http://www.jugantor.com/online/national/2016/12/03/32771
ওপেন এয়ার স্কাই সুবিধা চায় ভারত
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের আকাশসীমা ও বিমানবন্দর ব্যবহার করতে ওপেন এয়ার স্কাই সুবিধা চায় ভারত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে এ বিষয়ে আলোচনা করতেও কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে ভারত।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
তবে বাংলাদেশ এখনই ভারতের সঙ্গে ওপেন স্কাই নিয়ে ভাবছে না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
তিনি বলেন, 'আমরা ওপেন স্কাইয়ের কথা ভাবছি না। ভারত আমাদের যে ফ্যাসিলিটি দেবে, আমরাও একই ফ্যাসিলিটি দেব।'
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা গত ২১ নভেম্বর সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে দেখা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে এভিয়েশন সেক্টরের কোনো প্রকল্প, প্রস্তাবনা, এজেন্ডা তুলে ধরা হবে কিনা এ বিষয়েও খোঁজ নেন হাইকমিশনার। এসময় তিনি ওপেন স্কাই সুবিধা দিতে প্রস্তাব তুলে ধরেন।
সর্বশেষ গত ১ ডিসেম্বর শাহজালাল বিমানবন্দরে এক অনুষ্ঠানেও ভারতীয় হাইকমিশনার ওপেন স্কাইয়ের বিষয়ে প্রস্তাব করেন।
ওই অনুষ্ঠানে হর্ষ বর্ধন বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারত নতুন পলিসিতে অন্যদেশগুলোর সঙ্গে ওপেন স্কাই সুবিধাকে বাড়াতে যাচ্ছে। এতে করে দুদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটবে।
হাইকমিশনারের বক্তব্যের জবাবে একই অনুষ্ঠানে রাশেদ খান মেনন বলেন, হাইকমিশনার ওপেন স্কাইয়ের কথা বলেছেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্র্যাক্টিকাল ওপেন স্কাই হয়েই আছে।
তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী ১৭-১৮ ডিসেম্বরের দিকে ভারত সফরে যাবেন। এবার যে আলোচনা হবে, তাতে যেন আমাদের এভিয়েশন সেক্টর যুক্ত থাকে সেজন্য আমরা কাজ করছি।'
ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন সাংবাদিকদের বলেন, 'ওপেন স্কাই সুবিধা চালু হলে দুদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। বাংলাদেশ সহজে ভারতে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের সুযোগ পাবে। বাণিজ্য, চিকিৎসা, শিক্ষায় পরিবর্তন আসবে। নতুন বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি হবে।'