেজ হতে আমরা পরামর্শ দিচ্ছি ।

লেখক: কলামিস্ট ও প্রাক্তন মহাপরিচালক বিডিআর।
http://newsorgan24.com/detail/27638
 
dont day dream there will a lot of dead on the side of BD military also if they engage



not the fault of rebels when we are make and joins force with the killers

The last thing these rebels need is another hostile country. It would be of no benefit to attack another country when you're fighting another. Especially if your main fighters are all untrained and inexperienced.
 
DHAKA: Bangladesh on Monday proposed joint military operations with Myanmar against Rohingya militants fighting in Rakhine state, where thousands of villagers have fled fresh violence in recent days, an official said.
What a kowtowing gadha PM Bangladesh has!! No wonder that Myanmar keeps on bullying its Muslim citizens with impunity.
 

Country Latest Posts

Back
Top Bottom